Tag: bjp

bjp

  • Yogi Adityanath: আশি-বিশের লড়াই, উত্তরপ্রদেশে বিপুলভাবে জিতবে বিজেপি, দাবি যোগীর

    Yogi Adityanath: আশি-বিশের লড়াই, উত্তরপ্রদেশে বিপুলভাবে জিতবে বিজেপি, দাবি যোগীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২ বছর পরেই ভোট উত্তরপ্রদেশে। এই আবহে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের দাবি, বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি (BJP) ৮০ শতাংশেরও বেশি আসন পাবে। একটি সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath) বলেন, ২০২৭ সালের নির্বাচন হতে চলেছে আশি-বিশের লড়াই। তিনি বলেন, “২০২৭ সালের নির্বাচন আশি-বিশের যুদ্ধ। আশি শতাংশ বিজেপি এবং ২০ শতাংশে অন্যরা পাবে।”

    ২০২২ সালের নির্বাচনে বিপুল জয় পায় বিজেপি (BJP)

    প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের মার্চ মাসে অনুষ্ঠিত হয়েছিল উত্তরপ্রদেশের নির্বাচন। সে সময়ও যোগী আদিত্যনাথকে (Yogi Adityanath) এ কথাই বলতে শোনা গিয়েছিল। অর্থাৎ আশি-বিশের লড়াই। ওই নির্বাচনে বিপুল জয় পায় বিজেপি। ৪০৩টি বিধানসভার আসনের মধ্যে ২৯১টি আসনে জিতেছিল গেরুয়া শিবির। অর্থাৎ মোট আসনের ৭২ শতাংশ এসেছিল বিজেপির দখলে। সমাজবাদী পার্টির নেতৃত্বাধীন বিরোধী জোট আটকে যায় মাত্র ১০৯টি আসনে।

    এই মুহূর্তে ভোট হলে জিতবে বিজেপি, বলছে সমীক্ষা

    প্রসঙ্গত এই অনুষ্ঠানেই তাঁকে প্রশ্ন করা হয় যে আগামী দিনে তিনি এই বিজেপির ব্যাটন সামলাবেন কিনা! এর উত্তরে যোগী (Yogi Adityanath) জানান, তিনি একজন যোগী এবং দেশ ও জনগণের কল্যাণের জন্য তিনি সংকল্পবদ্ধ। যোগী আদিত্যনাথের নিজের ভাষায়, “দেখুন, আমি কারও উত্তরাধিকারী নই। আমি একজন যোগী। ভারত মাতার একজন সেবক হিসেবে এইভাবেই কাজ করতে চাই। আমাকে উত্তর প্রদেশের জনগণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আমি সেই দায়িত্ব পালন করছি।” প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে উত্তরপ্রদেশে আশানুরূপ ফল হয়নি বিজেপির। গেরুয়া শিবির আটকে যায় ৩৩ আসনে। অন্যদিকে, সমাজবাদী পার্টি জেতে ৩৭ আসনে। তবে তারপর থেকে হওয়া উপনির্বাচনগুলিতে বিপুল জয় পায় বিজেপি। এই আবহে ইন্ডিয়া টুডে সম্প্রতি একটি সমীক্ষা চালিয়েছে। সেখানে উঠে এসেছে এই মুহূর্তে ভোট হলে বিজেপি বিপুলভাবে জিতবে উত্তরপ্রদেশে। অর্থাৎ ২০২৭ সালে টানা তিনবারের জন্য উত্তরপ্রদেশে জিততে চলেছে বিজেপি। এমনটাই বলছে বর্তমান সমীক্ষা।

  • BJP: “দলের পরাজয়ের জন্য রাহুল গান্ধীই দায়ী,” তোপ বিজেপির

    BJP: “দলের পরাজয়ের জন্য রাহুল গান্ধীই দায়ী,” তোপ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “দলের পরাজয়ের জন্য রাহুল গান্ধীই (Rahul Gandhi) দায়ী এবং তাঁর ব্যর্থতার জন্য অন্যদের দোষারোপ বন্ধ করা উচিত।” শনিবার কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর মন্তব্যের জন্য তাঁকে এই ভাষায়ই আক্রমণ শানাল বিজেপি (BJP)। দু’দিনের গুজরাট সফরে গিয়েছিলেন রাহুল। দ্বিতীয় দিনে দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার সময় তিনি বলেন, “বিজেপির জন্য কাজ করা দলের নেতা-কর্মীদের ছেঁকে বের করার প্রয়োজন আছে।” এঁদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার বার্তাও দেন তিনি। হুঁশিয়ারি দেন অপসারণেরও।

    রাহুলকে আক্রমণ (BJP)

    এর পরেই রাহুলকে আক্রমণ শানান বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র সুধাংশু ত্রিবেদী বলেন, “রাহুল ও তাঁর মা সোনিয়া গান্ধী দলের শীর্ষে আসার পর থেকে কংগ্রেসের অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে।” সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, “কংগ্রেসের ১৪০ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে ব্যর্থ নেতা গুজরাটে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করে তাদের সাফল্যের মূল মন্ত্র শেখাচ্ছেন। যদিও এটি দলের অভ্যন্তরীণ বিষয়, তাঁর মন্তব্য অবশ্যই কংগ্রেসের অভ্যন্তরীণ দুর্দশা এবং তাঁর ক্রমশ অবনতিশীল মানসিক অবস্থার দিকেই ইঙ্গিত করে।”

    সবচেয়ে খারাপ নেতা

    রাজ্যসভার এই সাংসদের অভিযোগ, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান, সরকার এবং মিডিয়ার ওপর দোষারোপ করার পর, তিনি এখন নিজের দলের লোকদের দোষারোপ করতে শুরু করেছেন। পদ্ম-পার্টির এই নেতা (BJP) বলেন, “এভাবে প্রকাশ্যে নিজের দলের লোকদের অপমান করার উদাহরণ আপনি অন্য কোনও নেতার মধ্যে খুঁজে পাবেন না। গান্ধী যদি আত্মবিশ্লেষণ করেন, তবে তিনি বুঝতে পারবেন যে তিনি দলের সবচেয়ে খারাপ নেতা।”

    বিজেপির আর এক জাতীয় মুখপাত্র শেহজাদ পুনাওয়ালা বলেন, “রাহুল গান্ধী গুজরাটে নিজেকে এবং তাঁর দলকে ট্রোল করেছেন এবং নিজের প্রতিচ্ছবি দেখিয়েছেন – তিনি তাঁর ব্যর্থতার জন্য খাড়্গেজি এবং তাঁর দলের কর্মীদের দোষারোপ করছিলেন। তিনি বলেছেন, তাঁর দলের অর্ধেকেরও বেশি নেতা বিজেপির সঙ্গে গোপন আঁতাতে যুক্ত। আর তিনিই নিজের দলকে ৯০টিরও বেশি নির্বাচনে পরাজিত করেছেন। এই দিক থেকে, তিনিই বিজেপির সবচেয়ে বড় সম্পদ।” তাঁর প্রশ্ন, “আপনি (Rahul Gandhi) কি বিজেপির সঙ্গে গোপন আঁতাতে যুক্ত (BJP)?”

