Tag: bjp

bjp

  • Suvendu Adhikari: ‘মমতার ধরনায় কেউ যাচ্ছেন না!’ বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ‘মমতার ধরনায় কেউ যাচ্ছেন না!’ বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রীর ধরনা মঞ্চে কেউ যাচ্ছেন না। ওখানে নাটক চলছে। শনিবার পূর্ব মেদিনীপুরের মেচেদায় দলীয় সভায় এমনই মন্তব্য করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) । একইসঙ্গে শেখ শাহজাহান ইস্যুতে মুখ খুললেন। ক্যাগ রিপোর্ট নিয়ে রাজ্যপালকে এইআইআর করার তিনি আবেদন জানালেন। সবমিলিয়ে তৃণমূলকে তুলোধনা করলেন শুভেন্দু।

    ধরনা মঞ্চে কেউ যাচ্ছে না! (Suvendu Adhikari)

    এদিন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) আরও বলেন, ‘সকালবেলা তিনি পুলিশকে নিয়ে মর্নিংওয়াক করছেন। ওটা পুলিশের ধরনা। বাংলার মানুষের কাছে এসব নাটক করে আরও কোনও লাভ হবে না।  আগেও এসব অনেক হয়েছে। এখন যেটা করা হচ্ছে, সেটা মানুষকে দেখানো ছাড়া আর কিছু নয়। শুভেন্দু দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের জন্য সাংগঠনিক স্তরে কর্মীদের পরামর্শ দিতে গিয়েছিলেন। সাংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ক্যাগ রিপোর্টের ওপর রাজ্যপালের উচিত এফআইআরের নির্দেশ দেওয়া। আগামী ৬ তারিখ বিধানসভায় ক্যাগ রিপোর্টের ওপর আলোচনার দাবি জানাব। বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘদিন দাবি জানিয়ে আসছি। রাজ্য সরকার তাতে কোনও গুরুত্ব দেয়নি।

    শাহজাহান নিয়ে কী বললেন শুভেন্দু?

    শেখ শাহজাহানকে ফের নোটিশ দেওয়ার প্রসঙ্গে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘মমতার পুলিশ তার আদরের’ দুলালকে আড়াল করছে। প্রশাসনিক ক্ষেত্রে যেভাবে আড়াল করা হচ্ছে, তা পশ্চিমবঙ্গের কাছে লজ্জাজনক। সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা জেলা পরিষদ সদস্য পরিষদ সদস্য উত্তম সর্দার ফোনে বলছেন, ২০০ লোক নিয়ে গ্রাম ঘিরতে হবে। রামন্দির নিয়ে যারা উৎসাহ প্রকাশ করছেন, তাদের মারধর করতে হবে। আসলে লোকসভা নির্বাচন যত সামনে আসছে, তৃণমূলের পায়ের তলার মাটি হারিয়ে যাচ্ছে। তাই, তৃণমূল নেতাদের মস্তিষ্ক থেকে বিভিন্ন বিদ্বেষমূলক পন্থা বেরিয়ে আসছে। কীভাবে বিজেপি কর্মীদের শায়েস্তা করতে হবে, তার ফন্দি করছেন। কিন্তু, তৃণমূল জানে না, বিজেপি কর্মীরা মজবুত সংগঠনের ওপর দাঁড়িয়ে রয়েছেন। কিছু করতে আসলে চিন্তাভাবনা করে আসতে হবে।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: রাজ্যে আরও একটি কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়! উদ্যোগী সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: রাজ্যে আরও একটি কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়! উদ্যোগী সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে একটি মাত্র কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। রাজ্যের শান্তিনিকেতনের রয়েছে কেন্দ্রীয় বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। সাধারণত একটি রাজ্যে একটি কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় থাকে। তবে, বিশেষ ক্ষেত্রে আরও একটি বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করা যেতে পারে। তাই পিছিয়ে পড়া উত্তরবঙ্গে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় তৈরিতে উদ্যোগী হলেন বালুঘাটের সাংসদ তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। এনিয়ে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার পাশাপাশি সেই দাবি সনদ তুলে দেবেন বলে জানিয়েছেন সাংসদ।

