Tag: bjp

bjp

  • BJP: শুভেন্দুর গড়ে তৃণমূলের ভরাডুবি, মহিষাদলের সমবায়ে প্রথম ক্ষমতায় ফিরল বিজেপি

    BJP: শুভেন্দুর গড়ে তৃণমূলের ভরাডুবি, মহিষাদলের সমবায়ে প্রথম ক্ষমতায় ফিরল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিধানসভা উপনির্বাচনের ফল নিয়ে যখন চুলচেরা বিশ্লেষণ চলছে, ভালো ফল করায় তৃণমূল কর্মীরা উল্লসিত, সেই সময় ফের শুভেন্দুর গড়ে ধাক্কা খেল তৃণমূল। বিধানসভা উপনির্বাচনে রাজ্যে ছয়ে ছক্কা হাঁকালেও, পূর্ব মেদিনীপুরে সমবায় নির্বাচনে বিজেপির (BJP) কাছে ধরাশায়ী হল তৃণমূল। সমবায় হাতছাড়া হল রাজ্যের শাসকদলের। এই জয়ে স্বাভাবিকভাবে উচ্ছ্বসিত বিজেপির নেতা-কর্মীরা। তাদের বক্তব্য, উপনির্বাচনে রাজ্যে তৃণমূল কীভাবে ভোট করেছে তা সকলেই জানেন। তাই, এই ফল নিয়ে কেউ বেশি আগ্রহী নয়। কিন্তু, এতদিন পর এই সমবায়ে বিজেপি আসায় বোঝা যাচ্ছে মানুষ প্রকৃত অর্থে বিজেপির সঙ্গে রয়েছে।

    বিজেপি কত আসন পেয়েছে?(BJP)

    রবিবার পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলের ঝাউপাথরা সমবায় সমিতির নির্বাচন হয়। মোট ৫২টি আসনে লড়াই করেন বিজেপি (BJP) ও তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীরা। তার মধ্যে ৩৬টি আসনে জয়ী হয়েছেন বিজেপি সমর্থিত প্রার্থীরা। তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন ১৬টি আসনে। ১টি আসনে টাই হয়। পরে সেটিতেও জয়লাভ করে বিজেপি। ফলে ৩৭টি আসনে জয়ী হয়ে সমবায়ের দখল নিয়েছেন বিজেপি সমর্থিত প্রার্থীরা। এই প্রথম সমবায়ের ক্ষমতা দখল করল বিজেপি। জয়ের আনন্দে মেতেছেন বিজেপির কর্মী -সমর্থকরা।

    আরও পড়ুন: যোগীরাজ্যে ৬৫ শতাংশ মুসলিম অধ্যুষিত আসনে লক্ষাধিক ভোটে জয়ী বিজেপির হিন্দু প্রার্থী

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    বিজেপির (BJP) পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সহ সভাপতি বিশ্বনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “উপনির্বাচনে কী ভাবে ভোট হয়েছে, তা সবাই জানে। তাই তার ফলকে মাপকাঠি করে অন্য নির্বাচনের পূর্বাভাস করা ঠিক হবে না। এই নির্বাচনকেও তৃণমূল প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছে। ঝাউপাথরা সমবায়কে দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূল বিকলাঙ্গ করে রেখেছিল। এখন ভারতীয় জনতা পার্টি সমবায় দখল করেছে। আমরা সমবায়কে সক্রিয় করে প্রান্তিক কৃষকের স্বার্থে কাজ করব”। তৃণমূল বিধায়ক তিলক চক্রবর্তী বলেন, “এই সমবায়ে দীর্ঘদিন নির্বাচন হয়নি। তাছাড়া সমবায় নির্বাচনে সদস্যরা ভোট দেন। সদস্যরা যে রাজনৈতিক দলের সদস্য তার পক্ষেই ভোট দেন। সমবায় নির্বাচনের ফল নিয়ে আমরা চিন্তিত নই।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘ছাপ্পা ভোট দিয়ে জেতানো বিধায়কদের শপথে থাকবে না বিজেপি ’’, সাফ জানিয়ে দিলেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ‘‘ছাপ্পা ভোট দিয়ে জেতানো বিধায়কদের শপথে থাকবে না বিজেপি ’’, সাফ জানিয়ে দিলেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছাপ্পা ভোট দিয়ে জেতানো বিধায়কদের শপথে থাকবে না বিজেপি’, উপনির্বাচনে ফল নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে সাফ জানিয়ে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সোমবার তিনি (Suvendu Adhikari) বলেন, “ছাপ্পা মারা আর পুলিশ দিয়ে জেতানো বিধায়কদের শপথে বিজেপি থাকে না। উপনির্বাচনে কী হয়, পশ্চিমবাংলায় মানুষ জানে।”

    ওয়াকফ বিল নিয়ে কী বললেন বিরোধী দলনেতা? (Suvendu Adhikari)

    এবারের শীতকালীন অধিবেশনেই ওয়াকফ বিল লোকসভায় আনতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। তাই নিয়ে তৃণমূলের তরফে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। কলকাতায় তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেল সভাও করবে বলে জানা গিয়েছে। এই সব বিষয়ে সরব হলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তৃণমূলকে তুলোধনা করলেন তিনি। শুভেন্দু বলেন, জয়েন্ট পার্লামেন্টরি কমিটি রিপোর্ট দেওয়া না পর্যন্ত কারোরই কিছু বলা উচিত নয়। এদিন বিধানসভার বাইরে সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তর দেন শুভেন্দু। তিনি (Suvendu Adhikari) বলেন, “ওয়াকফ জয়েন্ট পার্লামেন্টরি কমিটির বিবেচনাধীন রয়েছে বিষয়টি। তারা রিপোর্ট জমা না দিলে আগেভাগে কারোরই কিছু বলা উচিত নয়।”

