Tag: bjp

bjp

  • Nisith Pramanik: “ফল প্রকাশের পর তৃণমূল তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়বে”, গণনার আগে তোপ নিশীথের

    Nisith Pramanik: “ফল প্রকাশের পর তৃণমূল তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়বে”, গণনার আগে তোপ নিশীথের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামীকাল মঙ্গলবার হল অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের গণনা পর্ব। ইতিমধ্যে রাজ্যে তৃণমূল এবং বিজেপি কটা আসন পাবে, তা নিয়ে সমীক্ষার হিসাব রাজ্য রাজনীতিতে তোলপাড় ফেলেছে। রাজ্যে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচন থেকে যে বেশি আসন পেতে চলেছে, এই নিয়ে বিজেপি দারুণ আশাবাদী। ইতিমধ্যে কোচবিহারের বিজেপি প্রার্থী তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক (Nisith Pramanik) বিজেপির জয় নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তোপ দেগেছেন। তিনি বলেছেন, “নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর তৃণমূল তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়বে।” উল্লেখ্য মমতা বুথ ফেরত সমীক্ষা মানেন না বলে মন্তব্য করেছেন আগেই।

    কী বললেন নিশীথ (Nisith Pramanik)?

    কোচবিহারের বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিক (Nisith Pramanik) বলেন, “দেশে ৪০০-বেশি সিট নিয়ে এনডিএ সরকার গঠন করবে। পশ্চিমবঙ্গে ২৫টির বেশি আসন পাবে বিজেপি। তবে ৩০ পেরিয়ে গেলেও অবাক করার কিছু নেই। উত্তরবঙ্গের ফলাফল নিশ্চিত ভাবে ভালো হবে। প্রচণ্ড গরমের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গে রোড-শো, জনসভায় প্রচুর লোক সমাগম হয়েছে। মানুষের উচ্ছ্বাসের মধ্যেই লক্ষ্যটা বোঝা গিয়েছিল। নির্বাচনের আগেই মানুষ নিজের মনকে স্থির করে ফেলেছিলেন। কোথায় ভোট দেবেন তা বুঝতে পেরে গিয়েছিলেন। মানুষ নিজের ভোট নিজে দিতে পেরেছেন। আগের বার থেকে আমাদের আসন অনেক বেশি বৃদ্ধি পাবে।”

    আরও পড়ুনঃমুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতিই সার, রেল দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবারে আজও মেলেনি চাকরি

    আর কী বললেন?

    গণনার আগের দিন বিজেপি নেতা নিশীথ প্রামাণিক (Nisith Pramanik) আরও বলেছেন, “এই বারের লোকসভার নির্বাচন অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ হয়েছে। মানুষ নিজের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে পেরেছেন। ভাঙড়ে আইএসএফ তৃণমূলের শক্তিকে প্রতিরোধ করেছে। যেখানে মানুষ তৃণমূলকে প্রত্যাখান করছে সেখানেই অত্যাচার বৃদ্ধি করেছে ওরা। ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করতে চায় শাসক দল। তৃণমূল আসলে কাউন্টিং এজেন্টদের ধরে রাখতে পারবে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভয় পেয়ে গিয়েছেন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election: ‘‘কোর্ট, এক্সিট পোল মানেন না, ৪ তারিখ তো মানতেই হবে’’, মমতাকে তোপ দিলীপের

    Lok Sabha Election: ‘‘কোর্ট, এক্সিট পোল মানেন না, ৪ তারিখ তো মানতেই হবে’’, মমতাকে তোপ দিলীপের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামিকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার, ৪ জুন অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Election) ফলাফল প্রকাশিত হবে। ইতিমধ্যেই সামনে এসেছে বেশ কিছু বুথ ফেরত সমীক্ষা এবং এর প্রত্যেকটিতে দেখা যাচ্ছে বিজেপির জয়জয়কার। তবে এক্সিট পোল নিয়ে গতকাল তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বিজেপি ক্ষমতায় আসছে না।’’ এই নিয়েই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে তোপ দেগেছেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সাংবাদিকরা এদিন দিলীপ ঘোষকে প্রশ্ন করেন, বুথ ফেরত সমীক্ষা মানিনা বলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এ নিয়ে আপনি কী বলবেন? দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘যেমন আশা ছিল সেদিকেই পরিস্থিতি যাচ্ছে। এনডিএ ৪০০ এর কাছাকাছি, বিজেপি ৩৭০। পশ্চিমবঙ্গে ২৫ থেকে ৩০টা, কেউ কেউ ৩১ পর্যন্ত দেখিয়েছেন। মমতার সমস্যা হল, কোর্ট বিরুদ্ধে রায় দিলে মানেন না। এক্সিট পোল তাঁর বিরুদ্ধে গেলে উনি মানেন না। কিন্তু কাল ৪ তারিখ যেটা বেরোবে, সেটা তো মানতেই হবে।’’

    সংখ্যালঘুদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়ে অশান্তি পাকানো 

    ভোটের পর ফের অশান্ত হয়ে উঠেছে সন্দেশখালি এবং ভাঙড়। এই প্রসঙ্গে দিলীপের প্রতিক্রিয়া, ‘‘সংখ্যালঘুদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়ে অশান্তি পাকানো ও ক্রিমিনাল তৈরির পরম্পরা চলছে। তারাই গোলমাল করে। সরকার চাইলে একদিনে গোলমাল থামাতে পারে। বিধায়ক গুণ্ডারা গিয়ে ওখানে গণ্ডগোল করে। পুলিশ গিয়ে গোলমাল পাকায়। বিহার উত্তরপ্রদেশ এমনকি কাশ্মীরও ঠাণ্ডা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ হয়না। আমার মনে হয় এই সরকার যতদিন আছে ওই এলাকা শান্ত হবে না।’’

    ডায়মন্ড হারবারের ফলাফল অন্যরকম হতে যাচ্ছে! 

