Tag: India

India

  • Private consumption: ব্যক্তিগত খরচ জিডিপি-র বড় চালিকাশক্তি, জানাল অর্থমন্ত্রক

    Private consumption: ব্যক্তিগত খরচ জিডিপি-র বড় চালিকাশক্তি, জানাল অর্থমন্ত্রক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে সাধারণ মানুষের ব্যক্তিগত কেনাকাটার ক্ষমতা গত কয়েক দশকের তুলনায় উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে (Private consumption)। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের সদ্য প্রকাশিত এক রিপোর্টে জানানো হয়েছে, ব্যক্তিগত খরচ এখন ভারতের জিডিপি বৃদ্ধির সবচেয়ে বড় চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করছে। গত দু’দশকে এত উচ্চ হারে বৃদ্ধি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বলেই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে।

    কী বলছে অর্থমন্ত্রকের দেওয়া রিপোর্ট (Private consumption)

    অর্থমন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরে ব্যক্তিগত ক্রয়ক্ষমতা ভারতের জিডিপির ৬১.৪ শতাংশ পর্যন্ত পৌঁছেছে। এর আগের অর্থবর্ষে এই হার ছিল ৬০.২ শতাংশ। অর্থাৎ, খুব স্বল্প সময়ের ব্যবধানে প্রায় ১.২ শতাংশ পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়েছে ব্যক্তিগত খরচের অংশগ্রহণ (Private consumption)।

    কী বলছেন অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা?

    অর্থনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই বৃদ্ধি (GDP) প্রমাণ করে যে ভারতীয়দের জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং গ্রামীণ ও শহর—উভয় ক্ষেত্রেই খরচ করার প্রবণতা বাড়ছে। গত ২০ বছরে এই হার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ হওয়ায় সরকারের অর্থনৈতিক নীতির ইতিবাচক প্রভাব (Private consumption) স্পষ্ট বলে মনে করা হচ্ছে।

    বিনিয়োগেও বৃদ্ধি দেখা যাচ্ছে (GDP)

    শুধু খরচই নয়, বিনিয়োগের ক্ষেত্রেও বড় ধরনের বৃদ্ধি দেখা গেছে। রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, চলতি অর্থবর্ষে বৃদ্ধি পেয়ে ৭.১ শতাংশ-এ পৌঁছেছে। এর মাধ্যমে বোঝা যাচ্ছে শিল্প এবং উৎপাদন ক্ষেত্রে দেশের অভ্যন্তরীণ বিনিয়োগের পরিমাণ দ্রুত বাড়ছে, যা ভবিষ্যতের প্রবৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

    বেড়েছে রফতানি, কমেছে আমদানি

    অর্থমন্ত্রকের রিপোর্টে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক উঠে এসেছে— ভারতের বহির্বাণিজ্যে ভারসাম্য তৈরি হয়েছে। চলতি অর্থবর্ষে ভারতের রপ্তানি বৃদ্ধি পেয়েছে ৬.৩ শতাংশ হারে, যা বৈদেশিক আয়ের দিক থেকে একটি ইতিবাচক দিক। অন্যদিকে, আমদানির পরিমাণ হ্রাস পেয়েছে, যা অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। রিপোর্ট অনুযায়ী, চলতি অর্থবর্ষে ভারতের আমদানি কমেছে ৩.৭ শতাংশ। এতে বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় যেমন বেড়েছে, তেমনি বাণিজ্য ঘাটতিও কিছুটা হ্রাস পেয়েছে বলে অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মত।

  • India Defies US Pressure: ট্রাম্পের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে রাশিয়া থেকে দেদার তেল কিনছে মোদির ভারত

    India Defies US Pressure: ট্রাম্পের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে রাশিয়া থেকে দেদার তেল কিনছে মোদির ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চাপ অগ্রাহ্য করে রাশিয়া থেকে বিপুল পরিমাণে অপরিশোধিত তেল আমদানি করছে ভারত (India Defies US Pressure)। বাজার বিশ্লেষক সংস্থা কেপলারের (Kpler) মতে, শুধু জুন মাসেই ভারত গড়ে প্রতিদিন ২২ লাখ ব্যারেল তেল আমদানি করেছে রাশিয়া (Russian Oil) থেকে, যা গত দু’বছরে সর্বোচ্চ। রাশিয়া থেকে আমদানি করা এই তেলের পরিমাণ ইরাক, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি এবং কুয়েত থেকে যৌথভাবে দৈনিক গড় আমদানির চেয়েও বেশি। গত মে মাসে ভারত গড়ে প্রতিদিন ১৯.৬ লাখ ব্যারেল রাশিয়ান তেল আমদানি করেছিল।

    রাশিয়ান তেলের ওপর নির্ভরতা

    মধ্যপ্রাচ্যে ইরান-ইজরায়েল সংঘাত শুরু হওয়ায় উপসাগরীয় অঞ্চলে তেল সরবরাহে সম্ভাব্য বিঘ্নের আশঙ্কায় ভারতীয় কোম্পানিগুলি রাশিয়ান তেলের ওপর নির্ভরতা বাড়িয়েছে। পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে যখন ইরানের পার্লামেন্ট হরমুজ প্রণালী বন্ধ করার সম্ভাবনার কথা ঘোষণা করে। হরমুজ প্রণালী একটি গুরুত্বপূর্ণ সমুদ্র পথ, যা ইরানের নিয়ন্ত্রণাধীন এবং যার মাধ্যমে উপসাগরীয় অঞ্চল থেকে অধিকাংশ অপরিশোধিত তেল রফতানি করা হয়। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ভারতের রাশিয়ান তেল আমদানির পরিমাণ ব্যাপকভাবে বেড়ে গিয়েছে। ইউক্রেন- রাশিয়া সংঘাতের জেরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং পশ্চিমের অন্যান্য দেশগুলি মস্কোর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। যুদ্ধ শুরুর আগে ভারতের মোট অপরিশোধিত তেল আমদানিতে রাশিয়ার অংশ ছিল ১ শতাংশেরও কম। এখন সেই অংশটাই বেড়ে হয়েছে প্রায় ৪০ শতাংশ।

