Tag: India

India

  • Bangladesh: ক্ষমতায় থাকতে ভারতের সঙ্গে সংঘর্ষের পরিকল্পনা করেছিলেন ইউনূস! ফাঁস হয়ে যায় ছক

    Bangladesh: ক্ষমতায় থাকতে ভারতের সঙ্গে সংঘর্ষের পরিকল্পনা করেছিলেন ইউনূস! ফাঁস হয়ে যায় ছক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের (Bangladesh) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূসের পরিকল্পনা ভেস্তে দিলেন সে দেশেরই সেনা প্রধান! ইউনূস (Md Yunus) মনে করেছিলেন ভারতের সঙ্গে সীমান্তে ছোটখাট সংঘর্ষ লাগিয়ে রেখে দেশের ভেতরের গুরুতর সমস্যাগুলি থেকে বাংলাদেশবাসীর দৃষ্টি ঘুরিয়ে দিতে। এভাবে জনমতকে তাঁর পক্ষে আনতে চেয়েছিলেন বাংলাদেশের একমাত্র নোবেলজয়ী। ইউনূসের পরিকল্পনা অনুযায়ী, ভারতের সঙ্গে সীমিত পরিসরের একটি সীমান্তসংঘর্ষ কেবল তাঁর সমস্যাগুলো দূর করবে না, বরং তাঁকে আগাম নির্বাচনের দাবিকে উপেক্ষা করে আরও কিছুদিন ক্ষমতায় টিকে থাকার সুযোগ করে দেবে। তাঁর ধারণা ছিল, এই পরিকল্পিত সংঘর্ষের সময় সব পক্ষ— এমনকি সাধারণ মানুষও— জাতীয়তাবাদের চেতনায় নিজেদের বিভেদ ভুলে তাঁকে সমর্থন করবেন। সূত্রের খবর, ইউনূস এই পরিকল্পনা করেন জামায়াতে ইসলামি বাংলাদেশ এবং সদ্য গঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কিছু নেতার সঙ্গে পরামর্শ করে। এনসিপিকে বাংলাদেশে ‘রাজপন্থী দল’ হিসেবেও অভিহিত করা হয়। কারণ এটি ইউনূসের আশীর্বাদপুষ্ট। তাঁর সক্রিয় সমর্থনও পেয়েছে এই দল। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে গঠিত হয় এই দল। ছাত্রবিক্ষোভের অগ্রণী সংগঠন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের (এডিএসএম) কয়েকজন নেতা যাঁরা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, তাঁদের নিয়েই গঠিত হয়েছে এই দল।

    ইউনূসের শলা (Bangladesh)

    জানা গিয়েছে, ভারত যখন পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে অপারেশন সিঁদুর চালায়, তখন নাকি ইউনূস (Md Yunus) পরিকল্পনাটি জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা (এনএসএ) খালিলুর রহমান এবং সেনাবাহিনীর কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল (কিউএমজি) লেফটেন্যান্ট জেনারেল মহম্মদ ফইজুর রহমানের সঙ্গে শলা করে চূড়ান্ত করেছিলেন। প্রসঙ্গত, কিউএমজি সেনাবাহিনীর শীর্ষ পর্যায়ে থাকা অল্প কিছু উগ্র ইসলামপন্থীর একজন, যিনি সেনাপ্রধানের বিরোধিতা করেন সব সময়। লেফটেন্যান্ট জেনারেল রহমান পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। চলতি বছরের (Bangladesh) মার্চে সেনাপ্রধানকে সরাতে তিনি সচেষ্ট হয়েছিলেন। যদিও ব্যর্থ হন। তার পর থেকেই তাঁকে কঠোর নজরদারির মধ্যে রাখা হয়েছে। বর্তমানে তিনি সেনাপ্রধানের সঙ্গে কোনও যোগাযোগও রাখতে পারেন না।

    ঢাকা ব্রিগেড

    এই কারণেই ঢাকার ক্যান্টনমেন্টে অবস্থিত এবং সেনা সদর দফতরের অধীন ৪৬তম স্বাধীন পদাতিক ব্রিগেডের (‘ঢাকা ব্রিগেড’ নামেও পরিচিত) সঙ্গে যুক্ত কর্নেল পদমর্যাদার এক আধিকারিককে সেনাপ্রধানের সামনে গোটা পরিকল্পনাটি তুলে ধরার দায়িত্ব দেওয়া হয়। এই কর্নেল অন্তর্বর্তী সরকারের দুই প্রাক্তন এডিএসএম নেতার ঘনিষ্ঠ বলে সন্দেহ করা হয়। তিনি সেনাবাহিনীর সদর দফতরের প্রবীণ আধিকারিকদের সঙ্গেও সুসম্পর্ক বজায় রাখেন। পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের জেরে ভারত যখন পাকিস্তানকে জব্দ করতে ব্যস্ত, ঠিক তখনই ইউনূস ও তাঁর সাঙ্গপাঙ্গরা ভেবেছিলেন, ভারত ইন্দো-বাংলাদেশ সীমান্তে উসকানিমূলক কাজকর্মের প্রতি বিশেষ নজর দিতে পারবে না। ঢাকার এক প্রবীণ আধিকারিক বলেন, “পরিকল্পনা ছিল বিজিবি (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ)-কে সীমান্তে একটি আক্রমণাত্মক ভঙ্গি নিতে উদ্বুদ্ধ করা, যাতে ভারতের বিএসএফ (বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স)-এর সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধে। এই পরিকল্পনার অংশ ছিল সীমান্তের কিছু পেছনের এলাকায় সেনা ইউনিট মোতায়েন করা, যাতে বিজিবি সদস্যদের ব্যাকআপ দেওয়া যায়।”

    ঢাকায় সরকার পরিবর্তন

    প্রসঙ্গত, গত (Bangladesh) বছরের অগাস্টের শুরুতে ঢাকায় সরকার পরিবর্তনের পরপরই বিজিবি আন্তর্জাতিক সীমান্ত বরাবর খুবই আগ্রাসী হয়ে ওঠে। তারা ভারতীয় সীমান্তে কাঁটাতার বসানো ও অন্যান্য নির্মাণ কাজের বিরোধিতা করতে শুরু করে। বিজিবি (Md Yunus) এমনটা শুরু করেছিল গত বছরের ডিসেম্বরের শুরুতে। তখন বিজিবির জওয়ানরা ইন্দো-বাংলাদেশ সীমান্ত নির্ধারণকারী একটি নদী পেরিয়ে ভারত ভূখণ্ডে ঢুকে পড়ে। তারা অসমের শ্রীভূমি জেলার একটি মন্দিরের সংস্কার কাজও বন্ধ করার চেষ্টা করেছিল।বিএসএফের এক কর্তা বলেন, “গত বছরের অগাস্ট থেকে এ বছরের মধ্য ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সীমান্তের অনেক ফাঁক-ফোকর দিয়ে বিজিবি বাংলাদেশি অপরাধীদের সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে ঢুকতে সাহায্য করার চেষ্টা করেছে। তবে তারা এ বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি থেকে আগ্রাসী ভূমিকায় ইতি টেনেছে।”

    ইউনূসের পরিকল্পনা

    জানা গিয়েছে, এর কারণ বাংলাদেশের সেনাবাহিনী প্রধান নাকি বিজিবির প্রধান মেজর জেনারেল মহম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকীকে বিজিবির আক্রমণাত্মক অবস্থান থেকে সরে আসার নির্দেশ দেন। সেনাপ্রধান নাকি বিজিবি প্রধানকে এ নিয়ে ভর্ৎসনাও করেন। বিজিবি প্রধান নাকি জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানকে বলেছিলেন, তিনি ‘যমুনা’ (অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূসের বাসভবন) থেকে মৌখিক নির্দেশ পেয়েছিলেন। বাংলাদেশের অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলতাফ হুসেন, যিনি বর্তমান সেনা প্রধানের ঘনিষ্ঠ, তিনি বলেন, “ইউনূসের পরিকল্পনা ছিল, এমন ছোটখাটো সংঘর্ষকে বাংলাদেশের অতিরঞ্জিত জাতীয়তাবাদী মিডিয়ার একটি অংশ ব্যবহার করবে জনরোষ ও জাতীয়তাবাদী আবেগ উসকে দিতে। ইউনূস ও তাঁর সহকর্মীরা সেই জাতীয়তাবাদী আবেগকে উসকে দেবে যুদ্ধংদেহি বক্তব্য ও আগ্রাসী অবস্থানের মাধ্যমে। এর ফলে গোটা দেশ ইউনূসের পক্ষে দাঁড়িয়ে যাবে। চাপা পড়ে যাবে তাঁর আমলে সৃষ্টি হওয়া সব অভ্যন্তরীণ সমস্যা (Bangladesh)।”