    ১ জুন ডায়মন্ড হারবারে ছিল লোকসভা নির্বাচন (Lok Sabha Election)। এখানকার প্রার্থী তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ডায়মন্ড হারবার নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘আশ্চর্য ব্যাপার। আজ তৃণমূলকে স্ট্রংরুম আগলে রাখার কথা বলতে হচ্ছে। সাধারণত যা এতদিন বিরোধীরা বলে এসেছে। মানে ওখানে ফলাফল অন্যরকম হতে যাচ্ছে কী ?’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Loksabha Election 2024: ‘চূড়ান্ত ফল প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত…’! এজেন্টদের বিশেষ বার্তা বিজেপি নেতৃত্বের

    Loksabha Election 2024: ‘চূড়ান্ত ফল প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত…’! এজেন্টদের বিশেষ বার্তা বিজেপি নেতৃত্বের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাত পোহালেই শুরু ভোট (Loksabha Election 2024) গণনা। আর তার আগে প্রস্তুতি চালাচ্ছে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। চূড়ান্ত ফল প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত গণনা কেন্দ্র ছাড়বেন না বলে পোলিং এজেন্টদের (Bjp Prepare Counting Agent) বার্তা দিল বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব।

    বিজেপি নেতৃত্বের বার্তা

    কাউন্টিং এজেন্টদের বিজেপি নেতৃত্বের বার্তা, প্রত্যেক রাউন্ডের পরে হিসাব মিলিয়ে নিতে হবে। কোনও গুজবে কান দেওয়া যাবে না। গুজব শুনে গণনা (Loksabha Election 2024) কেন্দ্রের টেবিল ছাড়লে হবে না। যেমন, অমুক আসনে তৃণমূল জিতে গিয়েছে, তাই এখানেও জিতে যাবে, এখানে থেকে কী হবে?, এই ধরনের মানসিকতা যেন কোনওভাবেই না কাজ না করে। ভুয়ো কোনও খবর শুনে গণনা কেন্দ্র ছাড়া যাবে না। ভয়ের বাতাবরণ সৃষ্টি হলে সঙ্গে সঙ্গে দায়িত্বপ্রাপ্ত কমিশন আধিকারিকদের জানানোর (Bjp Prepare Counting Agent) কথাও বলা হয়েছে বলে খবর। কোনও সন্দেহ হলে পুনরায় গণনার দাবি জানাতে হবে। গণনা কেন্দ্রের বাইরে কর্মী-সমর্থকদের জমায়েত সময়ের সঙ্গে বাড়াতে হবে। পাশাপাশি এজেন্টদের মধ্যে সমন্বয় বজায় রেখে চলার কথাও বলা হয়েছে। কোনও এজেন্ট সমস্যায় পড়লে পাশেরজন তাঁকে সাহায্য করবেন।

    এজেন্টদের সতর্ক থাকার নির্দেশ (Bjp Prepare Counting Agent) 

    উল্লেখ্য, প্রায় সব সংস্থারই বুথ ফেরত সমীক্ষায় দাবি, তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে নরেন্দ্র মোদি। বাংলাতেও বিজেপির আসন বৃদ্ধির আভাস মিলছে একাধিক বুথ ফেরত সমীক্ষার রিপোর্ট থেকে। তবে এ প্রসঙ্গে বিজেপির বক্তব্য, এগজিট পোলে বিজেপি জিতে গিয়েছে দেখে গণনাকেন্দ্রে ফুরফুরে মেজাজে থাকলে তৃণমূল শিবির শেষবেলায় খেলা ঘুরিয়ে দিতে পারে। তাই এজেন্টদের বারবার সতর্ক করেছে বিজেপি নেতৃত্ব। এই উদ্দেশ্যেই চার ধাপে ভাগ ভাগ করে রবিবার জেলা সভাপতি, প্রার্থী, কেন্দ্র ভিত্তিক দায়িত্বপ্রাপ্তদের নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব। প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় সেখানে। সোমবারও আবার গণনা কেন্দ্রের কর্মীদের এলাকা ভিত্তিক প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ চলেছে বলে খবর।

