Tag: CRPF

CRPF

  • ED: ‘রণসজ্জায়’ সজ্জিত ইডি শাহজাহানের বাড়িতে ঢুকল তালা ভেঙে, উধাও ‘তৃণমূলের বীরপুঙ্গবরা’

    ED: ‘রণসজ্জায়’ সজ্জিত ইডি শাহজাহানের বাড়িতে ঢুকল তালা ভেঙে, উধাও ‘তৃণমূলের বীরপুঙ্গবরা’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৯ দিন পর বুধবার ফের সন্দেশখালির বেতাজ বাদশার ডেরায় হানা দিল ইডি (ED)। তাঁর বাড়ির ভিতরে তল্লাশি চালিয়ে কী উদ্ধার হয় তা নিয়ে রাজ্যবাসীর নজর ছিল। এদিন শাহজাহানের বাড়িতে হানার সময় রাজ্য পুলিশের পাশাপাশ রাজ্য পুলিশের বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত র‍্যাফকে দেখা গিয়েছে। তাঁরা হেলমেট পরিহিত। হাতে লাঠি বা আধুনিক অস্ত্র। শাহজাহানের বাড়ির ফটকে দাঁড়িয়ে রয়েছেন রাজ্য পুলিশের জওয়ানরা। সঙ্গে রয়েছেন সিআরপিএফ জওয়ানরাও। এবার ‘রণসজ্জায়’ সজ্জিত হয়ে তৃণমূল নেতার ঘরের তালা ভেঙে ঢোকেন ইডি আধিকারিকরা। তারপর একের পর এক ঘরে ঢুকে চলে তল্লাশি। নামিয়ে আনা হয় সুটকেস। ভাঙা হয়েছে আলমারির তালা।

    তল্লাশি চালিয়ে কী মিলল? (ED)

    বুধবার সাতসকালে শাহজাহানের বাড়িতে যান ইডির (ED) ছয় আধিকারিক। তাঁদের মধ্যে দু’জন অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর পদমর্যাদার অফিসার রয়েছেন। এ ছাড়া এক জন আছেন শুধুমাত্র ছবি তোলার জন্য। তাঁরা একের পর এক ঘরে যান। সমস্ত ঘরে তল্লাশি চালান। আসবাবপত্র ঘাঁটতে ঘাঁটতে পৌঁছে যান রান্নাঘরেও। ঘরের ভিতরে থাকা আলমারির তালা ভাঙা হয়েছে। সুটকেস নামিয়ে খোলা হয়েছে। কিন্তু, রান্নাঘরের সিঙ্ক থেকে বাসনকোসন আর আলমারি এবং সুটকেস থেকে জামাকাপড় ছাড়া কিচ্ছু মেলেনি।

    নিরাপত্তায় মোড়া গোটা এলাকা, বন্ধ শাহজাহান মার্কেট

    ১৯ দিন আগে ইডি (ED) হানার সময় সন্দেশখালির শাহজাহানের বাড়ির সঙ্গে বুধবারের তাঁর বাড়ি ও আশপাশের পরিবেশের চেহারা একেবারেই আলাদা। এদিন সন্দেশখালিতে শেখ শাহজাহানের বাড়িতে ইডির অভিযান চালানোর সময় বাড়ির সামনে নেই কোনও জনতার ভিড়়। তৃণমূল নেতার নামাঙ্কিত শাহজাহান মার্কেটের একটি দোকানও খোলেনি। বাজারে দেখা গেল সুনসান ছবি। আদালতের নির্দেশে তৃণমূল নেতার বাড়ির সঙ্গে সঙ্গে সন্দেশখালির বাজারেও সিসি ক্যামেরা বসিয়েছিল পুলিশ। সাধারণ মানুষের আনাগোনাও একেবারেই হাতেগোনা। সমস্ত এলাকা দখল নিয়েছে রাজ্য পুলিশ এবং সিআরপিএফ। শাহজাহানের বাড়ি থেকে বড় রাস্তায় যাওয়ার জন্য রয়েছে এক চিলতে রাস্তা। সেই ১০০ মিটার রাস্তাও পুরোপুরি মোড়া খাকি, জলপাই পোশাক পরিহিত দীর্ঘদেহীদের দিয়ে। বড় রাস্তার দখলও পুরোপুরি নিরাপত্তাবাহিনীর হাতে। জায়গায় জায়গায় তাঁরা দাঁড়িয়ে রয়েছেন। সকাল থেকে শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে সেরকম গুরুত্বপূর্ণ কিছু পাননি ইডি আধিকারিকরা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: কমিশন নিজের মতো বাহিনী মোতায়েন করেছে, বিস্ফোরক বিএসএফ কর্তা

