Tag: madhyom bangla

madhyom bangla

  • Ayodhya: রামলালার পরে রাজা রাম! যোগীর উপস্থিতিতে অযোধ্যায় ৮ মন্দিরে বিগ্রহের প্রাণ প্রতিষ্ঠা

    Ayodhya: রামলালার পরে রাজা রাম! যোগীর উপস্থিতিতে অযোধ্যায় ৮ মন্দিরে বিগ্রহের প্রাণ প্রতিষ্ঠা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৪ সালের ২২ জানুয়ারি অযোধ্যার রাম মন্দিরের গর্ভগৃহে রামলালার মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিন অর্থাৎ ৫ জুন অযোধ্যার রাম মন্দিরে ফের হল প্রাণ প্রতিষ্ঠা। গর্ভগৃহের পর এবার রাম দরবারে ৮টি মন্দিরে বিগ্রহের প্রাণ প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠান সম্পন্ন হল (Ayodhya)। এদিনের প্রাণ প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।

    কোন কোন দেবতার মূর্তি বসল (Ayodhya)

    বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৬টা থেকেই অনুষ্ঠান শুরু হয় রাম মন্দিরে। তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট জানিয়েছে, তিনদিন ধরে হয়েছে এই অনুষ্ঠান। এদিন তিথি মেনে সকাল ১১ টা ২৫ মিনিট থেকে শুরু হয় প্রাণ প্রতিষ্ঠা। চলে ১১ টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত। এরই মধ্যে রাম দরবারে আট দেব-দেবীর মূর্তির অভিষেক অনুষ্ঠিত হয়। বৈদিক রীতি মেনে যজ্ঞ, পঞ্চ গব্য ও মন্ত্রোচারণের মাধ্যমে দেবতাদের অভিষেক করা হয়। ২০২৪ সালে গর্ভগৃহে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল রামলালা বালক রামের মূর্তি (Ayodhya)। এবার রাম দরবারে পূর্ণবয়স্ক রাজা রামের মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা সম্পন্ন হল। শ্রীরামের পাশাপাশি মা সীতা, সূর্য দেবতা, দেবী দুর্গা, হনুমানজী, সপ্ত ঋষি, অন্নপূর্ণা দেবী সহ একাধিক দেব-দেবীর প্রাণ প্রতিষ্ঠাও করা হয় এদিন।

    কী বলছেন রামজন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক?

    রাম জন্মভূমি ট্রাস্টের জেনারেল সেক্রেটারি চম্পত রাই এনিয়ে বলেন, “মন্দিরের ৯৫ শতাংশ কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে (Ayodhya)। কলসও বসানো হয়ে গিয়েছে। দেবতাদের মূর্তি স্থাপিত হয়েছে মন্দিরে। প্রাণ প্রতিষ্ঠার আগে যাবতীয় রীতি-নীতি ও আচার-অনুষ্ঠান পালিত হয়েছে। আজ প্রাণ প্রতিষ্ঠার শেষ দিন।” সংবাদমাধ্যমকে তিনি আরও জানিয়েছেন, মন্দিরে আগের মতোই দর্শন করতে পারবেন তীর্থযাত্রীরা। তবে মন্দিরের দ্বিতীয় তলের মন্দির অর্থাৎ রাম দরবারে দর্শন আপাতত বন্ধ থাকবে। প্রতিদিন ৭০ থেকে ৮০ হাজার পুণ্যার্থী রাম মন্দিরে আসছেন বলে জানান চম্পত রাই।

    গঙ্গা দশেরা উপলক্ষে রাম জন্মভূমি প্রাঙ্গণে চলছিল উৎসব, এদিন সম্পন্ন হল

    রাম দরবারে রাজা রামের প্রাণ প্রতিষ্ঠার এই উৎসবে গোটা অযোধ্যায় এক আলাদা পরিবেশ তৈরি হয়। প্রসঙ্গত, গঙ্গা দশেরা উপলক্ষে রাম জন্মভূমি প্রাঙ্গণ বিগত তিন দিন ধরেই চলছিল ধর্মীয় অনুষ্ঠান। এদিন তা সমাপ্ত হয়। আর এই দিনে প্রাণ প্রতিষ্ঠিত হল রাম দরবারের আটটি মূর্তির। বৈদিক মন্ত্র, শঙ্খধ্বনিতে মেতে ওঠে গোটা অযোধ্যা। ৫ জুন সকাল সাড়ে ছয়টা নাগাদ মূল পুজো শুরু হয় বৈদিক রীতি মেনে। সকালেই যজ্ঞ বেদীতে দেবতাদের উদ্দেশ্যে আহুতি প্রদান করা হয় (Ayodhya)। এরপরে সকাল ন’টা নাগাদ অনুষ্ঠিত হয় হোম। প্রাণ প্রতিষ্ঠার সময়ে এক বিশেষ আরতিরও ব্যবস্থা করা হয় এদিন অযোধ্যায়। একেবারে শেষে প্রসাদ গ্রহণের মাধ্যমে অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। প্রসাদ গ্রহণের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন সাধু-সন্ত বৈদিক পণ্ডিত, রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের কর্মকর্তা ও সদস্যরা। এছাড়াও দেশ-বিদেশের হাজার হাজার ভক্ত হাজির ছিলেন এদিন।

    উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান সাধু-সন্তরা

    উল্লেখযোগ্যভাবে এই দিনই হল আবার উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের জন্মদিন (Yogi Adityanath)। সেই উপলক্ষে তিনি ভগবান রামের কাছে আশীর্বাদও চান। আবার এই দিনটি হল সরযূ নদীর ত্রয়োদশী জন্মোৎসব। অর্থাৎ এদিনের তিথির আধ্যাত্মিকতার তাৎপর্যকে অনেক বেশি। রাম দরবারে রাজা রামের প্রাণ প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানে যে সমস্ত সাধুসন্তরা উপস্থিত ছিলেন, তাঁরা প্রত্যেকেই অযোধ্যার প্রাচীন গৌরবকে পুনরুদ্ধারের জন্য উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের প্রশংসা করেন।

    অযোধ্যার উন্নয়ন যজ্ঞ

    প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী (Yogi Adityanath) হন যোগী আদিত্যনাথ। বিগত আট বছর তিনি উত্তরপ্রদেশের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন তিনি। অযোধ্যার উন্নয়নে বিশেষ নজর দিয়েছে তাঁর সরকার। অযোধ্যায় ৩২ হাজার কোটি টাকারও বেশি মূল্যের প্রকল্প বাস্তবায়িত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। এর মধ্যে রয়েছে রাস্তাঘাট, রেলপথের উন্নয়ন, আন্তর্জাতিক মানের বিমানবন্দর, সরযূ নদীর তীরের সৌন্দর্যায়ন এবং উন্নত পর্যটন ব্যবস্থা। প্রসঙ্গত, অযোধ্যা নগরীতে বর্তমানে রাম কথা পার্ক, সরযূ ঘাটের উন্নয়ন বেশ চোখে পড়ে। প্রতিদিন জাঁকজমকপূর্ণভাবে সরযূ মাতার আরতিতে অংশ নেন হাজার হাজার ভক্ত। সারা বিশ্বের হিন্দুদের কাছে আধ্যাত্মিকতার মানচিত্রে অযোধ্যা এক বিশেষ স্থান দখল করেছে।

    এদিন জোরদার ছিল নিরাপত্তা ব্যবস্থা

    প্রসঙ্গত, এদিনের অনুষ্ঠানটিকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার জন্য বেশ জোরদার করা হয়েছিল নিরাপত্তা ব্যবস্থা। অযোধ্যার রাম মন্দির এবং আশেপাশের অঞ্চলগুলিতে ব্যাপক নজরদারি চালানো হয়। সেখানে উত্তরপ্রদেশ সরকারের সন্ত্রাস দমন শাখা, সিআরপিএফ, স্থানীয় পুলিশ মোতায়ন করা ছিল। পুলিশ প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয়, ব্যাপক নজরদারির মাধ্যমে অযোধ্যাকে এদিন দুর্ভেদ্য দুর্গে পরিণত করা হয়েছিল।

  • Noor Khan Airbase: ভারতের হামলায় পর্যুদস্ত নূর খান বিমান ঘাঁটি এখন আমেরিকার নিয়ন্ত্রণে, পাক সেনার প্রবেশও নিষেধ!

