Tag: bjp

bjp

  • Murshidabad: কান্দিতে বিজেপির লিড পাওয়া ওয়ার্ডে ট্যাপ কল- পাইপ লাইন কাটছে দুষ্কৃতীরা, শোরগোল

    Murshidabad: কান্দিতে বিজেপির লিড পাওয়া ওয়ার্ডে ট্যাপ কল- পাইপ লাইন কাটছে দুষ্কৃতীরা, শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পর মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) কান্দি পুরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে রাতের অন্ধকারে রাস্তার পাশে সরকারি ট্যাপ কল এবং জলের পাইপ লাইনের সংযোগ কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনা জানাজানি হতে এলাকায় আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। পুরসভার কর্মকর্তারা এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

    বিজেপির লিড পাওয়া ওয়ার্ডে ট্যাপ কল- পাইপ লাইন কাটছে দুষ্কৃতীরা (Murshidabad)

    পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, কান্দি পুরসভা বহরমপুর (Murshidabad) লোকসভার অধীনে রয়েছে। এবার লোকসভা নির্বাচনে কান্দি পুরসভার ১৮ টি ওয়ার্ডের মধ্যে মাত্র চারটি ওয়ার্ডে লিড পেয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী ইউসুফ পাঠান। ১২ টি ওয়ার্ডে লিড পেয়েছে বিজেপি এবং দুটি ওয়ার্ডে লিড পেয়েছেন কংগ্রেস প্রার্থী অধীর চৌধুরী। ভোটের এই ফল সামনে আসতেই দুষ্কৃতীরা সক্রিয় হয়ে উঠেছে। বিজেপি সহ বিরোধীরা যে সব ওয়ার্ডে লিড পেয়েছে, সেখানে রাতের অন্ধকারে দুষ্কৃতীরা রাস্তার ধারে থাকা ট্যাপ কল এবং জলের সংযোগের লাইন কেটে দিয়ে পানীয় জল সরবরাহ পরিষেবা ব্যাহত করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ। দুষ্কৃতী তান্ডব নিয়ে বৃহস্পতিবার কান্দি পুরসভা কর্তৃপক্ষ লিখিতভাবে পুলিশকে জানিয়েছে। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কান্দি থানার পুলিশ।

    আরও পড়ুন: রবি-সন্ধ্যায় শপথ মোদির, নতুন সরকারে আইনমন্ত্রী হচ্ছেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়?

    চেয়ারম্যান কী সাফাই দিলেন?

    কান্দি পুরসভার (Murshidabad) চেয়ারম্যান জয়দেব ঘটক বলেন, ‘নির্বাচনের ফল প্রকাশ হওয়ার পর সাধারণ মানুষের মনে পুরসভার সম্পর্কে বিভ্রান্তি ছড়ানোর জন্য গত দু’দিন ধরে রাতের অন্ধকারে কিছু অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতী পুরসভার বিভিন্ন এলাকায় রাস্তার ধারে ট্যাপ কল ও জলের সংযোগ ভেঙে দিচ্ছে। ইতিমধ্যেই আমরা গোটা বিষয়টি পুলিশ প্রশাসন ছাড়াও পুরসভার সমস্ত কাউন্সিলর এবং আমাদের বিধায়ক অপূর্ব সরকারকে জানিয়েছি।’ চেয়ারম্যান আরও অভিযোগ করেন, ‘কিছু মানুষ প্রমাণ করার চেষ্টা করছেন লোকসভা নির্বাচনে কান্দি পুরসভা এলাকায় তৃণমূল আশানুরূপ ভোট না পাওয়াতে বদলা নেওয়ার উদ্দেশ্য নিয়ে পরিষেবা ব্যাহত করার চেষ্টা করছে। যারা এই কাজ করছেন, সকলকে অনুরোধ করছি আপনাদের কোনও সমস্যা থাকলে পুরসভাতে এসে আমাদের সঙ্গে কথা বলুন। আমরা সেই সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করব।”

    বিজেপি নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    বিজেপির মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলা সম্পাদিকা বিনীতা রায় বলেন,”কান্দি পুরসভা এলাকায় পরাজয়ের পর তৃণমূল কংগ্রেসের দুষ্কৃতীরা বদলা নেওয়ার জন্য কল ভেঙেছে। আমরাও গোটা বিষয়টি নিয়ে কান্দি থানার দ্বারস্থ হয়েছি। গোটা ঘটনার সমাধান করার জন্য পুলিশ আমাদের কাছ থেকে দু’দিনের সময় চেয়েছে ।”

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Abhijit Gangopadhyay: রবি-সন্ধ্যায় শপথ মোদির, নতুন সরকারে আইনমন্ত্রী হচ্ছেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়?

    Abhijit Gangopadhyay: রবি-সন্ধ্যায় শপথ মোদির, নতুন সরকারে আইনমন্ত্রী হচ্ছেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃতীয়বারের জন্য দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদি (NDA 3.0)। তবে বদল হয়েছে শপথ নেওয়ার দিন। আগে শনিবারে এই অনুষ্ঠানের দিন ধার্য করা হলেও পরে সেই দিনের বদল ঘটেছে। জানা গিয়েছে, রবিবার ৯ জুন সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটে রাষ্ট্রপতি ভবনে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন মোদি। কিন্তু শপথ গ্রহণের আগে শুক্রবার দিল্লিতে নব নির্বাচিত সাংসদদের নিয়ে বৈঠকে বসছে বিজেপির (NDA 3.0) কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। সূত্রের খবর, শুক্রবার বৈঠক হবে। সাংসদদের নিয়ে ডাকা বৈঠকে যোগ দিতে ইতিমধ্যেই দিল্লি পৌঁছে গিয়েছেন বাংলা থেকে নির্বাচিত সাংসদরা। শুক্রবারের সভায় উপস্থিত থাকবেন তাঁরা। জানা গিয়েছে, এবারও সাংসদের মধ্যে কয়েকজনকে নিয়ে আলাদা বৈঠক করতে পারেন বিজেপি নেতৃত্ব।

    বাংলা থেকে কারা পেতে পারেন মন্ত্রিত্ব?   

