Tag: Jammu and Kashmir

Jammu and Kashmir

  • Amreen Bhat: ২৪-ঘণ্টার মধ্যেই কাশ্মীরে সেনা অভিযানে খতম টিভি অভিনেত্রীর হত্যাকারী দুই লস্কর জঙ্গি

    Amreen Bhat: ২৪-ঘণ্টার মধ্যেই কাশ্মীরে সেনা অভিযানে খতম টিভি অভিনেত্রীর হত্যাকারী দুই লস্কর জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাশ্মীরে (Kashmir) নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে নিকেশ টিভি অভিনেত্রী আমরীন ভাটের (Amreen Bhat) হত্যায় জড়িত দুই দুই লস্কর-ই-তৈবা (Lashkar-e-Taiba) জঙ্গি। কাশ্মীরের অবন্তিপোরায় (Awantipora) এনকাউন্টারে এই দুই জঙ্গি খতম হয়েছে বলে জানিয়েছে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ। 

    ইসলামিক ফতোয়া না মানায় বুধবার রাতে আমরীন ভাটকে বুধবার বদগামের হাশরু গ্রামে তাঁর বাড়ির সামনে গুলি করে হত্যা করে জঙ্গিরা। সেই সময় অভিনেত্রীর সঙ্গে ছিল তাঁর ১০ বছরে ভাইপো, সেও আহত হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। অভিনেত্রীর মৃত্যুর ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই মৃত্যু হল তাঁর হত্যাকারীদের। 

    কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা (Omar Abdulla) ট্যুইটে প্রতিক্রিয়া জানান, “আমরীন ভাটের খুনের ঘটনায় দুঃখিত এবং হতবাক। আমরীনকে তাঁর প্রাণ দিতে হল এবং তাঁর ভাইপো আহত। ঈশ্বর তাঁকে স্বর্গে ঠাঁই দিক।”

    আরও পড়ুন: কুপওয়ারায় গুলির লড়াইয়ে খতম তিন লস্কর জঙ্গি, উদ্ধার প্রচুর অস্ত্র
     
    কাশ্মীরে লাগাতার অভিযান চালিয়ে সম্প্রতি বড় সাফল্য পেয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী। কাশ্মীর পুলিশের আইজি বিজয় কুমার সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ৩ দিনে নিকেশ করা হয়েছে ১০ জঙ্গিকে। এদের মধ্যে ৩ জন জইশ-ই-মহম্মদের সদস্য। বাকি ৭ জন লস্করের সদস্য। 

    [tw]


    [/tw]

    মৃত জঙ্গিদের মধ্যে কাশ্মীরের টিভি অভিনেত্রী আমরীন ভাট হত্যাকাণ্ডে জড়িত জঙ্গিরাও ছিল বলে জানিয়েছে কাশ্মীর পুলিশ। তাদের নাম শাকির আহমেদ ওয়াজা এবং আফরিন আফতাব। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি একে-৪৭ রাইফেল, অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে।  

    [tw]


    [/tw]

    টেলিভিশন অভিনেত্রী আমরীন ভাট কাশ্মীরে বেশ জনপ্রিয় মুখ। টিকটক-সহ অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে বেশ সক্রিয় ছিলেন। পুলিশের ধারণা, ইসলামিক ফতোয়া না মানায় তাঁকে টার্গেট করে জঙ্গি গোষ্ঠী।

    আরও পড়ুন: যাবজ্জীবন ইয়াসিন মালিকের, অশান্তি এড়াতে জম্মু-কাশ্মীরে বাড়ানো হল নিরাপত্তা

     

  • Kashmir Killings: অশান্ত কাশ্মীর! এবার ভিন-রাজ্যের শ্রমিককে গুলি করে হত্যা

    Kashmir Killings: অশান্ত কাশ্মীর! এবার ভিন-রাজ্যের শ্রমিককে গুলি করে হত্যা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাশ্মীরে ফের জঙ্গিদের শিকার হলেন ভিন্ রাজ্যের বাসিন্দা। বৃহস্পতিবার রাতে বদগামে দুই শ্রমিককে গুলি করে জঙ্গিরা। তাঁদের মধ্যে এক জন নিহত হয়েছেন। আহত এক জন। তাঁরা বিহারের বাসিন্দা। কুলগাম জেলায় একজন ব্যাঙ্ক ম্যানেজারকে হত্যা করার কয়েক ঘণ্টা পরেই এই হামলা। গুলি লাগার পর দু’জন শ্রমিককেই নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁদের একজনের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার পরেই আতঙ্কে কাঁপছে গোটা এলাকা।

    পুলিশ সূত্রের খবর, ওই দুই শ্রমিক চাদুরা এলাকায় মগ্রেপোরায় একটি ইটভাটায় কাজ করতেন। বৃহস্পতিবার রাতে সেখানে চড়াও হয় জঙ্গিরা। পরিযায়ী শ্রমিকরা তখন ইটভাটায় কাজ শেষে ফিরছিলেন। দুই শ্রমিককে চিহ্নিত করে গুলি করা হয়। আহত শ্রমিকদের স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা গুরুতর জখম দিলখুশ কুমারকে (১৭) শ্রীনগরের এসএমএইচএস হাসপাতালে স্থানান্তরের পরমর্শ দেন। দিলখুশের বুকে গুলি লাগে। সেখানে নিয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরেই তাঁর মৃত্যু হয়। গুরিও নামে আর এক জখম শ্রমিকের অবস্থা স্থিতিশীল বলে পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে। তাঁর কাঁধে-হাতে গুলি লেগেছিল। তাঁকে চিকিৎসার পর হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। গত অক্টোবরেও জঙ্গিদের গুলির শিকার হয়েছিলেন বিহারের তিন শ্রমিক।

