Tag: Calcutta High court

Calcutta High court

  • Recruitment Case: নিয়োগ মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পরেও দেড় কোটি টাকা ঢুকেছিল কুন্তলের অ্যাকাউন্টে!

    Recruitment Case: নিয়োগ মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পরেও দেড় কোটি টাকা ঢুকেছিল কুন্তলের অ্যাকাউন্টে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে (Recruitment Case) গ্রেফতার হয়েছিলেন তৃণমূলের যুবনেতা কুন্তল ঘোষ (কলঙ্ক মুছতে পরে তাঁকে বহিষ্কার করে তৃণমূল) (Kuntal Ghosh)। গ্রেফতার হওয়ার পরেও হুগলির বলাগড়ের ওই ‘নেতা’র ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে দুর্নীতির টাকা। অন্তত এমনই দাবি করলেন ইডির তদন্তকারীরা।

    টাকার উৎস কী? (Recruitment Case)

    সম্প্রতি জামিনের আবেদন করেছিলেন কুন্তল। বুধবার তাঁর জামিনের বিরোধিতা করে ইডি জানায়, কুন্তল অ্যারেস্ট হওয়ার কয়েকদিন পরেও তাঁর অ্যাকাউন্টে ঢুকেছিল ১ কোটি ৬০ লাখ টাকা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, ওই টাকার উৎস সম্পর্কে সদুত্তর দিতে পারেননি বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা। এদিন কুন্তলের জামিন মামলার শুনানি শেষ হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। তবে রায়দান স্থগিত রেখেছেন বিচারপতি শুভ্রা ঘোষ। প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ২১ জানুয়ারি গ্রেফতার হন কুন্তল।

    কুন্তলের অ্যাকাউন্টে কোটি কোটি টাকা

    প্রাথমিক স্কুলে নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে নাম জড়ায় কুন্তলের। তিনি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের ‘ঘনিষ্ঠ’। ওই মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন জনৈক তাপস মণ্ডলও। তদন্তকারীদের সামনে মুখ খুলেছেন তিনি। জানিয়েছেন, ৩২৫ জনের কাছ থেকে কুন্তল নিয়েছেন ৩ কোটি ২৫ লাখ টাকা। ঘুরপথে তৃণমূলের তৎকালীন ওই যুবনেতার অ্যাকাউন্টে ১৯ কোটি টাকারও বেশি ঢোকে। এ সংক্রান্ত কিছু তথ্যপ্রমাণও তাপস তুলে দেন তদন্তকারীদের হাতে।

    গত প্রায় ২২ মাস ধরে জেলেই রয়েছেন কুন্তল। জামিন মামলার শুনানিতে তাঁর আইনজীবী জানান, এই মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত মানিক ভট্টাচার্য জামিন পেয়েছেন। কুন্তলকেও জামিন দেওয়া হোক। তিনি বলেন, “কুন্তল দীর্ঘদিন জেলে রয়েছেন। এই অবস্থায় জামিন পেলে (Recruitment Case) তাঁর পক্ষে তথ্যপ্রমাণ নষ্ট করাও তো সম্ভব নয়।”

    আরও পড়ুন: “রাজাকারদের লাগানো আগুনেই মৃত্যু হয়েছিল মা-বোনের”, খাড়্গেকে মনে করিয়ে দিলেন যোগী

    কুন্তলের জামিনের বিরোধিতা করেন ইডির আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি। তিনি জানান, কুন্তলের বিরুদ্ধে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে। গ্রেফতারির পরেও তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে দেড় কোটি টাকারও বেশি। ইডির আইনজীবী বলেন, “মানিককে কেবল ইডি গ্রেফতার করেছিল। তাঁকে সিবিআই গ্রেফতার করেনি। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৪৭৯ (২) ধারায় বলা হয়েছে, কোনও ব্যক্তির বিরুদ্ধে একের বেশি মামলা বিচারাধীন থাকলে জামিন প্রযোজ্য হবে না। তিনি বলেন, “নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে কুন্তলের (Kuntal Ghosh) বিরুদ্ধে একের বেশি মামলা রয়েছে (Recruitment Case)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ। 

     

  • PM Awas Yojana: প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকা নিয়ে দুর্নীতি! হাইকোর্টে ব্যর্থতা মেনে নিল রাজ্য

    PM Awas Yojana: প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকা নিয়ে দুর্নীতি! হাইকোর্টে ব্যর্থতা মেনে নিল রাজ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার (PM Awas Yojana) টাকা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগে এবার হাইকোর্টে ভর্ৎসিত রাজ্য সরকার। ঘটনাটি ক্যানিং ১ নম্বর ব্লকের ইটখোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের। ২০২১ সালে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকার জন্য আবেদন করেন ক্যানিং ১ নম্বর ব্লকের ইটখোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের সিরাজুল মণ্ডল-সহ পাঁচ বাসিন্দা। তাঁদের দাবি, এখনও সেই টাকা পাননি তাঁরা। টাকা পেতে হাইকোর্টে মামলা করেন ওই ৫ জন। মামলাকারী ৫ জনের টাকাই ভুল অ্যাকাউন্টে গিয়েছে বলে আদালতে রিপোর্ট দিয়ে জানায় রাজ্য। এরপরই আদালতের (Calcutta High Court) ক্ষোভের মুখে পড়ে সরকার। 