    আরও পড়ুন: যোগীরাজ্যে ৬৫ শতাংশ মুসলিম অধ্যুষিত আসনে লক্ষাধিক ভোটে জয়ী বিজেপির হিন্দু প্রার্থী

    সরব তৃণমূলের সভা নিয়ে

    জানা গিয়েছে, ৩০ তারিখ কলকাতায় তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের তরফে জমায়েতের ডাক দেওয়া হয়েছে। রানি রাসমণি রোডে এই সভা হবে। এই নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৩০ নভেম্বর ওয়াকফ বিল নিয়ে দলের অবস্থান স্পষ্ট করবেন লোকসভায় তৃণমূলের মুখ্যসচেতক কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই নিয়ে রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে তীব্র চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে। এই বিষয়ে বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, “এখানে পোলারাইজেশন, তোষণের রাজনীতি ও ভোটব্যাঙ্ক মজবুত করার জন্য প্রতিযোগিতা চলছে। ২৮ তারিখ সিদ্দিকুল্লা সাহেবরা ডেকেছেন। আর ৩০ তারিখ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ডেকেছেন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: ‘‘এঁরাই সংসদে হাঙ্গামা বাধাচ্ছেন’’, অধিবেশন শুরুর আগে তোপ মোদির, নিশানায় কারা?

    PM Modi: ‘‘এঁরাই সংসদে হাঙ্গামা বাধাচ্ছেন’’, অধিবেশন শুরুর আগে তোপ মোদির, নিশানায় কারা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার লোকসভার শীতকালীন অধিবেশন শুরুর আগে বিরোধী দলগুলিকে একহাত নিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তিনি বলেন, ‘‘সংসদে সাংসদদের বলার অধিকার কেড়ে নিচ্ছেন কয়েক জন। এঁরাই সংসদে হাঙ্গামা বাধাচ্ছেন (Parliament Winter Session)। ফলে বলার সুযোগ পাচ্ছেন না নতুন সাংসদরা। সংসদের নিয়ন্ত্রণ এই সাংসদরা হাতে নেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন।’’

    মানুষ তাঁদের (বিরোধীদের) বার বার প্রত্যাখ্যান করছেন (PM Modi)

    প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) আরও বলেন, ‘‘সংসদে জনগণের স্বার্থে কিছু বলেন না বিরোধীরা। মানুষ তাদের (বিরোধীদের) বার বার প্রত্যাখ্যান করছেন। গণতন্ত্রের শর্তই হল আমরা মানুষের সিদ্ধান্তকে সম্মান জানাব এবং তাদের প্রত্যাশা পূরণের জন্য দিনরাত কঠোর পরিশ্রম করব।” প্রধানমন্ত্রী মোদির মতে, “বিরোধী সাংসদদের কেউ কেউ সংসদে দায়িত্বশীল আচরণ করেন। তাঁরা চান সংসদের কাজ মসৃণভাবে পরিচালিত হোক। কিন্তু যাঁরা মানুষের দ্বারা বার বার প্রত্যাখ্যাত, তারা সঙ্গীদের বক্তব্যও উপেক্ষা করে।’’ কেন্দ্রীয় সরকার সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত চলতি লোকসভার অধিবেশনে ১৫টি বিল আনা হতে পারে এবং তার মধ্যে উল্লেখযোগ্যভাবে রয়েছে ওয়াকফ আইন সংশোধনী বিল।

    বিশ্ববাসী তাকিয়ে ভারতের দিকে

    প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, ‘‘বিশ্ব আজ অনেক আশা নিয়ে ভারতের দিকে তাকিয়ে। ভারতের প্রতি যে সম্মান বেড়েছে, গুরুত্ব বেড়েছে, তা আরও বাড়ানোর জন্য সেই অনুরূপ আচরণ করা উচিত। বিশ্বের কাছে এই বার্তা যাওয়া উচিত যে জনগণের ভাবনার গুরুত্ব দেওয়া হয় সংসদে। যা সময় নষ্ট হয়েছে, তা নিয়ে অনুতাপ করে, আরও ভালোভাবে সমস্ত বিষয় নিয়ে সংসদে তুলে ধরি এবং আলোচনা করি। আগামী প্রজন্ম এর থেকে অনুপ্রেরণা নেবে।’’

    প্রসঙ্গ হরিয়ানা ও মারাঠাভূমে বিরাট জয়

    হরিয়ানা ও মারাঠাভূমে বিরাট জয়ের কথাও উঠে আসে এদিন প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যে। তিনি (PM Modi) বলেন, ‘‘২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের পর কয়েকটি রাজ্যে নির্বাচন হয়েছে। রাজ্যগুলি আরও শক্তি দিয়েছে, সমর্থন জানিয়েছে। আমরা জনতা-জনাদর্নের আশা-আকাঙ্খাকে পূরণ করার জন্য পরিশ্রম করি। আমি বারবার বিরোধীদের অনুরোধ করেছি। কিছু বিরোধীরা শালীন আচরণ করেন, তাদেরও ইচ্ছা যে সংসদে কাজ হোক। কিন্তু কয়েকজন তাদের সঙ্গীদের কথাও শোনে না। আশা করি, সকল দলের নতুন সাংসদদের সুযোগ দেওয়া হবে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP: যোগীরাজ্যে ৬৫ শতাংশ মুসলিম অধ্যুষিত আসনে লক্ষাধিক ভোটে জয়ী বিজেপির হিন্দু প্রার্থী