    আরও পড়ুন: ফের জঙ্গি-নিশানায় হিন্দু পণ্ডিত, কাশ্মীরে ব্যাঙ্ক ম্যানেজারকে হত্যা

    প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, সন্ত্রাসবাদীরা নির্বিচারে দুই শ্রমিকের উপর গুলি চালিয়েছিল। পুলিশ এ ব্যাপারে আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করেছে। তদন্ত চলছে এবং আধিকারিকরা এই সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এলাকাটি ঘিরে রাখা হয়েছে এবং তল্লাশি চলছে, বলে পুলিশের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।

    ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপের পর থেকেই কাশ্মীরে অশান্তি বেড়েছে। মাঝে কিছুদিন পুলিশ ও সেনার চরম তৎপরতায় পরিস্থিতি খানিকটা নিয়ন্ত্রণ করা গেলেও গত কয়েক মাসে হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে পরিস্থিতি। পাক-মদতপুষ্ট জঙ্গিদের আনাগোনা মারাত্মক বেড়ে গেছে, একের পর এক সাধারণ মানুষকে নিশানা করছে তারা। শুক্রবার পরিস্থিতি উন্নতির জন্য বৈঠক ডেকেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

  • Yasin Malik: জ্যাক, জন, আলফা, এই সাক্ষীদের গোপন বয়ানেই দোষী সাব্যস্ত ইয়াসিন মালিক, কারা এই সাক্ষী? 

    Yasin Malik: জ্যাক, জন, আলফা, এই সাক্ষীদের গোপন বয়ানেই দোষী সাব্যস্ত ইয়াসিন মালিক, কারা এই সাক্ষী? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা ইয়াসিন মালিক (Yasin Malik) মামলায় মূল সাক্ষীদের (Witness) পরিচয় গোপন করতে তাঁদের জ্যাক, জন, আলফা নাম দিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনআইএ। তদন্তকারী অফিসারদের দাবি, কেসটির গুরুত্ব বুঝে এবং এই ঘটনার সাথে কারা কারা জড়িত থাকতে পারে সেই বিষয়টি মাথায় রেখে সাক্ষীদের নাম বদলানো হয়েছে। সাক্ষীদের পরিচয় সামনে এলে তাঁদের জীবনের ঝুঁকি হতে পারে বলে মনে করছেন আধিকারিকরা। 

    শুধু জ্যাক, জন, আলফাই নয়। মোট ২৫ জন সাক্ষীর বয়ানের ওপর ভিত্তি করে ইয়াসিনের বিরুদ্ধে কেসটি সাজিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আর এই সবারই পরিচয় গোপন রাখার বিষয়ে অত্যন্ত সচেতন এনআইএ। সুরক্ষার সাথে কোনওভাবেই আপোষ করা হবে না বলে জানিয়েছেন আধিকারিকরা। তাই এই ২৫ জনকেই আলাদা আলাদা ছদ্মনাম দেওয়া হয়েছে। তাঁদের জন্যে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: ইয়াসিনকে সাজা দেওয়ার সময় মহাত্মা গান্ধীর তুলনা টানেন বিচারক, কেন জানেন?

    জঙ্গিদের আর্থিক সাহায্যের মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয় কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা ইয়াসিন মালিক। বুধবার তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের  সাজা দেয় পাটিয়ালার বিশেষ এনআইএ আদালত । ইউএপিএ আইনে ইয়াসিনের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের ভিত্তিতে ইয়াসিন মালিকের মৃত্যুদণ্ডের দাবি করেছিল এনআইএ। শেষপর্যন্ত যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দেয় আদালত। আদালতে নিজেই জঙ্গিদের মদত দেওয়ার কথা স্বীকার করে নেয় ইয়াসিন মালিক। 

    এছাড়াও তদন্তকারী দল ৭০ জায়াগায় অভিযান চালিয়ে ৬০০ টি ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস উদ্ধার করেছে বলে জানা গিয়েছে। 

    আরও পড়ুন: “হত্যার বদলা ফাঁসি”, ইয়াসিনের মৃত্যুদণ্ডের দাবিতে সরব প্রয়াত বায়ুসেনা অফিসারের স্ত্রী

    সাজার পরে ইয়াসিন মালিককে রাখা হয়েছে তিহারের ৭ নম্বর জেলে। জেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে অন্যান্য কয়েদীদের থেকে আলাদা একটি সেলে রাখা হয়েছে ইয়াসিনকে। সেখানে একাই আছে সে। একই কারণে কোনও কাজও দেওয়া হয়নি তাকে। ইয়াসিনের জেলে বাইরে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া সিসিটিভি ক্যামেরাও রয়েছে ইয়াসিনের সেলে। 

     

  • Anantnag Sun Temple: অনন্তনাগে মার্তন্দ সূর্য মন্দির পরিদর্শন জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহার

    Anantnag Sun Temple: অনন্তনাগে মার্তন্দ সূর্য মন্দির পরিদর্শন জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনন্তনাগ (Anantnag) পরিদর্শন করলেন জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা (L-G Manoj Sinha)। তিনি মাত্তানের প্রাচীন মার্তন্দ সূর্য মন্দিরে (Martand Sun Temple) শুভ নবগ্রহ অষ্টমঙ্গলম পুজোয় অংশ নেন।

    সাধু, কাশ্মীরি পণ্ডিত সম্প্রদায়ের সদস্য এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হয় এই পুজো। এই মন্দির দেশের সূর্য মন্দিরগুলির মধ্যে প্রাচীনতম। অষ্টম শতাব্দীতে তৈরি এই মন্দিরটি অমূল্য প্রাচীন আধ্যাত্মিক ঐতিহ্যের প্রতীক। অনুষ্ঠানে মনোজ সিনহা বলেন, “কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু ও কাশ্মীর বৈচিত্র্যময় ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য বহন করে। দেশের জ্ঞানের কেন্দ্র। আমরা জম্মু ও কাশ্মীরের ঐতিহাসিক ও আধ্যাত্মিক স্থানগুলিকে প্রাণকেন্দ্রে রূপান্তরিত করার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এই কাজ আমাদের ধর্মের পথে চালনা করবে এবং এই সুন্দর ভূমিকে শান্তি, সুখ এবং সমৃদ্ধিতে ভরিয়ে তুলবে।” 

    কাশ্মীরবাসীর মঙ্গলের জন্যে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনাও করেন তিনি। লেফটেন্যান্ট গভর্নর ছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন বিধায়ক সুরিন্দর অম্বরদার এবং বিভিন্ন প্রান্তের বিশিষ্ট সাধু-সন্ন্যাসীরা।এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কাশ্মীরের বিভাগীয় কমিশনার পান্ডুরং কে পোল, কাশ্মীর পুলিশের আইজি বিজয় কুমার, অনন্তনাগ জেলা প্রশাসক ডাঃ পীযূষ সিংলা এবং পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তারা।

     

  • Pak MBBS seats: “পাকিস্তানে যাচ্ছে এমবিবিএস পড়তে, ভারতে ফিরছে জঙ্গি হয়ে!” চাঞ্চল্যকর দাবি গোয়েন্দাদের

    Pak MBBS seats: “পাকিস্তানে যাচ্ছে এমবিবিএস পড়তে, ভারতে ফিরছে জঙ্গি হয়ে!” চাঞ্চল্যকর দাবি গোয়েন্দাদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  দেশে সন্ত্রাস চালানোর জন্য শিক্ষিত ভারতীয় তরুণদেরই (Indian Youths) ব্যবহার করা হচ্ছে! এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন গোয়েন্দারা। তাঁদের মতে,  যে সব কাশ্মীরি (Kashmiri) তরুণরা ডাক্তারি (MBBS) পড়তে বা অন্য কোনও বিষয়ে উচ্চশিক্ষা লাভের জন্য পাকিস্তানে (Pakistan) যাচ্ছেন, তাঁদেরই একাংশের মগজধোলাই করে জঙ্গি শিবিরে টেনে নেওয়া হচ্ছে। সাম্প্রতিক বেশ কিছু ঘটনায় এর প্রমাণ পেয়েছেন ভারতীয় গোয়েন্দারা।

    ইতিমধ্যেই জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা জাফর ভাট নামে এক হুরিয়ত নেতা-সহ ৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে। তাতে দাবি করা হয়েছে, ওই ব্যক্তি কাশ্মীরি যুবকদের সুলভে উচ্চশিক্ষার টোপ দিয়ে পাকিস্তানের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজের সিট (Pak MBBS seats) বিক্রি করেছেন! পাকিস্তানে পৌঁছনোর পর এই যুবকদের মধ্যে থেকেই একাধিক জনকে বাছাই করে সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের মাধ্যমে জঙ্গি প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। তারপর এই যুবকদের আবার ভারতে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। প্রতিবছর এরকম অন্তত ১০০ জন কাশ্মিরী যুবক পাকিস্তানে যায় উচ্চশিক্ষার জন্য।

    বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (UGC) এবং সর্বভারতীয় কারিগরি শিক্ষা পর্ষদ (AICTE) এই প্রসঙ্গে একটি যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছে, “যদি কোনও ভারতীয় নাগরিক বা ভারতীয় বংশোদ্ভূত বিদেশি নাগরিক পাকিস্তান থেকে উচ্চশিক্ষার পাঠ নিয়ে আসেন, তাহলে তাঁরা সেই শংসাপত্রের ভিত্তিতে ভারতে উচ্চশিক্ষা বা চাকরির জন্য আবেদন করতে পারেন না।” বিশেষজ্ঞদের অনুমান, এই কারণেই ওই শিক্ষিত ও মেধাবী তরুণদের নিশানা করে তাঁদের মগজধোলাই করছে পাক গুপ্তচর সংস্থা (ISI)। তাঁদের বোঝানো হচ্ছে, যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও তাঁরা ভারতে বঞ্চিত এবং অবহেলিত। 

