Tag: bjp

bjp

  • Suvendu Adhikari: “আগে চোর শুনলে রাগ করতেন, এখন ক্যাগ শুনলেই রেগে যান” মমতাকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “আগে চোর শুনলে রাগ করতেন, এখন ক্যাগ শুনলেই রেগে যান” মমতাকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আগে চোর শুনলে রাগ করতেন, এখন ক্যাগ শুনলেই রেগে যান”। কার্যত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে এমন মন্তব্য করলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক তথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি বিধানসভায় বাজেট অধিবেশনের সূচনা হবে। আজ মঙ্গলবার বিধানসভায় ক্যাগ রিপোর্ট নিয়ে আলোচনা চেয়ে বিজেপির বিধায়করা ব্যাপক বিক্ষোভ দেখান।

    কী বললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

    আজ বিধানসভায় ক্যাগ রিপোর্ট নিয়ে আলোচনার অনুমতি না মেলায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগে চোর চোর শুনলে রেগে যেতেন, এখন ক্যাগ শুনলে রেগে যান। চোর শব্দ শুনলে মুখ্যমন্ত্রী আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। ওঁর ঘুম ছুটে যায়। এখন ক্যাগ শব্দ শুনলে মুখ্যমন্ত্রী এবং শাসক দল লাফালাফি করছে। আমাদের প্রতিবাদ এবং সোচ্চারে স্পিকার অধিবেশন মুলতুবি করতে বাধ্য হয়েছেন। ক্যাগ রিপোর্টে ভয়ঙ্কর ভয়ঙ্কর তথ্য রয়েছে। কয়েকশো ভুয়ো অ্যাকাউন্টের তথ্য দেওয়া হয়েছে। প্রচুর মানি ডাইভারশনের তথ্য দেওয়া হয়েছে। আমাদের আজ বিধানসভায় ক্যাগ নিয়ে আলোচনা করতে দেওয়া হয়নি।”

    এফআইআর করার দাবি

    বিধানসভায় সাংবাদিক সম্মলেন করে বলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) আরও বলেন, “আমরা ৮ তারিখ বাজেটে অংশগ্রহণ করব। এরপর ৯ তারিখ রাজ্যপালের কাছে যাব। ক্যাগ রিপোর্ট নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী এবং ক্যাবিনেটকে পার্টি করে এফআইআর করার দাবি জানাব।”

    বাজেটে শুভেন্দুর প্রত্যাশা

    পাশাপাশি বিধানসভায় বাজেট অধিবেশন নিয়ে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) প্রত্যশা করে বলেন, “টাটা গোষ্ঠীকে রাজ্যে ফিরিয়ে আনবে সরকার।” সেই সঙ্গে আরও বলেন, “আগামী বাজটে রাজ্য সরকারি কর্মীদের কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দিতে পারবে, লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে ৫০০ থেকে ২০০০ টাকা করবে সরকার। আশা করবো রান্না এবং পেট্রোপণ্যের যে কর রাজ্য সরকার নেয় তা বাজটে মুকুব করবে। সিভিক পুলিশ এবং আশা কর্মীদের বেতন বৃদ্ধি করবে। সরকারি শূন্যপদে অবিলম্বে নিয়োগ করবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • CAG Report: মমতা সরকারের ২ লক্ষ ২৯ হাজার কোটির দুর্নীতি! ক্যাগ রিপোর্ট নিয়ে দ্রুত শুনানির আর্জি বিজেপির

    CAG Report: মমতা সরকারের ২ লক্ষ ২৯ হাজার কোটির দুর্নীতি! ক্যাগ রিপোর্ট নিয়ে দ্রুত শুনানির আর্জি বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্যাগ রিপোর্টে (CAG Report) ২ লক্ষ ২৯ হাজার কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে মমতার সরকারের বিরুদ্ধে। এই নিয়ে গত বছর হাইকোর্টে মামলা হয়েছিল। এবার দ্রুত শুনানি চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে বিজেপির তরফে। আগামী ১৯ তারিখের পর শুনানির আশ্বাস দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে আজ বিধানসভায় ওই একই ইস্যুতে আলোচনা চেয়ে শাসক দলের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি।

    জনস্বার্থ মামলা হাইকোর্টে (CAG Report)

    ক্যাগ বা সিএজির রিপোর্টে (CAG Report) রাজ্যে হিসেবের গোলমাল মিলেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। কেন্দ্র থেকে পাওয়া টাকার হিসেবের কোনও শংসাপত্র দেওয়া হয়নি। রাজ্যের পুর, নগরোন্নয়ন, শিক্ষা এবং পঞ্চায়েত দফতরের হিসেবে ব্যাপক গরমিল পাওয়া গিয়েছে। উল্লেখ্য, হাইকোর্টে সিবিআই তদন্ত চেয়ে জনস্বার্থ মামলা করা হয়েছে। সিএজি রিপোর্ট মামলায় এবার দ্রুত শুনানির আবেদন করে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়। 

