Tag: Hooghly

Hooghly

  • Uttarkashi Tunnel Rescue: ৪১ জন শ্রমিক বের হতেই জয়দেবের গ্রামে বেজে উঠল শঙ্খ, হল মিষ্টি বিতরণ

    Uttarkashi Tunnel Rescue: ৪১ জন শ্রমিক বের হতেই জয়দেবের গ্রামে বেজে উঠল শঙ্খ, হল মিষ্টি বিতরণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ ফিরবেন, কাল ফিরবেন করে সতেরো দিন হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু, ঘরে ফেরেননি উত্তরকাশীর (Uttarkashi Tunnel Rescue) সুড়ঙ্গে আটকে থাকা হুগলির পুরশুড়ার দুই ছেলে সৌভিক পাখিরা এবং জয়দেব প্রামাণিক। ছেলেদের ঘরে ফেরা নিয়ে আশঙ্কা আর উদ্বেগে দিন কাটছিল পরিবারের লোকজনের। মঙ্গলবার সকাল থেকে উদ্বেগে ছিলেন পরিবারের লোকজন। কিন্তু, বিকেলের পর আশার আলো দেখতে শুরু করেন জয়দেবের পরিবারের লোকজন। একে একে ৪১ জনের মধ্যে জয়দেবও বেরিয়ে এলেন।

    মায়ের সঙ্গে কী কথা বললেন জয়দেব? (Uttarkashi Tunnel Rescue)

    জয়দেবের মা তপতী দেবী ছেলে আটকে থাকার পর থেকে কথা বলার মতো অবস্থায় ছিলেন না। মঙ্গলবারও কান্নাকাটি করেছেন। অবশেষে ছেলে বেরোলেন। একগাল হাসি ফুটল মায়ের মুখে। ভিডিয়ো কলে কথাও হল। মা ছেলেকে জিজ্ঞেস করলেন, “কেমন আছিস?” কয়েক সেকেন্ডের স্তব্ধতা। তার পর জবাব এল- ‘ভালো… ভালো।” মায়ের পরের প্রশ্ন, “বাড়ি কখন আসবি?” এবার জবাব এল, “এখন আর ফিরব না। কাজ আছে।” শুনেই হেসে ফেললেন মা। হাসছেন পরিবারের সবাই।

    গ্রামজুড়ে উৎসবের আমেজ

    উত্তরকাশী (Uttarkashi Tunnel Rescue) জেলার ব্রহ্মতাল-যমুনোত্রী জাতীয় সড়কের উপর সিল্কিয়ারা এবং ডন্ডালহগাঁওের মধ্যে নির্মীয়মাণ সুড়ঙ্গে কাজ করতে গিয়েছিলেন হুগলির পুরশুড়ার বাসিন্দা জয়দেব প্রামাণিক। গত ১২ নভেম্বর হঠাৎই সেই সুড়ঙ্গের একাংশে ধস নামে। জয়দেবের পরিবারের সঙ্গে গোটা গ্রামের মানুষ গত কয়েকদিনে মুষড়ে পড়েছিলেন। ৪১ জন শ্রমিক উদ্ধার হওয়ার দিন গুনতেন। মঙ্গলবার উদ্ধার হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই গ্রামবাসীর এসে জয়দেবের বাড়িতে ভিড় করতে শুরু করেন। টিভির পর্দায় নজর রাখেন সকলেই। একে একে সকলে উদ্ধার হতেই জয়দেবের দিকে নজর ছিল সকলের। জয়দেব উদ্ধার হতেই গ্রামজুড়ে বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস। জয়দেবের উদ্ধারের খবর পেতেই শঙ্খধ্বনি শুরু হয় গ্রামে। মিষ্টিমুখ করলেন পাড়া-প্রতিবেশীরা। গোটা গ্রামজুড়ে উৎসবের আমেজ।

    উদ্ধারকারী দলকে ধন্যবাদ জানালেন জয়দেবের বাবা

    জয়দেবের বাবা তাপস প্রামাণিক ধন্যবাদ দিলেন উদ্ধারকারী দলকে। তিনি বলেন, ঈশ্বরকে বললাম, তোমরা আছো। ছেলের সঙ্গে কথা হয়েছে। ও ভালো আছে। ছেলেদের সাহস দেখে তো আমরাও বল পেয়েছি। ভেবেছি, ওরা যদি ওভাবে আটকে থেকে এরকম থাকতে পারে, আমরা কেন সাহস নিয়ে থাকতে পারব না? গত কয়েক দিন দোকান খুলতে ইচ্ছে করেনি। আজ আমি খুশি। যে ভাবে আমার প্রতিবেশীরা আমার পাশে দাঁড়িয়েছে, তাতে আমি ধন্য।

     

     দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: “সিঙ্গুরের লড়াইয়ে সাধারণ মানুষের সমর্থন ছিল না”, মমতার দাবিকে নস্যাৎ শুভেন্দুর

