Tag: INDEPENDENCE DAY

INDEPENDENCE DAY

  • 75th Independence Day: স্বাধীনতা দিবসে এবার লালকেল্লায় কোন বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা? জানুন  

    75th Independence Day: স্বাধীনতা দিবসে এবার লালকেল্লায় কোন বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা? জানুন  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাধীনতার ৭৫ বছর (75th Independence) পূর্তি  উৎসব। পালিত হবে ৭৬ তম স্বাধীনতা দিবস (Independence Day)। এই উপলক্ষে সেজে উঠেছে দিল্লির লালকেল্লা (Red Fort)। স্বাধীনতা দিবসেব ঢের আগেই আক্ষরিক অর্থেই নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে লালকেল্লা। স্বাধীনতা দিবসে এই লালকেল্লা থেকেই জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)।

    জানা গিয়েছে, এবারের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিতের সংখ্যা হাজার সাতেক। তাঁদের নিরাপত্তার গড়ে তোলা হয়েছে বহুস্তরীয় নিরাপত্তা বলয়। বসানো হয়েছে হাজার হাজার সিসিটিভি ক্যামেরা। মোতায়েন করা হয়েছে সশস্ত্র বাহিনী,  অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র সজ্জিত বিশেষ বাহিনীও। অনুষ্ঠান স্থলের প্রতিটি এন্ট্রি পয়েন্টে বসানো হয়েছে ফেসিয়াল রিকগনিশন সিস্টেম। স্বাধীনতা দিবসে অন্তত ১০ হাজার সশস্ত্র পুলিশ কর্মী ঘিরে থাকবে লালকেল্লা চত্বর। জাতীয় পতাকা উত্তোলন না হওয়া পর্যন্ত লালকেল্লার আশপাশের ৫ কিলোমিটার এলাকাকে ঘোষণা করা হয়েছে নো কাইট ফ্লাইং জোন। ৪০০ কাইট ক্যাচার ও ফ্লায়ারও মোতায়েন করা হয়েছে। ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন ও অন্যান্য নিরাপত্তা সংস্থার তরফে অ্যান্টি-ড্রোন সিস্টেমও ইনস্টল করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন : স্বাধীনতা-৭৫ এর সংকল্প হোক আত্মনির্ভর ভারত

    জানা গিয়েছে, প্রতিটি এন্ট্রি পয়েন্টে থাকবেন একজন করে আইপিএস পদমর্যাদার আধিকারিক। দিল্লির স্পেশাল পুলিশ কমিশনার দীপেন্দ্র পাঠক জানান, ইতিমধ্যেই দিল্লি জুড়ে জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা। লাঞ্চ বক্স, জলের বোতল, রিমোট চালিত গাড়ির চাবি নিয়ে অনুষ্ঠান স্থলে প্রবেশ করা যাবে না। তিনি জানান, অনুষ্ঠান শেষ না পর্যন্ত কেউ ঘুড়ি, বেলুন কিংবা চিনে লণ্ঠন ওড়ালে তাকে শাস্তি দেওয়া হবে। দিল্লি পুলিশের ওই আধিকারিক জানান, বিভিন্ন জায়গায় কাইট ক্যাচার বসানো হয়েছে। এই কাইট ক্যাচারগুলি কোনও ঘুড়ি, বেলুন কিংবা চিনা লণ্ঠন অনুষ্ঠান স্থলে পৌঁছানোর আগেই ধরে ফেলবে। জানা গিয়েছে, লালকেল্লার অনুষ্ঠান যাতে নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয়, সেজন্য বসানো হচ্ছে রাডারও। দিল্লি পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে পুলিশি পেট্রোলিং বাড়ানো হয়েছে। এলাকার হোটেল, গেস্টহাউস, পার্কিংলট এবং রেস্তঁরাগুলি নিয়মিত পরীক্ষা করা চলছে। এলাকার ভাড়াটে এবং বাইরে থেকে আসা লোকজন সম্পর্কেও নেওয়া হচ্ছে পুঙ্খানুপুঙ্খ খোঁজখবর।

    আরও পড়ুন : মমতার স্বাধীনতা প্রোফাইলে নেহরু বাদ, এলেন সর্দার প্যাটেল, অরবিন্দ

     

  • Bengaluru Idgah Maidan: স্বাধীনতা দিবসে ইতিহাস, ইদগাহ ময়দানে উড়ল তেরঙা  

    Bengaluru Idgah Maidan: স্বাধীনতা দিবসে ইতিহাস, ইদগাহ ময়দানে উড়ল তেরঙা  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশজুড়ে মর্যাদার সঙ্গে পালিত হল স্বাধীনতার (Independence) পঁচাত্তর বছর পূর্তি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) ডাকে পালিত হয়েছে হর ঘর তিরঙ্গা (Har Ghar Tiranga) কর্মসূচিও। স্বাধীনতা দিবসে সর্বত্রই উত্তোলন করা হয়েছে জাতীয় পতাকা (National Flag)। ছোট জনপদেও পালিত হয়েছে আজাদি কা অমৃত মহোৎসব (Azadi Ka Amrit Mahotsav)। স্বাধীনতার ৭৬ তম বর্ষে সৃষ্টি হল আরও একটি ইতিহাসের। সেটি হল, এই প্রথম জাতীয় পতাকা উড়ল কর্নাটকের বেঙ্গালুরুর ইদগাহ ময়দানে (Idgah Maidan)। স্বাধীনতার পর এই প্রথম এখানেও স্বাড়ম্বরে পালিত হল স্বাধীনতা দিবস।