  • Suvendu Adhikari: মমতাকে ফের গোহারা হারাতে নয়া ‘গেম প্ল্যান’ শুভেন্দুর, ভবানীপুরে খোলা হচ্ছে কার্যালয়ও

    Suvendu Adhikari: মমতাকে ফের গোহারা হারাতে নয়া ‘গেম প্ল্যান’ শুভেন্দুর, ভবানীপুরে খোলা হচ্ছে কার্যালয়ও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের এখনও বাকি এক বছরেরও বেশি সময় (Assembly Elections 2026)। এখন থেকেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলতে শুরু করে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

    মমতার ‘গড়ে’ ধস নামানোর ছক (Suvendu Adhikari)

    ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনে কলকাতার ভবানীপুর কেন্দ্রে মমতা ফের প্রার্থী হচ্ছেন ধরে নিয়েই যাবতীয় প্রস্তুতি শুরু করে দিলেন শুভেন্দু। বিজেপি সূত্রে খবর, ভবানীপুর বিধানসভার কেন্দ্রের মধ্যেই পড়ে ৭৩ নম্বর ওয়ার্ড। এখানেই কার্যালয় তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। পয়লা মে কার্যালয়ের উদ্বোধনও করতে চান তিনি। মঙ্গলবার এনিয়ে শুভেন্দু আলোচনা করেন ভবানীপুরের বিজেপি নেতা- কর্মীদের সঙ্গে। বিজেপি ধরেই নিয়েছে নির্বাচনে জয় নিশ্চিত করতে ভবানীপুর ‘গড়ে’ই এবারও প্রার্থী হবেন মমতা। এই গড়েই ধস নামাতে কোমর কষে নামেছন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

    রেডি প্ল্যান ‘এ’

    জানা গিয়েছে, এই কেন্দ্রে মমতাকে গোহারা হারাতে ১০০ জনেরও বেশি সক্রিয় কর্মীকে নিয়ে একটি টিম গঠন করা হচ্ছে। এই টিমের কাজ হবে ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের নানা তথ্য সংগ্রহ করা। তবে এই টিমে যাঁরা থাকবেন, তাঁদের পরিচয় গোপন রাখা হবে। তথ্য সংগ্রহের পাশাপাশি এই কেন্দ্রের ভোটারদের মন বোঝারও চেষ্টা হবে বলে অসমর্থিত একটি সূত্রের খবর। গত বিধানসভা নির্বাচনে শুভেন্দুকে টেক্কা দিতে নন্দীগ্রামে ঘাসফুলের প্রার্থী হয়েছিলেন মমতা। সেই নির্বাচনে পদ্ম চিহ্নে দাঁড়িয়েছিলেন শুভেন্দু।

    নন্দীগ্রামে গোল দিয়ে ঘোল খাইয়েছিলেন

    নির্বাচনের ঢের আগেই তিনি ঘোষণা করে দিয়েছিলেন নন্দীগ্রামে তাঁর ঘরের মাঠে দাঁড়িয়ে গোল দেবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী মমতাকে। নির্বাচনের ফল বের হলে দেখা যায়, ‘কথা’ রেখেছেন শুভেন্দু। গোহারা হারিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমোকে। শেষে ভবানীপুরে উপনির্বাচন করিয়ে ভোটে জিতিয়ে আনতে হয় মমতাকে। এভাবেই (Suvendu Adhikari) সেবার কোনওক্রমে মুখ রক্ষা হয় তৃণমূল সুপ্রিমোর (Assembly Elections 2026)। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, নন্দীগ্রামে শুভেন্দু যে অস্ত্রে বধ করেছিলেন মমতাকে, এবারও সেই অস্ত্র প্রয়োগ করেই ভবানীপুরে তৃণমূল নেত্রীর গায়ে ছিটিয়ে দিতে চান পরাজয়ের কালি।

    ভবানীপুরে জেতা সহজ

    প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই শুভেন্দু বলেছিলেন, নন্দীগ্রামের চেয়ে ভবানীপুরে জেতা সহজ। চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের পরিসংখ্যান তুলে ধরে শুভেন্দু বৈঠকে দেখিয়ে দিয়েছেন, ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের আটটি ওয়ার্ডের মধ্যে ৫টিতে এগিয়ে বিজেপি। এই ওয়ার্ডগুলি হল ৬৩, ৭০, ৭১, ৭২ এবং ৭৪। আর তৃণমূল এগিয়েছিল মাত্র তিনটিতে – ৭৩, ৭৭ এবং ৮২ নম্বর ওয়ার্ডে। মুখ্যমন্ত্রী এই ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডেরই ভোটার। গত লোকসভা নির্বাচনে এই ওয়ার্ডে বিজেপি তৃণমূল প্রার্থীর চেয়ে পিছিয়ে ছিল মাত্র ২৭৯ ভোটে। মুখ্যমন্ত্রী যে ওয়ার্ডের ভোটার, সেখানেই কার্যালয় খুলে তৃণমূল সুপ্রিমোর ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলতে চান শুভেন্দু। রাজনৈতিক মহলের মতে, সেই কারণেই জায়ান্ট কিলারের (নন্দীগ্রামে মমতাকে হারানোর পর এমন খেতাব দেওয়া হয়েছে শুভেন্দুকে) এহেন উদ্যোগ।

