Tag: madhyom bangla

madhyom bangla

  • AK-203 in Indian Army: মেক ইন ইন্ডিয়ার সাফল্য, চলতি বছরেই সম্পূর্ণভাবে দেশেই তৈরি হবে এ কে-২০৩

    AK-203 in Indian Army: মেক ইন ইন্ডিয়ার সাফল্য, চলতি বছরেই সম্পূর্ণভাবে দেশেই তৈরি হবে এ কে-২০৩

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় সেনায় ইনসাসের (INSAS rifle replaced by AK 203) জায়গা নিয়েছে এ কে ২০৩ রাইফেল অর্থাৎ অটোমেটিক কালাশনিকভ। রাশিয়ার টেকনোলজিতে তৈরি বিখ্যাত এ কে সিরিজের অন্যতম শক্তিশালী হাতিয়ার এই অ্যাসল্ট রাইফেল। এবার থেকে সম্পূর্ণ রূপে দেশেই তৈরি হবে এই রাইফেল, এমনই জানিয়েছেন ইন্দো রাশিয়ান রাইফেলস প্রাইভেট লিমিটেড (IRRPL)-এর সিইও এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক মেজর জেনারেল এস কে শর্মা।

    এ কে ২০৩ কতটা কার্যকর

    এ কে ২০৩, ৮০০ মিটার (800 metre range) পর্যন্ত নির্ভুল আঘাত করতে পারে। একটি ম্যাগাজিনে ৩০ টি করে ৭.৬২ ক্যালিবারের বুলেট থাকে। এই রাইফেলের সুবিধা প্রথম এক বছর কোনও মেনটেনেন্স চার্জ লাগে না। সেনাদের জন্য ব্যবহার করা একেবারে সহজ পদ্ধতি। সিঙ্গল এবং বার্স্ট মোডে অসাধারণ নির্ভুল লক্ষ্যএই রাইফেলের। নাইট ভিশন মোডেও দারুন কার্যকরী এ কে ২০৩। পাকিস্তান এবং চিন সীমান্তে কার্যকরী ভূমিকা নেয় এ কে ২০৩। সীমান্তে পাক জঙ্গি দমনেও সক্রিয় এই আধুনিক অস্ত্র। ভারতীয় সেনার ব্যবহৃত এই এ কে-২০৩ (AK-203) অ্যাসল্ট রাইফেল আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে সম্পূর্ণ রূপে দেশে তৈরি হবে। মেজর জেনারেল এস কে শর্মা জানান, এই রাইফেল তৈরির কাজের প্রায় ৫০ শতাংশ ইতিমধ্যেই ভারতীয়করণ হয়েছে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই এটি ১০০ ভাগ দেশীয়করণে পৌঁছবে। এর ফলে উৎপাদনের হার অনেক গুণ বেড়ে যাবে এবং দ্রুত সরবরাহ সম্ভব হবে।

    দ্রুত সরবরাহের সম্ভাবনা

    মেজর জেনারেল শর্মা বলেন, “একজন সৈনিকের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য বন্ধু তার অ্যাসল্ট রাইফেল। ভবিষ্যতে এ কে-২০৩ হবে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য অস্ত্র।” তিনি আরও জানান, ভারতীয় সেনাবাহিনীর জন্য ছয় লক্ষেরও বেশি এ কে-২০৩ রাইফেলের অর্ডার এসেছে। এ পর্যন্ত ৪৮,০০০ রাইফেল সরবরাহ করা হয়েছে এবং চলতি বছরের শেষে মোট ৭০,০০০ রাইফেল সরবরাহ করা হবে। চুক্তি অনুযায়ী এই রাইফেলগুলোর সম্পূর্ণ ডেলিভারি হওয়ার কথা ২০৩২ সালে হলেও, আইআরআরপিএল-এর পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০৩০ সালের মধ্যেই সমস্ত রাইফেল সরবরাহ শেষ হবে, যা চুক্তির নির্ধারিত সময়ের দুই বছর আগেই সম্পন্ন হবে। এর ফলে সীমান্ত আরও সুরক্ষিত হবে। শক্তিশালী হবে ভারতীয় সেনার হাত।

  • Ramakrishna 414: ভেতর বোঁদে, মানে যার মন অতল, ডুবুরি নামালেও তল পাওয়া যাবে না

    Ramakrishna 414: ভেতর বোঁদে, মানে যার মন অতল, ডুবুরি নামালেও তল পাওয়া যাবে না

    শ্রী রামকৃষ্ণ- এই মনের গোচর নন বটে, কিন্তু শুদ্ধ মনের গোচর। এটা বুদ্ধির দ্বারা ধরা যায় না, কিন্তু শুদ্ধ বুদ্ধির দ্বারা ধরা যায়। কামিনী-কাঞ্চনে আসক্তি গেলেই মন ও বুদ্ধি শুদ্ধ হয়। তখন শুদ্ধ মন ও শুদ্ধ বুদ্ধি একত্রে—সেই শুদ্ধ মনের গোচরে তিনি ধরা দেন।”

    ঋষি-মুনিরা কি তাঁকে দেখেননি? তাঁর চৈতন্যের দ্বারা তাঁকে চৈতন্যরূপেই সাক্ষাৎ করেছেন।

    গিরিশ (সহাস্যে) “নরেন্দ্র তর্কে আমার কাছে হেরেছে!”