    বিজেপি রাজ্য সভাপতির দাবি

    বিজেপির পক্ষ থেকে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “রাজ্যের হিসেব নিয়ে কেন্দ্র যে সিএজি বা ক্যাগ রিপোর্ট পাঠিয়েছে, সেখানে অনিয়ম রয়েছে।” এবার একে সামনে রেখেই আজ বিধানসভায় বিজেপি বিধায়করা ব্যাপক বিক্ষোভ দেখান। একই ভাবে সরকারের সমালোচনা করেন রাজ্যের বিরোধী দলের নেতা শুভেন্দু অধিকারী।

    শুভেন্দুর বক্তব্য

    বিধানসভায় বিজেপির আনা আলোচনার প্রস্তাবকে স্পিকার বাতিল করলে শুভেন্দু বলেন, “ক্যাগের রিপোর্টে সর্বত্র দুর্নীতির কথা বলা হয়েছে। কয়েকশো ভুয়ো অ্যাকাউণ্টের তথ্য মিলেছে। ভয়ঙ্কর সব তথ্যের উল্লেখ করা হয়েছে। সরকারের ক্যাগ-আতঙ্ক শুরু হয়েছে। এই রিপোর্টের কথা শুনেই তৃণমূল লাফাচ্ছে।” 

    তৃণমূলের বক্তব্য

    রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা পালটা বিজেপিকে আক্রমণ করে বলেছেন, “শুভেন্দু গতকাল দিল্লিতে গিয়ে ধমকানি চমকানি দিয়েছেন। বিভিন্ন নেতা এবং দফতরে গিয়ে দেখা করেছেন। কী আলোচনা হয়েছে বলছেন না। আগামী দিনে ইডি, সিবিআইকে পরিচালনা করা হবে। মমতা ২১ লাখ মানুষকে ১০০ দিনের কাজের সুযোগ করে দিয়েছেন। তাই বিজেপি বদলার রাজনীতি করেছে।”

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Uniform Civil Code: কথা রাখল বিজেপি, উত্তরাখণ্ড বিধানসভায় পেশ হল অভিন্ন দেওয়ানি বিধি বিল

    Uniform Civil Code: কথা রাখল বিজেপি, উত্তরাখণ্ড বিধানসভায় পেশ হল অভিন্ন দেওয়ানি বিধি বিল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে ক্ষমতায় আসার আগে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (Uniform Civil Code) কার্যকর করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বিজেপি। রাজ্যবাসী আস্থা রেখেছিলেন বিজেপি-র ওপর। এবার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করার সময় এসেছে। উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি-র হাত ধরেই মঙ্গলবার উত্তরাখণ্ড বিধানসভায় পেশ করা হল অভিন্ন দেওয়ানি বিধি বিল।

    অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকরে দেশের মধ্যে প্রথম রাজ্য (Uniform Civil Code)

    ২৮ জানুয়ারি এই বিলকে অনুমোদন দিয়েছিল ধামি মন্ত্রিসভা। এবার, বিধানসভায় বিলটি পাশ হলে, দেশের প্রথম রাজ্য হিসেবে উত্তরাখণ্ডে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (Uniform Civil Code) চালু হবে। এই বিল পেশের জন্যই উত্তরাখণ্ড বিধানসভার এক বিশেষ অধিবেশন ডাকা হয়। বিশেষ অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনে বিজেপি বিধায়কদের ‘জয় শ্রী রাম’ স্লোগানের মধ্যে বিলটি পেশ করেন মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি। জানা গিয়েছে, ২০২২-এর ২৭ মে সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রঞ্জনপ্রকাশ দেশাইয়ের নেতৃত্বে একটি বিশেষ কমিটি গঠন করেছিল ধামি সরকার। এই বিধি তৈরি এবং কীভাবে তা বাস্তবায়ন করা যায়, সেই সব দিক খতিয়ে দেখার দায়িত্ব ছিল এই কমিটির। চলতি বছরের ২৬ জানুয়ারি তাদের কার্যকালের মেয়াদ শেষ হয়। এরপর, ২৯ জানুয়ারি উত্তরাখণ্ড সরকারের কাছে তাদের রিপোর্ট জমা দেয় কমিটি।

    কী রয়েছে এই অভিন্ন দেওয়ানি বিধি বিলে?

