Tag: India

India

  • China: চিনা যুদ্ধবিমান বিক্রি করতে রাফাল-এর বদনাম করছে বেজিং! বড় দাবি ফরাসি গোয়েন্দাদের

    China: চিনা যুদ্ধবিমান বিক্রি করতে রাফাল-এর বদনাম করছে বেজিং! বড় দাবি ফরাসি গোয়েন্দাদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘পাকিস্তানের ৮১ শতাংশ মিলিটারি হার্ডওয়্যার চিন থেকে আসে। অস্ত্রও চিনের (China)। চিন তার অস্ত্রগুলো পাকিস্তানের মাধ্যমে কার্যত পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহার করছে।’ অপারেশন সিঁদুরের পর পরই একটি অনুষ্ঠানে কথাগুলি বলেছিলেন জেনারেল রাহুল আর সিং। পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের জেরে পাকিস্তান ও পাক অধ্যুষিত ভারতের জঙ্গিঘাঁটিগুলিতে অপারেশন সিঁদুর চালায় নয়াদিল্লি। তখন বন্ধু দেশ পাকিস্তানকে নানাভাবে সাহায্য করেছিল বেজিং।

    ভারতের বিক্রমের কাছে ধরাশায়ী পাকিস্তান (China)

    তার পরেও ভারতের বিক্রমের কাছে ধরাশায়ী হয় শাহবাজ শরিফের দেশ। প্রশ্নের মুখে পড়ে চিনের অস্ত্রশস্ত্রের কার্যকারিতা। বিশ্বের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ে ভারতের অপারেশন সিঁদুরের সাফল্যের গাথা (Rafale Fighter Jet)। ভারতের এই অপারেশনে রাফাল যুদ্ধবিমানের ভূমিকা অনস্বীকার্য। এর পর বিশ্বের অনেক দেশই রাফাল কেনায় আগ্রহ দেখায়। এতেই সিঁদুরে মেঘ দেখে চিন। রাফালের ক্ষমতা খাটো করতে বিশ্বজুড়ে প্রচার করে চলেছে চিন। অন্তত এমনই অভিযোগ ফরাসি গোয়েন্দা দফতরের। ফরাসি গোয়েন্দা বিভাগের নাম ডিজিএসই। এদের রিপোর্টেই বলা হয়েছে, চিন তার বিভিন্ন দেশে অবস্থিত দূতাবাসকে ব্যবহার করে ফ্রান্সে নির্মিত রাফাল যুদ্ধ বিমান বিরোধী প্রচার চালাচ্ছে। কেন চিন বদনাম করছে রাফালের? এরও উত্তর রয়েছে ফরাসি গোয়েন্দা বিভাগের রিপোর্টে।

    চিনা যুদ্ধবিমানের বিক্রি বাড়ানোর কৌশল

    গোয়েন্দা রিপোর্টে বলা হয়েছে, চিন তাদের দেশে তৈরি যুদ্ধবিমানের বিক্রি বাড়াতে ফ্রান্সে তৈরি রাফাল যুদ্ধবিমান নিয়ে মিথ্যা প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। রাফালের বদনাম করতেই চিন তার দূতাবাসগুলিকে ব্যবহার করে এমন প্রচার চালাচ্ছে। প্রসঙ্গত, রাফাল-সহ বহু ভারী অস্ত্রশস্ত্রের বিক্রি, ভালো ব্যবসা আনে ফ্রান্সের প্রতিরক্ষা বিষয়ক ইন্ডিস্ট্রিতে। একই সঙ্গে এই রাফালের সূত্রেই ভারত ও ফ্রান্সের সম্পর্ক আরও মজবুত হয়েছে। ভারত তো বটেই, বিশ্বের বহু দেশই ফ্রান্সে তৈরি রাফাল কিনতে আগ্রহ দেখাচ্ছে। ফ্রান্সের সেই বাজারেই এবার থাবা বসাতে চাইছে ড্রাগন।

    গোয়েন্দা রিপোর্টে দাবি

    ফ্রান্সের গোয়েন্দা আধিকারিকদের বক্তব্য তুলে ধরে রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, অপারেশন সিঁদুরের সময় পাকিস্তান ভারতের রাফাল (Rafale Fighter Jet) যুদ্ধবিমান নামিয়ে দিয়েছে বলে যে দাবি করেছে, সেটা সামনে রেখেই বহু দেশ ফ্রান্সে তৈরি এই যুদ্ধবিমানের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। অভিযোগ, এর নেপথ্যে রয়েছে চিনা (China) কৌশল। যদিও রাফাল যুদ্ধবিমান নিয়ে পাকিস্তানের দাবিতে শিলমোহর দেয়নি ভারত। অপারেশন সিঁদুর শেষে সাংবাদিক বৈঠকে এয়ার মার্শাল একে ভারতী রাফাল ভূপাতিত হওয়ার খবরের প্রেক্ষিতে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “ক্ষয়ক্ষতি যে কোনও যুদ্ধ পরিস্থিতিরই অংশ”। তাঁর এই বক্তব্যেই স্পষ্ট, তিনি পাকিস্তানের দাবি নিশ্চিত করেননি, আবার অস্বীকারও করেননি।

    ফের রাফাল কিনছে ভারত

    ফ্রান্সের কাছ থেকে আগে ৩৬টি রাফাল যুদ্ধবিমান কিনেছিল ভারত। ২০২৬ সালের চুক্তিতে ভারতে আসা সেই যুদ্ধবিমানগুলিই অপারেশন সিঁদুরের সময় ব্যবহার করে ভারতীয় বায়ুসেনা। সম্প্রতি ফের ৬৩ হাজার কোটি টাকা দিয়ে ফ্রান্সের কাছ থেকে আরও ২৬টি রাফাল যুদ্ধ বিমান কিনছে ভারত। রাফালের (Rafale Fighter Jet) এই চাহিদা রুখতে মাঠে নেমে পড়েছে শি জিনপিংয়ের দেশ। ইন্টেলের রিপোর্টে বলা হয়েছে, রাফাল যুদ্ধবিমান বিক্রি নিয়ে যে দেশগুলির সঙ্গে ফ্রান্সের কথাবার্তা এগোচ্ছে, সেই দেশগুলিকে রাফাল না কেনার পরামর্শ দিচ্ছেন চিনের প্রতিনিধিরা। রাফালের পরিবর্তে চিনা যুদ্ধ বিমান কেনার প্রস্তাবও দেওয়া হচ্ছে। রাফাল যে কোনও কাজের নয়, তা বোঝাতে চিন ভাঙা যুদ্ধবিমানের ভুয়ো ছবি এবং ভিডিও দেখাচ্ছে বলেও অভিযোগ (China)।

