Tag: Canada

Canada

  • PM Modi: ইজরায়েল-ইরান উত্তেজনার আবহে কানাডায় পা রাখলেন মোদি, যোগ দেবেন জি৭ সম্মেলনে

    PM Modi: ইজরায়েল-ইরান উত্তেজনার আবহে কানাডায় পা রাখলেন মোদি, যোগ দেবেন জি৭ সম্মেলনে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জি৭ সম্মেলনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) কানাডায় পৌঁছালেন। মঙ্গলবার সকালে ক্যালগারিতে অবতরণ করে তাঁর বিশেষ বিমান। ইজরায়েল-ইরান যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে এই বৈঠক বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে। তিন দেশের সফরের অংশ হিসেবে রবিবার মোদি প্রথমে সাইপ্রাসে যান। সেখান থেকে এ দিন তিনি কানাডায় আসেন। এরপর তাঁর ক্রোয়েশিয়া সফর রয়েছে।

    আলবার্টার কানানাস্কিসে শুরু হচ্ছে জি৭ শীর্ষ সম্মেলন (G7 Summit)

    প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার আলবার্টার কানানাস্কিসে শুরু হচ্ছে জি৭ শীর্ষ সম্মেলন। এই সম্মেলন এমন এক সময়ে হচ্ছে, যখন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মধ্যে সংঘাত চলছে। বিশেষ করে ইজরায়েল-ইরান ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে বিশ্বজুড়ে মানুষের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিও অতিথি নেতা হিসেবে অংশ নিচ্ছেন এই সম্মেলনে।

    ‘অপারেশন সিঁদুর’ এর পরে প্রথম বিদেশ সফর

    এই সম্মেলন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ সম্প্রতি মে মাসে পাকিস্তানে প্রয়োগ করা হয় সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান ‘অপারেশন সিঁদুর’। এর পর এটি প্রধানমন্ত্রী মোদির প্রথম আন্তর্জাতিক বৈঠক। কানাডায় থাকাকালীন মোদি (PM Modi) কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি-সহ জি৭ (G7 Summit) দেশের ও অন্যান্য আমন্ত্রিত দেশের নেতাদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করবেন বলে মনে করা হচ্ছে।

    কোন কোন বিষয়ে আলোচনা

    মঙ্গলবার বিকেলে শুরু হতে চলা জি৭ সম্মেলনে তিনটি মূল বিষয়ে আলোচনা হবে—

    ১. মানবজাতির ও সমাজের নিরাপত্তা বজায় রাখা,
    ২. জ্বালানির নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ও প্রযুক্তিগত উন্নয়নের গতি আনা
    ৩. শক্তিশালী আন্তর্জাতিক সহযোগিতা গড়ে তোলা

    মঙ্গলবার সন্ধ্যাতেই ক্রোয়েশিয়ার রাজধানী জাগরেবের উদ্দেশে রওনা হবেন প্রধানমন্ত্রী মোদি

    প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi) ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির পাশাপাশি, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, মেক্সিকো, দক্ষিণ আফ্রিকা ও দক্ষিণ কোরিয়ার নেতারাও এই সম্মেলনে বিশেষ আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে অংশ নেবেন। সম্মেলন শেষে, মঙ্গলবার সন্ধ্যাতেই ক্রোয়েশিয়ার রাজধানী জাগরেবের উদ্দেশে রওনা হবেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। তাঁর আন্তর্জাতিক সফরের সেখানেই শেষ হবে। প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী মোদি বর্তমানে চার দিনের বিদেশ সফরে রয়েছেন।

  • PM Modi: ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর প্রথমবার বিদেশ সফরে মোদি, যাবেন কানাডা সমেত ৩ দেশ

    PM Modi: ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর প্রথমবার বিদেশ সফরে মোদি, যাবেন কানাডা সমেত ৩ দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর প্রথমবার বিদেশ সফরে যাচ্ছেন। আগামী ১৫ থেকে ১৯ জুন পর্যন্ত তিনি সাইপ্রাস, কানাডা এবং ক্রোয়েশিয়া সফর করবেন। সফরের মূল উদ্দেশ্য—কানাডায় জি-৭ সম্মেলনে অংশগ্রহণ এবং সাইপ্রাস ও ক্রোয়েশিয়ার সঙ্গে ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও মজবুত করা।

    প্রথমবার কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী সাইপ্রাস সফরে যাচ্ছেন

    বিদেশমন্ত্রকের প্রকাশিত সূচি অনুযায়ী, ১৫ জুন প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi) সাইপ্রাসের রাজধানী নিকোসিয়া পৌঁছাবেন। এই দেশের প্রেসিডেন্ট নিকোস ক্রিস্টোডুলিডিসের আমন্ত্রণে এই প্রথমবার কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী সাইপ্রাস সফরে যাচ্ছেন। প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী মোদি বেশ কয়েকটি কর্মসূচিতেও যোগদান করবেন। বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে (Operation Sindoor), ভারত-সাইপ্রাস সম্পর্কের উন্নয়ন ছাড়াও এই সফর ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে ভারতের পারস্পরিক অংশীদারিত্ব জোরদার করার দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ।

    সাইপ্রাস সফরের পর প্রধানমন্ত্রী মোদি পৌঁছাবেন কানাডা

    সাইপ্রাস সফরের পর প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi) পৌঁছাবেন কানাডা। ১৬ ও ১৭ জুন কানাডার কানানাস্কিস শহরে আয়োজিত জি-৭ সম্মেলনে তিনি অংশ নেবেন। খালিস্তান-সংক্রান্ত ইস্যুকে কেন্দ্র করে দুই দেশের মধ্যে সম্প্রতি উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছিল। সেই প্রেক্ষাপটে এই সফরকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির আমন্ত্রণেই তিনি সেদেশে যাচ্ছেন। দুই নেতার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে। মনে করা হচ্ছে, এই বৈঠক থেকেই ভারত-কানাডা কূটনৈতিক সম্পর্কের উন্নতি হতে পারে।

    প্রথম ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী যিনি ক্রোয়েশিয়া সফর করছেন

    ১৭ জুন কানাডা সফর শেষে প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi) রওনা হবেন ক্রোয়েশিয়ার উদ্দেশ্যে। তিনিই হতে চলেছেন প্রথম ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী যিনি ক্রোয়েশিয়া সফর করছেন। দেশটির প্রধানমন্ত্রী আন্দ্রেজ প্লেনকোভিচের আমন্ত্রণে এই সফর অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সফরের সময় মোদি ক্রোয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠক করবেন। এই আলোচনায় বাণিজ্য, বিনিয়োগ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, পর্যটন এবং সাংস্কৃতিক বিনিময় সংক্রান্ত সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়টি গুরুত্ব পাবে।

  • PM Modi: অপারেশন সিঁদুরের পর এই প্রথম বিদেশযাত্রা, তিন দেশে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী, কেন তাৎপর্যপূর্ণ?