    রাজ্য সরকার সূত্রে জানা গিয়েছে, এই বিলে (Uniform Civil Code) মৃত্যুর পর সম্পত্তির উত্তরাধিকারের ক্ষেত্রে পুত্র ও কন্যার সমান অধিকার, বৈধ ও অবৈধ সন্তানের সমান অধিকার, দত্তক নেওয়া এবং জৈবিকভাবে জন্ম নেওয়া সন্তানদের সমান অধিকারের কথা বলা হয়েছে। এছাড়া, বহুবিবাহ এবং বাল্যবিবাহ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করার কথা বলা হয়েছে। সমস্ত ধর্মের মেয়েদের বিয়ের একটিই বয়স, সমস্ত ধর্মের জন্য বিবাহবিচ্ছেদের একই ধরনের ভিত্তি এবং পদ্ধতি প্রয়োগ করার কথা বলা হয়েছে।

    কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী?

    এদিন ভারতের সংবিধানের একটি প্রতিলিপি হাতে নিয়ে সরকারি বাসভবন থেকে বের হন মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি। তার আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লেখেন, “দেবভূমি উত্তরাখণ্ডের নাগরিকদের সমান অধিকার দেওয়ার লক্ষ্যে, মঙ্গলবার বিধানসভায় অভিন্ন দেওয়ানি বিধি বিল (Uniform Civil Code) পেশ করা হবে। অভিন্ন দেওয়ানি বিধি বাস্তবায়ন করার ক্ষেত্রে দেশের প্রথম রাজ্য হিসাবে আমরা পরিচিত হব। এটা রাজ্যের সকল মানুষের জন্য গর্বের মুহূর্ত।” অভিন্ন দেওয়ানি বিধি রিপোর্ট হাতে বিধানসভায় উপস্থিত হয়ে তিনি বলেন, “আজ আমাদের অপেক্ষা শেষ হতে চলেছে। উত্তরাখণ্ড থেকে দেশের নাগরিকদের সমান অধিকার দেএয়ার কাজ শুরু হচ্ছে।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CAG Report: ক্যাগ রিপোর্ট নিয়ে বিধানসভায় বিজেপির তুমুল বিক্ষোভ, আলোচনার দাবিতে সরব বিধায়করা

    CAG Report: ক্যাগ রিপোর্ট নিয়ে বিধানসভায় বিজেপির তুমুল বিক্ষোভ, আলোচনার দাবিতে সরব বিধায়করা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিধানসভায় ক্যাগ বা সিএজি রিপোর্টকে (CAG Report) ঘিরে সোচ্চার হয়ে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখালেন বিজেপির বিধায়ক ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীরা। তাঁরা আলোচনার দাবিতে সরব হলে অধিবেশন মুলতুবি করে দেন বিধানসভার স্পিকার। এরপর বিজেপি বিধায়করা সভার বাইরে বেরিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন। এই ঘটনায় রাজ্য রাজনীতিতে ব্যাপক শোরগোল পড়েছে।

    সিএজি রিপোর্টে কী বলা হয়েছে (CAG Report)?

    সিএজি (CAG Report) অর্থাৎ কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল অফ ইন্ডিয়ার রিপোর্টে বলা হয়, ১ লক্ষ ৯৪ হাজার কোটি টাকার কোনও রকম খরচের হিসাব দেয়নি রাজ্যে মমতার সরকার। ফলে রাজ্যের মা-মাটি সরকারের বিরুদ্ধে বিরাট দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। উল্লেখ্য শাসক দলের পক্ষ থেকে এই সিএজি রিপোর্টকে অস্বীকার করা হয়েছে। এবার আজ মঙ্গলবার বিধানসভার অধিবেশনে বিজেপি এই আর্থিক দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব হয়ে আলোচনার দাবি জানায়। এরপর বিধানসভায় ব্যাপক হট্টগোলের কারণে স্পিকার অধিবেশন মুলতুবি করে দেন।

    সিএজি নিয়ে তদন্তের দাবি বিজেপির

    সিএজি (CAG Report) রিপোর্টের প্রেক্ষিতে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ তুলে, আলোচনার কথা বলে বিধানসভায় মুলতুবি প্রস্তাব জমা করে বিজেপি। বিজেপির এই পরিষদীয় দলের নেতাদের মধ্যে ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, মনোজ ওঁরাও, শঙ্কর ঘোষ সহ মোট ছয় জন বিধায়ক। তাঁদের দাবি ছিল, সিএজি নিয়ে বিধানসভায় আলোচনা করতে হবে। কিন্তু এই আলোচনায় সম্মতি দেননি স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।

    চোর চোর স্লোগান

    সিএজি (CAG Report) নিয়ে আলোচনার অনুমতি না পেয়ে বিজেপি বিধায়কেরা সভার অন্দরেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে ব্যাপক স্লোগান দিতে শুরু করেন। এরপর শাসক দলের উদ্দেশ্যে একাধিক আর্থিক দুর্নীতির বিরুদ্ধে চোর চোর স্লোগান দেওয়া হয়। রেশন বণ্টন দুর্নীতি, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি সহ একাধিক বিষয়ে শাসক দলের বিধায়ক এবং মন্ত্রীদের উদ্দেশ্যে স্লোগান দেওয়া হয়।

    বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পলের বক্তব্য

    সিএজি (CAG Report) নিয়ে বিধানসভায় আনা বিজেপির মুলতুবি প্রস্তাব সম্পর্কে বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল বলেন, “সিএজির রিপোর্টে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। যদি কেউ কিছু করে না থাকেন তাহলে ভয় কিসের? স্পিকার তো নিরপেক্ষ, ওঁর উচিত ছিল আলোচনার অনুমতি দেওয়া।” উল্লেখ্য ২০১১ থেকে ২০২১ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত আর্থিক খরচের শংসাপত্র জমা দিতে পারেনি রাজ্য সরকার। আবার মোদি রাজ্যের মমতার সরকারকে সমালোচনা করে বলেছেন, ২ লক্ষ ২৯ হাজার কোটি টাকার শংসাপত্র দেখায়নি। অবশ্য মমতা পালটা চিঠি লিখে জানান, ২০০২-৩ সালের হিসাব চাওয়া হয়েছে। সেই সময় তৃণমূল ছিল না রাজ্যে। সিএজি নিয়ে রাজ্যের রাজনীতি এখন ব্যাপক সরগরম।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘৫০ লক্ষ টাকা দেওয়ার পরও রাস্তা করছে না তৃণমূল’, দত্তক গ্রাম নিয়ে তোপ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘৫০ লক্ষ টাকা দেওয়ার পরও রাস্তা করছে না তৃণমূল’, দত্তক গ্রাম নিয়ে তোপ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামনেই লোকসভা নির্বাচন। তার আগেই বিজেপিকে বিপাকে ফেলতে তৎপর তৃণমূল। আর সেই লক্ষ্যপূরণে সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) দত্তক নেওয়া গ্রাম চকরামপ্রসাদে থমকে রয়েছে উন্নয়ন। গ্রামের উন্নয়নের জন্য সাংসদ তহবিল থেকে ৫০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। কিন্তু, ওই গ্রামের বেহাল রাস্তা সংস্কারে হাত দিচ্ছে না তৃণমূল পরিচালিত জেলা পরিষদ। ওই গ্রামে পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদ আসনে তৃণমূল জিতেছে। শুধুমাত্র বিজেপি সাংসদ দত্তক নিয়েছেন বলে ওই গ্রামের বেহাল রাস্তার উন্নয়ন করছে না বলে এদিন এমনই অভিযোগ তুলেছেন  সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। ফলে, বেহাল রাস্তা নিয়ে গ্রামের বাসিন্দারা জেলাশাসকের কাছে ডেপুটেশনও দেন।

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    জেলা সদর বালুরঘাটের অদূরে ভাটপাড়া পঞ্চায়েতের বাংলাদেশ সীমান্ত ঘেঁষা ওই গ্রামের নাম চকরামপ্রসাদ। আর এস এসের স্বেচ্ছা সেবক শহিদ চুরকা মূর্মুর গ্রাম বলে খ্যাত ওই  তফসিলি ও আদিবাসী-প্রধান এই গ্রামটিকে প্রায় বছর তিনেক আগে ‘দত্তক’ নেন বালুরঘাট লোকসভার বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। গ্রামবাসী বিপ্লব দেবনাথ বলেন, যেহেতু এই গ্রামটি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) দত্তক নিয়েছেন। তাই এই গ্রামটি বিজেপির গ্রাম বলেই পরিচিত। তাই এই গ্রামের মানুষকে বঞ্চনা করতেই তৃণমূল পরিচালিত জেলা পরিষদ এই রাস্তার কাজে হাত দিচ্ছে না। আমাদের এই রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে খারাপ। এই গ্রামটি আমাদের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার দত্তক নিয়েছে আর এই গ্রামে বেশিরভাগ বিজেপির। তাই প্রশাসন থেকে এই রাস্তাটি সংস্কার করছে না।

    ৫০ লক্ষ টাকা দেওয়ার পরও রাস্তা করছে না তৃণমূল (Sukanta Majumdar)

    সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, চকরাম গ্রামের মানুষের সঙ্গে তৃণমূল নোংরা রাজনীতি করছে। ওই গ্রামের রাস্তার জন্য আমি গত বছর মে মাসে ৫০ লক্ষ টাকা সাংসদ তহবিল থেকে দিয়েছি। কিন্তু, জেলা পরিষদের সভাধিপতি সহ তৃণমূলের নেতারা নির্দেশ দিয়ে দিয়েছেন, লোকসভা নির্বাচনের আগে ওই রাস্তাটি করা যাবে না। তাই রাস্তাটি ফেলে রেখেছে।

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?

