Tag: madhyom bangla

madhyom bangla

  • DGCA: ডিজিসিএ-র কড়া পদক্ষেপ, সব বোয়িং বিমানের জ্বালানি সুইচ পরীক্ষা করতে বিমান সংস্থাগুলিকে নির্দেশ

    DGCA: ডিজিসিএ-র কড়া পদক্ষেপ, সব বোয়িং বিমানের জ্বালানি সুইচ পরীক্ষা করতে বিমান সংস্থাগুলিকে নির্দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডিজিসিএ (DGCA) বোয়িং এবং ম্যাকডোনাল্ড ডগলাস নির্মিত নির্দিষ্ট বিমান মডেলগুলোর জন্য একটি জরুরি নির্দেশনা জারি করেছে। বোয়িং ৭১৭, ৭৩৭, ৭৪৭, ৭৫৭, ৭৬৭, ৭৮৭ এবং এমডি-১১ ও এমডি-৯০ মডেলগুলোতে ব্যবহৃত জ্বালানি নিয়ন্ত্রণ সুইচের লকিং মেকানিজম ২১ জুলাইয়ের মধ্যে পরীক্ষা করে রিপোর্ট জমা দিতে হবে। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বিমান সংস্থা এই পরীক্ষা শুরু করেছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, ২০১৮ সালে মার্কিন FAA এসব বিমানের জ্বালানি নিয়ন্ত্রণ সুইচে সমস্যা থাকার সম্ভাবনার বিষয়ে সতর্ক করেছিল।

    আমেদাবাদের বিমান দুর্ঘটনা (DGCA)

    গত মাসের ১২ তারিখে আমেদাবাদ বিমানবন্দর থেকে উড়ানে কিছুক্ষণ পরেই এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বোয়িং বিমান একটি মেডিক্যাল কলেজ ভবনের উপর ভেঙে পড়ে। মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় গুজরাটের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রুপানিসহ বিমানে থাকা ২৬০ জন যাত্রীর সবাই নিহত হন। দুর্ঘটনার ফলে বিমানে আগুন ধরে যায় এবং অধিকাংশ দেহ এতটাই পুড়ে যায় যে শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধারকারী দল মেডিক্যাল কলেজ ভবনের ছাদ থেকে বিমানের ব্ল্যাক বক্স উদ্ধার করে। প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য—বিমানের দুটি ইঞ্জিনে আচমকাই জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এই দুর্ঘটনার প্রেক্ষিতে বোয়িং নির্মিত বিমানগুলোর প্রযুক্তিগত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে।

    ককপিটের ভয়েস রেকর্ডারে থাকা কথোপথন

    ককপিটের ভয়েস রেকর্ডারে এক পাইলটকে (DGCA) আরেকজনকে প্রশ্ন করতে শোনা যায়, “কেন জ্বালানি বন্ধ করলেন?” — যার জবাবে বলা হয়, “আমি বন্ধ করিনি।” এই কথোপকথনের পরপরই পাইলট “মে ডে, মে ডে” বলে কন্ট্রোল টাওয়ারে জরুরি বার্তা পাঠান, তবে উত্তর আসার আগেই বিমানটি ভেঙে পড়ে। এই পরিপ্রেক্ষিতে, ভারতীয় বিমান পরিবহন নিয়ন্ত্রক সংস্থা (ডিজিসিএ) বোয়িং বিমান পরিচালনায় (Boeing Aircrafts) নিযুক্ত সকল এয়ারলাইনকে ২১ জুলাইয়ের মধ্যে বিমানের জ্বালানি নিয়ন্ত্রণ সুইচের লকিং ব্যবস্থা পরীক্ষা করে দেখার নির্দেশ জারি করেছে।

  • Weather Update: নিম্নচাপের প্রভাব! কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে আরও দু-দিন বৃষ্টির পূর্বাভাস

    Weather Update: নিম্নচাপের প্রভাব! কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে আরও দু-দিন বৃষ্টির পূর্বাভাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভরা বর্ষায় নিম্নচাপের জেরে মঙ্গলবারও গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে সকাল থেকেই চলছে বৃষ্টি। মঙ্গলবার রাজ্যের ১১ জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই বিক্ষিপ্ত ভাবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। সঙ্গে ৩০-৪০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়া। ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে উত্তরের জেলাগুলিতেও। আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, বুধবার এই নিম্নচাপের প্রভাব কমবে। মঙ্গলবার সকালে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৬.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে সামান্য কম। একটানা বৃষ্টিতে কলকাতার নীচু এলাকায় জল জমে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

    দক্ষিণ-পূর্ব গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে গভীর নিম্নচাপ

    হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, দক্ষিণ-পূর্ব গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ এবং সংলগ্ন বাংলাদেশ অবস্থান করছে গভীর নিম্নচাপ। এটির অভিমুখ রয়েছে পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে। এটি কলকাতার ৯০ কিলোমিটার উত্তরে রয়েছে। আর বর্ধমান থেকে ৫০ কিলোমিটার পূর্বে রয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় এটি গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ অতিক্রম করবে পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম অভিমুখে। এদিকে বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপের উপর মৌসুমী অক্ষরেখা। উত্তর-পশ্চিম ভারতের পার্বত্য এলাকায় রয়েছে পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাব। যার প্রভাবে আজ মঙ্গলবার দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে। পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পূর্ব পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে।

    সপ্তাহান্তে উত্তরবঙ্গে প্রবল বৃষ্টি

    আজ উত্তরবঙ্গের উপরের দিকের পাঁচ জেলাতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। ভারী বৃষ্টি হতে পারে দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ও জলপাইগুড়ি জেলার কিছু অংশে। উত্তরবঙ্গের সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা। উত্তরবঙ্গে লক্ষ্যনীয়ভাবে বৃষ্টি বাড়বে এই সপ্তাহের শেষে। ১৯ ও ২০ জুলাই অর্থাৎ শনি ও রবিবার উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টি হতে পারে একাধিক জেলায়।

    কলকাতার আবহাওয়া

    হাওয়া অফিস বলছে, এদিনও কলকাতায় মূলত মেঘলা আকাশ। দিনভর কয়েক পশলা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী দু-তিন ঘণ্টায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়-বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে। এ দিন কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে। আজ শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৬.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের থেকে ০.৮ ডিগ্রি কম। গতকাল, সোমবার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৮.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বুধবারও কলকাতা-সহ দক্ষিণের সব জেলায় ঝড়-বৃষ্টির জন্য সতর্কতা জারি করা হয়েছে ৷ দক্ষিণবঙ্গে আগামী রবিবার পর্যন্ত হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি চলবে। তবে বৃহস্পতিবার থেকে রবিবার পর্যন্ত জেলাগুলিতে বৃষ্টির দাপট কমবে। বুধবার নিম্নচাপ ঝাড়খণ্ডের দিকে সরলে বৃষ্টির পরিমাণ কমবে।

