Tag: Jammu and Kashmir

Jammu and Kashmir

  • Jammu and Kashmir: সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াইয়ে শহিদ দুই জওয়ান, চক্রব্যূহে আটকে ২ জঙ্গি

    Jammu and Kashmir: সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াইয়ে শহিদ দুই জওয়ান, চক্রব্যূহে আটকে ২ জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্ত্রাসবাদী-নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষে শহিদ এক মেজর সহ দুই জওয়ান। আশঙ্কাজনক অবস্থায় একজনকে ভর্তি করা হয়েছে নিকটবর্তী সেনা হাসপাতালে। বুধবার সকালে কাশ্মীরের রাজৌরি জেলায় শুরু হওয়া ওই সংঘর্ষ চলছে এদিন সন্ধে পর্যন্ত (Jammu and Kashmir)। নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে এক জঙ্গিরও মৃত্যু হয়েছে বলে অনুমান। যদিও এ ব্যাপারে কিছু জানায়নি নিরাপত্তা বাহিনী।

    চিরুনি তল্লাশি জঙ্গির খোঁজে

    জানা গিয়েছে, রাজৌরি জেলার ধর্মশালের বাজিমাল এলাকায় কয়েকজন জঙ্গি আত্মগোপন করে রয়েছে বলে খবর পায় নিরাপত্তা বাহিনী। নিজস্ব গোয়েন্দা মারফত খবর মেলায় এ ব্যাপারে নিশ্চিত ছিলেন বাহিনীর কর্তারা। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে এদিন সকালে এলাকা ঘিরে ফেলে নিরাপত্তা বাহিনী। তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছিল জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের একটি দল। এর পরেই শুরু হয় চিরুনি তল্লাশি (Jammu and Kashmir)। বেগতিক দেখে গুলি ছুঁড়তে শুরু করে জঙ্গিরা। প্রতিরোধ গড়ে তোলে বাহিনী ও পুলিশ।

    তুমুল গুলির লড়াই 

    জঙ্গিদের গুলিতে শহিদ হন বাহিনীর দুই জওয়ান। এঁদের মধ্যে একজন মেজর। বুধবার সন্ধে পর্যন্তও গুলির লড়াই চলছে বলে খবর। নিরাপত্তা বাহিনী জানিয়েছে, ঘটনাস্থলে এখনও আটকে রয়েছে দুই জঙ্গি। অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে তারা যাতে পালাতে না পারে, তাই ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে বাড়তি বাহিনী। নিরাপত্তা বাহিনীর অনুমান, এই হামলার জন্য দায়ী পাক জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার সহযোগী ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’।

    আরও পড়ুুন: “ডিপফেকের বিপদ সম্পর্কে আমাদের সচেতন হতে হবে”, জি২০-র বৈঠকে বললেন প্রধানমন্ত্রী

    ফি বার শীতকালে প্রবল ঠান্ডার সুযোগ নিয়ে ভারতে জঙ্গি ঢোকানোর চেষ্টা করে পাকিস্তান। বছর কয়েক আগে ভূস্বর্গ থেকে ৩৭০ ধারা রদ করে নরেন্দ্র মোদির সরকার। তার পর থেকে উপত্যকায় কমেছে জঙ্গি উপদ্রব। যদিও ভূস্বর্গে অশান্তি জারি রাখতে বদ্ধপরিকর পাকিস্তান। সেই কারণেই চলছে জঙ্গি অনুপ্রবেশ। যে জঙ্গিদের খতম করতে বদ্ধ পরিকর সেনা। তা করতে গিয়েই এদিন শহিদ হন দুই জওয়ান (Jammu and Kashmir)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Terror Funding Racket: ভূস্বর্গে টেরর ফান্ডিং চক্রের হদিশ, কীভাবে জঙ্গিদের হাতে অর্থ যেত জানেন?

    Terror Funding Racket: ভূস্বর্গে টেরর ফান্ডিং চক্রের হদিশ, কীভাবে জঙ্গিদের হাতে অর্থ যেত জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভূস্বর্গে মিলল টেরর ফান্ডিং (Terror Funding Racket) চক্রের হদিশ। এই চক্রের পান্ডারা ৮৫ কোটি টাকা জোগাড় করে জঙ্গিদের হাতে পৌঁছে দিয়েছিল বলে অভিযোগ। এই চক্রে কাশ্মীর পুলিশের এক কর্তা এবং শ্রীনগরের এক ব্যবসায়ী জড়িত বলে অনুমান তদন্তকারীদের। ওই পুলিশ কর্তার বাড়িতেও চালানো হয়েছে তল্লাশি।