    স্বাধীনতা দিবসে দেশের সর্বত্র জাতীয় পতাকা উড়লেও, এতদিন এই পতাকা ওড়ানো হত না বেঙ্গালুরুর এই ইদগাহ ময়দানে। কারণ এই ময়দানের দখলদারি নিয়ে বিতর্ক থাকায় এতদিন এখানে জাতীয় পতাকা ওড়ানো হত না। ছামারাজপতের এই ইদগাহ ময়দানের মালিকানা কার, তা নিয়ে ছিল বিতর্ক। তাই স্বাধীনতা দিবসে অতি ছোট মহল্লায় জাতীয় পতাকা উড়লেও, এই ময়দানে উড়ত না। এতদিন এ নিয়ে কেউ কোনও উচ্চবাচ্য না করলেও, সম্প্রতি স্থানীয় কয়েকটি গোষ্ঠী ঘোষণা করে, স্বাধীনতা দিবসে এই ইদগাহ ময়দানে উড়বে জাতীয় পতাকা। মর্যাদার সঙ্গে পালিত হবে ৭৬ তম স্বাধীনতা দিবস। ঠিক হয়, জাতীয় পতাকা উত্তোলন করবেন রাজস্ব দফতরের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার পর্যায়ের কোনও আধিকারিক। সেই মতো স্বাধীনতা দিসবের আগেই কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয় গোটা তল্লাট। নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে মোতায়েন করা হয় র‌্যাফ, সিটি আর্মড রিজার্ভ এবং কর্নাটক স্টেট রিজার্ভ পুলিশ। তার পরেই ওড়ে তেরঙা পতাকা।

    আরও পড়ুন : স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরেও প্রাসঙ্গিক শ্রী অরবিন্দর জীবনদর্শন! আজ তাঁর ১৫০তম জন্মজয়ন্তী

    কেন এতদিন এই ময়দানে উত্তোলন করা হত না জাতীয় পতাকা? জানা গিয়েছে, কর্নাটক স্টেট ওয়াকফ বোর্ড ১৯৬৫ সালের একটি গেজেট নোটিফিকেশন দেখিয়ে দাবি করে, জমিটি ওয়াকফ বোর্ডের সম্পত্তি। যদিও ১৯৭৪ সালের সিটি সার্ভে রেকর্ড এবং অন্যান্য সিভিক রেকর্ড অনুযায়ী দেখা যায়, জমিটি একটি খেলার মাঠ। সম্প্রতি কর্নাটক স্টেট ওয়াকফ বোর্ডের দাবি খারিজ করে দেয় সিটি সিভিক বডি বৃহৎ  বেঙ্গালুরু মহানগর পালিকে (Brihat Bengaluru Mahanagara Palike)। তারা জানিয়ে দেয়, জমিটি কর্নাটক সরকারের রাজস্ব দফতরের। তার পরেই অবসান হয় কয়েক দশক ধরে চলা বিতর্কের। পালিত হয় স্বাধীনতা দিবস।

    আরও পড়ুন :ভারত নিজের অধিকারেই বিশ্বে সম্মানিত, স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা বার্তায় পুতিন

  • Independence Day: দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি কামানেই উদযাপন হবে আজাদি কা অমৃত মহোৎসব

    Independence Day: দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি কামানেই উদযাপন হবে আজাদি কা অমৃত মহোৎসব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফি বছর স্বাধীনতা দিবস (Independence Day) উপলক্ষে হয় একুশবার তোপধ্বনি (Gun Salute)। এ বছরও হবে। এতদিন বিদেশে তৈরি কামানেই দাগা হত তোপ। স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে এবার পালিত হচ্ছে আজাদি কা অমৃত মহোৎসব। এবারও ১৫ অগাস্ট (15th August) স্বাধীনতা দিবসের কর্মসূচিতে দাগা হবে তোপ। এবারই প্রথমবার ওই তোপধ্বনি হবে ভারতে তৈরি হাউইৎজার (Howitzer) কামানে। প্রতিরক্ষা সচিব অজয় কুমার জানান, ঐতিহ্যবাহী ব্রিটিশ কামানের পাশাপাশি এবার ভারতে তৈরি হাউইৎজার কামানও ব্যবহার করা হবে তোপধ্বনিতে।