    চিনের দাবি ভুয়ো

    অপারেশন সিঁদুরের সময় তিনটি রাফাল-সহ মোট ছ’টি যুদ্ধবিমান গুলি করে নামানো হয়েছে বলে দাবি করেছিল পাকিস্তান। রাফাল প্রস্তুতকারী সংস্থা ফ্রান্সের দাসো অ্যাভিয়েশন অবশ্য পাকিস্তানের ওই দাবি ঠিক নয় বলে জানিয়ে দেয়। সংস্থাটির তরফে এও জানানো হয়, এই বিষয়ে ভারত তাদের কিছুই জানায়নি। তবে তিনটি রাফাল গুলি করে নামানোর দাবি সঠিক নয় বলে জানান সংস্থার সিইও এরিক ট্র্যাপিয়ার। ফ্রান্সের ওই সংস্থার দাবি, পাকিস্তান যে ছবি নিয়ে রাফাল ধ্বংসের কথা বলছে, তা কারসাজি করা দৃশ্য। ছবিটি এআই দিয়ে তৈরি। আর সেই খবর ছড়াতে হাজারটা সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট তৈরি করা হয়, যা দিয়ে প্রচার করা হয় যে চিনা প্রযুক্তি বেশি উৎকৃষ্ট। ইন্টেল জানিয়েছে, চিনা দূতাবাসের প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত কর্মীরা অন্যান্য দেশের প্রতিপক্ষ এবং নিরাপত্তা আধিকারিকদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এসবই (Rafale Fighter Jet) বলে বেড়াচ্ছে। যদিও ফ্রান্সের দাবি অস্বীকার করেছে চিন (China)।

  • Pakistan: ভুট্টোর মন্তব্যে ব্যাপক সমালোচনা পাকিস্তানে, কী বললেন হাফিজের ছেলে?

    Pakistan: ভুট্টোর মন্তব্যে ব্যাপক সমালোচনা পাকিস্তানে, কী বললেন হাফিজের ছেলে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ইসলামাবাদ ভারতের সঙ্গে আস্থা গড়ে তোলার পদক্ষেপ হিসেবে চিহ্নিত সন্ত্রাসবাদীদের প্রত্যর্পণের কথা বিবেচনা করতে পারে।” কথাগুলি বলেছিলেন পাকিস্তানের (Pakistan) বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো (Bilawal Bhutto)। তাঁর এই মন্তব্যের জেরে কার্যত সমালোচনার ঝড় উঠেছে শাহবাজ শরিফের দেশে। ভুট্টোর এহেন মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছেন লস্কর-ই-তৈবার (LeT) প্রধান হাফিজ সঈদের ছেলে তালহা সঈদ। দায়িত্বজ্ঞানহীন প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগে ভুট্টোকে কাঠগড়ায় তোলেন তিনি।

    কী বলেছিলেন ভুট্টো (Pakistan)

    ৪ জুলাই সংবাদ সংস্থা আল জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ভুট্টো বলেন, “হাফিজ সঈদ ও জইশ-ই-মহম্মদ নেতা মাসুদ আজহারের মতো ব্যক্তিদের ভারতের হাতে তুলে দিতে পাকিস্তানের কোনও আপত্তি নেই। যদি নয়াদিল্লি সহযোগিতার ইচ্ছা প্রকাশ করে, তবেই।” তিনি এই সম্ভাব্য পদক্ষেপটিকে আস্থা গড়ে তোলার একটি মাধ্যম হিসেবে উল্লেখ করেন। ভুট্টো বলেন, “ভারতের সহযোগিতা পাওয়া যাচ্ছে না বলে এই দুই জঙ্গিকে ঘিরে পাকিস্তান, সীমান্তপারের সন্ত্রাস নিয়ে মামলায় এগোতে পারছে না।”

    কী বললেন হাফিজের ছেলে

    ভুট্টোর মন্তব্যের ঠিক পরের দিনই এক ভিডিও বার্তায় তালহা সঈদ ভুট্টোর মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করেন। বলেন, “এই বক্তব্যের ফলে আন্তর্জাতিকভাবে পাকিস্তানের সম্মানহানি হয়েছে (Pakistan)।” তিনি বলেন, “ভুট্টো যে তাঁর (তালহার) বাবাকে ভারতের হাতে তুলে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন, তা কখনওই মেনে নেওয়া যায় না। এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।” তালহা আরও বলেন, “পাকিস্তানি নাগরিকদের প্রত্যর্পণ নিয়ে আলোচনা না করে বরং পাকিস্তান সরকারের উচিত ভারতের নেতাদের প্রত্যর্পণের দাবি জানানো।”

    তিনি ভুট্টোর বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। তাঁর অভিযোগ, ভুট্টোর পরিবার ঐতিহাসিকভাবে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পশ্চিমী ও ভারতীয় ভাবধারার সঙ্গে যুক্ত থেকেছে। উল্লেখ্য, হাফিজ সঈদ এবং তালহা সঈদ দু’জনেই এখনও মার্কিন ট্রেজারি ডিপার্টমেন্টের তালিকাভুক্ত আন্তর্জাতিক জঙ্গি। তালহার ভিডিও প্রকাশের কিছুক্ষণ পরেই লস্কর-ই-তৈবা এবং জামাত-উদ-দাওয়ার সঙ্গে যুক্ত রাজনৈতিক দল পাকিস্তান মার্কাজি মুসলিম লিগ এক বিবৃতিতে পাকিস্তানে সন্ত্রাসবাদ ছড়ানোর জন্য ভারতকে দায়ী করে (Bilawal Bhutto)। দলটির দাবি, পাকিস্তান-সহ বিশ্বজুড়ে জঙ্গি কাজকর্মের মূল ষড়যন্ত্রকারী (Pakistan) হল ভারত।

  • Piyush Goyal: চিনা আধিপত্যে থাবা! বিশ্বের ১৫৩টি দেশে খেলনা পাঠাচ্ছে ভারত, জানালেন পীযূষ গোয়েল

    Piyush Goyal: চিনা আধিপত্যে থাবা! বিশ্বের ১৫৩টি দেশে খেলনা পাঠাচ্ছে ভারত, জানালেন পীযূষ গোয়েল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোদি সরকারের সাফল্যের মুকুটে ফের একটা নয়া পালক! বিপ্লব ঘটেছে ভারতের (India) খেলনা শিল্পে। আমদানি নির্ভরতা থেকে বিশ্বমানের রফতানিকারী দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে নরেন্দ্র মোদির ভারত। বর্তমানে বিশ্বের ১৫৩টি দেশে রফতানি হচ্ছে ভারতীয় খেলনা। এটা কোনও গল্পকথা নয়। নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত ১৬তম টয় ব্রিজ ইন্টারন্যাশনাল বি-টু-বি এক্সপোতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই তথ্য তুলে ধরেন কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল (Piyush Goyal)।