    শ্রী রামকৃষ্ণ- না আমায় বলেছে, গিরিশ ঘোষ মানুষের অবতার, এটা তুমি বিশ্বাস করো।” এখন আমি আর কী বলব! আমার বিশ্বাসের উপর কিছু বলার নেই।

    গিরিশ (সহাস্যে), “সে মহাশয়! আমরা সব হল-ঘরে কথা বলছি, কিন্তু মাস্টার ঠোঁট চেপে বসে আছেন। কেমন বলেন, মহাশয়?”

    গিরিশ — মহাশয়, শ্লোকটি কী বললেন?

    শ্রীরামকৃষ্ণ — এই ক’টি লোকের থেকে সাবধান হবে।
    প্রথম — মুখে হোলসা, হল হল করে কথা বলে।
    দ্বিতীয় — ভেতর বোঁদে, মানে যার মন অতল, ডুবুরি নামালেও তল পাওয়া যাবে না।
    তৃতীয় — কান তুলসে, মানে কানে তুলসী দেয় ভক্তি দেখাবার জন্য।

    এরপর দীঘল ঘোমটা — লম্বা ঘোমটা দেখলেই লোকে ভাবে ভারী সতি, আসলে তা নয়। আর “পানা পুকুরে জল না থাকলে সান্নিপাতিক হয়” —

    অর্থাৎ বাইরে থেকে পবিত্রতা দেখালেও ভেতরে যদি কিছু না থাকে, তাহলে শুধু ভণ্ডামি।

    চুনিলাল — এঁর (মাস্টার) ছোট নরেন, বাবুরাম, ও পরে নারায়ণ, পল্টু, তেজো, চন্দ্র — এরা সব ওঁর কাছে পড়তে আসে। কথা উঠেছে যে উনি (চুনিলাল) তাদের এখানে এনেছেন, আর তাদের পড়াশোনা খারাপ হয়ে যাচ্ছে। মাস্টারের নামে দোষ দিচ্ছে।

    শ্রীরামকৃষ্ণ — তাদের কথা কে বিশ্বাস করবে?

    এই সকল কথাবার্তা হচ্ছিল, এমন সময় নারায়ণ এসে ঠাকুরকে প্রণাম করল।
    নারায়ণ গৌরবর্ণ, বয়স ১৭-১৮ বছর, স্কুলে পড়ে।
    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ তাকে খুব ভালোবাসেন — তাকে দেখার জন্য, তাকে খাওয়ানোর জন্য ব্যাকুল থাকেন।
    তার জন্য দক্ষিণেশ্বরে বসে বসে কাঁদেন।
    নারায়ণকে তিনি সাক্ষাৎ নারায়ণ (ভগবান) বলে মনে করেন।

  • Daily Horoscope 19 July 2025: প্রেমের অশান্তি মিটে যেতে পারে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 19 July 2025: প্রেমের অশান্তি মিটে যেতে পারে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

     

     

    মেষ

    ১) বাড়তি খরচের জন্য চিন্তা বাড়বে।

    ২) প্রেমের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে দেরি হতে পারে।

    ৩) পুরনো বন্ধুর সঙ্গে দেখা হতে পারে।

    বৃষ

    ১) শেয়ার বাজারে লগ্নি নিয়ে চিন্তা বাড়তে পারে।

    ২) পেটের কষ্ট বাড়তে পারে।

    ৩) ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে দিনটি।

     

    মিথুন

    ১) সকাল থেকে শরীরে জড়তা বাড়তে পারে।

    ২) মাথার যন্ত্রণা বৃদ্ধি পাবে।

    ৩) সবাই আপনার প্রশংসা করবে।

    কর্কট

    ১) প্রেমের ব্যাপারে মনঃকষ্ট বাড়তে পারে।

    ২) পারিবারিক ভ্রমণে বাধা পড়তে পারে।

    ৩) ধৈর্য ধরতে হবে।

    সিংহ

    ১) রাজনীতির লোকেদের একটু চিন্তার কারণ দেখা দিতে পারে।

    ২) উচ্চশিক্ষার্থে বিদেশযাত্রার সুযোগ পেতে পারেন।

    ৩) বাণীতে সংযম রাখুন।

    কন্যা

    ১) প্রেমের অশান্তি মিটে যেতে পারে।

    ২) কোনও কারণে মনে সংশয় বা ভয় কাজ করবে।

    ৩) দুশ্চিন্তা বাড়বে।

    তুলা

    ১) কাউকে কোনও ব্যাপারে কথা দেবেন না।

    ২) আধ্যাত্মিক বিষয়ে বিশেষ মনোযোগ দেখা দেবে।

    ৩) কর্মক্ষেত্রে বাধা।

    বৃশ্চিক

    ১) গবেষণার কাজে সাফল্য লাভ।

    ২) খুব নিকট কোনও মানুষের জন্য দাম্পত্য কলহ সৃষ্টি হতে পারে।

    ৩) সবাইকে বিশ্বাস করবেন না।

    ধনু

    ১) সখ মেটাতে বাড়তি খরচ হতে পারে।

    ২) কোনও বন্ধুর জন্য বিপদ থেকে উদ্ধার লাভ।

    ৩) ডাক্তারের কাছে যেতে হতে পারে।

    মকর

    ১) মহিলাদের জন্য নতুন কিছু শুরু করার ভালো সময়।

    ২) কল্যাণকর কাজে কিছু অর্থ ব্যয় হতে পারে।

    ৩) আধ্যাত্মিকতায় মনোনিবেশ করুন।

    কুম্ভ

    ১) ব্যবসায় সমস্যা ও খরচ বৃদ্ধি পাবে।

    ২) চক্ষুরোগ দেখা দিতে পারে।

    ৩) কর্মক্ষেত্রে বাধা।

    মীন

    ১) সম্পত্তির অধিকার নিয়ে বিবাদ হতে পারে।

    ২) কপালে অপমান জুটতে পারে।

    ৩) ভেবেচিন্তে কথা বলুন।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Russia Recruits Indian Workers: ভারতের উপর ভরসা, ১০ লক্ষ ভারতীয়কে মোটা মাইনের চাকরি দেবে রাশিয়া

