Tag: Jadavpur University

Jadavpur University

  • Ram Navami: নিষেধাজ্ঞা উড়িয়েই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে হল রামের পুজো, ইফতার পার্টির বদলি!

    Ram Navami: নিষেধাজ্ঞা উড়িয়েই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে হল রামের পুজো, ইফতার পার্টির বদলি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতবার রামনবমী (Ram Navami) পালনের অনুমতি দিয়েও, পরে তা প্রত্যাহার করা হয়েছিল। আর এবার অনুমতিই মেলেনি। তবে রামনবমী পালন করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিলেন হিন্দু পড়ুয়াদের একটা বড় অংশ। রবিবার তাঁরাই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় (Jadavpur University) ক্যাম্পাসে রামনবমী পালন করলেন ঘটা করে। রীতিমতো রামচন্দ্রের প্রতিমা বসিয়ে পুজোও হল। বিশ্ববিদ্যালয়ের টেকনোলজি ভবনের নীচে দেওয়ালে লেখা ‘আজাদ কাশ্মীর’। তার পাশেই ব্যানার টাঙিয়ে দিল ছাত্রছাত্রীরা। বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর মুখরিত হল ‘জয় শ্রীরাম’, ‘ভারত মাতা কী জয়’ স্লোগানে।

    রামের পুজো (Ram Navami)

    বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে রামনবমী পালনের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে অনুমতি চেয়েছিলেন উদ্যোক্তারা। উপাচার্য নেই, এই ‘অজুহাতে’ অনুমতি দেওয়া হয়নি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে। তখনই হিন্দু ছাত্রগোষ্ঠী প্রশ্ন তুলেছিল, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যদি ইফতার পার্টির আয়োজন করা যায়, তাহলে রামনবমী পালন করা যাবে না কেন? সেই সময়ই তারা জানিয়েছিল, কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই ক্যাম্পাসে হবে রামের পুজো। সেই মতো এদিন সকাল থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ভিড় করেছিলেন পড়ুয়ারা। ছিলেন বেশ কয়েকজন শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মী। সবার উপস্থিতিতেই পুজো হয় রামের।

    এবিভিপির বক্তব্য

    এবিভিপির কলকাতা জেলা সম্পাদক দেবাঞ্জন পাল বলেন, “ইফতার পার্টির আয়োজন করা গেলে ক্যাম্পাসে রামনবমী পালন করা যাবে না কেন?” তাঁর অভিযোগ, ‘ইফতার পার্টিতে কোনওরকমের নিরাপত্তার তোয়াক্কা না করেই সবাইকে ক্যাম্পাসে ঢুকতে দেওয়া হয়েছিল। আর এদিন আইকার্ড দেখে ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হয়েছে।’ তিনি বলেন, “আমরা তো শুধু আমাদের আরাধ্য ভগবান রামের (Ram Navami) আরাধনা করেছি। যাদবপুর তো পশ্চিমবঙ্গের বাইরে নয়! এখানে যদি ইফতার বা সরস্বতী পুজো হতে পারে, তাহলে রামের পুজো নয় কেন?” এবিভিপির দক্ষিণবঙ্গের রাজ্য সম্পাদক অনিরুদ্ধ সরকার বলেন, “এর আগের বছরও আমরা শোভাযাত্রা করতে গিয়েছিলাম। বামেরা হামলা করেছিল। আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ছিলাম, যা-ই হোক না কেন, এবার আমরা করবই। করেওছি।”

    বামঘেঁষা যাদবপুরে সফলভাবে রামের পুজো হওয়ার ঘটনাটিকে বিশেষজ্ঞরা ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ বলে অভিহিত করেছেন (Jadavpur University)। তাঁদের বক্তব্য, ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্রছাত্রীদের (Ram Navami) একটা অংশের মধ্যে এবিভিপির প্রভাব রয়েছে। এবার সেটাকেই সংগঠিত রূপ দিতে পেরেছে তারা।

  • Ram Navami: রামনবমী পালনে না যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের, ইফতার পার্টি কেন, প্রশ্ন হিন্দু ছাত্রদের

    Ram Navami: রামনবমী পালনে না যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের, ইফতার পার্টি কেন, প্রশ্ন হিন্দু ছাত্রদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ উঠল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) বিরুদ্ধে। মুসলমানদের রমজান উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজন করা হয়েছিল ইফতার পার্টির। সেখানেই রামনবমীর (Ram Navami) উৎসব পালন করার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ। জানা গিয়েছে, উপাচার্যের অনুপস্থিতির কারণ দেখিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে রামনবমী পালনের অনুমতি দেওয়া হয়নি প্রশাসনের তরফে। যার জেরে ব্যাপক ক্ষুব্ধ হিন্দু ছাত্র সংগঠনগুলি। তাদের প্রশ্ন, মাত্র কয়েকদিন আগেই একই ক্যাম্পাসে ইফতার পার্টির অনুমতি কীভাবে দেওয়া হয়েছিল?