    ইচ্ছাকৃত জালিয়াতি

    এই ঘটনা ইচ্ছাকৃত জালিয়াতি, বলে এদিন মত প্রকাশ করেন বিচারপতি রবি কিষাণ কাপুর। বিডিও এবং পঞ্চায়েত প্রধানের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর তলব করেন বিচারপতি। অবিলম্বে সরকারকে ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী পদক্ষেপের নির্দেশও দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। দীর্ঘদিন টাকা না আসায় পঞ্চায়েতের দ্বারস্থ হন আবাসের টাকা থেকে বঞ্চিত পাঁচজন। অভিযোগ, তখন পঞ্চায়েত থেকে বলা হয় টাকা আসেনি। পরে পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, তাঁরা টাকা পাওয়ার জন্য যোগ্য ব্যক্তি নন। এরই প্রেক্ষিতে ২০২৩ সালে আদালতে মামলা করা হলে স্বাধীন তদন্তকারী সংস্থাকে তদন্তভার দেওয়ার আর্জি জানানো হয়। সে ব্যাপারে রিপোর্ট তলব করেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রবি কিষাণ কাপুর। 

    আরও পড়ুন: সরকারের দেওয়া ট্যাব কেনার ১০ হাজার টাকা গায়েব! একের পর এক স্কুলে একই ঘটনা কীভাবে?

    কাঠগড়ায় রাজ্য সরকার

    উল্লেখ্য, প্রায়ই জেলায় জেলায় আবাস যোজনার (PM Awas Yojana) তালিকায় গরমিলের অভিযোগ সামনে আসছে। কোথাও তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব তৃণমূলই। কোথাও বিডিও অফিসের দরজা বন্ধ করে বিক্ষোভ। সম্প্রতি হুগলির গোঘাটে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ডের বিরুদ্ধে আবাস যোজনার তালিকায় স্বজনপোষণের অভিযোগ তুলেছিলেন তৃণমূলেরই পঞ্চায়েত সদস্য। আবাস যোজনার তালিকায় গরমিলের অভিযোগ তুলে বীরভূমের রামপুরহাটেও বিক্ষোভ দেখিয়েছিন স্থানীয় তিলডাঙা গ্রামের বাসিন্দারা। বিরোধীরা বারবার যে দুর্নীতির কথা বলছেন, এবার তা মেনে নিল রাজ্যও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ। 

  • Calcutta High Court: দুর্গাপুজোয় রাজ্যে একাধিক মণ্ডপে হামলা! রাজ্যের কাছে রিপোর্ট চাইল হাইকোর্ট

    Calcutta High Court: দুর্গাপুজোয় রাজ্যে একাধিক মণ্ডপে হামলা! রাজ্যের কাছে রিপোর্ট চাইল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুজোর সময় রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় মণ্ডপে হামলা ও মূর্তি ভাঙার অভিযোগ (Vandalism Durga Puja Pandal) উঠেছিল। সেই ঘটনাগুলির স্বচ্ছ তদন্তের দাবিতে মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। এবার এনিয়েই রাজ্য পুলিশের ডিজির কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠাল কলকাতা হাইকোর্ট। মঙ্গলবার বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় পুজোর সময় যে গোলমাল হয়েছে, তার প্রেক্ষিতে কতগুলি অভিযোগ দায়ের হয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ প্রশাসন কী কী পদক্ষেপ করেছে, সেই সব রিপোর্ট জেলার পুলিশ সুপার বা কমিশনারেটের সিপি-রা রাজ্য পুলিশের ডিজি-কে পাঠাবেন। সেই সসমস্ত তথ্যগুলি খতিয়ে দেখে ডিজি রাজীব কুমারকে একটি রিপোর্ট কলকাতা হাইকোর্টে পেশ করতে হবে। আগামী ১৪ নভেম্বর প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে সেই রিপোর্ট (vandalism Durga Puja pandal) রাজ্যকে জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্য ৷

    মামলা (Calcutta High Court) করেন নদিয়ার বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা

    উল্লেখ্য, গার্ডেনরিচ-সহ রাজ্যের বেশ কয়েকটি জায়গায় পুজো মণ্ডপে হামলার ঘটনা ঘটে। সেগুলির স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবিতে মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। সেখানে নিরপেক্ষ কোনও সংস্থাকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়ার আবেদন জানানো হয়। সেই মামলাটি দায়ের করেছিলেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নদিয়া জেলার নেতা ঋতু সিং। এদিনের শুনানিতে মামলাকারীর আইনজীবী সওয়ালে বলেন, ‘‘পুজোর সময় রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। গার্ডেনরিচ পুজো মণ্ডপে দুষ্কৃতীরা আক্রমণ করে। কোচবিহারের শীতলকুচি, হাওড়ার শ্যামপুর এবং নদিয়া জেলায় মূর্তি ভাঙার ঘটনা ঘটেছে।’’

    আদালতে সওয়াল-জবাব

    এর প্রেক্ষিতে বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্য মামলাকারীর আইনজীবীকে প্রশ্ন করেন, ‘‘আপনারা কী চান? তদন্তের হস্তান্তর? কিন্তু, কেন?’’ যার জবাবে আইনজীবী বলেন, ‘‘রাজ্য পুলিশ ব্যর্থ হয়েছে ৷ ওই ঘটনাগুলির তদন্ত রাজ্য পুলিশ করতে পারবে না।’’ এরপর বিচারপতি জানতে চান, ‘‘কোন গ্রাউন্ডে ট্রান্সফার চাইছেন?’’ মামলাকারী আইনজীবীর বক্তব্য, ‘‘এই ঘটনা কলকাতা-সহ একাধিক জায়গায় ঘটেছে। নিরপেক্ষ তদন্ত হবে না, যদি রাজ্য পুলিশ তদন্ত করে।’’ এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিচারপতি ভট্টাচার্য অ্যাডভোকেট জেনারেলকে প্রশ্ন করেন, ‘‘এই ঘটনাগুলির ক্ষেত্রে রাজ্য কী কী ব্যবস্থা নিয়েছে?’’ তার জবাবে রাজ্য সরকারের তরফে এজি রিপোর্ট পেশ করতে কিছুটা সময় চান। অ্যাডভোকেট জেনারেলের আবেদন মেনে নিয়ে আগামী ১৪ নভেম্বরের মধ্যে ডিজি-র রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্য। রিপোর্ট কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চে (Calcutta High Court) পেশ করতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Case: নির্যাতিতার ন্যায় বিচারের জন্য প্রতিবাদী গান গেয়ে সাসপেন্ড হোমগার্ড! রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

    RG Kar Case: নির্যাতিতার ন্যায় বিচারের জন্য প্রতিবাদী গান গেয়ে সাসপেন্ড হোমগার্ড! রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর (RG Kar Case) কাণ্ডে নির্যাতিতার ন্যায় বিচারের জন্য প্রতিবাদী গান গেয়ে রাজ্য প্রশাসনের কোপের মুখে। হোমগার্ড কাশীনাথ পাণ্ডাকে কেন সাসপেন্ড করা হল, জানতে চেয়ে রিপোর্ট তলব করেছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। ঘটনায় শোরগোল পড়েছে রাজ্যের প্রতিবাদী আন্দোলনে। উল্লেখ্য, ন্যায় বিচারের দাবিতে আন্দোলনে নামলে প্রশাসনের রোষের মুখে পড়ার ঘটনা আগেও ঘটেছে। পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের ডাকে নবান্ন অভিযানে তিন বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। একই ভাবে নানা সময়ে ধর্না, অবস্থান বিক্ষোভ এবং অনশনমঞ্চ থেকে প্রতিবাদীদের জোর করে তুলে দেওয়ার ঘটনা এই রাজ্যে বিরল নয়। তবে প্রবুদ্ধ নাগরিক সমাজকে প্রশাসনের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করতেও দেখা গিয়েছে।

    উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা খড়্গহস্ত (RG Kar Case)

    জানা গিয়েছে, বছর পাঁচেক আগে থেকে বেলঘড়িয়া থানায় ট্রাফিক হোমগার্ডের চাকরি করছিলেন কাশীনাথ পাণ্ডা। গত ২১ অগাস্ট তিলোত্তমার বিচারের দাবিতে (RG Kar Case) একটি গান গেয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট করেছিলেন। মূলত প্রশাসনের বিরুদ্ধে তাঁর অভিযোগ হল, এই গান গাওয়ার পর থেকেই উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা খড়্গহস্ত হন। একই ভাবে সিনিয়ররা তাঁকে হেনস্থা করেন, পোস্ট তুলে নেওয়ার জন্য ব্যাপক চাপ দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে সাময়িক ভাবে কাজ থেকে সাসপেন্ড করা হয়। এখন এই ভাবে কেন কাশীনাথকে সাসপেন্ড করা হল, তাঁর বিরুদ্ধে প্রশাসনের কাছে কী অভিযোগ রয়েছে- এসব বিষয়ে রিপোর্ট তলব করেছেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি কৌশিক চন্দ। পুজো অবকাশের পর হাইকোর্টে রিপোর্ট পাঠাতে নির্দেশে দেন বিচারপতি। এই ঘটনায় ফের একবার অভয়ার ন্যায় বিচারের আন্দোলনে প্রতিবাদের ভাষা, বাক স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