    আরও পড়ুন: চুরি করতে এসে এসি ঘরে ঘুমিয়ে গেল চোর! পুলিশের ডাকে ভাঙল ঘুম 

    সুকান্ত মজুমদারের নির্দেশ 

    রবিবার সুকান্ত মজুমদার-সহ রাজ্য বিজেপির তাবড় নেতারা দফায় দফায় বৈঠক সারেন দলের কাউন্টিং এজেন্টদের সঙ্গে। এ প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন, “মঙ্গলবার গণনা। কাউন্টিং এজেন্টদের আমরা বলেছি, এগজিট পোলে (Loksabha Election 2024)  কী দেখিয়েছে, তা নিয়ে আত্মতুষ্টিতে ভুগলে চলবে না। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত গণনাকেন্দ্রগুলিতে মাটি কামড়ে পড়ে থাকতে হবে।” 

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Malda: “দলের একাংশ কংগ্রেস-বিজেপির হয়ে কাজ করছে”, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে বিস্ফোরক তৃণমূল নেতা

    Malda: “দলের একাংশ কংগ্রেস-বিজেপির হয়ে কাজ করছে”, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে বিস্ফোরক তৃণমূল নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সপ্তম দফায় দেশের লোকসভা নির্বাচন শেষ হয়েছে শনিবার। আগামীকাল ৪ জুন গণনা পর্ব। ঠিক তার আগেই শাসক দলের অন্দরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ফের প্রকাশ্যে এসেছে। দলের অন্তরেই তৃণমূল নেতার বক্তব্য, “দলের একাংশ কংগ্রেস-বিজেপির হয়ে কাজ করছে।” এই কথা অকপটে স্বীকার করেছেন মালদা (Malda) জেলা পরিষদের সদস্য বুলবুল খান। এই মন্তব্যে রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল পড়েছে। যদিও লোকসভার টিকিট বণ্টন এবং ভোট প্রচার পর্বে এই জেলার নেতা-কর্মীদের মধ্যে একাধিক বার কোন্দলের চিত্র প্রকাশ্যে এসেছিল।

    ঠিক কী বললেন তৃণমূল নেতা (Malda)?

    মালদা (Malda) জেলার তৃণমূলের জেলা পরিষদের সদস্য বুলবুল খান বলেন, “আমাদের পার্টির কাছে রিপোর্ট আছে, কারা দলের ভিতরে কাজ খারাপ করেছেন। যাঁরা এসব কাজ করেছেন, তাঁদের নজরে রাখা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত বলে আমি মনে করি। আমার কাছে খবর আছে, দলের হয়ে কিছু কিছু লোক কংগ্রেস ও বিজেপির হয়ে কাজ করেছেন।” তাঁর এই মন্তব্যে শাসক দলের মধ্যে কোন্দলের চিত্র ফের একাবার প্রকাশ্যে এলো। যদিও গণনার আগে তৃণমূল নেতার মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বিজেপি, তৃণমূলের ঘর ভেঙে পড়ার ইঙ্গিত দিয়েছে।

    বিজেপির বক্তব্য

    দলের অন্দরে তৃণমূল নেতার এই মন্তব্যকে ঢাল করে বিজেপির মালদা (Malda) জেলা সম্পাদক রুপেশ আগরওয়াল বলেছেন, “৪ জুনের পর তৃণমূলের মধ্যে একটি বড় ভূমিকম্প হবে। এই ভূমিকম্পে তৃণমূলের দল ভেঙে ছাড়খার হয়ে যাবে। তৃণমূল দলের মধ্যে কে কাজ করছেন আর কে করছেন না, সেই তালিকা তাঁদের কাছ থেকে নেওয়াই ভাল। বিষয়টা তাঁদের দলের অভ্যন্তরীণ বিষয়। কিন্তু গণনার পর তৃণমূলকে ভূমিকম্পের কারণে খুঁজে পাওয়া যাবে না।”

    আরও পড়ুনঃরাতের অন্ধকারে আক্রমণ তৃণমূল দুষ্কৃতীদের! গণনা পর্যন্ত সন্দেশখালিতে জারি ১৪৪ ধারা

    কংগ্রেসর বক্তব্য

    একই ভাবে উত্তর মালদার (Malda) কংগ্রেস প্রার্থী মোস্তাক আলম তৃণমূলকে নিশানা করে বলেন, “প্রকাশ্যে না করলেও গোপনে অনেকেই বাম-কংগ্রেসকে সমর্থন করেছেন। প্রচুর মানুষ আছেন যাঁরা বাম-কংগ্রেসের পতাকা ধরতে ভয়পান। অনেক মানুষ নীরবে ভোট দানের মাধ্যমে বিপ্লব ঘটিয়েছেন।”

      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: রাতের অন্ধকারে আক্রমণ তৃণমূল দুষ্কৃতীদের! গণনা পর্যন্ত সন্দেশখালিতে জারি ১৪৪ ধারা

    Sandeshkhali: রাতের অন্ধকারে আক্রমণ তৃণমূল দুষ্কৃতীদের! গণনা পর্যন্ত সন্দেশখালিতে জারি ১৪৪ ধারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট মিটতেই রাতের অন্ধকারে এলাকাবাসীদের উপর আক্রমণ চালানোর অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। গত ১ জুন ছিল রাজ্যের সপ্তম দফা লোকসভা নির্বাচনের শেষ ভোট গ্রহণ পর্ব। ২০১১ সালের পর এই প্রথম ভোট দিতে পেরেছিলেন সন্দেশখালির (Sandeshkhali) গ্রামের মানুষ। আর তাই গতকাল রবিবার রাতে বাড়িতে ঢুকে তৃণমূলের গুন্ডারা আক্রমণ চালিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। অপর দিকে গণনার দিন পর্যন্ত এলাকায় প্রশাসনের তরফ থেকে জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা।

    জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে আক্রমণ (Sandeshkhali)

    সন্দেশখালি (Sandeshkhali) থানার অন্তর্গত খুলনা গ্রাম পঞ্চায়েতের নিতাই মোড় সংলগ্ন এলাকায় রবিবার গভীর রাতে তৃণমূল নেতা দেবজ্যোতি সান্যাল, বিপ্লব বর্মন, কৌশিক মন্ডল, দেবব্রত মণ্ডলের নেতৃত্বে প্রায় ৬০ থেকে ৭০ জন দুষ্কৃতীরা বাইকে করে ঘুরে ঘুরে জয় বাংলা স্লোগান দেয় এবং এরপর হুমকি দেয় সাধারণ মানুষকে উদ্দেশ্য করে। কিন্তু আচমকা সেই সময় সঞ্জীব মণ্ডল ও পিয়ালী মণ্ডলের বাড়িতে ঢুকে মারধর করে ওই দুষ্কৃতী বাহিনী। প্রতিবাদ করতে গেলে এলাকার মানুষদের প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। ঘটনার পর রাতেই  দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে সন্দেশখালি থানায় লিখিত অভিযোগ জানান গ্রামবাসীরা।

    আক্রান্তদের বক্তব্য

    তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের আক্রমণ বিষয়ে আক্রান্ত পিয়ালী মণ্ডল বলেছেন, “আমরা ভোট দেওয়ায় তৃণমূলের গুন্ডারা বাড়িতে (Sandeshkhali) ঢুকে হামলা করেছে। ব্যাপক মারধর করে ভাতের থালা ফেলে দিয়েছে ওরা। আমার স্বামীকে লাঠি, বাঁশ দিয়ে মারধর করা হয়েছে। স্বামীকে বাঁচাতে গেলে আমাকেও হাতে, পীঠে মারধর করে দুষ্কৃতীরা। আমাদের বেঁচে থাকার অধিকার কেড়ে নিয়েছে ওরা। কীভাবে এলাকায় থাকব, এই নিয়ে দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছি। পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছি। খুব আতঙ্কের মধ্যে রয়েছি।”

    ফল বেরনো পর্যন্ত জারি ১৪৪

    সন্দেশখালিতে ভোটের পরদিন গতকাল ২ জুন থেকে ফলাফল ঘোষণার ৪ জুন পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করেছে পুলিশ প্রশাসন। ন্যাজাট (Sandeshkhali) থানা এলাকার সরবেড়িয়া থেকে বয়ারমারি গোটা এলাকাজুড়ে জারি এই নির্দেশিকা। ভোটের দিনেই সন্দেশখালির বেড়মজুর, বয়ামারি, আগারহাটি, কানমারি সহ একাধিক এলাকা উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল। একই ভাবে এলাকার মহিলারা আন্দোলনে নেমে ছিলেন।

    আরও পড়ুনঃ বিজেপি ক্ষমতায় এলে ‘উত্তর প্রদেশ ট্রিটমেন্ট’! সুকান্ত মজুমদারের কণ্ঠে এবার যোগীর সুর

    পুলিশ তৃণমূলের হয়ে ভোট করিয়েছিল!

    ভোটের দিন বয়ারমারি (Sandeshkhali) গ্রামে বিজেপির ক্যাম্প অফিসে হামলা চালিয়ে ছিল ৬০ থেকে ৭০ জন তৃণমূলের গুন্ডা বাহিনী। চঞ্চল খাটুয়া নামে এক বিজেপি কর্মীর মাথা ফেটেছিল। এলাকায় অশান্তির বাতাবরণ উত্তপ্ত হয়ে উঠলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। নির্বাচন কমিশন ঘটনায় অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট চেয়েছিল। আবার ন্যাজাট থানার অন্তর্গত বয়রামারিতেই পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়া হয়। বিজেপির অবশ্য অভিযোগ ছিল, পুলিশ তৃণমূলের হয়ে ভোট করিয়েছিল। সেই জন্য মানুষের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ পুলিশের ওপর গিয়ে পড়ে। পাল্টা পুলিশ ধরপাকড় শুরু করেছে এলাকায়। বিজেপির এক নেতা পরিতোষ সর্দারকে গ্রেফতার করায়, মহিলারা পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Elections Result: জয়জয়কার বিজেপির-ই, ভবিষ্যদ্বাণী সাট্টা বাজারেরও

    Lok Sabha Elections Result: জয়জয়কার বিজেপির-ই, ভবিষ্যদ্বাণী সাট্টা বাজারেরও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির জয় হবে নিছক কেক-ওয়াক (Lok Sabha Elections Result)! বলছে সাট্টা বাজার। এই বাজারের ভবিষ্যদ্বাণী, তৃতীয়বারের জন্যও প্রধানমন্ত্রী পদে বসছেন নরেন্দ্র মোদি। তবে বিজেপি যে দাবি করছে, ৪০০ পার, পদ্ম-পার্টির সে আশা পূরণ হবে না বলেও দাবি বুকিদের। মুম্বইয়ের এক শীর্ষ বুকি বলেন, “প্রথম দফার নির্বাচনের আগে বিজেপির পক্ষেই হাওয়া ছিল। তৃতীয় দফার ভোটের পর সে হাওয়া ক্রমেই নিম্নগামী।”

