Tag: madhyom bangla

madhyom bangla

  • Operation Sindoor: বোঝার আগেই শেষ! পাক-ভূমে জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিতে তিন ‘স্মার্ট’ অস্ত্র ব্যবহার ভারতের

    Operation Sindoor: বোঝার আগেই শেষ! পাক-ভূমে জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিতে তিন ‘স্মার্ট’ অস্ত্র ব্যবহার ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁও হামলার জবাবে মঙ্গলবার গভীর রাতে পাকিস্তান ও পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor) চালিয়েছে ভারত। প্রায় ২৫ মিনিটের এই ‘প্রিসিশন স্ট্রাইক’-এ ৯টি জঙ্গি ঘাঁটির ২১টি টার্গেটকে ধ্বংস করেছে ভারতীয় যুদ্ধবিমান। পাকিস্তান কিছু বুঝে ওঠার আগেই গোটা অপারেশন শেষ। আর জঙ্গি ঘাঁটিগুলিকে গুঁড়িয়ে দিতে রাফালে চাপিয়ে পাঠানো হয় বিশেষ কয়েকটি মিসাইল ও বম্ব (Special Weapons)। গোটা অভিযানের পরিচালন তিন বাহিনীর সমন্বয়ে সংগঠিত হয়। তবে, বম্ব নিক্ষেপ করার কাজ করেছে ভারতীয় বায়ুসেনার রাফাল যুদ্ধবিমান। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ ব্যবহার করা হয়েছে হ্যামার বোমা, স্ক্যাল্প ক্রুজ মিসাইল এবং লয়টারিং মিউনিশন। মূলত নির্ভুল লক্ষ্যে আঘাত হানতে সক্ষম, দূরপাল্লার এই বিশেষ অস্ত্রশস্ত্র ব্যবহার করেছে ভারতীয় বায়ুসেনা। এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক এই অস্ত্রগুলির বিশেষত্ব—

    স্ক্যাল্প ক্রুজ মিসাইল (Scalp Cruise Missile)—

    এটি স্টর্ম শ্যাডো নামেও পরিচিত। এটি একটি দীর্ঘ পাল্লার আকাশ থেকে ভূমি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র। যুদ্ধবিমান থেকে ছোড়া হয় এই ক্ষেপণাস্ত্র, যা ২৫০ কিলোমিটারের বেশি দূরত্ব অতিক্রম করে শত্রুপক্ষের ঘাঁটিতে (Operation Sindoor) আঘাত হানতে সক্ষম। দিনে হোক বা রাতে, যে কোনও মরসুমে এটি নির্ভুলভাবে লক্ষ্যে আঘাত হানতে সক্ষম। যে কারণে, বিশ্বের সব সামরিক বাহিনীর কাছে এটি অত্যন্ত প্রিয়।

    হ্যামার স্মার্ট বম্ব (Hammer Smart Bomb)—

    পুরো নাম হাইলি অ্যাজাইল মডিউলার মিউনিটন এক্সটেন্ডেড রেঞ্জ। শক্তিশালী পরিকাঠামো যেমন রিইনফোর্সড বাঙ্কার বা বহুতল বিল্ডিং অথবা অস্ত্রভাণ্ডার গুঁড়িয়ে দিতে ওস্তাদ হ্যামার স্মার্ট বোমা। ৫০-৭০ কিলোমিটার দূরত্বে আঘাত হানতে সক্ষম হ্যামার। কত উঁচু থেকে ছোড়া হচ্ছে, তার উপর নির্ভর করে আঘাতের তীব্রতা। এই অভিযানে (Operation Sindoor) হ্যামার দিয়ে লস্কর-ই-তৈবা ও জৈশ-ই-মহম্মদের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলিকে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।

    লয়টারিং মিউনিশন (Loitering Munition)—

    এগুলি কামিকাজে বা আত্মঘাতী ড্রোন হিসেবেও পরিচিত। মূলত লুকিয়ে এলাকার পর নজরদারি চালানোর জন্য, কোথায় জঙ্গি ঘাঁটি রয়েছে, তাতে কী কী রয়েছে বা কারা-কতজন রয়েছে, তা জানতে এই যন্ত্র ব্যবহার করে সেনাবাহিনী (Operation Sindoor)। যত ক্ষণ পর্যন্ত না লক্ষ্য নির্ধারণ হচ্ছে, তত ক্ষণ উড়ে বেড়ায় এই ড্রোন। স্বয়ংক্রিয় ভাবেও উড়তে পারে এই ড্রোন, আবার রিমোটের মাধ্যমেও নিয়ন্ত্রণ করা যায় (Special Weapons)। লক্ষ্যবস্তুকে চিহ্নিত করার পাশাপাশি, এই ড্রোনে বিস্ফোরক বা পেলোডও বসানো যায়। ড্রোনের মাধ্যমেই আঘাত হানা যায় লক্ষ্যে।

  • HS Result 2025: প্রথম বর্ধমানের রূপায়ণ, বার্ষিক ব্যবস্থায় শেষ উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ফল প্রকাশিত

    HS Result 2025: প্রথম বর্ধমানের রূপায়ণ, বার্ষিক ব্যবস্থায় শেষ উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ফল প্রকাশিত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উচ্চমাধ্যমিকের ফল (HS Result 2025) প্রকাশিত হল বুধবার। এদিন দুপুর ১২টা নাগাদ ২০২৫ সালের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করল উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। গত ৩ মার্চ থেকে শুরু হয়েছিল পরীক্ষা। শেষ হয়েছিল ১৮ মার্চ। পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৫০ দিন পর ফল প্রকাশ করল সংসদ। সাংবাদিক বৈঠকে সাংসদ জানিয়েছে, কোভিডকালের তিন বছর বাদ দিলে গত ১০ বছরে সেরা ফলাফল হয়েছে এই বছর। দীর্ঘদিন ধরে যে ধাঁচে উচ্চমাধ্যমিক হয়ে আসছিল, আজ ফলাফল প্রকাশের সঙ্গে-সঙ্গে সেটা ‘ইতিহাস’-র জায়গা করে নিল। আগামী বছর (২০২৬ সাল) থেকে সেমিস্টার-ভিত্তিক উচ্চমাধ্যমিক হবে। যে পড়ুয়ারা ২০২৪ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে একাদশ শ্রেণিতে ভরতি হয়েছিলেন, তাঁরাই সেমেস্টার প্রথার আওতায় প্রথম উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দেবেন। আর তৃতীয় ও চতুর্থ সেমিস্টারের পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে উচ্চমাধ্যমিকের চূড়ান্ত মেধাতালিকা প্রকাশ করা হবে আগামী বছর থেকে।

    প্রথম বর্ধমানের ছাত্র

    উচ্চমাধ্যমিকে ৯৯.৪ শতাংশ নম্বর (HS Result 2025) পেয়ে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন পূর্ব বর্ধমানের রূপায়ণ পাল। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৭। রূপায়ণ বর্ধমান সিএমএস হাইস্কুলের ছাত্র। দ্বিতীয় স্থানে কোচবিহারের তুষার দেবনাথ। বক্সিরহাট হাইস্কুলের ছাত্র। প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৬ (৯৯.২ শতাংশ)। ৪৯৫ (৯৯ শতাংশ) নম্বর পেয়ে এ বছর তৃতীয় স্থান অধিকার করেছেন আরামবাগের রাজর্ষি অধিকারী। চতুর্থ স্থানে রয়েছেন বাঁকুড়ার সৃজিতা ঘোষাল। তার প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৪ (৯৮.৮ শতাংশ)। পঞ্চম স্থান অধিকারী করেছেন ছয় জন। প্রত্যেকের প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৩ (৯৮.৬ শতাংশ)। ষষ্ঠ স্থানে রয়েছেন আট জন। প্রত্যেকের প্রাপ্ত নম্বর ৪৯২ (৯৮.৪ শতাংশ)।

    উচ্চমাধ্যমিকে জেলার জয়জয়কার

    সংসদ জানিয়েছে, উচ্চমাধ্যমিকে (HS Result 2025) এই বছর প্রথম দশে হুগলি থেকে সবচেয়ে বেশি পড়ুয়া রয়েছেন। মোট ১৪ জন রয়েছেন প্রথম দশে। কলকাতার মাত্র তিন জন। উচ্চ মাধ্যমিকের মেধাতালিকায় প্রথম দশে রয়েছে ৭২ জন। তাদের মধ্যে কলকাতার স্কুল থেকে তিন জন রয়েছে। ৪৯০ পেয়ে তথাগত রায় অষ্টম স্থান অধিকার করেছে। সৌনক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সৃজিতা দত্ত দু’জনেই নবম স্থানে রয়েছে। তাঁদের প্রাপ্ত নম্বর ৪৮৯। উচ্চ মাধ্যমিকে এ বছর পাশের হার ৯০.৭৯ শতাংশ। শীর্ষে পূর্ব মেদিনীপুর। পাশের হারে দ্বিতীয় উত্তর ২৪ পরগনা এবং তৃতীয় কলকাতা। পাশের হারে এগিয়ে ছাত্ররা। তাদের পাশের হার ৯২%-এর বেশি। মেয়েদের মধ্যে পাশের হার ৮৮%-এর বেশি। গত বছর উচ্চ মাধ্যমিকে পাশের হার ছিল ৯০ শতাংশ। বিজ্ঞান বিভাগে পাশের হার ৯৯.৪৬ শতাংশ। বাণিজ্যে ৯৭.৫২ শতাংশ এবং কলা বিভাগে ৮৮.২৫ শতাংশ।