    আরও পড়ুন: “ইউক্রেন-রাশিয়ার মধ্যে শান্তি ফেরাতে আগ্রহী ভারত”, বললেন মোদি

    আগেও চিকিৎসককে তলব করেছিল পুলিশ

    অপর দিকে অভয়াকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনার প্রতিবাদে রাজ্য রাজনীতি ব্যাপক ভাবে উত্তাল। জুনিয়র ডাক্তাররা লাগাতার আন্দোলন, ধর্না, অবস্থান-বিক্ষোভ, আমরণ অনশনের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবাদ জানিয়ে চলেছেন। রাজ্যের উৎসবের কার্নিভালের বিরুদ্ধে দ্রোহের কার্নিভাল হয়েছে। একই ভাবে প্রতীকী অনশনের (RG Kar Case) ব্যাজ লাগিয়ে প্রতিবাদে সামিল হলে কলকাতা পুরসভার এক চিকিৎসককে তলব করেছিল পুলিশ। ঘটনায় নিন্দার ঝড় ওঠে চিকিৎসক মহলে। একই ভাবে হোমগার্ড কাশীনাথের প্রতি রোষের ঘটনা অত্যন্ত নিন্দার বলে জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ।

      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Droho Carnival: রাজ্যের আপত্তি খারিজ, ‘দ্রোহের কার্নিভাল’-কে অনুমতি হাইকোর্টের

    Droho Carnival: রাজ্যের আপত্তি খারিজ, ‘দ্রোহের কার্নিভাল’-কে অনুমতি হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সময়ের আগেই শুরু হয়ে গেল ‘দ্রোহের কার্নিভাল’ (Droho Carnival)। ব্যারিকেড সরতেই উচ্ছ্বাস শুরু রানি রাসমণি রোডে। হুরমুড়িয়ে ঢুকল জনস্রোত। পুলিশের ধারা ১৬৩ খারিজ করে দিয়েছে উচ্চ আদালত (Calcutta High Court)। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রবিকিষাণ কাপুর রাজ্যকে প্রশ্ন করেন, “আপনারা কোনও শর্তেই কর্মসূচি করতে দেবেন না?” রাজ্যের আইনজীবী বলেন, “যদি অন্যদিন এই কর্মসূচি করা হয় অথবা রামলীলা ময়দানে স্থানান্তরিত করা হয়।” এরপর রাজ্য সরকারের আবেদন খারিজ করে দ্রোহের কার্নিভালকে অনুমতি দিলেন বিচারপতি। ফলে আরও একবার মুখ পুড়ল মমতা সরকারের।

    ব্যারিকেডগুলি খুলে দেওয়া হচ্ছে (Droho Carnival)

    দ্রোহকে (Droho Carnival) আটকাতে ব্যারিকেড বাঁধতে আনা হয়েছিল লোহার ভারী শিকল। হাইকোর্টের নির্দেশের পর ব্যারিকেডগুলি খুলে দেওয়া হয়। সেই শিকলের স্থান হয় ফুটপাতে। তবে পুজোর কার্নিভাল এবং দ্রোহের কার্নিভালের রুটের মাঝের রাস্তায় ব্যারিকেড থাকতে পারে। অভয়ার ন্যায় বিচারের দাবিতে কলকাতার রাজপথে দ্রোহের কার্নিভালকে রুখতে পুলিশ জারি করেছিল বিশেষ নিষেধাজ্ঞা। হাইকোর্টের নির্দেশকে পুলিশ অপব্যাখ্যা করেছে বলে আন্দোলনকারীরা অভিযোগ তুলেছেন। বিষয় তুলে ধরে সিপি মনোজ ভর্মাকে ইমেলের মাধ্যমে চিঠিও করেছিলেন চিকিৎসকরা। একই সঙ্গে ইমেল করেন প্রধান বিচারপতিকে (Calcutta High Court)। অবকাশকালীন বেঞ্চে মামলা চলাকালীন বিচারপতি বলেন, “রাজ্য কার্নিভাল ম্যানেজ করতে পারছে না?” একই ভাবে রাজ্যকে বিচারপতি বলেন, “বার বার আদালত আপনাদের নির্দেশ দিয়েছে র‍্যালির অনুমতি দিন। তারপরেও একই আচরণ।”