    তবে এবার বাংলা থেকে মন্ত্রিসভায় কারা থাকবে তা নিয়ে জোর জল্পনা চলছে। বেশ কয়েকটি নাম নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে। এর মধ্যে তমলুকের সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Abhijit Gangopadhyay) নাম নিয়ে চর্চা চলছে। সূত্রের খবর, বাংলা থেকে এবার মন্ত্রিসভায় থাকতে পারেন ২ জন। জানা যাচ্ছে এই নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন অমিত শাহ। সেখানেই বাংলা থেকে ২ জনকে মন্ত্রী করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, উত্তরবঙ্গ থেকে মনোজ টিগ্গা ও দক্ষিণবঙ্গ থেকে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে (Abhijit Gangopadhyay) মন্ত্রী করার প্রস্তাব দিয়েছে রাজ্য বিজেপি। বঙ্গ বিজেপির অন্দরে কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে, কেন্দ্রের আইন প্রতিমন্ত্রী হতে পারেন অভিজিৎবাবু। অন্যদিকে আবার এও শোনা যাচ্ছে, দ্বিতীয়বারের জন্য মন্ত্রী সভায় স্থান পেতে চলেছেন শান্তনু ঠাকুর।  

    এছাড়াও মালদা উত্তর কেন্দ্রের দুবারের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুর নাম নিয়ে চলছে আলোচনা। আলোচনায় রয়েছেন জলপাইগুড়ির সাংসদ জয়ন্ত রায়ও। আরও একটি নাম নিয়ে চর্চা চলছে। শুভেন্দু অধিকারীর ভাই সৌমেন্দু অধিকারী। অন্যদিকে আবার রাজ্য বিজেপির (BJP) সভাপতি সুকান্ত মজুমদারেরও মন্ত্রিসভায় স্থান পাওয়া নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে। তবে সবই রয়েছে জল্পনার মধ্যে। কারণ, দিন শেষে সব সিদ্ধান্ত নেবেন দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। ফলে সিদ্ধান্তে যে কোনও রদবদল যে কোনও সময় আসতেই পারে তা বলাই বাহুল্য। 

    আরও পড়ুন: সাংসদ কঙ্গনাকে চড় মারায় নিন্দার ঝড়, অভিযুক্ত জওয়ানকে সাসপেন্ড

    তৃতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পথে মোদি (NDA 3.0) 

    প্রসঙ্গত, লোকসভা ভোটের ফল বেরতেই এটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল যে, বিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। বিজেপির ঝুলিতে ছিল ২৪০ আসন যা ম্যাজিক ফিগারের অনেক নীচে। তবে এনডিএ-এর ঝুলিতে রয়েছে ২৯২ আসন। ফলে সরকার গড়তে বিজেপি এখন শরিক নির্ভর। তাই লোকসভা ভোটের ফল বেরনোর পর বুধবারই বৈঠকে বসে এনডিএ শিবির। এনডিএ বৈঠকে (NDA 3.0) নরেন্দ্র মোদি সর্বসম্মতিক্রমে নেতা নির্বাচিত হন। তাই শরিকদের সমর্থন পেতেই তৃতীয়বারের জন্য মোদির প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পথে আর কোনও বাধা রইল না। 

    তবে চন্দ্রবাবু নায়ডুর টিডিপি এবং নীতীশ কুমারের জেডিইউ উভয়েই লোকসভার স্পিকার পদের দাবিদার। পাশাপাশি, মন্ত্রিসভায় নিজের দলের কমপক্ষে ৪ জনকে দেখতে চেয়েছেন চন্দ্রবাবু নায়ডু। ওদিকে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় পূর্ণমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রমন্ত্রী মিলিয়ে জেডিইউ-র মোট ৫ জনকে রাখার দাবি জানিয়েছেন নীতীশ কুমারও।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Balurghat: “দোকান ঘর থেকে বের করে বেধড়ক মারধর করল তৃণমূলের ছেলেরা”, বললেন আক্রান্ত ব্যবসায়ী

    Balurghat: “দোকান ঘর থেকে বের করে বেধড়ক মারধর করল তৃণমূলের ছেলেরা”, বললেন আক্রান্ত ব্যবসায়ী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট পরবর্তী হিংসায় তৃণমূল প্রার্থী বিপ্লব মিত্রর বাড়ি সংলগ্ন এলাকায় বিজেপিকে ভোট দেওয়ার অপরাধে বিজেপির এক বুথ সভাপতির দাদার দোকান সহ আরও দুটি দোকান ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে বালুরঘাট (Balurghat) লোকভার গঙ্গারামপুর থানার নিউমার্কেট এলাকায়। ইতিমধ্যেই এই নিয়ে গঙ্গারামপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Balurghat)

