Tag: bjp

bjp

  • Birbhum: ‘কেষ্ট’র হাত ধরে গিয়েছিলেন তৃণমূলে, লোকসভা ভোটের আগে ভুল শুধরে ফিরলেন বিজেপিতেই

    Birbhum: ‘কেষ্ট’র হাত ধরে গিয়েছিলেন তৃণমূলে, লোকসভা ভোটের আগে ভুল শুধরে ফিরলেন বিজেপিতেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাজল শেখ স্বমহিমায় দলে প্রত্যাবর্তনের পর অনেকেই ভেবেছিলেন, অনুব্রত মণ্ডল বোধহয় পিছনের সারিতে চলে গেলেন। কিন্তু সবাইকে ভুল প্রমাণিত করে কয়েকদিন আগেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তিহার জেলে থাকা দলের জেলা সভাপতি (Birbhum) সেই অনুব্রত মণ্ডলের ওপরেই আস্থা রাখেন। আর এর কিছুদিনের মধ্যেই বড়সড় বিপর্যয় নেমে এল তৃণমূলে। বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন শুভ্রাংশ চৌধুরী। দল তাঁকে মহম্মদ বাজারের ব্লক সভাপতিও করেছিল। কিন্তু সবাইকে এক রকম চমকে দিয়ে তিনি ফিরে এলেন তাঁর পুরনো দল বিজেপিতেই। বীরভূম জেলা বিজেপি অফিসে দলের জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহার উপস্থিতিতে তাঁর বিজেপিতে যোগদান লোকসভা ভোটের আগে তৃণমূলকে অনেকটাই বেকায়দায় ফেলে দিল বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন।

    কী প্রতিক্রিয়া শুভ্রাংশ চৌধুরীর? (Birbhum)

    তৃণমূলে যাওয়ার পরেও তিনি যে এক মুহূর্ত স্বস্তিতে ছিলেন না, তা শুভ্রাংশ চৌধুরীর কথাতেই পরিষ্কার। বিজেপিতে যোগদান করার পর তাঁর প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া, তিনি এক মুহূর্ত স্বস্তিতে ছিলেন না তৃণমূলে। দল হিসেবে তিনি তৃণমূলে থাকলেও তাঁর মনটা পড়েছিল সব সময় বিজেপিতেই। তিনি আরও বিস্ফোরক অভিযোগ করে বলেন, আমাকে জোর করে তৃণমূলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। আপাতত আমি বিজেপিতে যেমন ছিলাম, আগামী দিনেও তেমনই থাকব।

    কী বললেন বিজেপির জেলা সভাপতি? (Birbhum)

    বিজেপির বীরভূম জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহার বক্তব্য, শুভ্রাংশকে ভয় দেখিয়ে ওরা তৃণমূলে যোগদান করিয়েছিল। তাঁর আরও দাবি, তৃণমূলের অনেকেই তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন। যে কোনও মুহূর্তে যে কেউই যোগদান করবেন। তবে যে কেউ আসতে চাইলেই যে তাঁকে দলে নেওয়া হবে, এরকম কোনও গ্যারান্টি নেই। তাঁর কাজকর্ম, পুরনো ইতিহাস ইত্যাদি খতিয়ে দেখেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ব্যাপারে তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য অবশ্য পাওয়া যায়নি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: মমতার জেলা সফরের দিনই সুকান্তর হাত ধরে ৫০০ তৃণমূল কর্মী বিজেপিতে

    Sukanta Majumdar: মমতার জেলা সফরের দিনই সুকান্তর হাত ধরে ৫০০ তৃণমূল কর্মী বিজেপিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা সফরে এসেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এদিনই তৃণমূলের ভোট ব্যাঙ্কে থাবা বসাল বিজেপি। এদিন জেলার কুশমন্ডিতে এক জনসভা করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। জনসভাতে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেন ৫০০ জন তৃণমূলকর্মী। তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন সুকান্ত মজুমদার। জেলাতে মুখ্যমন্ত্রীর জেলা সফরের দিন ৫০০ জন তৃণমূল কর্মী গেরুয়া শিবিরে যোগ দান করায় লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি কর্মীরা চাঙ্গা হয়ে উঠেছেন।

    মমতার সফরের দিনই দেওয়াল লিখন করেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)

