Tag: lok sabha

lok sabha

  • Paris Olympics 2024: বিনেশকে বাতিল, বিশ্ব কুস্তি সংস্থায় প্রতিবাদ আইওএ-র, কী বললেন ক্রীড়ামন্ত্রী?

    Paris Olympics 2024: বিনেশকে বাতিল, বিশ্ব কুস্তি সংস্থায় প্রতিবাদ আইওএ-র, কী বললেন ক্রীড়ামন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোনার লড়াইয়ে নামার আগেই প্যারিস অলিম্পিক্সের (Paris Olympics 2024) ফাইনাল থেকে বাতিল করে দেওয়া হয়েছে বিনেশ ফোগাটকে (Vinesh Phogat)। ওজন বেশি হওয়ার কারণে প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে গিয়েছেন তিনি। সারা দেশের এই হতাশা ভাগ করে নিয়েছেন কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী মনসুখ মান্ডব্য। বুধবার লোকসভায় তিনি জানান, ভারতের পক্ষ থেকে সবরকম চেষ্টা করা হচ্ছে যাতে বিনেশকে ফের প্রতিযোগিতায় ফিরিয়ে আনা যায়। বিশ্ব কুস্তি সংস্থায় এর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে ভারতীয় অলিম্পিক্স (Paris Olympics 2024) অ্যাসোসিয়েশন (আইওএ)।

    পিটি ঊষাকে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ

    এদিন সংসদে ক্রীড়ামন্ত্রী বলেন, ‘‘১০০ গ্রাম ওজন বেশি থাকার কারণে ভারতীয় কুস্তিগির বিনেশ ফোগাটকে বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। বিনেশ ৫০ কেজি বিভাগে খেলছিলেন। বিশ্ব কুস্তি সংস্থার নিয়ম অনুযায়ী, প্রতি দিন সকালে প্রতি বিভাগের খেলোয়াড়দের ওজন মেপে দেখা হয়। বুধবার বিনেশের ওজন মেপে দেখা যায়, ৫০ কেজি ১০০ গ্রাম। তাঁর খেলা বাতিল করে দেওয়া হয়।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আন্তর্জাতিক অলিম্পিক্স কমিটির কাছে এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে ভারতীয় অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন। আইওএ-র প্রেসিডেন্ট পিটি ঊষা প্যারিসে রয়েছেন। ফোনে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। উপযুক্ত পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।’’ 

    আপত্তি ভারতীয় অলিম্পিক সংস্থার

    কোয়ার্টার ফাইনালে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন জাপানের সুসাকিকে পরাস্ত করেছিলেন বিনেশ (Vinesh Phogat)। তারপর সেমিতে কিউবার গুজম্যানকে। স্বপ্ন দেখছিল ভারতবাসী। সেমিফাইনালে জিতে ইতিহাসে নাম লিখিয়ে ফেলেছিলেন বিনেশ। এর আগে কোনও ভারতীয় মহিলা অলিম্পিক্সের কুস্তির প্রতিযোগিতায় ওই পর্যায়ে পৌঁছতে পারেননি। কিন্তু এরপরই দুঃস্বপ্ন। অলিম্পিক্সের নিয়ম অনুযায়ী, ওজন বেশি হলে ওই প্রতিযোগীকে পদকের দৌড় থেকে সরিয়ে তালিকার একেবারে শেষে রাখা হয়। বিনেশের ক্ষেত্রেও তাই ঘটেছে। তবে, হাল ছাড়ছে না ভারত। এই বিষয়ে আন্তর্জাতিক কুস্তি সংস্থার কাছে কড়া আপত্তি জানিয়েছে ভারতীয় অলিম্পিক (Paris Olympics 2024) সংস্থা। 

    আরও পড়ুন: রত্ন ভান্ডারের ভিতর গোপন সুড়ঙ্গ! পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে হতে পারে লেজার স্ক্যানিং

    ক্রীড়ামন্ত্রকের সাহায্য

    কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী এদিন জানান, বিনেশকে অলিম্পিকের (Paris Olympics 2024) প্রস্তুতির জন্য সকল সহায়তা করেছে সরকার। তাঁর প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যক্তিগত কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে। হাঙ্গেরির বিখ্যাত কোচ ওলেস আকোস এবং ফিজিও অশ্বিনী পাটিল তাঁর সঙ্গে সবসময় থাকেন। এছাড়া, দুজন স্পারিং পার্টনার্স (অনুশীলনের সহযোগী), স্ট্রেন্থ অ্যান্ড কন্ডিশনিং বিশেষজ্ঞ রাখার জন্য বিনেশকে অর্থ সহায়তা করেছে মোদি সরকার। তারপরেও এই ঘটনা দুঃখজনক। সূত্রের খবর, বুধবার অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বিনেশ। তাঁকে প্যারিসের হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তাঁর শরীরে জলের ঘাটতি থাকায় এই অসুস্থতা। সারা রাত ধরে ওজন কমানোর জন্য পরিশ্রম করেছিলেন বিনেশ। তাই সকালে অসুস্থ হয়ে পড়েন, এমনই অনুমান।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Saumitra Khan: “রাষ্ট্রপতি-রাজ্যপালকে অমান্য করা বাংলার ট্র্যাডিশন হয়ে দাঁড়িয়েছে”, তোপ সৌমিত্রর

