Tag: bjp

bjp

  • Murshidabad: বহরমপুরের পর রানিনগর, তৃণমূল কর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি, আতঙ্ক

    Murshidabad: বহরমপুরের পর রানিনগর, তৃণমূল কর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি, আতঙ্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়েকদিন আগে মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক সত্যেন চৌধুরীকে গুলি করে খুন করার অভিযোগ উঠেছিল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই এবার মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) রানিনগরের চর ৫১ গ্রামে এক তৃণমূল কর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গুরুতর জখম ওই যুবকের নাম মনোজ মণ্ডল (২৭)। ওই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ ইতিমধ্যেই সঞ্জয় মণ্ডল নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Murshidabad)  

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছর ২৬ জুলাই রাতে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) রানিনগরের চর ৫১ গ্রামে একটি বিষয় নিয়ে বাপি মণ্ডল নামে এক তৃণমূল কর্মী ও তাঁর অনুগামীদের সঙ্গে ঝামেলা হয়েছিল রাজবীর মণ্ডল নামে এক যুবকের। অভিযোগ, সেইদিন বাপি ও তাঁর শাগরেদরা মিলে রাজবীর-সহ ৫ জনকে কুপিয়ে জখম করেছিল। সেদিন বাপির সঙ্গী ছিলেন এদিনের জখম তৃণমূল কর্মী মনোজ মণ্ডল। আর তারই বদলা নিতে রাজবীররা কয়েকজন মিলে বুধবার রাতে মনোজের বাড়িতে ঢুকে হয়ে এলোপাথাড়ি গুলি চালায়। যার একটি গুলি তাঁর পেটে লেগেছে। মনোজ বাড়িতেই ঘুমিয়ে ছিলেন। পরিবারের লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে রানিনগরের গোধনপাড়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় দ্রুত মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। সেখানে তাঁর চিকিৎসা চলছে।

    তৃণমূলের ব্লক সভাপতি কী বললেন?

     রানিনগর ২ ব্লকের নব নির্বাচিত সভাপতি মাহাবুব মুর্শিদ বলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর থেকেই এলাকায় উত্তেজনা তৈরি করে রেখেছে বিজেপি। এই ঘটনা তারই জের। পুলিশ প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে। পুলিশ প্রকৃত দোষীদের ধরে শাস্তির ব্যবস্থা করবে।

    বিজেপি নেতৃত্ব কী বললেন?

    বিজেপির রানিনগর মণ্ডল সভাপতি আশিক ইকবাল বলেন, ওই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। বিজেপি কোনওভাবেই জড়িত নয়। পুরানো ঝামেলার জেরে এই ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ তদন্ত করে দেখুক।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ”সম্প্রীতি মিছিল’ করে হিংসা ছড়ানোর পরিকল্পনা করছেন মমতা’, তোপ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ”সম্প্রীতি মিছিল’ করে হিংসা ছড়ানোর পরিকল্পনা করছেন মমতা’, তোপ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাম মন্দির উদ্বোধনের দিনই ‘সম্প্রীতি মিছিল’ করতে চলেছে তৃণমূল। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। এই আবহের মধ্যে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, ২২ জানুয়ারি ‘সম্প্রীতি মিছিল’ করে হিংসায় উস্কানি দিতে চাইছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আদালতের উচিত হিংসায় উস্কানি দেওয়ার পরিকল্পনাকে ভেস্তে দেওয়া। জানা গিয়েছে, এই মিছিলের জেরে রাজ্যে সম্প্রীতি বিঘ্নিত হতে পারে, এমন দাবি করে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এই পদক্ষেপকে অত্যন্ত স্বাভাবিক বলেই মনে করেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি।

    ‘সম্প্রীতি মিছিল’ করে হিংসা ছড়ানোর পরিকল্পনা (Sukanta Majumdar)

    বুধবার হুগলির ধনেখালিতে বিজেপির রাজ্য চিকিৎসক সেলের কো-কনভেনার ড. অরূপকুমার দাস বাড়িতে আসেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। সেখানে তিনি বলেন, ২২ জানুয়ারি আপনারা জানেন যে রামমন্দিরের উদ্বোধন হচ্ছে। হিন্দু সমাজ স্বতঃস্ফূর্তভাবে সেদিন মন্দিরে মন্দিরে পুজো করবে। ভগবান রামের আরধানা করবে এবং যে দেবতার মন্দির, তাঁর আরাধনা করবে। এই পরিস্থিতিতে এই মিছিলের ডাক দিয়ে আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উস্কানি দিয়ে হিংসা ছড়ানোর পরিকল্পনা করেছেন। এই হিংসা ছড়ানোর পরিকল্পনা আদালতের উচিত ভেস্তে দেওয়া।

    লাদেনের শেষ পরিণতির মতো খুঁজে পাওয়া যাবে না শাহজাহানকে!

