Tag: bjp

bjp

  • Hamid Ansari Contro: সত্য গোপন করছেন হামিদ আনসারি, দাবি প্রধানমন্ত্রীর সহ-জীবনীকারের

    Hamid Ansari Contro: সত্য গোপন করছেন হামিদ আনসারি, দাবি প্রধানমন্ত্রীর সহ-জীবনীকারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের তৎকালীন উপরাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারির ডাকে ভারতে এসেছিলেন পাক সাংবাদিক নুসরত মির্জা। সংগ্রহ করেছিলেন বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। পাকিস্তানে ফিরে গিয়ে সেই তথ্য তুলে দিয়েছেন সে দেশের গুপ্তচর সংস্থা ইন্টার সার্ভিস ইন্টেলিজেন্স বা আইএসআইকে। খোদ পাক সাংবাদিকের এই বিস্ফোরক মন্তব্যে তোলপাড় গোটা দেশ। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি। তবে হামিদ যে মিথ্যে বলছেন, তা দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জীবনীকার আদিস সি আগরওয়াল।

    ট্যুইটবার্তায় আদিস বলেন, জঙ্গিবাদের ওপর এক আলোচনাসভায় হামিদ ওই পাক সাংবাদিককে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। ওই আলোচনা সভায় যে হামিদ গিয়েছিলেন, তা স্বীকার করেছেন জাতীয় কংগ্রেসের সচিব জয়রাম রমেশ। তবে নুসরতকে যে হামিদই আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন, তা অস্বীকার করেছেন তিনি। অথচ নুসরত মির্জাকে ভারতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন হামিদ আনসারি। জিজ্ঞাসাবাদ এড়াতেই এখন তিনি অভিযোগ অস্বীকার করছেন। হামিদ যে মিথ্যে বলছেন, নানা তথ্য দিয়ে তা প্রমাণ করে দিয়েছেন ইন্টারন্যাশনেল কাউন্সিল অফ জুরিস্টের সভাপতি আদিস। তিনি আবার অল ইন্ডিয়া বার অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যানও। আদিস জানান, তথ্যের ভিত্তিতে তিনি সত্য উদ্ঘাটন করতে চান।

    আরও পড়ুন : প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারি পাক চরকে ভারতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন! বিস্ফোরক দাবি

    আদিস বলেন, ২০১০ সালের ১১ ও ১২ তারিখে অনুষ্ঠিত হয়েছিল ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অফ জুরিস্টস অন ইন্টারন্যাশনাল টেররিজম অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস। নয়াদিল্লির বিজ্ঞান ভবনে হয়েছিল ওই আলোচনা সভা। সভায় ছিলেন হামিদ। যদিও নুসরত ওই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন না। ছিলেন না অনুষ্ঠানেও। এমনকী, এই অনুষ্ঠানের উল্লেখ পরবর্তীকালে কেরননি মির্জা।

    আদিস বলেন, আমি ওই আলোচনাসভার আহ্বায়ক ছিলাম। যখন আলোচনাসভা আয়োজিত হচ্ছিল, তখন উপরাষ্ট্রপতি হিসেবে আমন্ত্রণ পাঠানো হয়েছিল হামিদ আনসারিকে। হামিদের সচিবালয় থেকে আমাকে আমন্ত্রণ জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। আদিস আরও বলেন, উপরাষ্ট্রপতির সচিবালয়ের তৎকালীন ডিরেক্টর ছিলেন অশোক দেওয়ান। তিনি আমাকে জানান নুসরতকে অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানোর নির্দেশ দিয়েছেন উপরাষ্ট্রপতি স্বয়ং। যাই হোক, আমরা উপরাষ্ট্রপতির সেই অনুরোধ রাখতে পারিনি। কারণ ওই অনুষ্ঠানে পাকিস্তানের কোনও মিডিয়া কিংবা বিচারক এবং আইনজীবীদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।

    আদিস বলেন, এরপর যখন দেওয়ান বিষয়টি জানতে পারলেন, তখন তিনি আমাকে ডেকে পাঠালেন। সেটি ছিল সভার আগের দিন। দেওয়ান আমাকে জানান, মির্জাকে আমন্ত্রণ না পাঠানোয় উপরাষ্ট্রপতি খুশি হননি, অপমানিত বোধ করেছেন। আগে তিনি ঘণ্টাখানেক সভায় থাকবেন বললেও, এখন তিনি জানিয়েছেন, কুড়ি মিনিট থাকবেন।

    আরও পড়ুন :কে হবেন উপরাষ্ট্রপতি প্রার্থী? শনিবার বৈঠকে বিজেপি

    আদিস বলেন, অনুষ্ঠানের দিন ঘড়ির কাঁটায় কুড়ি মিনিট হতেই সভাস্থল ছাড়েন হামিদ। যদিও কংগ্রেসের কিছু নেতা এনিয়ে সত্য গোপন করতে চাইছেন। তাঁরা এটা প্রমাণ করতে চাইছেন আমি প্রধানমন্ত্রীর সহ জীবনীকার বলেই এসব বলছি। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁরা বলছেন, মোদি ভক্ত হওয়ায় আদিস এসব বলছেন। ওঁদের দাবি, আসলে আমিই না কি নুসরতকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম। এখন দায় চাপাচ্ছি হামিদের ওপর।

    আদিসের মতে, সত্য ধামাচাপা দিতেই এসব করা হচ্ছে। নিজেকে বাঁচাতেই এসব বর্ম ব্যবহার করছেন হামিদ। আদিস বলেন, আসল ঘটনা হল আমি যে আলোচনাসভার আয়োজন করেছিলাম, তাতে হামিদ এবং মির্জা একসঙ্গে ছিলেন না। কিন্তু, এই দুজন যে কনফারেন্সে একসঙ্গে ছিলেন, তা ছিল ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স এগেইনস্ট টেররিজম।