    Panchayat Election 2023: কমিশন নিজের মতো বাহিনী মোতায়েন করেছে, বিস্ফোরক বিএসএফ কর্তা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিএসএফ আগেই রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়ে জানতে চেয়েছিল স্পর্শকাতর বুথের তালিকা। অভিযোগ, দিচ্ছি দেবো করে বার বার এড়িয়ে গিয়েছেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা। শুক্রবার রাতেও অনেক বার আমরা চেয়েছিলাম স্পর্শকাতর বুথের তালিকা (Panchayat Election 2023)। কিন্তু কমিশন এবং কমিশনার সেই তালিকা দেয়নি। যার ফলে বাহিনী এলেও তাকে কোথায় কীভাবে মোতায়েন করা হবে, তা কিছুই জানাতে পারেনি রাজ্য নির্বাচন কমিশন। দশম পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএসএফের পক্ষ থেকে এমনই দাবি করা হয়েছে। তাদের অভিযোগ, কমিশন তার নিজের মতো করে বাহিনীকে মোতায়েন করেছে। শনিবার রাজ্যে যে পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়েছে এবং তাতে যে হিংসার ঘটনা ঘটেছে, তার জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী কোন অংশেই দায়ী নয় বলে বিএসএফের পক্ষ থেকে ট্যুইট করা হয়েছে।

    বাহিনী পাঠাতেও দেরি করেছে কমিশন (Panchayat Election 2023)

    এমনকী বিএসএফ এটাও জানায়, দূর দূরান্ত থেকে যে বাহিনী এসেছে, তাদের সবাইকেই প্রথমে আনা হয়েছে কলকাতায়। তারপর ফের পাঠানো হয়েছে দূর দূরান্তের সব জেলায়। আর এখানেই দেখা দিয়েছে যত বিপত্তি। তার কারণ রাজ্যে বাহিনী এসে পৌঁছালেও তাদের সঠিক জায়গায় পাঠাতে অনেক দেরি করেছে কমিশন। কমিশনের এই চূড়ান্ত অব্যবস্থার কথা জানিয়ে শনিবার বিএসএফের আইজি এস সি বুধাকোটি কমিশনার রাজীব সিনহাকে চিঠি দিয়েছেন, যা নিয়ে কমিশনার (Panchayat Election 2023) মুখে কুলুপ এঁটেছেন। অর্থাৎ গাফিলতিতেই কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঠিকভাবে মোতায়েন করতে যে কমিশন চূড়ান্ত ভাবে ব্যর্থ হয়েছে, সে কথা বিএসএফের আইজি এস সি বুধাকোটি স্পষ্ট করে দিয়েছেন।

    অশান্তির (Panchayat Election 2023) ঘটনার সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সম্পর্ক নেই, দাবি বিএসএফের

    প্রথম দিন থেকে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত বাহিনী মোতায়েনের তালিকা ও স্পর্শকাতর বুথের তালিকা চেয়েও পাননি বিএসএফ এবং সিআরপিএফ কর্তারা। অন্য দিকে তাঁরা জানাচ্ছেন, শনিবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে যেখানে যেখানে অশান্তির ঘটনা ঘটেছে, তার সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনীর কোনও সম্পর্ক নেই। কারণ ওই জায়গায় রাজ্য পুলিশ মোতায়েন ছিল। এ ক্ষেত্রে তাঁদের কোনও গাফিলতি নেই বলে দাবি করেন বুধাকোটি। বেলা গড়াতেই রাজ্য নির্বাচন কমিশনার (Panchayat Election 2023) রাজীব সিনহা সংবাদ মাধ্যমকে জানান, বাহিনী দিতে যদি এত দেরি না করত, তাহলে রাজ্যে এই হিংসার ঘটনা ঘটত না। আর এখান থেকেই বিএসএফের সঙ্গে কমিশনের ফের টক্কর শুরু হয়েছে। একে অপরের ঘাড়ে দোষ চাপাতে গিয়ে রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনে সকাল থেকেই একের পর এক নজিরবিহীন ঘটনা ঘটে গিয়েছে। চলে গিয়েছে বারোটি প্রাণ ,চলেছে গুলি, ফেটেছে বোমা, ঝরেছে রক্ত, অশান্ত হয়েছে বাংলা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Train Accident: নিহত সিআরপিএফ জওয়ানের কফিনবন্দি দেহ ফিরল গ্রামে, গান স্যালুটে শেষ বিদায়

    Train Accident: নিহত সিআরপিএফ জওয়ানের কফিনবন্দি দেহ ফিরল গ্রামে, গান স্যালুটে শেষ বিদায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে আসছে একের পর এক মন খারাপ করা খবর। একের পর এক পরিবারে শোকের ছায়া। এবার বালেশ্বরে ট্রেন দুর্ঘটনায় (Train Accident) নিহত সিআরপিএফ জওয়ানের কফিনবন্দি দেহ পৌঁছাল বাঁকুড়ার ইন্দাসের বাড়িতে। দুর্ঘটনার দিন থেকে নিখোঁজ ছিলেন বাঁকুড়ার ইন্দাস ব্লকের কুশমুড়ি গ্রামের ওই সিআরপিএফ জওয়ান নিখিল ধাড়া। দীর্ঘ খোঁজাখুঁজির পরেও তাঁর দেহ মিলছিল না। অবশেষে গতকাল সিআরপিএফ-এর তৎপরতায় তাঁর মৃতদেহের খোঁজ মেলে। মরদেহ চিহ্ণিত করার পর আজ মৃত নিখিল ধাড়ার কফিনবন্দি দেহ সিআরপিএফ জওয়ানদের কাঁধে ফেরে ইন্দাসের কুশমুড়ি গ্রামে। চোখের জলে নিহত জওয়ানকে শেষ বিদায় জানান এলাকার হাজার হাজার মানুষ।

    কীভাবে ঘটেছিল দুর্ঘটনা (Train Accident)?

