Tag: India

India

  • PM Modi: “ওঁর অনুভূতিকে অনুভব করি”, ট্রাম্পের ‘‘বন্ধু’’ মন্তব্যের ছোট্ট প্রতিক্রিয়া মোদির

    PM Modi: “ওঁর অনুভূতিকে অনুভব করি”, ট্রাম্পের ‘‘বন্ধু’’ মন্তব্যের ছোট্ট প্রতিক্রিয়া মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় পণ্যের ওপর দু’দফায় ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। ট্রাম্পের এই চড়া শুল্কনীতির জেরে এক অক্ষে চলে আসে ভারত-রাশিয়া ও চিন। এতেই প্রমাদ গোনে ট্রাম্প প্রশাসন। ঘরে-বাইরে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তারপরেই তিনি বলেন, “আমি সব সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) বন্ধু। নরেন্দ্র মোদি আমার বিশেষ বন্ধু। সব সময় বিশেষই থাকবেন। আমি তাঁকে খুব পছন্দ করি।” মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, “নরেন্দ্র মোদি আমার বিশেষ বন্ধু। সব সময় বিশেষ থাকবেন। আমি তাঁকে খুব পছন্দ করি। কিন্তু এই মুহূর্তে তিনি যা করছেন, সেটা ঠিক নয়। ভারত ও আমেরিকার মধ্যে একটা বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে।” ট্রাম্পের এহেন মন্তব্যের জেরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানান, তিনি ট্রাম্পের অনুভূতিকে অনুভব করেন।

    মোদির ট্যুইট বার্তা (PM Modi)

    প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রীর এহেন মন্তব্য এল এমন একটা সময়ে, যখন ট্রাম্প বলেন, তিনি সর্বদা মোদির বন্ধু থাকবেন। অথচ এর ঠিক একদিন আগেই তিনি দাবি করেছিলেন, ‘আমেরিকা ভারতকে সব চেয়ে গভীর, অন্ধকার চিনের হাতে হারিয়ে ফেলেছে।’ প্রত্যুত্তরে ট্যুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অনুভূতি ও আমাদের সম্পর্কের ইতিবাচক মূল্যায়নের গভীর প্রশংসা করি এবং সম্পূর্ণভাবে অনুভব করি। ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে একটি অত্যন্ত ইতিবাচক এবং ভবিষ্যৎমুখী সামগ্রিক ও বৈশ্বিক কৌশলগত অংশীদারিত্ব রয়েছে।” তবে প্রধানমন্ত্রী যখন বললেন যে তিনি ট্রাম্পের অনুভূতির “প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন”, তখন তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টকে তার বন্ধু হিসেবে উল্লেখ করতে এড়িয়ে গিয়েছেন। যার অর্থ হল, এই সম্পর্কের উত্তাপ শিথিল করতে হলে পেছনের দিকে কিছু কাজ করতে হবে।

    ইতিবাচক বাক্য বিনিময়

    দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে ইতিবাচক (PM Modi) এই বাক্য বিনিময় এই ধারণাকে জোরালো করে যে, ট্রাম্প ও তাঁর আধিকারিকদের ভারতবিরোধী উত্তেজক মন্তব্যের ঝড় সত্ত্বেও দুই দেশের সম্পর্ক মেরামত করার দরজা এখনও খোলা রয়েছে। ট্রাম্প ও তাঁর আধিকারিকরা একাধিকবার ভারত বিরোধী মন্তব্য (Donald Trump) করলেও, ভারত সরাসরি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কোনও মন্তব্য করেনি, করেনি কোনও পদক্ষেপও। ট্রাম্পের সমালোচনাও করেনি। যদিও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে মস্কো থেকে অপরিশোধিত তেল কেনায় ভারতের ওপর চড়া শুল্ক আরোপ করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। ভারতের কৃষি ও দুগ্ধ খাত আমেরিকার জন্য খোলার বিষয়ে অনিচ্ছা প্রকাশ করায় আটকে গিয়েছে দুই দেশের বাণিজ্য চুক্তি, যা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে সম্পর্কের শীতলতা। শুক্রবারও ট্রাম্প ভারতকে নিশানা করে জানান, যখন তিনি চিনে অনুষ্ঠিত এসসিও (SCO) শীর্ষ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী মোদির উপস্থিতির বিষয়টি উল্লেখ করেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তিয়ানজিনে হাসিমুখে একে অন্যের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ছবি প্রদর্শন করার পর আরও বিব্রত বোধ করেন ট্রাম্প।

    ট্রাম্পের বক্তব্য

    এর পরেই মোদি, পুতিন ও শি জিনপিংকে এক (PM Modi) সঙ্গে হাঁটতে দেখা যাচ্ছে এমন একটি ছবি পোস্ট করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রাম্প লেখেন, ‘দেখে মনে হচ্ছে আমরা ভারত ও রাশিয়াকে হারিয়েছি সবচেয়ে গাঢ়, অন্ধকার চিনের কাছে। তারা যেন এক সঙ্গে দীর্ঘ ও সমৃদ্ধশালী ভবিষ্যৎ কাটায়!’ এরই কয়েক ঘণ্টা পরে ট্রাম্প ভারতের সঙ্গে উত্তেজনা কমানোর চেষ্টা করেন। তিনি জানান, সম্পর্কটি এখনও ‘বিশেষ’ এবং তিনি প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে শক্তিশালী বন্ধন বজায় রেখেছেন। ট্রাম্প (Donald Trump) বলেন, “আমি সর্বদা (প্রধানমন্ত্রী) মোদির সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখব। তিনি একজন মহান প্রধানমন্ত্রী। আমি সর্বদা বন্ধু থাকব। তবে আমি ঠিক এই বিশেষ মুহূর্তে তিনি যা করছেন তা পছন্দ করি না। কিন্তু ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে একটি বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে। চিন্তার কিছু নেই। মাঝে মাঝে আমাদের মতবিরোধ হয় (PM Modi)।”

    ট্রাম্পের ভোল বদল

    সম্প্রতি ট্রাম্প ও তাঁর সহকারীরা ভারতের ব্যাপারে আরও সংযত ভাষা ব্যবহার করেছেন। অথচ গোটা সপ্তাহটা ধরে ভারতের বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা করেছিল ট্রাম্প প্রশাসন। ভারতকে “ক্রেমলিনের লন্ড্রোম্যাট”ও বলা হয়েছিল, রাশিয়া ইউক্রেন সংঘর্ষকে বলা হয়েছিল “মোদি যুদ্ধ”। গত সপ্তাহেই ট্রাম্প বলেন, আমেরিকা ও ভারতের সম্পর্ক খুব ভালো। যদিও তিনি এই সম্পর্ককে “একতরফা” হিসেবে উল্লেখ করেছেন বাণিজ্য অসমতার কারণে। আমেরিকার ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্টও (Donald Trump) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-ভারত সম্পর্কের শক্তি এবং স্থায়ীত্বের গুরুত্ব তুলে ধরেছেন। তিনি বলেন, “আমার মনে হয় দিনের শেষে, দু’টি মহান দেশ এটি সমাধান করবে (PM Modi)।”

  • Donald Trump: ‘সবসময় মোদির বন্ধু’! চিনের কাছে ভারত, রাশিয়াকে হারিয়ে ফেললাম বলার পর ফের ডিগবাজি ট্রাম্পের

    Donald Trump: ‘সবসময় মোদির বন্ধু’! চিনের কাছে ভারত, রাশিয়াকে হারিয়ে ফেললাম বলার পর ফের ডিগবাজি ট্রাম্পের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের ডিগবাজি ট্রাম্পের। ভারতের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। এইভাবেই তিনি ভারত ও রাশিয়াকে চাপে রাখার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ট্রাম্পের এই শুল্কনীতির জবাবে ভারত, চিন ও রাশিয়ার মধ্যে সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠে। এরপর ট্রাম্প জানালেন, তিনি সবসময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বন্ধু। একইসঙ্গে শুক্রবারে তিনি সামাজিক মাধ্যমে একটি পোস্ট করে লেখেন, “চিনের কাছে হয়ত ভারত ও রাশিয়াকে হারিয়ে ফেললাম।”

    কী লিখলেন, কী বললেন ট্রাম্প (Donald Trump)?