    আদিস জানান, এই সভার আয়োজক ছিল জামা মসজিদ ইউনাইটেড ফোরাম। আলোচনা সভা হয়েছিল নয়াদিল্লির ওবেরয় হোটেলে। হামিদের পাশাপাশি সেখানে উপস্থিত ছিলেন জামা মসজিদের শাহি ইমাম আহমেদ বুখারি, ফারুক আবদুল্লা সহ বেশ কয়েকজন মুসলিম নেতা। এর থেকে এটা স্পষ্ট যে, হামিদ এবং রমেশ সত্য গোপন করতে চাইছেন। আনসারিকে ক্লিনচিট দিতেই এটা করা হয়েছে। তাঁরা ইচ্ছে করেই জুরিস্ট কনফারেন্সের নাম নিচ্ছেন।

    আদিস জানান, ওই অনুষ্ঠানে মঞ্চ শেয়ার করেছিলেন হামিদ ও নুসরত। ওই অনুষ্ঠান রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী সবাই ছিলেন। তা থেকে স্পষ্ট মঞ্চে যাঁরা ছিলেন, তাঁদের অনুমোদন করেছিলেন হামিদ। এ থেকেও প্রমাণ হয় এক মঞ্চে ছিলেন হামিদ এবং মির্জা। তাই নুসরত যা বলছেন, তা ঠিকই বলছেন।

  • Jagdeep Dhankhar: বাংলার ভোটার ধনখড় শ্রাবণের সোমবার উপরাষ্ট্রপতি পদে মনোনয়ন পেশ করবেন

    Jagdeep Dhankhar: বাংলার ভোটার ধনখড় শ্রাবণের সোমবার উপরাষ্ট্রপতি পদে মনোনয়ন পেশ করবেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচনের দিনই শুভ কাজটি সেরে ফেলতে চাইছেন এনডিএ’র উপরাষ্ট্রপতি পদ প্রার্থী জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar)। সব কিছু ঠিকঠাক চললে আগামীকাল সোমবারেই উপরাষ্ট্রপতি পদে নিজের মনোনয়ন দাখিল করবেন তিনি। সকাল সাড়ে এগারোটার সময় পেশ করবেন মনোনয়ন পত্র। আজ রাতভর তাঁর মনোনয়ন পত্র তৈরি করা হচ্ছে। নেতৃত্বে রয়েছেন কেন্দ্রীয় পরিবেশমন্ত্রী ভুপেন্দ্র যাদব।

    আরও পড়ুন : দ্রৌপদী মুর্মুকে কেন রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী করল এনডিএ, জানেন কি?

    ধনখড়ের মনোনয়নের সবচেয়ে চমকপ্রদ দিকটি হল তিনি বাংলার প্রতিনিধি হিসাবে উপরাষ্ট্রপতি পদে মনোনয়ন দেবেন। কারণ, গত জানুয়ারি মাসের ভোটার তালিকা সংশোধনের সময় রাজভবনের ঠিকানায় তাঁর ও স্ত্রী সুদেশ ধনখড়ের নাম তুলিয়েছিলেন তিনি। বিশেষ দূত মারফৎ রবিবারই সেই ভোটার তালিকার নামের প্রত্যয়িত কপি দিল্লি পাঠিয়েছে রাজভবন। উপরাষ্ট্রপতির মনোনয়ন বলে কথা, তাই ছুটির দিনেও রাজ্য নির্বাচনী আধিকারিক অফিস খুলে দ্রুততার সঙ্গে কাগজপত্র তৈরি করে দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

    তিন বছর কলকাতা রাজভবনের বাসিন্দা হয়ে বর্তমান রাজ্যপাল বারবার বাংলার সংস্কৃতির সঙ্গে নিজেকে মেশাতে চেয়েছিলেন। সেই সূত্রেই কলকাতার ভোটার তালিকায় নামও তুলেছিলেন। ফলে সরকারিভাবে রাজস্থানের জাঠ পরিবারে জন্ম নেওয়া, দিল্লিতে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হিসাবে কাজ করা ধনখড় বাংলার ভোটার হিসাবেই উপরাষ্ট্রপতি পদে মনোনয়ন জমা দেবেন।

    আরও পড়ুন : রাজ্যে গণতন্ত্র রক্ষার্থে গর্জে উঠুন বুদ্ধিজীবীরা, আহ্বান রাজ্যপালের 

    রাজভবন সূত্রের খবর, মনোনয়নের পর কলকাতা ফিরে আসবেন তিনি। বাংলার জন্য নতুন রাজ্যপাল নিয়োগ পাকা হলেই তিনি পদত্যাগ করবেন। দেশের প্রথম জনজাতি মহিলা রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর হাতেই পশ্চিমবঙ্গের পরবর্তী রাজ্যপালের নিয়োগ হবে। দ্রৌপদীদেবীর সম্ভবত সেটিই হবে প্রথম গুরুত্বপূর্ণ নিয়োগ। তখন আরও একটি চমক বাংলার জন্য অপেক্ষা করছে।

    আরও পড়ুন : উপরাষ্ট্রপতি পদে বিজেপির বাজি বাংলার রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়  

     

     

     