    ভারতীয় গোয়েন্দাদের হাতে আসা তথ্য বলছে, কাশ্মীর উপত্যকায় সাম্প্রতিক জঙ্গিদমন অভিযানে নেমে এমন অন্তত ১৭ জন তরুণের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে, যাঁরা পাকিস্তানে গিয়েছিল পড়াশোনা করতে। কিন্তু, দেশে ফেরত আসে সন্ত্রাসবাদী হয়ে। এই ১৭ জনকে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে, কারণ, এদের সকলেই নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয়েছে। 

    নিহত এই জঙ্গিদের সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে জানা গিয়েছে, এঁরা সকলে বৈধ ভিসা নিয়ে পাকিস্তানে পড়তে গিয়েছিলেন। এবং সকলেই অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র ছিলেন। ২০১৫ সাল থেকেই কাশ্মীরি তরুণদের পাকিস্তানের যাওয়ার প্রবণতা নজরে আসার মতো বেড়ে গিয়েছে। এঁদের অধিকাংশই পড়াশোনা করতে গেলেও কেউ কেউ আবার আত্মীয়দের সঙ্গে দেখা করতে কিংবা বিয়ের মতো পারিবারিক কোনও অনুষ্ঠানে যোগ দিতেও বৈধভাবে সীমান্তে পেরিয়ে ওদেশে গিয়েছেন। সেখান থেকেই নতুন করে তদন্ত শুরু করেন গোয়েন্দারা।

    সূত্রের দাবি, এই বাছাই করা মেধাবী যুবকদের জঙ্গি বানানোর পিছনে রীতিমতো একটি লবি কাজ করছে। এমনকী, এই যুবকদের কাশ্মীর (Kashmir) থেকে পাকিস্তানে (Pakistan) যেতে যাতে কোনও আইনি সমস্যা না হয়, তার জন্য ভারতের পাক দূতাবাসও (Pak High Commission in India) পূর্ণ সহযোগিতা করছে বলে খবর রয়েছে গোয়েন্দাদের কাছে।

  • Hindu School Teacher Killed: কাশ্মীরে ফের জঙ্গি নিশানায় হিন্দু! কুলগামে নিহত স্কুল শিক্ষিকা

    Hindu School Teacher Killed: কাশ্মীরে ফের জঙ্গি নিশানায় হিন্দু! কুলগামে নিহত স্কুল শিক্ষিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও সাধারণের রক্তে রক্তাক্ত ভূস্বর্গ। আবারও কাশ্মীরে জঙ্গি নিশানায় হিন্দু।

    মঙ্গলবার দক্ষিণ কাশ্মীরের কুলগাম (Kulgam) জেলার গোপালপোড়া (Gopalpora) এলাকায় জঙ্গিদের (Terrorists) গুলিতে আহত হন এক কাশ্মীরি স্কুল শিক্ষিকা (Kashmiri School Teacher)। আজ সকাল ১০ টা নাগাদ শিক্ষিকার মাথায় গুলি করে জঙ্গিরা। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে পরে তাঁর মৃত্যু হয়। গোপালপোড়ার স্কুলটিতে হামলার জায়গায় দ্রুত সুরক্ষা বাহিনী গিয়ে এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।

    [tw]


    [/tw]

    কিছুদিন আগেই বদগামে জঙ্গিদের গুলিতে নিহত হন কাশ্মীরের স্থানীয় অভিনেত্রী আমরীন ভাট। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের জঙ্গি হামলার খবর পাওয়া গেল উপত্যকায়। এবারও, এক হিন্দুকে নিশানা করেছে জঙ্গিরা। হামলাকারীদের চিহ্নিত করে দ্রুত ব্য়বস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। 

    আরও পড়ুন: জ্যাক, জন, আলফা, এই সাক্ষীদের গোপন বয়ানেই দোষী সাব্যস্ত ইয়াসিন মালিক, কারা এই সাক্ষী?

    মৃত শিক্ষিকার নাম রজনী বালা (Rajni Bala)। ৩৬ বছরের রজনী জম্মুর সাম্বার বাসিন্দা। জানা গিয়েছে, মৃত শিক্ষিকা ছিলেন কাশ্মীরের সংখ্যালঘু হিন্দু পণ্ডিত (Kashmiri Pandit) গোষ্ঠীর একজন। এই নিয়ে, চলতি মাসে জঙ্গি হামলায় সাত জনের মৃত্য়ু হল কাশ্মীরে। এদের মধ্যে চারজন ছিলেন পুলিশকর্মী। বাকিরা সাধারণ নাগরিক। 

    আরও পড়ুন: ২৪-ঘণ্টার মধ্যেই কাশ্মীরে সেনা অভিযানে খতম টিভি অভিনেত্রীর হত্যাকারী দুই লস্কর জঙ্গি

    ঘটনাতে উত্তেজনা ছড়িয়েছে কাশ্মীর উপত্যকায়। প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছেন কাশ্মীরি পণ্ডিতরা। রাস্তা অবরোধ করেন তাঁরা। ১২ মে কাশ্মীরি পণ্ডিত রাহুল ভাট অফিসে কর্মরত অবস্থায় জঙ্গিদের হাতে খুন হন। একের পর এক এমন ঘটনায় উপত্যকার সংখ্যালঘু হিন্দুরা ফুঁসে উঠেছেন। তাঁদের বক্তব্য ফের সংখ্যালঘু হিন্দুদের ‘টার্গেট’ করা হচ্ছে।   