    Noor Khan Airbase: ভারতের হামলায় পর্যুদস্ত নূর খান বিমান ঘাঁটি এখন আমেরিকার নিয়ন্ত্রণে, পাক সেনার প্রবেশও নিষেধ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুরের মাধ্যমে পাকিস্তানের (Pakistan) নূর খান বিমান ঘাঁটিতে ব্যাপক আক্রমণ চালায় ভারত। এর ফলে, পাকিস্তানের এই অন্যতম বিমান ঘাঁটির ব্যাপক ক্ষতি হয়। এবার এক চাঞ্চল্যকর দাবি সামনে এসেছে। একাধিক সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে পাকিস্তানের ওই বিমান ঘাঁটিটি আদতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ইন্টারনেটে ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, এক পাকিস্তানি প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ ইমতিয়াজ গুল দাবি করছেন যে বিমান ঘাঁটিটি (Noor Khan Airbase) সম্পূর্ণ মার্কিন নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। কোনও পাকিস্তানি সেনা কর্মকর্তাদের ওই বিমান ঘাঁটিতে হস্তক্ষেপ করার অনুমতিও নেই।

    আমেরিকার বিমান ওঠানামা করছে সেখানে! (Noor Khan Airbase)

    ওই প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ আরও দাবি করছেন, নূর খান বিমান ঘাঁটিতে প্রতিমুহূর্তেই আমেরিকার বিভিন্ন বিমান দেখা যাচ্ছে। কিন্তু সেই বিমানের মধ্যে কী রয়েছে তার সম্পর্কে কোনও স্পষ্টতা কিছু নেই। এক্ষেত্রে পাকিস্তানের সার্বভৌমত্ব নিয়েও গুরুতর প্রশ্ন তুলেছেন ওই নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ। একটি ভিডিওয় ওই বিশেষজ্ঞ আরও দাবি করেন যে, একদিন যখন মালপত্র নামানো হচ্ছিল, পাক বায়ুসেনার এক শীর্ষ আধিকারিক, মার্কিন মেরিনকে প্রশ্ন করেন যে কার্গোর ভিতরে কী রয়েছে। মার্কিন নৌসেনা সাফ জানায়, তারা কিছু জানাতে পারবে না। জোরাজুরি করতেই, সঙ্গে সঙ্গে তার মাথায় পিস্তল তাক করে ওই মার্কিন সেনা।

    একথা বলার অপেক্ষা রাখে না, পাকিস্তানের (Pakistan) বিশেষজ্ঞের এমন দাবি লজ্জার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে সেদেশে। প্রসঙ্গত পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের রাওয়ালপিন্ডের চাকলালায় অবস্থিত হল এই নূর খান বিমান ঘাঁটি। এটি পাকিস্তানের অন্যতম প্রধান বিমান ঘাঁটি।

    ভারতের কাছে মার খাওয়ার পরেও ফিল্ড মার্শাল মুনির

    অন্যদিকে, পাকিস্তানের (Noor Khan Airbase) সেনাপ্রধান জেনারেল আসিফ মুনিরকে ফিল্ড মার্শাল পদে উন্নীত করা হয়েছে। সেদেশের প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের তরফে এক বিবৃতি দিয়ে একথা জানানো হয়েছে। ষাট বছর পরে একজন জেনারেলকে এই পদে উন্নীত করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের নেতৃত্বে মন্ত্রিসভা এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সামরিক দিক থেকে ভারতের কাছে প্রত্যাঘাত খাওয়ার পরে এমন এমন সিদ্ধান্ত নিল পাকিস্তান। এক্ষেত্র উল্লেখ করা দরকার ১৯৬৫ সালে পাকিস্তানে তৎকালীন স্বৈরাচারী শাসক জেনারেল আয়ুব খান নিজেই নিজেকে ফিল্ড মার্শাল পদে নিযুক্ত করেছিলেন। এটি একটি পদ যা অসাধারণ নেতৃত্ব এবং যুদ্ধকালীন কৃতিত্বের জন্য দেওয়া হয়। কিন্তু ভারতের কাছে মার খাওয়ার পরে মুনির কী ধরনের কৃতিত্ব দেখালেন (Noor Khan Airbase)! সে প্রশ্ন উঠছে।

  • UPI: ডিজিটাল ইন্ডিয়ার বিরাট সাফল্য! ভিসাকে ছাপিয়ে দৈনিক লেনদেনে বিশ্বের শীর্ষে ভারতের ইউপিআই

    UPI: ডিজিটাল ইন্ডিয়ার বিরাট সাফল্য! ভিসাকে ছাপিয়ে দৈনিক লেনদেনে বিশ্বের শীর্ষে ভারতের ইউপিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের ইউনিফাইড পেমেন্ট ইন্টারফেস বা ইউপিআই ব্যবস্থা (UPI) উল্লেখযোগ্য মাইলফলকে পৌঁছেছে। প্রসঙ্গত, নয় বছর আগেই শুরু হয় এই ডিজিটাল পেমেন্ট প্লাটফর্ম। নগদহীন ইউপিআই প্লাটফর্ম বর্তমানে লেনদেনের পরিমাণের দিক থেকে বিশ্বের সবচেয়ে প্রাচীনতম এবং বড় ডিজিটাল পেমেন্ট নেটওয়ার্ক ভিসাকেও ছাপিয়ে গিয়েছে। ইউপিআইয়ের (UPI) সাফল্য ভারতের বাইরেও ব্যাপকভাবে নজরে পড়ছে। বিশ্বব্যাপী অনেক দেশেই এই প্ল্যাটফর্ম বর্তমানে কাজ চালাচ্ছে। মোদি সরকারের আমলে তৈরি ডিজিটাল ইন্ডিয়া কর্মসূচির অন্যতম অংশ ছিল এই ইউপিআই ব্যবস্থা। আজ তা সাফল্যের শীর্ষে পৌঁছল।

    ইউপিআই ছাপিয়ে গিয়েছে ভিসাকেও

    ইতিমধ্যে যে পরিসংখ্যান সামনে এসেছে তাতে দেখা গিয়েছে, ২০২৫ সালের ১ জুন ইউপিআই-এর (UPI) মাধ্যমে ৬৪.৪ কোটি লেনদেন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। ২ জুন ইউপিআই লেনদেনের সংখ্যা পার করে ৬৫ কোটির গণ্ডী, যা ছাপিয়ে গেছে গিয়েছে ভিসার লেনদেনকে। ২০২৪ সালের আর্থিক বছরে ভিসার গড় দৈনিক লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৬৩.৯ কোটি। অর্থাৎ যে পরিসংখ্যার সামনে এসেছে তাতে দেখা গিয়েছে, বিশ্বের জনপ্রিয়তম ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবস্থা ভিসাকেও ছাপিয়ে গিয়েছে ভারতের ইউপিআই। ভারতের ইউপিআইয়ের (UPI) দৈনিক লেনদেন বর্তমানে ভিসার চেয়ে অনেকটাই বেশি।