    এদিন সুকান্ত (Sukanta Majumdar) ছাড়াও এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী,  প্রাক্তন জেলা সভাপতি শুভেন্দু সরকার সহ অন্যরা। মুখ্যমন্ত্রীর সফরের আগেই লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে দেওয়াল লিখন শুরু করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার । মমতার প্রশাসনিক সভামঞ্চের প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে বিজেপির তরফে দেওয়াল লিখন  করা হয়। মঙ্গলবার দুপুরে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট শহরের যুবশ্রী মোড় সংলগ্ন এলাকায় দেওয়াল লিখন শুরু করেন বিজেপি সাংসদ। ‘হীরক রানি বাই বাই, অনাচার থেকে মুক্তি চাই’, ‘মোদি সরকার আরও একবার’, এই সমস্ত স্লোগানকে সামনে রেখে রাজ্যজুড়ে দেওয়াল লিখন শুরু করেছে বিজেপি। 

    কী বললেন সুকান্ত? (Sukanta Majumdar)

    এই বিষয়ে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, এদিন জেলার বালুরঘাটে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এসেছেন। আর আমার সভা বালুরঘাট থেকে ৭০ কিলোমিটার দূরে হচ্ছে। মামদোবাজি পেয়েছে নাকি যে আমাদেরকে সভা করতে দেবে না। মুখ্যমন্ত্রী তো হেলিকপ্টার করে যাবেন। তাহলেই আমাদের সভা করলে ওনার সমস্যা কোথায়। আমরাও সভা করছি। আর  মুখ্যমন্ত্রীর জেলা সফরের দিন ৫০০ জন তৃণমূল কর্মী বিজেপিতে যোগদান করল। পাশাপাশি বালুরঘাটে দেওয়াল লিখন করা হয়। তৃণমূলের সভাতে বিজেপির বিধায়কদের ডাকা হয়নি বলে কোর্টে যাবার হুঁশিয়ারি দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। এই বিষয়ে এক যোগদানকারী বলেন, তৃণমূলে সন্মান ছিল না। বিজেপিতে এসে আমরা আত্মসন্মান ফিরে পেলাম।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Barrackpore: “ভিজে কাপড়ে সারারাত থর থর করে কেঁপেছি”, পুলিশি বর্বরতার কাহিনি শোনালেন মহিলা বিজেপি কর্মীরা

    Barrackpore: “ভিজে কাপড়ে সারারাত থর থর করে কেঁপেছি”, পুলিশি বর্বরতার কাহিনি শোনালেন মহিলা বিজেপি কর্মীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে বারাকপুরে (Barrackpore) শান্তিপূর্ণ আইন অমান্য কর্মসূচিতে পুলিশ পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়েছে। এমনকী মিছিল লক্ষ্য করে পুলিশ পাথর ছুড়েছে। তাতে বহু কর্মী-সমর্থক জখম হয়েছেন। বাদ যাননি মহিলারা। এমনই অভিযোগ করলেন বারাকপুরের বিজেপি কর্মীরা।

    পুলিশ অমানবিক ও বর্বর আচরণ করেছে (Barrackpore)

    গন্ডগোলের ঘটনায় পুলিশ ৫ জন বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করেছে। এর মধ্যে দুজন মহিলা কর্মী রয়েছেন। মঙ্গলবার বারাকপুর (Barrackpore) আদালতে যাওয়ার পথে পুলিশের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক তাঁরা অভিযোগ করেছেন। তাঁদের বক্তব্য, শান্তিপূর্ণ আমাদের কর্মসূচিতে পুলিশ পরিকল্পিতভাবে হামলা চালাল। জল কামানে আমাদের জামাকাপড় ভিজে যায়। অপরাধীর মতো আমাদের সঙ্গে পুলিশ ব্যবহার করে। দুই মহিলা বিজেপি কর্মী বলেন, রাতেই মহিলা থানায় আমাদের আনা হয়। শুধু পিচবোর্ডে বসতে দেওয়া হয়। ভিজে কাপড়ে আমরা থাকি। আমাদের কোনও চাদর দেয়নি। প্রচণ্ড শীতে সারারাত ধরে আমরা শুধু থর থর করে কেঁপেছি। জল পর্যন্ত খেতে দেয়নি। রাতে এবং মঙ্গলবার সকালে আমাদের খেতে পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। আমাদের গায়ে জ্বর চলে আসে। কোনও চিকিৎসা পর্যন্ত করেনি। আমরা শান্তিপূর্ণ অবস্থানে যোগ দিয়েছি বলে পুলিশ এত বর্বর আচরণ করেছে। যদিও বিজেপি কর্মীরা পুলিশের বিরুদ্ধে অমানবিকতার অভিযোগ তোলায় পুলিশ কর্মীরা তাঁদের বলতে বাধা দেয়। তাদের জোর করে নিয়ে চলে যাওয়া হয়।

    শান্তিপূর্ণ মিছিল লক্ষ্য করে পুলিশ ইট, পাথর ছোড়ে!

    বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার দুপুরে বারাকপুরের (Barrackpore) ১৫ নম্বর রেল গেটের সামনে থেকে মিছিল শুরু হওয়ার কথা ছিল। সেই মতো কর্মী-সমর্থকরা জমায়েত হন। সেখানে সুতলি বোমা উদ্ধারকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হয়। পরে, পুলিশ এসে বোমা উদ্ধার করে নিয়ে যায়। পরে, সুকান্তর নেতৃত্বে মিছিল শুরু হয়। মিছিল আটকাতে পুলিশের পক্ষ থেকে তিনটি ব্যারিকেড করা হয়েছিল। রাস্তায় রাখা ছিল জল কামানও। প্রতিটি ব্যারিকেডে প্রচুর পুলিশ কর্মী মোতায়েন করা হয়েছিল। প্রথম ব্যারিকেড পেরিয়ে বিজেপি কর্মীরা দ্বিতীয় ব্যারিকেডে জমায়েত হন। বিজেপি কর্মীরা দ্বিতীয় ব্যারিকেড পার হওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের ধস্তাধস্তি শুরু হয়। এরপরই বিজেপি কর্মীদের লক্ষ্য করে পুলিশ ইট ছোড়ে বলে অভিযোগ। যদিও পুলিশের পক্ষ থেকে তা অস্বীকার করা হয়। ব্যারিকেড পার হওয়ার চেষ্টা করতেই পুলিশ বেধড়ক লাঠিচার্জ করে। বহু মহিলা কর্মীর ওপর লাঠিপেটা করা হয়। মিছিলের ওপর জলকামান চালানো হয়। সুকান্ত মজুমদারও জল কামানের জলে সম্পূর্ণ ভিজে যান। পুলিশি হামলা বিজেপি কর্মীরা প্রতিহত করার চেষ্টা করেন। এরপর মিছিল ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটায়। বিজেপি-র কর্মসূচিকে পুলিশ বানচাল করে দেয় বলে বিজেপি কর্মীদের অভিযোগ। পরে, সন্ধ্যা পর্যন্ত সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে অবস্থান বিক্ষোভ চলে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Chandigarh Mayor Election: ধরাশায়ী ইন্ডি জোট, চণ্ডীগড়ের মেয়র নির্বাচনে জিতল বিজেপি

    Chandigarh Mayor Election: ধরাশায়ী ইন্ডি জোট, চণ্ডীগড়ের মেয়র নির্বাচনে জিতল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চণ্ডীগড়ের মেয়র নির্বাচনে (Chandigarh Mayor Election) জয় পেল বিজেপি। আম আদমি পার্টির কুলদীপ কুমারকে পরাস্ত করলেন বিজেপি প্রার্থী মনোজ সোনকর। প্রসঙ্গত, আম আদমি পার্টির মেয়র নির্বাচনে জোট হয় কংগ্রেসেরও। প্রসঙ্গত, গতবছর থেকেই শুরু হয় ইন্ডি জোটের ভাবনা। তাতে আকারও দেন দেশের আঞ্চলিক দলগুলির নেতা নেত্রীরাও। সম্পন্ন হয় একাধিক বৈঠক। কিন্তু ইন্ডি জোট বিজেপি বিরোধী লড়াইয়ে প্রথমবার অবতীর্ণ হয় চণ্ডীগড়ের পুরনিগমের নির্বাচনে। এখানেও তারা মুখ থুবড়ে পড়ল।

    ভোটের ফলাফল

    প্রথমবার ইন্ডি জোটের (Chandigarh Mayor Election) সঙ্গে সরাসরি মোকাবিলা হয় বিজেপির। এবং তাতেই জয় পেলেন বিজেপি প্রার্থী। বিজেপি প্রার্থী মনোজ সোনকর ১৬ ভোট পান এবং আপ প্রার্থী কুলদীপ কুমারের ঝুলিতে যায় ১২ ভোট। প্রসঙ্গত, চণ্ডীগড়ে বিজেপির রয়েছে ১৪ জন কাউন্সিলর। আম আদমি পার্টির রয়েছে ১৩ জন কাউন্সিলর। কংগ্রেসের রয়েছে ৭ জন কাউন্সিলর। এদিন নির্বাচনে ৮টি ভোটকে বাতিল ঘোষণা করা হয়। বিজেপি প্রার্থীর সমর্থনে ভোট দেন চণ্ডীগড়ের বিজেপি সাংসদ তথা প্রাক্তন পুর প্রতিনিধি কিরণ খেরও।