  • Vice President Election: কে হবেন উপরাষ্ট্রপতি প্রার্থী? শনিবার বৈঠকে বিজেপি 

    Vice President Election: কে হবেন উপরাষ্ট্রপতি প্রার্থী? শনিবার বৈঠকে বিজেপি 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উপরাষ্ট্রপতি (Vice President) প্রার্থী কে হবেন, তা নির্ধারণ করার জন্যে শনিবার সংসদীয় বোর্ডের বৈঠক ডেকেছে বিজেপি (BJP)। বিজেপির দেওয়া প্রার্থীই যে উপরাষ্ট্রপতি হবেন সে বিষয়ে একপ্রকার নিশ্চিত রাজনৈতিক মহল। কারণ নির্বাচনী কলেজে বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠ।

    আরও পড়ুন: পাঁচ বছরের মেয়াদে রাষ্ট্রপতি কোবিন্দ আটকে দিয়েছেন রাজ্যের ৩ বিল, স্বাক্ষর করেছেন ১৫৯টিতে 
     
    বিজেপি সূত্রে জানানো হয়েছে, বিরোধী দলগুলির কাছ থেকেও তাদের মনোনীত প্রার্থীর জন্যে সমর্থন চাওয়া হবে। যদিও বিরোধীরাও যে প্রার্থী দেবে সে বিষয়েও নিশ্চিত বিজেপি। 

    সংসদীয় বোর্ড হল বিজেপির সর্বোচ্চ সাংগঠনিক সংস্থা। এর সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহ, রাজনাথ সিং, নীতিন গড়করি ছাড়াও দলের সভাপতি জে পি নাড্ডা। নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ১৯ জুলাই এবং ৬ আগস্ট নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে।

    আরও পড়ুন: প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারি পাক চরকে ভারতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন! বিস্ফোরক দাবি

    পরবর্তী রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করবে নির্বাচনী কলেজ। লোকসভা এবং রাজ্যসভার সদস্যদের নিয়ে গঠিত নির্বাচনী কলেজ। এই ৭৮০ জন সাংসদই নির্বাচন করবেন ভারতের পরবর্তী উপরাষ্ট্রপতি। উপরাষ্ট্রপতিই হবেন রাজ্যসভার অধ্যক্ষ। সংসদে এই মুহূর্তে বিজেপির ৩৯৪ জন সাংসদ রয়েছেন। ম্যাজিক ফিগার ৩৯০- এর থেকেও বেশি। বর্তমান উপরাষ্ট্রপতি এম ভেঙ্কাইয়া নাইডুর মেয়াদ ১০ আগস্ট শেষ হচ্ছে৷    

    ইতিমধ্যেই ওড়িশার সাঁওতাল সম্প্রদায়ের দ্রৌপদী মুর্মুকে (Droupadi Murmu) রাষ্ট্রপতি প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করেছে এনডিএ। আগামী ১৮ জুলাই হবে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চাসহ বেশ কয়েকটি আঞ্চলিক দল এনডিএ প্রার্থীকে সমর্থন জানিয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস এবং আম আদমি পার্টির মতো প্রধান বিরোধী দলগুলি যশোবন্ত সিনহা এবং দ্রৌপদী মুর্মুর মধ্যে কাকে ভোট দেবে তা নিয়ে এখনও অনিশ্চয়তা রয়ে গিয়েছে। জল্পনা রয়েছে, উপরাষ্ট্রপতি হিসেবে ওবিসি বা উঁচু সম্প্রদায়ের কোনও প্রার্থী দিতে চলেছে বিজেপি। 

    শোনা যাচ্ছে, বিজেপির উপরাষ্ট্রপতির প্রার্থী দেখেই নিজেদের প্রার্থী দেবে বিরোধীরা। সম্ভবত সেই কারণেই উপরাষ্ট্রপতি প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে বিরোধী শিবির আপাতত চুপ রয়েছে। শাসক জোট এনডিএর প্রার্থী কে হচ্ছেন, তা দেখে তবে নিজেদের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করবে তারা। সেই হিসাব করে কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে আগামী ১৭ তারিখ বিরোধী দলগুলিকে নিয়ে বৈঠক ডেকেছেন নয়াদিল্লিতে। জানানো হয়েছে, সংসদের আসন্ন বর্ষাকালীন অধিবেশনের কৌশল তৈরি করা এবং উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনের বিরোধী প্রার্থী নিয়ে আলোচনা করা হবে সেখানে। জানা গিয়েছে, কংগ্রেস বা তৃণমূল কংগ্রেস কেউই উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী দিচ্ছে না। আঞ্চলিক দলগুলির থেকেই প্রার্থী বাছা হবে বলে খবর।

  • RSS: উদয়পুরের মতো নৃশংস ঘটনার প্রতিবাদ করা উচিত মুসলিমদেরও, জানাল আরএসএস  

    RSS: উদয়পুরের মতো নৃশংস ঘটনার প্রতিবাদ করা উচিত মুসলিমদেরও, জানাল আরএসএস  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দুরা প্রতিবাদ করেছে শান্তিপূর্ণ ও সাংবিধানিক পথে। মুসলিমদেরও উচিত ছিল সেই বিক্ষোভে সামিল হওয়া। জানাল আরএসএস। হজরত মহম্মদকে নিয়ে বিজেপির (BJP) সাসপেন্ডেড মুখপাত্র নূপুর শর্মার (Nupur Sharma) বক্তব্যকে সমর্থন জানিয়ে সম্প্রতি রাজস্থানের উদয়পুরে খুন হতে হয়েছে এক হিন্দু দর্জিকে। সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই এদিন এমন মন্তব্য করে আরএসএস (RSS)। আরএসএসের মুখপাত্র সুনীল আম্বেকর (Sunil Ambekar) বলেন, আমাদের সকলের একযোগে প্রতিবাদ করা প্রয়োজন। রাজস্থানের ঝুনঝুনুতে অখিল ভারতীয় প্রান্ত প্রচারকদের তিন দিন ধরে চলা বৈঠক শেষ হয় শনিবার। আম্বেকর জানান, দেশে আরএসএসের শাখার সংখ্যা বর্তমানে ৫৬ হাজার ৮২৪ জন। ২০২৪ সালে এক লক্ষে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন : হিন্দু-মুসলিম সম্পর্কে ভাগবতের মন্তব্য সংগঠনের বক্তব্যের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ, জানাল আরএসএস