    Saumitra Khan: “রাষ্ট্রপতি-রাজ্যপালকে অমান্য করা বাংলার ট্র্যাডিশন হয়ে দাঁড়িয়েছে”, তোপ সৌমিত্রর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “রাষ্ট্রপতি, রাজ্যপাল এবং আদালতকে অমান্য করা বাংলার ট্র্যাডিশন হয়ে দাঁড়িয়েছে।” মঙ্গলবার লোকসভায় এই ভাষায়ই তৃণমূল শাসিত পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে আক্রমণ শানালেন বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ (Saumitra Khan)। বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে পরপর তিনবার জয়ী হয়েছেন সৌমিত্র। বিজেপির এই সাংসদকেই এবার সংসদে দেখা গেল ফুল ফর্মে। তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকারকে নিশানা করে সৌমিত্র বলেন, “বাংলায় বিরোধীদের স্বাধীনতা নেই, বিজেপির ২০০ জন কার্যকর্তাকে হত্যা করা হয়েছে।”

    কী লিখেছেন সৌমিত্র? (Saumitra Khan)

    এদিন ফেসবুক পেজেও ভিডিও পোস্ট করেছেন সৌমিত্র। পোস্টে লিখেছেন, ‘তৃতীয়বারের জন্য সাংসদ নির্বাচিত হয়ে অষ্টাদশ লোকসভায় মহামহিম রাষ্ট্রপতি মহোদয়ার বক্তব্যের প্রেক্ষিতে ধন্যবাদ জ্ঞাপন সূত্রে বলার সুযোগ পেলাম।’ এখানেও রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল এবং লোকসভার বিরোধী জোটকেও চাঁদমারি করেছেন বিষ্ণুপুরের সাংসদ। এদিন বক্তব্যের শুরুতেই বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাধারণ মানুষকে প্রণাম জানান সৌমিত্র। তৃতীয়বার তাঁকে সাংসদ নির্বাচিত করায় তাঁদের ধন্যবাদও জানান তিনি। সরব হন রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়েও।

    ‘বিরোধীদের স্বাধীনতা নেই’

    বিষ্ণুপুরের সাংসদ (Saumitra Khan) বলেন, “নির্বাচন কমিশন ও কেন্দ্রীয় বাহিনী না থাকলে পশ্চিমবঙ্গে কখনও নির্বাচন হবে না। লোকসভা এবং বিধানসভা নির্বাচন ছাড়া এ রাজ্যে পঞ্চায়েত ও মিউনিসিপ্যাল ভোট হয় না।” পদ্ম-সাংসদ বলেন, “আমাদের ২০০ জন কার্যকর্তাকে হত্যা করা হয়েছে। ওখানে বিরোধীদের কোনও স্বাধীনতা নেই। বিরোধীদের কিছু বলার অধিকার নেই। বিরোধীপক্ষের সাংসদ-বিধায়কদের বৈঠকে ডাকেন না পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী।”

    আর পড়ুন: “মানুষ আপনাদের ক্ষমা করবেন না”, রাহুলের ‘হিন্দু’-মন্তব্য প্রসঙ্গে বললেন মোদি

    কোচবিহারকাণ্ডের প্রসঙ্গ টেনে সৌমিত্র বলেন, “কোচবিহারে কেবল বিজেপি করায় এক মহিলাকে রাস্তায় নগ্ন করে ঘোরানো হয়েছিল। এটা কি তৃণমূল কংগ্রেসের সংস্কৃতি?” বক্তব্য শেয়ার করে সৌমিত্র লিখেছেন, “কয়েকদিন পরে পশ্চিমবঙ্গে হিন্দু জাতি শেষ হয়ে যাবে।” বিষ্ণুপুরের সাংসদ বলেন, “তৃণমূল মহিলাদের সম্মানের কথা বলছে। ওদের মুখে এ কথা মানায় না। চোপড়ায় এক মহিলাকে রাস্তায় ফেলে পিটিয়েছে তৃণমূলের নেতা। এরা আবার বড় বড় কথা বলছে (Saumitra Khan)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “লোকসভায় রাহুল গান্ধীর মতো আচরণ করবেন না”, এনডিএ-র বৈঠকে বললেন মোদি

    PM Modi: “লোকসভায় রাহুল গান্ধীর মতো আচরণ করবেন না”, এনডিএ-র বৈঠকে বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “লোকসভায় কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর মতো আচরণ করবেন না।” মঙ্গলবার এনডিএ-র (NDA) পার্লামেন্টারি বৈঠকে সাফ জানিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার পর এই প্রথম এনডিএর সাংসদদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন মোদি। সেখানেই লোকসভায় কী রকম আচরণ করতে হয়, নয়া সাংসদদের সেই বিষয়ে পরামর্শ দিতে গিয়ে রাহুলের প্রসঙ্গ টানেন প্রধানমন্ত্রী।

    বিরোধীদের কটাক্ষ মোদির (PM Modi)

    একজন চা-বিক্রেতা কীভাবে পর পর তিনবার প্রধানমন্ত্রী পদে বসলেন, কীভাবেই বা তিনি ছুঁয়ে ফেললেন স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহর লাল নেহরুর রেকর্ড, এদিনের বৈঠকে সেই কাহিনিও শোনান নব নির্বাচিত এনডিএ সাংসদদের। বিরোধীদের কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “বিরোধীপক্ষের সদস্যদের পূর্বপুরুষ (নিশানায় নেহরু-গান্ধী পরিবার) প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তাই তাঁরা নিজেদের বৃত্তের বাইরের লোকজনকে খুব একটা মান্যতা দেন না।”

    সাংসদদের কী পরামর্শ দিলেন প্রধানমন্ত্রী?