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    পিছিয়ে পড়া উত্তরবঙ্গে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় না থাকার ফলে অনেক পড়ুয়ায় বঞ্চিত হচ্ছেন। এদিকে উত্তরবঙ্গের পড়ুয়াদের কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যেতে হচ্ছে পাশের রাজ্য আসামে। এমন পরিস্থিতিতে উত্তরবঙ্গে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির দাবি উঠেছে বালুরঘাট সহ জেলাজুড়ে। কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ-সুবিধা বাড়লে বালুরঘাট সহ জেলার যুবক যুবতীদের সুবিধা হবে। এবিষয়ে বালুরঘাটের বাসিন্দা সৌভিক সরকার বলেন, দীর্ঘদিন পর জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি হয়েছে। তবে, তার পরিকাঠামো এখনও সেভাবে গড়ে ওঠেনি। গোটা উত্তরবঙ্গে কোনও কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় নেই। সাংসদের উদ্যোগে যদি উত্তরবঙ্গে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় হয় তাহলে আমার মতো পড়ুয়াদের সুবিধা হবে। এবিষয়ে বালুরঘাটের অন্য এক বাসিন্দা শিল্পী সাহা বলেন, আমাদের পড়াশুনা অনেক আগে শেষ হয়েছে। এখন আমাদের ছেলে মেয়ের ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে উত্তরবঙ্গে একটি কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় হয়, সেক্ষেত্রে অনেক সুবিধা পাবে তাঁরা। পড়াশুনা থেকে শুরু করে অত্যাধুনিক পরিকাঠামো কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় থাকে। যা পড়ুয়াদের শিক্ষা অর্জনে বিশেষ সুবিধা দেবে।

    কী বললেন সুকান্ত?(Sukanta Majumdar)

    এবিষয়ে বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, কেন্দ্রের একটি নীতি রয়েছে প্রতি রাজ্যে একটি করে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় হবে। যেহেতু উত্তরবঙ্গ পিছিয়ে পড়া জেলা, তাই আমরা আগেও দাবি জানিয়েছি এবং আগামী দিনে এমন দাবি জানাবো। বিশেষ মর্যাদা দিয়ে উত্তরবঙ্গে একটি কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করা হয়। স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরও উত্তরবঙ্গে সেভাবে উন্নয়ন হয়নি বললেই চলে। তাই আগামী দিনে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীর পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর নজরেও বিষয়টি আনব, যাতে উত্তরবঙ্গে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা যায়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: কেষ্ট গড়ে তৃণমূলে ভাঙন! শতাধিক কর্মী যোগ দিলেন বিজেপিতে

    Birbhum: কেষ্ট গড়ে তৃণমূলে ভাঙন! শতাধিক কর্মী যোগ দিলেন বিজেপিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনুব্রত মণ্ডলের গড়ে বড়সড় ধাক্কা খেল তৃণমূল। বীরভূমের (Birbhum) দুবরাজপুরে শতাধিক কর্মী-সমর্থক তৃণমূল সহ অন্যান্য দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করলেন। বিজেপি বিধায়ক অনুপ কুমার সাহা তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন। লোকসভা ভোটের আগে কেষ্ট গড়ে তৃণমূলের ভাঙন নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    শতাধিক কর্মী যোগ দিলেন বিজেপিতে (Birbhum)

    এমনিতেই গোষ্ঠী কোন্দলে জর্জরিত কেষ্ট গড় বীরভূম (Birbhum)। কাজল শেখ দায়িত্ব নেওয়ার পর অনুব্রত অনুগামীদের কোণঠাসা করে দেওয়া হয়েছিল। এমনকী দলীয় কার্যালয় থেকে অনুব্রতের নাম মুছে ফেলা হয়েছিল। দলের অন্দরে এই নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছিল। দলীয় সুপ্রিমোর নির্দেশে কেষ্টকে ফের গুরুত্ব দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। পাশাপাশি কাজল শেখকে জেলার কোর কমিটি থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়। নতুন রাজনৈতিক সমীকরণের মধ্যে এদিন দুবরাজপুর পুরসভা এলাকায় শতাধিক কর্মী-সমর্থক তৃণমূল সহ অন্যান্য দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেন। যোগদানকারীদের বক্তব্য, তৃণমূল দুর্নীতিগ্রস্ত দল। দলে কোনও গুরুত্ব নেই। তাই, গেরুয়া শিবিরে যোগদান করলাম। এলাকায় উন্নয়ন করবে বিজেপি।

    বিজেপি নেতৃত্ব কী বললেন?

