Tag: bjp

bjp

  • PM Modi: তৃণমূলকে মাত দিতে ১৮ জুলাই দুর্গাপুরে প্রধানমন্ত্রী, জানুন তাঁর কর্মসূচি

    PM Modi: তৃণমূলকে মাত দিতে ১৮ জুলাই দুর্গাপুরে প্রধানমন্ত্রী, জানুন তাঁর কর্মসূচি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২১ জুলাই ধর্মতলায় সমাবেশ তৃণমূলের। ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে ওই জনসভায়ই ভোটের বাদ্যি বাজিয়ে দেবে তৃণমূল। তবে ঘাসফুল শিবিরকে সেই সুযোগ দেবে না পদ্ম শিবির (BJP)। তৃণমূলের সেই জনসমাবেশের ঠিক তিন দিন আগেই রাজ্যে প্রধানমন্ত্রীকে এনে বিপক্ষ দলকে মাত দিতে চাইছে বিজেপি। ১৮ জুলাই রাজ্যে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এবার তিনি সভা করবেন দক্ষিণবঙ্গে, দুর্গাপুরে। প্রধানমন্ত্রীর সফর নিয়ে কার্যত ফুটছে বঙ্গ বিজেপি শিবির।

    নজরে দক্ষিণবঙ্গ (PM Modi)

    পদ্ম শিবির সূত্রে খবর, ১৮ জুলাই পশ্চিমবঙ্গে আসছেন প্রধানমন্ত্রী। এর আগে তিনি এসেছিলেন উত্তরবঙ্গে, আলিপুরদুয়ারে। সেখানেও সভা করেছিলেন তিনি। এবার নজরে দক্ষিণবঙ্গ। প্রধানমন্ত্রী যেদিন পশ্চিমবঙ্গ সফরে আসছেন, সেই দিনই বিহারেও বেশ কিছু কর্মসূচি রয়েছে তাঁর। বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য জানান, ১৮ জুলাই দুপুরে অন্ডাল বিমানবন্দরে অবতরণ করবে প্রধামন্ত্রীর বিমান। সেখান থেকে তিনি সোজা যাবেন নেহরু স্টেডিয়ামে। সেখানেই এক জনসভায় ভাষণ দেবেন তিনি।

    ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচন

    রাজনৈতিক শিবিরের ধারণা, ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে দলীয় সংগঠনকে শক্তিশালী করা ও প্রস্তুতির বার্তা দেওয়ার লক্ষ্যেই মোদির এই পশ্চিমবঙ্গ সফর। বিজেপির তরফে এ রাজ্যে প্রধানমন্ত্রীর কর্মসূচি প্রকাশ করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, শুক্রবার বেলা ১টা ৪৫ মিনিটের বিমানে বিহারের দ্বারভাঙা বিমানবন্দর থেকে দুর্গাপুরের উদ্দেশে রওনা দেবেন তিনি। বেলা ২টো ৪৫ মিনিট নাগাদ দুর্গাপুরের অন্ডাল বিমানবন্দর থেকে নেমে তিনি রওনা দেবেন পরবর্তী সরকারি কর্মসূচিতে যোগ দিতে। বেলা তিনটে থেকে সাড়ে তিনটে পর্যন্ত দুর্গাপুরের বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। ৩টে ৪০ মিনিট নাগাদ তিনি উপস্থিত হবেন নেহরু স্টেডিয়ামের জনসভায়। বিকেল ৫টা নাগাদ সেখান থেকে দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেবেন প্রধানমন্ত্রী।

    তৃণমূলকে উৎখাত করতে ঘুঁটি সাজাচ্ছে পদ্ম শিবির

    রাজনৈতিক মহলের মতে, ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্য থেকে তৃণমূলকে উৎখাত করতে ঘুঁটি সাজাচ্ছে পদ্ম শিবির। সেই কারণেই বদল করা হয়েছে রাজ্য সভাপতি। বিজেপির (BJP) অধ্যাপক নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারকে সরিয়ে ওই পদে বসানো হয়েছে শমীক ভট্টাচার্যকে। এবার স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীকে (PM Modi) নিয়ে এসে ছাব্বিশের ভোটের আগে ওয়ার্মআপ ম্যাচ সেরে নিতে চাইছে গেরুয়া শিবির। বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “এটি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির রুটিন সফর হলেও, রাজ্যে রাজনৈতিক বার্তা দেওয়ার গুরুত্ব রয়েছে এই সফরে। আমরা চাই, ২১ জুলাইয়ের আগে বাংলার মাটিতে তিনি (প্রধানমন্ত্রী) একটি শক্তিশালী বার্তা দিয়ে যান।”

    প্রধানমন্ত্রীর রোড-শো

    বিজেপি সূত্রে খবর, প্রধানমন্ত্রীর এবারের কর্মসূচিতে রোড-শো নেই। তবে তাঁর যাত্রাপথ এমন ভাবে সাজানো হয়েছে যে, অন্ডাল বিমানবন্দর থেকে নেহরু স্টেডিয়ামে যাওয়ার শেষ তিন কিলোমিটার পথ তিনি করতে পারেন রোড-শো। এই পথের দূরত্ব ১৫ কিলোমিটার। শেষ তিন কিলোমিটার জনসংযোগ করবেন প্রধানমন্ত্রী। পদ্ম শিবির সূত্রে খবর, ওই তিন কিলোমিটার পথের দু’পাশে জড়ো হবেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। দলীয় পতাকা, ফ্লেক্স, ফেস্টুন, ব্যানারে সাজানো হবে ওই রাস্তাটা। প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) কনভয় যখন ওই এলাকা দিয়ে যাবে, তখন রাস্তার দুপাশে উপস্থিত জনতা পুষ্পবৃষ্টি করবে। যদিও প্রধানমন্ত্রী কনভয় থেকে নামবেন না। তবে এই ধরনের জমায়েত দেখলে গাড়িতে বসেই করজোড়ে এবং সহাস্য শুভেচ্ছা গ্রহণ করতে করতেই এগোন প্রধানমন্ত্রী। অনেক সময় গাড়ির দরজা খুলে পাদানিতে দাঁড়িয়ে জনতার উদ্দেশে হাতও নাড়তে দেখা গিয়েছে তাঁকে। বিজেপি সূত্রে খবর, তেমন কোনও উপায়েই নেহরু স্টেডিয়ামে আয়োজিত জনসভায় ঢোকার আগে প্রধানমন্ত্রী একপ্রস্ত জনসংযোগ সেরে নেবেন।