    তিনি বলেন, “আপনারা সবাই পড়াশোনা করে এসে যে কোনও বিষয়ে বিস্তারিত কথা বলুন, আলোচনায় অংশ নিন।” প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “সাংসদদের তাঁদের এলাকায় জনসাধারণের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতে হবে।” জনকল্যাণে কেন্দ্রীয় সরকার যেসব প্রকল্প চালু করেছে, সেগুলি সম্পর্কেও জনগণকে অবহিত করার পরামর্শও দেন প্রধানমন্ত্রী। কোনও না কোনও ক্ষেত্রে দক্ষতা অর্জনের পরামর্শও এনডিএ (NDA) সাংসদদের দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর ভাষণের পর সংসদের উভয় কক্ষে ধন্যবাদ প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা চলছে। এরই মাঝে এনডিএর সাংসদদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী।

    আর পড়ুন: রাশিয়া সফরে যাচ্ছেন মোদি, আমেরিকাকে ঠিক কোন বার্তা দিতে চাইছে ভারত?

    বৈঠকের শেষে, সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু বলেন, “এদিনের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী সাংসদদের অনেক পরামর্শ দিয়েছেন।” তিনি বলেন, “পার্লামেন্টে রাহুল গান্ধীর ভাষা ঠিক ছিল না। তাই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন সংসদে আমাদের এমন আচরণ করা উচিত নয়।” তিনি বলেন, “নিয়ম মেনে প্রত্যেক সাংসদকে হাউসে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। দেশের কাজকে বেশি করে গুরুত্বও দিতে বলেছেন তিনি।”

    রিজিজু বলেন, “প্রধানমন্ত্রী আজ আমাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্র দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, দেশের সেবা করতেই জনগণ নির্বাচন করেছেন সাংসদদের। তাই দলমত নির্বিশেষে দেশের কাজকেই তাঁদের প্রাধান্য দেওয়া উচিত।” পরিবেশ, সমাজ, রাজনীতি – যাঁর যে বিষয়ে আগ্রহ, তাঁর সেই বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া উচিত বলেও মনে করিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Modi vs Rahul Gandhi: সংসদে রাহুল-মোদি বাকযুদ্ধ! বিরোধী দলনেতার ‘হিন্দুত্ব’ মন্তব্যে পাল্টা জবাব প্রধানমন্ত্রীর

    Modi vs Rahul Gandhi: সংসদে রাহুল-মোদি বাকযুদ্ধ! বিরোধী দলনেতার ‘হিন্দুত্ব’ মন্তব্যে পাল্টা জবাব প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিরোধী দলনেতা হিসেবে প্রথমবার অষ্টাদশ লোকসভায় ভাষণ রাহুল গান্ধীর। কিন্তু বিরোধী দলনেতার প্রথম ভাষণেই তুলকালাম বাঁধল লোকসভায়। এদিন নিজের ভাষণে বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) মন্তব্য করেন, ”হিন্দুরা কখনই হিংসা ছড়ায় না। কিন্তু বিজেপি গোটা দেশে হিংসা এবং ঘৃণা ছড়িয়ে চলেছে। যদিও আমাদের মনে রাখতে হবে যে বিজেপি এবং আরএসএসই সম্পূর্ণ হিন্দু সম্প্রদায় নয়।” আর কংগ্রেস নেতার এই মন্তব্যের পরেই পাল্টা জবাব দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)।   

    রাহুল গান্ধীর মন্তব্য (Modi vs Rahul Gandhi) 

    এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতিতেই সংসদে (Lok Sabha) ঝড় তুললেন বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। কংগ্রেস সাংসদ এদিন গেরুয়া শিবিরকে আক্রমণ শানিয়ে বলেন, ”ভারতের ধারণা, সংবিধানকে বিজেপি আক্রমণ করেছে।” তিনি আরও বলেন, ”ভারতের ধারণা, সংবিধান এবং বিজেপির প্রস্তাবিত ধারণার বিরোধী লক্ষ লক্ষ লোকের উপর নিয়ম মাফিক আক্রমণ করা হচ্ছিল। আমার ওপরেও আক্রমণ শানানো হয়েছে। আমাদের বিরোধীদের অনেকের ওপরই ব্যক্তিগতভাবে হামলা হয়েছে। যারা যারা ক্ষমতা, সম্পদের কেন্দ্রীভূত করার বিরোধিতা করেছেন তাদের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানানো হয়েছে এবং যারা দরিদ্র, দলিত, সংখ্যালঘু ও আদিবাসীদের বিরুদ্ধে আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন, তাদেরও নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা হয়েছে। লোকজনকে জেলে ঢোকানো হয়েছে এবং হুমকি দেওয়া হয়েছে।” এরপর রাহুল গান্ধী বলেন, ”আমাদের সমস্ত মহাপুরুষরা অহিংসার কথা বলেছেন। কিন্তু, যারা নিজেদেরকে হিন্দু বলে দাবি করে, তারা শুধু হিংসা, ঘৃণা, অসত্যের কথা বলে… আপনারা হিন্দুই না।” 

    কী জবাব দিলেন প্রধানমন্ত্রী?   

    এরপরই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দাঁড়িয়ে উঠে বলেন, ”গোটা হিন্দু সমাজকে এভাবে হিংসত্মক বলে দাবি করা হচ্ছে। এটা খুবই গুরুতর বিষয়।” এরপর রাহুল (Modi vs Rahul Gandhi) পাল্টা জবাবে বলেন, ”নরেন্দ্র মোদি সমগ্র হিন্দু সমাজ নন। বিজেপি পুরো হিন্দু সমাজ নয়। আরএসএস সমগ্র হিন্দু সমাজ নয়। এটা বিজেপির কোনও চুক্তি নয়।” 

    আরও পড়ুন: কোচবিহার-চোপড়া নিয়ে চাপে রাজ্য, বিধানসভায় ধর্না বিজেপির, রিপোর্ট তলব রাজ্যপালের