    PM Modi: অপারেশন সিঁদুরের পর এই প্রথম বিদেশযাত্রা, তিন দেশে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী, কেন তাৎপর্যপূর্ণ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী সপ্তাহের শেষের দিকে কানাডা সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। সেখানে এবার আয়োজন করা হয়েছে জি৭ শীর্ষ সম্মেলনের (G7 Summit)। ভারত জি৭-এর সদস্য নয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আমন্ত্রণ পেয়েছেন অতিথি দেশের প্রতিনিধি হিসেবে। কানাডা যাওয়া-আসার পথে আরও দুই দেশে পা রাখবেন প্রধানমন্ত্রী। এই দেশগুলি হল সাইপ্রাস এবং ক্রোয়েশিয়া। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এই সফর নানা দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ। পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের জেরে পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালায় ভারত। তারপর এটাই হবে প্রধানমন্ত্রীর প্রথম বিদেশ সফর। খালিস্তানপন্থী ইস্যুতে ভারত-কানাডা সম্পর্ক ঠেকেছে তলানিতে। তারপর এই প্রথম কানাডায় যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ১৬-১৭ জুন কানাডার কানানাস্কিস সফর করবেন। এখানেই হবে জি৭ শীর্ষ সম্মেলন। এতেই যোগ দেবেন তিনি। এই সম্মলেন তিনি বৈশ্বিক বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ভারতের অবস্থান তুলে ধরবেন। এর মধ্যে রয়েছে জ্বালানি নিরাপত্তা, প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবন।

    বিদেশ সফর শুরু (PM Modi)

    প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) এবারের বিদেশ সফর শুরু হবে ১৫ জুন, রবিবার। ১৫-১৬ জুন তিনি সফর করবেন সাইপ্রাস। ১৬-১৭ জুন তিনি যোগ দেবেন কানাডায় জি৭ সম্মেলনে। ১৮ জুন আনুষ্ঠানিক সফর করবেন ক্রোয়েশিয়া। তারপরেই দেশে ফিরবেন প্রধানমন্ত্রী। ভারত ও কানাডাকে উদ্দীপ্ত গণতন্ত্র হিসেবে বর্ণনা করে বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, নয়াদিল্লির বিশ্বাস, জি৭ শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর পার্শ্ববৈঠক মত বিনিময় এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক পুনর্গঠনের পথ অনুসন্ধানের একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ এনে দেবে।

    বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্রের বক্তব্য

    শনিবার বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, “গত সপ্তাহে আমাদের প্রধানমন্ত্রী কানাডার প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে একটি ফোনকল পেয়েছিলেন। সেই আলাপচারিতায় কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি প্রধানমন্ত্রীকে জি৭ সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানান (G7 Summit)। আপনারা জানেন, সেই আমন্ত্রণ গ্রহণ করা হয়েছে (PM Modi)।”

  • G7 Summit: জি৭ সামিটে ভারতকে কেন আমন্ত্রণ? কারণ ব্যাখ্যা করলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী কার্নি

    G7 Summit: জি৭ সামিটে ভারতকে কেন আমন্ত্রণ? কারণ ব্যাখ্যা করলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী কার্নি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জি৭ সামিটে (G7 Summit) আমন্ত্রণ পেলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই সম্মেলনে গুরুত্বপূর্ণ অতিথি দেশ হিসেবে অংশ নেবে ভারত। ১৫ থেকে ১৭ জুন কানাডার আলবার্টার কানানাসকিসে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ওই সম্মেলন। যদিও ভারত জি৭-এর সদস্য নয়, তবুও বৈশ্বিক ক্ষেত্রে ভারতের ক্রমবর্ধমান (Canada PM) প্রভাবের কারণে এবারের জি৭ সভাপতির দায়িত্বে থাকা কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে এই সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।

    কার্নির বক্তব্য (G7 Summit)

    ভারতকে আমন্ত্রণ জানানোর কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে কার্নি বলেন, ‘‘কিছু দেশ আছে যাদের এই আলোচনার টেবিলে থাকা উচিত। ভারত বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতি, সর্বাধিক জনবহুল দেশ এবং একাধিক বৈশ্বিক সরবরাহ শৃঙ্খলের কেন্দ্রবিন্দু।’’ তাঁর এই মন্তব্য ভারতকে বৈশ্বিক বাণিজ্য, জ্বালানি রূপান্তর এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মতো উদীয়মান প্রযুক্তির ক্ষেত্রে একটি কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ দেশ হিসেবে তুলে ধরে। জানা গিয়েছে, শীর্ষ সম্মেলনের অ্যাজেন্ডায় গুরুত্ব দেওয়া হবে গুরুত্বপূর্ণ খনিজ সম্পদ সুরক্ষিত করা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা পরিচালনার অগ্রগতি সাধন এবং বিশ্বসেরা অর্থনীতি ও গুরুত্বপূর্ণ অংশীদারদের মধ্যে জ্বালানি সহযোগিতা বৃদ্ধির ওপর। প্রধানমন্ত্রী সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, উদ্দীপনাপূর্ণ গণতন্ত্র হিসেবে, যাদের মধ্যে গভীর জনসম্পর্ক রয়েছে, ভারত ও কানাডা পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও অভিন্ন স্বার্থের ভিত্তিতে নতুন উদ্যমে এক সঙ্গে কাজ করবে।

    শিখ অধিকার সংগঠন

    ভারতকে আমন্ত্রণ জানানোয় কার্নির ওপর বেজায় খাপ্পা কানাডার শিখ অধিকার বিভিন্ন সংগঠন। তারা কার্নির এই পদক্ষেপের ব্যাপক সমালোচনা করেছে। তারা ২০২৩ সালে হরদীপ সিং নিজ্জর নামে এক খালিস্তানপন্থীর হত্যার তদন্তের উল্লেখ করেছে। কার্নি বলেন, “এই বিষয়ে একটি আইনগত প্রক্রিয়া কানাডায় চলছে এবং অনেকটাই এগিয়ে গেছে… এই ধরনের আইনগত প্রক্রিয়া চলাকালে মন্তব্য করা কখনোই উপযুক্ত নয়।” জানা গিয়েছে, চারজন ভারতীয় নাগরিককে নিজ্জর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। উত্তেজনা সত্ত্বেও দ্বিপাক্ষিক আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কথাবার্তা ফের শুরু হয়েছে। প্রসঙ্গত (Canada PM), ভারত এখনও কানাডার দশম বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার।