  • West Indies : ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটে লজ্জার দিন, টেস্টে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন রানে অলআউট ওয়েস্ট ইন্ডিজ

    West Indies : ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটে লজ্জার দিন, টেস্টে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন রানে অলআউট ওয়েস্ট ইন্ডিজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অস্ট্রেলিয়ার কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ ওয়েস্ট ইন্ডিজের (Australia vs West Indies)। সাবিনা পার্কে তৃতীয় টেস্টে ২০৪ রান তাড়া করতে নেমে মাত্র ২৭ রানে অলআউট ক্যারিবিয়ানরা। যা টেস্টের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন রান। ১ রানের জন‍্য রক্ষা পেল লজ্জার বিশ্বরেকর্ড। বিশ্ব ক্রিকেটে এক সময়ের ত্রাস যারা ছিল, তারাই লজ্জার রেকর্ড গড়ল। এর আগে ১৯৫৫ সালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ২৬ রানে অল আউট হয়ে গিয়েছিল নিউ জিল‍্যান্ড। তার থেকে মাত্র এক রান বেশি করে ওয়েস্টইন্ডিজ। টেস্টে এটাই তাদের সর্বনিম্ন রানের ইনিংস।

    ওয়েস্ট ইন্ডিজের লজ্জা

    অস্ট্রেলিয়ার (Australia vs West Indies) মিচেল স্টার্ক ৯ রান দিয়ে ৬ উইকেট নিয়েছেন। তিনিই প্রথম বোলার, যিনি ১৫ বলের মধ্যে পাঁচটা উইকেট তুলে নেন। ১৯৪৭ সালে আর্নি টোশাক ও ২০১৫ সালে স্টুয়ার্ট ব্রড ১৯ বলে ৫ উইকেট পেয়েছিলেন। ১০০ তম টেস্টে খেলতে নেমে ৪০০ উইকেট তুললেন স্টার্ক। অন্যদিকে হ্যাটট্রিক করেন স্কট বোলান্ড। ২ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন বোলান্ড। সাবিনা পার্কে গোলাপি বলের টেস্টে তিন দিনের মধ‍্যে অস্ট্রেলিয়া ১৭৬ রানে জিতে গিয়েছে। প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া করে ২২৫। জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ থেমে যায় ১৪৩ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে শামার জোসেফ ও আলজারি জোসেফের দাপটে অস্ট্রেলিয়াও ১২১ রানের বেশি করতে পারেনি। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে জিততে হলে ২০৪ রান করতে হত। প্রথম দুটি টেস্টে হেরে থাকা নড়বড়ে ক্যারিবিয়ান ব্যাটিং অর্ডার যে গোলাপি বলে রানটা তুলতে পারবে না, তা কার্যত দেওয়াল লিখন ছিল। কিন্তু তারা যে ১৪.৩ ওভারে মাত্র ২৭ রানে অলআউট হয়ে যাবে, তা ভাবা যায়নি।

    স্টার্ক-বোলান্ডের নজির

    ওয়েস্ট ইন্ডিজের (Australia vs West Indies) সাত জন ব‍্যাটার শূন‍্য রানে আউট হয়েছেন। এর আগে ১৯৮০ সালে পাকিস্তানের ৬ ব্যাটার শূন্য রানে আউট হয়েছিলেন। কিন্তু সেটা ১২৮ রানে। বাংলাদেশের ৬ উইকেট পড়েছিল ৮৭ রানে। ম্যাচ এবং সিরিজের সেরা হয়েছেন স্টার্ক। এটা তাঁর শততম টেস্ট। বোল‍্যান্ড হ‍্যাটট্রিক করেছেন। প্রথম বোলার হিসেবে দিন-রাতের টেস্টে হ্যাটট্রিক করার নজির গড়লেন তিনি।

  • UPI: লেনদেনের সংখ্যা মাসে ১৮০০ কোটি! ভিসাকে টেক্কা দিল ইউপিআই, আইএমএফ-এর প্রশংসা

    UPI: লেনদেনের সংখ্যা মাসে ১৮০০ কোটি! ভিসাকে টেক্কা দিল ইউপিআই, আইএমএফ-এর প্রশংসা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের পেমেন্ট ইকোসিস্টেমে এক যুগান্তকারী পরিবর্তন এনেছে ইউপিআই। বর্তমানে দেশের একটি বড় অংশের মানুষ নিয়মিতভাবে অনলাইন পেমেন্টে এই অ্যাপ করছেন। হু হু করে বাড়ছে ইউপিআই ব্যবহারকারীর সংখ্যা। ভারতের ইউনিফায়েড পেমেন্ট ইন্টারফেস (UPI) এখন বিশ্বের কাছেও এক অনন্য উদাহরণ। সম্প্রতি একটি বড় মাইলফলক স্পর্শ করেছে ইউপিআই। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, ইউনিফায়েড পেমেন্ট ইন্টারফেজ (UPI) অফিশিয়ালি ভিসাকে (Visa) টপকে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় রিয়েল টাইম পেমেন্ট সিস্টেমে পরিণত হয়েছে। দৈনিক ৬৫০ মিলিয়ন লেনদেন এবং প্রতি মাসে প্রায় ১৮ বিলিয়ন (১৮০০ কোটি) ট্র্যানজাকশন হয় এর মাধ্যমে। ইউপিআই-এর হাত ধরে ভারত এই মুহূর্তে বিশ্বের সর্ববৃহৎ এবং সবচেয়ে দ্রুতগতির রিটেইল ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবস্থার উদাহরণ স্থাপন করেছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (IMF)-এর সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে ভারতের এই সাফল্যের প্রশংসা করা হয়েছে।

    ইউপিআই-এর প্রশংসায় আইএমএফ

    ২০১৬ সালে ভারতে চালু হয় ইউপিআই। ন্যাশনাল পেমেন্টস কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া বা এনপিসিআই ও রিজার্ভ ব্যাঙ্কের যৌথ উদ্যোগে এই ব্যবস্থা চালু করা হয়। কিউআর কোড বা ইউপিআই আইডির মাধ্যমে সহজে পেমেন্ট করা যায় বলে এই ব্যবস্থা এবার ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ছে গোটা বিশ্বে। ‘গ্রোয়িং রিটেল জিজিটাল পেমেন্টস’(Growing Retail Digital Payments: The Value of Interoperability) শীর্ষক এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০১৬ সালে চালু হওয়ার পর থেকে ভারতের ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবস্থায় এক বিপ্লব ঘটিয়েছে ইউপিআই। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (IMF) জানিয়েছে, উন্নত দেশগুলোকেও পেছনে ফেলে এখন ভারতই এই খাতে পথপ্রদর্শক।