    জানা গিয়েছে, ভারত সরকারের মেইড ইন ইন্ডিয়া প্রকল্পের অধীনে তৈরি হয়েছে এই কামান। আত্মনির্ভর ভারত প্রকল্পের অধীনে দেশের প্রতিরক্ষা খাতকে আরও স্বাবলম্বী করে তুলতে চাইছে কেন্দ্র। ২০১৩ সালে ডিআরডিও-র আর্টিলারি গান সিস্টেম প্রকল্প শুরু হয়েছিল। পুরানো কামানের বদলে নয়া ১৫৫ মিলিমিটারের কামান নিয়ে আসার জন্য চালু করা হয়েছিল এই প্রকল্প। ভারত ফোর্জ লিমিটেড ও টাটা অ্যাডভান্সড সিস্টেমস লিমিটেডের সঙ্গে মিলে ডিআরডিও এই হাউইৎজার কামান তৈরি করে। ৪৮ কিমি দূর পর্যন্ত লক্ষ্য ভেদ করতে পারে এই কামান। স্বাধীনতা দিবসের দিন লালকেল্লায় ভারতীয় সেনার গান স্যালুটে ব্যবহৃত হবে সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ওই কামান। অজয় কুমার জানান, ডিআরডিও-র পুণের আর্মামেন্ট রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট এস্টাবলিশমেন্টের একটি বিশেষ দল এই গান স্যালুট পরিচালনা করবে।

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দাবি, দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এই হাউইৎজার কামান বিশ্বের অন্যতম সেরা। অক্সিলারি পাওয়ার মোড, স্বয়ংক্রিয় নির্দেশ ও নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা, ওয়্যারলেস স্টেট অব দ্য আর্ট কমিউনিকেশন সিস্টেমও রয়েছে সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এই কামান। এর মাধ্যমে যুদ্ধক্ষেত্রে মোতায়েন প্রতিটি এটিএজিএস বিশেষ প্রযুক্তির মাধ্যমে সংযোগ ও সমন্বয় বজায় রাখতে পারে। রাতের অন্ধকারেও যাতে শত্রুপক্ষকে খুঁজে বের করা যায়, সেজন্য প্রয়োজনীয় নাইট ভিশন প্রযুক্তিও রয়েছে এই কামানে। এককথায়, অনবদ্য এই কামানেই এবার উদযাপন হবে আজাদি কা অমৃত মহোৎসব।

     

  • National Flag: জাতীয় পতাকা উত্তোলন করবেন? জানুন কী করবেন আর কী করবেন না

    National Flag: জাতীয় পতাকা উত্তোলন করবেন? জানুন কী করবেন আর কী করবেন না

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাত পোহালেই স্বাধীনতার পঁচাত্তর বছর পূর্তি। পালিত হবে ছিয়াত্তরতম স্বাধীনতা দিবস। স্বাধীনতার (Independence Day) পঁচাত্তর বর্ষ পূর্তি উপলক্ষে চলছে আজাদি কা অমৃত মহোৎসব। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে নানা অনুষ্ঠানের। তারই একটি হল আজাদি কা অমৃত মহোৎসব (Azadi Ka Amrit Mahotsav)। এই অনুষ্ঠান পালন করতে দেশের প্রতিটি নাগরিককে আহ্বান জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। সম্প্রতি মন কী বাত অনুষ্ঠানে এনিয়ে ঘোষণাও করেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। পালন করতে বলেন হর ঘর তিরঙ্গা (Har Ghar Tiranga) কর্মসূচিও। এই কর্মসূচি রূপায়ণ করতে জাতীয় পতাকা (National Flag) উত্তোলনে নিয়ে আসা হয়েছে বেশ কিছু বদল।

    অগাস্টের প্রথম সপ্তাহেই সংশোধন করা হয়েছে ভারতীয় পতাকা বিধি ২০২২। ফ্ল্যাগ কোড অফ ইন্ডিয়া ২০২২ এর দ্বিতীয় ভাগের ২.২ অনুচ্ছেদের ১১ নম্বর ধারা অনুযায়ী জাতীয় পতাকা যে কোনও ভারতীয় নাগরিকের বাড়িতে যে কোনও সময়ই তোলা যেতে পারে। রাতের বেলায়ও। তবে এই পতাকার আকার বড় হতে হবে। ছেঁড়া পতাকা কখনওই উত্তোলন করা যাবে না। আগে নিয়ম ছিল, সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্তই কেবল জাতীয় পতাকা তোলা যাবে। পলিয়েস্টারের তৈরি কিংবা মেশিনে তৈরি পতাকা উত্তোলনের অনুমতি ছিল না। এখন হাতে বা মেশিনে তৈরি সব ধরনের পতাকাই তোলা যাবে।