    গুচ্ছ সরকারি কর্মসূচির উদ্বোধন

    প্রধানমন্ত্রী এদিন (BJP) দুর্গাপুরে একগুচ্ছ সরকারি কর্মসূচির উদ্বোধনও করবেন। এর মধ্যে রয়েছে দুর্গাপুর থেকে কলকাতা গ্যাস পাইপলাইন পরিষেবা। বাঁকুড়া ও পুরুলিয়ায় গ্যাস বিতরণ প্রকল্পের পাশাপাশি রঘুনাথপুরে এবং মেজিয়ায় তাপ বিদ্যুৎ প্রকল্পের একাংশ। এছাড়াও একাধিক প্রকল্পের শিলান্যাসও করবেন তিনি। সব মিলিয়ে প্রধানমন্ত্রী এদিন সাড়ে ৫ থেকে ৬ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করবেন। প্রসঙ্গত, গত ২৯ মে আলিপুরদুয়ারে জনসভা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেই সময়ই বিজেপির তৎকালীন রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত বলেছিলেন, “এখন থেকে প্রতি মাসে একবার করে বাংলায় আসবেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)।” সেই মতো প্রধানমন্ত্রীর পশ্চিমবঙ্গ সফর হওয়ার কথা ছিল জুনে। তবে ঠাসা কর্মসূচির কারণে ওই মাসে এ রাজ্যে আসতে পারেননি তিনি। তাই আসছেন জুলাইয়ে। এরপর ফের অগাস্টে বঙ্গ সফরে আসতে পারেন প্রধানমন্ত্রী।

    প্রধানমন্ত্রীর কর্মসূচির প্রস্তুতিপর্ব খতিয়ে দেখতে দুর্গাপুরে ঘাঁটি গেড়েছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক সুনীল বনশল, রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়। তাঁদের (BJP) সঙ্গে রয়েছেন দুই সাংসদ সৌমিত্র খাঁ এবং সৌমেন্দু অধিকারী-সহ বিজেপির অন্য নেতারা (PM Modi)।

  • Ashim Ghosh: হরিয়ানার রাজ্যপাল পদে বাঙালি, রাষ্ট্রপতি মনোনীত করলেন অসীম ঘোষকে

    Ashim Ghosh: হরিয়ানার রাজ্যপাল পদে বাঙালি, রাষ্ট্রপতি মনোনীত করলেন অসীম ঘোষকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হরিয়ানার রাজ্যপাল হিসেবে মনোনীত হলেন পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি অসীম ঘোষ (Ashim Ghosh)। সোমবার রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এক বিজ্ঞপ্তিতে এই মনোনয়নের কথা ঘোষণা করেন। দীর্ঘ রাজনৈতিক ও শিক্ষাবিষয়ক অভিজ্ঞতাসম্পন্ন এই বর্ষীয়ান নেতার রাজ্যপাল পদে মনোনয়নের খবর আসতেই খুশির হাওয়া গেরুয়া শিবিরের অন্দরে। তিনি বর্তমান রাজ্যপাল বন্দারু দত্তাত্রেয়ের স্থলাভিষিক্ত হবেন (Governor Of Hariyana)।

    ১৯৪৪ সালে জন্ম অসীম ঘোষের (Ashim Ghosh)

    ১৯৪৪ সালে হাওড়ায় জন্মগ্রহণ করেন অসীম ঘোষ (Governor Of Hariyana)। পড়াশোনা করেন হাওড়ার বিবেকানন্দ ইনস্টিটিউশনে, এরপর কলকাতার বিদ্যাসাগর কলেজ থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতক ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৬৬ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত টানা ৩৮ বছর রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপনা করেন তিনি। রাজনীতিতে প্রবেশ ১৯৯১ সালে, বিজেপিতে যোগদানের মাধ্যমে।

    বঙ্গ বিজেপির পরিচিত মুখ অসীম (Ashim Ghosh)

    বিজেপির রাজনীতিতে অসীম ঘোষের (Ashim Ghosh) অবদান দীর্ঘ ও উল্লেখযোগ্য। ১৯৯৬ সালে তিনি বিজেপির রাজ্য সম্পাদক হন। ১৯৯৮ সালে রাজ্য সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পান। ১৯৯৯ থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত তিনি ছিলেন বিজেপির পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সভাপতি। ত্রিপুরার দায়িত্বপ্রাপ্ত পর্যবেক্ষক ছিলেন ২০০৩ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত। এছাড়াও, ২০০৪ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিজেপির রাষ্ট্রীয় কর্ম সমিতির সদস্যও ছিলেন তিনি। বিজেপির রাজ্য বুদ্ধিজীবী সেলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসেবেও দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। রাজনীতির পাশাপাশি শিক্ষাক্ষেত্রেও তাঁর ভূমিকা তাঁকে ব্যতিক্রমী করে তুলেছে।

    নতুন রাজ্যপাল গোয়ায়, লাদাখে নয়া লেফটেন্যান্ট গভর্নর

    হরিয়ানার পাশাপাশি গোয়া এবং লাদাখেও নতুন রাজ্যপাল ও লেফটেন্যান্ট গভর্নরের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। গোয়ার নতুন রাজ্যপাল হচ্ছেন পুষ্পতি অশোক গজপতি। তিনি তেলুগু দেশম পার্টির দীর্ঘদিনের নেতা এবং সাতবার বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। ২০১৪ সালে বিজয়নগরম লোকসভা কেন্দ্র থেকে জিতে মোদির প্রথম মন্ত্রিসভায় অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের দায়িত্বেও ছিলেন প্রায় চার বছর। লাদাখের নতুন লেফটেন্যান্ট গভর্নর হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন কোভিন্দর গুপ্তা। তিনি বিজেপির বর্ষীয়ান নেতা ও আরএসএসের দীর্ঘদিনের সদস্য। জম্মু-কাশ্মীরে পিডিপি-বিজেপি জোট সরকারের সময় তিনি উপ-মুখ্যমন্ত্রীর পদে ছিলেন।

  • BJP Bandh: জোড়া মৃত্যুতে বিজেপির বন‍্ধে স্তব্ধ খেজুরি, মিছিল শুভেন্দুর, ধস্তাধস্তি পুলিশের সঙ্গে

