Tag: madhyom bangla

madhyom bangla

  • ISL 2024-25: যুবভারতী সবুজ-মেরুন! চ্যাম্পিয়ন মোহনবাগান, ম্যাকলারেনের গোলে ইতিহাস মেরিনার্সদের

    ISL 2024-25: যুবভারতী সবুজ-মেরুন! চ্যাম্পিয়ন মোহনবাগান, ম্যাকলারেনের গোলে ইতিহাস মেরিনার্সদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জোড়া মুকুট  মোহনবাগানের (Mohun Bagan Super Giants)। লিগ-শিল্ডের পর আইএসএল কাপের (ISL 2024-25) রংও সবুজ-মেরুন। এই ম্য়াচে মেরিনার্স ব্রিগেডের হয়ে একটি করে গোল করলেন জেমি ম্য়াকলারেন এবং জেসন কামিন্স। ফাইনাল ম্য়াচে ২-১ গোলে জয়লাভ করল মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। শনিবারের রাতে যুবভারতীতে উৎসবে মাতল মেরিনার্সরা।

    সমানে সমানে লড়াই

    আইএসএল কাপ ফাইনালে এদিন মুখোমুখি হয়েছিল মোহনবাগান (Mohun Bagan Super Giants) ও বেঙ্গালুরু এফসি। ঘরের মাঠ যুবভারতীতে দ্বিমুকুট জয়ের লক্ষ্যে নেমেছিল মোলিনার দল। অন্যদিকে টক্কর দিতে প্রস্তুত সুনীল ছেত্রীর বেঙ্গালুরু। লিগ শিল্ড জয়ের পর আইএসএল কাপও যাতে সবুজ-মেরুন হয়, তার জন্য মাঠ ভরিয়েছিল মেরিনার্সরা। ৬০ হাজারের যুবভারতী ছিল কানায় কানায় পূর্ণ। এই হাই-ভোল্টেজ ম্যাচে প্রথমার্ধ শেষে উভয় দলই গোলশূন্য ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়ে। তবে ম্যাচের শুরু থেকেই তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা এবং উত্তেজনা মাঠের চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে। মোহনবাগানের ঘরের মাঠে খেলা হলেও বেঙ্গালুরু এফসি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে চাপ বাড়িয়ে ম্যাচে নিজেদের প্রভাব বিস্তার করতে শুরু করে।

    সাফল্য মানেই মোহনবাগান

    সবুজ-মেরুন জার্সি গায়ে চাপিয়ে এদিন স্টেডিয়ামে পৌঁছে গিয়েছিলেন ভক্তরা। এর আগে ২০২২-২৩ মরশুমের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল মোহনবাগান এবং বেঙ্গালুরু এফসি। যেখানে পেনাল্টি শুটআউটে ম্যাচ জেতে শতাব্দী প্রাচীন ক্লাব (Mohun Bagan Super Giants)। ঘরে ওঠে ট্রফি। কিন্তু এবার লড়াইটা জমে উঠছিল। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ঘটেছিল সেই অঘটন। অ্যালবার্তো রডরিগসের আত্মঘাতী গোলে এগিয়ে গিয়েছিল বেঙ্গালুরু এফসি (Bengaluru FC)। কিন্তু, পেনাল্টিতে কামিন্সের শট সমতা ফেরাল মোহনবাগান। ম্য়াচের ফলাফল ১-১। ম্যাচের ৭২ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করলেন জেসন কামিন্স। বলটা লেফট বটম কর্নার দিয়ে বেঙ্গালুরুর জালে জড়িয়ে যায়। গুরপ্রীত শরীর ভাসিয়ে বলটা আটকানোর চেষ্টা করলেও, কামিন্সের শটে যে গতি ছিল, তার সঙ্গে এঁটে উঠতে পারেননি। খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। অতিরিক্ত সময়ে পাঁচ মিনিটের মাথায় মোহনবাগানকে এগিয়ে দিলেন জেমি ম্যাকলারেন। বক্সের মধ্যে বল বাড়ান গ্রেগ স্টুয়ার্ট। বেঙ্গালুরুর ডিফেন্ডার চিংলেনসানার ভুল থেকে বল পান ম্যাকলারেন। গোল করতে ভুল করেননি তিনি। এগিয়ে যায় মোহনবাগান। আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি বেঙ্গালুরু। রেফারি বাঁশি দিতেই গোটা সল্টলেক স্টেডিয়ামের ৬০,০০০ দর্শক একসঙ্গে গর্জন করে ওঠে। তাঁরাই চ্যাম্পিয়ন।

  • Rafale-M: ভারতীয় বায়ুসেনার রাফালের থেকে কতটা আলাদা হতে চলেছে নৌ-সংস্করণ রাফাল-এম?

    Rafale-M: ভারতীয় বায়ুসেনার রাফালের থেকে কতটা আলাদা হতে চলেছে নৌ-সংস্করণ রাফাল-এম?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি সপ্তাহেই ভারতীয় নৌসেনার (Indian Navy) জন্য ২৬টি রাফাল-এম যুদ্ধবিমান (Rafale-M) কেনার বিষয় চূড়ান্ত ছাড়পত্র দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার (Modi Government)। বুধবারই সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নেতৃত্বাধীন ক্যাবিনেট কমিটি অন সিকিউরিটি বা সিসিএস (CCS)। যা জানা গিয়েছে, এই বিমান কিনতে গভর্নমেন্ট-টু-গভর্নমেন্ট ডিল (G2G Deal) হবে। ভারত ও ফ্রান্সের মধ্যে সরাসরি চুক্তি হবে। চুক্তির মূল্য আনুমানিক ৬৩ হাজার কোটি টাকা। যার দৌলতে, ২৬টি রাফাল মেরিন (Rafale-M) ফাইটার জেট পাবে ভারত। এর মধ্যে ২২টি হবে সিঙ্গল-সিটার বা এক আসন বিশিষ্ট এবং ৪টি টুইন সিটার বা দুই আসন বিশিষ্ট। শেষোক্ত চারটি প্রশিক্ষণের কাজেও ব্যবহৃত হবে। এর পাশাপাশি, যুদ্ধবিমানে ব্যবহৃত প্রয়োজনীয় আনুষাঙ্গিক সরঞ্জাম, যন্ত্রাংশ, অস্ত্র, সিমুলেটর, পাইলট প্রশিক্ষণ এবং রক্ষণাবেক্ষণের খরচও অন্তর্ভুক্ত থাকবে চুক্তির আওতায়।

    বেশি খরচে কম সংখ্যক বিমান

    এর আগে, ২০১৬ সালে একইভাবে ফ্রান্সের থেকে ভারতীয় বায়ুসেনার জন্য ৩৬টি রাফাল এফ-৩ যুদ্ধবিমান কিনেছিল ভারত। সেবারও দুই দেশের মধ্যে সরাসরি চুক্তির মাধ্যমে ৫৯ হাজার কোটি টাকায় রফা হয়েছিল। ফলে, একটা প্রশ্ন আসতে পারে, ৩৬টি বিমান কিনতে যা অর্থ ব্যয় হয়েছিল, সেই তুলনায় একই সংস্থা থেকে কম সংখ্যক একই প্রজাতির বিমান কিনতে বেশি খরচ কেন? প্রশ্নটা বৈধ। তবে, উত্তরটা লুকিয়ে রয়েছে বিমানেই। বায়ুসেনার ব্যবহৃত রাফালের (Rafale-M) সংস্করণ এবং বিশেষভাবে নৌবাহিনীর জন্য তৈরি রাফাল-এম যুদ্ধবিমানের মধ্যে অনেক মিল আছে বটে, তবে ফারাকটাও বিস্তর। বায়ুসেনার মডেলের তুলনায় এই সংস্করণে একাধিক পরিবর্তন করা হয়েছে, যাতে এটি বিমানবাহী রণতরী থেকে অপারেট করতে পারে। কীরকম? তা একটু খোলসা করে বলা যাক (Rafale vs Rafale-M)।

    রাফাল বনাম রাফাল-এম: তুল্যমূল্য বিচার (Rafale vs Rafale-M)