    রামনবমী পালনের অনুমতি নয় (Ram Navami)

    বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে একটি নোট জারি করে জানানো হয়, “উপাচার্যের অনুপস্থিতিতে ক্যাম্পাসে রামনবমী পালনের অনুমতি দেওয়া সম্ভব নয়।” প্রসঙ্গত, ক্যাম্পাসে হিংসা রোধে ব্যর্থতা ও প্রশাসনিক নির্দেশ অমান্যের অভিযোগে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস অন্তর্বর্তী উপাচার্য ভাস্কর গুপ্তকে অপসারণ করেছেন। তাই আপাতত বিশ্ববিদ্যালয়ে শূন্য উপাচার্যের পদ। সেই যুক্তি দেখিয়েই হিন্দু ছাত্র সংগঠনগুলিকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে রামনবমী পালনের অনুমতি দেওয়া হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের হিন্দু স্টুডেন্টস ইউনিয়ন ও অন্য আয়োজকরা এই সিদ্ধান্তের নিন্দা করে একে সুস্পষ্ট পক্ষপাতিত্ব বলে অভিযোগ করেছেন। তবে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে রামনবমী পালনে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হিন্দু ছাত্র সংগঠনগুলি।

    রামনবমী পালন হবেই!

    রামনবমী উৎসব পালনের অন্যতম প্রধান আয়োজক সোমসূর্য ব্যানার্জি বলেন, “আমরা এ বছর ক্যাম্পাসের ভেতরেই রামনবমী পালন করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। গতবার প্রথমে অনুমতি মিললেও, পরে প্রতিবাদের মুখে তা প্রত্যাহার করা হয়েছিল। এবার আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমতি চেয়েছি। কোনও অবস্থায়ই পিছু হটব না।” তিনি বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে যদি ইফতার পার্টির আয়োজন করা যায়, তাহলে আমরা কেন রামনবমী পালন করতে পারব না? আমরা আইনি ব্যবস্থা নেব। যদি কেউ আমাদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে, তাহলে তার মোকাবিলা করব।” প্রশাসনের বিরুদ্ধে দ্বিমুখী নীতি অবলম্বন করার অভিযোগও করেন সোমসূর্য। তিনি বলেন, “প্রশাসনের দুটি সম্প্রদায়ের জন্য দুটি আলাদা নিয়ম কেন? আমরা এই বৈষম্য মেনে নেব না।” বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের একাংশের মতে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধর্মীয় সহিষ্ণুতা থাকা উচিত। উৎসব পালনের অধিকার সকলেরই থাকা প্রয়োজন (Jadavpur University)।

    বাধা এসএফআই-ও

    হিন্দু ছাত্র সংগঠনগুলি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে রামনবমী (Ram Navami) পালন করতে উদ্যোগী হলেও, বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বাম ছাত্র সংগঠন এসএফআইও। সংগঠনের তরফে এক সদস্য বলেন, “এবিভিপি এই অনুষ্ঠানের পিছনে আছে। তবে আমরা তাদের ক্যাম্পাসের ভেতরে রামনবমী পালন করতে দেব না। আমরা বাইরের লোকদের প্রবেশ করতেও দেব না। ক্যাম্পাসে গুন্ডামি করতে দেব না।” এসএফআইয়ের এই বক্তব্যের জেরে বিশ্ববিদ্যালয়ে উত্তেজনা আরও বেড়েছে। হিন্দু ছাত্ররা এসএফআই এবং অন্যান্য বামপন্থী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে তাদের ধর্মীয় অধিকার দমন করার অভিযোগ তুলেছে। যদিও তারা অন্য ধর্মের উৎসব পালনকে সমর্থন করছে। হিন্দু ছাত্র সংঘের এক নেতা বলেন, “এটি তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষতাবাদীদের পুরানো ভণ্ডামি। তারা মুখে সমন্বয়ের কথা বলে, কিন্তু হিন্দু উৎসব বন্ধ করতে যে কোনও পর্যায়ে নামতে পারে।”

    এবিভিপির বক্তব্য

    এবিভিপির পশ্চিমবঙ্গ শাখার ট্রাস্টি বোর্ডের রাজ্য সভাপতি শান্তনু সিংহ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলির বিরুদ্ধে ব্যাপক প্রতিবাদের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে বামপন্থীদের ঘাঁটি হিসেবে চিত্রিত করা হয়, কিন্তু বাস্তব অন্য কথা বলে। এদের উন্নতি বা অগ্রগতিতে কোন আগ্রহ নেই। এদের একমাত্র লক্ষ্য হল অরাজকতা সৃষ্টি করা এবং তাদের মতাদর্শের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয় এমন কোনও কণ্ঠস্বরকে দমন করা। আমরা আর তাদের শর্ত চাপিয়ে দিতে দেব না। আমরা (Jadavpur University) প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নিয়ে তাদের মোকাবিলা করব।” গত কয়েক মাসে নানা সময় অশান্ত হয়ে উঠেছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। মার্চ মাসে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সফরের (Ram Navami) সময়ও ব্যাপক ছাত্র বিক্ষোভ হয়। মন্ত্রীকে শারীরিকভাবে নিগ্রহ করা হয় বলেও অভিযোগ। মন্ত্রীকে ঘেরাও করার পাশাপাশি তাঁর গাড়িও ভাঙচুর করা হয়। এর পরেই সরিয়ে দেওয়া হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য ভাস্কর গুপ্তকে।

    এখানেও সেই তুষ্টিকরণের রাজনীতি‍!