    মুখ থুবড়ে পড়ল ইন্ডি জোট

    ইন্ডি জোটের ভরাডুবির সংকেত (Chandigarh Mayor Election) যেন রবিবার থেকেই মিলছে। জোটের প্রধান কারিগর ছিলেন নীতীশ কুমার। রবিবার তিনি মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে জোট ছাড়েন। যোগ দেন গেরুয়া শিবিরে। অন্যদিকে রাহুল গান্ধীর কর্মসূচি ঘিরেও অনৈক্য-এর ছবিটা স্পষ্ট হয়েছে। বর্তমানে কংগ্রেস নেতা পশ্চিমবঙ্গে থাকলেও, তাঁর পাশে দেখা যায়নি জোট শরিক কোনও তৃণমূল নেতাকে। এছাড়াও রাজ্যের কংগ্রেস ও তৃণমূল নেতারা একে অপরের বিরুদ্ধে বিবৃতি দিয়েই চলেছেন। রাজ্যে যে জোট হবে না তা ইতিমধ্যে স্পষ্ট করে দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর মাঝেই বিজেপিকে রুখতে চণ্ডীগড়ে হাত মিলিয়ে লড়ার সিদ্ধান্ত নেয় ইন্ডি জোট। পাটিগণিতের বিচারে তারা আশাবাদী ছিল। ইন্ডি জোট এও দাবি করতে থাকে আট বছর পরে চণ্ডীগড়ের পৌর নিগম (Chandigarh Mayor Election) বিজেপির হাতছাড়া হতে চলেছে। তবে সব হিসেব নিকেশ উল্টে জিতল বিজেপি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Rahul Gandhi: রাহুল আসার আগে অধীর গড়ে কংগ্রেসে ভাঙন, বিজেপিতে যোগদান

    Rahul Gandhi: রাহুল আসার আগে অধীর গড়ে কংগ্রেসে ভাঙন, বিজেপিতে যোগদান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাংসদ অধীর চৌধুরীর গড়ে বড়সড় ধাক্কা খেল কংগ্রেস। তাও আবার দলের সুপ্রিমো রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) জেলা সফরে আসার আগেই। কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে নাম লেখালেন কয়েকশো পরিবার। তারমধ্যে গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য রয়েছেন। লোকসভা ভোটের আগে অধীর গড়ে কংগ্রেসে ভাঙন নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    ২ জন পঞ্চায়েত সদস্য সহ ৪০০টি পরিবার বিজেপি যোগদান (Rahul Gandhi)

    অধীর চৌধুরীর খাসতালুক মুর্শিদাবাদে ন্যায় যাত্রা করতে আসছেন রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। তার আগেই সোমবার হরিহরপাড়ায় কংগ্রেসে ধস নামে। এদিন হরিহরপাড়ার চোয়া গ্রামপঞ্চায়েতের পাঁচগাছি শিবনগর এলাকায় বিজেপির এই যোগদান কর্মসূচি আয়োজন করা হয়। কংগ্রেসের ২ জন গ্রামপঞ্চায়েত সদস্য আব্দুস সামাদ ও দিবস মণ্ডলের  সঙ্গে প্রায় ৪০০টি পরিবার এদিন হাত ছেড়ে পদ্মশিবিরে নাম লেখায়। সিপিএম ও কংগ্রেস থেকে এসেছে সেই পরিবারগুলি। বিজেপি নেতা তন্ময় বিশ্বাসের হাত ধরে এই যোগদান হয়। যোগদানকারীদের বক্তব্য, কংগ্রেস আমাদের গুরুত্ব দিচ্ছে না বলেই এই সিদ্ধান্ত।

    বিজেপি নেতৃত্ব কী বললেন?

    বিজেপি নেতা তন্ময় বিশ্বাসও বলেন, এই যোগদানে লোকসভা ভোটের আগে কিছুটা হলেও আমাদের সংগঠনের শক্তি বৃদ্ধি হল। এখানে তৃণমূল ছাড়া যে সে-ই দল করুন না কেন, তাদের কেউ নিরাপত্তা দিতে পারেনি। দলের নেতৃত্ব তাঁদের পাশে থাকেনি। মিথ্যা মামলায় পুলিশ ফাঁসালেও দল কোনও প্রতিবাদ করেনি। সিপিএমেরও একই অবস্থা। তবে আমাদের বিজেপির কাউকে কেস দেওয়া তো দূর, কেস দেওয়ার কথাও ভাবতে পারে না।

    কংগ্রেস নেতৃত্ব কী বললেন?