    সাট্টা বাজারের ভবিষ্যদ্বাণী (Lok Sabha Elections Result)

    সাট্টা বাজারের ভবিষ্যদ্বাণী, বিজেপি জয়ী হতে পারে ২৯৫-৩০৫টি আসনে। কংগ্রেস পেতে পারে ৫৫-৬৫টি আসন। প্রথম দফার নির্বাচনের আগে এই বাজারেরই পূর্বাভাস ছিল (Lok Sabha Elections Result) বিজেপি পেতে পারে ৩১৫-৩২৫টি আসন। আর কংগ্রেসের ঝুলিতে যেতে পারে ৪৫-৫৫টি আসন। তৃতীয় দফার নির্বাচন শেষে বাজারের খবর, গেরুয়া ঝুলিতে যেতে পারে ২৭০-২৮০টি আসন। আর কংগ্রেস পেতে পারে ৭০-৮০টি আসন। ষষ্ঠ দফার নির্বাচনের শেষে মুম্বইয়ের এই বাজারের পূর্বাভাস পদ্ম ফুটতে পারে ২৯৫-৩০৫টি কেন্দ্রে। হাত মাথা তুলে দাঁড়াতে পারে ৫৫-৬৫টি আসনে।

    কী বলছেন বুকিরা?

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বুকি বলেন, “বিজেপির ৪০০ পার স্লোগান কখনওই সমর্থন করেনি বাজার। বেটিং রেট অনুযায়ী বিজেপির পক্ষে ৩৫০টি আসন পাওয়াও অসম্ভব।” বাজারের দাবি, গুজরাট হবে কেবলই পদ্মময়। মহারাষ্ট্রে এনডিএ পেতে পারে ২৮টি আসন। আর উত্তরপ্রদেশে এনডিএ-র ঝুলিতে যেতে পারে ৬৪ থেকে ৬৬টি আসন।

    বিশেষ কয়েকটি কেন্দ্রে কারা জিতবে, তাও জানিয়েছে বাজার। সেখানে দেখা যাচ্ছে, আমেঠিতে জিততে পারে বিজেপির স্মৃতি ইরানি। রায়বেরিলিতে জিততে পারেন কংগ্রেসের রাহুল গান্ধী। ওয়েনাড়ও তাঁর দখলেই থাকবে। নাগপুরে জয়ী হতে পারেন বিজেপির নীতীন গডকরি। গান্ধীনগরে পাঁচ লাখেরও বেশি ভোটে জিততে পারেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। লখনউ কেন্দ্রে আড়াই লাখেরও বেশি ভোটে জিততে পারেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ।

    আর পড়ুন: ছাপ্পার অভিযোগে তৃণমূলের এজেন্ট গ্রেফতার, দুটি বুথে চলছে পুনর্নির্বাচন

    সাট্টা বাজারের পূর্বাভাস যে নিছক ফেলনা নয়, তার প্রমাণ মিলেছে অনেক ক্ষেত্রেই। ক্রিকেট হোক কিংবা নির্বাচন, সর্বত্রই তাদের ভবিষ্যদ্বাণী মিলে যায়। তবে এবার বুকিরা যে বিজেপির পক্ষে বাজি ধরেছেন, তার সমর্থন মিলেছে বিভিন্ন সংস্থার করা এক্সিট পোলেও। ভোট কূশলী প্রশান্ত কিশোরেরও পূর্বাভাস বিজেপি পেতে পারে ৩০০-র কিছু বেশি আসন (Lok Sabha Elections Result)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Repoll 2024: ছাপ্পার অভিযোগে তৃণমূলের এজেন্ট গ্রেফতার, দুটি বুথে চলছে পুনর্নির্বাচন

    Repoll 2024: ছাপ্পার অভিযোগে তৃণমূলের এজেন্ট গ্রেফতার, দুটি বুথে চলছে পুনর্নির্বাচন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারাসত লোকসভার দেগঙ্গা বিধানসভার ৬১ নম্বর বুথে শেষ দফা ভোটের দিন ছাপ্পা ভোট (Re-Poll 2024) করার অভিযোগ ওঠে শাসক দলের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় জাকির হোসেন নামে তৃণমূলের এক এজেন্টের নাম জড়ায়। পরে, তৃণমূলের ওই এজেন্টকে পুলিশ গ্রেফতারও করে। কমিশনের নির্দেশ মেনে সোমবার দেগঙ্গার ৬১ নম্বরের ওই বুথ এবং  দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুরের একটি বুথে পুনর্নির্বাচন হচ্ছে। দুটি বুথেই এদিন সকাল থেকে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হচ্ছে।

    ছাপ্পার অভিযোগে তৃণমূলের এজেন্ট গ্রেফতার, বিক্ষোভ (Re-Poll 2024)