    নিজের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ‘ট্রুথ সোশাল’-এ পোস্ট করে ট্রাম্প লেখেন, “দেখে মনে হচ্ছে ভারত ও রাশিয়াকে চিনের কাছে হারিয়ে ফেললাম। তাদের দীর্ঘ ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ কামনা করি।” ট্রাম্পের এই মন্তব্য ঘিরে হইচই পড়ে যায়। পরে, হোয়াইট হাউসে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নে নিজের আগের বক্তব্যের ব্যাখ্যা করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ফের একবার স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে নয়াদিল্লিকে নিয়ে তিনি বলেন, “আমার মনে হয় না আমরা ভারতকে হারিয়ে ফেলেছি। আমি খুব আশাহত যে ভারত রাশিয়ার কাছ থেকে এত তেল কিনছে। আমি সে কথা জানিয়েছি। আমরা ভারতের উপরে চড়া শুল্ক বসিয়েছি, ৫০ শতাংশ শুল্ক। আপনারা জানেন, মোদির সঙ্গে আমার সম্পর্ক খুব ভালো। কয়েক মাস আগে তিনি এখানে এসেছিলেন। আমরা রোজ গার্ডেনে গিয়ে সাংবাদিক বৈঠকও করেছিলাম।” ট্রাম্প (Donald Trump) আরও বলেন, “নরেন্দ্র মোদি আমার বিশেষ বন্ধু। সবসময় বিশেষ থাকবেন। আমি তাঁকে খুব পছন্দ করি। কিন্তু এই মুহূর্তে তিনি যা করছেন, সেটা ঠিক নয়। ভারত (India) ও আমেরিকার মধ্যে একটা বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে।”

    ভারত-চিন-রাশিয়ার জোট

    আমেরিকা যখন ভারতের ওপর শুল্ক আরোপ করে চাপ সৃষ্টির চেষ্টা করছে, ঠিক সেই সময় ভারতের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে চিন ও রাশিয়া। সম্প্রতি, সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনের সামিটে অংশ নিতে চিনের তিয়ানজিনে গিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Donald Trump) এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সেখানে তাঁরা চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন। তিন রাষ্ট্রনেতার এই সাক্ষাৎ ও আলোচনা বিশ্বজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছে। অনেকেই মনে করছেন, এই বৈঠকের মাধ্যমে ভারত, চিন ও রাশিয়া একত্রে একটি ত্রি-শক্তির মঞ্চ তৈরি করছে, যার ফলে আমেরিকা আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে কিছুটা একঘরে হয়ে পড়ছে।

  • Sin Tax: দেশজুড়ে চর্চা, এই পণ্যগুলি কিনলে বইতে হবে বাড়তি ‘পাপের বোঝা’! কী এই ‘সিন ট্যাক্স’?

    Sin Tax: দেশজুড়ে চর্চা, এই পণ্যগুলি কিনলে বইতে হবে বাড়তি ‘পাপের বোঝা’! কী এই ‘সিন ট্যাক্স’?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১৭ সালে চালু হয় পণ্য ও পরিষেবা কর, যাকে বলা হয় জিএসটি। ৮ বছর পর বুধবার, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী জিএসটি কাউন্সিল করের স্ল্যাব পুনর্বিন্যাস করেছে। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন নতুন জিএসটি হার ঘোষণা করেছেন। নতুন জিএসটি কর হারের ঘোষণা হওয়া ইস্তক দেশে একজোড়া শব্দবন্ধ নিয়ে বিস্তর আলোচনা হচ্ছে। তা হচ্ছে ‘সিন ট্যাক্স’ (Sin Tax)।

    জিএসটি কাউন্সিলের ঘোষণা অনুযায়ী, এ বার থেকে দু’টি হারে জিএসটি কার্যকর হবে— ৫ এবং ১৮ শতাংশ। ১২ এবং ২৮ শতাংশের যে জিএসটি স্তর ছিল, তা তুলে দেওয়া হল। এছাড়া, কিছু পণ্যকে রাখা হয়েছে ৪০ শতাংশ হারের বিশেষ তালিকায়। এই বিশেষ কর হারের তালিকাকে বলা হচ্ছে ‘সিন অ্যান্ড লাক্সারি ট্যাক্স’ (Sin Tax) আর সেই তালিকায় থাকা পণ্যগুলিকে বলা হচ্ছে ‘সিন অ্যান্ড লাক্সারি গুডস’।

    ‘সিন ট্যাক্স’-এর বাংলা অর্থ করলে বোঝায় ‘পাপের কর’। অর্থাৎ, অর্থনৈতিক ও নীতিগতভাবে এই শব্দটি একটি নির্দিষ্ট গুরুত্ব বহন করে। কারণ, মনে করা হয়, ব্যক্তি বা সমাজের ওপর ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলে—এমন জিনিসগুলিকে এই করের আওতায় আনা হয়। অর্থাৎ, ‘সিন ট্যাক্স’-এর আওতায়। সাম্প্রতিক সময়ে জিএসটি কাউন্সিলের সভায় এই ‘সিন ট্যাক্স’-এর প্রাসঙ্গিকতা ফের একবার উঠে এসেছে, বিশেষত এই করের মাধ্যমে রাজস্ব তৈরি এবং এই করের আওতায় থাকা জিনিসগুলি কীভাবে যেকোনও মানুষের আচরণকে প্রভাবিত করে, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ভারতবর্ষের (India) ক্ষেত্রে ‘সিন ট্যাক্স’ (Sin Tax) কিভাবে কাজ করে, তা বোঝা আমাদের পক্ষে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই নিয়েই আমাদের প্রতিবেদন।

    ‘সিন ট্যাক্স’ আরোপিত করা হচ্ছে এমন কতগুলি পণ্য

    শুরুর কথাতেই যেমন বলা হয়েছে, নাগরিকদের স্বাস্থ্য, সমাজ বা পরিবেশের উপর ক্ষতিকারক বলে বিবেচিত হয় এমন পণ্য ও পরিষেবার উপর আরোপিত একটি করকেই ‘সিন ট্যাক্স’ (Sin Tax) বলা হয়। এগুলি সাধারণভাবে বেশিরভাগটাই অপ্রয়োজনীয় জিনিস এবং ব্যক্তিগত পর্যায়ে অথবা সামাজিক ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদী একটি নেতিবাচক প্রভাব ফেলে এবং সমাজের ক্ষতি ডেকে আনতে পারে। এবার কয়েকটি উদাহরণ সহ বোঝা যাক—যেমন, ‘সিন ট্যাক্স’-এর আওতায় পড়ছে তামাক, সিগারেট, মদ্যপান, পান মসলা, জুয়া, যেকোনও ধরনের বাজি। এর পেছনে উদ্দেশ্য হল—এই করের আওতায় থাকা জিনিসগুলি যাতে মানুষ কম ব্যবহার করেন এবং সেগুলির প্রতি মানুষের আকর্ষণ কমে যায়, সেইজন্যই সরকার এগুলির ওপর বেশি কর আরোপ করছে, জিএসটি বেশি নিচ্ছে।