    শুভেন্দুর নির্দেশ

    বিজেপি সূত্রে খবর, মঙ্গল-সন্ধ্যার বৈঠকে শুভেন্দু জানিয়েছেন, সংখ্যালঘু অধ্যুষিত ৭৭ নম্বর ওয়ার্ডের দিকে বিশেষ নজর না দিলেও চলবে। তবে বাকি ওয়ার্ডগুলিতে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। আর যদি তা করা যায়, তাহলে এই কেন্দ্রে বিজেপির জয় এক প্রকার নিশ্চিত। গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর, আগামী এক বছরের মধ্যে যাতে প্রতিটি বুথে বিজেপি লড়াই করার মতো শক্তি সঞ্চয় করতে পারে, সেই বিষয়ে এখন থেকেই দলীয় নেতা-কর্মীদের পদক্ষেপ করতে বলেছেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। শুভেন্দুর ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ কলকাতা জেলার বিজেপির এক নেতা। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে লড়াই হবে বলে মানসিকভাবে আমরা অনেকেই পিছিয়ে থাকি। কিন্তু শুভেন্দুদা আমাদের শক্তি জুগিয়েছেন।” তিনি বলেছেন, “বুথে শক্তি জোগাতে পারলেই আমরা মুখ্যমন্ত্রীকে লড়াইয়ের মুখে ফেলতে পারব। প্রতিটি বুথ আগলে রাখতে পারলেই যে জোরদার লড়াই সম্ভব, বৈঠকে আমাদের মনোবল বাড়িয়ে সে কথাই বলেছেন শুভেন্দুদা।”

    শুভেন্দুর গেম প্ল্যান

    বিজেপি সূত্রে খবর, শুভেন্দুর নির্দেশ, যে ওয়ার্ডগুলিতে লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি এগিয়ে ছিল, সেগুলিতে জয়ের ব্যবধান আরও বাড়াতে হবে। আর যেগুলিতে পদ্ম-প্রার্থী পিছিয়েছিলেন, সেগুলিতে কমাতে হবে ব্যবধান। দলীয় কর্মীদের ভোটার লিস্টের দিকেও বাড়তি নজর দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। বৈঠকে তিনি দলীয় নেতা-কর্মীদের জানিয়ে দিয়েছেন, ভুয়ো ভোটার বাদ দেওয়ার অছিলায় যেন বিরোধী ভোটারদের নাম বাদ না দেওয়া হয়, তা খেয়াল রাখতে হবে। বৈঠকে শুভেন্দু জানিয়ে দিয়েছেন, এখন থেকে ঝাঁপিয়ে পড়লে কেবল ভবানীপুরই নয় (Assembly Elections 2026), দক্ষিণ কলকাতার রাসবিহারী কেন্দ্রেও বিজেপি প্রার্থীর জয় সম্ভব (Suvendu Adhikari)।

  • Jadavpur University Chaos: ‘‘আরজি করের মতো যাদবপুরে আধা সেনা মোতায়েন হোক’’, রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ দাবি শুভেন্দুর

    Jadavpur University Chaos: ‘‘আরজি করের মতো যাদবপুরে আধা সেনা মোতায়েন হোক’’, রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jadavpur University Chaos) তৃণমূল কংগ্রেসের শিক্ষক সংগঠন ওয়েবকুপা-র অনুষ্ঠান ঘিরে ধুন্ধুমার শিক্ষাঙ্গন। পরিস্থিতি এতটাই জটিল যে ভয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে পারছেন না ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য। এই আবহে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করে সমস্ত রাজনৈতিক কর্মসূচি বন্ধ রাখা উচিত বলে মন্তব্য করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এজন্য রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে তৎপর হতে অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।

    পঠনপাঠন কার্যত লাটে

    যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jadavpur University Chaos) শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর আগমনের জেরে নতুন করে ছড়িয়েছে উত্তেজনা। যার জেরে কার্যত লাটে উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠনপাঠন ও গবেষণা। ফের একবার বিক্ষোভ আর স্লোগানে মুখর হয়ে উঠেছে ক্যাম্পাস। এ প্রসঙ্গে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘অবিলম্বে রাজ্যপালের উচিত আরজি করের মতো যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করে সেখানে পঠনপাঠন, গবেষণা ও শিক্ষা সংক্রান্ত কাজ ছাড়া অন্য কাজ বন্ধ করে দেওয়া। অবিলম্বে ছাত্র সংসদেও তালা লাগানো উচিত, ওয়েবকুপার অফিসেও তালা লাগানো উচিত। ব্রাত্য বসুর অফিসেও তালা লাগানো উচিত আর তথাকথিত সেকু-মাকুদের দফতরেও তালা লাগানো উচিত। যাদবপুরে মাওবাদীদের যে ছাত্র সংগঠন রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।’’

    দায়ী সরকার, বিজেপি শক্ত হাতে মোকাবিলা করবে

    যাদবপুরে বিশৃঙ্খল (Jadavpur University Chaos) পরিস্থিতির জন্য তণমূল সরকারকে দায়ী করলেও শিক্ষাক্ষেত্রে যে অরাজক পরিস্থিতি কখনওই কাম্য নয়, তা জানায় বিজেপি। রাজ্য বিজেপির প্রধান মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যেরও বক্তব্য, “শিঙ্গাঙ্গনের এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী সরকার। কিন্তু অধ্যাপক, শিক্ষামন্ত্রীকে নিগ্রহ, বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে অগ্নি-সংযোগ, এই রাজনীতি আমরা সমর্থন করি না।” বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) হুঙ্কার, ‘‘বাংলার মানুষ শুধু আমাদের পুলিশটা হাতে তুলে দিক। সেকু-মাকু, ওই দু’টোকেই উপড়ে ফেলে দেব! এক ঘণ্টা লাগবে!’’ শিক্ষাক্ষেত্রে শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতির দাবি জানিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের চার নম্বর গেটের সামনে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপির ছাত্র সংগঠন এবিভিপি। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে নকশাল মুক্ত করার দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে তারা। এবিভিপির সমর্থকরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢোকার চেষ্টা করলে তাদের সঙ্গে ছাত্রদের সংঘর্ষ বেঁধে যায়। বিজেপি রাজ্য় সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন,‘‘বিজেপি সরকারে আসবে ছাব্বিশে। তারপরে এরা আর বেঁচে থাকবে না।’’ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুর কথায়, ‘‘আলিগড় মুসলিম ইউনিভার্সিটি সোজা হয়ে গেছে। জেএনইউ অনেকটা সোজা হয়ে গেছে। এটা করতেও বেশিক্ষণ লাগবে না। যোগীজি, হিমন্ত বিশ্বশর্মার ফরমুলাতে এক ঘণ্টা লাগবে এদের সোজা করতে।’’