    ইউপিআই সাফল্যের পেছনের কারণ

    আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (IMF)-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, ব্যবহারকারী-বান্ধব ডিজাইন, রিয়েল-টাইম পেমেন্ট, একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে যুক্ত হওয়ার সুযোগ এবং সহজ ইন্টারঅপারেবিলিটি ইউপিআই-কে সফল করেছে। কিউআর কোড, ভয়েস-নোটিফিকেশন ও সহজ ইন্টারফেস থাকায় গ্রামাঞ্চল থেকে শুরু করে শহর, ছোট ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে প্রবীণ নাগরিক—সবাই খুব সহজেই ডিজিটাল লেনদেন গ্রহণ করতে পেরেছেন। ইউপিআই কার্যত বর্তমানে সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গী হয়ে উঠেছে।

    অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তির মডেল

    সরকারি তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে ৬৩২-টিরও বেশি ব্যাঙ্ক ইউপিআই (UPI) প্ল্যাটফর্মে সক্রিয় এবং প্রতি মাসে ১৬.৫৮ বিলিয়নেরও বেশি লেনদেন হয়, যার আর্থিক মূল্য প্রায় ২৩.৪৯ লক্ষ কোটি টাকা। এটি শুধু ডিজিটাল লেনদেন নয়, বরং আইনি স্বচ্ছতা, আর্থিক সাক্ষরতা এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির দিক থেকেও এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। সূত্রের খবর, নীতি আয়োগের প্রাক্তন চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (CEO) অমিতাভ কান্ত সম্প্রতি ইউপিআই –এর এই নয়া মাইলফলক সম্পর্কে জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ‘X’ –এ একটি পোস্ট করেছেন। তিনি লিখেছেন, ইউনিফায়েড পেমেন্ট ইন্টারফেজ ভিসা কে ছাড়িয়ে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় রিয়েল টাইম পেমেন্ট সিস্টেম হয়ে উঠেছে। ইউপিআই মাত্র নয় বছরে এই মাইলফলক স্পর্শ করেছে। এই বিষয়টি ইউপিআই –এর দুর্দান্ত বৃদ্ধির ইঙ্গিত করছে। দুর্দান্ত গতিতে এই সিস্টমেটির গ্রহযোগ্যতা বেড়েছে।

    সীমান্ত পেরিয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চে

    শুধু ভারতের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, এখনও পর্যন্ত মোট ৮টি দেশে এই ইউপিআই ব্যবস্থা চালু রয়েছে। ভারতের বাইরে প্রথম দেশ হিসাবে ২০২১ সালে ইউপিআই চালু হয় ভূটানে। এর পর ওই বছরই ইউপিআই চালু হয় সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে। ২০২৪ সালে প্রথম ইউরোপীয় দেশ হিসাবে ইউপিআই গ্রহণ করে ফ্রান্স। ভারতের এনপিসিআই ও ফ্রান্সের লায়রা নেটওয়ার্কের সহযোগিতায় সে দেশে ইউপিআই চালু হয়। এ ছাড়াও নেপাল, মরিশাস, শ্রীলঙ্কা, সিঙ্গাপুর ও ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোতেও চালু হয়েছে ইউপিআই। আগামীতে কাতার, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ব্রিটেন, ওমান ও মালদ্বীপের মতো দেশে ইউপিআই চালু হতে পারে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। এর ফলে বিদেশে ভারতীয় পর্যটক ও ব্যবসায়ীদের জন্য অর্থনৈতিক লেনদেন আরও সহজ ও নিরাপদ হয়েছে।

    ভিসাকে টেক্কা ইউপিআই-এর

    সম্প্রতি ইউপিআই –এর দৈনিক ট্রানজ্যাকশনের সংখ্যা সাড়ে ৬০০ মিলিয়নে পোঁছে গিয়েছে। অপরদিকে, ভিসা –এর দৈনিক ট্রানজ্যাকশনের সংখ্যা রয়েছে ৬৩৯ মিলিয়ন। অর্থাৎ, দৈনিক লেনদেনের দৌড়ে ভিসার থেকে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে ইউপিআই। সবচেয়ে চমকপ্রদ বিষয় হল, বর্তমানে বিশ্বজুড়ে ২০০ টিরও বেশি দেশে ভিসার উপস্থিতি রয়েছে। সেই তুলনায় ইউপিআই –এর উপস্থিতি রয়েছে মাত্র ৮ টি দেশে। কিন্তু, তা সত্ত্বেও এই দুর্দান্ত সাফল্যের দেখা পেয়েছে পেমেন্ট সিস্টেমটি। উল্লেখ্য, ইউপিআই হল মোবাইল প্ল্যাটফর্মের জন্য ডিজাইন করা একটি ইনস্ট্যান্ট ইন্টার ব্যাঙ্ক পেমেন্ট সিস্টেম। এটিকে ন্যাশনাল পেমেন্টস কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়ার তরফে তৈরি করা হয়েছে। বর্তমানে এটি প্রতি মাসে ১৮ বিলিয়ন ট্রানজ্যাকশন প্রসেস করে থাকে। সম্প্রতি ইউপিআই নিয়ে আইএমএফ-এর স্বীকৃতি ভারতের প্রযুক্তিগত উন্নয়ন ও আন্তর্জাতিক আর্থিক নেতৃত্বের পথে এক বড় ধাপ, যা শুধুমাত্র প্রযুক্তি নয়, আর্থিক স্বচ্ছতা, শিক্ষা এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ক্ষেত্রেও ভারতের অবস্থানকে মজবুত করে।

  • Daily Horoscope 15 July 2025: গুরুজনদের পরামর্শ মেনে চলুন এই রাশির জাতকরা

    Daily Horoscope 15 July 2025: গুরুজনদের পরামর্শ মেনে চলুন এই রাশির জাতকরা

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) শত্রুর কোপ থেকে মুক্তিলাভ।

    ২) কোনও ধর্মীয় কাজে দান করতে হতে পারে।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    বৃষ