    এ দিন তিনি শেখ শাহজাহান প্রসঙ্গেও মুখ খুলেছেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি। সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, শেখ শাহজাহানকে ধরতে পারছে না বলাটা ঠিক নয়। আসলে পুলিশ তৃণমূল কংগ্রেসের কথায় এই নাটক করছে।  সত্যের অপলাপ হচ্ছে। বিচারপতি তো আর অত খুলে বলতে পারবেন না। বলা সম্ভবও নয়। পুলিশ জানে শাহজাহান কোথায় লুকিয়ে আছে। দরাদরি চলছে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে। তবে এটা ঠিক একবার যখন ইডির গায়ে হাত দিয়েছে, অত সহজে ছাড় পাবে না। গুহায় লুকিয়ে থেকে লাদেন একসময় অডিয়ো – ভিডিয়ো বার্তা পাঠাত। লাদেনের শেষ পরিণতি কী হয়েছিল সবাই জানে। কোথায় তাকে কবর দেয়া হয়েছিল কেউ জানে না। শেখ শাহজাহানেরও সেই রকমই একটা পরিণতি হবে। খুঁজে পাওয়া যাবে না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: ভিডিও কলে বোমা দেখিয়ে গ্রেফতার হলেন তৃণমূল কর্মী, তীব্র চাঞ্চল্য

    Hooghly: ভিডিও কলে বোমা দেখিয়ে গ্রেফতার হলেন তৃণমূল কর্মী, তীব্র চাঞ্চল্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভিডিও কলে বোমা দেখিয়ে গ্রেফতার হলেন তৃণমূল কর্মী বলে পরিচিত এক যুবক। যুবকের নাম শেখ শামিম। ঘটনা ঘটেছে হুগলির (Hooghly) তারকেশ্বরের কাছে নাইটা মাল পাহাড়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পিয়াসারা এলাকায়। পুলিশের কাছে জেরা করে ধৃত যুবকের কাছে এক ডজন আরও বোমা পাওয়া গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ঘটনায় এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

    পুলিশের বক্তব্য (Hooghly)

    ঘটনায় স্থানীয় (Hooghly) পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত যুবক এলাকায় তৃণমূল করে। গত সোমবার রাতে একটি ভিডিও কলের ভিডিও ভাইরাল হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, শামিম নিজের হাতে বোমা নিয়ে একজনকে দেখাচ্ছে। একই ভাবে তার কাছে আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে বলে অপর প্রান্তের আরেক যুবককে ইশারাও দেয়। এই ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক বিনিময় হয়। এরপর পুলিশ তল্লাশি করে পাকড়াও করে শামিমকে। সেই সঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদ করে এলাকায় বোমা মজুত রয়েছে বলে খোঁজ মেলে এবং এরপর পুলিশ ১২ টি বোমা উদ্ধার করে। তারপরেই বালতির জলে ডুবিয়ে বোমাগুলিকে নিস্ক্রিয় করে পুলিশ। এই যুবকের সঙ্গে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের মনিরুল ইসলামের সঙ্গে খুব ঘনিষ্ঠতা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। অপর দিকে ঘটনায় তৃণমূল দলের মধ্যেই তীব্র অস্বস্তি তৈরি হয়েছে।

    বিজেপির বক্তব্য

    স্থানীয় (Hooghly) বিজেপি নেতা গণেশ চক্রবর্তী বলেন, “লোকসভার ভোটের আগে এলাকায় অশান্তি করতে তৃণমূল এই ধরনের কাজ করছে। উপপ্রধান এই সব অসামাজিক কাজের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।”