    ভারতের গুরুত্ব

    কার্নি বলেন, ‘‘এই ধরনের (G7 Summit) আলোচনার জন্য কিছু নির্দিষ্ট দেশকে অবশ্যই আলোচনার টেবিলে থাকতে হবে, জি৭-এর চেয়ার হিসেবে আমি এই পরামর্শ দিচ্ছি। তিনি বলেন, ভারত বর্তমানে বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতি কার্যত বিশ্বের সর্বাধিক জনসংখ্যার দেশ এবং অনেক গুরুত্বপূর্ণ সরবরাহ শৃঙ্খলের কেন্দ্রবিন্দুতে অবস্থান করছে। তাই এর অংশগ্রহণ পুরোপুরি যুক্তিসঙ্গত। এর পাশাপাশি, দ্বিপাক্ষিকভাবে আমরা এখন নিয়মিত আইন প্রয়োগ সংক্রান্ত সংলাপ চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে একমত হয়েছি, যা একটি অগ্রগতি।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘এই প্রেক্ষাপটে আমি প্রধানমন্ত্রী মোদিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম এবং তিনি তা গ্রহণও করেছেন।’’

    মোদির প্রতিক্রিয়া

    কার্নির ফোন পেয়ে যারপরনাই আপ্লুত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি বলেন, ‘‘কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক জে কার্নির ফোনকল পেয়ে আনন্দিত। সাম্প্রতিক নির্বাচনে বিজয়ের জন্য তাঁকে অভিনন্দন জানালাম এবং এই মাসের শেষের দিকে কানানাসকিসে অনুষ্ঠিতব্য জি৭ সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য তাঁকে ধন্যবাদ জানালাম (G7 Summit)। প্রাণবন্ত গণতন্ত্র হিসেবে, যাদের মধ্যে গভীর জনসংযোগ রয়েছে, ভারত ও কানাডা পারস্পরিক সম্মান এবং অভিন্ন স্বার্থকে পথনির্দেশ করে নয়া উদ্যমে এক সঙ্গে কাজ করবে। সম্মেলনে আমাদের সাক্ষাতের (Canada PM) অপেক্ষায় রইলাম।’’ এবার জি৭-এর আয়োজক দেশ কানাডা। তাই কানাডাই আমন্ত্রণ জানিয়েছে ভারতকে। আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া, ইউক্রেন এবং মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট।

    জি৭ সম্মেলন

    আগামী ১৫ থেকে ১৭ জুন কানাডায় হবে ৫১তম জি৭ সম্মেলন। রীতি অনুযায়ী, আয়োজক দেশ জি৭-এর বাইরে থাকা কিছু দেশকেও বৈঠকে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানায়। কিন্তু এতদিন ভারতের কাছে কানাডার তরফে এমন কোনও আমন্ত্রণ না আসায় জল্পনা তৈরি হয়েছিল। বিদেশমন্ত্রকের বক্তব্যের জন্য অপেক্ষা না করেই কংগ্রেস দাবি করেছে জি৭ সম্মেলনে মোদিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। এটি ভারতের আরও একটি কূটনৈতিক ব্যর্থতা বলে দাবি করে সোনিয়া গান্ধীর দল। তার পরে পরেই আসে কার্নির আমন্ত্রণ। মুখ পোড়ে কংগ্রেসের (G7 Summit)।

    প্রসঙ্গত, জি৭ হল বিশ্বের উন্নত অর্থনীতির দেশগুলির একটি গোষ্ঠী। এর সদস্য দেশগুলি হল ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, ব্রিটেন, জাপান, আমেরিকা এবং কানাডা। এই বৈঠকে ভারতের (Canada PM) প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি আমন্ত্রিত ইউরোপীয় ইউনিয়ন, আইএমএফ, বিশ্বব্যাঙ্ক এবং রাষ্ট্রসংঘও (G7 Summit)।

  • PM Modi: জি৭ সামিটে কানাডায় আমন্ত্রণ পেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

    PM Modi: জি৭ সামিটে কানাডায় আমন্ত্রণ পেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষমেশ জি৭ (G7 Summit ) সামিটে আমন্ত্রণ পেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। কানাডায় হবে এই সম্মেলন। এই সম্মেলনেই যোগ দিতে মোদিকে আমন্ত্রণ জানালেন কানাডার নয়া প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি। এই বৈঠকে ভারতের যোগ দেওয়া নিয়ে জল্পনা ছড়িয়েছিল। শেষমেশ কানাডা থেকে এল আমন্ত্রণ। এবং সে খবর জানালেন প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং। শুধু তাই নয়, খালিস্তানি কাঁটায় দুই দেশের কূটনৈতিক টানাপোড়েন সত্ত্বেও কানাডার প্রধানমন্ত্রীকে আশ্বস্ত করে তিনি জানান, এই বৈঠকে যোগ দিতে চলেছেন তিনি।

    কী লিখলেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)

    শুক্রবার এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, “কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক জে কার্নির ফোন পেয়ে খুশি হলাম। কানাডার সাম্প্রতিক নির্বাচনে জয়ের জন্য তাঁকে অভিনন্দন। চলতি মাসের শেষে কানানাস্কিসে আয়োজিত হচ্ছে জি৭ বৈঠক সেখানে আমায় আমন্ত্রণ জানানোর জন্য ধন্যবাদ। মানুষের সঙ্গে মানুষের সম্পর্কের ভিত্তিতে আবদ্ধ দুই গণতান্ত্রিক দেশ ভারত ও কানাডা। এক অপরের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে নতুন উদ্যমে হাতে হাত রেখে কাজ করতে প্রস্তুত দুই দেশ। এই সম্মেলনে আমাদের সাক্ষাতের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি।

    জি৭ কী

    জি৭ হল বিশ্বের উন্নত অর্থনীতির দেশগুলির একটি গোষ্ঠী। এর সদস্য দেশগুলি হল ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, ব্রিটেন, জাপান, আমেরিকা এবং কানাডা। গত বেশ কয়েক বছর ধরে এই সম্মেলনে আমন্ত্রণ পেয়ে আসছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সম্মেলনের সময় এগিয়ে এলেও, ভারত ডাক না পাওয়ায় জল্পনা ছড়িয়েছিল। তাই ভারত ওই সম্মেলনে যোগ দেবে কিনা, তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় তৈরি হয়েছিল। শেষমেশ এল আমন্ত্রণ (PM Modi)। এই বৈঠকে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি এই বৈঠকে আমন্ত্রিত ইউরোপীয় ইউনিয়ন, আইএমএফ, বিশ্বব্যাংক ও রাষ্ট্রসংঘ।

    কানাডার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর জমানায় গত কয়েক বছর ধরে ভারত ও কানাডার কূটনৈতিক সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছিল খালিস্তান ইস্যুতে। কানাডার মাটিতে খালিস্তানি নিজ্জর খুনে ভারতের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তোলেন (PM Modi) ট্রুডো। যদিও ভারত তা অস্বীকার করে। তার জেরে ভারত- কানাডা সম্পর্ক তলানিতে ঠেকে। ঘরে-বাইরে সমালোচনার জেরে ইস্তফা দিতে বাধ্য হন ট্রুডো। প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে এসে মার্ক কার্নি যে ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চান, মোদিকে আমন্ত্রণ জানানোই তার প্রমাণ (G7 Summit )।

  • PM Modi: ছ’বছরে এই প্রথম! কানাডায় জি৭ সম্মেলনে যোগ দেবে না ভারত, নেপথ্যে কোন কারণ?