    BJP Bandh: জোড়া মৃত্যুতে বিজেপির বন‍্ধে স্তব্ধ খেজুরি, মিছিল শুভেন্দুর, ধস্তাধস্তি পুলিশের সঙ্গে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরিতে (khejuri) দুই ব্যক্তির রহস্যজনক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। নিহতদের পরিবার ও স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব দাবি করেছে, এটি নিছক দুর্ঘটনা নয়, বরং একটি পরিকল্পিত খুন। এই ঘটনাকে ঘিরে রাজনৈতিক উত্তাপ চরমে পৌঁছেছে। ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার বিজেপির ডাকা বন‍্ধে খেজুরিতে ব্য়াপক প্রভাব পড়ে। কার্যত স্তব্ধ হয়ে যায় খেজুরি। একাধিক জায়গায় রাস্তায় অবরোধ, পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়। সব মিলিয়ে সোমবার দিনভর রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা এলাকা। শনিবারই শুভেন্দু দাবি করেছিলেন, “এটি নিছক দুর্ঘটনা নয়, বরং সুসংগঠিত খুন। এই ঘটনার তদন্ত নিরপেক্ষভাবে করতে হবে।” তাঁর আরও দাবি ছিল, “ময়নাতদন্ত রাজ্য সরকারি হাসপাতালে হলেও কোনও আপত্তি নেই, তবে সেখানে কেন্দ্রীয় হাসপাতালের একজন চিকিৎসক উপস্থিত থাকতে হবে। পরিবারের সদস্যদেরও ময়নাতদন্তের সময় থাকতে দিতে হবে।” সেসময়ই তিনি সোমবার বন‍্ধের কথা ঘোষণা করেন।

    সোমবারের বন‍্ধে স্তব্ধ খেজুরি

    বিজেপির ডাকা সোমবারের বন‍্ধ (khejuri) ঘিরে সকাল থেকেই খেজুরিতে উত্তেজনা তৈরি হয়। একাধিক এলাকায় রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে অবরোধ শুরু করেন সমর্থকরা। হেঁড়িয়া, বাসগোড়া, কলাগাছিয়া, রসুলপুর-সহ বিভিন্ন জায়গায় রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে পথ অবরোধ করা হয়। বহু যানবাহন আটকানো হয়, কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে। বিশেষ করে হেঁড়িয়া-খেজুরি রাজ্য সড়কে প্রায় চার ঘণ্টা ধরে অবরোধ চলে। পুলিশ অবরোধ সরাতে গেলে বনধ সমর্থকদের সঙ্গে ব্যাপক বচসা এবং ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কড়া অবস্থান নেয়, গ্রেফতার করা হয় একাধিক বিজেপি কর্মীকে। পাশাপাশি, রসুলপুর নদীর ফেরিঘাট পরিষেবা সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়।

    শুভেন্দুর মিছিল, পুলিশের বিরুদ্ধে তোপ

    সোমবার সকালে বিজেপির ডাকে বন‍্ধ (khejuri) সফল করতে খেজুরির জনকা থেকে বিদ্যাপীঠ পর্যন্ত পদযাত্রা করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মিছিলে ছিল ব্যাপক জনসমাগম। মিছিল শেষে এক সভায় রাজ্য সরকারকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ শানান তিনি। তিনি বলেন, “হিন্দুদের পরিকল্পিতভাবে খুন করা হচ্ছে, আর পুলিশ তার গল্প সাজিয়ে তা লুকোচ্ছে। বিজেপি এর প্রতিবাদে রাজপথে নামতে বাধ্য হচ্ছে।” তিনি আরও বলেন, “যে লাঠিতে ‘জয় শ্রীরাম’-এর পতাকা লাগানো হয়েছে, সেগুলোকে আরও মজবুত করতে হবে। সেই লাঠিগুলোতে তেল মাখাতে হবে, কারণ এখন লড়াইটা কঠিন।”

    শুভেন্দু অধিকারীর হুঁশিয়ারি

    ঘটনার পরপরই বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তীব্র প্রতিক্রিয়া জানান। তিনি বলেছিলেন, “এই মৃত্যু রহস্যজনক নয়, এটি নির্মম খুন। পরিকল্পনা করে হিন্দুদের হত্যা করা হচ্ছে। পুলিশ ঘটনাকে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট বলে চালাতে চাইছে।” তিনি সেসময় অভিযোগ তোলেন, পুলিশের তরফ থেকে দেহ পরিবারের অনুমতি ছাড়াই তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সোমবার তিনি দাবি করেন, ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসককে প্রভাবিত করা হয়েছে। শুভেন্দুর দাবি, উপর মহলের নির্দেশেই মৃত্যুর কারণ হিসেবে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট লেখা হয়েছ। এদিন তিনি আরও বলেন, “রাজনীতি ঘরে বসে হয় না, রাস্তায় নামতে হয়। আমরা ২০১১ সালেও এইভাবেই পরিবর্তন এনেছিলাম। আজও পরিবর্তনের ডাক দিতে হবে।” সোমবার (khejuri) সকাল থেকেই নিহতদের পরিবারের হাহাকার খেজুরিকে যেন আরও নিস্তব্ধ করে দেয়। এই জোড়া মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্রমশ রাজ্য রাজনীতিতে উত্তেজনা চড়ছে।

    জলসায় গিয়ে রহস্য মৃত্যু (khejuri)

    গত শুক্রবার খেজুরির জনকার ভাঙনবাড়ী গ্রামে একটি  জলসার আয়োজন করা হয়। সেই জলসায় অন্যান্যদের মতো উপস্থিত ছিলেন ২৩ বছর বয়সি যুবক সুজিত দাস এবং ৬৫ বছর বয়সি বৃদ্ধ সুধীরচন্দ্র পাইক। এখানেই রহস্যমৃত্যু হয় দুজনের। এই মৃত্যু ঘিরে এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে চাঞ্চল্য। নিহতদের পরিবারের অভিযোগ, দেহে একাধিক গুরুতর আঘাতের চিহ্ন ছিল, যা নিছক দুর্ঘটনার ইঙ্গিত দেয় না বরং এটি একটি ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ বলেই তাঁরা  বিশ্বাস করেন। মৃত সুজিত দাসের বাড়ি পূর্ব ভাঙনবাড়ীপুর গ্রামে এবং সুধীরচন্দ্র পাইকের বাড়ি ছিল ঝাঁটি হাটি গ্রামে। পরিবারের অভিযোগ অনুযায়ী, মৃত্যুর ঘটনাটি ঘটার পর স্থানীয় প্রশাসনের ভূমিকা ছিল রহস্যজনক। তাঁরা দাবি করেন, পুলিশের পক্ষ থেকে তাঁদের না জানিয়ে মৃতদেহ তড়িঘড়ি উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় এবং পোস্টমর্টেমের জন্য পাঠানো হয়। পরিবারের অনুমান, এর পেছনে কোনও বড় ষড়যন্ত্র থাকতে পারে যা প্রশাসনের একটি অংশ আড়াল করতে চাইছে। এই অভিযোগ সামনে আসতেই বিজেপির স্থানীয় নেতৃত্ব দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রতিবাদে সরব হন। তাঁদের তরফে জানানো হয়, এই মৃত্যুর ঘটনার পেছনে গভীর রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র রয়েছে এবং এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ ও নিরপেক্ষ তদন্ত ছাড়া সত্য সামনে আসবে না। বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, এই মৃত্যুর ঘটনার পেছনে শাসক দলের প্রচ্ছন্ন ভূমিকা থাকতে পারে। বিজেপির পক্ষ থেকে সরাসরি অভিযোগ করা হয় যে, রাজ্যে হিন্দুদের লক্ষ্য করে হামলা বাড়ছে এবং প্রশাসন এসব ঘটনাকে ‘দুর্ঘটনা’ বলে চাপা দিতে চাইছে।