    ১) কীটপতঙ্গ থেকে একটু সাবধান থাকুন।

    ২) সংসারে ব্যয়সঙ্কোচ করার ব্যাপারে আলোচনা।

    ৩) গুরুজনদের পরামর্শ মেনে চলুন।

    মিথুন

    ১) সকালের দিকে শরীরে আঘাত লাগতে পারে।

    ২) প্রেমের ব্যাপারে শান্তি পেতে পারেন।

    ৩) দিনটি ভালোই কাটবে।

    কর্কট

    ১) কোনও আশা ভঙ্গ হতে পারে।

    ২) দূরে কোথাও ভ্রমণের আলোচনা হতে পারে।

    ৩) ভবিষ্যত পরিকল্পনা করুন।

    সিংহ

    ১) অতিরিক্ত কথা বলার জন্য বাড়িতে বিবাদ।

    ২) শরীরে কষ্ট বাড়তে পারে।

    ৩) বাণীতে সংযম রাখুন।

    কন্যা

    ১) প্রেমে বিরহ দেখা দিতে পারে।

    ২) বন্ধুরা আপনার পাশে দাঁড়াবে।

    ৩) দিনটি ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    তুলা

    ১) মনের মতো পরিবেশ পেতে পারেন।

    ২) দাম্পত্য জীবন ভালো কাটতে পারে।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    বৃশ্চিক

    ১) সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলুন।

    ২) ব্যবসায় ভালো লাভের সময়।

    ৩) বন্ধুদের থেকে সাহায্য পাবেন।

    ধনু

    ১) জেদের কারণে কোনও ক্ষতি হতে পারে।

    ২) সম্পত্তির ব্যাপারে কোনও আত্মীয়ের সঙ্গে বিবাদ হতে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    মকর

    ১) অভিনয়ের প্রতি অনুরাগ বাড়তে পারে।

    ২) আয়ের দিক থেকে দিনটি ভালো।

    ৩) ব্যবসায় বিপুল লাভ।

    কুম্ভ

    ১) শুভ কাজে বাধা পাওয়ায় মনঃকষ্ট।

    ২) নতুন চাকরির জন্য চেষ্টা করতে পারেন।

    ৩) প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটান।

    মীন

    ১) রাজনীতির লোকেদের জন্য ভালো খবর আসতে পারে।

    ২) সারা দিন কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হবে।

    ৩) দিনটি ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • India vs England: ব্যর্থ জাদেজার লড়াই, লর্ডসে ২২ রানে হার মানল টিম ইন্ডিয়া

    India vs England: ব্যর্থ জাদেজার লড়াই, লর্ডসে ২২ রানে হার মানল টিম ইন্ডিয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেওয়াল লিখনটা স্পষ্টই হয়ে গিয়েছিল লর্ডস টেস্টের চতুর্থ দিনে। পঞ্চম দিনে প্রাপ্তি শুধুই জাদেজার লড়াই। লড়েছিলেন তিনি। ভয়ঙ্কর রকম লড়েছিলেন। যদি জেতাতে পারতেন তাহলে নায়কের আসন ছিল পাকা। কিন্তু পরাজিত হলে লড়াইয়ের দাম থাকে না। তাই হল। জাদেজা নিজে অপরাজিত থাকলেন ৬১ রানে। কিন্তু শোয়েব বশিরের বলটা সিরাজ খেলার পরেও দিল উইকেট ভেঙে। আটকাতেই পারতেন পা দিয়ে। মুহূর্তের ভুল। আর তাতেই সবশেষে। ১৯৩ রান তাড়া করতে নেমে ভারত শেষ হয়ে গেল ১৭০ রানে। লর্ডস টেস্ট ইংল্যান্ড (India vs England) জিতে নিল ২২ রানে। সিরিজে এগিয়ে গেল ২–১ ব্যবধানে।

    ডুবল গিলের রণতরী

    ২০২১ সালে ভারত শেষ বার লর্ডসে (India vs England) জিতেছিল। চার বছর আগের লর্ডস টেস্টে লোকেশ রাহুল সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন। চার বছর পরে লর্ডস টেস্টের নায়ক হতে পারতেন তিনি। প্রথম ইনিংসে তিনি সেঞ্চুরি করেন। দ্বিতীয় ইনিংসে তাঁকেই ত্রাতা হিসেবে ধরে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বেন স্টোকসের বাঁক খাওয়া বলটা মৃত্য পরোয়ানা নিয়ে হাজির হল ভারতের ওপেনারের সামনে। চতুর্থ দিনের শেষে রাহুল ব্যাট করছিলেন ৩৩ রানে। পঞ্চম দিন রাহুল বেশিক্ষণ টিকতে পারলেন না। বেন স্টোকসের ব্যুমেরাং মোক্ষম সময়ে রাহুলের পায়ে লাগল। ৩৯ রানে ফিরে গেলেন ভারতের ওপেনার। লর্ডস টেস্টের চতুর্থ দিনের শেষে একেবারেই স্বস্তিতে ছিল না টিম ইন্ডিয়া। ১৯৩ রান তাড়া করতে গিয়ে চতুর্থ দিনের শেষে টিম ইন্ডিয়ার সংগ্রহ ৫৮/৪। সোমবার ম্যাচের শেষ দিনে জয়ের জন্য লোকেশ রাহুলদের প্রয়োজন ছিল ১৩৫ রান। রাহুল-পন্থ থাকলে ম্যাচের ফলটা অন্যরকম হতে পারত। কিন্তু পন্থও ফিরে গেলেন দ্রুত। আসলে এজবাস্টনের হারটা মানতে পারছিলেন না আর্চার-স্টোকসরা।

    জাদেজার লড়াই

    রবীন্দ্র জাদেজার সঙ্গে অনেকক্ষণ ধৈর্য ধরে ব্যাট করছিলেন নীতীশ রেড্ডি। কিন্তু লাঞ্চের ঠিক আগেই আউট হয়ে গেলেন তিনি। সেখান থেকে জশপ্রীত বুমরাহকে নিয়ে দীর্ঘ সময় একা কুম্ভের মতো লড়ে যান রবীন্দ্র জাদেজা। বুমরাহও স্টোকস-আর্চারদের সামলে দিচ্ছিলেন। কিন্তু স্টোকসের বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। আশ্চর্যজনকভাবে আউট হলেন মহম্মদ সিরাজ। যখন আশা করা হচ্ছিল, সিরাজ ঠিক লড়ে যাবেন, তখনই বিপর্যয়। তীরে এসে তরী ডুবল ভারতের। চতুর্থ ইনিংসের চাপ নিতে না পারার খেসারত দিল গিল-বাহিনী।

  • Ashim Ghosh: হরিয়ানার রাজ্যপাল পদে বাঙালি, রাষ্ট্রপতি মনোনীত করলেন অসীম ঘোষকে

    Ashim Ghosh: হরিয়ানার রাজ্যপাল পদে বাঙালি, রাষ্ট্রপতি মনোনীত করলেন অসীম ঘোষকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হরিয়ানার রাজ্যপাল হিসেবে মনোনীত হলেন পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি অসীম ঘোষ (Ashim Ghosh)। সোমবার রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এক বিজ্ঞপ্তিতে এই মনোনয়নের কথা ঘোষণা করেন। দীর্ঘ রাজনৈতিক ও শিক্ষাবিষয়ক অভিজ্ঞতাসম্পন্ন এই বর্ষীয়ান নেতার রাজ্যপাল পদে মনোনয়নের খবর আসতেই খুশির হাওয়া গেরুয়া শিবিরের অন্দরে। তিনি বর্তমান রাজ্যপাল বন্দারু দত্তাত্রেয়ের স্থলাভিষিক্ত হবেন (Governor Of Hariyana)।