    সন্ত্রাসবাদীদের হাতে নিহত রাহুল ভাটের বাবা এদিনের ঘটনার তীব্র নিন্দা করে বলেছেন, “কোনও একটা নির্দিষ্ট সম্প্রদায়কে টার্গেট করে খুন করা হচ্ছে।” নিহত স্কুল শিক্ষিকার এক আত্মীয় বলেন, “আমরা বিচার চাই। সরকার কড়া পদক্ষেপ নিক। বাইরে থেকে আসা কর্মচারীদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করুক সরকার।”

    জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা ঘটনাটির তীব্র নিন্দা করেছেন। একটি ট্যুইটে তিনি লেখেন, “কাশ্মীরে স্কুল শিক্ষিকার ওপর জঙ্গি হামলা ন্যক্কারজনক ঘটনা। তাঁর পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা রইল। জঙ্গিদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে, যা তারা কখনও ভুলবে না।” 

     

     

  • Kashmiri Pandit Killing: অফিসে ঢুকে গুলি করে খুন কাশ্মীরি পণ্ডিতকে, ফের অশান্ত ভূস্বর্গ

    Kashmiri Pandit Killing: অফিসে ঢুকে গুলি করে খুন কাশ্মীরি পণ্ডিতকে, ফের অশান্ত ভূস্বর্গ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভূস্বর্গে জঙ্গিবাদের বলি ফের এক কাশ্মীরি পণ্ডিত (Kashmiri pandit)। সরকারি অফিসে ঢুকে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে খুন করা হয় রাজস্ব বিভাগের কর্মী রাহুল ভাটকে (Rahul Bhatt)। ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে উপত্যকায়। জঙ্গিদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে সরব হয়েছে কাশ্মীরের সংখ্যালঘু পণ্ডিত সম্প্রদায়। ঘটনাটিকে বর্বরোচিত আখ্যা দিয়েছেন লেফটেনেন্ট গভর্নর মনোজ সিনহা ((lieutenant governor Manoj Sinha)।

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে অফিসে কাজ করছিলেন রাহুল। আচমকাই কয়েকজন জঙ্গি বিনা বাধায় অফিসে ঢুকে খুব কাছ থেকে তাঁকে গুলি করে পালিয়ে যায়। কাশ্মীর জোন পুলিশের পক্ষ থেকে ট্যুইট করে জানানো হয়, সশস্ত্র অবস্থায় চাদুরার তহশিলদার অফিসে হানা দিয়েছিল জঙ্গিরা। তারা সংখ্যায় দুজন ছিল। রাহুলকে গুলি করে গা-ঢাকা দেয়। জঙ্গিদের খোঁজে উপত্যকায় তল্লাশি শুরু করেছে নিরাপত্তা বাহিনী।

    [tw]


    [/tw]

     

    কেন্দ্রের তখ্তে বসে কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা রদ করে নরেন্দ্র মোদি (modi) সরকার। তারপর থেকে বেশ শান্ত হয়ে গিয়েছিল উপত্যকা। পাকিস্তানে ইমরান খান সরকারের আসন টলমল করার কিছু আগে থেকেই জম্মু-কাশ্মীরে (jammu & kashmir) ফের বাড়বাড়ন্ত হয় জঙ্গিদের। মাসকয়েক ধরে জঙ্গিরা নিশানা করে চলেছে পরিযায়ী শ্রমিক ও সংখ্যালঘু পণ্ডিত সম্প্রদায়কে। ইতিমধ্যেই যার বলি হয়েছেন বেশ কয়েকজন।

    আরও পড়ুন : “কাশ্মীরে নাশকতা কার্যকলাপে জড়িত”, আদালতে স্বীকারোক্তি ইয়াসিন মালিকের

    গত অক্টোবরেই এক সপ্তাহের মধ্যে জঙ্গিদের হাতে খুন হয়েছেন পাঁচজন। তাঁরা সকলেই শিখ, পণ্ডিত কিংবা ভিন রাজ্য থেকে আসা হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ। নিহতদের এই তালিকায় ছিলেন কাশ্মীরের বিখ্যাত ওষুধ দোকানের মালিক মাখনলাল বিন্দ্রু। কাশ্মীরি পণ্ডিত সম্প্রদায়ের অন্যতম মুখ ছিলেন তিনি। বীরেন্দর পাশোয়ান নামে এক ব্যবসায়ীকেও খুন করেছিল জঙ্গিরা। সন্ত্রাসবাদের বলি হয়েছেন সরকারি স্কুলের অধ্যক্ষ সুপিন্দর কৌর। এই তালিকায়ই এবার উঠল বদগামের রাহুলের নাম। এই এলাকায় এখনও কিছু পণ্ডিত সম্প্রদায়ের মানুষ বসবাস করেন। রাহুল খুনের জেরে ভয়ে সিঁটিয়ে রয়েছেন তাঁরা। জঙ্গিদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবিতে সরব হয়েছেন পণ্ডিতরা।