    সবচেয়ে বড় ক্রেতা

    ভারত বর্তমানে রাশিয়ার উরাল-গ্রেড ক্রুড অয়েলের সবচেয়ে বড় ক্রেতা। ২০২৫ সালের এ পর্যন্ত উরাল রফতানির ৮০ শতাংশই ভারত কিনেছে। বেসরকারি তেল সংস্থা রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ ও নয়ারা এনার্জি এই আমদানির নেতৃত্ব দিচ্ছে (India Defies US Pressure)। জানা গিয়েছে, ২৪ জুন পর্যন্ত ভারত মোট ২৪১ মিলিয়ন ব্যারেল উরাল ক্রুড আমদানি করেছে। রিলায়েন্স ও নয়ারা একসঙ্গে রাশিয়ার মোট উরাল রফতানির ৪৫ শতাংশ নিয়েছে। এদিকে, ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশনের মতো সরকারি তেল সংস্থাগুলি প্রধানত আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকা থেকে তেল আমদানি করে। বর্তমানে তারা কিছু পরিমাণে তেল আমদানি করছে আমেরিকা থেকে (Russian Oil)। প্রসঙ্গত, ভারতের জন্য রাশিয়ান তেলের ছাড়ও কমে গিয়েছে। আগে যেখানে প্রতি ব্যারেলে ৪ মার্কিন ডলার ছাড় পাওয়া যেত, এখন তা কমে হয়েছে ২ মার্কিন ডলার (India Defies US Pressure)।

  • India: জম্মু-কাশ্মীরের জলবিদ্যুৎ প্রকল্প নিয়ে কোর্ট অফ আরবিট্রেশনের রায় বাতিল করল ভারত

    India: জম্মু-কাশ্মীরের জলবিদ্যুৎ প্রকল্প নিয়ে কোর্ট অফ আরবিট্রেশনের রায় বাতিল করল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীরে নির্মীয়মাণ কিশানগঙ্গা ও রাটেল জলবিদ্যুৎ প্রকল্প সংক্রান্ত কোর্ট অফ আরবিট্রেশন (Court of Arbitration) এর রায়কে সরাসরি প্রত্যাখ্যান করল ভারত সরকার। এ বিষয়ে ভারতের বিদেশ মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে একটি বিস্তারিত বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ভারত সরকার কখনও এই তথাকথিত সালিশ আদালতের অস্তিত্বকে আইনগতভাবে স্বীকৃতি দেয়নি। ভারতের অবস্থান স্পষ্ট—এই সালিশি আদালতের গঠন প্রক্রিয়া আন্তর্জাতিক চুক্তি লঙ্ঘন করেছে। বিশেষ করে, ১৯৬০ সালের সিন্ধু জলচুক্তির যে কাঠামো, তা এই আদালতের গঠন এবং সিদ্ধান্তের মাধ্যমে লঙ্ঘিত হয়েছে।

    কোর্ট অফ আরবিট্রেশন-এর যে কোনও সিদ্ধান্ত, নির্দেশ বা রায় ভারতে গ্রহণযোগ্য নয়

    বিদেশমন্ত্রকের (India) পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে, সিন্ধু জলচুক্তি একটি দ্বিপাক্ষিক চুক্তি, যা বিশ্ব ব্যাংকের মধ্যস্থতায় স্বাক্ষরিত হয়েছিল। এই চুক্তির আওতায় যে নিষ্পত্তিমূলক প্রক্রিয়ার কথা বলা হয়েছে, তার মধ্যে সালিশ আদালতের কোনও ভূমিকা নেই। ভারত একাধিকবার পাকিস্তান ও আন্তর্জাতিক মহলকে জানিয়ে দিয়েছে, এই সালিশ আদালতের কোনও বৈধতা নেই এবং এটি সম্পূর্ণরূপে অবৈধ। ভারত সরকারের মতে, কোর্ট অফ আরবিট্রেশন-এর (Court of Arbitration) যে কোনও সিদ্ধান্ত, নির্দেশ বা রায় ভারতের পক্ষে গ্রহণযোগ্য নয় এবং এসবকে সরকার ‘অবৈধ ও বাতিলযোগ্য’ বলে মনে করে। এ ধরনের সিদ্ধান্ত ভারতের সার্বভৌম অধিকারে হস্তক্ষেপের সামিল, যা কখনও মেনে নেওয়া হবে না।

    পাকিস্তানের উসকানিতে ও নির্দেশনায় দেওয়া হয়েছে রায়

    ভারতের (India) স্পষ্ট দাবি, এই তথাকথিত সালিশি আদালতের রায় পাকিস্তানের উসকানিতে ও নির্দেশনায় দেওয়া হয়েছে এবং এর উদ্দেশ্য রাজনৈতিক। দিল্লির মতে, এটি একটি ‘প্রহসন’ ছাড়া আর কিছু নয়, যার মাধ্যমে পাকিস্তান ভারতের অভ্যন্তরীণ উন্নয়নমূলক কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি করতে চায়। বিদেশমন্ত্রক স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছে, ভারত আন্তর্জাতিক আইনের কাঠামোর মধ্যে থেকেই সিন্ধু জলচুক্তির প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তবে ভারতের সার্বভৌম অধিকারে হস্তক্ষেপ বা বেআইনি সিদ্ধান্ত কখনও মেনে নেওয়া হবে না।

  • India: গঙ্গা জলচুক্তির ভয়! ‘ভারতকে এড়িয়ে নয় কোনও জোট’, চিন-পাকিস্তানের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে সাফাই ঢাকার

    India: গঙ্গা জলচুক্তির ভয়! ‘ভারতকে এড়িয়ে নয় কোনও জোট’, চিন-পাকিস্তানের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে সাফাই ঢাকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৯ জুন চিনের কুনমিং-এ অনুষ্ঠিত হয় এক বৈঠক। যেখানে মিলিত হয় তিন দেশ বাংলাদেশ, চিন ও পাকিস্তান। তিন পক্ষই সেখানে নিজেদের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা করেছে। ওই বৈঠকে জোর দেওয়া হয়েছে চিন, বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানের কূটনৈতিক সম্পর্কের বহুমাত্রিকতা এবং উন্মুক্ত আঞ্চলিকতার উপর। পর্দার আড়ালে এই বৈঠক যে ভারতকে চাপে রাখতে করা হয়েছিল তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে ১৯ জুনের এই বৈঠকের পরেই বাংলাদেশের সঙ্গে গঙ্গাজল চুক্তি পুনর্বিবেচনার কথা বলে ভারত। এতেই সিঁদুরে মেঘ দেখে বাংলাদেশ। ভারতকে চাপে রাখতে যে তারা এমন বৈঠক করেনি, তারই সাফাই গাইতে শুরু করে ইউনূস সরকার। যা শুনে অনেকে বলছেন, একেই বলে, ঠেলার নাম বাবাজি।