    ১৯৪৪ সালে জন্ম অসীম ঘোষের (Ashim Ghosh)

    ১৯৪৪ সালে হাওড়ায় জন্মগ্রহণ করেন অসীম ঘোষ (Governor Of Hariyana)। পড়াশোনা করেন হাওড়ার বিবেকানন্দ ইনস্টিটিউশনে, এরপর কলকাতার বিদ্যাসাগর কলেজ থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতক ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৬৬ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত টানা ৩৮ বছর রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপনা করেন তিনি। রাজনীতিতে প্রবেশ ১৯৯১ সালে, বিজেপিতে যোগদানের মাধ্যমে।

    বঙ্গ বিজেপির পরিচিত মুখ অসীম (Ashim Ghosh)

    বিজেপির রাজনীতিতে অসীম ঘোষের (Ashim Ghosh) অবদান দীর্ঘ ও উল্লেখযোগ্য। ১৯৯৬ সালে তিনি বিজেপির রাজ্য সম্পাদক হন। ১৯৯৮ সালে রাজ্য সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পান। ১৯৯৯ থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত তিনি ছিলেন বিজেপির পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সভাপতি। ত্রিপুরার দায়িত্বপ্রাপ্ত পর্যবেক্ষক ছিলেন ২০০৩ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত। এছাড়াও, ২০০৪ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিজেপির রাষ্ট্রীয় কর্ম সমিতির সদস্যও ছিলেন তিনি। বিজেপির রাজ্য বুদ্ধিজীবী সেলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসেবেও দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। রাজনীতির পাশাপাশি শিক্ষাক্ষেত্রেও তাঁর ভূমিকা তাঁকে ব্যতিক্রমী করে তুলেছে।

    নতুন রাজ্যপাল গোয়ায়, লাদাখে নয়া লেফটেন্যান্ট গভর্নর

    হরিয়ানার পাশাপাশি গোয়া এবং লাদাখেও নতুন রাজ্যপাল ও লেফটেন্যান্ট গভর্নরের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। গোয়ার নতুন রাজ্যপাল হচ্ছেন পুষ্পতি অশোক গজপতি। তিনি তেলুগু দেশম পার্টির দীর্ঘদিনের নেতা এবং সাতবার বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। ২০১৪ সালে বিজয়নগরম লোকসভা কেন্দ্র থেকে জিতে মোদির প্রথম মন্ত্রিসভায় অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের দায়িত্বেও ছিলেন প্রায় চার বছর। লাদাখের নতুন লেফটেন্যান্ট গভর্নর হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন কোভিন্দর গুপ্তা। তিনি বিজেপির বর্ষীয়ান নেতা ও আরএসএসের দীর্ঘদিনের সদস্য। জম্মু-কাশ্মীরে পিডিপি-বিজেপি জোট সরকারের সময় তিনি উপ-মুখ্যমন্ত্রীর পদে ছিলেন।

  • BrahMos: সিঁদুরে মেঘ দেখেছিল পাকিস্তান! ইসলামাবাদকে ভয় ধরানো ‘ব্রহ্মস’ কিনতে আগ্রহী ১৫ দেশ

    BrahMos: সিঁদুরে মেঘ দেখেছিল পাকিস্তান! ইসলামাবাদকে ভয় ধরানো ‘ব্রহ্মস’ কিনতে আগ্রহী ১৫ দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুর চলাকালীন শত্রু পাকিস্তানের বুকে আতঙ্ক ধরিয়েছে ভারতের ‘ব্রহ্মস’ (BrahMos) সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র। এর আঘাতেই চোখের নিমেষে ধূলোয় মিশেছে পশ্চিমের প্রতিবেশী দেশটির অন্তত ন’টি বায়ুসেনা ঘাঁটি। ফলে লড়াই থামতেই দুনিয়ার অস্ত্রবাজারে তুঙ্গে উঠেছে ‘ব্রহ্মস’ ক্ষেপণাস্ত্রের চাহিদা। বিশ্বের সমীহ কুড়িয়ে নেওয়া সেই মারণাস্ত্র এবার দেশের রাজকোষ ভরাতে চলেছে। আত্মনির্ভর ভারতের জয়গান গেয়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং জানান, স্বদেশী প্রযুক্তিতে তৈরি ভারতের ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্রের প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করেছে বিশ্বের ১৪-১৫টি দেশ।

    লখনউ থেকে রফতানি হবে ব্রহ্মস

    সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ে এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজনাথ সিং। সেখানেই এক বক্তব্য রাখতে গিয়ে ভারতের ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্রের প্রশংসা করে তিনি বলেন, “কিছুদিন আগে আমি লখনউয়ে ব্রহ্মস এয়ারস্পেস ইন্টিগ্রেশন ও পরীক্ষণ কেন্দ্রের উদ্বোধন করেছি। আপনারা দেখেছেন কিছুদিন আগে আমাদের ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র কীভাবে পাকিস্তানে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। ব্রহ্মসের তাণ্ডবলীলায় মুগ্ধ গোটা বিশ্ব। এই মিসাইলের মারণ ক্ষমতা দেখার পর ১৪-১৫টি দেশ ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে এবং এই ক্ষেপণাস্ত্রের কেনার আর্জি জানিয়েছে।” প্রতিরক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, “ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র এখন লখনউ থেকে রফতানি করা হবে। আমি বিশ্বাস করি এই পদক্ষেপ প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে দেশকে আত্মনির্ভর করার পাশাপাশি কর্মসংস্থানও তৈরি করবে। আমাদের লক্ষ্য এখানে আরও শিল্প আনা যাতে লখনউয়ের পাশাপাশি রাজ্যের উন্নতি হয়।”

    ব্রহ্মস-এর নামকরণ

    ভারত ও রাশিয়ার যৌথ উদ্যোগে তৈরি হয়েছে মারণ ক্ষেপণাস্ত্র ‘ব্রহ্মস’। এই নামকরণের নেপথ্যে রয়েছে দুই দেশের দুই নদী বিখ্যাত নদী ব্রহ্মপুত্র ও মস্কোভা। ক্ষেপণাস্ত্রটির উৎপাদনকারী সংস্থা হল ব্রহ্মস অ্যারোস্পেস লিমিটেড। সংশ্লিষ্ট মারণাস্ত্রটির প্রযু্ক্তি তৈরিতে রয়েছে ভারতের ‘ডিফেন্স রিসার্চ ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজ়েশন’ বা ডিআরডিও এবং রুশ প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থা এনপিও মাশিনোস্ট্রোয়েনিয়ার যৌথ উদ্যোগ। দেশের প্রতিরক্ষাকে মাথায় রেখে এই ব্রহ্মসকে আরও উন্নত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। সেই লক্ষ্যে ৫ দফা পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সেখানে ব্রহ্মসের পাল্লা ও গতি দুটোই বাড়ানো হচ্ছে।