    আরও পড়ুন : স্বাধীনতা দিবসের উৎসবে ভিড় এড়িয়ে চলুন, সতর্ক করল কেন্দ্র

    জেনে নিন জাতীয় পতাকা তোলার সময় কী করবেন, আর কী করবেন না। হাতে কাটা, বোনা, মেশিনে তৈরি করা তুলো, সিল্ক বা খাদির পতাকা উত্তোলন করা যাবে। কোনও অবস্থায়ই জাতীয় পতাকা মাটিতে রাখা যাবে না। পতাকায় কোনও অক্ষর লেখা যাবে না। জাতীয় পতাকার রংয়ের পোশাক কখনওই পরা উচিত নয়। বাণিজ্যিকভাবে এই পতাকা ব্যবহার করা যাবে না। বিকৃত পতাকা উত্তোলন করা যাবে না। জাতীয় পতাকার সঙ্গে অন্য কোনও পতাকা থাকলে, জাতীয় পতাকার স্থান হবে সবার ওপরে। যে দণ্ডে জাতীয় পতাকা থাকবে, সেখানে অন্য কোনও পতাকা রাখা যাবে না। পতাকার গেরুয়া রং সব সময় ওপরে থাকবে। ছেঁড়া কিংবা বিবর্ণ পতাকা উত্তোলন করা যাবে না। কোনও ব্যক্তির মৃতদেহের সঙ্গে কফিনে কিংবা চিতায় জাতীয় পতাকা দেওয়া যাবে না। পতাকার সঠিক অনুপাত হল ৩.২। জাতীয় পতাকার যেন অর্ধেক উত্তোলন না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। পতাকার শীর্ষে কোনও কিছুই রাখা যাবে না। এমনকী ফুলের মালাও।

    আরও পড়ুন : খুনের ভার পড়েছিল নূপুর শর্মাকে! উত্তর প্রদেশ পুলিশের জালে জঙ্গি

     

  • National Flag on Car Rule:  স্বাধীনতা দিবসে গাড়িতে পতাকা লাগানোর কথা ভাবছেন? তাহলে আগে জানুন এই নিয়ম

    National Flag on Car Rule:  স্বাধীনতা দিবসে গাড়িতে পতাকা লাগানোর কথা ভাবছেন? তাহলে আগে জানুন এই নিয়ম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের ৭৫তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দেশবাসীকে ‘হর ঘর তিরঙ্গা‘ (Har Ghar Tiranga) অভিযানের শামিল হওয়ার ডাক দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)। ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’-এর অঙ্গ হিসেবে কেন্দ্রীয় সরকার এই অভিযানটি শুরু করেছে। ৩১ জুলাই প্রধানমন্ত্রী ‘মন কী বাত’ এই কর্মসূচির উল্লেখ করেন। সেখানেই দেশবাসীকে নিজের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টের প্রোফাইল পিকচারে জাতীয় পতাকার ছবি লাগানোর অনুরোধ করেছেন মোদি। ২ অগাস্ট থেকেই এই অভিযান শুরু করার আর্জি জানান তিনি। নিজের প্রোফাইলের ছবি বদলে তার সূচনাও করেছেন প্রধানমন্ত্রী। 

    আরও পড়ুন: ‘হর ঘর তেরঙ্গা’ অভিযানে শামিল হবেন কীভাবে? সার্টিফিকেট কী করে ডাউনলোড করবেন? জেনে নিন

    অনেকেই  স্বাধীনতা দিবসের দিন বাড়িতে পতাকা উত্তোলন করেন। অনেকেই আবার নিজের সাধের গাড়িটিতে (Car Rule) তেরঙ্গা লাগাতে পছন্দ করেন। সেক্ষেত্রে চাইলেই যেমন তেমন করে গাড়িতে জাতীয় পতাকা লাগিয়ে নেওয়া যাবে না। তার আগে জেনে নিতে হবে বেশ কিছু নিয়ম। ভারতের ফ্ল্যাগ কোড অনুসারে গাড়িতে পতাকা সবাই লাগাতে পারেন না। পতাকা লাগানোর নিয়ম কী এবং কাদের গাড়িতে জাতীয় পতাকা লাগানোর অধিকার দিয়েছে ভারত সরকার তা আগে জেনে নিতে হবে। 

    আরও পড়ুন: “রাজনীতিকরণ অনভিপ্রেত”, সোশ্যাল হ্যান্ডলে তিরঙ্গা ডিপি ইস্যুতে কটাক্ষের জবাব আরএসএস-এর

    কারা গাড়িতে ভারতের জাতীয় পতাকা লাগাতে পারেন? 

    ২০০২ সালের ন্যাশনাল ফ্ল্যাগ কোড (Flag Code) অনুযায়ী যারা গাড়িতে জাতীয় পতাকা লাগাতে পারবেন তারা হলেন, 

    • দেশের রাষ্ট্রপতি
    • উপরাষ্ট্রপতি
    • রাজ্যপাল
    • লেফটেন্যান্ট গভর্নর
    • প্রধানমন্ত্রী
    • মন্ত্রিপরিষদ মন্ত্রী
    • প্রতিমন্ত্রী
    • উপমন্ত্রী
    • মুখ্যমন্ত্রী
    • রাজ্যের মন্ত্রী
    • হাইকোর্টের বিচারপতিরা
    • লোকসভা স্পিকার
    • রাজ্যসভা স্পিকার
    • বিধানসভা স্পিকার 

    পতাকা গাড়িতে লাগানোর নিয়ম কী?