    PM Modi: ছ’বছরে এই প্রথম! কানাডায় জি৭ সম্মেলনে যোগ দেবে না ভারত, নেপথ্যে কোন কারণ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছ’বছরে এই প্রথম! এবার জি৭ সম্মেলনে উপস্থিত নাও হতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এবার ওই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে কানাডায়। সেখানেই উপস্থিত নাও হতে পারেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। কানাডায় আয়োজিত এই জি৭ শীর্ষ সম্মেলন হবে ১৫ থেকে ১৭ জুন। এতে অংশ নেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, জার্মানি, ফ্রান্স, ইতালি, জাপান এবং কানাডা-সহ প্রথম শ্রেণির শিল্পোন্নত দেশগুলি। ইউরোপীয় ইউনিয়ন, আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভান্ডার, বিশ্বব্যাঙ্ক এবং রাষ্ট্রসংঘও অংশ নেবে। দক্ষিণ আফ্রিকা, ইউক্রেন এবং অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশগুলিও অংশ নেবে বলে জানিয়েছে। তবে ভারতের অংশগ্রহণ এখনও অনিশ্চিত। সরকারি সূত্রের খবর, ভারত এখনও পর্যন্ত জি৭ শীর্ষ সম্মেলনের জন্য কোনও আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণপত্র পায়নি। যদি আমন্ত্রণ জানানোও হয়, ভারতের তরফে সেখানে যোগ দেওয়ার কোনও আগ্রহই নেই।

    ভারত-কানাডা সম্পর্ক (PM Modi)

    সূত্রের খবর, ভারতের এই সিদ্ধান্ত নয়াদিল্লির সঙ্গে কানাডার সম্পর্কের বর্তমান শীতল পরিস্থিতিরই প্রতিচ্ছবি। এই ধরনের উচ্চ পর্যায়ের সফর হওয়ার আগে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতি হওয়া প্রয়োজন। সূত্রের খবর, ভবিষ্যতে যদি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কানাডা সফর করেনও, তবে তাঁর নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে। ভারতের বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, কানাডায় আয়োজিত জি৭ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর সফর নিয়ে তাদের কাছে কোনও তথ্য নেই।

    কী বলছেন কানাডার বিদেশমন্ত্রী

    এদিকে, কানাডার নয়া প্রশাসন ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক মেরামত করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। সে (PM Modi) দেশের বিদেশমন্ত্রী অঙ্কিতা আনন্দ এক সাক্ষাৎকারে জানান, সদ্য নির্বাচিত মার্ক কার্নি সরকার ভারতের সঙ্গে আরও দৃঢ় অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে আগ্রহী। তিনি স্বীকার করেন, খালিস্তানপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদী হরদীপ সিং নিজ্জরের হত্যাকাণ্ডের পরিণতিতে দুই দেশের সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রসঙ্গত, কানাডার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো নিজ্জর হত্যায় সরাসরি অভিযোগের আঙুল তুলেছিলেন ভারতের দিকে। যদিও ওই ঘটনার সঙ্গে ভারতের কোনও যোগ নেই বলেই দাবি করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ট্রুডোর পরে কানাডার কুর্সিতে বসেন কার্নি। তার পরেও যে ভারত-কানাডার সম্পর্কের উন্নতি হয়নি, প্রধানমন্ত্রীর জি৭ সম্মেলনে যোগ না দিতে যাওয়ার ‘সিদ্ধান্ত’ই তার প্রমাণ (PM Modi)।

  • Khalistani: আরএসএস-কে নিষিদ্ধ করার দাবি করেছিলেন, খালিস্তানপন্থী নেতার শোচনীয় পরাজয় কানাডায়

    Khalistani: আরএসএস-কে নিষিদ্ধ করার দাবি করেছিলেন, খালিস্তানপন্থী নেতার শোচনীয় পরাজয় কানাডায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কানাডায় খালিস্তানপন্থী (Khalistani) ভারত বিরোধী নেতা জগমিত সিং শোচনীয়ভাবে পরাস্ত হলেন সেদেশের সাধারণ নির্বাচনে। তিনি ছিলেন নিউ ডেমোক্র্যাটিক পার্টির নেতা। মঙ্গলবারই তাঁর দল জাতীয় পার্টির তকমা খুইয়েছে এই পরাজয়ে। সম্প্রতি সামনে এসেছে কানাডার ৪৫তম জাতীয় নির্বাচনের ফলাফল এবং এখানেই দেখা যাচ্ছে এই ভারত বিরোধী নেতা শুধুমাত্র নিজের সংসদ ক্ষেত্রে হেরেছেন এমনটাই নয়, তিনি দ্বিতীয় স্থানেও উঠতে আসতে পারেননি। তৃতীয় স্থানে রয়েছেন। শুধু তাই নয়, তাঁর নিজের দায়িত্বে থাকা ১২টি আসনেও শোচনীয়ভাবে পরাস্ত হয়েছে নিউ ডেমোক্র্যাটিক পার্টি। প্রসঙ্গত, জগমিত সিংয়ের সংসদ ক্ষেত্র হল ব্রিটিশ কলাম্বিয়া। সেখানেই তিনি তৃতীয় স্থান পেয়েছেন (Canada)।

    ২০১৩ ও ২০১৮ সালের ভিসা দেয়নি ভারত সরকার

    জগমিত সিংয়ের নেতৃত্বে এমন শোচনীয় পরাজয়ের পরেই জল্পনা শুরু হয় যে তাঁকে সরানো হবে। শেষমেষ সেটাই হল। কানাডার (Khalistani) সাম্প্রতিক ইতিহাসে এমন রাজনৈতিক ঘটনা বিরল বলেই মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল। কানাডার খালিস্থানপন্থীদের হয়ে সর্বদাই সওয়াল করেন এই ভারত বিরোধী নেতা। একই সঙ্গে কানাডাতে খালিস্থানি উগ্রপন্থীদের নানা রকম সহায়তা করারও অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করা দরকার, ২০১৩ সালে জগমিত সিংকে ভারতের ভিসা দিতে অস্বীকার করে দিল্লি। ২০১৮ সালেও তাঁকে ভারত বিরোধী কার্যকলাপ এবং খালিস্তানপন্থীদের সমর্থন করার জন্য ফের একবার ভিসা দিতে অস্বীকার করে দিল্লি।