    বিজেপি বিধায়ক অনুপ কুমার সাহা বলেন, এই যোগদানে লোকসভা ভোটের আগে কিছুটা হলেও আমাদের সংগঠনের শক্তি বৃদ্ধি হল। এখানে তৃণমূলের প্রতি মানুষ আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। আর এখন তো শাসক দলে গোষ্ঠী কোন্দলে জর্জরিত। টাকা ছাড়া নেতারা কোনও কাজ করে না। দলীয় কর্মীরা সমস্যায় পড়লে পাশে থাকে না। এমনকী মিথ্যা মামলায় পুলিশ ফাঁসালেও দল কোনও প্রতিবাদ করে না। তৃণমূল থেকে এই কর্মীরা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল। আর বিধায়ক হিসেবে এলাকায় যে কাজ করেছি তাতে এলাকার মানুষ আমাদের দলের ওপর আস্থা রেখেছে। আগামীদিনে আরও বহু কর্মী আমাদের দলে যোগ দেওয়ার জন্য লাইন দিয়ে রয়েছে।  

     

     দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘লোকসভার ফল বেরলেই রাজ্যে বিজেপি সরকার’, বললেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ‘লোকসভার ফল বেরলেই রাজ্যে বিজেপি সরকার’, বললেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিএএ ইস্যুকে সামনে রেখে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তুলোধনা করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এমনকী লোকসভা ভোটের ফল বের হওয়ার পর তৃণমূল সরকারের স্থায়িত্ব নিয়ে তিনি মুখ খুললেন। শুক্রবার চুঁচুড়ায় এসে রাজ্য সরকারকে তীব্র আক্রমণ করলেন শুভেন্দু।

    কী বললেন শুভেন্দু? (Suvendu Adhikari)

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “ফেব্রুয়ারি মাসে পশ্চিমবঙ্গের ২ কোটি বাঙালি হিন্দুর ১৯৪৫ সাল থেকে লড়াই সফল হতে চলেছে। কারণ, যে বাঙালি হিন্দুরা ধর্মীয় কারণে বাংলাদেশ থেকে উৎপীড়িত হয়ে এসেছেন, এক কাপড়ে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে এসেছেন, তাঁদের সহনাগরিকত্ব দেওয়া নরেন্দ্র মোদীর কমিটমেন্ট। অমিত শাহর তৈরি করা আইন কার্যকর হতে চলেছে। আর তাতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আতঙ্কিত। তাঁর (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) কাছে খবর আছে, সিএএ পোর্টাল চালু হতে চলেছে। আইন তো আগেই হয়ে গিয়েছে। রুল ফ্রেম হয়ে গিয়েছে। ফেব্রুয়ারি মাসেই তা কার্যকরের দিকে যাচ্ছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। তিনি ভাবছেন, আমার সিটগুলো সব গেল। কারণ, এখানে ৩৫টি আসন বিজেপি জেতা মানে, মমতা ধপ! তার পরের দিন বিজেপি সরকার।” সিএএ আইন যে এই মাসেই কেন্দ্রীয় সরকার কার্যকরী করতে চলেছে তা বিরোধী দলনেতা এদিন আবারও তা স্পষ্ট করে দেন। আর সিএএ কার্যকরী হলে রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে জোর ধাক্কা দেওয়া যাবে বলে রাজনৈতিক মহলে চর্চা শুরু হয়েছে।

    সিএএ নিয়ে সওয়াল করেছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী

    রাম মন্দির উদ্বোধনের পর পরই লোকসভা ভোটের মুখে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ঘিরে ফের বাংলার রাজনীতিতে ব্যাপক চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে। ২৮ জানুয়ারি কাকদ্বীপের এক সভা থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর বলেছিলেন, “গ্যারান্টি দিচ্ছি, সাত দিনের মধ্যে সিএএ লাগু হবে।” ফলে, এই বিষয নিয়ে ফের চর্চা শুরু হয়। আর এদিন বিরোধী দলনেতা ফের সিএএ ইস্যুতে জোর সওয়াল করেছেন। ফলে, বাংলায় সিএএ কার্যকরী হওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা বলে ওয়াকিবহল মহল মনে করছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Raiganj: তৃণমূলের মদতেই সক্রিয় বালি মাফিয়ারা! কী করছে পুলিশ-প্রশাসন?