    সেনাবাহিনীর ব্যাকআপ

    এই পরিকল্পনার সফলতার জন্য সেনাবাহিনীর সমর্থন ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে সংঘর্ষ যদি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেত, তাহলে সীমান্তের কাছাকাছি মোতায়েন থাকা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা বিজিবিকে সাহায্য করতে পারত। হুসেন বলেন, “সেনাবাহিনীকে ব্যাকআপ হিসেবে না পেলে বিজিবি বিএসএফের সঙ্গে অতিরিক্ত আক্রমণাত্মক হওয়ার সাহস পেত না। বিএসএফ সংযম দেখায়, কিন্তু একটা সীমা পর্যন্ত। ইউনূস যেটা চেয়েছিলেন তা হল, বিজিবি যেন সেই রেড লাইন অতিক্রম করে, যেটা করলে বিএসএফের পক্ষ থেকে কড়া পদক্ষেপ করা হত। সেই জন্যই সেনাবাহিনীকে পেছনে মোতায়েন (Md Yunus) করা হয়েছিল, যাতে বিএসএফ বিজিবি-র বিরুদ্ধে কড়া কোনও প্রতিক্রিয়া দেখাতে না পারে (Bangladesh)।”

    কী বললেন সেনাপ্রধান?

    ইউনূসের এই ষড়যন্ত্রের কথা দ্রুত পৌঁছে যায় সেনাপ্রধানের কানে। বাংলাদেশ সেনা সদর দফতরের এক প্রবীণ আধিকারিক বলেন, “জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান তাঁর সহকর্মীদের, বিশেষ করে চিফ অব জেনারেল স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল মিজানুর রহমান শামীম এবং অপর দুই বাহিনীর প্রধান — এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান ও অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নজমুল হাসানের সঙ্গে দ্রুত আলোচনা করেন। সকলেই ইউনূসের পরিকল্পনার তীব্র বিরোধিতা করেন।” এর পরেই সেনাপ্রধান ইউনূস এবং এনএসএ-কে জানিয়ে দেন যে এই পরিকল্পনাটি রূপায়ণ করা হলে, তা হবে অবিবেচকের মতো কাজ। তাই এটি কার্যকর করা হবে না। তিনি সাফ জানিয়ে দেন, ভারত সীমান্তে উত্তেজনা সৃষ্টি এবং ভারতকে উসকানি দেওয়া চলবে না। ভারতকে নিয়ে এমন সীমানা উত্তেজনার খেলা বুমেরাং হতে পারে। কারণ সীমান্তে যে কোনও ভুল পদক্ষেপ পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণের বাইরে নিয়ে যেতে পারে। তিনি এও জানিয়ে দেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সামর্থ্য কিংবা মনোভাব কোনওটিই ভারতের সঙ্গে শত্রুতায় জড়ানোর নয় (Bangladesh)।

    বাংলাদেশ সেনাপ্রধান আরও জানিয়ে দেন, সীমান্তে কোনও সেনা তিনি মোতায়েন করবেন না। বিজিবি-র প্রধানকে নির্দেশ দেন, তিনি যেন কারও কাছ থেকে সরাসরি কোনও নির্দেশ না নেন। ক্ষমতায় টিকে থাকতে ইউনূসের এই ‘ধান্ধা’র খবর জেনে যায় বিএনপি-ও। এর পরেই বিএনপি নেতৃত্বও দ্রুত ইউনূসকে জানিয়ে দেন (Md Yunus), এমন করা হলে তাঁরা তাঁর তীব্র বিরোধিতা করবেন এবং এর বিরুদ্ধে জনমত গঠনের জন্য ব্যাপক প্রচারও করবেন। সূত্রের খবর, তার পরেই ভয়ে ষড়যন্ত্র কার্যকর করা থেকে বিরত থাকেন ইউনূস (Bangladesh)।

  • India: শাহি ডেডলাইনের আগেই দেশ থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে মাওবাদীরা?

    India: শাহি ডেডলাইনের আগেই দেশ থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে মাওবাদীরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে (India) ডোডো পাখির দশা হতে চলেছে মাওবাদীদের (Naxalism)! রিপোর্ট অনুযায়ী, এই সংগঠনে এখন মাত্র ৩০০ জন নকশাল সদস্য রয়েছে। অথচ বছর কয়েক আগেও ছত্তিশগড় ও ঝাড়খণ্ডের বিভিন্ন অঞ্চলে দাপিয়ে বেড়াত মাওবাদীরা। স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে এরা বনপার্টি নামে পরিচিত। এই বনপার্টির ভয়েই কাঁটা হয়ে থাকতেন জঙ্গলের প্রান্তিক সম্প্রদায়ের মানুষজন। ছত্তিশগড়ের গভীর জঙ্গলে হাজার হাজার নকশাল শিবির ছিল। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মাও দমনে ডেডলাইন বেঁধে দিয়েছেন। তার পর থেকেই কোমর বেঁধে ময়দানে নেমে পড়ে নিরাপত্তা বাহিনী।

    ছত্রখান সংগঠন (India)

    নিরাপত্তাবাহিনীর এই অপারেশনে খতম হয় বেশ কিছু মাওবাদী। প্রাণভয়ে আত্মসমর্পণও করে বহু মাওবাদী। নেতাদের সিংহভাগই নিকেশ হয়ে যাওয়ায় কিংবা ধরা পড়ে যাওয়ায় ছত্রভঙ্গ হয়ে গিয়েছে সংগঠন। নেতৃত্বের সংকটের পাশাপাশি হু হু করে কমছে সংগঠনের সদস্য সংখ্যা। মাওবাদীদের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী কমিটি, যাকে পলিটব্যুরো বলা হয়, সেখানে এখন মাত্র ৪ জন সদস্য রয়েছে। কেন্দ্রীয় কমিটিতেও সদস্যসংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ১৪ জনে। সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০০৫ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত পলিটব্যুরোর ১৪ জন সদস্য হয় গ্রেফতার হয়েছে, নয়তো নিহত হয়েছে। এখন কেবল ৪ জন সক্রিয় সদস্য রয়েছে। এরা হল মুপল্লা লক্ষ্মণ রাও ওরফে গণপতি, মল্লোজুলা ভেনুগোপাল ওরফে অভয়, থিপ্পিরি তিরুপতি ওরফে দেওজি এবং মিসির বেসরা। গোয়েন্দাদের অনুমান, গণপতি ইতিমধ্যেই মারা গিয়েছে।

    বেহাল দশা সংগঠনের

    কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যসংখ্যাও দ্রুত হ্রাস পেয়েছে। ২০০৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত এই কমিটির ২৬ জন সদস্য গ্রেফতার বা নিহত হয়েছে। কেউ কেউ আত্মসমর্পণ করেছে। বর্তমানে এই কমিটিতে মাত্র ১৪ জন সক্রিয় সদস্য রয়েছে, যার মধ্যে ৪ জন পলিটব্যুরো নেতা। বস্তার অঞ্চলের আইজিপি সুন্দররাজ পি বলেন, “মাওবাদীদের কমান্ড কাঠামো এখন প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। ধারাবাহিক গোয়েন্দা-ভিত্তিক অভিযান ও আত্মসমর্পণের ফলে সংগঠন টুকরো টুকরো হয়ে গিয়েছে এবং দিশাহীন অবস্থায় পড়েছে। বর্তমানে প্রায় ৩০০ সশস্ত্র ক্যাডার দণ্ডকারণ্য ও কয়েকটি বিচ্ছিন্ন অঞ্চলে গোপন আস্তানায় লুকিয়ে রয়েছে (Naxalism)। তাদের সামনে দুটি পথ খোলা — হয় আত্মসমর্পণ করা অথবা ধ্বংস হওয়া (India)।”