    Russia Recruits Indian Workers: ভারতের উপর ভরসা, ১০ লক্ষ ভারতীয়কে মোটা মাইনের চাকরি দেবে রাশিয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিপুল সংখ্যায় ভারতীয়দের চাকরি বা রোজগারের ব্যবস্থা করতে চলেছে নয়াদিল্লির ঘনিষ্ঠ ‘বন্ধু’। এক-দু’জন নন, মনে করা হচ্ছে পূর্ব ইউরোপের দেশটিতে কাজ পাবেন প্রায় ১০ লক্ষ ভারতীয়। চলতি বছরের শেষ থেকে যাঁদের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে পারেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এতে দুই দেশের সম্পর্ক যে আরও মজবুত হবে, তা বলাই বাহুল্য। যদিও বিষয়টি নিয়ে সরকারি ভাবে কোনও বিবৃতি দেয়নি কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার। মূলত নির্মাণ শ্রমিক হিসাবে তাঁদের কাজে লাগানোর পরিকল্পনা রয়েছে পুতিন প্রশাসনের।

    নয়াদিল্লির সঙ্গে মস্কোর চুক্তি

    ব্যাপারে ‘উরাল চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ’-এর প্রধান আন্দ্রেই বেসেদিন বলেন, ‘‘এ ব্যাপারে নয়াদিল্লির সঙ্গে মস্কোর একটা চুক্তি হয়েছে। ভারতীয় সহকর্মীদের থেকে বিষয়টা জানতে পারি আমি। চলতি বছরের শেষ দিকে ওই দেশের মোট ১০ লক্ষ মানুষকে সভেরদলোভস্ক এলাকায় নিয়ে আসা হবে। শ্রমিক ছাড়া সেই দলে থাকবেন বিশেষজ্ঞেরাও।’’ বেসেদিনের দাবি, ভারতীয় শ্রমিকদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে সভেরদলোভস্কের রাজধানী ইয়েকাটেরিনবার্গে নতুন একটি দূতাবাস খোলার পরিকল্পনা রয়েছে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের। এ ব্যাপারে মস্কোর সঙ্গে কথাবার্তা বেশ কিছু দূর এগিয়েছে। গত সাড়ে তিন বছর ধরে ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ লড়ছে রাশিয়া। এর ফলে দেশের মধ্যে দেখা দিয়েছে শ্রমিক সঙ্কট। সেই ঘাটতি পূরণ করতে ভারতীয়দের কাজে লাগাতে চাইছেন প্রেসিডেন্ট পুতিন।

    ভারতীয় দক্ষ শ্রমিকে আস্থা

    চলতি বছরে ভারত সফরে আসার কথা রয়েছে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের। সেখানেই এই বিষয় নিয়ে কথা হতে পারে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের। এ দেশ থেকে প্রতি বছর উচ্চশিক্ষা, চাকরি এবং ব্যবসার জন্য বহু তরুণ-তরুণী চলে যান যুক্তরাষ্ট্রে। ওয়াশিংটনের সিলিকন ভ্যালির মূল চালিকাশক্তি হিসাবে এ দেশের প্রতিভাবান তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীদেরই গণ্য করা হয়। সেই অভিমুখ এবার রাশিয়ার দিকে ঘুরতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে। তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী থেকে নির্মাণ শ্রমিক বা স্বাস্থ্যকর্মী, কাজের বাজারে দুনিয়া জুড়ে রয়েছে ভারতীয়দের চাহিদা। আমেরিকার পাশাপাশি ব্রিটেন ও ফ্রান্স-সহ ইউরোপের নানা দেশে ছড়িয়ে রয়েছেন এ দেশের কর্মদক্ষ নাগরিকেরা। পশ্চিম এশিয়ার সৌদি আরব, কাতার, বাহরাইন এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে মূলত রিয়্যাল এস্টেট, বস্ত্র, হোটেল এবং অন্যান্য শিল্পে কাজ করেন তাঁরা। এবার পালা রাশিয়ার।

  • Bangladesh: ইউনূস জমানায় ভালো নেই বাংলাদেশ, গোপালগঞ্জ হিংসায় মৃত বেড়ে ৫

    Bangladesh: ইউনূস জমানায় ভালো নেই বাংলাদেশ, গোপালগঞ্জ হিংসায় মৃত বেড়ে ৫

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৬ জুলাই গোপালগঞ্জে (Bangladesh) ইউনূস সরকারের কর্তা ব্যক্তিদের সঙ্গে আওয়ামি লীগ সমর্থকদের মধ্যে যে সংঘর্ষ হয়, সেখানে আরও একজনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। বাংলাদেশের ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপ-পরিদর্শক মাকসুদ আলম জানিয়েছেন, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার থানাপাড়া এলাকার রমজান মুন্সি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন। তাঁর বাবার নাম আকবর মুন্সি বলে জানিয়েছে ঢাকার পুলিশ। জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার গভীর রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন রমজান এবং তার মরদেহ পরবর্তীকালে মর্গে পাঠানো হয়।