    শনিবার শেষ দফায় ভোটগ্রহণ চলাকালীন দেগঙ্গা বিধানসভার ৬১ নম্বর বুথে (Re-Poll 2024) ছাপ্পা ভোট করার অভিযোগ ওঠে। ছাপ্পা ভোট পরিচালনা করেছেন ওই বুথের তৃণমূল এজেন্ট জাকির হোসেন। ভোট শেষ হওয়ার পর ওই তৃণমূল এজেন্টের বিরুদ্ধে বারাসত থানায় অভিযোগ দায়ের করেন দেগঙ্গা বিধানসভার অতিরিক্ত রিটার্নিং অফিসার। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে রাতেই জাকির হোসেনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। রবিবার তাঁকে আদালতে তোলা হলে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। দলীয় এজেন্টের গ্রেফতারির খবর পেয়ে রবিবার দুপুরে কদম্বগাছি সর্দারপাড়ায় যান তৃণমূল নেতারা। ছিলেন তৃণমূলে দেগঙ্গার ব্লক সভাপতি। সেখানে পৌঁছলে তাঁদের ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তৃণমূল কর্মীরা। কেন তৃণমূল এজেন্টকে গ্রেফতার করা হল তার জবাব দাবি করেন দলীয় নেতাদের কাছে। ক্রমেই বাড়তে থাকে বিক্ষোভ। জাকির হোসেনের জামিন না হলে তাঁদেরও ছাড়া হবে না বলে জানিয়ে দেন স্থানীয় মহিলারা। পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠলে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দত্তপুকুর থানার পুলিশ। তারা কোনও ক্রমে তৃণমূল নেতাদের উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

    আরও পড়ুন: ফল প্রকাশের আগেই ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে বালুরঘাটে কড়া হুঁশিয়ারি সুকান্তর

    দুটি বুথে পুনর্নির্বাচন, দেগঙ্গায় বিজেপি নেতাকে পুলিশি হেনস্থা

    সোমবার বারাসত লোকসভার দেগঙ্গা বিধানসভার কদম্বগাছি সর্দারপাড়া এফপি স্কুলের ৬১ নম্বর বুথে পুনর্নির্বাচন চলছে। পুনরায় ভোট হচ্ছে মথুরাপুর কেন্দ্রের কাকদ্বীপ বিধানসভার আদ্দিরমহল শ্রীচৈতন্য বিদ্যাপীঠ এফপি স্কুলের ২৬ নম্বর বুথেও। শনিবার সপ্তম  দফায় এই দুই লোকসভা কেন্দ্রে ভোট হয়েছিল। বিভিন্ন জায়গা থেকে সেদিন বিক্ষিপ্ত ভাবে অশান্তির খবর আসে। গুচ্ছ অভিযোগ জমা পড়েছিল কমিশনের কাছে। তবে, ঠিক কী কারণে নির্দিষ্ট এই দু’টি বুথেই আবার ভোট করানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হল, তা খোলসা করেনি কমিশন। জানা গিয়েছে, এদিন দেগঙ্গার ৬১ নম্বর বুথে ভোট শুরু হলে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের ভোট দিতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ ওঠে। খবর পেয়ে এলাকায় চলে আসেন বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার নেতা কাসেম আলি। অভিযোগ নিয়ে তিনি যখন ভোটারদের সঙ্গে কথা বলছিলেন, সেই সময় তাঁকে পুলিশ ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয় বলে অভিযোগ। বিজেপি নেতা বলেন, পুলিশ তৃণমূলের দলদাস তা আবারও প্রমাণিত হয়ে গেল।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majhumdar: বিজেপি ক্ষমতায় এলে ‘উত্তর প্রদেশ ট্রিটমেন্ট’! সুকান্ত মজুমদারের কণ্ঠে এবার যোগীর সুর

    Sukanta Majhumdar: বিজেপি ক্ষমতায় এলে ‘উত্তর প্রদেশ ট্রিটমেন্ট’! সুকান্ত মজুমদারের কণ্ঠে এবার যোগীর সুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাতে মাত্র আর একদিন। তারপর লোকসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণা। আর নির্বাচনের ফল ঘোষণার আগে বালুরঘাটে (Balurghat) রাজ্যের বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majhumdar)। এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে সুকান্ত মজুমদার ভোট পরবর্তী রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় বিজেপি নেতা কর্মীদের ওপর একাধিক হামলার ঘটনার প্রসঙ্গ তুলে ধরে হুঁশিয়ারি দেন। সুকান্ত মজুমদারের মুখে উঠে আসে যোগীর সুর। 