    কীভাবে জানবেন রেজাল্ট

    বুধবার দুপুর ২:০০ টো থেকে সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইট এবং মোবাইল অ্যাপে উচ্চমাধ্যমিক ২০২৫-এর রেজাল্ট (HS Result 2025) পাওয়া যাচ্ছে। ৮ মে, বৃহস্পতিবার, সকাল ১০টার পর স্কুল থেকে মার্কসিট ও সার্টিফিকেট পাবেন ছাত্রছাত্রীরা। মোবাইলে উচ্চ মাধ্যমিক দ্বাদশ শ্রেণির ফলাফলের লিঙ্ক বা রেজাল্ট অপশনে ক্লিক করুন। নির্দিষ্ট বক্সে আপনার রোল নম্বর এবং জন্ম তারিখ লিখুন। বিস্তারিত তথ্য দেওয়ার পর, সাবমিট বাটনে ক্লিক করুন। এবার আপনার ফলাফল স্ক্রিনে দেখাবে

    বার্ষিক ব্যবস্থায় শেষ উচ্চমাধ্যমিক

    বার্ষিক ব্যবস্থায় শেষ উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা (HS Result 2025) হল এ বছরই। আগামী বছর থেকে সেমেস্টার ব্যবস্থা চালু হবে উচ্চমাধ্যমিকে। উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, পড়ুয়ারা যে স্কুলে পড়ছেন, সেই স্কুলে তৃতীয় এবং চতুর্থ সেমেস্টারের পরীক্ষা হবে না। বাইরের স্কুলে গিয়ে দিতে হবে দুটি সেমেস্টারের পরীক্ষা। সংসদের সভাপতির কথায়, ‘(পরেরবার থেকে) বছরে ২টো উচ্চমাধ্যমিক নেওয়া হবে।’ সংসদের তরফে জানানো হয়েছে, ভোকেশনাল সাবজেক্ট, ভিস্যুয়াল আর্টস এবং মিউজিক বাদ দিয়ে বাকি বিষয়গুলির পরীক্ষা হবে ১ ঘণ্টা ১৫ মিনিটের। সকাল ১০ টা থেকে পরীক্ষা শুরু হবে। চলবে সকাল ১১ টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত। আর ভোকেশনাল সাবজেক্ট, ভিস্যুয়াল আর্টস এবং মিউজিকের পরীক্ষার সময় হল ৪৫ মিনিট। সকাল ১০ টা থেকে পরীক্ষা শুরু হয়ে চলবে সকাল ১০ টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত।

    আগামী উচ্চমাধ্যমিকের রুটিন

    তৃতীয় সেমিস্টারের পরীক্ষা

    ১) ৮ সেপ্টেম্বর (সোমবার): বাংলা (প্রথম ভাষা), ইংরেজি (প্রথম ভাষা), হিন্দি (প্রথম ভাষা), নেপালি (প্রথম ভাষা), উর্দু, সাঁওতালি, ওড়িয়া, তেলুগু, গুজরাটি এবং পঞ্জাবি।

    ২) ৯ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার): হেলথ কেয়ার, অটোমোবাইল, অর্গানাইজড রিটেলিং, সিকিউরিটি, আইটি অ্যান্ড আইটিইএস, ইলেকট্রনিকস, ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি, প্লাম্বিং, কনস্ট্রাকশন, অ্যাপ্ররেল, বিউটি অ্যান্ড ওয়েলনেস, এগ্রিকালচার, পাওয়ার – ভোকেশনাল সাবজেক্ট।

    ৩) ১০ সেপ্টেম্বর (বুধবার): ইংরেজি (দ্বিতীয় ভাষা), বাংলা (দ্বিতীয় ভাষা), হিন্দি (দ্বিতীয় ভাষা), নেপালি (দ্বিতীয় ভাষা) এবং অল্টারনেটিভ ইংলিশ।

    ৪) ১১ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার): অর্থনীতি, অ্যাথ্রোপলজি, সায়েন্স অফ ওয়েল বিয়িং, অ্যাপ্লায়েড আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্স।

    ৫) ১২ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার): ফিজিক্স, নিউট্রিশন, এডুকেশন এবং অ্যাকাউন্টেন্সি।

    ৬) ১৩ সেপ্টেম্বর (শনিবার): কম্পিউটার সায়েন্স, মর্ডান কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন, এনভায়রনমেন্টাল স্টাডিজ, হেলথ অ্যান্ড ফিজিক্যাল এডুকেশন, মিউজিক এবং ভিস্যুয়াল আর্টস।

    ৭) ১৫ সেপ্টেম্বর (সোমবার): স্ট্যাটিসটিকস, সাইকোলজি, কমার্শিয়াল ল অ্যান্ড প্রিলিমিনারিস অফ অডিটিং এবং ইতিহাস।১০) ১৬ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার): কেমিস্ট্রি, ভূগোল, হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট এবং বিজনেস স্টাডিজ।

    ১১) ১৮ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার): ফিলোজফি।

    ১২) ১৯ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার): অঙ্ক, এগ্রিকালচার, জার্নালিজম অ্যান্ড মাস কমিউনিকেশন, সংস্কৃত, পার্সিয়ান এবং আরবিক।

    ১৩) ২০ সেপ্টেম্বর (শনিবার): সাইবার সিকিউরিটি, আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্স, ডেটা সায়েন্স, সোশিয়োলজি।

    ১৪) ২২ সেপ্টেম্বর (সোমবার): বায়োলজিক্যাল সায়েন্স, পলিটিকাল সায়েন্স, কস্টিং অ্যান্ড ট্যাক্সেশন।

    চতুর্থ সেমিস্টারের পরীক্ষার পুরো রুটিন

    ১) ১২ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার): বাংলা (প্রথম ভাষা), ইংরেজি (প্রথম ভাষা), হিন্দি (প্রথম ভাষা), নেপালি (প্রথম ভাষা), উর্দু, সাঁওতালি, ওড়িয়া, তেলুগু, গুজরাটি এবং পঞ্জাবি।

    ২) ১৩ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার): ইংরেজি (দ্বিতীয় ভাষা), বাংলা (দ্বিতীয় ভাষা), হিন্দি (দ্বিতীয় ভাষা), নেপালি (দ্বিতীয় ভাষা) এবং অল্টারনেটিভ ইংলিশ।

    ৩) ১৭ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার): ফিজিক্স, নিউট্রিশন, এডুকেশন এবং অ্যাকাউন্টেন্সি।

    ৪) ১৮ ফেব্রুয়ারি (বুধবার): হেলথ কেয়ার, অটোমোবাইল, অর্গানাইজড রিটেলিং, সিকিউরিটি, আইটি অ্যান্ড আইটিইএস, ইলেকট্রনিকস, ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি, প্লাম্বিং, কনস্ট্রাকশন, অ্যাপ্ররেল, বিউটি অ্যান্ড ওয়েলনেস, এগ্রিকালচার, পাওয়ার – ভোকেশনাল সাবজেক্ট।

    ৫) ১৯ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার): অঙ্ক, এগ্রিকালচার, জার্নালিজম অ্যান্ড মাস কমিউনিকেশন, সংস্কৃত, পার্সিয়ান এবং আরবিক।

    ৬) ২০ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার): বায়োলজিক্যাল সায়েন্স, পলিটিকাল সায়েন্স, কস্টিং অ্যান্ড ট্যাক্সেশন।

    ৭) ২১ ফেব্রুয়ারি (শনিবার): স্ট্যাটিসটিকস, সাইকোলজি, কমার্শিয়াল ল অ্যান্ড প্রিলিমিনারিস অফ অডিটিং এবং ইতিহাস।

    ৮) ২৩ ফেব্রুয়ারি (সোমবার): কেমিস্ট্রি, ভূগোল, হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট এবং বিজনেস স্টাডিজ।

    ৯) ২৪ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার): ফিলোজফি।

    ১০) ২৫ ফেব্রুয়ারি (বুধবার): অর্থনীতি, অ্যাথ্রোপলজি, সায়েন্স অফ ওয়েল বিয়িং, অ্যাপ্লায়েড আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্স।

    ১১) ২৬ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার): সাইবার সিকিউরিটি, আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্স, ডেটা সায়েন্স, সোশিয়োলজি।

    ১২) ২৭ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার): কম্পিউটার সায়েন্স, মর্ডান কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন, এনভায়রনমেন্টাল স্টাডিজ, হেলথ অ্যান্ড ফিজিক্যাল এডুকেশন, মিউজিক এবং ভিস্যুয়াল আর্টস।