  • Rohit Sharma: বিশ্বকাপ জয়ী ভারত অধিনায়ককে এভাবে অসম্মান! কংগ্রেস-তৃণমূলকে তুলোধনা বিজেপির

    Rohit Sharma: বিশ্বকাপ জয়ী ভারত অধিনায়ককে এভাবে অসম্মান! কংগ্রেস-তৃণমূলকে তুলোধনা বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বকাপ জয়ী ভারত অধিনায়ককেও অসম্মান করা যায়! এটাই রীতি কংগ্রেস ও তৃণমূলের। এমনই মনে করছে নেটপাড়া। ভারতীয় ক্রিকেট অধিনায়ক রোহিত শর্মাকে বডি শেমিং ও কটাক্ষ করা নিয়ে দেশজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। কংগ্রেস (Congress Leader Shama Mohammad) নেত্রী শামা মহম্মদ এবং তৃণমূল (TMC)-নেতা সৌগত রায়ের মন্তব্যকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক। কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য কড়া ভাষায় কংগ্রেস ও তৃণমূল নেতাদের সমালোচনা করে বলেছেন, “এটা শুধু লজ্জাজনক নয়, চরম নিন্দনীয়!”

    শামা-সৌগতর মন্তব্য

    সোমবার কংগ্রেসের জাতীয় মুখপাত্র শামা মহম্মদ এক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে রোহিত শর্মাকে (Rohit Sharma) “একজন খেলোয়াড়ের নিরিখে বেশি মোটা” বলে কটাক্ষ করেন। রোহিতকে ভারতের “সবচেয়ে প্রভাবহীন অধিনায়ক” বলেও উল্লেখ করেন তিনি। তাঁর এই মন্তব্য মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায়। এরপর তৃণমূল কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা সৌগত রায় কংগ্রেস নেত্রীর মন্তব্যকে সমর্থন জানিয়ে বলেন, “রোহিত শর্মা অধিনায়ক হওয়ার যোগ্য নন, তিনি দলে থাকারও যোগ্য নন! আমি শুনেছি সম্প্রতি রোহিত শর্মার ফর্ম খুব খারাপ যাচ্ছে। ও একটি শতরান করেছে। তাছাড়া দু’রান, তিন রান, চার রান, পাঁচ রানেই আউট হয়ে যায়। ওর দলে থাকার যোগ্যতা নেই। ভারত জিতে যাচ্ছে, কারণ অন্য খেলোয়াড়রা ভালো খেলছে। অধিনায়কের কোনও অবদান নেই। শামা মহম্মদ যা বলেছেন, সেটা সত্যি।” এই বক্তব্য নিয়ে প্রবল ক্ষোভ ছড়িয়ে ছড়িয়ে পড়ে ক্রীড়াপ্রেমীদের মধ্যে।

    নেটিজেনদের নিশানা

    রোহিতকে সমালোচনা করায় সৌগতকে নিশানা করে রীতিমতো কটাক্ষের বন্যা বয়ে যায় নেটপাড়ায়। এক নেটিজন বলেন, “সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ভারতের ওপেনিং জুটি: রোহিত শর্মা ও শুভমন গিল – না। সৌগত রায় ও শুভমন গিল – হ্যাঁ। উনি সেঞ্চুরি করবেন।” একজন তো আরও একধাপ এগিয়ে গিয়ে বলেন, “লর্ডসের মেঘলা সকালে স্যাঁতস্যাঁতে পিচে সৌগতবাবু ব্যাট করছেন। আর মিচেল স্টার্ক বল করছেন। দারুণ।” অপর একজন বলেন, “রোহিতকে বাদ দিয়ে সৌগত রায়কে দিয়ে ওপেন করানোর আবেদন করছি ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) কাছে। ওঁনাকে একবার সুযোগ দেওয়া দরকার। এখন উনি খুব ভালো ব্যাট করেন।”

    কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রীর তোপ

    কংগ্রেসের জাতীয় মুখপাত্র এবং তৃণমূল সাংসদকে আক্রমণ শানিয়ে কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী বলেন, “ক্রীড়াবিদদের নিয়ে মাথা ঘামানোর দরকার নেই কংগ্রেস এবং তৃণমূল কংগ্রেসের। কারণ তাঁরা নিজেদের পেশাদার কেরিয়ার সামলাতে পারেন। এই সব দলের নেতারা যে মন্তব্য করেছেন, তা স্রেফ চূড়ান্ত লজ্জার নয়, জঘন্যও বটে। তাঁরা একজন অ্যাথলিটের বডিশেমিং করেছেন। দলে তাঁর জায়গা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। এই ধরনের মন্তব্যের মাধ্যমে আমাদের ক্রীড়াবিদদের কঠোর পরিশ্রমকে খাটো করা হয়। যাঁরা অনেক কিছু বিসর্জন দিয়ে বিশ্বমঞ্চে দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন।”

    বিজেপির কটাক্ষ

    এ প্রসঙ্গে কংগ্রেসকে নিশানা করে বিজেপি (Netizens Trolls Saugata)। পদ্ম শিবিরের নেতা শেহজাদ পুনাওয়ালা বলেন, “রাহুল গান্ধীর ক্যাপ্টেনসিতে যারা ৯০টি নির্বাচনে হেরেছে, তাঁরা আবার রোহিত শর্মার ক্যাপ্টেনসিকে ম্যাড়মেড়ে বলে! আমার ধারনা দিল্লিতে ৬টি ও ৯০টি নির্বাচনে হেরে যাওয়াটা খুবই প্রভাব-প্রতিপত্তির বিষয়, কিন্তু টি-২০ বিশ্বকাপ জেতাটা তা নয়! রোহিত শর্মার অসাধারণ ধারবাহিকতা রয়েছে খেলোয়াড় ও ক্যাপ্টেন হিসেবে।” ক্রমশ অস্বস্তি বাড়তে থাকে কংগ্রেসের। পরিস্থিতি অন্য দিকে মোড় নিচ্ছে আঁচ করে কংগ্রেস শামার বক্তব্যের সঙ্গে দলীয় অবস্থানের দূরত্ব তৈরি করতে শুরু করে। কংগ্রেস নেতা পবন খেরা সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে জানান, “শামা মহম্মদের মতামত একান্তই তাঁর নিজেস্ব। দলের সঙ্গে এক কোনও যোগ নেই। দল শামাকে সেই পোস্টটি মুছে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিল। ভারতের ক্রীড়াবিদদের অবদানকে সবসময় সম্মান করে কংগ্রেস।”

  • Omar Abdullah: বিজেপি এবং মোদির সঙ্গে দূরত্ব কমছে ভূস্বর্গের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লার!