    ভয় পেয়ে জোট অস্বীকার করছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার

    গঙ্গাজলচুক্তি ইস্যুতে ভারত বোমা ফাটাতেই, এ ধরনের উদীয়মান জোটের সম্ভাবনাকে খারিজ করেছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। তারা জানিয়েছে, সাম্প্রতিক যে বৈঠক হয়েছে তিন দেশের মধ্যে, তা কোনওভাবেই রাজনৈতিক নয়। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা এম. তৌহিদ হোসেনকে ১৯ জুন চিনের কুনমিংয়ে অনুষ্ঠিত ত্রিপক্ষীয় বৈঠক সম্পর্কে মন্তব্য করতে বলা হলে, তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা কোনও জোট গঠন করছি না। এটি সরকারি পর্যায়ের বৈঠক ছিল, কোনও রাজনৈতিক বৈঠক নয়।” ভারতকে (India) বার্তা দিতে কি এই বৈঠক করা হয়েছিল, এমন প্রশ্নের উত্তরে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রকের উপদেষ্টা বলেন, “এটি অবশ্যই কোনও তৃতীয় পক্ষকে লক্ষ্য করে করা হয়নি, আমি নিশ্চিতভাবে বলতে পারি।”

    চিন-পাকিস্তান চিরমিত্র, তাতে যোগ দিল বাংলাদেশ

    প্রসঙ্গত, চিন ও পাকিস্তান সবসময়ের জন্যই নিজেদের বন্ধু। কিন্তু এবার সেখানে যোগ দিল বাংলাদেশ এবং এভাবেই ত্রিপাক্ষিক একটি জোট তৈরি করা হল, যা ভারতের (India) জন্য উদ্বেগজনক। আজ থেকে ঠিক এক বছর আগেও ঢাকার সঙ্গে দিল্লির অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিল। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের সহযোগিতা দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ককে ঘনিষ্ঠ করে তুলেছিল। কিন্তু গত বছর, অর্থাৎ ২০২৪ সালের অগাস্ট মাসে বাংলাদেশের (Bangladesh) তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জোর করে পদত্যাগ করানো হয়। জামাত ও বিএনপির সহায়তায় দখল করা হয় গণভবন। এরপর থেকে পরিস্থিতি বদলে যায়। সে দেশে ভারতবিরোধী কার্যকলাপ বাড়তে থাকে, সীমান্তে বাড়তে থাকে অনুপ্রবেশ। দায়িত্বে আসেন বাংলাদেশের নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ মোহাম্মদ ইউনুস। এরপর থেকেই পাকিস্তানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়াতে থাকে ঢাকা, সঙ্গে যোগ হয় বেজিং। ভারত বিরোধিতা (India) বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই বাংলাদেশ ঘনিষ্ঠ বন্ধু হয়ে ওঠে চিন এবং পাকিস্তানের।

    শয়তান ত্রিভুজ

    চিন, বাংলাদেশ (Bangladesh) এবং পাকিস্তানের এই জোটকে শয়তান ত্রিভুজ বলছেন বিশেষজ্ঞরা। এই জোট বর্তমানে বঙ্গোপসাগরে ভারতের যে আধিপত্য বজায় রয়েছে, তাকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারে বলেও মনে করছেন বহু রাজনৈতিক বিশ্লেষক। এ নিয়ে মেজর জেনারেল সুধাকর জি জানিয়েছেন, শয়তানের ত্রিভুজ শিলিগুড়ি করিডরকে অবরুদ্ধ করে দিতে পারে এবং ভারতের মূল ভূখণ্ড থেকে উত্তর-পূর্বকে বিচ্ছিন্ন করার ষড়যন্ত্র চালাতে পারে। তিনি আরও জানান, এই শয়তানের জোট ভারতকে সবসময় চাপে রাখার চেষ্টা করবে। বেজিং, ঢাকা এবং ইসলামাবাদ তাদের দাবি পূরণের জন্য সবসময়ের জন্য কূটনৈতিক চাপে রাখতে চাইবে নয়াদিল্লিকে।

    ভূ রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মত

    ভূ-রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ গৌতম লাহিড়ীর মতে, নিরাপত্তার দিক থেকে ত্রিপাক্ষিক এই জোট ভারতের কাছে অত্যন্ত উদ্বেগজনক। বাংলাদেশের নতুন সরকার পাকিস্তান ও চিনের সঙ্গে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ হতে চেষ্টা করছে। তবে পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং চিনের এই ত্রিপাক্ষিক শক্তি এখনও তার প্রভাব দেখাতে পারেনি। গৌতম লাহিড়ী আরও জানান, তারা বলছে যে তারা অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক বিষয়ে মনোনিবেশ করবে; কিন্তু আসলে উদ্দেশ্য অন্য। ভারতের (India) সতর্ক হওয়া উচিত এবং ভারতের নিরাপত্তা যাতে বিঘ্নিত না হয়, সেজন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, যদি বাংলাদেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হয় এবং গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে একটি স্থিতিশীল সরকার গঠিত হয়, তাহলে ঢাকা চিন ও পাকিস্তানঘেঁষা জোট থেকে সরে আসতে পারে। কারণ, একটি শক্তিশালী সরকার জাতীয় স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়ে স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতি গ্রহণ করতে সক্ষম। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই জোট যাতে আরও শক্তিশালী না হয়, তা নিশ্চিত করতে ভারতের কূটনৈতিক তৎপরতা এখন থেকেই বাড়ানো জরুরি। নয়তো এই ত্রিপাক্ষিক জোট দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের প্রভাব ও নিরাপত্তার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে।

  • India Iran Relation: সংঘাতের সময় শান্তির প্রতি অঙ্গীকার ভারতের, গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ইরানের