    পরিবার সুত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি রাজগীরে প্রশিক্ষণ নিতে যান ছত্তিশগড়ে সিআরপিএফে কর্মরত বাঁকুড়ার নিখিল ধাড়া। প্রশিক্ষণ নিয়ে রাজগীর থেকে খড়্গপুরে এসে গত ২ জুন নিজের কর্মস্থলে যাওয়ার উদ্দেশ্যে করমণ্ডল এক্সপ্রেসে চেপে বসেন নিখিল। তারপরই ঘটে যায় ভয়াবহ দুর্ঘটনা (Train Accident)। দুর্ঘটনার পর থেকে আর নিখিলের কোনও খোঁজ মিলছিল না। বহু চেষ্টা করেও তাঁর সাথে যোগাযোগ করে উঠতে পারেনি পরিবার। গতকাল গ্রামের একদল বাসিন্দা নিখিলের খোঁজে বালেশ্বরে যান। সেখানে প্রশাসনের সহযোগিতায় নিখিলের সঙ্গে থাকা ব্যাগ ও তার ভিতরে থাকা পরিচয়পত্র মিললেও নিখিলের খোঁজ মিলছিল না। অবশেষে সিআরপিএফ-এর তরফেও শুরু হয় সন্ধান। শেষে ওড়িশার একটি হাসপাতালে নিখিলের মৃতদেহের খোঁজ মেলে। এরপরই তাঁর  দেহ গ্রামের বাড়িতে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেয় সিআরপিএফ।

    গান স্যালুটে শেষ বিদায়

    আজ দুপুরে সিআরপিএফ-এর গাড়িতে করে জওয়ানরা কুশমুড়ি গ্রামে নিহত (Train Accident) জওয়ানের দেহ নিয়ে পৌঁছান। সেখানেই তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে হাজির ছিলেন এলাকার কয়েক হাজার মানুষ। কুশমুড়ি গ্রামের অদূরেই গান স্যালুট দিয়ে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Madvi Hidma: মাথার দাম ছিল ৪০ লক্ষ! খতম শীর্ষ মাওবাদী নেতা হিদমা, ছত্তিসগড়ে বড় সাফল্য বাহিনীর

    Madvi Hidma: মাথার দাম ছিল ৪০ লক্ষ! খতম শীর্ষ মাওবাদী নেতা হিদমা, ছত্তিসগড়ে বড় সাফল্য বাহিনীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের মাওবাদী হামলার ঘটনা ঘটলো ছত্তিসগড়ে। গতকাল সিআরপিএফ জওয়ানদের উপরে হামলা চালায় মাওবাদীদের একটি দল। পাল্টা হামলায় এক শীর্ষস্থানীয় মাওবাদী নেতার মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। এদিন ছত্তিসগড়ের একটি প্রত্যন্ত এলাকায় সিআরপিএফ ক্যাম্পে হেলিকপ্টার থেকে জওয়ানদের নামার সময় আচমকাই হামলা চালায় মাওবাদীরা। ছত্তিসগড়ের এই ক্যাম্প থেকে এখন ব্যাপক মাওবাদী বিরোধী অভিযান চালানো হচ্ছে আধা-সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে। ছত্তিসগড় এবং তেলঙ্গানা সীমান্তে এই ঘটনা ঘটেছে বলে সূত্রের খবর।

    আজ জাতীয় যুব দিবস, স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে পড়ুন তাঁর কিছু অমর বাণী

    অভিযান চালাচ্ছে কোবরা বাহিনী

    মাওবাদী বিরোধী এই অপারেশন চলছে মূলত মাওবাদীদের কিছু সিনিয়র নেতাদের ধরা অথবা নিকেশ করার উদ্দেশ্যেই। এমনটাই জানা যাচ্ছে আধা-সামরিক বাহিনী সূত্রে। সিআরপিএফ জওয়ানদের মধ্যে থেকে বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কোবরা (CoBRA) টিম এই অপারেশনের চালাচ্ছে। দুর্গম এলাকাগুলি হেলিকপ্টারে করে পৌঁছাতে হচ্ছে তাঁদের। প্রত্যন্ত এলাকাগুলোতে নেমে কোবরা বাহিনীর এই অভিযান আগামীদিনেও চলবে বলে জানা যাচ্ছে। ছত্তিসগড়ের বিজাপুর এবং সুকমা জেলায় অবস্থিত বেশকিছু অঞ্চল এখনও মাওবাদী অধ্যুষিত। এই এলাকাগুলি তেলঙ্গানা সীমান্ত সংলগ্ন। 

