Tag: BNP

BNP

  • Bangladesh Crisis: ভোট নিয়ে বিএনপি-অন্তর্বর্তী সরকারের দ্বন্দ্ব! বাংলাদেশ কি গৃহযুদ্ধের পথে?

    Bangladesh Crisis: ভোট নিয়ে বিএনপি-অন্তর্বর্তী সরকারের দ্বন্দ্ব! বাংলাদেশ কি গৃহযুদ্ধের পথে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পদ্মা পাড়ে অশান্তির বাতাবরণ। সাধারণ নির্বাচন ঘিরে ফের গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি বাংলাদেশে। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পতনের পর থেকে এখনও শান্তি ফেরেনি ঢাকায়। অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে রক্ত ঝরছে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে। এই অবস্থায় সাধারণ নির্বাচনের দাবি উঠেছে। বাংলাদেশের আন্দোলনকারীদের একাংশের মতে দেশে সাধারণ নির্বাচন না হলে শান্তি ফিরবে না। কিন্তু ভোটে অনীহা মহম্মদ ইউনূস সরকারের। ক্ষমতা ধরে রাখতে বর্তমানে দেশের প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপির সঙ্গে মতবিরোধ দেখা গিয়েছে অন্তর্বর্তী ইউনূস সরকারের। 

    কবে হবে বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচন 

    কবে হবে বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচন তাই নিয়ে ইউনূস সরকারের একেকজন কর্তাব্যক্তি একেক রকম বার্তা দিচ্ছে। এই মুহূর্তে বাংলাদেশের প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি দেশের সাধারণ নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে। তাদের কথায় যত দ্রুত সাধারণ নির্বাচন হবে ততই মঙ্গল দেশের মানুষের জন্য। বাংলাদেশের রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, সাধারণ নির্বাচনে দেরি হলে বাংলাদেশের পরিস্থিতি হবে আফগানিস্তানের মতো। বাংলাদেশ হয়ে উঠবে জঙ্গিদের মুক্তাঞ্চাল। গুরুত্ব হারাতে পারে রাজনৈতিক দলগুলি, এই আশঙ্কায় গলা চড়াচ্ছে বিএনপি। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল জানান, নির্বাচন নিয়ে আর দেরি করা ঠিক নয়। যতটুকু সংস্কার প্রয়োজন তার থেকে বেশি দরকার নেই। কিন্তু ইউনূস সরকার এই বিষয়ে এখনও রা কাড়েনি। 

    অরাজক পরিস্থিতি বাংলাদেশে

    বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি ভেঙে পড়েছে। বাড়ছে খুন, চুরি, ডাকাতি, লুটপাটের মতো ঘটনা। আমজনতার জীবন অতিষ্ট হয়ে উঠেছে। এই আবহে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে দ্রুত নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে খালেদা জিয়ার দল। এদিন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘নির্বাচন নিয়ে কালক্ষেপ করা যাবে না। যতটুকু সংস্কার প্রয়োজন তার বেশি দরকার নেই।’’ কার্যত অন্তর্বর্তী সরকারকে দ্রুত সরে যাওয়ার বার্তা দেন বিএনপি মহাসচিব। বিএনপি-সহ বাংলাদেশের রাজনৈতিক শক্তিগুলি মনে করছে, আর যাই হোক, দেশ চালানোর যোগ্যতা নেই ইউনূসের নেতৃত্বাধীন উপদেষ্টা মণ্ডলীর।

    দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি বাংলাদেশে

    বাংলাদেশের দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পুরনো সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। মুদ্রাস্ফীতি বাড়ছে। সম্প্রতি বাংলাদেশে বাংলাদেশি টাকার দাম, মাথা পিছু আয়, বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডার – সবই কমেছে। সেই সঙ্গে দ্রুত হারে বাড়ছে মুদ্রাস্ফীতি আর বেকারত্ব। তাতেই বাংলাদেশের অর্থনীতির টালমাটাল অবস্থা তৈরি হতে পারে বলেও আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের। 

    নিজেদের মধ্যেই দ্বন্দ্ব

    দিনে দিনে ব্যর্থতা প্রকট হচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকারের। মাঝে অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থতা ঢাকতে রাজনৈতিক দলগুলিকে এই সরকারের অন্তর্ভুক্ত করে জাতীয় সরকারের প্রস্তাব দিয়েছিল জামাত। সেই দাবি উড়িয়ে দিয়েছে বিএনপি। বাংলাদেশের অবস্থা চরম অস্থির। গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। যার আঁচ পাওয়া গিয়েছে ইউনূস সরকারের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের কথায়। তিনি অভিযোগ করেন, দেশের রাজনৈতিক দলগুলিই অপপ্রচারে নেমেছে যে, এই সরকার ব্যর্থ। এই আবহে লন্ডনে গিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে দেখা করেন মির্জা ফখরুল। দেশে ফিরে তিনি বলেন, “নির্বাচন নিয়ে কালক্ষেপ করা যাবে না। ২ বছর আগে আমরা ৩১ দফা ঘোষণাপত্রে সংস্কারের বিষয়ে সবিস্তারে বলেছি। নির্বাচনে জিতে ক্ষমতায় গিয়ে সে সব আমরাই করব। অন্তর্বর্তী সরকারের কাজ নির্বাচনটুকু করা।”

    আরও পড়ুন: সংখ্যালঘুদের কারও পদোন্নতি আটকে, কাউকে কমিশনে না রেখে সমানে চলেছে দমন-পীড়ন!