    ভিসার (Visa) পরেই রয়েছে মাস্টারকার্ড

    ভিসার পরে স্থান রয়েছে মাস্টার কার্ডের। প্রতিদিন প্রায় ৪৫ কোটি লেনদেন হয় এই ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে। ইতিমধ্যে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের যে সর্বশেষ তথ্য সামনে এসেছে সেখানে দেখা যাচ্ছে যে ডিজিটাল পেমেন্টে ভারতের অংশ ৪৮.৫ শতাংশে পৌঁছেছে। যা মূলত ইউপিআই-এর (UPI) মাধ্যমেই পরিচালিত হচ্ছে।

    ডিজিটাল পেমেন্টের ৮৫ শতাংশই ইউপিআইয়ের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে

    যে তথ্য সামনে এসেছে সেখানে আরও দেখা যাচ্ছে, টাকার অঙ্কে ভিসা (Visa) এবং মাস্টারকার্ড- এই দুটোকেই ছাপিয়ে গিয়েছে ইউপিআই। ২০২৫ সালের মে মাসে ইউপিআই-এর লেনদেনের মূল্য অন্যান্য সমস্ত কার্ড লেনদেনের থেকে ১২ গুণ বেশি ছিল। পরিসংখ্যান বলছে এই সময়কালে ২৫ লক্ষ কোটি টাকার লেনদেন ইউপিআই-এর মাধ্যমে করা হয়েছিল। ভারতের সমস্ত ডিজিটাল লেনদেনের ৮৫ শতাংশ বর্তমানে ইউপিআইয়ের মাধ্যমেই পরিচালিত হয় বলে জানা গিয়েছে।

  • Amarnath Yatra: আশঙ্কা জঙ্গি হামলার, অমরনাথ পুণ্যার্থীদের নিরাপত্তায় এবার ‘অপারেশন শিব’

    Amarnath Yatra: আশঙ্কা জঙ্গি হামলার, অমরনাথ পুণ্যার্থীদের নিরাপত্তায় এবার ‘অপারেশন শিব’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁওয়ে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার পরে চলতি বছরের অমরনাথ যাত্রায় (Amarnath Yatra) নিরাপত্তায় বিশেষ জোর দিয়েছে মোদি সরকার। জানা গিয়েছে, এনিয়ে উচ্চ পর্যায়ের একটি নিরাপত্তা বৈঠকও করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৫ সালের অমরনাথ যাত্রায় জঙ্গি হামলার আশঙ্কার কারণে জম্মু-কাশ্মীরে ৫০ হাজারেরও বেশি সেনা মোতায়েন করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রসঙ্গত, ২০২৫ সালের অমরনাথ যাত্রা শুরু হচ্ছে ৩ জুলাই থেকে। এই যাত্রা চলবে ৯ অগাস্ট পর্যন্ত। সূত্রের খবর, ৩ জুলাই পুণ্যার্থীদের প্রথম বাসটি ছাড়া হবে শ্রীনগর থেকে (Terror Threat)। একারণেই তীর্থযাত্রীদের নিরাপত্তায় কোনও ফাঁক রাখতে চাইছে না সরকার। এই অপারেশনের নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন শিব’।

    সর্বক্ষণের নজরদারি (Amarnath Yatra)

    এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার, দিনকয়েক আগেই (Amarnath Yatra) গত ২৯ মে জম্মু-কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিংহের সঙ্গে বৈঠক সম্পন্ন হয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের। কেন্দ্রীয় সরকার সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই অমরনাথের যাত্রাপথের থ্রিডি ম্যাপিং তৈরি করে ফেলেছে নিরাপত্তাবাহিনী। জানা যাচ্ছে, যাত্রাপথ, বেসক্যাম্প সহ সব ক’টি স্পর্শকাতর এলাকাতেই সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। একইসঙ্গে সেনা মোতায়েন থাকবে পুণ্যার্থীদের আবাসস্থলগুলিতেও। নজরদারির জন্য সর্বক্ষণ ড্রোন এবং হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হবে (Terror Threat) বলে জানিয়েছে সেনা। এ ছাড়াও ব্যবহার করা হবে বডি স্ক্যানার এবং সিসিটিভি ক্যামেরা।

    পহেলগাঁওয়ের পরে অপারেশন সিঁদুর

    প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলা হয়। হিন্দু পর্যটকদের বেছে বেছে হত্যা করা হয়। এই ঘটনায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল। ওই ঘটনার পর ভারত পাক অধিকৃত কাশ্মীর এবং পাকিস্তানের মূল ভূখণ্ডে অপারেশন সিঁদুর প্রয়োগ করে ভারত। ৯টি জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করে ভারত। তার জেরে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘাতের আবহও তৈরি হয়। পাকিস্তানের একাধিক সেনা ঘাঁটিতে হামলা চালায় ভারত। পরে দুই দেশের সংঘর্ষবিরতি হয়।

  • Daily Horoscope 05 June 2025: একাধিক সমস্যার সম্মুখীন হবেন এই রাশির জাতকরা

    Daily Horoscope 05 June 2025: একাধিক সমস্যার সম্মুখীন হবেন এই রাশির জাতকরা

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) আজকের দিনটি চ্যালেঞ্জে পরিপূর্ণ।

    ২) একাধিক সমস্যার মুখোমুখি হবেন।

    ৩) কাজে সতর্ক থাকুন।।

    বৃষ

    ১) আজকের দিনটি খুবই ভালো।

    ২) দৈনন্দিন কাজে ব্যস্ত থাকবেন।

    ৩) স্বাস্থ্যের যত্ন নিন।

    মিথুন

    ১) আজকের দিনটি খুবই ভালো।

    ২) নিজের কাজে বড়সড় সাফল্য লাভ করবেন।

    ৩) কাজে ভালো প্রদর্শন করতে পারবেন, যার ফলে জীবনে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে।

    কর্কট

    ১) আজকের দিনটি কঠিন।

    ২) কাজের দুষ্পরিণাম থেকে সতর্ক থাকুন।

    ৩) বিরোধীদের থেকে দূরে থাকুন।

    সিংহ

    ১) আজকের দিনটি কঠিন।

    ২) কাজে অধিক সময় কাটাবেন।

    ৩) ব্যবসায়ে কিছু সমস্যা উৎপন্ন হতে পারে।

    কন্যা

    ১) আজকের দিনটি খুবই ভালো।

    ২) কাজকর্মে সাফল্য লাভ করবেন।

    ৩) বরিষ্ঠরা আপনার কর্মশৈলী দেখে খুশি হবেন, আপনি তাঁদের প্রভাবিত করতে সফল হবেন।

    তুলা

    ১) আজকের দিনটি খুবই ভালো।

    ২) আজ জীবনে একাধিক সুখপূর্ণ ও অদ্ভূত ঘটনা ঘটবে।

    ৩) কাজে বড়সড় সাফল্য লাভ করবেন।

    বৃশ্চিক

    ১) আজকের দিনটি কঠিন।

    ২) কাজে মনোনিবেশ করা জরুরি।

    ৩) জীবনযাপন প্রণালী পরিবর্তনের সুযোগ পাবেন।

    ধনু

    ১) আজকের দিনটি খুবই ভালো।

    ২) কাজে বড়সড় সাফল্য পাবেন।

    ৩) প্রচুর পরিমাণে অর্থ লাভ হবে।

    মকর

    ১) আজকের দিনটি অত্যন্ত কঠিন।

    ২) কাজে মনোনিবেশ করুন।

    ৩) ভুল থেকে শিক্ষা গ্রহণ করবেন।

    কুম্ভ

    ১) আজকের দিনটি খুবই ভালো।

    ২) কাজে সফল হবেন, মনোবল বৃদ্ধি পাবে।

    ৩) বিরোধীদের থেকে সতর্ক থাকুন।

    মীন

    ১) আজকের দিনটি কঠিন।

    ২) সাধারণ কাজকর্মেও একাধিক সমস্যার সম্মুখীন হবেন।

    ৩) স্বাস্থ্যের যত্ন নিন।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Pak Spy: পাকিস্তানের চর! ধৃত ইউটিউবার জসবীর সিং, জ্যোতিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কাশী নিয়ে যাচ্ছে এনআইএ

