Tag: bjp

bjp

  • BJP: ফোন পেয়ে দিল্লি পৌঁছেছেন শান্তনু-অভিজিৎ, মোদির মন্ত্রিসভায় মন্ত্রিত্ব পাওয়ার জোর জল্পনা

    BJP: ফোন পেয়ে দিল্লি পৌঁছেছেন শান্তনু-অভিজিৎ, মোদির মন্ত্রিসভায় মন্ত্রিত্ব পাওয়ার জোর জল্পনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশে তৃতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন প্রবীণ বিজেপি (BJP) নেতা নরেন্দ্র মোদি। আজ সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটে শপথ নেবেন। শপথ বাক্য পাঠ করাবেন দেশের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। ঠিক তার আগেই ফোন পেয়ে দিল্লি পৌঁছে গিয়েছেন বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর এবং তমলুকের বিজেপি সাংসদ প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। মোদির মন্ত্রীসভায় দুই জনেই মন্ত্রী হতে চলেছেন বলে জোর জল্পনা।

    শান্তনু কী পূর্ণমন্ত্রী হচ্ছেন (BJP)?

    রবিবার সকলে দিল্লিতে মোদির বাসভবনে চা-চক্রের বিশেষ আমন্ত্রণ পেয়েছেন শান্তনু ঠাকর। সেখানে আরও বেশ কিছু সাংসদ আমন্ত্রণ পেয়েছেন। অবশ্য শনিবার রাতেই তাঁকে ফোন করা হয়েছিল এবং বলা হয়েছিল যাঁদেরে এই চা—চক্রে ডাকা হয়েছে তাঁদের সকলকে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণ করতে হবে। সূত্রের খবর, কেউ কেউ মোদির সঙ্গে শপথও নেবেন। আর তাই বৈঠকে যোগ দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শান্তনু ঠাকুর পূর্ণমন্ত্রী হচ্ছেন বলে এমনটা অনুমান করা হচ্ছে। তবে তিনি পূর্ণমন্ত্রী হলে বাংলা থেকে মোদির মন্ত্রীসভায় তিনিই হবেন প্রথম পূর্ণমন্ত্রী। মতুয়া সমাজের মধ্যে বিজেপি (BJP) নেতা শান্তনুর যথেষ্ট জনপ্রিয়তা আছে। আগেও তিনি কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। রাজ্যে সিএএ কার্যকর নিয়ে তাঁর ভূমিকা অতিসক্রিয় ছিল।

    আরও পড়ুনঃ লোকসভার ফলাফলে তৃণমূলের ৮ মন্ত্রী নিজেদের বিধানসভাতেই ধরাশায়ী, এগিয়ে বিজেপি

    মন্ত্রী হতে পারেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

    পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক থেকে বিজেপি (BJP) সাংসদ হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনিও আজ প্রধানমন্ত্রীর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। উল্লেখ্য আগের বার বাংলা থেকে চারজন প্রতিমন্ত্রী হয়েছিলেন। এই চার মন্ত্রীর মধ্যে নিশীথ প্রামাণিক, সুভাষ সরকার ভোটে হেরেছেন। জন বার্লাকে টিকিট দেয়নি দল, কেবল জয়ী হয়েছেন শান্তনু। অপর দিকে রাজ্যের তৃণমূল সরকারের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ রায় দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে পুরসভা নিয়োগ দুর্নীতি, রেশন দুর্নীতি মামলায় বড় রায় দিয়ে শাসক দলকে বিরাট চাপে ফেলে দিয়েছেন তিনি। তাই মোদির মন্ত্রীসভায় অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ও জায়গা করে নিতে পারেন বলে অনুমান করা হচ্ছে। অপর দিকে বাংলা থেকে বিষ্ণুপুর সাংসদ সৌমিত্র খাঁ, আলিপুর দুয়ারের মনোজ টিগ্গার নামও উঠে আসছে বলে জানা গিয়েছে। শপথ গ্রহণের সময় সবটা স্পষ্ট হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Election Result 2024: লোকসভার ফলাফলে তৃণমূলের ৮ মন্ত্রী নিজেদের বিধানসভাতেই ধরাশায়ী, এগিয়ে বিজেপি

    Election Result 2024: লোকসভার ফলাফলে তৃণমূলের ৮ মন্ত্রী নিজেদের বিধানসভাতেই ধরাশায়ী, এগিয়ে বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভার ফলাফলের (Election Result 2024) নিরিখে রাজ্যের ৮ মন্ত্রী নিজের বিধানসভা কেন্দ্রে ধরাশায়ী হয়েছেন। উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গ সর্বত্র একাধিক বিধানসভা, পুরসভা এবং শহর অঞ্চলে বিজেপির তুলনায় পিছিয়ে রয়েছে তৃণমূল। এমনকী কলকাতা, বিধাননগরেও বিজেপি বাজিমাত করেছে। আর এই নিয়ে শাসক দলের মধ্যেই গোষ্ঠী কোন্দল শুরু হয়েছে।

    শশী-সুজিত নিজের কেন্দ্রে পিছিয়ে (Election Result 2024)

    অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর দেখা গিয়েছে শাসক দল তৃণমূলের অনেক মন্ত্রী বিজেপির তুলনায় পিছিয়ে গিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে হলেন, মন্ত্রী শশী পাঁজা। তাঁর কেন্দ্র উত্তর কলকাতার শ্যামপুকুর বিধানসভা। সেখানে তৃণমূলের সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের তুলনায় বিজেপি প্রার্থী তাপস রায় অনেক এগিয়ে গিয়েছেন। আবার মন্ত্রী সুজিত বসুর কেন্দ্র বিধাননগরে কাকলি ঘোষ দস্তিদার, বিজেপির কাছে ১১ হাজার ভোটে পিছিয়ে রয়েছেন। দুই ক্ষেত্রেই বিজেপি এগিয়ে।

    উত্তরবঙ্গে পিছিয়ে তৃণমূল মন্ত্রীরা

    উত্তরবঙ্গে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সত্যজিৎ বর্মণ নিজের কেন্দ্র হেমতাবাদে ৮ হাজার ভোটে (Election Result 2024) পিছিয়ে রয়েছেন। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন নিজের বিধানসভায় বিরাট ব্যবধানে পিছিয়ে গিয়েছেন। এখানেও এগিয়ে বিজেপি। আবার ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প দফতরের প্রতিমন্ত্রী তাজমুলের হরিশচন্দ্রপুর বিধানসভায় জয়ী হয়েছেন বিজেপি প্রার্থী খগেন মুর্মু।

    দক্ষিণবঙ্গে কোন কোন মন্ত্রী পিছিয়ে?

    কৃষ্ণনগরে লোকসভায় জয়ী হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্র। এই কেন্দ্রের কৃষ্ণনগর দক্ষিণের বিধায়ক উজ্জ্বল বিশ্বাস রাজ্যের বিজ্ঞনা-প্রযুক্তি বিজ্ঞানামন্ত্রী। তিনিও বিজেপির অমৃতা রায়ের কাছে পিছিয়ে রয়েছেন। একই ভাবে পূর্ব মেদিনীপুরে দুই মন্ত্রী অখিল গিরি এবং বিপ্লব রায়, নিজেদের বিধানসভায় বিজেপির কাছে ধরাশায়ী হয়েছেন। অখিলের রামনগরে বিজেপি এগিয়ে রয়েছে ৯ হাজার ভোটে। আর মৎস্য প্রতিমন্ত্রী বিপ্লবের পাঁশকুড়া পূর্বে তৃণমূল ৩ হাজার ভোটে পিছিয়ে। এই সব নিয়ে তৃণমূলের অন্দরে ব্যাপক শোরগোল পড়েছে।

    আরও পড়ুনঃ “২ কোটি ৩৫ লাখ লোক বিজেপিকে সমর্থন করেছেন, আমাদের বিরাট দায়িত্ব”, মন্তব্য শুভেন্দুর

    তৃণমূলের বক্তব্য

    ভোটে (Election Result 2024) এই ভাবে তৃণমূলের মন্ত্রীরা পিছিয়ে থাকার কারণ জানতে চাইলে মন্ত্রী শশী পাঁজা কোনও উত্তর দেননি। অপরে মন্ত্রী সুজিত বসু ফোন ধরেননি। মন্ত্রী অখিল গিরি বলেছেন, “রবিবার বুথের লোকজনকে নিয়ে বৈঠক করব।” আবার হেমতাবাদের তৃণমূল বিধায়ক সরাসরি বলেছেন, “জেলায় নেতাদের গোষ্ঠী কোন্দল রয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: শপথ গ্রহণের প্রস্তুতি সারা, গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকের দায়িত্বে কারা?

    PM Modi: শপথ গ্রহণের প্রস্তুতি সারা, গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকের দায়িত্বে কারা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার, ৯ জুন সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতি ভবনে তৃতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তাঁর সঙ্গেই এদিন শপথ নেবেন আরও ৩০ জন মন্ত্রী। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই দিল্লিতে হাজির হয়ে গিয়েছেন নয়া মন্ত্রিসভার সম্ভাব্য সদস্যরা।

    মোদির শপথ

    এদিন সন্ধে ৭টা ১৫ মিনিটে শপথ নেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিনই শপথ নেবেন গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি দফতরের মন্ত্রীরাও। বাকি মন্ত্রীরা শপথ নেবেন কয়েকদিন পর। এদিন যাঁরা শপথ নেবেন, তাঁদের মধ্যে সংখ্যায় বেশি বিজেপি সাংসদরাই। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের জনতা দল ইউনাইটেড এবং চন্দ্রবাবু নাইডুর টিডিপির একজন করেও এদিন (PM Modi) শপথ নিতে পারেন। প্রধানমন্ত্রীর শপথ গ্রহণ হয়ে যাওয়ার পর শপথ নেবেন অন্য মন্ত্রীরা।