    কংগ্রেসের হরিহরপাড়া ব্লকের সভাপতি জাহাঙ্গির শেখ বলেন, কংগ্রেসের টিকিটে জিতে দলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকা করল। এখন কংগ্রেসের নামে বদনাম করছে। আসলে নিজেদের স্বার্থের জন্য তারা দল ত্যাগ করেছে। এলাকার মানুষ ওদের ক্ষমা করবে না। আর ওদের দল ত্যাগের কারণে দলের কোনও ক্ষতি হবে না। কংগ্রেস সবসময় মানুষের পাশে থাকে। মানুষ আমাদের সঙ্গে রয়েছে।

     

     দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Santipur: ‘১৯০০ কোটি টাকার কেলেঙ্কারি, বন্ধ বার্ধক্যভাতা!’ অবস্থান-বিক্ষোভে সরব বিজেপি

    Santipur: ‘১৯০০ কোটি টাকার কেলেঙ্কারি, বন্ধ বার্ধক্যভাতা!’ অবস্থান-বিক্ষোভে সরব বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রীর নদিয়া জেলার শান্তিপুরে (Santipur) প্রশাসনিক বৈঠকে যোগ দিতে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে তৃণমূলের বিধায়ক, এমপি, পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য, পঞ্চায়েত সদস্যরা আমন্ত্রিত রয়েছেন। কিন্তু, আমন্ত্রণ জানানো হয়নি বিজেপির বিধায়ক, এমপি, পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যদের কাউকেই। সোমবার দুপুরে এই অভিযোগ তুলে নদিয়ার ফুলিয়ার বিডিও অফিসে অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

    ১৯০০ কোটি টাকার কেলেঙ্কারি, বন্ধ বার্ধক্যভাতা! (Santipur)

    বিজেপির এই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন নদিয়ার রানাঘাট উত্তর-পশ্চিম কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক তথা রানাঘাট সাংগঠনিক জেলার সভাপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়। এছাড়াও সামিল ছিলেন বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বরা। বিজেপি নেতৃত্বের বক্তব্য, আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের ১ তারিখে শান্তিপুরে (Santipur) আসছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু, সেখানে বিজেপির কোনও প্রশাসনিক কর্তা থেকে এমপি বিধায়কদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। মুখ্যমন্ত্রী এখানে প্রশাসনিক সভা করতে আসছেন না দলীয় কর্মসূচি করতে আসছেন। বিজেপি-র শান্তিপুর পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি চঞ্চল চক্রবর্তী বলেন,  ২০১৬ সালে শান্তিপুর-কালনার গুরুত্বপূর্ণ একটি ব্রিজের জন্য বরাদ্দ হয় ১৯০০ কোটি টাকা। চাষিদের কাছ থেকে জমি অধিগ্রহণ করা হলেও সেই ব্রিজ এখনও তৈরি হয়নি। ব্রিজের টাকা গেল কোথায়? আসলে ১৯০০ কোটি টাকা কেলেঙ্কারি করেছে তৃণমূল। সব টাকা তৃণমূল নেতাদের পকেটে ঢুকেছে। যাদের আগে পাটকাটির বাড়ি ছিল, তাঁদের এখন তিনতলা বাড়ি। এই ব্লকে ১৪ হাজার বার্ধক্য ভাতা বন্ধ রয়েছে, এই টাকা অবিলম্বে বরাদ্দ করতে হবে। আমাদেরকে প্রশাসনিক সভায় না ডাকার কারণ আমরা যদি এই সমস্ত অভিযোগ তুলে ধরি সেই ভয়ে।

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?

    নদিয়া জেলার তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক তপন সরকার কটাক্ষ করে বলেন, একটি ব্যস্ততম দফতরের সামনে জয় শ্রীরাম স্লোগান দিয়ে নাটক করছে বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভাতে কাকে ডাকা হবে আর কাকে ডাকা হবে না তার সিদ্ধান্ত নেবে প্রশাসন। এখানে রাজনীতি টানা ঠিক নয়। ওরা এসব করে মানুষের সহানুভূতি আদায়ের চেষ্টা করছে। তাতে লাভ হবে না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: ক্ষমতায় ফিরছে এনডিএ, ভবিষ্যদ্বাণী প্রশান্ত কিশোরের

    Lok Sabha Election 2024: ক্ষমতায় ফিরছে এনডিএ, ভবিষ্যদ্বাণী প্রশান্ত কিশোরের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবারই মহাজোট ছেড়ে ফের এনডিএ-তে ফিরে গিয়েছেন নীতীশ কুমার। সকালে জোট ছেড়ে যাওয়া এবং বিকালে ফের এনডিএ মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়া। রবিবার নীতীশ কুমারের রাজনীতি নিয়ে ভবিষ্যৎবাণী করতে শোনা গিয়েছিল ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোরকে এবার সামনের লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলের ভবিষ্যদ্বাণী করলেন প্রশান্ত কিশোর। এক সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রশান্ত কিশোর জানান, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে (Lok Sabha Election 2024) বিজেপি ক্লিন স্যুইপ করবে। করবে অর্থাৎ এনডিএ জোট পুনরায় ক্ষমতায় ফিরবে বলে মনে করেন তিনি। বিভিন্ন সমীক্ষায় প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যাচ্ছে আগামী লোকসভা নির্বাচনে গেরুয়া ঝড় বইতে (Lok Sabha Election 2024) চলেছে। তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় ফেরা মোদির সুনিশ্চিত। বিদেশি সংবাদ মাধ্যমগুলিও একই দাবি করেছে। এবার সেই সুরই শোনা গেল ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোরের গলায়।