    India Iran Relation: সংঘাতের সময় শান্তির প্রতি অঙ্গীকার ভারতের, গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ইরানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতবাসী তাদের সমর্থন জানানোয় গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলেন নয়াদিল্লিতে ইসলামি প্রজতন্ত্র ইরানের (India Iran Relation) দূতাবাস কর্তৃপক্ষ (Iranian Embassy)। ২৫ জুন দূতাবাসের তরফে জারি করা একটি বিবৃতিতে ইজরায়েল এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তথাকথিত সামরিক আগ্রাসনের সময় ভারতের জনগণের সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়। ওই বিবৃতিতে দূতাবাস কর্তৃপক্ষ ধন্যবাদ জানিয়েছেন মহান ও স্বাধীনতাপ্রেমী ভারতীয় জনগণকে – যার মধ্যে রয়েছেন সাধারণ মানুষ, রাজনৈতিক দল, সাংসদ, এনজিও, ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক নেতা, শিক্ষাবিদ, গণমাধ্যম এবং সমাজকর্মীরা, যাঁরা ইরানের পাশে দাঁড়িয়েছেন।

    ইরানি দূতাবাসের বিবৃতি (India Iran Relation)

    ঘটনাটিকে “দখলদার ইহুদিদের শাসন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিজয়” হিসেবে বর্ণনা করে ইরানি দূতাবাস জানিয়েছে, সম্প্রতি ভারতের সমাজের বিভিন্ন অংশ থেকে যে সংহতি প্রকাশ করা হয়েছে, তার জন্য তারা কৃতজ্ঞ। এই সমর্থনকে তারা ইরানি জাতির প্রতি একটি তাৎপর্যপূর্ণ সমর্থনের বহিঃপ্রকাশ বলেও অভিহিত করেছে। ইরানি দূতাবাসের তরফে আরও বলা হয়েছে, “সংহতির বার্তা, নৈতিক সমর্থন,  জনসাধারণের বিবৃতি এবং শান্তিপূর্ণ জমায়েত” — এসব কাজকর্ম সাম্প্রতিক সামরিক সংঘাতের সময় ইরানি জনগণের জন্য এক শক্তিশালী অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে কাজ করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “সংহতির বার্তা এবং শান্তিমূলক উদ্যোগে অংশগ্রহণ — এসব সমর্থনের বহিঃপ্রকাশ এক ভয়াবহ সামরিক হামলার সময় ইরানি জনগণকে দৃঢ়ভাবে উৎসাহিত করেছে, যা চালিয়েছিল দখলদার ইহুদিরা। এই ধরনের কাজকর্ম জাতিসমূহের জাগ্রত বিবেক এবং আন্তর্জাতিক আইন ও ন্যায়বিচারের প্রতি তাদের অঙ্গীকারের প্রতিফলন (Iranian Embassy)।”

    ইরানি জনগণের দৃঢ়তা

    ইরানের অবস্থান তুলে ধরে, নয়াদিল্লিতে ইসলামিক প্রজাতন্ত্র ইরানের দূতাবাস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, দেশটির প্রতিরোধ কেবলমাত্র তার সার্বভৌমত্ব রক্ষার মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না — এটি ছিল রাষ্ট্রসংঘ সনদ ও মানবাধিকার নীতিমালা লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে এক দৃঢ় অবস্থান (India Iran Relation)। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “স্পষ্ট আগ্রাসনের মুখেও ইরানি জনগণের দৃঢ়তা কেবল জাতীয় মর্যাদা রক্ষার প্রশ্ন ছিল না, বরং আন্তর্জাতিক আইনের গুরুতর লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে এক প্রতীকী প্রতিরোধও ছিল। যে বৈশ্বিক সংহতি প্রকাশ পেয়েছে, তা শুধু রাজনৈতিক নয় — এটি ন্যায়বিচার, আইনের শাসন ও শান্তির সর্বজনীন মূল্যবোধকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করেছে।”

    আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি ইরানের প্রতিশ্রুতি

    ওই বিবৃতিতে দূতাবাসের (Iranian Embassy) তরফে লেখা হয়েছে, আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি ইরানের দীর্ঘদিনের প্রতিশ্রুতি রয়েছে। দেশটি সম্প্রসারণবাদী নীতির বিরোধিতা করে আসছে। আমরা বিশ্বাস করি, জাতিগুলির ঐক্য যুদ্ধ, হিংসা ও অবিচারের বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী ঢাল।” এর পরেই সত্যিকারের এবং অমূল্য সমর্থনের জন্য গভীর কৃতজ্ঞতা জানানো হয়েছে ভারতীয় জনগণ ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে। দূতাবাস জানিয়েছে, সাংস্কৃতিক ও সভ্যতার ঐতিহ্যভিত্তিক এই সংহতি শান্তি ও বৈশ্বিক ন্যায়বিচারের লক্ষ্যে আরও অগ্রগতি আনবে। বিবৃতির শেষে লেখা, “জয় ইরান — জয় হিন্দ।”

    ইরানে হামলা

    গত ১৩ জুন ইজরায়েল ইরানের রাজধানী তেহরানের সামরিক বাহিনী এবং তার পারমাণবিক কেন্দ্র এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কারখানা-সহ প্রধান গুরুত্বপূর্ণ ভবনগুলির বিরুদ্ধে একের পর এক হামলা চালায়। এর জেরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় মধ্যপ্রাচ্যে। যুদ্ধ শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভারতবাসীর একাংশ ইরানকে সমর্থন করে। উদ্বেগ প্রকাশ করে নরেন্দ্র মোদির সরকার। উত্তজেনা কমানোর আহ্বানও জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সাধারণ মানুষের একটা অংশও সোশ্যাল মিডিয়ায় ইরানের প্রতি সমর্থন প্রকাশ করে, সমালোচনা করে ইজরায়েল ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানের। ফোনে ইরানের রাষ্ট্রপতি মাসুদ পেজেশকিয়ানের সঙ্গে কথা বলার সময় উদ্বেগ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। ইরানের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেন কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী এবং বেশ কয়েকজন কংগ্রেস নেতা (India Iran Relation)।

    প্রসঙ্গত, দু’সপ্তাহ আগে শুরু হয়েছিল ইজরায়েল-ইরান যুদ্ধ। তেল আভিভের (ইজরায়েলের রাজধানী) অভিযোগ, হামাস এবং হুথিদের মতো জঙ্গি গোষ্ঠীগুলিকে যারা সমর্থন করে, তারা তাদের সঙ্গেই যুদ্ধ করে। ইজরায়েলকে সমর্থন করে আমেরিকাও। ট্রাম্প প্রশাসন সাফ জানিয়ে দেয়, তারা ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির বিরুদ্ধে এবং বিশ্বশান্তির জন্য একে এই কর্মসূচি পালন করা থেকে বিরত রাখতে চায়। এদিকে ইরান এটিকে নির্লজ্জ ও বিনা উসকানিতে আগ্রাসন বলে অভিহিত করে। তারা ব্যালিস্টক (Iranian Embassy) ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলার মাধ্যমে ইজরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেয়। গত ২৩ জুন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে মধ্যস্থতা করার কথা বলার আগে পর্যন্ত অব্যাহত ছিল দুই দেশের সংঘাত (India Iran Relation)।