    রিকশাচালক রমজান হিংসার কবলে (Bangladesh)

    রমজানের ভাই হীরা মুন্সি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ঘটনার দিন গোপালগঞ্জ (Gopalganj Violence) সদর এলাকার সিনেমা হলের কাছে তার ভাই একজন যাত্রীকে রিকশা থেকে নামায়। এরপর ফেরার সময় হিংসার কবলে পড়ে যায়, সেখানেই সে গুলিবিদ্ধ হয়। প্রথমে তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়, পরে তাকে ঢামেক হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। কিন্তু কোথাও চিকিৎসায় তিনি সাড়া দেননি। পরবর্তীকালে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবারের মধ্যবর্তী রাতে তিনি মারা যান।

    বুধবারই ব্যাপক উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোপালগঞ্জ (Bangladesh)

    প্রসঙ্গত, বুধবারই ব্যাপক উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোপালগঞ্জ। সেখানে জাতীয় নাগরিক পার্টির সমাবেশকে কেন্দ্র করে এই হিংসা ছড়ায়। তারা মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকে বলে অভিযোগ। এর পরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন আওয়ামী লীগের কর্মীরা (Gopalganj Violence), তখনই সংঘর্ষ শুরু হয়।

    ৫০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন (Bangladesh)

    পরবর্তীকালে সেনাবাহিনী এসে এনসিপি পার্টির নেতাদের সভা পরিচালনা করতে সাহায্য করেন। কিন্তু তারপরও ৫০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন। ঐ রাতেই চারজনকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। গুরুতর আহতদের চিকিৎসার জন্য ঢামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়। এর আগে যাদের মৃত ঘোষণা করা হয়েছিল, তাঁদের নাম হল সোহেল মোল্লা, দীপ্ত সাহা, ইমন তালুকদার এবং রমজান কাজী। গোপালগঞ্জে হিংসার পরে পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হতে থাকে। স্থানীয় প্রশাসন প্রথমে সদর উপজেলায় ১৪৪ ধারা জারি করে। পরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ছটা থেকে আজ শুক্রবার সকাল ১১টা পর্যন্ত এবং পরে দুপুর ২টা পর্যন্ত কারফিউ কার্যকর করা হয়। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফ থেকে এক বিবৃতি দিয়ে এ কথা বলা হয়।

  • Assam CM: অসমে অবৈধ বাংলাদেশিদের উস্কানি দিচ্ছেন রাহুল গান্ধী, তোপ হিমন্ত বিশ্ব শর্মার

    Assam CM: অসমে অবৈধ বাংলাদেশিদের উস্কানি দিচ্ছেন রাহুল গান্ধী, তোপ হিমন্ত বিশ্ব শর্মার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অসমে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের বিতাড়নে অভিযান চালায় হিমন্ত বিশ্ব শর্মার সরকার (Assam CM)। সেই অভিযানে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে, যখন অনুপ্রবেশকারীরা সরকারি আধিকারিকদের উপর হামলা চালায়। এমনকি, এক পর্যায়ে কিছু অভিযুক্ত বাঁশ নিয়ে দৌড়ে পুলিশ ও বন দফতরের কর্মীদের উপর আক্রমণও করে। এই পরিস্থিতির মধ্যে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বাংলাদেশি অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের পক্ষে সওয়াল করেন। এরপরই মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা তীব্র প্রতিক্রিয়া জানান এবং বলেন, রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) ইচ্ছাকৃতভাবে উস্কানি দিচ্ছেন অনুপ্রবেশকারীদের। তাঁর মন্তব্যের কারণেই গোলপাড়ায় হিংসা ছড়ায় এবং পুলিশের গুলিতে একজন অবৈধ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী নিহত হয়।

    খোলাখুলি ভাবে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের উৎসাহ দিচ্ছেন রাহুল

    হিমন্ত বিশ্ব শর্মা (Assam CM) আরও বলেন, রাহুল গান্ধী অসমে এসে খোলাখুলি ভাবে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের উৎসাহ দিচ্ছেন যাতে তারা জবরদখল করা জমি ছাড়তে না চায়। এই উস্কানিমূলক মন্তব্যই উত্তেজনার আগুনে ঘি ঢালে। তিনি জানান, ওই অঞ্চলে উত্তেজিত জনতা পুলিশ ও বন দপ্তরের কর্মীদের উপর আক্রমণ চালায়, যা সম্পূর্ণভাবে রাহুলের বক্তব্য দ্বারা প্রভাবিত।

    রাহুল গান্ধীর সঙ্গে ছিলেন কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে

    প্রসঙ্গত, অসম সফরের (Assam CM) সময় রাহুল গান্ধীর সঙ্গে ছিলেন কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে। এই দুই নেতা গুয়াহাটিতে কংগ্রেসের রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে একটি রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন। বৈঠকের পর ছয়গাঁও শহরে (গুয়াহাটি থেকে প্রায় ৪০ কিমি দূরে) এক জনসভায় বক্তব্য রাখেন রাহুল গান্ধী। সেই সভায়ই তিনি অনুপ্রবেশকারীদের উদ্দেশে উস্কানিমূলক মন্তব্য করেন বলে অভিযোগ হিমন্ত বিশ্ব শর্মার (Assam CM)। তিনি সামাজিক মাধ্যমে এবং বিভিন্ন বিবৃতিতে বারবার রাহুল গান্ধীকেই পুরো ঘটনার জন্য দায়ী করেন (Rahul Gandhi)।প্রসঙ্গত, গোলপাড়ায় ১৪৪ একরের ওই বনভূমিতে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে বসবাস করছিল অনুপ্রবেশকারীরা। বুধবারের ঘটনায় বহু ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। তাতে দেখা যায়, পুরুষ ও মহিলারা হাতে বাঁশ ও লাঠি নিয়ে সরকারি আধিকারিকদের তাড়া করছে ও পাথর ছুঁড়ছে।

  • TRF: দিল্লির বড় কূটনৈতিক জয়! পহেলগাঁওকাণ্ডে দোষী টিআরএফ-কে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন ঘোষণা করল আমেরিকা

    TRF: দিল্লির বড় কূটনৈতিক জয়! পহেলগাঁওকাণ্ডে দোষী টিআরএফ-কে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন ঘোষণা করল আমেরিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁও এলাকায় ভয়ানক এক জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারিয়েছিলেন ২৬ জন। তিন মাস পার হয়ে গেলেও সেই হামলার রেশ এখনও রয়ে গেছে। ওই ঘটনায় দায় স্বীকার করেছিল পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বার শাখা ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ (TRF)। এবার সেই সংগঠনটিকে বিদেশি সন্ত্রাসবাদী সংগঠন হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে তালিকাভুক্ত করল আমেরিকা। আমেরিকার এই বিবৃতিকে স্বাগত জানিয়েছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং তিনি বলেছেন যে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ভারতের নীতিই হল জিরো টলারেন্স এবং অপারেশন সিঁদুর।

    মার্কিন বিদেশ সচিবের বিবৃতি

    বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে মার্কিন বিদেশ সচিব মার্কো রুবিও বলেন, “আজ থেকে দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (TRF)-কে ‘ফরেন টেররিস্ট অর্গানাইজেশন’ (FTO) এবং ‘স্পেশালি ডিজিগনেটেড গ্লোবাল টেররিস্ট’ (SDGT) হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে।” ট্রাম্প প্রশাসনের মতে, পহেলগাঁও হামলাকে ২০০৮ সালের মুম্বই হামলার পর ভারতে সাধারণ মানুষকে লক্ষ্য করে হওয়া অন্যতম ভয়াবহ জঙ্গি হামলা বলে বিবেচনা করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’, যা ‘কাশ্মীর রেজিস্ট্যান্স’ নামেও পরিচিত, পহেলগাঁওয়ের হামলার দায় শুরুতে স্বীকার করলেও, কয়েক দিনের মধ্যেই তারা সেই বিবৃতি প্রত্যাহার করে নেয় এবং ২২ এপ্রিল হামলায় জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করে।

    সন্ত্রাস দমনে ভারতের ভূমিকাকে সমর্থন

    মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রকের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, “TRF-এর বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ কেবল জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই নয়, বরং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ন্যায়বিচারের প্রতিশ্রুতিকেও বাস্তবে রূপ দিচ্ছে।” এছাড়াও, ভারতের সর্বদলীয় সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সাম্প্রতিক সফরের সময় সন্ত্রাস দমনে ভারতের ভূমিকার প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানায় আমেরিকা। দুই দেশের কৌশলগত অংশীদারিত্বকেও জোরালোভাবে তুলে ধরা হয়।

    কারা এই ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’?

    হাফিজ সঈদের নেতৃত্বাধীন জঙ্গি গোষ্ঠী লস্কর-ই-তৈয়বার অধীনে কাজ করা একটি শাখা সংগঠন হল ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’। ২০১৯ সাল থেকে সংগঠনটি সক্রিয়। জম্মু-কাশ্মীরে পরিযায়ী শ্রমিক, কাশ্মীরি পণ্ডিত ও সাধারণ মানুষের উপর একাধিক হামলার অভিযোগ রয়েছে এই সংগঠনের বিরুদ্ধে। ২০২১ সালে জম্মুতে ভারতীয় বায়ুসেনার একটি ঘাঁটিতে ড্রোন হামলা চালানোর দায়ও TRF-এর উপর বর্তেছে। এমনকি পুলওয়ামা হামলার সঙ্গেও তাদের যোগ ছিল বলে গোয়েন্দা সূত্রের দাবি। ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ২০২৩ সালেই এই সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।

  • South Syria violence: দক্ষিণ সিরিয়াতে ভয়ঙ্কর হিংসা, প্রায় ৬০০ জন নিহত, বলছে রিপোর্ট