    ভারতের খেলনা শিল্প (Piyush Goyal)

    তিনি বলেন, “আমাদের খেলনা শিল্প, যা এক সময় আমদানির ওপর অনেকটা নির্ভরশীল ছিল, এখন ১৫৩টি দেশে রফতানি হচ্ছে। এটি গর্বের বিষয় এবং সঠিক নীতিগত সহায়তা পেলে আমরা কতদূর এগিয়ে যেতে পারি, তার এক উজ্জ্বল উদাহরণ।” এই সাফল্যের নেপথ্যে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ রয়েছে বলেও এদিন জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, এই কারণগুলি হল গুণমানের মানদণ্ডে নিরবচ্ছিন্ন জোর, দেশীয় উৎপাদন কেন্দ্রের উন্নয়ন এবং কোয়ালিটি কন্ট্রোল অর্ডার চালু হওয়া। পীযূষ বলেন, কোয়ালিটি কন্ট্রোল অর্ডার ভারতে গুণমান সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করেছে। এখন আমাদের নির্মাতারা আন্তর্জাতিক মানদণ্ড পূরণ করছেন।”

    কী বললেন মন্ত্রী

    তিনি বলেন, ভারতের সবচেয়ে বড় শক্তি এর বিশাল অভ্যন্তরীণ বাজার।১৪০ কোটির জনসংখ্যা আমাদের একটি বিরাট বাজার দেয়, যার মাধ্যমে আমরা উৎপাদন স্কেল বাড়াতে পারি, খরচ কমাতে পারি এবং বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় লড়াই করতে পারি।” খেলনা শিল্পের সঙ্গে জড়িতদের উদ্দেশে মন্ত্রী (Piyush Goyal) বলেন, এই গতি বজায় রাখতে এবং পণ্যের নকশা, ব্র্যান্ডিং ও প্যাকেজিংয়ের ওপর গুরুত্ব দিন। আমরা যদি এই তিনটি স্তম্ভ মজবুত করি, তাহলে ভারতীয় খেলনা বিশ্ববাজারে আধিপত্য বিস্তার করতে পারবে।” মন্ত্রী বলেন, “যখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ‘ভোকাল ফর লোকাল’ অভিযান শুরু করেছিলেন, তখন অনেকে এর প্রভাব নিয়ে সন্দিহান ছিলেন। কিন্তু আজ আত্মনির্ভর ভারতের (India) দৃষ্টিভঙ্গির অধীনে ‘লোকাল গ্লোবাল হতে পারে’ এই বিশ্বাস বাস্তবে পরিণত হচ্ছে।” তিনি (Piyush Goyal) বলেন, “সৃজনশীল খেলনার ধারণা নিয়ে আসা স্টার্টআপগুলিকে প্রধানমন্ত্রীর মুদ্রা যোজনার মাধ্যমে সাহায্য করা হচ্ছে, যার জেরে এখন ২০ বছরের জন্য জামানতহীন ঋণ পাওয়া যাচ্ছে।”

  • Shrikant Jichkar: তাঁর ঝুলিতে ৪২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি, চিনে নিন ভারতের সব চেয়ে শিক্ষিত ব্যক্তিকে

    Shrikant Jichkar: তাঁর ঝুলিতে ৪২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি, চিনে নিন ভারতের সব চেয়ে শিক্ষিত ব্যক্তিকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাঁর ঝুলিতে রয়েছে ৪২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি। এর মধ্যে ২০টি আলাদা আলাদা বিষয়ে। মনে করা হয়, তিনিই (Shrikant Jichkar) ভারতের (India) সর্বাপেক্ষা শিক্ষিত ব্যক্তি। জীবনে একটা ডিগ্রি অর্জন করতেই কালঘাম ছুটে যায় পড়ুয়াদের একটা বড় অংশের। স্নাতকোত্তরের পর আরও উচ্চশিক্ষিত হতে আর পরিশ্রম করতেই চান না অধিকাংশ মানুষ। তাই স্নাতকোত্তেরর পর পড়াশোনা ছেড়ে চাকরির বাজারে লাইন দেন ছেলেমেয়েরা। এহেন আবহে তাঁর ঝুলিতে রয়েছে ২০টি ডিগ্রি। যে ভারতীয়কে নিয়ে কথা হচ্ছে, তিনি হলেন শ্রীকান্ত জিচকার। দেশের সর্বাধিক ডিগ্রি লাভের পাশাপাশি রাজনীতিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। মাত্র ২৬ বছর বয়সে তিনি হয়েছিলেন বিধায়ক। সেই সময় তিনিই দেশের সর্বকনিষ্ঠ বিধায়ক ছিলেন।

    শ্রীকান্তের জন্ম মারাঠি পরিবারে (Shrikant Jichkar)

    বিস্ময়কর এই মানুষটির জন্ম ১৯৫৪ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর নাগপুরের একটি মারাঠি পরিবারে। উচ্চ মাধ্যমিকের পাঠ চুকিয়ে তিনি ভর্তি হন নাগপুরের একটি মেডিক্যাল কলেজে। সেখানেই তিনি প্রথমে করেন এমবিবিএস এবং পরে এমডি। এই দুই ডিগ্রি অর্জনের পর শ্রীকান্ত পড়াশোনা করতে শুরু করেন আইন নিয়ে। স্নাতক হওয়ার পর স্নাতকোত্তর করেন আন্তর্জাতিক আইনে। আইনের পাঠ চুকিয়ে শ্রীকান্ত (Shrikant Jichkar) পড়াশোনা করতে শুরু করেন বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন নিয়ে। পরে স্নাতক হন সাংবাদিকতায়। সংস্কৃতে ডিলিটও পান শ্রীকান্ত। এর পর একে একে শ্রীকান্ত সমাজবিজ্ঞান, অর্থনীতি, ইতিহাস, ইংরেজি সাহিত্য, দর্শন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, প্রত্নতত্ত্ব এবং মনোবিজ্ঞানের মতো বিষয়ে ডিগ্রিও অর্জন করেছিলেন তিনি।