    মৃত মাওবাদী নেতার পরিচয়

    সিআরপিএফ-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে গুলির লড়াইতে শেষ পর্যন্ত মাওবাদীরা পিছু হঠে। এদিনের সংঘর্ষের ঘটনায় সিআরপিএফ জওয়ানদের কোনও ক্ষতি হয়নি বলেই জানা গেছে। তবে ছত্তিসগড়ের মাওবাদী নেতা মাডভি হিদমার (Madvi Hidma) মৃত্যু হয়েছে। ৪৩ বছর বয়সী এই নেতার মাথার উপর ৪০ লক্ষ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে। প্রসঙ্গত ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল ছত্তিসগড়ে যে ভয়ঙ্কর মাওবাদী হামলা ঘটেছিল তার পিছনে মাস্টারমাইন্ড ছিল এই মাডভি হিদমা (Madvi Hidma)। বস্তার জেলার এই হামলায় নিহত হয়েছিলেন ২২ জন জওয়ান এবং আহত হয়েছিলেন আরও ৩১ জন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Lok Sabha Election 2024: শুধু উত্তর ২৪ পরগনাতেই ২১ কোম্পানি, রাজ্যের কোন জেলায় রয়েছে কত বাহিনী?

    Lok Sabha Election 2024: শুধু উত্তর ২৪ পরগনাতেই ২১ কোম্পানি, রাজ্যের কোন জেলায় রয়েছে কত বাহিনী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজনৈতিক দলগুলির পক্ষ থেকে প্রার্থী ঘোষণার পর্ব শুরু হলেও ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Election 2024) দিনক্ষণ আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও ঘোষণা করেনি নির্বাচন কমিশন। বাংলায় নির্বাচনের সময় যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়, সেই অভিজ্ঞতাকে মাথায় রেখে এবং ভোটারদের আস্থা ফেরাতে মার্চ মাসের প্রথম থেকেই কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে আসা হয়েছে এ রাজ্যে। 

    এই মর্মে, পশ্চিমবঙ্গে এখনও পর্যন্ত মোট ১৫০ কোম্পানি বাহিনী পৌঁছে গিয়েছে এবং বিভিন্ন জেলায় তাদের মোতায়েন করা হয়েছে (Lok Sabha Election 2024)। জেলায় জেলায় টহল শুরু করেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। এলাকার রাস্তা ধরে রুট মার্চ করছেন জওয়ানরা। এই বাহিনীর মধ্যে কোন কোন জেলায় কত কোম্পানি মোতায়েন করা হয়েছে তার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে কমিশনের পক্ষ থেকে। দেখা যাচ্ছে, সবচেয়ে বেশি বাহিনী মোতায়েন রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনাতে।

    উত্তর ২৪ পরগনায় কত (Lok Sabha Election 2024)?

    উত্তর ২৪ পরগনায় এখনও পর্যন্ত ২১ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। শুধুমাত্র বসিরহাটেই মোতায়েন রয়েছে ৫ কোম্পানি। এছাড়া, বারাসতে ৩, বনগাঁয় ৩, বারাকপুরে ৬, বিধাননগরে ৪ কোম্পানি বাহিনী রাখা হয়েছে। এই জেলার সব জায়গায় বিএসএফ বাহিনী থাকবে। কেবলমাত্র বিধাননগরে সিআরপিএফ রাখা হবে।

    দক্ষিণবঙ্গে আর কোথায় কত?

    অন্যদিকে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর, ডায়মন্ডহারবাড়, সুন্দরবনে মোট ৯ কোম্পানি বাহিনী রাখা হবে। একই সঙ্গে বাঁকুড়ায় ৪, বীরভূমে ৪, পূর্ব মেদিনীপুরে ৭, পশ্চিম মেদিনীপুরের ৫ কোম্পানি মোতায়েন রয়েছে। আবার নদিয়া জেলায় ৮ কোম্পানি, মুর্শিদাবাদ জেলায় ৮, পশ্চিম বর্ধমানে ৬, পূর্ব বর্ধমানে ৪, পুরুলিয়ায় ৪  এবং ঝাড়গ্রামে ৩ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

    কলকাতায় কত বাহিনী (Lok Sabha Election 2024)

    কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতায় মোট ১০ কোম্পানি বাহিনী রাখা হয়েছে। তার মধ্যে ৮ কোম্পানি বিএসএফ এবং দুই কোম্পানি সিআরপিএফ। হাওড়া, হুগলি ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় মোতায়েন করা হয়েছে ৯ কোম্পানি করে কেন্দ্রীয় বাহিনী। এর মধ্যে হুগলির চন্দননগরেই রয়েছে ৫ কোম্পানি বাহিনী।

    উত্তরবঙ্গে কত (Lok Sabha Election 2024)?