    পূর্ণমন্ত্রীর সংখ্যা

    জানা গিয়েছে, এবার পূর্ণমন্ত্রীর সংখ্যা হতে পারে ৮০-র কাছাকাছি। নয়া মন্ত্রিসভায় খুব কম সংখ্যক মন্ত্রীকেই দায়িত্ব দেওয়া হবে একাধিক মন্ত্রকের। নয়া মন্ত্রিসভায় স্বরাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা, অর্থ ও বিদেশমন্ত্রকের রাশ বিজেপি নিজের হাতেই রাখবে বলে সূত্রের খবর। রেল, শিক্ষা, সড়ক ও পরিবহণ, আইন, তথ্যপ্রযুক্তি, স্টিল, কয়লা ও অসামরিক উড়ান মন্ত্রকের দায়িত্বও নিজের হাতে রাখবে বিজেপি। এঁরা সবাই শপথ নেবেন এদিনই। আরও কয়েকটি দফতরের মন্ত্রীরাও এদিন শপথ নেবেন। বাকি সদস্যদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হবে পরে।

    আর পড়ুন: আজ ফের প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ মোদির, শ্রদ্ধা জানালেন মহাত্মা গান্ধী, বাজপেয়ীকে

    বিজেপি সূত্রে খবর, এদিন সন্ধে ৭টা ১৫ মিনিটে শপথ নেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার আগে হবু মন্ত্রিসভার সদস্যদের তাঁর বাসভবনে চায়ের নিমন্ত্রণ জানিয়েছেন মোদি। বিজেপির একটি সূত্রের খবর, দফতর অটুট থাকবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ, সড়ক ও পরিবহণমন্ত্রী নীতিন গডকরির। স্বপদে বহাল থাকবেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ। উল্লেখ্য, এই দুজনই রাজ্যসভার সাংসদ। মন্ত্রী হতে পারেন রামবিলাস পাশোয়ানের ছেলে চিরাগ, জেডিএসের এইচডি কুমারস্বামী, আপনা দলের অনুপ্রিয়া প্যাটেল, আরএলডির জয়ন্ত চৌধুরী এবং হিন্দুস্তানি আওয়ার মোর্চার জিতন রাম মাঝিও (PM Modi)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Suvendu Adhikari: “২ কোটি ৩৫ লাখ লোক বিজেপিকে সমর্থন করেছেন, আমাদের বিরাট দায়িত্ব”, মন্তব্য শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “২ কোটি ৩৫ লাখ লোক বিজেপিকে সমর্থন করেছেন, আমাদের বিরাট দায়িত্ব”, মন্তব্য শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় বিজেপির ফল আশানুরূপ হয়নি। ২০১৯ সালের নির্বাচনে বিজেপি পেয়েছিল ১৮টি আসন, এইবারে জেতা আসনেও পরাজয় ঘটেছে। বিজেপি পেয়েছে ১২টি আসন, আগে থেকে ৬টি আসন কমে গিয়েছে। অপর দিকে তৃণমূল পেয়েছে ২৯টি আসন। কিন্তু কেন আসন কমে গেল? এই নিয়ে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক আলোচনা চলছে। এর মধ্যেই নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) দাবি করলেন, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের তুলনায় বিজেপির প্রায় ১ শতাংশ ভোট বৃদ্ধি পেয়েছে। দিকে দিকে ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসে তৃণমূলের অত্যাচারে বিজেপির কর্মীরা আক্রান্ত হচ্ছেন। তাই তাঁদের পাশে থাকাটাই এখন প্রধান কর্তব্য বলে মনে করেন তিনি।

    কী বললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

    গতকাল নন্দীগ্রামের সোনাচুড়ায় মনসা বাজারে মৃত বিজেপি কর্মীর বাড়িতে যান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সেখানে গিয়ে বলেছেন, “আমাদের রাজনৈতিক লড়াই থামার লড়াই নয়। সংগ্রাম আমরা চালিয়ে যাব। বিপুল সংখ্যক ভোট পেয়েছে বিজেপি। এই লোকসভা নির্বাচনে ৩৯ শতাংশ ভোট এসেছে। ভোট গতবারের বিধানসভার তুলনায় ৭ লাখ বেড়েছে বিজেপির। নিশ্চিতভাবে আমরা সংখ্যার লক্ষ্যে হয়তো পৌঁছাতে পারিনি। আমরা আশা করেছিলাম ৪২ শতাংশ ভোট পাব। আমরা খুশি হতাম যদি ১২ উল্টে ২১ হয়ে যেত। ৩০ শতাংশ সংখ্যালঘু ভোটার ইমাম সাহেবদের কথায় বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন। আমি ঠিক পথেই আছি, জনগণ আমার পথেই আছেন। ২ কোটি ৩৫ লাখ লোক বিজেপিকে সমর্থন করেছেন। আমাদের বিরাট দায়িত্ব।”

    আরও পড়ুনঃলক্ষ্মীর ভান্ডার নিলে তৃণমূল করার ফতোয়া! বিজেপি কর্মীকে বেধড়ক মার, থানায় বিক্ষোভ

    আর কী বললেন?