    প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ রামনবমী পালনের জন্য ছাত্রদের দেওয়া অনুমতি প্রত্যাহার করে নেন। ১৫ এপ্রিল অনুমতি দেওয়া হলেও, ঠিক তার পরের দিনই কোনও কারণ না দর্শিয়েই অনুমতি প্রত্যাহার করা হয়। অভিযোগ, সেবারও উৎসব পালনে পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছিল বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলি। উৎসব বন্ধের দাবিতে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের অরবিন্দ ভবনের বাইরে রাত পর্যন্ত বিক্ষোভ দেখিয়েছিল (Ram Navami)। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়েও চলছে তুষ্টিকরণের রাজনীতির সেই ধারা। সংখ্যালঘু ভোটব্যাংকের স্বার্থেই অনুমতি দেওয়া হয়েছিল ইফতার পার্টির আয়োজনের। আর সেই একই কারণে (Jadavpur University) বাধা দেওয়া হচ্ছে রামনবমী (Ram Navami) পালনে।

  • Sukanta Majumdar: যাদবপুরে ইফতার সেকুলার, সরস্বতী পুজো সাম্প্রদায়িক? বাম-তৃণমূলকে আক্রমণ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: যাদবপুরে ইফতার সেকুলার, সরস্বতী পুজো সাম্প্রদায়িক? বাম-তৃণমূলকে আক্রমণ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ইফতার পার্টির ভিডিও ঘিরে জোর বিতর্ক শুরু হয়েছে রাজ্যজুড়ে। উঠেছে একাধিক প্রশ্ন। এবার এই আবহে ভিডিও পোস্ট করে বাম-তৃণমূলকে একযোগে তীব্র আক্রমণ করলেন বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jadavpur University) সরস্বতী পুজোর কথা উঠলে ধর্মীয় মেরুকরণের অভিযোগ ওঠে। আর এই সব ক্ষেত্রে (ইফতার) ছদ্ম ধর্মনিরেপক্ষতা। প্রসঙ্গত, যাদবপুরে বামপন্থী পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে সরস্বতী পুজো করতে না দেওয়ার। এনিয়ে সুকান্তর (Sukanta Majumdar) মন্তব্য, ইফতার পার্টি কি সেকুলার, আর সরস্বতী পুজো সাম্প্রদায়িক! সুকান্ত মজুমদারের দাবি, হিন্দু বিরোধী মতাদর্শে বাম এবং তৃণমূল একজোট হয়েছে।

    কী লিখলেন সকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)?

    নিজের এক্স মাধ্যমে ভিডিও পোস্ট করে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) লেখেন, ‘‘এটাই লিবারাল বামপন্থীদের মুক্তচিন্তার অন্যতম প্রাণকেন্দ্র যাদবপুর! বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে যেখানে বাগদেবী মা সরস্বতীর আরাধনার কথা হলে ধর্মীয় মেরুকরণের অভিযোগ ওঠানো সিউডো-সেক্যুলারদের ভ্রু কুঞ্চিত হয় কিন্তু এসব কেবলই ধর্মনিরপেক্ষতা মাত্র।’’ বিজেপির রাজ্য সভাপতির আরও সংযোজন, ‘‘সম্প্রতি বাংলাদেশকে দেখে অনুপ্রাণিত হওয়া তৃণমূল পন্থীদের কাছেও বাড়তি অক্সিজেন! সনাতন হিন্দু বিরোধী মতাদর্শ অক্ষুন্ন রেখে বাম-তৃণমূল অজৈব জোটের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে দেবী সরস্বতীর প্রবেশ নিষিদ্ধ কিন্তু এসবে মুখে কুলুপ।’’

    সংসদের বাইরেও এই ইস্যুতে সরব হয়েছেন সুকান্ত

    নিজের এক্স মাধ্যমে পোস্টের পাশাপাশি এই ইস্যুতে সংসদের বাইরেও সরব হন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। সংসদের বাইরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘তৃণমূল এবং বামপন্থীরা কতটা হিপোক্রিট, এটা তার প্রমাণ। যারা সরস্বতী পুজো হতে দেয় না, তারা সর্বতোভাবে সাহায্য করে। এখানে কিন্তু দু’জনের মধ্যে কোনও শত্রুতা নেই! একসঙ্গে মিলে করছে। সব ছদ্ম সেকুলাররা একসঙ্গে ইফতার পার্টি করছে। ইফতার পার্টি কি সেকুলার, আর সরস্বতী পুজো সাম্প্রদায়িক। এরা কমিউনিস্ট সেজে থাকে। এই কি ধর্মনিরপেক্ষতা! এদের একটাই কাজ, ইসলামিকরণ, জেহাদিকরণ।’’