    Pak Spy: পাকিস্তানের চর! ধৃত ইউটিউবার জসবীর সিং, জ্যোতিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কাশী নিয়ে যাচ্ছে এনআইএ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির (Pak Spy) অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া ইউটিউবার ও ট্র্যাভেল ভ্লগার জ্যোতি মালহোত্রাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বারাণসী নিয়ে যাচ্ছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ (NIA)। তদন্তকারীদের মতে, জ্যোতি পাকিস্তান সফরের আগে কিংবা পরেই নিয়মিতভাবে বারাণসীতে যেত। এতেই দানা বেঁধেছে রহস্য। জ্যোতি কেন বারবার বারাণসী যেত তা জানতে চাইছে তদন্তকারীরা। অন্যদিকে পাকিস্তান-সমর্থিত গুপ্তচরচক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে আরও একজন ইউটিউবারকে গ্রেফতার করেছে পাঞ্জাব পুলিশ। ধৃত ব্যক্তির নাম জসবীর সিং। “জান মহল” নামে একটি ইউটিউব চ্যানেল পরিচালনা করত জসবীর। যার সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা ১১ লক্ষের বেশি।

    কেন কাশী যেত জ্যোতি

    ‘ট্র্যাভেল উইথ জো ’ (Travel with Jo) নামের ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে দেশের নানা প্রান্তে ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ ছিল জ্যোতি মালহোত্রার। কিন্তু বারাণসীতে তার এত ঘন ঘন উপস্থিতি সন্দেহের সৃষ্টি করেছে। তদন্তকারীদের সন্দেহ, বারাণসীর নির্দিষ্ট কিছু স্থানের ভিডিও তৈরি করে জ্যোতি বিশেষ কাউকে পাঠাত। কার নির্দেশে জ্যোতি সেই ভিডিও আপলোড করত? ভিডিওগুলোর মধ্যে কি কোনো সাংকেতিক বার্তা বা গোপন তথ্য লুকিয়ে ছিল? কোন উদ্দেশে এই ভিডিও তৈরি করত জ্যোতি, তা জানতে চায় গোয়েন্দারা। রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২২ সালের পর থেকে এখনও পর্যন্ত চারবার পাকিস্তানে গিয়েছে জ্যোতি। প্রতিবারই পাকিস্তান সফরের আগে বা পরে বারাণসী সফর করত সে। সেইসব সফরের ভিডিও ইউটিউবে আপলোডও করত। প্রথম পাকিস্তান সফর ছিল ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে। এ সময় জ্যোতি করতারপুর করিডোর যায়। তার পরের মাসেই জ্যোতি বারাণসী যায় এবং বিভিন্ন স্থানের ভিডিও তৈরি করে।

    বারবার কাশী ভ্রমণ

    ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে আবার পাকিস্তানে (Pak Spy) যাওয়ার পর জুলাই মাসে ফের বারাণসী যায় জ্যোতি। ৯ই ডিসেম্বর বাসে করে আবার কাশী যায় সে। উল্লেখযোগ্যভাবে, ১৯শে ডিসেম্বর যখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বারাণসীতে বন্দে ভারত ট্রেন উদ্বোধন করছিলেন, তখন জ্যোতি সেই একই ট্রেনে বারাণসী থেকে দিল্লি যাচ্ছিল এবং ট্রেনের পাইলট কেবিনের ভিডিও ও ক্লোজ-আপ ছবি ধারণ করে। ২০২৫ সালের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতেও বারাণসীতে গিয়েছিল জ্যোতি। একাধিক স্থানে ভ্রমণও করে সে। এরপর কাশ্মীর ঘুরে মার্চ মাসে আবার পাকিস্তানে যায় হরিয়ানার মেয়ে।

    গ্রেফতার জ্যোতির সঙ্গী জসবীর

    অন্যদিকে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে রূপনগরের মাহলান গ্রামের বাসিন্দা জসবীর সিংকে মোহালির স্টেট স্পেশাল অপারেশন সেল (SSOC) গ্রেফতার করে। পুলিশের দাবি, জ্যোতির সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল জসবীরের। মোহালি আদালত তাকে ৩ দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর সন্দেহভাজন এজেন্ট শাকির ওরফে জাট রনধাওয়ার সঙ্গেও ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল জসবীরের। তাছাড়া, পাকিস্তান হাই কমিশনের প্রাক্তন কর্মকর্তা এহসান-উর-রহিম ওরফে দানিশের সঙ্গেও সম্পর্ক ছিল জসবীর সিং-এর। দানিশকে আগে ভারত থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে।

    পাকিস্তানে তিনবার ভ্রমণ, দূতাবাসে উপস্থিতি

    জসবীর সিং ২০২০, ২০২১ ও ২০২৪ সালে মোট তিনবার পাকিস্তানে (Pak Spy) সফর করেন। তিনি দিল্লিতে পাকিস্তান হাই কমিশনের জাতীয় দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, যেখানে তিনি পাকিস্তানি সেনা কর্মকর্তা ও ভ্লগারদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং ছবি তোলেন। উক্ত অনুষ্ঠানে তিনি জ্যোতি মালহোত্রা ও দানিশের সঙ্গেও ছবি তুলেছিলেন এবং সেগুলো নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে শেয়ার করেন। পুলিশ জানিয়েছে, জসবীরের ইলেকট্রনিক ডিভাইস পরীক্ষা করে বেশ কয়েকটি পাকিস্তান-ভিত্তিক নম্বর পাওয়া গিয়েছে। যা বর্তমানে তদন্তাধীন। জ্যোতি মালহোত্রার গ্রেফতারের পর জসবীর সিং নিজের মোবাইল থেকে সমস্ত সন্দেহজনক যোগাযোগের তথ্য মুছে ফেলার চেষ্টা করে। কিন্তু পুরোটা মুছে ফেলা সম্ভব হয়নি।

    গোটা নেটওয়ার্ক ভেঙে দেওয়ার প্রস্তুতি

    এ পর্যন্ত পাকিস্তানের পক্ষে গুপ্তচরবৃত্তির (Pak Spy) অভিযোগে পাঞ্জাব পুলিশ মোট ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে। তাদের মধ্যে অজনালা, অমৃতসর থেকে ফালাকশের মসিহ ও সুরজ মসিহ, মালেরকোটলা থেকে ৩১ বছর বয়সী গুজালা ও ইয়ামিন মোহাম্মদ এবং গুরুদাসপুর থেকে সুখপ্রীত সিং ও করণবীর সিং-কে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, এই গোটা নেটওয়ার্কের প্রতিটি সদস্যকে চিহ্নিত করার কাজ চলছে। পুরো নেটওয়ার্ক ধ্বংস করার লক্ষ্যে কাজ করছে পুলিশ।

  • India Pakistan Conflict: ৪৮ ঘণ্টার যুদ্ধ পরিকল্পনা, ৮ ঘণ্টার মধ্যেই বেসামাল পাকিস্তান! বললেন সিডিএস জেনারেল অনিল চৌহান

    India Pakistan Conflict: ৪৮ ঘণ্টার যুদ্ধ পরিকল্পনা, ৮ ঘণ্টার মধ্যেই বেসামাল পাকিস্তান! বললেন সিডিএস জেনারেল অনিল চৌহান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের (India Pakistan Conflict) পরিকল্পনা ছিল, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ভারতকে নতজানু হতে বাধ্য করানো। যদিও ভারতের কৌশলী আক্রমণের সামনে আট ঘণ্টার মধ্যে গুঁড়িয়ে যায় ইসলামাবাদ। ফলে, বাধ্য হয়ে সংঘর্ষবিরতির জন্য ভারতকে অনুরোধ করে পাকিস্তান। মঙ্গলবার এমনই জানালেন ভারতের সেনা সর্বাধিনায়ক চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল অনিল চৌহান (CDS General Anil Chauhan)।