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) এই প্রসঙ্গে আরও বলেছেন, “যারা কথা বলছে, জ্ঞান দিচ্ছে তারা অতীতটা ভালো করে জানে না। ২০০৪ সালে মমতা, ৯টি আসন থেকে ১টিতে এসে দাঁড়িয়েছিলেন। সেই দিক থেকে রাজ্যে বিজেপির অবস্থা অনেক ভাল। ২০১৯ সালে আইপ্যাক ছিল না, লক্ষ্মীরভাণ্ডার ছিল না। এনআরসি, সিএএ-র মতো মিথ্যা প্রচারও ছিল না। পুলিশ দাঁত-নখ বের করে তৃণমূলের ক্যাডারদের মতো আচরণ করেনি।”    

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Siliguri: লক্ষ্মীর ভান্ডার নিলে তৃণমূল করার ফতোয়া! বিজেপি কর্মীকে বেধড়ক মার, থানায় বিক্ষোভ

    Siliguri: লক্ষ্মীর ভান্ডার নিলে তৃণমূল করার ফতোয়া! বিজেপি কর্মীকে বেধড়ক মার, থানায় বিক্ষোভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা নিয়ে বিজেপি করা যাবে না। তৃণমূলে যোগ দিতে হবে। এই ফতোয়া জারি করে শিলিগুড়ি (Siliguri) শহর লাগোয়া ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি বিধানসভা এলাকায় বিজেপি কর্মীদের ওপর সন্ত্রাস চালাচ্ছে  তৃণমূল। শুক্রবার রাতে শিলিগুড়ি পুরসভার ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডে এক বিজেপি কর্মীকে বেধড়ক  মারধর করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। হামলার প্রতিবাদে শনিবার থানায় অভিযোগ জানাতে জানাতে গিয়ে পুলিশের হেনস্থার শিকার হন ডাবগ্রাম- ফুলবাড়ির বিজেপি বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায়।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?  (Siliguri)

    শুক্রবার রাতে বাড়ি ফেরার পথে বিজেপি কর্মীর ওপর হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। বিজেপির শিলিগুড়ির (Siliguri) জেলা সাধারণ সম্পাদক রাজু সাহা বলেন, ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূলের নেতা সুরজিৎ ঘোষ ওরফে টিটু, শিশির রায়, চঞ্চল সরকার সহ বেশ কয়েকজন আমাদের ওই এলাকার শক্তি কেন্দ্র প্রমুখ অসিত পালকে মারধর করে। হুমকি দেওয়া হয়, লক্ষ্মীর ভান্ডার নিলে বিজেপি করা যাবে না। তৃণমূলে যোগ দিতে হবে। রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে অসিত পালকে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

    কেন তৃণমূলের এই সন্ত্রাস?

    জলপাইগুড়ি লোকসভা আসনে বিজেপি ৮৬ হাজার ৭৭৭ ভোটে জিতেছে। তার মধ্যে এই ডাবগ্রাম- ফুলবাডড়ি বিধানসভা এলাকা থেকে ৭২ হাজার ২৪৫ ভোটে বিজেপি লিড পেয়েছে। এলাকার বিজেপি বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায় বলেন, পরাজয়ের  প্রতিহিংসা নিতে তৃণমূল এলাকায় বিজেপি নেতা-কর্মীদের ওপর সন্ত্রাস শুরু করেছে। ভোটের ফল বের হওয়ার পর থেকেই তৃণমূলের গুন্ডা বাহিনী হুমকি দিতে শুরু করেছে।

    পুলিশি হেনস্থার শিকার বিজেপি বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায়

    শনিবার দুপুরে তিনি ভক্তিনগর থানায় দলীয় কর্মীর আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা নিয়ে অভিযোগ দায়ের করতে যান। তাঁর সঙ্গে বিজেপির স্থানীয় নেতা-কর্মীরা ছিলেন। কিন্তু, বিজেপি বিধায়ক ভক্তিনগর থানার গেটের মুখে পৌঁছতেই পুলিশ তাঁর পথ আটকে দাঁড়ায়। ধস্তাধস্তি,  চিৎকার, চেঁচামেচির পর শিখা চট্টোপাধ্যায়কে থানায় ঢুকতে দিতে পুলিশ বাধ্য হয়। শিখা চট্টোপাধ্যায় বলেন, আমি একজন বিধায়ক। আমি পুলিশের কাছে আইনের আশ্রয় নিতে এসেছি। আর সেখানে পুলিশ একজন বিধায়ককে যেতে বাধা দিচ্ছে। এতেই প্রমাণ হয় পুলিশ তৃণমূলের দলদাস হয়ে কাজ করছে। অসিত পালকে লক্ষ্মীর ভান্ডার নিয়ে হুমকি দেওয়া ও  মারধরের ঘটনায় যুক্ত তৃণমূলের স্থানীয় নেতা সুজিত ঘোষ ও তার সঙ্গীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে। তা নাহলে ব্যাপক আন্দোলন হবে।

    আরও পড়ুন: পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি, বিজেপি কর্মীদের বেধড়ক মার, গাড়ি ভাঙচুর, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    কী বলছে তৃণমূল?