    Raiganj: তৃণমূলের মদতেই সক্রিয় বালি মাফিয়ারা! কী করছে পুলিশ-প্রশাসন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বালি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য অব্যাহত উত্তর দিনাজপুর জেলায়। দিনে দুপুরে নদীগর্ভ থেকে তোলা হচ্ছে বালি। রায়গঞ্জের (Raiganj) নাগর নদী থেকে দেদার বালি উত্তোলনের অভিযোগ। প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দিনে দুপুরে বাহিন গ্রাম পঞ্চায়েতের নাগর নদী থেকে চলছে অবৈধ বালি পাচার। দিনের পর দিন নদীর বক্ষ থেকে রমরমিয়ে চলছে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন। রাতের অন্ধকারে ট্রাক্টরে বালি পাচারের অভিযোগ উঠেছে। সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে নাগর নদী থেকে ট্রাক্টরে চলছে দেদার বালি পাচার। গোটা ঘটনায় প্রশাসনের বিরুদ্ধে উদাসীনতার অভিযোগে সরব হয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

    নদী ভাঙনের আশঙ্কা (Raiganj)

    বালি পাচারের অভিযোগ এই প্রথম নয়। এর আগেও রায়গঞ্জের (Raiganj) নাগর  নদী থেকে  প্রশাসনের চোখে ফাঁকি দিয়ে বালি উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছিল। মাঝে পুলিশ প্রশাসন কিছুটা নড়েচড়ে বসায় সাময়িক গা ঢাকা দিয়েছিল বালি মাফিয়ারা। কিন্তু, ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে তারা। স্থানীয় বাসিন্দাদের  অভিযোগ, ভোর রাত থেকেই নৌকা ও  ট্রাক্টর দিয়ে নদী থেকে অবৈধভাবে উত্তোলন করা হচ্ছে বালি। ট্রাক্টরে বালি লোড করে একে একে পাচার করা হচ্ছে মোটা টাকার বিনিময়ে। গ্রামবাসীদের আরও অভিযোগ, প্রশাসনের কাছে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন বন্ধ করার জন্য একাধিকবার আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু, কোনও কাজ হয়নি। এরফলে একদিকে যেমন সরকারি রাজস্ব ক্ষতি হচ্ছে, তেমনই নদী ভাঙনের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

    বিজেপি নেতৃত্ব কী বললেন?

    বিজেপির জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকার বলেন, “প্রশাসন ও পুলিশের একাংশ এবং তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা কর্মীদের মদতেই সক্রিয় বালি মাফিয়ারা। আর সেই জন্যই দিনের পর দিন অবৈধভাবে বালি উত্তোলনের ঘটনা ঘটলেও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না।”

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী বললেন?

    রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী বলেন, “বিজেপি মিথ্যা কথা বলছে। বালি পাচারের কিছু অভিযোগ পেয়েছি। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছি।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Purba Medinipur: ‘গুরুদেবকে প্রণাম করেছি’, অবস্থানে অনড় সুবল, তৃণমূলে থাকবেন তো?

    Purba Medinipur: ‘গুরুদেবকে প্রণাম করেছি’, অবস্থানে অনড় সুবল, তৃণমূলে থাকবেন তো?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলে ফের অস্বস্তিতে দল। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার বাবা সাংসদ শিশির অধিকারীকে প্রণাম করার কড়া মাশুল দিতে হয়েছে বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা সুবল মান্নাকে। পুরপ্রধানের পদ খুইয়েছেন এই তৃণমূল নেতা। গতকাল বৃহস্পতিবার অনাস্থা এনে তাঁর পরিবর্তে পূর্ব মেদিনীপুরের (Purba Medinipur) কাঁথি পুরসভার চেয়ারম্যান পদে বসানো হয়েছে রাজ্যের কারামন্ত্রী অখিল গিরির পুত্র সুপ্রকাশকে। এবার দলের প্রতি এই প্রবীণ তৃণমূল নেতা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, “গুরুদেবকে প্রণাম করেছি। মানুষের কাছে কতটা গ্রহণযোগ্য, তা আগামী লোকসভা নির্বাচনে বলব।” তবে নিজের অবস্থানে অনড় তিনি। লোকসভা ভোটের আগে তৃণমূলে থাকবেন তো? উঠছে প্রশ্ন।

    কী বললেন প্রাক্তন পুরপ্রধান (Purba Medinipur)?

    কার্যত নাম না করে কাঁথির (Purba Medinipur) প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা প্রবীণ তৃণমূল নেতা সুবল মান্না কটাক্ষ করে রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরির উদ্দেশে বলেন, “আমি গুরুদেবকে প্রণাম করেছি, তবে সেটা কোনও দলীয় মঞ্চ বা সভা ছিল না। একটি স্কুলের অনুষ্ঠানে গিয়ে শিশিরবাবুকে প্রণাম করেছি। তিনি তো এখনও দলের সাংসদ। হাইকোর্টের রায়কে আমি মাথা পেতে নেব। আর যদি কেউ রায় না মানেন, তাহলে আমার কিছু করার নেই। যাঁরা আজকে বলেছেন, তাঁদের শিক্ষাগত যোগ্যতা, জ্ঞান, ধারণা এবং যোগ্যতা নিয়ে আমার প্রশ্ন রয়েছে। আমি হাইকোর্টের নির্দেশ দেখিয়েছি, মন্ত্রী ঠিক বলছেন না, বলছি একবার পড়ে দেখুন। পরবর্তী শুনানি ১২ ফেব্রুয়ারি। মোট ১৫ টি মামলা অধিকারী পরিবারের বিরুদ্ধে করেছি।”

    দলে থাকবেন তো সুবল?