    বায়ুসেনায় ব্যবহৃত রাফালের তুলনায় তার নৌ-সংস্করণ (Rafale-M) বেশি ভারী। এর প্রধান কারণ, রাফাল-এম জেটের সামনের ছুঁচলো দিক (বিমানের নাক) অধিক লম্বা ও রিইনফোর্সড করা। লক্ষ্য, মাঝ-সমুদ্রে কোনও দুর্ঘটনা ঘটলে বিমান ও পাইলটকে অধিক সুরক্ষা প্রদান করা। একইসঙ্গে, এই বিমানে একটি শক্তিশালী ‘আন্ডারক্যারেজ’ দেওয়া হয়েছে, যাতে বিমান বা রণতরীর ডেকের কোনও ক্ষতি না হয়।

    সাধারণ রাফাল যুদ্ধবিমান টেক-অফ ও ল্যান্ডিংয়ের জন্য নির্দিষ্ট রানওয়ে পায়। একটা রানওয়ে সাধারণত দেড় থেকে ২ কিমি লম্বা হয়। ফলে, আকাশে ওড়ার প্রয়োজনীয় শক্তি রানওয়ে থেকে পেয়ে যায় রাফাল। সেই জায়গায়, রাফাল-এম (Rafale-M) জেটকে উড়তে হবে ভারতীয় বিমানবাহী রণতরীর ডেক থেকে। আইএনএস বিক্রমাদিত্য বা আইএনএস বিক্রান্ত-এর ডেকে দৈর্ঘ্য প্রায় ২৬০ মিটার। যা রানওয়ের তুলনায় অনেকটাই ছোট।

    ছোট ডেকে টেক-অফ ও ল্যান্ডিং

    এছাড়া, ভারতীয় এয়ারক্র্যাফট ক্যারিয়ারগুলির ডেকের চরিত্র ভিন্ন। মার্কিন বিমানবাহী রণতরীগুলিতে রয়েছে ক্যাটাপুল্ট অ্যাসিস্টেড টেক-অফ বাট অ্যারেস্টেড রিকভারি (ক্যাটোবার) সিস্টেম। এখানে ডেকের ঠিক নীচে একটি স্প্রিং-কয়েল থাকে। সেই স্প্রিংকে বিমানের সামনের চাকার সঙ্গে লাগিয়ে দেওয়া হয়। এরপর স্প্রিং ছেড়ে দিলে, তা উচ্চগতিতে রিকয়েল করতে করতে বিমানকে টেনে নিয়ে গিয়ে ডেক থেকে উড়িয়ে দেয়। ফলে, বিমান যত ভারীই হোক, তাতে সমস্যা হয় না। সেখানে, ভারতের ক্যারিয়ারগুলি শর্ট টেক-অফ বাট অ্যারেস্টেড রিকভারি (স্টোবার) পদ্ধতি ব্যবহার করে। এখানে বিমানের টেক-অফ (ওড়ার) করার জন্য এক প্রান্তে স্কি-জাম্প রয়েছে। অর্থাৎ, ওপরের দিকে বাঁকানো। ফলে, বিমানকে নিজের শক্তিতে উড়তে হয়।

    রাফাল-এম (Rafale-M) একে বেশি ভারী। তার ওপর টেক-অফের জায়গা কম এবং ক্যাটবার বা আরও আধুনিক ইমালস (ইলেক্ট্রো-ম্যাগনেটিক সিস্টেম) নেই ভারতীয় রণতরীতে। ফলত, এই সমস্যার মোকাবিলা করতে রাফাল-এম জেটে বসানো হয়েছে অনেকটাই শক্তিশালী ইঞ্জিন। এই ইঞ্জিনের থ্রাস্ট ভারী রাফাল-এম জেটকে অস্ত্র নিয়ে ছোট দৈর্ঘ্যের ডেক থেকেও উড়তে সাহায্য করে।

    এছাড়া, রাফাল-এম (Rafale-M) বিমানে রয়েছে একাধিক পরিবর্তন। এতে যোগ করা হয়েছে এমন কিছু প্রযুক্তিগত উন্নতি, যা একে বায়ুসেনার ভার্সান থেকে পৃথক করেছে।

    রাফাল-এম জেটের অনন্য বৈশিষ্ট্য

    ● এতে থাকছে অ্যারেস্টার হুক। জাহাজের ডেকে অবতরণ করার জন্য। এই হুকের সাহায্যেই বিমানগুলি রণতরীর ছোট্ট ডেকে গতিতে অবতরণের পরও থেমে যেতে পারে। এছাড়া রয়েছে ক্যারিয়ার-নির্ভর মাইক্রোওয়েভ ল্যান্ডিং সিস্টেম।

    ● জায়গা বাঁচাতে এই বিমানের সঙ্গেই থাকে একটি ছোট ভাঁজযোগ্য সিঁড়ি। যার মাধ্যমে পাইলট বিমানে চড়তে বা বেরোতে পারেন।

    ● জায়গা বাঁচাতে রাফাল-এম (Rafale-M) বিমানের ডানাগুলি ভাঁজ করা যায়, যা বায়ুসেনার ভেরিয়েন্টে সম্ভব নয়।

    ● ডানার একেবারে শেষ প্রান্তে রয়েছে বিশেষ ‘টেলেমির সিস্টেম’, যা বাহ্যিক সরঞ্জামের সঙ্গে বিমানের ইনার্শিয়াল নেভিগেশন সিস্টেমের সুসংহত যোগাযোগ স্থাপন করতে সাহায্য করে।

    ● এছাড়া, এই রাফালের নৌ-ভার্সানে রয়েছে ‘থালেস আরবিই২-এম’ রেডার সিস্টেম। এটি যে কোনও সমুদ্র-অভিযানের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।

    ● রাফাল-এম (Rafale-M) বিমানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে ‘থালেস স্পেকট্রা ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার সুইট’, যা নৌসেনার অভিযানে ভীষণই প্রয়োজনীয়।

    ● এখানেই শেষ নয়। রাফালের বায়ুসেনার ভার্সানের তুলনায় রাফাল-মেরিন (Rafale vs Rafale-M) সংস্করণ বিমানটি আরও বেশি ধরনের অস্ত্রবহনে সক্ষম। যার মধ্যে অন্যতম হল জাহাজ-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র। এছাড়া থাকে আকাশ থেকে ভূমিতে আঘাত হানা ক্ষেপণাস্ত্রও।

  • India Bangladesh Relation: সময়ের মধ্যে উৎপাদিত পোশাক পাঠানোর চাপ! তুলোর জন্য ভারতের ওপরই নির্ভর বাংলাদেশ

    India Bangladesh Relation: সময়ের মধ্যে উৎপাদিত পোশাক পাঠানোর চাপ! তুলোর জন্য ভারতের ওপরই নির্ভর বাংলাদেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে ভারত (India Bangladesh Relation) বিরোধিতা ক্রমেই বাড়ছে। হাসিনা পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর নির্যাতন ও ভারত-বৈরিতা নিত্যদিনের ঘটনা। তবে দুই দেশের বাণিজ্য পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রকৃতপক্ষে পণ্য আমদানিতে ভারতের ওপর বাংলাদেশের নির্ভরতা আরও বেড়েছে। ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশে ভারত থেকে আমদানি বেড়েছে ১৭.২৭ শতাংশ। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ভারত থেকে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি আমদানি হয় তুলো। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে খাদ্যশস্য। বিশ্বব্যাপী সরবরাহ শৃঙ্খলের সময়সীমা (লিড টাইম) দ্রুত কমে যাওয়ায় বাংলাদেশ এখন আমদানির জন্য ভারতের ওপর ক্রমেই বেশি নির্ভরশীল হয়ে উঠছে।