    জেলা পরিষদের সহকারি সভাধিপতি তথা জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি অম্বরিশ সরকার বলেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কাজ আটকে রাখার অভিযোগ পুরোপুরি অসত্য। ওই  রাস্তার টেন্ডার ইতিমধ্যেই হয়ে গিয়েছে। টেন্ডার প্রক্রিয়া থেকে কাজ শুরু হতে একটু সময় লাগে। তবে, দ্রুত ওই রাস্তার কাজ হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Balurghat: বালুরঘাট-হিলি রেল প্রকল্পে আরও ২১০ কোটি টাকা বরাদ্দ, খুশি জেলাবাসী

    Balurghat: বালুরঘাট-হিলি রেল প্রকল্পে আরও ২১০ কোটি টাকা বরাদ্দ, খুশি জেলাবাসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছরের বাজেটে বালুরঘাট (Balurghat)-হিলি রেল প্রকল্পে আরও ২১০ কোটি টাকা মঞ্জুর করল রেলমন্ত্রক। জমি অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরণ মূল্য বরাদ্দের পরেই চলতি বাজেট  বরাদ্দ দিয়ে লাইন পাতার কাজ করবে রেল। ওই অর্থ বরাদ্দের পরে দ্রুত প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজে বরাত প্রক্রিয়া শুরু করতে তৎপর হয়েছে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের নির্মাণ সংস্থা। তবে ওই প্রকল্পে ফের ২১০ কোটি টাকা বরাদ্দ হতেই উচ্ছ্বসিত সব মহল। বিশেষ করে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বাসিন্দারা খুশি।

    এই প্রকল্পে মোট কত টাকা বরাদ্দ করল রেলমন্ত্রক (Balurghat)

    ২০১০ সাল বালুরঘাট (Balurghat)-হিলি রেল প্রকল্পের ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরে ওই প্রকল্পের কাজ এগোচ্ছিল। কিন্তু ২০১৪ সাল থেকে জমিজটে প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ থমকে যায়। মানুষের দীর্ঘদিনের আন্দোলন, হাইকোর্টের হস্তক্ষেপ ও সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের উদ্যোগী হতেই ২০২২ সাল থেকে পুনরায় ওই প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। ওই প্রকল্প বাস্তবায়নে ৬৩৩ কোটি লক্ষমাত্রা ধার্য করে রেল। ২০২২-২৩ অর্থ বর্ষের বাজেটে ওই প্রকল্পে ২০ কোটি ১ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়। ২০২৩-২৪ অর্থ বর্ষের বাজেটে ওই প্রকল্পে পুনরায় ১৯০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়। যদিও ওই অর্থ বর্ষেই ওই প্রকল্পে অতিরিক্ত ৩১০ কোটি খরচ করে রেল। তারপরেই চলতি বছরের বাজেটে আরও ২১০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হল। এখন পর্যন্ত এই প্রকল্পে ৫২০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হল।

    রাজ্য সরকারের সহযোগিতা দাবি

    এই প্রসঙ্গে অর্থনীতিবিদ ও বালুরঘাটের বিধায়ক অশোক কুমার লাহিড়ী বলেন, ‘এই বাজেটে বালুরঘাট-হিলি রেলের জন্য ২১০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে রেল। ২০১০ সালে এই প্রকল্পের খরচ ছিল ২৩৮ কোটি টাকা। কিন্তু এখন তা দ্বিগুণ হয়েছে। যুগের সঙ্গে মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে। আর্থসামাজিক কারণে দ্রুত এই প্রকল্প বাস্তবায়নে রাজ্য সরকারকে সহযোগিতা করতে অনুরোধ করব।

    এই প্রকল্পে আরও টাকা দিতে প্রস্তুত রেল

    বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘ওই প্রকল্প বাস্তবায়নে অধিকাংশ টাকাই বরাদ্দ হয়ে গেল। রাজ্য সরকারকে দ্রুত জমি দিয়ে প্রকল্প বাস্তবায়নে সহযোগিতা করতে অনুরোধ করছি। ওই প্রকল্পে টাকার কোনও খামতি নেই। আমি নিজে রেলমন্ত্রক থেকে টাকা আনার দ্বায়িত্ব নিয়েছি। আরও টাকা লাগলে রেল দিতে প্রস্তুত রয়েছে।‘

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী বললেন?