    তবে কাঁথির (Purba Medinipur) প্রাক্তন তৃণমূল চেয়ারম্যানের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে তৃণমূল কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি। সমানেই লোকসভার ভোট। এই ভোটকে কেন্দ্র করে এই প্রবীণ তৃণমূল নেতা কি আদৌ দলে থাকবেন? তাই নিয়ে শুরু হয়েছে ব্যাপক জল্পনা। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূলের ঘরোয়া কোন্দলের প্রেক্ষিতে নির্বাচনের আগেই মাঠে নামতে শুরু করেছে বিজেপি।

    বিজেপির বক্তব্য

    এই বিষয়ে বিজেপি তীব্র কটাক্ষ করেছে। কাঁথি (Purba Medinipur) সাংগঠনিক জেলার বিজেপি নেতা অসীম মিশ্র বলেন, “গোয়াল ঘরে যুদ্ধ শুরু হয়েছে। তবে এই বক্তব্য আমাদের নয়, তৃণমূল দলের বক্তব্য।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • North 24 Parganas: শাহজাহান ঘনিষ্ঠ দুই নেতার বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ, ব্যাপক ক্ষোভ গ্রামবাসীদের

    North 24 Parganas: শাহজাহান ঘনিষ্ঠ দুই নেতার বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ, ব্যাপক ক্ষোভ গ্রামবাসীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির উপর আক্রমণের পর থেকেই তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান এখনও অধরা। রাজ্যের পুলিশ তাঁর কোনও খোঁজ দিতে পারেনি। অপর দিকে এই প্রতাপশালী নেতার ঘনিষ্ঠ আরও দুই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে বুধবার সন্দেশখালির (North 24 Parganas) সাধারণ মানুষ পথে নেমে তীব্র বিক্ষোভ দেখালেন। তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ, এলাকায় মানুষের জমি জোর করে দখল করে নোনাজল ঢুকিয়ে মাছের চাষ করা চলছে। কিন্তু মানুষের প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চনা করা হয়েছে। প্রতিবাদে শতাধিক মানুষ সন্দেশখালি বিডিও অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখায় আজ।

    জানানো হয় লিখিত অভিযোগ (North 24 Parganas)

    সন্দেশখালি (North 24 Parganas) ২ ব্লকের বিডিও এবং ব্লক ভূমি দফতরে এলাকার মানুষ অভিযোগ জানিয়ে বলেন, “৭ নম্বর কলোনিতে উত্তম সর্দার ১৫০ বিঘা এবং ৮ নম্বর কাছারিপাড়ায় ৩০০ বিঘা জমি কেড়ে নিয়েছে। এখন এই জমিতে চলছে মাছের চাষ। গ্রামের মানুষকে বিঘা প্রতি ৬০০০ টাকা করে ইজারা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু অল্প কিছু মানুষকে দিলে বাকি কাউকেই প্রাপ্য টাকা দেওয়া হয়নি। এলাকার গুরুত্বপূর্ণ দুটি খালও দখল করে নিয়েছে এই দুই তৃণমূল নেতা। থানা, ব্লক, এবং ভূমির অফিসে অভিযোগ জানালেও কোনও লাভ হয়নি।”

    এলাকাবাসীর বক্তব্য

    এলাকার স্থানীয় (North 24 Parganas) মলিন সিংহ বলেন, “আমাদের কাছ থেকে গড়ে এক বিঘা করে জমি দখল করে নিয়েছে এই তৃণমূলের নেতারা। ইজারার টাকা চাইতে গেল দেওয়া হয় হুমকি।” আবার এলাকার বিডিও অরুণ কুমার সামন্ত জানিয়েছেন, “একটি অভিযোগপত্র জমা পড়েছে, ব্লকের ভূমি দফতরকে বিষয়টি দেখতে বলেছি।” আবার পুলিশ জানিয়েছে অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    শাহজাহান ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতার বক্তব্য