    বর্তমানে সিগারেট ও তামাকজাত পণ্যের উপরে সর্বোচ্চ ২৮ শতাংশ জিএসটি রয়েছে

    দেশে বর্তমানে সিগারেট ও তামাকজাত পণ্যের উপরে সর্বোচ্চ ২৮ শতাংশ জিএসটি রয়েছে। ভারতে সিগারেটের উপরে মোট ৫২ শতাংশ কর চালু রয়েছে। বিড়ির উপরে ২২ শতাংশ কর বর্তমানে চালু রয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ ভারত। সেই অনুযায়ী, তামাকজাত পণ্যে ৭৫ শতাংশ কর আরোপ করতে পারে ভারত সরকার। ৪০ শতাংশ জিএসটি হওয়ায় এই করের হার ৬৪ শতাংশ হবে। উদ্দেশ্য স্পষ্ট—দাম যত বাড়বে, তত মানুষ এগুলি কিনতে চাইবেন না। বলা হচ্ছে, ভারতবর্ষের মতো দেশে জনস্বাস্থ্য ও সমাজকল্যাণ আজ চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। এই চ্যালেঞ্জের অন্যতম কারণ হিসেবে ধরা হচ্ছে—তামাক ব্যবহার, অ্যালকোহল সেবন এবং জীবনযাত্রা-সম্পর্কিত নানা স্বাস্থ্য সমস্যা, যা সমাজকেও ক্ষতিগ্রস্ত করছে।

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদনে কী বলা হল?

    একই সঙ্গে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে—তামাক ব্যবহারের ফলে ভারতে প্রচুর মানুষের মৃত্যু হয়। শুধু তাই নয়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এও জানিয়েছে যে, প্রতিবছর শুধুমাত্র তামাক ব্যবহারের কারণেই ভারতে প্রায় ১৩.৫ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়। সারা পৃথিবীর মধ্যে ভারতের নাগরিকরাই সবচেয়ে বেশি তামাক ব্যবহার করেন। তামাক উৎপাদনকারী দেশ হিসেবেও ভারত সারা পৃথিবীতে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।

    ১৫ বছর বা তার বেশি বয়সের প্রায় ২৬ কোটি মানুষ তামাক সেবন করে

    ২০১৬-১৭ সালের ‘গ্লোবাল অ্যাডাল্ট টোব্যাকো সার্ভে ইন্ডিয়া’-র তথ্য অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে, ভারতে ১৫ বছর বা তার বেশি বয়সের প্রায় ২৬ কোটি মানুষ তামাক (Sin Tax) ব্যবহার করেন। ভারতে তামাক ব্যবহারের সবচেয়ে প্রচলিত ধরন হল ‘ধোঁয়াবিহীন তামাক’। এর মধ্যে পড়ে—খৈনি, গুটখা, পান তামাক, জর্দা ইত্যাদি। আর ধোঁয়াযুক্ত তামাকের মধ্যে পড়ে—বিড়ি, সিগারেট, হুক্কা ইত্যাদি। এই ধরনের ‘সিন ট্যাক্স’ আরোপ করে মোদি সরকার অতিরিক্ত তামাক সেবনকে রুখতে চাইছে এবং স্বাস্থ্যসেবা ব্যয় পরিচালনার জন্য অতিরিক্ত রাজস্ব সুরক্ষিত করতে চাইছে।

    এক নজরে ‘সিন অ্যান্ড লাক্সারি গুডস’-এর তালিকা

    ১) তামাকজাত পণ্য, ২) গুটখা, ৩) পানমশলা, ৪) জর্দা, ৫) অন্যান্য তামাকজাত পণ্য, ৬) সিগারেট, ৭) সিগার/চুরুট, ৮) মিষ্টি যুক্ত ঠান্ডা পানীয়, ৯) কোল্ড ড্রিঙ্কস, ১০) ক্যাফিন যুক্ত কোল্ড ড্রিঙ্কস, ১১) লাক্সারি গাড়ি, ১২) ১২০০ সিসির বেশি ইঞ্জিন ক্যাপাসিটির পেট্রল গাড়ি, ১৩) ১৫০০ সিসির বেশি ইঞ্জিন ক্যাপাসিটির ডিজেল গাড়ি, ১৪) ৩৫০ সিসির উপরে মোটরবাইক, ১৫) ইয়ট, ১৬) হেলিকপ্টার, প্রাইভেট এয়ারক্রাফট, ১৭) কয়লা, লিগনাইট, পিট, ১৮) অনলাইন গ্যাম্বলিং ও গেমিং সার্ভিস

  • Putin: “ভারত বা চিনের সঙ্গে এভাবে কথা বলা যায় না”, ট্রাম্পকে সতর্ক করলেন পুতিন

    Putin: “ভারত বা চিনের সঙ্গে এভাবে কথা বলা যায় না”, ট্রাম্পকে সতর্ক করলেন পুতিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ভারত বা চিনের সঙ্গে এভাবে কথা বলা যায় না।” ওয়াশিংটনকে ঠিক এই ভাষায়ই সতর্ক করে দিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Putin)। শুধু তাই নয়, শুল্ক ও নিষেধাজ্ঞার (Trumps Tariff Pressure) মাধ্যমে ভারত ও চিনকে জোর করে চাপে ফেলার চেষ্টা  না করার পরামর্শও তিনি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিন্ডেন্টকে।

    বৃহত্তম শক্তিকে দুর্বল করার চেষ্টা! (Putin)

    চিনে আয়োজিত এসসিও শীর্ষ সম্মেলন ও একটি সামরিক কুচকাওয়াজে অংশগ্রহণের পর সাংবাদিক বৈঠকে অংশ নিয়ে পুতিন বলেন, “ট্রাম্প প্রশাসন অর্থনৈতিক চাপকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে এশিয়ার দু’টি বৃহত্তম শক্তিকে দুর্বল করার চেষ্টা করছে।” ভারত ও চিনকে অংশীদার আখ্যা দিয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কনীতি ছিল এই দেশগুলির নেতৃত্বকে দুর্বল করার প্রচেষ্টা।” তিনি বলেন, “আপনারা ভারতের মতো দেশ পেয়েছেন যেখানে দেড় বিলিয়ন মানুষ, চিন, যাদের শক্তিশালী অর্থনীতি আছে, তবে তাদেরও নিজেদের ঘরোয়া রাজনৈতিক ব্যবস্থা ও আইন রয়েছে। যখন কেউ আপনাকে বলে যে তারা আপনাকে শাস্তি দেবে, তখন ভাবতে হবে — এত বড় দেশের নেতৃত্ব কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাবে?”

    কী বললেন পুতিন?