    আক্রান্ত চশমা ব্যবসায়ী সৌম্যকান্তি আঢ্য গঙ্গারামপুর (Balurghat) থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাঁর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে জানা গিয়েছে, চার-পাঁচ জন তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী দোকানে এসে হামলা চালায়। সৌম্যকান্তি আঢ্য বলেন, আমার চশমা এবং অন্যান্য দামি জিনিসপত্র ভাঙচুর করে। দোকানের সিসিটিভিও ভেঙ্গে দেয়। দুষ্কৃতকারীরা আমাকে দোকান ঘর থেকে টেনে এনে বেধড়ক মারধর করে। লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে ভোট দেওয়ার জন্য এমন ঘটনা বলে জানান তিনি। ওই চশমার দোকানদার সৌম্য কান্তি আঢ্য এর মামাতো ভাই এলাকার বিজেপি বুথ সভাপতি জ্যোতির্ময় সাহা। অভিযোগ, লোকসভা ভোটে গঙ্গারামপুর এলাকা থেকে তৃণমূল কম ভোট পাওয়ায় এবং ভাই বিজেপির বুথ সভাপতি হওয়ায় তার দোকানে এসে হামলা চালায় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বিজেপির বিধায়ক সত্যেন রায় সহ বিজেপির কর্মীরা। এদিন আক্রান্ত ব্যক্তিকে নিয়ে গঙ্গারামপুর থানায় যান তাঁরা। অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

    আরও পড়ুন: “লক্ষ্মীর ভান্ডার নয়, অনুপ্রবেশকারীদের ভোটেই জিতেছে তৃণমূল”, বিস্ফোরক রাজু বিস্তা

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    এই বিষয়ে গঙ্গারামপুরের (Balurghat) বিজেপির বিধায়ক সত্যেন রায় বলেন, ভোটের পরে এইখানে আবহাওয়া ভালো ছিল। আবহাওয়া খারাপ করার জন্য তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা গঙ্গারামপুরের ৩ টি দোকান ভাঙচুর করে। একটি চশমার দোকানের মালিক কে মারধর করে। কারণ তারা বিজেপিতে ভোট দিয়েছে। গঙ্গারামপুরের মানুষের একটাই দোষ যে তারা বিপ্লব মিত্রর বিরুদ্ধে সাড়ে চার হাজার ভোট বেশি দিয়ে সুকান্ত মজুমদারকে জিতিয়েছেন। সেই কারণে আমাদের কর্মীর উপর অত্যাচার করা হচ্ছে। আমরা এই বিষয়টি থানায় জানিয়েছি। এই বিষয়ে তৃণমূলের জেলা সহ সভাপতি সুভাষ চাকি বলেন, এইটা তাঁদের নিজেদের মধ্যে ঝামেলা নিয়ে হতে পারে। এইটার মধ্যে তৃণমূলের কোনও হাত নেই। নির্বাচনে জেলায় তৃণমূল কোনও গন্ডগোল করেনি, বিজেপি গন্ডগোল করেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Post Poll Violence: বারুইপুরে আক্রান্ত বিজেপি কর্মীদের জন্য খোলা হল ‘আশ্রয় শিবির’

    Post Poll Violence: বারুইপুরে আক্রান্ত বিজেপি কর্মীদের জন্য খোলা হল ‘আশ্রয় শিবির’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পর যেমন ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস (Post Poll Violence) সৃষ্টি হয়েছিল, ঠিক তেমনই এইবারের লোকসভা নির্বাচনের পরও সন্ত্রাসের চিত্র অব্যাহত রয়েছে। গত মঙ্গলবার, ফল প্রকাশের পর থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং, বাসন্তী, বারুইপুর সহ একাধিক এলাকায় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা সন্ত্রাস চালিয়েছে। মানুষ অত্যাচারের শিকার হয়ে নিজেদের ঘরছাড়া হয়ে গিয়েছেন। বিজেপির পক্ষ থেকে জেলা নেতৃত্ব এবং রাজ্য নেতৃত্ব বার বার তৃণমূলের অত্যাচারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। এবার আক্রান্ত বিজেপি কর্মীদের আশ্রয় দিতে বারুইপুর জেলা অফিসে খোলা হয়েছে ‘আশ্রয় কেন্দ্র’।

    আশ্রয় কেন্দ্রে দেওয়া হয়েছে আইনি সহযোগিতা (Post Poll Violence) 

    ফল প্রকাশের পর থেকেই বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের টার্গেট করেছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং, বাসন্তীতে তৃণমূল রীতিমতো তাণ্ডব (Post Poll Violence) চালিয়েছে। কোথাও রড, কোথাও বাঁশ, আবার কোথাও আসবাবপত্র ফেলে মারধর করেছে তৃণমূলের দুষ্কৃতী বাহিনী। নিজের প্রাণকে হাতে নিয়ে কোনও ক্রমে পালিয়ে প্রাণে বেঁচে আছেন অন্যত্র আশ্রয় নিয়ে। এই আক্রান্ত বিজেপি কর্মীদের আশ্রয় দিতে বারুইপুর জেলা বিজেপির কার্যালয়ের খোলা হয়েছে অফিস। এই আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় দিয়ে করা হচ্ছে কর্মীদের চিকিৎসা। সেই সঙ্গে দেওয়া হচ্ছে প্রয়োজনীয় খাবার। বাড়ি ছাড়াদের বাড়িতে ফেরাতে প্রশাসনের একাধিক স্তরে কথা বলা হচ্ছে। সেই সঙ্গে দেওয়া হচ্ছে আইনি সহযোগিতা। জেলার বিজেপির নেতৃত্ব এবং রাজ্য নেতৃত্বের পক্ষ থেকে সব রকম সহযোগিতা করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে এখনও পর্যন্ত প্রায় ৭০-৮০ জন বিজেপি কর্মীকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে এই জেলা কেন্দ্রে।