    Hooghly: “সিঙ্গুরের লড়াইয়ে সাধারণ মানুষের সমর্থন ছিল না”, মমতার দাবিকে নস্যাৎ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার কলকাতায় বিজেপির মেগা ইভেন্ট। আসবেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আর এই সভা সফল করে তোলার উদ্দেশে রাজ্যের বিভিন্ন কোণে কোণে ছুটছেন বিজেপি নেতারা। সোমবার রাতে ঠিক একই কারণে সিঙ্গুরে (Hooghly) যান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। উপচে পড়া জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে শুভেন্দু সিঙ্গুরের বর্তমান অবস্থার জন্য শাসক দলকে দায়ী করে বলেন, “বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের বোকামি এবং গোপালকৃষ্ণ গান্ধীর ভদ্রতার সুযোগ নিয়ে এ রাজ্যের নেত্রী শিল্পকে ভাগিয়ে দিয়েছেন গুজরাটে।”

    কী বললেন শুভেন্দু (Hooghly)?

    হুগলির (Hooghly) সিঙ্গুরে বুড়াশান্তির মাঠে শুভেন্দুর সভা অনুষ্ঠিত হয়। এদিন চাকরি চুরি, রেশন চুরির ১০০ দিনের কাজ, বার্ধক্য, বিধবা ভাতা, আবাস যোজনা দুর্নীতির প্রতিবাদে সরব হন বিজেপি নেতারা। সেই সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে সিঙ্গুর প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, “২০০৬ সালে সিঙ্গুরের যাঁরা জমির মালিক হিসাবে চেক নিয়ে নিয়েছিল, তাঁদের মধ্যে থেকে সামান্য কজন বর্গাদারকে নিয়ে সিঙ্গুরে শিল্প-কারখানার বিরোধিতা করতে এসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । সিঙ্গুর আর নন্দীগ্রামের দুটো লড়াই এক লড়াই নয়। সিঙ্গুরের লড়াইতে সাধারণ মানুষের সমর্থন ছিল না।” এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজকের এই সিঙ্গুরকে শ্মশানে পরিণত করেছেন। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের উদারতা এবং প্রাক্তন রাজ্যপাল গোপালকৃষ্ণ গান্ধীর মতো মহান ব্যক্তির ভদ্রতার সুযোগ নিয়ে এই রাজ্যের নেত্রী শিল্পকে ভাগিয়ে দিয়েছেন গুজরাটে। সিঙ্গুরকে ধ্বংস করেছেন তিনি।”

    তীব্র আক্রমণ বেচারাম মান্নাকে

    রাজ্যের কৃষি বিপণন মন্ত্রী বেচারাম মান্নাকে এদিন আক্রমণ করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু বলেন, “সিঙ্গুর টাটার কারখানায় (Hooghly) চুনসুড়কি সাপ্লাই করতেন বেচারাম মান্না। আমি জানি তিনি একটা বিড়িকে নিভিয়ে নিভিয়ে কীভাবে খেতেন। আগে ফাটা পায়জামা পড়তেন। একটা পাঞ্জাবি পাঁচদিন পড়তেন, তারপর ধুতে দিতেন। তিনি এখন সারাদিনে তিনটে সিল্কের পাঞ্জাবি পরেন। পিছনে তুলো লাগানো লম্বা সিগারেট খান। অনেক কিছু করেছেন, কোথা থেকে হয়েছে জানি না। তবে আমাদের ভারতবর্ষে ইডি আছে। মাটির ভিতরে জিনিস থাকলেও খুঁজে বের করতে পারে ইডি। কেউ ভাবতে পেরেছিল দেড়শো কেজি ওজনের, পঁচাত্তর বছরের একটা বুড়োর নাম পার্থ চট্টোপাধ্যায়। যিনি মমতার একজন প্রিয় পার্থদা ছিলেন। অপার ঘরে ঢুকেই ৫১ কোটি মাল দুদিনে বেরিয়েছে। এই দুর্নীতির হিসাব নেবো আমারা।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: সুড়ঙ্গে আটক হুগলির ২ শ্রমিক, সাহায্যের জন্য বিজেপি বিধায়ক চিঠি দিলেন মোদিকে

    Hooghly: সুড়ঙ্গে আটক হুগলির ২ শ্রমিক, সাহায্যের জন্য বিজেপি বিধায়ক চিঠি দিলেন মোদিকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গে আটকে হুগলির ২ শ্রমিক। পরিবারকে সাহায্যের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে চিঠি লিখলেন হুগলির পুরশুড়ার (Hooghly) বিজেপি বিধায়ক বিমান ঘোষ। বিধায়ক বলেন, এই শ্রমিক পরিবারদের আর্থিক অবস্থা স্বচ্ছল নয়। অভাবের সংসার। তাই প্রশাসনের মাধ্যমে যদি কিছু সাহায্য করা যায়, তাহলে ভীষণ উপকার হবে। সেই সঙ্গে রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকদের বিষয়কে তুলে ধরে বিজেপির অভিযোগ, এই রাজ্যে কাজ নেই, তাই অন্য রাজ্যে গিয়ে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করতে হয়।