    আরও পড়ুনঃ পার্থকে জেরা করতে জেলে সিবিআই, পুজোর পর ফের সক্রিয় কেন্দ্রীয় সংস্থা

    পুলিশের আদেশ বাতিল

    জুনিয়র ডাক্তারদের পক্ষের আইনজীবী বলেন, “পুলিশ যে আদেশ দিয়েছিল তা বাতিল। শান্তিপূর্ণ ভাবে যাতে দ্রোহের কার্নিভাল (Droho Carnival), পুজো কার্নিভাল হয় এবং সেখানে যাতে কোনও বিরোধ না হয়, সেই জন্য আদালতের কাছে প্রস্তাব ছিল রানি রাসমণি অ্যাভিনিউ থেকে রেড রোড পর্যন্ত পুলিশ ব্যারিকেড করুক। আমাদের কোনও তাতে আপত্তি নেই। আদালত আমাদের আবেদন গ্রহণ করেছে।” তবে রাজ্য সরকারের অ্যাডভোকেট জেনারেল এই আদেশে স্থগিতাদেশ চেয়ে ছিলেন কিন্তু কলকাতা উচ্চ আদালত (Calcutta High Court) তা খারিজ করে দিয়েছে। উল্লেখ্য, দ্রোহের কার্নিভাল যেহেতু অভয়ার হত্যার বিচারের দাবিতে প্রতিবাদ কর্মসূচি, তাই তাকে আটকাতে রাজ্য সরকারের পুলিশ প্রশাসন ৯ জায়গায় জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। অবশেষে দ্রোহের কার্নিভালে আর বাধা রইল না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Tridhra Arrest Case: ‘‘ক্ষমতা রয়েছে বলেই পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারে না’’, ত্রিধারা কাণ্ডে বলল হাইকোর্ট

    Tridhra Arrest Case: ‘‘ক্ষমতা রয়েছে বলেই পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারে না’’, ত্রিধারা কাণ্ডে বলল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতার ত্রিধারা পুজো (Tridhra Arrest Case) মণ্ডপের সামনে আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদ জানানোয় নয় ছাত্রকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। এনিয়েই হাইকোর্টের প্রশ্নের মুখে পড়তে হল কলকাতা পুলিশ এবং রাজ্যকে। উচ্চ আদালতের মন্তব্য, ‘‘ক্ষমতা রয়েছে বলেই পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারে না।’’ প্রসঙ্গত, সপ্তমীর সন্ধ্যায় ওই প্রতিবাদের মধ্যে হুড়োহুড়িতে তিন জন পুলিশকর্মী নাকি আহত হয়েছে বলে দাবি করে প্রশাসন। এনিয়ে উচ্চ আদালত পর্যবেক্ষণে বলেছে, ‘আহতদের’ কেবল ব্যথানাশক এবং হজমের ওষুধ দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, ধৃত ৯ জনকেই আলিপুর আদালতে তোলা হয়, সেখানে তাঁদের ৭ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপরেই হাইকোর্টে জামিনের আবেদন জানানো হয়। ত্রিধারা-কাণ্ডে (Tridhra Arrest Case) কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি শম্পা সরকার ধৃতদের জামিনের নির্দেশ দেন।

    হাইকোর্টের শুনানি (Tridhra Arrest Case)

    শুনানির শুরুর দিকে উচ্চ আদালত  (Calcutta High Court) প্রশ্ন তোলে কী ভাবে অভিযুক্তদের নাম জানতে পেরেছিলেন অভিযোগকারী বিট্টুকুমার ঝা, যার ভিত্তিতে রবীন্দ্র সরোবর থানায় দায়ের হল অভিযোগ? রাজ্য জবাব দেয়, অভিযুক্তরা একে অপরের নাম ধরে ডাকছিলেন! রাজ্যের আরও দাবি, ধৃতদের মাধ্যমে নাকি বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে। তদন্ত চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার আর্জিও জানায় রাজ্য। অন্য দিকে, ধৃতদের আইনজীবী সওয়াল করেন, ‘‘পুলিশি হেফাজতে নিয়ে ‘কেস সাজানো হচ্ছে, ‘ন’জনের অপরাধ কী? প্রতিবাদ জানানো কি অপরাধ (Tridhra Arrest Case)? পুলিশ কী ভাবে প্রতিবাদে হস্তক্ষেপ করে?’’ শুনানির শেষে ধৃতদের ১ হাজার টাকা বন্ডে অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করে উচ্চ আদালত। বিচারপতির আরও পর্যবেক্ষণ, ‘‘ত্রিধারার পুজোমণ্ডপের ঘটনায় শুধুমাত্র হোয়াট্‌সঅ্যাপ চ্যাট এবং প্ল্যাকার্ড উদ্ধার করেছে পুলিশ। ধৃতদের স্লোগানে ঘৃণাভাষণ ছিল না। ধর্মীয় ভাবে কাউকে তাঁরা কাউকে আঘাত করেননি। অনেক সাধারণ মানুষই ওই স্লোগান দিচ্ছিলেন।’’ বিচারপতির আরও পর্যবেক্ষণ, ‘‘ধৃতদের প্রত্যেকের কম বয়স। বেশির ভাগেরই বয়স ২০-২৫ বছর। অত্যুৎসাহী হয়ে তাঁরা ওই কাজ করে থাকতে পারেন।’’