    প্রসঙ্গত, এদিন প্রথম থেকেই সংসদে (Lok Sabha) আক্রমণাত্মক মেজাজে ছিলেন রাহুল গান্ধী। নিজের ভাষণ দেওয়ার সময় রাহুল গান্ধী শিবঠাকুরের একটি ছবি তুলে ধরেন। এরপর তাঁর হিন্দু মন্তব্যের জেরে সংসদে হট্টোগোল শুরু হয়। যদিও সেসময় রাহুলকে বাধা দিয়ে স্পিকার ওম বিড়লা বলেন, ”সংসদে কোনও প্ল্যাকার্ড প্রদর্শনের নিয়ম নেই।” বিরোধী দলনেতার বক্তব্যের মাঝেই আসরে নামেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি রাহুলের হিন্দু মন্তব্যের বিরোধিতা করেন। বিজেপির বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়ানোর অভিযোগের প্রতিবাদ করেন তিনি। বলেন, এভাবে কোনও দলকে দোষারোপ করা যায় না। এমনকি এদিন বিরোধী দলনেতাকে ক্ষমা চাওয়ার দাবিও জানান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Parliament: বিরোধীদের হাঙ্গামার জেরে সোমবার পর্যন্ত স্থগিত সংসদ  

    Parliament: বিরোধীদের হাঙ্গামার জেরে সোমবার পর্যন্ত স্থগিত সংসদ  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার লোকসভায় (Parliament) মেডিক্যাল প্রবেশিকা পরীক্ষা নিটের উপর চর্চার দাবিতে বিরোধীদের হাঙ্গামার জেরে সোমবার পর্যন্ত স্থগিত হয়ে গেল লোকসভা। রীতি ভেঙে রাষ্ট্রপতির ভাষণ শেষে ধন্যবাদ প্রস্তাবের উপর আলোচনার আগে নিট (NEET) বিতর্কে আলোচনা চায় কংগ্রেস।

    নিটের উপর চর্চা চেয়ে হাঙ্গামা (Parliament) 

    লোকসভার (Parliament) বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধি রাষ্ট্রপতির ভাষণ শেষে ধন্যবাদ প্রস্তাবের আগে নিজের প্রস্তাবিত বিষয়ের উপর চর্চার দাবি তোলেন। পাল্টা সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু বলেন, “রাষ্ট্রপতির ভাষণের পর ধন্যবাদ প্রস্তাবের উপর চর্চা হয়। ধন্যবাদ প্রস্তাবের পরেই অন্য বিষয়ে চর্চা হতে পারে। এ বিষয়ে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা বলেন, “আগে থেকেই নির্ধারিত রয়েছে রাষ্ট্রপতির ভাষণের পর ধন্যবাদ প্রস্তাব হবে। ধন্যবাদ প্রস্তাবের আগে বা কার্য স্থগিত রাখা বা অন্য কোণও প্রস্তাব নেওয়া হবে না।” তিনি বিরোধীদের সংসদ চলতে দেওয়ার অনুরোধ করেন। এরপর নিটসহ অন্যান্য বিষয়ে কথা হতে পারে।

    সংসদ শুরু হতেই বিরোধীদের হাঙ্গামা

    দুপুর ১২:০০ টায় সংসদ স্থগিত হওয়ার পর যখন ফের সংসদ (Parliament) শুরু হয়। তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ হাজী নুরুল ইসলাম সদস্যতার শপথ নেন। অসুস্থ থাকার কারণে তিনি এর আগে শপথ নিতে পারেননি। এরপর থেকেই বিরোধীরা নিট সহ অন্যান্য পরীক্ষায় দুর্নীতির অভিযোগ তুলে এ বিষয়ে চর্চার দাবি তোলেন। যদিও ওম বিড়লা এদিন রাষ্ট্রপতির ধন্যবাদ প্রস্তাব চলাকালীন বিরোধীদের প্রস্তাব নেওয়া হবে বলে জানান। তা সত্ত্বেও বিরোধীদের তরফ থেকে হাঙ্গামা বজায় থাকে। পাল্টা স্পিকার বলেন, “পরিকল্পিতভাবে সংসদ চলতে না দেওয়া সংসদীয় গণতন্ত্রে কাম্য নয়। জনগণ সাংসদদের সংসদে হাঙ্গামা করার জন্য পাঠায় না। রাস্তায় বিরোধিতা করা আর সংসদে বিরোধিতা করার মধ্যে পার্থক্য থাকা উচিত।”

    বিজেপির প্রতিক্রিয়া

    বিরোধীদের হাঙ্গামা কিরেন রিজিজু বলেন, “সংসদের ইতিহাসে রাষ্ট্রপতির ভাষণের পর ধন্যবাদ প্রস্তাব ছাড়া অন্য বিষয়ে চর্চার পরম্পরা নেই। এই প্রথমবার কংগ্রেস এবং ইন্ডি জোটের সদস্যরা অন্য বিষয়ে চর্চা চাইছেন। তাঁরা স্পিকারের আসনের কাছে চলে এসে চিৎকার চেঁচামেচি করছেন। আমরা এর নিন্দা করছি।” তিনি আরও বলেন, “চর্চা চলাকালীন (Parliament) যে সমস্ত বিষয়ে আসবে সরকার তার উপরে জবাব দেবে। কিন্তু সংসদ চলতে দিতে হবে।” হাঙ্গামা না থামায় স্পিকার দুপুর ১২:০৭ নাগাদ সোমবার সকাল ১১:০০ পর্যন্ত সংসদ স্থগিত থাকবে বলে ঘোষণা করেন।”

    আরও পড়ূন: বৃন্দাবনে ২০০ বছর পুরানো রাম-সীতার জরাজীর্ণ দোলনা সারাবেন মুসলিম কারিগর