    ২০২৫ সালে সংঘের একশো বছর পূর্তি। সেই উৎসব কীভাবে উদযাপন করা হবে, তা নিয়েও ওই বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলেও জানান আরএসএস মুখপাত্র। তিনি বলেন, চব্বিশে দেশজুড়ে সংঘের এক লক্ষ শাখা থাকবে। সমাজের সব শ্রেণির মানুষের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করবে আরএসএস। একটা সদর্থক পরিবেশ তৈরি হবে। তিনি বলেন, মত প্রকাশের স্বাধীনতার অধিকার থাকা উচিত প্রত্যেকের। তবে সেক্ষেত্রে জনসাধারণের আবেগের বিষয়টিও খেয়াল রাখা প্রয়োজন।  

    আরও পড়ুন : বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে সাসপেন্ড নূপুর শর্মা, নবীন জিন্দালকে বহিষ্কার বিজেপি-র

    উদয়পুরের ঘটনাকে ধিক্কার জানিয়ে আম্বেকর বলেন, দেশে গণতন্ত্র আছে। সাংবিধানিক গণতান্ত্রিক অধিকারও রয়েছে। যদি কারও কিছু পছন্দ না হয়, তাহলে তা গণতান্ত্রিক পথে প্রকাশ করা যায়। তিনি জানান, কয়েকজন বুদ্ধিজীবী এর প্রতিবাদ করেছেন। কিন্তু মুসলিম সম্প্রদায়েরও এগিয়ে আসা উচিত। প্রসঙ্গত, নূপুর শর্মার বিতর্কিত মন্তব্যকে সমর্থন করায় হিন্দু দর্জি কানহাইয়া লালকে দোকানে ঢুকে কুপিয়ে খুন করে মুসলিম সম্প্রদায়ের দুজন। গোটা ঘটনাটি মোবাইল বন্দি করে ছড়িয়ে দেওয়া হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। ওই ঘটনায় দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আরএসএসের এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মোহন ভাগবত, সরকার্যবাহ দত্তাত্রেয় হোসবোলে প্রমুখ ব্যক্তিত্ব।  

     

  • Sukanta Majumdar: লোকসভায় সবচেয়ে বেশি প্রশ্ন করে রেকর্ড সুকান্ত মজুমদারের 

    Sukanta Majumdar: লোকসভায় সবচেয়ে বেশি প্রশ্ন করে রেকর্ড সুকান্ত মজুমদারের 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভায় (Lok Sabha) সব চেয়ে বেশি প্রশ্ন করে রেকর্ড গড়ে ফেললেন সাংসদ বিজেপির (BJP) সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতিও তিনি। দিলীপ ঘোষকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়ার পর রাজ্যের ব্যাটন তুলে দেওয়া হয় বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্তের হাতে। তার পর থেকে দলকে নয়া উচ্চতায় তুলে নিয়ে যাওয়ার নিরন্তর চেষ্টা করে চলেছেন তিনি। কেবল দল নয়, তাঁর সংসদ ক্ষেত্রের প্রতিও যে তিনি সমান মনোযোগী, তার প্রমাণ মিলল লোকসভার রেকর্ডেই।

    লোকসভার অধিবেশন চলাকালীন আলোচনা হয় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে। প্রতিটি অধিবেশেনর দিনগুলির একটি নির্দিষ্ট সময় বরাদ্দ থাকে প্রশ্নোত্তর পর্বের জন্য। এই সময় কোনও সাংসদ তাঁর কোনও প্রশ্ন থাকলে, তা করতে পারেন। সচরাচর লোকসভায় অধিবেশন হয় তিনটি। এগুলি হল বাজেট অধিবেশন, শীতকালীন অধিবেশন এবং বাদল অধিবেশন। এছাড়াও জরুরি প্রয়োজনে অধিবেশন ডাকা হতে পারে। এই অধিবেশনগুলিতেই প্রশ্ন করতে পারেন সাংসদরা। এ রাজ্যে লোকসভার আসন সংখ্যা ৪২। তার মধ্যে বিজেপির সাংসদ রয়েছেন ১৭ জন। আর তৃণমূলের হাতে রয়েছে ২৩ জন। কংগ্রেসের সদস্য সংখ্যা ২।

    আরও পড়ুন : অরুণাচল প্রদেশে ১০২ আসনে জয়ী বিজেপি, কী বললেন আইনমন্ত্রী?

    সংসদের রেকর্ড অনুযায়ী, জাতীয়স্তরে সাংসদরা গড়ে প্রশ্ন করেছেন ১৩০টি করে। রাজ্যের ক্ষেত্রে প্রশ্নের হারের করুণ দশা স্পষ্ট। সংসদের তথ্য অনুযায়ী, বাংলার সাংসদরা গড়ে প্রশ্ন করেছেন ৮৫টি করে। তবে চমকে দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দথা বালুরঘাটের সাংসদ বিজেপির সুকান্ত। তিনি প্রশ্ন করেছেন ৪৪৪টি। সুকান্তের পরেই যে নামটি রয়েছে, তিনিও বিজেপির। তিনি বিদ্যুৎ মাহাতো। ঝাড়খণ্ডের সাংসদ। তিনি প্রশ্ন করেছেন ৪৩৭টি। চারশোর বেশি প্রশ্ন করেছেন আরও একজন, শ্রীরঙ্গ বার্নে। তিনি শিবসেনার বিধায়ক। তিনি প্রশ্ন করেছেন ৪৩৫টি। এনসিপির সুপ্রিয়া সুলে প্রশ্ন করেছেন ৪৩০টি।   