    তৃণমূলের বক্তব্য

    অপর দিকে গ্রাম পঞ্চায়েতের (Hooghly) মনিরুল ইসলাম অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, “পুলিশ ঘটনায় অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতার করুক। দোষীকে আমি চিনি না।” আবার তারকেশ্বরের বিধায়ক রামেন্দু সিংহ বলেন, “বিষয় সম্পর্কে আমি কিছু জানি না। খোঁজ নিয়ে বলব।” উল্লেখ্য এই পিয়াসারায় দুমাস আগে বিধায়ক এবং উপপ্রধান গোষ্ঠীর সঙ্গে পরস্পরের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছিল। দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বোমাবাজিতে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল এলাকা। পরিস্থিতি সামাল দিতে এলকায় নেমেছিল পুলিশ।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘রাম মন্দিরের প্রতিষ্ঠার দিন নন্দীগ্রামে এক লক্ষ প্রদীপ জ্বলবে’, বললেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ‘রাম মন্দিরের প্রতিষ্ঠার দিন নন্দীগ্রামে এক লক্ষ প্রদীপ জ্বলবে’, বললেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাম মন্দিরের প্রতিষ্ঠার দিন নন্দীগ্রামে এক লক্ষ প্রদীপ জ্বলবে। মঙ্গলবার নন্দীগ্রামের ১৭ টি এলাকায় ২০ হাজার পরিবারের হাতে এক লক্ষ দীপ দান করা হয়। দীপ দান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। যা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক জল্পনা।

    দুর্নীতিবাজদের দলে নেওয়া হবে না, বললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)

    সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত পরেশ অধিকারী বিজেপিতে যোগদান প্রসঙ্গে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ফেক সংবাদ, ভারতীয় জনতা পার্টি এগুলো নিয়ে ভাবছে না। যারা দুর্নীতিবাজ বা যুব সমাজের খাবার কেড়ে নিচ্ছে দল তাদের নেবে না। অন্যান্য রাজনৈতিক দল থেকে কি বিজেপিতে যোগদান করার জন্য আপনার সঙ্গে নেতারা কি যোগাযোগ করছে? এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমার সঙ্গে কেউ যোগাযোগ করছে না। আমি জনগনের সঙ্গে কাজ করি। আমার সঙ্গে জনগণের সম্পর্ক, নেতাদের সঙ্গে নয়। কেন এমন কথা বললেন শুভেন্দু। যা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে।

    মঞ্চ বেঁধে হল প্রদীপ বিলি!

    সকাল থেকেই নন্দীগ্রামের বিভিন্ন প্রান্তে মঞ্চ বেঁধে এলাকার মানুষের হাতে প্রদীপের বাক্স তুলে দেওয়া হয়। হাজার হাজার মানুষ এদিন প্রদীপ নিয়ে যান। শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) উদ্যোগী হয়ে মাটির প্রদীপ তুলে দেন। রাম মন্দিরের উদ্বোধনের দিন সকলকে অকাল দীপাবলি পালনের আবেদন জানান বিরোধী দলনেতা। ট্যুইট করেন তিনি। 

    Hon’ble Prime Minister Shri @narendramodi Ji asked the countrymen to light up Diyas and illuminate our homes with ‘Ram Jyoti’ 🪔 and celebrate Diwali for the homecoming of Ram Lalla, on the auspicious occasion of the Consecration Ceremony of Ram Lalla Idol and Ram Temple… pic.twitter.com/ZIU8w1X7Y4

    শাহজাহান নিয়ে ফের মুখ খুললেন শুভেন্দু

    সন্দেশখালিতে ইডি আধিকারিকদের ওপর হামলাকারীর মূল হোতা শেখ শাহজাহান এখনও নিখোঁজ। এই ঘটনায় সাতজনকে কয়েক দফায় পুলিশ গ্রেফতার করতে পারলেও শাহজাহানের হদিশ পায়নি পুলিশ। আর এই ঘটনাকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন,যতক্ষন না তদন্তভার সিবিআই নেয়, ততক্ষণ মমতার আলালের ঘরে দুলালরা ধরা পড়বে না। তাই অবিলম্বে সিবিআই কিংবা এনআইএর হাতে তদন্তভার তুলে দিলে তবেই শাহজাহানরা ধরা পড়বে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘অকাল দীপাবলি’ পালনের আবেদন জানালেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ‘অকাল দীপাবলি’ পালনের আবেদন জানালেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাম মন্দির উদ্বোধনে জোরদার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে অযোধ্যায়। ২২ জানুয়ারি মন্দির উদ্বোধন হবে। বিশেষ ওই দিনে প্রদীপ জ্বালানোর জন্য দেশবাসীর কাছে আবেদন রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই আবহের মধ্যে এবার অযোধ্যায় রাম মন্দিরের উদ্বোধনের দিন সকলকে ‘অকাল দীপাবলি’ পালন করতে বললেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

    ‘অকাল দীপাবলি’ পালনের আবেদন শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari)