    সংঘর্ষ বিরতির জন্য প্রার্থনা

    মঙ্গলবার পুণের সাবিত্রীবাই ফুলে বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘ইসলামাবাদই সংঘাত বাড়িয়েছিল। এটা তাদের অভ্যেস। ১০ মে রাত ১টা নাগাদ সামরিক হামলা চালায় ওরা। পাকিস্তানের পরিকল্পনা ছিল ধারাবাহিক আক্রমণ চালিয়ে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ভারতকে নতজানু হতে বাধ্য করবে। যদিও ওদের সমস্ত জারিজুরি আট ঘণ্টার মধ্যে গুটিয়ে যায়। আসলে পাল্টা হামলায় পাকিস্তানের নূর খান, মুরিদ ও রফিকির মতো একাধিক বিমানঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয় ভারত। নষ্ট করা হয়ে প্রতিবেশী দেশের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম।’’ জেনারেল চৌহান আরও জানান, সংঘর্ষবিরতির অনুরোধ জানিয়ে পাকিস্তানের ডিজিএমও হটলাইনে ভারতের ডিজিএমও-র সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। যেহেতু ওরা বুঝেছিল যুদ্ধ চালিয়ে গেলে আরও ক্ষতি হবে। সেই কারণেই ওরা সংঘর্ষবিরতির পথে হাঁটে।

    জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করার পর ফোন

    এদিন জেনারেল চৌহান (CDS General Anil Chauhan) বলেন, “৭ মে (Operation Sindoor) অপারেশন সিঁদুরে একের পর এক জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়ার পাঁচ মিনিটের মধ্যেই ফোন করে পাকিস্তানে সে খবর জানিয়েছিল নয়াদিল্লি৷ রাত একটা থেকে দেড়টার মধ্যে আমরা অভিযান চালাই৷ অভিযান শেষ হওয়ার ঠিক পাঁচ মিনিটের মধ্যে আমরা পাকিস্তানে ফোন করে জানাই যে আমরা এটা করেছি৷ অভিযানের দিন ওদের জানিয়েছিলাম। ওদের তরফে বাগাড়ম্বরপূর্ণ মন্তব্য আসতে শুরু করলে, কড়া হাতে মোকাবিলার কথা বলি। আমাদের সেনাঘাঁটিতে হামলা চালালে, আমরাও উপযুক্ত জবাব দেব, আরও তীব্র আঘাত করব বলে জানিয়ে দিই। (ভারত ও পাকিস্তান) দুই দেশের পৃথক ক্ষমতা, ফলত ঝুঁকি অবশ্যই ছিল। আমাদের যা ক্ষমতা ছিল, আগে যুদ্ধক্ষেত্রে তার প্রয়োগ হয়নি। ফলে ঝুঁকি থাকেই, কিন্তু ঝুঁকি না নিলে সাফল্য় মিলবে না। আমাদের ড্রোন প্রতিরোধ প্রযুক্তি যে মজবুত, তা জানতামই।”

    যুদ্ধে ভারতের ক্ষয়ক্ষতি

    পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধে (India Pakistan Conflict) ভারতের ক্ষয়ক্ষতির প্রসঙ্গ উঠলে তিনি বলেন, “আমাদের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ গুরুত্বপূর্ণ নয়। কী ফল মিলল, তা গুরুত্বপূর্ণ। ফুটবলে গোলের নিরিখে সোজা হিসেব হয়। ক্রিকেটের টেস্ট ম্যাচে ইনিংসের নিরিখে জয় আসে। কত উইকেট, কত ফল, কত সংখ্যক খেলোয়াড়, সেসব গুরুত্ব রাখে না। প্রযুক্তিগত মাপকাঠির নিরিখে এই সংক্রান্ত পরিসংখ্যান শীঘ্রই সামনে আনব। আমরা ক’টা যুদ্ধবিমান নামিয়েছি, কত রেডার ভেঙেছি, হিসেব কষে জানাব আমরা।”

  • Operation Sindoor: ধ্বংস ৬ যুদ্ধবিমান, অপারেশন সিঁদুরে বিপুল ক্ষতি পাকিস্তানের! মানছে ইসলামাবাদও

    Operation Sindoor: ধ্বংস ৬ যুদ্ধবিমান, অপারেশন সিঁদুরে বিপুল ক্ষতি পাকিস্তানের! মানছে ইসলামাবাদও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) অভিযান চালিয়ে পাকিস্তানে (India Pakistan Conflicts) থাকা একাধিক জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছে ভারত। জঙ্গিদের পক্ষ নিয়ে পাক সেনা ভারতের উপর হামলা চালালে তার পাল্টা দিয়েছে দিল্লিও। পাকিস্তানে থাকা একাধিক বিমান ঘাঁটিকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে ভারতীয় সেনা। তাতেই পাকিস্তান বিমানবাহিনীর বড় ক্ষতি হয়েছে। খুব অল্প সময়ের মধ্যে অভিযান চালিয়ে পাকিস্তানে যে বড় আঘাত হানা হয়েছে সেই কথা একাধিকবার জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তবে ইসলামাবাদ প্রথমে তা মানতে চায়নি। যদিও এখন সে কথা স্বীকার করছে পাকিস্তানও। সূত্রের খবর, অপারেশন সিঁদুর অভিযানে ৬টি ফাইটার জেট ছাড়াও বিপুল ক্ষতি হয়েছে পাকিস্তানের।

    পাকিস্তানের নতুন প্রতিবেদন

    পাকিস্তানের সামরিক অভিযানের ওপর তৈরি প্রকাশিত নতুন এক প্রতিবেদন — ‘অপারেশন বুনিয়ান উল মারসুস’-এ স্বীকার করা হয়েছে, ভারত অন্তত ২৮টি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে, যা ভারতের পক্ষ থেকে শুরুতে বলা ২০টি লক্ষ্যবস্তুর চেয়ে অনেক বেশি। ডসিয়ার অনুযায়ী, ভারতের হামলার নতুনভাবে উন্মোচিত লক্ষ্যবস্তুগুলির মধ্যে রয়েছে — পেশোয়ার, ঝাং, হায়দরাবাদ (সিন্ধ), গুজরাট (পাঞ্জাব), গুজরানওয়ালা, বাহাওয়ালনগর, অ্যাটক এবং চোর। এই স্বীকারোক্তিতে স্পষ্ট, ভারতের হামলার পরিমাণ এবং প্রভাব আগে জানানো তথ্যের চেয়ে অনেক বেশি। পাকিস্তানের এই নথি মূলত নিজেদের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সামনে এনেছে। এর থেকেই বোঝা যায় কেন ইসলামাবাদ দ্রুত যুদ্ধবিরতির আবেদন জানায়।

    কী ধ্বংস হয়েছে পাকিস্তানের?