  • Suvendu Adhikari: খেজুরিতে জোড়া মৃত্যু, খুনের অভিযোগ শুভেন্দুর, সোমবার বনধের ডাক

    Suvendu Adhikari: খেজুরিতে জোড়া মৃত্যু, খুনের অভিযোগ শুভেন্দুর, সোমবার বনধের ডাক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরি থানার ভাঙনমারি গ্রামে দু’জনের অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মৃতদের পরিবার দাবি করছে, এটি নিছক দুর্ঘটনা নয়, পরিকল্পিত খুন। যদিও পুলিশ এখনও পর্যন্ত মৃত্যুর কারণ নিয়ে কোনও স্পষ্ট বিবৃতি দেয়নি। মৃতদের মধ্যে একজন হলেন সুজিত দাস, অপরজন সুধীর পাইক। সুজিতের বাবা শশাঙ্ক শেখর দাস অভিযোগ করেছেন, “এটা বিদ্যুৎস্পৃষ্টের ঘটনা নয়। আমার ছেলেকে ঠান্ডা মাথায় খুন করা হয়েছে (Khejuri)। এটা পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।” একই অভিযোগ তুলেছেন সুধীর পাইকের পরিবারের সদস্যরাও। তাঁদের অভিযোগ, পুলিশ মৃত্যুর প্রকৃত কারণ গোপন করছে।

    সুসংগঠিত খুন দাবি শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মহরম উপলক্ষে শুক্রবার রাতে ভাঙনমারিতে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। শনিবার সকালে সেই অনুষ্ঠানস্থলের কাছেই সুজিত ও সুধীরের দেহ উদ্ধার হয়। তাঁদের শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে পরিবারের দাবি। ঘটনার পর এলাকা পরিদর্শনে যান স্থানীয় বিধায়ক শান্তনু প্রামাণিক, পরে পৌঁছান বিরোধী দলনেতা ও নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি দাবি করেন, “এটি নিছক দুর্ঘটনা নয়, বরং সুসংগঠিত খুন। এই ঘটনার তদন্ত নিরপেক্ষভাবে করতে হবে।” তাঁর আরও দাবি, “ময়নাতদন্ত রাজ্য সরকারি হাসপাতালে হলেও কোনও আপত্তি নেই, তবে সেখানে কেন্দ্রীয় হাসপাতালের একজন চিকিৎসক উপস্থিত থাকতে হবে। পরিবারের সদস্যদেরও ময়নাতদন্তের সময় থাকতে দিতে হবে।”

    অতর্কিত হামলা চালিয়ে তাঁদের হত্যা করা হয় দাবি বিজেপির

    এছাড়াও তিনি (Suvendu Adhikari) বলেন, “হিন্দু হওয়ার কারণেই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁদের হত্যা করেছে। কাউকে ছাড়া হবে না।” শুভেন্দু ঘোষনা করেছেন, শনিবার দুপুর ১২টা থেকে ২টো পর্যন্ত খেজুরিতে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করা হবে। এছাড়া সোমবার হিন্দু সংগঠনগুলির ডাকে খেজুরিতে বন্‌ধ পালিত হবে। খেজুরির জনকা থেকে বিদ্যাপীঠ মোড় পর্যন্ত মিছিলে তিনি নিজেই নেতৃত্ব দেবেন। বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, সুজিত ও সুধীর ওই রাতে অনুষ্ঠান দেখতে গিয়েছিলেন। সেখানেই অতর্কিত হামলা চালিয়ে তাঁদের হত্যা করা হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে খেজুরি জুড়ে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে।

  • Dilip Ghosh: দিলীপের মুখে শমীক-প্রশস্তি, কী বললেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি?

    Dilip Ghosh: দিলীপের মুখে শমীক-প্রশস্তি, কী বললেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিলীপের (Dilip Ghosh) তৃণমূলে যোগদানের জল্পনায় জল ঢেলে দিলেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ স্বয়ং। এদিন বিজেপির দফতরে গিয়ে শমীকের (Shamik Bhattacharya) সঙ্গে দেখা করেন দিলীপ। দু’জনে বেশ খানিকক্ষণ কথাবার্তাও হয়। পরে দিলীপ বলেন, “মার্কেটে যাঁর দাম থাকে, তাঁকে নিয়ে অনেক জল্পনা হয়।”

    ঘাসফুল শিবিরে দিলীপ-যোগের জল্পনা (Dilip Ghosh)

    অসমর্থিত একটি সূত্রের খবর, ধর্মতলায় তৃণমূলের ২১ জুলাই সমাবেশে দিলীপ ঘাসফুল শিবিরে যোগ দিতে পারেন বলে জল্পনা ছড়াতে থাকে এক শ্রেণির সংবাদ মাধ্যম। এদিন তাতে জল ঢেলে দিয়ে দিলীপ বলেন, “বাজারে যাঁর দাম থাকে, তাঁর সেলের কথা ওঠে। যাঁদের দাম নেই, তাঁদের কিনবে কে? তাঁরা রাস্তায় পড়ে থাকেন। দিলীপ ঘোষের দাম আছে, দাম থাকবে। দিলীপ ঘোষ সেলেবল নয়।” এদিন বিজেপির নয়া রাজ্য সভাপতির ভূয়সী প্রশংসাও করেন দিলীপ। বলেন, “এক সময় শমীকদার পথেই আমি হেঁটেছি। যখন দলে এসেছিলাম, তখন শমীকদা আমার সিনিয়র ছিলেন। নতুন-পুরানো সব কর্মীরা মিলেই দলকে এই জায়গায় এনেছে। তাই লড়াই জারি থাকবে।” তিনি বলেন, “আমার মধ্যে কোনও ভেজাল নেই। তাই এত দাম।”

    আবেগ দিয়ে পার্টি দাঁড় করিয়েছি     

    বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি (Dilip Ghosh) বলেন, “আবেগ দিয়ে আমরা পার্টি দাঁড় করিয়েছি। ঘাম-রক্ত দিয়েছি। ১৫০ জনেরও বেশি কর্মী প্রাণ দিয়েছেন। সেই আবেগের আগুন বুকের মধ্যে রয়েছে। শুধু আমার নয়, শত শত কর্মীর। তাই যতই বৃষ্টি হোক, আবেগের আগুন নিভে যেতে দেব না।” দিলীপের সঙ্গে বৈঠকের পর দৃশ্যতই খুশি বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, “আমরা সবাই বিজেপি। আমাদের প্রতীক পদ্মফুল। ক্ষণিকের জন্য কোথাও ভুল হতে পারে। ক্ষণিকের জন্য কোথাও দূরত্ব তৈরি হতে পারে। কিন্তু এর অর্থ এই নয় যে, তিনি দলের বাইরে চলে গিয়েছেন।”