    Omar Abdullah: বিজেপি এবং মোদির সঙ্গে দূরত্ব কমছে ভূস্বর্গের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লার!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) সঙ্গে দূরত্ব কমছে জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লার (Omar Abdullah)! অন্তত ওয়াকিবহাল মহলের অভিমত এমনই। এর আগে প্রায়ই তিনি জম্মু-কাশ্মীর ধ্বংস করার জন্য দায়ী করেছিলেন বিজেপিকে। সেই তিনিই এখন বদলাচ্ছেন ভোল।

    ৩৭০ ধারা রদ (Omar Abdullah)

    ২০১৯ সালে ভূস্বর্গ থেকে বাতিল হয়ে যায় ৩৭০ ধারা। তার পরেই বিজেপির বিরুদ্ধে যাঁরা সব চেয়ে বেশি সরব হয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে ছিলেন ওমর-ও। মুসলমান অধ্যুষিত উপত্যকায় উত্তেজনা বৃদ্ধির জন্যও তিনি বিভিন্ন সময় দুষেছিলেন পদ্ম-পার্টিকে। বিজেপির বিরুদ্ধে তিনি বিভাজনের রাজনীতি করার অভিযোগ তুলেছিলেন। অভিযোগ তুলেছিলেন জম্মু-কাশ্মীরের মানুষের আশা-আকাঙ্খা উপেক্ষা করারও। লোকসভা নির্বাচনের আগে ‘সংকল্পপত্র’ (ইশতেহার) প্রকাশ করেছিল বিজেপি। তাকে কটাক্ষ করে ন্যাশনাল কনফারেন্সের এই নেতা বলেছিলেন, “এটি জম্মু-কাশ্মীর ধ্বংসের লক্ষ্যে তৈরি করা হয়েছে।”

    ওমরের মুখে মোদি প্রশস্তি!

    তবে জম্মু-কাশ্মীরের (Omar Abdullah) মুখ্যমন্ত্রীর সাম্প্রতিক বিবৃতি ও কার্যকলাপ তাঁর রাজনৈতিক অবস্থানে লক্ষণীয় পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়। ক্ষমতায় আসার মাত্র তিন মাস পরেই ওমর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রশংসা করেন জম্মু ও কাশ্মীরের উন্নয়নের জন্য। গত ১৩ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী যখন ২৭০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সোনমার্গ টানেলের উদ্বোধন করেন, তখনও মোদি-প্রশস্তি শোনা গিয়েছিল ওমরের মুখে। ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে, নির্বাচন জয়ের পরপরই ওমর প্রকাশ্যে স্বীকার করেছিলেন, জম্মু-কাশ্মীর সরকারের প্রয়োজন “কেন্দ্রের সঙ্গে সমন্বয় বজায় রাখা।” তিনি এও স্বীকার করেছিলেন, “জম্মু ও কাশ্মীরের অনেক সমস্যার সমাধান কেন্দ্রের সঙ্গে লড়াই করে সম্ভব নয়।”

    ওমরের বাবা তথা ন্যাশনাল কনফারেন্স সভাপতি, ফারুক আবদুল্লা সহযোগিতামূলক দৃষ্টিভঙ্গির প্রতি সমর্থন জানিয়ে বলেন, “জম্মু ও কাশ্মীর সরকার কেন্দ্রের সঙ্গে লড়াই করতে পারে না।” ওমরের এই ‘বিজেপি-প্রীতি’ ভালো চোখে দেখছেন না জম্মু-কাশ্মীর পিপলস কনফারেন্সের নেতা তথা বিধায়ক সাজ্জাদ লোন। ওমরের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। লোন বলেন, “নির্বাচনী প্রচারের সময় সবই ছিল ৩৭০ ধারা সংক্রান্ত এবং কীভাবে অন্য সবাই বিজেপির (PM Modi) সঙ্গে রয়েছে, সেই প্রশ্ন। আর এখন আদর্শগত মিল। কী বিশাল পতন (Omar Abdullah)!”

  • Jadavpur University Incident: হিন্দু ভোট ভাগ করতেই যাদবপুরকাণ্ড! ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছে বিজেপি

    Jadavpur University Incident: হিন্দু ভোট ভাগ করতেই যাদবপুরকাণ্ড! ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছে বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাদবপুরকাণ্ডের (Jadavpur University Incident) নেপথ্যে রয়েছে ঘোর ষড়যন্ত্র। অন্তত এমনই মনে করে বিজেপি (BJP)। গেরুয়া শিবিরের দাবি, ২০২৬ সালে রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে বিজেপিকে রুখতে ঘুরিয়ে সিপিএমের হাত শক্ত করতে চাইছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল।

    পুরোটা ড্রামা! (Jadavpur University Incident)

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার বলেন, “এটা (যাদবপুরকাণ্ড) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে পুরোটা ড্রামা হতে পারে।” তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গে এসএফআইকে প্রাসঙ্গিক করতে চাইছেন, মানে সিপিএমকে প্রাসঙ্গিক করতে চাইছেন।” তিনি বলেন, “বাংলাদেশের চিত্র দেখার পরে পশ্চিমবঙ্গে হিন্দুরাও বুঝতে পেরেছেন আগামীদিনে বাংলাদেশ পার্ট-টু তাঁদের জন্য অপেক্ষা করছে। হিন্দু ভোট ভাগ করতে হবে। হিন্দু ভোট যদি সব বিজেপি পেয়ে যায়, আর চার পার্সেন্ট পেয়ে গেলেই তো বিজেপি সরকারে চলে আসবে।”

    হিন্দু ভোট ভাগ করার কৌশল!