    পুতিন (Putin) বলেন, “ইতিহাস এই দুই দেশের রাজনৈতিক ক্ষেত্রের ওপর গভীর প্রভাব ফেলেছে। তাদের ইতিহাসেও কঠিন সময় ছিল, যেমন ঔপনিবেশিক শাসন, দীর্ঘ সময় ধরে সার্বভৌমত্বের ওপর চাপ। যদি তাদের মধ্যে কেউ দুর্বলতা দেখায়, তবে তার রাজনৈতিক জীবন শেষ হয়ে যাবে। তাই এই বিষয়গুলি তার আচরণকে প্রভাবিত করে।” এর পরেই রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, “ওয়াশিংটনের কথাবার্তা এখনও পুরোনো মানসিকতার প্রতিধ্বনি। ঔপনিবেশিকতার যুগ এখন শেষ। তাদের বুঝতে হবে, অংশীদারদের সঙ্গে কথোপকথনে এই ধরনের শব্দ তারা ব্যবহার করতে পারে না।” তিনি বলেন, “অবশেষে সব কিছু মিটে যাবে। প্রতিটি বিষয় তার নিজের জায়গায় বসবে এবং আমরা আবারও স্বাভাবিক রাজনৈতিক আলাপ-আলোচনা দেখতে পাব (Trumps Tariff Pressure)।”

    প্রসঙ্গত, পুতিনের (Putin) এই মন্তব্য করেছেন এমন একটা সময়ে যখন ভারত রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল কেনার কারণে মার্কিন জরিমানার মুখে পড়ছে। আর চিন ওয়াশিংটনের সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে।

     

  • India: অগাস্ট মাসে অসাধারণ সাফল্য দেখিয়েছে ভারতের উৎপাদন খাত, বলছে সমীক্ষা

    India: অগাস্ট মাসে অসাধারণ সাফল্য দেখিয়েছে ভারতের উৎপাদন খাত, বলছে সমীক্ষা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছরের অগাস্ট মাসে অসাধারণ সাফল্য দেখিয়েছে ভারতের উৎপাদন খাত। এইচএসবিসি ইন্ডিয়া ম্যানুফ্যাকচারিং পারচেজিং ম্যানেজার্স’ ইনডেক্স (PMI) গত জুলাইয়ের ৫৯.১ থেকে বেড়ে অগাস্টে দাঁড়িয়েছে (India) ৫৯.৩-তে। সোমবার এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল প্রকাশিত রিপোর্ট থেকেই এ খবর মিলেছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, এটি গত সাড়ে ১৭ বছরে কার্যকলাপের অবস্থার সবচেয়ে দ্রুত উন্নতি। এই প্রবৃদ্ধির হার রেকর্ড-ব্রেকিং। সমীক্ষা অনুযায়ী, এই গতি মূলত শক্তিশালী হয়েছে অভ্যন্তরীণ চাহিদা এবং প্রস্তুতকারীদের সফল বিজ্ঞাপন প্রচেষ্টার কারণে। এইচএসবিসির প্রধান  অর্থনীতিবিদ (ভারত) প্রাঞ্জুল ভান্ডারী বলেন, “অগাস্টে ভারতের ম্যানুফ্যাকচারিং পিএমআই আবারও নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে, যা মূলত উৎপাদনের দ্রুত সম্প্রসারণ দ্বারা চালিত হয়।”

    নয়া চাকরির সৃষ্টি (India)

    রিপোর্টে বলা হয়েছে, মধ্যবর্তী পণ্যের খাতই প্রবৃদ্ধির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে, যা পুঁজি পণ্য ও ভোক্তা পণ্যকে পিছনে ফেলে দিয়েছে। বিভিন্ন খাতের উৎপাদকরা শক্তিশালী বিক্রি ও উৎপাদন কর্মদক্ষতার কথা জানিয়েছেন, যা সম্ভব হয়েছে দেশীয় অর্ডারের ব্যাপক বৃদ্ধির কারণে। সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারীরা তাঁদের প্রবৃদ্ধির কৃতিত্ব দিয়েছেন কার্যকর বিজ্ঞাপনী প্রচার এবং শক্তিশালী গ্রাহক মনোভাবকে। এই দেশীয় চাহিদা আন্তর্জাতিক অর্ডারের তুলনামূলক ধীর প্রবৃদ্ধির বিপরীতে কেবলমাত্র সামান্য বৃদ্ধিকে সমন্বয় করেছে। প্রতিবেদন থেকেই জানা গিয়েছে, এই প্রবৃদ্ধি ইঙ্গিত দিচ্ছে নয়া চাকরির সৃষ্টি ও মজুদ বৃদ্ধি আত্মবিশ্বাসের। ইতিবাচক লক্ষণ হিসেবে এই সব উৎপাদন খাত টানা আঠারো মাস ধরে নয়া চাকরির সুযোগ সৃষ্টি করেছে। কোম্পানিগুলি কাঁচামালের মজুদ বৃদ্ধি করেছে এবং তৈরি হয়ে যাওয়া পণ্যের মজুদেও বৃদ্ধি দেখেছে, যা গত ন’মাসের মধ্যে প্রথমবারের মতো মজুদের ঊর্ধ্বগতি নির্দেশ করছে (PMI)।

    বেড়েছে কাঁচামাল কেনাও

    প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শিরোনাম (India) সূচকের ঊর্ধ্বমুখী গতি মূলত উৎপাদন ভলিউম বৃদ্ধি ত্বরান্বিত হওয়ার প্রতিফলন, যা প্রায় পাঁচ বছরের মধ্যে সবচেয়ে দ্রুত সম্প্রসারণ। এই আশা কেবল উৎপাদনেই সীমাবদ্ধ ছিল না। ব্যবসাগুলি ভবিষ্যৎ প্রবৃদ্ধির প্রত্যাশায় কাঁচামাল কেনাও বাড়িয়ে দিয়েছে, যার জেরে আগামী এক বছরেও বর্তমান ঊর্ধ্বগতি অব্যাহত থাকবে বলে আত্মবিশ্বাসী ব্যবসায়ীরা। জুলাই মাসে তিন বছরের নিম্নতম স্তরে পৌঁছনোর পর প্রস্তুতকারীদের ইতিবাচক মনোভাব ফের বৃদ্ধি পেয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে রিপোর্টে। ওই রিপোর্ট থেকেই জানা গিয়েছে, আন্তর্জাতিক অর্ডারে সামান্য বৃদ্ধি হলেও, আসল প্রবৃদ্ধির চালিকাশক্তি এসেছে দেশীয় ক্রেতাদের কাছ থেকে। কার্যকর বিপণন এবং উন্নত অর্থনৈতিক ভিত্তির সহায়তায় প্রস্তুতকারীরা বড় ধরনের দেশীয় চাহিদাকেই মূল অনুঘটক হিসেবে কৃতিত্ব দিচ্ছেন (India)।

    পিএমআই কী?