    কী বললেন বিজেপি বিধায়ক (Hooghly)

    হুগলির (Hooghly) পুরশুড়ার বিজেপি বিধায়ক বিমান ঘোষ বলেন, “উত্তরকাশীতে রাস্তার সুড়ঙ্গে ৪১ জন শ্রমিক আটকে পড়েছেন। গত দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে ওই সুড়ঙ্গে রয়েছেন তাঁরা। পশ্চিমবঙ্গের মোট ৩ জন শ্রমিক সুড়ঙ্গে আটকে রয়েছেন। এই জেলারও রয়েছেন দুই জন শ্রমিক। তাঁদের একজন হলেন শৌভিক পাখিরা এবং অপরজন জয়দেব প্রামাণিক। রাজ্যের তৃণমূল সরকার কাজ দিতে না পারায় অন্য রাজ্যে গিয়ে কাজ করতে হচ্ছিল এই শ্রমিকদের।” দুইজন শ্রমিকের পরিবারের আর্থিক অবস্থার কথা বলতে গিয়ে আরও বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর ৭ রেসকোর্সের ঠিকানায় চিঠি পাঠানো হয়েছে। এই শ্রমিকদের বাড়িতে একমাত্র উপার্জনকারী হলেন তাঁরাই। সুড়ঙ্গে আটকে থাকায় তাঁদের বাড়ির লোকজন খুব অসহায়বোধ করছেন। তাঁদের উভয়ের বাড়িতে অসুস্থ রোগী এবং বাচ্চাদের পড়াশুনার খরচ জোগাড় করতে রীতিমতো সমস্যার মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে। তাই এই অবস্থায় প্রধানমন্ত্রী পরিবারের পাশে থেকে সাহায্য করলে খুব ভালো হয়। দ্রুত তাঁদের উদ্ধার করে বাড়িতে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করলে পরিবারের দুশ্চিন্তা কমবে।”

    চারধামের সরল পথ এই সুড়ঙ্গ

    উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গ পথে সড়কের কাজ চলাকালীন উপর থেকে ধসের কারণে পাথর ভেঙে রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। আটকে পড়েন ৪১ জন শ্রমিক। রয়েছেন হুগলির (Hooghly) দুই শ্রমিক। এই সুড়ঙ্গের মাধ্যমে উত্তরাখণ্ডের গঙ্গোত্রী, যমুনোত্রী, কেদারনাথ এবং বদ্রীনাথ এই চারধামের যাত্রা পথকে আরও সরল সহজ করতে রাস্তা নির্মাণের কাজ চলছিল। আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধার করতে খননের কাজ খুব জোর কদমে চলছে। ৪১ টি অ্যাম্বুল্যান্স রাখা হয়েছে সুড়ঙ্গের বাইরে। স্থানীয় হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্য দফতরকে সতর্ক রাখা হয়েছে। মনে করা হয়েছে আজ বিকেলের মধ্যেই উদ্ধার করা সম্ভব হবে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Brucellosis: রাজ্যে চোখ রাঙাচ্ছে ব্রুসেলোসিস! ফের মৃত্যু হল একজনের

    Brucellosis: রাজ্যে চোখ রাঙাচ্ছে ব্রুসেলোসিস! ফের মৃত্যু হল একজনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করোনার রেশ সবে কেটেছে। চিনা নিউমোনিয়া নিয়ে বিশ্বজুড়ে তোলপাড় চলছে। এরই মধ্যে এই রাজ্যে চোখ রাঙাচ্ছে ব্রুসেলোসিস (Brucellosis)। এই রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুরও ঘটনা ঘটেছে। চলতি মাসেই এই রাজ্যে আরও একজনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম নিরঞ্জন রাহা। তাঁর বয়স ৫০ বছর। তাঁর বাড়ি নদিয়ার নাকাশিপাড়ার গোটেপাড়া এলাকায়।

    কীভাবে ছড়ায় এই রোগ? (Brucellosis)

    স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্রুসেলা জেনাসের অন্তর্ভুক্ত একদল ব্যাক্টেরিয়াই ব্রুসেলোসিসের (Brucellosis) কারণ। শুধু মানুষ নয়, সংক্রমিত করে পশুদেরও। আক্রান্ত পশুর ফ্লুইড থেকে সরাসরি মানুষের শরীরে ছড়িয়ে পড়তে পারে এই ভয়ঙ্কর ব্যাকটেরিয়া। কাঁচা অথবা আনপাস্তুরাইজড ডেয়ারি প্রোডাক্ট থেকেও ছড়িয়ে পড়ে ব্রুসেলোসিস। আরও নানাভাবে সংক্রামিত হতে পারে মানুষ। গত ৫ সেপ্টেম্বর, হুগলির পোলবার চৈতালী দেশি এই একই রোগে ভুগে বাঙুর হাসপাতালে মারা গিয়েছিলেন। এই মহিলা প্রাণীমিত্র ছিলেন। ফলে, কাজের সূত্রে পশুর নজরদারি করতে হত তাঁকে। সেখান থেকে তিনি সংক্রামিত হতে পারেন। তবে, তিনি প্রথম আক্রান্ত কি না সেই সংখ্যা নিয়ে দ্বিমত রয়েছে। এই প্রথম বা দ্বিতীয়, এটা সর্বকালীন না চলতি বছরের পরিসংখ্যান, তা নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা। কারণ, সংবাদমাধ্যমের একাংশের দাবি, গত বছর ডিসেম্বরে এই ব্রুসেলোসিসে আক্রান্ত হয়ে স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনে মারা গিয়েছিলেন পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের ৫১ বছরের বাসিন্দা শরবিন্দু ঘোষ। চলতি বছরে আরও দুজনের মৃত্যু হল।