    ব্রহ্মস-এর শ্রেণিবিভাগ

    বর্তমানে ভারত যে ‘ব্রহ্মস’ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে, তার চারটি শ্রেণিবিভাগ রয়েছে। স্থল, রণতরী, যুদ্ধবিমান এবং ডুবোজাহাজ থেকে একে ছোড়া যায়। প্রথাগত বিস্ফোরকের পাশাপাশি ক্ষেপণাস্ত্রটি পরমাণু হাতিয়ার বহনেও সমান ভাবে সক্ষম। এর গতিবেগ তিন ম্যাকের সামান্য বেশি। সূত্রের খবর, ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৪,৯০০ কিলোমিটার বেগে ছুটতে পারে ‘ব্রহ্মস’। ২০০৫ সালের নভেম্বর থেকে এই ব্রহ্মাস্ত্র ব্যবহার করা শুরু করে ভারতীয় সেনার তিন বাহিনী। এর পাল্লার রকমফের রয়েছে। প্রায় সাড়ে আট মিটার লম্বা ‘ব্রহ্মস’ ক্ষেপণাস্ত্র ৩০০ কেজি বিস্ফোরক বহনে সক্ষম। এক একটি ক্ষেপণাস্ত্রের ওজন তিন হাজার কেজি। মারণাস্ত্রটি হাইপারসনিক শ্রেণিতে বদলে গেলে এর পাল্লা বেড়ে দাঁড়াবে দেড় হাজার কিলোমিটার। ভারতীয় সেনা এবং নৌবাহিনী যে ‘ব্রহ্মস’ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে, তার পাল্লা ৮০০ কিলোমিটার। অন্য দিকে এ দেশের বিমানবাহিনীর হাতে থাকা এই হাতিয়ার ৪৫০-৫০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। ভারতের ব্যবহৃত ব্রহ্মস সামরিক ট্রাক, যুদ্ধবিমান, ডুবোজাহাজ থেকে উৎক্ষেপণ করা যায়। পাশাপাশি পরমাণু অস্ত্র বহনেও সক্ষম এই ক্ষেপণাস্ত্র। ব্রহ্মসের গতি শব্দের চেয়ে তিনগুণ। তবে স্থলভূমি ও যুদ্ধজাহাজ থেকে যে ব্রহ্মস উৎক্ষেপণ করা হয় তার পাল্লা ২৯০ থেকে ৪০০ কিমি। ডুবোজাহাজে যে ব্রহ্মস ব্যবহার হয় তার তুলনায় এই পাল্লা কিছুটা কম।

    ভারতের অস্ত্র মন কেড়েছে

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, “ব্রহ্মস হল সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইল। এটা শুধু হাতিয়ার নয়, একটা বার্তা। শত্রুকে প্রতিহত করার বার্তা। বর্ডার সুরক্ষিত করার বার্তা।” এরপর এ দিন রাজনাথ প্রসঙ্গ তোলের এ পি জে আবদুল কালামের। মন্ত্রী বলেন, “বিশ্ব শক্তিশালীদের সম্মান করে। ভীতুদের নয়। আমাদের শক্তি বাড়াতে হবে। দেশ শক্তিশালী না হলে কেউ সম্মান করবে না। আর ভারত অন্য়তম শক্তিশালী দেশ।” তবে শুধু ব্রহ্মস নয়, অপারেশন সিঁদুরের পর ভারতের আরও একাধিক মারণাস্ত্র ও প্রযুক্তি মন কেড়ে নিয়েছে বিশ্বের বহু দেশের। কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, ভারতের কমিউনিকেশন সিস্টেম, অফশোর টহল জাহাজ, স্করপিন সাবমেরিন, আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র ও গরুড় বন্দুকের প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করেছে ব্রাজিল। বলার অপেক্ষা রাখে না, এই পদক্ষেপে বিরাট সাফল্য পাবে কেন্দ্রের ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ প্রকল্প।

     

     

     

     

  • BJP Bandh: জোড়া মৃত্যুতে বিজেপির বন‍্ধে স্তব্ধ খেজুরি, মিছিল শুভেন্দুর, ধস্তাধস্তি পুলিশের সঙ্গে

    BJP Bandh: জোড়া মৃত্যুতে বিজেপির বন‍্ধে স্তব্ধ খেজুরি, মিছিল শুভেন্দুর, ধস্তাধস্তি পুলিশের সঙ্গে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরিতে (khejuri) দুই ব্যক্তির রহস্যজনক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। নিহতদের পরিবার ও স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব দাবি করেছে, এটি নিছক দুর্ঘটনা নয়, বরং একটি পরিকল্পিত খুন। এই ঘটনাকে ঘিরে রাজনৈতিক উত্তাপ চরমে পৌঁছেছে। ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার বিজেপির ডাকা বন‍্ধে খেজুরিতে ব্য়াপক প্রভাব পড়ে। কার্যত স্তব্ধ হয়ে যায় খেজুরি। একাধিক জায়গায় রাস্তায় অবরোধ, পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়। সব মিলিয়ে সোমবার দিনভর রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা এলাকা। শনিবারই শুভেন্দু দাবি করেছিলেন, “এটি নিছক দুর্ঘটনা নয়, বরং সুসংগঠিত খুন। এই ঘটনার তদন্ত নিরপেক্ষভাবে করতে হবে।” তাঁর আরও দাবি ছিল, “ময়নাতদন্ত রাজ্য সরকারি হাসপাতালে হলেও কোনও আপত্তি নেই, তবে সেখানে কেন্দ্রীয় হাসপাতালের একজন চিকিৎসক উপস্থিত থাকতে হবে। পরিবারের সদস্যদেরও ময়নাতদন্তের সময় থাকতে দিতে হবে।” সেসময়ই তিনি সোমবার বন‍্ধের কথা ঘোষণা করেন।