    একাধিক গুরুত্বপূর্ণ অভিযান

    নিরাপত্তা বাহিনী মাওবাদী সংগঠনের কাঠামো দুর্বল করতে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ অভিযান চালিয়েছে। এসব অভিযানে সংগঠনের বহু প্রভাবশালী নেতাকে নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। সম্প্রতি বিজাপুর জেলায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে এনকাউন্টারে মৃত্যু হয় শীর্ষস্থানীয় নকশাল নেতা ভাস্করের। তার মাথার দাম ছিল ৪৫ লাখ টাকা। সে ছিল ওই অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের একজন (India)। ২০২৫ সালের মে মাসে নিরাপত্তা বাহিনী কুখ্যাত মাওবাদী নেতা নম্বালা কেশব রাও ওরফে বাসবরাজুকে হত্যা করে। এটি গত ৩০ বছরের মধ্যে প্রথম ঘটনা যেখানে কোনও বড় মাপের নকশাল নেতা খতম হয়েছে। এই অভিযানটি পরিচালনা করেছিল ছত্তিশগড় পুলিশের বিশেষ বাহিনী ডিসট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড (DRG)।

    নিকেশ একের পর এক নকশাল চাঁই

    গত ৬ জুন নারসিমহা চালাম যে সুধাকর নামেও পরিচিত, আর একজন প্রভাবশালী নকশাল কমান্ডারও একই জেলায় নিহত হয়। বসভারাজুর পর সুধাকরকে নকশাল আন্দোলনের একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব হিসেবে বিবেচনা করা হত। তার মাথার দাম ছিল ৪০ লাখ টাকা। নকশালপন্থী হওয়ার (Naxalism) আগে সে আয়ুর্বেদ নিয়ে পড়াশোনা করেছিল (India)। ২০২৪ সালের পর থেকে নকশালবিরোধী অভিযান জোরদার হয়েছে। ডিআরজি, সিআরপিএফ এবং পুলিশ যৌথভাবে নকশালদের সম্পূর্ণ নির্মূল করতে ধারাবাহিকভাবে অভিযান চালাচ্ছে। বিভিন্ন অভিযানে এখন পর্যন্ত ৩০-এর বেশি মাওবাদী নিহত হয়েছে। রিপোর্টে প্রকাশ, ২০২৪ সালে ২৯০ জন নকশাল পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয়েছে, ১,০৯০ জন গ্রেফতার হয়েছে এবং ৮৮১ জন আত্মসমর্পণ করেছে।

    শাহি ডেডলাইন

    উল্লেখযোগ্যভাবে, ২০২৫ সাল থেকে সরকার তাদের পদক্ষেপ দ্বিগুণ করেছে। চলতি বছরে এখন পর্যন্ত ২২৬ জন নকশাল নিহত হয়েছে, ৪১৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং প্রাণ ভয়ে ৮৯৬ জন অস্ত্র ফেলে (Naxalism) আত্মসমর্পণ করেছে। নকশালদের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত কারেগুট্টা পাহাড়ও খালি করে দেওয়া হয়েছে (India)। প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সাফ জানিয়েছেন, ভারতে নকশালবাদ সম্পূর্ণভাবে নির্মূল করা হবে। তাঁর লক্ষ্য, ২০২৬ সালের ৩১শে মার্চের মধ্যে দেশ থেকে নকশালবাদের অবসান ঘটানো (India)।

  • Pakistan: দেনার বোঝা ৭৬ লক্ষ কোটি পাক রুপি! অতলে তলিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান, বলছে সমীক্ষা

    Pakistan: দেনার বোঝা ৭৬ লক্ষ কোটি পাক রুপি! অতলে তলিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান, বলছে সমীক্ষা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাশাপাশি দুই দেশ। একটির চালকের আসনে বসে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অন্যটির রাশ রয়েছে শাহবাজ শরিফের (Pakistan) হাতে। মোদির দেশ যখন তরতরিয়ে উন্নতির শিখরে পৌঁছচ্ছে, ঠিক তখনই শাহবাজের নেতৃত্বে ডুবছে পাকিস্তান। সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় (Economic Survey) জানা গিয়েছে, দেনার দায়ে মাথা বিকিয়ে যাওয়ার জোগাড় পাকিস্তানের।

    পাক অর্থনীতির হাঁড়ির হাল (Pakistan)

    পাকিস্তানের অর্থনীতির যে হাঁড়ির হাল হয়েছে, তা জানা গিয়েছিল আগেই। এবার ইসলামাবাদের বিড়ম্বনা বাড়াল আরও একটি রিপোর্ট। সোমবার প্রকাশিত পাকিস্তানের অর্থনৈতিক সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের ঋণের পরিমাণ সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। মার্চ ২০২৫ পর্যন্ত পাকিস্তানের ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭৬ ট্রিলিয়ন অর্থাৎ ৭৬ লক্ষ কোটি পাকিস্তানি রুপি (ভারতীয় মুদ্রায় ২৩ লাখ কোটি টাকা)। যা পাকিস্তানের অর্থনৈতিক ইতিহাসে নয়া রেকর্ড।

    ঋণের পরিমাণ দ্বিগুণ

    প্রকাশিত রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, গত চার বছরে পাকিস্তানের ঋণের পরিমাণ দ্বিগুণ আকার নিয়েছে। ২০২০-২১ সালে পাকিস্তানের বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ ছিল ৩৯ হাজার ৮৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। অথচ ১০ বছর আগে পাকিস্তানের ঘাড়ে দেনার বোঝা ছিল ১৭ হাজার ৩৮০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। সেই হিসেবে দেখতে গেলে পাকিস্তানের ঋণের পরিমাণ গত দশ বছরে বেড়েছে ১০ গুণ। ১০ জুন সংসদে বাজেট পেশ করেছে শেহবাজ শরিফের সরকার। তার আগে সোমবার প্রকাশ করা হয় এই আর্থিক সমীক্ষার রিপোর্ট। এখানে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, ৭৬ ট্রিলিয়নের এই ঋণের মধ্যে ৫১ হাজার ৫১৮ মার্কিন বিলিয়ন ডলার দেশের অন্দরের ঋণ ও ২৪ হাজার ৪৮৯ মার্কিন বিলিয়ন ডলার বৈদেশিক ঋণ।

    জিডিপির অভিমুখ

    চলতি অর্থবর্ষে কোন দিকে দেশের জিডিপির অভিমুখ, তা নিয়েও সোমবার মুখ খুলেছেন পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী। সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, “২০২৩ সালে পাকিস্তানের জিডিপি -০.২ হয়ে গিয়েছিল। যা ২০২৪ সালে বেড়ে হয় ২.৫। ২০২৫ সালে দেশের জিডিপি বেড়ে হয়েছে ২.৭। যা স্পষ্ট করছে পাকিস্তান নিজের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের পথে রয়েছে। এর পাশাপাশি, মজবুত উন্নয়নেও মনযোগ দিয়েছে (Economic Survey)।”

    টালমাটাল পাকিস্তানের অর্থনীতি

    কীভাবে বাড়ছে ঋণের পরিমাণ? বিগত কয়েক বছর ধরে টালমাটাল হয়েছে পাকিস্তানের অর্থনীতি। পরিস্থিতি এতটাই বেসামাল যে ঋণ করে দেশ চালাতে হচ্ছে তাদের। সম্প্রতি ফের একবার আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভান্ডার থেকে ৭০০ কোটি টাকার ঋণ মকুব করিয়েছে পাকিস্তান। যার মধ্যে ১০০ কোটি টাকা আপাতত পেয়েছে তারা (Pakistan)।

    কী বলছেন পাক অর্থমন্ত্রী

    রিপোর্ট পেশ করে পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী মহম্মদ আওরঙ্গজেব বলেন, “২০২৫ সালে দেশের জিডিপি বেড়ে হয়েছে ২.৭। অথচ বৈশ্বিক জিডিপি প্রবৃদ্ধি এখন পৌঁছেছে ২.৮ শতাংশে।” তিনি বলেন, “পাকিস্তানের পরবর্তী অর্থবর্ষ হবে একটি মোড় ঘোরানোর গল্প।” তাঁর কথায় স্পষ্ট, “এবার বাজেটে আইএমএফের শর্ত পূরণ, রাজস্ব বৃদ্ধি এবং প্রবৃদ্ধি-কেন্দ্রিক সংস্কারের দিকে নজর দেবে।” ম্যাক্রো অর্থনৈতিক সূচক তুলে ধরে আওরঙ্গজেব বলেন, “জুলাই থেকে এপ্রিল অর্থবর্ষ ২০২৫ পর্যন্ত চলতি হিসাবে ১.৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের উদ্বৃত্ত রেকর্ড করা হয়েছে, যা মূলত শক্তিশালী আইটি রফতানির কারণে হয়েছে, যার পরিমাণ ছিল প্রায় ৩.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।” তিনি বলেন, “রেমিট্যান্স (প্রবাসীদের পাঠানো টাকা থেকে যে আয়) এই বছর শেষে ৩৭ থেকে ৩৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছাবে বলে পূর্বাভাস। দু’বছর আগেও এর (Economic Survey) পরিমাণ ছিল ২৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।” ম্যাক্রো অর্থনৈতিক সূচক নিয়ে কথা বলতে গিয়ে মন্ত্রী বলেন, “সরকারি ঋণ এবং জিডিপির অনুপাতে ঋণের হার ৬৮ শতাংশ ছিল, যা এখন কমে হয়েছে ৬৫ শতাংশ (Pakistan)।”