    জানা গিয়েছে, লোকসভায় মহারাষ্ট্রের সদস্য সংখ্যা ৪৯। সব মিলিয়ে তাঁরা প্রশ্ন করেছেন ১০ হাজার ৯৩২টি। উত্তর প্রদেশের সদস্য সংখ্যা ৮০। তাঁরা প্রশ্ন করেছেন ৬ হাজার ১৬৩টি। উনিশের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের অর্পিতা ঘোষকে বিপুল ভোটে হারিয়ে লোকসভায় যান সুকান্ত। প্রথমবারের জন্য লোকসভায় পা রেখেই সভা মাতিয়ে দিয়েছেন বিজেপির এই সাংসদ। সব মিলিয়ে তাঁর প্রশ্নের সংখ্যা ৪৪৪টি। চাকরি, মহিলাদের ক্ষমতায়ন সহ বিভিন্ন বিষয়ে ওই প্রশ্নগুলি করেছেন বিজেপির অধ্যাপক সাংসদ।

    আরও পড়ুন : আইনশৃঙ্খলা নিয়ে অমিত শাহকে চিঠি শুভেন্দুর, দাবি এনআইএ তদন্তেরও

     

  • BJP on Hamid Ansari: হামিদ আনসারি এবং পাক চর এক মঞ্চে, ছবি প্রকাশ বিজেপির 

    BJP on Hamid Ansari: হামিদ আনসারি এবং পাক চর এক মঞ্চে, ছবি প্রকাশ বিজেপির 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার সাংবাদিকের বেশে ভারতে আসা পাক গুপ্তচর ইস্যুতে প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি (Vice President) হামিদ আনসারির (Hamid Ansari) বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাল ভারতীয় জনতা পার্টি (BJP)।  

    সম্প্রতি প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতির কার্যালয় থেকে বিবৃতি জারি করে বলা হয়, “পাকিস্তানি সাংবাদিক নুসরত মির্জাকে চেনেন না প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি। ২০০৯ বা ২০১০ সালে সন্ত্রাসবাদ বা অন্য কোনও সম্মেলনে ওই সাংবাদিককে কখনও তিনি আমন্ত্রণ জানাননি।” আর এর পরেই প্রমাণ নিয়ে হাজির হয় বিজেপি। শুক্রবার একটি ছবি প্রকাশ করে বিজেপি দাবি করেছে পাক চর নুসরত মির্জার সঙ্গে একই মঞ্চে ছিলেন হামিদ আনসারি। পাক সাংবাদিক নুসরত মির্জা এর আগেই দাবি করেছেন, ইউপিএ ভারতের সরকারে থাকাকালীন তিনি পাঁচবার ভারতে এসেছিলেন এবং যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইকে পাচার করেছিলেন। এমনকি মির্জা এও দাবি করেন, হামিদ আনসারির আমন্ত্রণেই তিনি ভারতে এসেছিলেন। তাঁর সঙ্গে দেখাও করেছিলেন। এরপরই শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে একটি ছবি প্রকাশ করেন বিজেপি মুখপাত্র গৌরব ভাটিয়া (Gaurav Bhatia)। তাঁর দাবি, ২০০৯ সালের ২৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিত সন্ত্রাসবাদ দমন সংক্রান্ত একটি সম্মেলেনে একই মঞ্চে ছিলেন হামিদ আনসারি ও নুসরত মির্জা।     

    আরও পড়ুন: সত্য গোপন করছেন হামিদ আনসারি, দাবি প্রধানমন্ত্রীর সহ-জীবনীকারের
      
    নুসরত মির্জা আরও দাবি করেছিলেন, হামিদ আনসারি নাকি বেশ কিছু স্পর্শকাতর ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে তাঁর সঙ্গে আলোচনাও করেছিলেন। তবে সব অভিযোগই অস্বীকার করেছেন হামিদ আনসারি। গৌরব ভাটিয়া এদিন বলেন, “এরকম অনুষ্ঠানের আগে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার থেকে সবুজ সঙ্কেত নিতে হয়। তখন মুম্বই হামলার এক বছরও কাটেনি। তার মধ্যেই আইএসআই চরকে ভারতে আতঙ্কবাদ নিয়ে বক্তৃতা দিতে ডাকা হল?”  

    আরও পড়ুন: প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারি পাক চরকে ভারতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন! বিস্ফোরক দাবি

    এদিকে বিজেপির সুরেই সুর মিলিয়ে আনসারির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন অল ইন্ডিয়া বার অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান আদিশ আগরওয়াল। তিনি বলেন, সন্ত্রাসবাদ নিয়ে একটি সম্মেলনের আয়োজন করেছিল জামা মসজিদ ইউনাইটেড ফোরাম। সেই সম্মেলনের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। সেই সম্মেলনে সাংবাদিক মির্জাকে আমন্ত্রণ করার জন্যে উপরাষ্ট্রপতির কার্যালয় থেকে তাঁর ওপর চাপ এসেছিল। তিনি রাজী না হওয়ায় উপরাষ্ট্রপতি কার্যালয় তাঁর ওপর রুষ্ট হয়।”