    ৪২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষায় বসেছিলেন

    চিত্রাঙ্কন, ফোটোগ্রাফি এবং অভিনয়েও ডিগ্রি লাভ করেছিলেন শ্রীকান্ত। ১৯৭৩ থেকে ১৯৯০ সালের মধ্যে ৪২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষায় বসেছিলেন তিনি। দু’-দু’বার উত্তীর্ণ হয়েছিলেন ইউপিএসসি পরিচালিত প্রবেশিকা পরীক্ষায়। প্রথমবার পাশ করে শ্রীকান্ত হন আইপিএস। পরে পদত্যাগ করে ফের পরীক্ষা দিয়ে আইএএস হন ১৯৮০ সালে। মাস চারেক ধরে আইএএসের চাকরি করে সব ছেড়েছুড়ে শ্রীকান্ত চলে আসেন রাজনীতিতে। ১৯৮০ সালেই মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের প্রতীকে জিতে বিধায়ক হন তিনি। পরে হয়েছিলেন মহারাষ্ট্রের প্রভাবশালী মন্ত্রীও। ১৯৯২ থেকে ১৯৯৮ সাল (India) পর্যন্ত রাজ্যসভার সদস্য ছিলেন শ্রীকান্ত। ২০০৪ সালের ২ জুন একটি গাড়ি দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় শ্রীকান্তের (Shrikant Jichkar)। সেই সময় তাঁর বয়স হয়েছিল মাত্রই ৫১।

  • Piyush Goyal: “কোনও নির্দিষ্ট সময়সীমা মেনে আমেরিকার সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি করবে না ভারত,” সাফ জানালেন পীযূষ

    Piyush Goyal: “কোনও নির্দিষ্ট সময়সীমা মেনে আমেরিকার সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি করবে না ভারত,” সাফ জানালেন পীযূষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “কোনও নির্দিষ্ট সময়সীমা মেনে আমেরিকার সঙ্গে নয়া দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি (India US Trade Agreement) স্বক্ষর করবে না ভারত।” শুক্রবার সাফ জানিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়াল (Piyush Goyal)। একই সঙ্গে তিনি এও জানিয়ে দিয়েছেন, “নয়াদিল্লি তার নিজের শর্তেই বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা করছে।”

    সময়সীমা শেষ হচ্ছে ৯ জুলাই (Piyush Goya)

    ২ এপ্রিল বিভিন্ন দেশের পণ্যের ওপর পারস্পরিক শুল্ক আরোপের কথা ঘোষণা করেছিলেন ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ভারতের পণ্যে শুল্কের পরিমাণ ছিল ২৬ শতাংশ। পরে নয়া শুল্কনীতি কার্যকর হওয়ার আগে ৯০ দিনের জন্য স্থগিতাদেশ জারি করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এই সময়সীমা শেষ হচ্ছে ৯ জুলাই। ফলে তার আগেই ভারত-আমেরিকা বাণিজ্যচুক্তি চূড়ান্ত হবে কি না, তা নিয়ে বাড়ছে জল্পনা।

    কী বললেন পীযূষ

    ট্রাম্প আগেই আভাস দিয়েছেন ৯ জুলাইয়ের পর তিনি আর ওই সময়সীমা বাড়াতে চান না। জুনের শেষ সপ্তাহে চিনের সঙ্গে বাণিজ্যচুক্তি সেরে ফেলার পর ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, তাঁর পরবর্তী লক্ষ্য ভারত। তারই প্রেক্ষিতে ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী সাফ জানিয়ে দিলেন, “ইউরোপীয় ইউনিয়ন, নিউজিল্যান্ড, ওমান, আমেরিকা, চিলি বা পেরু, অনেক দেশের সঙ্গে চুক্তির জন্য আলোচনা চলছে।” এর পরেই তিনি বলেন, “একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি তখনই হয়, যখন পারস্পরিক সুবিধা থাকে। যখন ভারতের স্বার্থরক্ষা করে চুক্তিটি করা হয়। জাতীয় স্বার্থকে সর্বদা অগ্রাধিকার দিয়ে ভারত সর্বদা উন্নত দেশগুলির সঙ্গে চুক্তি করতে প্রস্তুত।” প্রসঙ্গত, গত মার্চ মাসে আমেরিকায় বাণিজ্যচুক্তি নিয়ে বৈঠকের পরে পীযূষ বলেছিলেন, “আমেরিকার সঙ্গে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ইন্ডিয়া ফার্স্ট নীতি নিয়ে আমরা এগোব।”

    সেই পীযূষই (Piyush Goyal) এদিন বলেন, “একেবারে উইন-উইন চুক্তি হতে হবে। এবং ভারতের স্বার্থ সুরক্ষিত থাকাই একমাত্র শর্ত। জাতীয় স্বার্থ সব সময়ই অগ্রাধিকার পায়। এবং সেক্ষেত্রে মাথায় রাখতে হবে যদি কোনও ভালো চুক্তি সম্পন্ন হয়, ভারত সব সময় উন্নত দেশগুলির সঙ্গে যোগসূত্র গড়ে তুলবে।”

    বৃহস্পতিবারই হোয়াইট হাউসের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে ট্রাম্প বলেছিলেন, “আমাদের সঙ্গে সকলেই চুক্তি করতে চায়। গতকালই আমরা চিনের সঙ্গে চুক্তি সই করেছি। আরও একটা বড়সড় চুক্তি করতে চলেছি, সম্ভবত ভারতের সঙ্গে। বিরাট বড়মাপের (India US Trade Agreement) চুক্তি হবে।” তার পরেই এদিন পীযূষের মুখে শোনা গেল চুক্তির ক্ষেত্রে ভারতের স্বার্থের অগ্রাধিকারের কথা (Piyush Goyal)।

  • India Greece Missile Deal: ‘জাতশত্রু’ গ্রিসকে ক্রুজ মিসাইল দিতে চলেছে ভারত! আতঙ্কিত তুরস্ক

    India Greece Missile Deal: ‘জাতশত্রু’ গ্রিসকে ক্রুজ মিসাইল দিতে চলেছে ভারত! আতঙ্কিত তুরস্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভয়ঙ্কর ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত তুরস্ককে (Turkey) সবার আগে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল নরেন্দ্র মোদির ভারত। বিশেষ বিমানে করে ত্রাণ পাঠিয়েছিল নয়াদিল্লি। অথচ, পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের জেরে যখন পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ভারত ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালায়, তখন নয়াদিল্লির অবদান ভুলে গিয়ে মুসলিম রাষ্ট্র পাকিস্তানের পাশেই দাঁড়ায় ইসলামিক রাষ্ট্র তুরস্ক (India Greece Missile Deal)! উন্নত ড্রোন, অন্যান্য সামরিক যুদ্ধাস্ত্র এবং যুদ্ধ জাহাজ দিয়ে বন্ধু পাকিস্তানকে সাহায্য করেছিল তুরস্ক। সেই তুরস্ককেই এবার উপযুক্ত জবাব দিতে চলেছে ভারত! তুরস্কের জাতশত্রু গ্রিসকে লং রেঞ্জ ল্যান্ড অ্যাটাক ক্রুজ মিসাইল দিতে চলেছে ভারত। সাম্প্রতিক গ্রিস সফরের সময় ভারতীয় বিমান বাহিনীর প্রধান মার্শাল ভিআর চৌধুরি গ্রিসের বিমান বাহিনীর প্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। গ্রিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, উভয় দেশই প্রতিরক্ষা সহযোগিতা নিয়ে একটি চুক্তি সই করেছে। এই চুক্তির আওতায় ভারত থেকে গ্রিসে লং-রেঞ্জ ল্যান্ড অ্যাটাক ক্রুজ মিসাইল সরবরাহের একটি সম্ভাব্য চুক্তির কথাও উল্লেখ রয়েছে।