  • Pahalgam Attack: ‘‘প্রতিষ্ঠিত হল ন্যায়বিচার, ভরসা ছিল মোদিজির ওপর’’, বলছে পহেলগাঁও হামলায় নিহতদের পরিবার

    Pahalgam Attack: ‘‘প্রতিষ্ঠিত হল ন্যায়বিচার, ভরসা ছিল মোদিজির ওপর’’, বলছে পহেলগাঁও হামলায় নিহতদের পরিবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁওয়ের (Pahalgam Attack) সন্ত্রাসী হামলায় নিহতদের পরিবারগুলি অপারেশন সিঁদুরকে স্বাগত জানিয়েছেন। একই সঙ্গে ভারতীয় সেনাবাহিনীর তরফ থেকে এমন পদক্ষেপ করার জন্য তাদেরকেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন শহিদ পরিবারগুলি। তাঁরা আরও বলছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপর তাঁদের ভরসা ছিল। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নিহতদের পরিবারগুলি ভারত সরকারের প্রতি নিজেদের কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেছেন। সবমিলিয়ে তাঁরা জানাচ্ছেন, অপারেশন সিঁদুরের মাধ্যমে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হল। পহেলগাঁও সন্ত্রাসী হামলাতে প্রাণ হারিয়েছেন ভারতীয় নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট বিনয় নারোয়াল। তাঁর মা আশা নারোয়াল বলেন, ‘‘আমার পুরো পরিবার মোদির পাশে আছে। তিনি আজ প্রতিশোধ নিতে পেরেছেন।’’

    প্রকৃত ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, বলছেন পহেলগাঁওয়ে নিহতের কন্যা

    প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার গভীর রাতে অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) প্রয়োগ করা হয়। এই অভিযানের মাধ্যমে ভারতীয় বায়ুসেনা গুঁড়িয়ে দেয় পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের নয়টি জঙ্গি ঘাঁটি। হিজবুল মুজাহিদিন, লস্কর-ই-তৈবা, জৈশ-ই-মহম্মদের ঘাঁটিগুলিকে মাটিতে মিশিয়ে দেওয়া হয়। ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওতে ধর্ম বেছে বেছে হিন্দু পর্যটকদের হত্যা করা হয়। সন্ত্রাসবাদীদের হাতে নিহত হন সন্তোষ জগদল। তাঁরই মেয়ে আশাভরি জগদল সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘‘পহেলগাঁওতে (Pahalgam Attack) অনেকেই নিজেদের স্বামী এবং তাঁদের বাবাকে হারিয়েছেন। কিন্তু তা বৃথা যায়নি, ভারত নিহতদের প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধা জানিয়েছে এবং ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।’’

    অপারেশন সিঁদুর নাম শুনে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন আশাভরি জগদল

    আশাভরি জগদল আরও বলেন, ‘‘ভারত পহেলগাঁও হামলার (Pahalgam Attack) প্রতিশোধ নিতে পেরেছে। এই মিশনের নাম অপারেশন সিঁদুর শুনে আমি অত্যন্ত আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলাম। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ শ্রীনগরে এসেছিলেন নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সেসময় দেখেছিলাম স্বামীহারা মহিলার কান্নাকাটি করছিলেন। হাহাকার করছিলেন। আমার মনে হয় এই কারণেই অভিযানের সঙ্গে এমন নাম যুক্ত করা হয়েছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘১৫ দিনের মধ্যে এই ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত করার জন্য ভারত সরকারকে ধন্যবাদ জানাতে চাই।’’ প্রসঙ্গত ১৯৭১ সালের পরে ভারত-পাকিস্তানের এতটা ভিতরে ঢুকে হামলা চালিয়েছে যা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

    মোদিকে ধন্যবাদ জানালেন সন্তান হারা পিতা

    অন্যদিকে, পহেলগাঁও হামলায় এক নিহতের পিতা মনোজ দ্বিবেদী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘অবশেষে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হল। ২২ এপ্রিল যখন আমাদের সন্তানের (Pahalgam Attack) জীবন যায়, তখনই আমরা বলেছিলাম যে প্রত্যাঘাত আসতে চলেছে। আমরা নিশ্চিত ছিলাম প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সন্ত্রাসবাদকে দমন করতে কঠোরতম পদক্ষেপ করবেন। আজ সেনাবাহিনী আমাদের সন্তানকে প্রকৃত শ্রদ্ধা জানিয়েছে এবং তার জন্য আমি প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানাতে চাই।’’

    পহেলগাঁওয়ে নিহত লেফটেন্যান্ট বিনয় নারোয়ালের মা কী বলছেন?

    পহেলগাঁও সন্ত্রাসী (Pahalgam Attack) হামলাতে প্রাণ হারিয়েছেন ভারতীয় নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট বিনয় নারোয়াল। তাঁর মা আশা নারোয়াল ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘আমার পুরো পরিবার মোদির পাশে আছে। তিনি আজ প্রতিশোধ নিতে পেরেছেন। পহেলগাঁওয়ের সন্ত্রাসবাদী হামলায় যাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন তাঁদের সকলের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে এই অভিযানের মাধ্যমে।’’

    মোদিজি পাকিস্তানকে দেখিয়ে দিয়েছেন, আমরা চুপ করে বসে থাকব না

    পহেলগাঁও সন্ত্রাসী হামলায় নিহত সন্তোষ জগদলের দলের স্ত্রী প্রগতি জগদল বলেন, ‘‘ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রী মোদিজি পাকিস্তানকে দেখিয়ে দিয়েছেন যে আমরা চুপ করে বসে থাকব না। আমার মনে হয় অপারেশন সিঁদুরের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী সন্ত্রাসবাদের অবসান ঘটাবেন।’’ প্রতিরক্ষা মন্ত্রক অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) নিয়ে ইতিমধ্যেই বিবৃতি জারি করেছে। তারা জানিয়েছে যে, শুধুমাত্র জঙ্গি ঘাঁটিগুলি ধ্বংস করার জন্যই এই ধরনের পদক্ষেপ করা হয়েছিল। কোনও রকমের পাকিস্তানের সামরিক ঘাঁটিকে লক্ষ্যবস্তু বানানো হয়নি।

    সকাল থেকেই জম্মুর স্থানীয় বাসিন্দাদের মুখে ‘ভারত মাতা কি জয়’ ধ্বনি

    বুধবার সকাল থেকেই জম্মুর স্থানীয় বাসিন্দারা ভারতীয় সেনা জিন্দাবাদ, ভারত মাতা কি জয় প্রভৃতি স্লোগান দিতে থাকেন। একই সঙ্গে একজন স্থানীয় বাসিন্দা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘পাকিস্তানের মদতে সংঘটিত হওয়া এই সন্ত্রাসী হামলার জবাব দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমরা দেশের সরকার এবং ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রতি সত্যি কৃতজ্ঞ।’’ বায়ুসেনার তরফে জানানো হয়েছে, অপারেশন সিঁদুর-এ অংশ নেওয়া বায়ুসেনার সমস্ত বিমানচালক নিরাপদে ফিরে এসেছেন। যে ক’টি ঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়েছে সেগুলির প্রতিটির ছবি বুধবারের সাংবাদিক বৈঠকে দেখান বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি। এরপরেই তিনি বলেন, ‘‘কোনও সাধারণ নাগরিকে ক্ষতি করা হয়নি। পাক সেনাঘাঁটিতে হামলা করা হয়নি। প্রযুক্তির সাহায্যে জঙ্গি ঘাঁটিগুলিকে ধ্বংস করা হয়েছে।’’

  • India Pakistan Conflict: লজ্জা ঢাকতে মিথ্যের আশ্রয়! ভারতের এয়ার স্ট্রাইকের পর সমাজ মাধ্যমে ভুয়ো খবর ছড়াচ্ছে পাকিস্তান

    India Pakistan Conflict: লজ্জা ঢাকতে মিথ্যের আশ্রয়! ভারতের এয়ার স্ট্রাইকের পর সমাজ মাধ্যমে ভুয়ো খবর ছড়াচ্ছে পাকিস্তান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার গভীর রাতে ভারতীয় সেনাবাহিনী পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটিতে বিমান হামলা চালায়, যাতে এখনও পর্যন্ত ১০০-রও বেশি সন্ত্রাসবাদীর মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর (Operation Sindoor) অধীনে ভারতীয় সেনাবাহিনী জইশ-ই-মহম্মদ, লস্কর-ই-তৈবা এবং হিজবুল মুজাহিদিনের সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটিগুলি সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দিয়েছে। এই হামলার পর থেকে ফের পাকিস্তান (India Pakistan Conflict) ভুয়ো খবর ছড়াচ্ছে।