    জম্মু-কাশ্মীরে তল্লাশি চালায় এসআইএ

    কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে তল্লাশি চালায় স্টেট ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এসআইএ)। বুধবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত কেন্দ্রশাসিত জম্মু-কাশ্মীরে তল্লাশি চালায় এসআইএ। তখনই ফাঁস হয় এই টেরর ফান্ডিং চক্রের। এসআইএ সূত্রে খবর, বিভিন্ন গোপন চ্যানেলের মাধ্যমে এই টাকা লেনদেন করা হত। তদন্তকারীদের দাবি, বিপুল পরিমাণ এই টাকা উপত্যকা সহ দেশের অন্যান্য কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে নাশকতার কাজে লাগানোর জন্য সংগ্রহ করা হয়েছিল। সাম্প্রতিক অতীতে এত বড় টেরর ফান্ডিং চক্রের ধরা পড়ার নজির নেই বলেও দাবি তাঁদের। তিন দিনের ওই অভিযানে তল্লাশি চালানো হয়েছিল ভূস্বর্গের ২২টি জায়গায়।

    টেরর ফান্ডিংয়ে দুবাই যোগ!

    এর মধ্যে রয়েছে একজন প্রবীণ পুলিশ আধিকারিক ও একজন ব্যবসায়ীর বাড়িও। শুক্রবার সকালে তল্লাশি চালানো হয় শ্রীনগর, পুলওয়ামা এবং অনন্তনাগ জেলার ১০টি জায়গায়। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে (Terror Funding Racket) প্রচুর পরিমাণ বৈদ্যুতিন যন্ত্র সহ নানা সামগ্রী। তদন্তকারীদের আরও দাবি, টেরর ফান্ডিং এই চক্রের সঙ্গে রয়েছে দুবাই যোগ। এসআইএ জানিয়েছে, সোনার চোরা চালান ও অন্যান্য পথে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার করা হত। কারা অর্থ সংগ্রহ করত, কোথা থেকে ভারতে জঙ্গি হামলার জন্য অর্থ সরবরাহ করত, তা জানতে শুরু হয়েছে তদন্ত। এই ঘটনায় যারা জড়িত, তাদের কড়া সাজা হবে বলে আশ্বাস এসআইএ-র। তারা জানিয়েছে, ভূস্বর্গ থেকে সন্ত্রাসবাদ নিশ্চিহ্ন করতে বদ্ধ পরিকর তারা।

    আরও পড়ুুন: ‘‘হিন্দুদের জন্যই ভারতবর্ষে গণতন্ত্র রয়েছে’’, মত জাভেদ আখতারের

    একটি বিবৃতি জারি করে এসআইএ জানিয়েছে, “এটি জঙ্গিদের আর্থিক মদত দেওয়ার একটি মামলা। যেখানে ৮৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করা হয়েছে এবং গোপন মাধ্যমে সেই টাকা জঙ্গিদের হাতে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। সেই টাকা কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদ ছড়ানোর জন্য ব্যবহার করা হয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, টেরর ফান্ডিংয়ে (Terror Funding Racket) মদত দেওয়ার অভিযোগে অগাস্ট মাসে একটি মামলা দায়ের হয়। তার পরেই তদন্তে নামে এসআইএ। ফাঁস হয় টেরর ফান্ডিংয়ের পর্দা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • J&K Encounter: সীমান্তে পাক গুলি, নিহত বিএসএফ জওয়ান, সোপিয়ানে বাহিনীর হাতে নিকেশ জঙ্গি

    J&K Encounter: সীমান্তে পাক গুলি, নিহত বিএসএফ জওয়ান, সোপিয়ানে বাহিনীর হাতে নিকেশ জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মুর আন্তর্জাতিক সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)-র চৌকির উপর ফের হামলা চালাল পাকিস্তান।  পাক হামলায় নিহত হয়েছেন এক জওয়ান। অন্যদিক, উপত্যকায় ফের সাফল্য পেল নিরাপত্তা বাহিনী (Security Force)। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার ভোর রাতে জম্মু-কাশ্মীরের সোপিয়ানে (Shopian) এনকাউন্টার (Encounter) অভিযান শুরু করে নিরাপত্তা বাহিনী। সংঘর্ষে লস্কর-ই-তৈবার শাখা সংগঠন দ্য রেসিস্টেন্স ফ্রন্টের (The Resistance Front) এক জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। বাকিদের খোঁজে এখনও তল্লাশি অভিযান জারি রয়েছে। 

    রামগড় সেক্টরে পাক বাহিনীর গুলি

    সাম্বা জেলার রামগড় সেক্টরে বুধবার রাত থেকে টানা পাক বাহিনীর গুলিগোলায় এক বিএসএফ জওয়ান নিহত হয়েছেন। বিএসএফের তরফে জানানো হয়েছে, রামগড় সেক্টরে একাধিক সীমান্ত চৌকিতে বুধবার রাত ১২টার পর থেকে বিনা প্ররোচনায় পাক বাহিনী হামলা চালায়। পাকিস্তান রেঞ্জার্স বাহিনীর পাশাপাশি পাক জঙ্গিরাও হামলায় অংশ নিয়েছিল বলে বিএসএফের একটি সূত্রের খবর। বিএসএফের তরফেও পাক গুলির ‘জবাব’ দেওয়া হয়। শীত পড়ার আগে উপত্যকায় জঙ্গি অনুপ্রবেশের সুযোগ করে দিতেই এই হামলা বলে মনে করা হচ্ছে। পাক বাহিনীর গুলিতে গুরুতর জখম এক জওয়ানকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সকালে তাঁর মৃত্যু হয়।