    প্রশ্ন হল, পিএমআই কী এবং কেন এটি গুরুত্বপূর্ণ? পিএমআই বা পারচেজিং ম্যানেজার্স ইনডেক্স মূলত উৎপাদন খাতের মাসিক একটি রিপোর্ট কার্ডের মতো। এটি একটি প্রধান সূচক। এ থেকে অতীতের পারফরম্যান্স জানা যায় না ঠিকই, তবে ভবিষ্যতের প্রবণতার একটা ধারণা মেলে বই কি! কীভাবে কাজ করে পিএমআই (PMI)? জানা গিয়েছে, প্রতি মাসে ভারতের প্রায় ৪০০টি উৎপাদনকারী কোম্পানির ওপর সমীক্ষা করা হয়। উত্তর দেন পারচেজিং ম্যানেজাররা। এঁরাই কাঁচামাল অর্ডার ও সরবরাহের দিকটা দেখেন। তাঁরাই জানান, তাঁদের ব্যবসায়িক কাজকর্ম গত মাসের তুলনায় ভালো, নাকি খারাপ, অথবা একই রয়ে গিয়েছে। এই পারচেজিং ম্যানেজারদের দেওয়া উত্তরগুলিকে পাঁচটি প্রধান উপাদানের ভিত্তিতে একটি একক স্কোরে রূপান্তরিত করা হয়।

    পাঁচটি উপাদানের একক স্কোর

    এই পাঁচটি উপাদানের একক স্কোর হল, নয়া অর্ডার ৩০ শতাংশ, উৎপাদন ২৫ শতাংশ, কর্মসংস্থান ২০ শতাংশ, সরবরাহকারীর ডেলিভারির সময় ১৫ শতাংশ এবং কেনাকাটার মজুদ ১০ শতাংশ (India)। এবার সব মিলিয়ে মোট স্কোর যদি ৫০-এর ওপরে হয় তবে তা ধরা হয় সম্প্রসারণ হিসেবে অর্থাৎ কারখানার উৎপাদন ভালোই হচ্ছে। আর এর নীচে হলে ধরা হয় সংকোচন, অর্থাৎ কারখানায় উৎপাদনের গতি অত্যন্ত ধীর। এই সব কারণেই লগ্নিকারী, নীতিনির্ধারক এবং ব্যবসায়ীরা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করেন পিএমআই। তাই যে কোনও দেশের অর্থনীতির জন্য পিএমআই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পিএমআই ৫৯.৩ স্পষ্ট ইঙ্গিত দেয় যে, ভারতের উৎপাদন খাতের ভিত মজবুত। বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ যেমন, উচ্চ শুল্ক এবং রফতানি অর্ডারের দুর্বলতা সত্ত্বেও, দেশীয় চাহিদা এক শক্তিশালী ঢাল হিসেবে কাজ করছে (PMI)। উৎপাদনের ক্ষেত্রে এই স্থিতিশীলতা শুধু কারখানার জন্য ভালো নয়, এটি লজিস্টিকস, বাণিজ্য এবং সেবা খাতেও প্রবৃদ্ধি আনে, যার ব্যাপক প্রভাব পড়ে সমগ্র অর্থনীতিতে (India)।

  • US: “ভারত-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী,” মোদি-শি-পুতিনের মেরুকরণে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন ট্রাম্প!

    US: “ভারত-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী,” মোদি-শি-পুতিনের মেরুকরণে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন ট্রাম্প!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ভারত-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী। একবিংশ শতাব্দীতে এই সম্পর্ক আরও উন্নত হবে।” সোমবার নয়াদিল্লিকে এই মর্মে বার্তা দিল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন (US)। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতকে (PM Modi) এই বার্তা পাঠানোর সময়টা খুবই ইঙ্গিতপূর্ণ। রবিবার চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর সোমবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বেলা ১২টা নাগাদ বৈঠক করেন মোদি।

    আমেরিকার বিদেশসচিবের বার্তা (US)

    এর কিছুক্ষণ আগেই ভারতের মার্কিন দূতাবাসে পোস্ট করা হয় আমেরিকার বিদেশসচিব মার্কো রুবিয়োর বার্তা। তিনি বলেন, “আমাদের দুই দেশের স্থায়ী বন্ধুত্বই আমাদের সহযোগিতার ভিত্তি এবং এটি আমাদের এগিয়ে নিয়ে যায়, যখন আমরা আমাদের অর্থনৈতিক সম্পর্কের বিশাল সম্ভাবনাকে উপলব্ধি করি।” মার্কিন দূতাবাসের তরফে সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে লেখা হয়েছে, “এই মাসে আমরা আলোকপাত করছি সেই মানুষদের ওপর, অগ্রগতির ওপর এবং সম্ভাবনার ওপর, যা আমাদের এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। উদ্ভাবন ও উদ্যোগ থেকে শুরু করে প্রতিরক্ষা ও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক পর্যন্ত – এই যাত্রাকে এগিয়ে নেওয়ার পেছনে কাজ করছে আমাদের দুই দেশের স্থায়ী বন্ধুত্ব।”

    মস্কো থেকে জীবাশ্ম জ্বালানি কেনায় ক্ষুব্ধ আমেরিকা

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে মস্কো থেকে জীবাশ্ম জ্বালানি কেনায় ভারতের ওপর ক্ষুব্ধ ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (US)। শাস্তিস্বরূপ, তিনি দুদফায় ভারতীয় পণ্যের ওপর মোট ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেন। সঙ্গে করেছেন জরিমানাও। তবে ট্রাম্পের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করেই রাশিয়া থেকে তেল কিনে চলেছে ভারত। সেই জন্য একাধিকবার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে মার্কিন প্রশাসনের তরফে। তার পরেও নতি স্বীকার করেনি নরেন্দ্র মোদির ভারত। ইতিমধ্যেই এসসিও শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে চিনে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে তিনি পার্শ্ব বৈঠক করেন চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে। পার্শ্ববৈঠক হয় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গেও। একটি গাড়িতে করে মোদি-পুতিন পৌঁছন সম্মেলনস্থলে। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারত-চিন-রাশিয়া এই তিন (PM Modi) শক্তিধর দেশ এক মেরুতে চলে আসায় সিঁদুরে মেঘ দেখছে ট্রাম্প প্রশাসন। তার পরেই চলে আসে মার্কিন ‘বন্ধুত্বে’র বার্তা (US)।

  • India Blocks Azerbaijans Bid: এসসিওতে আজারবাইজানের পূর্ণ সদস্যপদ লাভের চেষ্টায় ভেটো দিল ভারত

    India Blocks Azerbaijans Bid: এসসিওতে আজারবাইজানের পূর্ণ সদস্যপদ লাভের চেষ্টায় ভেটো দিল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন, সংক্ষেপে, এসসিওতে (SCO) আজারবাইজানের পূর্ণ সদস্যপদ লাভের চেষ্টা (India Blocks Azerbaijans Bid) রুখে দিল ভারত। রবিবার কূটনৈতিক সূত্রেই এ খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। নয়াদিল্লি জানিয়েছে, পাকিস্তান ও তুরস্কের সঙ্গে বাকু(আজারবাইজানের রাজধানী)-র ঘনিষ্ঠ কৌশলগত সম্পর্কই এই বিরোধিতার প্রধান কারণ। এই দুই দেশই কাশ্মীর-সহ নানা বিষয়ে বারবার অবস্থান নিয়েছে ভারতের বিরুদ্ধে।

    ডায়লগ পার্টনারের মর্যাদা (India Blocks Azerbaijans Bid)