    ক্রুজ মিসাইল গ্রিসকে দেওয়ার প্রস্তাব (India Greece Missile Deal)

    তুরস্কের সংবাদসংস্থা টিআর হেবার জানিয়েছে, ডিআরডিও নির্মিত এই মিসাইল সরবরাহের প্রস্তাব দিয়েছে ভারত। যদিও ভারত বা গ্রিসের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে কোনও নিশ্চয়তা দেওয়া হয়নি। তবে বিভিন্ন সূত্র মারফত পাওয়া খবরে ওই সংবাদ মাধ্যম দাবি করেছে, ভারত ১,০০০ কিলোমিটারেরও বেশি দূরত্ব অতিক্রমে সক্ষম একটি ক্রুজ মিসাইল গ্রিসকে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে। এই সম্ভাব্য মিসাইল দেওয়ার খবরে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে তুরস্কে। ভারতের কাছ থেকে গ্রিস এই ধরনের কৌশলগত অস্ত্র পেতে পারে, এমন আশঙ্কায় কাঁটা আঙ্কারা (তুরস্কের রাজধানী)। ভারতের এই মিসাইলটি বিমানঘাঁটি, প্রতিরক্ষা (Turkey) ব্যবস্থা, রাডার ইনস্টলেশন এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ টার্গেটে অত্যন্ত নিখুঁতভাবে আঘাত হানতে পারে। এটাই মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে আঙ্কারার (India Greece Missile Deal)।

    ভারত-তুরস্ক সম্পর্ক

    এই জল্পনা এমন একটা সময়ে উঠেছে যখন ভারত-তুরস্ক সম্পর্ক অত্যন্ত উত্তেজনাপূর্ণ। অপারেশন সিঁদুরের সময় পাকিস্তানকে নানাভাবে সাহায্য করেছিল তুরস্ক। বস্তুত তার পরেই ভারত-তুরস্কের সম্পর্ক একেবারে তলানিতে গিয়ে ঠেকে। অপারেশন সিঁদুরের সময় ভারতের অস্ত্রের ক্ষমতা চাক্ষুষ করেছে তামাম বিশ্ব। তাই আরও বেশি করে ভয় পেয়েছে তুরস্ক। কারণ গ্রিস যদি ভারতের এলআর-এলএএসিএম মিসাইল পায়, তাহলে তারা তুরস্কের বিমান ঘাঁটিতে বড় ধরনের হামলা চালাতে পারবে। তখন পরিস্থিতি অনেকটা এমন হবে, যেমনটা হয়েছিল অপারেশন সিঁদুরের সময়। প্রসঙ্গত, অপারেশন সিঁদুরে ভারত বেছে বেছে আঘাত হেনেছিল পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গিঘাঁটিগুলিতে।

    এলআর-এলএএসিএম মিসাইলটি বৈশিষ্ট্য 

    প্রসঙ্গত, এলআর-এলএসিএম মিসাইলটি ব্রহ্মোস মিসাইলের মতোই তৈরি করা হয়েছে। এর প্রধান বৈশিষ্ট্য হল কম উচ্চতায় এবং অত্যন্ত উচ্চ গতিতে চলা, যার ফলে একে প্রতিহত করা অত্যন্ত কঠিন। এই ক্ষেপণাস্ত্রের পরিসর ১,০০০ কিলোমিটারেরও বেশি এবং এটি প্রচলিত ও অপ্রচলিত—উভয় ধরনের যুদ্ধাস্ত্র বহনে সক্ষম। এটি তৈরি করেছে ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা। ২০২৪ সালে এর প্রথম পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ হয় (Turkey)।

    তুরস্কের সংবাদ মাধ্যমে জল্পনা

    তুরস্কের সংবাদ মাধ্যম এই জল্পনা নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। হেবারের একটি প্রতিবেদনের হেডলাইনই ছিল, “ভারত ১,০০০ কিমি রেঞ্জের ক্রুজ মিসাইল এজিয়ানে নিয়ে এসেছে! তারা তুরস্ককে টার্গেট বানাবে!” ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গ্রিস সম্ভবত ভারতের “অপারেশন সিঁদুরের কৌশলগত দিকগুলি বিশ্লেষণ করে তুরস্কে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। প্রতিবেদনটিতে এও দাবি করা হয়েছে, গ্রিস ভারতের রাফাল যুদ্ধবিমানের পারফরম্যান্স সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করেছে (India Greece Missile Deal)।

    গ্রিস ও তুরস্কের মধ্যে উত্তেজনা

    গ্রিস ও তুরস্কের মধ্যে উত্তেজনা নতুন নয়। এই দুই ন্যাটো সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে দীর্ঘদিনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা রয়েছে। সামরিক সংঘর্ষ এবং আইজিয়ান সাগর, আকাশসীমা লঙ্ঘন, সাইপ্রাস ইস্যু এবং সাম্প্রতিককালে পূর্ব ভূমধ্যসাগরে জ্বালানি সম্পদের ওপর প্রতিযোগিতাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা উঠেছে তুঙ্গে। একই সামরিক জোটের অংশ হওয়া এবং ইউরোপীয় (Turkey) ইউনিয়নের কিছু সহযোগিতা কাঠামো শেয়ার করা সত্ত্বেও, গ্রিস-তুরস্কের সম্পর্ক কার্যত সাপে-নেউলে (India Greece Missile Deal)।

    প্রসঙ্গত, পূর্ব ভূমধ্যসাগরের দ্বীপপুঞ্জকে কেন্দ্র করে প্রায়ই দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েছে গ্রিস আর তুরস্ক। গ্রিসের দাবি, কোস, সামোস, লেসবস-সহ পূর্ব এজিয়ান সাগরের বেশ কয়েকটি দ্বীপে অনুপ্রবেশ করাচ্ছে তুরস্ক। ওই দ্বীপগুলির ওপর দিয়ে তারা নাকি নিয়মিত যুদ্ধবিমানও ওড়ায়। ১৯২৩ সালে লুসানের চুক্তি অনুযায়ী, গ্রিস আর তুরস্কের বর্তমান (Turkey) সীমান্ত নির্ধারিত হয়েছিল। সেই চুক্তি অনুযায়ী লেসবস, চিওস, সামোসের নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা পেয়েছিল গ্রিস (India Greece Missile Deal)।