    সোপিয়ানে সেনার সাফল্য

    সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, অন্যদিকে গোপন সূত্রে জঙ্গিদের খবর পেয়েই জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ ও ভারতীয় সেনা বাহিনী সোপিয়ানে যৌথ অভিযান শুরু করে। সোপিয়ানের কাথোহালানে তল্লাশি অভিযান শুরু করতেই হামলা চালায় জঙ্গিরা। শেষ খবর অনুযায়ী, সেনার গুলিতে দ্য় রেসিস্টেন্স ফোর্সের এক জঙ্গি নিহত হয়েছে। তাঁর কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি জঙ্গিদের খোঁজে এখনও তল্লাশি অভিযান জারি রয়েছে।

    কাশ্মীর জোন পুলিশের তরফে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে বলা হয়েছে, “সোপিয়ান এনকাউন্টার আপডেট: সন্ত্রাসবাদী সংগঠন টিআরএফের সঙ্গে যুক্ত এক জঙ্গিকে নিকেশ করা হয়েছে। বেশ কিছু অস্ত্রশস্ত্রও উদ্ধার করা হয়েছে। তল্লাশি অভিযান জারি রয়েছে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Jammu and Kashmir: সেনা-পুলিশের যৌথ অভিযান! কাশ্মীরে খতম ৫ লস্কর জঙ্গি 

    Jammu and Kashmir: সেনা-পুলিশের যৌথ অভিযান! কাশ্মীরে খতম ৫ লস্কর জঙ্গি 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে জঙ্গিদের অনুপ্রবেশ রুখতে জম্মু-কাশ্মীরের কুপওয়ারা জেলার মাচিলে নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর যৌথ অভিযান চালিয়েছিল পুলিশ এবং সেনাবাহিনী। সেই অভিযানেই বৃহস্পতিবার পাঁচজন লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় কাশ্মীর জোন পুলিশ জানিয়েছে, ওই এলাকায় জঙ্গিদের উপস্থিতির বিষয়ে নির্দিষ্ট তথ্য দিয়েছিল কুপওয়ারা জেলার পুলিশ। সেই তথ্যের ভিত্তিতে এদিন সকালে অভিযান চালায় যৌথ বাহিনী। তারা এলাকায় পৌঁছতেই বাহিনীর সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে শুরু করেছিল জঙ্গিরা। বাহিনীও পাল্টা জবাব দেয়। দুই পক্ষের গুলির লড়াইয়ে এখনও পর্যন্ত পাঁচ জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। 

    জঙ্গি দমনে অভিযান

    বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর), এদিন সকালে, প্রথমে ২ জঙ্গির মৃত্যুর খবর দিয়েছিল পুলিশ। পরে আরও তিন জঙ্গির মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করকা হয়। তারা আরও জানিয়েছে, এই অভিযান এখনও চলছে। ওই এলাকায় আরও জঙ্গি লুকিয়ে থাকতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। পুরো এলাকাটি ঘিরে ফেলে চিরুনি তল্লাশি চালাচ্ছে সেনা ও পুলিশের যৌথ বাহিনী। শ্রীনগরে মোতায়েন ভারতীয় সেনার চিনার কর্পসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কুপওয়ারা সেক্টর দিয়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেছিল জঙ্গিরা। কুপওয়ারা পুলিশের কাছে এই বিষয়ে নির্দিষ্ট তথ্য ছিল। এরপরই যৌথ বাহিনী ওই এলাকায় অভিযান চালায়। ঠিক কতজন জঙ্গি ওই এলাকায় লুকিয়ে আছে, তারা কোন জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত – এই বিষয়গুলি এখনও স্পষ্ট নয়। তবে, সেনার অনুমান, নিহত জঙ্গিরা লস্কর-ই-তৈবার সদস্য।

    জম্মু ও কাশ্মীরের অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর জেনারেল বিজয় কুমার জানান, এতদিন ভারতীয় সেনা একা এই ধরনের অনুপ্রবেশ বিরোধী অভিযান চালালেও ক্রমশ সেই অভিযানে সামিল করা হচ্ছে পুলিশকেও। চলতি বছরে জম্মু-কাশ্মীরে এখনও পর্যন্ত ৪৬ জন সন্ত্রাসবাদীকে শেষ করেছে সেনা ও পুলিশ। এদের মধ্যে ৩৭ জন পাকিস্তানি জঙ্গি সংগঠনের সদস্য। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে খবর, বর্তমানে এই উপত্যকায় ১৩০ জন জঙ্গি সক্রিয় রয়েছে যাদের মধ্যে অর্ধেকই বিদেশি। তাদের নিকেশ করতে এবার সক্রিয় প্রশাসনও।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Jammu and Kashmir: নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে গুলির লড়াই! কাশ্মীরি পণ্ডিত হত্যায় জড়িত ২ লস্কর জঙ্গি খতম