    বর্তমানে আজারবাইজান এসসিও জোটে ডায়লগ পার্টনারের মর্যাদা ভোগ করছে। তবে পূর্ণ সদস্যপদে উন্নীত হওয়ার চেষ্টাও চালিয়ে যাচ্ছে। চলতি সময়ে এসসিওর এক বৈঠকে আজারবাইজান ফের এই চেষ্টা করলে আপত্তি জানায় ভারত। জানা গিয়েছে, পাকিস্তান যেখানে ইতিমধ্যেই সদস্য, সেখানে আজারবাইজানকে অন্তর্ভুক্ত করতে ভারত রাজি নয়। কারণ এতে সংগঠনটির ভারসাম্য ভারতের স্বার্থের বিরুদ্ধে যেতে পারে। বিভিন্ন বিষয়ে পাকিস্তানকে আজারবাইজানের সমর্থন এবং চিনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (BRI)- প্রকল্পে তার সম্পৃক্ততাও ভারতের এই অবস্থানের পেছনে রয়েছে। যেহেতু ঐকমত্য প্রয়োজন, তাই ভারতের ভেটোয় আপাতত বাকুর এই আশা পূরণ হল না (India Blocks Azerbaijans Bid)।

    হিন্দু পর্যটকদের হত্যা

    প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে হিন্দু পর্যটকদের হত্যা করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। তার জেরে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এর ঠিক পক্ষকাল পরে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি জঙ্গি ঘাঁটিতে অভিযান চালায় ভারত। অভিযানের নাম দেওয়া হয় ‘অপারেশন সিঁদুর’। পরে পাকিস্তানের অনুরোধে যুদ্ধ বিরতি ঘোষণা করে ভারত। এই সময় পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়েছিল তুরস্ক। সরবরাহ করেছিল সামরিক সরঞ্জামও। ওই সময় ইসলামাবাদকে সমর্থন করে আজারবাইজান। আজারবাইজানের বিদেশমন্ত্রী জেইহুন বায়রামভের সঙ্গে পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী ইসহাক দারের ফোনে কথাবার্তা হয়েছে। ওই সময়ই পাকিস্তানের প্রতি সমর্থন জানান আজারবাইজানের বিদেশমন্ত্রী। তিনি নিরীহ মানুষের প্রাণহানিতে আন্তরিক (SCO) সমবেদনা জানান পাকিস্তানের জনগণের প্রতি। উল্লেখ্য, ভারতের দাবি, অপারেশন সিঁদুরে খতম করা হয়েছে কেবলই জঙ্গিদের (India Blocks Azerbaijans Bid)।

  • PM Modi: একসঙ্গে গাড়িতে সফর দুই রাষ্ট্রপ্রধানের, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ইতি টানতে কথা মোদি-পুতিনের!

    PM Modi: একসঙ্গে গাড়িতে সফর দুই রাষ্ট্রপ্রধানের, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ইতি টানতে কথা মোদি-পুতিনের!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়া-ইউক্রেন (Ukraine) যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর প্রথম যখন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মুখোমুখি হলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi), তখন তিনি বলেছিলেন, ‘এটা যুদ্ধের সময় নয়’। তারপর মস্কোভা নদী দিয়ে বয়ে গিয়েছে গ্যালন গ্যালন জল। বন্ধ হয়নি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। যদিও জারি রয়েছে শান্তি প্রচেষ্টা। ইউক্রেন যুদ্ধের অবসানের লক্ষ্যে শান্তি প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানিয়ে সোমবার পুতিনকে মোদি বলেন, “ভারত আশা করে সব পক্ষই এই প্রক্রিয়ায় গঠনমূলকভাবে এগিয়ে আসবে।”

    ডিসেম্বরে ভারতে আসবেন রুশ প্রেসিডেন্ট (PM Modi)

    দিন দুয়েক আগেই রাশিয়ার তরফে জানানো হয়েছিল, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আহ্বানে সাড়া দিয়ে চলতি বছরের ডিসেম্বরে ভারতে আসবেন রুশ প্রেসিডেন্ট। চিনে এসসিও শীর্ষ সম্মেলনের পর পুতিনের সঙ্গে পার্শ্ববৈঠক হয় প্রধানমন্ত্রীর। তার পরেই প্রধানমন্ত্রী নিশ্চিত করেন যে, ডিসেম্বরেই ভারত সফরে আসবেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা ইউক্রেনের যুদ্ধ নিয়ে নিয়মিত আলোচনা করছি এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য সাম্প্রতিক প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানাই।” ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এটি সম্প্রতি পুতিন ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বৈঠকের প্রতি ইঙ্গিত মোদির। তিনি বলেন, “আমরা আশা করি যে সব পক্ষই এই প্রক্রিয়ায় গঠনমূলকভাবে এগিয়ে যাবে। দ্রুত যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটিয়ে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার সমাধান খুঁজে বের করতে হবে। এটাই সমগ্র মানবজাতির আহ্বান।”

    একই গাড়িতে মোদি-পুতিন

    এদিন দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শেষে দুই রাষ্ট্রপ্রধান একই গাড়িতে করে শীর্ষ সম্মেলন থেকে বেরিয়ে যান। পরে উভয় পক্ষের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্টে প্রধানমন্ত্রী পুতিনের সঙ্গে তাঁর নিজের ছবি শেয়ার করে লেখেন, “এসসিও সম্মেলনের কার্যক্রম শেষে, প্রেসিডেন্ট পুতিন এবং আমি একসঙ্গে আমাদের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের ভেন্যুতে যাই। তাঁর সঙ্গে আলোচনা সবসময়ই গভীর চিন্তাশীল হয়।” সূত্রের খবর, প্রেসিডেন্ট পুতিন নিজেই চেয়েছিলেন যে এসসিও সম্মেলনের ভেন্যু থেকে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের স্থান রিটজ-কার্লটন হোটেলে যেতে তিনি প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে এক সঙ্গে সফর করবেন। এজন্য তিনি প্রায় ১০ মিনিট মোদির জন্য অপেক্ষাও করেন (Ukraine)। সূত্রের খবর, “এরপর দুই নেতা এক সঙ্গে তাঁর গাড়িতে ভ্রমণ করেন এবং বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন। বৈঠকের ভেন্যুতে পৌঁছানোর পরেও তাঁরা প্রায় ৪৫ মিনিট গাড়িতেই আলোচনা চালিয়ে গিয়েছিলেন। এর পর দুই নেতা পূর্ণাঙ্গ দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন, যা এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলে (PM Modi)।”

    ভারতের ওপর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা

    উল্লেখ্য, রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল কেনার কারণে ভারতের ওপর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে আমেরিকা। তারপর এই প্রথম মুখোমুখি হলেন মোদি-পুতিন। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, রুশ প্রেসিডেন্টের এই পদক্ষেপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি এমন একটা সময়ে এসেছে যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রকাশ্যে ভারতের রাশিয়ার সঙ্গে তেল বাণিজ্যের নিন্দে করেছে। ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেনে পুতিনের যুদ্ধে অর্থায়ন করার জন্য নয়াদিল্লিকে কাঠগড়ায় তোলেন। গত মাসে ট্রাম্প ভারতীয় পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন, যা এশিয়ায় সর্বোচ্চ। এর উদ্দেশ্য ছিল ভারতের ওই জ্বালানি কেনার জন্য তাকে শাস্তি দেওয়া। আমেরিকার চাপ সত্ত্বেও ভারত মস্কো থেকে জীবাশ্ম জ্বালানি কেনা বন্ধ করেনি। সাফ জানিয়ে দিয়েছে (Ukraine), তাদের জ্বালানি আমদানি নীতিকে জাতীয় স্বার্থই পরিচালনা করবে। নয়াদিল্লি মার্কিন শুল্ককে অন্যায্য, অযৌক্তিক ও অমূলক বলেও আখ্যা দিয়েছে (PM Modi)।