    অস্তিত্ব নিয়ে শঙ্কিত বিএনপি

    বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যতম উপদেষ্টা নাহিদের মন্তব্যে কার্যত বিরক্ত ফখরুল। তিনি বলেন, “এমন রাজনীতি-বিরোধী মন্তব্য তিনি যেন ভবিষ্যতে না করেন। সব দল অন্তর্বর্তী সরকারকে সার্বিক সমর্থন জানিয়েছে, কারণ এই সরকারের হাতেই দেশের গণতন্ত্র পুনঃপ্রবর্তনের দায়িত্ব।” রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, আসলে বাংলাদেশের কট্টর মৌলবাদী শক্তি জামাতকে ভয় পাচ্ছে বিএনপি। ভারত-বিরোধিতা করলেও বিএনপি-র ভয় বাংলাদেশ যদি ক্রমে জামাতের মতো কোনও ধর্মীয়, কট্টরপন্থী, মৌলবাদী শক্তির হাতে বাংলাদেশের ক্ষমতা চলে গেলে গুরুত্ব হারাবে রাজনৈতিক দলগুলো। তাহলে শুধু আওয়ামি লিগ নয় সুদূর ভবিষ্যতে বিএনপি-র অস্তিত্বও সংকটে পড়বে। তাই শীঘ্র নির্বাচন করে দেশে গণতান্ত্রিক সরকার গঠন করতে চায় বিএনপি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: ‘‘এই ভুল ধারণা রাখবেন না’’, বিএনপি নেতাকে মোক্ষম জবাব দিলেন ভারতীয় চিকিৎসকরা

    Bangladesh: ‘‘এই ভুল ধারণা রাখবেন না’’, বিএনপি নেতাকে মোক্ষম জবাব দিলেন ভারতীয় চিকিৎসকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিকিৎসার ক্ষেত্রে বাংলাদেশিদের বড় ভরসার জায়গা ভারত। তাই, জটিল কোনও ব্যাধি বা পয়সাওয়ালারা সাধারণ চেকআপ করার জন্য নিজের দেশের ডাক্তারের ওপর ভরসা করেন না। সোজা চলে আসেন এপার বাংলায়। তবে বর্তমানের পরিস্থিতি আলাদা। অশান্ত বাংলাদেশ (Bangladesh) দিয়েছে ভারতীয় পণ্য বয়কটের ডাক। এদিকে ভারতীয় ভিসাও বন্ধ। নিয়মের কড়াকড়িতে বহু বাংলাদেশিই ভারতে আসতে পারছেন না। এরই মধ্যে বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন বিএনপি নেতা। মূলত, ভারতীয় ডাক্তারদের হকারি করার কথা বলেছেন তিনি। পাল্টা জবাব দিয়েছে ভারতীয় চিকিৎসকরাও।

    ঠিক কী বললেন বিএনপি নেতা?(Bangladesh)

    বিএনপির (BNP) স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, “বাংলাদেশে যত অবৈধ ভারতীয় বাসিন্দা আছে, তাদের দেশে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে অন্তর্বর্তী সরকারকে (Bangladesh)।” ভিসা সমস্যা ও ভারতে চিকিৎসার জন্য যেতে না পারার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমরা ভারতে না গেলে দেশের কয়েকশো কোটি টাকা সাশ্রয় হবে। অনন্তকাল ধরে ভিসা বন্ধ করে রাখলে ভারতীয় ডাক্তাররা রোগী পাবেন না। ভারতীয় ডাক্তারদের হকারি করতে হবে। ফুটপাথে হকারি করে খেতে হবে। তাই ভিসা বন্ধ করায় ভারতকে স্বাগত।”

    আরও পড়ুন: সর্বকনিষ্ঠ বিশ্বচ্যাম্পিয়ন! দাবায় সেরা ডি গুকেশ, কুর্নিশ সচিন-মোদি-মুর্মুদের

    কড়া প্রতিক্রিয়া দিলেন ভারতীয় চিকিৎসকরা

    বিএনপি নেতার বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ভারতীয় চিকিৎসক অরিন্দম বিশ্বাস বলেন, “বাংলাদেশি (Bangladesh) রোগীরা না এলে, ভারতীয় চিকিৎসকরা পথে বসবেন, এই ভুল ধারণা রাখবেন না। আপনি যেই হন না কেন, আপনার ভারত সম্পর্কে ধ্যানধারণা নেই। এই বাংলাতেই ১০ কোটি মানুষের বাস। ১৪০ কোটির দেশে কোনও ডাক্তার পথে বসবেন না। আপনার মতো ভিক্ষার দশা আমাদের হবে না। ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে ঘুরতে হবে না।” আরেক চিকিৎসক, রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, “পরিসংখ্যানগতভাবে বলি, বাংলাদেশে সরকারি মেডিক্যাল কলেজ রয়েছে ৪৫টি। আর সেখানেই পশ্চিমবঙ্গে মেডিক্যাল কলেজ রয়েছে ৩৫টি। আমাদের দেশে ৭৩১টি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল রয়েছে। আপনাদের ওপর নির্ভর করে আমাদের সংসার চলে না। কিন্তু ভারতে চিকিৎসা না পেলে আপনাদের অবস্থা কী হবে সেটা ভেবে দেখবেন। কারণ বাংলাদেশের মানুষের নিজের দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপরেই ভরসা নেই। বিপদে, দুর্দিনে তাঁরা আমাদের কাছেই আসেন।”