    Jammu and Kashmir: নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে গুলির লড়াই! কাশ্মীরি পণ্ডিত হত্যায় জড়িত ২ লস্কর জঙ্গি খতম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) সোপিয়ানে জঙ্গিদমন অভিযানে বড় সাফল্য পেল নিরাপত্তা বাহিনী। মঙ্গলবার ভোরে সেনা ও পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে কাশ্মীরি পণ্ডিত হত্যায় জড়িত দুই লস্কর জঙ্গি খতম হয়েছে। কাশ্মীর পুলিশ সমাজমাধ্যমে এই সংঘর্ষের কথা জানিয়েছে। 

    ভোরেই শুরু হয় অভিযান

    কাশ্মীর (Jammu and Kashmir) জোন পুলিশ এদিন জানিয়েছে, মৃত ২ জঙ্গির নাম মোরিফত মকবুল ও জাজমিন ফারুখ ওরফে আবরার। দুজনেই লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গি সংগঠনের সদস্য। গত ফেব্রুয়ারি মাসে দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামায় কাশ্মীরি পণ্ডিত সঞ্জয় শর্মাকে হত্যার ঘটনায় এই দুই জঙ্গি জড়িত ছিল।পুলিশ সূত্রে খবর, সোপিয়ান জেলার আলশিপোরা এলাকায় জঙ্গিদের আত্মগোপন করার খবর পেয়ে মঙ্গলবার ভোররাতে সেনা ও জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ যৌথভাবে অভিযানে নামে। সেনা-পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়েই জঙ্গিরা গোপন ডেরা থেকে গুলি ছুঁড়তে শুরু করে। নিরাপত্তা বাহিনীও পাল্টা গুলি চালায়। দু-পক্ষের গুলির লড়াই চলার সময়ই ২ জঙ্গির মৃত্যু হয়। শেষ পাওয়া খবর পর্যন্ত, আরও জঙ্গি আলশিপোরা এলাকায় রয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে জঙ্গিদের গুলির লড়াই চলছে।

    আরও পড়ুন: হাতাকাটা জামা পরে পুরীর মন্দিরে প্রবেশ নয়! জানুন কবে থেকে নতুন পোশাকবিধি

    ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ ওই ২ জঙ্গি

    কাশ্মীর (Jammu and Kashmir) পুলিশ জানিয়েছে, লস্কর-ই-তৈবার ওই দুই জঙ্গি কাশ্মীরি পণ্ডিত হত্যায় জড়িত ছিল। সেনা ও পুলিশের তালিকায় তারা ছিল ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’। অস্ত্র মজুত করা, নাশকতার পরিকল্পনা করার দায়িত্ব ছিল তাদের উপর। গত বছর, ভূস্বর্গে জঙ্গিদের মোট ২৯টি হামলায় তিন জন কাশ্মীরি পণ্ডিত, রাজস্থানের একজন ব্যাঙ্ক ম্যানেজার এবং আটজন ভিন‌ রাজ্যের বাসিন্দা-সহ মোট ১৮ জন নিহত হন। ওই ঘটনার তিনদিন পরই পুলওয়ামার পাদদামপোরা গ্রামে জঙ্গি অভিযান চালায় নিরাপত্তা বাহিনী। সেই অভিযানে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে মৃত্যু হয় সঞ্জয় শর্মা খুনে জড়িত আরও এক জঙ্গি, আকিব মুস্তাক ভাটের। মকবুল ও ফারুক পলাতক ছিল। তাদের খোঁজে সোপিয়ানের নানা জায়গায় চিরুনি তল্লাশি চালাচ্ছিল সেনা ও পুলিশ। অবশেষে সাফল্য মিলল।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jammu and Kashmir: উপত্যকায় বড় নাশকতার ছক ফাঁস! কাশ্মীর থেকে গ্রেফতার পাঁচ লস্কর জঙ্গি

    Jammu and Kashmir: উপত্যকায় বড় নাশকতার ছক ফাঁস! কাশ্মীর থেকে গ্রেফতার পাঁচ লস্কর জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উপত্যকায় জঙ্গি দমনে বড় সাফল্য পেল নিরাপত্তাবাহিনী। জন্মু ও কাশ্মীর পুলিশ (Jammu And Kashmir Police) এবং সিআরপিএফের (CRPF) যৌথ অভিযানে ফাঁস হয়েছে লস্কর-ই-তইবার জঙ্গি (LeT Terrorist Module) মডিউল। জম্মু ও কাশ্মীরের কুলগাম জেলা থেকে লস্কর-ই-তইবা জঙ্গি সংগঠনের পাঁচ জন সহযোগীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের থেকে বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র ও বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছে বলে দাবি নিরাপত্তাবাহিনীর। প্রসঙ্গত, আজই জম্মু-কাশ্মীরে বিজেপির কোর গ্রুপের সঙ্গে দিল্লিতে বৈঠকে বসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