    BJP: যোগীরাজ্যে ৬৫ শতাংশ মুসলিম অধ্যুষিত আসনে লক্ষাধিক ভোটে জয়ী বিজেপির হিন্দু প্রার্থী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সদ্য সমাপ্ত উপ নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশের কুন্দারকি বিধানসভা আসনে বিজেপির জয় এক নয়া নজির তৈরি করেছে। এই কেন্দ্র থেকে জয়লাভ করেছেন বিজেপির (BJP) রামবীর সিং ঠাকুর (Ramveer Singh)। তিনি পরাস্ত করেছেন ১১ জন প্রতিদ্বন্দ্বীকে, যাঁরা প্রত্যেকেই মুসলমান। সবচেয়ে বড় কথা কুন্দারকি কেন্দ্রে ৬৫ শতাংশ ভোটারই হলেন মুসলমান। এই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী রামবীর সিং ঠাকুর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীকে পরাস্ত করেছেন ১ লাখের থেকেও বেশি ভোটে। প্রসঙ্গত, এখানে বিজেপির (BJP) মোকাবিলায় অখিলেশ যাদবের দল প্রার্থী করে হাজি রিজওয়ানকে, যিনি একজন তুর্কি মুসলমান বলে পরিচিত। এর পাশাপাশি তিনি বর্তমানে সাংসদও রয়েছেন।

    ভোটে হারতেই ইভিএমে কারচুপির অভিযোগ অখিলেশের দলের 

    ভোটে হারতেই প্রতিবারের মতো এবারও অখিলেশ যাদবের দল ইভিএমে কারচুপির অভিযোগ করেছে। কিন্তু স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রামবীর সিং ঠাকুরের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স এবং একেবারে মাটির সঙ্গে যোগাযোগই তাঁকে এমন সাফল্য এনে দিয়েছে। কুন্দারকি কেন্দ্রে  বিজেপি (BJP) প্রার্থীর এই জয় ইতিমধ্যে গোটা উত্তরপ্রদেশে আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে, হাজি রিজওয়ানকে নিয়ে মুসলিম জনগোষ্ঠীর বড় অংশের একাধিক আপত্তির কারণও ছিল।

    রামবীর সিংয়ের ব্যক্তিগত ইমেজ (BJP)

    হাজি রিজওয়ানের পরাজয়ের অন্যতম কারণ হল, তিনি ভোটের মাঝেই বিতর্কিত দাবি করেন যে, নির্বাচন বন্ধ করতে হবে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মতে এমন আজব দাবির কারণেই রামবীর সিং ঠাকুর (Ramveer Singh) অনেকটাই এগিয়ে যান। এমন দাবিকে সমর্থন করতে পারেনি মুসলিম জনগোষ্ঠীর বড় অংশ। অন্যদিকে, সেখানকার স্থানীয় মুসলিমদের রামবীর সিংকে বেছে নেওয়ার অন্যতম কারণ হল, তাঁর ব্যক্তিগত ইমেজ। তাঁকে স্থানীয় মুসলিম সম্প্রদায়র নেতারাও খুব ভরসা করেন। ঠিক এই কারণেই রামবীর সিংয়ের আশ্বাসগুলিকে মেনে নেন সংখ্যালঘু সম্প্রদায় মানুষজন। উপনির্বাচনে তাই আসে বিপুল জয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Parliament Winter Session: আজ থেকে শুরু সংসদের শীতকালীন অধিবেশন, কোন কোন বিল পাশ হতে পারে?

    Parliament Winter Session: আজ থেকে শুরু সংসদের শীতকালীন অধিবেশন, কোন কোন বিল পাশ হতে পারে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, সোমবার ২৫ নভেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন (Parliament Winter Session)। চলবে আগামী ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এই অধিবেশনে ওয়াকফ সংশোধনী বিল সহ মোট ১৬টি বিল উপস্থাপনের জন্য তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। তবে, মোদি সরকার একদিকে যেমন গুরুত্বপূর্ণ বিল পাশ করাতে তৎপর হবে, সেই সময় বিরোধীরা মণিপুর, ওয়াকফ, আদানি ইস্যুতে বাধাসৃষ্টি করে সভার স্বাভাবিক কাজ ভণ্ডুল করার পরিকল্পনায় ব্যস্ত থাকবে। রবিবার প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সভাপতিত্বে হওয়া সর্বদল বৈঠকে বিরোধীরা তাদের নানা দাবির কথা জানিয়ে দিয়েছে। সংসদীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু বিরোধীদের অনুরোধ করেছেন সব বিষয় নিয়ে কথা বলার জন্য সংসদ চলতে দেওয়া জরুরি। 

    আলোচনার জন্য সম্ভাব্য বিলগুলো

    এই অধিবেশনে (Parliament Winter Session) ওয়াকফ সংশোধনী বিল এবং বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা (সংশোধনী) বিলসহ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিল আলোচনা ও বিবেচনার জন্য আসতে পারে। লোকসভায় পেশ করা হবে ব্যাঙ্কিং আইন (সংশোধনী) বিল এবং রেলওয়ে আইন সংশোধনী বিল। এছাড়া, সরকারের “এক দেশ এক নির্বাচন” বিলটি এই অধিবেশনে পেশ করার সম্ভাবনা রয়েছে। ব্যাঙ্কিং আইন সংশোধনী বিলটি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া আইন, ব্যাঙ্কিং প্রবিধান আইন, রাষ্ট্রীয় ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া আইন, এবং ব্যাঙ্কিং কোম্পানির আইন সংশোধন করবে। রাজ্যসভায় ২০২৪ সালের ভারতীয় বায়ুযান বিধেয়ক পেশ করা হবে, যা বিমান চলাচল, ডিজাইন, নির্মাণ, রক্ষণাবেক্ষণ, ব্যবহার, অপারেশন, বিক্রয়, রফতানি ও আমদানির নিয়ন্ত্রণ এবং নিয়মনিষেধ সংক্রান্ত বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করবে। সরকার যে বিতর্কিত ওয়াকফ বিল এই অধিবেশনেই পাশ করাতে আগ্রহী বিজেপির একাধিক সূত্র থেকে তার আভাস মিলেছে। ওয়াকফ ইস্যুতে সরকার পিছু হটবে না, শনিবারই স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। 