    মহাসঙ্কটে হাজার হাজার বাংলাদেশি

    বাংলাদেশে (Bangladesh) অশান্তির কারণে মহা সঙ্কটে পড়েছেন চিকিৎসার জন্য নিয়মিত কলকাতায় আসা-যাওয়া করা হাজার হাজার বাংলাদেশি। তাঁদের এ-পারে আসায় এখন কার্যত দাঁড়ি পড়েছে। নিয়মের এই ‘ফাঁস’ আলগা হয়ে কলকাতা-সহ দক্ষিণ ভারতে যাওয়ার পথ কবে আবার সুগম হবে, সেই চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন পদ্মাপারের রোগী এবং তাঁদের আত্মীয়েরা। ঢাকার বাসিন্দা মহম্মদ মুর্তাফিজ বলেন, “সাত বছর আগে চেন্নাইয়ের হাসপাতালে স্ত্রীর চিকিৎসা হয়েছিল। সেই চিকিৎসকই কলকাতার মল্লিকবাজারে কয়েক মাস অন্তর রোগী দেখতে আসেন। সপ্তাহ দুয়েক আগে ওই চিকিৎসক কলকাতায় এসে ঘুরে গিয়েছেন। কিন্তু স্ত্রীকে নিয়ে যেতে পারিনি। আপাতত যে ওষুধ চলছে, সেটাই ভরসা। কিন্তু চিকিৎসককে না দেখি এ ভাবে কত দিন চলবে?”উদ্বেগের একই সুর শোনা গেল সিলেটের বাসিন্দা নূর আহমেদের গলাতেও। নুরের কথায়, “হঠাৎ করেই দু’দেশের সম্পর্ক খারাপ হয়ে গেল। এখন তো কলকাতার চিকিৎসকদের একাংশ বাংলাদেশিদের চিকিৎসা করবেন না বলে জানিয়েছেন। আমাদের মতো রোগীদের কী হবে, জানি না।” বিভিন্ন দফতর ঘুরেও সীমান্ত পেরোনোর অনুমতি পাননি পাবনার বাসিন্দা মহম্মদ আলি ও জান্নাতুর ফিরদৌস। তিনি বলেন, “স্বামীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় কলকাতায় যেতে না পেরে ঢাকাতেই এক জন চিকিৎসককে দেখিয়েছি। কিন্তু আশানুরূপ ফল মিলছে না। ফুসফুসে জল জমছে। দু’দেশের সম্পর্ক মুষ্টিমেয় কয়েক জন নিজেদের স্বার্থে বিষিয়ে দিচ্ছেন। এর ফল আমাদের মতো সাধারণ মানুষদের ভুগতে হচ্ছে!”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India Bangladesh Relation: সরাসরি যুদ্ধের ডাক বিএনপি নেতার! বাংলাদেশে আরও তীব্র ভারত-বিদ্বেষের বিষ

    India Bangladesh Relation: সরাসরি যুদ্ধের ডাক বিএনপি নেতার! বাংলাদেশে আরও তীব্র ভারত-বিদ্বেষের বিষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের রাজনীতির আঙিনায় এখন ভারত বিরোধিতার প্রতিযোগিতা চলছে। কখনও মানচিত্র বদলের হুঁশিয়ারি, কখনও কলকাতা তো কখনও সেভেন সিস্টার্স দখলের ডাক। সীমান্ত ডিঙিয়ে আগরতলা অভিযানের ডাকও দিয়েছে এখন বাংলাদেশের প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি। এবার সরাসরি যুদ্ধের ডাক দিলেন বিএনপি নেতা হাফিজউদ্দিন আহমেদ। তাঁর কথায়, ‘প্রত্যেক বাংলাদেশি নাগরিককে সামরিক প্রশিক্ষণ দিয়ে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করা হবে। প্রত্যেক ছাত্রকে রাইফেল চালানো শিখতে হবে।’ বৃহস্পতিবার ঢাকার এক সভায় এমনই মন্তব্য করতে দেখা যায় বিএনপি নেতাকে।

    ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ!

    নানা ঘটনায় অভ্যন্তরীণ কোন্দলে বাংলাদেশ এখন উত্তাল। বাংলাদেশের এই অস্থিরতায় বারবার সেদেশের মৌলবাদীরা ভারতের দিকে আঙুল তুলছে। বাংলাদেশে ক্রমে ভারত বিরোধিতার সুর জোরালো হচ্ছে। যে দেশ স্বাধীন করার জন্য ভারতের অনেক যোদ্ধা রক্ত দিয়েছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ আন্দোলনে যোগ দিয়ে প্রাণ হারিয়েছিলেন বহু ভারতীয়। ভারত না থাকলে একদা বাংলাদেশের জন্মই হতো না, সেই বাংলাদেশেই ভারত বিরোধিতার স্লোগান উঠছে। বঙ্গবন্ধুকে যারা অপমান করে, তারাই পাকিস্তানের মদতে ঢাকার বাতাসে ভারত বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে বলে মত কূটনৈতিক মহলের। 

    কট্টরপন্থী নেতাদের হুঙ্কার

    ভারতের জন্য হুমকির তো অন্ত নেই। বিগত কয়েকদিনে বাংলাদেশের একের পর এক কট্টরপন্থী নেতাদের হুঙ্কারে চিন্তিত আন্তর্জাতিক মহলও। এবার বিএনপি নেতা হাফিজউদ্দিন আহমেদকে বলতে শোনা যায়, “প্রত্যেক ছাত্রকে বেসিক মিলিটারি ট্রেনিং আমরা দেব। আমাদের দিকে যাতে কেউ রক্তচক্ষু না দেখাতে পারে তাই এটা দরকার। আমরা যুদ্ধ করে তৈরি হয়েছি। চিরকাল জয়ী হবে বাংলাদেশের মানুষ।” এর আগে চার ঘণ্টায় কলকাতা দখলের ডাক দিতে দেখা গিয়েছিল সে দেশের প্রাক্তন সেনা কর্তাকে। 

    ভারতীয়দের উৎখাতের ডাক

    হিন্দুদের উপরে হামলা-অত্যাচারের পর পরিবর্তনের বাংলাদেশে ভারতীয়দের উৎখাত করার হুমকিও উঠেছে। ‘ভারতীয়দের লাথি মেরে তাড়ানোর’ হুমকি দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম মুখ তথা গণ অধিকার পরিষদের যুগ্ম সদস্য সচিব তারেক রহমান। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল বাংলাদেশি নেতাদের হুমকির ভিডিও। একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে ভারতীয়দের লাথি মেরে তাড়ানোর হুমকি দিচ্ছেন তারেক রহমান। ভারতের বিরুদ্ধে হিংসা, ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি বলেন, “রাঙামাটি থেকে সিলেট পর্যন্ত ৪৫ কিমি রাস্তা ভারত আমাদের দেয়নি। ৪০০ কিমি ঘুরে যেতে হয়। তাহলে কেন ভারতকে ১৫০০ কিমি বাঁচানোর জন্য ৪০০ কিমি ট্রানজিট দেওয়া হল?”