    বৈদেশিক মুদ্রা সঞ্চয়ের পরিমাণ

    তিনি জানান, ৩০ জুন ২০২৪ পর্যন্ত বৈদেশিক মুদ্রা সঞ্চয়ের পরিমাণ ছিল ৯.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০২৩ সালের তুলনায় এটি একটি উল্লেখযোগ্য ঘুরে দাঁড়ানো। কারণ সেই সময় পাকিস্তানের হাতে মাত্র দু’সপ্তাহের আমদানি ব্যয় কভার করার মতো সঞ্চয় ছিল। পাক অর্থমন্ত্রী বলেন, “২০২৫ সালে বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬.৬৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা উন্নত অর্থনৈতিক সূচক ও বিনিয়োগকারীদের পুনরায় আস্থার ফলে সম্ভব হয়েছে। মোট সঞ্চয়ের মধ্যে পাকিস্তান স্টেট ব্যাংকের হাতে ছিল ১১.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং বাণিজ্যিক ব্যাংকের কাছে ছিল ৫.১৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।”

    তিনি বলেন, “এই বৃদ্ধির নেপথ্য কারণ হল উন্নত ক্রেডিট রেটিং, যেখানে ফিচ (Fitch) পাকিস্তানের সার্বভৌম রেটিং সিসিসি প্লাস থেকে উন্নীত করে বি- করেছে এবং দৃষ্টিভঙ্গী স্থিতিশীল রেখেছে।” মন্ত্রী জানান, আগামী বছরে ২৪টি রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বেসরকারিকরণ করার পরিকল্পনা রয়েছে (Economic Survey)। এতে বছরে ক্ষতির পরিমাণ হ্রাস পাবে ৮০০ বিলিয়ন রুপি (Pakistan)।

  • India Bangladesh: ‘পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সমঝোতা’র বার্তা! ইদের শুভেচ্ছা মোদিকে, ভারতকে পাশে চাইছেন ইউনূস

    India Bangladesh: ‘পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সমঝোতা’র বার্তা! ইদের শুভেচ্ছা মোদিকে, ভারতকে পাশে চাইছেন ইউনূস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের (India Bangladesh) সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ইচ্ছাকৃতভাবে নষ্ট করেছে বাংলাদেশ। তবু সৌজন্য রক্ষা করল দিল্লি। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার ও সাধারণ মানুষকে পবিত্র ইদের শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। চিঠি লিখে মহম্মদ ইউনূসকে শুভেচ্ছো জানান তিনি। প্রত্যুত্তরে চিঠি লেখেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টাও। মোদিকে (PM Modi) শুভেচ্ছা জানিয়ে ইউনূস তাঁর সমাজমাধ্যমের পাতায় নিজের সেই চিঠির ছবি পোস্ট করেছেন। মোদি তাঁকে যে চিঠি পাঠিয়েছিলেন, তা-ও প্রকাশ্যে এনেছেন।

    মোদির শুভেচ্ছা

    গত ৪ জুন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) ইদের শুভেচ্ছাবার্তা পাঠিয়ে ইউনূসকে চিঠি লেখেন। তাতে লেখা ছিল, “সকল ভারতীয় ও ভারত সরকারের তরফ থেকে বাংলাদেশের (India Bangladesh) মানুষকে পবিত্র ইদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। ভারতের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অন্যতম অঙ্গ এই উৎসব। এ দেশের লক্ষ লক্ষ মুসলিম নাগরিক এই উৎসব পালন করেন। এই উৎসব আমাদের আত্মত্যাগের মূল্য বুঝতে শেখায়। আমাদের মধ্যে জাগিয়ে তোলে সহানুভূতি এবং সৌভ্রাতৃত্বের বোধ, শান্তির পৃথিবী গড়ে তোলার জন্য যা প্রয়োজন।” মহম্মদ ইউনূসের সুস্বাস্থ্যের কামনাও করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।

    ইউনূসের উত্তর

    মোদির (PM Modi) এই চিঠির জবাব ইউনূস দিয়েছেন ৬ জুন। চিঠিতে তিনি লিখেছেন, ‘‘ইদ উপলক্ষে আপনার সুচিন্তিত বার্তার আমাদের দু’দেশের পারস্পরিক মূল্যবোধেরই প্রতিফলন। আপনাকে এবং আপনার মাধ্যমে ভারতের সকল জনগণকে আমি ইদের শুভেচ্ছা জানাতে চাই।’’ ইউনূস আরও লেখেন, ‘‘ইদ বিভিন্ন সম্প্রদায়কে কাছে আনে উৎসব, আত্মত্যাগ এবং সংহতির চেতনায়। এই উৎসব সারা বিশ্বের মানুষের বৃহত্তর সুবিধার্থে আমাদের সকলকে একসঙ্গে কাজ করতে উদ্বুদ্ধ করে। আমি নিশ্চিত আমাদের পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং সমঝোতা দুই দেশকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে।’’ মোদির সুস্বাস্থ্য এবং ভারতের (India Bangladesh) জনগণের শান্তি, সমৃদ্ধি কামনা করে চিঠি শেষ করেছেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা।

    পারস্পরিক শ্রদ্ধা, সমঝোতার বার্তা

    উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ৫ অগাস্ট বাংলাদেশে গণবিক্ষোভের মুখে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। ভারতে (India Bangladesh) চলে এসেছিলেন তিনি। তার পর বাংলাদেশে ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয় অন্তর্বর্তী সরকার। ঢাকার বুকে চলতে থাকে ভারত-বিদ্বেষের চেষ্টা। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার বেড়ে যায়। এই আবহে দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধা, সমঝোতার বার্তা তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল।

  • Pakistan: সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিতের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করুন, মোদি সরকারকে আর্জি পাকিস্তানের

    Pakistan: সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিতের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করুন, মোদি সরকারকে আর্জি পাকিস্তানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের জেরে পাকিস্তানের (Pakistan) সঙ্গে সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত করে দিয়েছে ভারত। তার পর থেকে এ পর্যন্ত মোদি সরকারকে চারবার চিঠি দিল পাকিস্তান। প্রতিটি চিঠিতেই আর্জি জানানো হয়েছে সিদ্ধান্ত (Indus Treaty) পুনর্বিবেচনার। চিঠিগুলি এসেছে পাকিস্তানের জলসম্পদ মন্ত্রকের সচিব সৈয়দ আলি মুর্তাজার কাছ থেকে। ভারতের জলশক্তি মন্ত্রক চারটি চিঠিই নিয়ে পাঠিয়ে দিয়েছে বিদেশমন্ত্রকে।

    বেছে বেছে ২৭ জন হিন্দু পর্যটককে হত্যা (Pakistan)

    গত ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে ২৭ জন হিন্দু পর্যটককে হত্যা করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। তার পরেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একাধিক পদক্ষেপ করে ভারত। এর মধ্যেই রয়েছে সিন্ধু জলচুক্তি। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল ১৯৬০ সালে, বিশ্বব্যাংকের মধ্যস্থতায়। পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের পর ভারত সাফ জানিয়ে দেয়, যতদিন না পর্যন্ত পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়া বন্ধ করছে, ততদিন এই চুক্তি স্থগিত থাকবে।