    আরও পড়ুন: দেশের যুব সমাজের প্রশংসা করলেন মোদি, কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

     বিরোধীদের দাবি

    সর্বদলীয় বৈঠকে কংগ্রেস-সহ একাধিক বিরোধী দল আদানি কাণ্ডে যৌথ সংসদীয় কমিটি গঠনের দাবিতে সরব হয়েছে। তবে তৃণমূল আলাদা করে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করেনি। সোমবার বেলা ১১’টায় অধিবেশন (Parliament Winter Session) শুরুর আগে রাজ্যসভা ও লোকসভার বিরোধী দলনেতা যথাক্রমে মল্লিকার্জুন খাড়্গে ও রাহুল গান্ধীর চেম্বারে বিরোধীরা মিলিত হবেন। সেখানেই বিরোধীদের দাবি হিসাবে যৌথ সংসদীয় কমিটির দাবিতে সিলমোহর দেওয়ার কথা। রবিবারের সর্বদলীয় বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন খাড়্গে, রাহুলও। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Atul Limaye: আরএসএস প্রচারক অতুল লিমায়ে, পর্দার আড়ালে মহারাষ্ট্র জয়ের কারিগর

    Atul Limaye: আরএসএস প্রচারক অতুল লিমায়ে, পর্দার আড়ালে মহারাষ্ট্র জয়ের কারিগর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহারাষ্ট্রে বিপুল জয় পেয়েছে বিজেপি। পরপর তিনবার বিজেপির নেতৃত্বে এনডিএ সরকার গঠিত হতে চলেছে সেখানে। এই জয়ের অন্যতম কারিগর হিসেবে উঠে আসছে ৫৪ বছর বয়সি এক ইঞ্জিনিয়ারের নাম। তিনি রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের প্রচারক অতুল লিমায়ে। আদতে নাসিকের বাসিন্দা অতুল লিমায়ে (Atul Limaye) রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘে যোগদান করেন তিন দশক আগেই। প্রচারক হিসেবে যোগদান করার পর আরএসএসের বিভিন্ন দায়িত্ব তিনি সামলেছেন তিনি। জানা যায়, তাঁর আগে এক বহুজাতিক সংস্থায় তিনি কাজ করতেন। এরপরেই ধীরে ধীরে সংগঠনের ওপরে উঠতে থাকেন তিনি। দায়িত্ব পান পশ্চিম মহারাষ্ট্রের প্রান্ত প্রচারকের। এরপর মহারাষ্ট্র, গুজরাট ও গোয়া প্রান্ত নিয়ে গঠিত রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের পশ্চিম ক্ষেত্রের ক্ষেত্রের ক্ষেত্রীয় প্রচারকের দায়িত্ব সামলান তিনি। জানা যায়, সংগঠনের শ্রী বৃদ্ধি করতে বিভিন্ন থিঙ্ক ট্যাঙ্কদের কাজে লাগাতে শুরু করেন তিনি। চালান সমীক্ষা। তাঁর তৈরি গবেষকদের দল মুসলিম ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মধ্যেও কাজ শুরু করে।

    শিবশক্তি সঙ্গমের সূচনা (Atul Limaye)

    ২০১৭ সালের মারাঠা সংরক্ষণ আন্দোলন এবং ২০১৮ সালের ছদ্ম মাওবাদী ইস্যু- এই দুটির মোকাবিলাতে তাঁর তৈরি ন্যারেটিভ দারুণ কাজে দেয় বলে খবর। একই সঙ্গে অতুল লিমায়ের রয়েছে ভূমিস্তরেও যোগাযোগ। হিন্দুভোটকে সংগঠিত করতে ২০১৬-১৭ সালে ছত্রপতি শিবাজী মহারাজকে স্মরণ করতে শিবশক্তি উৎসবের সূচনা করেন তিনি। মহারাষ্ট্রে ষাট হাজারেরও বেশি রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (RSS) স্বয়ং সেবকরা এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বলে জানা যায়। শিবশক্তির সঙ্গমের মধ্যে দিয়ে হিন্দু জাতীয়তাবোধের ব্যাপক জাগরণ শুরু হয়।

    ‘সজাগ রহো’ কর্মসূচি (Atul Limaye)

    প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের বিধানসভা নির্বাচনে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ ‘সজাগ রহো’ কর্মসূচি গ্রহণ করে। অর্থাৎ সতর্ক থাকুন। এটিও আদতে ছিল অতুল লিমায়ের (Atul Limaye) মস্তিস্ক প্রসূত। কর্মসূচির অংশ হিসেবে প্রত্যেক স্বয়ংসেবক রাজ্যের প্রতিটি বাড়িতে পৌঁছে যান। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (RSS) স্বয়ংসেবকরা সেখানকার তেলি, মালি, সুতার, বানজারা প্রভৃতি সম্প্রদায়ের মধ্যে পৌঁছে যান। যার ফল মিলল ভোটে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Maharashtra: উদ্ধব বা রাজ নয়! বালাসাহেবের রাজনৈতিক ‘উত্তরাধিকার’ রইল শিন্ডের হাতে