    প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার চেষ্টা

    আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড ও খুচরা বিক্রেতাদের অর্ডার সম্পাদনের সময়সীমা সারা পৃথিবীতে ৯০ দিন থেকে নেমে এসেছে মাত্র ৪৫ দিনে। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের (India Bangladesh Relation) রফতানিকারক ও উৎপাদকরা দ্রুত ও নির্ভরযোগ্য উৎস খুঁজতে গিয়ে ভারতের দিকেই ঝুঁকছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পরিবর্তনের সবচেয়ে বড় কারণ হলো সময়। আফ্রিকা, লাতিন আমেরিকা বা যুক্তরাষ্ট্র থেকে তুলো ও অন্যান্য কাঁচামাল আনতে যেখানে ৪৫ দিনের বেশি সময় লাগে, সেখানে ভারত থেকে এসব কাঁচামাল পৌঁছাতে সময় লাগে মাত্র ২-৩ দিন। বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে বেশি রফতানি করা হয় তৈরি পোশাক। এটাই ঢাকার আয়ের মূল ভিত্তি। তাই কম সময়ে ভারত থেকে তুলো নিয়ে গিয়ে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার চেষ্টা করছে বাংলাদেশ।

    ভারত নির্ভরতা বাংলাদেশের

    বাংলাদেশ (India Bangladesh Relation) ব্যাঙ্কের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিকে ভারত থেকে আমদানি বেড়েছে ২.০৯ শতাংশ। যা ২০২৩ সালের একই সময়ে ২.০৪ বিলিয়ন ডলার থেকে বেড়ে হয়েছে ২.৩৬ বিলিয়ন ডলার। গত অর্থবছরের (২০২৪-২৫) প্রথম দশ মাসে দেশটি থেকে বাংলাদেশের আমদানি করা পণ্যের অর্থমূল্য ছিল ৯৩৯ কোটি ৯ লাখ ৮০ হাজার ডলার। এর আগে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের এপ্রিল থেকে জানুয়ারি সময়ে আমদানি হয়েছে ৮৮০ কোটি ৯৯ লাখ ডলারের পণ্য। শুধু গত জানুয়ারিতেই ভারত থেকে বাংলাদেশ পণ্য আমদানি করেছে ১০৭ কোটি ৫৬ লাখ ৭০ হাজার ডলারের। আর ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে আমদানি হয়েছিল ৯১ কোটি ৭৩ লাখ ডলারের।

    কেন বাড়ছে ভারত-নির্ভরতা

    তুলো আমদানিই এই বাণিজ্যের মূল চালিকাশক্তি। বাংলাদেশ (India Bangladesh Relation) বছরে প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলারের তুলো আমদানি করে, যার অর্ধেকের বেশি আসে ভারত থেকে। ২০২৩ অর্থবর্ষে ভারত থেকে বাংলাদেশ তুলো আমদানি করেছিল ১.৯২ বিলিয়ন ডলার, ২০২৪ অর্থবর্ষে তা বেড়ে হয়েছে ২.৩৬ বিলিয়ন ডলার। তুলোর পাশাপাশি, সুতো, কাপড়, টেক্সটাইল কেমিক্যালস এবং হ্যান্ডলুম পণ্যও উল্লেখযোগ্য পরিমাণে ভারত থেকে আমদানি করা হয়। ২০২৩ সালের মাঝামাঝি সময়ে রাজনৈতিক ও শ্রম অসন্তোষের কারণে বাংলাদেশের অনেক কারখানায় উৎপাদন বিঘ্নিত হয়। এতে দ্রুত এবং নির্ভরযোগ্য আমদানি উৎসের প্রয়োজনীয়তা আরও বেড়ে যায়। সীমান্ত নিরাপত্তা ও অবকাঠামোর উন্নতির ফলে এখন ২৪টি স্থলবন্দর এবং তিনটি রেলবন্দর দিয়ে পণ্য পরিবহন হচ্ছে।এছাড়া, ডলার সংকটের কারণে দূরবর্তী দেশের সঙ্গে লেটার অব ক্রেডিট (LC) খোলা কঠিন হয়ে পড়েছে। ভারতীয় ব্যবসার সঙ্গে নিকটতা, তুলনামূলক সহজ আর্থিক ব্যবস্থা এবং ভাষা ও বাণিজ্য সংস্কৃতির পরিচিতিও বাণিজ্যে সুবিধা দিচ্ছে।

  • Jammu and Kashmir: জম্মুর কিস্তওয়ারে সেনা অভিযানে খতম জইশ কমান্ডার সহ তিন জঙ্গি, আখনুরে শহিদ জওয়ান

    Jammu and Kashmir: জম্মুর কিস্তওয়ারে সেনা অভিযানে খতম জইশ কমান্ডার সহ তিন জঙ্গি, আখনুরে শহিদ জওয়ান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে খতম এক জইশ-ই-মহম্মদ কমান্ডার সহ গোষ্ঠীর তিন জঙ্গি। শুক্রবার সকাল থেকে উধমপুর ও কিস্তওয়ারে শুরু হওয়া জঙ্গিদমন অভিযানে এই সাফল্য মিলেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। সেনা সূত্রে খবর, কিস্তওয়ার (Kishtwar) জেলার চাতরুতে পাহাড় ঘেরা নাইদগাম জঙ্গলে শুক্রবার সকালে সেনার সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে এক জইশ কমান্ডারের মৃত্যু হয়েছিল। রাতে আরও দু’জন সংঘর্ষে মারা যায়। নিহত তিন জনের নাম, সইফুল্লাহ, ফরমান এবং বাশা। তাদের প্রত্যেকের মাথার দাম ছিল পাঁচ লক্ষ টাকা। নানা নাশকতা মূলক কার্যকলাপের পাশাপাশি ওই তিন জইশ কমান্ডার জম্মু ও কাশ্মীরের তরুণদের মগজধোলাই করে জঙ্গি দলে নাম লেখানোর কাজ চালাত।

    পাকিস্তান থেকে এসে বড় ষড়যন্ত্রের পরিকল্পনা

    নিরাপত্তা বাহিনী সুত্রে জানানো হয়েছে, বহুদিন ধরে ওই তিন জঙ্গি পাকিস্তান (Pakistani Terrorist) থেকে এসে উপত্যকার জঙ্গলের গ্রামগুলিতে আশ্রয় নিয়েছিল। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের একজন পদস্থ কর্তা জানিয়েছেন, শুক্রবার সকালে নতুন করে অপারেশন শুরু হলে এক জঙ্গি নিহত হয়। বাকি দু’জন লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিল। পরে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে দু’জনই নিহত হয়। অভিযানে সেনা বাহিনী, আধা সেনা সিআরপিএফ এবং জম্মু-কাশ্মীর (Jammu and Kashmir) পুলিশের স্পেশ্যাল অপারেশন গ্রুপের কমান্ডোরা অংশ নেন। নিরাপত্তা বাহিনী সুত্র জানানো হয়েছে, অভিযানে বিশেষ ভূমিকা পালন করে সেনা হেলিকপ্টার। কপ্টার থেকে বিশেষ ক্যামেরার সাহায্যে জঙ্গলের মধ্যে জঙ্গিদের চিহ্নিত করা হয়।

    গত এক বছর ধরে সন্ত্রাসের ছক

    নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে খরব, পাকিস্তানি জঙ্গিদের বড় একটা দল জম্মু-কাশ্মীরের একাধিক জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে। মনে করা হচ্ছে, শীত বিদায় নেওয়ার সময় সীমান্ত পেরিয়েছে জঙ্গিরা। তারা একাধিক জেলায় এক সঙ্গে হামলার প্রস্তুতি নিয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও নিরাপত্তা বাহিনী বহু জঙ্গিকে হত্যা এবং গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে। গত মাসের গোড়া থেকে দফায় দফায় সংঘর্ষ চলছে জম্মু-কাশ্মীরে। এদিনের সংঘর্ষে নিহত জইশের অন্যতম শীর্ষ কমান্ডার সইফুল্লা গত এক বছর ধরে চেনাব উপত্যকায় সন্ত্রাসী কার্যকলাপ জারি রেখেছিল।