  • Sukanta on SSC Scam: পার্থকে সরালেও এখনও কেন বহাল পরেশ? মমতাকে আক্রমণ বিজেপির

    Sukanta on SSC Scam: পার্থকে সরালেও এখনও কেন বহাল পরেশ? মমতাকে আক্রমণ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি দুর্নীতিকাণ্ডে (SSC Scam) মন্ত্রিত্ব খোয়াতে হয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে (Partha Chatterjee)। অথচ বহাল তবিয়তে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পদে রয়েছেন বামফ্রন্ট থেকে তৃণমূলে (TMC) আসা পরেশ অধিকারী (Paresh Adhikari)। এতেই ক্ষুব্ধ পদ্ম শিবির। বিজেপির (BJP) দাবি, বরখাস্ত করতে হবে পরেশ অধিকারীকেও। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের পাশাপাশি পরেশকে নিশানা করেছেন অমিত মালব্যও। 

    এসএসসিকাণ্ডে তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই, ইডি। ইতিমধ্যেই ইডি গ্রেফতার করেছে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কেও। অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে মিলেছে কোটি কোটি টাকা। এই টাকার উৎস খুঁজতে তদন্ত চালাচ্ছে ইডি। সেই কারণেই গ্রেফতার করা হয়েছে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ এবং অর্পিতাকে। 

    ইডি পার্থকে গ্রেফতার করতেই দায় ঝেড়ে ফেলতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে তৃণমূল। কেড়ে নেওয়া হয় পার্থের মন্ত্রিত্ব। তদন্ত শেষ না ইস্তক পার্থকে সাসপেন্ড করা হয় দল থেকে। যা আদতে বহিষ্কারেরই শামিল। কারণ এই তদন্ত এখনই শেষ হয়ে যাবে না বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের। পার্থের ওপর শাস্তির খাঁড়া নেমে এলেও, দিব্যি চেয়ারে রয়েছেন রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারী। কোচবিহারের মেখলিগঞ্জের এই বিধায়কের বিরুদ্ধে অভিযোগ, প্রভাব খাটিয়ে তালিকায় নাম না থাকা সত্ত্বেও মেয়ে অঙ্কিতাকে স্কুলে চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন তিনি। 

    আরও পড়ুন : শুধু এসএসসি নয়, পার্থ-অর্পিতা জড়িত প্রাথমিক টেট দুর্নীতিতেও! আদালতে দাবি ইডি-র

    এ ব্যাপারেই প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপি নেতৃত্ব। দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ট্যুইটে প্রশ্ন তোলেন, শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর বিরুদ্ধে কবে ব্যবস্থা নেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ট্যুইট বার্তায় সুকান্ত লিখেছেন, শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারী ক্ষমতার অপব্যবহার করে সরকারি স্কুলে মেয়েকে শিক্ষিকার চাকরি দিয়েছিলেন। হাইকোর্ট তাঁর মেয়ের চাকরি বাতিল করেছে। কিন্তু তিনি এখনও মন্ত্রী পদে রয়েছেন। 

     

    West Bengal MoS Education Paresh Adhikari misused his office and appointed his daughter as a teacher in govt school.

    High court removed her in illegal appointment but he still continues to be the Minister.

    When will @MamataOfficial take action against him? She has to answer. pic.twitter.com/nx8VyT9VcX

    — Dr. Sukanta Majumdar (@DrSukantaBJP) July 29, 2022

    The rot of SSC Scam is so deep that Calcutta HC had to cancel illegal appointment of Ankita Adhikari, daughter of Paresh Adhikari (an FIR has been filed against him), who is the MoS Education in Mamata Banerjee’s cabinet. Why has he not been sacked?

    Will Mamata Banerjee explain?

    — Amit Malviya (@amitmalviya) July 29, 2022

    [/tw]

    একই প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান তথা পশ্চিমবঙ্গের সহ পর্যবেক্ষক অমিত মালব্যও। ট্যুইট বার্তায় তিনি লেখেন, কলকাতা হাইকোর্ট শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর বেআইনি নিয়োগ বাতিল করেছে। মন্ত্রীর বিরুদ্ধে এফআইআরও হয়েছে। তাহলে কেন তাঁকে মন্ত্রিপদ থেকে বরখাস্ত করা হবে না?  

     



     
    এসএসসি দুর্নীতিকাণ্ডের তদন্ত করতে গিয়ে ২২ জুলাই পরেশের মেখলিগঞ্জের বাড়িতেও গিয়েছিলেন ইডির আধিকারিকরা। হাইকোর্টের নির্দেশে খোয়া গিয়েছে তাঁর মেয়ে অঙ্কিতার চাকরি। কোচবিহারেরই ইন্দিরা বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা ছিলেন তিনি। ইডির তল্লাশির সময় বাড়িতেই ছিলেন অঙ্কিতা। তদন্তকারীরা তাঁকে নিয়োগ সংক্রান্ত ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদও করেন বলে সূত্রের খবর। তার পরেও পরেশ স্বপদে বহাল থাকায় বিস্মিত বিজেপি। 

    আরও পড়ুন : তৃণমূল সরকারের দুর্নীতির প্রতিবাদে রাস্তায় নামল বিজেপি

    বাম-সঙ্গ ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পুরস্কার হিসেবে পরেশকে মন্ত্রিত্ব দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীর। তাই কি এখনও চেয়ার খোয়াননি পরেশ?