    Maharashtra: উদ্ধব বা রাজ নয়! বালাসাহেবের রাজনৈতিক ‘উত্তরাধিকার’ রইল শিন্ডের হাতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রয়াত বালাসাহেব ঠাকরের ‘উত্তরাধিকার’ রইল না ঠাকরে পরিবারের হাতে। ২০২৪ সালের বিধানসভা ভোটের ফলাফল স্পষ্ট করে দিল গুরু বালাসাহের ‘রাজনৈতিক উত্তরসূরি’ এখন একনাথ শিন্ডে। মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) মুখ্যমন্ত্রিত্ব, অবিভক্ত শিবসেনার নির্বাচনী প্রতীক ‘তির-ধনুক’ থেকে নাম সবটাই ঠাকরে পরিবারের হাত থেকে নিয়ে নিয়েছিলেন একনাথ শিন্ডে। এবার মারাঠি ভোটব্যাঙ্কও গেল শিন্ডের কাছেই। ২৮৮ আসনের মহারাষ্ট্র বিধানসভায় বিজেপির নেতৃত্বাধীন জোট এনডিএ-র সহযোগী হিসাবে ৮১টি আসনে লড়ে ৫৬টিতে জিততে চলছে শিন্ডেসেনা। তাদের ঝুলিতে গিয়েছে প্রায় ১৩ শতাংশ ভোট। অন্য দিকে, কংগ্রেসের সহযোগী উদ্ধবসেনা ২০-র বেশি আসনে জিততে পারেনি। অন্যদিকে রাজ ঠাকরের দল একটিও আসন পায়নি। বালাসাহেবের ব্যাটন তাই এখন শিন্ডের হাতে বলাই যায়।

    পরাস্ত উদ্ধব ঘনিষ্ঠরা

    উদ্ধব-পুত্র আদিত্য জিতেছেন মুম্বইয়ের ওরলিতে এবং তাঁর তুতো তাই বরুণ সরদেশাই বান্দ্রা পূর্ব আসনে জিতেছেন। তবে বাদবাকি সব হেভিওয়েটই ধরাশায়ী হয়েছেন মারাঠাভূমে (Maharashtra)। রাজন বিচারে, সুনীল প্রভুর মতো ঠাকরে পরিবারের বিশ্বস্ত সহযোগীরা হেরেছেন। শিন্ডে নিজে ঠাণে জেলায় তাঁর আসন কোপরি-পাচপাখাড়িতে হারিয়েছেন নিজের রাজনৈতিক গুরু প্রয়াত আনন্দ দিঘের ভাইপো কেদারকে। দীপক কেশরকর (সাওয়ন্তওয়াড়ি), উদয় সাওয়ন্ত (রত্নগিরি), সঞ্জয় রাঠৌরের (দিগরস) মতো একনাথ শিন্ডের ঘনিষ্ঠেরাও জিতেছেন। কংগ্রেস ছেড়ে আসা সঞ্জয় নিরুপম জিতেছেন দিন্দোসি কেন্দ্র থেকে।

    শিন্ডের উত্থানকাহিনি (Maharashtra)

    মহারাষ্ট্রে ২০১৯ সালে শেষ বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ও অবিভক্ত শিবসেনা জোট করেই লড়েছিল। শিবসেনা-বিজেপি জোট ভাঙে ভোটের পরে। বিজেপির সঙ্গ ছেড়ে ভিন্ন মতাদর্শের শরদ পাওয়ারের এনসিপি এবং কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মেলান উদ্ধব। এরপর এনসিপি বিধায়ক এবং শরদ পাওয়ারের ভাইপো অজিত পওয়ারের সমর্থনে মুখ্যমন্ত্রী হন বিজেপির দেবেন্দ্র ফড়ণবীস। তবে সরকার পড়ে যায় দুদিন পরেই। এর পরে শিবসেনা, এনসিপি এবং কংগ্রেসের জোট সরকারের মুখ্যমন্ত্রী হন উদ্ধব ঠাকরে। শিন্ডে হন (Eknath Shinde) নগরোন্নয়ন ও পূর্ত দফতরের মন্ত্রী।

    শিন্ডে কীভাবে হলেন মুখ্যমন্ত্রী?

    ২০২২ সালের ২০ জুন একদল শিবসেনা বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে নিখোঁজ হন শিন্ডে। গুজরাত-অসম-গোয়ায় তিনি বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের নিয়ে ঘুরতে থাকেন। বোঝা যায়, শিবসেনার (Maharashtra) অধিকাংশ বিধায়কই শিন্ডের সঙ্গে রয়েছেন। এরপরে নিরুপায় উদ্ধব ঠাকরে ইস্তফা দেন। ৩০ জুন বিজেপিকে সঙ্গে নিয়ে নতুন সরকার গড়েন শিন্ডে। উপমুখ্যমন্ত্রী হন বিজেপির ফডণবীস। এর পরে ২০২৩ সালের জুলাই মাসে এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ারের ভাইপো অজিতও কাকার দলের অধিকাংশ বিধায়ককে নিয়ে এনডিএ-তে শামিল হন। পান উপমুখ্যমন্ত্রী পদ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • BJP: দেশজুড়ে উপনির্বাচনে গেরুয়া ঝড়, শক্তি বাড়াল বিজেপি, হতাশাব্যঞ্জক ফল কংগ্রেস জোটের