    বারবার বানচাল জঙ্গিদের চাল

    উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে ৩৭০ ধারা বাতিলের পর থেকেই উত্তেজনা তৈরির চেষ্টা করছে পাকিস্তান বলে অভিযোগ গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর। ভারতে জঙ্গি অনুপ্রবেশ করিয়ে নাশকতার চেষ্টা করছে তারা। সম্প্রতি এক গোয়েন্দা রিপোর্টে বলা হয়, জম্মু ও কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর সন্ত্রাসবাদী হামলার লঞ্চপ্যাডগুলো সক্রিয় করেছে পাক সেনা। সেখান থেকে জইশ-ই-মহম্মদ, লস্কর-ই-তইবার জঙ্গিরা ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছে। কিন্তু কড়া হাতে সেই চক্রান্ত ব্যর্থ করেছে ভারতীয় সেনা। সেনা সূত্রে খবর, কয়েকদিন ধরেই কিস্তওয়ার-সহ উপত্যকার একাধিক জায়গায় চলছে ‘অপারেশন ছতরু’। জেহাদের জাল ছিঁড়তে অভিযান চালাচ্ছে সেনাবাহিনী। জানা গিয়েছে,

    আখনুরে শহিদ জওয়ান

    অন্যদিকে, জম্মু ও কাশ্মীরের আখনুর সেক্টরের নিয়ন্ত্রণ রেখায় অনুপ্রবেশের ছক কষেছিল পাক জঙ্গিরা। গোয়েন্দা সূত্রে খবর পেয়ে সেখানে অভিযানে নামে নিরাপত্তাবাহিনী। শুক্রবার রাতে আখনুর সেক্টরের কেরি বট্টল এলাকায় ব্যাপক গুলির লড়াই চলে। সেখানেই গুরুতর আহত হন ভারতীয় সেনার জুনিয়র কমিশন্ড অফিসার (জেসিও) কুলদীপ চাঁদ। শনিবার সকালে তিনি মারা হয়েছেন। বিবৃতি দিয়ে সেনা তাঁর মৃত্যুর খবর জানিয়ে শোকপ্রকাশ করেছে। পাশাপাশি জঙ্গিদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে। যার মধ্যে এম-৪ রাইফেল-সহ গোলাবারুদ রয়েছে।সেনার হোয়াইট নাইট কোরের তরফে এক্স হ্যান্ডেলে জানানো হয়েছে, ‘‘সুবেদার কুলদীপ এবং তাঁর সঙ্গীরা জঙ্গিদের অনুপ্রবেশ রুখে দিয়েছেন। কিন্তু সেই সংঘর্ষে ভারতীয় সেনা এক জন সাহসী জওয়ানকে হারাল।’’

    বরফে মোড়া দুর্গম এলাকায় আত্মগোপনের চেষ্টায় জঙ্গিরা

    গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সেনার দুই, পাঁচ এবং ন’নম্বর প্যারাকমান্ডো ইউনিটের পাশাপাশি সিআরপিএফ এবং জম্মু ও কাশ্মীর (Jammu and Kashmir) পুলিশের এসওজি (স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ) গত বৃহস্পতিবার থেকে জম্মুর আখনুর সেক্টরে পাহাড়, জঙ্গলে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছিল। সঙ্গে ছিল সদ্য কাশ্মীরে সন্ত্রাস দমনে নিয়ে যাওয়া অসম রাইফেলস বাহিনীও। নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি) লাগোয়া এলাকায় পাক জঙ্গিদের অনুপ্রবেশ চিহ্নিত করার পরেই এলাকা ঘেরার কাজ শুরু হয় বলে কিস্তওয়ারের পুলিশ সুপারের দাবি। বরফে মোড়া দুর্গম এলাকায় যাতে জঙ্গিরা আত্মগোপন করতে না পারে, তা নিশ্চিত করে অভিযানে নামানো হয় আর্মি অ্যাভিয়েশন কোরের হেলিকপ্টারও। জম্মু-কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণরেখায় বার বার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করছে পাকিস্তান। রাজৌরি, আখুনর সেক্টরে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে পাক সেনার বিরুদ্ধে। আর এই সুযোগে নিয়ন্ত্রণরেখা দিয়ে জঙ্গি অনুপ্রবেশের চেষ্টা চলছে। কিন্তু পাকিস্তানের সেই চেষ্টা আরও একবার ভেস্তে গেল সেনার তৎপরতায়।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘বাংলাদেশের থেকেও খারাপ অবস্থা রাজ্যের’’, চাঁপদানী-আমতলা-সুতির ঘটনায় শঙ্কিত শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ‘‘বাংলাদেশের থেকেও খারাপ অবস্থা রাজ্যের’’, চাঁপদানী-আমতলা-সুতির ঘটনায় শঙ্কিত শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের থেকেও খারাপ অবস্থা পশ্চিমবঙ্গের। মুর্শিদাবাদের সুতিতে ওয়াকফ সংশোধনী বিলের বিরোধিতার নামে তাণ্ডবের নিন্দা করে এমনই অভিমত ব্যক্ত করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এদিন তিনি রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় হিন্দুরা আক্রান্ত হয়েছেন বলে অভিযোগ করেন। একই সঙ্গে উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য পুলিশের নিষ্ক্রিয়তাকে কাঠগড়ায় তোলেন তিনি।

    ব্যর্থ মমতার সরকার, আক্রান্ত পুলিশও

    সাংবাদিক বৈঠক করে শুক্রবার শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) দাবি করেন, ‘‘দুপুর আড়াইটের পর থেকেই রাজ্যে বেশিরভাগ জায়গায় জঙ্গিপুর কায়দায় হামলার ঘটনা ঘটেছে। মুর্শিদাবাদ থেকে শুরু করে হুগলি, আমতলা সব জায়গায় একই রকম ঘটনার সম্মুখীন হয়েছেন মানুষ। পুলিশও আক্রান্ত। এটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর সরকারের ব্যর্থতা।’’ শুভেন্দুর দাবি, বেছে বেছে হিন্দুদের ওপরই আক্রমণ করা হয়েছে। এদিন দক্ষিণ ২৪ পরগনার আমতলায় ভাঙচুর চালানো হয় পুলিশের গাড়িতে। কয়েকজন পুলিশ কর্মী আহতও হয়েছে।

    বিক্ষোভের নামে তাণ্ডব

    গত কয়েকদিনের মতো এদিনও ওয়াকফ সংশোধনী বিল প্রত্যাহারের দাবিতে উত্তপ্ত হয় মুর্শিদাবাদ। তার জেরে বিভিন্ন রেল স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকে একাধিক ট্রেন। দফায় দফায় চলে বিক্ষোভ। ফলে পুলিশ টিয়ার গ্যাসের সেল ফাটাতে বাধ্য হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নামানো হয় কেন্দ্রীয় বাহিনী। ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে জঙ্গিপুর মহকুমার বিভিন্ন রেল স্টেশনে আরপিএফ মোতায়েন করা হয়। শুক্রবার তাণ্ডবের ছবি দেখা গিয়েছে মুর্শিদাবাদের সুতি থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার আমতলায়। মুর্শিদাবাদের সুতি, সামসেরগঞ্জে পরপর বোমার শব্দ শোনা যায় শুক্রবার বিকেলে। তাণ্ডবের মাঝেই গুলিবিদ্ধ হয়েছে এক কিশোর সহ দুজন। এদিকে, আমতলায় রাস্তা অবরুদ্ধ হয়ে যায় শুক্রবার দুপুরের পর থেকে। ভাঙচুর চালানো হয় পুলিশের গাড়িতে। শুক্রবার মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ানের ডাকবাংলো মোড় অবরোধ করে সংখ্য়ালঘুরা। পুলিশ সরাতে এলে, শুরু হয়, ইটবৃষ্টি। পুলিশকে লক্ষ্য় করে ছোড়া হয় ইট-পাটকেল। দফায় দফায় চলে সংঘর্ষ। শুধু সামসেরগঞ্জই নয়। একই কারণে বিক্ষোভে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে, সুতির সাজুর মোড়। ভেঙে দেওয়া হয় পুলিশ কিয়স্ক। একের পর এক গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় যাত্রীবাহী বাসে।