  • Rajnath Singh: চিনের মাটিতে দাঁড়িয়ে পাকিস্তানকে তুলোধনা রাজনাথের, সই করলেন না যৌথ বিবৃতিতেও

    Rajnath Singh: চিনের মাটিতে দাঁড়িয়ে পাকিস্তানকে তুলোধনা রাজনাথের, সই করলেন না যৌথ বিবৃতিতেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ড নিয়ে টানাপোড়েন আন্তর্জাতিক মঞ্চে। এমতাবস্থায় চিনে আয়োজিত সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও) সম্মেলনে যৌথ বিবৃতিতে সই করলেন না ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। ওই বিবৃতিতে পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার উল্লেখ না থাকলেও, বালুচিস্তানে অশান্তির নেপথ্যে ভারতের ভূমিকার উল্লেখ ছিল। এরই প্রতিবাদে যৌথ বিবৃতিতে সই করেনি ভারত।

    অপারেশন সিঁদুরের যৌক্তিকতা (Rajnath Singh)

    এসসিও সম্মেলনে যোগ দিতে চিনে গিয়েছেন রাজনাথ। সম্মেলন চলাকালীন দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলা এবং ২৬ জন নিরীহ মানুষের প্রাণ চলে যাওয়ার প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন তিনি। পাকিস্তানের বন্ধু দেশ চিনের মাটিতে দাঁড়িয়ে অপারেশন সিঁদুরের (Operation Sindoor) যৌক্তিকতাও ব্যাখ্যা করলেন রাজনাথ (Rajnath Singh)। ওই সম্মেলনে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী সাফ জানিয়ে দেন, পাকিস্তানের মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত জবাব ছিল অপারেশন সিঁদুরের মতো অভিযান। এসসিও সম্মেলনে রাজনাথ সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়ায় তুলোধনা করেন শাহবাজ শরিফের দেশকে। শুধু তাই নয়, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে একযোগে সরব হতে বাকি দেশগুলিকেও আহ্বান জানান তিনি। প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, “গত ৭ মে অপারেশন সিঁদুর শুরু করেছিল ভারত। সীমান্ত সন্ত্রাস নির্মূল করতে এবং সীমান্ত সন্ত্রাস কাঠামো ভেঙে ফেলার লক্ষ্যে অভিযান চালানো হয়েছিল।”

    পাকিস্তানকে নিশানা

    পাকিস্তানকে নিশানা করে রাজনাথ বলেন, “কিছু দেশ সীমান্ত পার হওয়া সন্ত্রাসবাদকে নীতির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে। তারা জঙ্গিদের আশ্রয়ও দেয়। এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। যারা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দু’মুখো আচরণ করে, সেই দেশগুলির নিন্দা করতে দ্বিধাগ্রস্ত হওয়া উচিত নয় সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের।” সন্ত্রাসবাদের ক্ষেত্রে ভারত যে ‘জিরো টলারেন্স নীতি’ অবলম্বন করছে, এদিন সেকথাও ওই মঞ্চে জানিয়ে দেন রাজনাথ। তিনি (Rajnath Singh) বলেন, “আমরা দেখিয়ে দিয়েছি যে সন্ত্রাসবাদের কেন্দ্রস্থলগুলি আর নিরাপদ নয়, এবং প্রয়োজনে আমরা সেগুলিকে টার্গেট করে আঘাত হানতেও পিছপা হব না।” রাজনাথ বলেন, “আমাদের তরুণ প্রজন্মের মধ্যে চরমপন্থা ছড়িয়ে পড়া রোধে আমাদের সক্রিয় পদক্ষেপ করা উচিত। এই বিষয়ে এসসিও-র রিজিওনাল অ্যান্টি টেররিস্ট স্ট্রাকচার ব্যবস্থাটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। ভারতের সভাপতিত্বে এসসিও রাষ্ট্রপ্রধানদের পরিষদ থেকে যে যৌথ বিবৃতি দেওয়া হয়েছিল — ‘সন্ত্রাসবাদ, বিচ্ছিন্নতাবাদ ও চরমপন্থার দিকে নিয়ে যাওয়া চরমপন্থা প্রতিরোধ’ — তা আমাদের সম্মিলিত অঙ্গীকারের প্রতীক।”

    দুরমুশ জঙ্গি শিবির

    প্রসঙ্গত, গত (Rajnath Singh) ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ের বৈসরন উপত্যকায় পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা বেছে বেছে হত্যা করে ২৬ জন হিন্দু পর্যটককে। তার পরেই কূটনৈতিক স্তরে একাধিক পদক্ষেপ করে ভারত। জঙ্গি হামলার বদলা নেওয়ার দাবি ওঠে গোটা দেশে। এমতাবস্থায় ৭ মে মধ্যরাতে পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গি ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালায় ভারত। দুরমুশ করে দেওয়া হয় ৯টি জঙ্গি শিবির। এই অভিযানের নামই অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor)।

    বিবৃতিতে সই করলেন না রাজনাথ

    সম্মেলনের আলোচ্য বিষয় এবং তা নিয়ে অবস্থান বোঝাতে যে যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করা হয়, তাতে একে একে সই করতে থাকেন এসসিওর সদস্য দেশগুলির প্রতিনিধিরা। সই করার পালা এলে ওই বিবৃতি নিয়ে আপত্তি তোলেন রাজনাথ। তিনি প্রশ্ন তোলেন, যৌথ বিবৃতিতে পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার কোনও উল্লেখ নেই কেন? বালুচিস্তানে অশান্তি সৃষ্টির নেপথ্যে ভারতের ভূমিকার কথা কেন লেখা হয়েছে, সে প্রশ্নও তোলেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী (Rajnath Singh)। এসসিওর চেয়ার এই মুহূর্তে চিনের দখলে। চিন-পাকিস্তানের বন্ধুত্বের খবর সর্বজনবিদিত। ভারতের অভিযোগ, সেই কারণেই যৌথ বিবৃতি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের প্রসঙ্গ (Operation Sindoor)। তার বদলে বালুচিস্তানের অশান্তির জন্য কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে ভারতকে। এমনতর বিবৃতি দেখে তাতে আর স্বাক্ষর করেননি রাজনাথ (Rajnath Singh)।