    কোনও বিদেশী অতিথি সরকার প্রদত্ত গাড়িতে ভ্রমণ করলে ভারতের জাতীয় পতাকা গাড়ির ডান পাশে এবং ওই ব্যক্তি যে দেশের, সেই পতাকা গাড়ির বাম পাশে রাখতে হবে। এছাড়া অন্য কেউ গাড়িতে পতাকা লাগালে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। 

    ২০০৪ সালের আগে, শুধুমাত্র সরকারি বিভাগ, অফিস এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পতাকা উত্তোলনের অনুমতি ছিল। ২০০৪ সালে, ভারত সরকার বনাম নবীন জিন্দাল মামলার শুনানির সময়, সুপ্রিম কোর্ট বলেছিল যে প্রত্যেক ভারতীয়ের তেরঙ্গা উত্তোলনের অধিকার রয়েছে। কিন্তু এখনও সবাইকে গাড়িতে জাতীয় পতাকা লাগানোর অনুমতি দেয়নি সরকার। সাধারণ মানুষ গাড়ির সামনে পতাকা ব্যবহার করতে পারেন না। ভারতের সাধারণ নাগরিককে শুধুমাত্র গাড়ির ড্যাশবোর্ড বা উইণ্ডস্ক্রিনে মিনিয়েচর জাতীয় পতাকা লাগানোর অধিকার দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।  

  • Har Ghar Tiranga:  মোদির ডাকে প্রতি ঘরে জাতীয় পতাকা তোলার অভিযানে না মমতার

    Har Ghar Tiranga: মোদির ডাকে প্রতি ঘরে জাতীয় পতাকা তোলার অভিযানে না মমতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ জাতীয় পতাকা উত্তোলন নিয়েও কেন্দ্রের সঙ্গে বিরোধে জড়াল নবান্ন। নরেন্দ্র মোদি ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন তাই ঘরে ঘরে এ রাজ্যে জাতীয় পতাকা তোলার ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ অভিযানে সামিল হচ্ছেন না তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত সরকারের মুখিয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি মধ্যরাতে স্বাধীনতা দিবস পালন করবেন। ১৪ অগাস্ট বাঙালির কাছে যতটা না আনন্দের তার চেয়েও বেশি দেশভাগের বেদনার।

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঘোষণা করেছেন, স্বাধীনতার ৭৫ বছরে দেশের প্রতিটি বাড়িতে জাতীয় পতাকা তোলা  হোক। কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার এবং সংস্কৃতি মন্ত্রক প্রতিটি রাজ্যকে এ নিয়ে বিশেষ অভিযান চালানোর নির্দেশ দিয়েছে। রাজ্যগুলির সহযোগিতা চেয়ে কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসবে দেশের ৩০ কোটি বাড়িতেই পতাকা উঠুক। ১৩-১৪-১৫ অগাষ্ট এই তিন দিন ধরে ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ বা প্রতি বাড়িতে তেরঙা তোলার আবেদন জানিয়েছে দিল্লি। ডাক বিভাগের তরফে দেশের প্রতিটি ডাকঘরে স্বল্পমূল্যে জাতীয় পতাকা সরবরাহ করা হয়েছে। সূত্রের খবর, দেশের সবকটি রাজ্য এই অভিযানে সামিল হলেও পশ্চিমবঙ্গ জাতীয় পতাকা উত্তোলের অভিযানে আলাদা করে সামিল না হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী পর্যন্ত নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় ডিসপ্লে পিকচারে জাতীয় পতাকার ছবি দিয়েছেন, যদিও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বা তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা কেউ সেই পথে হাঁটেননি।

    গত সপ্তাহে ‘আজাদি কি অমৃত মহোৎসব’ সংক্রান্ত প্রধানমন্ত্রীর ডাকা এক বৈঠকে হাজির হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকেও প্রধানমন্ত্রী ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ অভিযান নিয়ে রাজ্যগুলিকে সক্রিয় হতে অনুরোধ করেন। কলকাতা ফিরে এসেও মুখ্যমন্ত্রী এ ব্যাপারে কোনও নির্দেশ দেননি। রাজ্যের তথ্য সংস্কৃতি দফতরের এক কর্তা জানান, এ রাজ্যে প্রতি বছর যেমন স্বাধীনতা দিবস পালন হয় তেমনই হবে। সমস্ত সরকারি দফতরে জাতীয় পতাকা তোলা হবে। সেজন্য জেলাগুলিকে প্রয়োজনীয় জাতীয় পতাকা সংগ্রহ করার কথা বলা হয়েছে। আলাদা ভাবে কোনও অভিযানে সামিল হয়ে বাড়ি বাড়ি জাতীয় পতাকা তোলার কর্মসূচি সরকারিভাবে নেওয়া হয়নি।

    ডাক বিভাগের তরফেও জানানো হয়েছে, রাজ্যের সমস্ত ডাকঘরে জাতীয় পতাকা মজুত করা হয়েছে। বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সরকারি দফতর জাতীয় পতাকা কিনে নিয়ে গিয়েছে। বিএসএফ, সিআরপিএফ, সিআইএসএফের মতো সংস্থাও হাজার হাজার জাতীয় পতাকা কিনেছে। কিন্তু রাজ্য সরকারের তরফে কোনও বরাত আসেনি। ডাক বিভাগের তরফে বার বার রাজ্যের বিভিন্ন বিভাগকে অনুরোধ করা হলেও কোনও সাড়া মেলেনি। শুধুমাত্র পুলিশ রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের তরফে কিছু সংখ্যক জাতীয় পতাকা কেনা হয়েছে।