    পুরনো ছবি ব্যবহার করে প্রচার

    পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র সামাজিক মাধ্যমে দাবি করেন যে, পাকিস্তান বিমান বাহিনীর সব বিমান আকাশে সক্রিয় রয়েছে। তবে ভারতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সব হামলা ভারতের নিজস্ব আকাশসীমা থেকেই পরিচালিত হয়েছে। ভারতের সামরিক অভিযানে তাদের য মুখ পুড়েছে, সেই লজ্জা ঢাকতে সোশ্যাল মিডিয়ায় তো নানা মিথ্যা প্রচার চলছেই, পাক সরকার ঘেঁষা সংবাদমাধ্যমগুলিও একই প্রচার করে চলেছে। কোথাও কোথাও রটিয়ে দেওয়া হয়েছে, অপারেশন সিন্দুর-এর পাল্টা নাকি পাকিস্তান শ্রীনগর এয়ারবেসকে টার্গেট করেছে। কিন্তু, প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো তরফে ফ্যাক্ট চেক করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ‘একটা ভিডিয়ো একাধিক পাকিস্তানপন্থী হ্যান্ডল থেকে শেয়ার করছিলেন। মিথ্যে করে বলা হচ্ছিল পাক বিমানবাহনী শ্রীনগর এয়ারবেসকে নিশানা করেছে। কিন্তু পিআইবি জানিয়েছে, এই ভিডিও ভারতের নয়। এটি ২০২৪ সালের পাকিস্তানের খাইবারপাখতুনখাওয়ার একটা সংঘর্ষের ভিডিও।

    পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ‘দুনিয়া নিউজ টিভি’ জানিয়েছে, “ভারতের আগ্রাসনের উপযুক্ত জবাব দিয়েছে পাকিস্তান সশস্ত্র বাহিনী এবং দুইটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান গুলি করে নামানো হয়েছে।” একইভাবে, পাকিস্তানের ‘এআরওয়াই নিউজ’ পুরনো ছবি ব্যবহার করে সেগুলোকে বর্তমান ঘটনার ছবি বলে প্রচার করছে। আবার, পাকিস্তানি সোশ্যাল হ্যান্ডলে এও দাবি করা হয়, ভারতের মধ্যে ১৫টি জায়গায় পাল্টা আঘাত হেনেছে পাকিস্তানি সেনারা। এমনকী এর সঙ্গে ভারতীয় সেনার ব্রিগেড হেডকোয়ার্টার ধ্বংস করেছে পাকিস্তানি সেনারা। এই দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যে বলেই জানিয়েছে প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো। পিআইবি জানিয়েছে যে, এই ধরনের যাচাই না করা তথ্য শেয়ার করা থেকে বিরত থাকতে হবে, সঠিক তথ্যের জন্য শুধুমাত্র ভারত সরকারের সরকারি উৎসের উপরে নির্ভর করা দরকার।

    রাফাল নয় মিগ ২৯ 

    ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে উত্তেজনার আবহে এক ভুয়ো ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে তুমুল হারে ছড়িয়ে পড়েছে, যেখানে দাবি করা হচ্ছে যে, পাকিস্তান একটি ভারতীয় রাফাল জেট ভেঙে ফেলেছে পুঞ্চ সেক্টরের কাছে। কিন্তু এই দাবি একেবারেই মিথ্যা। ভারতীয় সেনা প্রমাণ করে দিয়েছে, এটি রাজস্থানের বারমের জেলায় ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে দুর্ঘটনায় পড়া একটি মিগ-২৯ যুদ্ধবিমানের ছবি। পাকিস্তানি গণমাধ্যম এটিকে বর্তমান অভিযানের ছবি হিসেবে ভুলভাবে ব্যবহার করছে। পাকিস্তানের দাবি বর্তমান ভারতীয় অভিযানের সঙ্গে সম্পর্কহীন এবং বিভ্রান্তিকর। ভারতের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এয়ারস্ট্রাইকটি ছিল পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসী হামলার প্রত্যুত্তরে একটি জবাব, যা মূলত সীমান্তপারে সন্ত্রাসী অবকাঠামো লক্ষ্য করে চালানো হয়।

    বিভ্রান্তি ছড়ানোই লক্ষ্য

    পাকিস্তানের অনেক সাংবাদিক ভারতের বিমান হামলার পর ইয়েমেনের সানায় হওয়া বিমান হামলা, গাজায় ইজরায়েলি হামলা এবং সিরিয়ায় হওয়া ধ্বংসযজ্ঞের ছবি শেয়ার করছেন। পাকিস্তানের সোশ্যাল মিডিয়ায় কান্নারত শিশু এবং ধ্বংসপ্রাপ্ত মসজিদের ছবি শেয়ার করা হচ্ছে, যারও কোনও ভিত্তি নেই। কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, এই ধরনের মিথ্যা তথ্য সমাজে বিভ্রান্তি তৈরি করে এবং অকারণে আতঙ্ক ছড়ায়। সাধারণ নাগরিকদের অনুরোধ করা হচ্ছে—যে কোনো ভিডিও বা তথ্য যাচাই করে তবেই শেয়ার করুন।

  • Operation Sindoor: বেছে বেছে ৯ জঙ্গি ঘাঁটিকেই কেন টার্গেট করল ভারত? কী হত এখানে?

    Operation Sindoor: বেছে বেছে ৯ জঙ্গি ঘাঁটিকেই কেন টার্গেট করল ভারত? কী হত এখানে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জঙ্গিদের মদত দেওয়ার পরিণাম কী হতে পারে মঙ্গলবার গভীর রাতে তা হাড়ে হাড়ে টের পেল পাকিস্তান। পাক অধ্যুষিত কাশ্মীর ও সেদেশের পাঞ্জাব প্রদেশে নির্দিষ্ট জায়গায় ভয়াবহ হামলা (Operation Sindoor) চালায় ভারতীয় সেনা। এদিন ভারত বেছে বেছে ৯টি জঙ্গি ঘাঁটিতেই হামলা চালায়। জানা যাচ্ছে, সাধারণ নাগরিকদের যেন কোনও ক্ষতি না হয়, সেই জন্য রাতের বেলাকে হামলার সময় হিসেবে বেছে নেয় বায়ুসেনা, এমনটাই অনুমান বিশেষজ্ঞদের।

    আঘাত হানা হল যে ৯ জঙ্গি ঘাঁটিতে

    মার্কাজ শুভান আল্লাহ ঘাঁটি

    ভারতীয় বিমান বাহিনীর প্রথম টার্গেট ছিল পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের বাহওয়ালপুরে অবস্থিত মার্কাজ শুভান আল্লাহ ঘাঁটি। জানা যায়, এটি আসলে জঙ্গি জইশ-ই-মহম্মদের ডেরা। এখান থেকেই তারা (Operation Sindoor) ২০১৯ সালে হওয়া পুলওয়ামা হামলার ছক কষেছিল।

    মার্কাজ তৈবা জঙ্গি ঘাঁটি

    জানা যাচ্ছে, এটিও লস্করদের অতি গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটি এটি। এখানেই জঙ্গিদের নিয়োগ থেকে প্রশিক্ষণ সব চলত। পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশেই এটি অবস্থিত। ২০০০ সাল থেকেই এই ঘাঁটি সক্রিয় ছিল।

    সর্জল, তেহরা কালান

    পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের নারোয়াল জেলায় অবস্থিত হল এই ঘাঁটি। জইশ-ই-মহম্মদ গোষ্ঠীর এই ঘাঁটি সীমান্ত সংলগ্ন হওয়ায় (Operation Sindoor) এখান দিয়েই জঙ্গিরা ভারতে ঢুকে থাকে। আরও জানা গিয়েছে, কোনও হামলার পর তারা চোট পেলে সবার প্রথমে এখানেই চিকিৎসার জন্য এসে থাকেন।

    মার্কাজ আহলে হাদিথ বারনালা

    পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের ভিমবের এলাকায় তৈরি হয়েছে লস্করদের এই জঙ্গি ঘাঁটি। মঙ্গলবার গভীর রাতে হামলার সেটিও পরিণত হয়েছে ধ্বংসস্তূপে। প্রসঙ্গত, বারনালা হল পাক অধ্যুষিত কাশ্মীরের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখার জন্য তৈরি অন্য়তম কেন্দ্র।

    মাশকার রাহিল শহিদ

    এটিও পাক অধিকৃত কাশ্মীরেরই অংশবলে জানা গিয়েছে। হিজবুল-মুজাহিদিন জঙ্গি গোষ্ঠী চালাত এই ঘাঁটি।

    শাওয়াই নাল্লাহ ক্যাম্প

    বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০০০ সালে এই ঘাঁটি তৈরি করে লস্কর গোষ্ঠী। জঙ্গি নিয়োগের কাজ চলত এখান থেকে।

    মুরিদকেতে বড় হামলা চালানো হয়

    ভারত (India)-পাকিস্তান সীমান্ত থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত মুরিদকেতে বড় হামলা চালানো হয়। এটি ২৬/১১ মুম্বই হামলার সঙ্গে যুক্ত লস্কর-ই-তৈবার একটি ঘাঁটি। ১৯৯০ সাল থেকে এই মুরিদকে-তেই ছিল লস্কর-ই-তৈবার হেডকোয়ার্টার। হাফিজ সইদের নেতৃত্বে চলত এই সেন্টার। ২০০৮ সালে এখানেই আজমল কাসভ ও হেডলির ট্রেনিং হয়েছিল বলে জানা যায়।