    দক্ষিণবঙ্গের সঙ্গে উত্তরবঙ্গেও বাহিনী মোতায়েন হয়েছে। এর মধ্যে দার্জিলিঙে ৭ কোম্পানি, কোচবিহারে ৫ কোম্পানি, আলিপুরদুয়ারে ৩ কোম্পানি, জলপাইগুড়িতে চার কোম্পানি, কালিম্পঙে ২ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন করা হবে। উত্তর-দক্ষিণ দুই দিনাজপুরে থাকবে মোট ৭ এবং ৪ কোম্পানি। মালদায় মোতায়েন করা হবে ৭ কোম্পানি বাহিনী।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali Incidents: সন্দেশখালিকাণ্ডের জের! কেন্দ্রের কাছে ১ কোম্পানি বাহিনী চাইল ইডি

    Sandeshkhali Incidents: সন্দেশখালিকাণ্ডের জের! কেন্দ্রের কাছে ১ কোম্পানি বাহিনী চাইল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আধিকারিকদের নিরাপত্তায় এক কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে চিঠি পাঠাল ইডি।  এই মর্মে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে চিঠি লিখেছেন ইডির যুগ্ম নির্দেশক। ওই বাহিনী বিধাননগরের সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির সদর দফতরেই থাকবে বলে জানা গিয়েছে। সন্দেশখালিতে (SandeshKhali Incidents) দফায় দফায় বেপরোয়া হামলার ঘটনার পর থেকেই সতর্ক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। 

    কেন কোম্পানি চাইছে ইডি

    রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে গত ৫ জানুয়ারি তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহনের বাড়িতে ইডির অভিযান ঘিরে রণক্ষেত্রে চেহারা নেয় উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালি। আক্রান্ত হন ইডি আধিকারিকরা। ওই রাতেই রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে বনগাঁয় গিয়ে আরও একবার হামলার মুখে পড়ে ইডি। তারপর ৬ জানুয়ারি থেকে বাড়ানো হয় সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সের নিরাপত্তা। ধাপে ধাপে আনা হয় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের। আর এবার নিজেদের জন্য এক কোম্পানি সিআরপিএফ চাইল ইডি। তবে অনেকে এর পিছনে অন্য কারণ দেখছেন। অনেকের অনুমান, আগামী দিনে আরও বড় কোনও নেতার বাড়িতে তল্লাশির প্রস্তুতি নিচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেই অভিযানে গেলে ইডি আধিকারিকদের বড় প্রতিরোধের মুখে পড়তে হতে পারে। তাই আগে থেকেই সতর্ক হয়ে পা ফেলতে চাইছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

    আরও পড়ুুন: দুয়ারে লোকসভা ভোট, মোদিকে দিয়ে শতাধিক সভা করাতে চাইছে বিজেপি

    কী বলছে ইডি

    ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, এতদিন সিবিআইয়ের জন্য বরাদ্দ বাহিনী নিয়ে অভিযানে যেতেন ইডি আধিকারিকরা। সেই বাহিনী থাকে নিজাম প্যালেসে। কিন্তু সন্দেশখালির ঘটনার পর আর কোনও ঝুঁকি নিতে চান না ইডি আধিকারিকরা। তাই ইতিমধ্যে সিজিও কমপ্লেক্সে নিরাপত্তায় মোতায়েন বাহিনীর সংখ্যা দ্বিগুণ করা হয়েছে। আগে সিজিও কমপ্লেক্সে জওয়ানের সংখ্যা ছিল ১৫, এখন তা বাড়িয়ে ৩০ করা হয়েছে। সঙ্গে আরও ১ কোম্পানি বাহিনী চেয়ে পাঠানো হয়েছে। দরকার মতো ইডি আধিকারিকদের সঙ্গে তল্লাশিতে যাবেন এই বাহিনীর সদস্যরা। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nina Singh:  সিআইএসএফ-এর প্রথম মহিলা ডিজি নিনা সিং, কাজ করেছেন নোবেলজয়ীর সঙ্গে  

    Nina Singh: সিআইএসএফ-এর প্রথম মহিলা ডিজি নিনা সিং, কাজ করেছেন নোবেলজয়ীর সঙ্গে  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশে ফের নারী শক্তির জয়। সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্স বা সিআইএসএফ-এর প্রথম মহিলা ডিজি হলেন নিনা সিং। রাজস্থান ক্যাডারের ১৯৮৯ ব্যাচের আইপিএস অফিসার নিনা। তিনি এতদিন সিআইএসএফ-এর স্পেশাল ডিজি পদে ছিলেন। এর আগে সিবিআই-এর গুরুত্বপূর্ণ পদেও থেকেছেন তিনি। 

    নতুন পদে কে কে

    কেন্দ্রীয় বাহিনীর শীর্ষপদে বড়সড় পরিবর্তন আনল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। অমিত শাহর মন্ত্রক থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করে সিআরপিএফ, আইটিবিপি ও সিআইএসএফ-এর নতুন ডিজি নিয়োগ করা হয়েছে। আইপিএস নিনা সিংকে সিআইএসএফ-এর স্পেশাল ডিজি পদ থেকে নিয়ে আসা হল ডিজি পদে। রিপোর্ট অনুযায়ী, আইবি আধিকারিক রাহুল রাসগোত্রকে আইটিবিপি প্রধান পদে বসানো হয়েছে। ১৯৮৯ ব্যাচের আইপিএস অফিসার রাহুল বর্তমানে ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর স্পেশাল ডিরেক্টর পদে আছেন। তিনি প্রায় ৩০ বছর ধরে আইবি-তে আছেন। এদিকে অনীশ দয়াল সিংকে সিআরপিএফ-এর ডিজি করা হয়েছে। এদিকে অনীশ আইটিবিপি প্রধান ছিলেন। বিগত বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে সিআরপিএফ-এর অতিরিক্ত দায়িত্ব ছিল তাঁর ওপর। ১৯৮৮ ব্যাচের এই আইপিএস অফিসারকে এবার সিআরপিএফ-এর পূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হল।