    তৃণমূলের দার্জিলিং জেলার (সমতল) মুখপাত্র বেদব্রত দত্ত বলেন, রাজনৈতিক কোনও সংঘর্ষ নয়।  স্কুটারের ধাক্কা লাগায় ছোট্ট ঘটনা নিয়ে দুজনের মধ্যে বচসা থেকে উত্তেজনা বেশি হয়ে যাওয়ায়  দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়েছে। বিজেপি রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে রাজনৈতিক রঙ দেওয়ার চেষ্টা করছে।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Balurghat: “বিজেপিকে ভোট দিয়েছি বলে হামলা, বাড়িতে তান্ডব চালাল তৃণমূল,” বললেন আক্রান্ত কর্মী

    Balurghat: “বিজেপিকে ভোট দিয়েছি বলে হামলা, বাড়িতে তান্ডব চালাল তৃণমূল,” বললেন আক্রান্ত কর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনা ঘটল দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায়। বালুরঘাট (Balurghat) লোকসভার গঙ্গারামপুর বিধানসভার নয়াবাজারে বিজেপি কর্মীকে মারধর এবং বাড়িতে, দোকানে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। আক্রান্তদের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Balurghat)

    ভোটের ফলাফলের পর বালুরঘাট (Balurghat) লোকসভার দিকে দিকে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের বাড়িতে হামলা চালানোর ঘটনা সামনে আসতে শুরু করেছে। গত দুদিন আগে গঙ্গারামপুর শহরে বিজেপির কর্মীর দোকান ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। শনিবার ফের গঙ্গারামপুরের নয়াবাজারে বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের মারধর সহ দোকান ও বাড়িঘর ভাঙচুর করার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে গঙ্গারামপুর থানায় বিজেপির পক্ষ থেকে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এই বিষয়ে এক বিজেপি কর্মী বলেন, বিজেপিকে ভোট দেওয়া অপরাধ। তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা আমাকে বেধড়ক মারধর করে। দোকান ও বাড়িও ভাঙচুর করেছে। আক্রান্ত সেই বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে গিয়ে দেখা করেন তপনের বিধায়ক বুধরাই টুডু, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী সহ জেলার অন্যান্য বিজেপি নেতৃত্ব। জানা গিয়েছে, গঙ্গারামপুর বিধানসভা এলাকাটি পরাজিত তৃণমূল প্রার্থী বিপ্লব মিত্রর গড় ছিল। এবারের লোকসভা নির্বাচনে তিনি গঙ্গারামপুর ও বালুরঘাট বিধানসভা  থেকে ভোট কম পান। যার ফলে তিনি ভোটে পরাজিত হন। জয়ী হন বিজেপির প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার। ভোটের ফলাফলের পর থেকে দিকে দিকে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের বাড়িতে হামলা চালাচ্ছে তৃণমূল। এমনই অভিযোগ বিজেপি কর্মীদের।

    আরও পড়ুন: পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি, বিজেপি কর্মীদের বেধড়ক মার, গাড়ি ভাঙচুর, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    এই বিষয়ে বিজেপির (Balurghat) জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী বলেন,সুকান্ত মজুমদার জয় লাভের পর গঙ্গারামপুর বিধানসভার নয়াবাজার এলাকায় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা তাদের হারকে মেনে নিতে পারছে না। তাই, বিজেপিকে ভোট দেওয়ার জন্য আমাদের দলীয় কর্মীদের ওপর হামলা চালাচ্ছে। প্রশাসনকে বারবার বলার পরও প্রশাসন কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। এখানে প্রশাসন ও তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা একত্রিত হয়ে অত্যাচার চালাচ্ছে। এদিকে তৃণমূলের তরফ থেকে পুরো ঘটনার কথা অস্বীকার করা হয়েছে। পারিবারিক বিবাদের কারণে এই রকম ঘটনা ঘটতে পারে। এখানে তৃণমূলের কোনও বিষয় নেই। বিজেপি মিথ্যে অভিযোগ করছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Election Result 2024: সংখ্যালঘু অধ্যুষিত জঙ্গিপুর বিধানসভার ভোটে থাবা বসিয়ে ‘লিড’ বিজেপির

    Election Result 2024: সংখ্যালঘু অধ্যুষিত জঙ্গিপুর বিধানসভার ভোটে থাবা বসিয়ে ‘লিড’ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল (Election Result 2024) বিচারে জঙ্গিপুর বিধানসভার দখল নিয়েছে বিজেপি। এই বিধানসভায় ২০২১ সালে তৃণমূলের হয়ে জয়যুক্ত হয়েছিলেন জাকির হোসেন। সেই সময় ৯২৪৮০ ভোটে বিজেপি প্রার্থীকে হারিয়েছিলেন তিনি। এইবার লোকসভায় তৃণমূলকে পেছনে ফেলে ‘লিড’ দিয়েছে বিজেপি। রাজ্যে ২৯টা আসন পেয়েছে তৃণমূল, আবার এই জঙ্গিপুর লোকসভায় জয়ী হয়েছে তৃণমূল। কিন্তু বিধানসভায় ধরাশায়ী হয়েছে ঘাস ফুল। কিন্তু এই বিপর্যয়ের কারণ কী? দলের কোন্দলে এমনটা ঘটেনি তো? প্রশ্ন অনেক উঠছে।

    কত ভোটে এগিয়ে বিজেপি (Election Result 2024)?