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধকে ‘মোদির যুদ্ধ’ আখ্যা

    এদিকে, গত সপ্তাহেই ট্রাম্পের বাণিজ্য উপদেষ্টা পিটার নাভারো রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধকে ‘মোদির যুদ্ধ’ বলে দেগে দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, “শান্তির রাস্তা আংশিকভাবে হলেও নয়াদিল্লির মধ্যে দিয়েই যায়। ভারত যা করছে তার কারণে আমেরিকার সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।” অন্যদিকে, ভারত তার কৌশলগত স্বায়ত্তশাসনের অবস্থান দৃঢ়ভাবে বজায় রেখেছে। রাশিয়ায় নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত বিনয় কুমার রাশিয়ার সংবাদ সংস্থা ‘তাস’কে বলেন, “ভারতীয় কোম্পানিগুলি যেখানে সর্বোত্তম চুক্তি পাবে, সেখান থেকেই (তেল) কিনতে থাকবে।” ভারতের দাবি, চিন এবং ইউরোপও সস্তায় রাশিয়া থেকে তেল কিনছে। কিন্তু ওয়াশিংটন বিশেষভাবে নয়াদিল্লিকেই নিশানা করছে। রাশিয়াও ট্রাম্পের শুল্ক নীতির সমালোচনা করেছে। জানিয়ে দিয়েছে, ভারতের নিজস্ব বাণিজ্যিক অংশীদার বেছে (Ukraine) নেওয়ার অধিকার রয়েছে (PM Modi)।

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যখন এসসিও সম্মেলনের জন্য চিনের তিয়ানজিনে পৌঁছন, তখনই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিও তাঁর সঙ্গে কথা বলেন। তিনি বলেন, “এই (ইউক্রেন) যুদ্ধের অবসান অবশ্যই অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে শুরু হতে হবে।” জেলেনস্কি এও (Ukraine) বলেন, “ভারত প্রয়োজনীয় চেষ্টা করতে এবং রাশিয়া ও অন্যান্য নেতার কাছে যথাযথ বার্তা পৌঁছে দিতে প্রস্তুত (PM Modi)।”

  • Shehbaz Sharif: শাহবাজকে এড়িয়ে গেলেন পুতিন-জিনপিং! বিশ্বমঞ্চ থেকে ক্রমেই কি দূরে যাচ্ছে পাকিস্তান?

    Shehbaz Sharif: শাহবাজকে এড়িয়ে গেলেন পুতিন-জিনপিং! বিশ্বমঞ্চ থেকে ক্রমেই কি দূরে যাচ্ছে পাকিস্তান?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বমঞ্চ থেকে ক্রমেই কি দূরে যাচ্ছে পাকিস্তান? অন্তত এমনই প্রশ্ন উঠছে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ্যে আসার পর। ওই ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, এসসিও সম্মেলন (SCO Summit) শেষে আনুষ্ঠানিক ছবি তোলার পর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ (Shehbaz Sharif) পুতিনের সঙ্গে হাত মেলাতে দৌড়ে গিয়েছেন। এই ছবির জেরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ব্যাপকভাবে ট্রোলের শিকার হয়েছেন। এক্স হ্যান্ডেলে একটি ভিডিও শেয়ার করে (ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম) এক সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী লিখেছেন,  “অন্য নেতারা যেখানে সংযম দেখিয়েছেন, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ দৌড়ে গিয়ে পুতিনের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন। যেনতেনভাবে মনোযোগ আকর্ষণের চেষ্টা। শি জিনপিং বুঝতে পেরেছিলেন শাহবাজ কী করতে যাচ্ছেন, তাই তিনি অন্যদিকে তাকিয়ে তাঁকে উপেক্ষা করেন।”

    এসসিও সম্মেলন (Shehbaz Sharif)

    প্রসঙ্গত, চিনের উত্তরাঞ্চলে অনুষ্ঠিত এসসিও সম্মেলনে (SCO Summit) ১০টি দেশ অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন-সহ অন্যরা। অন্য একজন লিখেছেন, “এসসিও সম্মেলনে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীকে অপমান করেছেন আয়োজক দেশের প্রধান স্বয়ং শি।” ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, পুতিন যখন শি জিনপিংয়ের সঙ্গে হাঁটছিলেন, তখন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হঠাৎই পিছন থেকে এগিয়ে এসে পুতিনের সঙ্গে হাত মেলানোর চেষ্টা করেন। ভিডিওটি ‘ইনকগনিটো’ নামের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় একাই নজর কেড়ে নেন পাক প্রধানমন্ত্রী। তাঁর এই আচরণের জন্য নিন্দে করেছেন নেট নাগরিকদের একাংশ। কমেন্ট বক্সে প্রচুর ব্যঙ্গাত্মক মন্তব্য জমা হয়েছে। কেউ কেউ তাঁকে জোকারও বলেছেন। ভিডিওটি এখনও পর্যন্ত ৫ লাখেরও বেশিবার দেখা হয়েছে। তাতে জমা পড়েছে সাড়ে ৪ হাজারেরও বেশি লাইক (Shehbaz Sharif)।

    শাহবাজ শরিফের হোঁচট খাওয়ার ঘটনা

    প্রসঙ্গত, আন্তর্জাতিক মঞ্চে উপস্থিতির ক্ষেত্রে শাহবাজ শরিফের বেশ কয়েকবার হোঁচট খাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ২০২২ সালে উজবেকিস্তানে অনুষ্ঠিত এসসিও সম্মেলনে পুতিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের সময় শাহবাজ শরিফ অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে পড়েন। অনুবাদের জন্য ব্যবহৃত হেডফোন তিনি বারবার চেষ্টা করেও ঠিক করতে পারছিলেন না, সেটি বারবার খুলে যাচ্ছিল। এই সময় পুতিনকে হাসতে দেখা গিয়েছিল (SCO Summit)। সহকারীদের সাহায্য সত্ত্বেও এই সমস্যার কারণে বৈঠক শুরু হয় দেরিতে। ঘটনাটি রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন রিয়া নভোস্তির ভিডিওতে ধরা পড়ে, যেখানে শরিফকে বলতে শোনা যায়, “কেউ কি আমাকে সাহায্য করতে পারেন?” এই ক্লিপ দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায় এবং পাকিস্তানের ভেতরে ও বাইরে সমালোচনার ঝড় ওঠে। ২০২৩ সালের জুন মাসে আর একটি মুহূর্তের ছবি ভাইরাল হয়। তাতে দেখা যায়, শরিফকে প্যারিসে গ্লোবাল ফিন্যান্সিং প্যাক্ট সম্মেলনের সময় এক মহিলা কর্মীর কাছ থেকে ছাতা নিচ্ছেন। নিজের ছাতা দিয়ে দেওয়ায় সেই কর্মী বৃষ্টিতে ভেজেন। এই ঘটনায়ও সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক সমালোচনা হয় (Shehbaz Sharif)। ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসেও বিতর্কের সৃষ্টি করেছিলেন শরিফ। সেবার তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হোয়াইট হাউসে প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে অভিনন্দন জানিয়ে একটি বার্তা পোস্ট করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। পোস্টটি পাকিস্তানের এক্স হ্যান্ডেল নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গ হিসেবে চিহ্নিত হয়। যার জেরে বিব্রত হন শরিফ (SCO Summit)।