    আরও পড়ুন: ‘মদ-মুক্ত’ অযোধ্যার রাম মন্দির চত্বর, ঘোষণা যোগী সরকারের

    গবেষণার কাজে নিনা

    নিনা সিং হলেন দেশের প্রথম মহিলা, যিনি সিআইএসএফ-এর সর্বোচ্চ পদের দায়িত্ব সামলাবেন। অতীতে সিবিআই-এর সঙ্গেও কাজ করেছেন তিনি। শীনা বোরা হত্যা মামলা, জিয়া খান আত্মহত্যা মামলার মতো হাই প্রোফাইল তদন্তের দায়িত্ব সামলেছেন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে স্নাতকোত্তর করা এই আইপিএস অফিসার। পড়ুশানো ও গবেষণার দিকেও ঝোঁক রয়েছে তাঁর। নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় ও এসথার ডুফলোর সঙ্গে দু’টি গবেষণাপত্র প্রকাশ করেছেন নিনা সিং। দিল্লি মেট্রো-সহ দেশের সমস্ত বিমানবন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্বে আছে সিআইএসএফ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনে এই আধা সামরিক বাহিনী। এই বাহিনীরই প্রধান হয়ে ইতিহাস তৈরি করলেন নিনা।  ২০২৪ সালের ৩১ জুলাই অবসরের আগে পর্যন্ত এই পদে থাকবেন তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Jyotipriya Mallick: রেশন দুর্নীতির তদন্ত নিয়ে রাজ্য পুলিশের ডিজিকে পরামর্শ-চিঠি ইডির

    Jyotipriya Mallick: রেশন দুর্নীতির তদন্ত নিয়ে রাজ্য পুলিশের ডিজিকে পরামর্শ-চিঠি ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের (Jyotipriya Mallick) ঘর থেকে সিসি ক্যামেরা খুলে ফেলার নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের। শুক্রবার বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের নির্দেশ, প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তায় থাকবে সিআরপিএফ। মন্ত্রীর ঘরে কারা ঢুকছেন, বেরচ্ছেনই বা কারা, এবার থেকে তা নজরদারি করবে সিআরপিএফ। ব্যবহার করতে হবে রেজিস্টার খাতা। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীর ঘরে যে ক্যামেরা লাগানো রয়েছে, তা খুলে ফেলার নির্দেশও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে দিয়েছে আদালত।

    ব্যক্তিগত গোপনীয়তা খর্ব হচ্ছে!

    রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারিতে গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriya Mallick)। অসুস্থ হয়ে পড়ায় তিনি ভর্তি রয়েছেন রাজ্যের সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল এসএসকেএমে। মন্ত্রীর ওপর নজরদারি চালাতে সিসি ক্যামেরা বসিয়েছে ইডি। এর পরেই ব্যক্তিগত গোপনীয়তা খর্ব হচ্ছে বলে আদালতে মামলা করেন মন্ত্রী। তার জেরেই এদিন মন্ত্রীর কেবিন থেকে সিসি ক্যামেরা খুলে নেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত।

    সিসি ক্যামেরা খুলে ফেলার নির্দেশ

    বিচারপতি ঘোষের নির্দেশ, মন্ত্রীর ঘরে কোনও সিসি ক্যামেরা রাখা যাবে না। তবে রুমের বাইরে সিসি ক্যামেরা আগে থেকে লাগানো থাকলে, তদন্তের স্বার্থে তার ফুটেজ দেখতে পারবেন ইডির তদন্তকারী অফিসার। সিসি ক্যামেরার পরিবর্তে মন্ত্রীর ওপর নজরদারি চালাবেন সিআরপিএফ জওয়ানরা। মন্ত্রীর ঘরে যাঁরা যাতায়াত করবেন, তাঁদের প্রত্যেকের গতিবিধি নথিভুক্ত করতে হবে রেজিস্টার খাতায়। 

    রাজ্য পুলিশকে চিঠি ইডির

    এদিকে, রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারি (Jyotipriya Mallick) মামলায় তদন্তে নেমে ইডি জেনেছে, রেশন ব্যবস্থায় অনিয়ম সংক্রান্ত একাধিক অভিযোগ জমা পড়লেও, সেভাবে তদন্ত হয়নি। তদন্তকারীদের বিশ্বাস, এই অভিযোগগুলির তদন্ত হলে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতির হদিশ মিলবে। তাই রাজ্য পুলিশকে এ ব্যাপারে চিঠি দিয়েছে ইডি।