    এই লোকসভা কেন্দ্রে ৮টি অঞ্চল ও জঙ্গিপুর পুরসভা মিলিয়ে ৩২৬৬ ভোটে তৃণমূলের থেকে এগিয়ে (Election Result 2024) রয়েছে বিজেপি। এই কেন্দ্রে মুসলিম ভোট ৫৪ শতাংশ। এমনটা অবশ্য অতীতে কখনও ঘটেনি। তৃণমূলের স্থান এখানে দ্বিতীয় স্থানে এবং তৃতীয় স্থানে কংগ্রেস-বাম জোট প্রার্থী। বিজেপি এখানে তৃণমূল এবং কংগ্রেস প্রার্থীকে প্রায় ১৬৪০০ ভোট বেশি পেয়ে বাজিমাত করেছে। পাল্টা তৃণমূল নিজের জয়ী বিধানসভায় পিছিয়ে গিয়েছে। তৃণমূলের অবশ্য বক্তব্য, মির্জাপুরে ১৬৬০, দফরপুরে ৮০০, কানুপুরে ১৪০০ এবং রানীনগরে ২৩৭৪ ভোটে এগিয়ে থাকলেও রঘুনাথগঞ্জের জামুয়ার, জরুর, সুতির আহিরণ ও বংশবাটীতে একচেটিয়া ‘লিড’ পেয়েছে বিজেপি। আবার জঙ্গিপুর পুরসভা এলাকার ২১টি ওয়ার্ডের মধ্যে রঘুনাথগঞ্জ শহরের ৮টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৭টিতে এগিয়ে গিয়েছে বিজেপি।

    আরও পড়ুনঃ পূর্ব মেদিনীপুরের মুসলিম অধ্যষিত অঞ্চলেও লিড দিয়ে বাজিমাত বিজেপির

    তৃণমূলের বক্তব্য

    সুতি ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি সেরাজুল ইসলাম এই বিষয়ে বলেন, “এই এলাকায় ৬টি অঞ্চল রয়েছে। তার দু’টি হল জঙ্গিপুর বিধানসভার অন্তর্গত। আমাকে বলা হয়েছিল এই দুই অঞ্চল বিধায়ক ও ব্লকের সভাপতিরাই দেখবেন।” আবার তৃণমূল বিধায়ক জাকির হোসেন বলছেন, “দলের পক্ষ থেকে এলাকার প্রাপ্ত ভোট (Election Result 2024) নিয়ে বিশ্লেষণ করব আমরা। আর তা করলেই সামনে আসবে সব তথ্য। কাদের বিরোধিতায় বিজেপির ভোট বৃদ্ধি হয়েছে তা আমরা দেখব।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • KC Tyagi: “‘ইন্ডি’র আহ্বায়ক করতে চাননি, অথচ নীতীশকে প্রধানমন্ত্রী হতে বলছেন”, তোপ ত্যাগীর

    KC Tyagi: “‘ইন্ডি’র আহ্বায়ক করতে চাননি, অথচ নীতীশকে প্রধানমন্ত্রী হতে বলছেন”, তোপ ত্যাগীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “যাঁরা নীতীশ কুমারকে ‘ইন্ডি’ জোটের আহ্বায়ক পর্যন্ত করতে চাননি, তাঁরাই এখন তাঁকে প্রধানমন্ত্রী পদে বসতে বলছেন।” শুক্রবার এই ভাষায়ই বিজেপি-বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দলের জোট ‘ইন্ডি’র নেতৃত্বকে বিঁধলেন জনতা দল ইউনাইটেডের (এই দলেরই মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ) মুখপাত্র কেসি ত্যাগী (KC Tyagi)। ‘ইন্ডি’ জোটের তরফে তাঁর (নীতীশকে) সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয়েছে বলেও দাবি ত্যাগীর।

    প্রধানমন্ত্রিত্বের অফার পত্রপাঠ খারিজ (KC Tyagi)

    ‘ইন্ডি’ জোট গড়ায় নীতীশের অবদান কম নয়। বস্তুত, ‘ইন্ডি’ জোট গড়তে তিনিই মুখ্য ভূমিকা পালন করেন। ত্যাগী জানান, প্রধানমন্ত্রিত্বের অফার তাঁরা পত্রপাঠ খারিজ করে দিয়েছেন। সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, জেডিইউয়ের সমর্থন রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন এনডিএতেই। নীতীশের দলের এই মুখপাত্র (KC Tyagi) সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, পিছন ফিরে তাকানোর আর কোনও প্রশ্নই নেই। ইন্ডি জোটে যোগদানেরও কোনও গল্প নেই। তাঁদের দলের সমর্থন এনডিএর সঙ্গেই রয়েছে বলেও আরও একবার জানিয়ে দেন তিনি।

    কী বললেন ত্যাগী?