    সোমবারের বন‍্ধে স্তব্ধ খেজুরি

    বিজেপির ডাকা সোমবারের বন‍্ধ (khejuri) ঘিরে সকাল থেকেই খেজুরিতে উত্তেজনা তৈরি হয়। একাধিক এলাকায় রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে অবরোধ শুরু করেন সমর্থকরা। হেঁড়িয়া, বাসগোড়া, কলাগাছিয়া, রসুলপুর-সহ বিভিন্ন জায়গায় রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে পথ অবরোধ করা হয়। বহু যানবাহন আটকানো হয়, কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে। বিশেষ করে হেঁড়িয়া-খেজুরি রাজ্য সড়কে প্রায় চার ঘণ্টা ধরে অবরোধ চলে। পুলিশ অবরোধ সরাতে গেলে বনধ সমর্থকদের সঙ্গে ব্যাপক বচসা এবং ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কড়া অবস্থান নেয়, গ্রেফতার করা হয় একাধিক বিজেপি কর্মীকে। পাশাপাশি, রসুলপুর নদীর ফেরিঘাট পরিষেবা সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়।

    শুভেন্দুর মিছিল, পুলিশের বিরুদ্ধে তোপ

    সোমবার সকালে বিজেপির ডাকে বন‍্ধ (khejuri) সফল করতে খেজুরির জনকা থেকে বিদ্যাপীঠ পর্যন্ত পদযাত্রা করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মিছিলে ছিল ব্যাপক জনসমাগম। মিছিল শেষে এক সভায় রাজ্য সরকারকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ শানান তিনি। তিনি বলেন, “হিন্দুদের পরিকল্পিতভাবে খুন করা হচ্ছে, আর পুলিশ তার গল্প সাজিয়ে তা লুকোচ্ছে। বিজেপি এর প্রতিবাদে রাজপথে নামতে বাধ্য হচ্ছে।” তিনি আরও বলেন, “যে লাঠিতে ‘জয় শ্রীরাম’-এর পতাকা লাগানো হয়েছে, সেগুলোকে আরও মজবুত করতে হবে। সেই লাঠিগুলোতে তেল মাখাতে হবে, কারণ এখন লড়াইটা কঠিন।”

    শুভেন্দু অধিকারীর হুঁশিয়ারি

    ঘটনার পরপরই বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তীব্র প্রতিক্রিয়া জানান। তিনি বলেছিলেন, “এই মৃত্যু রহস্যজনক নয়, এটি নির্মম খুন। পরিকল্পনা করে হিন্দুদের হত্যা করা হচ্ছে। পুলিশ ঘটনাকে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট বলে চালাতে চাইছে।” তিনি সেসময় অভিযোগ তোলেন, পুলিশের তরফ থেকে দেহ পরিবারের অনুমতি ছাড়াই তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সোমবার তিনি দাবি করেন, ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসককে প্রভাবিত করা হয়েছে। শুভেন্দুর দাবি, উপর মহলের নির্দেশেই মৃত্যুর কারণ হিসেবে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট লেখা হয়েছ। এদিন তিনি আরও বলেন, “রাজনীতি ঘরে বসে হয় না, রাস্তায় নামতে হয়। আমরা ২০১১ সালেও এইভাবেই পরিবর্তন এনেছিলাম। আজও পরিবর্তনের ডাক দিতে হবে।” সোমবার (khejuri) সকাল থেকেই নিহতদের পরিবারের হাহাকার খেজুরিকে যেন আরও নিস্তব্ধ করে দেয়। এই জোড়া মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্রমশ রাজ্য রাজনীতিতে উত্তেজনা চড়ছে।

    জলসায় গিয়ে রহস্য মৃত্যু (khejuri)

    গত শুক্রবার খেজুরির জনকার ভাঙনবাড়ী গ্রামে একটি  জলসার আয়োজন করা হয়। সেই জলসায় অন্যান্যদের মতো উপস্থিত ছিলেন ২৩ বছর বয়সি যুবক সুজিত দাস এবং ৬৫ বছর বয়সি বৃদ্ধ সুধীরচন্দ্র পাইক। এখানেই রহস্যমৃত্যু হয় দুজনের। এই মৃত্যু ঘিরে এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে চাঞ্চল্য। নিহতদের পরিবারের অভিযোগ, দেহে একাধিক গুরুতর আঘাতের চিহ্ন ছিল, যা নিছক দুর্ঘটনার ইঙ্গিত দেয় না বরং এটি একটি ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ বলেই তাঁরা  বিশ্বাস করেন। মৃত সুজিত দাসের বাড়ি পূর্ব ভাঙনবাড়ীপুর গ্রামে এবং সুধীরচন্দ্র পাইকের বাড়ি ছিল ঝাঁটি হাটি গ্রামে। পরিবারের অভিযোগ অনুযায়ী, মৃত্যুর ঘটনাটি ঘটার পর স্থানীয় প্রশাসনের ভূমিকা ছিল রহস্যজনক। তাঁরা দাবি করেন, পুলিশের পক্ষ থেকে তাঁদের না জানিয়ে মৃতদেহ তড়িঘড়ি উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় এবং পোস্টমর্টেমের জন্য পাঠানো হয়। পরিবারের অনুমান, এর পেছনে কোনও বড় ষড়যন্ত্র থাকতে পারে যা প্রশাসনের একটি অংশ আড়াল করতে চাইছে। এই অভিযোগ সামনে আসতেই বিজেপির স্থানীয় নেতৃত্ব দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রতিবাদে সরব হন। তাঁদের তরফে জানানো হয়, এই মৃত্যুর ঘটনার পেছনে গভীর রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র রয়েছে এবং এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ ও নিরপেক্ষ তদন্ত ছাড়া সত্য সামনে আসবে না। বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, এই মৃত্যুর ঘটনার পেছনে শাসক দলের প্রচ্ছন্ন ভূমিকা থাকতে পারে। বিজেপির পক্ষ থেকে সরাসরি অভিযোগ করা হয় যে, রাজ্যে হিন্দুদের লক্ষ্য করে হামলা বাড়ছে এবং প্রশাসন এসব ঘটনাকে ‘দুর্ঘটনা’ বলে চাপা দিতে চাইছে।

  • Ayurveda: কৃত্রিম মেধার প্রয়োগ আয়ুর্বেদে! স্বাস্থ্য পরিষেবায় ভারত নেতৃত্ব দেবে বিশ্বকে, বলল ‘হু’

    Ayurveda: কৃত্রিম মেধার প্রয়োগ আয়ুর্বেদে! স্বাস্থ্য পরিষেবায় ভারত নেতৃত্ব দেবে বিশ্বকে, বলল ‘হু’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের প্রাচীন চিকিৎসা ব্যবস্থা আয়ুর্বেদ এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সমন্বয়ে গঠিত একাধিক উদ্যোগ এবার আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিশেষ স্বীকৃতি পেল (Ayurveda)। সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে যার শিরোনাম ছিল “ঐতিহ্যবাহী চিকিৎসা পদ্ধতিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগের মানচিত্র”। সেখানে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হয়েছে ভারতের আয়ুষ ব্যবস্থায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগ এবং তা থেকে উদ্ভূত বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক সম্ভাবনা।