    শমীক (Shamik Bhattacharya) বলেন, “১৫ দিনের মধ্যেই সংঘবদ্ধ বিজেপিকে দেখতে পাবেন পশ্চিমবঙ্গের মানুষ। বিজেপি ঐক্যবদ্ধ ছিল, আছে, থাকবে। কাউকে অন্য দলের লোক বলে দাগিয়ে দেবেন না। কাউকে অন্য দলের লোক বলে দূরে সরিয়ে দেবেন না। এই লড়াই পশ্চিমবঙ্গ বাঁচানোর লড়াই। এটা অস্তিত্ব রক্ষার সংকট। হিন্দু বাঙালিদের জন্য শেষ নির্বাচন। জাতীয়তাবাদী মুক্তমনস্ক প্রগতিশীল মুসলমানদের জন্যও এই নির্বাচন (Dilip Ghosh) শেষ নির্বাচন।”

  • BJP: ভারত চতুর্থ সর্বাধিক সমতা সম্পন্ন দেশ, জানাল ওয়ার্ল্ড ব্যাংক

    BJP: ভারত চতুর্থ সর্বাধিক সমতা সম্পন্ন দেশ, জানাল ওয়ার্ল্ড ব্যাংক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের প্রতিবেদনকে স্বাগত জানাল বিজেপি (BJP)। ওই রিপোর্টে ভারতকে চতুর্থ সর্বাধিক সমতা সম্পন্ন দেশ হিসেবে ঠাঁই দেওয়া হয়েছে। কংগ্রেসের অভিযোগ, বিশ্বব্যাংকের ওই রিপোর্ট ভুলভাবে (World Bank Report) উপস্থাপন করা হয়েছে। রাহুল গান্ধীর দলের ওই দাবিকে খারিজ করে দিয়েছে বিজেপি।

    বিশ্ব ব্যাংকের গিনি সূচক (BJP)

    বিশ্ব ব্যাংকের গিনি সূচক (Gini Index) রিপোর্টের উদ্ধৃতি দিয়ে বিজেপির মুখপাত্র সায়েদ জাফর ইসলাম বলেন, “২০১৩–১৪ সালে “ফ্র্যাজাইল ফাইভ” (অস্থিতিশীল পাঁচটি দেশের) অংশ থেকে আজ “ফ্যাবুলাস ফোর”-এর অন্তর্ভুক্তিতে ভারতের রূপান্তর সরকারের নীতিগত সাফল্যকেই প্রতিফলিত করে।” তিনি বলেন, “এটি একদিনে হয়নি। এটি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দূরদৃষ্টির ফল, যা ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের মতো রিপোর্টে প্রতিফলিত হয়েছে। এই রিপোর্টে ভারতকে চতুর্থ সর্বাধিক সমতা বজায় রাখা দেশ হিসেবে দেখানো হয়েছে। জি৭-এর যে কোনও দেশের চেয়েও ভারত এগিয়ে।”  ইসলাম জানান, গিনি সূচকের পতন ২০১১–১২ সালে ছিল ২৮.৮ এবং ২০২২–২৩ সালে কমে দাঁড়িয়েছে ২৫.৫।  এটি আয়ের বৈষম্য হ্রাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত।

    বিজেপির বক্তব্য

    প্রসঙ্গত, ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের রিপোর্টে ভারতকে শুধু স্লোভাক প্রজাতন্ত্র, স্লোভেনিয়া এবং বেলারুসের নীচে রাখা হয়েছে। এটিকে মধ্যম মাত্রার কম বৈষম্যমূলক দেশ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে। গিনি সূচক হল বৈষম্য মাপার একটি পদ্ধতি, যেখানে নিম্নতর স্কোর মানে আয়ের বণ্টন বেশি ন্যায়সঙ্গত। রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, এই সূচকে ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (৪১.৮), চিন (৩৫.৭) এবং ব্রিটেনের (৩৪.৪) মতো বড় অর্থনীতিগুলিকেও ছাড়িয়ে গিয়েছে (BJP)। ইসলাম পিউ রিসার্চ সেন্টারের এক সমীক্ষার প্রসঙ্গও উল্লেখ করেন। সেখানে দেখা গিয়েছে, ৭৪ শতাংশ ভারতীয় তাঁদের গণতন্ত্র ও অর্থনীতি—উভয় ক্ষেত্রেই আপেক্ষিকভাবে সন্তুষ্ট এবং এই ভিত্তিতে ২৩টি দেশের মধ্যে ভারত দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে।

    উল্লেখ্য, কংগ্রেস কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে তথ্য বিকৃতি করার অভিযোগ এনেছিল। এই সময়ই বিজেপির মন্তব্যটি (World Bank Report) সামনে আসে। কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ অভিযোগ করেন, সরকার বেছে বেছে তথ্য তুলে ধরছে এবং গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে চোখ বন্ধ করে আছে (BJP)।

  • RSS: জন্ম শতবর্ষে দেশের প্রত্যেক গ্রাম ও ঘরে পৌঁছবে সংঘ, সিদ্ধান্ত প্রান্ত প্রচারকের বৈঠকে

    RSS: জন্ম শতবর্ষে দেশের প্রত্যেক গ্রাম ও ঘরে পৌঁছবে সংঘ, সিদ্ধান্ত প্রান্ত প্রচারকের বৈঠকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জন্ম শতবর্ষে দেশের প্রত্যেক গ্রাম ও ঘরে পৌঁছবে সংঘ। দেশজুড়ে ৫৮ হাজার ৯৬৪ মণ্ডল এবং ৪৪ হাজার ৫৫ বস্তিতে অনুষ্ঠিত হবে হিন্দু সম্মেলন। তিনদিন ব্যাপী আরএসএসের (RSS) প্রান্ত প্রচারকের বৈঠকে (Prant Pracharak Meeting) এমনই সিদ্ধান্ত হয়েছে। ৪-৬ জুলাই দিল্লির ঝান্ডেওয়ালানে কেশব কুঞ্জে অনুষ্ঠিত হয় এই বৈঠক। বৈঠক শেষে অখিল ভারতীয় প্রচারক প্রধান সুনীল আম্বেকর এই তথ্য জানান। তিনি জানান, বৈঠকে সংঘের শতবর্ষের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। শতবর্ষে গ্রামীণ অঞ্চলে মণ্ডল স্তরে এবং শহরাঞ্চলে বস্তি স্তরে হিন্দু সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে, যাতে সমাজের সকল স্তরের মানুষ অংশগ্রহণ করতে পারেন। বর্তমানে দেশে ৫৮ হাজার ৯৬৪টি মণ্ডল ও ৪৪ হাজার ৫৫টি বস্তি রয়েছে। এই সম্মেলনগুলিতে সামাজিক উৎসব, সামাজিক ঐক্য ও সম্প্রীতি এবং ‘পঞ্চ পরিবর্তনে’র ওপর আলোচনা হবে।