    সাওয়াই ক্যাম্পেও হামলা

    পাক অধিকৃত কাশ্মীরে তাংধার সেক্টরে, সাওয়াই ক্যাম্পেও হামলা চালানো হয়েছে। এটিও একটি লস্কর-ই-তৈইবার ঘাঁটি। সোনমার্গ (২০ অক্টোবর, ২০২৪), গুলমার্গ (২৪ অক্টোবর, ২০২৪) এবং পহেলগাঁও হামলার সঙ্গে যোগ ছিল এই জঙ্গি ঘাঁটির।

    গুলপুরেও হামলা চালায় ভারতীয় সেনা

    নিয়ন্ত্রণ রেখার ৩৫ কিলোমিটার দূরে গুলপুরেও হামলা চালায় ভারতে সেনা। গোয়েন্দা তথ্য থেকে জানা যায়, ২০২৩ সালের এপ্রিলে পুঞ্চে ভারতীয় সৈন্যদের ওপর হামলা এবং ২০২৪ সালের জুনে হিন্দু তীর্থযাত্রীদের একটি বাসে হামলার ঘটনায় যুক্ত ছিল এই জঙ্গি ঘাঁটি।এছাড়াও, আর তিনটি ঘাঁটি হল যথাক্রমে শিয়ালকোটে অবস্থিত মেহমুনা জয়া ঘাঁটি, কোটিলে অবস্থিত মার্কাজ আব্বাস ও মার্কাজ সায়েদা বিলালেও হামলা চালিয়েছে ভারত।

    কোটলি ও বাহওয়ালপুরকে কেন হামলার জন্য বেছে নেওয়া হল?

    মোট দু’টি জায়গায় প্রত্যাঘাত করেছে ভারতীয় বায়ুসেনা। একটি পাক অধ্যুষিত আজাদ কাশ্মীরের কোটলি, অন্যটি পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের বাহওয়ালপুরে। তবে বেছে বেছে এই দু’টি জায়গাতেই কেন আঘাত আনল ভারত? বিশেষজ্ঞদের মতে, কাশ্মীরে যে জঙ্গি নাশকতা সূত্রপাত, তা এই এলাকা থেকেই শুরু হয়েছে। ভারতের সীমানা সংলগ্ন এলাকা হওয়াতে (Operation Sindoor) প্রতি মুহূর্তে এই এলাকাগুলিতেই অনুপ্রবেশ চালিয়েছে জঙ্গিরা।

    বাহওয়ালপুর

    পাকিস্তানের দক্ষিণ পাঞ্জাবে অবস্থিত হল বাহওয়ালপুর এই এলাকায় হানা দেয় ভারত।এখানেই ছিল জঙ্গি গোষ্ঠী জইশ-ই-মহম্মদের মূল ডেরা। যা গুঁড়িয়ে দিল ভারত। জানা গিয়েছে, ২০০১ সালে ভারতের সংসদে আক্রমণ ও ২০১৯ সালে পুলওয়ামা হামলার ষড়যন্ত্র এখানে বসেই হয়েছিল। এই জঙ্গি ঘাঁটি দেখভাল করত মাসুদ আজহার। বিশ্বের মোস্ট ওয়াটেড সন্ত্রাসীদের মধ্যে সে অন্যতম। সূত্রের খবর, মাঝে মধ্যেই বাহওয়ালপুরের সদর দফতরে আসত মাসুদ। শুধু তাই নয়, আরও জানা যাচ্ছে, এই বাহওয়ালপুরেই জন্ম মাসুদের। হামলার পরে ইতিমধ্যে সমাজমাধ্য়মে পাকিস্তানি এক যুবকের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, যেখানে ওই যুবককে দাবি করতে শোনা যাচ্ছে, ‘মাসুদ আজহারের মাদ্রাসায় ভয়াবহ হামলা হয়েছে। পরপর চারটি মিসাইল ফেলা হয়েছে।’ প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বাহওয়ালপুরের জইশ-ই-মহম্মদের সদর দফতরে অদূরেই রয়েছে পাক সেনার ঘাঁটি। কিন্তু এরপরেও পাকিস্তান বলে যে তারা সন্ত্রাসে মদত দেয় না। সূত্রের খবর (Operation Sindoor), এই বাহওয়ালপুরেই রয়েছে একটি গোপন পারমাণবিক কেন্দ্র।

    কোটলি

    কোটলিতে লস্কর-ই-তৈবার ঘাঁটিও ধূলিস্যাৎ বিমান হামলায়। হাফিজ সইদের হাত ধরেই যাত্রা শুরু হয় লস্কর-ই-তৈবার। ২০০৮ সালের মুম্বই হামলার অন্যতম মূল চক্রী হাফিজ সইদ। কাশ্মীরে সন্ত্রাসী আঘাত হানার নেপথ্যে অন্যতম কারিগর এই জঙ্গি নেতা।

  • Operation Sindoor: জঙ্গি ডেরায় অভিযান সফল, ‘পাকিস্তান ফের কিছু করলে তারও জবাব পাবে’, বলল ভারত

    Operation Sindoor: জঙ্গি ডেরায় অভিযান সফল, ‘পাকিস্তান ফের কিছু করলে তারও জবাব পাবে’, বলল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁও হামলার ১৫ দিন পর প্রত্যাঘাত ভারতের। পহেলগঁওয়ে জঙ্গি হামলার পাল্টা জবাবে ভারতীয় সেনাবাহিনী পাকিস্তান ও পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে ৯টি জঙ্গি ঘাঁটিতে সফল বিমান হামলা চালিয়েছে। মঙ্গলবার গভীর রাতে মাত্র ২৫ মিনিটের অভিযান ‘অপারেশন সিঁদুর’। অপরেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) ভারতীয় সেনা, বিমান বাহিনী ও নৌবাহিনীর যৌথ অভিযান। ভারতের উন্নয়নের গতি স্তব্ধ করতে পহেলগাঁওয়ে হামলা চালানো হয়, বলে জানান বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি। এরপরই পরিকল্পিতভাবে মিডনাইট স্ট্রাইক ভারতের। তিনি যোগ করেন, এই ঘাঁটি থেকে আরও হামলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছিল। তাই এগুলিকে গুঁড়িয়ে দেওয়ার প্রয়োজন ছিল।

    সন্ত্রাসবাদীদের পরিকাঠামো ধ্বংস

    বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি বলেন, ‘‘পহেলগাঁও হামলার তদন্তে পাকিস্তানের যোগসূত্র সামনে এসেছে। ২২ এপ্রিলের হামলার উদ্দেশ্য ছিল কাশ্মীরের শান্তি ও স্বাভাবিক পরিস্থিতি নষ্ট করা। এই হামলা ছিল অমানবিক এবং নির্মম। এর মাধ্যমে কাশ্মীরের শান্তি ও উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় আঘাত হানা হয়েছে। হামলার ধরন স্পষ্টভাবে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার উদ্দেশ্যে পরিচালিত। এটি শুধুই একটি প্রাণঘাতী আক্রমণ নয়, বরং বেঁচে যাওয়া মানুষদের মাধ্যমে এক আতঙ্কের বার্তা ছড়ানোর চেষ্টা।’’ বিদেশ সচিব বলেন, ‘‘আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা জড়িতদের এবং পরিকল্পনাকারীদের চিহ্নিত করেছে। ভারত সন্ত্রাসবাদীদের পরিকাঠামো ধ্বংস করার জন্য তার অধিকার প্রয়োগ করেছে।’’

    কোথায় কোথায় হামলা

    পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি জায়গায় জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করেছে ভারতীয় বায়ুসেনা। এর মধ্যে রয়েছে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের বাহাওয়ালপুরের ২টি জায়গা, মুরিদকে এবং শিয়ালকোট। পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মুজফ্ফরাবাদ, কোটলি এবং ভীমবের। এছাড়াও গুলপুর ও চক আমরুতে জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনা। এর মধ্যে বাহাওয়ালপুরে জইশ-ই-মহম্মদের ঘাঁটি, মুরিদকেতে লস্কর-ই-তৈবার ঘাঁটি, সারজালে জইশ ঘাঁটি, শিয়ালকোটে হিজবুল মুজাহিদিনের ঘাঁটি, বারনালায় লস্করের ঘাঁটি, কোটলিতে জইশ ও হিজবুলের ঘাঁটি, মুজফ্ফরাবাদে লস্কর ও জইশের ঘাঁটি ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার গভীর রাতে পরিচালিত এই অভিযানের বিস্তারিত তথ্য দেন ভারতীয় স্থলসেনার কর্নেল সোফিয়া কুরেশি ও বায়ুসেনার উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিং। পাকিস্তানের যে কোনও প্রতিক্রিয়ার জবাব দিতে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে, বলে জানান সোফিয়া। বায়ুসেনার তরফে জানানো হয়, অপারেশন সিঁদুরে অংশ নেওয়া বায়ুসেনার সমস্ত বিমানচালক নিরাপদে ফিরে এসেছেন। যে ক’টি ঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়েছে সেগুলির প্রতিটির ছবি দেখানো হয় সাংবাদিক বৈঠকে। এরপর তাঁরা বলেন, “কোনও সাধারণ নাগরিকে ক্ষতি করা হয়নি। পাক সেনাঘাঁটিতে হামলা করা হয়নি। প্রযুক্তির সাহায্যে জঙ্গি ঘাঁটিগুলিকে ধ্বংস করা হয়েছে।

  • Operation Sindoor: মধ্যরাতে পাক ভূখণ্ডে এয়ার স্ট্রাইক ভারতের, কোথায় কোথায় হামলা? কত জঙ্গি খতম?