    ৬-৭ মে রাত থেকে ১০ মে পর্যন্ত ভারতীয় বিমান বাহিনীর আঘাতে পাকিস্তানের একাধিক যুদ্ধবিমানের ক্ষতি হয়। সূত্রের দাবি, ভারতের লাগাতার হামলার জেরে পাকিস্তানের ৬টি পিএএফ যুদ্ধবিমান, ২টি অ্যাওয়াক্স, ১টি সি-১৩০ বিমান, ৩০টি ক্ষেপণাস্ত্র, ইউএভিএস এবং ইউসিএসভিএস ধ্বংস হয়। ভারতের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম এবং ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কারণে পাকিস্তানের ব্যাপক ক্ষতি হয়। সূত্রের খবর, সুদর্শন ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র এবং ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্রের সাহায্যে সমস্ত লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করে ভারতীয় বায়ুসেনা। সুদর্শনের মাধ্যমে ৩০০ কিলোমিটার দূর থেকে লক্ষ্যবস্ততুতে আঘাত হানে। পাকিস্তানের ভোলারি বিমানঘাঁটিতে হামলায় একটি সুইডিশ বিমানও ধ্বংস করে ভারতীয় বায়ুসেনা। ওই বিমানঘাঁটিতে বেশ কয়েকটি যুদ্ধবিমান ছিল। তবে ধ্বংসাবশেষ পাকিস্তান তড়িঘড়ি করে সরিয়ে নেয়। সেজন্য বিমানের ক্ষতির তথ্য পাকিস্তান সরকারিভাবে সামনে আনেনি। পাকিস্তানের আকাশসীমাতে থাকা ১০টিরও বেশি ইউসিভিএ আটকে দেওয়া হয় ভারতের তরফে। তা ধ্বংসও করা হয়েছে। এছাড়াও ভারতীয় বায়ুসেনার ড্রোন হামলায় পাকিস্তানের সি-১৩০ বিমান ধ্বংস হয়। রাফাল এবং সুখোই-৩০ যুদ্ধবিমানের হামলায়, ‘উইং লুং’ সিরিজের বেশ কয়েকটি মাঝারি উচ্চতার চিনা ড্রোন ধ্বংস করা হয়। তবে পাকিস্তানের আরও ক্ষতি হয়ে থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সেই তথ্য জোগাড়ের চেষ্টা চলছে।

    কেন যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত

    ভোলারি এবং নূর খান বিমান ঘাঁটিতে হামলার পরে সেখানেও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ভারতীয় বাহিনী অভিযানে ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র এবং দূরপাল্লার বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ব্যবহার করেছে বলে জানা গিয়েছে। এস-৪০০ মিসাইল হামলায় ধ্বংস করা হয়েছে পাকিস্তানের একটি উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন এয়ারক্রাফটও। একই সঙ্গে সূত্রগুলি ইঙ্গিত দিয়েছে যে পাকিস্তান ক্ষতিগ্রস্ত বিমান ঘাঁটি থেকে নিহত সৈন্যদের মৃতদেহ উদ্ধার করছে না। প্রসঙ্গত, পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার বদলা নিতে গত ৭ মে রাতেই শুরু হয় অপারেশন সিঁদুর অভিযান। ওই অভিযানে পাকিস্তান এবং পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে থাকা একাধিক জঙ্গি ঘাঁটিতে নিখুঁত অভিযান চালায় ভারতীয় সেনা। এর পরেই ভারতকে লক্ষ্য করে হামলা চালায় পাকিস্তানের সেনা। তার জবাব দেয় ভারতও। চারদিনের ওই লড়াইয়ের পরে যুদ্ধবিরতি হয়। সূত্রের খবর, ভারতীয় বিমান বাহিনীর হামলায় বিপুল ক্ষতির পরেই যুদ্ধবিরতির কথা বলে পাকিস্তান।

    এখনও সতর্ক ভারত

    ভারতের অপারেশন সিঁদুরের (Operation Sindoor) পর প্রত্যাঘাতের জন্য ‘অপারেশন বুনিয়ান মারসুস’ চালু করেছিল পাকিস্তান। ওই হামলায় ভারতের কিছু ক্ষতি হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। মঙ্গলবার পুণে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে ভারতীয় সেনা সর্বাধিনায়ক অনিল চৌহান জানান, অপারেশন সিঁদুর জরুরি হয়ে পড়েছিল। তিনি বলেন, ‘অপারেশন সিঁদুরের আবহে আমি যুদ্ধের কৌশল ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেছিলাম। আমরা জানতাম মোকাবিলা করার জন্য আমাদের হাতে ড্রোন প্রতিরোধ করার জন্য অনেক ভালো ব্যবস্থা রয়েছে। ঝুঁকি কতটা ছিল, তা বোঝাও গুরুত্বপূর্ণ ছিল। পেশাদার বাহিনী হিসাবে আমরা ক্ষতি বা বাধার কথা ভেবে খুব বেশি প্রভাবিত হই না। নিজেদের ভুল আমাদের বুঝতেই হবে এবং শোধরাতে হবে। বিপত্তির কারণে বসে থাকলে তো চলবে না। আমরাও তা করে দেখিয়েছি।’ একই সঙ্গে তিনি জানান, অপারেশন সিঁদুর অভিযান এখনও শেষ হয়নি। তাই সতর্ক থাকতে হবে ভারতকে। একই কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও।

    বিপুল ধাক্কা পাকিস্তানের

    লজ্জায় মুখ না খুললেও, রিপোর্ট বলছে অপারেশন সিঁদুরে (Operation Sindoor) ভারতের মারে কোমর ভেঙে গিয়েছে পাকিস্তানের (India Pakistan Conflicts)। মাত্র ৪ দিনের যুদ্ধে যে ধাক্কা পাকিস্তান খেয়েছে তা সামাল দিতে বহু বছর লেগে যাবে শেহবাজদের। ভারতের অপারেশন সিঁদুর আক্রমণে পাকিস্তানের প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

  • Virat Kohli : ‘ই সালা কাপ নামদু’! অবশেষে স্বপ্ন পূরণ, চোখের জলে মাটি স্পর্শ, আইপিএল ট্রফিতে চুম্বন বিরাটের

    Virat Kohli : ‘ই সালা কাপ নামদু’! অবশেষে স্বপ্ন পূরণ, চোখের জলে মাটি স্পর্শ, আইপিএল ট্রফিতে চুম্বন বিরাটের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শাপমোচন! স্বপ্নপূরণ! অধরা মাধুরী ধরা দিল। ১৮ বছর পর বিরাট কোহলির (Virat Kohli) ট্রফি ক্যাবিনেটে এল আইপিএল (IPL Final 2025) খেতাব। রাজার মতোই ট্রফি হাতে অনুগতদের ভিড়ে মিশে গেলেন কিং কোহলি। আঠারোর উপাখ্যান লিখলেন ক্রিকেট দেবতা। ফাইনালে শ্রেয়স আইয়ারের পাঞ্জাব কিংসকে ছয় রানে হারিয়ে আইপিএলের অষ্টাদশ মরশুমে প্রথমবার আইপিএল জিতল ‘নম্বর ১৮’ বিরাট কোহলির দল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু (আরসিবি)। সেই ২০০৮ সাল থেকে বেঙ্গালুরুর সঙ্গে বিরাটের পথ চলা শুরু। দীর্ঘ ১৮ বছর কোহলি কখনও ট্রফি ছোঁয়ার স্বাদ পাননি। ট্রফির জন্য আরসিবি ছেড়ে অন্য দলে যাওয়ার অনেক সুযোগ ছিল। তাঁকে পেতে মুখিয়ে ছিল অসংখ্য দল। কিন্তু ট্রফি জয়ের থেকে বরাবরই আনুগত্যকে এগিয়ে রাখেন বিরাট। আর সেই আনুগত্যের দাম দিল ক্রিকেট দেবতা।