    সীমা ছাড়াচ্ছে ভারত-বিদ্বেষ

    তারেক রহমানের প্রশ্ন, “ফেণী, চট্টগ্রামে ইকোনমিক জোন দিয়েছেন শেখ হাসিনা। আমি প্রশ্ন করছি, আপনি কি বাংলাদেশের সন্তান? এরকম সাঙ্ঘাতিক কাজ করলেন কী করে। আমরা কি পারব ভারতে চিকেন নেকে ইকোনমিক জোন তৈরি করতে? এখান নেপাল-ভুটান যাওয়ার রাস্তাটুকু আমরা পাইনি। এভাবে হবে না। আমাদের ওই অর্থনৈতিক অঞ্চলে যেতে হবে। একটা একটা করে ভারতীয়কে লাথি মেরে ভারত সীমান্তে ঢুকিয়ে দিয়ে আসতে হবে।” তারেক আরও বিষোদগার করে বলেন, “ভারত নিজের সুবিধার জন্য চট্টগ্রাম, মঙ্গলা বন্দর ব্যবহার করে। কিন্তু নেপাল-ভুটানের মতো ছোট দেশ যখন বন্দর ব্যবহার করতে চাইল, ভারত অনুমোদন দেয়নি। এবার সোজাসুজি হিসেব করার সময় এসেছে।”

    বাংলাদেশ সরকারের ভূমিকা 

    হিন্দুদের ওপর হামলার মধ্যেই ভারতের বিরোধিতায় ঢাকায় মিছিল হচ্ছে প্রতিদিন। ঢাকায় প্রাক্তন সেনাকর্মীদের মিছিলে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে স্লোগানও উঠেছে। বলা হচ্ছে, বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়ে ঢাকার সঙ্গে বিরোধিতা করছে দিল্লি। ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সদস্যদের সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস অনুরোধ জানিয়েছেন, ইইউ ভিসা সেন্টার যেন দিল্লি থেকে অন্য দেশে স্থানান্তর করা হয়। তাঁর অনুরোধেই স্পষ্ট, ভারতের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ানোরই চেষ্টা করছে বাংলাদেশ। বিগত কয়েকদিনে একের পর এক বিএনপি নেতাকে লাগাতার ভারত-বিরোধী মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছে। এমনকী ভারতীয় পণ্য বয়কটেরও ডাক দিতে দেখা গিয়েছে। এবার তাতে নবতম সংযোজন হাফিজউদ্দিন, তারেক রহমানদের মন্তব্য। 

    আরও পড়ুন: নিশানায় হিন্দু পুলিশ অফিসাররাও, সংখ্যালঘু পুলিশকর্তাদের বিরুদ্ধে একাধিক খুনের মামলা!

    সক্রিয় পাকিস্তান

    বাংলাদেশের ভারত-বিরোধিতার মধ্যেই পাকিস্তান প্রীতিও প্রকাশ্যে এসেছে। পাকিস্তানের আরও কাছাকাছি এসেছে ইউনূস সরকার। পাক নাগরিকদের ভিসা পাওয়া আরও সহজ করেছে ঢাকা। নৈরাজ্যের বাংলাদেশে, ফায়দা তুলতে আসরে নেমেছ পাকিস্তান-চিনও। জামাত প্রধানের সঙ্গে চিনা রাষ্ট্রদূতের বৈঠক হয়েছে। খালেদা জিয়ার বাড়িতে পৌঁছেছেন পাক হাই কমিশনার। যে ভারতের দয়ায় মাত্র ৫৩ বছর আগে পাকিস্তান সেনা বাহিনীর হাত থেকে স্বাধীনতা পেয়েছিল বাংলাদশ, সেই বাংলাদেশ এবার ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার প্রস্তুতি শুরু করে দিল। শেখ হাসিনার পতনের পর থেকেই বাংলাদেশে মৌলবাদী সংগঠনগুলির রমরমা বাড়ছে। পাশাপাশি মাথা চাড়া দিয়েছে জামাতের মতো জঙ্গি সংগঠন। সেখান হিন্দু -সহ একাধিক সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন ক্রমশই বাড়ছে। এই অবস্থায় মৌলবাদী, জামাত আর পাকিস্তানের হাতে কাঠের পুতুল হয়ে পড়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh crisis: অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ, ভারতের উদ্বেগের একাধিক কারণ

    Bangladesh crisis: অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ, ভারতের উদ্বেগের একাধিক কারণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আশান্তির আগুনে পুড়ছে বাংলাদেশ (Bangladesh crisis)। চলছে হিন্দু নিধন যজ্ঞ। প্রত্যাশিতভাবেই পড়শি বন্ধু দেশের এই অশান্তিতে সিঁদুরে মেঘ দেখছে ভারত (Anti Terrorism Crusade)। ভারতের উদ্বেগের কারণ একাধিক।

    ভারতের উদ্বেগের কারণ (Bangladesh crisis)

    এর মধ্যে রয়েছে মুক্তি বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা, উত্তরপূর্ব ভারতে শান্তি বজায় রাখা, বাংলাদেশে বসবাসকারী ভারতীয়দের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং সর্বোপরি, সে দেশের নয়া সরকারের সঙ্গে নতুন করে সম্পর্ক গড়ে তোলা। দীর্ঘদিন ধরেই সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়ছে ভারত। প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ায় সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের লড়াই খানিকটা হলেও ধাক্কা খাবে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।

    হাসিনাকে বেশি গুরুত্ব ভারতের

    বরাবরই ভারত বিএনপির চেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে হাসিনার আওয়ামি লিগকে। এর কারণ হল, ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন এবং লস্কর-ই-তৈবার মতো জঙ্গি সংগঠনের প্রতি বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টিভঙ্গী। ভারতে একাধিক জঙ্গি হামলার নেপথ্যে রয়েছে এই দুই সন্ত্রসবাদী সংগঠনের হাত। ৭/১১-র মুম্বই ট্রেনে বিস্ফোরণ, ২০০৮ সালের জয়পুর বোমা হামলা, ওই বছরই আমেদাবাদে বিস্ফোরণ, ২০১০ সালে জামে মসজিদে হামলা, বেঙ্গালুরু স্টেডিয়ামে বিস্ফোরণ, ২০১১ সালে মুম্বইয়ে ধারাবাহিক বিস্ফোরণ এবং আরও অনেক জঙ্গি কার্যকলাপের নেপথ্যে রয়েছে এই দুই সংগঠনের হাত (Bangladesh crisis)। দেশজুড়ে ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন বিভিন্ন জায়গায় ঘাঁটি গেড়েছে। বিশেষ করে মহারাষ্ট্রে।

    ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের চেয়ে কোনও অংশে কম যায় না লস্কর-ই-তৈবা। ২৬/১১ হামলার নেপথ্যে তারাই। ২০০২ সালে মুম্বইয়ে ১১টি জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেছিল। এসবেরই নেপথ্যে ছিল ওই দুই জঙ্গি সংগঠনের হাত। গোয়েন্দা রিপোর্ট বলছে, হাসিনা-হীন জমানায় এই জঙ্গি সংগঠন বাংলাদেশে ডেরা বেঁধেছিল। সেখান থেকেই চক্রীরা ভারতে চালিয়ে গিয়েছিল একের পর এক অপারেশন। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে সন্ত্রাসীদের প্রশিক্ষণও দেওয়া হত। জঙ্গিরা ভারতে অপরাধ করে দিব্যি ঢুকে যেত হাসিনা-হীন সরকারের ছাতার তলায়। পরে সুযোগ বুঝে সেখান থেকে তারা চলে যেত পাকিস্তানে।

    আরও পড়ুন: অরাজক পরিস্থিতি বাংলাদেশে, অব্যাহত হিন্দু নিধন যজ্ঞ

    বিশেষজ্ঞদের মতে, এই জঙ্গি সংগঠনগুলির লাগাম ধরতে বিএনপি কিছুই করেনি। ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসে সন্ত্রাসবাদ বন্ধে কোমর কষে নামেন হাসিনা। সেই প্রক্রিয়াই আপাতত ধাক্কা খাবে বলে ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা। হাসিনার দেশ ছেড়ে চলে যাওয়াটা পাকিস্তানের আইএসআই এবং চিনের কাছে (Anti Terrorism Crusade) ‘পৌষ মাস’ হয়ে দাঁড়াল বলেই ধারণা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের (Bangladesh crisis)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Protest: বাংলাদেশে ফের সেনা অভ্যুত্থান! ফিরছে প্রায় ১৮ বছর আগের স্মৃতি

    Bangladesh Protest: বাংলাদেশে ফের সেনা অভ্যুত্থান! ফিরছে প্রায় ১৮ বছর আগের স্মৃতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা প্রায় ১৮ বছর পর ফের বাংলাদেশে ক্ষমতা দখল করল সেনাবাহিনী। সেবারও উত্তাল হয়েছিল বাংলাদেশ (Bangladesh Protest)। পরে, দেশের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিল সেনাবাহিনী। এবারও জনরোষের জেরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইস্তফা দিয়েছেন। তাঁর দেশত্যাগের পর সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ-জামান অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের কথা ঘোষণা করেন। আন্দোলনকারীদের শান্ত হওয়ার তিনি বার্তা দেন।

     ঠিক কী বললেন সেনাপ্রধান? (Bangladesh Protest)

    জেনারেল জামান সোমবার দুপুরে জাতির উদ্দেশে ভাষণের আগে সব দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন। পরে, তিনি বলেন, “সুন্দর পরিবেশে আলোচনা হয়েছে। সেই সঙ্গে দেশের (Bangladesh Protest) আন্দোলনকারী পড়ুয়া এবং রাজনৈতিক কর্মীদের শান্ত থাকার আবেদন জানাচ্ছি। আমি কথা দিচ্ছি, প্রতিটি হত্যার বিচার হবে।” এরপর তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে হাসিনা ইস্তফা দিয়েছেন। আমরা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করে আলোচনার মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করব।” প্রসঙ্গত, হাসিনার ইস্তফার দাবিতে দেশ জুড়ে বিক্ষোভ এবং হিংসার মধ্যেই রবিবার গভীর রাতে জেনারেল জামান জানান, তিনি সেনাবাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্তাদের সঙ্গে ঢাকার বাসভবনে বৈঠক করেছিলেন। তার পরেই জল্পনা তৈরি হয়, এবার সরাসরি পরিস্থিতির ওপর হস্তক্ষেপ করতে চলেছে সেনা। সূত্রের খবর, হাসিনা ইস্তফা দিয়ে তদারকি সরকারের ভার দিয়েছেন জাতীয় সংসদের (পার্লামেন্ট) স্পিকার শিরিন সারমিন চৌধুরির হাতে। কিন্তু আওয়ামি লিগের নেত্রী শিরিনকে সেনা মানবে কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। ঘটনাচক্রে, রাষ্ট্রপতি মহম্মদ শাহাবুদ্দিনও আওয়ামি লিগের প্রাক্তন নেতা এবং ‘হাসিনা ঘনিষ্ঠ’ হিসাবেই পরিচিত। আর এদিন হাসিনা দেশত্যাগ করার পর সোমবার সেনাপ্রধান সাংবাদিক সম্মেলন করার সময় আওয়ামি লিগের কোনও নেতা সেখানে উপস্থিত ছিলেন না।

    আরও পড়ুন: পরপর মন্দিরে হামলা, নেতাকে হত্যা! বাংলাদেশে ফের টার্গেট হিন্দুরা

    ১৭ বছর আগে ঠিক কী হয়েছিল?

    ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি অশান্ত পরিস্থিতিতে তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল মইন ইউ আহমেদের প্রত্যক্ষ তৎপরতার গঠিত হয়েছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকার। নেতৃত্বে ছিলেন, অর্থনীতিবিদ তথা বাংলাদেশ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর ফখরুদ্দিন আহমেদ। মূলত, সে সময় বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার প্রধামন্ত্রীত্বের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে অন্তর্বর্তী সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরিত করা হয়েছিল। কিন্তু, আওয়ামি লিগসহ বিরোধীরা সেই সরকারের বিরুদ্ধে পক্ষপাতদুষ্টতার অভিযোগে আন্দোলনে নামায় সক্রিয় হয় সেনা। প্রাথমিকভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ মহম্মদ ইউনুসকে। কিন্তু তিনি অস্বীকার করেন। এরপর তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ইয়াজউদ্দিন আহমেদের সক্রিয়তায় তত্ত্বাবধায়ক সরকারে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েছিলেন ফখরুদ্দিন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর থেকে তিনটি বড় মাপের সেনা অভ্যুত্থানের সাক্ষী হয়েছে দেশটি (Bangladesh Protest)। সেনার হাতে নিহত হতে হয়েছে দুই প্রেসিডেন্ট – শেখ মুজিবুর রহমান এবং জিয়াউর রহমানকে। এছাড়া, গত সাড়ে পাঁচ দশকে একাধিক ছোট-বড় ব্যর্থ অভ্যুত্থানও হয়েছে সে দেশে। এবারও অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশকে শান্ত করতে সেনা অভ্যুত্থান ঘটল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sheikh Hasina: ‘‘বউদের শাড়িগুলি পুড়িয়ে দিচ্ছেন না কেন?’’ ভারতীয় পণ্য বয়কটকারীদের প্রশ্ন হাসিনার

    Sheikh Hasina: ‘‘বউদের শাড়িগুলি পুড়িয়ে দিচ্ছেন না কেন?’’ ভারতীয় পণ্য বয়কটকারীদের প্রশ্ন হাসিনার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরেই বাংলাদেশি নাগরিকদের একাংশ ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দিয়েছে। সমাজ মাধ্যমের পাতায় এর সমর্থনে প্রচারও চলছে। ভারতীয় পণ্য বয়কটকে সমর্থন জানিয়েছে সে দেশের উগ্রবাদী দল বিএনপি। এবার এ নিয়ে মুখ খুললেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)। বয়কটকারীদের উদ্দেশে তাঁর প্রশ্ন, ‘‘বউদের শাড়িগুলি পুড়িয়ে দিচ্ছেন না কেন?’’

    ভারতের ওপর নির্ভরশীল বাংলাদেশ 

    প্রসঙ্গত, পেঁয়াজ থেকে শুরু করে অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় বহু সামগ্রীর ওপরেই বাংলাদেশকে ভরসা করতে হয় ভারতের ওপর। বহু ভারতীয় সংস্থাও বাংলাদেশে নিজেদের পণ্য উৎপাদন করে। সাবান থেকে শুরু করে খাদ্যদ্রব্য, গাড়ি এমন অনেক কিছুই। এই সমস্ত ভারতীয় সংস্থার বিরুদ্ধেও একই ধরনের প্রচার চালাচ্ছে বাংলাদেশের মৌলবাদী সংগঠনগুলি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, সদ্য ফের একবার শেখ হাসিনা ক্ষমতায় ফিরেছেন। বিএনপি নেতাদের অভিযোগ হল, ভারতের কারসাজিতেই হাসিনার প্রত্যাবর্তন হয়েছে। তাই তারা ভারত বিরোধী প্রচারে নেমেছে।

    হাসিনা সরকারের কড়া বিবৃতি

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) এনিয়ে বলেন, ‘‘ভারতীয় পণ্য বর্জন করেন বলছেন, তাদের বউদের কটা ভারতীয় শাড়ি রয়েছে। তাহলে তারা বউদের শাড়িগুলি এনে পুড়িয়ে দিচ্ছেন না কেন? আপনারা বিএনপি নেতাদের এই প্রশ্নটা করুন। বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল, তখন বহু মন্ত্রীরা ভারতে যেতেন। ওদের বউরা ভারত থেকে শাড়ি কিনে এনে এখানে বেচতেন।’’ এরপরেই তিনি বলেন, ‘‘আমি নিজেও দেখেছি, পাঁচজন মন্ত্রীর বউ একসঙ্গে যাচ্ছে। আমি দেখে বললাম, কী ব্যাপার পাঁচ মন্ত্রীর বউ একসঙ্গে? কলকাতা বিমানবন্দরে আমার চেনাজানা ছিল, আমি বলেছিলাম যে এরা কটা স্যুটকেস নিয়ে আসে (কলকাতায়) আর কটা নিয়ে ফিরে আসেন (ঢাকায়), তা জানাতে। ওরাও বলেছিল, এরা একটা স্যুটকেস নিয়ে আসে আর সাত-আটটা নিয়ে ফেরে।’’

    বাড়িতে হওয়া রান্নায় কতগুলো ভারতীয় মশলা ব্যবহার হয় তার খোঁজ নিন

    হাসিনা (Sheikh Hasina) বয়কটকারীদের উদ্দেশে বলেন, ‘‘যাঁরা ভারতীয় পণ্য বয়কটের স্লোগান তুলছেন তাঁরা আগে নিজেদের বাড়িতে উঁকি দিয়ে দেখুন যে তাঁদের বাড়িতে হওয়া রান্নায় কতগুলো ভারতীয় মশলা ব্যবহার হয়। আগে তার খোঁজ নিন, তারপর ভারতীয় পণ্য বয়কট করার ডাক দিন। তার আগে, এই আন্দোলনে যুক্ত হওয়া বা মদত দেওয়া মানে দ্বিচারিতা করা। যে বিএনপি নেতারা এই আন্দোলনে মদত দিচ্ছেন আগে তাঁরা নিজেদের দলীয় অফিসের সামনে স্ত্রীদের কাছে থাকা ভারতীয় শাড়ি পোড়ান। তাহলেই একমাত্র প্রমাণিত হবে যে তাঁরা ভারতীয় পণ্য বয়কটের বিষয়ে আন্তরিক।’’

    মলদ্বীপের মতো পরিস্থিতি হবে বাংলাদেশেরও?

