Tag: madhyom bangla

madhyom bangla

  • Pahalgam Terror Attack: পহেলগাঁও হামলার পাল্টা জবাব প্রস্তুত, পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধে না গিয়ে নিয়ন্ত্রিত প্রতিক্রিয়ার পথে দিল্লি?

    Pahalgam Terror Attack: পহেলগাঁও হামলার পাল্টা জবাব প্রস্তুত, পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধে না গিয়ে নিয়ন্ত্রিত প্রতিক্রিয়ার পথে দিল্লি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পেরিয়ে গিয়েছে এক সপ্তাহ। কাশ্মীরে পহেলগাঁওয়ে নিরীহ হিন্দুদের হত্যাকাণ্ডের ঘাতকদের খোঁজ চলছে। বৈসরন উপত্যকার জঙ্গি হানায় ২৫ জন হিন্দু পর্যটক এবং এক জন স্থানীয় বাসিন্দার মৃত্যু ঘিরে নয়াদিল্লি-ইসলামাবাদ উত্তেজনার পারদ এখনও চড়ে রয়েছে। সেই সঙ্গে উপত্যকা জুড়ে চলছে সেনা তৎপরতা। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সীমিত ও নিয়ন্ত্রিত সামরিক পদক্ষেপের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। সেনাবাহিনী যুদ্ধের সীমা না পেরিয়ে দূরপাল্লার অস্ত্র দিয়ে আঘাত হানার দিকেই এখন বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন ক্যাবিনেট কমিটি অন সিকিউরিটি (CCS)-এর দ্বিতীয় বৈঠকে এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।

    পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধ এড়িয়ে নিয়ন্ত্রিত পদক্ষেপ

    এদিকে, জম্মু ও কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখা (LoC)-তে ছোট অস্ত্র দিয়ে পাকিস্তানি বাহিনীর “উস্কানিমূলক” গুলিবর্ষণের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই ডিজিএমও হটলাইনে ভারতীয় সেনাবাহিনী কড়া বার্তা দেয়। মঙ্গলবার রাতে পাকিস্তান আবার উত্তেজনা বাড়িয়ে তোলে এবং জম্মুর আন্তর্জাতিক সীমান্তে পারগওয়াল সেক্টরে গুলিবর্ষণ শুরু করে। একজন সেনা কর্মকর্তা জানান, “আমাদের বাহিনী সব ধরনের সংঘর্ষবিরোধ লঙ্ঘনের জবাব দ্বিগুণ শক্তিতে দিচ্ছে।” মঙ্গলবার নিজের বাসভবনে সামরিক আধিকারিক এবং গুরুত্বপূর্ণ আমলাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসে সেনাবাহিনীকে পরবর্তী বিষয়ে পদক্ষেপ করার জন্য ‘পূর্ণ স্বাধীনতা’ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রী মোদি তিন বাহিনীর প্রধানদের “সম্পূর্ণ অপারেশনাল স্বাধীনতা” দেওয়ার ফলে এখন বিষয়টি আর “পদক্ষেপ নেওয়া হবে কি না” নয়, বরং “কখন নেওয়া হবে”—এই প্রশ্নে এসে দাঁড়িয়েছে। একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, “পাল্টা জবাবের পরিকল্পনা ও ধাপে ধাপে প্রতিক্রিয়ার কৌশল প্রস্তুত রয়েছে। এটি কোনো আবেগতাড়িত প্রতিক্রিয়া নয়, পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধ এড়িয়ে বরং হিসেব করে নেওয়া, বিশ্বাসযোগ্য এবং নিয়ন্ত্রিত পদক্ষেপ।” বুধবার প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা বিষয়ক কমিটির বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে, তা নিয়ে কোনও তথ্য প্রকাশ্যে আসেনি।

    সীমান্তবর্তী পাকিস্তানি ঘাঁটিতে হানা

    গোয়েন্দা সূত্রে খবর, পাকিস্তান সতর্ক রয়েছে। ইতিমধ্যেই ইসলামাবাদ তার বাহিনী মোতায়েন করেছে এবং আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও সক্রিয় করেছে—ফলে চমকের উপাদান প্রায় নেই। তা সত্ত্বেও, ভারতীয় সেনা ১৫৫ মিমি কামান, ১২০ মিমি মর্টার এবং অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইল ব্যবহার করে সীমান্তবর্তী পাকিস্তানি ঘাঁটি ও সন্ত্রাসী লঞ্চপ্যাডে আঘাত হানার উপযোগী অবস্থানে রয়েছে।

    দূরপাল্লার অস্ত্র ব্যবহার

    একজন কর্মকর্তা আরও জানান, “নিয়ন্ত্রণ রেখা না পার হয়েও দূরপাল্লার অস্ত্র ব্যবহারে পাকিস্তানি সেনা ও তাদের অবকাঠামোতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করা সম্ভব। পাকিস্তানি বাহিনী ১৫৫ মিমি গোলাবারুদের ঘাটতির মধ্যে রয়েছে, যা তারা ইউক্রেনে তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে রফতানি করছে।” এছাড়া, সীমিত স্থল অভিযানে সেনাবাহিনীর প্যারা-স্পেশাল ফোর্স অংশ নিতে পারে—যেমন ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরের সার্জিক্যাল স্ট্রাইক, যেখানে চারটি আলাদা স্থানে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গি ঘাঁটিতে আঘাত হানা হয়েছিল। বিমানে হামলা—যেমন ২০১৯ সালের বালাকোট স্ট্রাইক—এবারও বিকল্প হতে পারে, যদিও তা কিছুটা উত্তেজনা বাড়াতে পারে। এবার ভারতের হাতে রয়েছে আধুনিক রাফাল যুদ্ধবিমান, যেগুলো স্ক্যাল্প ক্রুজ মিসাইল, ইসরায়েলি ক্রিস্টাল মেজ ও স্পাইস ২০০০-এর মতো আধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত।

    সংঘর্ষবিরতি ভঙ্গ

    এছাড়া, ২৩ এপ্রিল অনুষ্ঠিত ক্যাবিনেট বৈঠকে কূটনৈতিক প্রতিক্রিয়ার অংশ হিসেবে পাকিস্তানের ওপর একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে—যার মধ্যে রয়েছে সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত, পাকিস্তানি হাই কমিশনের কার্যক্রম সীমিত করা এবং ভারতে অবস্থানরত সব পাকিস্তানি নাগরিকের ভিসা বাতিল। পহেলগাঁও কাণ্ডের আবহে নতুন করে অশান্তি ছড়িয়েছে জম্মু ও কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলওসি)। নিয়ন্ত্রণরেখায় বরাবর সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন করে গুলিবর্ষণ করেছে পাক সেনা। ভারতীয় সেনা জানিয়েছে, কাশ্মীরের কুপওয়ারা এবং বারামুলা জেলার কাছে নিয়ন্ত্রণরেখার অপর প্রান্ত থেকে বিনা প্ররোচনায় গুলিবর্ষণ শুরু করেছে পাকিস্তানি সেনা। কাশ্মীরের আখনুর সেক্টরের বিপরীত প্রান্ত থেকেও গুলি চালিয়েছে পাক ফৌজ। তার জবাব দিয়েছে ভারতীয় সেনাও। প্রসঙ্গত, এলওসি এলাকায় সংঘর্ষবিরতি কার্যকর করতে ২০০৩ সালে একমত হয়েছিল নয়াদিল্লি-ইসলামাবাদ। ২০২১ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি ভারত ও পাকিস্তান সংঘর্ষবিরতি চুক্তি পুনর্নবীকরণ করেছিল। খাতায়কলমে এই নিয়ম এখনও বহাল। কিন্তু, অতীতেও দু’দেশের সেনা পরস্পরের বিরুদ্ধে সংঘর্ষবিরতি ভঙ্গের অভিযোগ তুলেছে।