    জঙ্গিদের কাছ থেকে কী কী মিলল

    জম্মু ও কাশ্মীরের পুলিশ এবং সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের (সিআরপিএফ) যৌথ প্রয়াসে এই অভিযানে সাফল্য এসেছে, বলে সেনাবাহিনী সূত্রে খবর। সেনার তরফে জানানো হয়েছে, অভিযুক্তদের নাম আদিল হুসেন ওয়ানি, সুহেল আহমেদ দার, আইতমাদ আহমেদ লাওয়ে, মেহরাজ আহমেদ লোন, সাবজার আহমেদ খার। পুলিশ সূত্রে খবর, জঙ্গিদের কাছ থেকে দু’টি পিস্তল, তিনটি হ্যান্ড গ্রেনেড, একটি ইউবিজিএল গ্রেনেড লঞ্চার, দু’টি পিস্তলের ম্যাগাজিন, পিস্তল এবং একে-৪৭ এর গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে থানার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।

    আরও পড়ুন: বিদেশ যাচ্ছেন রাজ্যপাল! কেন, উপাচার্যদের কী বললেন আচার্য?

    প্রসঙ্গত, মাত্র দিন দশেক আগেই কাশ্মীরের অনন্তনাগে প্রায় ৪৮ ঘণ্টা গুলির লড়াই চলে জঙ্গি এবং ভারতীয় সেনার মধ্যে। মোট ৪ জন জওয়ান এবং এক পুলিশকর্মীর মৃত্যু হয় এই ঘটনায়। কাশ্মীরের প্রত্যন্ত এলাকায় ৩ জন জঙ্গির লুকিয়ে থাকার খবর পেয়েই অভিযান চালিয়েছিল ভারতীয় সেনা। এই জঙ্গিরা অনন্তনাগের ঘটনার সঙ্গে যুক্ত কিনা তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। রবিবার ধৃত জঙ্গিদের থেকে জেরায় জানা গেছে, সামনে আরও ২টি বড় নাশকতার ছক কষা হয়েছিল।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • India Slams Pak: ‘‘অপরাধ করাটা অভ্যাস’’! কাশ্মীর ইস্যুতে রাষ্ট্রসঙ্ঘে পাকিস্তানকে তুলোধোনা ভারতের

    India Slams Pak: ‘‘অপরাধ করাটা অভ্যাস’’! কাশ্মীর ইস্যুতে রাষ্ট্রসঙ্ঘে পাকিস্তানকে তুলোধোনা ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আন্তর্জাতিক মঞ্চে পাকিস্তানকে তুলোধোনা করল ভারত। রাষ্ট্রসঙ্ঘের ৭৮তম অধিবেশনে পাকিস্তান কাশ্মীর (India Slams Pak) ইস্যু উত্থাপন করেন পাক প্রধানমন্ত্রী, যার পরিপ্রেক্ষিতে তীব্র আক্রমণ শানান রাষ্ট্রসঙ্ঘে ভারতের ফার্স্ট সেক্রেটারি পেতাল গেহলট। পাকিস্তানকে কড়া ভাষায় জানানো হয়, অধিকৃত কাশ্মীরকে (India Slams Pak) দখলমুক্ত করার জন্য। এর পাশাপাশি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদকে সরাসরি সমর্থন, ফান্ডিং এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রসঙ্গও উত্থাপন করেন ভারতের প্রতিনিধি। প্রসঙ্গত শুক্রবারই রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ অধিবেশনে পাকিস্তানের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী আনোয়ারুল হক কাকার এদিন ফের দাবি করেন যে কাশ্মীর সমস্যার সমাধানই নাকি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে শান্তি আনতে পারে।  পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তীব্রভাবে নিশানা করেন রাষ্ট্রসঙ্ঘে ভারতের প্রতিনিধি পেতাল গেহলট।

    কী বললেন ভারতের প্রতিনিধি

    ভারতের প্রতিনিধি এদিন বলেন, ‘‘ভারতের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন ও বিদ্বেষপূর্ণ প্রচার চালানোর জন্য এই ফোরামকে অপব্যবহার করছে পাকিস্তান। এই অপরাধ করা পাকিস্তানের (India Slams Pak) অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। রাষ্ট্রসংঘের সদস্য দেশ এবং অন্যান্য বহুপাক্ষিক সংগঠন ভালোভাবেই জানে যে পাকিস্তান মানবাধিকার রক্ষার ইস্যুতে ডাহা ফেল। সেখান থেকেই নজর ঘোরাতে বারংবার কাশ্মীর ইস্যুর কথা তোলে পাকিস্তান। আমরা অবশ্য আরও বলতে চাই যে জম্মু ও কাশ্মীর ভারতের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল। এটি ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখের সাথে সম্পর্কিত বিষয়গুলি সম্পূর্ণরূপে ভারতের অভ্যন্তরীণ। আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মন্তব্য করার কোনও অধিকার পাকিস্তানের নেই।’’