    BJP: দেশজুড়ে উপনির্বাচনে গেরুয়া ঝড়, শক্তি বাড়াল বিজেপি, হতাশাব্যঞ্জক ফল কংগ্রেস জোটের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুধু মহারাষ্ট্র নয়, দেশের ৪৮টি বিধানসভা উপনির্বাচনে দূর্দান্ত ফল করল বিজেপি (BJP)। একইসঙ্গে কংগ্রেস তথা বিরোধী জোট ইন্ডিয়ার ফল যথেষ্ঠ হতাশাব্যঞ্জক। বিধায়করা লোকসভা নির্বাচনে জয়ী হওয়ায় দেশের বেশ কয়েকটি আসনে বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন (By Elections) অনুষ্ঠিত হয়। কিছু আসনে অবশ্য বিধায়কদের মৃত্যু কিংবা দলবদলের কারণেও এই ভোটগ্রহণ হয়। কংগ্রেস এবং বিরোধী জোট ইন্ডিয়াকে একেবারে কোণঠাসা করে কিস্তিমাত করল নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি। দেশজুড়ে বহু আসনে, জেতা সিট মাঝপথে খুইয়ে চাপে পড়ল কংগ্রেস, এসপি, আরজেডির মতো বিরোধী শিবিরের দলগুলি।

    যোগী রাজ্যে বিপুল জয় বিজেপির (BJP)

    যোগী রাজ্যে সবচেয়ে বেশি ৯টি আসনে বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হয়েছিল। নয় আসনের মধ্যে ছ’টিতে জিতল বিজেপি (BJP)। একটিতে বিজেপির জোটসঙ্গী দল আরএলডি জিতেছে। মাত্র দু’টিতে জিততে সক্ষম হয়েছে অখিলেশের এসপি। উল্টে এসপি-র হাতে থাকা দু’টি আসন ছিনিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছে বিজেপি। শনিবার যোগী আদিত্যনাথ নিজের এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ‘‘উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা উপনির্বাচনে বিজেপি-এনডিএ-এর এই জয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফল নেতৃত্ব ও নির্দেশনার প্রতি মানুষের অটল বিশ্বাসের প্রমাণ।’’ যোগী আদিত্যনাথ আরও লিখেছেন, ‘‘এই জয় ডাবল ইঞ্জিন সরকারের সুরক্ষা, সুশাসন ও জনকল্যাণমূলক নীতি এবং নিবেদিতপ্রাণ কর্মীদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফল। আমি উত্তর প্রদেশের ভোটারদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি, যারা উত্তর প্রদেশের সুশাসন ও উন্নয়নের জন্য ভোট দিয়েছেন এবং সমস্ত জয়ী প্রার্থীদের আন্তরিক অভিনন্দন জানাই! বাটেঙ্গে তো কাটেঙ্গে। এক রেহেঙ্গে-সেফ রেহেঙ্গে।’’

    অসম থেকে বিহার সর্বত্র বিজেপির জয়জয়কার

    অসমে পাঁচটি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে বিজেপি তিনটি আসন নিজেদের দখলে রাখতে পেরেছে। একটি আসন কংগ্রেসের হাত থেকে ছিনিয়ে নিতে পেরেছে গেরুয়া শিবির (BJP)। রাজস্থানেও অব্যাহত বিজেপির ঝড় ও কংগ্রেসের শক্তিক্ষয়। সেখানে সাতটি বিধানসভা আসনের মধ্যে পাঁচটি নিজেদের দখলে রেখেছে বিজেপি। বিহারে চারটি বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন হয়েছিল। চারে চার দখল করেছে এনডিএ জোট। চারটি আসনের মধ্যে বিজেপি জয়লাভ করেছে দুটি আসন। অন্যদিকে বাকি দুটি আসনের মধ্যে একটি পেয়েছে নীতীশ কুমারের জনতা দল ইউনাইটেড (জেডিইউ)। আরেকটি জিতন রাম মাঞ্জির হিন্দুস্তানি আওয়ামি মোর্চা (হাম)।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Yogi Adityanath: “সুশাসন ও কল্যাণ নীতির জন্যই জয়”, বললেন যোগী আদিত্যনাথ

    Yogi Adityanath: “সুশাসন ও কল্যাণ নীতির জন্যই জয়”, বললেন যোগী আদিত্যনাথ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “উপনির্বাচনে বিজেপি যে ডমিনেট করছে, তার কারণ সুশাসন ও কল্যাণ নীতি।” শনিবার কথাগুলি বললেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)।

    এগিয়ে বিজেপি

    এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিজেপি (UP Bypolls) গাজিয়াবাদ এবং খৈর আসনে জিতেছে। এগিয়ে রয়েছে কুণ্ডারকি, ফুলপুর, মাজহাওয়ান এবং কাতেহারিতে। বিজেপির সহযোগী রাষ্ট্রীয় লোক দল (আরএলডি) মীরাপুর আসনে এগিয়ে রয়েছে। সমাজবাদী পার্টি সিসমাউতে জিতেছে এবং করহালে এগিয়ে রয়েছে।  এদিন সন্ধেয় জানা যায়, ৯টির মধ্যে ৭টি আসনে জিতেছে বিজেপি।

    কী লিখলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী

    ট্যুইট-বার্তায় আদিত্যনাথ লিখেছেন, “উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা উপনির্বাচনে বিজেপি-এনডিএর জয় হল জনগণের অটুট বিশ্বাসের প্রমাণ, যা সফল নেতৃত্ব ও মহামান্য প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদিজির নির্দেশনায় স্থাপন করা হয়েছে। এই জয় হল ডাবল ইঞ্জিন সরকারের নিরাপত্তা, সুশাসন এবং জনকল্যাণমূলক নীতি, এবং নিবেদিত কর্মীদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফল।”