    উপত্যকা জুড়ে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান

    কুলগাঁও, ত্রাল, সোপিয়ান-পুলওয়ামার মতো চারটি স্থানে সেনা অভিযান হয়েছে। ত্রালের অদূরে জঙ্গলে একটি জঙ্গিদলের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে বলে সেনা সূত্রের খবর। তাদের সঙ্গে সেনা ও পুলিশের যৌথবাহিনীর গুলির লড়াই শুরু হয়েছে। বৈসরনে হামলায় জড়িত সন্দেহে ১৫ জন স্থানীয়কে গ্রেফতার করে জেরা করেছেন তদন্তকারীরা। তাঁদের বয়ান থেকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলেছে বলে সরকারি সূত্রের দাবি। ধরপাকড়ের পাশাপাশি বেশ কয়েক জন সন্দেহভাজন লস্কর জঙ্গির বাড়ি নিরাপত্তাবাহিনী বিস্ফোরণ ঘটিয়ে উড়িয়ে দিয়েছে।

    পহেলগাঁও প্রসঙ্গ রাষ্ট্রপুঞ্জে

    পহেলগাঁও হামলার প্রসঙ্গ তুলে রাষ্ট্রপুঞ্জে পাকিস্তানকে ‘দুর্বৃত্ত দেশ’ (রোগ স্টেট) বলে সমালোচনায় বিঁধেছে ভারত। ২০০৮ সালে ২৬/১১ মুম্বই হামলার পরে পহেলগাঁওয়ের জঙ্গি হানাতেই সবচেয়ে বেশি নিরস্ত্র মানুষের মৃত্যু হয়েছে। পহেলগাঁও কাণ্ডের পরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। ভারতের প্রতি সংহতির বার্তা দিয়েছে।

  • Char Dham Yatra 2025: শুরু চারধাম যাত্রা, শুক্রবার খুলছে কেদারনাথের দ্বার, মন্দির সাজবে ১৩ কুইন্টাল ফুলে

    Char Dham Yatra 2025: শুরু চারধাম যাত্রা, শুক্রবার খুলছে কেদারনাথের দ্বার, মন্দির সাজবে ১৩ কুইন্টাল ফুলে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার ২ মে খুলছে কেদারনাথ ধামের দ্বার (Char Dham Yatra 2025)। ভগবান কেদারনাথের মন্দিরকে সাজানো হচ্ছে ১৩ কুইন্টাল ফুল দিয়ে। বৃহস্পতিবার ১ মে কেদারনাথের মূর্তি ধামে পৌঁছাচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে। শুক্রবার সকাল ৭টা নাগাদ কেদারনাথের দরজা খুলবে। অন্যদিকে, গঙ্গোত্রী ও যমুনোত্রী ধামের দরজা খুলে গিয়েছে গত ৩০ এপ্রিল। অক্ষয় তৃতীয়ার পুণ্য তিথিতে বৈদিক মন্ত্রোচ্চারণ এবং পুজো অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে এই দরজা খোলা হয়। এর সঙ্গেই শুরু হয়ে গিয়েছে উত্তরাখণ্ডের চারধাম যাত্রার আনুষ্ঠানিক সূচনা।

    প্রথম পুজো করেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী (Char Dham Yatra)

    অক্ষয় তৃতীয়ার দিনে হেলিকপ্টারের মাধ্যমে ভক্তদের ওপর পুষ্প বৃষ্টি করা হয়। গঙ্গোত্রী ও যমুনেত্রী মন্দিরে। অন্যদিকে, যমুনেত্রী মন্দিরে উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুস্কর সিং ধামি প্রথম পুজো করেন। মন্দির খোলার সঙ্গে সঙ্গেই তিনি পুজো শুরু করেন (Char Dham Yatra 2025)। প্রথম কোনও মুখ্যমন্ত্রী, চারধাম যাত্রার দ্বারোদঘাটনের পুজোয় অংশ নেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নামে পুজো দেন তিনি। এর সঙ্গে সঙ্গে চারধাম যাত্রা যাতে সফলভাবে সংঘটিত হয় এবং ভক্তদের জীবনে যাতে সুখ সমৃদ্ধি শান্তি আসে সেই কামনাও করেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী। বৈদিক রীতি রীতি মেনে ৩০ এপ্রিল সকালেই পুজো শুরু হয় গঙ্গোত্রী মন্দিরে, ভক্তদের জন্য গঙ্গোত্রী মন্দিরের দরজা খোলা হয় ঠিক সকাল সাড়ে দশটায়।

    কী বললেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী?

    অন্যদিকে, যমুনেত্রী ধামের দরজা খোলা হয় ঠিক সকাল ১১:৫৫ মিনিট নাগাদ। এখানেও বৈদিক রীতি মেনে পুজো অনুষ্ঠিত হয়। এরপরেই সাংবাদিকদের সামনে উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুস্কর সিং ধামি বলেন, ‘‘চারধাম যাত্রার অনুষ্ঠানিক সূচনা অক্ষয় তৃতীয়া থেকে শুরু হল। চারধাম যাত্রার এক গুরুত্বপূর্ণ তীর্থ। এখানে প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ ভক্ত দেশ থেকে আসেন। বিদেশ থেকেও আসেন অনেকে।’’ তিনি আরও জানিয়েছেন, উত্তরাখণ্ডের পরম্পরা হল অতিথি দেব ভব। তাই সমস্ত ভক্তরা চারধাম যাত্রায় আসবেন, তাঁদের যথাযোগ্য স্বাগত জানানো হবে। একই সঙ্গে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী (Char Dham Yatra 2025)। যাতে এই চারধাম যাত্রা পরিবেশবান্ধব হয়।

  • Boiled rice: গরম থেকে বাঁচতে দু’বেলা ভাত! চলছে পান্তাও! অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে কোন রোগের ঝুঁকি বাড়ছে?