    বিপাকে পাকিস্তান

    সিন্ধু ও তার দুটি উপনদী বিতস্তা ও চন্দ্রভাগা পাকিস্তানমুখী। এই তিন নদীর জলের ওপর পাকিস্তানের ৮০ শতাংশ কৃষিকাজ নির্ভর করে। সিন্ধুর বাকি তিন উপনদী বিপাশা, শতদ্রু এবং ইরাবতী ভারতের ওপর দিয়েই বইছে। পাকিস্তানের আশঙ্কা, সিন্ধু চুক্তির শর্ত না মানলে পাকিস্তানমুখী নদীগুলির জলপ্রবাহ অনিয়মিত হয়ে পড়বে। ফলে পাকিস্তানজুড়ে দেখা দিতে পারে জলসংকট। সেই পরিস্থিতি যাতে তৈরি না হয়, ভারতকে চিঠি লিখে তারই চেষ্টা করে চলেছে শাহবাজ শরিফের সরকার (Pakistan)।

    প্রসঙ্গত, ভারত সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত করতেই পাক সেনেটর সইদ আলি জাফর বলেছিলেন, “এই সমস্যার আশু সমাধান চাই। নয়তো আমরা না খেতে পেয়ে মরব। আমাদের প্রয়োজনীয় জলের তিন-চতুর্থাংশই আসে দেশের বাইরে থেকে। সিন্ধু অববাহিকা হল আমাদের জীবনরেখা। ১০ জনের মধ্যে ন’জনের বেঁচে থাকা নির্ভর করে সিন্ধু অববাহিকার জলের (Indus Treaty) ওপর। প্রায় ৯০ শতাংশ ফসলই এর ওপর নির্ভরশীল। আমাদের সব বিদ্যুৎকেন্দ্র ও জলাধারও এখানে রয়েছে। এ যেন এক জলবোমা! এই বোমা আমাদের নিষ্ক্রিয় করতেই হবে (Pakistan)।”

  • Mineral Diplomacy: কমবে চিনের দাপট! খনিজ কূটনীতিতে মধ্য এশিয়ার ৫ দেশের সঙ্গে চুক্তি ভারতের

    Mineral Diplomacy: কমবে চিনের দাপট! খনিজ কূটনীতিতে মধ্য এশিয়ার ৫ দেশের সঙ্গে চুক্তি ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লিতে চলছে চতুর্থ ইন্ডিয়া-সেন্ট্রাল এশিয়া ডায়লগ (Mineral Diplomacy)। এখানেই খনিজ কূটনীতিতে বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে—একটি কৌশলগত চুক্তিতে এবার থেকে পাঁচটি মধ্য এশীয় দেশ কাজাখস্তান, তাজিকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান, উজবেকিস্তান এবং ভারত একসঙ্গে খনিজ উত্তোলনের কাজ করবে।

    এবার কমবে চিনের দাপট

    প্রসঙ্গত, এই অঞ্চলের বেশিরভাগ খনিজ-সমৃদ্ধ এলাকায় (Mineral Diplomacy) এতদিন চিনের দাপট ছিল। ভারতের এই কূটনৈতিক পদক্ষেপে এবার চিনের একাধিপত্য কিছুটা হলেও কমবে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, এই খনিজসমূহ পৃথিবীর অন্যতম বিরল খনিজের মধ্যে পড়ে। এগুলির উত্তোলন থেকে শুরু করে শোধন পর্যন্ত— সবকিছুই এতদিন নিয়ন্ত্রণ করত চিন (Central Asia)। ২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে পৃথিবীর ছয়টি বিরল খনিজের উপর নিজেদের প্রভাব আরও জোরদার করার কথা ঘোষণা করে চীন, যার মধ্যে ছিল চুম্বকও।

    সম্প্রতি নয়াদিল্লিতে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়(Mineral Diplomacy)

    সম্প্রতি খনিজ উত্তোলন নিয়ে নয়াদিল্লিতে একটি উচ্চপর্যায়ের সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। ভারতের খনিজ মন্ত্রক এই সেমিনারের আয়োজন করে এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জি. কিষণ রেড্ডি এই সেমিনারের উদ্বোধন করেন। এই অনুষ্ঠানে ২০০-র বেশি স্টেকহোল্ডার অংশ নেয়, যাদের মধ্যে বিভিন্ন ফিনান্সিয়াল ইনস্টিটিউশন এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাও ছিল। উল্লেখযোগ্য যে, এই জটিল খনিজগুলো (Central Asia) শুধুমাত্র কোনও বস্তুর উৎস নয় বরং এগুলি ভারতের প্রযুক্তিগত অগ্রগতির অন্যতম মূল উপাদান।

    ভারতের সঙ্গে মধ্য এশিয়ার অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদার হবে

    ভারতের বিভিন্ন সংস্থা এই খনিজ (Mineral Diplomacy) ব্যবহার করবে বিদ্যুৎ, সৌরশক্তি, সেমিকন্ডাক্টর, এরোস্পেস ইত্যাদি ক্ষেত্রে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এর ফলে প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে ভারত আরও শক্তিশালী হবে। প্রসঙ্গত, ইন্ডিয়া-সেন্ট্রাল এশিয়া ডায়লগে সমস্ত দেশের বিদেশমন্ত্রকের প্রতিনিধিরাই জোর দিয়েছেন ভারতের সঙ্গে মধ্য এশিয়ার অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদার করার ওপর। পাশাপাশি, ভারতের সঙ্গে এই দেশগুলির ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবস্থার বিস্তার, ব্যাংকিং সহযোগিতা, বিনিয়োগ, ব্যবসা ও পর্যটনের প্রসার নিয়েও আলোচনা হয়েছে।

  • Madhavi Latha: চেনাব সেতু নির্মাণের নেপথ্যে থাকা মাধবী লতাকে চেনেন?

    Madhavi Latha: চেনাব সেতু নির্মাণের নেপথ্যে থাকা মাধবী লতাকে চেনেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ১৭ বছর ধরে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন বেঙ্গালুরু-ভিত্তিক প্রযুক্তিবিদ অধ্যাপক মাধবী লতা (Madhavi Latha)। তাঁর সেই অধ্যাবসায়ের ফল হল বিশ্বের উচ্চতম রেল সেতু চেনাব সেতু। বেঙ্গালুরুর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্সের জিওটেকনিক্যাল ইঞ্জিনিয়র হলেন মাধবী লতা।

    চেনাব সেতু, একটি চ্যালেঞ্জিং স্বপ্ন (Madhavi Latha)

    কাশ্মীরের চেনাব সেতু (Chenab Bridge) প্রকল্পের সঙ্গে মাধবী লতা যুক্ত হয়েছিলেন সেই ২০০০ সালে, যখন এই সেতুটি ছিল স্রেফ একটি চ্যালেঞ্জিং স্বপ্ন। নেপথ্যে থেকে কাজ করলেও, সেতু তৈরিতে তাঁর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একজন জিওটেকনিক্যাল অ্যাডভাইজার হিসেবে প্রায় দুদশক ধরে ধারাবাহিকভাবে প্রযুক্তিগত সহায়তা দিয়ে এসেছেন মাধবী লতা। চেনাব সেতুটি তৈরি হয়েছে বিশ্বের অন্যতম ভূতাত্ত্বিকভাবে দুর্বল ভূখণ্ডে। এই সময় তিনি প্রযুক্তিবিদদের সাহায্য করেছেন জটিল ঢাল স্থিতিশীলতা কৌশল এবং সাব-স্ট্রাকচার নিরাপত্তা নকশা নিয়ে কাজ করতে। কেবল পরামর্শ দেওয়াই নয়, মাধবী লতা বারবার সাইট পরিদর্শন করেছেন, করেছেন তথ্য বিশ্লেষণও, কাঠামোগত মূল্যায়নও করেছেন, যেগুলি মাটির পরিবর্তনশীল আচরণ, উচ্চ ভূমিকম্পপ্রবণতা এবং অপ্রত্যাশিত আবহাওয়ার কারণে বারবার নতুন করে ক্যালিব্রেট করতে হয়েছে।

    মাধবী লতার অ্যাকাডেমিক কোয়ালিফিকেশন

    মাধবী লতার অ্যাকাডেমিক কোয়ালিফিকেশন চোখ ধাঁধানো। ১৯৯২ সালে তিনি জওহরলাল নেহরু টেকনোলজিক্যাল ইউনিভার্সিটি থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বি টেক করেন। এরপর এনআইটি ওয়ারাঙ্গাল থেকে জিওটেকনিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে এম টেক করেন। অসাধারণ কৃতিত্বের জন্য স্বর্ণপদকও লাভ করেন তিনি। ২০০০ সালে মাদ্রাজ আইআইটি থেকে জিওটেকনিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পিএইচডি করেন। বছরের পর বছর ধরে তিনি দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় জিওটেকনিক্যাল বিশেষজ্ঞ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। তাঁর কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ বহু জাতীয় সম্মান অর্জন করেন তিনি (Madhavi Latha)।