    সন্ত্রাসের মদতদাতা পাকিস্তান

    সন্ত্রাসকে ফান্ডিং সমেত ভারতে সন্ত্রাসবাদী (India Slams Pak) হামলায় মদত দেওয়ার মতো গুরুতর অভিযোগ রয়েছে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। সাম্প্রতিক অতীতে পুলওয়ামার হামলাতেও পাকিস্তানের যোগ পাওয়া যায়। এর পরবর্তীকালে ২০১৯ সালের ৫ অগাস্ট কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারার বিলোপ সাধন করে মোদি সরকার। ৩৭০ ধারার মাধ্যমে কাশ্মীরকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়েছিল। এরপর থেকে পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কের ফাটল অনেক চওড়া হয়ে যায়। অন্যদিকে ৩৭০ ধারা উঠে যাওয়ার পর স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে দেখা যায় কাশ্মীরকে। সব থেকে বেশি বলিউড এবং হলিউডের ছবির শ্যুটিংও শুরু হয় সেখানে। হোটেলগুলোতেও গিজগিজ করতে থাকে পর্যটকদের ভিড়ে। তার মাঝে ফের একাধিকবার জঙ্গি হামলার প্রয়াস চালায় পাকিস্তান। চলতি বছরের জুন মাসেই বিদেশমন্ত্রী জয়শংকর এই নিয়ে বলেছিলেন, ‘‘ভারত নিজেদের প্রতিবেশীদের সঙ্গে ভাল সম্পর্ক বজায় রাখে। তবে পাকিস্তান সেই ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। আমরা সন্ত্রাসবাদকে মেনে নিতে পারি না। পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনার টেবিলে বসার ক্ষেত্রে সন্ত্রাসবাদ কোনও ভিত্তি হতে পারে না।’ ভারতের স্পষ্ট বার্তা, পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনার টেবিলে বসতে তাদের কোনও আপত্তি নেই। তবে তার জন্য পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবাদের পথ ছাড়তে হবে।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Article 370: ৩৭০ ধারা বিলোপের বিরুদ্ধে মামলা, সুপ্রিম কোর্ট শেষ হল শুনানি-পর্ব, রায়দান স্থগিত

    Article 370: ৩৭০ ধারা বিলোপের বিরুদ্ধে মামলা, সুপ্রিম কোর্ট শেষ হল শুনানি-পর্ব, রায়দান স্থগিত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১৯ সালের ৫ অগাস্ট জম্মু-কাশ্মীর থেকে তুলে নেওয়া হয়েছিল ৩৭০ ধারা (Article 370)। এই ধারার বিলোপ সাধনের পর থেকেই সুপ্রিম কোর্টে জমা পড়েছিল একাধিক আবেদন। প্রত্যেকটি আবেদনেই পুনরায় জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা ফিরিয়ে আনার দাবি রাখা হয়েছিল। এ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে শুরু হয়েছিল শুনানি। মঙ্গলবার, সুপ্রিম কোর্ট ৩৭০ ধারার বিলোপের (Article 370) বিরুদ্ধে আবেদনগুলির রায়দান স্থগিত রাখল। মামলাকারীরা জম্মু-কাশ্মীর পুনর্গঠন আইনকেও চ্যালেঞ্জ করে। কারণ ৩৭০ ধারা (Article 370) বিলোপ সাধনের পরেই ২০১৯ সালে জম্মু কাশ্মীরকে রাজ্য থেকে কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চলে রূপান্তরিত করা হয়। ২টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করা হয়।

    পাকিস্তান জিন্দাবাদ দেওয়া সাংসদ ছিলেন এই মামলার অন্যতম আবেদনকারী 

    প্রসঙ্গত, এই মামলায় (Article 370) অন্যতম আবেদনকারী ছিলেন ন্যাশনাল কনফারেন্সের সাংসদ মহাম্মদ আকবর লোন। তাঁর বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে অভিযোগ রয়েছে জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভায় পাকিস্তান স্লোগান দেওয়ার। ১৬ দিন ধরে সুপ্রিম কোর্টের এই শুনানি (Article 370) চলছিল। এই মামলার শুনানি করছিলেন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি সঞ্জয় কিষান কৌল, বিচারপতি সঞ্জীব খান্না,  বিচারপতি বি আর গাভাই, বিচারপতি সূর্যকান্ত। অন্যদিকে সোমবারই সুপ্রিম কোর্ট ন্যাশনাল কনফারেন্সের সাংসদ মোহাম্মদ আকবর লোনকে একটি হলফনামা দাখিল করতে বলে। ভারতের সংবিধান তথা জম্মু-কাশ্মীর যে ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ এই বিশ্বাসের প্রতি তাঁর আনুগত্য প্রকাশ করতে নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। আদালতের নির্দেশে পাকিস্তান জিন্দাবাদ স্লোগান দেওয়া সংসদ হলফনামা দাখিল করেন সোমবার। সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা অবশ্য বলেন যে এটা প্রহসন।