    Boiled rice: গরম থেকে বাঁচতে দু’বেলা ভাত! চলছে পান্তাও! অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে কোন রোগের ঝুঁকি বাড়ছে?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বাঙালির নিত্যদিনের সঙ্গী ভাত! যত রকমের লোভনীয় পদ থাকুক না কেন, ভাত ছাড়া বাঙালির খাওয়া অসম্পূর্ণ! বৈশাখের তীব্র গরমে আবার কেউ কেউ দিনে একাধিকবার ভাত (Boiled rice) খাচ্ছেন। অনেকেই আবার গরম এড়াতে পান্তা ভাত খেতে পছন্দ করেন। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, বারবার ভাত খাওয়ার অভ্যাস একেবারেই স্বাস্থ্যকর নয়। বরং এতে নানান সমস্যা দেখা দিতে পারে। দিনের একাধিকবার ভাত খেলে শরীরে নানান রোগের প্রকোপ বাড়তে পারে। অনেক সময়েই প্রয়োজনের অতিরিক্ত পরিমাণ ভাত খাওয়া হয়‌। এর ফলে কিছু জটিল রোগের ঝুঁকি আরও বেড়ে যায়। দেখে নেওয়া যাক, একাধিকবার ভাত খেলে কোন রোগের ঝুঁকি বাড়তে পারে?

    স্থূলতার সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে (Boiled rice)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ভাতে কার্বোহাইড্রেট থাকে। তাই দিনে একাধিকবার ভাত খেলে শরীরে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ বেড়ে যায়। বাড়তে পারে ক্যালোরি। যার ফলে ওজন বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত দু’বেলা ভাত খেলে শরীরের ওজন অনেকটাই বেড়ে যায়। বিশেষত, যাঁরা স্থূলতার সমস্যায় ভুগছেন, তাঁদের জন্য দুবেলা ভাত যথেষ্ট বিপজ্জনক। অতিরিক্ত ওজন সুস্থ জীবন যাপনের পথে বাধা। তাই দিনে একাধিকবার ভাত খাওয়ার আগে এই বিষয়ে সতর্ক থাকা জরুরি বলেই পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ।

    রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দেয়, বাড়তি উদ্বেগ ডায়াবেটিসের

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ভাত (Boiled rice) বারবার খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়। এর ফলে ডায়াবেটিস আক্রান্তদের জন্য বাড়তি বিপদ তৈরি হয়। বিশেষজ্ঞদের একাংশের পরামর্শ, ডায়াবেটিস আক্রান্তদের কোনও ভাবেই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া দিনে একাধিকবার ভাত খাওয়া উচিত নয়। ভাত শরীরের শর্করার মাত্রা দ্রুত বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই ডায়াবেটিস আক্রান্ত নিয়মিত বারবার ভাত খেলে নানান শারীরিক জটিলতা বাড়তে পারে।
    তবে শুধুই ডায়াবেটিস আক্রান্তদের জন্য নয়, নিয়মিত বারবার ভাত খাওয়ার অভ্যাস বিপদ বাড়াতে পারে সকলেরই। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অনেকেই ডায়াবেটিস আক্রান্ত নন। তবে ডায়াবেটিস প্রবণ। তাঁদের জন্যও বাড়তি বিপদ তৈরি করে।

    অতিরিক্ত ঘুম কাজের ক্ষতি করতে পারে (Boiled rice)

    ভাত খেলে অতিরিক্ত ঘুম হয়। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত বারবার ভাত খেলে শরীরে ক্যালোরির পরিমাণ বেড়ে যায়। আর তার ফলেই অতিরিক্ত ঘুম হয়। তাই কাজ করার ইচ্ছে কমে। ক্লান্তি বোধ বাড়ে। এর জেরেই কাজের ক্ষতি হয়।

    পরিমাণের দিকে নজরদারি জরুরি

    তবে, বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, বারবার না খেলেও দিনে অন্তত একবার ভাত (Boiled rice) খাওয়া শরীরের জন্য উপকারী। তাঁরা জানাচ্ছেন, পশ্চিমবঙ্গের অধিকাংশ মানুষ সেদ্ধ চালের ভাত খান। আর এই ভাতে থাকে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়ামের এবং ক্যালসিয়ামের মতো উপাদান। পাশপাশি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর হয়। তাই নিয়মিত এক কাপ ভাত খেলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে। লোহিত কণিকার সংখ্যা বাড়ে। এর ফলে শরীরে এনার্জির জোগান‌ ঠিকমতো হয়‌। তবে বিশেষজ্ঞদের একাংশ বারবার জানাচ্ছেন, ভাতের পরিমাণের দিকে নজরদারি জরুরি। অতিরিক্ত পরিমাণ খাওয়া (Overeating) বিপদ ডাকতে পারে।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Daily Horoscope 01 May 2025: একাধিক উৎস থেকে আয় হবে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 01 May 2025: একাধিক উৎস থেকে আয় হবে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) সামাজিক ক্ষেত্রে কর্মরত, তাঁরা আজ কোনও সুসংবাদ পেতে পারেন।

    ২) ভালো পদ লাভ করতে পারেন।

    ৩) ভাইদের সঙ্গে চলতে থাকা কথা কাটাকাটি সমাপ্ত হবে।

    বৃষ

    ১) আজকের দিনটি আনন্দে ভরপুর থাকবে।

    ২) ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্রে কর্মরত জাতকরা সতর্ক থাকুন, প্রতারণার শিকার হতে পারেন।

    ৩)  আপনার দ্বারা আকৃষ্ট হয়ে সকলে আপনার সঙ্গে বন্ধুত্ব করার চেষ্টা করবেন।

    মিথুন

    ১) আজকের দিনটি অনুকূল পরিণাম নিয়ে আসবে।

    ২) সুযোগ পেলে অসহায় ব্যক্তির সাহায্য করুন।

    ৩) কোনও নতুন কাজে অগ্রসর হতে পারেন।

    কর্কট

    ১)  লোকদেখানোর স্বভাব ত্যাগ করুন, অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করবেন না।

    ২) কারও কাছ থেকে টাকা ধার নিয়ে থাকলে তা শোধ করতে পারবেন।

    ৩) আয় বৃদ্ধি হবে।

    সিংহ

    ১) আজকের দিনটি গুরুত্বপূর্ণ থাকবে।

    ২) বন্ধুদের পূর্ণ সহযোগিতা লাভ করবেন।

    ৩) ব্যবসায় ভালো লাভ করবেন।

    কন্যা

    ১)  ব্যবসায়ীদের জন্য আজকের দিনটি প্রতিকূল।

    ২) দিনের শেষে সুখ-সমৃদ্ধি বৃদ্ধি হওয়ায় আনন্দিত থাকবেন।

    ৩) কেরিয়ারে উন্নতির চেষ্টা করলে তার গতি বাড়বে।

    তুলা

    ১) ছাত্রছাত্রীরা পড়াশোনায় আগত সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।

    ২) একাধিক উৎস থেকে আয় হবে।

    ৩) আর্থিক পরিস্থিতি মজবুত হবে।

    বৃশ্চিক

    ১) যে কোনও কাজে নিয়মনীতি মেনে চলতে হবে।

    ২) ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা পাবেন।

    ৩) অংশীদারীর কাজে ভালো প্রদর্শন করবেন।

    ধনু

    ১) জাতকদের মান-সম্মান বৃদ্ধি পাবে।

    ২)  কর্মক্ষেত্রে কোনও গুরুত্বপূর্ণ কাজ পেলে সকলকে সঙ্গে নিয়ে সেই কাজ করে তা সময়ের মধ্যে পূর্ণ করবেন।