    Operation Sindoor: মধ্যরাতে পাক ভূখণ্ডে এয়ার স্ট্রাইক ভারতের, কোথায় কোথায় হামলা? কত জঙ্গি খতম?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁও হামলার বদলা নিল ভারত (India)। মঙ্গলবার গভীর রাতে পাকিস্তান ও অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিল ভারতীয় বাহিনী (Operation Sindoor)। ভারতের এই প্রত্যাঘাত অভিযানের নাম দেওয়া হয় অপারেশন সিঁদুর। সেনার তরফ থেকে এয়ার টু সারফেস মিসাইল ব্যবহার করে এই সফল হামলা চালানো হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত যা খবর, তাতে ভারতের এই ‘প্রিসিশন স্ট্রাইক’-এ শতাধিক জঙ্গি খতম হয়েছে। তবে, অসমর্থিত সূত্রের খবর, সংখ্যাটা হতে পারে আরও কয়েক গুণ বেশি।

    কোন কোন জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হল (Operation Sindoor)?

    ● বাহওয়ালপুরের মারকাজে জৈশ-ই-মহম্মদের ঘাঁটিতে

    ● মুরিদকেতে লস্কর-ই-তৈয়বার ঘাঁটিতে

    ● তাহরা কালানের সারজালে জৈশ-ই-মোহাম্মদের ঘাঁটিতে

    ● শিয়ালকোটের মেহমুনা জোয়ায়ায় হিজবুল মুজাহিদিনের ঘাঁটিতে

    ● মারকাজে আহলে হাদিসে লস্কর-ই-তৈয়বার ঘাঁটিতে

    ● কোটলিতে জৈশ-ই-মোহাম্মদের ঘাঁটিতে

    ● কোটলিতে হিজবুল মুজাহিদিনের ঘাঁটিতে

    ● মুজাফ্ফরাবাদের শাওয়াই নাল্লা ক্যাম্পে লস্কর-ই-তৈয়বার ঘাঁটিতে

    ● মুজাফ্ফরাবাদের সৈয়দনা বিলাল ক্যাম্পে জৈশ-ই-মোহাম্মদের ঘাঁটিতে

    কতজন সন্ত্রাসী খতম (Operation Sindoor)?

    বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ভারতীয় বায়ুসেনার অভিযানে ১০০-র বেশি জঙ্গি নিধন হয়েছে। তবে, এটাই শেষ নয়। কারণ, ভারতীয় সেনা গোয়েন্দাদের সূত্রে প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, ওই সব জঙ্গি ঘাঁটিতে ৯০০-র কাছাকাছি জঙ্গি ছিল। বাহওয়ালপুরে ২৫০ জনেরও বেশি জঙ্গি ছিল। মুরিদকে ছিল ১২০ জনেরও বেশি জঙ্গি। মুজাফ্ফরাবাদে ১১০-১৩০ জনেরও বেশি জঙ্গি ছিল। কোটলিতে ৭৫-৮০ জন জঙ্গি ছিল। গুলপুরে ৭৫-৮০ জন জঙ্গি ছিল। ভিম্বারে ৬০ জন জঙ্গি ছিল। চক আমরুতে ৭০-৮০ জন জঙ্গি ছিল। শিয়ালকোটে ১০০ জন জঙ্গি ছিল। এই ঘাঁটিগুলিকে মাটিতে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে খবর। ফলে, ধ্বংসস্তূপ সরলে সংখ্যা অনেকটাই বাড়তে পারে। পাকিস্তান দাবি করেছে ৮ জন মারা গিয়েছে। এদিকে, সূত্রের খবর, বাহওয়ালপুরে নিহতদের মধ্যে জৈশ প্রধান আজহার মাহমুদের পরিবারেরই ১৪ সদস্য রয়েছে।  ফলে, পাক কোনও সারবত্তা নেই, তা প্রমাণিত।

    ‘‘ঘুসকে মারেঙ্গে’’! পাকিস্তানের ১০০ কিমি ভিতরে ঢুকে চলল হামলা (Operation Sindoor)

    ‘‘ঘুসকে মারেঙ্গে’’! অর্থাৎ ‘‘ঢুকে মারব’’। পহেলগাঁও হামলার পর বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কথা রেখেছেন তিনি। শুধু পাক-অধিকৃ ত কাশ্মীরই নয়, একেবারে পাকিস্তানের (Operation Sindoor) ভূখণ্ডেও এয়ারস্ট্রাইক চালাল ভারত। মঙ্গলবার মধ্যরাতে রাত ১ টা ৪০ মিনিট থেকে ২ টা ২০ মিনিট পর্যন্ত অভিযানে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল একাধিক জঙ্গিঘাঁটি। ৯ জায়গায় প্রত্যাঘাত। ১৯৭১ সালের পরে পাকিস্তানের এত বেশি অভ্যন্তরে গিয়ে অভিযান চালাল ভারত।

    ১. বাহাওয়ালপুর – ১০০ কিমি ভেতরে
    ২. মুরিদকে – ৩০ কিমি ভেতরে
    ৩. গুলপুর – ৩৫ কিমি ভেতরে
    ৪. সাওয়াই ক্যাম্প – ৩০ কিমি ভেতরে
    ৫. বিলাল ক্যাম্প – দূরত্ব নির্দিষ্ট করা হয়নি
    ৬. কোটলি ক্যাম্প – ১৫ কিমি ভেতরে
    ৭. বার্নালা ক্যাম্প – ১০ কিমি ভেতরে
    ৮. সরজাল ক্যাম্প – ৮ কিমি ভেতরে
    ৯. মেহমুনা ক্যাম্প – ১৫ কিমি ভেতরে

  • Operation Sindoor: পহেলগাঁওয়ের বদলা নিল ভারতীয় সেনা! কেন এই অভিযানের নাম ‘অপারেশন সিঁদুর’? কার দেওয়া জানেন?

    Operation Sindoor: পহেলগাঁওয়ের বদলা নিল ভারতীয় সেনা! কেন এই অভিযানের নাম ‘অপারেশন সিঁদুর’? কার দেওয়া জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাত্র ৬ দিন আগে তাঁর বিয়ে হয়েছিল। হাতে মেহেন্দি, মাথায় সিঁদুর নিয়ে স্বামীর সঙ্গে বৈসরণে মধুচন্দ্রিমায় গিয়েছিলেন হিমাংশী নরওয়াল। হঠাতই চোখের সামনে স্বামীকে গুলি করে মারে জঙ্গিরা। গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ের বৈসরনে পর্যটকদের উপর হামলা চালায় জঙ্গিরা। বেছে বেছে হিন্দু পর্যটকদের উপর হামলা চালানো হয়। নাম, পরিচয় জানার পরই গুলি চালানো হয়। ওই জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারান নৌসেনার অফিসার লেফটেন্যান্ট বিনয় নরওয়াল। হাতের মেহন্দি ওঠার আগেই সিঁথির সিঁদুর মুছে যায় হিমাংশীর। কয়েকদিন পর স্বামীকে শ্রদ্ধার্ঘ জানানোর সময় তাঁর সিঁথি ফাঁকা ছিল। সেই সিঁদুরেরই মূল্য চোকাতে হল পাকিস্তানকে। নির্ভুল প্রত্যাঘাত। পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার বদলা নিল ভারতীয় সেনা। পাক অধিকৃত কাশ্মীরে আঘাত হেনে একাধিক জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। কমপক্ষে ১০০ জঙ্গিকে নিকেশ করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী মোদী ভারতীয় সেনার এই অভিযানের নাম অপারেশন সিঁদুর রাখার জন্য বলেন। সেইমতো ভারতীয় সেনার এই অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor)।

    সিঁদুর বিবাহিত হিন্দু নারীর সম্মানের প্রতীক

    ‘সিঁদুর’ শব্দটি ভারতীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যে গভীর তাৎপর্য বহন করে। হিন্দু ঐতিহ্যে সিঁদুর বিবাহিত নারীর সৌভাগ্য ও সম্মানের প্রতীক। এটি রক্তের সঙ্গেও যুক্ত, যা সাহস, ত্যাগ এবং প্রতিশ্রুতির প্রতিনিধিত্ব করে। সামরিক বিশ্লেষকদের মতে, ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামকরণের মাধ্যমে ভারতীয় সেনাবাহিনী দেশের সার্বভৌমত্ব ও নাগরিকদের নিরাপত্তা রক্ষার প্রতি তাদের অটল প্রতিশ্রুতি প্রকাশ করেছে। ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor) নামটি পহেলগাঁও হামলায় নিহত নাগরিকদের রক্তের প্রতিশোধ এবং জাতির সম্মান রক্ষার প্রতীক হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। ভারতীয় মহিলাদের সিঁদুর মুছে দেওয়ার প্রতিশোধ নিতেই এই নামকরণ করা হয়েছে ৷ ‘সিঁদুর’ নামটি শুধুমাত্র সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের কঠোর অবস্থানই নয়, বরং জাতীয় গর্ব ও ঐক্যের প্রতীক হিসেবেও কাজ করছে।