    ভারতের প্রশংসা করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (Ayurveda)।

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই ঘোষণা প্রাচীন চিকিৎসা ব্যবস্থায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রয়োগের (Artificial Intelligence) প্রথম দিক নির্দেশিকা হিসেবেও স্বীকৃতি পেয়েছে। জানা যাচ্ছে, ওই প্রতিবেদনে বিশেষভাবে প্রশংসা করা হয়েছে ভারতের প্রাচীন জ্ঞানভাণ্ডারকে ডিজিটাল মাধ্যমে সংরক্ষণের উদ্যোগকে। যেমন “প্রচলিত জ্ঞান ডিজিটাল গ্রন্থাগার” – এইভাবে প্রাচীন চিকিৎসা পদ্ধতির জ্ঞানকে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে সংরক্ষণ করা সম্ভব হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, ভারতই প্রথম দেশ, যেটি ডিজিটাল গ্রন্থাগারের এমন উদ্যোগ নিয়ে দেশের ঐতিহ্যকে ভবিষ্যতের সঙ্গে যুক্ত করতে সক্ষম হয়েছে।

    কৃত্রিম মেধা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দৃষ্টিভঙ্গি

    এ বিষয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির যে দৃষ্টিভঙ্গি, অর্থাৎ “সবার জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা” – সমস্ত ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার, সেটিকেও প্রশংসা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং তা তাদের বিবৃতিতে উল্লিখিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০২৩ সালেই জানিয়েছিলেন যে, তার সরকার বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে (Artificial Intelligence) জনকল্যাণে ব্যবহারের লক্ষ্যে কাজ করছে। সমাজের সকল স্তরের মানুষের উন্নতির জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এক শক্তিশালী হাতিয়ার বলেও তিনি সে সময় উল্লেখ করেছিলেন (Ayurveda)।।

    এই স্বীকৃতি ভারতের ঐতিহ্য এবং প্রযুক্তির সমন্বয়ের প্রতিফলন

    এই প্রেক্ষাপটে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এমন ঘোষণাকে ঘিরে আয়ুষ এবং স্বাস্থ্য দফতরের প্রতিমন্ত্রী শ্রী প্রতাপরাও যাদব জানিয়েছেন, এই স্বীকৃতি ভারতের ঐতিহ্য এবং প্রযুক্তির সমন্বয়ের প্রতিফলন। তিনি আরও জানান, কেন্দ্রীয় সরকার “নমস্তে”, “আয়ুষ গবেষণা” প্রভৃতি পোর্টালের মাধ্যমে শুধু চিকিৎসার আধুনিকীকরণ করেনি, বরং প্রাচীন ভারতের ঐতিহ্যবাহী জ্ঞানভাণ্ডারকে একটি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে উপস্থাপন করতে সক্ষম হয়েছে। এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য যে “আয়ুষ গ্রিড” শুরু হয়েছিল ২০১৮ সালে। এর মাধ্যমে গড়ে তোলা হয়েছে একটি তথ্যভাণ্ডার।

    ভারতের এই ধরনের উদ্যোগ যথেষ্ট উদ্ভাবনী এবং ভবিষ্যতমুখী

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই বিশেষজ্ঞ দলের মতে, ভারতের এই ধরনের উদ্যোগ যথেষ্ট উদ্ভাবনী এবং ভবিষ্যতমুখী। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে আয়ুর্বেদের (Ayurveda) নাড়ি নির্ণয়, জিভ পর্যবেক্ষণ প্রভৃতি প্রচলিত পদ্ধতিগুলিকে আরও উন্নত ও নির্ভুল করা সম্ভব হয়েছে। এর ফলে শুধু চিকিৎসার নির্ভুলতা বেড়েছে তা নয়, রোগ প্রতিরোধমূলক চিকিৎসাও অনেক বেশি কার্যকর হয়েছে।

    রোগ নির্ণয়, ওষুধের প্রতিক্রিয়া বিশ্লেষণ সহজ হয়েছে

    ওই প্রতিবেদনে ভারতীয় গবেষকদের এমন উদ্যোগের প্রশংসা করা হয়েছে। বলা হয়েছে, রাসায়নিক সংবেদকের সাহায্যে আয়ুর্বেদের গুণাগুণ এবং অন্যান্য বৈশিষ্ট্য বিচার করা এখন সম্ভব হচ্ছে। প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়েছে, ভারতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সহায়তায় ঐতিহ্যবাহী ও আধুনিক চিকিৎসার মধ্যে একটি কার্যকর সেতু নির্মাণ করা সম্ভব হয়েছে। এর ফলে রোগ নির্ণয়, ওষুধের প্রতিক্রিয়া বিশ্লেষণ, ওষুধ উদ্ভাবন এবং রোগ প্রতিরোধের ক্ষেত্রে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে।

    আগামী দিনের চিকিৎসা ব্যবস্থার পথপ্রদর্শক

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কেন্দ্রের মোদি সরকারের এই ধরনের উদ্যোগকে আগামী দিনের চিকিৎসা ব্যবস্থার পথপ্রদর্শক হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এই ঘোষণা আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্যনীতি নির্ধারণে ভারতের নেতৃত্বের স্বীকৃতি বলেই মনে করছেন অনেকেই। এটি শুধু ভারতের ঐতিহ্যকে বিশ্বের সামনে তুলে ধরেনি, বরং দেখিয়েছে কীভাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে প্রাচীন জ্ঞানকে আধুনিক বিজ্ঞান ও মানবকল্যাণের সঙ্গে যুক্ত করা যায়। কেন্দ্রীয় আয়ুষ মন্ত্রকের মতে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই স্বীকৃতি শুধুমাত্র ভারতের ঐতিহ্যবাহী চিকিৎসা পদ্ধতির জন্য এক গর্বের মুহূর্ত নয়, বরং এটি ভবিষ্যতের জন্য আন্তর্জাতিক সহযোগিতা, গবেষণা এবং উদ্ভাবনের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। এই অর্জনের মাধ্যমে ভারত তার প্রাচীন জ্ঞানকে আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় বৈশ্বিক মঞ্চে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে। এই পথ ধরেই আগামী দিনে ভারত আরও দৃঢ়ভাবে বিশ্বস্বাস্থ্য ব্যবস্থায় নেতৃত্ব দিতে পারবে বলে আশা করা হচ্ছে। পাশাপাশি, সারা বিশ্বের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় আয়ুর্বেদের ভূমিকা আরও গভীর, কার্যকর ও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে – এমনটাই মনে করছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই স্বীকৃতি ভারতের ঐতিহ্য, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির মেলবন্ধনের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে উঠেছে।

LinkedIn
Share