    তিনি বলেন, উত্তরপ্রদেশের সম্মানিত ভোটারদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি, যাঁরা উত্তরপ্রদেশের সুশাসন ও উন্নয়নের পক্ষে ভোট দিয়েছেন এবং সমস্ত বিজয়ী প্রার্থীকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই! এদিন আরও একবার যোগী বলেন, “বাটেঙ্গে তো কাটেঙ্গে”, “এক হন তো সুরক্ষিত হন”।

    মহারাষ্ট্র ও ঝাড়খণ্ডে প্রচারে গিয়ে আদিত্যনাথ তাঁর বাটেঙ্গে তো কাটেঙ্গে স্লোগানের জয়গান গেয়েছিলেন। তার জেরে বিরোধীদের ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন। আদিত্যনাথ স্বয়ং এই স্লোগান সমর্থন করে বলেন, বিরোধীরাই জাত ও ধর্মের ভিত্তিতে মানুষকে বিভক্ত করছে।

    আরও পড়ুন: বিহার উপনির্বাচনে এনডিএ জোট চারে চার, শূন্য ‘ইন্ডি’, যোগীরাজ্যেও জয় ৭টিতে

    উত্তরপ্রদেশ (Yogi Adityanath) বিধানসভা উপনির্বাচনে ন’টি আসনে বিজেপি ডমিনেট করছে। এর মধ্যে ইতিমধ্যেই দুটি আসনে জয়ী হয়েছে তারা। চারটিতে এগিয়ে রয়েছে। গাজিয়াবাদে বিজেপির সঞ্জীব শর্মা সমাজবাদী পার্টির প্রার্থী সিং রাজ জাটভকে ৬৯ হাজার ৩৫১ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেছেন। খাইরেয় বিজেপি প্রার্থী সুরেন্দ্র দিলের সমাজবাদী পার্টির চারু কাইনকে ৩৮ হাজার ৩৯৩ ভোটে পরাস্ত করেন।

    এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ফুলপুরে বিজেপির প্রার্থী দীপক প্যাটেল সমাজবাদী পার্টির মহম্মদ মুজতবা সিদ্দিকির থেকে ১১ হাজার ১৩টি ভোটে এগিয়ে রয়েছেন। কাটেহারিতে বিজেপি প্রার্থী ধর্মরাজ নিষাদ সমাজবাদী পার্টির শোভাবতী বর্মার থেকে ১৫ হাজার ৪১০ ভোটে এগিয়ে রয়েছেন। আর এক বিজেপি প্রার্থী সুচিস্মিতা মৌর্য (UP Bypolls) সমাজবাদী পার্টির জ্যোতি বিন্দের থেকে এগিয়ে রয়েছে ৬ হাজার ৮০০ ভোটে (Yogi Adityanath)।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Maharashtra Assembly Elections: মাত্র ছ’মাসেই মহারাষ্ট্রে ঘুরে দাঁড়াল বিজেপি, কোন মন্ত্রবলে জানেন?

    Maharashtra Assembly Elections: মাত্র ছ’মাসেই মহারাষ্ট্রে ঘুরে দাঁড়াল বিজেপি, কোন মন্ত্রবলে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্যবধান মাত্রই ছ’মাসের। এপ্রিলে লোকসভা নির্বাচনে যে রাজ্যে পদ্মের হাল (Mahayuti) মলিন হয়ে গিয়েছিল, মাত্র ছ’মাস পরেই সেই রাজ্যই পদ্মময়। মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে মহা বিকাশ অঘাড়ী জোটকে ধরাশায়ী করে জয়ডঙ্কা বাজাচ্ছে বিজেপি। এ রাজ্যে গেরুয়া শিবির বলে বলে গোল দিয়েছে বিরোধীদের। লোকসভা নির্বাচনের পর মহারাষ্ট্রের কুর্সি দখলের যে স্বপ্ন বিরোধীরা দেখেছিলেন, সেই স্বপ্নই বিধানসভা নির্বাচনে খড়কুটোর মতো ভেসে গেল আরব সাগরের জলে। প্রশ্ন হল, কোন মন্ত্রবলে বিজেপির এই ঘুরে দাঁড়ানো আর বিরোধীদের অধঃপতন? আসছি সেই আলোচনায়ই।

    নিশ্চুপে মেরামত করে চলেছে ভাঙা নৌকার হাল (Maharashtra Assembly Elections)

    বিজেপি সূত্রে খবর, লোকসভা নির্বাচনের পর হাতে যে ছ’মাস ছিল, সেই সময় নিজেকে গড়েপিটে নিয়েছে মহারাষ্ট্র বিজেপি। শত্রুর ঘরে (পড়ুন বিরোধী শিবিরে) যখন নিত্য বয়ে গিয়েছে অশান্তির চোরাস্রোত, তখন বিজেপি নিশ্চুপে মেরামত করে চলেছে ভাঙা নৌকার হাল। যারই সুফল গেরুয়া শিবির কুড়িয়েছে বিধানসভা নির্বাচনে। গত ছ’মাসে একের পর এক সাহসী এবং জনকল্যাণকর পদক্ষেপ নিয়েছেন গৈরিক নেতারা।

    জনকল্যাণমুখী পদক্ষেপ

    নীতিগত সংশোধনের পদক্ষেপের পাশাপাশি কৃষক, নারী ও অনগ্রসর শ্রেণির জন্যও বিভিন্ন জনহিতকর কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে মহরাষ্ট্র সরকার। রাজনৈতিক মহলের মতে, মহাযুতি সরকারের এসব পদক্ষেপই ফলপ্রসূ হয়েছে। মহাযুতি সরকারের তিন শরিক— বিজেপি, শিবসেনা এবং ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি। লোকসভা নির্বাচনে বিপর্যয়ের পরে পরিস্থিতি পাল্টাতে সক্ষম হয়েছে এই জোট। মহারাষ্ট্রে লোকসভা আসন রয়েছে ৪৮টি। তার মধ্যে (Maharashtra Assembly Elections) বিজেপি পেয়েছিল মাত্র ১৭টি আসন (Mahayuti)। বাকি কেন্দ্রের রাশ গিয়েছে মহা বিকাশ অঘাড়ী (MVA) জোটের ঝুলিতে। শনিবার বিধানসভা নির্বাচনের ফল বের হওয়া শুরু হতেই চওড়া হতে থাকে বিজেপি নেতাদের মুখের হাসি। এদিন দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ১২৪টি আসনে জয় পেয়েছে পদ্ম শিবির। বিভিন্ন আসনে এগিয়ে রয়েছে মহাযুতি সরকারের জোট শরিকরা।

    আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্রে জয় নিশ্চিত ‘মহাযুতি’ জোটের, ভোটারদের ধন্যবাদ একনাথ শিন্ডের

    দুয়ারে জনকল্যাণকর বিভিন্ন পরিষেবা

    মহারাষ্ট্রবাসীর দুয়ারে জনকল্যাণকর বিভিন্ন পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার সুফল যেমন বিজেপি কুড়িয়েছে, তেমনি আরএসএসের প্রচারও গৈরিক শিবিরের ঘরে তুলে দিয়েছে লাভের কড়ি। মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে আদাজল খেয়ে ময়দানে নেমে পড়েছিল আরএসএস। বিজেপি এবং রাজ্যের শাসক জোটের হয়ে ব্যাপক প্রচারও করেছে তারা। যার জেরে হতাশা কাটিয়ে উঠে বিজেপির পক্ষে ভোট দিয়েছেন ভোটারদের একটা বড় অংশ। বিজেপিও তাদের কঠোর হিন্দুত্ববাদী অবস্থান জোরালো করে তোলে। বিজেপির স্লোগানের মধ্যে ছিল ‘এক হো তো সেফ হো’, ‘বাটেঙ্গে তো কাটেঙ্গে’ (ভাগ হলেই পতন)-এর মতো ঝাঁঝালো স্লোগান। এগুলোও ভোটারদের মনে গভীর ছাপ ফেলেছিল। এসবই জুগিয়েছে বিজেপির পালে হাওয়া। বিজেপি এবং আরএসএসের যুগলবন্দির মোকাবিলা করতে পারেনি মহা বিকাশ অঘাড়ী জোট। যার জেরে মহারাষ্ট্রে পানি পায়নি এই মহাজোট।

    ওবিসি সম্প্রদায়

    মারাঠা আন্দোলন (Maharashtra Assembly Elections) ওবিসি সম্প্রদায়গুলিকে মেরুকরণ করবে বলে আশা করা হয়েছিল। বিজেপি তার জনসংযোগ পরিকল্পনার মাধ্যমে বিচ্ছিন্ন ৩৫৩টি সম্প্রদায়কে ঐক্যবদ্ধ করার লক্ষ্যে নেমেছিল। মহারাষ্ট্র নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদব এবং রাজ্যের শীর্ষ নেতারা অঞ্চলভিত্তিকভাবে ওবিসি সম্প্রদায়ের সঙ্গে বিজেপির সংযোগ স্থাপনের জন্য সুপরিকল্পিতভাবে কাজ করেছিলেন। বিজেপি কেন্দ্রীয় ওবিসি তালিকায় সাতটি জাতি বা উপজাতিকে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাবও রেখেছিল ওবিসি কমিশনের কাছে। ওবিসি সম্প্রদায়ের এই সূক্ষ্ম ব্যবস্থাপনা মহাযুতির পক্ষে মাঠ পর্যায়ে কার্যকর প্রমাণিত হয়। মহারাষ্ট্র বিধানসভার আসন সংখ্যা ২৮৮টি। এর মধ্যে ১৭৫টি আসনে নির্ণায়ক শক্তি ওবিসি সম্প্রদায়। তার একটা বড় অংশই এবার গিয়েছে গেরুয়া ঝুলিতে। যার জেরে আরব সাগরের তীরের লোনা মাটিতেও ফুটেছে পদ্ম।

    ‘কৃষি আমাদের ভিত্তি’

    মহারাষ্ট্রের জনসংখ্যার ৬৫ শতাংশই কৃষির ওপর নির্ভরশীল। তাই লোকসভা নির্বাচনে পরাস্ত হওয়ার পর কৃষকদের ভোট পদ্ম-ঝুলিতে টানতে একাধিক পদক্ষেপ করে মহারাষ্ট্রের মহাযুতি সরকার। এর মধ্যে ছিল রাজ্য বাজেটে সরকার ৭.৫ হর্সপাওয়ার পর্যন্ত কৃষি পাম্প ব্যবহারকারী কৃষকদের জন্য বিনামূল্যে বিদ্যুৎ সরবরাহের ঘোষণা। নির্বাচনী ইশতেহারে, মহাযুতি ফসল ঋণ মকুবের প্রতিশ্রুতিও দেয় সরকার। ‘ভাবান্তর যোজনা’র মাধ্যমে এমএসপি এবং প্রকৃত ক্রয়মূল্যের পার্থক্য পরিশোধ করার প্রতিশ্রুতিও দেয় সরকার। এছাড়াও গুচ্ছ জনকল্যাণমূলক কর্মসূচি হাতে নেয় সরকার। বিধানসভা নির্বাচনে এসবই ডিভিডেন্ট দিয়েছে বিজেপিকে। তার জেরেই আরব সাগরের তীর হয়েছে (Mahayuti) পদ্মময়। মহারাষ্ট্রের কুর্সির রং হয়েছে গেরুয়া (Maharashtra Assembly Elections)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share