    সোমবার মকর সংক্রান্তি উপলক্ষে খেজুরি-২ ব্লকের নিজকসবা এলাকায় শতাব্দী প্রাচীন গঙ্গোৎসবের সূচনা করেন শুভেন্দু। সঙ্গী হিসেবে স্থানীয় বিধায়ক শান্তনু প্রামাণিক এবং উত্তর কাঁথির বিধায়ক সুমিতা সিংহ উপস্থিত ছিলেন।  মঞ্চে দাঁড়িয়ে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘২২ তারিখ অকাল দীপাবলী উদযাপন করুন। রামের নামে ঝড় বইবে। আমি এক লক্ষ প্রদীপ কিনেছি। নন্দীগ্রামের কুড়ি হাজার মানুষকে সেই প্রদীপ তুলে দেব।’ পাশাপাশি তিনি বলেন, খেজুরির গঙ্গা মন্দির এলাকার বিধায়ক এবং বিজেপির প্রতীকে জয়ী নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতায় সংস্কার করা হবে।

    রামের নামে সুনামি হবে, বললেন শুভেন্দু

    আগামী দিনে পূর্ব মেদিনীপুরে ‘রামের নামে সুনামির’ ইঙ্গিতও দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)। তিনি  বলেন, ‘রাম নামে ঝড় বইবে। সমুদ্রে সুনামি দেখেছেন। ২২ তারিখ রামের নামে সুনামি বইবে। উল্লেখ্য, বিভিন্ন সময়ে দলীয় কর্মসূচিতে শুভেন্দুর মুখে শোনা গিয়েছে, ‘তমলুক আর কাঁথিতে বিজেপি জিতবে। তমলুক আর কাঁথি লোকসভা নরেন্দ্র মোদিকে উপহার দেওয়ার কথা তিনি বলেছেন। গত বিধানসভা ভোটে প্রাপ্ত ভোটের নিরিখে কাঁথি এবং তমলুক দু’টি আসনে এগিয়ে রয়েছে পদ্ম শিবির। জেলার ১৬ টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে সাতটিতে জয়ী হয়েছে তারা। লোকসভা ভোটের আগে অযোধ্যায় রাম মন্দির প্রতিষ্ঠার আবহে শুভেন্দু জেলা জুড়ে হিন্দুত্ব আবেগের ঝড় তুলতে চাইছেন বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Barrackpore: তোলা না পেয়ে ব্যবসায়ীর ওপর হামলা, বনধ ডাকলেন ব্যবসায়ীরা

    Barrackpore: তোলা না পেয়ে ব্যবসায়ীর ওপর হামলা, বনধ ডাকলেন ব্যবসায়ীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তোলার টাকা না পেয়ে ব্যবসায়ীর উপর হামলা চালানোর ঘটনার ঘটেছিল। বারাকপুরের (Barrackpore) সদর বাজার এলাকায়। আক্রান্ত ব্যবসায়ী গৌরব রায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার সদর বাজারের ব্যবসায়ীরা ব্যবসা বনধের ডাক দিলেন। এদিন সদর বাজারে কোনও দোকান খোলেনি। বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক বলেন, হামলা চালানোর একটা অভিযোগ হয়েছে। হামলাকারীদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Barrackpore)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বারাকপুর (Barrackpore) সদর বাজার এলাকার ব্যবসায়ী  গৌরব রায়কে বেশ কিছুদিন ধরে ফোনে হুমকি দিচ্ছিল স্থানীয় যুবক সোনু সাউ। তার কাছ থেকে বারংবার টাকা দাবি করা হচ্ছিল।  কিন্তু কয়েকদিন ধরে সনুর  গৌরব রায় ফোন ধরা বন্ধ করে দেয়। রবিবার সকালে গৌরব রায় যখন নিজের কর্মস্থলে যান, সেই সময় সেখানে সনু উপস্থিত হয়ে ব্যবসায়ী গৌরব কে  ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। আহত অবস্থায় তাকে ব্যারাকপুর জগদীশ চন্দ্র বসু জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।  ঘটনার খবর পেয়ে হাসপাতালে উপস্থিত হন ব্যারাকপুর থানার পুলিশ। আহত যুবক গৌরব রায বলেন, আমার ফার্নিচারের দোকান রয়েছে। আমি এটা ফ্ল্যাট তৈরি করছি। এটাই আমার অপরাধ। কয়দিন ধরে ফোন করে আমাকে তোলা চায় সনু। আমি ওর ফোন ধরা বন্ধ করে দিয়েছিলাম। ও আমার ফ্ল্যাটের কাজ বন্ধ করে দেয়। মিস্ত্রিদেরকে  সেখান থেকে বের করে দেয়। বিষয়টি জানতে পেরে আমি ঘটনাস্থলে যাই। সনু কে এই ধরনের ও আচ্ছা  আচরণ করতে নিষেধ করি। উল্টে সে আমাকে ধারালো অস্ত্র  দিয়ে কোপ মারে। আমার ভাই বাঁধা দিতে গেলে তাকে মারধর করে। আমার এক বন্ধু সেখানে এলে তার উপরও চড়াও হয়। পরে এলাকার লোকজন  জড়ো হতে  ও পালিয়ে যায়। এই ঘটনায় চরম আতঙ্কিত হয়ে পড়েছি।