    সেরা মহিলা জিওটেকনিক্যাল গবেষক পুরস্কার

    ২০২১ সালে তিনি ইন্ডিয়ান জিওটেকনিক্যাল সোসাইটি থেকে “সেরা মহিলা জিওটেকনিক্যাল গবেষক পুরস্কার” পান। পরের বছর তিনি ভারতের শীর্ষ ৭৫ জন এসটিইএম (বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও গণিত) ক্ষেত্রের নারীদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হন। এটি বিজ্ঞানে ও প্রযুক্তিতে তাঁর অবদানের এক উজ্জ্বল স্বীকৃতি (Chenab Bridge)। বর্তমানে তিনি আইআইএসসিতে এইচএজি গ্রেডের অধ্যাপক। নয়া প্রজন্মের টেকনিক্যাল পরামর্শ ও দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন তিনি। চেনাব সেতুটি চেনাব নদীর ওপর ৩৫৯ মিটার উচ্চতায় নির্মিত হয়েছে। এটি আইফেল টাওয়ারের চেয়েও উঁচু। সেতুটির দৈর্ঘ্য ১ হাজার ৩১৫ মিটার, যা একে শুধু একটি প্রযুক্তিগত কৃতিত্ব নয়, বরং একটি লজিস্টিক ও ভূতাত্ত্বিক ধাঁধায় পরিণত করেছে। এই অঞ্চলের ভূপ্রকৃতি খাড়া, ঢালু এবং গভীর খাত দিয়ে গঠিত। দুর্বল শিলা দিয়ে গঠিত ভূমি। তাই ধসের আশঙ্কা প্রতি পদে।

    লতার কাজ

    অধ্যাপক লতা ছিলেন এই ঢালগুলির চরিত্র বিশ্লেষণ এবং এমন স্থিতিশীলকরণ পদ্ধতি নির্ধারণের দায়িত্বে, যা চরম আবহাওয়া ও ভূতাত্ত্বিক চাপও সহ্য করতে পারে (Chenab Bridge)। তাঁর অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ ছিল টিমের জন্য এমন গভীর ভিত্তি এবং বিশাল আর্চ সমর্থন ডিজাইন করতে সহায়তা করা, যা ঘণ্টায় ২২০ কিমি পর্যন্ত বায়ু প্রবাহ সহ্য করতে পারে এবং এই ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চলের কম্পনেও অনড় থাকতে পারে। এক বিবৃতিতে লতা বলেন, “এত জটিল ভূপ্রকৃতিতে ভিত্তি ডিজাইন করার অর্থ ছিল একাধিক ভাঙনের সম্ভাব্যতা বিবেচনা করা। সেতুটি এমন একটি জায়গায় অবস্থিত, যা কল্পনাতীতভাবে কঠিন। নিরাপত্তার জন্য প্রতিটি কাঠামোগত সিদ্ধান্ত তিনবার করে যাচাই করা হয়েছে (Madhavi Latha)।”

    ভূগর্ভস্থ দুর্ঘটনা রুখতে পদক্ষেপ

    প্রধান নির্মাণ সংস্থা আফকনস ইনফ্রাস্ট্রাকচারের সঙ্গে কাজ করার সময় মাধবী লতা ভূ-প্রযুক্তিগত সমীক্ষা থেকে প্রাপ্ত তথ্য নিয়মিতভাবে পর্যালোচনা করতেন। ঢালের চরিত্র পর্যবেক্ষণ করতেন। অপ্রত্যাশিত কোনও ভূগর্ভস্থ দুর্ঘটনা যাতে না ঘটে, তাই প্রায়ই তিনি কাঠামোগত নকশায় পরিবর্তনের সুপারিশ করতেন (Chenab Bridge)। এই ধরনের বৃহৎ প্রকল্পে সাধারণত রাজনৈতিক নেতৃত্ব বা প্রাতিষ্ঠানিক সাফল্যের ওপর বেশি ফোকাস পড়ে। কিন্তু অধ্যাপক মাধবী লতার মতো প্রযুক্তিবিদরা দেশকে মনে করিয়ে দেন যে, বৈজ্ঞানিক পরিশ্রম, কারিগরি দক্ষতা এবং গভীর প্রতিশ্রুতিই একমাত্র দর্শনকে বাস্তবে রূপ দেয় (Madhavi Latha)।

    ভারতের অন্যতম শ্রেষ্ঠ প্রযুক্তিগত প্রকল্পের ইতিহাসে মাধবী লতার নাম চিরস্থায়ীভাবে খোদাই করা হয়ে গিয়েছে। লতা কেবল একজন অধ্যাপক নন, তিনি নিজেই এই সেতুর এক স্তম্ভ — দৃঢ়, স্থিতিশীল এবং অপরিহার্য। প্রসঙ্গত, জম্মু-কাশ্মীরের রেসি জেলার বাক্কাল ও কুরির মধ্যে একটি ইস্পাত ও কংক্রিট খিলান যুক্ত রেল সেতুই হল চেনাব সেতু (Chenab Bridge)। সেতুটি চেনাব নদীর তলদেশ থেকে ৩৫৯ মিটার উঁচু। বিশ্বের সর্বোচ্চ রেল সেতু এটি (Madhavi Latha)।

  • Extreme Poverty Rate: ভারতে উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে চরম দারিদ্র্য

    Extreme Poverty Rate: ভারতে উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে চরম দারিদ্র্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার বিশ্বব্যাংকের মুখে শোনা গেল মোদি-স্তুতি। কারণ কী জানেন? কারণ মোদি জমানায় ভারতে উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে চরম দারিদ্র্য। তামাম বিশ্বের মতো করোনা অতিমারির ধাক্কা লেগেছিল ভারতেও। সেই অভিঘাত কাটিয়ে দারিদ্র্য দূরীকরণে (Extreme Poverty Rate) ব্যাপক সাফল্য পেয়েছে ভারত। বিশ্বব্যাংকের (World Bank) সাম্প্রতিক রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে, সামগ্রিকভাবেও গত এক দশকে ভারতে চরম দারিদ্র্য কমেছে উল্লেখযোগ্যভাবে। ২০১১-১২ সালে যেখানে চরম দারিদ্র্যের হার ছিল ২৭.১ শতাংশ, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে তা কমে হয়েছে ৫.৩ শতাংশ। বলা বাহুল্য, এই পুরো সময়টাই দেশ চালাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    চরম দারিদ্র্য থেকে মুক্ত (Extreme Poverty Rate)

    বিশ্বব্যাংকের দেওয়া তথ্য থেকে জানা গিয়েছে, ওই এক দশকে ২৬ কোটি ৯০ লাখের কিছু বেশি মানুষকে চরম দারিদ্র্য থেকে মুক্ত করেছে ভারত। আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের নিরিখে একে উল্লেখযোগ্য সাফল্য বলে উল্লেখ করা হয়েছে রিপোর্টে। প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের করোনা অতিমারি পর্বে ভারতে অন্তত ৫.৬ কোটি মানুষ নতুন করে দারিদ্র্যসীমার নীচে চলে গিয়েছিলেন বলে ২০২২ সালে বিশ্বব্যাংকের পভার্টি অ্যান্ড শেয়ার্ড প্রসপারিটি শীর্ষক রিপোর্টে বলা হয়েছিল।

    অতিমারি পর্বের ধাক্কা

    অতিমারি পর্বের সেই ধাক্কা সামলে মোদি জমানায় অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে দারিদ্র্য দূরীকরণ কর্মসূচি। ২০১১-১২ সালে ভারতে চরম দরিদ্র্য জনসংখ্যা ছিল প্রায় সাড়ে ৩৪ কোটি। ২০২২-২৩ সালে তা নেমে এসেছে সাড়ে সাত কোটিতে। ওই রিপোর্ট থেকেই জানা যাচ্ছে, ২০১১-২৩ সালের মধ্যে নিম্ন-মধ্য আয়ের দারিদ্র্যও ৫৭.৭ শতাংশ থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ২৩.৯ শতাংশে। বিশ্বব্যাংক দারিদ্র্যের সংজ্ঞা নির্ধারণের ক্ষেত্রে আগে দৈনিক ২.১৫ মার্কিন ডলার খরচের ক্ষমতাসীমা মেনে চলত। ২০২১ সালে তা বাড়িয়ে করা হয় ৩ মার্কিন ডলার। তার পরেও ভারতে কমেছে দরিদ্র্যের সংখ্যা।