    পরিস্থিতি বাংলাদেশের থেকেও খারাপ 

    এদিন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘বাংলাদেশের থেকেও খারাপ অবস্থা এই রাজ্যের (Mamata Govt)। কড়েয়া থানা এলাকায় জলযাত্রীদের ওপর আক্রমণ হয়েছে। চাঁপদানিতে পুলিশ ফাঁড়ির পাশে হিন্দুদের পতাকা নামানো হয়েছে। মুর্শিদাবাদের ধূলিয়ান পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডে দুর্গামণ্ডপ ও রাধাকৃষ্ণ মন্দির ভাঙচুর করা হয়েছে। ওই এলাকায় বসবাসকারী হিন্দুদের বাড়ি ও দোকান তছনছ করা হয়েছে। অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। ধূলিয়ান লাগোয়া সামসেরগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্র এলাকার ডাকবাংলো মোড়, কাঞ্চনতলাতে ৩০টা হিন্দু দোকান ভাঙচুর করা হয়েছে। ঠিক একই ভাবে ১৯ সালে ঔরঙ্গাবাদ, উমরপুর, নিমতিতাতে ৬৮টা দোকান ভাঙা হয়েছিল, লুঠ করা হয়েছিল। ধূলিয়ান শহর থেকে ৪ কিলোমিটার দূরে একটি মন্দির ভাঙা হয়েছে।’’

    ভোগান্তির শিকার অসংখ্য রেলযাত্রী

    স্থানীয় সূত্রের খবর, ওয়াকফ সংশোধনী আইন বাতিলের দাবিতে এদিন রাজ্যের নানা প্রান্তে মিছিল করছিল একটি গোষ্ঠী। নিরাপত্তা দেখভালের জন্য রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে ছিলেন পুলিশের কর্মীরাও। অভিযোগ, মিছিল থেকে আচমকা পুলিশের গাড়িতে আক্রমণ চালানো হয়। শুভেন্দুর খোঁচা, ‘‘ডায়মন্ড হারবার মডেল, যিনি ৭ লক্ষ ভোটে জিতেছেন, তাঁর এলাকায় পুলিশ আক্রান্ত।’’ হুগলির চাঁপদানীতেও পুলিশের ওপর আক্রমণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। জেলার বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভকারীরা রেললাইনে বসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। তার জেরে নিউ ফরাক্কা, জঙ্গিপুর, সাগরদিঘি ও নিমতিতা স্টেশনে আপ ও ডাউনের বেশ কয়েকটি ট্রেন আটকে পড়ে। আন্দোলনের নামে ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়েছে রেলের সম্পত্তিতে। পূর্ব রেলের তরফে জানানো হয়েছে, মুর্শিবাবাদের ধুলিয়ান গঙ্গা এবং নিমতিতা স্টেশনের মাঝে যে ৪৩ নম্বর রেলগেট রয়েছে, সেটাকে সম্পূর্ণ ভেঙে দেয় বিক্ষোভকারীরা। ভাঙচুর চালানো হয় রেলের রিলে রুমে। বিভিন্ন বৈদ্যুতিক যন্ত্রাংশ পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। ভাঙা হয়েছে কন্ট্রোল রুম, লিফটিং ব্যারিয়ার সহ একাধিক সম্পত্তি। ভোগান্তির শিকার হন অসংখ্য রেলযাত্রী। রেল জানিয়েছে, দু’টি প্যাসেঞ্জার ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। দু’টি ট্রেনকে গন্তব্যের আগেই থামিয়ে দিতে হয়েছে। পাঁচটি ট্রেন চালাতে হয়েছে ঘুরপথে।

    একজোট হন, প্রতিরোধ গড়ুন

    প্রশাসনকে কাঠগড়ায় তুলে বিরোধী দলনেতার (Suvendu Adhikari) দাবি, ‘‘মুখ্যসচিব ও জেলাশাসককে বারবার বলেছি, কেন্দ্রীয় বাহিনীর সহযোগিতা নিন। মোথাবাড়িতে ৮৬ জন নিরীহ মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। একই ভাবে সামসেরগঞ্জ ও ধূলিয়ানে যা করেছেন বর্বরোচিত। রাজীব কুমারের তৈরি ফর্মুলা আছে। প্রথমে যা হওয়ার হয়ে যাবে। তার পর ফোন – ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে যাবে। জেলাশাসকের তরফে ১৬৩ ধারা জারি করা হবে। সাংবাদিকদের ঢুকতে দেওয়া বন্ধ হবে। এই মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Govt) শাসনে বারবার নিশানা করা হচ্ছে হিন্দু ধ্বজকে। যা রাজনৈতিক পতাকা নয়। হিন্দু মন্দিরকেও নিশানা করা হচ্ছে। আমি জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আবেদন করছি। সম্ভব হলে প্রতিরোধ করার চেষ্টা করছি। আর নিজেদের সুরক্ষিত রাখুন। আর কোনও উপায় নেই। দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে। আত্মরক্ষার অধিকার সবার আছে। সবাইকে অনুরোধ করছি, মুর্শিদাবাদ, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় হিন্দুরা একজোট হয়ে নিরাপদে থাকুন। ভাঙচুর যা হয়েছে তার ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা আমরা করব।’’

  • Hanuman Jayanti 2025: আজ দেশজুড়ে বজরংবলীর আরাধনা, জানুন কখন হনুমান চালিশা পড়লে কাটবে সর্ব সঙ্কট?

    Hanuman Jayanti 2025: আজ দেশজুড়ে বজরংবলীর আরাধনা, জানুন কখন হনুমান চালিশা পড়লে কাটবে সর্ব সঙ্কট?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ হনুমান জয়ন্তী (Hanuman Jayanti)। ভক্তদের বিশ্বাস, চৈত্র মাসের পূর্ণিমা তিথিতে ভগবান হনুমানের জন্ম হয়েছিল। বিশ্বাস মতে, এই পবিত্র দিনে হনুমান চালিশা পাঠ করে বজরংবলীর পুজো করলে মনের সকল বাসনা পূরণ হয়। দেশজুড়ে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা এই উৎসবটি জাঁকজমকভাবে উদযাপন করেন। হনুমানজিকে বলা হয় সংকটমোচন। বিশ্বাস করা হয়, রামভক্ত হনুমান কলিযুগেও জীবিত আছেন। তাঁর নাম শুনলেই সকল প্রকার কষ্ট ও ভয় দূর হয়ে যায়। হনুমান ভক্তরা দর্শনের জন্য মন্দিরের বাইরে লম্বা লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন।

    হনুমান জয়ন্তীর গুরুত্ব

    হনুমানজিকে শ্রী রামের সবচেয়ে বড় ভক্ত হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তাঁর সাহায্যে শ্রী রাম রাবণকে বধ করেন এবং মাতা সীতাকে অযোধ্যায় ফিরিয়ে আনেন। ঈশ্বরের প্রতি তাঁর অটল ভক্তি এবং অপরিসীম শক্তির জন্য পরিচিত, হনুমান সাহস, নিঃস্বার্থ সেবা এবং নিষ্ঠার প্রতীক। তাঁর উপাসনা জীবনের সমস্ত বাধা দূর করে এবং নেতিবাচক শক্তি থেকে সুরক্ষা প্রদান করে।

    হনুমান জয়ন্তী ২০২৫ তারিখ এবং শুভ সময়

    এই বছর হনুমান জন্মোৎসব ১২ এপ্রিল, শনিবার পালিত হবে। প্রতি বছর চৈত্র পূর্ণিমায় এই উৎসব পালিত হয়। এবার পূর্ণিমা তিথি ১২ এপ্রিল ব্রহ্ম মুহুর্তে ০৩:২১ মিনিটে শুরু হবে এবং ১৩ এপ্রিল ভোর ০৫:৫১ মিনিটে শেষ হবে। হনুমান জয়ন্তীতে পুজোর প্রথম শুভ সময় ১২ এপ্রিল সকাল ৭:৩৪ টা থেকে ৯:১২ টা পর্যন্ত। এর পরে, দ্বিতীয় শুভ সময় হবে সন্ধে ৬.৪৬ থেকে রাত ৮টা ০৮ মিনিট পর্যন্ত।