    নয়ের দশকে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছিল ভূস্বর্গ। প্রায় প্রতিদিনই খুন হতে হচ্ছিল পণ্ডিত সম্প্রদায়ের মানুষকে। যার জেরে দলে দলে লোকজন উপত্যকা ছেড়ে চলে যান অন্যত্র। জঙ্গিদের হাতে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের বিতাড়ন-পর্ব তুলে ধরা হয় সাম্প্রতিককালে মুক্তি পাওয়া ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ সিনেমায়। যা নিয়ে প্রশংসা ও সমালোচনার ঝড় বয়ে গিয়েছে গোটা দেশে। সেই ঘটনার রেশ পুরোপুরি মিলিয়ে যাওয়ার আগেই ভূস্বর্গে ফের হিন্দু-পণ্ডিত নিধন।

     

  • Amit Shah: উপত্যকা সন্ত্রাসমুক্ত করুন, পুলিশ-সেনা কাজ করুক একসঙ্গে, নির্দেশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর

    Amit Shah: উপত্যকা সন্ত্রাসমুক্ত করুন, পুলিশ-সেনা কাজ করুক একসঙ্গে, নির্দেশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  সন্ত্রাস দমনে সেনাকে আরও কঠোর মনোভাব নেওয়ার কথা বললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। উপত্যকার শান্ত পরিবেশকে যারা নষ্ট করছে তাদের যে কোনও মূল্যে শেষ করে দেওয়ার নির্দেশ দিলেন অমিত। জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) নিরাপত্তা নিয়ে মঙ্গলবার তিনটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন তিনি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ওই বৈঠকে ছিলেন লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভাল্লা, কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল। এছাড়াও বিভিন্ন গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা সংস্থার প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।  সন্ত্রাসবাদী এবং যারা তাদের আশ্রয় দেয় তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, “যারা সন্ত্রাসবাদীদের আর্থিক বা অন্য কোনও ধরনের সহায়তা দেয় তাদের কঠোরভাবে দমন করতে হবে।” এর জন্য সেনাকে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন তিনি। অমিত শাহ বলেন, “জম্মু-কাশ্মীরে শান্তি ও সমৃদ্ধি আনার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Modi) লক্ষ্য পূরণ করতে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। নিরাপত্তা গ্রিড শক্তিশালী করতে হবে, যাতে সীমান্তের ওপার থেকে একজন সন্ত্রাসবাদীও অনুপ্রবেশ করতে না পারে এবং যারা রাজ্যে সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করে তাদের দমন করা যায়।”

    আসন্ন অমরনাথ যাত্রা নিয়েও এদিন আলোচনা  করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি জানান, নিরাপত্তার ক্ষেত্রে একাধিক ঝুঁকি সত্ত্বেও অমরনাথ যাত্রা সুষ্ঠভাবে পরিচালনা করতে তৎপর মোদি সরকার। জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বাতিলের পর এই প্রথম অমরনাথ যাত্রায় যাবেন তীর্থযাত্রীরা (Amarnath pilgrimage)। তাই তাঁদের নিরাপত্তা নিয়ে সচেতন কেন্দ্র। অমরনাথ যাত্রায় যাওয়া তীর্থযাত্রীদের প্রত্যেকের জন্য ৫ লক্ষ টাকার বীমা করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। একইসঙ্গে তীর্থযাত্রীদের দেওয়া হবে রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি আইডেন্টিফিকেশন (RFID) ট্যাগ। এর আগে শুধুমাত্র যানবাহনেই এই ধরনের ট্যাগ লাগানো হতো।

    আগামী ৩০ জুন থেকে শুরু হতে যাওয়া অমরনাথ যাত্রা নিয়ে জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যসচিব অরবিন্দ মেহতার সঙ্গে মঙ্গলবার বৈঠক করেন  অমিত। এদিন তিনটি উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠকের মধ্যে দু’টি ছিল অমরনাথ যাত্রার নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে। তৃতীয় বৈঠকে জম্মু ও কাশ্মীরের সামগ্রিক নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। গত কয়েক মাসে জম্মু কাশ্মীরের অমুসলিম নাগরিকদের পাশাপাশি ভিনরাজ্যের অনেককেও নিশানা করেছে জঙ্গিরা। সেই বিষয়টি নিয়েও এদিনের বৈঠকে আলোচনা করেছেন শাহ।

    [tw]


    [/tw]

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, এই প্রথম প্রত্যেক অমরনাথ যাত্রীকে একটি RIFD কার্ড দেওয়া হবে। প্রত্যেকের ৫ লক্ষ টাকার বীমা করা হবে। জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যসচিব বলেছেন, অমরনাথ যাত্রা পথে তাঁবু, ওয়াইফাই হটস্পট এবং যথাযথ আলোর ব্যবস্থা থাকবে। এরই পাশাপাশি অনলাইনে বাবা বরফানির দর্শন,পবিত্র অমরনাথ গুহায় আরতির সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। বেস ক্যাম্পে ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের মতে, যেভাবে অমিত শাহ অমরনাথ তীর্থযাত্রীদের জন্য নিরাপত্তা এবং প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধার বন্দোবস্ত করতে উদ্যোগী হয়েছেন তাতে সমস্যা হওয়ার কথা নয়। অমরনাথ যাত্রায় তীর্থযাত্রীদের সব ধরনের সুযোগ সুবিধার বন্দোবস্ত করাটা মোদি সরকার অগ্রাধিকারের তালিকায় রেখেছে বলে আগেই জানিয়েছিলেন শাহ। তিনি নিজেও নিয়মিতভাবে জম্মু ও কাশ্মীরের নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করছেন। 