    জেলা তৃণমূলের সহসভাপতি সুভাষ চাকী বলেন, ‘এই বছরের জন্য বরাদ্দ হয়েছে কথাটি সঠিক নয়। ২০২৪-২৫ অর্থ বর্ষের জন্য ধার্য করা হয়েছে। সুকান্ত মজুমদার ও অশোক কুমার লাহিড়ী রাজনৈতিক কারণে কথাবার্তা বলছে। সামনে লোকসভা ভোটকে নজরে রেখে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে এসব করা হচ্ছে। প্রচুর মানুষ টাকা পেয়েছেন। নথি যাচাইয়ের কাজ চলছে। উন্নয়নের কাজে রাজনৈতিক অভিপ্রায় অনভিপ্রেত।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: মমতা বিমানবন্দর যাবেন, কৈখালিতে বন্ধ মেট্রোর কাজ! সরব শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: মমতা বিমানবন্দর যাবেন, কৈখালিতে বন্ধ মেট্রোর কাজ! সরব শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার দিল্লির উদ্দেশে রওনা হবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার ‘এক দেশ এক ভোট’ সংক্রান্ত একটি বৈঠকে তাঁর যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী ভিআইপি রোড ধরে বিমানবন্দরে পৌঁছাবেন। তাই সোমবার এবং ফেরার দিন মঙ্গলবার কৈখালির কাছে মেট্রো রেলের কাজ বন্ধ রাখতে চেয়ে বিধাননগর পুলিশ হাইওয়ে ডিভিশনকে ইতিমধ্যে চিঠি দিয়েছে। ওই চিঠি অনুযায়ী বিধাননগর পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার দুপুর বারোটা থেকে মঙ্গলবার দুপুর দুটো পর্যন্ত ওই এলাকায় মেট্রো রেলের নির্মাণকাজ বন্ধ রাখা হোক। এ নিয়ে সরব হয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

    সরব শুভেন্দু

    পুলিশের ওই একপাতা সরকারি চিঠিও নিজের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। তিনি একাধিক প্রশ্নও তুলেছেন। শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) লিখেছেন, এয়ারপোর্ট-নিউ গড়িয়া মেট্রো অরেঞ্জ লাইনের কাজ কিছুদিন ধরেই চলছে। ভিআইপি রোডের উপর কৈখালির কাছে মেট্রোর কাজও কিছুদিন ধরেই চলছে। ওই রাস্তা দিয়ে প্রচুর গাড়ি চলে। আমার বিধাননগর পুলিশের কাছে দুটি প্রশ্ন রয়েছে—

    ১) যদি নির্মাণকাজ এতটাই ঝুঁকিপূর্ণ হয়, তবে পাবলিকের সুরক্ষার জন্য আপনাদের ট্রাফিক বিভাগ এর আগে কেন পদক্ষেপ নেয়নি। এই বিপজ্জনক জায়গা দিয়ে কেন যেতে দেওয়া হয় সাধারণ মানুষকে? তবে কি সাধারণ মানুষের সুরক্ষার বিষয়টি আপনাদের মধ্যে পড়ে না?

    ২) অথবা মেট্রোর কাজ সাময়িক স্থগিত রেখে আপনি কি মুখ্যমন্ত্রীর ইগো নিয়েই বার্তা দিলেন? যখন হীরক রানি যান তখন সকলকে থামতে হয়…

    সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে পুলিশ উদ্বিগ্ন নয়

    শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) আরও জানিয়েছেন, দিনের পর দিন মেট্রোর কাজ চলছে ওই রাস্তায়। হাজার হাজার গাড়ি তার পাশ দিয়ে যাতায়াত করে। সেনিয়ে উদ্বিগ্ন নয় মমতা পুলিশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Rajya Sabha Election: বাংলা থেকে রাজ্যসভায় প্রার্থী কে? দিল্লিতে আজ ‘শাহি’ বৈঠকে সুকান্ত-শুভেন্দুরা

    Rajya Sabha Election: বাংলা থেকে রাজ্যসভায় প্রার্থী কে? দিল্লিতে আজ ‘শাহি’ বৈঠকে সুকান্ত-শুভেন্দুরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের আগেই রয়েছে রাজ্যসভার নির্বাচন। বাংলায় পাঁচটি আসনে রাজ্যসভার নির্বাচন হবে। এর মধ্যে একটি আসন অঙ্কের হিসাবে বিজেপির পাওয়ার কথা। সেই আসনের জন্য রাজ্য বিজেপির তরফে চারটি নাম ঠিক করা হয়েছে। শর্টলিস্ট সেই চারজনের নাম থেকে চূড়ান্ত প্রার্থী বেছে নিতেই আজ, সোমবার দিল্লিতে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করার কথা বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর।

    কখন হবে বৈঠক

    রবিবার রাতেই দিল্লির উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি এই সফর নিয়ে আগাম কিছু না জানালেও বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করতেই দিল্লি যাত্রা শুভেন্দুর। বিজেপি সূত্রে খবর, লোকসভায় বাজেট অধিবেশনের ফাঁকেই শাহের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে শুভেন্দুর। রবিবারই রাজ্যের তরফে কয়েকটি নাম কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে পাঠানো হয়েছে। সেই সব নিয়েই শুভেন্দুর সঙ্গে শাহের আলোচনা হতে পারে। তবে কখন সেই বৈঠক হবে তা এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট নয়। রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও সোমবার সকালে দিল্লি পৌঁছবেন।