    বিশ্বব্যাংকের রিপোর্ট

    বিশ্বব্যাংকের রিপোর্ট অনুসারে, গ্রামীণ ও শহুরে উভয় ক্ষেত্রেই দারিদ্র্য হ্রাসে ভারত অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে। গ্রামীণ এলাকায় চরম দারিদ্র্য ২০১১-১২ সালে ১৮.৪ শতাংশ থেকে ২০২২-২৩ সালে ২.৮ শতাংশে নেমেছে। শহুরে এলাকায় এই হার ১০.৭ শতাংশ থেকে ১.১ শতাংশে কমেছে। গ্রামীণ ও শহুরে দারিদ্র্যের ব্যবধানও ৭.৭ শতাংশ পয়েন্ট থেকে মাত্র ১.৭ শতাংশ পয়েন্টে নেমে এসেছে, যা বার্ষিক ১৬ হ্রাসের ইঙ্গিত দেয় (Extreme Poverty Rate)। আয়ের পাশাপাশি শিক্ষা, স্বাস্থ্য, স্যানিটেশন, পানীয় জল এবং বিদ্যুৎ অ্যাক্সেসের মতো ক্ষেত্রগুলি বিবেচনা করে বিশ্বব্যাঙ্কের বহুমাত্রিক দারিদ্র্য সূচক অনুসারে, ভারতের অ-আর্থিক দারিদ্র্যও উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। ২০০৫-’০৬ সালে এই সূচক ছিল ৫৩.৮ শতাংশ, যা ২০১৯-২১ সালে ১৬.৪ শতাংশ এবং ২০২২-২৩ সালে আরও কমে দাঁড়িয়েছে ১৫.৫ শতাংশে। এই অগ্রগতি শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা এবং মৌলিক পরিষেবাগুলিতে অ্যাক্সেস বৃদ্ধির ফল।

    চরম দরিদ্র্য জনসংখ্যা

    উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও মধ্যপ্রদেশের মতো পাঁচটি রাজ্য ২০১১-১২ সালে ভারতের চরম দরিদ্র্য জনসংখ্যার ৬৫ শতাংশ নিয়ে গঠিত ছিল। এই রাজ্যগুলি ২০২২-২৩ সালের মধ্যে দারিদ্র্য হ্রাসে দুই-তৃতীয়াংশ অবদান রেখেছে (World Bank)। তবে এই রাজ্যগুলি এখনও ২০২২-’২৩ সালে দেশের চরম দরিদ্র্য জনসংখ্যার ৫৪ শতাংশ এবং ২০১৯-’২১ সালে বহুমাত্রিক দরিদ্র জনসংখ্যার ৫১ শতাংশ নিয়ে গঠিত (Extreme Poverty Rate)।

    মোদির ক্রেডিট

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকারের বিভিন্ন কল্যাণমূলক প্রকল্প এই সাফল্যের পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আয়ুষ্মান ভারত, জন ধন যোজনা, প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনা এবং পিএম সূর্য ঘর মুফত বিজলি যোজনার মতো প্রকল্পগুলি মৌলিক পরিষেবাগুলিতে অ্যাক্সেস বাড়িয়েছে এবং দারিদ্র্য কমাতে সাহায্য করেছে। সরকারি বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, এই প্রকল্পগুলির কার্যকর করায় প্রায় ২৫ কোটি মানুষ দারিদ্র্য থেকে মুক্তি পেয়েছেন।

    দারিদ্র্যের মানদণ্ড

    এই অগ্রগতি নিঃসন্দেহে উল্লেখযোগ্য। তবে বিশ্বব্যাংক এবং অর্থনীতিবিদদের একাংশের মতে, দারিদ্র্যের মানদণ্ড খুবই কম হতে পারে। ২.১৫ মার্কিন ডলার প্রতিদিনের সীমা মাসিক ৫ হাজার ২০০ টাকার কম খরচের সমতুল, যা বাস্তব জীবনে পর্যাপ্ত নাও হতে পারে। এছাড়া, আয়ের বৈষম্য এখনও একটি চ্যালেঞ্জ। বিশ্ব বৈষম্য ডেটাবেস অনুসারে, ২০২৩ সালে ভারতের আয়ের গিনি সূচক ৫২ থেকে ৬২-তে উন্নীত হয়েছে এবং শীর্ষ ১০ শতাংশ জনগোষ্ঠী নিম্ন ১০ শতাংশের তুলনায় ১৩ গুণ বেশি আয় করে (Extreme Poverty Rate)। ওই রিপোর্টে দারিদ্র্য হ্রাসের ভিত পোক্ত করতে বিশ্বব্যাংক শিক্ষা, স্যানিটেশন এবং আনুষ্ঠানিক কর্মসংস্থানে আরও উন্নতির ওপর জোর দিয়েছে (World Bank)।

    প্রসঙ্গত, মোদি জমানায় যে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের পারদ চড়চড়িয়ে বাড়ছে, তার প্রমাণ মিলেছে আগেও। বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের তালিকায় পঞ্চম স্থানে থাকা ভারত বর্তমানে উঠে এসেছে চতুর্থ স্থানে (Extreme Poverty Rate)।

  • G7 Summit: জি৭ সামিটে ভারতকে কেন আমন্ত্রণ? কারণ ব্যাখ্যা করলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী কার্নি

    G7 Summit: জি৭ সামিটে ভারতকে কেন আমন্ত্রণ? কারণ ব্যাখ্যা করলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী কার্নি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জি৭ সামিটে (G7 Summit) আমন্ত্রণ পেলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই সম্মেলনে গুরুত্বপূর্ণ অতিথি দেশ হিসেবে অংশ নেবে ভারত। ১৫ থেকে ১৭ জুন কানাডার আলবার্টার কানানাসকিসে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ওই সম্মেলন। যদিও ভারত জি৭-এর সদস্য নয়, তবুও বৈশ্বিক ক্ষেত্রে ভারতের ক্রমবর্ধমান (Canada PM) প্রভাবের কারণে এবারের জি৭ সভাপতির দায়িত্বে থাকা কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে এই সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।

    কার্নির বক্তব্য (G7 Summit)

    ভারতকে আমন্ত্রণ জানানোর কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে কার্নি বলেন, ‘‘কিছু দেশ আছে যাদের এই আলোচনার টেবিলে থাকা উচিত। ভারত বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতি, সর্বাধিক জনবহুল দেশ এবং একাধিক বৈশ্বিক সরবরাহ শৃঙ্খলের কেন্দ্রবিন্দু।’’ তাঁর এই মন্তব্য ভারতকে বৈশ্বিক বাণিজ্য, জ্বালানি রূপান্তর এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মতো উদীয়মান প্রযুক্তির ক্ষেত্রে একটি কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ দেশ হিসেবে তুলে ধরে। জানা গিয়েছে, শীর্ষ সম্মেলনের অ্যাজেন্ডায় গুরুত্ব দেওয়া হবে গুরুত্বপূর্ণ খনিজ সম্পদ সুরক্ষিত করা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা পরিচালনার অগ্রগতি সাধন এবং বিশ্বসেরা অর্থনীতি ও গুরুত্বপূর্ণ অংশীদারদের মধ্যে জ্বালানি সহযোগিতা বৃদ্ধির ওপর। প্রধানমন্ত্রী সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, উদ্দীপনাপূর্ণ গণতন্ত্র হিসেবে, যাদের মধ্যে গভীর জনসম্পর্ক রয়েছে, ভারত ও কানাডা পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও অভিন্ন স্বার্থের ভিত্তিতে নতুন উদ্যমে এক সঙ্গে কাজ করবে।

