Tag: madhyom bangla

madhyom bangla

  • Bangladesh Crisis: সোনার বাংলা ছারখার! “আসতেছি আমি”, দেশে ফিরছেন জানিয়ে ইউনূসকে হুঁশিয়ারি হাসিনার

    Bangladesh Crisis: সোনার বাংলা ছারখার! “আসতেছি আমি”, দেশে ফিরছেন জানিয়ে ইউনূসকে হুঁশিয়ারি হাসিনার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্ষমতাচ্যুত হয়েছেন, দেশছাড়া হয়েছেন, তবুও তিনি আত্মবিশ্বাসী। তাঁর প্রতি কথায় লড়াইয়ের সুর। তিনি বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমানের কন্যা শেখ হাসিনা। লড়াই তাঁর রক্তে। বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) ফিরে ফের লড়বেন তিনি। আওয়ামি লিগের কর্মী-সমর্থকদের উপর হামলা এবং অত্যাচারের অভিযোগের বিচার করবেন, বলে জানালেন শেখ হাসিনা। সোমবার রাতে এক ভার্চুয়াল আলোচনায় দলীয় কর্মীদের সেই আশ্বাসই দিলেন সে দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা আওয়ামি লিগের নেত্রী হাসিনা (Sheikh Hasina)।

    ইউনূসকে কড়া ভাষায় আক্রমণ

    বাংলাদেশের (Bangladesh) প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসকে (Chief Advisor Md Yunus) ফের তীব্র আক্রমণ শানালেন হাসিনা (Sheikh Hasina)। প্রধান উপদেষ্টাকে সুদখোর (Usurer), জঙ্গি (terrorist), সন্ত্রাসী, সাজাপ্রাপ্ত আসামি (Convicted) বলে অভিহিত করেছেন আওয়ামী লিগ নেত্রী। দলের সোশ্যাল মিডিয়ার নিয়মিত অনুষ্ঠান ‘দায়মুক্তি’-তে আওয়ামি লিগের নিহত কর্মী-সমর্থকদের পরিবার এবং আহতদের সঙ্গে কথা বলেছেন হাসিনা। দলের নেতা-কর্মীদের নিয়ে তৈরি হোয়াট্সঅ্যাপ (WhatsApp) এবং টেলিগ্রাম (Telegram) গ্রুপগুলিতেও নিয়মিত নীচুতলার কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। সোমবার বিকালে বাংলাদেশের উত্তরপ্রান্তের জেলা লালমণিরহাটের (Lalmonirhat) কর্মীদের সঙ্গে দীর্ঘসময় কথা হয় তাঁর।

    সবকিছুর বিচার একদিন হবে

    গত বছরের অগাস্টে আওয়ামি লিগ সরকারের পতনের পর বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis) ছাড়েন হাসিনা। তার পর থেকে বিভিন্ন সময়ে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে ভার্চুয়ালি যোগাযোগ করেন তিনি। আওয়ামি লিগের সমাজমাধ্যমের পাতায় তা সরাসরি সম্প্রচারও করা হয়। সোমবার রাতেও সে রকম একটি ভার্চুয়াল আলোচনা সমাজমাধ্যমের পাতায় সরাসরি সম্প্রচারিত হয়। এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলা ওই আলোচনাপর্বে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের সমস্যার কথা শোনেন আওয়ামি লিগের নেত্রী। কর্মী-সমর্থকেরা দাবি করেন, তাঁদের পরিবারের উপর বিভিন্ন ধরনের অত্যাচার চলেছে। তাঁদের আশ্বস্ত করে হাসিনা জানান, তিনি এই সব ঘটনার বিচার করবেন। বললেন, “আল্লাহ্ সেই জন্যই বাঁচিয়ে রেখেছেন। চিন্তা করবেন না। আসতেছি আমি।” ওই আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন ‘অল ইউরোপিয়ান আওয়ামি লিগ’-এর সভাপতি মহম্মদ নজরুল ইসলামও। তাঁরও দাবি, “বিচার একদিন হবেই। সেই দিন আর বেশি দূরে নেই।”