    বিজেপির বিরোধী শিবিরে থাকা প্রশান্ত কিশোরও মেনে নিলেন বিজেপি তৃতীয়বার ক্ষমতায় ফিরছে 

    প্রসঙ্গত, ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর পশ্চিমবঙ্গে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। বিগত কয়েক বছরে বিজেপি বিরোধী অবস্থানই নিয়েছেন তিনি। বিজেপি সরকারের সমালোচনার সুরও শোনা যায় তাঁর গলায়। এমন এক বিজেপি বিরোধী মানুষও মেনে নিলেন এনডিএ জোট বিপুল ভোটে জিততে (Lok Sabha Election 2024) চলেছে।  

    নীতীশ কুমার সম্পর্কে তাঁর মন্তব্য

     নীতীশ কুমার নিয়ে প্রশান্ত কিশোর বলেন, “তিনি (নীতীশ কুমার) তাঁর জীবনের শেষ ইনিংস খেলছেন।”  বিহারের আগামী বিধানসভা নির্বাচনে নীতীশের ফল ভালো হবে না বলেও জানান ভোট কুশলী। তিনি বলেন,  “নীতীশ কুমার আগামী বিধানসভা নির্বাচনে ২০টির বেশি আসন পাবেন না, সেটা যে জোটের সঙ্গেই লড়াই করুন।” তাঁর এই ভবিষ্যদ্বাণী ভুল হবে না দাবি জানিয়ে পিকে-র বিস্ফোরক মন্তব্য, “যদিও ২০টির বেশি আসন পান, তাহলে আমি আমার কাজ ছেড়ে দেব।”

    আরও পড়ুুন: সরকারি অতিথি নিবাসে রাহুলের মধ্যাহ্নভোজে মমতার পুলিশের না

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: সুকান্তর মিছিলে পুলিশের বেধড়ক লাঠিচার্জ, ফাটানো হল কাঁদানে গ্যাসের সেল

    Sukanta Majumdar: সুকান্তর মিছিলে পুলিশের বেধড়ক লাঠিচার্জ, ফাটানো হল কাঁদানে গ্যাসের সেল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) নেতৃত্বে আইন অমান্য কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল বারাকপুর। মূলত, বিজেপি-র পক্ষ থেকে সোমবার দুপুরে বারাকপুর পুলিশ কমিশনার অফিস ঘেরাও করার ডাক দেওয়া হয়েছিল। সেই কর্মসূচি শুরুর আগে মিলল বোমা। যা নিয়ে মিছিলের শুরুতে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছিল। পরে, মিছিলে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। বিজেপি কর্মীদের ওপর পুলিশ বেধড়ক লাঠিচার্জ করে। মিছিল ছত্রভঙ্গ করতে জলকামান চালানো হয়। পুলিশই প্রথম বিজেপি কর্মীদের লক্ষ্য করে ইট ছোঁড়ে বলে অভিযোগ। কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটানো হয়। বহু বিজেপি কর্মী জখম হয়। জখম হয়েছেন পুলিশ কর্মীও।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার দুপুরে ১৫ নম্বর রেল গেটের সামনে থেকে মিছিল শুরু হওয়ার কথা ছিল। সেই মতো কর্মী সমর্থকরা জমায়েত হন। সেখানে সুতলি বোমা উদ্ধারকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হয়। পরে, পুলিশ এসে বোমা উদ্ধার করে নিয়ে যায়। পরে, সুকান্তর (Sukanta Majumdar) নেতৃত্বে মিছিল শুরু হয়। মিছিল আটকাতে পুলিশের পক্ষ থেকে তিনটি ব্যারিকেড করা হয়েছিল। রাস্তায় রাখা ছিল জল কামানও। প্রতিটি ব্যারিকেডে প্রচুর পুলিশ কর্মী মোতায়েন করা হয়েছিল। প্রথম ব্যারিকেড পেরিয়ে বিজেপি কর্মীরা দ্বিতীয় ব্যারিকেডে জমায়েত হন। বিজেপি কর্মীরা দ্বিতীয় ব্যারিকেড পার হওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের ধস্তাধস্তি শুরু হয়। এরপরই বিজেপি কর্মীদের লক্ষ্য করে পুলিশ ইট ছোঁড়ে বলে অভিযোগ। যদিও পুলিশের পক্ষ থেকে তা অস্বীকার করা হয়। ব্যারিকেড পার হওয়ার চেষ্টা করতেই পুলিশ বেধড়ক লাঠিচার্জ করে। বহু মহিলা কর্মীর ওপর লাঠিপেটা করা হয়। মিছিলের ওপর জলকামান চালানো হয়। সুকান্ত মজুমদারও জল কামানের জলে সম্পূর্ণ ভিজে যান। পুলিশি হামলা বিজেপি কর্মীরা প্রতিহত করার চেষ্টা করেন। এরপর মিছিল ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটায়। বিজেপি-র কর্মসূচিকে পুলিশ বানচাল করে দেয় বলে বিজেপি কর্মীদের অভিযোগ।