    আরও পড়ুনঃ “বিজেপি চুপ করে থাকবে না”, সন্ত্রাস নিয়ে হুঁশিয়ারি সুকান্তর, রাজ্যপালকে চিঠি শুভেন্দুর

    ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে সরব বিজেপি

    মঙ্গলবার রাতে ক্যানিং থানার দিঘিরপাড় পঞ্চায়েতের কাঠপোল এলাকায় তৃণমূল দুষ্কৃতীরা বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে আক্রমণ (Post Poll Violence) করেছিল। গুরুতর জখম হয়েছেন বিজেপি নেত্রীর স্বামী এবং মা। হামলার পর বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন এই বিজেপি পরিবার। বিজেপি নেত্রী বলেছিলেন, “রাত নটার পর অস্ত্র হাতে হামলা চালায় ওরা। হাতে আগ্নেয়াস্ত্রও ছিল। এর আগেও হামলা হয়েছে। আমি নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েও রেখেছিলাম। আমি সে সময় বাড়িতে ছিলাম না, তখনই হামলা হয় আমার মা ও স্বামীর ওপর। ইতিমধ্যে পুলিশকে অভিযোগ জানিয়েছি।” আবার আজ বিজেপির পক্ষ থেকে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শুধরে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। আবার শুভেন্দু রাজ্যপালকে চিঠি লিখে হিংসায় নিপীড়িত মানুষের জন্য পদক্ষেপ গ্রহণের আবেদন করেছেন।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Post Poll Violence: “বিজেপি চুপ করে থাকবে না”, সন্ত্রাস নিয়ে হুঁশিয়ারি সুকান্তর, রাজ্যপালকে চিঠি শুভেন্দুর

    Post Poll Violence: “বিজেপি চুপ করে থাকবে না”, সন্ত্রাস নিয়ে হুঁশিয়ারি সুকান্তর, রাজ্যপালকে চিঠি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অষ্টাদশ লোকসভা ভোটের ফল প্রকাশের পর ভোট পরবর্তী হিংসা (Post Poll Violence) নিয়ে সরব হলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে চিঠি লিখে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানালেন তিনি। অপর দিকে রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার হিংসা নিয়ে তৃণমূলকে নিশানা করে পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তিনি তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের উদ্দেশ্য করে মমতাকে বলেন, “বিজেপি চুপ করে থাকবে না, শুধরে যান।”

    কী লিখেছেন চিঠিতে শুভেন্দু (Post Poll Violence)?

    রাজ্যের তৃণমূল একক ভাবে আসন পেয়ে নির্বাচনে জয়ী হয়ে জেলায় জেলায় সন্ত্রাস (Post Poll Violence) সৃষ্টি করছে। এই সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে শুভেন্দু ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানান রাজ্যপালকে। হিংসা কবলিত স্থান দ্রুত পরিদর্শন এবং উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের কথা লেখেন। তিনি নিজের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে চিঠি সম্পর্কে লিখেছেন, “ভোটের ফল প্রকাশের পর বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের উপর তৃণমূলের গুন্ডাদের হামলা চালানো এখন পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পর যেমন বিজেপি কর্মীদের প্রাণ হারাতে হয়েছিল, একই ভাবে লোকসভা নির্বাচনের ফল বেরনোর পর বিজেপি কর্মীদের আক্রমণ করা হচ্ছে। যে গুন্ডারা বিজেপির কর্মীদের উপর হামলা চালাচ্ছে, রাজ্যের শাসকদলের সঙ্গে সরাসরি সংযোগ রয়েছে তাদের। এ নিয়ে রাজ্যপালকে চিঠি দিয়েছি।”

    ঠিক কী বলেছেন সুকান্ত?

    ফল প্রকাশের পর থেকে এই রাজ্যের জেলায় জেলায় হিংসা (Post Poll Violence) সৃষ্টি করছে তৃণমূল কংগ্রেস। কোচবিহার থেকে ক্যানিং পর্যন্ত তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা তাণ্ডব চালাচ্ছে। বালুরঘাটের সাংসদ বিজেপি নেতা সুকান্ত মজুমদার, তৃণমূলকে নিশানা করে বলেন, “তৃণমূল গণতন্ত্র মানে না৷ তাই ওদের মুখে বড় বড় কথা মানায় না। বিজেপি কিন্তু চুপ করে বসে থাকবে না। প্রয়োজনে জবাব দেবে, তখন কিন্তু রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হবে। মমতা আপনি নিজে ২৯টা আসন পেয়েছিলেন। আপনিও একদিন বিরোধী ছিলেন। আপনার কাছে মাত্র ১টি আসন ছিল। তবে বিজেপির কাছে ১২ জনকে সাংসদ রয়েছে। আপনি প্রশাসনকে ব্যবহার করে আমাদেরকে হারানোর অপচেষ্টা করেছেন। জেলাশাসককে চাপ দিয়েছেন আরেকবার গণনা করার জন্য। আপনি শুধরে যান। এখনও সময় আছে। আক্রান্ত মানুষের সঙ্গে আপনার দেখা করা উচিত। কারণ তাঁরা বিজেপির ভোটার হলেও, আপনার রাজ্যের নাগরিক।”

    আরও পড়ুনঃ মিনাখাঁয় বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের বাড়িঘর ভাঙচুর, চলল টিভি-ফ্রিজ লুটপাট, আতঙ্ক!