  • Jadavpur University: ‘রাজ্যের উদাসীনতায় উৎকর্ষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তকমা পায়নি যাদবপুর’, সংসদে সুকান্ত

    Jadavpur University: ‘রাজ্যের উদাসীনতায় উৎকর্ষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তকমা পায়নি যাদবপুর’, সংসদে সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাদবপুর (Jadavpur University) নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকার উদাসীন, তাই এই বিশ্ববিদ্যালয় উৎকর্ষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকা থেকে বাদ গিয়েছে, সংসদে এমনটাই জানিয়েছে কেন্দ্র। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন ওই তালিকা থেকে সরানো হয়েছে এটা জানতে চেয়েছিলেন বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য। কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের কাছে এ ব্যাপারে জানতে চেয়েছিলেন শমীক ভট্টাচার্য। ঘটনাক্রমে, সাংসদের প্রশ্নের উত্তর দেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী তথা রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)।

    কী বললেন সুকান্ত মজুমদার?

    কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘‘যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে (Jadavpur University) উৎকর্ষকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার জন্য শুরুতে ৩,২৯৯ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাবিত হয়েছিল। কিন্তু পরে সেই বাজেট প্রস্তাব সংশোধন করে ৬০৬ কোটি টাকায় নামিয়ে আনা হয়। ‘ক্ষমতাপ্রাপ্ত বিশেষজ্ঞ কমিটি’ মনে করেছে, এই বাজেটে কোনও প্রতিষ্ঠানকে উৎকর্ষকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব নয়। তাই বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের কাছে কমিটি সুপারিশ করেছিল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে ওই তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হোক। কমিশন সেই সুপারিশে অনুমোদন দিয়েছে।’’

    তোপ দাগলেন অমিত মালব্য

    এই আবহে যাদবপুরকে (Jadavpur University) নিয়ে রাজ্য সরকার কী ভাবে দফায় দফায় প্রস্তাবিত বাজেট কমিয়েছে, তা নিয়ে বিজেপি প্রচার করতে শুরু করেছে। বিজেপির পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত সহ-পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য বলেন, ‘‘প্রথমে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ‘উৎকর্ষকেন্দ্র’ প্রকল্পের অধীনে যে বাজেট প্রস্তাব জমা দেয়, কেন্দ্রীয় সরকার তাতে হাজার কোটি টাকা পর্যন্ত অনুদান দিতে প্রস্তুত ছিল। কিন্তু রাজ্য সরকার নিজেদের অংশীদারি তহবিল দিতে অস্বীকার করায় এই প্রস্তাব বাতিল হয়ে যায়।’’ মালব্যর আরও দাবি, ‘‘প্রথমে প্রস্তাবিত বাজেট কমিয়ে ১ হাজার ১৫ কোটি টাকা করা হয়েছিল। পরে তা আরও কমিয়ে ৬০৬ কোটি করা হয়। সেই অঙ্কের ২৫ শতাংশ আবার বিশ্ববিদ্যালয়কেই জোগাড় করতে বলা হয়েছিল।’’  বিজেপি নেতার অভিযোগ, ‘‘পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উদাসীনতায় এই সুবর্ণসুযোগ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হাতছাড়া হল।’’

  • Jadavpur University Chaos: ‘‘আরজি করের মতো যাদবপুরে আধা সেনা মোতায়েন হোক’’, রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ দাবি শুভেন্দুর

    Jadavpur University Chaos: ‘‘আরজি করের মতো যাদবপুরে আধা সেনা মোতায়েন হোক’’, রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jadavpur University Chaos) তৃণমূল কংগ্রেসের শিক্ষক সংগঠন ওয়েবকুপা-র অনুষ্ঠান ঘিরে ধুন্ধুমার শিক্ষাঙ্গন। পরিস্থিতি এতটাই জটিল যে ভয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে পারছেন না ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য। এই আবহে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করে সমস্ত রাজনৈতিক কর্মসূচি বন্ধ রাখা উচিত বলে মন্তব্য করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এজন্য রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে তৎপর হতে অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।

    পঠনপাঠন কার্যত লাটে

    যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jadavpur University Chaos) শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর আগমনের জেরে নতুন করে ছড়িয়েছে উত্তেজনা। যার জেরে কার্যত লাটে উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠনপাঠন ও গবেষণা। ফের একবার বিক্ষোভ আর স্লোগানে মুখর হয়ে উঠেছে ক্যাম্পাস। এ প্রসঙ্গে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘অবিলম্বে রাজ্যপালের উচিত আরজি করের মতো যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করে সেখানে পঠনপাঠন, গবেষণা ও শিক্ষা সংক্রান্ত কাজ ছাড়া অন্য কাজ বন্ধ করে দেওয়া। অবিলম্বে ছাত্র সংসদেও তালা লাগানো উচিত, ওয়েবকুপার অফিসেও তালা লাগানো উচিত। ব্রাত্য বসুর অফিসেও তালা লাগানো উচিত আর তথাকথিত সেকু-মাকুদের দফতরেও তালা লাগানো উচিত। যাদবপুরে মাওবাদীদের যে ছাত্র সংগঠন রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।’’