    সিঁদুর বীরত্বের প্রতীক

    হিন্দু মহিলাদের কাছে সিঁদুরের গুরুত্ব অপরিসীম। আবার সিঁদুরের তিলক বীরত্বেরও প্রতীক। ভারতের যোদ্ধারা শত্রুকে নিধনে যাওয়ার সময় এই সিঁদুরের তিলক পরেন। মারাঠা ও রাজপুত যোদ্ধারা কপালে সিঁদুরের তিলক নিয়েই যুদ্ধে যেতেন। বিজয়ী হয়ে ফিরলেও তাঁদের এই তিলকে বরণ করা হতো। জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী মোদি ভারতীয় সেনার এই অভিযানের নাম অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) রাখার জন্য বলেন। সেইমতো এই অভিযানের নাম রাখা হয় অপারেশন সিঁদুর। এই অভিযানের নাম অপারেশন সিঁদুর রাখা নিয়ে নিহতদের পরিজনরা বলছেন, ভারতীয় সেনা মহিলাদের সম্মান জানাল। জঙ্গি হামলার উপযুক্ত জবাব দেওয়ায়ও খুশি তাঁরা এছাড়া, ‘সিঁদুর’ শব্দটি সিন্ধু নদীর সঙ্গেও সাংস্কৃতিকভাবে সম্পৃক্ত। সিন্ধু নদী ভারতীয় উপমহাদেশের ইতিহাস ও সভ্যতার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

  • PM Modi on Indus Water Treaty: ‘দেশের জল বইবে দেশের স্বার্থেই’, সিন্ধু জলচুক্তি বাতিল নিয়ে প্রথমবার কী বললেন প্রধানমন্ত্রী মোদি?

    PM Modi on Indus Water Treaty: ‘দেশের জল বইবে দেশের স্বার্থেই’, সিন্ধু জলচুক্তি বাতিল নিয়ে প্রথমবার কী বললেন প্রধানমন্ত্রী মোদি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের ইচ্ছাতেই নদীর জল বইবে এবং থামবে। ভারতের স্বার্থেই ব্যবহৃত হবে সেই জল। পহেলগাঁও হামলার পর ভারত-পাক যুদ্ধের আবহে সিন্ধু জলচুক্তি বাতিল (PM Modi on Indus Water Treaty) করা নিয়ে প্রথমবার মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। মঙ্গলবার দিল্লিতে এক বেসরকারি সংবাদমাধ্যমের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট করে দেন, ভারতের জল বইবে ভারতের স্বার্থেই। তাঁর স্পষ্ট ইঙ্গিত, সন্ত্রাসে মদতদাতা পাকিস্তান শুকিয়ে মরলেও সিন্ধুর জল নিয়ে আগে দেশবাসীর কথা ভাববে নয়াদিল্লি। নয়াদিল্লি-ইসলামাবাদ চাপানউতর পর্বে প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্যকে ইঙ্গিতপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক এবং কূটনৈতিক মহল।

    প্রধানমন্ত্রীর ইঙ্গিত

    প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, ‘‘আমাদের সরকার রাজ্য সরকারগুলির সঙ্গে মিলে নদী সংযুক্তিকরণ শুরু করেছে। কেন-বেতোয়া সংযুক্তিকরণ, পার্বতী-কালীসিন্ধ-চম্বল সংযুক্তিরণের কাজ চলছে।’’ এর পরেই তিনি বলেন, ‘‘আজকাল তো সংবাদমাধ্যমে জল নিয়ে বিস্তর চর্চা চলছে। আপনারা খুব দ্রুত বিষয়টি বুঝে ফেলেছেন। আগে ভারতের হকের জল বাইরে যেত। কিন্তু এখন ভারতের জল ভারতের কথায় বইবে। যদি কোথাও থামাতে হয়, সেটাও দেশের স্বার্থে থামানো হবে। ভারতের জল শুধু ভারতেরই কাজে লাগবে।’’ পহেলগাঁও হামলার পর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথম প্রত্যাঘাত হিসাবে সিন্ধু জলচুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে নয়াদিল্লি। আগামী দিনে সেই সিদ্ধান্ত থেকে যে কোনওভাবেই পিছিয়ে আসবে না নয়াদিল্লি, সেটা মোদির কথাতেই স্পষ্ট। পাকিস্তানকে ইতিমধ্যেই চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে সিন্ধু জলচুক্তি ভারত মানছে না। ভারতের তরফে যে চিঠি দেওয়া হয়েছে তাতে বলা হয়েছে, চুক্তির উদ্দেশ্যকে নস্যাৎ করে দিয়ে জম্মু-কাশ্মীরে লাগাতার হামলা চালাচ্ছে পাকিস্তান। সীমান্ত সন্ত্রাস ছড়াচ্ছে ইসলামাবাদ। সেকারণেই এই চুক্তি বাতিল করেছে নয়াদিল্লি।

    কী বলেছেন জলশক্তি মন্ত্রী

    ভারতের জল যাবে না পাকিস্তানে। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah) সঙ্গে বিস্তারিত রোড ম্যাপ তৈরির পরই এই ঘোষণা করেছেন জলশক্তি মন্ত্রী সিআর পাটিল (CR Patil)। পাশাপাশি তিনি জানান, আগামী দিনে ভারত থেকে এক ফোঁটা জল পাবে না পাকিস্তান। সম্প্রতি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর সিআর পাটিল বলেন, ‘‘হোম মিনিস্টারের সঙ্গে এই বিষয়ে একটি রোড ম্যাপ তৈরি করা হয়েছে। যেখানে তিনটি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। পাকিস্তান যাতে ভারতের থেকে এক ফোঁটা জল না পায়, সেই জন্য কম, মাঝারি ও দীর্ঘ সময়ের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। শীঘ্রই নদীর পলি তোলার কাজ শুরু করে গতিপথ পরিবর্তন করা হবে।’’

    সিন্ধু জলচুক্তি কী

    ১৯৬০ সালে বিশ্ব ব্যাঙ্কের মধ্যস্থতায় সিন্ধু জলচুক্তি সই করে ভারত ও পাকিস্তান। ১৯৬০ সালের চুক্তি মতে শতদ্রু, বিপাশা, রবি নদীর জল ব্যবহার করার পূর্ণ অধিকার রয়েছে ভারতের। সিন্ধু, ঝিলম ও চন্দ্রভাগার অধিকাংশ জলের ভাগ পেয়েছে পাকিস্তান। চুক্তি অনুযায়ী, বিতস্তা ও চন্দ্রভাগার জলের উপরে পাকিস্তানের অধিকার ৮০ শতাংশ, ভারতের ২০ শতাংশ। তবে ওই নদীগুলিতে শর্তসাপেক্ষে বাঁধ তৈরি করতে পারে ভারত। দীর্ঘদিন ধরেই নয়াদিল্লির দাবি ছিল, সিন্ধু জলচুক্তিতে সংশোধন করতে হবে। কারণ ভারতের নদীবাঁধ দেওয়া নিয়ে বরাবর ইসলামাবাদের প্রবল আপত্তি। গতবছর সেপ্টেম্বর মাসেও এই চুক্তিতে সংশোধন চেয়ে ইসলামাদকে কড়া নোটিসও পাঠায় ভারত। এবার পহেলগাঁও হামলার পরে সিন্ধু জলচুক্তি নিয়ে ভারত চরম পদক্ষেপ করেছে নয়াদিল্লি।

    কী বলেছে কাশ্মীর

    সিন্ধু জল চুক্তির বিষয়ে মুখ খুলেছেন জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। তিনি বলেন, ‘‘১৯৬০ সালের ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে হওয়া এই চুক্তি কাশ্মীরের জন্য সবথেকে বৈষম্য়মূলক একটি নথি। অবশেষে ভারত সরকার পদক্ষেপ করল। আমরা কখনওই এই চুক্তির সঙ্গে সহমত ছিলাম না। কাশ্মীরবাসী বরাবর এই চুক্তির বিরোধিতাই করেছে। এক্ষেত্রে আমরা মোদি সরকারের পাশ আছি।’’