    ৩ বছর ধরে ঝুলে থাকার পরে শুরু হয়েছিল শুনানি (Article 370)

    ৩ বছর ধরে ঝুলে ছিল এই মামলা। জানা গিয়েছে পরবর্তীকালে ২০২৩ সালে ২ অগাস্ট থেকে এই মামলার শুনানি শুরু হয়। কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে অনুচ্ছেদ ৩৭০ বাতিল (Article 370) করার আগে পর্যন্ত জম্মু-কাশ্মীরে মানুষ এক দ্বন্দ্বে ভুগতেন। ভারত না জম্মু-কাশ্মীর, কোথাকার নাগরিক তাঁরা এই প্রশ্ন তাঁদের মনে থাকতো (Article 370)। অনুচ্ছেদগুলি বাতিলের পরে সেই সমস্যার সমাধান হয়েছে। রাজ্যের মানুষের প্রতি বৈষম্যের মনোভাব ছিল বলেই পূর্বতন সরকার এই অনুচ্ছেদ (Article 370) বাতিল করেনি বলেও জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। 

     

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jammu And Kashmir: জম্মু-শ্রীনগর জাতীয় সড়কে ধস, ফের স্থগিত অমরনাথ যাত্রা

    Jammu And Kashmir: জম্মু-শ্রীনগর জাতীয় সড়কে ধস, ফের স্থগিত অমরনাথ যাত্রা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু থেকে শ্রীনগরগামী (Jammu And Kashmir) জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ হয় ধসের কারণে। বুধবার ভূস্বর্গের রামবান জেলায় এই ধসের জেরে বন্ধ হয়ে সাময়িক বন্ধ হয়ে গেল অমরনাথ যাত্রা। জানা গিয়েছে, পন্থর চৌক যাত্রার বেস ক্যাম্প থেকে জম্মু পর্যন্ত অমরনাথ যাত্রা বন্ধ হয়ে গিয়েছে।

    কী বলছে  প্রশাসন (Jammu And Kashmir)?

    জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu And Kashmir) প্রশাসন জানিয়েছে যে জম্মু-শ্রীনগর ন্যাশনাল হাইওয়ে রামবান জেলায় ধসের কারণে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে।  সেখানকার মানুষ এবং অমরনাথ তীর্থযাত্রীদের প্রশাসনের তরফ থেকে সতর্ক করা হয়েছে। বলা হয়েছে যে কেউ যেন ৪৪ নম্বর জাতীয় সড়কে ট্রাফিক পুলিশের অনুমতি ছাড়া না চলাফেরা করেন। প্রসঙ্গত ৬২ দিনের দীর্ঘ এই অমরনাথ যাত্রা শুরু হয়েছে, ১ জুলাই থেকে চলবে ৩১ অগাস্ট পর্যন্ত।  এর আগেই জম্মু-কাশ্মীর (Jammu And Kashmir) পুলিশের এডিজি গত সপ্তাহের শুক্রবার একটি উচ্চ পর্যায়ের নিরাপত্তা বিষয়ক বৈঠক করেন। স্বাধীনতা দিবসকে মাথায় রেখে এবং চলতি মাসের ১৭ তারিখ থেকে শুরু হতে চলা বুড়ো অমরনাথ যাত্রার নিরাপত্তা নিয়ে এই মিটিং হয় বলে জানা গিয়েছে।

    পুঞ্চ জেলার সাধারণ মানুষের সঙ্গে বৈঠক প্রশাসনের 

    জানা গিয়েছে জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu And Kashmir) এডিজিপি মুকেশ সিং, ডিভিশনাল কমিশনার রমেশ কুমার এবং রাজৌরি জেলার ডিআইজি হাসিব মুঘলের মধ্যে একটি উচ্চপর্যায়ে নিরাপত্তা বিষয়ক বৈঠক ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। এবং সেখানে প্রশাসন এবং পুলিশকে বিশেষ সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে স্বাধীনতা দিবসের আগে। এছাড়াও ১৭ অগাস্ট শুরু হচ্ছে বুড়ো অমরনাথ যাত্রা। সেখানেও নিরাপত্তা আঁটোসাঁটো করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, জম্মুর (Jammu And Kashmir) এডিজিপি এবং ডিভিশনাল কমিশনার পুঞ্চ জেলার সাধারণ জনগণের সঙ্গেও বৈঠক করেছেন। সেখানকার জনপ্রতিনিধি এবং আইনজীবীরা এই মিটিং-এ উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। এবং প্রত্যেকেই স্বাধীনতা দিবসে প্রশাসনকে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Amarnath Yatra 2023: হেলমেট পরা বাধ্যতামূলক! ১ জুলাই শুরু অমরনাথ যাত্রা