  • 2024 Lok Sabha Elections: পাখির চোখ ২৪ , দুর্বল বুথে শক্তি বাড়াতে নতুন কৌশল বিজেপি-র

    2024 Lok Sabha Elections: পাখির চোখ ২৪ , দুর্বল বুথে শক্তি বাড়াতে নতুন কৌশল বিজেপি-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার মিশন ’২৪। আগামী লোকসভা নির্বাচনে (2024 Lok Sabha Election) ফের বিপুল ভোটে জিতে কেন্দ্রে ক্ষমতায় ফিরতে আশাবাদী বিজেপি (BJP)। জয়ের পথ যাতে মসৃণ হয়, সেই জন্য কেবল ‘পান্না প্রমুখ’-দের (Panna Pramukhs) ওপর নির্ভর করতে চাইছে না পদ্ম শিবির। বরং মহারণ জিততে দলীয় নেতৃত্ব স্থির করেছেন, হেরে যাওয়া লোকসভা কেন্দ্রগুলিতে ৩০ জন করে উৎসর্গীকৃত ক্যাডারকে কাজে লাগাতে। উনিশের লোকসভা নির্বাচনে যেসব বুথে বিজেপি কম ভোট পেয়েছে, এঁরা মূলত সেই বুথগুলিকে শক্তিশালী করার চেষ্টা করবেন।

    লোকসভা নির্বাচনের আর বছর দেড়েকও দেরি নেই। ওই নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে এখন থেকেই কোমর কষে নামছেন পদ্ম নেতৃত্ব। দুর্বল বুথগুলিকে সবল করার নির্দেশ এসেছে খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Modi) কাছ থেকে। তার পরেই দুর্বল বুথের তালিকা তৈরি করে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে উচ্চ নেতৃত্বের কাছে।

    আরও পড়ুন : অরুণাচল প্রদেশে ১০২ আসনে জয়ী বিজেপি, কী বললেন আইনমন্ত্রী?

    বিজেপি সূত্রে খবর, প্রতিটি লোকসভা কেন্দ্রে যে ৩০ জন সদস্যকে নিয়োগ করা হবে, সেই ‘কার্যকর্তা প্রভাস’-রা যাবেন দুর্বল বুথগুলিতে। বোঝার চেষ্টা করবেন সমস্যার কারণ। কথা বলবেন ভোটারদের সঙ্গেও। বুথ থেকে প্রাপ্ত তথ্য তাঁরা দেবেন শীর্ষ নেতৃত্বকে। সেই মতো ব্যবস্থা নেবেন দলের ভোট ম্যানেজাররা। কারা পাবেন এই দায়িত্ব? গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর, দলের প্রত্যেক সাংসদকে নিজ এলাকা থেকে তিরিশ জন নিবেদিত কর্মীর নাম দিতে বলা হয়েছে এমাসের মধ্যে। সেই কর্মীদের থেকে প্রাপ্ত তথ্যগুলিকে গুরুত্ব দিয়ে বিচার করবে দল। করা হবে সমাধানও। 

    আরও পড়ুন : রাজ্যে ৩ থেকে ৭৭ হয়েছে বিজেপি। বাংলায় আগামী দিনে বাজিমাত করবে পদ্ম-ই। বললেন মিঠুন

    সাংসদদের ইতিমধ্যেই এ ব্যাপারে দুর্বল বুথ সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য পাঠাতে বলা হয়েছে। বিজেপির নিজস্ব ‘সরল’ অ্যাপের মাধ্যমে ওই তথ্য পাঠাতে হবে। সূত্রের খবর, কেবল মাত্র দলীয় সাংসদরাই এই অ্যাপ অ্যাক্সেস করতে পারেন। সেটা তাঁরা করতে পারেন তাঁদের নথিভুক্ত মোবাইল ফোন দিয়েই। এখানে তথ্য জমা দেওয়ার কাজও করতে পারবেন তাঁরা। উনিশের ভোটে যেসব লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থীরা পরাজিত হয়েছিলেন, সেগুলির সমস্যা অনুসন্ধান করতে রাজ্যসভার সাংসদদেরও কাজে লাগানো হবে বলে গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর।

  • Kaali Row: মা কালীর অপমান সহ্য করবে না হিন্দুরা, সাফ জানালেন শুভেন্দু

    Kaali Row: মা কালীর অপমান সহ্য করবে না হিন্দুরা, সাফ জানালেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দু দেবী কালীকে (Goddess Kali) নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন কৃষ্ণনগরের (Krishnanagar) সাংসদ মহুয়া মৈত্র (Mohua Moitra)। সাংসদের সেই মন্তব্যের প্রতিবাদে সোমবার কৃষ্ণনগরে মিছিল করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP)  শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। মিছিলে অংশ নেন বিজেপির বিভিন্ন নেতাও। হিন্দুদের সেন্টিমেন্টে আঘাত করায় মহুয়ার গ্রেফতারিও দাবি করেন বিজেপি নেতারা।

    এদিনের মিছিলে বক্তৃতাও দেন শুভেন্দু। বলেন, কালী বিতর্কে মহুয়ার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তার পরেও প্রশাসন নীরব দর্শকের মতো আচরণ করছে। দেবী কালিকার অপমান সহ্য করবে না এই দেশের লোকজন এবং মায়ের হিন্দু ভক্তরা। তিনি বলেন, এ রাজ্যের তৃণমূল সরকার এবং পুলিশ নূপুর শর্মার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সক্রিয়। যদিও তারা মহুয়ার বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করছে না। আমরা আর কয়েকদিন দেখব। তার পরেই আদালতের দ্বারস্থ হব।

    [tw]


    [/tw]

    সম্প্রতি দেবী কালীকে মদ-মাংস গ্রহণকারী এক দেবী বলে উল্লেখ করেন কৃষ্ণনগরের সাংসদ। তা নিয়েই যাবতীয় বিতর্কের সূত্রপাত। মহুয়ার মন্তব্য তাঁর ব্যক্তিগত বলে দায় ঝেড়ে ফেলেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। ট্যুইট বার্তায় শুভেন্দু বলেন, কালী শক্তির দেবী। তিনি আদ্যা শক্তি, জগৎ পালনকারী, অশুভ শক্তি দলনী। তিনি জগৎ কল্যাণকারী। তাঁর সম্পর্কে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র ঘৃণ্য মন্তব্য করেছেন। তাঁর মন্তব্য হিন্দুদের ভাবাবেগে আঘাত করেছে। শুভেন্দু বলেন, পুলিশ মহুয়ার বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা না নিয়ে এটা প্রমাণ করে দিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর দল বাঙালি হিন্দুদের আবেগকে অশ্রদ্ধা করেছেন।