    এদিন সকাল ১১ টা নাগাদ সংসদের কাজ শুরু হয় সংসদ শুরু হতেই স্পিকার ১৩ জন প্রাক্তন সাংসদদের মৃত্যুর জেরে নীরবতা পালনের সিদ্ধান্ত নেন। নীরবতা শেষ হতেই কংগ্রেসসহ বিরোধীদলেরা নিট পরীক্ষায় বিষয়ে চর্চার দাবি তোলে। স্পিকার রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপরে ধন্যবাদ প্রস্তাব চলাকালীন সকলকে নিজেদের দাবি জানানোর কথা বলেন। তিনি বলেন বিরোধীদের সমস্ত বিষয়ে সরকার জবাব দেবে আপনাদের কাছে পর্যাপ্ত সময় দেওয়া হবে কিন্তু তা সত্ত্বেও বিরোধীদের স্লোগান চিৎকার ও হাঙ্গামা থমসেনা দেখে দুপুর দুটো পর্যন্ত বারোটা পর্যন্ত সংসদে স্থগিত করে দেওয়া হয়।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Adjourned: জরুরি অবস্থা নিয়ে স্পিকারের মন্তব্য, হট্টগোলে মুলতুবি লোকসভার অধিবেশন

    Lok Sabha Adjourned: জরুরি অবস্থা নিয়ে স্পিকারের মন্তব্য, হট্টগোলে মুলতুবি লোকসভার অধিবেশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হট্টগোলের জেরে মুলতুবি হয়ে গেল লোকসভার অধিবেশন (Lok Sabha Adjourned)। তৃতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন এনডিএর নেতা বিজেপির নরেন্দ্র মোদি। স্পিকার মনোনীত হয়েছেন ওম বিড়লা। স্পিকার হিসেবে বুধবারই ছিল তাঁর প্রথম বক্তৃতা। আর এদিনই বিরোধীদের সঙ্গে বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন নয়া স্পিকার।

    ‘জরুরি অবস্থার কালো দিন’ (Lok Sabha Adjourned)

    স্পিকার হিসেবে প্রথম বক্তৃতায়ই ‘জরুরি অবস্থার কালো দিনে’র প্রসঙ্গ টানেন ওম। জরুরি অবস্থার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে সাংসদদের দু’মিনিট নীরবতা পালন করতেও বলেন। জনগণের জীবনে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর স্বৈরাচারী শাসনের ক্ষতিকর প্রভাবও তুলে ধরেন তিনি। স্পিকার বলেন (Lok Sabha Adjourned), “এই হাউস ১৯৭৫ সালে জরুরি অবস্থা জারির তীব্র বিরোধিতা করছে। একই সঙ্গে যাঁরা জরুরি অবস্থার বিরোধিতা করেছিলেন, ভারতের গণতন্ত্র রক্ষায় সচেষ্ট হয়েছিলেন, তাঁদের অ্যাপ্রিসিয়েট করছে।” তিনি বলেন, “১৯৭৫ সালের ২৫ জুন ভারতের ইতিহাসে একটি কালো অধ্যায় হিসেবেই থেকে যাবে।”

    কী বলছেন বিরোধীরা?

    স্পিকারের এহেন বক্তব্যের প্রবল বিরোধিতা করেন বিরোধীরা। ‘দেশ কো জেল বানা দিয়া হ্যায়’, ‘তানাশাহি বন্ধ কর’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে শুরু করেন বিজেপি বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দলের জোট ‘ইন্ডি’-র সাংসদরা। এদিকে, দেশে জরুরি অবস্থা জারির জন্য কংগ্রেসকে ক্ষমা চাইতে হবে বলে দাবি করতে থাকেন এনডিএর সাংসদরা। বাদানুবাদের জেরে চরমে ওঠে হট্টগোল। তখনই এদিনের মতো সভা মুলতুবি করে দেন স্পিকার।

    এদিকে, লোকসভার অধ্যক্ষের ভূয়সী প্রশংসা শোনা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির গলায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লিখেছেন, “মাননীয় স্পিকার জরুরি অবস্থার তীব্র নিন্দা করেছেন, সেই সময় ঘটনার বাড়াবাড়িগুলো তুলে ধরেছেন এবং যেভাবে গণতন্ত্রের শ্বাসরোধ করা হয়েছিল, তারও উল্লেখ করেছেন। এতে আমি আনন্দিত। সেই দিনগুলিতে যাঁরা নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন, তাঁদের সম্মানে নীরবতা পালন করাও দুর্দান্ত পদক্ষেপ।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “৫০ বছর আগে জরুরি অবস্থা জারি করা হলেও, আজকের যুবকদের এই ঘটনা সম্পর্কে জানা উচিত।” তিনি জানান, সংবিধানকে উপেক্ষা করা হলে, জনমতকে দাবিয়ে দেওয়া হলে এবং গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করা হলে কী ঘটে, তার উপযুক্ত উদাহরণ হল জরুরি অবস্থা। তিনি লিখেছেন, “জরুরি অবস্থার সময় যা ঘটেছিল, তা স্বৈরাচারী শাসনের উদাহরণ (Lok Sabha Adjourned)।”

    আর পড়ুন: আয়কর দিতে হবে মন্ত্রীদেরই, বড় সিদ্ধান্ত মধ্যপ্রদেশ সরকারের

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Rahul Gandhi: সত্যি হল জল্পনা! লোকসভায় বিরোধী দলনেতা হলেন রাহুল গান্ধী