    দায়ী সরকার, বিজেপি শক্ত হাতে মোকাবিলা করবে

    যাদবপুরে বিশৃঙ্খল (Jadavpur University Chaos) পরিস্থিতির জন্য তণমূল সরকারকে দায়ী করলেও শিক্ষাক্ষেত্রে যে অরাজক পরিস্থিতি কখনওই কাম্য নয়, তা জানায় বিজেপি। রাজ্য বিজেপির প্রধান মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যেরও বক্তব্য, “শিঙ্গাঙ্গনের এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী সরকার। কিন্তু অধ্যাপক, শিক্ষামন্ত্রীকে নিগ্রহ, বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে অগ্নি-সংযোগ, এই রাজনীতি আমরা সমর্থন করি না।” বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) হুঙ্কার, ‘‘বাংলার মানুষ শুধু আমাদের পুলিশটা হাতে তুলে দিক। সেকু-মাকু, ওই দু’টোকেই উপড়ে ফেলে দেব! এক ঘণ্টা লাগবে!’’ শিক্ষাক্ষেত্রে শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতির দাবি জানিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের চার নম্বর গেটের সামনে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপির ছাত্র সংগঠন এবিভিপি। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে নকশাল মুক্ত করার দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে তারা। এবিভিপির সমর্থকরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢোকার চেষ্টা করলে তাদের সঙ্গে ছাত্রদের সংঘর্ষ বেঁধে যায়। বিজেপি রাজ্য় সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন,‘‘বিজেপি সরকারে আসবে ছাব্বিশে। তারপরে এরা আর বেঁচে থাকবে না।’’ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুর কথায়, ‘‘আলিগড় মুসলিম ইউনিভার্সিটি সোজা হয়ে গেছে। জেএনইউ অনেকটা সোজা হয়ে গেছে। এটা করতেও বেশিক্ষণ লাগবে না। যোগীজি, হিমন্ত বিশ্বশর্মার ফরমুলাতে এক ঘণ্টা লাগবে এদের সোজা করতে।’’

  • Job in America: বছরে দেড় কোটি টাকার চাকরি পেয়েও বাবা-মাকে ছেড়ে আমেরিকায় গেলেন না বাংলার যুবক

    Job in America: বছরে দেড় কোটি টাকার চাকরি পেয়েও বাবা-মাকে ছেড়ে আমেরিকায় গেলেন না বাংলার যুবক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছরে দেড় কোটি টাকার বেতনের চাকরি পেয়েও আমেরিকায় (Job in America) গেলেন না বাংলার এই যুবক। বললেন, ‘বাবা-মা একলা হয়ে যাবেন’। কিন্তু সাধারণত কেরিয়ার নিয়ে সকলেই বিশেষ নজর দিয়ে থাকেন। মোটা টাকার বেতনের চাকরি তাও আবার বিদেশের মাটিতে, তাকে অস্বীকার করে ব্যাতিক্রমি দৃষ্টান্ত রেখেছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আইটির ছাত্র আয়ুষ শর্মা। তাঁর এই এই সিদ্ধান্তে চোখে জল এনে দিয়েছে পরিবারের। বাবা-মায়ের জন্য মোটা প্যাকেজ এবং বিদেশ দুটোকেই ত্যাগ করেছেন তিনি।

    দেশ ছেড়ে বিদেশের মাটিতে কাজ করবনে না (Job in America)

    আয়ুষ শর্মা আমেরিকায় (Job in America) মোটা বেতনের চাকরির ডাক পেয়েছেন। ভারতীয় মুদ্রায় সেই দেশের টাকা বছরে প্রায় দেড় কোটির সমান। কিন্তু বাবা-মাকে এই দেশে রেখে এই লোভনীয় চাকরিতে যোগ দিতে রাজি হননি তিনি। কেউ কেউ হয়তো ভাবতে পারেন ভীতু, বাইরে থাকার অভ্যাস নেই, ঘরের কোণে থাকতে পছন্দ করেন। রাজ্য-দেশের গণ্ডির বাইরে বের হতে পারলেন না! কিন্তু বিষয়টা তা নয়, আয়ুষ মূলত দেশ ছেড়ে বিদেশের মাটিতে গিয়ে কোনও রকম কাজ করতে চান না। দেশে থেকে বাবা-মাকে পাশে নিয়ে দেশের জন্য কাজ করতে চান।

    আরও পড়ুনঃ অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ থেকে প্রায় দেড় হাজারের বেশি পড়ুয়া দেশে ফিরলেন বিএসএফের উদ্যোগে