    আরও পড়ুন: উদ্বোধনের মুখে আবু ধাবির প্রথম মন্দির, মার্বেল গিয়েছে রাজস্থান থেকে

    অরাজনৈতিক ব্যক্তিত্বই পছন্দ

    বাংলা থেকে কাকে রাজ্যসভায় পাঠাবে বিজেপি, তা ঠিক করতে শনিবার সল্টলেকের রাজ্য দফতরে বৈঠক করেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং দলের দুই সাধারণ সম্পাদক (সাংগঠনিক)। বিজেপির একটি সূত্রের দাবি, অরাজনৈতিক কোনও ব্যক্তিত্বকে বাংলা থেকে রাজ্যসভায় পাঠাতে চলেছে দল। এই প্রসঙ্গে নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধুকারী বলেন, ‘আমরা নিয়ম মেনে নাম বাছাই করেছি। দিল্লির নেতারা তা খতিয়ে দেখে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।’ 

    নির্বাচন কমিশনের তরফে আগেই জানানো হয়েছে, আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি রাজ্যসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। দেশের ১৫টি রাজ্যের ৫৬টি আসনে ভোট হবে। এর মধ্যে ১৩টি রাজ্যের ৫০ জন সাংসদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে ২ এপ্রিল। বাকি দু’রাজ্যে ৬ সাংসদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে ৩ এপ্রিল।  রাজ্যসভা ভোটের বিজ্ঞপ্তি আগামী ৮ তারিখ প্রকাশিত হতে চলেছে বলে সূত্রের খবর। বিজেপি ঠিক করেছে ৭ তারিখের মধ্যেই তারা দলীয় প্রার্থীদের নাম চূড়ান্ত করে ফেলবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: “দল না থাকলে রোজগার হবে না”, এ কী বললেন বিধায়ক লাভলি মৈত্র?

    South 24 Parganas: “দল না থাকলে রোজগার হবে না”, এ কী বললেন বিধায়ক লাভলি মৈত্র?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের তৃণমূলের মা-মাটি সরকারের বিরুদ্ধে প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযোগে বার বার সরব হয়েছে রাজ্যের বিরোধী দলগুলি। রাজ্যে গরু পাচার, কয়লা পাচার, শিক্ষক নিয়োগ, রেশন দুর্নীতি এবং পুর নিয়োগ নিয়ে শাসক দলের একাধিক মন্ত্রী, বিধায়ক, নেতামন্ত্রী জেলের মধ্যে রয়েছেন। সকলেই দুর্নীতি করে আয় বা রোজগার করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। ইতিমধ্যে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ‘চোর মমতা’ মন্তব্যে ব্যাপক সরব হয়েছেন। ঠিক এই আবহেই তৃণমূল বিধায়কের মন্তব্যেও ফের একবার দুর্নীতির কথা ফাঁস হয়ে গেল। দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) সোনারপুর দক্ষিণের বিধায়ক লাভলি মৈত্র বলেন, “দল না থাকলে রোজগার হবে না।”এই ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

    কী বললেন তৃণমূল বিধায়ক (South 24 Parganas)?

    সোনারপুর দক্ষিণের (South 24 Parganas) প্রতাপনগরে এক কর্মী সভায় রবিবার উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল নেত্রী লাভলি মৈত্র। তিনি দলের কর্মীদের বলেন, “দল থাকলে রোজগার হবে, উপার্জন হবে। রোজাগার কে কীভাবে কোথা থেকে করেন আমি সব জানি। আমার কাছে সব খবর আছে। দলটাই যদি না থাকে তাহলে কীভাবে সম্ভব হবে। তাই বলছি গ্রুপবাজি বন্ধ করুন। দলের কাজে মন দিন।”

    কর্মীদের কড়া হুঁশিয়ারি

    সোনারপুর (South 24 Parganas) কর্মীসভায় বিধায়ক লাভলি আরও বলেন, “মাত্র দুই মাস পরেই নির্বাচন! এটা একটা কর্মী সম্মেলন মাত্র, অর্ধেক লোক এসেছেন! বুথ কমিটির মধ্যে যে যে নাম আমাকে দেওয়া হয়েছিল তাতে মাত্র হাতে গোনা কয়েকটা লোক! অর্ধেক মানুষ অনুপস্থিত। রাজ্যের তো উন্নয়ন কোথাও থেমে নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে কাজ চলছে। আপনাদের ফাজলামোর জন্য প্রত্যেক অঞ্চলের প্রত্যেক বুথে কিছু এমন মানুষ রয়েছেন যারা কোনও দলের মধ্যেই নেই। সকালে তৃণমূল, রাতে বিজেপি এবং দুপুরে সিপিএম। দলের ভীষণ ক্ষতি হচ্ছে।”