    পুলিশি নির্যাতন নিয়ে মুখ খুললেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)

    সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল যাচ্ছিল। সেখানে আমাদের দলীয় কর্মীদের লক্ষ্য করে পুলিশ ইড ছোঁড়ে। এরপরই কর্মীরা প্রতিবাদ করলে গন্ডগোল লাগে। পুলিশ পরিকল্পিতভাবে এসব করেছে। অন্য জায়গায় পুলিশ ভয়ে টেবিলের তলায় লুকায়। আর এখানে পুলিশ নিজের ক্ষমতা দেখাচ্ছে। আমরা সমস্ত স্তরে জানিয়েছি। আমাদের বহু কর্মী জখম হয়েছে। অনেকে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। শাহজাহানকে গ্রেফতার করতে পারছে না, অথচ আমাদের বহু কর্মীকে ওরা গ্রেফতার করেছে। পুলিশের প্ররোচনাতেই সব হয়েছে। এই ঘটনার আমি তীব্র ধিক্কার জানাচ্ছি। পুলিশ নির্যাতনের বিরুদ্ধে আমরা প্রতিবাদ আন্দোলনে নামব।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Shahjahan Sheikh: ইডির দেওয়া সময় অতিক্রম করে গেলেও দেখা মিলল না শাহজাহানের

    Shahjahan Sheikh: ইডির দেওয়া সময় অতিক্রম করে গেলেও দেখা মিলল না শাহজাহানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইডির দেওয়া সময় অতিক্রম করে গেল। দেখা মিলল না তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখের (Shahjahan Sheikh)। সন্দেশখালিতে সরবেড়িয়ার বাড়িতে তল্লাশি করতে গিয়ে দুষ্কৃতীদের আক্রমণের শিকার হতে হয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির তিনজন অফিসারকে। আজ ঘটনার ২৪ দিন পার হলেও সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিলেন না এই তৃণমূল নেতা। ইডির অনুমান বাংলাদেশে গাঢাকা দিয়েছেন।

    বাড়িতে নোটিশ দিয়েছিল ইডি (Shahjahan Sheikh)

    সন্দেশখালিতে দুবার অভিযান চালিয়েও ধরতে পারেনি তদন্তকারী অফিসারেরা। গত বুধবার তাঁর বাড়িতে এক কোম্পানি বাহিনী নিয়ে তল্লাশি করতে গিয়েছিল ইডি। কিন্তু খোঁজ মেলেনি শাহজাহানের (Shahjahan Sheikh)। তদন্তকারী অফিসারেরা এই তৃণমূল নেতার বাড়িতে নোটিশ দিয়ে বলে আসেন, আগামী ২৯ জানুয়ারি সকাল ১১ টায় সল্টলেকের ইডির দফতরে হাজিরা দিতে হবে। সেইসঙ্গে পাসপোর্ট, ভোটার, আধার, ছবি সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে। কিন্তু আজও সেই নির্ধারিত দিনে দেখা মেলেনি তৃণমূল নেতার। এমনকী তাঁর পক্ষাবলম্বন করে কোনও আইনজীবীরও দেখা মেলেনি এদিন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কেউ আসেননি বলে জানা গিয়েছে।

    না আসায় ইডির পদক্ষেপ কী হবে?