    হনুমান চালিশা পাঠ ও পুজো পদ্ধতি

    হনুমান জয়ন্তীর দিনটিকে অত্যন্ত পবিত্র বলে মনে করা হয়। এই দিনে ব্রহ্ম মুহুর্তে ঘুম থেকে উঠুন। স্নান করুন। পরিষ্কার পোশাক পরে পুজো করুন। এরপর হনুমানজিকে তাঁর প্রিয় নৈবেদ্য উৎসর্গ করুন। তাতে বোঁদের লাড্ডু, মিষ্টি পান, গুড় এবং কলা দিতে ভুলবেন না। অনেক ভক্ত এই উপলক্ষে উপোসও করেন। এই দিনে, যদি কেউ সত্যিকারের হৃদয়ে হনুমান চালিশা বা সুন্দর কাণ্ড কাণ্ড পাঠ করে, তার সমস্ত ইচ্ছা হনুমানজি নিজেই পূরণ করেন। শাস্ত্রবিদদের মতে, হনুমান চালিশার এমন কিছু শ্লোক আছে, যা পাঠ করলে সমস্ত দুঃখ-দুর্দশা দূর হয়। এর সঙ্গে ভক্তরা সম্পদ এবং বুদ্ধিমত্তার আশীর্বাদ লাভ করতে পারবেন। ভক্তদের বিশ্বাস হনুমান চালিশা দ্বারা সমস্ত ইচ্ছা পূরণ হয়। কোনও ব্যক্তি হয়তো সমস্যায় পড়েছেন এবং সামনের দিকের সমস্ত পথ বন্ধ বলে মনে হচ্ছে। সেই সময় তিনি যদি হনুমান চালিশা পাঠ করেন, তাহলে ওই ব্যক্তির সমস্ত ইচ্ছা পূরণ হয়। এমনকী, জীবনের সমস্ত বাধা-বিপত্তিও দূর হয়।

  • Daily Horoscope 12 April 2025: সখ পূরণ হবে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 12 April 2025: সখ পূরণ হবে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

     

    মেষ

    ১) ব্যবসায় মুনাফা বৃদ্ধি পাবে।

    ২) ঋণমুক্তির সুযোগ পাবেন।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    বৃষ

    ১) প্রেমে নৈরাশ্য থেকে মানসিক চাপ বৃদ্ধি পেতে পারে।

    ২) প্রতিবেশীর অশান্তির দায় আপনার কাঁধে চাপতে পারে।

    ৩) বন্ধুদের সাহায্য পাবেন।

     

    মিথুন

    ১) সকালের দিকে বন্ধুদের আচরণে বিব্রত হতে পারেন।

    ২) শরীরে ব্যথা-বেদনা বৃদ্ধি পাবে।

    ৩) সখ পূরণ হবে।

     

    কর্কট

    ১) ভ্রমণে গিয়ে শরীর খারাপ হওয়ার আশঙ্কা।

    ২) প্রেমের প্রতি ঘৃণাবোধ হতে পারে।

    ৩) বিবাদে জড়াবেন না।

    সিংহ

    ১) প্রেমের ব্যাপারে অতিরিক্ত আবেগ প্রকাশ করবেন না।

    ২) শরীরে ক্ষয় বৃদ্ধি।

    ৩) গুরুজনদের পরামর্শ মেনে চলুন।

     

    কন্যা

    ১) বাড়তি কিছু খরচ হতে পারে।

    ২) বৈরী মনোভাবের জন্য ব্যবসায় শত্রু বৃদ্ধি পাবে।

    ৩) ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিন।

    তুলা

    ১) কোথাও আপনার বিষয়ে সমালোচনা বৃদ্ধি পাবে।

    ২) সকালের দিকে একই ব্যাপারে বার বার খরচ হবে।

    ৩) পরিবারের সঙ্গে সময় কাটান।

    বৃশ্চিক

    ১) রক্তাল্পতায় ভুগতে পারেন।

    ২) কারও প্ররোচনায় দাম্পত্য কলহ।

    ৩) ডাক্তারের কাছে যেতে হতে পারে।

    ধনু

     

    ১) বিলাসিতার কারণে খরচ বাড়তে পারে।

    ২) বাড়িতে বিবাদের জন্য মনঃকষ্ট।

    ৩) ধৈর্য ধরুন।

    মকর

    ১) অতিরিক্ত কাজের চাপে ক্লান্তিবোধ।

    ২) সন্তানের জন্য সম্মান নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা।

    ৩) সবাইকে বিশ্বাস করবেন না।

    কুম্ভ

     

    ১) ধর্ম সংক্রান্ত ব্যাপারে তর্কে জড়াতে পারেন।

    ২) মা-বাবার সঙ্গে সামান্য কারণে বিবাদ হতে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    মীন

    ১) কর্মস্থানে বন্ধুদের বিরোধিতা আপনাকে চিন্তায় ফেলবে।

    ২) বুদ্ধির ভুলের জন্য মানসিক চাপ বৃদ্ধি।

    ৩) ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে দিনটি।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Nolen Gur Sandesh: নলেন গুড়ের সন্দেশ সমেত বাংলার ৭ আইটেম পেল জিআই ট্যাগ

    Nolen Gur Sandesh: নলেন গুড়ের সন্দেশ সমেত বাংলার ৭ আইটেম পেল জিআই ট্যাগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শীত মানেই নলেন গুড় (Nolen Gur Sandesh), মুখে মিলিয়ে যাওয়া সন্দেশ (Nolen Gur Sandesh)। এবার সেই নলেন গুড়ের সন্দেশ পেল নয়া সম্মান। মিলল জিআই ট্যাগ পেল বাংলার এই গর্ব। এর আগে ২০১৭-তে বাংলার রসগোল্লা ছিনিয়ে নিয়ে এসেছে তার প্রাপ্য জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেশন ট্যাগ বা জিআই ট্যাগ। তবে বাংলার আরও তিন ঐতিহ্য তথা মুর্শিদাবাদের ছানাবড়া, বিষ্ণুপুরের মোতিচুরের লাড্ডু ও কামারপুকুরের সাদা বোঁদেও।

    ৩৫টি জিনিস রয়েছে এই তালিকায়

    এর পাশাপাশি মালদার নিস্তারি সিল্ক , রাঁধুনিপাগল চাল (শীতের এক সুগন্ধি চাল) ও বারুইপুরের পেয়ারাও পেয়েছে এই সম্মান। সব মিলিয়ে জানা যাচ্ছে, এখনও পর্যন্ত বাংলার ৩৫টি জিনিস রয়েছে জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেশন ট্যাগের তালিকায়। প্রসঙ্গত, বর্ধমানের সীতাভোগ-মিহিদানা, জয়নগরের মোয়াও জায়গা পেয়েছে রসগোল্লার পাশেই। জিআই তকমা পেলে বিদেশের বাজারে আলাদা সম্মান পেতে শুরু করে ওই খাবার। বাংলার প্রায় প্রতিটা জেলাতেই ছড়িয়ে আছে কিছু না কিছু ইতিহাস এবং ঐতিহ্য। সেগুলিই এবার স্বীকৃতি পাচ্ছে। জিআই ট্যাগ মেলার পরে স্বাদ-মান বজায় রাখা সেখানে বিশেষ জরুরি হয়ে পড়ে। দামও বাড়ে অনেক সময়।

    জিআই তকমা আসলে কী?