    ত্যাগী বলেন, “রাজনীতির খেলা এমনই যে যাঁরা এক সময় নীতীশ কুমারকে ‘ইন্ডি’ জোটের আহ্বায়ক করতে অস্বীকার করেছিলেন, তাঁরাই এখন তাঁকে প্রধানমন্ত্রী হতে অনুনয়-বিনয় করছেন।” এর পরেই কার্যত তোপ দাগেন জেডিইউ আহ্বায়ক। বলেন, “কংগ্রেস এবং ইন্ডি জোটের অন্য দলগুলো নীতীশের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছে। যার জেরে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে তিনি (নীতীশ) এনডিএ শিবিরে ফিরতে বাধ্য হয়েছেন।” এর পরেই নীতীশের দলের এই নেতা বলেন, “পিছনে ফিরে তাকানোর আর কোনও প্রশ্নই নেই। একথা নির্বাচনী প্রচারে একাধিকবার বলে দিয়েছেন আমাদের দলনেতা নীতীশ কুমার স্বয়ংও। আমরা এনডিএর গুরুত্বপূর্ণ শরিকদল। আমরা নরেন্দ্র মোদির হাত শক্ত করব। মোদিই ফের তৃতীয়বারের জন্য শপথ নিতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী পদে।”

    আর পড়ুন: জম্মু-কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু, ভোট কবে?

    ‘ইন্ডি’ জোট দানা বাঁধায় নীতীশের অবদানের কথাও এদিন স্মরণ করিয়ে দেন ত্যাগী। বলেন, “ইন্ডি জোট গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন নীতীশ। তা সত্ত্বেও তাঁকে এক পাশে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এনডিএর প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা বেড়ে গিয়েছে। জাতীয় রাজনীতিতে নীতীশ কুমার বর্তমানে একজন স্টেক হোল্ডার। বিজেপির কাছ থেকে আমরা যথেষ্ট সম্মান পাচ্ছি।” প্রসঙ্গত, অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনে বিহারে ১২টি আসনে জয়ী হয়েছেন নীতীশের দলের প্রার্থীরা (KC Tyagi)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Election Result 2024: পূর্ব মেদিনীপুরের মুসলিম অধ্যষিত অঞ্চলেও লিড দিয়ে বাজিমাত বিজেপির

    Election Result 2024: পূর্ব মেদিনীপুরের মুসলিম অধ্যষিত অঞ্চলেও লিড দিয়ে বাজিমাত বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ব মেদিনীপুরের ২টি লোকসভা কেন্দ্র কাঁথি এবং তমলুকে ভোটের ফলাফলে (Election Result 2024) ১৬টি বিধানসভার মধ্যে ১৫টিতে এগিয়ে গিয়েছে বিজেপি। একই ভাবে নন্দীগ্রামে এগিয়ে গিয়েছে বিজেপি। ফলে ২০২১ সালে তৃণমূলের জয়ী হওয়া বিধানসভাগুলিতে ধরাশায়ী হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। কার্যত শুভেন্দু ম্যাজিকে বাজিমাত করেছে বিজেপি।

    ৩০ শতাংশ মুসলমান এলাকায় এগিয়ে বিজেপি (Election Result 2024)

    ২০২১ সালে তৃতীয় বারের জন্য বিপুল আসন নিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল তৃণমূল। কিন্তু পূর্ব মেদিনীপুরের দুটি লোকসভা কেন্দ্রে এই নির্বাচনে জয় ধরে রেখে ব্যাপক ভাবে সম্মান বাঁচানোর চেষ্টা করেছিল তৃণমূল। কিন্তু দুটিতে হারের মুখ দেখতে হয়েছে তৃণমূলকে। তমলুকে বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জয়ী হয়েছেন প্রায় ৭৮ হাজার ভোটে। আবার কাঁথিতে বিজেপি প্রার্থী সৌমেন্দু অধিকারী তৃণমূলকে হারিয়ে জয়ী হয়েছেন প্রায় ৪৮ হাজার ভোটে। একই ভাবে মুসলমান অধ্যষিত বিধানসভাগুলিতে লিড পেয়েছে বিজেপি। কোলাঘাটে ৩০ শতাংশ মুসলমান রয়েছে, সেখানেও এবার বিজেপি ২৭১১ ভোটে এগিয়ে (Election Result 2024) গিয়েছে।

    বিজেপির বক্তব্য

    বিজেপির পক্ষ থেকে বলা হয়, মুসলিম এলাকাগুলিতেও শুভেন্দু অধিকারীর বেশ জনপ্রিয়তা রয়েছে। তিনি বিজেপিতে যোগদান করার পর থেকে বরাবর তাঁর উপর আস্থা রেখেছেন জনসাধারণ। মুসলমান সমাজের উন্নয়ন নিয়ে মমতা সরকারের দুর্নীতির কথাকে স্পষ্ট করে তুলে ধরেছিলেন তিনি। একই ভাবে মসজিদের ইমাম ও মুসলমান সমাজের মুরুব্বিদের সঙ্গে কথা বলেন। রাজ্যকে এগিয়ে নিতে গেলে বিজেপিকে কেন গ্রহণ (Election Result 2024) করা উচিত, সেই দিকগুলি নিয়ে আলোচনা করেছিলেন তিনি।

    আরও পড়ুনঃবিজেপি নেতার বাবা-ভাইকে মারধরে যুক্ত ৮ তৃণমূল দুষ্কৃতীকে ১৪ দিনের জেল হেফাজত