    দেশে কিছু করতে চাই

    আয়ুষের বাড়ি কলকাতার বাগুইআটিতে। তিনি ক্যালকাটা পাবলিক স্কুলে পড়াশুনা করতেন। এরপর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। মা গৃহবধূ এবং বাবা বীমা সংস্থায় চাকরি করেন। পরিবার অত্যন্ত মধ্যবিত্ত। ছোট বেলা থেকেই মেধাবী ছাত্র ছিলেন তিনি। কিন্তু জানা গিয়েছিল প্রথমে যে আইটি কোম্পানির কাজ, ওয়ার্ক ফ্রম হোম হবে কিন্তু পরে জানা গিয়েছে আমেরিকার (Job in America) অফিসে গিয়েই করতে হবে কাজ, তাই চাকরি না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কিন্তু কেন চাকরিতে যোগদান করেননি জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেছেন, “প্রথম কারণ হল বাবা-মা। তাঁদের বাড়িতে রেখে বিদেশে যাওয়া সম্ভবপর নয়। আমি চলে গেলে তাঁরা একলা হয়ে পড়বেন। বর্তমানে দেশে কিছু করতে চাই। এখন ওয়ার্নার্স ব্রাদার্সের চাকরিটা করবো। এখানে বাৎসরিক প্যাকেজ ২৪ লাখ। এই চাকরি বেঙ্গালুরুতে গিয়ে করতে হবে। তবে দেশের মধ্যেই থাকব এটা ভালো। বাবা-মা সমস্যায় পড়লে দ্রুত ফিরতে পারব।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jadavpur University: পড়াশোনা শেষ হলেই ছাড়তে হবে হস্টেল! কড়া নির্দেশ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের

    Jadavpur University: পড়াশোনা শেষ হলেই ছাড়তে হবে হস্টেল! কড়া নির্দেশ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় এবার হস্টেল পড়ুয়াদের জন্য কড়া সিদ্ধান্ত নিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় (Jadavpur University)। সম্প্রতি একটি নির্দেশিকায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে, এবার থেকে পড়াশোনা শেষ হওয়ার পর সাত দিনের মধ্যে ছাত্রদের হস্টেল (Hostel Students) ছাড়তে হবে। একইসঙ্গে গবেষণার কাজ শেষ হলে এক মাসের মধ্যে হস্টেল ছাড়ার নির্দেশ দিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

    কেন এই সিদ্ধান্ত? (Jadavpur University)

    গতবছর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষের এক ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় তোলপাড় হয়েছিল গোটা রাজ্য। অভিযোগ উঠেছিল, র‌্যাগিংয়ের জেরে ওই ছাত্রের মৃত্যু হয়েছিল। প্রথম বর্ষের ওই পড়ুয়ার মৃত্যুতে বারবার অভিযোগ উঠেছিল ‘সিনিয়র দাদাদের’ বিরুদ্ধে। সেই ঘটনার পর একাধিকবার সিনিয়রদের পড়াশোনা শেষ হয়ে গেলে বেড়িয়ে যেতে বলেছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তা মানা হয়নি। তাই এবার নতুন বর্ষ শুরুর আগে থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছে গবেষণার কাজ শেষ হলে বড়োজোড় একমাস। আর পড়াশোনা শেষ হলে সাতদিন। এর বেশি আর কেউ হস্টেল (Hostel Students) দখল করে থাকতে পারবেন না। এই সিদ্ধান্তের মূল উদ্দেশ্য হল হস্টেলগুলিতে র‌্যাগিং প্রতিরোধ করা এবং নতুন ছাত্রছাত্রীদের নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করা।

    আরও পড়ুন: নারীশক্তির জয়! ভারতীয় সেনার মেজর রাধিকা সেনকে সম্মানিত করবে রাষ্ট্রসঙ্ঘ

    র‌্যাগিং প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ 

    এছাড়াও র‌্যাগিং প্রতিরোধে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় (Jadavpur University) কর্তৃপক্ষের তরফে। জানা গিয়েছে এবার থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে র‌্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো কোনও পড়ুয়াকে পুরস্কৃত করার প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। এই পুরস্কারটি র‌্যাগিংয়ে নিহত ওই ছাত্রের নামে দেওয়া হবে।
    উল্লেখ্য, পড়াশোনা শেষ হয়ে যাওয়ার পরও হস্টেল দখল করে পড়ুয়াদের থাকার ঘটনা শুধু যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) নয়, রাজ্যের আরও একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এই ধরনের অভিযোগ উঠে আসে। তবে গত বছর যাদবপুরে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য হিসাবে ভাস্কর গুপ্ত পদে আসার পরই এই কড়া পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত পাশ করা হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kharagpur IIT: খড়্গপুর আইআইটিতে র‍্যাগিং! অভিযোগ পেয়ে চিঠি দিল ইউজিসি