    ‘সামাজিক সদ্ভাব বৈঠক’ (RSS)

    সামাজিক সম্প্রীতি প্রচারের লক্ষ্যে ১১ হাজার ৩৬০টি ব্লক/নগরে ‘সামাজিক সদ্ভাব বৈঠক’ও হবে। সংঘের কাঠামো অনুযায়ী দেশে মোট ৯২৪টি জেলা রয়েছে। এসব জেলায় ‘প্রমুখ নাগরিক সেমিনার’ অনুষ্ঠিত হবে যেখানে “ভারতের ভাবনা”, “ভারতের গৌরব”, “ভারতের স্বা” ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। সুনীল জানান, গৃহ সংস্পর্শ কার্যক্রমের মাধ্যমে ব্যাপক প্রচার চালানো হবে। প্রতিটি গ্রাম ও প্রতিটি বস্তিতে সর্বাধিক ঘরে পৌঁছানোর চেষ্টা করা হবে। শতবর্ষ পালনের মূল লক্ষ্য হল, পেশা, অঞ্চল ও সম্প্রদায়ভিত্তিক সর্বসমেত যোগাযোগ ও সম্পূর্ণ সামাজিক সংহতি অর্জন করা।

    শতবর্ষ উৎসবের সূচনা হবে বিজয়া দশমীতে

    সংঘের শতবর্ষ উৎসবের সূচনা হবে বিজয়া দশমী থেকে। এদিন সকল স্বয়ংসেবক বিজয়া দশমী উৎসবে অংশগ্রহণ করবেন। তিনি বলেন, “দেশ (RSS) অর্থনৈতিকভাবে সমস্ত ক্ষেত্রেই অগ্রসর হচ্ছে, বিশেষত প্রযুক্তির ক্ষেত্রে এবং জীবনের নানা দিক থেকে অগ্রগতির জন্য একসমষ্টিগত (Prant Pracharak Meeting) প্রচেষ্টা চলছে। এই অগ্রগতি সরকারিভাবেই নয়, ব্যক্তিগত পর্যায়েও ঘটছে। তবে দেশ যতই এগিয়ে যাক, শুধুমাত্র অর্থনীতি বা প্রযুক্তির দিক থেকে অগ্রসর হওয়াই যথেষ্ট নয়। এর পাশাপাশি আমাদের সমাজ ও জাতির বিশেষ বৈশিষ্ট্যগুলিকেও বজায় রাখা সমান গুরুত্বপূর্ণ।”

    সুনীল জানান, চলতি বছরের এপ্রিল থেকে জুন মাস পর্যন্ত দেশজুড়ে মোট ১০০টি প্রশিক্ষণ শিবির অনুষ্ঠিত হয়েছে। দেশের ৮ হাজার ৮১২টি জায়গার কার্যকর্তারা সংঘ শিক্ষা বর্গে অংশগ্রহণ করেছেন। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে (Prant Pracharak Meeting) সুনীল বলেন, “লোভ, জোরজবরদস্তি, কারও অসুবিধার সুযোগ নেওয়া বা চক্রান্তের মাধ্যমে ধর্মান্তরণ সম্পূর্ণরূপে ভুল।” তিনি জানান, ভারতের সমস্ত ভাষাই জাতীয় ভাষা। সংঘের বিশ্বাস প্রাথমিক শিক্ষা মাতৃভাষায় হওয়া উচিত (RSS)।

  • BJP: জনসংঘের প্রতিষ্ঠাতা শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের জন্মবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা নিবেদন বিজেপির

    BJP: জনসংঘের প্রতিষ্ঠাতা শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের জন্মবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা নিবেদন বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জনসংঘের প্রতিষ্ঠাতা ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের (Shyama Prasad Mukherjee) জন্মবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা নিবেদন করল বিজেপি। রবিবার সকালে দিল্লিতে শ্যামাপ্রসাদকে শ্রদ্ধা জানান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব, দিল্লি বিজেপির (BJP) সভাপতি বীরেন্দ্র সচদেবা, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তা এবং অন্যান্য দলীয় নেতারা। এদিন রেখা বলেন, এই দেশের মাটিতে যদি কেউ প্রথম জাতীয়তাবাদের বীজ বপন করে থাকেন, তাহলে তিনি হলেন ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি। তিনি দেশে প্রথমে রাষ্ট্র এই চেতনা জাগিয়ে তুলেছিলেন। তৎকালীন বিভিন্ন সরকার যখন দেশীয় স্বার্থের পরিপন্থী কোনও সিদ্ধান্ত নিচ্ছিল, তখন তিনি মন্ত্রীত্ব পদে ইস্তফা দেন। ভারতের ঐক্যের জন্য লড়াইও করেছিলেন তিনি। একটি দেশের দুটি সংবিধান, দুটি প্রধান এবং দুটি পতাকা থাকতে পারে না – এ কথা বলার সাহস ছিল তাঁর।

    কী বললেন যোগী (BJP)

    শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির ১২৫তম জন্ম বার্ষিকীতে তাঁকে শ্রদ্ধা জানালেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথও। লখনউতে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে যোগী তাঁকে একজন শিক্ষাবিদ হিসেবে উল্লেখ করেন। উল্লেখ করেন শিক্ষাক্ষেত্রে তাঁর অবদানের কথাও। ১৯৪৩ সালে বাংলার দুর্ভিক্ষের সময় তাঁর সেবার কথাও স্মরণ করেন যোগী। ১৯০১ সালের ৬ জুলাই জন্ম শ্যামাপ্রসাদের। মাত্র ৩৩ বছর বয়সে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বকনিষ্ঠ উপাচার্য হয়েছিলেন। তিনি ছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামীও। যোগী বলেন, সরকার যখন জম্মু-কাশ্মীরকে পৃথক মর্যাদা দেওয়ার চেষ্টা করছিল, তখন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেছিলেন শ্যামাপ্রসাদ। তিনি বেলন, শ্যামাপ্রসাদের স্বপ্ন পূরণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি জম্মু-কাশ্মীরকে মূলধারায় নিয়ে এসেছিলেন (BJP)।