    সন্দেশখালিতে বাধা সুকান্তকে

    রাজ্যজুড়ে ভোট পরবর্তী হিংসায় (Post Poll Violence) বাদ গেল না উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাটের মিনাখাঁর বামুনপুকুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন গ্রাম। খবর শোনার পর আক্রান্ত ও ক্ষতিগ্রস্ত কর্মী ও সমর্থকদের মনোবল চাঙ্গা করতে যান সুকান্ত। তাঁকে দেখে তাঁর গাড়ি আটকে দলীয় পতাকা নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে তৃণমূলের নেতাকর্মী সমর্থকরা। একই সঙ্গে জয় বাংলা ও গো ব্যাক স্লোগান দিতে থাকে। এরপর প্রশাসনের তৎপরতায় সঙ্গে সঙ্গে সুকান্ত মজুমদারের গাড়িগুলিকে সেখান থেকে বের করে দেওয়া হয়। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ হন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Post Poll Violence: বিজেপি কর্মীর ওপর প্রাণঘাতী হামলা, বাড়ি-অফিস ভাংচুর, বোমাবাজিতে উল্লাস তৃণমূলের

    Post Poll Violence: বিজেপি কর্মীর ওপর প্রাণঘাতী হামলা, বাড়ি-অফিস ভাংচুর, বোমাবাজিতে উল্লাস তৃণমূলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের ফলাফল ঘোষণা হতেই হিংসা (Post Poll Violence) ছড়িয়ে পড়েছে জেলায় জেলায়। শাসক দলের ২৯টি আসনে জয় ঘোষণার পর থেকেই অশান্তির খবর উঠে আসতে শুরু করেছে সর্বত্র। উত্তর ২৪ পরগনার বারাসত, মধ্যমগ্রাম, বারাকপুর, নৈহাটি, ভাটপাড়া, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং, সোনারপুর, বর্ধমান, বাঁকুড়া, আসানসোলের একাধিক জায়গায় ভোট পরবর্তী হিংসায় বিজেপি কর্মীরা আক্রান্ত হয়েছেন। বাড়ি ভাঙচুর, সম্পত্তি লুট, ঘরছাড়া, বোমাবাজি করার মতো একাধিক ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। তৃণমূলের আশ্রিত দুষ্কৃতীদের আক্রমণে বিজেপি কর্মী-সমর্থক এবং ভোটাররা ব্যাপক ভাবে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে ইতিমধ্যে প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি। পাল্টা তৃণমূল সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

    আসানসোলে ভোটপরবর্তী হিংসা (Post Poll Violence)

    আসানসোলের বারাবনি বিধানসভার সরিষাতলী গ্রামে ভারতীয় জনতা পার্টির মন্ডল ১-এর যুব মোর্চার সভাপতি খোকন মহারাজ ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের শিকার (Post Poll Violence) হয়েছেন। তৃণমূল আশ্রিত ১৫-১৬ জন গুন্ডা, শিবেন ঘাঁটির নেতৃত্বে এই বিজেপি নেতার বাড়িতে চড়াও হন। এরপর তাঁর ওপর প্রাণঘাতী হামলা করা হয়। এমনকী অত্যাচার থেকে বাদ যায়নি বাড়ির মহিলা এবং বাচ্চারাও। খবর পেয়ে বাড়িতে গিয়ে দেখা করে বিজেপির জেলা সম্পাদক অভিজিৎ রায়, যুব মোর্চার ট্রেজারার বাপি প্রধান এবং মাইনোরিটি মোর্চার জেলার ইনচার্জ আকবর হোসেন। অবশ্য বিজেপির দাবি, ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের পর যেমন তৃণমূল আক্রমণ করেছিল, ঠিক একই কায়দায় আক্রমণ করা হচ্ছে। আবার দুর্গাপুরে বিরোধী দলের পোলিং এজেন্ট হওয়ায়, এজেন্টের বোনের কাপড়ের দোকান পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে।

    পাত্রসায়রে বিজেপির কার্যালয় ভাঙচুর

    লোকসভার ফল ঘোষণার পর বিরোধী দলের দলীয় কার্যালয়গুলিতে ব্যাপক ভাঙচুর (Post Poll Violence) করেছে তৃণমূলের গুন্ডারা। বাঁকুড়ার পাত্রসায়র ব্লকের নারায়ণপুরে বিজেপির দলীয় কার্যালয়কে ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছে। একই সঙ্গে এখানকার প্রাক্তন মণ্ডল সভাপতি তথা বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক তমালকান্তি গুইয়ের বাড়িতে ইট বৃষ্টি করে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে এনে আক্রমণের কথা স্পষ্ট করেছেন এই বিজেপি নেতা। তিনি বলেন, “বার বার আমাকে ফোনে খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে।” আবার সোনামুখীর বিধায়ক বলেছেন, “সারা দেশে হিংসার ছবি নেই, কিন্তু এই বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেস লাগাতার হিংসা করছে।”

    কোতুলপুরে তৃণমূলের বোমাবাজি

    এক দিকে যেমন ভাঙচুর চলছে সেই সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের ভয় দেখাতে প্রকাশ্যে বাড়ির সমানে বোমাবাজি (Post Poll Violence) করার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বিষ্ণুপুর লোকসভার কোতুলপুরে বুধবার রাতে কোয়ালপাড়া বেড়ারপাড় এলাকায় একাধিক বিজেপি কর্মীর বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। বাড়ির ছোট, বড়, বয়স্ক এবং মহিলাদেরকেও মারধর করা হয়। তৃণমূল জয়ী হওয়ার খুশিতে একাধিক বিজেপি কর্মীর মাথায় বোমা ফাটানো হয়। ঘটনায় আহত হয়েছেন অনেকেই।

    আরও পড়ুনঃ মিনাখাঁয় বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের বাড়িঘর ভাঙচুর, চলল টিভি-ফ্রিজ লুটপাট, আতঙ্ক!