    ব্যবসায়ীরা কী বললেন?

    ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, ব্যবসা করার জন্য তোলা দিতে হলে এই এলাকায় কেউ আর ব্যবসা করতে পারবে না। এটা ঠিক নয়। আমরা তাই ব্যবসা বন্ধ রেখে প্রতিবাদ জানিয়েছি। অবিলম্বে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামব।

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    বিজেপি-র বারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এই তোলাবাজির সঙ্গে তৃণমূল জড়িত। তৃণমূলের দৌরাত্ম্যে ব্যবসায়ীরা অতিষ্ঠ। সারা রাজ্য জুড়ে এইভাবে তোলাবাজি চলছে। তৃণমূল নেতা সঞ্জীব সিং বলেন, ঘটনাটি ঠিক হয়নি। তবে, এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল জড়িত নয়। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jagannath Chatterjee: শতাব্দীর সাংসদ তহবিলের ইডি, সিবিআই তদন্তের দাবি জানালেন জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়

    Jagannath Chatterjee: শতাব্দীর সাংসদ তহবিলের ইডি, সিবিআই তদন্তের দাবি জানালেন জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বীরভূমে তৃণমূলের সাংসদ শতাব্দী রায়ের সাংসদ তহবিলের টাকা ভুয়ো টেন্ডার দেখিয়ে হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ। সোমবার তথ্য প্রমাণ দেন বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় (Jagannath Chatterjee) । একইসঙ্গে সোমবার বীরভূমের সিউড়িতে বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে সাংসদ শতাব্দী রায়ের ১৫ বছরের সাংসদ উন্নয়ন তহবিলের টাকার খরচের ইডি, সিবিআই দিয়ে তদন্তের দাবি করেছেন তিনি।

    ভুয়ো টেন্ডার করে এমপি ল্যাডের টাকা হাতানোর চেষ্টা! (Jagannath Chatterjee)

    বীরভূমের সিউড়ি পুরসভা এলাকায় বৈদ্যুতিক বাতিস্তম্ভ বসানো হবে। সাংসদ তহবিলের ৬০ লক্ষ টাকা খরচ করে এই কাজ করা হবে। এই কাজের ভুয়ো টেন্ডারের কাগজ তুলে ধরে রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক দুর্নীতি প্রকাশ্যে নিয়ে আসেন। তিনি (Jagannath Chatterjee) বলেন, সিউড়ি পুরসভার এই ভুয়ো টেন্ডারের কাগজপত্রই প্রমাণ করে সাংসদ তহবিলের টাকা এইভাবে নয়ছয় করার চেষ্টা হয়েছে। সাংসদ উন্নয়ন তহবিলের ১০০ শতাংশ টাকা কেন্দ্রীয় সরকার বরাদ্দ করে। সুতরাং এই টাকা আত্মসাৎ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। কেএমডিএ তিনজন ইঞ্জিনিয়র সই করে ভেটিং করেছেন। কিন্তু, বাস্তবে একজন ই়ঞ্জিনিয়র বহুদিন আগে অবসর গ্রহণ করেছেন। দুজন ইঞ্জিনিয়রের কোনও অস্তিত্ব নেই। ফলে, সেই কাগজপত্র পুজো জাল। এই ভুয়ো কাগজপত্র দেখিয়ে সিউড়ি পুরসভা ৬০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ছক কষেছিল। এই ঘটনার সঙ্গে সাংসদ, জেলাশাসক, সিউড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান জড়িত। আর বিষয়টি সামনে আসতেই সিউড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান তড়িঘড়ি টেন্ডার বাতিল করে দেন। টেন্ডার বাতিল করলেও আমরা এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।