    South Syria violence: দক্ষিণ সিরিয়াতে ভয়ঙ্কর হিংসা, প্রায় ৬০০ জন নিহত, বলছে রিপোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিরিয়ায় ভয়ঙ্কর হিংসা। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, দক্ষিণ সিরিয়ায় সাম্প্রতিক হিংসায় ৫৯৪ জন নিহত হয়েছেন—এমন খবর সামনে আসতেই চাঞ্চল্য শুরু হয়েছে বিশ্বজুড়ে (South Syria violence)। ব্রিটেনের সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস এ নিয়ে গবেষণা চালিয়েছে, এবং বিগত রবিবার থেকে সিরিয়ার সুয়েইদা প্রদেশে যে হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, তাতে ভয়ঙ্কর বর্বরতার ছবি সামনে এসেছে।

    ধর্মীয়ভাবে সংখ্যালঘু দ্রুজ সম্প্রদায়ের ৩০০ জন নিহত হয়েছেন

    বৃহস্পতিবার সন্ধ্যাতেই (South Syria violence) এই সংস্থা জানিয়েছে, সিরিয়ার ধর্মীয়ভাবে সংখ্যালঘু দ্রুজ সম্প্রদায়ের ৩০০ জন নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে ১৪৬ জন ছিল যোদ্ধা এবং ১৫৪ জন অসামরিক নাগরিক। এদের মধ্যে ৮৩ জনকে সে দেশের সরকার মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেছে। বেদুইন এবং দ্রুজ সম্প্রদায়ের মধ্যে বিরোধের কারণে এই লড়াই শুরু হয়েছিল বলে জানিয়েছে ওই সংস্থা।

    ইজরায়েলের বিমান হামলায় সিরিয়ার ১৫ জন নিহত হয়েছেন (South Syria)

    এর পাশাপাশি ইজরায়েলের বিমান হামলায় সিরিয়ার ১৫ জন নিহত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে ইজরায়েল বলেছে যে দ্রুজদের রক্ষা করা তাদের কর্তব্য এবং এই কারণেই তাদের এই অভিযান। ব্রিটেনের ওই সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস আরও জানিয়েছে যে, তারা যে পরিসংখ্যান তুলে দিচ্ছে, তা তাৎক্ষণিকভাবে যাচাই করা সম্ভব নয়। তবে পাশাপাশি সূত্র মারফত যে খবরগুলি মিলছে, সেখানে দেখা যাচ্ছে মৃতের সংখ্যা ৩০০। সিরিয়ান নেটওয়ার্ক ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, তাদের কাছে খবর রয়েছে ১৫৯ জন অসামরিক নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবারই সুয়েইদা প্রদেশ থেকে সিরিয়ার বাহিনীর প্রত্যাহারের সঙ্গে সঙ্গে দেখা যাচ্ছে সেখানকার হিংসার সামগ্রিক চিত্র (South Syria)

    কী বলছেন দ্রুজ জনগোষ্ঠীর নেতা (South Syria violence)

    প্রসঙ্গত, এই প্রদেশ সিরিয়ায় দ্রুজ জনগোষ্ঠীর সংখ্যাগরিষ্ঠ (South Syria violence)। সেখানে ভয়ঙ্কর রকমের ক্ষয়ক্ষতি এবং লুটপাটের দৃশ্য দেখা গিয়েছে। এর পাশাপাশি রাস্তায় প্রচুর মৃতদেহ পাওয়া গেছে বলে জানা যাচ্ছে। দ্রুজ এবং বেদুইনদের মধ্যে এই সংঘর্ষের পরে সেখানে শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য সিরিয়ার ইসলামিক সরকার দখল নিচ্ছে বলে জানিয়েছে তারা। প্রসঙ্গতই, দ্রুজ জনগোষ্ঠী মনে করে যে তাদের ধর্ম হল শিয়া ইসলামের একটি শাখা, এবং নিজস্বভাবে স্বতন্ত্র পরিচয় ও বিশ্বাস বজায় রেখেই তারা চলে। একজন বিশিষ্ট দ্রুজ নেতা শেখ হিকমাত আল-হাজারি বলেন, “আমাদের প্রদেশকে দুষ্কৃতিমুক্ত না করা পর্যন্ত এ লড়াই চলবে।”

    ইজরায়েল এয়ার স্ট্রাইক করে সিরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সদর দফতরে

    অন্যদিকে, বুধবার ইজরায়েল এয়ার স্ট্রাইক করে সিরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সদর দফতর দামেস্কে। এই হামলার পরেই ইসরায়েলের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন সিরিয়ার অন্তর্বর্তী সরকারের রাষ্ট্রপতি। সিরিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের রাষ্ট্রপতি আহমেদ আল-সারাহ ইসরায়েলের বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা করে জানিয়েছেন যে, দেশকে অস্থির করার প্রচেষ্টা করছে ইসরায়েল।

  • India Fishermen in Bangladesh: বাংলাদেশে জেল হেফাজতে ৩৪ ভারতীয় মৎস্যজীবী! কৃটনৈতিক স্তরে আলোচনা, দ্রুত মুক্তির দাবি

    India Fishermen in Bangladesh: বাংলাদেশে জেল হেফাজতে ৩৪ ভারতীয় মৎস্যজীবী! কৃটনৈতিক স্তরে আলোচনা, দ্রুত মুক্তির দাবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের আন্তর্জাতিক জনসীমা লঙ্ঘনের অভিযোগে ভারতীয় মৎস্যজীবীদের (India Fishermen in Bangladesh) আটক করেছে বাংলাদেশ। সব মিলিয়ে ৩৪ জন মৎস্যজীবীকে আটক করা হয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপ অঞ্চল থেকে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়ে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশের জলসীমায় ঢুকে পড়েন ওই ৩৪ জন ভারতীয় মৎস্যজীবী। এর জেরেই তাঁদের আটক করেছে বাংলাদেশের নৌবাহিনী। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে তাঁদের ব্যবহৃত দু’টি ট্রলার ‘এফবি ঝড়’ ও ‘এফবি মঙ্গলচণ্ডী ৩৮’। এই ঘটনা ভারত-বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্কে নতুন করে উত্তেজনার সৃষ্টি করেছে।