    Rahul Gandhi: সত্যি হল জল্পনা! লোকসভায় বিরোধী দলনেতা হলেন রাহুল গান্ধী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে জল্পনা সত্যি করে এবারের লোকসভায় বিরোধী দলনেতা নিযুক্ত হলেন রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। মঙ্গলবার কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কে একথা জানালেন সি বেণুগোপাল। এদিন নয়াদিল্লিতে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের বাড়িতে ইন্ডিয়া ব্লকের নেতাদের নিয়ে বৈঠক হয়। সেখানেই রাহুল গান্ধীকে বিরোধী দলনেতা (Leader of Opposition) করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর আগে ২০১৪ ও ২০১৯ সালে পরপর দুবার লোকসভা ভোটে ন্যূনতম ১০ শতাংশ আসনও কংগ্রেসের অধরা ছিল। ফলে লোকসভার বিরোধী দলের মর্যাদা পায়নি কংগ্রেস। তবে এবারের ছবিটা উল্টো। 

    লোকসভায় একাই ৯৯টি আসনে জয়লাভ কংগ্রেসের 

    ২০২৪-এর লোকসভা ভোটে কংগ্রেস একাই ৯৯টি আসনে জয়লাভ করেছে। ইন্ডি জোটে যে সব দল রয়েছে তাদের মধ্যে কংগ্রেসই সর্বাধিক আসনে জিতেছে। স্বাভাবিকভাবেই বিরোধী শিবিরে এবার তাদের জোরও বেশি হওয়ার কথা, এমনই বলছে রাজনৈতিক মহল। তাছাড়া লোকসভা বিরোধী দলনেতার পদ পাওয়ার জন্য একটি রাজনৈতিক দলের ৫৫টির বেশি আসনে জয়লাভের প্রয়োজন। এই পরিস্থিতিতে রাহুলের (Rahul Gandhi) লোকসভা বিরোধী দলনেতা (Leader of Opposition) পদে নিয়োগ খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে কারণ হচ্ছে। কারণ, বুধবার লোকসভার স্পিকার পদে নির্বাচন। ইতিমধ্যেই স্পিকার পদ নিতে বিস্তর প্রতিদ্বন্দ্বিতা শুরু হয়ে গেছে শাসক ও বিরোধী শিবিরের।  

    আরও পড়ুন: স্পিকার পদে ভোটাভুটি আজ, জয় নিশ্চিত বিড়লার, অতীতে তিনবার এই পদে নির্বাচন হয়েছে

    ইন্ডি জোটের সর্বসম্মতিতেই বিরোধী দলনেতা নির্বাচন

    উল্লেখ্য, ভোটের ফল ঘোষণার পর থেকে রাহুল গান্ধীকেই (Rahul Gandhi) বিরোধী দলনেতার করার দাবি তুলেছিলেন কংগ্রেস সাংসদরা। এমনকী, এই মর্মে প্রস্তাবও পাস করা হয় দলের বর্ধিত কর্মসমিতির বৈঠকে। এ প্রসঙ্গে বেনুগোপাল বলেছেন, “সিপিপি চেয়ারপার্সন সোনিয়া গান্ধী প্রোটেম স্পিকার ভর্তৃহরি মাহতাবকে একটি চিঠি লিখে লোকসভার বিরোধী দলনেতা (Leader of Opposition) হিসাবে রাহুল গান্ধীকে নিয়োগের সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন। অন্যান্য পদাধিকারীদের বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।” এরপরে এদিন অধিবেশনের শেষদিকে রাহুলের নাম বিরোধী দলনেতা হিসেবে ঘোষণা করেন প্রোটেম স্পিকার ভর্তৃহরি মহতাব। জানা গিয়েছে ইন্ডি জোটের সর্বসম্মতিতেই রাহুলকে বিরোধী দলনেতা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।  
    প্রসঙ্গত, এবছর কেরলের ওয়ানাড থেকে ফের সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন রাহুল (Rahul Gandhi)। আবার সোনিয়া গান্ধীর ছেড়ে যাওয়া রায়বরেলিতেও রেকর্ড  ৪ লাখ ৪২ হাজারের বেশি ভোটে হারিয়ে দিয়েছেন উত্তরপ্রদেশ যোগী আদিত্যনাথের মন্ত্রিসভার সদস্য দীনেশ প্রতাপ সিংকেও। পরে অবশ্য নিয়মাফিক ওয়ানাড কেন্দ্রটি ছেড়ে দিতে হয় তাঁকে। ওই কেন্দ্রে উপনির্বাচনী কংগ্রেস প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • 18th Lok Sabha Session: নয়া সরকার গঠনের পর আজ শুরু লোকসভার প্রথম অধিবেশন, কী হবে সারাদিন?

    18th Lok Sabha Session: নয়া সরকার গঠনের পর আজ শুরু লোকসভার প্রথম অধিবেশন, কী হবে সারাদিন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নতুন সরকার গঠনের পর আজ, সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে লোকসভার (18th Lok Sabha Session) প্রথম অধিবেশন। নয়া নির্বাচিত সাংসদদের শপথগ্রহণ দিয়ে শুরু হবে অষ্টাদশ লোকসভার এই বিশেষ অধিবেশন। এই অধিবেশনেই শপথ নেবেন সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে জয়ী সাংসদরা ৷ সেইসঙ্গে এই অধিবেশনে নির্বাচিত হবেন নব গঠিত লোকসভার স্পিকার ৷ আগামী ২৬ জুন লোকসভার স্পিকার নির্বাচন করা হবে। পরদিন অর্থাৎ ২৭ জুন লোকসভা এবং রাজ্যসভায় যৌথ ভাষণ দেবেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মর্মু।