    আরএসএস-কে নিষিদ্ধ করার দাবি তোলেন এই নেতা

    এরপর ২০২৩ সালে জুন মাসে খালিস্তানপন্থী নেতা নিজ্জর খুন হন কানাডাতে (Khalistani)। তখনই কানাডা সরকারের সুরে সুর মিলিয়ে জগমিত সিং বলেন যে ভারতীয় এজেন্টরাই খুন করেছে। শুধু তাই নয় সে সময় রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘকে নিষিদ্ধ করার দাবিও তোলেন এই খালিস্তানপন্থী নেতা। এই ঘটনার মাত্র দু বছরের মাথাতেই তাঁর দলের শোচনীয় পরাস্ত হল তাঁর দল। ২০২৪ সালের ৫ জুলাই এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসে। সেখানেই দেখা যায় যে ২০২৩ সালে খুন হওয়া নিজ্জর (Khalistani) নিউ ডেমোক্র্যাটিক পার্টি তৈরি করতে ব্যাপক আর্থিক ফান্ডিং করেছিল জগমিতকে।

  • India Canada Relation: কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নিকে শুভেচ্ছা মোদির, সহজ হবে দুদেশের সম্পর্ক?

    India Canada Relation: কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নিকে শুভেচ্ছা মোদির, সহজ হবে দুদেশের সম্পর্ক?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কানাডায় মিটেছে নির্বাচন। ফের ঝড় তুলেছে লিবারল পার্টি। মঙ্গলবার ছিল ফলাফল ঘোষণা। আপাতত কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী পদে পাকাপাকিভাবে থাকছেন মার্ক কার্নি। জাস্টিন ট্রুডো পদত্যাগের মাস কয়েক পরেই নির্বাচিত হয়েছিল তাঁর নাম। বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন, ট্রুডো ‘জেদী’ হলেও, মার্ক কার্নি কিন্তু তেমন নয়। বছর কয়েক আগেই নিজ্জর-কাণ্ডের জেরে ট্রুডোর সময়কালে ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক নষ্ট হয়েছে কানাডার (India Canada Relation)। এবার সেই দেশে প্রধানমন্ত্রী পরিবর্তন, সেই বিষিয়ে যাওয়া সম্পর্ক নতুন করে স্বাভাবিক হতে পারে বলেও অনুমান একাংশের। নির্বাচনের আগে রাম নবমীর উৎসবে হিন্দু সম্প্রদায়ের সঙ্গে যোগদানের মধ্য দিয়ে কার্নি একপ্রকার বার্তাই দিয়েছেন—ভারতের সঙ্গে তিক্ততা ভুলে সম্পর্ক পুনর্গঠনের পথে তিনি অগ্রসর হতে চান।

    কার্নিকে শুভেচ্ছা মোদির

    কানাডার প্রধানমন্ত্রী পদে নির্বাচিত হওয়া এবং লিবারেল পার্টির জয়ের জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় মার্ক কার্নিকে (Mark Carney) অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। সোশ্যাল মিডিয়ায় কার্নিকে উদ্দেশ্য করে এক বার্তায় তিনি লিখেছেন, ‘ভারত এবং কানাডা অভিন্ন গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, আইনের শাসনের প্রতি দৃঢ় অঙ্গীকার এবং প্রাণবন্ত মানুষে-মানুষে সম্পর্কে আবদ্ধ। আমাদের অংশীদারিত্বকে শক্তিশালী করতে এবং আমাদের জনগণের জন্য আরও বেশি সুযোগ তৈরি করতে আপনার সঙ্গে কাজ করার জন্য আমি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি।’

    ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক মেরামতের চেষ্টা

    কানাডার প্রধানমন্ত্রী থাকছেন মার্ক কার্নিই। সোমবার ফেডেরাল সরকারের নির্বাচনে জয়ী কার্নির লিবারেল পার্টি। পরাজয় স্বীকার করতে হয়েছে প্রতিপক্ষ পিয়ের পলিয়েভেরের নেতৃত্বাধীন কনজারভেটিভ পার্টিকে। দশক ধরে ক্ষমতায় থাকা লিবারেল পার্টিই আবারও কানাডার শাসনভার হাতে তুলে নেবে। কানাডার পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন মার্ক কার্নি। জাস্টিন ট্রুডোর স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন তিনি। নির্বাচনের আগে ভারতের সঙ্গে নতুন করে সম্পর্ক গড়ার বার্তা দিয়েছিলেন লিবারেল পার্টির নতুন দলনেতা। কার্নি বলেছিলেন, ‘সমমনস্ক দেশগুলির সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও বৈচিত্রময় করতে আগ্রহী কানাডা। ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক মেরামতের একাধিক সুযোগ রয়েছে। তার জন্য আমাদের একে অপরের মূল্যবোধকে সম্মান জানাতে হবে। প্রধানমন্ত্রী পদে বসার পর আমি অবশ্যই নতুন করে সম্পর্ক তৈরির সুযোগ খুঁজব।’

    ট্রুডোর আমলে ভারত-কানাডা কূটনৈতিক সম্পর্ক

    ট্রুডোর আমলে ভারত-কানাডা কূটনৈতিক সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছিল। খালিস্তানি নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরের খুনের ঘটনায় নয়াদিল্লিকে দায়ী করেছিলেন কানাডার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। শুরু থেকেই যাবতীয় অভিযোগ নাকচ করে এসেছে ভারত। বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, কোনও তথ্যপ্রমাণ পেশ করতে পারেনি ট্রুডো প্রশাসন। বিতর্কের জেরে কূটনীতিকদের ফেরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ভারত ও কানাডা। ভারত অস্থায়ীভাবে কানাডিয়ান নাগরিকদের জন্য ভিসা বন্ধ করে দেয়। আন্তর্জাতিক মহলের মতে, এই আবহে প্রাক্তন অর্থনীতিবিদ ও ব্যাঙ্ক অফ কানাডা এবং ব্যাঙ্ক অফ ইংল্যান্ডের গভর্নর কার্নির বার্তা ছিল অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।

    নির্বাচনে এনডিপির ভরাডুবি

    কার্নি সরাসরি হরদীপ সিং নিজ্জর হত্যা ইস্যুতে মুখ না খুললেও একাধিক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, “ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক বহুস্তরীয়—ব্যক্তিগত, অর্থনৈতিক ও কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই সম্পর্কে যে টানাপোড়েন তৈরি হয়েছে, তা পারস্পরিক সম্মান বজায় রেখে সমাধান করা সম্ভব।” ট্রুডোর নীতিতে প্রবাসী কট্টর শিখ গোষ্ঠীর প্রভাব এবং এনডিপি নেতা জগমিত সিংয়ের সমর্থন লাভের জন্য আপসের রাজনীতি ভারতের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করেছিল কানাডার। তবে এইবার নির্বাচনে এনডিপির ভরাডুবি এবং জগমিত সিংয়ের পদত্যাগ সেই বাধাগুলিকে অনেকটাই সরিয়ে দিয়েছে।