    করোনার জেরে দু’বছর অমরনাথ যাত্রা বন্ধ ছিল। সেই কারণেই এবার অমরনাথ যাত্রায় তীর্থযাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তীর্থযাত্রীদের একদল পহেলগাঁও ও আর এক দল বালতাল হয়ে অমরনাথ যাবে। অমরনাথ যাত্রা নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে ১২ হাজার আধাসামরিক বাহিনীর পাশাপাশি কয়েকহাজার জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।জম্মু কাশ্মীরের পৃথক রাজ্যের মর্যাদা তুলে নেওয়ার পর এবারই প্রথম অমরনাথ যাত্রা শুরু হতে চলেছে। সাম্প্রতিক সময়ে উপত্যকার বেশ কয়েকটি জায়গায় হামলা চালিয়েছে জঙ্গিরা। এর মধ্যে এক কাশ্মীরী পণ্ডিতকে গুলি করে হত্যার ঘটনাও রয়েছে। এবার তাই সব দিক থেকেই বাড়তি সতর্কতা নিয়েছে কেন্দ্র।

     

  • Yasin Malik: “কাশ্মীরে নাশকতা কার্যকলাপে জড়িত”, আদালতে স্বীকারোক্তি ইয়াসিন মালিকের

    Yasin Malik: “কাশ্মীরে নাশকতা কার্যকলাপে জড়িত”, আদালতে স্বীকারোক্তি ইয়াসিন মালিকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৫ বছরের পুরনো একটি সন্ত্রাসের মামলায় আদালতে দোষ স্বীকার (plead guilty) করল কাশ্মীরের (Kashmir) বিচ্ছিন্নতাবাদী (JKLF) নেতা মহম্মদ ইয়াসিন মালিক (Yasin Malik)। ২০১৭ সালে সন্ত্রাসের ঘটনায় (2017 Terrorism Case) মালিকের বিরুদ্ধে ইউএপিএ (UAPA) আইনের ধারা ১৬, ১৭, ১৮ এবং ২০-তে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। এছাড়াও ভারতীয় দণ্ডবিধির (Indian Penal Code) ১২০বি এবং ১২৪এ ধারায় অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র (criminal conspiracy) এবং দেশদ্রোহিতার (treason) মামলা রুজু হয় মালিকের বিরুদ্ধে।

    তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, কোনও আইনজীবী ছিল না মালিকের। এমনকী নিজের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রতিদ্বন্দ্বিতাও করেনি মালিক। দিল্লির একটি আদালতের সামনে তিনি সন্ত্রাসবাদী (terrorism) কার্যকলাপে যুক্ত থাকা ও বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনে তাঁর যোগসাজশের বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছেন বলে খবর মিলেছে। আদালতে মালিক জানিয়েছে, তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগগুলি আনা হয়েছে, সেগুলির বিরুদ্ধে সে আদালতে লড়াই করবে না।

    ইয়াসিন ছাড়াও কাশ্মীরের আরও অনেক বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা যেমন ফারুক আহমেদ দার, শাব্বির শাহ, মাসারত আলম, মহম্মদ ইউসুফ শাহ, আফতাব আহমেদ শাহ, আলতাফ আহমেদ শাহ, নইম খান, নাভাল কিশোর কাপুর, বশির আহমেদ ভাটদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেছে এই আদালত। গত মার্চ মাসে চার্জগঠনের সময় আদালত প্রাথমিক তদন্তে জানায় শাব্বির শাহ, ইয়াসিন মালিক, রশিদ ইঞ্জিনিয়ার, আলতাফ ফান্টুশ-সহ হুরিয়ত নেতৃত্ব সরাসরি সন্ত্রাস কার্যকলাপে অর্থ সংগ্রহ করেছে। এছাড়াও অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রেও লিপ্ত ছিল তারা। উপত্যকায় বিরাট বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে এরা। যার ফলে হিংসা-অগ্নিসংযোগের মতো ঘটনাও ঘটেছে। 

    আদালত জানিয়েছে, মালিক গোটা বিশ্বে বিশেষ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করত। সেই টাকা দিয়ে ভূস্বর্গে হিংসা-হানাহানি, বিক্ষোভ এবং বেআইনি কার্যকলাপ করা হত। সেই অপরাধমূলক কার্যকলাপকে কাশ্মীরের স্বাধীনতা সংগ্রামের নাম দিয়েছিল ইয়াসিন মালিক, এমনটাই দাবি আদালতের। বিশেষ আদালতের বিচারক প্রবীন সিং মামলাটি আবার ১৯ মে শুনবেন বলে জানা গিয়েছে। সেখানে সাজা ঘোষণা করা হতে পারে। এই অপরাধের সর্বোচ্চ সাজা হতে পারে যাবজ্জীবন কারাবাস। 

     

     

  • Jammu Encounter: মোদীর সফরের আগে জম্মুতে জোড়া সন্ত্রাস হামলা, নিহত এক জওয়ান, খতম ৬ জঙ্গি