    আজ সংসদের সারাদিন

    সোমবার অধিবেশন (18th Lok Sabha Session) শুরুর আগেই রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু লোকসভার প্রোটেম স্পিকার হিসেবে ভ্রাতৃহরি মহতাবকে শপথবাক্য পাঠ করাবেন। রাষ্ট্রপতি ভবনে এই শপথ অনুষ্ঠান হবে। এরপর সকাল ১১টা নাগাদ প্রোটেম স্পিকার পৌঁছবেন লোকসভায়। এরপরে বিজেপি সাংসদরা সকাল ১১টায় সংসদে পৌঁছবেন এবং অধিবেশন শুরুর আহ্বান জানাবেন। প্রথমদিনে নির্বাচিত  সাংসদরা ২ মিনিট নীরবতা পালনের পর লোকসভার সেক্রেটারি জেনারেল উৎপল কুমার সিং সকল নির্বাচিত সাংসদদের তালিকা পেশ  করবেন। এরপর প্রোটেম স্পিকার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Pm Modi) লোকসভার দলনেতা হিসাবে শপথ পাঠের জন্য আহ্বান জানাবেন। এরপরে প্রোটেম স্পিকারকে সাহায্য করার জন্য রাষ্ট্রপতির সুপারিশে সদস্যদের শপথ বাক্য পাঠ করানো হবে। 

    কী কী হবে এবারের অধিবেশনে

    আগামী দুইদিন ধরে সংসদে কেবল প্রতিটি রাজ্য থেকে নির্বাচিত সাংসদদের শপথবাক্য পাঠ করানো হবে। লোকসভার অধ্যক্ষ নির্বাচিত হবে আগামী ২৬ জুন। ২৭ জুন, দুই কক্ষে যৌথ ভাষণ দেবেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। রাষ্ট্রপতির বক্তব্যের ধন্যবাদ জ্ঞাপন নিয়ে ২৮ জুন থেকে আলোচনা শুরু হবে। আগামী ২ বা ৩ জুলাই সংসদে বক্তব্য রাখতে পারেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। এরপরে অধিবেশন মুলতুবি হয়ে যাবে। আগামী ২২ জুলাই থেকে বাজেট পেশের জন্য ফের অধিবেশন শুরু হতে পারে।

    আরও পড়ুন: ডাক্তারিতে সুযোগ, পরে আইএএস! চাকরি ছেড়ে ২৬ হাজার কোটির কোম্পানি রোমান সাইনির

    অধিবেশন সুষ্ঠভাবে চলার আর্জি

    এবারের লোকসভা (18th Lok Sabha Session) অধিবেশন সুষ্ঠভাবে চলুক চায় বিজেপি। দেশকে এগয়ে নিয়ে যাওয়ার স্বার্থে অধিবেশন শান্তিপূর্ণ ভাবে চলা আবশ্যক বলে মত গেরুয়া শিবিরের। তাই অধিবেশন শুরুর আগে রবিবার লোকসভায় তৃণমূলের নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেন সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু। তিনি জানিয়েছেন, সরকার চায় সংসদের অধিবেশন সুষ্ঠভাবে চলুক। সেই নিয়েই সুদীপের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bhartruhari Mahtab: লোকসভার প্রোটেম স্পিকার পদে নিযুক্ত ভর্তৃহরি মহতাব, জানুন তাঁর পরিচয়

    Bhartruhari Mahtab: লোকসভার প্রোটেম স্পিকার পদে নিযুক্ত ভর্তৃহরি মহতাব, জানুন তাঁর পরিচয়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওড়িশার সাত বারের সাংসদ ভর্তৃহরি মহতাবকে (Bhartruhari Mahtab) লোকসভার প্রোটেম স্পিকার (Pro Tem Speaker) হিসাবে নিয়োগ করলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। সংসদের স্থায়ী স্পিকার নির্বাচিত হওয়ার আগে পর্যন্ত তিনি ওই পদের দায়িত্ব সামলাবেন। চলতি মাসের ২৪ তারিখ থেকে লোকসভার বিশেষ অধিবেশন বসতে চলেছে। যা চলবে ৩ জুলাই পর্যন্ত। আর তার আগেই প্রোটেম স্পিকার নির্বাচন করা হল ওড়িশার বর্ষীয়ান নেতা ভর্তৃহরি মহতাবকে। এদিন বিজেপি সাংসদ ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু এক্স হ্যান্ডলে একথা জানিয়েছেন।

    কে এই ভর্তৃহরি মহতাব? (Bhartruhari Mahtab)  

    ভর্তৃহরি মহতাব ২৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে সংসদ সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ডঃ হরেকৃষ্ণ মহতাবের পুত্র। যিনি ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সদস্য ছিলেন এবং ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতা সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এছাড়াও ডঃ হরেকৃষ্ণ মহতাব ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে দুই দফা দায়িত্ব পালন করেন। চলতি বছর বিজেপিতে যোগদান করেন ভর্তৃহরি। এর আগে, বিজেপি নেতা বিজু জনতা দল (বিজেডি)-এর সদস্য ছিলেন এবং এই দলের হয়ে ছয়বার সাধারণ নির্বাচনে জয়লাভ করেন। তবে এবারের ভোটে কটক থেকে তাঁকে প্রার্থী করে গেরুয়া শিবির। ৫৭ হাজারের বেশি ভোটে জিতেছেন তিনি। এ বারে লোকসভার স্পিকার হওয়ার দৌড়েও নাম ছিল বর্ষীয়ান এই নেতার। তবে তার আগে প্রোটেম স্পিকার (Pro Tem Speaker) হিসাবে তাঁকে নিয়োগ করা হল।   

    আরও পড়ুন: পরীক্ষা বিতর্কে গর্জে উঠলেন শিক্ষামন্ত্রী! ‘কেউ রেহাই পাবে না’, আশ্বাস ধর্মেন্দ্র প্রধানের

    কী কারনে এই সিদ্ধান্ত? 