    ভারত-কানাডা বাণিজ্য ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা

    বর্তমানে কানাডায় প্রায় ১৮ লক্ষ ভারতীয় বংশোদ্ভূত মানুষ এবং ৪ লক্ষ ২৭ হাজার ভারতীয় শিক্ষার্থী রয়েছেন। ২০২৩ সালে দু’দেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ১৩.৪৯ বিলিয়ন কানাডিয়ান ডলারে পৌঁছায়, যদিও সিইপিএ (Comprehensive Economic Partnership Agreement) আলোচনাগুলি তিক্ত সম্পর্কের কারণে স্থগিত ছিল। কার্নির সময়ে সেই আলোচনাগুলির নতুনভাবে শুরু হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। তিনি আগেই বলেছিলেন, “আমরা নতুন মিত্র খুঁজছি এবং ভারত সেই তালিকায় শীর্ষে।”

    ভারতের প্রতিক্রিয়া

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, ভারত ইতিমধ্যে কানাডায় ভারতীয় হাই কমিশনার পুনর্বহালের বিষয়টি বিবেচনা করছে। কার্নির জাতীয়তাবাদী অবস্থান এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক হুমকির মোকাবিলায় কানাডার অর্থনীতি ও বিদেশনীতিতে ভারসাম্য আনার উদ্যোগ—এই সবই ভারত-কানাডা সম্পর্ককে নতুন রূপ দিতে পারে। জাস্টিন ট্রুডোর অধীনে যে সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছিল, তা মার্ক কার্নির সময়ে আবার উপরে উঠতে পারে বলেই আশা করছে দুই দেশ।

  • Khalistani Attack on Canada: কানাডায় ফের মাথাচাড়া দিচ্ছে ভারত-বিরোধিতা! গুরুদ্বার, মন্দিরে হামলা খালিস্তানিদের

    Khalistani Attack on Canada: কানাডায় ফের মাথাচাড়া দিচ্ছে ভারত-বিরোধিতা! গুরুদ্বার, মন্দিরে হামলা খালিস্তানিদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে জাস্টিন ট্রুডো সরে গেলেও খালিস্তানিরা (Khalistani Attack on Canada) সক্রিয় কানাডায়। এখনও খালিস্তান সমর্থকরা কানাডার বিভিন্ন স্থানে ভারত-বিরোধী কার্যকলাপ চালাচ্ছে এবং মন্দির ও গুরুদ্বারকে লক্ষ্য করে ভাঙচুর ও বিক্ষোভ করছে। সম্প্রতি ভ্যাঙ্কুভারের একটি ঐতিহাসিক গুরুদ্বারে খালিস্তানি কট্টরপন্থীরা তাদের স্লোগান লিখে দিয়ে যায়। সারের লক্ষ্মী নারায়ণ মন্দিরেও হামলা হয়। এই ঘটনার পরই ফের কানাডার হিন্দু ও শিখদের একজোট হওয়ার আহ্বান জানান অটোয়া-নেপিয়ান থেকে নির্বাচিত ভারতীয় বংশোদ্ভূত কানাডিয়ান সাংসদ চন্দ্র আর্য।

    গুরুদ্বারে ভারত-বিরোধী স্লোগান খালিস্তানিদের

    রিপোর্ট অনুযায়ী, খালসা দিওয়ান সোসাইটির গুরুদ্বারে শনিবার ভারত-বিরোধী স্লোগান লিখে হামলা চালানো হয়। এটি রস স্ট্রিট গুরুদ্বার নামেও পরিচিত। গুরুদ্বারের এক মুখপাত্র একটি বিবৃতি জারি করে বলেছেন, ‘একদল বিচ্ছিন্নতাবাদী শিখরা আমাদের পবিত্র গুরুদ্বারের দেওয়াল বিকৃত করেছে এবং দেওয়ালে খলিস্তানি স্লোগান লিখেছে। খালসা সাজনা দিবস উপলক্ষে আমরা ঐক্যের বার্তা দিতে চাই। সেখানে একটি গোষ্ঠীর এই কাজ নিন্দনীয়। চরমপন্থী শক্তি শিখদের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করতে চায় এবং এটা ভয় সৃষ্টির চেষ্টা। কট্টরপন্থীরা আমাদের গুরুজনদের আত্মত্যাগ বুঝতে পারছে না। আমাদের প্রবীণরা বৈচিত্র্য ও স্বাধীনতার জন্য নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছেন। আমাদের বিভক্ত করার প্রচেষ্টা আমরা সফল হতে দেব না।’উল্লেখ্য, এই গুরুদ্বারটি ১৯০৬ সালে নির্মিত হয়েছিল। রবিবার গুরুদ্বারে নগরকীর্তন ও বৈশাখী কুচকাওয়াজের আয়োজন করা হয়। খালিস্তান সমর্থকদের এই কর্মসূচিতে যোগ দিতে নিষেধ করা হয়েছিল।

    লক্ষ্মী নারায়ণ মন্দিরেও হামলা

    গুরুদ্বার ছাড়াও সারে ও ব্রিটিশ কলম্বিয়ার মন্দিরেও হামলা চালিয়েছে খালিস্তানিরা (Khalistani Attack on Canada)। সেখানেও দেওয়ালে খালিস্তানি স্লোগান লেখা হয়েছে। মন্দিরের মুখপাত্র পুরুষোত্তম গোয়েল বলেছেন যে লক্ষ্মীনারায়ণ মন্দিরটি কানাডায় হিন্দু ও শিখদের মধ্যে ঐক্য বজায় রাখতে সক্রিয়ভাবে কাজ করে। সেই কারণেই সেই মন্দিরকেও টার্গেট করা হয়েছে। এটা কোনও কাকতালীয় ঘটনা নয়, বরং পরিকল্পিতভাবে এসব স্লোগান লেখা হয়েছে। এর আগেও ২০২৩ ও ২০২৪ সালে কানাডার বেশ কয়েকটি মন্দিরে হামলা হয়েছিল। পুলিশ এখনও পর্যন্ত ওই ঘটনায় অভিযুক্ত দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করতে পারেনি। সেই সময় লক্ষ্মী নারায়ণ মন্দিরেও গোলমাল ছড়িয়েছিল খলিস্তানিরা।