    তৃণমূলের বক্তব্য

    বিষ্ণুপুর তৃণমূল কংগ্রেসের সহ সভাপতি দিব্যেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমাদের দল কোনও রকম ভাবে এই সব অশান্তির (Post Poll Violence) মধ্যে নেই। আমাদের জয়কে ছোট করতে বিজেপি এই আচরণ করছে। সবটাই বিজেপির গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব। বিজেপির অভিযোগ ভিত্তিহীন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Raju Bista: “লক্ষ্মীর ভান্ডার নয়, অনুপ্রবেশকারীদের ভোটেই জিতেছে তৃণমূল”, বিস্ফোরক রাজু বিস্তা

    Raju Bista: “লক্ষ্মীর ভান্ডার নয়, অনুপ্রবেশকারীদের ভোটেই জিতেছে তৃণমূল”, বিস্ফোরক রাজু বিস্তা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরবঙ্গে খুব বেশি দাঁত ফোটাতে পারেনি তৃণমূল। তবে, দক্ষিণবঙ্গে সবুজ ঝড় বয়ে গিয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের একাধিক কেন্দ্রে বিজেপি হেরেছে। বিশেষ করে হিরণ চট্টোপাধ্যায়, অগ্নিমিত্রা পল, দিলীপ ঘোষের মতো প্রার্থীও পরাজিত হয়েছেন। আর তৃণমূলের এই বিপুল জয় নিয়ে এবার মুখ খুললেন দার্জিলিংয়ের জয়ী বিজেপি প্রার্থী রাজু বিস্তা (Raju Bista)। সেই সঙ্গে উত্তরবঙ্গ জুড়ে বিজেপি ফের কেন দাপট দেখাতে পেরেছে তা তিনি ব্যাখ্যা করেন। একইসঙ্গে দক্ষিণবঙ্গে শাসক দলের জয় নিয়ে একেবারে বিস্ফোরক তথ্য দিলেন বিজেপির জয়ী প্রার্থী।

    লক্ষ্মীর ভান্ডার নয়, অনুপ্রবেশকারীদের ভোটেই জিতেছে তৃণমূল (Raju Bista)

    রাজু বিস্তা (Raju Bista) বলেন, ” লক্ষ্মীর ভান্ডার নয়, অনুপ্রবেশকারীদের ভোটেই জিতেছে তৃণমূল। সীমান্ত পেরিয়ে এদেশে এসে যারা ভোটার কার্ড তৈরি করালেন, তাদের আটকাতে পারেনি নির্বাচন কমিশন। আমরা চাইছি এই সমস্যা নিয়ে দ্রুত তদন্ত করে দেখা হোক। ভোটারেরা বৈধ নাগরিক কিনা তা খতিয়ে দেখা দরকার। উত্তরবঙ্গে অনুপ্রবেশ সমস্যা কম, তাই এখানে বিজেপি জিতেছে। দক্ষিণবঙ্গে অনুপ্রবেশ বেশি। আর অনুপ্রবেশকারীদের পাশে থাকে তৃণমূল। তাই, এই দুইয়ের মেলবন্ধনেই তৃণমূলের এই ফল।”

    আরও পড়ুন: বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে গুলি করে তৃণমূল কর্মীকে খুন, নদিয়ায় কোন্দল প্রকাশ্যে

    কংগ্রেস ও বামের দুই শতাংশ করে ভোট তৃণমূলে গিয়েছে

    তিনি (Raju Bista) আরও বলেন, “রাজ্যে কংগ্রেস ও বামের দুই শতাংশ করে ভোট তৃণমূলে যাওয়ায় আসন কমেছে বিজেপির। তবে, শতাংশের বিচারে বিজেপির ভোট কমেনি।” রাজু বলেন, “উত্তরপ্রদেশে আসন কমেছে এটা যেমন ঠিক, তেমনি ওড়িশায় আসন পেয়েছি। আমার মতে অনুপ্রবেশকারীদের ভোট,কংগ্রেস-সিপিএমের ভোট তৃণমূলে যাওয়ায় বাংলায় এই ফল।” এই মুহুর্তে বিজেপির আক্রান্ত কর্মীদের পাশে দাঁড়ানোই মূল লক্ষ্য বলে জানান বিজেপির জয়ী প্রার্থী। তিনি বলেন, “বাংলায় নেতৃত্ব ব্যার্থ এমনটা নয়। আমরা হারিনি। তবে, তৃণমূল জিতেছে। কেউ হয়তো ভাবছেন লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্য এই ফল। কিন্তু, আমার মনে হয় মোদি সরকারের কাছেও এমন অনেক ভান্ডার ছিল। ফলে, লক্ষ্মীর ভান্ডার একমাত্র কারণ এমন ভাবা ভুল।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Post Poll Violence: বর্ধমান জেলা বিজেপির অফিসে হামলা তৃণমূল দুষ্কৃতীদের, একাধিক গাড়ি ভাঙচুর!