    ৩) সম্পত্তি লাভের সম্ভাবনা রয়েছে।

    মকর

    ১) জাতকদের আশপাশের পরিবেশ আনন্দে পরিপূর্ণ থাকবে।

    ২) কিছু ব্যক্তিদের থেকে সতর্ক থাকুন।

    ৩) নিজের টাকা অন্য কাজে ব্যয় করবেন না।

    কুম্ভ

    ১)  ত্যাগ ও সহযোগিতার অনুভূতি থাকবে।

    ২) আধুনিক বিষয়ে রুচি থাকবে।

    ৩) ছাত্রছাত্রীরা বন্ধুর সঙ্গে শিক্ষায় আগত বাধা সম্পর্কে আলোচনা করবে।

    মীন

    ১) জাতকদের তাড়াহুড়োয় ও আবেগতাড়িত হয়ে কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন না।

    ২) ভাইদের পরামর্শ নিয়ে ব্যবসায়িক সিদ্ধান্ত নিন।

    ৩) ব্যক্তিগত বিষয়ে ধার্মিকতা পালন করে চলুন।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Pahalgam Attack: ভারতের প্রত্যাঘাতের ভয়ে কাঁপছে পাকিস্তান! পাক সেনায় বিদ্রোহ, গণ ইস্তফার হিড়িক

    Pahalgam Attack: ভারতের প্রত্যাঘাতের ভয়ে কাঁপছে পাকিস্তান! পাক সেনায় বিদ্রোহ, গণ ইস্তফার হিড়িক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রত্যাঘাতের ভয়ে কাঁপছে পাকিস্তান। এই আবহে পাক সেনায় বিদ্রোহের খবর মিলেছে! বুধবার মধ্যরাতে পাক প্রতিরক্ষা মন্ত্রী জানিয়েছেন, ভারত আক্রমণ করবেই। এর পরেই একাধিক সংবাদমাধ্যমের তরফে দাবি করা হয়েছে, সেনাপ্রধান মুনিরকে ঘিরে চরম অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে সেদেশে। সূত্রের খবর, পাক সেনায় গণ-ইস্তফার হিড়িক লেগে গিয়েছে। ইতিমধ্যে, ২৫০ অফিসার ও সাড়ে ৪ হাজার জওয়ান ছুটি চেয়েছেন বা ইস্তফা দিয়েছেন বলে খবর। পরিস্থিতি সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে পাক প্রশাসন। ইস্তফা রুখতে জরুরি নির্দেশ জারি করেছে সেনা-আইএসআই। এদিকে, আকাশপথে ভারত আক্রমণ করতে পারে ধরে নিয়েই, সীমান্তে রেডার সিস্টেম বসিয়েছে (Pahalgam Attack) পাকিস্তান।

    ইস্তফার কারণ হিসেবে অনেকেই অসুস্থতা ও মানসিক চাপকে দেখিয়েছেন

    বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, এই বিপুল সংখ্যক পদত্যাগের ফলে প্রচুর সামরিক পদ পাকিস্তানে খালি হয়ে গিয়েছে। এর মধ্যেই সৈন্যদের মধ্যে গভীর উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। পাকিস্তানের পশ্চিম সীমান্তে অবস্থিত তাদের দ্বাদশ কোরের ২০০ জন অফিসার এবং ৬০০ জন সৈন্য পদত্যাগ করেছেন (Pahalgam Attack) বলে জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে নর্দার্ন কমান্ড এরিয়ায় ১০০ জনেরও বেশি অফিসার এবং ৫০০ জন সৈন্য পদত্যাগ করেছেন। এছাড়া ভারতের নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর মঙ্গল কোরের ৭৫ জন অফিসার এবং ৫০০ জনেরও বেশি সৈন্য পদত্যাগ করেছেন বলে জানা যাচ্ছে। লেফটেন্যান্ট জেনারেল পদমর্যাদার আধিকারিকরাও ইস্তফা দিচ্ছেন। ইস্তফার কারণ হিসেবে অনেকেই অসুস্থতা ও মানসিক চাপকে দেখিয়েছেন।

    ভাইরাল গোপন চিঠি

    এমন গণপদত্যাগের খবরের মধ্যেই একটি চিঠি ভাইরাল হয়েছে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর অন্দরে। ওই চিঠিতে দাবি করা হয়েছে, পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিরা যেভাবে হামলা চালিয়েছে, তাতেই এই যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এর ফলেই পদত্যাগের প্রবণতা দেখা দিচ্ছে। ওই চিঠিতে সৈন্যদের ভয় না পেতে বলা হয়েছে। পাকিস্তানের সেনার (Indo Pak War) উদ্দেশে বলা হয়েছে, তারা যেন এই পরিস্থিতিতে নিজেদের মনোবল অক্ষুন্ন রাখে। ওই চিঠিতেই আহ্বান জানানো হয়েছে, সৈন্যরা যেন অর্ধচন্দ্র এবং তারার নিচে নিজেদেরকে ঐক্যবদ্ধ রাখেন। ওই চিঠিতে সৈন্যদের উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে, তোমরা আমাদের শহিদের উত্তরাধিকারী। শুধু তাই নয়, ভারতের প্রত্যাঘাতের ভয়ে যারা পদত্যাগ করবে তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ারও কথা বলা হয়েছে ওই চিঠিতে। সেখানে লেখা হয়েছে, যাঁরা পদত্যাগ করতে চাইবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ১৯৫২ সালের পাকিস্তান সেনা আইনের অধীনে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    ফাঁস করল কারা?

    কিন্তু পাকিস্তানের এমন গোপন চিঠির ফাঁস হলই বা কীভাবে? বিশ্লেষকরা মনে করছেন, পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরীণ গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব (Pahalgam Attack) ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। এই কারণে এমন ফাঁসের খবর সামনে এসেছে। বর্তমান সেনাপ্রধান আসিম মুনির এবং প্রাক্তন জেনারেল ফাইজ আহমেদ ও কামার জাভেদ- এই দুই গোষ্ঠীর মধ্যেই বিভেদের কারণেই চিঠি ফাঁস হয়ে গিয়েছে। একদিকে ভারতের প্রত্যাঘাতের তীব্র আশঙ্কা, তারপর দেশের মধ্যে আঞ্চলিক উত্তেজনা, বেহাল অর্থনীতি, খাদ্য সংকটের পরে এবার জুড়ল এই পাকিস্তান (Indo Pak War) সেনাবাহিনীর আভ্যন্তরীণ অসন্তোষ।পহেলগাঁও হামলার পরপরই একের পর এক গরম গরম কথা বলতে শোনা গিয়েছে পাক প্রধানমন্ত্রী-সহ একাধিক মন্ত্রীকে। পরমাণু হামলার হুমকিও দিতে দেখা গিয়েছে তাদের। তার মধ্যেই এই ঘটনায় স্পষ্ট যে তাঁরা সবাই ফাঁকা আওয়াজ দিচ্ছিলেন। কারণ ময়দানে তো নেতা মন্ত্রীরা যুদ্ধ করবেন না। লড়াই করবে পাক সেনা। তারাই এখন পিছিয়ে যাচ্ছে ভয়ে।

    দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে ভূ রাজনৈতিক অস্থিরতাও বাড়িয়ে তুলেছে পহেলগাঁও হামলা

    প্রসঙ্গত, পহেলগাঁওয়ের পরেই ভারত পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছায় (Pahalgam Attack)। শুধু তাই নয়, এই হামলা ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়েছে তা নয়, দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যেও ভূ-রাজনৈতিক অস্থিরতাকে ব্যাপকভাবে বাড়িয়ে তুলেছে। এই আবহে ভারত পাকিস্তানের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ সিন্ধু চুক্তি স্থগিত করেছে। সীমান্ত বন্ধ করেছে। এর ফলে ইসলামাবাদকে কূটনৈতিকভাবে আরও বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এই আবহে বুধবারই এক উচ্চপর্যায়ে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সেনাবাহিনীকে পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছেন। কোথায় কখন হামলা হবে তা ঠিক করতে।

    পাক সেনায় গণ-ইস্তফার পর সীমান্ত রক্ষা করবে কে

    এখন একটা প্রশ্নই উঠছে বারবার,পাক সেনায় গণ-ইস্তফার পর সীমান্ত রক্ষা করবে কে, তা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। শুধু জওয়ানরাই নয়, তাদের পরিচালনার দায়িত্বে থাকা অফিসাররাও গণইস্তফা দিচ্ছেন। এখন ভারতের সঙ্গে যুদ্ধ লাগলে, তা পরিচালন করবে কে, তা নিয়েই চিন্তিত পাকিস্তান। এক্ষেত্রে বলা দরকার, এক মাস আগেই পাকিস্তানি সেনার জুনিয়র অফিসার ও সেনারা চিঠি লিখে জানিয়েছিলেন, আসিম মুনিরের নেতৃত্ব ভালো লাগছে না তাঁদের। শুধু তাই নয়, তাঁকে পদ থেকে না সরালে, বিদ্রোহ শুরু হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন পাক সৈন্যদের একাংশ। এবার পহেলগাঁওয়ের জঙ্গি হামলার পর যেখানে দুই দেশের মধ্যে কার্যত যুদ্ধ আবহ তৈরি হয়েছে, সেখানেই পাক সেনার গণইস্তফা একদিকে চিন্তা, অন্যদিকে বিড়ম্বনায় ফেলে দিয়েছে।

    আকাশপথে ভারত হামলা চালাতে পারে, আশঙ্কায় ঘুম ছুটেছে পাকিস্থানের, সীমান্তে বসছে রেডার সিস্টেম

    অন্যদিকে, আকাশপথে ভারত হামলা চালাতে পারে, এই আশঙ্কায় ঘুম ছুটেছে পাকিস্থানের। তারা নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর বেশ কয়েকটি পদক্ষেপও করেছে। এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, পাকিস্তান সেনাবাহিনী ভারতের সম্ভাব্য বিমান হামলার ঠেকাতে সীমান্তে রেডার বসাচ্ছে। পাকিস্তান সেনাবাহিনী শিয়ালকোট সীমান্তে রেডার সিস্টেমগুলিকে বসাচ্ছে। ভারতের সম্ভাব্য বিমান হামলা ঠেকাতে সেদেশের চোর ক্যান্টনমেন্টে পাকিস্তান টিপিএস-৭৭ রেডার ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে। এই চোর ক্যান্টেনমেন্ট হল নিয়ন্ত্রণ রেখা থেকে ৫৮ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। অন্যদিকে, পহেলগাঁও হামলার পরে এই আবহে টানা পঞ্চম বার পাকিস্তান সংঘর্ষ বিরতি লঙ্ঘন করে সীমান্তে গুলি চালাল। পহেলগাঁও হামলার পর থেকেই ভারতের যুদ্ধ মহড়া চলছেই। একসঙ্গে স্থলবাহিনী নৌ বাহিনী এবং বিমান বাহিনী মহড়া চালিয়ে যাচ্ছে। তীব্র উত্তেজনার মাঝে সেদেশের যুদ্ধ বিমানগুলিকে করাচি থেকে লাহোর এবং সে দেশের উত্তরের রাওয়ালপিণ্ডির দিকে ঘাঁটির দিকে রওনা হতে দেখা গিয়েছে। গত সোমবার পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মহম্মদ আসিফ জানিয়েছিলেন, ভারত সামরিক হামলা চালাবেই।

  • PM Modi: পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধ পরিস্থিতি ভারতের, ৯ মে রাশিয়া সফর বাতিল করলেন মোদি

    PM Modi: পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধ পরিস্থিতি ভারতের, ৯ মে রাশিয়া সফর বাতিল করলেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৯ মে নিজের রাশিয়ার সফর বাতিল করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। প্রসঙ্গত রাশিয়াতে ৯ মে বিজয় দিবস পালিত হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ওই দিনেই নাৎসি জার্মানিকে পরাস্ত করে সোভিয়েত রাশিয়া। তারপর থেকেই দিনটি পালিত হয়ে আসছে। চলতি বছরের তা ৮০তম বিজয় উৎসব। কিন্তু জম্মু-কাশ্মীরের ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে পাকিস্তানের সঙ্গে। সেই পরিপ্রেক্ষিতেই নিজের রাশিয়া সফর বাতিল করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi), এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

    ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ জানিয়েছেন মোদির সফর বাতিলের কথা

    পহেলগাঁও-তে ২৭ জন হিন্দু নাগরিককে যেভাবে তাঁদের ধর্মীয় পরিচয় বেছে বেছে হত্যা করা হয়েছে, তাতে ব্যাপক ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে প্রত্যেকটি ভারতবাসীর মধ্যে। এই আবহে যুদ্ধ পরিস্থিতিও তৈরি হয়েছে পাকিস্তানের সঙ্গে। বৃহস্পতিবারই এই খবর সামনে এল যে ৯ মে রাশিয়া সফর বাতিল করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ এক সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছেন একথা। তিনি জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাশিয়া সফরে যোগ দিচ্ছেন না। তাঁর বদলে অন্য একজন কূটনৈতিক প্রতিনিধি এই বিজয় উৎসবে যোগদান করবেন।

    আগেই আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন মোদি, তারই মধ্যে ঘটে পহেলগাঁও হামলা

    আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi) রাশিয়া সফরের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। একথা ঘোষণা করেছিলেন সে দেশের উপ-বিদেশ মন্ত্রী অ্যান্দ্রে রুডেনেকো। তিনি সে সময় জানিয়েছিলেন যে, সারা মস্কো অপেক্ষা করছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে স্বাগত জানাতে। তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। পরবর্তীকালে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল আমন্ত্রণের বিষয়টি স্বীকার করেন। তিনি জানান, ভারতের প্রধানমন্ত্রী আমন্ত্রণ পেয়েছেন এবং উপযুক্ত সময়ই আমরা জানাব যে বিজয় উৎসবে অংশগ্রহণের কথা। কিন্তু এরপরেই পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসী হামলা ঘটে। পরিস্থিতি বদলে যায়। প্রসঙ্গত নরেন্দ্র মোদি (PM Modi), গত বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালের জুলাই মাসে ২২তম রাশিয়া-ভারত শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেছিলেন এবং সে সময় তিনি মস্কোতে (Russia) পা রেখেছিলেন।

  • Khalistani: আরএসএস-কে নিষিদ্ধ করার দাবি করেছিলেন, খালিস্তানপন্থী নেতার শোচনীয় পরাজয় কানাডায়

    Khalistani: আরএসএস-কে নিষিদ্ধ করার দাবি করেছিলেন, খালিস্তানপন্থী নেতার শোচনীয় পরাজয় কানাডায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কানাডায় খালিস্তানপন্থী (Khalistani) ভারত বিরোধী নেতা জগমিত সিং শোচনীয়ভাবে পরাস্ত হলেন সেদেশের সাধারণ নির্বাচনে। তিনি ছিলেন নিউ ডেমোক্র্যাটিক পার্টির নেতা। মঙ্গলবারই তাঁর দল জাতীয় পার্টির তকমা খুইয়েছে এই পরাজয়ে। সম্প্রতি সামনে এসেছে কানাডার ৪৫তম জাতীয় নির্বাচনের ফলাফল এবং এখানেই দেখা যাচ্ছে এই ভারত বিরোধী নেতা শুধুমাত্র নিজের সংসদ ক্ষেত্রে হেরেছেন এমনটাই নয়, তিনি দ্বিতীয় স্থানেও উঠতে আসতে পারেননি। তৃতীয় স্থানে রয়েছেন। শুধু তাই নয়, তাঁর নিজের দায়িত্বে থাকা ১২টি আসনেও শোচনীয়ভাবে পরাস্ত হয়েছে নিউ ডেমোক্র্যাটিক পার্টি। প্রসঙ্গত, জগমিত সিংয়ের সংসদ ক্ষেত্র হল ব্রিটিশ কলাম্বিয়া। সেখানেই তিনি তৃতীয় স্থান পেয়েছেন (Canada)।

    ২০১৩ ও ২০১৮ সালের ভিসা দেয়নি ভারত সরকার

    জগমিত সিংয়ের নেতৃত্বে এমন শোচনীয় পরাজয়ের পরেই জল্পনা শুরু হয় যে তাঁকে সরানো হবে। শেষমেষ সেটাই হল। কানাডার (Khalistani) সাম্প্রতিক ইতিহাসে এমন রাজনৈতিক ঘটনা বিরল বলেই মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল। কানাডার খালিস্থানপন্থীদের হয়ে সর্বদাই সওয়াল করেন এই ভারত বিরোধী নেতা। একই সঙ্গে কানাডাতে খালিস্থানি উগ্রপন্থীদের নানা রকম সহায়তা করারও অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করা দরকার, ২০১৩ সালে জগমিত সিংকে ভারতের ভিসা দিতে অস্বীকার করে দিল্লি। ২০১৮ সালেও তাঁকে ভারত বিরোধী কার্যকলাপ এবং খালিস্তানপন্থীদের সমর্থন করার জন্য ফের একবার ভিসা দিতে অস্বীকার করে দিল্লি।

    আরএসএস-কে নিষিদ্ধ করার দাবি তোলেন এই নেতা

    এরপর ২০২৩ সালে জুন মাসে খালিস্তানপন্থী নেতা নিজ্জর খুন হন কানাডাতে (Khalistani)। তখনই কানাডা সরকারের সুরে সুর মিলিয়ে জগমিত সিং বলেন যে ভারতীয় এজেন্টরাই খুন করেছে। শুধু তাই নয় সে সময় রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘকে নিষিদ্ধ করার দাবিও তোলেন এই খালিস্তানপন্থী নেতা। এই ঘটনার মাত্র দু বছরের মাথাতেই তাঁর দলের শোচনীয় পরাস্ত হল তাঁর দল। ২০২৪ সালের ৫ জুলাই এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসে। সেখানেই দেখা যায় যে ২০২৩ সালে খুন হওয়া নিজ্জর (Khalistani) নিউ ডেমোক্র্যাটিক পার্টি তৈরি করতে ব্যাপক আর্থিক ফান্ডিং করেছিল জগমিতকে।

  • ICSE: আইসিএসই ও আইএসসি বোর্ডের ফলাফল প্রকাশিত, এগিয়ে ছাত্রীরা, কীভাবে জানা যাচ্ছে রেজাল্ট?

    ICSE: আইসিএসই ও আইএসসি বোর্ডের ফলাফল প্রকাশিত, এগিয়ে ছাত্রীরা, কীভাবে জানা যাচ্ছে রেজাল্ট?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৫ সালের আইসিএসই (ICSE) ও আইএসসি ফলাফল প্রকাশিত হল (ICSE 10th Result)। মঙ্গলবারই রেজাল্ট ঘোষণার দিন জানায় সিআইএসসিই বোর্ড। প্রসঙ্গত, পরীক্ষা শেষ হওয়ার ২৫ দিনের মাথায় ফলপ্রকাশ করল বোর্ড। মেয়েদের পাশের হার ৯৯.৪৫ শতাংশ। ছেলেদের পাসের হার ৯৮.৬৪ শতাংশ। ফলাফল দেখা যাচ্ছে cisce.org ওয়েবসাইটে।

    চলতি বছরে দশম শ্রেণির (আইসিএসই) পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ২ লক্ষ ৫২ হাজার ৫৫৭ জন। তার মধ্যে ১ লক্ষ ৩৫ হাজার ২৬৮ জন ছাত্র ও ১ লক্ষ ১৮ হাজার ১১৬ জন ছাত্রী। সার্বিক পাশের হার ৯৯.০৯ শতাংশ। মেয়েদের পাশের হার – ৯৯.৩৭ শতাংশ, ছেলেদের – ৯৮.৮৪ শতাংশ। অন্যদিকে, দ্বাদশ শ্রেণির (আইএসসি) পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৯৯ হাজার ৫৫১ জন। এর মধ্যে ছাত্র ৫২ হাজার ৬৯২ এবং ছাত্রী ৪৭ হাজার ৩৭৫ জন। ৯৮ হাজার ৫৭৮ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন। সার্বিক পাশের হার ৯৯.০২ শতাংশ। মেয়েদের পাশের হার – ৯৯.৪৫ শতাংশ, ছেলেদের – ৯৮.৬৪ শতাংশ।