    হিন্দু ও শিখ সম্প্রদায়ের মধ্যে উদ্বেগ

    কানাডায় খালিস্তান (Khalistani Attack on Canada) সমর্থকদের দ্বারা গুরুদ্বার এবং হিন্দু মন্দিরগুলি লক্ষ্য করে ভারত-বিরোধী কার্যকলাপ বাড়ছে। সাম্প্রতিক ঘটনাগুলিতে দেখা গিয়েছে, তারা গুরুদ্বার এবং লক্ষ্মী নারায়ণ মন্দিরের বাইরে ভারত-বিরোধী পোস্টার লাগিয়েছে, স্লোগান দিয়েছে এবং মন্দিরেও ভাঙচুর চালিয়েছে। ভ্যাঙ্কুভার পুলিশ বিভাগের মুখপাত্র সার্জেন্ট স্টিভ অ্যাডিসন জানিয়েছেন, তারা তদন্ত শুরু করেছে, তবে এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে হিন্দু ও শিখ সম্প্রদায়ের মধ্যে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে।

    খালিস্তানি চরমপন্থার ভয়ানক নিদর্শন

    অটোয়া-নেপিয়ান থেকে নির্বাচিত ভারতীয় বংশোদ্ভূত কানাডিয়ান সাংসদ চন্দ্র আর্য সম্প্রতি ব্রিটিশ কলম্বিয়ায় লক্ষ্মী নারায়ণ মন্দিরে খালিস্তানি চরমপন্থীদের গ্রাফিতি হামলার পর হিন্দু ও শিখ সম্প্রদায়কে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি সরকারের কাছে এই ধরনের চরমপন্থার বিরুদ্ধে দ্রুত ও কঠোর পদক্ষেপ করার দাবিও জানান। চন্দ্র আর্য এক্স-এ বলেন, “কিছু লোক আমাদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির ষড়যন্ত্র করছে।” চন্দ্র কানাডিয়ান হিন্দু চেম্বার অফ কমার্সের একটি ভিডিও শেয়ার করে বলেন, “হিন্দু মন্দিরে বারবার হামলার ঘটনা আজও অব্যাহত। এই সাম্প্রতিক গ্রাফিতি হলো খালিস্তানি চরমপন্থার ক্রমবর্ধমান প্রভাবের একটি ভয়ানক নিদর্শন। এই খালিস্তানি গোষ্ঠীগুলো সংগঠিত, অর্থবলে বলীয়ান এবং রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী। তারা কানাডায় হিন্দুদের কণ্ঠস্বর দমিয়ে রাখার চেষ্টা করছে।”

    নীরবতা আর কোনো বিকল্প নয়

    এছাড়াও, তিনি ভ্যাঙ্কুভারের খালসা দেওয়ান সোসাইটি (রস স্ট্রিট গুরুদ্বার) এ ‘খালিস্তান জিন্দাবাদ’ স্লোগানসহ গ্রাফিতি দেয়ার ঘটনাও তুলে ধরেন। তিনি (MP Chandra Arya) জানান, এই ধরনের হামলা শুধুমাত্র হিন্দুদের নয়, শিখ প্রতিষ্ঠানগুলোকেও টার্গেট করছে। চন্দ্রর মতে, “খালিস্তানি চরমপন্থীরা আমাদের শিখ ভাইদের পবিত্র স্থানেও হামলা চালাচ্ছে। এটি একটি স্পষ্ট বার্তা যে, এখন আর চুপ করে থাকার সময় নেই। কানাডার হিন্দু-কানাডিয়ানরা এবং সংখ্যাগরিষ্ঠ শিখ-কানাডিয়ান ভাই-বোনেরা একসঙ্গে দাঁড়িয়ে সরকারের সকল স্তরের কাছ থেকে অবিলম্বে কার্যকর ব্যবস্থা দাবি করুন। নীরবতা আর কোনো বিকল্প নয়।” এই ঘটনার প্রেক্ষিতে কানাডায় (Khalistani Attack on Canada) বসবাসরত দক্ষিণ এশীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে উদ্বেগ ও নিরাপত্তাহীনতা বৃদ্ধি পেয়েছে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়গুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার কী করবে, এখন সেদিকেই নজর সকলের।

  • Hindus Under Attack: ভারত ও বিদেশে চলছে হিন্দুদের ওপর নিদারুণ আক্রমণ, এক সপ্তাহের খতিয়ান দেখলে চমকে যাবেন

    Hindus Under Attack: ভারত ও বিদেশে চলছে হিন্দুদের ওপর নিদারুণ আক্রমণ, এক সপ্তাহের খতিয়ান দেখলে চমকে যাবেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত ও বিদেশে হিন্দু ও হিন্দু ধর্মের ওপর ক্রমাগত নিদারুণ আক্রমণ (Hindus Under Attack) চলছে। বিশ্বের বহু অঞ্চলে এই নির্যাতন ধীরগতিতে সংঘটিত একটি গণহত্যার মতোই ভয়াবহ আকার ধারণ করছে (Roundup Week)। হিন্দুবিদ্বেষী সংকীর্ণ মানসিকতার কারণে দশকের পর দশক ধরে বিশ্ব এই আক্রমণের প্রকৃত গভীরতা ও ব্যাপ্তিকে উপেক্ষা করে এসেছে। হত্যা, জোরপূর্বক ধর্মান্তরকরণ, জমি দখল, উৎসব-অনুষ্ঠানে হস্তক্ষেপ, মন্দির ও মূর্তি অপবিত্রকরণ, বিদ্বেষমূলক বক্তব্য, যৌন হিংসা থেকে শুরু করে প্রাতিষ্ঠানিক ও আইনি বৈষম্য পর্যন্ত – হিন্দুরা তাঁদের অস্তিত্বের বিরুদ্ধে ক্রমবর্ধমান আক্রমণের পাশাপাশি অভূতপূর্ব হিন্দুবিদ্বেষের মুখোমুখি হচ্ছেন। চলতি বছরের ৬ এপ্রিল থেকে ১২ এপ্রিল এই সাতদিনে বিশ্বজুড়ে হিন্দুদের ওপর সংঘটিত অপরাধগুলির দিকে আমরা একবার চোখ বুলিয়ে নিই।

    ভারত (Hindus Under Attack)

    উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙার বারগুম কাচারি বাড়ি এলাকায় অগ্রদূত ক্লাব আয়োজিত বাসন্তী পুজোর প্যান্ডেলে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। আগুনে পুড়ে যায় প্রতিমাগুলি। ‘প্রার্থনা সভা’ বা ‘স্বাস্থ্য উদ্ধার সভা’র অছিলায় স্থানীয় হিন্দুদের জবরদস্তিমূলক খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত করার অভিযোগে এক পাদ্রি-সহ ছ’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সরকান্ডা থানার বাহাতরাই অঞ্চলের ঘটনা। দাগী আসামি ওয়াজিদ শাহেনশা রামনবমী উদযাপনে বিঘ্ন ঘটাতে বিজেপির পতাকা ছিঁড়ে ফেলে। গালিগালাজও করে। আহমেদাবাদের দানিলিমদার ঘটনা। পুনের কোঠরুডে একটি ইউনিসেক্স সেলুনের বিরুদ্ধে ইসলামিক ধর্মান্তর ও লাভ জিহাদে প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। একটি ভিডিওয় সত্য সনাতন ধর্ম নামক সংগঠনের সদস্যদের জাভেদ ও আরমান নামে দুই মুসলমানকে এক হিন্দু মেয়েকে কালমা পড়তে বাধ্য করা হতে দেখা গিয়েছে।