    আন্দোলনকারীদের পরিচয় (Tridhra Arrest Case)

    প্রসঙ্গত, সপ্তমীতে ত্রিধারা সম্মিলনীর মণ্ডপে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনকে সমর্থন করে স্লোগান দেওয়ায় গ্রেফতার হন, আসানসোলের কুলটির বাসিন্দা সুজয় মণ্ডল, কলকাতার দমদমের বাসিন্দা উত্তরণ সাহা রায়, ট্যাংরার বাসিন্দা কুশল কর, দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুরের বাসিন্দা জহর সরকার এবং সাগ্নিক মুখোপাধ্যায়, পূর্ব বর্ধমানের বাসিন্দা নাদিম হাজারি, হাসনাবাদের বাসিন্দা ঋতব্রত মল্লিক, উত্তর ২৪ পরগনার খড়দহের বাসিন্দা চন্দ্রচূড় চৌধুরী এবং রহড়ার বাসিন্দা দৃপ্তমান ঘোষ। জামিনের আবেদনে (Calcutta High Court) শুক্রবার দুপুরে শুরু হয় শুনানি।

      

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: বীরভূমের খয়রাশোল বিস্ফোরণকাণ্ডে এনআইএ তদন্ত চেয়ে মামলা দায়ের হাইকোর্টে

    Birbhum: বীরভূমের খয়রাশোল বিস্ফোরণকাণ্ডে এনআইএ তদন্ত চেয়ে মামলা দায়ের হাইকোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বীরভূমের (Birbhum) খয়রাশোলে বিস্ফোরণের ঘটনায় এবার কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়েছে। জানা গিয়েছে খয়রাশোলের ভাদুলিয়া কয়লাখনিতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। তাতে কমপক্ষে ৭ জন মারা গিয়েছে। এবার এই বিস্ফোরণকাণ্ডে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হস্তক্ষেপ চেয়ে মামলা দায়েরের জন্য আবেদন করা হয়েছিল উচ্চ আদালতে। মঙ্গলবার, প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম বোমাকাণ্ডে মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন। এলাকার মানুষের দাবি, পূর্ণাঙ্গ তদন্তের অনুমতি দিয়ে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হোক।

    লরিতে মজুত ছিল বিস্ফোরক (Birbhum)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, খয়রাশোলের (Birbhum) লোকপুর থানার ভাদুলিয়া গ্রামে একটি কয়লা খনিতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এই খনিতে একটি লরিতে প্রচুর বিস্ফোরক-বারুদ ছিল বলে জানা গিয়েছে। এরপর ওই লরিতেই বিস্ফোরণ ঘটেছিল। প্রথমে দু’জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেলেও পরে আরও ৫ জনের মৃত্যু ঘটেছে। একই ভাবে বেশ কিছু লোকজন আহত হয়েছিলেন। তাঁদের উদ্ধার করে নিকটবর্তী সিউড়ি, দুবরাজপুর সহ একাধিক এলাকার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। এলাকার মানুষের দাবি, খনিতে অবৈধ কাজ চলে। হয়তো কোনও বিশেষ উদ্দেশ্যের জন্য লরিতে বিস্ফোরক মজুত করা ছিল। পুলিশ এলাকায় সক্রিয় নেই বলেই দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য এতটা বৃদ্ধি পেয়েছে।

    আরও পড়ুন: সংজ্ঞাহীন অবস্থায় নির্যাতিতাকে ধর্ষণ! চার্জশিটে উল্লেখ করল সিবিআই

    পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ

    পুলিশ জানিয়েছে, সরকারি খাদানে বেআইনিভাবে কয়লা উত্তোলনের কাজ হচ্ছে কিনা এই বিষয়ে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এদিকে মৃতদের পরিবার থেকে পুলিশকে ঘেরাও করে ক্ষতিপূরণের দাবিতে বিক্ষোভ দেখানো হয়। মৃতদের পরিবারের দাবি, রাজ্য প্রশাসনকে পরিবার পিছু ৩০ লক্ষ টাকা, একটি করে বাড়ি এবং সরকারি চাকরি দিতে হবে। তবে বেশ কিছু সময় ধরে আন্দোলনের পর প্রশাসনের আশ্বাসে বিক্ষোভ তুলে নেন এলাকার মানুষ। এলাকার (Birbhum) বিজেপি বিধায়ক অনুপ কুমার সাহা বলেন, “কয়লাখনিগুলিতে তৃণমূলের নেতারা অবৈধভাবে দখল করে বেআইনি কাজ করছে। গোটা বাংলাকে এই ভাবে বারুদের স্তূপের উপর দাঁড় করিয়ে রেখেছে তৃণমূল। আগামী দিনে মানুষ যোগ্য জবাব দেবেন। আমাদের দাবি, এই বিস্ফোরণের পিছে যারা আছে তাদের খোঁজ করে সত্যটা প্রকাশ্যে নিয়ে আসুক এনআইএ।”  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: অভয়ার নাম প্রকাশ, বিনীত গোয়েলের শাস্তি নিয়ে কেন্দ্রের জবাব চাইল হাইকোর্ট