    নবান্নর কর্তাদের দাবি, শীর্ষস্তর থেকে প্রতি বাড়িতে জাতীয় পতাকা তোলার কেন্দ্রীয় কর্মসূচিতে সামিল হওয়ার কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়নি। সেই কারণে বিভিন্ন দফতরে জাতীয় পতাকা তোলার সরকারি কর্মসূচি যেমন প্রতিবার থাকে তেমনই হচ্ছে। বাড়তি পতাকার কোনও প্রয়োজন পড়েনি। যদি প্রয়োজন হয় জেলাশাসকেরা তা সংগ্রহ করে নিয়েছেন।

  • Tricolour Hoisting Rule: জাতীয় পতাকা উত্তোলনের সঠিক নিয়ম জানেন তো? মাথায় রাখুন এই বিষয়গুলি

    Tricolour Hoisting Rule: জাতীয় পতাকা উত্তোলনের সঠিক নিয়ম জানেন তো? মাথায় রাখুন এই বিষয়গুলি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাধীনতার (Independence) ৭৫ বছর উপলক্ষ্যে এবার দেশের পতাকা (Flag) নিয়মে (Rule) বিরাট পরিবর্তন করেছে ভারত সরকার। আগে সূর্যোদয়ের পর পতাকা উত্তোলন করা হত আর সূর্যাস্তের আগেই সেই পতাকা নামিয়ে নিতে হতো। এবার ২৪ ঘণ্টাই আকাশে পতাকা ওড়াতে পারবেন আপনি। আগে ভারতের জাতীয় পতাকা শুধুমাত্র খাদির কাপড় দিয়ে তৈরি হত। কিন্তু এবার থেকে সুতি, উল, সিল্ক, হাতে তৈরি বা মেশিনে তৈরি এই সব পতাকা উত্তোলনেরই অনুমতি দিয়েছে ভারত সরকার।  

    আরও পড়ুন: প্রোফাইলে তেরঙ্গা! নিজে ছবি বদল করে সকলকে এই কর্মসূচিতে আহ্বান জানালেন প্রধানমন্ত্রী

    স্বাধীনতা দিবসের দিন অনেকেই নিজের বাড়িতে পতাকা উত্তোলন করে থাকেন। কিন্তু পতাকা উত্তোলনের ক্ষেত্রে মেনে চলতে হবে বেশ কিছু নিয়ম।

    আরও পড়ুন: হর ঘর তিরঙ্গা আন্দোলনে অংশ নিন, মন কি বাতে অনুরোধ মোদির   

    জেনে নিন সেই নিয়মগুলি কী কী? 

    • জাতীয় পতাকা উত্তোলনের সময় সবসময় মনে রাখতে হবে যে, জাতীয় পতাকার কোনওভাবেই যেন অবমাননা না হয়। ছেড়া বা নোংরা পতাকা উত্তোলন করা যাবে না।  
    • জাতীয় পতাকা দিয়ে কোনও ব্যক্তি বা বস্তুকে অভিবাদন জানানো উচিত নয়।
    • তেরঙ্গার সমান উচ্চতায় বা বেশি উচ্চতায় অন্য কোনও পতাকা রাখা যাবে না।
    • ফুল, মালা বা অন্য কোনও বস্তু, যেখান থেকে পতাকাটি ওড়ানো হয়, সেই ফ্ল্যাগমাস্টের উপরে রাখা উচিত নয়। 
    • পতাকা ফেস্টুন, রোসেট, বান্টিং বা অন্য কোনওভাবে সাজসজ্জার জন্য ব্যবহার করা উচিত নয়।
    • জাতীয় পতাকা মাটিতে বা মেঝেতে বা জলে রাখা যাবে না।
    • অন্য কোনও পতাকার সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা যাবে না।
    • জাতীয় পতাকাকে কোমরের নীচে পোশাক বানিয়ে পরা যাবে না। জাতীয় পতাকার ওপর কোনও কারুকার্য করা যাবে না। 
    • জাতীয় পতাকার ওপর কোনও লেখা থাকবে না। জাতীয় পতাকা দিয়ে কোনও গাড়ির ওপর, নীচ বা পেছন দিক আবৃত করা যাবে না।  

     

  • Har Ghar Tiranga: প্রোফাইলে তেরঙ্গা! নিজে ছবি বদল করে সকলকে এই কর্মসূচিতে আহ্বান জানালেন প্রধানমন্ত্রী

    Har Ghar Tiranga: প্রোফাইলে তেরঙ্গা! নিজে ছবি বদল করে সকলকে এই কর্মসূচিতে আহ্বান জানালেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাধীনতা দিবসের আগে সকলকে সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইল ছবি হিসেবে জাতীয় পতাকা ব্যবহার করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)। আজ ২ আগস্ট থেকেই এই অভিযান শুরু করার আর্জি জানান তিনি। নিজের প্রোফাইলের ছবি বদলে তার সূচনাও করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “২ অগস্ট পিঙ্গালি বেঙ্কাইয়াজির জন্মদিন। তিনিই আমাদের জাতীয় পতাকার নকশা তৈরি করেছিলেন। তাঁর প্রতি আমি আমার শ্রদ্ধার্ঘ্য জানাই।” সকলেই যেন এই কাজে এগিয়ে আসেন, আহ্বান মোদির।