    শরিফকে উপেক্ষা মোদির

    উল্লেখ্য, চিনের তিয়ানজিন শহরে অনুষ্ঠিত এসসিও বৈঠকে অংশ নিতে দীর্ঘ সাত বছর পর চিন সফরে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-সহ একাধিক রাষ্ট্রনেতার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। কিন্তু পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফকে মোদি উপেক্ষা করেছেন সম্পূর্ণভাবে। কূটনৈতিক মহলের মতে, প্রধানমন্ত্রী এহেন আচরণের মাধ্যমে স্পষ্ট বার্তা দিতে চাইলেন পাকিস্তানকে। বার্তাটি হল, ভারত সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে তার কড়া অবস্থান বজায় রাখবে। আর সন্ত্রাস ও আলোচনা এক সঙ্গে চলতে পারে না (Shehbaz Sharif)।

    বিশেষজ্ঞদের মত

    প্রকাশ্যে আসা ভিডিওয় দেখা গিয়েছে, সম্মেলন কক্ষের ভেতরে প্রবেশের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রথমেই পুতিনের সঙ্গে উষ্ণ অভিবাদন বিনিময় করেন। এরপর তাঁরা দুজনে মিলে শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দেখা করেন। তারপর তাঁরা কথাবার্তা বলতে বলতে এগিয়ে যান। এই সময় মঞ্চে দাঁড়িয়ে ছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। তিনি বারংবার মোদি ও পুতিনের দিকে তাকালেও, তাঁকে উপেক্ষা করেই সামনে এগিয়ে যান তাঁরা। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, চিনের আন্তর্জাতিক মঞ্চ থেকেই পাকিস্তানকে কড়া বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (SCO Summit)। শরিফকে প্রকাশ্যে উপেক্ষা করে তিনি ফের বুঝিয়ে দিলেন, ভারতের অবস্থান অপরিবর্তিত, সন্ত্রাসবাদকে প্রশ্রয় দেওয়া দেশগুলির সঙ্গে আলোচনার কোনও সুযোগ নেই (Shehbaz Sharif)।

  • SCO Summit: বড় জয় ভারতের, শাহবাজের সামনে পহেলগাঁও হামলার নিন্দা করে বিবৃতি এসসিও-র

    SCO Summit: বড় জয় ভারতের, শাহবাজের সামনে পহেলগাঁও হামলার নিন্দা করে বিবৃতি এসসিও-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসসিও শীর্ষ সম্মেলনে (SCO Summit) কোনঠাসা পাকিস্তান। সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী সদস্য দেশগুলি গত ২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। পাশাপাশি সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে ভারতকে পূর্ণ সমর্থন করেছে এসসিও গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলো। সন্ত্রাসে মদতদাতাদের বিরুদ্ধে বিচারের দাবিও উঠল। তবে সরাসরি পাকিস্তানের নামোল্লেখ নেই বিবৃতিতে। চিনের তিয়ানজিন শহরে এসসিও শীর্ষ সম্মেলনে থেকে নাম না-করে পাকিস্তানকে ফের এ বিষয়ে নিশানা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    এসসিও-র বিবৃতিতে পহেলগাঁও হামলার নিন্দা

    তিয়ানজিন ঘোষণাপত্রে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, এসসিও সদস্য দেশগুলি সন্ত্রাসবাদ, বিচ্ছিন্নতাবাদ এবং চরমপন্থার বিরুদ্ধে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তারা জানিয়েছে, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কোনও ধরনের ‘দ্বিমুখী নীতি’ বরদাস্ত করা হবে না। একইসঙ্গে, পহেলগাঁও হামলার সঙ্গে যুক্ত দোষীদের বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানানো হয়েছে। আন্তর্জাতিক এই জোটের যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “সদস্য রাষ্ট্রগুলি ২০২৫ সালের ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। নিহত এবং আহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছে তারা।” ঘটনাচক্রে, ভারত, চিনের পাশাপাশি এই বহুদেশীয় জোটে পাকিস্তানও রয়েছে। তিয়ানজিনে এসসিও-র শীর্ষ সম্মেলনে পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফও উপস্থিত ছিলেন। তাঁর সামনেই সন্ত্রাসবাদ প্রসঙ্গে নাম না-করে ইসলামাবাদকে বিঁধেছেন মোদি।

    ভারতের কথা মানল এসসিও

    সাম্প্রতিক অতীতে এসসিও-র সদস্য দেশগুলির প্রতিরক্ষামন্ত্রী এবং বিদেশমন্ত্রীদেরও বৈঠক হয়েছে তিয়ানজিনে। সেখানেও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কড়া বার্তা দিয়েছেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। সন্ত্রাসবাদ প্রসঙ্গে বিবৃতি ঘিরে জটিলতার জেরে গত জুন মাসে এসসিও-র প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের সম্মেলন কোনও যৌথ বিবৃতি ছাড়াই শেষ হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে নয়াদিল্লি জানিয়েছিল, ভারত চায় বিবৃতিতে সন্ত্রাসবাদের প্রসঙ্গ উল্লেখ থাকুক। কিন্তু একটি নির্দিষ্ট দেশ তা মানতে চায়নি। সেই কারণেই এসসিও-র সদস্য রাষ্ট্রগুলির প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের সম্মেলনে বিবৃতি চূড়ান্ত করা সম্ভব হয়নি। সোমবার এসসিও-র বৈঠকে পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ড প্রসঙ্গে মোদি বলেন, ‘‘পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসবাদী হামলা তো শুধু ভারতের আত্মায় আঘাত নয়, বরং তা সেই সমস্ত দেশের প্রতি খোলামেলা চ্যালেঞ্জ, যারা মানবতায় বিশ্বাস রাখে। আমাদের এটা নিশ্চিত করতে হবে যে, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কোনও দ্বিচারিতা বরদাস্ত করা হবে না।’’

    সন্ত্রাসবাদ ও বিচ্ছিন্নতাবাদ মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধ লড়াই

    বৈঠকশেষে যৌথ বিবৃতিতেও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রসঙ্গ উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, “সদস্য দেশগুলি সন্ত্রাসবাদ, বিচ্ছিন্নতাবাদ এবং চরমপন্থার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। পাশাপাশি, সন্ত্রাসবাদী, বিচ্ছিন্নতাবাদী এবং চরমপন্থী গোষ্ঠীগুলিকে ‘ভাড়াটে সেনা’ হিসেবে ব্যবহারের চেষ্টা প্রতিহত করার দিকেও জোর দিচ্ছে সদস্য রাষ্ট্রগুলি।” সম্মেলন শেষে প্রধানমন্ত্রী মোদি জোর দিয়ে বলেন, সন্ত্রাসবাদ ও বিচ্ছিন্নতাবাদ মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের কোন বিকল্প নেই এবং এসসিও সেই প্রচেষ্টায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

    ভারতের উদ্যোগকে স্বীকৃতি

    সোমবার, সম্মেলনের ফাঁকে প্রধানমন্ত্রী মোদি ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে বিশেষ বৈঠকও অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে দুই নেতা একই গাড়িতে যাত্রা করেন, যার ছবি ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে উত্তেজনার আবহে মোদির এই চিন সফর কূটনৈতিক দিক থেকেও অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। শীর্ষ সম্মেলনে ভারতের উদ্যোগকেও বিশেষভাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। ঘোষণাপত্রে ‘এক পৃথিবী, এক পরিবার, এক ভবিষ্যৎ’- এই ধারণাকে সমর্থন জানানো হয়।

LinkedIn
Share