    এসসিওর সদস্য রাষ্ট্র

    চিনের চিংদাওয়ে চলছে এসসিও সম্মেলন। যোগ দিয়েছেন সদস্য দেশগুলির প্রতিরক্ষামন্ত্রীরা। রাজনাথের (Rajnath Singh) পাশাপাশি সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন রাশিয়া, পাকিস্তান, চিন, বেলারুশ, ইরান, কাজাখস্তান, কিরঘিস্তান, তাজিকিস্তান ও উজবেকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীরাও। পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতেই আয়োজন করা হয় এই সম্মেলনের।

    প্রসঙ্গত, গত কয়েক মাসে লাগাতার অশান্তির খবর আসছে বালুচিস্তান থেকে। সেখানে পাক সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে বিচ্ছিন্নতাকামী সংগঠনগুলি। আস্ত ট্রেন হাইজ্যাক করা থেকে কনভয়ে বিস্ফোরণ, কিছুই বাদ যাচ্ছে না। বালুচিস্তানের এই অশান্তির জন্য ভারতকে বরাবর দায়ী করে আসছে শাহবাজ শরিফের দেশ। যদিও পাক সরকারের তোলা অভিযোগ বার বার খণ্ডন করেছে ভারত। নয়াদিল্লির অভিযোগ, সন্ত্রাসে মদত জোগাতে গিয়ে ফেঁসে গিয়ে আন্তর্জাতিক মহলের নজর ঘোরাতেই এখন ভারতকে কাঠগড়ায় তুলছে (Operation Sindoor) পাকিস্তান।

     

  • Pahalgam Terrorist Attack: পাহাড়ি পথ বেয়ে ভারতে ঢুকেছিল পহেলগাঁওকাণ্ডের জঙ্গিরা, জানাল এনআইএ

    Pahalgam Terrorist Attack: পাহাড়ি পথ বেয়ে ভারতে ঢুকেছিল পহেলগাঁওকাণ্ডের জঙ্গিরা, জানাল এনআইএ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের অ্যাবেটাবাদ থেকে মুজফ্ফরবাদ হয়ে পুঞ্চ-রাজৌরি রুটে ভারতে ঢুকেছিল পহেলগাঁওয়ে হামলাকারী জঙ্গিরা (Pahalgam Terrorist Attack)। পুঞ্চের ‘দেহরা কি গলি’ দিয়েই তারা পাকিস্তান থেকে ঢুকেছিল ভারতে। পহেলগাঁও হামলার সময় তারা সড়কপথের বদলে পাহাড়ি রাস্তায় ট্রেক করে এসেছিল। এতে তাদের দূরত্ব কমে গিয়েছিল প্রায় ৭০ শতাংশ (Terrorist)। তবে পাহাড়ি রাস্তায় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে যাওয়া সহজ নয়। গোয়েন্দাদের সন্দেহ, সেক্ষেত্রে জঙ্গিদের সাহায্য করতে পারে স্থানীয়দের কেউ কেউ। অপারেশন শেষে জঙ্গিদের পালাতে বা গা-ঢাকা দিতে তারা জঙ্গিদের সাহায্য করেছিল কিনা, তা খতিয়ে দেখছেন এনআইএর তদন্তকারীরা।

    জঙ্গিদের পরিচয় (Pahalgam Terrorist Attack)

    জঙ্গিদের পরিচয় নিয়েও চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল এনআইএর রিপোর্টে। পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডে জঙ্গিদের সাহায্য করার অভিযোগে ধৃতদের জেরা করে জানা গিয়েছে জঙ্গিরা পাকিস্তানের নাগরিক। প্রসঙ্গত, পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের পরপরই ভারতের তরফে দাবি করা হয়েছিল জঙ্গিরা পাকমদতপুষ্ট। ভারতের অভিযোগের প্রেক্ষিতে পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী খোয়াজা আসিফ দাবি করেছিলেন, প্রমাণ ছাড়াই অভিযোগ করছে ভারত। জঙ্গি হানা নিয়ে আন্তর্জাতিক স্তরের তদন্তের দাবিও করেছিল পাকিস্তান। তবে ভারতের অভিযোগ যে নিছক সন্দেহের বশে নয়, বরং তা যে সত্য, জঙ্গিদের যারা সাহায্য করেছিল, সে কথা কবুল করল তারাই।

    হত্যাকাণ্ডে যুক্ত সুলেমান

    পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনীর একাধিক অ্যাকাডেমি রয়েছে। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার দাবি, ভারতে ঢোকার আগে একাধিক ক্যাম্পে প্রশিক্ষণ পেয়েছে জঙ্গিরা। জম্মু-কাশ্মীরে পুরানো জঙ্গি হামলার সঙ্গে পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের যোগসূত্রগুলি খতিয়ে দেখছেন এনআইএর আধিকারিকরা। এনআইএর এক পদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘সুলেমান নামে এক পাক নাগরিকের পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডে যুক্ত থাকার যোগ মিলেছে। কেন্দ্রীয় সংস্থা তার ডিজিট্যাল ফুটপ্রিন্ট খোঁজার চেষ্টা করছে। জঙ্গিরা (Pahalgam Terrorist Attack) নিজেদের মধ্যে যোগাযোগের জন্য কোনও উন্নতমানের বিকল্প মাধ্যম ব্যবহার করত। তাই কাজটা সহজ নয়।’

    তদন্তকারীদের দাবি, জঙ্গিদের পরিচয় সম্পর্কে এনআইএর তরফে ইতিমধ্যেই যথেষ্ট প্রমাণ সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য, ভিডিও ফুটেজ, সিসিটিভি ফুটেজ, প্রযুক্তিগত প্রমাণ এবং জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ কর্তৃক প্রকাশিত স্কেচ। প্রসঙ্গত, এক্স হ্যান্ডেলে একটি ভিডিও শেয়ার করে সাংবাদিক হেমির দেশাই লিখেছেন (Terrorist), “দুই কাশ্মীরি মুসলিমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা পাহেলগাঁওয়ে হামলার তারিখ ও সময় জানত। পাকিস্তানি জঙ্গিদের পালানোর পথ ও লজিস্টিক সহায়তা দিয়েছিল। এখন তারা এনআইএ হেফাজতে আছে (Pahalgam Terrorist Attack)।”