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ বলেন, “আসলে হিন্দু ভোট ভাগ করার জন্য সিপিএমকে তোলা হচ্ছে। এখন তৃণমূল-এসএফআই সংঘর্ষ হবে। সিপিএম নেতাদের ওপর হামলা হবে। সিপিএম পার্টি অফিসে হামলা হবে। যখনই হামলা হয়, তার মানে আপনি প্রাসঙ্গিক হন। এখন সেই চেষ্টা করা হচ্ছে। উল্টো হামলা করে সিপিএমকে প্রাসঙ্গিক করার চেষ্টা চলছে।” তিনি বলেন, “সিপিএমকে ভোট দেওয়া মানেই তৃণমূলকে সাহায্য করা।”

    নয়া আইপ্যাকের হাত থাকতে পারে

    যাদবপুরকাণ্ডে নয়া আইপ্যাকের হাত থাকতে পারে বলেও (Jadavpur University Incident) আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন (BJP) সুকান্ত। তিনি বলেন, “যাদবপুরের ঘটনা নতুন যে আইপ্যাক হয়েছে, তার প্ল্যান হতে পারে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে পুরোটাই ড্রামা হতে পারে। আইপ্যাক এর আগে এমন বহু কাজ করেছে।” সুকান্ত বলেন, “যারা ভোটে জেতার জন্য নিম্ন রুচির পরিচয় দিতে পারে, তারা এই ধরনের কাজ করতেই পারে। লোকসভা নির্বাচনে আমার বিরুদ্ধেই আইপ্যাক লিফলেট বিলি করেছিল। আমি ভোটে হার স্বীকার করে নিচ্ছি এই সব বলে লিফলেট বিলি করেছিল আইপ্যাক।”

    কি বললেন শুভেন্দু

    এদিকে, পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি ক্ষমতায় এলে যে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বদলে যাবে, তা মনে করিয়ে দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক জায়ান্ট কিলার (বিধানসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারানোয় এই খেতাব জোটে) শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “বিজেপি ক্ষমতায় এলে এক ঘণ্টায় নকশালমুক্ত করা হবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে।” তিনি বলেন, “জনগণ পুলিশটাকে বিজেপির হাতে দিয়ে দিক, আলিগড় মুসলিম ইউনিভার্সিটি সোজা হয়ে গিয়েছে। জেএনইউ অনেকটা সোজা হয়ে গিয়েছে। এটা করতেও বেশিক্ষণ লাগবে না।” তিনি বলেন, “যোগীজি, হিমন্ত বিশ্বশর্মার ফরমুলায় এক ঘণ্টা লাগবে এদের সোজা করতে।”

    বিজেপিকে ওঝার সঙ্গে তুলনা

    বিজেপিকে ওঝার সঙ্গে তুলনা করে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের দাবি, পদ্ম-পার্টি দেশের বহু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নকশালদের তাড়িয়েছে। বালুরঘাটের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় এই মন্ত্রী বলেন, “এরকম অনেক নকশালপন্থী সংগঠন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সক্রিয় রয়েছে। এরা ভারতের সংবিধান মানে না। ভারতের বর্তমান কাঠামোকে মানে না। এদের তো জিইয়ে রেখেছে তৃণমূল কংগ্রেস।” এর পরেই সুকান্ত বলেন, “২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যে ক্ষমতায় আসবে বিজেপি। তার পরে আর এরা বেঁচে থাকবে না।” তিনিও বলেন (Jadavpur University Incident), দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়, হায়দরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এদের বিদায় করেছি, ওসমানিয়া ইউনিভার্সিটি এক সময় এই নকশালদের গড় ছিল। এখন আর তাদের খুঁজে পাওয়া যায় না।” তিনি বলেন, “বিজেপি হচ্ছে এদের ওঝা (BJP)।”

    প্রসঙ্গত, শনিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিতে শিক্ষামন্ত্রীকে ঘিরে বিক্ষোভ প্রদর্শন হয়। অভিযোগ, এর পরে শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ি ছাত্রদের ধাক্কা দিয়ে ক্যাম্পাস থেকে বেরিয়ে যায়। এই ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজ্য রাজনীতি। ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র ধর্মঘট ডেকেছিল এসএফআই এবং ডিএসও।

    তৃতীয় পক্ষে’র হাত!

    যাদবপুরের ঘটনায় ‘তৃতীয় পক্ষে’র হাত দেখছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুও। তাঁর বক্তব্যেই এমন ইঙ্গিত মিলেছে। ব্রাত্য বলেন, “গুন্ডামি করতে চেয়েছিল এক দল।” তিনি বলেন, “ওঁরা ঘেরাও করতে চাইছিলেন, তাতে অসুবিধা ছিল না। তৃণমূলপন্থী অধ্যাপকদের মারধর, তৃণমূলের মন্ত্রীর গাড়ি ভাঙচুর, এগুলো হতেই পারে?” এর পরেই তিনি বলেন, “রাজনৈতিকভাবে দুর্বল ভাববেন না। আমরা রাজনৈতিকভাবেই লড়তে চাই।” তবে ভাঙচুরের ঘটনা সিপিএমের ছাত্র সংগঠন এসএফআই ঘটায়নি বলেও জানান তিনি। বিজেপির একাংশের দাবি, রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর এই বক্তব্যই বাম ও তৃণমূলের বোঝাপড়ার তত্ত্ব খাড়া করছে। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “বাংলার মানুষ শুধু আমাদের হাতে পুলিশটা তুলে দিক। সেকু-মাকু, ওই দুটোকেই উপড়ে ফেলে দেব (BJP)! এর ঘণ্টা লাগবে (Jadavpur University Incident)।”

  • BJP: নন্দীগ্রামে সমবায় ভোটে গেরুয়া ঝড়, শূন্য তৃণমূল, ‘‘চোরদের বিরুদ্ধে জয়লাভ’’, বললেন শুভেন্দু

    BJP: নন্দীগ্রামে সমবায় ভোটে গেরুয়া ঝড়, শূন্য তৃণমূল, ‘‘চোরদের বিরুদ্ধে জয়লাভ’’, বললেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিধানসভা কেন্দ্র নন্দীগ্রাম (Nandigram)। সেখানেই গেরুয়া ঝড়ে উড়ে গেল তৃণমূল। একটি সমবায় সমিতির নির্বাচনে বিজেপির (BJP) দাপটে খাতাই খুলতে পারল না তৃণমূল। ১২টি আসনের সবগুলিতেই জিতল গেরুয়া শিবির। অত্যন্ত হাস্যকর ভাবে পরাস্ত হতেই বিজেপির বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ এনেছে তৃণমূল।

    কী লিখলেন শুভেন্দু?