    স্বাধীনতার ৭৫ তম বার্ষিকীতে ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’ এর অংশ হিসেবে এবছর বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এটি একটি গণ আন্দোলনে পরিণত হচ্ছে। আসুন আমরা আমাদের বাড়িতে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে এই আন্দোলনকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাই।’ গত রবিবার তাঁর ‘মন কি বাত’ রেডিও সম্প্রচারে মোদি জনগণকে ২ থেকে ১৫ আগস্টের মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইলে জাতীয় পতাকার ছবি রাখার আহ্বান জানিয়েছিলেন। সেই মতোই এদিন নিজের প্রোফাইল পিকচার বদলান মোদি। 

    I pay homage to the great Pingali Venkayya on his birth anniversary. Our nation will forever be indebted to him for his efforts of giving us the Tricolour, which we are very proud of. Taking strength and inspiration from the Tricolour, may we keep working for national progress.

     প্রধানমন্ত্রীর কথায়, “আজাদি কি অমৃত মহোৎসব অনুষ্ঠানের আওতায় একটি বিশেষ আন্দোলন হচ্ছে– হর ঘর তিরঙ্গা। এই বিষয়ে আমার একটি পরামর্শ রয়েছে। প্রত্যেকের সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইলে তিরঙ্গা লাগানো হোক। এই আন্দোলনকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে আমাদের বাড়িতে জাতীয় পতাকা তোলা হোক।” প্রধানমন্ত্রীর মতোই প্রোফাইল পিকচারে তেরঙ্গা ব্যবহার করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিজেপির সর্বভারতীয় প্রেসিডেন্ট জে পি নাড্ডা।

    আরও পড়ুন: নতুন আইএসআইএস মডিউলের খোঁজ, ছয় রাজ্যে তল্লাশি চালাল এনআইএ

  • Modi Mann Ki Baat: হর ঘর তিরঙ্গা আন্দোলনে অংশ নিন, মন কি বাতে অনুরোধ মোদির

    Modi Mann Ki Baat: হর ঘর তিরঙ্গা আন্দোলনে অংশ নিন, মন কি বাতে অনুরোধ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হর ঘর তিরঙ্গা আন্দোলনে অংশ নিন। রবিবার মন কি বাত (Mann Ki Baat) অনুষ্ঠানে দেশবাসীকে এই আহ্বান জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ৭৫ বছরের  স্বাধীনতা দিবসকে (Independence Day) ঐতিহাসিকও আখ্যা দেন তিনি।

    এদিন মন কি বাত অনুষ্ঠানের প্রথম দিকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজাদির অমৃত মহোৎসবের অধীনে আগামী ১৩ থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত আমরা হর ঘর তিরঙ্গা কর্মসূচি পালন করব। আপনারাও সকলে এই কর্মসূচির অংশ হোন। এবং নিজের বাড়িতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করুন। ২ থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত সোশ্যাল মিডিয়ার প্রোফাইল পিকচারে তিরঙ্গা (Tricolor) ব্যবহারের অনুরোধও জানান তিনি।.

    ৩১ জুলাই বিপ্লবী উধম সিংয়ের মৃত্যুদিন। এদিন শুরুতেই পাঞ্জাবের এই স্বাধীনতা সংগ্রামীর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী। উধম সিংয়ের আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করে হর ঘর তিরঙ্গা কর্মসূচির প্রসঙ্গও টানেন তিনি। মোদি বলেন, স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসব ইতিমধ্যেই একটি গণ আন্দোলনে পরিণত হয়েছে। স্বাধীনতার পঁচাত্তর বছর উপলক্ষে দেশের পঁচাত্তরটি রেল স্টেশনকে সাজানো হচ্ছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।

    আরও পড়ুন :বিশ্বের বড় বড় অর্থনীতির সঙ্গে পাল্লা দেবে ভারত, বললেন মোদি

    দেশের স্বাধীনতার ইতিহাসের সঙ্গে ভারতীয় রেল যে গভীরভাবে জড়িয়ে রয়েছে, এদিন সে প্রসঙ্গও টানেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এমন অনেক রেলস্টেশন রয়েছে, যা স্বাধীনতা সংগ্রামে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছে। তিনি জানান, এই জুলাই মাসে কেন্দ্র ও ভারতীয় রেলওয়ের তরফে অত্যন্ত মনোগ্রাহী একটি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যেখানে আজাদির অমৃত মহোৎসবের অধীনে বিশেষ ট্রেন চলবে। যাত্রীদের স্বাধীনতা সংগ্রামে রেলওয়ের ভূমিকা সম্পর্কে অবগত করাই এর লক্ষ্য।