    চার বল বাকি থাকতেই আবেগের বিস্ফোরণ

    খেলা শেষ হতে তখনও চার বল বাকি। জশ হেজলউডের বলটা শশাঙ্ক সিং বাউন্ডারির বাইরে পাঠিয়ে দিতেই হাঁটু মুড়ে মাটিতে বসে পড়লেন তিনি। দু’হাতে ঢাকলেন চোখ। পাশ থেকে দুই সতীর্থের পিঠ চাপড়ানি, গোটা মাঠের গর্জন, সতীর্থদের পাগলপারা উচ্ছ্বাস— কিছুই ছুঁতে পারছিল না তাঁকে। বাউন্ডারিতে দাঁড়িয়ে চোখ ঢেকে ফেললেন কোহলি। চোখের কোনা দিয়ে গড়িয়ে পড়ল জল। খেলা শেষ না হলেও তত ক্ষণে বেঙ্গালুরুর জয় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে। তাই নিজের আবেগ ধরে রাখতে পারেননি কোহলি। প্রতীক্ষার পালা সাঙ্গ হল। এক দিনের বিশ্বকাপ, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি, দেশের হয়ে সবই জিতে ফেলেছেন। এ বার ক্লাবের হয়ে আইপিএলও হয়ে গেল। এই ট্রফি ক্রিকেটজীবনে কতটা গুরুত্বপূর্ণ? কোহলির জবাব, “সত্যি বলতে, অনেকটা উপরের দিকেই থাকবে। গত ১৮ বছর ধরে নিজের সবটা এই দলকে দিয়েছি। যা-ই হোক না কেন, এই দলের প্রতি দায়বদ্ধ থেকে। কখনও কখনও মনের মধ্যে বিভিন্ন ভাবনাচিন্তা এসেছে (দল ছাড়ার)। তবু এই দলের সঙ্গে থেকে গিয়েছি। সমর্থকদের পাশে দাঁড়িয়েছি, ওঁরাও আমার পাশে দাঁড়িয়েছে। ওঁদের সঙ্গেই জেতার স্বপ্ন দেখেছি। ট্রফি জয়টা আরও ভাল লাগছে কারণ আমার হৃদয় এবং আত্মা রয়েছে বেঙ্গালুরুর সঙ্গেই। আইপিএলের শেষ দিন পর্যন্ত এই দলের সঙ্গেই থাকব।”

    স্বপ্নপূরণের কান্নায় ভাসল মোতেরা

    এদিন খেলা শেষে মাঠে নামলেন কোহলির (Virat Kohli) প্রিয় বন্ধু এবি ডিভিলিয়ার্স। তাঁকে গিয়ে জড়িয়ে ধরলেন কোহলি। খেলা ছেড়ে দেওয়ার পরেও এই দলকে ডিভিলিয়ার্স কতটা ভালবাসেন তা বোঝা যাচ্ছিল। কোহলি পরে জানালেন, তাঁদের উৎসবের মঞ্চে থাকবেন এবি। মাঠে নামলেন কোহলির আর এক বন্ধু ক্রিস গেইলও। তিনিও বেঙ্গালুরুর জার্সি পরেছিলেন। তাঁকেও দেখা গেল বেঙ্গালুরুর উৎসবে। সতীর্থ, কোচ, বন্ধুরা পাশে থাকলেও তখনও কোহলির চোখ এক জনকে খুঁজছিল। বার বার গ্যালারির দিকে তাকাচ্ছিলেন তিনি। অবশেষে তাঁকে দেখতে পেলেন কোহলি। তিনি অনুষ্কা শর্মা। তাঁর সব লড়াইয়ের সাক্ষী। বেঙ্গালুরুর মেয়ে অনুষ্কা। দু’বছর আগে এক দিনের বিশ্বকাপের ফাইনালে এই মাঠেই অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে কাঁদতে কাঁদতে স্ত্রী অনুষ্কাকে জড়়িয়ে ধরেছিলেন কোহলি। এ বারও তাই করলেন। তবে সেই কান্না ছিল দুঃখের। স্বপ্নভঙ্গের। এই কান্না আনন্দের। স্বপ্নপূরণের। কোহলির কথায়, “এই ট্রফি দলের জন্য যতটা, ততটাই সমর্থকদের জন্য। আঠারোটা বছর পেরিয়ে গিয়েছে এই দিনটা দেখতে। এই দলটাকে নিজের যৌবন, নিজের সেরা সময় এবং অভিজ্ঞতা দিয়েছি। প্রত্যেক মরসুমে ট্রফি জেতার আপ্রাণ চেষ্টা করেছি, নিজের সবটা দিয়েছি। তাতেও ট্রফি পাইনি। অবশেষে এই দিনটা দেখতে পাওয়া অবিশ্বাস্য এক অনুভূতি।”

    ই সালা কাপ নামদু

    আইপিএলের (IPL Final 2025) ইতিহাসে কোহলিই (Virat Kohli) একমাত্র ক্রিকেটার, যিনি ১৮ বছর ধরে একটা দলেই খেলছেন। চেন্নাই টুর্নামেন্ট থেকে দু’বছর নির্বাসিত হওয়ায় মহেন্দ্র সিং ধোনিকে অন্য দলে খেলতে হয়েছে। রোহিত শর্মা দলবদল করেছেন। কিন্তু কোহলি বেঙ্গালুরু ছাড়েননি। অধিনায়ক না থেকেও পর্দার পিছনের নায়ক তিনিই। তাঁকে বাদ দিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত, কোনও পরিকল্পনা করে না বেঙ্গালুরু। রজত পাতিদারের হাতে নেতৃত্ব তুলে দেওয়ার আগেও কোহলির সবুজ-সঙ্কেত নেওয়া হয়েছিল। অনেকে বলেন, পাতিদার কোহলিরই ‘নির্বাচিত’। অধিনায়কত্বে তরুণ রক্ত আনতে চেয়েছিলেন বিরাট। সেই তরুণ তুর্কিরাই কোহলিকে চ্যাম্পিয়ন করতে মাঠে উজাড় করে দিয়েছেন। যেমন ২০১১ সালে এক দিনের বিশ্বকাপটা সচিন তেন্ডুলকরকে জেতানোর পণ করেছিল গোটা ভারতীয় দল। আইপিএল ফাইনালের আগে পাতিদার বলে দিয়েছিলেন, “আমরা এ বার বিরাটভাইয়ের জন্য চ্যাম্পিয়ন হওয়ার চেষ্টা করব। এত বছর ধরে এই দলের জন্য বিরাটভাই লড়েছে। এটা ওর প্রাপ্য।” অবশেষে সফল বেঙ্গালুরুর স্লোগান ‘ই সালা কাপ নামদু’ বাংলা তর্জমায় ‘এ বছর কাপ আমাদের’।

    বিরাট-রেকর্ড

    মঙ্গলবার আইপিএল ২০২৫-এর (IPL Final 2025) ফাইনালের মঞ্চে বিরাট কোহলি (Virat Kohli) ব্যাট হাতে দুর্দান্ত একটি ব্যক্তিগত রেকর্ড গড়েন। তিনি এক্ষেত্রে ভেঙে দেন শিখর ধাওয়ানের সর্বকালীন আইপিএল নজির। আপতত এই নিরিখে বিশ্বের সব ক্রিকেটারদের মধ্যে সবার আগে চলে আসেন কোহলি। তিনি বেঙ্গালুরুর হয়ে ওপেন করতে নেমে সব থেকে বেশি ৪৩ রান সংগ্রহ করেন। ৩৫ বলের ইনিংসের কোহলি মোট ৩টি চার মারেন। ফাইনালে এই ৩টি চার মারার সুবাদেই রেকর্ড বইয়ে নাম লিখিয়ে নেন কোহলি। আইপিএলের ইতিহাসে সব থেকে বেশি রানের মালিক বিরাট (৮৬৬১)। সব থেকে বেশি সেঞ্চুরি (৮টি) করেছেন তিনি। সব থেকে বেশি হাফ-সেঞ্চুরির (৬৩টি) রেকর্ডও আগে থেকেই ছিল বিরাট কোহলির দখলে। মঙ্গলবার আইপিএলের ইতিহাসে সব থেকে বেশি চার মারা ক্রিকেটারে পরিণত হন কোহলি। তিনি আইপিএলের ২৬৭টি ম্যাচের ২৫৯টি ইনিংসে ব্যাট করে সাকুল্যে ৭৭১টি চার মেরেছেন। এতদিন আইপিএলে সব থেকে বেশি চার মারার রেকর্ড ছিল শিখর ধাওয়ানের। তিনি ইন্ডিয়ান প্রিমিয়র লিগে সাকুল্যে ৭৬৮টি চার মেরেছেন। সুতরাং, ধাওয়ানের কাছ থেকে সেই রেকর্ড ছিনিয়ে নিলেন বিরাট। বিরাট কোহলি আইপিএল ২০২৫-এর ১৫টি ম্যাচে ব্যাট করতে নেমে টুর্নামেন্টের তৃতীয় সর্বোচ্চ ৬৫৭ রান সংগ্রহ করেছেন। কোনও শতরান না করলেও তিনি মোট ৮টি হাফ-সেঞ্চুরি করেন এবারের ইন্ডিয়ান প্রিমিয়র লিগে। আরসিবির হয়ে সব থেকে বেশি রান করেছেন কোহলিই।