    ১৫ বছরের সাংসদ তহবিলের টাকার তদন্তের দাবি

    জগন্নাথবাবু (Jagannath Chatterjee) বলেন, সিউড়ি পুরসভার বাতিস্তম্ভ কেলেঙ্কারির মতো গত ১৫ বছর ধরে সাংসদ তহবিলের টাকা ভুয়ো টেন্ডার করে নয়ছয় করেছে শতাব্দী রায়। তাই, আমরা গত ১৫ বছরে ৭৫ কোটি টাকার যা কাজ হয়েছে তার তদন্তের দাবি জানাচ্ছি। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দফতরের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীকেও জানাব। ইডি, সিবিআই দিয়ে তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: রাম মন্দিরের উদ্বোধনের দিন ঘরে ঘরে জ্বলবে প্রদীপ, ব্যস্ততা তুঙ্গে মৃৎশিল্পীদের

    Ram Mandir: রাম মন্দিরের উদ্বোধনের দিন ঘরে ঘরে জ্বলবে প্রদীপ, ব্যস্ততা তুঙ্গে মৃৎশিল্পীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এ যেন অকাল দীপাবলি! মাটির প্রদীপ তৈরিতে ব্যস্ত মৃৎশিল্পীরা। এমনই চিত্র ধরা পড়ল উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জের সুভাষগঞ্জের কুমোর পাড়ায়। সাধারণত দীপাবলির সময়ে মাটির প্রদীপ তৈরিতে ব্যস্ত থাকেন মৃৎশিল্পীরা। কিন্তু, এ বছরে অযোধ্যায় রাম মন্দির (Ram Mandir) উদ্বোধনকে কেন্দ্র করেই মাটির প্রদীপ তৈরিতে বেজায় ব্যস্ত মৃৎশিল্পীরা।

    মৃৎশিল্পীরা কী বললেন? (Ram Mandir)

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাম মন্দির (Ram Mandir) উদ্বোধনের দিন ঘরে ঘরে প্রদীপ জ্বালানোর জন্য দেশবাসীর কাছে আহ্বান করেছেন। তারই অঙ্গ হিসাবে জোর প্রস্তুতির দেখা মিলল রায়গঞ্জের কুমোরপাড়ায়। বিভিন্ন ডিজাইনের প্রদীপ তৈরিতে ব্যস্ত মৃৎশিল্পীরা। অন্যান্য বছরে এই সময়ে তাঁরা সাধারণত প্রদীপ তৈরি না করলেও এবছরের চিত্রটা একটু ভিন্ন। পঙ্কজ পাল নামে এক মৃৎশিল্পী বলেন, অন্যান্য বছর এই সময়ে আমরা মাটির অন্যান্য সামগ্রী তৈরি করে থাকি। তবে এ বছরে চাহিদা অনেক থাকায় মাটির প্রদীপ তৈরি করতে ব্যস্ত। সাধারণত দীপাবলীর সময়েই প্রদীপ তৈরি করার চাহিদা থাকে। কিন্তু এবছর রাম মন্দির উদ্বোধনের জন্য প্রদীপ কেনার হিড়িক পড়ে গিয়েছে। অপর এক মৃৎশিল্পী কমল পাল বলেন, অন্যান্য বার এই সময় আমরা সাধারণত টব তৈরি করে থাকি। তবে এবছর প্রদীপ তৈরি করতেই সময় চলে যাচ্ছে। রাম মন্দির উদ্বোধনের দিন বাড়িতে মাটির প্রদীপ জ্বালানোর জন্য ইতিমধ্যেই ভিড় জমিয়েছেন সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বিজেপির নেতা কর্মীরাও।

    বিজেপি নেতৃত্ব কী বললেন?

    বিজেপির জেলা কমিটির সদস্য অভিজিৎ যোশি বলেন, আগামী ২২ তারিখে ঐতিহাসিক রাম মন্দিরে (Ram Mandir) প্রাণ প্রতিষ্ঠার দিন প্রধানমন্ত্রী ঘরে ঘরে প্রদীপ জ্বালানোর আহ্বান করেছেন। সেই কারণে আমরা মাটির প্রদীপের অর্ডার দিয়েছি। তবে, মাটির প্রদীপের এত চাহিদা যে শিল্পীরা আর নতুন করে অর্ডারও নিতে চাইছেন না।

    নতুন অর্ডার নিচ্ছেন না মৃৎশিল্পীরা

    সুকুমার দাস নামে এক ক্রেতা বলেন, রাম মন্দিরের (Ram Mandir) প্রাণ প্রতিষ্ঠা উপলক্ষে প্রদীপ কিনতে এসেছি। আগে কিছু কিনে নিয়ে গিয়েছি। এখন আর নতুন করে অর্ডার দিয়ে প্রদীপ পাচ্ছি না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Saokat Molla: “জিনা হারাম করে দেব”, ভাঙড়ে তৃণমূল বিধায়কের মুখে এ কেমন কথা!