    আইসিএসই বোর্ডের (ICSE) ফলাফল: অঞ্চল ভিত্তিক পাশের হার

    উত্তর ভারত: ৯৮.৭৮ শতাংশ
    পূর্ব ভারত: ৯৮.৭০ শতাংশ
    পশ্চিম ভারত: ৯৯.৮৩ শতাংশ
    দক্ষিণ ভারত: ৯৯.৭৩ শতাংশ
    বিদেশ: ৯৩.৩৯ শতাংশ

    কীভাবে দেখা যাচ্ছে ফলাফল

    ফলাফল দেখতে ক্লিক করুন: cisce.org।

    এরপর নিজের কোর্স নির্বাচন করুন।

    UID এবং Index নম্বর লিখুন।

    এরপর ক্যাপচা কোড দিতে হবে।

    ফলাফল দেখুন বোতামে ক্লিক করুন।

    একইসঙ্গে দশম শ্রেণীর পরীক্ষার্থীরা ICSE টাইপ করে unique ID code লিখে 09248082883 নম্বরে মেসেজ করলেও নিজেদের ফলাফল দেখতে পাবে।

    ডিজিলকার থেকেও রেজাল্ট দেখা যাচ্ছে

    এ ছাড়া ডিজিলকার থেকেও রেজাল্ট (ICSE) দেখা যাচ্ছে। তার জন্য প্রথমে ডিজিলকার পোর্টালে https://results.digilocker.gov.in ওয়েব অ্যাড্রেসে যেতে হবে পরীক্ষার্থীকে। সেখানেই সিআইএসসিই-র আলাদা বিভাগ রয়েছে। সেখানে গিয়ে রেজাল্ট জানতে আইসিএসই অথবা আইএসসি বোতামে ক্লিক করতে হবে। পরের পাতায় ইনডেক্স নম্বর এবং অ্যাডমিট কার্ডে লেখা জন্মতারিখ দিয়ে ‘সাবমিট’ করলে ফলাফল দেখতে পাবে পরীক্ষার্থীরা। এই পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর নিয়ে খুশি না হলে, উত্তরপত্র পুনর্মূল্যায়নের জন্য পাঠানো যায়। এর জন্য যেতে হবে নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটের ‘Public Services’ সেকশনে। রেজিস্টার্ড ইমেল আইডি পাসওয়ার্ড দিয়ে লগ ইন করতে হবে। ৩০ এপ্রিল এই পুনর্মূল্যায়নের উইন্ডো খুলবে বলে জানানো হয়েছে, এটি বন্ধ হবে ৪ মে।

  • Jammu Kashmir: জম্মু-কাশ্মীরে তীব্র গতিতে চলছে জঙ্গি নিকেশ অভিযান

    Jammu Kashmir: জম্মু-কাশ্মীরে তীব্র গতিতে চলছে জঙ্গি নিকেশ অভিযান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জঙ্গি নিকেশ করতে জম্মু-কাশ্মীর (Jammu Kashmi) একেবারে তেড়েফুঁড়ে নেমেছে মোদি সরকার। পহেলগাঁও হামলার পরবর্তীকালে ইসলামিক সন্ত্রাসবাদীদের খতম করতে বদ্ধপরিকর দিল্লি। এই কারণে জম্মু-কাশ্মীরে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান (Jammu Kashmi) পরিচালনা করা হচ্ছে তীব্র গতিতে। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, অভিযান জোরকদমে তীব্র গতিতে চলছে। তবে এনিয়ে কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি সামনে আনছে না প্রশাসন। কারণ এতটাই গোপন রাখা হয়েছে সেই অভিযান।

    কল্পনার থেকেও বেশি শাস্তির কথা ঘোষণা করেছিলেন মোদি

    পহেলগাঁওতে এক ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা (Counter Terror Operations) ঘটে যেখানে ধর্ম বেছে বেছে হিন্দু পর্যটকদের গুলি করে হত্যা করা হয়। নিহত হন ২৬ জন মানুষ। সারাদেশের নাগরিকদের মধ্যে এনিয়ে তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়। আমেরিকা, ব্রিটেন সমেত অনেক দেশ এই ঘটনার নিন্দা জানায়। হামলার কয়েকদিন পরেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিহারের মধুবনিতে একটি জনসভা করেন। নিজের বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছিলেন যে এই হামলার সঙ্গে যুক্ত এবং হামলার নেপথ্যে থাকা ব্যক্তিদের কল্পনার থেকেও বেশি শাস্তি হবে। পৃথিবীর শেষ প্রান্ত পর্যন্ত এদেরকে তাড়া করা হবে বলেও জানান মোদি।

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কথাই বাস্তবায়িত হচ্ছে জম্মু-কাশ্মীরে

    প্রসঙ্গত জম্মু-কাশ্মীরে বিভিন্ন জেলায় তীব্রগতিতে (Counter Terror Operations) নিরাপত্তা বাহিনীর এই অভিযান বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে অনেকেই মনে করছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যা বলেছিলেন সেটাই বাস্তবায়িত (Jammu Kashmi) হচ্ছে। গত ২৮ এপ্রিল পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দাবি করেন যে, ভারত সামরিক হামলার (Jammu Kashmi) প্রস্তুতি নিচ্ছে। এই আবহে মঙ্গলবারই সেনাকে পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিন প্রধানমন্ত্রী মোদি বৈঠক করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী, এনএসএ, সিডিএস এবং ৩ বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে ওই জরুরি বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজনাথ সিং, অজিত দোভাল এবং অনিল চৌহান। কাশ্মীরে কাপুরুষোচিত হামলার পর কীভাবে পাকিস্তানকে জবাব দেওয়া যায়, সেই গুরুত্বপূর্ণ রোডম্যাপই তৈরি করা হয় এই বৈঠকে।

  • NCERT: এনসিইআরটি-র সপ্তম শ্রেণির পাঠ্য বইয়ে বাদ মুঘল এবং সুলতানি শাসন, স্থান পেল ভারতীয় সাম্রাজ্যের কথা

    NCERT: এনসিইআরটি-র সপ্তম শ্রেণির পাঠ্য বইয়ে বাদ মুঘল এবং সুলতানি শাসন, স্থান পেল ভারতীয় সাম্রাজ্যের কথা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এনসিইআরটি (ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং)-র পাঠ্যবইয়ে (NCERT) সপ্তম শ্রেণির নতুন সমাজবিজ্ঞান বইয়ে বাদ পড়ল দিল্লির মুঘল এবং সুলতানি সাম্রাজ্যের অধ্যায়। তার পরিবর্তে নতুন সংযোজন করা হয়েছে প্রাচীন ভারতীয় সাম্রাজ্যের কথা। রাখা হয়েছে মগধ, মৌর্য, শুঙ্গ এবং সাতবাহন সাম্রাজ্যকে। একইসঙ্গে ২০২৫ সালে প্রয়াগরাজে হওয়া মহাকুম্ভও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে নতুন পাঠ্যবইয়ে।