    Amarnath Yatra 2023: হেলমেট পরা বাধ্যতামূলক! ১ জুলাই শুরু অমরনাথ যাত্রা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপেক্ষার প্রহর গোনা শেষ। ১ জুলাই শুরু হচ্ছে অমরনাথ যাত্রা। রেজিস্ট্রেশন করেছেন প্রায় ৩ লক্ষ তীর্থযাত্রী। থাকছে জোরদার নিরাপত্তা ব্যবস্থাও। গতবছর অমরনাথ গুহার সামনে মেঘ ভাঙা বৃষ্টির জেরে বন্যা হয়েছিল। তাই প্রবল বৃষ্টিপাত, বন্যা কিংবা ভূমি ধসের মতো প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে তীর্থযাত্রীদের সুরক্ষিত রাখার ব্যাপারেও বিশেষ জোর দেওয়া হচেছ।

    হেলমেট পরা বাধ্যতামূলক

    শ্রী অমরনাথ শ্রাইন বোর্ডের সিইও মনদীপ কুমার ভান্ডারি জানিয়েছেন, ‘এবারের যাত্রা পথ দীর্ঘতম। তাই একাধিক বেস ক্যাম্প তৈরি করা হয়েছে। যেখানে তীর্থযাত্রীরা বিশ্রাম নিতে পারবেন। বেশ কিছু জায়গায় ভূমিধস এবং পাথর গড়িয়ে পড়ার ঘটনা ঘটছে। তাই তীর্থযাত্রীদের সুরক্ষার দিকটাও খেয়াল রাখা জরুরি। ওই অঞ্চল দিয়ে যাতায়াতের সময় প্রত্যেক যাত্রীকে পরতে হবে হেলমেট। এমনকী যাঁরা খচ্চর ব্যবহার করবেন, তাঁদেরও হেলমেট পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।’

    যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের উপর জোর

    জম্মুর ভগবতী নগর বেস ক্যাম্প থেকে তীর্থযাত্রীদের প্রথম দলটি ৩০ জুন উপত্যকার দিকে রওনা হবে। আসল যাত্রা শুরু ১ জুলাই। যা চলবে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত। ৬২ দিন ধরে এই যাত্রা চলবে। যা সবচেয়ে দীর্ঘ। যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের উপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। উন্নত করা হয়েছে যাত্রা পথের দু’টি রুটও। ৭০ বছর বয়সীরা তীর্থযাত্রায় অংশ নিতে পারবেন বলে জানানো হয়েছে। তীর্থযাত্রীদের সুবিধার জন্য রাস্তার দু’ধারে আলোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে রাতে কোনও তীর্থযাত্রীকে গুহা মন্দিরের কাছে থাকতে দেওয়া হবে না। থাকছে পাবলিক অ্যাড্রেস সিস্টেম। এছাড়া ক্যাম্পে ভিডিও ডিসপ্লে থাকবে। যার মাধ্যমে তীর্থযাত্রীরা সহজেই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে পারবেন।

    নিরাপত্তার দায়িত্বে আইটিবিপি

    গত কয়েকদশক ধরে অমরনাথ গুহা মন্দির পাহারার দায়িত্বে ছিল সিআরপিএফ। এবছর থেকে তা বদল হচ্ছ। ঐতিহ্যগতভাবে হিমালয়ের ৩,৮৮৮ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত এই তীর্ভূমিতে নিরাপত্তার দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে ইন্ডো-টিবেটান বর্ডার পুলিশ অর্থাৎ আইটিবিপির হাতে। বুধবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভাল্লার নেতৃত্বে অমরনাথ যাত্রার নিরাপত্তা নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়। সেখানে আইবি প্রধান তপন ডেকা এবং ‘র’ সচিবও উপস্থিত ছিলেন। যোগ দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় বাকি সব বাহিনীর প্রধানরাও। সেখানেই সর্বসম্মতিক্রমে ঠিক হয়, এবছর অমরনাথ যাত্রার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত নিরাপত্তার পুরো দায়িত্ব সামলাবে আইটিবিপি।

    আরও পড়ুন: অনুমোদন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে গঠিত জাতীয় গবেষণা সংস্থা

    কেন আইটিবিপি?

    গত বছর অমরনাথ গুহার সামনে মেঘ ভাঙা বৃষ্টির ফলে বন্যা হয়েছিল। তখন আইটিবিপি জওয়ানরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এক কোম্পানি আইটিবিপি বাহিনী মোতায়েন থাকায় তাঁরা অনেকের প্রাণ রক্ষা করতে পেরেছিলেন। এছাড়াও তারা মাউন্টেন ফোর্স নামে পরিচিত। এই বাহিনী প্রাকৃতিক দুর্যোগের সঙ্গে মোকাবিলার জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। তাছাড়া, অশান্ত মণিপুরে পরিস্থিতি সামাল দিতে বেশ কয়েক কোম্পানি সিআরপিএফ সেখানে মোতায়েন রয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য বিভিন্ন বাহিনী গিয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। যা আইটিবিপির হাতে নিরাপত্তা তুলে দেওয়ার অন্যতম কারণ বলে মনে করা হচ্ছ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ

LinkedIn
Share