    ভোট পরবর্তী হিংসায় সরব সুকান্ত মজুমদার

    এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে বিজেপির রাজ্য সভাপতি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “বিজেপি রাজ্যে ক্ষমতায় আসলে উত্তরপ্রদেশের মতো ট্রিটমেন্ট হবে। পুরো এনকাউন্টার করা হবে।” একইসঙ্গে তিনি (Sukanta Majhumdar) বলেন, “গতকাল কালীগঞ্জ থানার চাঁদপুর এলাকার বিজেপি কর্মী খুন হয়েছে, কারণ ভোট পরবর্তী হিংসা শুরু হয়েছে। অন্যদিকে বসিরহাট, নদীয়া সহ বিভিন্ন জায়গায় আমাদের কর্মীকে ধমকানো চমকানো, খুন করছে তৃণমূলের গুন্ডারা। কারণ তৃণমূল বুঝে গিয়েছে তাঁদের সময় শেষ। আমি পরিষ্কার এই গুন্ডা মস্তানদের বলে দিতে চাই বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর বিজেপির কোনো নেতাকে ধরে বিজেপির ঝান্ডা পতাকা ধরলেও কিন্তু তারা বাচঁবেনা। উত্তরপ্রদেশের মতো ট্রিটমেন্ট করা হবে। পুরো এনকাউন্টার হয়ে যাবে।” 
    অন্যদিকে, বুথ ফেরত সমীক্ষায় বাংলায় গেরুয়া ঝড়ের ইঙ্গিত। ম্যাট্রিজ, সিএনএক্সের সমীক্ষায় পঁচিশ থেকে ছাব্বিশটি আসন পাওয়ার সম্ভাবনা পদ্ম শিবিরের। এই প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majhumdar) বলেন, “আমি বুথ ফেরত সমক্ষায় খুব একটা বিশ্বাস করিনা। আমাদের এক্সিট পোল, বিজেপি কর্মীদের যে ফিডব্যাক, সেই ফিডব্যাকের উপর বিশ্বাস করে আমি বলতে পারি, আমি বিজেপির রাজ্য সভাপতি হবার পর একটা স্লোগান দিয়েছিলাম ‘এই বার পঁচিশ পার’। সেই স্লোগানটা আমাদের কর্মীরা আত্মবিশ্বাস করতে পারেনি। তখন দলের অবস্থা খারাপ ছিল। আজকে প্রায় আড়াই বছর পর এখন শুধু দল নয় প্রতিটি খবরের চ্যানেল বিশ্বাস করছে এইবার ২৫ পার। আমাদের টার্গেট ৩০। ৩০ পর্যন্ত যতক্ষণ না পৌঁছোচ্ছি আমাদের লড়াই চলবে। তিরিশে পৌঁছালে আমি ধরে নেবো যে আমরা জিতেছি। 

    আরও পড়ুন: ভোটই দিতে পারলেন না ববি! ডায়মন্ড হারবারের বিভিন্ন বুথে ছাপ্পা, অভিযোগ বিজেপি প্রার্থীর

    তৃতীয়বার মোদিজিই ক্ষমতায় 

    তৃতীয় মোদি সরকারের ইঙ্গিত, বুথ ফেরত সমীক্ষায়। এই প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন, “মোদিজি ক্ষমতায় আসবেন এইটা নিয়ে কারোর দ্বিমত নেই। আমাদের বিরোধী পার্টির যারা লিডার তারাও জানে যে মোদিজি ক্ষমতায় আসবে্ন। সেই জন্য তো মমতা ব্যানার্জি এক তারিখের ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে গেলেননা। কেন গেলেন না? কারণ উনিও জানেন মোদি আসছে। মোদির বিকল্প কিছু নেই। মোদিজি ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রীর জন্য শপথ নিতে চলছেন।” একইসঙ্গে তিনি জানান, এবার আরও একবারের জন্য  লাল কেল্লায় মোদিজির হাত ধরে পতাকা উঠবে।     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Assembly Election Results 2024: অরুণাচলে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা বিজেপির, রাজ্যের মানুষকে ধন্যবাদ মোদির

    Assembly Election Results 2024: অরুণাচলে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা বিজেপির, রাজ্যের মানুষকে ধন্যবাদ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অরুণাচল প্রদেশে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা (Assembly Election Results 2024) নিয়ে ফের একবার সরকার গড়তে চলেছে প্রেমা খান্ডুর নেতৃত্বাধীন বিজেপি। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৬০টি আসনের মধ্যে ৪৬টি আসনে ইতিমধ্যে জিতে গিয়েছে বিজেপি। অন্যদিকে দ্বিতীয় স্থানে থাকা সেখানকার এনপিপি নামের আঞ্চলিক দলটি পেতে চলেছে পাঁচটি আসন। উত্তরপূর্ব ভারতে দলের এমন ফলাফলে সেখানকার রাজ্যের মানুষকে অভিনন্দন জানিয়ে ট্যুইট করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সিকিমের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে সেখানকার বিধানসভায় ৩২টি আসনের মধ্যে ৩১টি দখল করেছে শাসকদল এসকেএম। অভাবনীয় এই ফলাফল বিগত পাঁচ বছরে তাঁদের কাজের জয় বলে জানিয়েছেন সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী প্রেম সিং তামাং।

    মোদির ট্যুইট

    নিজের এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী ধন্যবাদ জানিয়েছেন অরুণাচলের জনগণকে। তিনি লেখেন, উন্নয়নের রাজনীতির পক্ষেই রায় দিয়েছে অরুণাচল প্রদেশ।

    সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী জয়ী, ক্ষমতায় এসকেএম

    সিকিমের বিধানসভা নির্বাচনে (Assembly Election Results 2024) মুখ্যমন্ত্রীর আসনের ফলাফল প্রকাশিত হয় আজকেই দুপুর ১২টা নাগাদ। তখনই প্রেম সিং তামাংকে জয়ী ঘোষণা করা হয়। প্রসঙ্গত প্রেম সিং তামাং রেনকা আসন থেকে প্রতিদ্বন্দিতা করেছিলেন এবং ৭০৪৪ ভোটে জিতেছেন তিনি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Loksabha Election 2024: ভোটই দিতে পারলেন না ববি! পুনর্নির্বাচনের দাবি তুলে কমিশনের দ্বারস্থ বিজেপি

    Loksabha Election 2024: ভোটই দিতে পারলেন না ববি! পুনর্নির্বাচনের দাবি তুলে কমিশনের দ্বারস্থ বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট পর্ব মিটতেই ডায়মন্ড হারবারে উঠল পুনর্নির্বাচনের দাবি। সপ্তম দফায় ভোট (Loksabha Election 2024) ছিল ডায়মন্ড হারবারে। কিন্তু এদিন ভোটই দিতে পারেননি ডায়মন্ড হারবারের (Diamond Harbor) বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ দাস ওরফে ববি। পাশাপাশি এদিন ভোটে ছাপ্পার অভিযোগ তুলল বিজেপি। 

    কী কারণে ভোট দিতে পারলেন না বিজেপি প্রার্থী? 

    জানা গিয়েছে ভোটে (Loksabha Election 2024) ছাপ্পার অভিযোগ পেয়েই বুথে বুথে যাওয়া শুরু করেন বিজেপি প্রার্থী এবং তখনই দফায় দফায় বাধার মুখে পড়তে হয় তাঁকে। আর তার জন্য নিজের কেন্দ্রে পৌঁছতেই সন্ধ্যা ৬টা বেজে যায়। ফলে ভোট দানের নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে যাওয়ায় ভোট দিতে পারলেন না ডায়মন্ড হারবারের বিজেপি প্রার্থী। আর সেই কারনেই ডায়মন্ড হারবারের ৪৭০ টি বুথে পুনর্নির্বাচনের আবেদন করেছেন তিনি। 
    অভিজিৎ দাসের বক্তব্য, “প্রচুর ছাপ্পা পড়েছে। আমি রিপোলিং চাইছি। অন্যান্য বিরোধীরাও তাই চাইবেন। এমনকি যাঁরা পুরনো তৃণমূল প্রার্থী তাঁরাও চাইবেন পুনর্নির্বাচন হোক। যদিও বাতিল না হয়, অন্তত ৪৬০টা বুথে রিপোলিং হোক।”

    পুনর্নির্বাচনের দাবি তুলে কমিশনের দ্বারস্থ বিজেপি

    বিজেপির দাবি, ডায়মন্ড হারবার (Diamond Harbor) ও মথুরাপুর কেন্দ্রের বেশিরভাগ বুথগুলিতেই ভোটগ্রহণ (Loksabha Election 2024) স্বচ্ছ ভাবে হয়নি। অনেক বুথে অবাধে ছাপ্পা ভোট দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ, ভুয়ো ভোটও পড়েছে অনেক বুথে। কোনও কোনও বুথে কারচুপি হয়েছে সিসি ক্যামেরায়। আর সেই কারণেই ওই বুথগুলিতে পুনর্নির্বাচনের দাবি তুলে কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে বিজেপি। ওই দুই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থীর তরফে কমিশনে এই আবেদন জানিয়েছেন বিজেপি নেতা শিশির বাজোরিয়া। 

    আরও পড়ুন: রাজ্য জুড়ে বৃষ্টির পূর্বাভাস! কোন কোন জেলায় সতর্কবার্তা? জানাল আবহাওয়া দফতর

    শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্য 

    শনিবার সন্ধ্যায় রাজ্য বিজেপির কার্যালয়ে বিজেপি (BJP) সাংসদ শমীক ভট্টাচার্যকে পাশে নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সে সময় তিনি বলেন, “হরিয়ানা, বিহারে এ রকম দেখা যেত। এ বার এখানে এই প্রবণতা শুরু হয়েছে। আপনারা ডায়মন্ড হারবারে দেখেছেন, কেন্দ্রীয় বাহিনীকে কোনও পদক্ষেপ করতে না দিয়ে রাজ্য পুলিশ চার ঘণ্টা ধরে আমাদের প্রার্থী অভিজিৎ দাসকে ফলতায় রাস্তার উপরে আটকে রেখেছে। যাতে তিনি অন্য কোনও বুথে যেতে না পারেন।” এর পরেই ডায়মন্ড হারবার (Diamond Harbor) কেন্দ্রের বহু বুথে পুনর্নির্বাচনের দাবি তোলেন শুভেন্দু। 
    উল্লেখ্য, বিজেপির তরফে যে বুথগুলিতে পুনর্নির্বাচনের (Loksabha Election 2024) দাবি তোলা হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রের ফলতার সব কটি বুথ। এছাড়াও বজবজ, মহেশতলা বিধানসভা এলাকারও বহু বুথে পুনর্নির্বাচনের দাবি তোলা হয়েছে। কারচুপির অভিযোগ তোলা হয়েছে মথুরাপুর কেন্দ্রের সাগরের একাধিক বুথেও।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share