    খারাপ আবহাওয়ার কারণে ভুল

    পশ্চিমবঙ্গের (India Fishermen in Bangladesh) দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপ থেকে এই মৎস্যজীবীরা সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন। খারাপ আবহাওয়া এবং ন্যাভিগেশন সমস্যার কারণে তাঁরা ভুলবশত বাংলাদেশি জলসীমায় ঢুকে পড়েন বলে মনে করা হচ্ছে। সেই সময় বাংলাদেশের একটি টহল জাহাজ তাঁদের আটক করে মংলা বন্দরে নিয়ে যায়। পরে, ৩৪ জন মৎস্যজীবীকে স্থানীয় আদালতে তোলা হয়। এখনও পর্যন্ত তাঁদের মুক্তি নিয়ে কোনও অগ্রগতি হয়নি। ভারতীয় কূটনৈতিক মহল ঢাকায় অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে দ্রুত মুক্তির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

    কূটনৈতিক স্তরে আলোচনা

    সুন্দরবন মেরিটাইম ফিশারম্যান ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের প্রতিনিধি সতীনাথ পাত্র জানিয়েছেন, “এ ধরনের ঘটনা বারবার ঘটছে। এর স্থায়ী সমাধান প্রয়োজন।” তিনি আরও জানান, গত বছরের অক্টোবরে একই ধরনের ঘটনায় প্রায় ৯৫ জন ভারতীয় মৎস্যজীবীকে আটক করে তিন মাস পর মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। বাংলাদেশে (India Fishermen in Bangladesh) সম্প্রতি ঘটে যাওয়া রাজনৈতিক পরিবর্তন এবং অভ্যন্তরীণ অস্থিরতার কারণে দিল্লি-ঢাকা সম্পর্ক ইতিমধ্যেই চাপে রয়েছে। এই ধরনের গ্রেফতারের ঘটনা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে। ভারত সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দেশের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা অক্ষুণ্ণ রেখেই কূটনৈতিক স্তরে সমস্যার সমাধানে কাজ চলছে। ঘটনাটি আবারও ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সীমান্ত ও সামুদ্রিক সমন্বয় সংক্রান্ত সমস্যাগুলোকে সামনে নিয়ে এসেছে। খারাপ আবহাওয়া ও অনিশ্চিত যন্ত্রপাতির কারণে এই ধরনের ঘটনা ক্রমেই বাড়ছে। তাই দুই দেশের মধ্যে একটি মানবিক ও স্পষ্ট সমুদ্রনীতি তৈরি প্রয়োজন। তা না হলে, উপকূলবর্তী অসংখ্য পরিবারের জীবন-জীবিকা ভবিষ্যতেও অনিশ্চয়তার মুখে পড়বে।

  • Modi In Bengal: বাংলার উন্নতিতে ৫,৪০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ! গুচ্ছ প্রকল্প নিয়ে আজ দুর্গাপুরে প্রধানমন্ত্রী মোদি

    Modi In Bengal: বাংলার উন্নতিতে ৫,৪০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ! গুচ্ছ প্রকল্প নিয়ে আজ দুর্গাপুরে প্রধানমন্ত্রী মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলায় তৃণমূলের অপশাসন রুখতে বঙ্গবাসীকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi In Bengal)। আজ, শুক্রবার বঙ্গে পা রাখছেন প্রধানমন্ত্রী। দুর্গাপুরে জোড়া সভা তাঁর। বাংলার উন্নতিতে, দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলের হাল ফেরাতে ৫৪০০ কোটি টাকার প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করবেন প্রধানমন্ত্রী। প্রাকৃতিক গ্যাস, রেল ও বিদ্যুৎ শিল্পে পরিকাঠামোগত উন্নয়ন খাতে এই টাকা ব্যয় করা হবে। বৃহস্পতিবার বিকেলে দুর্গাপুরে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করে এই বিনিয়োগের কথা জানান রাজ্য বিজেপি সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য।

    মোদির আহ্বান

    বাংলার মাটিতে পা রাখার আগেই তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্দেশে তোপ দেগে তাৎপর্যপূর্ণ পোস্ট করলেন নরেন্দ্র মোদি (Modi In Bengal)। শুক্রবার দুর্গাপুরে ৫ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের শিলান্যাস ও উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর পাশের মঞ্চেই রাজনৈতিক সভা করবেন তিনি। সে-কথা জানিয়েই করেছেন পোস্ট। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূলের অপশাসনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বঙ্গের মানুষ অনেক আশা নিয়ে এবার বিজেপির দিকে তাকিয়ে আছেন এবং তাঁরা নিশ্চিত যে একমাত্র বিজেপি-ই পারবে উন্নয়ন করতে। এই বলে মানুষকে তাঁর সভায় যোগ দিতে আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি আরও লিখেছেন, পশ্চিমবঙ্গের মানুষের কাছে পৌঁছতে তিনি উদগ্রীব । দুর্গাপুরে তিনি তেল, গ্যাস, বিদ্যুৎ, রেল এবং সড়ক সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের বেশ কয়েকটি প্রকল্পের শিলান্যাস করবেন। মোট ৫০০০ কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগের বেশ কয়েকটি প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন, জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