    Calcutta High Court: অভয়ার নাম প্রকাশ, বিনীত গোয়েলের শাস্তি নিয়ে কেন্দ্রের জবাব চাইল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের (Vineet Goel) বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার আর্জিতে জনস্বার্থ মামলা চলছে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। অভিযোগ, আরজিকর মেডিক্যালে নির্যাতিতা চিকিৎসকের নাম প্রকাশ্যে নিয়ে এসেছেন তিনি। সোমবার সেই মামলায় কেন্দ্রের কর্মিবর্গ ও প্রশিক্ষণ মন্ত্রককে যুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

    হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ

    বিনীত গোয়েলের বিরুদ্ধে মামলাটি রয়েছে হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি বিভাস পট্টনায়েকের ডিভিশন বেঞ্চে। যেহেতু আইপিএস বিনীত গোয়েল কেন্দ্রীয় ক্যাডারের আধিকারিক, সেই কারণে কেন্দ্রের কর্মিবর্গ ও প্রশিক্ষণ বিভাগকে মামলায় যুক্ত করার কথা বলা হয়েছে। এই বিভাগটি বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাতেই রয়েছে। হাইকোর্ট জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মিবর্গ মন্ত্রকে আদালতে হলফনামা দিয়ে বলতে হবে, এই ক্ষেত্রে একজন আইপিএস-এর বিরুদ্ধে কী আইনি পদক্ষেপ করার সুযোগ রয়েছে। অভিযোগ, গত ৯ অগাস্ট আরজি কর মেডিক্যালে নির্যাতিতা চিকিৎসকের নাম সংবাদমাধ্যমের সামনে উচ্চারণ করেন কলকাতার তৎকালীন পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল (Vineet Goel)। এর পর তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন আইনজীবী অমৃতা পাণ্ডে।

    আরও পড়ুন: নিয়োগ-দুর্নীতিতে কাকে, কীভাবে চাকরি দিয়েছেন অনুব্রতঘনিষ্ঠ মলয়? নথি পেল সিবিআই

    পুজোর ছুটি পর শুনানি

    এই মামলাটি নিয়ে যখন প্রথমে হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছিল, তখন হাইকোর্ট এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে চায়নি। আদালত (Calcutta High Court) জানিয়েছিল, আরজি কর মামলা সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। সেখানে এই মামলায় কী হয়, তা দেখা হবে। সেই কারণে তৎক্ষণাৎ ওই মামলায় হস্তক্ষেপ করেনি হাইকোর্ট। এর পরে জনস্বার্থ মামলাকারীর আইনজীবী মহেশ জেঠমলানি হাইকোর্টে জানিয়েছিলেন, শীর্ষ আদালত ওই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেনি। মামলাটির দ্রুত শুনানিরই আর্জি জানিয়েছিলেন তিনি। মামলায় দোষী প্রমাণিত হলে বিনীত গোয়েলের (Vineet Goel) ২ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে। পুজোর ছুটির পর হাইকোর্টের কার্যক্রম চালু হলে নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে এই মামলার পরবর্তী শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jayanagar Incident: জয়নগরকাণ্ডে ময়নাতদন্ত করবেন এইমসের বিশেষজ্ঞরা, নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

    Jayanagar Incident: জয়নগরকাণ্ডে ময়নাতদন্ত করবেন এইমসের বিশেষজ্ঞরা, নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জয়নগরে (Jayanagar Incident) নাবালিকাকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় পুলিশের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ এই মামলা পকসো আদালতে স্থানান্তর করার নির্দেশ দিয়েছেন। এর পাশাপাশি বিচারপতি প্রশ্ন তুলেছেন, সুরতহাল রিপোর্টে যৌন নির্যাতনের ইঙ্গিত স্পষ্ট এবং নির্যাতিতার বয়স ১০ বছরের কম। তারপরেও কেন পকসো আইনে মামলা রুজু করেনি পুলিশ? একই সঙ্গে কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালে নির্যাতিতার দেহের ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত। এইমসের বিশেষজ্ঞরা ময়নাতদন্ত করবেন বলে জানা গিয়েছে।