  • Dalai Lama: দলাই লামার উত্তরসূরি নির্বাচন, চিনের নাক গলানোর প্রয়োজন নেই, জানিয়ে দিল ভারত

    Dalai Lama: দলাই লামার উত্তরসূরি নির্বাচন, চিনের নাক গলানোর প্রয়োজন নেই, জানিয়ে দিল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাঁর উত্তরসূরি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিয়েছিলেন তিব্বতি ধর্মগুরু দলাই লামা (Dalai Lama)। সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, প্রচলিত প্রথা মেনেই তাঁর উত্তরসূরি নির্বাচন হবে। সেই অধিকার থাকবে তাঁদের সংস্থা গাদেন ফোদরাং ট্রাস্টের হাতেই।

    ভারতের জবাব (Dalai Lama)

    তিব্বতি ধর্মগুরুর ঘোষণার পরেই অসন্তোষ প্রকাশ করেছিল চিন। শি জিনপিংয়ের নাম না নিয়েই এর জবাব দিল ভারত (India Slams China)। তিব্বতি ধর্মগুরু নির্বাচনে চিনের নাক গলানোর বিষয়টি যে ভালো চোখে দেখা হচ্ছে না, সেকথা শি জিনপিংয়ের দেশকে বুঝিয়ে দিয়েছে নয়াদিল্লি। বৃহস্পতিবার সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু জানান, পরবর্তী দলাই লামা নির্বাচনের অধিকার রয়েছে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ও বর্তমান দলাই লামার হাতেই। সাংবাদিক বৈঠকে রিজুজু বলেন, “বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে সব চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলেন দলাই লামা। তাঁর অনুগামীরা চাইছেন, দলাই লামার ইচ্ছে অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট সংস্থাই উত্তরসূরি বেছে নিক। এর বাইরে অন্য কারও এই প্রক্রিয়ায় নাক গলানোর অধিকার নেই।”

    তিব্বতি এই ধর্মগুরুর ৯০তম জন্মদিন

    ৬ জুলাই ধর্মশালায় পালিত হবে তিব্বতি এই ধর্মগুরুর ৯০তম জন্মদিন। সেখানে কেন্দ্রের তরফে উপস্থিত থাকবেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রিজিজু। থাকবেন আরও এক মন্ত্রী রাজীব রঞ্জনও। ৯০তম জন্মদিনের কয়েক দিন আগেই বুধবার তাঁর উত্তরসূরি নির্বাচন নিয়ে ফের নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন দলাই লামা। তিনি জানিয়েছিলেন, ছ’শো বছরের প্রাচীন প্রথা ও ঐতিহ্য মেনেই চলবে আমাদের সংস্থার কাজকর্ম (Dalai Lama)। উত্তরসূরি নির্বাচনের অধিকার থাকবে কেবল গাদেন ফোদরাং ট্রাস্টের হাতেই। অন্য কেউ নাক গলাতে পারবে না।

    প্রসঙ্গত, ১৯৫৯ সালে মাত্র ২৩ বছর বয়সে লাসা (তিব্বতের রাজধানী) থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন দলাই লামা। কারণ সেই সময় তিব্বত আক্রমণ করেছিল চিন। তার পর থেকে চিন তাঁকে ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী’ বলে দেগে দিয়েছে। পরে তিনি আশ্রয় নেন ভারতে। ওয়াকিবহাল মহলের (India Slams China) মতে, তাঁর সাম্প্রতিক এই ঘোষণাটি কেবল তাঁর আধ্যাত্মিক উত্তরাধিকারের পুনঃপ্রতিষ্ঠা নয়, চিনা রাষ্ট্রীয় হস্তক্ষেপ থেকে তিব্বতি বৌদ্ধ ধর্মীয় ঐতিহ্যের স্বাধীনতাকেও জোরালোভাবে তুলে ধরে (Dalai Lama)।

  • D Gukesh: কালো ঘুঁটিতে খেলে কার্লসেনকে হারিয়ে ‘দুর্বল প্লেয়ার’ কটাক্ষের মোক্ষম জবাব দিলেন গুকেশ

    D Gukesh: কালো ঘুঁটিতে খেলে কার্লসেনকে হারিয়ে ‘দুর্বল প্লেয়ার’ কটাক্ষের মোক্ষম জবাব দিলেন গুকেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবারের বারবেলায় ফের একবার জাগরেবে গুকেশের (D Gukesh) কাছেই হারলেন নরওয়ের তারকা দাবাড়ু (Grand Chess Tour) ম্যাগনাস কার্লসেন। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার কার্লসেনকে হারালেন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন গুকেশ। সেই সঙ্গে জবাব দিলেন যাবতীয় কটাক্ষেরও। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে কার্লসেনের কাছ থেকে ‘দুর্বল প্লেয়ার’ কটাক্ষ হজম করতে হয়েছিল গুকেশকে। এদিন সেই কটাক্ষের জবাবই দাবার ৬৪ খোপের লড়াইয়ে দিলেন ভারতীয় দাবাড়ু। গ্র্যান্ড চেস ট্যুরের জাগরেব এডিশনে সুপারইউনাইটেড ব়্যাপিড ২০২৫ দাবা চ্যাম্পিয়নশিপে কার্লসেনকে হারিয়ে সমালোচকদের মুখে ঝামা ঘষে দিয়েছেন ভারতীয় দাবাড়ু গুকেশ। জাগরেবে ১০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে চলে গেলেন তিনি।

    এদিনের ম্যাচটা গুকেশের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ (D Gukesh)

    এদিনের ম্যাচটা গুকেশের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কারণ এই প্রতিযোগিতার শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি তাঁর। পোলান্ডের গ্র্যান্ডমাস্টারের কাছে প্রথম রাউন্ডে হেরে যান তিনি। পরের দু’রাউন্ডে জিতে ফের ফেরেন লড়াইয়ের ময়দানে। কার্লসেনের কাছে হেরে গেলে যে তিনি আরও পিছিয়ে পড়বেন, তা ভালো করেই জানতেন গুকেশ। তাই এদিন কার্লসেনকে মাত দিলেন তিনি।

    কার্লসেনকে গত মাসেই হারিয়েছিলেন

    বিশ্বের এক নম্বর দাবাড়ু কার্লসেনকে গত মাসেই ব়্যাপিড অ্যান্ড ব্লিৎজ প্রতিযোগিতায় হারিয়ে দিয়েছিলেন গুকেশ (D Gukesh)। টানা পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর কার্লসেন আর নামেন না বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের প্র্তিযোগিতায়। গতবার দাবা বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হন ভারতীয় দাবাড়ু গুকেশ। গত মাসে যখন কার্লসেনকে তিনি হারিয়েছিলেন, তখন নরওয়ের তারকা যেভাবে টেবিল চাপড়ে ছিলেন, তা দেখে মনে হচ্ছিল হয়তো এই হারটা তাঁর কাছে (Grand Chess Tour) অপ্রত্যাশিত ছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার ফের জাগরেবে গুকেশের কাছেই হারলেন কার্লসেন।