  • Bangladesh: স্থগিত পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু চুক্তি, এবার বাংলাদেশের সঙ্গে গঙ্গা জল চুক্তি নিয়েও ভাবছে দিল্লি

    Bangladesh: স্থগিত পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু চুক্তি, এবার বাংলাদেশের সঙ্গে গঙ্গা জল চুক্তি নিয়েও ভাবছে দিল্লি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের সঙ্গে স্থগিত হয়েছে সিন্ধু জলচুক্তি, এই আবহে বাংলাদেশের (Bangladesh) সঙ্গে গঙ্গা জলচুক্তি পুনর্বিবেচনা করছে ভারত সরকার। ভারত সরকারের মারফত জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত হওয়ার পর এবার বাংলাদেশের সঙ্গে গঙ্গা জলচুক্তি পুনরায় বিবেচনা করতে শুরু করেছে ভারত সরকার। প্রসঙ্গত, গত ২০২৪ সালের অগাস্ট মাসে হাসিনা সরকারের পতনের পরেই বাংলাদেশে বাড়তে থাকে ভারত বিরোধী কার্যকলাপ। এই আবহে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক একেবারে তলানিতে ঠেকেছে।

    নয়া চুক্তি হতে পারে ১০ থেকে ১২ বছরের জন্য

    দুই দেশের মধ্যে থাকা বর্তমান চুক্তির মেয়াদ আগামী বছর পর্যন্ত। প্রসঙ্গত, আগেই ভারত সরকার বাংলাদেশকে (Bangladesh) জানিয়েছিল যে গঙ্গার জলের (Ganga Water Treaty) বড় অংশ ভারতের প্রয়োজন, কারণ দেশের উন্নয়নের জন্য এটি অপরিহার্য। নতুন যে চুক্তি হতে পারে, তাতে এই দাবির প্রতিফলন ঘটবে বলেই মনে করা হচ্ছে। সম্ভাব্য এই নতুন চুক্তি ১০ থেকে ১৫ বছরের জন্য কার্যকর হতে পারে। মূল গঙ্গা জলচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল ১৯৯৬ সালের ১২ ডিসেম্বর। সেই চুক্তিতে নির্ধারিত হয়েছিল কোন দেশ গঙ্গার কতটা জল পাবে। মে মাসে বাংলাদেশের সঙ্গে অনুষ্ঠিত দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পরে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক জানিয়েছিলেন, পহেলগাঁও হামলার পর সবকিছু বদলে গিয়েছে। আগে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে গঙ্গা জলচুক্তি ৩০ বছরের জন্য পুনর্নবীকরণ করা হবে, কিন্তু এখন পরিস্থিতি একেবারে পালটে গেছে, তাই নতুন করে ভাবতে হচ্ছে। ওই আধিকারিক আরও জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশের (Bangladesh) সঙ্গে এই বৈঠক ছিল সৌজন্যমূলক ও রুটিন দ্বিপাক্ষিক বৈঠক। তবু ঢাকাকে জানানো হয়েছে ভারতের জল চাহিদা দিন দিন বাড়ছে এবং এই বাস্তবতার প্রতিফলন পড়বে নতুন চুক্তিতে।

    কত জল প্রয়োজন ভারতের?

    বর্তমানে ভারত ও বাংলাদেশ (Bangladesh) উভয় দেশ গড়ে ৩৫,০০০ কিউসেক করে জল ব্যবহার করে। প্রতি ১০ দিন অন্তর জল ভাগাভাগির হিসেব নির্ধারিত হয়। তবে বর্তমানে ভারতের আরও ৩০,০০০ থেকে ৩৫,০০০ কিউসেক অতিরিক্ত জলের (Ganga Water Treaty) প্রয়োজন পড়ছে বলে জানা গিয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার ইতিমধ্যে পশ্চিমবঙ্গ ও বিহার সরকারের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে এবিষয়ে। দুই রাজ্যেই সেচ ও পানীয় জলের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে।

  • World Record: আন্তর্জাতিক যোগ দিবসে ৬টি নয়া বিশ্ব রেকর্ডের দাবিদার হল ভারত, কী কী জানেন?

    World Record: আন্তর্জাতিক যোগ দিবসে ৬টি নয়া বিশ্ব রেকর্ডের দাবিদার হল ভারত, কী কী জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আন্তর্জাতিক যোগ দিবসে (International Yoga Day) ছয়টি নয়া বিশ্ব রেকর্ডের দাবিদার হল ভারত, যার মধ্যে রয়েছে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডও (World Record)। এই ছয়টি বিশ্ব রেকর্ড গড়া হয় একেবারে আন্তর্জাতিক যোগ দিবসের দিনেই।

    অন্ধ্রপ্রদেশে জোড়া গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড (World Record)

    ১১তম আন্তর্জাতিক যোগ দিবসে অন্ধ্রপ্রদেশে দুটি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের দাবিদার হল ভারত। আরকে সৈকতে ৩,০৩,৬৫৪ জন একসঙ্গে বসে যোগাভ্যাস করেন। এখানেই হাজির ছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। যোগ অনুশীলনের সর্ববৃহৎ রেকর্ডের (World Record) স্বীকৃতি পায় এই সমাবেশ। একই সঙ্গে ২২,০০০ আদিবাসী ছাত্রছাত্রী ১০৮ মিনিট ধরে ১০৮ বার সূর্য নমস্কার করে আরেকটি বিশ্বরেকর্ড গড়েন।

    মোহালির এইমস তৈরি করল এশিয়ার রেকর্ড

    মোহালির এইমস-এ স্বাস্থ্যকর্মীদের সবচেয়ে বড় সমাবেশ হয় যোগ দিবসে। একসঙ্গে বসে যোগাভ্যাস করেন তাঁরা। এই যোগ শিবিরের মাধ্যমে তাঁরা এশিয়া বুক অব রেকর্ডসে (World Record) নাম তোলেন।