    Post Poll Violence: বর্ধমান জেলা বিজেপির অফিসে হামলা তৃণমূল দুষ্কৃতীদের, একাধিক গাড়ি ভাঙচুর!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের পর জেলায় জেলায় ভোট পরবর্তী হিংসা (Post Poll Violence) অব্যাহত। এবার বর্ধমান বিজেপির জেলা অফিসে হামলার অভিযোগ উঠলো শাসকদলের বিরুদ্ধে। একদল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বাইকে করে এসে ইট, লাঠি নিয়ে হামলা করেছে। কিন্তু কার্যালয়ে অশান্তির খবর ছড়িয়ে পড়তেই পার্টি অফিসের সামনে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চাল্য তৈরি হয়েছে।

    বিজেপির অভিযোগ (Post Poll Violence)

    বর্ধমান জেলা বিজেপি নেতা সুমিত দত্ত বলেন, “ভোটের ফল প্রকাশের পর আজ বৃহস্পতিবার তৃণমূল আশ্রিত দুস্কৃতীরা আমাদের পার্টি অফিসের সামনে এসে হামলা (Post Poll Violence) চালায়। জেলা সভাপতির গাড়িতে ইট মারা হয়। নির্বাচনের ফল ঘোষণার দিন থেকেই জেলার বিভিন্ন জায়গার দলীয় কর্মীরা ঘর ছাড়া হয়ে পড়েছেন। আমাদের অনেক কর্মীরা পার্টি অফিসে এসে আশ্রয় নিয়েছেন। এদিন হামলার সময় আমাদের দলীয় কর্মীদের দুটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। বাইরে থেকে দলীয় কার্যালয় লক্ষ্য করে ইট-পাথর ছোড়া হয়। আমাদের কর্মীরা প্রতিরোধ করলে তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা পালিয়ে যায়।” বিজেপির আর এক নেতা দেবজ্যোতি সিংহ রায় বলেন, “বর্ধমান উত্তর বিধানসভা এলাকায় আজ তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকদের বাইক মিছিল হয়। সেই মিছিল শেষে আমাদের পার্টি অফিসে হামলা করে।”

    পানীয় জলের লাইন কাটা হয়েছে!

    বিজেপির জেলা সভাপতি অভিজিৎ তা বলেন, “জেলার বিভিন্ন জায়গার বিজেপি কর্মীদের উপর হামলা (Post Poll Violence) করা হচ্ছে। ভাতারে পানীয় জলের লাইন কেটে দেওয়া হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে। তিনি বলেন প্রশাসনের উপর ভরসা আছে। পুলিশের কাছে আমাদের আবেদন দুস্কৃতীদের গ্রেফতার করতে হবে।

    আরও পড়ুনঃ মিনাখাঁয় বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের বাড়িঘর ভাঙচুর, চলল টিভি-ফ্রিজ লুটপাট, আতঙ্ক!

    তৃণমূলের বক্তব্য

    যদিও বিজেপির অভিযোগ অস্বীকার করে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। বর্ধমানের তৃণমূল নেতা দেবু টুডু বলেন, “জেলায় বিজেপি সাফ হয়ে গেছে। তাই ওদের তৃণমূল কেন আক্রমণ (Post Poll Violence) করবে? বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে গোলমাল হয়েছে। পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিষয়টি দেখা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Post Poll Violence: মিনাখাঁয় বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের বাড়িঘর ভাঙচুর, চলল টিভি-ফ্রিজ লুটপাট, আতঙ্ক!

    Post Poll Violence: মিনাখাঁয় বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের বাড়িঘর ভাঙচুর, চলল টিভি-ফ্রিজ লুটপাট, আতঙ্ক!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর ভোট পরবর্তী হিংসার (Post Poll Violence) জেরে মিনাখাঁর আটপুকুর অঞ্চলের কচুরহূলো এলাকার ১১৩ নম্বর বুথে বিজেপি সমর্থকদের বাড়িঘর ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। আনুমানিক ১০ থেকে ১২টি ঘর ভাঙচুর করার পাশাপাশি ওই এলাকা থেকে দুটি মোটর বাইক, তিনটি সাইকেল সহ একাধিক বাড়ি থেকে টিভি, ফ্রিজ নানা জিনিসপত্র লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যে ওই এলাকার শতাধিক বাসিন্দারা ঘর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন। ঘটনার পর থেকেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন এলাকার বাসিন্দারা ও বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা।

    বিজেপি কর্মীদের বক্তব্য (Post Poll Violence)

    উত্তর ২৪ পরগনার মিনাখাঁর আটপুকুরের আক্রান্ত এক বিজেপি কর্মী বলেছেন, “লোকসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পরে পুলিশের প্রত্যক্ষ মদতে তৃণমূল দুষ্কৃতীরা বিজেপি কর্মীদের পরিবারের উপর আক্রমণ (Post Poll Violence) করেছে। বিজেপিকে ভোট দেওয়ার জন্য সাধারণ মানুষের বাড়িতে ঢুকে অত্যাচার করছে। চলছে লুটপাট, বাড়ি ভাঙচুর। এমনকী আমাদের বাড়ির বাইকে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়েছে। বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে ভয়ের বাতাবরণ তৈরি করছে তৃণমূল। নির্বাচন কমিশন এবং পুলিশ প্রশাসনের উচিত অবিলম্বে নিপীড়িত মানুষের জীবন এবং সম্পত্তিকে রক্ষা করা। দেশের গণতান্ত্রিক উৎসবে অংশ গ্রহণের পর, নিজের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেওয়াটা কি এই রাজ্যে অন্যায়? তৃণমূল স্বৈরাচারী হয়ে উঠেছে।”