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সন্দেশখালির (North 24 Parganas) উত্তম সর্দার এবং শিবপ্রসাদ হাজরার বিরুদ্ধে মূলত অভিযোগ। একজন তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি এবং আরেকজন জেলা পরিষদের সদস্য। উত্তম বলেন, “টাকা অনেককে দিয়েছি, কিছু লোকের টাকা বাকি আছে। এখন মাছের দাম কম। কয়েকমাস পর দাম বাড়লে মাছ বিক্রি করে টাকা দিয়ে দেবো। কিন্তু সিপিএম-বিজেপি ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমেছে। সন্দেশখালি হল শাহজাহানের ঘাঁটি। বিরোধীরা কিছুই করতে পারবে না।” আবার এলাকার তৃণমূল বিধায়ক সুকুমার মাহাতো নিজের দলের নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি।

    বিজেপির বক্তব্য

    এলাকার (North 24 Parganas) বিজেপি নেতা বিকাশ সিংহ বলেন, “যাঁদেরকে তৃণমূল অত্যাচার করছে, তাঁরা এখন পথে নেমে আন্দোলন করছেন। এটা ট্রেলার, এরপর তৃণমূলের নেতারা পালানোর জায়গা পাবেন না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ranaghat: লোকাল ট্রেনেই প্রথম শ্রেণির পরিষেবা দেখে আপ্লুত যাত্রীরা, টিকিট কাটার হিড়িক!

    Ranaghat: লোকাল ট্রেনেই প্রথম শ্রেণির পরিষেবা দেখে আপ্লুত যাত্রীরা, টিকিট কাটার হিড়িক!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকাল ট্রেনে বিশেষ পরিষেবা দেখে আপ্লুত যাত্রীরা। ২৮ জানুয়ারি সাংসদ জগন্নাথ সরকার নদিয়ার (Ranaghat) রানাঘাটে শিয়ালদা মাতৃভূমি লেডিস স্পেশাল ট্রেনের উদ্বোধন করেন। সপ্তাহে রবিবার বাদে প্রতিদিনই রানাঘাট স্টেশন থেকে ৭টা ৪৫ মিনিট নাগাদ ট্রেনটি ছাড়বে, যার গন্তব্য শিয়ালদা পর্যন্ত। আর তারপর থেকেই লোকাল ট্রেনের প্রথম শ্রেণির কামরায় ওঠার জন্য যাত্রীদের মধ্যে হিড়িক পড়ে গিয়েছে। ভাড়া বেশি হলেও কুছ পরোয়া নেহি। ভিড় ঠেলে ঝুলতে ঝুলতে যাওয়ার থেকে বেশি ভাড়া দিয়ে আরাম করে বসে যাওয়ার সুবিধা নিতেই বেশি পছন্দ করছেন যাত্রীরা। এমনকী যাত্রা পথে এই লোকাল ট্রেন দেখতেও স্টেশনে স্টেশনে ভিড় হচ্ছে। আর প্রথম শ্রেণির কামরায় ওঠার জন্য যাত্রীরা বেশি ভাড়া দিয়ে টিকিটও কাটছেন।

    যাত্রীরা কী বললেন? (Ranaghat)

    নদিয়ার রানাঘাট (Ranaghat) শিয়ালদা মাতৃভূমি লেডিস স্পেশাল ট্রেনটি আগে ৯ কামরার ছিল। এখন তা বেড়ে ১২ কামরার করা হয়েছে। এই ট্রেনটিতে রয়েছে দুটি স্পেশাল কোচ। রয়েছে প্রথম শ্রেণি ও দ্বিতীয় শ্রেণি। লোকাল ট্রেনে গদি আঁটা আসন, মেঝেতে পাতা কার্পেট। সঙ্গে সুরক্ষার আঁটসাঁট ব্যবস্থা। বিশেষ করে সিসি টিভি ক্যামেরা রয়েছে। এছাড়াও একাধিক সুবিধা রয়েছে। যদিও ভাড়ার তরিতফাত রয়েছে। এই উদ্যোগের ফলে স্বাভাবিকভাবেই বেশ খুশি যাত্রীরা। সুশ্বেতা বন্দ্যোপাধ্যায় নামে এক যাত্রী বলেন, ‘কামরাগুলি অত্যন্ত সুন্দর। গদি আঁটা আসন। ফলে দূরে যাতায়াতের ক্ষেত্রে সুবিধা হবে বিস্তর। দূরযাত্রার ক্ষেত্রে সমস্যা অনেকটাই মিটবে বলে মনে করছি।’ সুদেষ্ণা দত্ত নামে এক যাত্রীর কথায়, লোকাল ট্রেনে এরকম পরিষেবা আমরা ভাবতেই পারছি না। খুব ভালো উদ্যোগ। আমাদের মতো নিত্যযাত্রীরা খুব খুশি। তবে, যাত্রীদের বক্তব্য, ‘রেল মন্ত্রক এই ট্রেনের ব্যবস্থা করেছে। এখন সাধারণ মানুষের কর্তব্য এই ট্রেনগুলিকে পরিষ্কার পরিছন্ন রাখার। তবে, কতটা পরিচ্ছন্ন রাখা হবে তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন তাঁরা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dakshin Dinajpur: মুখ্যমন্ত্রীর সফর ঘিরে দাদাগিরি, বিজেপি অফিসে লাগানো হল তৃণমূলের পতাকা