    আরও পড়ুুন: “রাজনীতি করবেন না”, লোকসভাকাণ্ডে বিরোধীদের পরামর্শ শাহের

    রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্যের কাছে পাঠানো ওই চিঠিতে ইডি জানিয়েছে, রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারিতে কলকাতা পুলিশ সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলা পুলিশের কাছে যেসব অভিযোগ জমা পড়েছে, তার বিস্তারিত তদন্ত হয়নি। এ ব্যাপারে বিস্তারিত তদন্ত করা প্রয়োজন। চিঠিতে এও বলা হয়েছে, রাজ্যজুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে রেশন কেলেঙ্কারির জাল। এ ব্যাপারে তথ্যপ্রমাণ কিংবা সাহায্যের প্রয়োজন হলে ইডি তা (Jyotipriya Mallick) করতে প্রস্তুত বলেও জানানো হয়েছে চিঠিতে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Security Force Rule: হানি ট্র্যাপের হাতছানি এড়াতে আধা সামরিক বাহিনীতে কড়া নির্দেশিকা

    Security Force Rule: হানি ট্র্যাপের হাতছানি এড়াতে আধা সামরিক বাহিনীতে কড়া নির্দেশিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘হানি ট্র্যাপের (Honey Trap) ফাঁদ থেকে কেন্দ্রীয়  আধিকারিকদের বাঁচাতেই এবার কেন্দ্রীয় পুলিশ বাহিনীর তরফে বিশেষ নির্দেশিকা জারি করা হল। পুলিশ আধিকারিকদের নির্দেশ (Security Force Rule) দেওয়া হল অনলাইনে কোনও রকমের বন্ধুত্ব যেন না পাতান। এছাড়াও ইউনিফর্ম পড়ে সোশ্যাল মাধ্য়মে ছবি আপলোড বা সাজেশনে আসা কোনও প্রোফাইলে যেন ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট না পাঠান, তার কথাও বলা হয়েছে।

    কী কী করতে মানা

    অনলাইনে বন্ধুত্ব পাতিয়ে যৌনতার ফাঁদে ফেলার মতো ঘটনা বার বার প্রকাশ্যে আসায় দেশের গোয়েন্দা সংস্থার তরফে সতর্ক করা হল। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, দেশের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার জন্য বেছে বেছে দেশের নিরাপত্তাবাহিনীর কর্মীদেরই বাছা হচ্ছে। ‘যৌনতার ফাঁদ’ পেতে অনলাইনে বন্ধুত্ব পাতানো, ছবি এবং ভিডিয়ো শেয়ার করার মতো ঘটনা ঘটছে। এমন বেশ কিছু ঘটনা মাঝেমধ্যেই প্রকাশ্যে আসছে। আর সেই ফাঁদে যাতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর কর্মীরা পা না-দেন, তাই তাঁদের সতর্ক করলেন গোয়েন্দারা। গোয়েন্দাদের থেকে এমন সতর্কবার্তা পাওয়ার পরই দেশের আধাসামরিক বাহিনী এবং পুলিশকর্মীদের সতর্ক করার কাজ শুরু হয়েছে।

    কেন এই নিষেধাজ্ঞা

    কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, বিশ্লেষণ করে দেখা গিয়েছে যে বহু আধিকারিকরাই নিজেদের ইউনিফর্মে ছবি বা ভিডিয়ো আপলোড করছেন। স্পর্শকাতর স্থান, যেমন সেনা ছাউনি বা অন্য কোনও ক্যাম্প থেকে এইসব ছবি-ভিডিয়ো আপলোড হওয়ায় অনেক গোপনীয় তথ্য ফাঁস হয়ে যাচ্ছে। অনলাইনে বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে অচেনা মানুষের সঙ্গে বন্ধুত্ব ও চ্যাট করেও বিপদ ডেকে আনছেন। এই সমস্ত কার্যকলাপ থেকেই এবার বিরত থাকতে বলা হল আধিকারিকদের। শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় বাহিনীই নয়, প্য়ারামিলিটারি ও পুলিশ বাহিনীকেও এই নির্দেশ পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। যদি এই নির্দেশ না মানা হয়, তবে কড়া পদক্ষেপ করা হবে বলেও জানানো হয়েছে। বিএসএফ ও আইটিবিপির তরফেও বাহিনীকে এই নির্দেশ অনুসরণ করতে বলা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: দেশের গোপন নথি পাক গুপ্তচর সংস্থাকে পাচারের অভিযোগ! কলকাতায় ধৃত বিহারের যুবক

    দিল্লি পুলিশের একটি সূত্রের খবর, পুলিশ কমিশনার সঞ্জয় অরোরা তাঁর বাহিনীর সমস্ত কর্মীকে এ বিষয়ে অবহিত করেছেন। সমাজমাধ্যমে কোনও উস্কানিমূলক, কোনও কুরুচিকর মন্তব্য না করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই-ই নয়, যত ক্ষণ কাজ করবেন তত ক্ষণ কোনও সমাজমাধ্যম ব্যাবহার না করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও কোনও সংবেদনশীল ছবি পোস্ট না করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Manipur Violence: ইম্ফল, চূড়াচাঁদপুর যেন যুদ্ধক্ষেত্র! নিহত সিআরপিএফ জওয়ান, আয়কর আধিকারিক