    জনসংঘের প্রতিষ্ঠাতা

    শ্যামাপ্রসাদকে এদিন শ্রদ্ধা জানিয়েছে বঙ্গ বিজেপিও। বিজেপির নয়া রাজ্য সভাপতি পুষ্পস্তবক দিয়ে শ্রদ্ধা জানান জনসংঘের এই প্রতিষ্ঠাতাকে। কিছুদিন আগেই তাঁর বলিদান দিবস ছিল। সেদিন কেওড়াতলা মহাশ্মশানে গিয়ে তাঁকে শ্রদ্ধা জানান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। বিধানসভায়ও তিনি মাল্যদান করেছিলেন শ্যামাপ্রসাদের মূর্তিতে। কেওড়াতলায় গিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়ে এসেছিলেন বিজেপির প্রাক্তন সর্বভারতীয় সম্পাদক রাহুল সিনহাও। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা বিজেপি কার্যালয়ে শ্যামাপ্রসাদকে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেছিলেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও।

    ভারত কেশরী শ্যামাপ্রসাদকে শ্রদ্ধা জানিয়েছে ত্রিপুরা সরকারও। একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি জানান, আগরতলা টাউন হলের নাম পরিবর্তন করে ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির (Shyama Prasad Mukherjee) নামে করা হবে (BJP)।

  • BJP leaders Death Case: “এটা কি রসিকতা হচ্ছে?” ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় সিবিআইকে ধমক আদালতের

    BJP leaders Death Case: “এটা কি রসিকতা হচ্ছে?” ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় সিবিআইকে ধমক আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “এটা কি রসিকতা হচ্ছে?” ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় ঠিক এই প্রশ্ন তুলেই সিবিআইকে (CBI) ধমক দিল আদালত। তথ্যপ্রমাণ জোগাড় হয়ে গিয়েছে দু’বছর আগেই (BJP leaders Death Case)। তার পরেও কেন অতিরিক্ত চার্জশিট জমা দেওয়া হল চার বছর পর? প্রশ্ন আদালতের।

    ভোট পরবর্তী হিংসায় খুন (BJP leaders Death Case)

    একুশের বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর ভোট পরবর্তী হিংসায় খুন হয়েছিলেন কাঁকুড়গাছির বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকার। সেই মামলায় মাত্র দু’দিন আগেই অতিরিক্ত চার্জশিট জমা দিয়েছে সিবিআই। এই চার্জশিটে নাম রয়েছে ১৮ জনের। তার মধ্যে আবার তিনজনই হলেন তৃণমূলের নেতা। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন বেলেঘাটার তৃণমূল বিধায়ক পরেশ পাল এবং কলকাতা পুরসভার দুই কাউন্সিলর স্বপন সমাদ্দার এবং পাপিয়া ঘোষ। শুক্রবার কলকাতার বিচার ভবন সেই মামলায় ১৮ জনকেই সমন পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে। পাঠাতে বলা হয়েছে চার্জশিটের প্রতিলিপিও। আদালত এদিন জানিয়ে দেয়, কেবল ওই ১৮ জনই নন, মূল চার্জশিটে যে ২০ জনের নাম রয়েছে, তাঁদেরও সমন পাঠাতে হবে।

    সিবিআইকে ধমক আদালতের

    বিচারকের এই নির্দেশের পর সিবিআইয়ের তরফে আদালতকে জানানো হয়, সকলকে চার্জশিট পাঠাতে তাদের মাসখানেক সময় লাগবে। এতেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিচারক। বলেন, “চার বছর পর সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট দিচ্ছেন। এটা কী ম্যাটার অফ জোক? চার বছর ধরে কী করছিলেন? চার্জশিটে তো দেখলাম তথ্যপ্রমাণ জোগাড় করা হয়েছে দু’বছর আগেই।” তিনি বলেন, “তদন্তের অধিকার দেওয়া হয়েছে মানে সেটা আপনাদের খামখেয়ালির ওপর নির্ভর করতে পারে না।” এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ১৮ জুলাই। সিবিআই (CBI) সূত্রে খবর, ওই দিনই অভিযুক্তদের আদালতে হাজির থাকতে বলা হবে (BJP leaders Death Case)।

    একুশের বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে শুরু হয় ভোট পরবর্তী হিংসা। প্রতিটি ক্ষেত্রেই কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে বিজয়ী দল তৃণমূলকে। ওই সময়ই ভোট পরবর্তী হিংসায় অভিজিৎ খুন হন বলে অভিযোগ। পরিবারের দাবি, ২ মে ফল ঘোষণার দিনই অভিজিৎকে পিটিয়ে, গলায় কেবল টিভির তার জড়িয়ে খুন করা হয়। এই ঘটনায় অন্যতম মূল অভিযুক্ত অরুণ দে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হন গত সপ্তাহে (BJP leaders Death Case)।

  • Shamik Bhattacharya: “তলোয়ার নয়, আমরা তাদের হাতে কলম তুলে দিতে চাই,” ‘মেইডেন স্পিচে’ বললেন শমীক

    Shamik Bhattacharya: “তলোয়ার নয়, আমরা তাদের হাতে কলম তুলে দিতে চাই,” ‘মেইডেন স্পিচে’ বললেন শমীক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বিজেপি (BJP) মুসলমান বিরোধী নয়, বরং মুসলমানদের হাত থেকে তলোয়ার কেড়ে নিয়ে কলম ধরাতে চায়।” বৃহস্পতিবার কলকাতার সায়েন্স সিটির বিশাল মঞ্চ থেকে কথাগুলি বললেন বিজেপির নয়া রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য (Shamik Bhattacharya)। বস্তুত, এ রাজ্যে বিজেপি এখনও মুসলমানদের ‘কাছের লোক’ হয়ে উঠতে পারেনি। তৃণমূলের চটকদারির রাজনীতিতে (স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী ইদের জমায়েতে গিয়ে নমাজ পড়েন) ভুলে গিয়ে ‘স্বজাতি’কেই (পড়ুন, তমান্না খাতুন)খুন করে বসে।

    মুসলিমদের প্রতি বার্তা শমীকের (Shamik Bhattacharya)

    রাজনৈতিক মহলের মতে, তৃণমূলের পাল্লায় পড়ে মুসলিমদের এই বিপথগামিতা থেকে সরিয়ে আনতে বিজেপির নয়া রাজ্য সভাপতি যে আগ্রহী, এদিন সেই বার্তাই দিলেন শমীক। বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি হিসেবে এদিন তাঁর ‘মেইডেন স্পিচে’ শমীক মুসলমানদের কাছে টানার চেষ্টা করলেন আন্তরিকভাবেই। এদিন শমীকের হাতে রাজ্য সভাপতির দায়িত্বের শংসাপত্র তুলে দেন গৈরিক শিবিরের কেন্দ্রীয় নেতা তথা প্রাক্তন মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিদায়ী সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার এবং রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। হাতে শংসাপত্র পাওয়ার পর বঙ্গ বিজেপির নয়া সারথি হিসেবে তাঁর ‘মেইডেন স্পিচে’ শমীক বলেন, “দিনের পর দিন বাংলার মাটিতে সাম্প্রদায়িক বিভাজন তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু বিজেপির লড়াই কোনও মুসলমানের বিরুদ্ধে নয়। যারা পাথর হাতে ঘোরে, তাদের আমরা বই ধরাতে চাই। যারা তলোয়ার নিয়ে রাস্তায় নামে, তাদের হাতে আমরা কলম তুলে দিতে চাই।”