    Jammu Encounter: মোদীর সফরের আগে জম্মুতে জোড়া সন্ত্রাস হামলা, নিহত এক জওয়ান, খতম ৬ জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার জম্মু-কাশ্মীর সফরে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ২০১৯ সালে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করার পর এই প্রথম সীমান্তাঞ্চল বাদ দিয়ে জম্মুর লোকালয়ে আসছেন মোদী। জম্মু থেকে ১৭ কিলোমিটার দূরে সাম্বা জেলার পালি গ্রামে তাঁর সভা করার কথা। পাশাপাশি অমরনাথ যাত্রার জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থাও খতিয়ে দেখার কথা তাঁর। এর আগে জম্মু-কাশ্মীরের রাজৌরি ও নৌসেরা সেক্টরে  সেনা ছাউনিতে দীপাবলি পালন করেন মোদী। তবে, এই প্রথম সেনা ছাউনির বাইরে কাশ্মীরিদের মাঝে যাওয়ার কথা প্রধানমন্ত্রীর।

    তাঁর এই সফরের ঠিক দু’দিন আগে জম্মুর সেনা ছাউনির কাছে নিরাপত্তা বাহিনী এবং জঙ্গিদের মধ্যে চলল গুলির লড়াই। মোদীর সফর বন্ধ করা বা  হুঁশিয়ারি দেওয়ার জন্যই জঙ্গিরা ক্রমাগত জম্মুতে হামলার ছক কষছিল বলে খবর ছিল গোয়েন্দাদের কাছে। সেই মতো জঙ্গি দমনে অভিযান চালায় নিরাপত্তা বাহিনী। সেনা সূত্রে খবর, গুলির লড়াইয়ে এক জন সিআইএসএফ কর্মী নিহত এবং আরও চার জন জওয়ান আহত হয়েছেন। সেনাবাহিনীর গুলিতে দু’জন জঙ্গি মারা গিয়েছে।

    সুঞ্জোয়ান এলাকায় অন্তত দুই জঙ্গির লুকিয়ে থাকার খবর পেয়েছিল পুলিশ। সেই মতো বৃহস্পতিবার রাতে সেনা জম্মু শহরের সুঞ্জোয়ান ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় একটি তল্লাশি শুরু করে। অভিযান শুরুর পরই নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে এলোপাথারি গুলি ও গ্রেনেড বর্ষণ শুরু করে জঙ্গিরা। গুলির আঘাতে সিআইএসএফ-এর এক সহকারি সাব ইনস্পেক্টর নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ৯ জন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান। বাহিনীর প্রত্যুত্তরে খতম হয়েছে ২ জঙ্গি। উদ্ধার হয়েছে প্রচুর অস্ত্র ও স্যাট ফোন।

    জম্মু পুলিশের অতিরিক্ত ডিরেক্টর জেনারেল মুকেশ সিংহ বলেন, ‘‘জঙ্গিদের লুকিয়ে থাকার এবং হামলার ছক কষার তথ্য পেয়ে আমরা বৃহস্পতিবার রাতে ওই এলাকা ঘেরাও করে তল্লাশি অভিযান শুরু করি। জঙ্গি হানার ফলে নিরাপত্তা বাহিনীর এক সদস্য নিহত হন এবং আরও কয়েকজন জন আহত হয়েছেন।  দীর্ঘক্ষণ গুলির লড়াই চলেছে।’’ প্রসঙ্গত, এর আগে ২০১৮ সালেও জঙ্গিরা সুনজবা ক্যান্টনমেন্ট হামলা চালিয়েছিল। সেই হামলায় বেশ কিছু সেনা নিহত হন। 

    অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার জম্মু ও কাশ্মীরের বারামুলায় নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে নিহত হয়েছে নিষিদ্ধ সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার শীর্ষ কমান্ডার মহম্মদ ইউসুফ দার ওরফে কান্ত্রু সহ ৪ জঙ্গি। নির্দিষ্ট খবরের ভিত্তিতে সেনা এবং পুলিশের যৌথবাহিনী অভিযান চালায় বলে জানিয়েছেন জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের আইজি বিজয় কুমার। তিনি জানান, বদগাম জেলার সীমানায় পাহাড় ঘেরা একটি গ্রামে প্রায় এক ঘণ্টা গুলির লড়াই চলে। ইউসুফের সঙ্গেই গুলিতে মারা পড়েছে আরও তিন লস্কর জঙ্গি। ঘটনায় একজন অফিসার সহ চার সেনা জওয়ান ও একজন পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন।

    বিজয় বলেন, ‘‘ইউসুফের বিরুদ্ধে জম্মু ও কাশ্মীর নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্য এবং সাধারণ মানুষকে খুনের অন্তত ১৪টি মামলা রয়েছে।’’ এর মধ্যে রয়েছে গত মার্চে বদগামে এসপিও (স্পেশাল পুলিশ অফিসার) মহম্মদ ইশফাক দার এবং তাঁর ভাই ওমরকে খুনের ঘটনা। গত মাসেই মহম্মদ সামির মোল্লা নামে নিরাপত্তা বাহিনীর এক জওয়ান এবং তাগামুল মহিদিন নামে বদগামের এক গ্রামবাসীকেও ইউসুফ খুন করে বলে অভিযোগ। এ ছাড়া গত বছর কাশ্মীর উপত্যকায় কয়েক জন পরিযায়ী শ্রমিককে খুনের ঘটনাতেও উঠে এসেছিল ওই লস্কর কমান্ডারের নাম। 

LinkedIn
Share