    Saokat Molla: “জিনা হারাম করে দেব”, ভাঙড়ে তৃণমূল বিধায়কের মুখে এ কেমন কথা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল নেতা শওকত মোল্লার (Saokat Molla) ফের বেফাঁস মন্তব্য “জিনা হারাম করে দেব”। একজন জনপ্রতিনিধি, তাও আবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার তৃণমূল কংগ্রসের বিধায়ক! এমন মন্তব্য কীভাবে করতে পারেন? ভাঙড়ে এক প্রকাশ্য সভায় দলীয় পতাকা লাগানোকে ঘিরে গোলমাল হলে বিরোধী দলের কর্মীদের উদ্দেশ্য করে এই মন্তব্য করেন তিনি। যেখানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেশে গণতন্ত্র নেই বলে রোজ সংবাদ মাধ্যমের কাছে অভিযোগ করেন, আর সেখানে তাঁর দলেরই এক বিধায়ক বিরোধী দলের কর্মীদের এই রকম হুমকি দিচ্ছেন! এই ঘটনা ভাঙড় এলাকায় ব্যাপক শোরগোল ফেলে দিয়েছে। এলাকার মানুষের বক্তব্য, রাজনৈতিক হিংসা ছড়াতে উস্কানি দিচ্ছেন তৃণমূলের এই বিধায়ক।

    কেন করেছেন এমন মন্তব্য(Saokat Molla)?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ক্যানিং পূর্ব বিধানসভার তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লা (Saokat Molla) প্রতিবাদ সভার নামে এই মন্তব্য করেন। ভাঙড়ের বোদারা অঞ্চলের খড়গাছিতে একটি প্রকাশ্য সভায় এই রকম হুমকি দিয়ে বক্তব্য রাখেন। আরও জানা গিয়েছে, তৃণমূল এবং বিরোধীদের মধ্যে দলের পতাকা লাগানো ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়েছিল এবং সেই সঙ্গে শাসক-বিরোধী দলের বেশ কয়েকজন কর্মী আহত হয়েছিলেন। এরপর বিরোধীদের উদ্দেশ্যে এমন মন্তব্য করেন। 

    ঠিক কী বলেছেন?

    এই প্রসঙ্গে বক্তব্য রাখতে গিয়ে শওকত (Saokat Molla) বলেন, “প্রশাসন যদি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা না করে তাহলে এই এলাকার মানুষ তাদের শাস্তির ব্যবস্থা করবে। বোদরা এলাকায় তাদের জিনা হারাম করে দেব। এই কথা আমি দায়িত্ব নিয়ে বলে যাচ্ছি।” এই বক্তব্যে এলাকায় শাসক দলের আগ্রাসী মনোভাবের পরিচয় যে ফুটে উঠেছে সে কথা রাজ্যের বিরোধী দলের কর্মীরা মনে করছেন। উল্লেখ্য মাত্র কয়েকদিন আগে মালাদা জেলার তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা বিধায়ক আব্দুল রহিম বক্সি বলেন, “বিরধিতা করলে সমাজ থেকে বহিষ্কার করে গ্রামছাড়া করা হবে।” আর এই মন্তব্যে রাজনীতির আঙিনায় ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

    বিরোধীদের বক্তব্য

    ঘটনায় বিরোধী দলের পক্ষ থেকে স্থানীয় বিজেপি নেতা বলেন, “মানুষ আর তৃণমূলের সঙ্গে নেই। পুলিশ এবং প্রশাসনকে ব্যবহার করে একযোগে অত্যাচার করা হচ্ছে।” ঘটনায় আইএসএফের এক তৃণমূল নেতা বলেন, “রক্তারক্তি না হলে ভাঙড়ের মাটিতে তৃণমূল থাকতে পারবে না। তাই আগে থেকে ভয় পেয়ে শওকত মোল্লারা (Saokat Molla) এই সব কথা বলেছেন। শান্তিপূর্ণ ভোট হলে ভাঙড়ে তৃণমূল একটাও ভোট পাবে না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Kamarhati: বিজেপি করলে ভয়ঙ্কর খেলা হবে! হামলা চালিয়ে হুমকি তৃণমূলের