  • Immunity Power: করোনার চোখরাঙানি বাড়ছে! ঘরোয়া উপাদানেই বাড়বে রোগ প্রতিরোধ শক্তি?

    Immunity Power: করোনার চোখরাঙানি বাড়ছে! ঘরোয়া উপাদানেই বাড়বে রোগ প্রতিরোধ শক্তি?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

     

    করোনা প্রকোপ বাড়ছে।‌ দেশ জুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। কয়েক বছর আগের করোনা অতিমারির স্মৃতি এখনও তাজা। এই রোগের জেরে গত কয়েক বছরে লাখ লাখ মানুষের প্রাণ গিয়েছে। আক্রান্তের অনেকেই ভয়ঙ্কর ভাবে ভুগেছেন। তাই করোনার দাপট বাড়লেই বাড়তি সতর্কতা তৈরি হয়। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে অবশ্য জানানো হয়েছে, অযথা আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই। তবে সবরকমের স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলা জরুরি। তবেই করোনার মতো রোগ সহজেই মোকাবিলা সম্ভব। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, করোনা রুখতে নিজের শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি (Immunity Power) বেড়ে তোলা জরুরি। তাই সেদিকে নজর জরুরি। আর রোগ প্রতিরোধ শক্তি গড়তে ঘরোয়া উপাদানেই (Coronavirus Home Remedies) ভরসা রাখছেন বিশেষজ্ঞ মহল।

    কোন কোন ঘরোয়া উপাদানে ভরসা করছেন বিশেষজ্ঞ মহল?

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, সাধারণ ঘরোয়া উপাদান অর্থাৎ, ভারতীয় একাধিক মশলা, সব্জি এবং নানান গাছের অংশে ঔষধি উপকার অতুলনীয়। বহু যুগ ধরেই আমাদের আশপাশের একাধিক জিনিসের মধ্যে স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারি উপাদান রয়েছে। রোগ প্রতিরোধ শক্তি গড়ে তুলতে এবং করোনার মতো জটিল ও কঠিন রোগকে প্রতিরোধ (Immunity Power) করতেও সেগুলো সাহায্য করে। করোনা রুখতে এবং নিজের শরীরের প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতে সেই উপাদানের ভরসা করছেন‌ বিশেষজ্ঞ মহল। কারণ, তাঁরা জানাচ্ছেন, দুর্বল শরীরে সংক্রামক রোগ বেশি দ্রুত বাসা বাঁধে। তাই নিজের শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি ঠিকমতো থাকলে, আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও কমবে।

    চায়ের মতোই রোজ থাকুক ত্রিফলা!

    আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় ত্রিফলা খুবই উপকারি। একাধিক রোগের মোকাবিলায় ত্রিফলা সাহায্য করে। রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়িয়ে করোনা‌ মোকাবিলাতেও (Coronavirus Home Remedies) ত্রিফলা সাহায্য করবে বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, হরতকি, আমলকি এবং বয়েরা এই তিন ফলকে একসঙ্গে ত্রিফলা বলা হয়। নিয়মিত এই তিন ফল একসঙ্গে খেলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়বে। তাঁরা জানাচ্ছেন, সারা রাত এই তিন ফল ভিজিয়ে রেখে, এর জল সকালে খালি পেটে গেলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি (Immunity Power) বাড়ে। আবার এই তিন ফল চায়ের মতোই গরম জলে ফুটিয়ে খেলেও রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়বে। তাই এই তিন ফলের উপকার অনেক। রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ানোর পাশপাশি এই তিন ফলে অন্ত্র ঠিক রাখতে বিশেষ সাহায্য করে।

    হলুদ বাড়তি উপকার দেবে!

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, হলুদ শরীরের জন্য খুবই উপকারি। বিশেষত রোগ প্রতিরোধ শক্তি গড়ে তুলতে হলুদ বাড়তি সাহায্য করে। তাঁরা জানাচ্ছেন, হলুদের মধ্যে কারকিউমিন উপাদান থাকে। এই উপাদানের জেরে শরীরে ইনফ্লেমেশনের প্রবণতা কমে। যেকোনও সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও কমে। তাই বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, দুধে হলুদ মিশিয়ে নিয়মিত খাওয়া কিংবা রান্নায় নিয়মিত হলুদের ব্যবহার জরুরি। যাতে শরীরে পর্যাপ্ত হলুদ পৌঁছয়। তাহলে রোগ প্রতিরোধ শক্তি (Immunity Power) বাড়বে।

    সকালে উঠেই প্রথমে কয়েকটি তুলসী পাতা খাওয়া!

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, তুলসীর গুণ অপরিসীম। নিয়মিত কয়েকটি তুলসী পাতা খেলে একাধিক রোগ মোকাবিলা সহজ হয়। রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতেও তুলসী খুবই সাহায্য করে। তাঁরা জানাচ্ছেন, তুলসী পাতাতে রয়েছে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান। এর ফলে যেকোনও ভাইরাস ঘটিত অসুখ রুখতে তুলসী পাতা খুবই উপকারি। করোনার মতো জটিল অসুখের পাশপাশি সাধারণ সর্দি-কাশি-জ্বরের ভোগান্তিও সহজেই কমাতে পারে তুলসী পাতা। তাছাড়া, তুলসী পাতা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ভরপুর। তাই নিয়মিত তুলসী পাতা খেলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি (Immunity Power) বাড়ে। বিশেষজ্ঞদের একাংশের পরামর্শ, সকালে মধুর সঙ্গে তুলসী পাতা মিশিয়ে খেলে সহজেই উপকার পাওয়া যায়। আবার খাওয়ার জলে তুলসী পাতা ফেলে রাখারও পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত তুলসী পাতা ভেজানো জল খেলে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে।

    আদাতে কাবু হবে একাধিক ভাইরাস!

    ভারতীয়দের রান্নাঘরে অত্যন্ত পরিচিত রান্নার উপকরণ হলো আদা। একাধিক রান্নার স্বাদ বাড়াতে প্রায় সব বাড়িতেই আদা ব্যবহার করা হয়। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, রান্নার এই উপকরণ স্বাস্থ্যের পক্ষেও খুব উপকারি। তাঁরা জানাচ্ছেন, আদায় রয়েছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল উপাদান। এই দুই উপাদান শরীরে যেকোনও ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে বিশেষ সাহায্য করে। তাই আদা নিয়মিত খেলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি (Immunity Power) বাড়ে। আবার করোনার মতো সংক্রামক রোগের (Coronavirus Home Remedies) ঝুঁকিও কমাবে‌।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

LinkedIn
Share