    এদিন কালো ঘুঁটি দিয়ে খেলা শুরু করেন ভারতীয় দাবাড়ু। কিছুক্ষণের মধ্যেই কার্লসেন পিছিয়ে পড়েন। শেষমেশ ৪৯টি দানের পর রিটায়ার করে নেন কার্লসেন। কিছুদিন আগেই গুকেশকে দুর্বল দাবাড়ু আখ্যা দিয়েছিলেন কার্লসেন। সেই কার্লসেনকেই পর পর দু’বার (Grand Chess Tour) হারিয়ে গুকেশ বুঝিয়ে দেন, আগামী দাবা বিশ্বের তারকা তিনিই। গুকেশ বলেন, “দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে কী করতে হয়, আমি জানি। তাই তখন জয়ের জন্য আমি সব কিছুই করি (D Gukesh)।”

  • India England 2nd Test: শুভমনের দ্বিশতরান, ছাপিয়ে গেলেন সচিন-কোহলিকে! যোগ্য হাতেই ভারতের টেস্ট ক্রিকেটের ব্যাটন

    India England 2nd Test: শুভমনের দ্বিশতরান, ছাপিয়ে গেলেন সচিন-কোহলিকে! যোগ্য হাতেই ভারতের টেস্ট ক্রিকেটের ব্যাটন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এজবাস্টনে ইতিহাস লিখলেন শুভমন গিল (Shubman Gill)। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে (India England 2nd Test) তাঁর ২৬৯ রানের ইনিংসে ভর করে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে ৫৮৭ রান করল ভারত। ১৮ বছর পর আবার ইংল্যান্ডের মাটিতে টেস্টে এক ইনিংসে ৫০০ রানের বেশি করল ভারত। একের পর এক নজির গড়লেন ভারত অধিনায়ক। ছাপিয়ে গেলেন সুনীল গাভাসকর, শচিন তেন্ডুলকর, বিরাট কোহলিদের। প্রায় সাড়ে আট ঘণ্টা ক্রিজে থেকে এজবাস্টনে প্রথম ইনিংসে একাই প্রায় ৬৫ ওভারের বেশি ব্যাট করে ফেলেছেন শুভমন গিল।

    শুভমনের নজির

    ভারতীয় অধিনায়কদের মধ্যে টেস্টে সর্বাধিক রানের ইনিংস খেললেন শুভমন। এর আগে সেই রেকর্ড ছিল কোহলির দখলে। তিনি ২০১৯ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে অপরাজিত ২৫৪ রান করেছিলেন। শুভমনই এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে প্রথম অধিনায়ক যিনি ইংল্যান্ডের মাটিতে দ্বিশতরান করেছেন। এর আগে শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক তিলকরত্নে দিলশান ইংল্যান্ডের মাটিতে ১৯৩ রান করেছিলেন। ইংল্যান্ডের মাটিতে ভারতীয় ব্যাটারদের মধ্যে সর্বাধিক রান করলেন শুভমন। এত দিন সেই রেকর্ড ছিল সুনীল গাভাসকরের দখলে। ১৯৭৯ সালে ওভালে ২২১ রান করেছিলেন তিনি। ৪৬ বছর পুরনো রেকর্ড ভেঙেছেন শুভমন। এশিয়ার বাইরে ভারতীয় ব্যাটারদের মধ্যে সর্বাধিক রান করেছেন শুভমন। এত দিন এই রেকর্ড ছিল সচিনের দখলে। ২০০৪ সালে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে ২৪১ রান করেছিলেন তিনি। ২১ বছর পর এজবাস্টনে ভাঙল সেই রেকর্ড।

    শক্ত হাতে ভারতীয় ক্রিকেট

    ত্রিশতরান হাতছাড়া হলেও কঠিন পরিস্থিতিতে যে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে ভালবাসেন, তা বুঝিয়ে দিলেন শুভমন গিল। তাঁর হাতে দলের ব্যাটন তুলে দিয়ে বিসিসিআই যে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা-ও বুঝিয়ে দিলেন আইপিএলে গুজরাট-টাইটান্সের ক্যাপ্টেন। গত ৫০ বছরে টেস্টে ভারতীয় ক্রিকেটের ব্যাটন বদলেছে। সুনীল গাভাসকরের কাছ থেকে পেয়েছিলেন শচিন তেন্ডুলকর। দুই দশকের বেশি সময় ধরে তিনি সেই দায়িত্ব সামলেছেন। নিজের চার নম্বর জায়গা তিনি ছেড়ে গিয়েছিলেন কোহলিকে। শচিনের মান রেখেছেন কোহলি। শুধু ব্যাটার হিসেবে নয়, অধিনায়ক হিসেবে নিজেকে আরও উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। কোহলির ছেড়ে দেওয়ার চার নম্বর জায়গা মাত্র দুই টেস্টেই নিজের করে নিয়েছেন শুভমন। মাত্র দুই টেস্টেই তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন, শক্ত হাতে রয়েছে ভারতের টেস্ট ক্রিকেট।

    কোন রসায়নে সাফল্য

    শুভমন যখন ১৯৯ রানে খেলছেন তখনও তাঁকে বাউন্সার করেন জশ টং। তাতে শুভমনের কোনও সমস্যা হয়নি। ফাইন লেগে পুল মেরে নিজের প্রথম দ্বিশতরান করেছেন তিনি। তার পরেও থামেননি। শেষ পর্যন্ত থেমেছেন ২৬৯ রানে। তাঁর ইনিংসে ছিল ৩০টি চার ও তিনটি ছক্কা। ধুম-ধারাকা আইপিএলের পর ক্লাসিকাল ক্রিকেটে ধ্রুপদী ইনিংস। শুভমন বলেন, ‘আমাদের দল ভাল জায়গায় আছে। আমি কয়েকটা দিক নিয়ে পরিশ্রম করেছিলাম। আইপিএল শেষ হওয়ার পর বিশেষ প্রস্তুতি নিয়েছিলাম যা টেস্ট ক্রিকেটের আগে খুব জরুরি ছিল। এখনও পর্যন্ত যা দেখছি, সেগুলো আমাকে সাহায্য করেছে।’