    বাইরে থেকে লোক এনে দল চালাব

    সোনারপুর (South 24 Parganas) কর্মীসভায় বিধায়ক লাভলি এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “আমি দিদি ও অভিষেকদার সঙ্গে কথা বলব। যারা রেজাল্ট দিতে পারবেন না তারা সদস্য সেজে বাসে থাকলে চলবে না। আসন অলঙ্কৃত করে বসে থাকা সদস্যদের আমরা চাই না। বুথের মধ্যে এখনও দলাদলি, গ্রুপবাজি চলছে। এই গ্রুপবাজির কারণে প্রতাপনগরে দল শেষ হয়ে যাচ্ছে। আপনাদের দরকার নেই আমি বাইরে থেকে লোক এনে দল চালাবো। তারপর দলের রেজাল্ট দেখাবো।”      

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Dev: ভোটে কি দাঁড়াবেন না দেব! তিন সরকারি পদ থেকে ইস্তফা, জেলাজুড়ে শোরগোল

    Dev: ভোটে কি দাঁড়াবেন না দেব! তিন সরকারি পদ থেকে ইস্তফা, জেলাজুড়ে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দলীয় বৈঠকে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, এবারের লোকসভা ভোটে ঘাটাল থেকে টলিউডের হিরো দেবকেই (Dev) (দীপক অধিকারী) প্রার্থী করতে চান তিনি। দলনেত্রীর নির্দেশ থাকলে তিনিও যে ভোটে লড়তে প্রস্তুত, অভিনেতা-সাংসদ সেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। কিন্তু, ওই ইঙ্গিত দেওয়ার মাসখানেকের মধ্যেই তিনটি সরকারি পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ায় এবার লোকসভা ভোটে কি তিনি দাঁড়াবেন না তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    তিনটি সরকারি পদ থেকে ইস্তফা (Dev)

    লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফা দিলেন দেব (Dev)। শুধু তা-ই নয়, ঘাটাল রবীন্দ্র শতবার্ষিকী মহাবিদ্যালয়ের পরিচালন সমিতির সভাপতি ও বীরসিংহ উন্নয়ন পর্ষদের ভাইস চেয়ারম্যান পদ থেকেও ইস্তফা দিয়েছেন তিনি। এতেই জল্পনা তৈরি হয়েছে, তিনটি সরকারি কমিটি থেকে পদত্যাগের মধ্য দিয়ে কি লোকসভা ভোটে লড়তে না চাওয়ারই বার্তা দিলেন সাংসদ? যদিও এই বিষয়ে সাংসদ দেব এর প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।  মমতার নির্দেশ আসার আগে দেব বলেছিলেন, ‘যদি সম্ভব হয়, ২০২৪- এর লোকসভা ভোটে আর দাঁড়াতে চাই না।’ পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় দলের একাংশের বক্তব্য ছিল, ঘাটালের প্রাক্তন বিধায়ক শঙ্কর দলুইয়ের সঙ্গে ‘বিবাদে’র জেরেই রাজনীতি সম্পর্কে ‘বীতশ্রদ্ধ’ হয়ে পড়েছেন দেব। যদিও সাংসদ সে কথা কখনওই নিজের মুখে স্বীকার করেননি। দলেরও কেউ এ ব্যাপারে প্রকাশ্যে কিছু বলেননি। তবে, ইস্তফাপত্র দেওয়ার পিছনে তৃণমূলের কোন্দল রয়েছে কি না তা নিয়ে চর্চা চলছে।

    বিজেপির ভয়ে পদত্যাগ!

    তিনটি সরকারি কমিটি থেকে দেবের ইস্তফার সিদ্ধান্ত নিয়ে বিজেপি  বিধায়ক শীতল কপাট বলেন, ‘এটা তো হওয়ারই ছিল। কারণ এতগুলো পদ নিয়ে বসে আছেন, চালাতে পারছেন না। এটা একটা কারণ হতে পারে। অন্য একটি কারণ, দীর্ঘদিন পর হয়তো বুঝতে পেরেছেন, তৃণমূল মানে চোর, আর চোর মানেই তৃণমূল। সেই অনুভূতি থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিতে চাইছেন। হতে পারে, লোকসভা নির্বাচনে আর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না। বর্তমানে তিনি তৃণমূলকে হয়তো ঘৃণা করতে শুরু করেছেন। আর শেষ সময় বুঝতে পারছেন, বিজেপি আসছে, কৈফিয়ত দিতে হবে। বিজেপির ভয়ে পদত্যাগ করলেন।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share