    শাহজাহান (Shahjahan Sheikh) সত্যিই ইডির ডাকে আসবেন কি না এই নিয়ে সংশয় প্রথম থেকেই ছিল। তবে শাহজাহান ঘনিষ্ঠ মহলে খবর, এদিন সিজিওতে আসলেই গ্রেফতার হতে পারেন। আবার অন্যরকম ভাবে আত্মসমর্পণ করতেও পারেন শাহজাহান। ইডি সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, তৃণমূলের এই নেতা না এলেও ইডি তদন্ত যেমন ভাবে চালাচ্ছে ঠিক তেমনি ভাবে চালাবে। এখনও পর্যন্ত তাঁর বিরুদ্ধে অনেক তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। সেগুলি ভালো করে দেখে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। সম্পত্তির কেনাবেচার ক্ষেত্রেও দুর্নীতি করেছেন বলে জানা যাচ্ছে। ফলে অর্থ তছরুপের মামলায় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। তবে তাঁর নিরুদ্দেশ সম্পর্কে ইডির অনুমান বাংলাদেশে গিয়ে গাঢাকা দিয়েছেন তিনি।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা ফিরহাদ হাকিম নিখোঁজ সম্পর্কে বলেন, “শাহজাহান (Shahjahan Sheikh) যা করেছে অন্যায় করেছে। আমি গণমাধ্যমে দেখেছি। মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে। যা করেছে অত্যন্ত অন্যায়।” এখন দল দূরত্ব তৈরি করছে কিনা তাই নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা।

    আবার বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয়মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর শাহজাহান সম্পর্কে বলেন, “এই তৃণমূল নেতা মায়নামারে পালিয়ে গিয়েছে।” মাঝে একটি অডিও বার্তা সামাজিক মাধ্যমে শোনা গিয়েছিল। তবে এই তৃণমূল নেতা কোথায় আছে সেটাই প্রশাসনের কাছে একটি বড় প্রশ্ন।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: মেডিক্যাল কলেজের দাবিতে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: মেডিক্যাল কলেজের দাবিতে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৩০ জানুয়ারি জেলা সফরে আসছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বালুরঘাটে হবে প্রশাসনিক সভা। মমতার সফরের আগে বালুরঘাটে মেডিক্যাল কলেজ তৈরির দাবিতে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। দাবিদাওয়ার বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীকে মেল করেছেন বলে জানা গিয়েছে।  

    স্থানীয় বাসিন্দাদের কী বক্তব্য?

    প্রসঙ্গত, রাজ্যের প্রায় সব জেলায় মেডিক্যাল কলেজ রয়েছে। শুধুমাত্র প্রত্যন্ত দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় নেই মেডিক্যাল কলেজ। জেলা সদর বালুরঘাট হাসপাতাল চত্বরে বিশাল জায়গা থাকলেও সেখানে করা হয়নি কোনও মেডিক্যাল কলেজ। এদিকে বিগত কিছু দিন ধরে বালুরঘাটের বিশিষ্টজনরা প্রতিদিন দশটি করে চিঠি মুখ্যমন্ত্রীকে দিচ্ছেন। মূলত বালুরঘাটের মেডিক্যাল কলেজের দাবিতে এই আন্দোলনে নেমেছেন তাঁরা। এদিকে মুখ্যমন্ত্রীর জেলা সফরের আগে বালুরঘাটে মেডিক্যাল কলেজ তৈরির জন্য চিঠি দিলেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar)। এই বিষয়ে এক জেলাবাসী গোপাল দাস বলেন, রাজ্যের প্রতিটি জেলায় মেডিক্যাল কলেজ আছে। কিন্তু আমাদের এই জেলায় কোনও মেডিক্যাল কলেজ নেই। ভাল চিকিৎসার জন্য জেলাবাসীকে অন্যত্র যেতে হয়। এই জেলায়  মেডিক্যাল কলেজ হলে সবার ভালো হয়।

    জেলায় মেডিক্যাল কলেজ তৈরির দাবি (Sukanta Majumdar)

    এবিষয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, আমাদের জেলা সবদিক থেকে বঞ্চিত। রাজ্যের অধিকাংশ জেলায় মেডিক্যাল কলেজ আছে। শুধুমাত্র দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় নেই মেডিক্যাল কলেজ। জেলা সফরে মুখ্যমন্ত্রী আসছেন শুনলাম, জেলাবাসীর জন্য মেডিক্যাল কলেজ তৈরির কথা বলুন আমরা চাই।

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী বললেন?

    এনিয়ে পাল্টা জেলা তৃণমূল সভাপতি সুভাষ ভাওয়াল বলেন, জেলায় মুখ্যমন্ত্রীর আসার কথা রয়েছে। মেডিক্যাল কলেজ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ভাবনাও রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী আসার কথা শুনেই সুকান্তবাবু তড়িঘড়ি চিঠি দিচ্ছে। আগে এ নিয়ে একবারও তো মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেননি। তিনি চাইলেই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে উন্নয়নের কথা ভাবতে পারতেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share