    গুজরাটে ভুজঙ্গাসনে গিনেস রেকর্ড

    গুজরাটের ভাটনগরে ২,১২১ জন একসঙ্গে ভুজঙ্গাসন করেন আন্তর্জাতিক যোগ দিবসে (International Yoga Day)। এর মাধ্যমে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের দাবিদার হন তাঁরা।

    কুরুক্ষেত্রের ব্রহ্মসরোবর-এ রেকর্ড জমায়েত

    হরিয়ানার কুরুক্ষেত্রে ব্রহ্মসরোবর-এ এক লক্ষেরও বেশি মানুষের জমায়েত হয়। এদের মধ্যে প্রায় ৪০ হাজার ছিল স্কুল ছাত্রছাত্রী। তারা বিভিন্ন আসন ও প্রাণায়াম অনুশীলন করে। এখানে উপস্থিত ছিলেন যোগগুরু স্বামী রামদেব ও হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী। এই বিশাল শিবির একাধিক রেকর্ড ভেঙে দেয়।

    কৃষ্ণা নদীর উপর ভাসমান যোগাভ্যাস

    আন্তর্জাতিক যোগ দিবসে অন্ধ্রপ্রদেশের কৃষ্ণা নদীতে একটি অভিনব রেকর্ড তৈরি হয়। সেখানে এক হাজারেরও বেশি অংশগ্রহণকারী স্পিডবোট ও অন্যান্য প্রায় ২০০টি জলযানে ভাসমান অবস্থায় যোগাভ্যাস করেন। এই উদ্যোগে সহায়তা করে এনটিআর জেলা প্রশাসন।

    লখনউয়ে সূর্য নমস্কার ভেঙে দিল পুরনো রেকর্ড

    উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ের কিং জর্জ মেডিকেল ইউনিভার্সিটিতে সূর্য নমস্কার অনুষ্ঠানে ব্যাপক ভিড় হয়। সরদার প্যাটেল গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত এই যোগ শিবিরে প্রায় ১,২০০ ছাত্রছাত্রী, অধ্যাপক ও কর্মীরা অংশগ্রহণ করেন। এখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যপালও। এই আয়োজন অনেক আন্তর্জাতিক রেকর্ড ভেঙে দেয় (World Record)।

  • Artificial Intelligence: কৃত্রিম মেধার প্রয়োগে পরবর্তী প্রজন্মকে প্রস্তুত করতে এগিয়ে চলেছে দেশ, জানালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী

    Artificial Intelligence: কৃত্রিম মেধার প্রয়োগে পরবর্তী প্রজন্মকে প্রস্তুত করতে এগিয়ে চলেছে দেশ, জানালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্তমানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (Artificial Intelligence) যুগ চলছে। এই আবহে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জয়ন্ত চৌধুরী সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে আমাদের দেশ ভারতবর্ষ দ্রুত এগিয়ে চলেছে, যাতে কৃত্রিম মেধার বিষয়ে পরবর্তী প্রজন্ম শুধুমাত্র সচেতনই নয়, তারা এটিকে প্রয়োগ করার ব্যাপারেও প্রস্তুত হতে পারে।

    ১৫ জুলাই থেকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ওপর একটি নতুন কোর্স চালু হচ্ছে

    প্রসঙ্গত, এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, শিক্ষাদানের পদ্ধতি আমাদের পরিবর্তন করতে হবে। পড়ুয়াদের কেবল প্রযুক্তি সম্পর্কে নয় বরং চারপাশের সামাজিক রীতিনীতি ও মূল্যবোধ সম্পর্কেও সচেতন করতে হবে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ফলাফল কী হতে পারে, তাও তাদের জানাতে হবে, সেটা চ্যাটজিপিটি হোক বা ভারতীয় মডেল ‘সর্বম’ হোক। তিনি আরও জানিয়েছেন, আগামী ১৫ জুলাই থেকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ওপর একটি নতুন কোর্স (Artificial Intelligence) চালু হচ্ছে, এবং ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়াদের এই বিষয়ে শিক্ষাদান করা হবে। এই কোর্সের পোশাকি নাম দেওয়া হয়েছে AI for Everyone – AI for All.

    শিক্ষকদেরও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিষয়ক প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রী (Union Minister Jayant Chaudhary) আরও জানিয়েছেন, এই কোর্সটি প্রযুক্তি সংস্থাগুলির সহায়তায় তৈরি করা হচ্ছে এবং ভারতবর্ষের ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর ভোকেশনাল ট্রেনিং এই কোর্সটির বিভিন্ন দিক দেখভাল করছে। শিক্ষকদেরও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিষয়ক প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। তিনি আরও জানান, ৩০ হাজারেরও বেশি স্কুল ইতিমধ্যেই স্কিল হাব তৈরি করার উদ্যোগ নিয়েছে। এর ফলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, রোবটিক্স প্রভৃতি বিষয়ে পড়াশোনা ও গবেষণা চালাতে পারবে (Artificial Intelligence)।

    সরকারের বিভিন্ন পরিকল্পনা

    জানা গিয়েছে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (Artificial Intelligence) ওপর চালু হয়েছে AI Readiness Program। এই প্রোগ্রাম শুরু হবে জওহর নবোদয় বিদ্যালয় থেকে। প্রসঙ্গত, জওহর নবোদয় বিদ্যালয় হল কেন্দ্রীয় সরকারের একটি আবাসিক স্কুল যা অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল পড়ুয়াদের জন্য তৈরি করা হয়েছে। স্কুল পাঠ্যক্রমে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অন্তর্ভুক্তির জন্য সরকারের পরিকল্পনার বিশদ ব্যাখ্যা করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জয়ন্ত চৌধুরী। তিনি বলেন, সরকারের এই প্রচেষ্টা কেবল শ্রেণিকক্ষে সীমাবদ্ধ নয়। সরকার ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করতে এনসিআইআরটি-র সঙ্গে কাজ করছে। একইসঙ্গে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহারিক প্রয়োগের জন্য ১০ হাজার ল্যাবরেটরির সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে। পাশাপাশি, ৫০,০০০ স্কুলে এই ধরনের পরিকাঠামো গড়ে তোলার পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছে। তিনি (Union Minister Jayant Chaudhary) আরও বলেন, Skill India Digital Hub, FutureSkills-এর মতো প্ল্যাটফর্মগুলো ইতিমধ্যেই দেশজুড়ে বিভিন্ন পড়ুয়াদের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কোর্স অফার করছে।

LinkedIn
Share