    শান্তির দেশ থেকে জঙ্গিদের দেশ

    তদারকি সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি দেশটাকে যখন উন্নয়নশীল দেশে তুলে ধরলাম। তখনই এমন গভীর চক্রান্ত হয়ে গেল। বাংলাদেশকে জঙ্গিদের দেশে পরিণত করা হল। আর দিনশেষে এমন ব্যক্তি ক্ষমতা দখল করল, যার মানুষের প্রতি কোনও দয়া মায়া নেই আর ছিলও না।’ এরপরই ইউনূসের গ্রামীণ ব্যাঙ্কের দিকে নিশানা করে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর আরও অভিযোগ, ‘মানুষকে ক্ষুদ্র ঋণ দিয়ে মোটা অঙ্কের সুদ নিত। সেই টাকায় উনি বিদেশে পাঠিয়ে বিলাসবহুল জীবনযাপন করতেন। আমরা ভাবতাম গরীব মানুষের ভাল করছে। তাই একসময় অনেক সহযোগিতা করেছিলাম। পরে সেই মানুষের টাকা নিয়ে তছরুপ করেছে। ওনার ক্ষমতার লোভেই আজ বাংলাদেশ জ্বলছে।’

    পড়ুয়ার লাশ চেয়েছিল ওরা

    এদিনের এই ১ ঘণ্টা ১১ মিনিটের ভাষণপর্বে আন্দোলন চলাকালীন বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis) পুলিশের চালানো ‘রাবার গুলিতে’ নিহত পড়ুয়া আবু সায়েদের কথাও তুলে ধরেন হাসিনা। তাঁর অভিযোগ, ‘ওরা আসলে ওই পড়ুয়ার লাশটাই চেয়েছিল। শুনেছিলাম, মাথায় আঘাত লেগেছিল। কিন্তু ওকে যখন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় প্রাথমিক চিকিৎসাটুকু দিতে দেয়নি। তার আগেই বিশৃঙ্খলা পরিস্থিতি তৈরি করে।’ সম্প্রতি যেভাবে আওয়ামি লিগ নেতানেত্রী এবং সর্বোপরি হাসিনার দলের সমর্থকদের বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা দায়ের করে জেলবন্দির ‘ছক’ কষছে ইউনুস সরকার, তা নিয়ে গভীর উদ্বেগে দল। সোমবারও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় হামলা, ভাঙচুর ও খুনের চেষ্টার মামলায় হাসিনাপন্থী ৮৪ জন আইনজীবীর জামিন খারিজ করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

    মিথ্যা প্রচার ইউনূস সরকারের

    গত শুক্রবার ব্যাংককে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Indian Prime Minister Narendra Modi) সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার বৈঠকে শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina) প্রসঙ্গ উঠেছিল। হাসিনা ভারতে বসে ভাষণ দিয়ে বাংলাদেশে অশান্তি সৃষ্টি করছেন বলে অভিযোগ করেন ইউনূস। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম (Shafiqul Alam, press secretary to Chief Advisor Md Yunus) সাংবাদিক বৈঠকে দাবি করেন, শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণের বিষয়ে নরেন্দ্র মোদি নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেননি। যদিও প্রেস সচিবের ওই দাবি নসাৎ করে দিয়েছে ভারতের বিদেশমন্ত্রক। তারা জানিয়েছে, হাসিনার প্রত্যপর্ণের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদির প্রতিক্রিয়াকে সেভাবে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে তা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এই জাতীয় কোনও কথা ব্যাংককের বৈঠকে হয়নি।

    কী ভাবছে ভারত

    সোমবার রাতে দলের অনুষ্ঠানে হাসিনার বক্তব্যেও স্পষ্ট প্রধান উপদেষ্টা সম্পর্কে তাঁর বক্তব্যে ভারত সরকার হস্তক্ষেপ করেনি। নয়াদিল্লি ইতিপূর্বে শুধু জানিয়েছে, হাসিনার বক্তব্য তাঁর ব্যক্তিগত। তার সঙ্গে ভারত সরকারের সম্পর্ক নেই। তবে বিদেশ মন্ত্রকের একাংশের মতে, বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে হাসিনা যে কথা বলছেন তার সঙ্গে ভারত সরকার দ্বিমত পোষণ করে না। সে দেশে জঙ্গি তৎপরতা বৃদ্ধিতে ভারতও চিন্তিত। আর মহম্মদ ইউনূসকে আক্রমণ রাজনৈতিক। একজন রাজনীতিবিদ হিসাবে হাসিনা তাঁর কথা বলছেন।

  • Science News: ১২ হাজার বছর আগে হয়েছিল বিলুপ্ত, ফের পৃথিবীতে ফিরে এল ডায়ারউলফ! কীভাবে সম্ভব হল?