    Dakshin Dinajpur: মুখ্যমন্ত্রীর সফর ঘিরে দাদাগিরি, বিজেপি অফিসে লাগানো হল তৃণমূলের পতাকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রীর সফর ঘিরে চলল দাদাগিরি। বিজেপির কার্যালয়ে লাগানো হল তৃণমূলের পতাকা। ঘটনায় ক্ষোভ জানাল বিজেপি। গায়ের জোরে পার্টি অফিস দখলদারির চেষ্টা বলে অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুরের (Dakshin Dinajpur) বালুরঘাটের মঙ্গলপুরে। এলাকায় এই ঘটনায় রাজনীতির আঙিনায় তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে।

    কেন তৃণমূলের পতাকা (Dakshin Dinajpur)?

    গতকাল মঙ্গলবার দক্ষিণ দিনাজপুরের (Dakshin Dinajpur) বালুরঘাটে প্রশাসনিক সভা করতে আসেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর আগমনকে কেন্দ্র করে সমগ্র বালুরঘাট শহর তৃণমূলের পতাকা দিয়ে মুড়ে ফেলা হয়। এই অবস্থায় বালুরঘাটের মঙ্গলপুরে বিজেপির টাউন পার্টি অফিসের পশ্চিম দিক তৃণমূলের দলীয় পতাকা দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়। বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে তৃণমূলের পতাকা দিয়ে ঘিরে দেওয়ার ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে বিজেপির তরফ থেকে।

    বিজেপির বক্তব্য

    বিজেপির বালুরঘাট (Dakshin Dinajpur) শহর মণ্ডল সভাপতি সমীরপ্রসাদ দত্ত বলেন, “মঙ্গলপুরে অবস্থিত বিজেপির পার্টি অফিস আগে বিজেপির জেলা কার্যালয় ছিল। জেলা কার্যালয় স্থানান্তরিত হওয়ার পর বর্তমানে অফিসটি বালুরঘাট শহর মণ্ডল কার্যালয় হিসাবে রয়েছে। গতকাল সেই পার্টি অফিসে তৃণমূলের পতাকা ঝুলিয়ে দিয়ে দখল করার অপচেষ্টা করা হয়।” উল্লেখ্য, বিজেপির ওই পার্টি অফিসের পাশেই রয়েছে বালুরঘাট পুরসভার কমিউনিটি হল। গতকাল মুখ্যমন্ত্রীর বালুরঘাট সফর উপলক্ষে কমিউনিটি হলের দিকে থাকা বিজেপি পার্টি অফিসের ঘরের দেওয়ালে তৃণমূলের দলীয় পতাকা লাগিয়ে দেয় তৃণমূল কর্মীরা। বিজেপির ওই অফিসের মধ্যেই রয়েছে প্রাক্তন সৈনিক সংগঠনের একটি ঘর।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    এই ঘটনায় তৃণমূলের জেলা (Dakshin Dinajpur) সহ-সভাপতি সুভাষ চকি বলেন, “বিজেপির অভিযোগ মিথ্যা। যেখানে পতাকা লাগানোর কথা বলা হয়েছে তা একটি প্রাক্তন সৈনিক সংগঠনের অফিস। আর ওই দিকটায় রয়েছে বালুরঘাট পুরসভার কমিউনিটি হল। মুখ্যমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে সেখানে দলীয় পতাকা টাঙানো হয়েছে, আবার সফর শেষে তা খুলে ফেলা হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: ‘উন্নয়নের রাজ্যে’ বেহাল রাস্তা, বিয়ে হচ্ছে না ছেলে-মেয়েদের! সরব এলাকাবাসী