    Manipur Violence: ইম্ফল, চূড়াচাঁদপুর যেন যুদ্ধক্ষেত্র! নিহত সিআরপিএফ জওয়ান, আয়কর আধিকারিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মেইতেই জনগোষ্ঠীর তফশিলি উপজাতি পরিচয়ের দাবিতে অশান্তির আগুনে জ্বলছে মণিপুর (Manipur Violence)। ৩৫৫ ধারা জারি করে, সেনা মোতায়েন করেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না। চলতি সপ্তাহের গোড়ায় শুরু হয়েছিল আন্দোলন। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই কার্যত যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে মণিপুর। শুক্রবার গভীর রাতে চূড়াচাঁদপুরে গুলি করে খুন করা হয়েছে বাড়িতে ছুটি কাটাতে আসা এক সিআরপিএফ কোবরা কমান্ডোকে। রাজধানী ইম্ফলে হিংসার বলি ইন্ডিয়ান রেভিনিউ সার্ভিসের এক আয়কর আধিকারিকও।

    হিংসায় অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু

    স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, সেনা নামার পরে মুহুর্মুহু গুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে। মনে হচ্ছে ইম্ফল, চূড়াচাঁদপুর যেন যুদ্ধক্ষেত্র। অসমর্থিত সূত্রে পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, চলতি হিংসায় অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত বুধবার মেইতেই সম্প্রদায়কে তফশিলি জাতিভুক্ত করার প্রতিবাদ জানিয়ে মণিপুরের জনজাতি ছাত্র সংগঠনের পক্ষ থেকে মিছিল বের করা হয়। ওই মিছিল ঘিরে শুরু হয় হিংসা। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে হিংসা ছড়িয়ে পড়েছে। 

    মণিপুরে ৩৫৫ ধারা

    পরিস্থিতি সামলাতে শুক্রবার মণিপুরে ৩৫৫ ধারা জারি করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং নিরাপত্তার দায়িত্ব নিজেদের হাতে তুলে নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। তার পরেই চূড়াচাঁদপুরে গুলি করে খুন করা হয়েছে বাড়িতে ছুটি কাটাতে আসা সিআরপিএফের কোবরা বাহিনীর এক কমান্ডোকে। নিহতের নাম ছোনখেলেন হাওকিপ। পাশাপাশি রাজধানী ইম্ফলে লেটমিনথাং হাওকিপ নামে এক আয়কর আধিকারিককে বাড়ি থেকে টেনে বের করে এনে খুন করার অভিযোগ উঠেছে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে। ঘটনার নিন্দায় সরব হয়েছে ইন্ডিয়ান রেভিনিউ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন। বিক্ষোভকারীদের থামাতে সেনা মোতায়েনের পাশাপাশি দেখামাত্র গুলির নির্দেশ জারি করা হয়েছে।

    সেনার সক্রিয়তা

    ইতিমধ্যেই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি থেকে ১৩ হাজার সাধারণ নাগরিককে উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী। তাঁরা মণিপুরে যাওয়ার জন্য সি ১৭ গ্লোবমাস্টার এবং এন ৩২ বিমান ব্যবহার করেন। ভারতীয় সেনাবাহিনী শুক্রবার একটি বিবৃতি জারি করে বলেছে যে, তাঁরা প্রায় ১৩ হাজার সাধারণ নাগরিকদের উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছেন। উদ্ধার করা বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপদ আশ্রয়ে রাখা হয়েছে। এখনও অবধি র‍্যাফ, সিআরপিএফ, বিএসএফ-সহ আধাসামরিক বাহিনীর ১৪টি কোম্পানি মোতায়েন করা হয়েছে। আরও বাহিনী রাজ্যে মোতায়েন করার ব্যবস্থা হচ্ছে। গত ৩ মে অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অফ মণিপুরের একটি সমাবেশ হিংসাত্মক হয়ে ওঠে। রাজ্যে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। চূড়াচাঁদপুরের তোরবুং এলাকায় ৬০ হাজারের বেশি লোক সমাবেশে যোগ দিয়েছিলেন। তখনই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।

    আরও পড়ুন: ‘‘জেগে উঠুন, কফির ঘ্রাণ নিন, ৩৭০ ধারা ইতিহাস’’! বিলাওয়ালকে জয়শঙ্কর

    মণিপুরের বৃহত্তম জনগোষ্ঠী মেইতেইরা। মূলত সমতল এলাকার বাসিন্দা এরা। অন্য দিকে, কুকি, অঙ্গামি, লুসাই, নাগা, থাড়োয়াসের মতো প্রায় ৩০টি জনজাতি গোষ্ঠীর বাস পাহাড়ি এলাকায়। তাদের আশঙ্কা, জনজাতির মর্যাদা পেলেই পাহাড়ি এলাকার জমিতে হাত বাড়াবে। এখন জনজাতির মর্যাদা না পাওয়ায় তারা ওই জমি কিনতে পারে না। অন্য দিকে, মেইতেইদের দাবি, ১৯৪৯ সালে ভারতীয় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মণিপুর সংযুক্ত হওয়ার আগে তাঁরা জনজাতি হিসাবে গণ্য হতেন। কিন্তু সংযুক্তিকরণের পর সেই পরিচয় হারান তাঁরা। ফলে জনজাতি জমির অধিকার, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সাংবিধানিক রক্ষাকবচও হারিয়েছেন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share