    Kamarhati: বিজেপি করলে ভয়ঙ্কর খেলা হবে! হামলা চালিয়ে হুমকি তৃণমূলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জন্মদিনে স্বামী বিবেকানন্দের গলায় মালা দিতে গিয়ে আক্রান্ত হলেন বিজেপি কর্মীরা। হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল কামারহাটি (Kamarhati) পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলরের ছেলে এবং তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    বিজেপি করলে ভয়ঙ্কর খেলা হবে বলে হুমকি তৃণমূলের (Kamarhati)

    বৃহস্পতিবার ছিল স্বামী বিবেকানন্দের ১৬১ তম জন্মদিন। সেই উপলক্ষে সকালে বেলঘরিয়ার নন্দননগর বাজারের কাছে থাকা বিবেকানন্দের মূর্তিতে মালা দিতে যান স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। অভিযোগ, সেখানে তাঁদের মালা দিতে বাধা দেওয়া হয় এবং তাঁদের সেখান থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। বিজেপির যুবনেতা সুশান্ত রায়চৌধুরীর অভিযোগ, ‘বিবেকানন্দের মূর্তিতে মালা দিতে গেলে আমাদের হুমকি দেওয়া হয়। বলা হয় বিবেকানন্দ নাকি ওদের। আমরা প্রতিবাদ করাই আমাদের প্রকাশ্যে স্থানীয় কামারহাটি (Kamarhati) পুরসভার ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কানু দাসের ছেলে সৈকত ওরফে জয় দাস দলবল নিয়ে আমাকে এবং আমার সঙ্গে থাকা বিজেপি কর্মীদের মারধর করে।  বাড়িতে গিয়েও শাসিয়ে আসে এবং ফোনে হুমকি দিয়ে বলে এলাকাছাড়া করে দেবে ‘। একই অভিযোগ আর এক বিজেপি কর্মী বিশ্বজিৎ মণ্ডলেরও। তাঁর অভিযোগ, কাউন্সিলরের ছেলে ফোনে হুমকি দেওয়ার পাশাপাশি এলাকায় বিজেপি করলে ভয়ঙ্কর খেলা হবে বলে হুমকি দেয়। বুথে এজেন্ট হয়ে বসা তো দূরের কথা বাড়ি ছাড়া করারও হুঁশিয়ারি দেয়। ঘটনায় তাঁরা যথেষ্ট আতঙ্কে রয়েছেন। আতঙ্কে রয়েছেন তাঁদের পরিবারও।

    প্রধানমন্ত্রী বিশ্বকর্মা যোজনা প্রকল্পের জন্য রেজিস্ট্রেশনে বাধা!

    প্রধানমন্ত্রী বিশ্বকর্মা যোজনা প্রকল্পের জন্য রেজিস্ট্রেশন করতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে কামারহাটির (Kamarhati) নন্দননগরেরই ওল্ড নিমতা রোডে। সেখানে একটি সাইবার ক্যাফে রয়েছে নরোত্তম সিংহ  নামে এক ব্যবসায়ীর। ব্যবসায়ীর বক্তব্য, সেখানে কয়েকজন প্রধানমন্ত্রী বিশ্বকর্মা যোজনা প্রকল্পের জন্য রেজিস্ট্রেশন করছিলেন।  অভিযোগ আচমকা কয়েকজন এসে আমাকে হুমকি দেয় এবং বলে প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কিত কোনও যোজনার ফর্মফিলাপ করা যাবে না।  দোকানে যারা ছিল তাঁদের হুমকি দিয়ে তাড়িয়ে দেওয়া হয় এবং বেশি বাড়াবাড়ি করলে দোকান বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। দুটি ঘটনাতেই স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলরের ছেলে এবং তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছে বিজেপি নেতৃত্ব।  দুটি ঘটনার প্রেক্ষিতেই বৃহস্পতিবারই বেলঘরিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে।

    বিজেপি নেতৃত্ব কী বললেন?

    আক্রান্তদের সঙ্গে দেখা করেন বিজেপির উত্তর শহরতলি জেলার সভাপতি অরিজিৎ বক্সি। তিনি ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন এবং অপরাধীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান।  না হলে আগামীদিনে বেলঘরিয়া জুড়ে বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?

    যদিও কামারহাটি (Kamarhati) পুরসভার পুরপ্রধান গোপাল সাহা বলেন, ‘ যদি সত্যিই এরকম কিছু ঘটনা হয়ে থাকে তাহলে পুলিশ ঘটনার তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।  দলের কেউ জড়িত থাকলে সে বিষয়টিও দলীয় স্তরে গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে। বেলঘরিয়া থানার পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share