    মুগ্ধ ইংল্যান্ডও

    শুভমনের ইনিংস দেখে উচ্ছ্বসিত ইংল্যান্ড শিবিরও। মুগ্ধতার ছবিটা কেমন? প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ দিনের শেষ বলটা করতেই ব্যাট বগলদাবা করে ড্রেসিংরুমের দিকে হাঁটা শুরু করলেন হ্যারি ব্রুক। অপর অপরাজিত ব্যাটার জো রুটকে দেখা গেল উল্টো দিকে হাঁটা দিলেন। তিনি এগিয়ে গেলেন শুভমন গিলের দিকে। করমর্দন করলেন ভারতের অধিনায়কের সঙ্গে। ইংল্যান্ড তো বটেই, বর্তমান বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম সেরা ব্যাটার অভিনন্দন জানাতে এগিয়ে যাচ্ছেন, এটাই শুভমনের ইনিংসের সার্থকতা।

    অ্যাডভান্টেজ ভারত

    এজবাস্টনে শুভমনের সামনে অসহায় দেখিয়েছে ইংরেজ বোলিংকে। এখানকার পাটা উইকেটে ২১১ রানে ৫ উইকেট পড়ে গিয়েছিল ভারতের। শুভমন জানতেন, অন্তত ৪০০ রান করার লক্ষ্য ছিল তাঁর। শুভমনকে সাহায্য করলেন রবীন্দ্র জাদেজা। তিন বছর আগে এই মাঠেই শতরান করেছিলেন জাদেজা। তিনি ভাল খেললেন। দু’জনের মধ্যে ২০৩ রানের জুটি হল। তাতে চাপ অনেক কমে গেল শুভমনের উপর। জাদেজা আউট হওয়ার পর শুভমনের ঢাল হয়ে দাঁড়ালেন ওয়াশিংটন সুন্দর। ইংল্যান্ড ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায়। বাংলার পেসার আকাশ দীপ পরপর দুই বলে দুই উইকেট তুলে নিয়ে ইংল্যান্ডকে ব্যাকফুটে ঠেলে দেন। তৃতীয় ওভারে দুই উইকেট খুইয়ে ইংল্যান্ড যখন ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছিল, তখন আবার মহম্মদ সিরাজ বাধা হয়ে দাঁড়ান। অপর ওপেনার ক্রলিকে ফেরান তিনি। মাত্র ২৫ রানে তিন উইকেট খুইয়ে বসে ইংরেজ বাহিনী। এরপর জো রুট ও হ্যারি ব্রুক ম্যাচের হাল ধরেন। শেষ পর্যন্ত ইংল্যান্ডের ৩ উইকেটে ৭৭ রানে শেষ হয় দ্বিতীয় দিনের খেলা। ম্যাচের যা পরিস্থিতি তাতে বলাই যায়, অ্যাডভান্টেজ টিম ইন্ডিয়া।

  • Article 370: ৩৭০ ধারা বাতিলের পদক্ষেপকে সমর্থন দেশের প্রধান বিচারপতি গাভাইয়ের

    Article 370: ৩৭০ ধারা বাতিলের পদক্ষেপকে সমর্থন দেশের প্রধান বিচারপতি গাভাইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১৯ সালের ৫ অগাস্ট জম্মু-কাশ্মীর থেকে বিলোপ করা হয় ৩৭০ ধারা (Article 370)। তা নিয়ে দেশজুড়ে কম বিতর্ক হয়নি। মোদি সরকারকে তীব্র নিশানা করেন ‘তুষ্টিকরণের রাজনীতি’র কারবারিরা। তবে কেন্দ্রের ৩৭০ ধারা বাতিল করার পদক্ষেপকে সমর্থন করেন দেশের প্রধান বিচারপতি (CJI) বিআই গাভাই। সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “সংঘবদ্ধ ভারতের জন্য একটি সংবিধানের ভাবনা ছিল বাবাসাহেব বিআর আম্বেডকরের। কিন্তু ৩৭০ নম্বর অনুচ্ছেদ তাঁর সেই ভাবনার পরিপন্থী।”

    বাবাসাহেবের কথা মনে পড়েছিল (Article 370)

    নাগপুরে কনস্টিটিউশনার প্রেম্বল পার্কের উদ্বোধনে গিয়েছিলেন শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি। সেখানেই তিনি বুঝিয়ে দেন, ৩৭০ ধারা বাবাসাহেবের মতাদর্শের পরিপন্থী। এদিন বক্তৃতা দিতে গিয়ে গাভাই মনে করিয়ে দেন, “সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ সদস্যের বেঞ্চে উঠেছিল ৩৭০ ধারা বাতিলের মামলা। সেখানে পাঁচ বিচারপতিই কেন্দ্রের ৩৭০ ধারা বাতিলের সিদ্ধান্তের পক্ষে রায় দিয়েছিলেন।” এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি বলেন, “৩৭০ ধারা বাতিল নিয়ে সরকারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানানো হয়েছিল। মামলা হয়। এ নিয়ে যথন শুনানি চলছিল, তখন আমার বাবাসাহেবের কথা মনে পড়েছিল।” তিনি বলেন, “দেশকে যদি সংঘবদ্ধ রাখতে হয়, তাহলে আমাদের একটা মাত্র সংবিধান চাই।” দেশের শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি বলেন, “গোটা দেশের জন্য একটাই সংবিধান প্রয়োজন। দেশ পরিচালিত হবে একটি মাত্র সংবিধানের ভিত্তিতে।” এর পরেই তিনি বলেন, “আমরা যদি দেশকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে চাই, তবে আমাদের একটাই সংবিধান প্রয়োজন (Article 370)।”

    সংঘবদ্ধ ভারতের জন্য একটিই সংবিধান

    তিনি বলেন, “সংঘবদ্ধ ভারতের জন্য একটিই সংবিধানের ভাবনা ছিল বিআর আম্বেডকরের। কিন্তু ৩৭০ নম্বর ধারা তাঁর সেই ভাবনার পরিপন্থী।” তিনি (CJI) বলেন, “সংসদ নয়, আমার কাছে সংবিধানই সর্বোচ্চ।” গাভাই বলেন, “সংসদ সংবিধানের মূল কাঠামো সংশোধন করতে পারে, কিন্তু তাকে বদলাতে পারে না।” তিনি বলেন, “বাবাসাহেব আম্বেডকর একাধিকবার সমালোচনার মুখোমুখি হয়েছিলেন এই জন্য যে, ভারতীয় সংবিধানে অতিরিক্তভাবে ফেডারেলিজম রাখা হয়েছে, যা যুদ্ধ বা সংকটের সময় দেশের ঐক্যের পক্ষে হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে। কিন্তু (CJI) আম্বেডকর স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছিলেন যে, ভারতীয় সংবিধান সম্পূর্ণ কেন্দ্রভিত্তিক নয়, আবার পুরোপুরি ফেডারেলও নয়। এটি তার অ্যাডাপটাবিলিটির দিক থেকে একক এবং অনন্য (Article 370)।”

LinkedIn
Share