    জাতীয় শিক্ষানীতি অনুযায়ী পরিবর্তন

    এই পরিবর্তনগুলি জাতীয় শিক্ষানীতি (এনইপি) ২০২০ এবং স্কুল শিক্ষার জন্য জাতীয় পাঠ্যক্রম কাঠামো (এনসিএফএসই) ২০২৩ অনুযায়ী করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই দুই নীতিই স্কুল শিক্ষায় ভারতীয় ঐতিহ্য, দর্শন, সভ্যতাকে অন্তর্ভুক্ত করার কথা বলেছে। এনসিইআরটির এমন সিদ্ধান্তে তারই প্রতিফলন দেখা গেল (Indian Heritage)। প্রসঙ্গত, এর আগে তুঘলক, খিলজি, লোধি প্রভৃতি শাসন ব্যবস্থা বাদ দেওয়া হয়েছিল। তবে এই প্রথম মুঘল এবং দিল্লির সুলতান সম্পর্কিত অধ্যায়গুলি বাদ পড়ল।

    তীর্থভূমি ভারত নিয়ে আলাদা অধ্যায় (NCERT)

    সমাজ বিজ্ঞানের পাঠ্যপুস্তক (NCERT) ‘এক্সপ্লোরিং সোসাইটি: ইন্ডিয়া অ্যান্ড বিয়ন্ড’ এই বইয়ে ভারতীয় সাম্রাজ্যগুলির ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে মগধ, মৌর্য, শুঙ্গ এবং সাতবাহনের মতো প্রাচীন ভারতীয় রাজবংশগুলির শাসন। এই অধ্যায়েই দেশের ১২টি জ্যোতির্লিঙ্গ, চারধাম যাত্রা এবং নদীসঙ্গম, পর্বত ও জঙ্গল সহ শক্তিপীঠের স্থানগুলিকে ‘ধর্মীয় ভূগোল’ (Sacred geography) হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এটি আসলে ধর্মীয় বিশ্বাস ও ঐতিহ্যের প্রেক্ষাপট সম্বলিত স্থানগুলির অধ্যয়ন। এর মাধ্যমে স্থানগুলির প্রতীকী ও আধ্যাত্মিক তাৎপর্য বোঝাতে চাওয়া হয়েছে। এটি এমন স্থানগুলিকে চিহ্নিত করে যা ধর্মীয় বিশ্বাস ও প্রথার সঙ্গে সম্পর্কিত। ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর একটি উদ্ধৃতি উল্লেখ করা হয়েছে এই অধ্যায়ে, যেখানে ভারতবর্ষকে তীর্থভূমি হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে। অন্যদিকে ইসলাম, খ্রিস্টান, ইহুদি এবং হিন্দু, বৌদ্ধ এবং শিখ- এই ধর্মগুলি নিয়ে একটি নয়া অধ্যায় রাখা হয়েছে।

    স্থান পেয়েছে মহাকুম্ভ

    নতুন সংশোধিত পাঠ্যপুস্তকে (NCERT) দাবি করা হয়েছে, ‘বর্ণ-জাতি ব্যবস্থা’ প্রাচীন ভারতীয় সমাজ ব্যবস্থায় স্থিতিশীলতা প্রদান করলেও, পরে তা বৈষম্যের আকার নেয়। বিশেষত ব্রিটিশ শাসনের অধীনে কঠোর হয়ে ওঠে। ২০২৫ সালে উত্তরপ্রদেশে অনুষ্ঠিত হওয়া মহাকুম্ভ সম্পর্কেও উল্লেখ রয়েছে বইতে। এখানেই বলা হয়েছে ৬৬ কোটি মানুষ এই বিরাট ইভেন্টে অংশ নিয়েছিলেন।

    নাগরিকদের বাড়িতে জাতীয় পতাকা উত্তোলনও স্থান পেয়েছে (Indian Heritage)

    ভারতের সংবিধান সম্পর্কিত একটি অধ্যায় স্থান পেয়েছে বইটিতে। সেখানে লেখা হয়েছে, ‘‘একটা সময় ছিল যখন সাধারণ নাগরিকদের বাড়িতে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের অনুমতি ছিল না। কিন্তু পরে ২০০৪ সালে এই নিয়মের পরিবর্তন করা হয়। নাগরিকদের নিজেদের দেশের প্রতি গর্ব প্রকাশ করতে বাড়িতে জাতীয় পতাকা তোলার আর্জি জানান। সুপ্রিম কোর্টও এবিষয়ে সম্মতি জানিয়ে বলেছিল যে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করাও মৌলিক অধিকারের অঙ্গ। বর্তমানে আমরা গর্বের সঙ্গে নিজেদের বাড়িতে তেরঙ্গা উড়াতে পারি, এটা মাথায় রেখেই যে জাতীয় পতাকার যাতে কোনও অসম্মান না হয়।’’ এনসিইআরটি কর্মকর্তারা সংবাদমাধ্যমকে আরও জানিয়েছেন, এই সংশোধনী কেবল বইয়ের প্রথম অংশের জন্য করা হয়েছে। দ্বিতীয় অংশের সংশোধনী আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই প্রকাশিত হবে বলে জানিয়েছে এনসিআরটি।

    ভারতের উন্নয়নের একাধিক প্রকল্প স্থান পেয়েছে

    একই সঙ্গে নয়া পাঠ্যপুস্তকে একটি অধ্যায় (NCERT) আনা হয়েছে। যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে ভারতবর্ষের ঐতিহাসিক এবং সামাজিক পরিবর্তনগুলিকে। এই বইতে স্থান পেয়েছে মোদি সরকারের উল্লেখযোগ্য কৃতিত্বগুলিও। যথা মেক-ইন-ইন্ডিয়া, বেটি বাঁচাও-বেটি পড়াও, একই সঙ্গে অটল টানেলের মতো ভারতবর্ষের বড় পরিকাঠামোগত সাফল্যগুলিও এই বইতে স্থান পেয়েছে। এনসিআরটি-র তরফ থেকে জানানো হয়েছে এই অধ্যায়গুলির সংযোজনের আসল লক্ষ্য হল- ছাত্র-ছাত্রীদের অবগত করানো দেশের উন্নয়নের বিভিন্ন পদক্ষেপ এবং মাইলস্টোনগুলিকে।

    ভারতীয় লেখকদের লেখা প্রাধান্য পেয়েছে

    প্রসঙ্গত, সমাজবিজ্ঞানের বিষয়বস্তু ইংলিশ কারিকুলাম বিষয়টিও সংশোধন করা হয়েছে। আগের পাঠ্যপুস্তকের নাম ছিল Honeycomb. বর্তমানে তা বদলে করা হয়েছে Poorvi. আগের Honeycomb-এ ১৭টি অংশ ছিল সাহিত্যের। যার মধ্যে মাত্র চারটি ছিল ভারতীয় লেখকদের অধ্যায়। নতুন Poorvi-তে পনেরোটি বিভিন্ন গল্প ও কবিতা রয়েছে। যেগুলির মধ্যে ৯টি লেখা রয়েছে ভারতীয় লেখকদের। এখানেই স্থান পেয়েছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং এপিজে আবদুল কালামের লেখা। বিদেশীদের মধ্যে স্থান পেয়েছে রাসকিন বন্ডের লেখা।

LinkedIn
Share