    নদিয়ার ব্যক্তি কীভাবে আক্রান্ত হলেন?

    জানা গিয়েছে, নিরঞ্জন রাহার বাড়িতে গবাদি পশু ছিল। একইসঙ্গে তিনি চাষাবাদও করতেন। প্রাথমিক অনুমান, গবাদি পশুর শরীর থেকে তাঁর শরীরে এই ব্যাকটেরিয়ার প্রবেশ ঘটে। চলতি মাসের শুরুতে তিনি অসুস্থ বোধ করায় স্থানীয় হাসপাতালে দেখান। কিন্তু, শারীরিক উন্নতি না হওয়ায় তাঁকে গত ১৩ নভেম্বর আলিপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরই মাঝে ১৬ নভেম্বর ব্রুসেলা (Brucellosis) রিপোর্ট পজিটিভ আসে তাঁর। গত ২৪ নভেম্বর ওই বেসরকারি হাসপাতালেই মৃত্যু হয় তাঁর। গত দুমাসে পর পর দুজন এই রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় উদ্বেগে রয়েছেন চিকিৎসকরা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: বিজেপি-র সভায় গেলে এলাকাছাড়া করে দেওয়া হবে, তৃণমূলের হুমকি-পোস্টার!

    Hooghly: বিজেপি-র সভায় গেলে এলাকাছাড়া করে দেওয়া হবে, তৃণমূলের হুমকি-পোস্টার!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধর্মতলায় ‘শাহি সমাবেশে’ বিপুল জমায়েতের ডাক দিয়েছে বিজেপি। আর সেই সভায় যাতে জমায়েত কম হয়, তা রজন্য উঠেপড়ে লেগেছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল। আড়ালে আবডালে নয়, একেবার প্রকাশ্যে পোস্টার দিয়ে হুমকি দেওয়া হয়েছে। সমাবেশে যাতে মানুষ যোগ না দেন, তার জন্য ভয় দেখাচ্ছে জোড়াফুল শিবির। সভায় গেলে এলাকাছাড়া করে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়েছে।  চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির (Hooghly) চুঁচুড়া পুরসভা এলাকায়। এখানকার এক নম্বর ওয়ার্ডের কেওটা বটতলা এলাকায় এই ধরনের পোস্টার দেখা যায়।

    পোস্টারে কী লেখা রয়েছে? (Hooghly)  

    ২৯ নভেম্বর ‘কলকাতা চলো’র ডাক দিয়েছে বিজেপি। ওই দিন ধর্মতলায় হবে প্রতিবাদ সভা। সেই সভায় যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে পোস্টার লাগানো হয়েছে বিভিন্ন জায়গায়। হুগলির (Hooghly) চুঁচুড়া-ব্যান্ডেলেও পোস্টার মারা হয়। বিজেপির সেই পোস্টারের উপর সাদা কাগজে ছাপানো লেখা পোস্টার মারা হয়েছে। তাতে লেখা, ‘কেন্দ্র আমাদের আবাসের টাকা দিচ্ছে না। এলাকা থেকে যাঁরা এই সভায় যাবেন, তাঁদের এলাকাছাড়া করে দেওয়া হবে। তলায় লেখা জয় বাংলা। স্থানীয়দের নজরে পড়ে এই পোস্টার। যা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।

    তৃণমূল ভয় পেয়ে এসব করছে, সরব বিজেপি নেতৃত্ব

    বিজেপির হুগলি (Hooghly) সাংগঠনিক জেলা সম্পাদক সুরেশ সাউ বলেন, ‘তৃণমূল ভয় পেয়েছে। তাই এসব করছে। ওরা মানুষের আবাসের টাকা, একশো দিনের কাজের টাকা খেয়েছে। মানুষ এর জবাব দেবে। আর আমাদের প্রতিবাদ সভা বন্ধ করতে হাইকোর্টে গেল, কোনও কাজ হল না। এখন ভয় দেখাচ্ছে সভায় যাতে লোক না হয়। এসব করে কোনও লাভ হবে না। ধৰ্মতলা সভায় বহু মানুষের ভিড় হবে।

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?

    চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার বলেন, ‘বিজেপি পোস্টারের উপর নিজেরাই পোস্টার মেরে প্রচার চাইছে। ওদের সঙ্গে তিনগাছা লোক নেই। তৃণমূলের খেয়েদেয়ে কাজ নেই পোস্টার মারতে যাবে। মানুষ সব দেখছে বুঝছে, ২৪ সালে সব জবাব দিয়ে দেবে।’

     

     দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: প্রকাশ্যে এলোপাথাড়ি কোপ, পাল্টা চলল গুলি, তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে

    Hooghly: প্রকাশ্যে এলোপাথাড়ি কোপ, পাল্টা চলল গুলি, তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব তত প্রকট হচ্ছে। দুদিন আগে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় একটি কাঠের কারখানায় পুরনো দুজন তৃণমূল কর্মীকে বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ উঠল দলের অন্য গোষ্ঠীর লোকজনের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই এবার হুগলির (Hooghly) তারকেশ্বরের পিয়াসাড়ায় ফের শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এল। তৃণমূল নেতাকে এলোপাথাড়ি কোপানোর অভিযোগ উঠল দলেরই বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। অপর গোষ্ঠীর চালানো গুলিতে জখম হলেন এক তৃণমূলকর্মী। টাঙ্গির কোপে গুরুতর আহত ওই নেতার নাম শেখ সাইদুল মোল্লা। গুলির আঘাতে আহত হয়েছেন মুন্সি মুকাদ্দার। আহত অবস্থায় ২ জনকে তারকেশ্বর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কলকাতায় রেফার করা হয়েছে সাইদুল মোল্লাকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশবাহিনী।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Hooghly)

    হুগলির (Hooghly) পিয়াসাড়া বাসস্ট্যান্ডে একটি চায়ের দোকানের সামনে বসেছিলেন শেখ সাইদুল মোল্লা। আচমকা কয়েকজন এসে তাঁর উপর টাঙ্গি দিয়ে আঘাত করে। রক্তাক্ত অবস্থায় প্রাণে বাঁচতে তিনি চায়ের দোকানের ভিতরে ঢুকে গেলে, সেখানেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। বেশ কয়েকদিন ধরেই এক প্রভাবশালী ব্যবসায়ীর নেতৃত্বে তৃণমূলের নতুন সংগঠন তৈরি হয়েছে। তারাই এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে জখম তৃণমূল নেতার পরিবারের লোকজনের দাবি।

    যদিও অপর গোষ্ঠীর দাবি, শেখ সাইদুল-সহ বেশ কয়েকজন পার্টি অফিস দখল করছিল। মুন্সি মুকাদ্দার নামে দলের অপর গোষ্ঠীর তৃণমূল কর্মী পার্টি অফিসের সামনে ছিলেন। হঠাৎ তাঁকে মারধর করে সাইদুল ও তাঁর দলবল। তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগও উঠেছে। এরপর স্থানীয়রা সাইদুলকে মারধর করেছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য, বেশ কয়েকজন যুবক একটি বাইকে এসে সাইদুলকে এলোপাথাড়ি কোপ মারে এবং দোকানে ভাঙচুর চালায়।

    তৃণমূল নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    এ বিষয়ে তারকেশ্বর তৃণমূল ব্লক সভাপতি প্রদীপ সিংহরায় বলেছেন, পার্টি অফিস দখল ঘিরে গন্ডগোলের সূত্রপাত। এই বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। পুলিশ-প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিষয়টি দেখা হচ্ছে।   

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Liquor factory: হুগলির মদের কারখানায় কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ঘিরে আয়কর দফতরের হানা

    Liquor factory: হুগলির মদের কারখানায় কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ঘিরে আয়কর দফতরের হানা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হুগলির মদের কারখানায় (Liquor factory) চলছে আয়কর হানা। চারদিক ঘিরে রেখেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। কড়া নিরপত্তায় চলছে তল্লাশি অভিযান। মঙ্গলবার ভোরবেলা থেকেই চলছে এই অভিযান। এলাকায় এই নিয়ে তীব্র শোরগোল পড়েছে।

    উল্লেখ্য, দুর্গাপুজোর সময়ে রাজ্যে মদের বিক্রি প্রচুর পরিমাণে হয়েছে। এই বছর ঝাড়গ্রামে পুজোর পাঁচ দিনে মোট ৪ কোটি ১৮ লাখ টাকার মদ বিক্রি হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। এটা বাকি জেলার তুলনায় সবথেকে বেশি। এই বছর আবগারি দফতর সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, গত বছরের তুলনায় এক কোটির বেশি টাকার মদ বিক্রি হয়েছে রাজ্যে। ফলে রাজ্যে এত টাকার মদ বিক্রি সাধারণ মানুষের কাছে অত্যন্ত চিন্তার বিষয়। ইতিমধ্যে মদের কারখানায় আয়কর দফতরের হানায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়।