    রবিবারের শুনানি

    প্রসঙ্গত, জয়নগরের (Jayanagar Incident) নির্যাতিতার ময়নাতদন্ত নিয়ে ব্যাপক জটিলতা তৈরি হয়। নির্যাতিতার পরিবার রাজ্য পুলিশের ওপর একেবারেই ভরসা করেনি। এর পাশাপাশি রাজ্যের সরকারি হাসপাতালেও ময়নাতদন্ত তাঁরা করাতে চান না বলে জানিয়েছিলেন। সেই আবেদন নিয়েই রবিবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল ওই নির্যাতিতার পরিবার। এই মামলার জরুরি ভিত্তিতে শুনানির নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম। সেই মতো কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের বেঞ্চে রবিবার শুনানি হয়। রাজ্যের তরফ থেকে উচ্চ আদালতে সওয়াল করা হয়, কেন্দ্রীয় কোনও হাসপাতালে ময়নাতদন্ত করা নির্দেশ দেওয়ার ক্ষমতা তাদের নেই। গোটা শুনানি পর্বে একাধিক হাসপাতালের নাম উঠে আসে। কমান্ড হাসপাতালে তরফে মেজর বিজয় হাইকোর্টে জানান যে তাঁদের ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ নেই। বিচারপতি তখন বলেন, ‘‘হাসপাতাল যদি নারাজ হয় তাহলে আমি জোর করতে চাই না।’’ এরপরে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ নিজেই প্রস্তাব দেন (Jayanagar Incident) কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালে এইমসের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা ময়নাতদন্ত করবেন।

    পরের দিন পকসো আদালতে পেশ করা হবে অভিযুক্তকে (Jayanagar Incident)

    পরিবারের দাবি মেনে বারুইপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে এই ময়নাতদন্ত হবে বলে জানানো হয় হাইকোর্টের তরফে। রবিবার বিচারপতি রাজ্যকে বলেন, ‘‘সুরতহাল বা ইনকোয়েস্ট রিপোর্ট দেখেও কেন আপনারা পকসো যুক্ত করেননি?’’ পরের দিন, অভিযুক্তকে আর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে না পেশ করে পকসো আদালতে মামলা স্থানান্তর করার পরামর্শ দিয়েছেন বিচারপতি। প্রসঙ্গত, নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে জয়নগর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: টালিগঞ্জে ‘রাত দখল’ কর্মসূচিতে তৃণমূলের হামলা, জল গড়াল হাইকোর্টে

    Calcutta High Court: টালিগঞ্জে ‘রাত দখল’ কর্মসূচিতে তৃণমূলের হামলা, জল গড়াল হাইকোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর ইস্যুতে টলিগঞ্জে ‘রাত দখল’ কর্মসূচিতে হামলার ঘটনার জল গড়াল এবার হাইকোর্টেও (Calcutta High Court)। মূলত, ‘রাত দখল’ কর্মসূচিতে তৃণমূলের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ তুলে কলকাতা হাই কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হল। তৃণমূল কাউন্সিলরের মদতে ওই কর্মসূচিতে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। মহিলাদের মারধর করারও অভিযোগ রয়েছে। এই ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে বৃহস্পতিবার আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন আইনজীবী শামিম আহমেদ। মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ। শুক্রবার মামলাটির শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Calcutta High Court)

    আরজি কর (RG Kar) মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার প্রতিবাদে ১ অক্টোবর মঙ্গলবার রাতে কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তে রাত দখলের ডাক দিয়ে প্রতিবাদ মিছিল (Calcutta High Court) হয়। টালিগঞ্জের করুণাময়ী এলাকাতেও একটি মিছিল হয়। অভিযোগ সেখানে অতর্কিত হামলা করেন ১১৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর রত্না শূর এবং তাঁর লোকজন। আগাম অনুমতি নিয়ে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি চলাকালীন হামলার সময় পুলিশ ঘটনার সময় নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে বলে অভিযোগ আন্দোলনকারীদের। এক আন্দোলনকারী বলেন, “প্রণব রায়, গোড়া রায় নামে গুন্ডারা এসে ট্রাফিক কন্ট্রোল করা শুরু করে। সেখান থেকেই ঝামেলার সূত্রপাত। রত্না শূর নিজে দাঁড়িয়ে থেকে এই হামলা সংগঠিত করিয়েছেন। বাচ্চাদের মহিলা, বয়স্কদেরও মেরেছে।”আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাতে গেলে পুলিশ অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে। সেই কারণে পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে মামলার আবেদন করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: পুজোর আগে ফের নিম্নচাপ! ভিজবে দক্ষিণবঙ্গ, উত্তরেও বৃষ্টির সম্ভাবনা!

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?

    তৃণমূল কাউন্সিলর অবশ্য তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ (Calcutta High Court) অস্বীকার করেন। রত্না শূর বলেছিলেন, “কালো গেঞ্জি পরা একটা মেয়ে তাঁকে ‘চটি চাটা চটি চাটা’ বলে আঙুল তুলে ধমকাচ্ছিল।” তিনি এও বলেন, “আমার নেতৃত্বে হামলা হচ্ছে। আমার নেতৃত্বে হলে তো আমার ১০০ লোক জড়ো করার ক্ষমতা রয়েছে। এই সব তো আমি জানিই না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share