    করোনা যুদ্ধে আয়ুষ যে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে, এদিন তারও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আয়ুষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আয়ুর্বেদ ও ভারতীয় চিকিৎসার প্রতি বিশ্ববাসীর আগ্রহ বাড়ছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। তাঁর দাবি, এই কারণেই আয়ুষ পণ্যের রফতানি বৃদ্ধি পেয়েছে। নতুন নতুন স্টার্ট-আপ শুরু হচ্ছে।

    পিভি সিন্ধু, নীরজ চোপড়া সহ ভারতীয় খেলোয়াড়দের সাম্প্রতিক সাফল্যের কথাও এদিন তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। খেলোয়াড়দের অভিনন্দনও জানান। সাফল্য কামনা করেন চলতি কমনওয়েল্থ গেমসে অংশ নেওয়া খেলোয়াড়দেরও। বক্তব্যের শেষের দিকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশবাসীকে অনুরোধ করছি এবারের স্বাধীনতা দিবস কীভাবে পালন করেছেন, তা আমাকে লিখে জানান।

    আরও পড়ুন : ফের গড়লেন ইতিহাস, বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে রুপো জয় নীরজের, উচ্ছ্বসিত প্রধানমন্ত্রী

  • NIA Targets Terror: স্বাধীনতা দিবসের আগে দিল্লিতে গ্রেফতার আইএস জঙ্গি!  আতঙ্ক রাজধানীতে

    NIA Targets Terror: স্বাধীনতা দিবসের আগে দিল্লিতে গ্রেফতার আইএস জঙ্গি! আতঙ্ক রাজধানীতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাধীনতা দিবসের এক সপ্তাহ আগে নয়াদিল্লির বাটলা হাউসে তল্লাশি চালিয়ে ইসলামিক স্টেটের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে এক যুবককে গ্রেফতার করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ (National Investigation Agency)। ১৫ অগাস্টের আগে এভাবে  রাজধানীতে আইএস (IS) মডিউলের কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে এক ব্যক্তির গ্রেফতার হওয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ধৃতের নাম মহসিন আহমেদ।

    এনআইএ জানিয়েছে,অভিযুক্ত পটনার বাসিন্দা হলেও, বর্তমানে তিনি বাটলা হাউস অঞ্চলেই বাড়িভাড়া নিয়ে থাকছিলেন। অভিযুক্ত মহসিনের বিরুদ্ধে নেটমাধ্যমে এবং দেশের নানা প্রান্তে ইসলামিক স্টেটসের শাখা বিস্তার ও মতাদর্শ প্রচারের তথ্যপ্রমাণ হাতে এসেছে।  এনআইএ সূত্রে জানানো হয়েছে, এই সমস্ত তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতেই অভিযুক্ত মহসিনের বিরুদ্ধে গত ২৫ জুন স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করা হয়। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, এই দেশের নানা প্রান্তে, ইসলামিক স্টেটস-এর প্রতি সহানুভূতিশীল বিভিন্ন মানুষের থেকে অর্থসংগ্রহ করে সিরিয়ায় ও অন্যত্র পাঠাত অভিযুক্ত। ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে এই অর্থ পাচারের ঘটনা ঘটত বলে জানা গিয়েছে। 

    আরও পড়ুন: পিছিয়ে গেল চিনা জাহাজের শ্রীলঙ্কায় প্রবেশ, ভারতের অনুরোধে পাশে দাঁড়াল শ্রীলঙ্কা সরকার

    এনআইএ জানিয়েছে, ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মহসিন আহমেদ (২২)। সে জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া। নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে মহসিনের ঘরে তল্লাশি চালানো হয় বলে জানিয়েছে এনআইএ। বাড়িতে তল্লাশির পর আইএসআইএস-এর অনলাইন এবং অন-গ্রাউন্ড কার্যকলাপ সম্পর্কিত মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যদিও মহসিনের পরিবারের দাবি, সমস্ত অভিযোগই অসত্য। তাঁরা আদালতের দ্বারস্থ হবেন। মহসিনের বাবা রেলে কর্মরত। তিন বোনও রয়েছেন। 

    স্বাধীনতা দিবসের আগে দেশ জুড়ে আইএস জঙ্গিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। এই আবহে চলতি সপ্তাহের শুরুতেই এনআইএ কর্ণাটকে আইএসআইএস হ্যান্ডলারদের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে আটক করেছিল। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাছে খবর,  স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে রাজধানী দিল্লি (Delhi) এবং জম্মু ও কাশ্মীরে (Jammu And Kashmir) হামলা চালাতে পারে আইএস-র সহযোগী নতুন সন্ত্রাসবাদী সংগঠন ‘লস্কর-ই-খালসা’ (Lashkar-e-Khalsa)। এ ব্যাপারে ইতিমধ্যেই সতর্ক করেছে ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো (Intelligence Bureau)। তাদের তথ্য অনুযায়ী, বিশেষভাবে ভারতে জঙ্গি কর্মকাণ্ড চালাতে লস্কর-ই-খালসা গঠন করেছে আইএস। সংগঠনে যোগ দিয়েছে আফগান যোদ্ধারাও।

LinkedIn
Share