    হুগলির কোন মদের কারখানায় হানা (Liquor factory)?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হুগলির অ্যালপাইন ডিস্‌টিলারিস প্রাইভেট লিমিটেড কারখানায় (Liquor factory) চলছে তল্লাশি। মোট পাঁচটি গাড়িতে করে আয়কর দফতরের অফিসাররা কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে হানা দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। এই কারখানা পোলবা থানার অন্তর্গত মহানাদ গ্রামে অবস্থিত। এই কারখানার মূল মালিক দিল্লির একটি সংস্থা। এখানকার ডিরেক্টরের নাম দেবরাজ মুখোপাধ্যায়। সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, এখানে বিশেষ ব্র্যান্ডের ‘রাম’ ওল্ড মঙ্ক বোতলজাতের কাজ করা হয়। এছাড়াও এখানে প্রচুর ইথানল উৎপাদন করা হয়। মদ উৎপাদনের জন্য এই কাঁচামাল ইথানল একটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় উপাদান।

    কারখানার কর্মীর বক্তব্য

    স্থানীয় সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, এই মদের কারখানায় (Liquor factory) পুরুষের তুলনায় মহিলারা বেশি কাজ করেন। কারখানায় মোট শ্রমিক কাজ করেন ৩০০ জন। আয়কর দফতর মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৪ টা থেকেই হানা দেওয়ায় এখনও পর্যন্ত কাজ বন্ধ রয়েছে। কাজে গেলে শ্রমিকদের কাজ করতে বাধা দেন নিরাপত্তা রক্ষীরা। কারখানার কর্মী মঞ্জু বাউল দাস বলেন, “সকাল ৮ টা থেকে সন্ধ্যে ৬ টা পর্যন্ত আমাদের কাজ করতে হয়। সকালে কাজে এলে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। একবার ভিতরে গেলে আর বাইরে যাওয়া যাবে না বলে জনিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাই আর ঢুকিনি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Antpur: স্বামী বিবেকানন্দ সন্ন্যাসের শপথ নিয়েছিলেন এখানেই, চলুন ঘুরে আসি হুগলির আঁটপুর

    Antpur: স্বামী বিবেকানন্দ সন্ন্যাসের শপথ নিয়েছিলেন এখানেই, চলুন ঘুরে আসি হুগলির আঁটপুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক সময় এই অঞ্চলের নাম ছিল “বিষখালি”। তৎকালীন বর্ধমান জেলার রেসিডেন্সির দেওয়ান আঁটর খাঁ-র নামে এই প্রাচীন জনপদের নতুন নামকরণ করা হয় “আঁটপুর” (Antpur)।বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুরের মতোই টেরাকোটার শিল্পশৈলীতে গড়া মন্দিরের জন্য বিখ্যাত এই আঁটপুর। এই মন্দিরগুলির মধ্যে সর্বাপেক্ষা উল্লেখযোগ্য হল রাধাগোবিন্দ জিউ-এর মন্দির। ১৭৮৬-১৭৮৭ সালে বর্ধমানের মহারাজের দেওয়ান কৃষ্ণরাম মিত্র এই মন্দিরটি নির্মাণ করেন। ১০০ ফুট উচ্চতার চারচালার ছাদ ও চারটি খিলানযুক্ত স্তম্ভের উপর দাঁড়িয়ে থাকা মন্দিরটির সর্বত্র টেরাকোটার অপূর্ব শিল্পকর্ম রয়েছে। গর্ভগৃহে রয়েছে কষ্টি পাথরের শ্রীকৃষ্ণ মূর্তি। মন্দিরটির চারকোণা গম্বুজ আকৃতির। দোলমঞ্চটিও অসাধারণ শিল্পসমৃদ্ধ।

    বিবেকানন্দের স্মৃতিধন্য ধুনি মন্দির (Antpur)

    এই মন্দিরের কাছেই বাণেশ্বর, জলেশ্বর, ফুলেশ্বর, রামেশ্বর মন্দির। সবকটিতেই রয়েছে অপূর্ব সুন্দর টেরাকোটার কাজ। এর কাছেই সারদা ভবন। আছে শ্রীরামকৃষ্ণ এবং মা সারদার স্মৃতি বিজড়িত এবং শ্রীরামকৃষ্ণর সাক্ষাৎ পার্ষদ স্বামী প্রেমানন্দ, অর্থাৎ বাবুরাম ঘোষেদের দুর্গাবাড়ি। স্বামী বিবেকানন্দের সঙ্গে তাঁর আট গুরুভাই এখানেই গৃহত্যাগ করে সন্ন্যাসের জন্য শপথ গ্রহণ করেন। সেই ঘটনাকে স্মরণ করে এখানে গড়ে উঠেছে ধুনি মন্দির। এক যাত্রাতেই দেখে নেওয়া যায় গৌড়ীয় বৈষ্ণব তীর্থ দ্বাদশ গোপালের অন্যতম পরমেশ্বর দাস ঠাকুরের শ্রীপাট আনরবাটি। মন্দিরে নিত্যানন্দ প্রভুর সেবিত খড়দহের আদি শ্রী শ্রী শ্যামসুন্দরের বিগ্রহ পূজিত হচ্ছেন। রাধাকৃষ্ণ ও বলরাম রূপে পূজিত হচ্ছেন শ্রী চৈতন্য এবং নিত্যানন্দ মহাপ্রভু। আছে প্রায় ৩০০ বছরেরও বেশি প্রাচীন একটি বকুল গাছ। হাতে সময় থাকলে দেখে নেওয়া যায় আঁটপুর (Antpur) থেকে ৬ কিমি দূরে রাজবলহাটে ১৭২৪  সালে নির্মিত আটচালা বিশিষ্ট রাধাকান্ত মন্দির, কবি হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্মভিটে প্রভৃতিও। এখানকার রাজবল্লভী মা তো খুবই জাগ্রত।