    আরও পড়ুন : উদয়পুরের মতো নৃশংস ঘটনার প্রতিবাদ করা উচিত মুসলিমদেরও, জানাল আরএসএস

    এদিকে, এদিন হাওড়ার ডোমজুড়ে সাংগঠনিক বৈঠকে যোগ দেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি নেত্রী স্মৃতি ইরানি। ডোমজুড়ে যাওয়ার পথে রামরাজাতলায় রাম মন্দিরে পুজো দেন তিনি। স্মৃতি বলেন, তৃণমূল নেত্রীর পক্ষে মা কালীকে অসম্মান করা অসম্ভব কিছু নয়। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, অতীতে নানা সময়ে তৃণমূলের বিভিন্ন নেতা হিন্দুদের দেবদেবীকে অপমান করেছেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, যাঁরা হিন্দু ধর্মকে অপমান করছেন, তৃণমূল সুপ্রিমো তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উচিত ছিল তাঁদের দল অথবা পার্টি থেকে বহিষ্কার করা। হাওড়ায় রাম মন্দির দেখে আপ্লুত স্মৃতি। তিনি বলেন, হাওড়ায় রাম মন্দির দেখে আমি গর্বিত।

     

  • Chess Olympiad: চেজ ওলিম্পিয়াডের পোস্টারে প্রধামমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতির ছবি,  কী বলল মাদ্রাজ হাইকোর্ট?

    Chess Olympiad: চেজ ওলিম্পিয়াডের পোস্টারে প্রধামমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতির ছবি, কী বলল মাদ্রাজ হাইকোর্ট?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চেন্নাইতে হতে চলেছে ৪৪তম চেজ ওলিম্পিয়াড(Chess Olympiad)। সেই উপলক্ষে টাঙানো হয়েছে বিলবোর্ড (Bill Board)। তাতে ছবি নেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi)। এর পরেই কয়েকজন বিজেপি (BJP) কর্মী গিয়ে বিলবোর্ডে সাঁটিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। এর ঠিক পরের দিনই মাদ্রাজ হাইকোর্ট (Madras High Court) তামিলনাড়ু সরকারকে সাফ জানিয়ে দেয়, ওলিম্পিয়াডের বিলবোর্ড, পোস্টারে রাখতে হবে রাষ্ট্রপতি (President) এবং প্রধানমন্ত্রীর ছবি।
    কিছুদিন পরেই তামিলনাড়ুতে হতে চলেছে ৪৪তম চেজ ওলিম্পিয়াড। আন্তর্জাতিক এই দাবা প্রতিযোগিতা উপলক্ষে শহর ছয়লাপ মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিনের ছবি সম্বলিত পোস্টারে। আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা হওয়া সত্ত্বেও তাতে রাষ্ট্রপতি কিংবা প্রধানমন্ত্রী ছবি ছিল না। আদালতে রাজ্য সরকার জানিয়েছিল, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে যখন দেশ ব্যস্ত তখন রাষ্ট্রপতির ছবি মেলেনি। তাই পোস্টারে ছবি দেওয়া হয়নি রাষ্ট্রপতির। আর পোস্টারে প্রধানমন্ত্রীর ছবি দেওয়া হয়নি কারণ, প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে তাঁর ছবি ছাপার অনুমতি এসেছিল দেরিতে।

    আরও পড়ুন : শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ নবম-দশমেও, হাইকোর্টে দায়ের মামলা

    রাজ্য সরকারের এই দাবি খারিজ করে দিয়েছে প্রধান বিচারপতি মুনিশ্বর নাথ ভাণ্ডারি ও বিচারপতি এ আনন্থির ডিভিশন বেঞ্চ। তাঁরা জানান, দেশের প্রতিটি নাগরিকের কাছে জাতির গুরুত্বটাই সবার ওপরে হওয়া উচিত। যে কোনও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় সেই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের ছবি থাকে। কারণ তাঁরাই দেশের প্রতিনিধি। এটা শুধুই দেশের উন্নতির চিত্র প্রদর্শন নয়, এটা অল্প সময়ে ওই দেশের আয়োজনের ক্ষমতাও প্রমাণ করে। রাজ্য সরকার সহ প্রত্যেক সরকারের এ ব্যাপারে কাজ করা উচিত। যখন দেশ এমন এক আন্তর্জাতিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করছে, তখন সেটা যাতে নিখুঁতভাবে অনুষ্ঠিত হয়, সেটা যাতে আন্তর্জাতিক মহলে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করে, তার ব্যবস্থা করতে হবে। জেলা প্রশাসনকে আদালত এও জানিয়ে দিয়েছে, যেসব বিজ্ঞাপনে মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও মাননীয় রাষ্ট্রপতি এবং প্রধামন্ত্রীর ছবি রয়েছে, তা যেন বিকৃত করা না হয়। যদি  এমন খবর আসে, তাহলে অন্যায়কারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত কঠোর পদক্ষেপ করতে হবে। 

    আরও পড়ুন : রনিল বিক্রমাসিংহেকে ‘চিঠি’ দিয়ে শুভেচ্ছা জানালেন নরেন্দ্র মোদি

     

     

LinkedIn
Share