    উন্নতি চায় কেন্দ্র

    শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী মোদির (Modi In Bengal) সভার আগে রাজ্য বিজেপির পক্ষ থেকে জানানো হয়, রাজ্য সরকার সবসময় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তোলে। কিন্তু রাজ্যের স্বার্থে কেন্দ্রের ৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ প্রমাণ করে দেয়, মোদি সরকার কখনও বিমাতৃসুলভ আচরণে বিশ্বাসী নয়। সমস্ত রাজ্যের উন্নয়ন করতে চায়। রাজ্য বিজেপি সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য জানান, এই বিনিয়োগে বিপুল কর্মসংস্থান হবে।

    কোন কোন প্রকল্পে বিনিয়োগ

    জানা গিয়েছে, শুক্রবার মোট পাঁচটি প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi In Bengal)। বৃহস্পতিবার রাতভর জোরকদমে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলেছে দুর্গাপুরের নেহরু স্টেডিয়ামে। এখান থেকেই জনসভার পাশাপাশি একাধিক সরকারি প্রকল্পের শিলান্যাস ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী। তাই স্টেডিয়ামে দু’টি পৃথক মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে।

    বাড়ি বাড়ি প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহ: বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া জেলায় বাণিজ্যিক ও বাড়ি বাড়ি প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহ করবে ভারত পেট্রোলিয়াম সংস্থা। পাশাপাশি চালু করবে সিএনজি আউটলেট। ১৯৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে হচ্ছে এই প্রকল্প।

    উর্জা গঙ্গা প্রকল্প: ‘প্রধানমন্ত্রী উর্জা গঙ্গা’ প্রকল্পের অধীনে ১১৯০ কোটি টাকা বিনিয়োগে দুর্গাপুর থেকে হলদিয়া ১৩২ কিলোমিটার পাইপলাইনের মাধ্যমে প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহ করা হবে। এর ফলে পূর্ব বর্ধমান, হুগলি ও নদিয়া জেলায় কয়েক লক্ষ বাড়িতে পাইপলাইনে পৌঁছে যাবে রান্নার গ্যাস। এ ছাড়া জগদীশপুর থেকে হলদিয়া ও বোকারো থেকে ধর্মা পর্যন্ত প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহের পাইপ লাইন করা হবে।

    দূষণ নিয়ন্ত্রণ: পুরুলিয়ার রঘুনাথপুর তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র ও বাঁকুড়ার মেজিয়াতে ডিভিসির তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিরুদ্ধে দূষণ ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছে একাধিক বার। দূষণ ছড়ানোর অভিযোগে পশ্চিম বর্ধমানের অন্ডালে ডিভিসির তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রকে ২০ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছিল রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। দূষণ নিয়ন্ত্রণ করতে এই তিনটি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে ফুয়েল গ্যাস ডেসুলফিউরাইজ়েশন পদ্ধতির সূচনা হবে। এর ফলে দূষণ কমবে। এই প্রকল্পে খরচ হবে ১৪৫৭ কোটি টাকা।

    রেল পরিষেবা উন্নত: রাজ্যে রেল পরিষেবা উন্নত করতে ৩৯০ কোটি টাকা ব্যয়ে পুরুলিয়া থাকে কোটশিলা পর্যন্ত ৩৬ কিলোমিটার ডাবল লাইন করা হবে। কাজটি সম্পন্ন হলে জামশেদপুর, বোকারো, ধানবাদ, রাঁচি ও কলকাতার মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হবে ও পণ্য পরিবহণে সুবিধা হবে। এছাড়া পশ্চিম বর্ধমানের পাণ্ডবেশ্বর ও জামুড়িয়ার তপসি স্টেশন সংলগ্ন রেলগেটে দু’টি ওভারব্রিজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। ‘সেতু ভারতম’ প্রকল্পের আওতায় ৩৮০ কোটি টাকা ব্যয়ে ওভারব্রিজ দু’টি তৈরি হওয়ায় দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হয়েছে এলাকাবাসীর।

    কখন কোথায় যাবেন প্রধানমন্ত্রী

    আজ, ১৮ জুলাই প্রধানমন্ত্রীর দু’টি অনুষ্ঠান দুর্গাপুরে। সরকারি প্রকল্পের উদ্বোধন ও জনসভা। দু’টিই নেহরু স্টেডিয়ামে। দুর্গাপুরের গান্ধীমোড় থেকে জনসভাস্থল নেহরু স্টেডিয়াম পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার ‘অঘোষিত’ রোড শো করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিহার থেকে অণ্ডাল বিমানবন্দরে নেমে তিনি সড়কপথেই গান্ধীমোড় আসবেন। তার পর শুরু হবে রোড শো। রাস্তার বিভিন্ন মোড়ে বিজেপি কর্মীরা দাঁড়িয়ে ফুল ছুড়ে স্বাগত জানাবেন প্রধানমন্ত্রীকে। রোড শোয়ের পর নেহরু স্টেডিয়ামে এসে একগুচ্ছ প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন তিনি।

LinkedIn
Share