    কীভাবে যাবেন? (Antpur)

    আঁটপুর যাওয়ার জন্য হাওড়া স্টেশন থেকে তারকেশ্বর লোকাল ট্রেনে এসে নামতে হবে হরিপাল স্টেশনে। হরিপাল থেকে বাসে বা গাড়িতে মিনিট ৩০-৪০ এর পথ আঁটপুর। হাওড়া থেকে বাসে জাঙ্গিপাড়া এসে সেখান থেকে রিকশাতেও আসা যায় আঁটপুর (Antpur)। আর আঁটপুর থেকে বাসে বা গাড়িতে মিনিট পনেরোর পথ রাজবলহাট। কলকাতা থেকে সকালে বেরিয়ে সারাদিন আঁটপুর ঘুরে আবার সন্ধ্যার মধ্যেই ফিরে আসা যায় কলকাতায় ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: হুগলিতে সারের ব্যাপক দুর্নীতি! বিক্রি হচ্ছে দ্বিগুণ দামে, মাথায় হাত কৃষকদের

    Hooghly: হুগলিতে সারের ব্যাপক দুর্নীতি! বিক্রি হচ্ছে দ্বিগুণ দামে, মাথায় হাত কৃষকদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে তৃণমূলের শাসনে দুর্নীতির শেষ নেই। শিক্ষক নিয়োগ, রেশন বণ্টন, পুরসভা নিয়োগ, কয়লা, বালি, পাথর, মাটি, টিকিট বিক্রি এমনকী মৃতদেহের মতো এবার কৃষকের সার নিয়েও ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। সার বিক্রি হচ্ছে দ্বিগুণ দামে। কার্যত চাষিদের মাথায় হাত পড়েছে। আলুচাষের মরসুমে সারের কালবাজারির খোঁজ মিলতেই এবার হানাদিল হুগলি জেলা পুলিশ। হুগলির (Hooghly) গ্রামীণ এলাকায় ডিএসপি নিমাই চৌধরির নেতৃত্বে সিঙ্গুরে বেশ কিছু সারের দোকানে অভিযান চালানো হয় বলে জানা গিয়েছে। এলাকায় বেশ কিছুসময় ধরে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা সারের কারবারে কালবাজারি শুরু করেছে বলে খবর ছিল। জেলার ব্লকগুলির মধ্যে এই সময় একটা বিরাট চক্র চলছিল। আর তাই পুলিশের তল্লাশি অভিযান শুরু হয়। বিরোধীরা অবশ্য অভিযোগ করছেন সব দুর্নীতির মধ্যে তৃণমূল নেতাদের ভাগ রয়েছে।

    চাষিদের মূল অভিযোগ কী?

    শীতের শুরুতেই আলু চাষের পাশাপাশি সর্ষে, গম, ভুট্টা এবং সবজি ফলনের একটা সময় পর্ব চলে। সিঙ্গুরের চাষিরা জানিয়েছেন, “এই সময় চাষের জমিকে প্রস্তুত করতে চাষিরা ফসলের জমিতে সার দিতে হয়। ফলে সারের চাহিদা বাজারে বেশি থাকে। আর এই চাহিদায় সঙ্কট তৈরি করে অসাধু ব্যবসায়ীরা সারের কালোবাজারি করে। নির্ধারিত মূল্যের থেকে দ্বিগুণ মূল্যে সার বিক্রি করা চলছে এলাকায়। বারবার প্রশাসনকে জানিয়েও আশানুরূপ ফল পাওয়া যাচ্ছে না।” চাষিদের আরও অভিযোগ যে গোডাউনে সার মজুত রেখে বাজারে কৃত্রিম চাহিদার আবহ তৈরি করে চলছিল রমরমা সারের ব্যবসা। প্রশাসনের বিরুদ্ধে তাই সারের দাম নিয়ে কালোবাজারি বন্ধের অভিযোগ জানায় কৃষকরা। আর তাই অভিযোগ উঠতেই পুলিশ প্রশাসন, সিঙ্গুরে (Hooghly) একেবারে সক্রিয় হয়ে হানাদেয় বলে জানা যায়।