    প্রসঙ্গত, উপমহাদেশ এমন ভারত বিরোধী প্রচার এর আগে মলদ্বীপে দেখা গিয়েছিল। সে দেশের তিন মন্ত্রী সমাজ মাধ্যমের পাতায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে বিষোদগার করেছিলেন। তার জেরে মলদ্বীপের পর্যটন ব্যবসা বিপুল ক্ষতির মুখে পড়ে। ভারত বিরোধী এমন অবস্থানে বাংলাদেশের অবস্থা যে সেরকম হতে পারে, তা আগেভাগেই জেনে বয়কটকারীদেরকে কড়া বার্তা দিলেন শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)। এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappTelegramFacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anti Hindu Violence: বাংলাদেশের অন্যতম সতীপীঠ চন্দ্রনাথ মন্দিরের দখল নিচ্ছে মৌলবাদীরা?

    Anti Hindu Violence: বাংলাদেশের অন্যতম সতীপীঠ চন্দ্রনাথ মন্দিরের দখল নিচ্ছে মৌলবাদীরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের হিন্দু পীঠস্থানগুলি আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা নতুন কিছু নয়। এই তালিকায় নবতম সংযোজন চট্টগ্রামের চন্দ্রনাথ মন্দির। কয়েক দিন ধরেই চট্টগ্রামের চন্দ্রনাথ মন্দিরকে ঘিরে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে উত্তেজনার (Anti Hindu Violence) খবর মিলেছে। এরই মধ্যে দুষ্কৃতীদের হামলায় চন্দ্রনাথ ধামের ১০ জন ভক্ত আহত হয়েছেন তিন দিন আগেই। চন্দ্রধাম হল হিন্দুদের পবিত্র তীর্থস্থান। ভক্তদের বিশ্বাস এখানে মাতা সতীর ডান হাত পড়েছিল। এক হাজার কুড়ি ফুট উচ্চতায় পাহাড়ের উপর অবস্থিত এই মন্দির হিন্দুদের (Anti Hindu Violence) পবিত্র আস্থাস্থল বলে পরিচিত। বহু পুণার্থী এখানে আসেন তাঁদের মনস্কামনা পূরণের জন্য।

    মন্দির চত্বরেই চলছে গো-মাংস রান্না!

    অভিযোগ, পবিত্র এই ধর্মস্থানে উঠে এসেছে বেশ কিছু মুসলিম দোকানদার, ততদূর পর্যন্ত ঠিক ছিল। কিন্তু এই সমস্ত দোকানগুলিতে এমন কিছু কাজ করা হচ্ছে যা হিন্দু ধর্মের (Anti Hindu Violence) ভাবাবেগে আঘাত লাগছে। ২০২২ সালের পর থেকেই চন্দ্রনাথ মন্দিরের আশপাশের এই দোকানগুলিতে গরুর মাংস রান্না করার অভিযোগ ওঠে এবং কিছু উগ্র মৌলবাদী সংগঠনের সদস্যরা পাহাড়ি এই মন্দিরে ঘনঘন যাতায়াত শুরু করে। এতেই বোঝা যায় তাদের উদ্দেশ্য। মন্দির চত্বরকে অপবিত্র করা এবং ভক্তদের উপর হামলার ঘটনায় সে দেশের সংখ্যালঘু সংগঠন হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, বর্তমানে উগ্রপন্থী মুসলমানরা মন্দির চত্বরে ‘আল্লাহু আকবর’ এবং ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ ধ্বনি তুলছে এবং মন্দিরকে ঘিরে উস্কানিমূলক বক্তব্য রাখছে।

    মৌলবাদীরা রাজনৈতিক মদতপুষ্ট

    বাংলাদেশের ওই সংখ্যালঘু সংগঠনের আরও অভিযোগ, ২০২৩ সালের এপ্রিল মাস থেকেই মন্দিরের (Anti Hindu Violence) চত্বরে নামাজের আয়োজন করে মৌলবাদীরা এবং মন্দিরের পাশেই একটি মসজিদ বানানোর পরিকল্পনা শুরু করে। এর পাশাপাশি সেখানে  নানা গুজবও ছড়ানো হতে থাকে। জানা গিয়েছে, এই ধরনের কার্যকলাপ যারা করছে তারা সবাই জামাতের সদস্য। এই জামাত আবার বিএনপি বা বাংলাদেশ ন্যাশনাল পার্টির সঙ্গে জোটে রয়েছে। আবার এই ধরনের কার্যকলাপে যুক্ত অনেকেই হেফাজত-এ-ইসলাম বাংলাদেশ নামে সংগঠনের সদস্য। যাদের সঙ্গে সংযোগ রয়েছে আবার শাসকদল আওয়ামি লিগের। ডিসেম্বর মাস পড়তেই এই বিবাদ চরম আকার ধারণ করতে শুরু করে। সেখানে দর্শন করতে যাওয়া অনেকের কাছেই বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। এর পাশাপাশি উগ্রপন্থীরা উস্কানিমূলক স্লোগানও দিতে থাকে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh General Election 2024: নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হতেই উত্তাল বাংলাদেশ, গাড়িতে আগুন

    Bangladesh General Election 2024: নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হতেই উত্তাল বাংলাদেশ, গাড়িতে আগুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাতীয় সংসদ নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হতেই উত্তাল বাংলাদেশ (Bangladesh General Election 2024)। গত ১৫ ঘণ্টায় গোটা দেশে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে ১২টি গাড়িতে। মানিকগঞ্জের একটি স্কুলে ও টাঙ্গাইলের কমিউটার ট্রেনেও আগুন লাগানোর খবর মিলেছে।

    নির্বাচনের নির্ঘণ্ট

    বুধবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করেন বাংলাদেশের প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজি হাবিবুল আউয়াল। তিনি জানান, নির্বাচন হবে ৭ জানুয়ারি। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। ১৭ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করার পরের দিনই বিলি করা হবে প্রতীক। কমিশন জানিয়েছে, বাংলাদেশে অবাধ, শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষভাবে ভোট করানোর পরিবেশ রয়েছে। তাই প্রকাশ করা হয়েছে নির্বাচনের নির্ঘণ্ট (Bangladesh General Election 2024)।  এরই প্রতিবাদে আজ, বৃহস্পতিবার দেশে অর্ধদিবস হরতালের ডাক দেয় বেশ কয়েকটি দল।