    নিজের সমাজমাধ্যমের পোস্টে শুভেন্দু অধিকারী লেখেন, ‘‘নন্দীগ্রাম ১ এ ৫ নম্বর জিপি’র অন্তর্গত দেশপ্রাণ সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতি লিমিটেডের পরিচালন সমিতি নির্বাচনে ১২টি আসনের সবকটিতেই রাষ্ট্রবাদী প্রার্থীরা চোরদের বিরুদ্ধে জয়লাভ করেছেন। চোরেদের হারিয়ে রাষ্ট্রবাদী প্রার্থীদের নির্বাচিত করার জন্য ভোট দাতা সকল সমবায়ী বন্ধুদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করি। নির্বাচিত সকল সদস্যদের জাতীয়তাবাদী গৈরিক অভিনন্দন জানাই।’’

    দেশপ্রাণ সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির নির্বাচন (BJP)

    রবিবারই ছিল নন্দীগ্রাম -১ ব্লকের হরিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের দেশপ্রাণ সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির নির্বাচন। এই সমিতির মোট আসন সংখ্যা ১২টি। বিজেপি (BJP) ও তৃণমূল উভয় দলই ১২টি আসনেই প্রার্থী দিয়েছিল। অন্যদিকে বামেরা মাত্র ৪টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল। শেষপর্যন্ত ১২টি আসনই দখল করল বিজেপি। এরপরেই গেরুয়া শিবিরের কর্মীরা উৎসবে মেতে ওঠেন।

    ভোটার সংখ্যা ৭৯৯ জন

    জানা গিয়েছে, এই সমবায় আগে তৃণমূলেরই দখলে ছিল। সমবায়ের মোট ভোটার সংখ্যা ৭৯৯ জন। এদিন ভোট পড়ে ৬৩৯টি। সকাল থেকে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। বিকেলেই সামনে আসে ফলাফল। বিজেপি (BJP) কর্মী সমর্থকরা গেরুয়া আবির উড়িয়ে আনন্দে মেতে ওঠেন। যাতে এলাকায় অশান্তি সৃষ্টি না হয় তার জন্য মোতায়েন করা হয় বিরাট পুলিশ বাহিনী।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) নেতা?

    জয়ের পর তমলুক সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক মেঘনাথ পাল সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “এই জয় শুভেন্দু অধিকারীর উন্নয়নের জয়। এই জয় মানুষের জয়। এলাকায় অশান্তি নয়, শান্তি চায় নন্দীগ্রামের মানুষ। তাই শাসকদের প্রত্যাখ্যান করে আমাদের প্রার্থীদের সমর্থন করেছে।”

    ২৭ ডিসেম্বর দিনক্ষণ ঠিক থাকলেও হয়নি ভোট

    প্রসঙ্গত, এই সমবায়ের নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক হয়েছিল গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর। তবে সেইসময় নন্দীগ্রামের পরিস্থিতি উত্তপ্ত থাকায় প্রশাসন নির্বাচন স্থগিত রাখে। এদিন সেই নির্বাচন হয়। আর সেই নির্বাচনে সব আসনেই জয়লাভ করেন বিজেপি সমর্থিত প্রার্থীরা। শুভেন্দু অধিকারীর গড়ে কার্যত খড়কুটোর মতো উড়ে গেল তৃণমূল।

  • BJP: বিজেপিতে নাড্ডার উত্তরসূরী কে? জাতীয় সভাপতি পদে ‘দক্ষিণের সুষমা স্বরাজ’!

    BJP: বিজেপিতে নাড্ডার উত্তরসূরী কে? জাতীয় সভাপতি পদে ‘দক্ষিণের সুষমা স্বরাজ’!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপিতে (BJP) শেষ হতে চলেছে নাড্ডা জমানা। চলতি মাসের ১৫ বা ১৬ তারিখে ঘোষণা হতে পারে পদ্ম-পার্টির নয়া জাতীয় সভাপতির নাম। নাড্ডার উত্তরসূরি (New President) কে হবেন, তা নিয়ে জল্পনার অন্ত নেই। জানা গিয়েছে, এবার কোনও পুরুষ নন, বিজেপির জাতীয় সভাপতি হতে পারেন কোনও মহিলা।

    দৌড়ে দুই মহিলা (BJP)

    গেরুয়া শিবিরের এক শীর্ষ কর্তার কথায়, “যা প্রত্যাশিত, পার্টি এই শীর্ষ পদে একজন মহিলাকে নিয়োগ করতে চায়। দক্ষিণ ভারত থেকেই কাউকে বেছে নেওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এতে দক্ষিণী রাজ্যগুলির জনগণের কাছে শক্তিশালী সাংগঠনিক বার্তা দেওয়া যাবে।” যদি দক্ষিণ ভারত থেকে কোনও মহিলাকে বেছে নেওয়া হয় জাতীয় সভাপতি পদে, তাহলে ওই পদে বসতে পারেন অন্ধ্রপ্রদেশ বিজেপি প্রধান দগ্গুবতী পুরন্দেশ্বরী। বিজেপির মহিলা মোর্চার জাতীয় সভাপতি তথা কোয়েম্বাটুরের বিধায়ক বনাথি শ্রীনিবাসনও রয়েছেন জাতীয় সভাপতি পদের দৌড়ে।

    দায়িত্ব সামলাচ্ছেন নাড্ডা

    জাতীয় সভাপতি পদে নাড্ডার মেয়াদ শেষ হয়েছে আগেই। তার পরেও দলের দায়িত্বভার সামলাচ্ছেন তিনি। বিজেপির সাংগঠনিক নিয়মবিধি অনুযায়ী, যতক্ষণ না পর্যন্ত তাদের রাজ্য সভাপতি নির্বাচনের কাজ শেষ হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত সর্বভারতীয় সভাপতি নির্বাচনের কাজে হাত দেওয়া যাবে না। জানা গিয়েছে, দেশের অন্তত ৫০ শতাংশ রাজ্যে সভাপতি নির্বাচনের পরেই ঘোষণা করা হবে সর্বভারতীয় সভাপতির নাম। পার্টি সূত্রে খবর, জেপি নাড্ডার উত্তরসূরি বেছে নেওয়ার সিদ্ধান্ত অভ্যন্তরীণ ঐক্যমত্য গড়ে তুলেই নেওয়া হবে।