    হিন্দু-মুসলিম সৌহার্দ্যের বার্তা

    হিন্দু-মুসলিম সৌহার্দ্যের বার্তা দিয়ে বিজেপির নয়া রাজ্য সভাপতি বলেন, “আমরা চাই দুর্গাপুজোর বিসর্জন আর মহরমের শোভাযাত্রা একই রাস্তা দিয়ে যাক, এক সঙ্গে, সংঘর্ষ ছাড়াই। আমরা চাই সম্প্রীতির বাংলাকে (BJP) বাঁচাতে।” তিনি বলেন, “এজন্য কোনও দাঙ্গা হবে না, সংঘর্ষ হবে না। কোনও রাজনৈতিক সম্প্রীতির বিভাজন থাকবে না। পশ্চিমবঙ্গকে বাঁচাতে হবে, বাঁচাতে হবে এর বহুত্ববাদকে। এই মাটিকে রক্ষা করতে হবে। এটাই বিজেপির (Shamik Bhattacharya) লড়াই। এটা আমরা করেও দেখাব।”

    মুসলমানদের গৌরবোজ্জ্বল অতীতের কথা স্মরণ

    এদিনের মঞ্চ থেকে মুসলমানদের গৌরবোজ্জ্বল অতীতের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে শমীক বলেন, “বাংলার সংখ্যালঘু ভাইবোনেরা সৈয়দ মুজতবা সিরাজ, সৈয়দ মুস্তাফা আলি, এস ওয়াজেদ আলি, নজরুলের কথা শুনবে, না কি কোনও উগ্রপন্থীর কথা শুনবে? না কি হুমায়ুন কবীরের বক্তব্যকে গ্রহণ করবে?” তিনি বলেন, “আপনাকেই চিন্তা করতে হবে, আপনার পরবর্তী প্রজন্ম তলোয়ার নিয়ে রাস্তায় বেরবে, না কি রাস্তায় পাথর ছুড়বে? মুসলমান মানেই সমাজবিরোধী! দেখুন রাজ্যের দিকে তাকিয়ে। মারছে মুসলমান, মরছেও মুসলমানই। কারা এই অবস্থা তৈরি করল?” বিজেপির নয়া রাজ্য সভাপতি বলেন, “আপনারা মনে করলে বিজেপিকে ভোট দেবেন না, কিন্তু আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে প্রশ্ন করুন, গত তিন বছরে পশ্চিমবঙ্গে যত খুন হয়েছে, তার মধ্যে মুসলমানদের সংখ্যা কত। ৯০ শতাংশই মুসলমান খুন হয়েছেন। যারা মারছে আর যারা মরছে, তারা সবাই মুসলমান। আর তাদের পরিবার বলছে সিবিআই তদন্ত চাই।”

    ঘাসফুল বিরোধী সব ভোটকে পদ্মঝুলিতে ফেলার চেষ্টা

    বছর ঘুরলেই রাজ্যে বাজবে বিধানসভা নির্বাচনের ডংকা। তাই তৃণমূলকে (Shamik Bhattacharya) রাজ্য থেকে উৎখাত করতে ঘাসফুল বিরোধী সব ভোটকে পদ্মঝুলিতে ফেলার চেষ্টাও এদিন করেছেন শমীক। বঙ্গ বিজেপির দণ্ডমুণ্ডের নয়া কর্তা বামেদের উদ্দেশে (BJP) বলেন, “বামদের বলছি, ভোট কাটাকাটি করবেন না। পেছনের দরজা দিয়ে তৃণমূলকে ক্ষমতায় ফেরাবেন না। ২০২৬ সালে নির্বাচন, তৃণমূলের বিসর্জন। তাই যার যা পতাকা আছে, সেগুলি সরিয়ে রেখে আসুন এক সঙ্গে লড়ুন। সমস্ত মত-পথ ভুলে যান। এগিয়ে আসুন। তৃণমূলকে সরিয়ে দিন। তারপর আবার যে যার মত-পথে চলবেন।” তিনি বলেন, “মানুষ শিল্প চায়, চাকরি চায়। অথচ রাজ্যে তা নেই। অথচ আমাদের সোনার বাংলা ছিল। আবার সোনার বাংলা বানাতে হবে।” শমীক (Shamik Bhattacharya) বলেন, “বাংলার মানুষ তৃণমূলের শাসন থেকে মুক্তি চাইছেন।”

    ছাব্বিশের ভোটে বিজেপিই জিতবে

    তবে ছাব্বিশের ভোটে যে আর তৃণমূল আর রাজ্যের ক্ষমতায় ফিরবে না, এদিন সে কথাও প্রত্যয়ের সঙ্গে জানিয়ে দেন শমীক। বলেন, “তৃণমূল শেষ হয়ে গিয়েছে। আর থাকবে না। তৃণমূলের মুখ কোথায়? মানুষ সবাইকে প্রত্যাখ্যান করছে। আমরা সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করব। আগামী নির্বাচনে তৃণমূলকে হারিয়ে আমরা ক্ষমতায় আসব।” তবে এ রাজ্যে বিজেপির সংগঠন বিস্তার যে অনায়াস নয়, তা বেশ বোঝেন শমীক। বলেন, “এতদিন ধরে বিজেপি এতটা রাস্তা পেরিয়েছে। সেই রাস্তা কিন্তু মসৃণ ছিল না। আমাদের কর্মীদের ওপর অনেক অত্যাচার হয়েছে, মিথ্যে মামলা দেওয়া হয়েছে। তা সত্ত্বেও কর্মীরা সাহসের সঙ্গে লড়াই করেছেন।” তিনি (Shamik Bhattacharya) বলেন, “আমরা সর্বস্তরের সব নেতা-কর্মীকে সঙ্গে নিয়ে এক সঙ্গে লড়াই করব। কোথাও কোনও ভেদাভেদ থাকবে না।” শমীক বলেন, “আগামী নির্বাচনে বিজেপিই জিতছে। পৃথিবীর কোনও শক্তি নেই, যারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চতুর্থবারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী পদে বসাবেন (BJP)।”

LinkedIn
Share