    দেশবাসীর স্বার্থই সবার আগে

    এদিনের অনুষ্ঠানে সরকারের ব্যর্থতা এবং তাঁর সরকারের সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। কংগ্রেসের নাম না-করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘আগের সরকার বড় পদক্ষেপ করতে পারত না। চিন্তা করত দুনিয়া কী ভাববে? ভোট পাওয়া যাবে কি যাবে না? কুর্সি থাকবে কি থাকবে না? ভোট ব্যাঙ্ক ধসে যাবে না তো? কিন্তু আমরা সংস্কার করেছি, নানা ক্ষেত্রে বড় পদক্ষেপ করেছি।’’ এই প্রসঙ্গেই তিন তালাক প্রথা রদ করার কথা উল্লেখ করেন মোদি। সেই সঙ্গে উল্লেখ করেন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির সংযুক্তিকরণের সরকারি সিদ্ধান্তও। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘আগে অন্যেরা ভারতকে কেবল একটি বাজার হিসাবে দেখত। কিন্তু এখন ভারত প্রতিরক্ষা সামগ্রী তৈরি করে। তা কেনে অন্য দেশ। নিজের জোরে ভারতের কাছে এখন রয়েছে আইএনএস বিক্রান্ত, আইএনএস নীলগিরির মতো অত্যাধুনিক যুদ্ধজাহাজ।’’ তিনি আরও দাবি করেন, গত এক দশকে ২৫ কোটির বেশি মানুষকে দারিদ্র্যের সীমার বাইরে আনা হয়েছে। ‘মুদ্রা যোজনা’র মাধ্যমে ছোট উদ্যোক্তারা সরকারী ঋণ পেয়ে নিজেদের ব্যবসা গড়ে তুলেছেন, যা গণতন্ত্রের কার্যকারিতার দৃষ্টান্ত। তাঁর কথায়, ‘‘দেশের উন্নতির জন্য সিদ্ধান্ত নেয়ার সময় একমাত্র নীতি হওয়া উচিত দেশ সবার আগে।’’

  • Operation Sindoor: পহেলগাঁওয়ের বদলা ‘অপারেশন সিঁদুর’, মধ্যরাতে পাকিস্তান ও অধিকৃত কাশ্মীরের ৯ জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিল ভারত

    Operation Sindoor: পহেলগাঁওয়ের বদলা ‘অপারেশন সিঁদুর’, মধ্যরাতে পাকিস্তান ও অধিকৃত কাশ্মীরের ৯ জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার জবাব দিল ভারত। মঙ্গলবার মধ্য রাতেই প্রত্যাঘাত করল ভারতীয় সেনা। রাফালের হানায় পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করা হয়েছে। অসমর্থিত সূত্রের খবর, খতম প্রায় ৯০০ জঙ্গি। জয়শ-ই-মহম্মদ জঙ্গি গোষ্ঠীর ৪টি ঘাঁটি, হিজবুল-মুজাহিদিনের ২টি ও লস্কর-ই-তৈবার ৩টি ঘাঁটি ধ্বংস করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাত পৌনে দুটো নাগাদ প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফ থেকে এক প্রেস বিবৃতিতে জানানো হয়, ভারতীয় সেনা ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor) শুরু করেছে। পাকিস্তান (Pakistan) ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের প্রকাশিত বিবৃতি অনুযায়ী, পাকিস্তানে এবং পাক অধ্যুষিত কাশ্মীরের মোট ৯টি জায়গায় শুধু মাত্র জঙ্গি পরিকাঠামোগুলিকে লক্ষ্য করে ‘প্রিসিশন স্ট্রাইক’ চালানো হয়েছে।

    ‘‘সুবিচার হয়েছে, জয় হিন্দ’’, পোস্ট সেনার (Operation Sindoor)

    জানা যাচ্ছে, পাকিস্তানে বাহাওয়ালপুরে জইশের সদর দফতর, মুজফফরাবাদে লস্কর-ই-তইবার ট্রেনিং সেন্টার সহ মোট নটি জায়গায় আঘাত হানে ভারতীয় সেনা। এই প্রত্যাঘাতের পরেই এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করে ভারতীয় সেনা। সেখানে তারা লেখে, ‘‘সুবিচার হয়েছে। জয় হিন্দ।’’ সেনার তরফে আরও জানানো হয়েছে, শুধুমাত্র জঙ্গিঘাঁটি লক্ষ্য করেই এই হামলা চালানো হয়েছে। পাকিস্তানের কোনও মিলিটারির কোনও ক্যাম্পকে এক্ষেত্রে টার্গেট করা হয়নি। ভারতীয় সেনাবাহিনীর এই পদক্ষেপ নির্দিষ্ট, পরিমিত বলেও জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে অপারেশন সিঁদুরের প্রত্যাঘাতের কথা রাশিয়া, আমেরিকা, ব্রিটেনকে জানিয়ে দিয়েছে ভারত। সূত্রের খবর, জঙ্গি ঘাঁটিগুলিতে ভারতের প্রত্যাঘাতের (Operation Sindoor) বিষয়ে মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিবের সঙ্গে কথাও বলেছেন দেশের নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল।

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সারারাত ধরে ‘অপারেশন সিঁদুর’ স্ট্রাইকের পরিস্থিতি দেখেন

    অন্যদিকে জানা যাচ্ছে, পাকিস্তানের একটি ফাইটার জেট জেএফ১৭-কে গুলি করে নামিয়েছে ভারতীয় সেনা। এদিকে প্রতিরক্ষামন্ত্রকের তরফেও বিবৃতি দিয়ে ‘অপারেশন সিঁদুর’কে সফল ঘোষণা করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সারারাত ধরে ‘অপারেশন সিঁদুর’ স্ট্রাইকের পরিস্থিতি দেখেন। ভারতের এই এয়ার স্ট্রাইকের কথা স্বীকারও করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। ভারতের এই অভিযানের জেরে একাধিক বিমানবন্দর বন্ধ রেখেছে তারা। অন্যদিকে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে ইতিমধ্যেই ইমার্জেন্সি জারি করা হয়েছে। ৪৮ ঘণ্টার জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে লাহোর- শিয়ালকোট বিমানবন্দর।

    কোন কোন জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হল?

    জানা যাচ্ছে, ভারতের এই বিমান হানায় (Operation Sindoor) মুজফফরবাদে লস্করের ট্রেনিং ক্যাম্প গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে বাহাওয়ালপুরে মাসুদ আজহারের মাদ্রাসায় এয়ার স্ট্রাইক করা হয়েছে। পাকিস্তানে বাহাওয়ালপুরে অবস্থিত জইশের সদর দফতরেও হামলা চালানো হয়েছে বলে খবর। একইসঙ্গে কোটলিতে হিজবুল মুজাহিদিনের ট্রেনিং সেন্টারেও করা হয়েছে হামলা । যে জায়গাগুলিতে হামলা চলেছে, এর প্রতিটি ঘাঁটি থেকেই ভারতের বিরুদ্ধে জঙ্গি আক্রমণের পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এদিকে, ভারতীয় সেনার প্রত্যাঘাতের পর থেকেই ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে পাকিস্তানের তৎপরতা বেড়েছে বলে খবর। গোলাগুলির পরিমাণ বাড়িয়েছে পাকিস্তান (Pakistan)। এর পালটা যোগ্য জবাব দিচ্ছে ভারতীয় বাহিনী।

    ভারতের হাতে থাপ্পড় খেয়ে বদলার হুঁশিয়ারি পাকিস্তানের

    ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পরই এক্স হ্যান্ডলে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং পোস্ট করেন। তিনি লেখেন, ‘ভারত মাতা কী জয়!’ এদিকে মঙ্গলবার রাতেই হামলার কথা স্বীকার করেছে পাকিস্তান। পাক সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে ভারতের এই জঙ্গি দমন অভিযানকে ‘কাপুরুষোচিত’ বলে তোপ দাগা হয়েছে। ভারতের হাতে এমন বিরাশি সিক্কার থাপ্পড় খেয়ে রেগে কাঁই হয়ে উঠেছে পাকিস্তান। এই হামলার বদলার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। এই হামলায় ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধেরও অভিযোগ তুলেছেন পাক প্রধানমন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন, সময়মতো এর যোগ্য জবাব দেবে পাকিস্তান। এদিকে, প্রত্যাঘাতের পর থেকেই ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে পাকিস্তানের তৎপরতা বেড়েছে। গোলাগুলির পরিমাণ বাড়িয়েছে তারা। পালটা যোগ্য জবাব দিচ্ছে ভারতীয় বাহিনী।

    কেন নামকরণ অপারেশন সিঁদুর?

    বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামটি পহেলগাঁও হামলায় নিহত নাগরিকদের রক্তের প্রতিশোধ এবং জাতির সম্মান রক্ষার প্রতীক হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে। ভারতীয় মহিলাদের সিঁদুর মুছে দেওয়ার প্রতিশোধ নিতেই এই নামকরণ করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে ধর্ম বেছে বেছে হিন্দু পর্যটকদের হত্যা করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। গোটা সন্ত্রাসী হামলার তদারকি করা হয় পাকিস্তানে বসেই। ২৫ হিন্দু মহিলার স্বামীকে হত্যা করা হয় পহেলগাঁওয়ে। এঁদের মধ্যে একজনের স্বামীকে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা বলেছিল, ‘‘মোদিকে গিয়ে বলো’’! এবার হিন্দু মহিলাদের সিঁদুর মোছার বদলা নিল ভারত।

LinkedIn
Share