    হিংসাত্মক বিক্ষোভ

    ওয়াকফ আইন ২০২৫ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ইসলামিস্টদের দ্বারা হিংসাত্মক বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। মালদার নিমতিতা স্টেশন ছিল এই অশান্তির ভরকেন্দ্র। এখানে ইসলামিস্টরা “আল্লাহু আকবর” ধ্বনি দিয়ে রেল ট্র্যাক দখল করে ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দয়ে বলে অভিযোগ। উত্তরপ্রদেশের উননাওয়ে ওয়াকফ বিল নিয়ে তর্কে জড়িয়ে এক ক্যাব ড্রাইভার ওয়াসিম ও তার সহযোগীরা এক অবসরপ্রাপ্ত সেনা অফিসারকে আক্রমণ করে। অবসরপ্রাপ্ত ওই কর্নেলের নাম সূর্য প্রতাপ সিং। জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভায় আম আদমি পার্টির বিধায়ক মেহরাজ মালিকের হিন্দুদের লক্ষ্য করে আপত্তিজনক মন্তব্য করার পর হাতাহাতি হয়। বিজেপি বিধায়কদের প্রতিবাদে সভা স্থগিত করতে বাধ্য হয়। ঠাকুরগাঁও জেলায় ইসলামিস্টরা একটি শ্মশানের জমি দখলের চেষ্টা করে। অভিযোগ, শ্মশানে প্রিয়জনের দেহ সৎকার করতে যাওয়া হিন্দুদের ওপর হামলা চালায় ইসলামিস্টরা (Hindus Under Attack)।

    নাবালিকাকে ধর্ষণ

    পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় মন্তাজ হোসেন নামে এক যুবক হিন্দু নাবালিকাকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। কলকাতার নিউ টাউন এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বারাণসীতে এক ছাত্রীকে টানা ছ’দিন ধরে যৌন নির্যাতন করা হয়। ২৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তরা প্রত্যেকেই ইসলামিস্ট। বিহারের সারণের রেওয়েলগঞ্জ এলাকায় একটি নির্মীয়মাণ গির্জা ভেঙে ফেলেন স্থানীয়রা। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, খ্রিস্টান মিশনারিরা লোভ দেখিয়ে তাঁদের জোরপূর্বক খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত করছিল (Roundup Week)।

    ইউটিউবারকে হুমকি

    হিমাচলের উনা জেলার ইউটিউবার রোহিত কাটওয়ালকে খালিস্তানপন্থী গোষ্ঠীগুলি হুমকি দেয়। উত্তরপ্রদেশ পুলিশ আজমগড়ের আহিরৌলা থানা এলাকার আরুশা গ্রামে একটি বাড়ির ভিতরে বড় ধরনের খ্রিস্টান ধর্মান্তরের পর্দা ফাঁস করেছে। গুজরাটের আহমেদাবাদে ওয়াকফ আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে মুসলিম জনতা রাস্তায় নমাজ আদায় করে। তারা ‘মসজিদ কেড়ে নেওয়া হবে’ এই স্লোগান দিয়ে উত্তেজনা বাড়ায়। ওয়াকফ সংশোধনী বিলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের নামে মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জে হিন্দুদের ওপর হিংসার ঘটনা ঘটছে। জাফরাবাদ এলাকায় দুজন হিন্দু নিহত হন। ওয়াকফ সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের নামে মুসলিম জনতা সামশেরগঞ্জেই এক হিন্দু দম্পতির দোকানে হামলা চালায় (Hindus Under Attack)।

    পাকিস্তান

    পাকিস্তানের হিন্দু নাবালিকাদের অপহরণ, ধর্ষণ, জোর করে ধর্মান্তরকরণ ও বিয়ের ঘটনা সাধারণ ঘটনায় পরিণত হয়েছে। কেবল সিন্ধ প্রদেশেই প্রতি বছর কমপক্ষে ১০০০ সংখ্যালঘু মেয়ে এই ধরনের যৌন দাসত্বের শিকার হয়। হিন্দু মন্দিরে নিয়মিত হামলাও হয়। সিন্ধের উমরকোট জেলার ২০ বছরের যুবক সুরজ কুমার রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হওয়ার পর হঠাৎই মুহাম্মদ আলি নামে একজন নতুন ইসলামিক পরিচয় নিয়ে আবির্ভূত হন। সরকারি বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, নিখোঁজ থাকাকালে গুলজার খলিলে তিনি স্বেচ্ছায় ইসলাম গ্রহণ করেছেন (Roundup Week)।

    বাংলাদেশ

    বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর নিরবচ্ছিন্ন হামলা হয়েই চলেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবুল বারাকাতের গবেষণা অনুযায়ী, প্রাতিষ্ঠানিক ও পদ্ধতিগত নিপীড়নের কারণে ২০৫০ সাল নাগাদ বাংলাদেশে একজনও হিন্দু অবশিষ্ট থাকবে না। মন্দির অপবিত্রকরণ, জমি দখল, মিথ্যা মামলার পর জনতার দ্বারা হামলা, ধর্ষণ, জবরদস্তি ধর্মান্তরকরণ এবং ঘৃণামূলক বক্তব্য হিন্দুদের বাংলাদেশ ছাড়তে বাধ্য করছে। টাঙ্গাইল জেলায় উন্মত্ত মুসলিম জনতা জনৈক অখিল চন্দ্র মন্ডলের বিরুদ্ধে ইসলাম অবমাননার অভিযোগ এনে তাঁকে পিটিয়ে (Hindus Under Attack) হত্যা করার চেষ্টা করে।

    কানাডা

    কানাডার অটোয়ায় ভারতীয় নাগরিক ধর্মেশ কাথিরিয়াকে খুন করেন এক শ্বেতাঙ্গ। আক্রমণকারী ধর্মেশের স্ত্রীকেও ছুরিকাঘাত করার চেষ্টা করেন। জানা গিয়েছে, আক্রমণকারী গিলস মার্টেল আগে ধর্মেশ ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে (Roundup Week) জাতিগত বিদ্বেষমূলক ও ভারত-বিরোধী মন্তব্য করেছিলেন (Hindus Under Attack)।

LinkedIn
Share