    Kharagpur IIT: খড়্গপুর আইআইটিতে র‍্যাগিং! অভিযোগ পেয়ে চিঠি দিল ইউজিসি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়েক মাস আগে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে র‍্যাগিংয়ের জেরে এক ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় ক্যাম্পাসে তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছিল। তার প্রভাবে গোটা রাজ্যের রাজনীতি উত্তাল হয়ে উঠেছিল। এবার র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠল খড়্গপুর আইআইটিতে (Kharagpur IIT)। দ্বিতীয়বর্ষের ছাত্রকে সারারাত ধরে করানো হল নাচ এবং খেলা। সূত্রে জানা গিয়েছে, কর্তৃপক্ষের কাছে র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ জমা পড়লে পুলিশের কাছে একটি মামলা রুজু করা হয়। ক্যাম্পাসের ছাত্রাবাসে যাতে কোনও আর অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সেজন্য কর্তৃপক্ষ নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে আরও কড়া করেছে বলে জানা গিয়েছে।

    অভিযোগে কারও নাম নেই (Kharagpur IIT)

    রাজ্যের একমাত্র আইআইটিতে (Kharagpur IIT) র‍্যাগিংয়ের অভিযোগে ক্যাম্পাসে তীব্র শোরগোল পড়ে গিয়েছে। উল্লেখ্য, গত বছরই আরও এক ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছিল খড়্গপুর আইআইটি কর্তৃপক্ষকে। এবার ফের র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ! যদিও অভিযোগ ঠিক কার বিরুদ্ধে এবং কে করেছেন অভিযোগ, দুটি বিষয়েই অভিযোগপত্রে নামের উল্লেখ নেই বলে জানা গিয়েছে। ক্যাম্পাসের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে হস্টেলগুলি পরিদর্শন করতে প্রতিষ্ঠানের ডিনদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানের তরফ থেকে বিশেষ নোটিশ দিয়ে ১৬ হাজার পড়ুয়াকে সচেতন করা হয়েছে।

    ৩৪১, ৩২৩, ৫০৬, ৩৪ ধারায় মামলা (Kharagpur IIT)

    সূত্রে জানা গিয়েছে, র‍্যাগিংয়ের অভিযোগে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৪১, ৩২৩, ৫০৬, ৩৪ নম্বর ধারায় পুলিশের কাছে মামলা রুজু করা হয়েছে। প্রথমে অ্যান্টির‍্যাগিং-এর পোর্টালে অভিযোগ করা হয়, তারপর ইউজিসির তরফ থেকে একটি মেইল করে খড়্গপুর আইআইটিকে (Kharagpur IIT) জানানো হয় র‍্যাগিংয়ের বিষয়ে। আর তারপরই আইআইটি থেকে পুলিশের কাছে খড়্গপুর টাউন থানায় মামলা দায়ের করা হয়। চতুর্থ এবং তৃতীয় বর্ষের ছাত্ররা, দ্বিতীয় বর্ষের তৃতীয় সেমেস্টারের এক ছাত্রকে সারারাত নাচ এবং খেলা করতে বাধ্য করে বলে অভিযোগ উঠেছে।

    পুলিশের বক্তব্য

    খড়্গপুর টাউন থানার এক আধিকারিক বলেন, “আইআইটির (Kharagpur IIT) কাছ থেকে অভিযোগ পেয়েই আমরা মামলা দায়ের করেছি। এখন তদন্ত শুরু করেছি। অভিযোগের সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Jadavpur University: হঠাৎ বাতিল যাদবপুরের কর্মসমিতির বৈঠক! শিক্ষামন্ত্রীর হুঁশিয়ারিতেই কি এই সিদ্ধান্ত?

    Jadavpur University: হঠাৎ বাতিল যাদবপুরের কর্মসমিতির বৈঠক! শিক্ষামন্ত্রীর হুঁশিয়ারিতেই কি এই সিদ্ধান্ত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত ফের একবার সামনে এল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মসমিতির বৈঠককে কেন্দ্র করে। প্রসঙ্গত, শনিবার বিকাল ৫ টা নাগাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) কর্ম সমিতির বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। তবে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর হুঁশিয়ারিতেই তা বাতিল হয়েছে বলে দাবি করছে কোনও কোনও মহল। শিক্ষামন্ত্রী হঠাৎ কর্মসমিতির বৈঠক বাতিল করার হুঁশিয়ারি (Jadavpur University) দিতে যাবেন কেন? এর কারণ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে বুদ্ধদেব সাউকে নিয়োগ করেছিলেন আচার্য তথা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।

    আরও পড়ুন: সৌমেন মহাপাত্রকে ‘অন্ধ ধৃতরাষ্ট্র’ বললেন তৃণমূলের যুব নেতা, কেন জানেন?