    তৃণমূলের বক্তব্য

    কোলাঘাটের তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী বিপ্লব রায় চৌধুরী নিজের বুথে হেরেছেন। তিনি বলেছেন, “গোটা জেলাতেই তৃণমূলের ফল (Election Result 2024) অত্যন্ত খারাপ হয়েছে। কেন এই রকম ফলাফল হল তা খতিয়ে দেখতে হবে। আমি নিশ্চিত আমাদের সাংগঠনিক ভাবে দুর্বলতা ছিল। কিছু লোক বিজেপির হয়ে কাজ করেছে নির্বাচনে। আমরা পর্যালোচনা করে জানাবো।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Election Result 2024: উত্তরবঙ্গে পোস্টাল ব্যালটেও ধরাশায়ী তৃণমূল, বিজেপির ওপর আস্থা সরকারি কর্মীদের

    Election Result 2024: উত্তরবঙ্গে পোস্টাল ব্যালটেও ধরাশায়ী তৃণমূল, বিজেপির ওপর আস্থা সরকারি কর্মীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের থেকে বেতন, ডিএ অনেক কম পান রাজ্য সরকারি কর্মীরা। তা নিয়ে ভোটের আগে বার বার ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তাঁরা। কিন্তু, লোকসভা নির্বাচনে সেই ক্ষোভের আঁচ ধরা পড়েনি। কারণ, দক্ষিণবঙ্গে সরকারি কর্মীরা শাসক দলের ওপর আস্থা রেখেছেন। পোস্টাল ব্যালটে তার প্রমাণ মিলেছে। বিজেপির থেকে অনেক বেশি ভোট পেয়েছে তৃণমূল। তবে, উত্তরবঙ্গের সরকারি কর্মীরা তৃণমূল থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। সেখানকার সরকারি কর্মীদের আস্থা রয়েছে বিজেপির ওপর। ভোটের ফল (Election Result 2024) বের হওয়ার পর পোস্টাল ব্যালটের পরিসংখ্যান সেই কথা বলছে। সংখ্যাগরিষ্ঠ সাধারণ ভোটারদের মতো উত্তরবঙ্গের আটটি লোকসভা কেন্দ্রে স্থানীয় সরকারি কর্মীদের মন যে পায়নি, তা পরিষ্কার। কোচবিহার থেকে বালুরঘাট পর্যন্ত এই আটটি কেন্দ্রে শাসক দলের চেয়ে সরকারি কর্মীদের ভোটের নিরিখে ভাল ভোট পেয়েছেন বিজেপি প্রার্থীরা।

    উত্তরবঙ্গে পোস্টাল ব্যালটে ধরাশায়ী তৃণমূল, বিজেপির ওপর আস্থা (Election Result 2024)

    কেন্দ্র এবং রাজ্যের মহার্ঘ ভাতার (ডিএ) বৈষম্যের জেরেই সরকারি কর্মীরা তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এছাড়া বেতন বৈষম্য, পদোন্নতি, পোস্টিং নিয়েও দলের অন্দরে নানা বক্তব্য রয়েছে। সংগঠনের মধ্যে মতানৈক্য, বিভেদ, গোষ্ঠী রয়েছেই। তাতে শাসক দলের সংগঠন যতটা শক্তিশালী থাকার কথা, তা হচ্ছে না। রাজ্য সরকারের কর্মীদের একটা বড় অংশ যুক্ত থাকেন ভোট-প্রক্রিয়ার সঙ্গে। ভোট দেন পোস্টাল ব্যালটে। ভোটের আগে বিরোধীর মুখে বার বার ফিরে এসেছে ডিএ নিয়ে বঞ্চনার বিষয়টি। দেড় বছর পরে রাজ্যে বিধানসভা ভোট। সেখানে উত্তরবঙ্গের সরকারি কর্মীরা রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে যাওয়ায় তৃণমূল নেতাদের কপালে চিন্তার ভাঁজ দেখা দিয়েছে। নির্বাচন কমিশনের পরিসংখ্যান বলছে, প্রায় ৩৮,৬৪৮ পোস্টাল ব্যালটের ভোট পড়েছে। এগুলোর অধিকাংশই বা কিছু ক্ষেত্রে সবই সরকারি কর্মীদের ভোট। ভোটের ফল (Election Result 2024) বের হওয়ার পর দেখা যায়, তাতে বিজেপি সাড়ে ২২ হাজার ৪২৫টি ভোট পেয়েছে। তৃণমূলের সংখ্যা ১৬ হাজার ২২৩টি ভোট।

    আরও পড়ুন: পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি, বিজেপি কর্মীদের বেধড়ক মার, গাড়ি ভাঙচুর, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    তৃণমূলের জাতীয় কর্মসমিতির নেতার কী বক্তব্য?

     তৃণমূলের জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য গৌতম দেব বলেন, “দলের তরফে পর্যালোচনা হবে। দলের ফলে কোথায়, কী হয়েছে, তা সবই খতিয়ে দেখা হবে।”সরকারি ফেডারেশনের অনেক নেতাই মনে করছেন, সরকারি কর্মীদের ভোট (Election Result 2024) শুধু পোস্টাল ব্যালটে নয়, তাঁদের পরিবারের ভোটেও প্রভাব ফেলেছে তা ধরেই নেওয়া যেতে পারে। আগামী বিধানসভার আগে এই পরিস্থিতি না বদল হলে, শাসকের বিরুদ্ধেই যে সরকারি কর্মীদের ভোট পড়বে তা স্বাভাবিক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share