    পদ্ম-পার্টি (BJP) সূত্রে খবর, জাতীয় সভাপতি হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন পুরন্দেশ্বরী। বছর ছেষট্টির পুরন্দেশ্বরী ২০১৪ সালে বিজেপিতে যোগ দেন। বর্তমানে তিনি অন্ধ্রপ্রদেশ বিজেপির প্রধান। তিনি ‘দক্ষিণের সুষমা স্বরাজ’ নামে পরিচিত। তিনি বাগ্মী। পাঁচটি ভাষায় সাবলীলভাবে বক্তৃতা দিতে পারেন তিনি। বিজেপির বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে তাঁর গ্রহণযোগ্যতাও তুঙ্গে।

    দৌড়ে রয়েছেন বনাথি শ্রীনিবাসনও। বিজেপির এক নেতার কথায়, “তাঁর নেতৃত্বে বেশ কয়েকটি জনসংযোগ কর্মসূচি সফল হয়েছে। তিনি দলের কৌশলবিদও। তাঁর ওপর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং অমিত শাহের পূর্ণ আস্থা রয়েছে।” বিজেপির এক প্রবীণ নেতার কথায়, যদি কোনও মহিলা প্রার্থী জাতীয় সভাপতি পদে নির্বাচিত না হন, তাহলে (New President) দৌড়ে রয়েছেন ধর্মেন্দ্র প্রধান, ভূপেন্দ্র যাদব এবং বিনোদ তাওড়ে। তবে ঠিক কে হবেন নাড্ডার উত্তরসূরি, তা জানা যাবে আর সপ্তাহ দুয়েক পরেই (BJP)।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘ডাক্তারদের বেতন বৃদ্ধি আন্দোলনকে ছত্রভঙ্গ করতেই’’, মমতাকে তোপ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘ডাক্তারদের বেতন বৃদ্ধি আন্দোলনকে ছত্রভঙ্গ করতেই’’, মমতাকে তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিকিৎসকদের বেতনবৃদ্ধি আসলে ডাক্তার আন্দোলনকে ছত্রভঙ্গ করতেই। এমনটাই দাবি শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)। এছাড়াও চিকিৎসা পরিষেবা, মেডিক্যাল কলেজ ফেস্ট-সহ একাধিক বিষয়ে মমতাকে (Mamata Banerjee) তোপ দেগেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

    চিকিৎসকদের আন্দোলনকে ছত্রভঙ্গ করার ছক

    নিজের এক্স মাধ্যমে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) লেখেন, ‘‘আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের ডাক্তার বোনটি আজও বিচার পাননি। বোন অভয়ার বাবা মা প্রতিদিন বিচারের দাবিতে মহামান্য আদালতের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরছেন। বোন অভয়ার সহকর্মী চিকিৎসকরা এখনো বিচারের দাবিতে আন্দোলনরত ও সংঘবদ্ধ। এরকম একটা প্রেক্ষাপটে মুখ্যমন্ত্রী ধনধান্য স্টেডিয়াম থেকে সরকারি চিকিৎসকদের বেতন বৃদ্ধির ঘোষণা করলেন যা আদপে চিকিৎসকদের আন্দোলনকে ছত্রভঙ্গ করার এক সুষ্পষ্ট পরিকল্পিত ছক।’’

    স্বাধীন ভারতের কালিমালিপ্ত অধ্যায় আরজি কর

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) লেখেন, ‘‘আরজি কর ধর্ষণ কান্ড স্বাধীন ভারতে ঘটা পশ্চিমবঙ্গের সব থেকে কালিমালিপ্ত অধ্যায়। সরকারি চিকিৎসকদের আন্দোলনের ফলে দেশে বিদেশে স্বাস্থ্যমন্ত্রী তথা পুলিশ মন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর মুখ পুড়েছে। রাজ্যে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার জীর্ণ দশা দেশের সামনে উন্মোচিত হয়ে গিয়েছে, যা অবশ্যই মুখ্যমন্ত্রীর জন্য অস্বস্তিকর।’’

    এগিয়ে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি

    বিরোধী দলনেতার (Suvendu Adhikari) মতে, ‘‘আজ সরকারি চিকিৎসকদের বেতন বৃদ্ধির ঘোষণার ফলে চিকিৎসকদের বেতন যে যৎসামান্য বেড়েছে তার সঙ্গে যে পরিমাণ সামান্য শতাংশ মহার্ঘ ভাতা পশ্চিমবঙ্গ সরকার দেয় তা যোগ করে মাসের শেষে যে টাকা তারা হাতে পাবেন তা দেশের বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে একই পদে কর্মরত চিকিৎসকরা যে বেতন পান তার থেকে অনেকটাই কম, সুতরাং এই বেতন বৃদ্ধিতে সরকারি চিকিৎসকরা উপকৃত হবেন না। আর নার্স, স্বাস্থ্য কর্মচারীরা ও এজেন্সির মাধ্যমে নিয়োজিত হাসপাতালের কর্মচারীগণ এই বেতন বৃদ্ধি থেকে বঞ্চিত হলেন তাদের বিষয়ে সরকারের কোনও চিন্তাভাবনা রয়েছে বলে মনে হয় না।’’

    নির্বাচনের আগে ঘুষ দিচ্ছেন মমতা

    শুভেন্দু অধিকারীর মতে, ‘‘মমতা ব্যনার্জী এছাড়াও প্রতিটি মেডিকেল কলেজে “ফেস্ট” আয়োজন করার জন্য দু কোটি টাকা করে দেওয়ার ঘোষণা করেছেন। বিগত দশ বছর ধরে মেডিকেল কলেজ সহ রাজ্যের বিভিন্ন কলেজ গুলিতে ছাত্র সংসদের নির্বাচন হয় নি। এত দিন শাসকদলের ছাত্র নেতারা ফেস্টের টাকা নয়ছয় করতো, এ বার মুখ্যমন্ত্রী দুর্নীতির লাইসেন্স দিয়ে দিলেন। রোগী পরিষেবা যেখানে নিম্ন মানের সেখানে এই অনুদান মানানসই? রোগীদের স্যালাইন বাইরে থেকে কিনতে হচ্ছে, সেখানে ২ কোটি টাকা ফেস্টের জন্য অনুদান! এটা কি নির্বাচনের আগে ঘুষ?’’

LinkedIn
Share