    রাজ্যপালের করা নিয়োগ মানতে চায়নি রাজ্য

    রাজ্যপালের করা উপাচার্য নিয়োগকে মানতে চায়নি রাজ্য। সেখানেই রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতরের সঙ্গে সংঘাত বাঁধে রাজভবনের। সরকারের যুক্তি, বুদ্ধদেব যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় (Jadavpur University) স্থায়ী উপাচার্য নন। সেই হিসেবে কর্মসমিতির বৈঠক ডাকার তাঁর এক্তিয়ার নেই। এই একই মর্মে নোটিশও পাঠানো হয় বিকাশ ভবন থেকে। তবে বুদ্ধদেব সাউ সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, উপাচার্য হিসেবে তিনি যখন নিয়োগ পেয়েছেন তখন সে দায়িত্ব পালন করার যথাযথ অধিকার তাঁর রয়েছে। তবে শনিবার কর্ম সমিতির বৈঠক বাতিল ফের একবার রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতকে জটিল করে তুলল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। 

    মাত্র ৫ মিনিট আগে বৈঠক বাতিল

    শনিবারই নির্ধারিত কর্মসূচির (Jadavpur University) বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। তবে রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু হঠাৎ করেই জানিয়ে দেন বৈঠক হচ্ছে না। তা বাতিল করা হয়েছে। পরবর্তী কবে বৈঠক হবে তা পরে জানিয়ে দেওয়া হবে বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার। তবে কী কারণে এই বৈঠক বাতিল হয়েছে সে বিষয়ে কিছু জানান নি স্নেহমঞ্জু বসু। বিকাল পাঁচটা থেকে শনিবার বৈঠকের কথা থাকলেও মাত্র পাঁচ মিনিট আগে ঠিক ৪টা ৫৫ মিনিটে এই বৈঠক বাতিলের ঘোষণা করা হয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jadavpur University: যাদবপুরে পড়ুয়ার মৃত্যু, ঘটনার ৬৯ দিনের মাথায় চার্জশিট জমা পুলিশের

    Jadavpur University: যাদবপুরে পড়ুয়ার মৃত্যু, ঘটনার ৬৯ দিনের মাথায় চার্জশিট জমা পুলিশের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছরের অগাস্ট মাসে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) প্রথম বর্ষের এক পড়ুয়ার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে তোলপাড় হয় রাজ্য। অভিযোগ, র‌্যাগিং-এর নামে শারীরিক এবং মানসিকভাবে অত্যাচার করা হয়েছিল ওই ছাত্রকে। এই ঘটনায় যৌন হেনস্তারও অভিযোগ সামনে আসে। এবার যাদবপুরকাণ্ডে (Jadavpur University) ধৃত ১২ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট জমা দিল কলকাতা পুলিশ। জানা গিয়েছে, আলিপুর আদালতে জমা দেওয়া ওই  চার্জশিটে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা, পক্সো এবং র‍্যাগিং-এর বিভিন্ন ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। পাশাপাশি তদন্তে যদি আরও কিছু উঠে আসে, তখন সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট পেশের আবেদনও করা হয়েছে।

    কলকাতা পুলিশ জমা দিল চার্জশিট

    পুলিশের দেওয়া ওই চার্জশিট অনুযায়ী, হস্টেলে প্রথম দিন থেকেই প্রথম ওই পড়ুয়াকে মানসিক এবং শারীরিক নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছিল। যার জেরেই প্রথম বর্ষের (Jadavpur University) ওই ছাত্র আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। জানা গিয়েছে, পুজোর ছুটি চলায় বিচারকের কাছে এখনও পর্যন্ত চার্জশিট পৌঁছায়নি। নিয়ম অনুযায়ী, চার্জশিট হাতে পেয়ে প্রথমে বিচারক গ্রহণ করেন এবং পরে মামলার শুনানি শুরু হয়। ঘটনার ৬৯ দিনের মাথায় আলিপুরের বিশেষ পক্সো আদালতের বিচারক সুদীপ্ত ভট্টাচার্যের এজলাসে এই চার্জশিট  পেশ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। যে সমস্ত অভিযোগ ধৃত ১২ জনের বিরুদ্ধে আনা হয়েছে, তা প্রমাণিত হলে মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন অথবা ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড হতে পারে।

    ২৫০ পাতার চার্জশিটে রয়েছে ৪০ জনের সাক্ষ্য

    চলতি বছরের অগাস্ট মাসে যাদবপুরে (Jadavpur University) হস্টেলের বারান্দা থেকে পড়ে যান প্রথম বর্ষের ওই পড়ুয়া। সেখান থেকে সম্পূর্ণ উলঙ্গ অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে পরের দিন ভোরেই মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় র‍্যাগিং-এর অভিযোগ ওঠে মেন হস্টেলের বর্তমান পড়ুয়া এবং প্রাক্তনদের বিরুদ্ধে। পরবর্তীকালে পুলিশ তদন্তে নেমে ১২ জনকে গ্রেফতার করে। ধৃত ১২ জনই আদালতের নির্দেশে এখনও জেলেই রয়েছেন অগাস্ট মাস থেকে। প্রত্যেক অভিযুক্তই বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলের আবাসিক ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, ১২ জনের মধ্যে ৬ জন বর্তমান পড়ুয়া এবং ৬ জন প্রাক্তনী রয়েছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ও ৩০৫ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। আদালতে জমা দেওয়া চার্জশিট ২৫০ পাতারও বেশি বলে জানা গিয়েছে। তাতে প্রায় ৪০ জন সাক্ষীর বয়ান রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

LinkedIn
Share