    হরতালের ডাক বিএনপি-র

    নির্ঘণ্ট বাতিলের দাবিতে রবি ও সোমবার গোটা দেশে হরতালের ডাক দিয়েছে খালেদা জিয়ার বিএনপি। একই দাবিতে ওই দুদিনই বনধ পালন করবে সে দেশের ১২টি রাজনৈতিক দলের জোট। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভি বলেন, “এই নির্বাচন কমিশন সরকারের আজ্ঞাবহ। জনমত উপেক্ষা করে একতরফাভাবে নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করে পুরো দেশকে অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিয়েছে সরকার। সরকার ভয় দেখিয়ে নির্বাচন কমিশনারকে নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করতে বাধ্য করেছে।”

    আরও পড়ুুন: “আমাকে বাঁচতে দিন”, আদালতে আর্জি বালুর, ‘‘সেলে ফিরে যান’’, জবাব বিচারকের

    এর আগে বাংলাদেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়েছিল ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর। সংবিধান অনুযায়ী, সংসদের পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষের আগের ৯০ দিনের মধ্যে পরবর্তী সংসদ নির্বাচন করতে হয়। চলতি সংসদের মেয়াদ শেষ হবে নতুন বছরের ২৯ জানুয়ারি। সেই সময়সীমা মেনেই নির্বাচনের নির্ঘন্ট ঘোষণা করেছে কমিশন। ভোটগ্রহণ হবে কাগজের ব্যালটে। গত নির্বাচনে জাতীয় সংসদের ৩০০টি আসনের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামি লিগ জিতেছিল ২৫৭টি। তাদের সহযোগী দল প্রয়াত এরশাদের জাতীয় পার্টি জয়ী হয়েছিল ২৬টিতে। খালেদা জিয়ার দল জিতেছিল মাত্র ৭টি আসনে। প্রসঙ্গত, বিএনপির মূল দাবি, আওয়ামি লিগের সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। ভোট গ্রহণ (Bangladesh General Election 2024) করতে হবে অবিভক্ত প্রশাসনের মাধ্যমে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BNP: শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবিতে সমাবেশ বিএনপি-র, বিক্ষোভ-অবস্থান ঘিরে উত্তাল ঢাকা

    BNP: শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবিতে সমাবেশ বিএনপি-র, বিক্ষোভ-অবস্থান ঘিরে উত্তাল ঢাকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতিবেশি দেশ বাংলাদেশের রাজনীতির বর্তমানে টালমাটাল পরিস্থিতি। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠল রাজধানী শহর ঢাকা। বাংলাদেশে বিরোধী দল বাংলাদেশ ন্যাশানালিস্ট পার্টি তথা বিএনপি-র (BNP) সমাবেশকে ঘিরে পরিস্থিতি উত্তপ্ত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন এবং অন্যান্য দাবিতে শনিবার বিএনপি একটি মহাসমাবেশের ডাক দেয়। তাতে জড়ো হয়েছিলেন হাজার হাজার মানুষ।

    শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবিতে পথে নেমেছে বিএনপি

    ১০ ডিসেম্বর রাজধানী ঢাকাতে বিএনপি-র (BNP) একটি বিশাল সমাবেশের পরিকল্পনা ছিল। সেখানেই উপস্থিত হয় হাজার হাজার মানুষ। তারা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করেন, হাসিনা সরকার দেশের ক্রমবর্ধমান মূল্যবৃদ্ধি, জীবনযাত্রার ক্রমবর্ধমান ব্যয়কে আটকাতে ব্যর্থ। শেখ হাসিনার অদক্ষতার কারণেই বাংলাদেশের মানুষ আজ সমস্যায় রয়েছেন। তাঁরা অন্ধকারে ডুবে যাচ্ছেন। সেই কারণেই শনিবার সকাল থেকে ঢাকার সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালের কাছে গোলাপবাগ খেলার মাঠে জড়ো হতে শুরু করেন বিক্ষোভকারীরা। বাংলাদেশে জ্বালানি তেলের দামবৃদ্ধি, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্যবৃদ্ধি ইত্যাদিতে নাভিশ্বাস সেখানকার জনগণের। ফলে পরের বছরের সাধারণ নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করে ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক বলে জানিয়েছে বিএনপি। 

    আরও পড়ুন: ৯ রাজ্যে অ-মুসলিম শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু!

    বিএনপি-এর তরফে কী কী অভিযোগ আনা হল?

    বিএনপি-এর তরফে অভিযোগ করা হয়, এই সমাবেশ বানচাল করার জন্য তার আগের দিনই ৯ ডিসেম্বর বিএনপির দুই শীর্ষ নেতাকে গ্রেফতার করা হয়। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে ভোরে রাজধানীতে পৃথক অভিযান চালিয়ে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় গোয়েন্দা শাখার অফিসাররা। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে, তাঁরা সরকারের বিরুদ্ধে প্রচার চালাচ্ছেন, তাই আইনি প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য গোয়েন্দা শাখা হেফাজতে নিয়েছে তাঁদের। আবার বিএনপি কর্মীদের অভিযোগ, সেদিন বিক্ষোভ চলাকালীন পুলিশের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন এবং আরও কয়েক জন আহত হয়েছেন।

    সরকারের তরফে কী বলা হল?

    বিএনপি-এর সমাবেশের প্রসঙ্গ এনে সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, দেশের নির্বাচন সংক্রান্ত কোনও ‘অভ্যন্তরীণ ষড়যন্ত্র’কে সহ্য করবে না বাংলাদেশ। বরদাস্ত করা হবে না ‘বিদেশি কারও হস্তক্ষেপ’ও। রবিবার আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন দেশের আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মহম্মদ শাহরিয়ার আলম। সেখানেই বিএনপির(BNP) সভার প্রসঙ্গে তাঁরা সরকারের অবস্থানের কথা জানান। আগামী বছর বাংলাদেশে নির্বাচন। এই বিষয়ে বাংলাদেশ ‘বাইরের কোনও চাপের কাছে’ মাথা নত করবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে সরকার। সরকারের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, সমাবেশ-বিক্ষোভ করে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ  ঘটানো সম্ভব নয়।

LinkedIn
Share