    কোনও অঞ্চলের বিশেষত্ব এবং বিশেষ গুণসম্পন্ন কোনও জিনিসকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেওয়া হয় নির্দিষ্ট এক চিহ্ন দিয়ে। বাণিজ্য এবং শিল্পমন্ত্রকের অন্তর্গত শিল্প প্রচার এবং অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য দফতরের তরফ থেকে থেকে দেওয়া হয় এই সম্মান। প্রসঙ্গত, কোনও খাবার জিআই তকমা পাওয়ার আগে তার কেমিক্যাল এবং মাইক্রোবায়োলজিক্যাল পরীক্ষা করা হয় বলে জানা যায়। কী কী উপাদান রয়েছে তাতে, তার পুষ্টিগুণই বা কী, সেইসবও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এক্ষেত্রে। ইতিহাস ঘেঁটে ওই খাবারের যাবতীয় রেকর্ড, তৈরির পদ্ধতি সবটাই পাঠানো হয় সরকারি দফতরে, যাতে জিনিসটির আসল জায়গা তথা উৎস সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়। তারপর সরকারিভাবে নানা কাঠখড় পুড়িয়ে আনা হয় পেটেন্ট, জিআই তকমা (Nolen Gur Sandesh)।

  • Tamil Nadu: বিধানসভায় জোট বেঁধে লড়বে বিজেপি-এআইএডিএমকে, তামিলনাড়ুতে ঘোষণা শাহের

    Tamil Nadu: বিধানসভায় জোট বেঁধে লড়বে বিজেপি-এআইএডিএমকে, তামিলনাড়ুতে ঘোষণা শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবারই একদিনের সফরে তামিলনাড়ু (Tamil Nadu) গিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেখানেই তিনি ঘোষণা করেন, আসন্ন ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনে এআইএডিএমকে ও অন্যান্য সহযোগী দলের সঙ্গে জোট বেঁধে লড়বে বিজেপি। অমিত শাহ আরও জানান, জাতীয় স্তরে এই নির্বাচন লড়া হবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে এবং রাজ্যস্তরে এআইএডিএমকে নেতা কে পালানিস্বামীর নেতৃত্বে। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে শাহ স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ‘‘ডিএমকে দলকে ক্ষমতাচ্যুত করতে নিঃশর্তভাবেই এই জোট সম্পন্ন হয়েছে।’’ এআইএডিএমকে দলের সঙ্গে জোটের বিষয়ে অমিত শাহ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, একটি নূন্যতম সাধারণ কর্মসূচি ঠিক করা হবে। এই কর্মসূচির ভিত্তিতেই জোট চলবে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। রাজনৈতিক মহলের একাংশের ধারণা,  এআইএডিএমকে-র সঙ্গে জোট হওয়াতে বেশ ভালোই চাপে পড়ল ডিএমকে। আগামী বছরেই রয়েছে তামিলনাডু রাজ্যের বিধানসভা ভোট, তার আগেই দুই দল ফের একসঙ্গে হল।

    ১৯৯৮ সাল থেকেই এআইএডিএমকে দলের সঙ্গে জোট বেঁধেছিল বিজেপি

    প্রসঙ্গত, ১৯৯৮ সালে জয়ললিতা (Tamil Nadu) মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন এআইএডিএমকে দলের সঙ্গে জোট বেঁধেছিল বিজেপি। সেই তখন থেকেই এনডিএ-র শরিক ছিল জয়ললিতার দল। তবে দীর্ঘ বেশ কয়েক বছরের এই সম্পর্কে ছেদ পড়ে ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বিজেপির সঙ্গে জোটে ভাঙন ধরে এআইএডিএমকে-র।

    অমিত শাহের মুখে পুরনো দিনের কথা, মনে করালেন ১৯৯৮ সালের লোকসভা ভোট (Tamil Nadu)

    তখন তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা এআইএডিএমকের (AIADMK) জেনারেল সেক্রেটারি ই কে পালানিস্বামী সাংবাদিক বৈঠকে ঘোষণা করেন ২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে একক দল হিসাবে লড়াই করবেন তাঁরা। তারপর ২০২৫ সালের ফের দুই দলের এক হওয়ার খবর সামনে এল। পুরনো দিনের কথা এদিন উঠে আসে শাহের সাংবাদিক বৈঠকেও। তিনি জানান, ১৯৯৮ সালে লোকসভায় বিজেপি এবং এআইএডিএমকে-র জোট বিরাট জয় পেয়েছিল তামিলনাড়ুতে। বিজেপি-এআইএডিএমকে (AIADMK) জোট ৩৯টি লোকসভা আসনের মধ্যে ৩০টি আসন জিতেছিল।

  • Super Rafale F5: বায়ুসেনার জন্য ১১৪টি ‘সুপার রাফাল’! এমআরএফএ চুক্তির যুদ্ধবিমান কি চূড়ান্ত করে ফেলল ভারত?

    Super Rafale F5: বায়ুসেনার জন্য ১১৪টি ‘সুপার রাফাল’! এমআরএফএ চুক্তির যুদ্ধবিমান কি চূড়ান্ত করে ফেলল ভারত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি সপ্তাহেই ভারতীয় নৌসেনার জন্য ৬৩ হাজার কোটি টাকায় ফ্রান্স থেকে রাফাল-এম যুদ্ধবিমান কেনার বিষয়ে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার (Super Rafale F5)। আগামী এক-দু মাসের মধ্যেই ওই ফ্রান্সের সঙ্গে সরকারিস্তরে ওই চুক্তি স্বাক্ষর করতে পারে ভারত, এমন জোরালো সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এই চুক্তি হলে, তা এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বড় অঙ্কের প্রতিরক্ষা চুক্তি হতে চলেছে। তবে, এটা খবর নয়। কেন্দ্রীয় সূত্র মারফৎ নতুন যা তথ্য এসেছে, তা আরও চমকে দেওয়ার মতো। এক কথায়, শীঘ্রই সম্ভবত ভারত ও ফ্রান্সের মধ্যে হতে চলেছে ‘মাদার অফ অল ডিফেন্স ডিল’।

    যুদ্ধবিমানের বাছাই এক প্রকার সেরে ফেলেছে ভারত!

    শোনা যাচ্ছে, দীর্ঘ টালবাহানার পর অবশেষে ভারতীয় বায়ুসেনার জন্য ১১৪টি মিডিয়াম রোল ফাইটার এয়ারক্র্যাফট বা এমআরএফএ চুক্তির (MRFA Deal) জন্য যুদ্ধবিমানের বাছাই এক প্রকার সেরে ফেলেছে ভারত। সূত্রের দাবি, সরকারিভাবে এখনও এই নিয়ে কোনও কথা না বলা হলেও, ভারত আবার রাফালকেই কিনতে চলেছে। তবে, এক্ষেত্রে ভারতীয় বায়ুসেনায় বর্তমানে রাফালের যে সংস্করণ ব্যবহৃত হচ্ছে, এমআরএফএ-তে সেই বিমান আসবে না। ভারত চাইছে, ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে একেবারে সর্বাধুনিক মডেল ‘সুপার রাফাল’-কে ঘরে তুলতে।

    কী এই ‘সুপার রাফাল’ (Super Rafale F5)

    ২০১৬ সালে ভারতীয় বায়ুসেনার জন্য ৩৬টি রাফাল যুদ্ধবিমান কিনতে জরুরি ভিত্তিতে ফ্রান্সের সঙ্গে গভর্নমেন্ট-টু-গভর্নমেন্ট (জি-টু-জি) ডিল বা সরকারিস্তরে সরাসরি চুক্তি করেছিল ভারত। রাফালের কার্যকারিতা ও ক্ষমতা নিয়ে উচ্ছ্বসিত ভারতীয় বায়ুসেনা। যে কারণে, সম্প্রতি নৌসেনার জন্য ২৬টি রাফাল-মেরিন (নৌ-সংস্করণ) কেনায় সম্মতি জানিয়েছে মোদি মন্ত্রিসভা। এই চুক্তিও সম্ভবত হতে চলেছে জি-টু-জি পদ্ধতিতে। তবে, ভারতীয় বায়ুসেনা বর্তমানে যে রাফাল ব্যবহার করছে সেটি এফ-৩ সংস্করণের। তবে, এমআরএফএ চুক্তির (MRFA Deal) জন্য ভারতের চাইছে একেবারে এই যুদ্ধবিমানের সর্বাধুনিক তথা এই শ্রেণির সবচেয়ে শক্তিশালী এফ-৫ সংস্করণ কিনতে। অন্তত, প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এবং বায়ুসেনার ইচ্ছা তেমনই। এই যুদ্ধবিমানকেই ‘সুপার রাফাল’ (Super Rafale F5) বলে অভিহিত করেছে বিমানটির ফরাসি প্রস্তুতকারক সংস্থা দাসো।