    পুলিশের বক্তব্য

    হুগলি (Hooghly) জেলার ডিএসপি পুলিশ আধিকারিক নিমাই চৌধরি বলেন, “আমাদের কাছে অনেক অভিযোগ জমা পড়েছে। বেশ কিছু দোকানে সারের দাম বেশি নেওয়া হচ্ছে। তাই আমরা এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে দোকানে দোকানে দাম যাচাই করছি। সারের বিক্রিতে দামে গরমিল পেলে আইন অনুয়ায়ি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এরপর সারা জেলাজুড়ে এই তাল্লাশি চলবে।” তবে কালোবাজারি রুখতে পুলিশ অতিরিক্ত সার মজুত আছে কিনা সেই বিষয়ে নজর রাখছেন। মজুত করা থাকলে সারের হিসাবের বিষয়টিকেও দোকানে দোকানে মিলিয়ে দেখেছেন পুলিশ আধিকারিক। দোকানে সারের মূল্যের তালিকা রয়েছে কিনা, সেই দিকগুলিও খতিয়ে দেখা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সকল দোকানের মালিককে বলা হয়েছে সারের মূল্যের তালিকা দোকানে ঝুলিয়ে রাখতে হবে।    

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: স্কুলে দিদিমণি নেই, দ্বিতীয় শ্রেণির ক্লাস নিতে হচ্ছে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে

    Hooghly: স্কুলে দিদিমণি নেই, দ্বিতীয় শ্রেণির ক্লাস নিতে হচ্ছে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কুলে দিদিমণি নেই, দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রীদের ক্লাস নিচ্ছে চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রী। রাজ্য জুড়ে শিক্ষা ব্যবস্থার যে কতটা কঙ্কালসার অবস্থা, তার চিত্র আরও একবার নজরে উঠে এসেছে এই ঘটনায়। স্কুলের খারাপ মিড ডে মিল, ভাঙা ঘর, শৌচালয়ের বেহাল অবস্থা সম্পর্কে নানা খবর আগেও জানা গিয়েছিল। এবার শিক্ষকের অভাবে ক্লাস নিচ্ছে স্কুলেরই ছাত্রী। এমন ঘটনা ঘটেছে হুগলির (Hooghly) গোঘাট ২ নম্বর বিডিও অফিসের কাছে মান্দারণ দাসপাড়া শিশু শিক্ষা নিকেতনে। এরপর খবর জানতেই তীব্র উত্তেজনা শুরু হয়েছে।

    রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ব্যাপক উত্তেজনা চলছে। নিজেদের চাকরির দাবিতে চাকরিপ্রার্থীরা ধর্নামঞ্চে বসে আন্দোলন করছেন। অথচ রাজ্যে শিক্ষকের অভাবে ক্লাস নিচ্ছে স্কুলের পড়ুয়ারাই।

    কীভাবে চলছে স্কুল (Hooghly)?

    স্থানীয় (Hooghly) সূত্রে জানা গিয়েছে, সরকারি হিসাবে স্কুলের মোট পড়ুয়া হল ১০৫। শিক্ষিকা রয়েছেন মাত্র ২ জন। কিন্তু  ক্লাস নেন একজনই। তবে স্কুলে যিনি ক্লাস নেন তাকে নানান কাজে বাইরে থাকতে হয়। তিন মাসে মাত্র একদিন তিনি স্কুলে আসেন বলে জানা গিয়েছে। স্কুল পড়ুয়ার অভিভাবকদের দাবি, স্কুলে মিড ডে মিলে পুষ্টিকর খাবার দেওয়া হয় না বললেই চলে। কোনও দিন পাতে ডিম দিলেও আবার অধিকাংশ দিনে দেওয়া হয় না বলেই অভিযোগ উঠেছে।

    চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী ক্লাস নেন

    হুগলির (Hooghly) এই স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, স্কুলে বেশিরভাগ দিনে শিক্ষিকা না থাকায় ক্লাস নিতে হয় চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে। এই চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী পারভিন খাতুন বলে, “আমাদের স্কুলে দিদিমণি বেশি নেই। তাই আমি দ্বিতীয় শ্রেণির ক্লাস নিয়ে থাকি। আমি মূলত বাংলার ক্লাস নিয়ে থাকি।”

    স্কুল শিক্ষিকার বক্তব্য

    স্কুলের (Hooghly) সহকারী শিক্ষিকা শ্যামলী রায় বলেন, “আমরা মাত্র দু’জন স্টাফ। সেই সঙ্গে স্কুলের রান্নার ব্যবস্থা করতে হয়। আমি একা তাই ক্লাস নিতে অসুবিধা হলে বলি চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে ক্লাস নিতে।” এই বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করলে গোঘাট ২ ব্লকের বিডিও কুন্তলকুমার মণ্ডল বলেন, “বিষয়টি সম্পর্কে এখনও কিছু জানা নেই। তবে প্রধান শিক্ষিকাকে মিড ডে মিলের কাজের জন্য বাইরে যেতে হয়।”

           

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share