    প্রোটেম স্পিকারের (Pro Tem Speaker) পদ সাময়িক। সাধারনত, কোনও কারণে স্পিকারের পদ খালি থাকলে কিছু সময়ের জন্য প্রোটেম স্পিকার নিয়োগ করা হয়ে থাকে। গত ৪ জুন লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশিত হয়েছে। ৯ জুন প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথগ্রহণ করেছেন নরেন্দ্র মোদি। তাঁর সঙ্গে আরও ৭১ জন মন্ত্রী শপথ নিয়েছেন। কিন্তু লোকসভার স্পিকার হিসাবে এখনও কেউ নির্বাচিত হননি। তাই স্পিকার নির্বাচনের আগে পর্যন্ত তাঁর কাজ চালাবেন ভর্তৃহরি (Bhartruhari Mahtab)। ১৮তম লোকসভায় নতুন নির্বাচিত সদস্যদের সাংসদ হিসাবে তাঁদের শপথগ্রহণের অনুষ্ঠান এখনও বাকি। প্রোটেম স্পিকার (Bhartruhari Mahtab) তাঁদের শপথ নেওয়াবেন। তাঁকে সহায়তা করবেন চেয়ারপার্সনদের একটি প্যানেল, যার মধ্যে কংগ্রেস নেতা কে সুরেশ, ডিএমকে নেতা টি আর বালু, বিজেপি সদস্য রাধা মোহন সিং এবং ফাগগান সিং কুলাস্তে এবং তৃণমূল কংগ্রেস নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় অন্তর্ভুক্ত আছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP: স্পিকার-ডেপুটি স্পিকার পদে কারা, বৈঠকে বসছেন বিজেপি নেতৃত্ব

    BJP: স্পিকার-ডেপুটি স্পিকার পদে কারা, বৈঠকে বসছেন বিজেপি নেতৃত্ব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গল-সন্ধ্যায় বৈঠকে বসতে চলেছেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব। বৈঠক হবে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের বাসভবনে। লোকসভায় স্পিকার এবং ডেপুটি স্পিকার কারা হবেন, তা ঠিক করতেই বৈঠকে বসছেন পদ্ম নেতৃত্ব। সূত্রের খবর, বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারেন এনডিএর কয়েকটি শরিক দলের নেতারা। সংসদের বিশেষ অধিবেশন শুরু হবে ২৩ জুন। তার দুদিন পরে ২৬ তারিখে হবে স্পিকার এবং ডেপুটি স্পিকার নির্বাচন।

    স্পিকার নির্বাচন (BJP)

    লোকসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের কোনও সাংসদকেই স্পিকার পদে মনোনীত করা হয় (BJP)। প্রথা মেনে ডেপুটি স্পিকারের পদটি দেওয়া হয় বিরোধীদের। গত লোকসভার অধিবেশনে ডেপুটি স্পিকার পদে কাউকে বসানো হয়নি। যা নিয়ে সমালোচনার ঝড় বয়ে গিয়েছিল দেশজুড়ে। কংগ্রেসের এক প্রবীণ নেতা বলেন, “সরকার যদি ডেপুটি স্পিকারের পদটি বিরোধীদের না দেয়, তাহলে আমরা লোকসভার স্পিকার পদে প্রার্থী দেব।” প্রসঙ্গত, আগামী সপ্তাহে স্পিকার নির্বাচনে বিরোধীরা যদি সরকার পক্ষকে বাধ্য করেন, তাহলে স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে এমন ঘটনা এই প্রথম হবে। কারণ এতদিন পর্যন্ত স্পিকার বেছে নেওয়া হত সর্বসম্মতিক্রমে। এই দায়িত্ব সচরাচর বর্তায় কোনও অভিজ্ঞ সাংসদের ওপর।

    প্রথম স্পিকার

    সেন্ট্রাল লেজিসলেটিভ অ্যাসেম্বলিতে প্রথম স্পিকার নির্বাচন হয়েছিল পরাধীন ভারতে, ১৯২৫ সালের ২৪ অগাস্ট। এই নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন স্বরাজি পার্টির মনোনীত প্রার্থী ভিত্তালভাই জে প্যাটেল। তিনি পরাজিত করেছিলেন টি রঙ্গচারিয়ারকে। মাত্র দুটি ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছিলেন প্যাটেল। তিনি পেয়েছিলেন ৫৮টি ভোট। আর তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বীর ঝুলিতে গিয়েছিল ৫৬টি ভোট। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে স্পিকার নির্বাচিত হন সর্বসম্মতিক্রমে। তবে এমএ আয়েঙ্গার, জিএস ধিলোঁ, বলরাম জাখর এবং জিএমসি বালাযোগী পরবর্তী লোকসভাগুলিতেও স্পিকার মনোনীত হয়েছিলেন।

    আর পড়ুন: পাকিস্তানের চেয়ে বেশি পরমাণু অস্ত্র রয়েছে ভারতের হাতে, বলছে রিপোর্ট

    অষ্টাদশ লোকসভার প্রথম অধিবেশন শুরু হবে ২৪ জুন। এই অধিবেশনে প্রথমে শপথ নেবেন সাংসদরা। পরে হবে স্পিকার নির্বাচন। প্রথা মেনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্পিকার নির্বাচনে মোশন আনবেন ২৬ তারিখে।প্রসঙ্গত, বর্ষীয়ান সাংসদ কংগ্রেসের কে সুরেশকে লোকসভায় প্রোটেম স্পিকার করা হতে পারে। তাঁর কাছেই (BJP) শপথ নেবেন সাংসদরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share