    শিখ অধিকার সংগঠন

    ভারতকে আমন্ত্রণ জানানোয় কার্নির ওপর বেজায় খাপ্পা কানাডার শিখ অধিকার বিভিন্ন সংগঠন। তারা কার্নির এই পদক্ষেপের ব্যাপক সমালোচনা করেছে। তারা ২০২৩ সালে হরদীপ সিং নিজ্জর নামে এক খালিস্তানপন্থীর হত্যার তদন্তের উল্লেখ করেছে। কার্নি বলেন, “এই বিষয়ে একটি আইনগত প্রক্রিয়া কানাডায় চলছে এবং অনেকটাই এগিয়ে গেছে… এই ধরনের আইনগত প্রক্রিয়া চলাকালে মন্তব্য করা কখনোই উপযুক্ত নয়।” জানা গিয়েছে, চারজন ভারতীয় নাগরিককে নিজ্জর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। উত্তেজনা সত্ত্বেও দ্বিপাক্ষিক আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কথাবার্তা ফের শুরু হয়েছে। প্রসঙ্গত (Canada PM), ভারত এখনও কানাডার দশম বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার।

    ভারতের গুরুত্ব

    কার্নি বলেন, ‘‘এই ধরনের (G7 Summit) আলোচনার জন্য কিছু নির্দিষ্ট দেশকে অবশ্যই আলোচনার টেবিলে থাকতে হবে, জি৭-এর চেয়ার হিসেবে আমি এই পরামর্শ দিচ্ছি। তিনি বলেন, ভারত বর্তমানে বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতি কার্যত বিশ্বের সর্বাধিক জনসংখ্যার দেশ এবং অনেক গুরুত্বপূর্ণ সরবরাহ শৃঙ্খলের কেন্দ্রবিন্দুতে অবস্থান করছে। তাই এর অংশগ্রহণ পুরোপুরি যুক্তিসঙ্গত। এর পাশাপাশি, দ্বিপাক্ষিকভাবে আমরা এখন নিয়মিত আইন প্রয়োগ সংক্রান্ত সংলাপ চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে একমত হয়েছি, যা একটি অগ্রগতি।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘এই প্রেক্ষাপটে আমি প্রধানমন্ত্রী মোদিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম এবং তিনি তা গ্রহণও করেছেন।’’

    মোদির প্রতিক্রিয়া

    কার্নির ফোন পেয়ে যারপরনাই আপ্লুত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি বলেন, ‘‘কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক জে কার্নির ফোনকল পেয়ে আনন্দিত। সাম্প্রতিক নির্বাচনে বিজয়ের জন্য তাঁকে অভিনন্দন জানালাম এবং এই মাসের শেষের দিকে কানানাসকিসে অনুষ্ঠিতব্য জি৭ সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য তাঁকে ধন্যবাদ জানালাম (G7 Summit)। প্রাণবন্ত গণতন্ত্র হিসেবে, যাদের মধ্যে গভীর জনসংযোগ রয়েছে, ভারত ও কানাডা পারস্পরিক সম্মান এবং অভিন্ন স্বার্থকে পথনির্দেশ করে নয়া উদ্যমে এক সঙ্গে কাজ করবে। সম্মেলনে আমাদের সাক্ষাতের (Canada PM) অপেক্ষায় রইলাম।’’ এবার জি৭-এর আয়োজক দেশ কানাডা। তাই কানাডাই আমন্ত্রণ জানিয়েছে ভারতকে। আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া, ইউক্রেন এবং মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট।

    জি৭ সম্মেলন

    আগামী ১৫ থেকে ১৭ জুন কানাডায় হবে ৫১তম জি৭ সম্মেলন। রীতি অনুযায়ী, আয়োজক দেশ জি৭-এর বাইরে থাকা কিছু দেশকেও বৈঠকে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানায়। কিন্তু এতদিন ভারতের কাছে কানাডার তরফে এমন কোনও আমন্ত্রণ না আসায় জল্পনা তৈরি হয়েছিল। বিদেশমন্ত্রকের বক্তব্যের জন্য অপেক্ষা না করেই কংগ্রেস দাবি করেছে জি৭ সম্মেলনে মোদিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। এটি ভারতের আরও একটি কূটনৈতিক ব্যর্থতা বলে দাবি করে সোনিয়া গান্ধীর দল। তার পরে পরেই আসে কার্নির আমন্ত্রণ। মুখ পোড়ে কংগ্রেসের (G7 Summit)।

    প্রসঙ্গত, জি৭ হল বিশ্বের উন্নত অর্থনীতির দেশগুলির একটি গোষ্ঠী। এর সদস্য দেশগুলি হল ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, ব্রিটেন, জাপান, আমেরিকা এবং কানাডা। এই বৈঠকে ভারতের (Canada PM) প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি আমন্ত্রিত ইউরোপীয় ইউনিয়ন, আইএমএফ, বিশ্বব্যাঙ্ক এবং রাষ্ট্রসংঘও (G7 Summit)।

  • BRICS: চাপ বাড়ল পাকিস্তানের! পহেলগাঁও হামলার নিন্দা করল ‘বন্ধু’ চিন, ইরান

    BRICS: চাপ বাড়ল পাকিস্তানের! পহেলগাঁও হামলার নিন্দা করল ‘বন্ধু’ চিন, ইরান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্ত্রাসের মদতদাতা পাকিস্তানের মুখোশ বিশ্বের দরবারে খুলে দিতে ঘুরছে ভারতের প্রতিনিধি দল (BRICS)। এই আবহে বিশ্বমঞ্চে আরও কোণঠাসা হয়ে পড়ল পাকিস্তান। ব্রিকসের অন্তর্ভুক্ত ১০টি দেশেরই সংসদীয় ফোরাম পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার নিন্দা করল। একইসঙ্গে, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের জিরো টলারেন্স নীতিতে সহযোগিতার হাত বাড়ানোর কথাও বলা হল। এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার, ১০ দেশের এই সংসদীয় ফোরামে পাকিস্তানের বন্ধু দেশ চিন ও ইরানও রয়েছে।

    কোন কোন দেশ রয়েছে (BRICS)?

    প্রসঙ্গত, ব্রাজিলের (BRICS) ব্রাসিলিয়ায় ৪ ও ৫ জুন ব্রিকস অন্তর্ভুক্ত দেশগুলির বার্ষিক সংসদীয় ফোরামের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। যোগ দেয় ভারত, ব্রাজিল, রাশিয়া, চিন, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইরান, সংযুক্ত আরব আমিরশাহী, মিশর, ইথিওপিয়া এবং ইন্দোনেশিয়া। সম্মেলনের প্রতিনিধিরা ২ দিন ধরে নানা ইস্যুতে আলোচনা করেন। ভারতের তরফে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার নেতৃত্বে একটি সংসদীয় দল এই সম্মেলনে যোগদান করে। ব্রিকসের এই সম্মেলনে ভারতীয় দলের নেতৃত্বে ছিলেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা।

    নিজের বক্তব্যে কী বললেন ওম বিড়লা

    ওম বিড়লা তাঁর ভাষণে বলেন, ‘‘সন্ত্রাসবাদ আজ একটি বিশ্বব্যাপী সঙ্কটে পরিণত হয়েছে, যা কেবল আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমেই মোকাবিলা করা যেতে পারে।’’ সন্ত্রাস ইস্যুতে তিনি চারটি বড় পদক্ষেপের কথা বলেছেন নিজের বক্তব্যে। এর মধ্যে রয়েছে সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর অর্থায়ন বন্ধ করা, গোয়েন্দা তথ্য আদান-প্রদানের প্রক্রিয়াকে আরও সহজ ও মসৃণ করা, প্রযুক্তির অপব্যবহার রোধ করা এবং তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা বাড়ানো (BRICS)।

    ১০ দেশের সংসদের প্রতিনিধিরা একটি যৌথ বিবৃতি দেন

    সম্মেলনের একেবারে শেষে ১০ দেশের সংসদের প্রতিনিধিরা একটি যৌথ বিবৃতি দেন। সেখানেই পহেলগাঁওয়ে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার তীব্র নিন্দা করা হয়। লোকসভা সচিবালয় এনিয়ে একটি বিবৃতি জারি করেছে। সেখানে জানানো হয়েছে সম্মেলনের যৌথ ঘোষণায় ভারতের পহেলগাঁও হামলার তীব্র নিন্দা করা হয়েছে এবং ব্রিকসভুক্ত সব দেশের সংসদগুলিও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে একযোগে কাজ করতে সম্মত হয়েছে (Pahalgam Terror Attack)। ওই বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে, সন্ত্রাসবাদ ছাড়াও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, বিশ্ব বাণিজ্য, আন্তঃসংসদীয় সহযোগিতা এবং আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার মতো বিষয় নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়।

LinkedIn
Share