    ধারে-ভারে-ক্ষমতায় প্রায় পঞ্চম প্রজন্মের ‘সুপার রাফাল’

    ভারত নিজস্ব পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান ‘অ্যামকা’ (AMCA) তৈরি করছে। ফলে, ভারত চাইছে এমন একটি চতুর্থ প্রজন্মের যুদ্ধবিমান যা ক্ষমতায় পঞ্চম প্রজন্মের মতো পাল্লা দিতে সক্ষম। রাফালের এফ-৩ সংস্করণটি কার্যত চতুর্থ প্রজন্মের। কিন্তু, এফ-৫ সংস্করণটি (Super Rafale F5) ধারে-ভারে-ক্ষমতায় প্রায় পঞ্চম প্রজন্মের। এই সংস্করণে পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমানের একাধিক প্রযুক্তি রয়েছে। অন্তত প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের অনুমান এমনটাই। কারণ, এফ-৫ রাফাল জেটে যুক্ত করা হয়েছে এমন প্রযুক্তি, যা বর্তমান তো বটেই, এমনকী ভবিষ্যৎ যুদ্ধের জন্যও আদর্শ। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দৌলতে এই যুদ্ধবিমানকে ‘অত্যন্ত বুদ্ধিমান’ করা হয়েছে। পাশাপাশি, এই বিমানের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে অত্যন্ত শক্তিশালী এক ‘লয়াল উইংম্যান’-কেও।

    কী এই ‘লয়াল উইংম্যান’?

    আকাশ যুদ্ধে ‘লয়াল উইংম্যান’ কনসেপ্ট বা ব্যবস্থা নিয়ে বর্তমানে ভারত সহ বিশ্বের তামাম সামরিকভাবে শক্তিশালী দেশ গবেষণা চালাচ্ছে। ভারতের ‘অ্যামকা’-তেও এই ‘লয়াল উইংম্যান’ কনসেপ্ট রাখা হয়েছে। ‘লয়াল উইংম্যান’ হচ্ছে একটি আনম্যানড্ কমব্যাট এরিয়াল ভেহিক্যল বা ইউসিএভি (UCAV)। এক কথায় সশস্ত্র মানববিহীন যুদ্ধবিমান। এটি মাদারশিপের (চালক যুদ্ধবিমান) সঙ্গে সুসংহত যোগাযোগ রেখে পাশাপাশি উড়বে। পেটে ক্ষেপণাস্ত্র বহন করতে সক্ষম ‘লয়াল উইংম্যান’ (Loyal Wingman) মাদারশিপের পাইলটের কমান্ডে যাবতীয় কাজ করবে। শুধু তাই নয়। প্রয়োজন পড়লে, পাইলট তথা মূল যুদ্ধবিমানকে বাঁচাতে নিজেকে বলিদান দেবে।

    ছায়াসঙ্গী সবচেয়ে ঘাতক ড্রোন

    ফ্রান্সের প্রতিরক্ষামন্ত্রী সেবাস্তিয়াঁ ল্য কর্নুর দাবি, নতুন এফ-৫ রাফাল (Super Rafale F5) জেটটি একটি স্টেলথ ফাইটার ড্রোন দিয়ে সজ্জিত হবে।” মন্ত্রীর কথার সত্যতা স্বীকার করে নেন রাফালের প্রস্তুতকারক সংস্থা দাসো-র সিইও এরিক ত্রাপিয়ে। তাঁর মতে, রাফালের সঙ্গে এই ইউসিএভি যুক্ত করলে আকাশ থেকে ভূমি এবং আকাশ থেকে আকাশ উভয় ক্ষেত্রেই মিশনের কর্মক্ষমতা এবং সাফল্যের শতাংশ বহুগুণ উন্নত হতে পারে।” তিনি আরও জানান যে, রাফাল এফ-৫ জেটের (Super Rafale F5) ইউসিএভি-র ওজন হবে ১০ টন এবং তার অস্ত্রবহন ক্ষমতা প্রায় ১৫ থেকে ১৬ টন হবে। এছাড়া, পূর্বসূরি এফ-৪-এর তুলনায় এফ-৫ সংস্করণে আরও শক্তিশালী সাফরান ইঞ্জিন এবং সর্বাধুনিক ডেটা লিঙ্ক থাকবে। এতে মোতায়েন করা যাবে স্ক্র্যামজেট-নির্ভর হাইপারসনিক (শব্দের চেয়ে ০-২০ গুণ বেশি গতি) ক্ষেপণাস্ত্র, যা লড়াইয়ে যুদ্ধবিমানকে প্রভূত সুবিধা দেবে।

    এমআরএফএ নিয়ে ফ্রান্সের আগ্রহ

    কিন্তু, কেন রাফাল এফ-৫ (Super Rafale F5) নিয়ে আলোচনা হচ্ছে? কেনই বা এই বিমানের প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করছে কেন্দ্রীয় কর্তারা? কেন্দ্রীয় সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই ফ্রান্স এবং উৎপাদনকারী সংস্থার সঙ্গে একাধিকস্তরে এমআরএফএ চুক্তি (MRFA Deal) নিয়ে আলোচনা চালিয়েছে ভারত। সূত্রের দাবি, আলোচনার টেবিলে ফ্রান্স ভারতের এই শর্তে রাজি হয়েছে যে, এমআরএফএ চুক্তি হলে প্রাথমিকভাবে কয়েকটি বিমান ফ্রান্সে তৈরি হয়ে আসবে। বাকিগুলো ভারতেই তৈরি হবে। শুধু তাই নয়, দাসোর সিইও ত্রাপিয়ে ভারতকে খোলা প্রস্তাব দিয়েছেন যে, তারা ভারতে রাফাল যুদ্ধবিমান উৎপাদনের একটি পৃথক অ্যাসেম্বলিং ইউনিট খুলতে ভীষণই আগ্রহী। শর্ত একটাই— যদি ভারতের থেকে ন্যূনতম ১০০টি যুদ্ধবিমানের বরাত মেলে তবেই। এদেশে দাসোর অ্যাসেম্বলি ইউনিট হলে, খরচ অনেকটাই কম হবে। পাশাপাশি, রক্ষণাবেক্ষণের ক্ষেত্রেও প্রচুর সুবিধা হবে। জানা যাচ্ছে, নৌসেনার জন্য রাফাল-এম যুদ্ধবিমানের চুক্তি করতে শীঘ্রই ভারতে আসতে পারেন ফরাসি প্রতিরক্ষামন্ত্রী সেবাস্তিয়াঁ ল্য কর্নু। তখনই, এমআরএফএ চুক্তি (MRFA Deal) নিয়ে ফের বসা হবে বলে আশা।

    চুক্তি হলেই ভারতে অ্যাসেম্বলি ইউনিট

    এখানে বলে রাখা প্রয়োজন, রাফাল এফ-৫ যুদ্ধবিমান (Super Rafale F5) এখনও হাতে পায়নি ফরাসি বায়ুসেনাই। ফরাসি প্রতিরক্ষামন্ত্রীর আশা, ২০২৬-২৭ সালের মধ্যেই উৎপাদন শুরু হবে এবং ২০৩০ সাল নাগাদ এই যুদ্ধবিমান সেদেশের বায়ুসেনার জন্য প্রস্তুত হয়ে যাবে। ভারত যদি আগামী এক-দু বছরের মধ্যে এই চুক্তি করে নেয়, তাহলে, দাসো দ্রুত এদেশে অ্যাসেম্বলি ইউনিট তৈরির কাজ শুরু করতে পারবে। সেক্ষেত্রে, দাসোর সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধতে পারে ভারতের এক বা একাধিক বেসরকারি সংস্থাও। তেমনটা হলে, ২০৩২ সাল থেকেই ভারতের কারখানা থেকে রাফাল এফ-৫ বের হবে।

LinkedIn
Share