    South 24 Parganas: ‘উন্নয়নের রাজ্যে’ বেহাল রাস্তা, বিয়ে হচ্ছে না ছেলে-মেয়েদের! সরব এলাকাবাসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ ২৪ পরগনা (South 24 Parganas) জেলার মথুরাপুর দু’নম্বর ব্লকে রাস্তার বেহাল দশা! আর এই কারণে বিয়ে হচ্ছে না এলাকার ছেলে-মেয়েদের। একবার পাত্রপক্ষ বা পাত্রীপক্ষ দেখে গেলে খারাপ রাস্তার জন্য দ্বিতীয়বার এমুখো হতে চাইছে না। সেই সঙ্গে রয়েছে গর্ভবতী মা, স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী এবং অসুস্থ রোগীদের নিয়ে চূড়ান্ত ভোগান্তি। প্রশাসনকে জানিয়েও হচ্ছে না লাভ! এলাকায় এই নিয়ে তীব্র অসন্তোষ শাসক দলের জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে।

    কোন রাস্তা বেহাল (South 24 Parganas)?

    মথুরাপুরের (South 24 Parganas) রায়দিঘি বিধানসভার কোম্পানির ঠেক থেকে রাধানগর প্রায় ১২ কিলোমিটার রাস্তার বেহাল দশা। মাঝেমধ্যেই খনাখন্দ গোটা রাস্তায়। রাস্তায় গাড়ি চলা তো দূরের কথা, চলতে পারে না কোনও ভ্যান কিংবা সাইকেলও। গত ১৫দিন আগে বৃষ্টি হলেও সেই জল এখনও জমে রয়েছে রাস্তার বিভিন্ন জায়গায়। এলাকার মানুষ এই নিয়ে চরম দুর্ভোগের মধ্যে রয়েছেন।

    এলাকার তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে অভিযোগ

    উল্লেখ্য, তখন রায়দিঘি (South 24 Parganas) বিধানসভার তৃণমূল বিধায়ক ছিলেন অভিনেত্রী দেবশ্রী রায়। তাঁর সময় এই রাস্তাটি তৈরি হয়। তবে রাস্তা যে বছরই তৈরি হয় সেই বছরেই সম্পূর্ণ খারাপ হয়ে যায়। এলাকার মানুষের অভিযোগ ঠিক এমনই। বারবার অভিযোগ করেও দেবশ্রী রায় রাস্তা সংস্কার করেননি। বহু মানুষের আরও অভিযোগ, এলাকার প্রসূতি মা, অসুস্থ রোগী, স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের এই খারাপ রাস্তার কারণে কয়েক কিলোমিটার ঘুরে যাতায়াত করতে হচ্ছে।

    রাস্তা খারাপের জন্য হচ্ছে না বিয়ে

    এলাকার (South 24 Parganas) রাস্তা বেহাল থাকার ফলে সমস্যার কথা তুলে ধরতে গিয়ে সোয়াহার বিবি বলেন, “শুধু নেতারা বলে ভোট দাও, কিন্তু রাস্তার বিষয়ে বললে চুপ থাকে। এই রাস্তা খারাপের জন্য আমাদের ছেলেমেয়েদের বিয়ে হচ্ছে না। এলাকার পাত্র-পাত্রীকে একবার দেখাশোনার পর রাস্তার দোহাই দিয়ে আর আসছেন না কেউ। অপর দিকে আমাদের ছেলেমেয়েদের বিয়ের বয়স অতিক্রম করে যাচ্ছে। ছেলেমেয়েরা সারা জীবন কি আইবুড়ো থাকবে? এটাই এখন আমাদের কাছে বড় প্রশ্ন।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    এই বিষয়ে শাসক দল তৃণমূলের নবনির্বাচিত জেলা (South 24 Parganas) পরিষদের সদস্য এবং ব্লক সভাপতি উদয় হালদার বলেন, “বিধায়ক অলক জলদাতা এই রাস্তা সংস্কারের জন্য ইতিমধ্যে সমস্ত ব্যবস্থা করেছেন। দ্রুত রাস্তার কাজ হবে।”

    বিজেপির বক্তব্য

    তবে এই বিষয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপিও। বিজপির স্থানীয় নেতা (South 24 Parganas) কৌশিক দাস বলেন, “এই চিত্র শুধুমাত্র রায়দিঘিতে নয়, গোটা পশ্চিমবঙ্গ জুড়েই রয়েছে। গোটা সরকারি ব্যবস্থা ভেঙেচুরে গেছে। তৃণমূলের চোরেরা টাকা খেয়ে নিয়েছে। এই রাস্তা আদৌ হবে কিনা, এই নিয়ে সেই আশাতেই এখন দিন গুনছেন এলাকার মানুষ।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share