    আরও পড়ুনঃ শিলিগুড়িতে ধরাশায়ী গৌতম দেব, ডেপুটি মেয়র! অধিকাংশ ওয়ার্ডে বাজিমাত করল বিজেপি

    তৃণমূলের বক্তব্য

    লোকসভার ফল ঘোষণার পর তৃণমূলের বিরুদ্ধে ওঠা সন্ত্রাসের (Post Poll Violence) অভিযোগকে অস্বীকার করে মিনাখাঁ তৃণমূলের পক্ষ থেকে বলা হয়, “বিজেপির অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। বিরোধিতার নামে চক্রান্ত করেছে বিজেপি। তৃণমূল ব্যাপক জনমত নিয়ে এই ভোটে জয়ী হয়েছে। বিজেপি নিজেদের মধ্যে টাকার ভাগাভাগি নিয়ে গোলমাল বাঁধিয়েছে। পুরোটাই একটা গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। তৃণমূল এই ঘটনার সঙ্গে কোনও ভাবে যুক্ত নয়।” অপর দিকে বারাসত, মধ্যমগ্রাম, বারাকপুর, নিউটাউন, ক্যানিং, কোচবিহার, নদিয়া, বীরভূমের একাধিক এলাকায় ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলেছে বিজেপি।    

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • NDA: এনডিএ শিবিরে তৎপরতা, সরকার গড়ার প্রস্তুতি সারা, শুক্রবারই রাষ্ট্রপতির কাছে দাবি পেশ?

    NDA: এনডিএ শিবিরে তৎপরতা, সরকার গড়ার প্রস্তুতি সারা, শুক্রবারই রাষ্ট্রপতির কাছে দাবি পেশ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ (NDA) জিতেছে ২৯৩টি আসনে। এরপর বুধবার বৈঠকে বসে নরেন্দ্র মোদিকেই সর্বসম্মতভাবে নেতা নির্বাচিত করেছেন এনডিএ-র নেতারা। তার পরেই শুরু হয়েছে সরকার গড়ার প্রস্তুতি। সূত্রের খবর, শুক্রবার সরকার গড়ার দাবি জানাতে রাষ্ট্রপতি ভবনে যাবেন এনডিএ নেতারা। বুধবারই প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়েছেন মোদি। তার পরেই সপ্তদশ লোকসভা ভেঙে দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। সূত্রের খবর, ৮ জুন, শনিবার শপথ নেবে নয়া সরকার।

    ফের বৈঠকে এনডিএ

    রাষ্ট্রপতি ভবনে যাওয়ার আগে শুক্রবার সকালে বৈঠকে বসবেন এনডিএ-র নবনির্বাচিত সাংসদরা। সে জন্য বৃহস্পতিবারই তাঁদের চলে আসতে বলা হয়েছে দিল্লিতে। শনিবার মোদি সরকার শপথ নেওয়ার পর রবিবার (NDA) অন্ধ্রপ্রদেশে হবে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান। চন্দ্রবাবু নাইডুর নেতৃত্বে সরকার গড়বে টিডিপি। 

    শাহ-সিং-নাড্ডাকে ‘গুরু’ দায়িত্ব

    বিজেপি সূত্রে খবর, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সরকার গঠন নিয়ে এনডিএর জোট শরিকদের সঙ্গে কথা বলতে। চন্দ্রবাবুর দল টিডিপি এবং নীতীশ কুমারের দল জেডিইউয়ের কাছ থেকে বিজেপি নেতৃত্ব ‘পাকা কথা’ করে নিতে চাইছেন বলে সূত্রের খবর। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই দুই দলের নেতাদেরই ঘনঘন শিবির বদলানোর বদনাম রয়েছে। তাই এই ব্যবস্থা।

    আর পড়ুন: ৮ জুন মোদির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান, কারা কারা উপস্থিত থাকবেন জানেন?

    রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ২০১৪ ও তার পরের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি এককভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ায় এনডিএর শরিকদলগুলিকে নিয়ে বিশেষ মাথা ঘামাতে হয়নি গেরুয়া নেতৃত্বকে। তবে এবার শরিকদের নিয়ে বিশেষ করে ভাবতে হচ্ছে পদ্ম-পার্টিকে। তার কারণ, অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি এককভাবে পেয়েছে ২৪০টি আসন। সম্মিলিতভাবে এনডিএ-র শক্তি ২৯৩। এর মধ্যে আবার বেশি করে সাংসদ রয়েছে নীতীশ এবং চন্দ্রবাবুর দলের। তাই এনডিএ-র এই দুই শরিককে গেরুয়া শিবির বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে বলে খবর। তবে ‘হর্সট্রেডিং’ করে ‘ইন্ডি’ জোট যাতে সরকার গড়তে না পারে, তাই আটঘাট বেঁধেই শুক্রবার সরকার গড়ার দাবি জানাতে রাষ্ট্রপতি ভবনে যাবেন এনডিএ নেতারা।

    জানা গিয়েছে, এবার এনডিএতে একজনকে আহ্বায়কের দায়িত্ব দেওয়া হবে। এঁর কাজ হবে ঘনঘন শরিকদলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক আহ্বান করা। তবে তৃতীয় মোদি সরকার যে ‘বিকশিত ভারতে’র লক্ষ্যেই কাজ করবে, তা স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে বুধবারের বৈঠকে। ইস্তাহারে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণে সরকার যে দায়বদ্ধ, তা-ও মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে এদিনের বৈঠকে (NDA)।

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share