    Science News: ১২ হাজার বছর আগে হয়েছিল বিলুপ্ত, ফের পৃথিবীতে ফিরে এল ডায়ারউলফ! কীভাবে সম্ভব হল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মধ্যপ্রস্তর যুগ থেকে তুষার-যুগ পর্যন্ত তারা পৃথিবীর বুকে দাপিয়ে বেড়াত। অন্তত সাড়ে ১২ হাজার বছর আগে বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল এই প্রাগৈতিহাসিক ভয়ঙ্কর নেকড়ে। যা পরিচিত ছিল ডায়ারউলফ (Science News) নামে। কিন্তু, ফের তাকে ফিরিয়ে আনা হল পৃথিবীতে। তবে কোনও হলিউডের সিনেমার মাধ্যমে নয়। একেবারে বাস্তবে। গবেষণাগারে দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টায় বিভিন্ন বৈজ্ঞানীক পরীক্ষা পদ্ধতির মাধ্যমে তাকে ফিরিয়ে আনলেন গবেষকরা। জানা গিয়েছে, বিজ্ঞানীরা ডায়ারউলফের জীবাশ্ম থেকে সংগৃহীত নমুনা দিয়ে তিনটি নেকড়ে ছানার প্রজনন করিয়েছেন, যাদের শরীরে ডায়ারউল্ফের ডিএনএ এবং বৈশিষ্ট্য প্রামান্য পরিমাণে রয়েছে। প্রসঙ্গত, এ সংক্রান্ত গবেষণাটি চালিয়েছিল কলোসাল বায়োসায়েন্সস নামের একটি সংস্থা। ওই সংস্থা তাদের গবেষণা বিষয়ে এ সংক্রান্ত একটি পোস্ট নিজেদের এক্স মাধ্যমেও করেছে।

    এক্স মাধ্যমের পোস্টে কী জানাল গবেষক সংস্থা (Science News)

    নিজেদের এক্স মাধ্যমের পোস্টে কলোসাল বায়োসায়েন্সেস লিখছে, ‘‘দশ হাজার বছর পরে আমরা আবার ডায়ারউলফকে (Dire Wolves) ফিরে পেয়েছি।’’ এরপরেই নিজেদের ওই পোস্টে ওই সংস্থা আরও লেখে, ‘‘আপনারা পরিচিত হন রোমুলাস এবং রেমাসের এর সঙ্গে। এদের শরীরেই রয়েছে ডায়ারউলফের (Science News) ডিএনএ।’’ প্রসঙ্গত, এই নেকড়ে ছানা দুটি জন্মগ্রহণ করে ২০২৪ সালের ১ অক্টোবর। খালেসি নামের তৃতীয় শাবকটির জন্ম হয় কয়েক সপ্তাহ পর।  সে কথাও নিজেদের এক্স মাধ্যমের পোস্টে লিখেছে ওই সংস্থা। বর্তমানে, উত্তর আমেরিকার একটি গোপন গবেষণাগার ও সংরক্ষিত বনে তারা বেড়ে উঠছে। তাদের পর সর্বক্ষণ নজর রাখছেন বিজ্ঞানীরা। তাদের খেতে দেওয়া হচ্ছে গরু, হরিণ ও ঘোড়ার মাংস। এরসঙ্গে চলছে শুকনো খাবার।

    ডায়ারউলফগুলি একদা উত্তর আমেরিকাতে ঘোরাফেরা করত

    জানা গিয়েছে, ডায়ারউলফগুলি (Science News) একদা উত্তর আমেরিকাতে ঘোরাফেরা করত। সেসময় তারা বাইসন ও ভল্লুক শিকার করতে বলে জানা যায়। কলোসাল বায়োসায়েন্সেস সংস্থার মতে, এই ডায়ারউলফগুলির ছিল অনেক চওড়া মাথা ও তীক্ষ্ণ দাঁত। উত্তর আমেরিকার অত্যন্ত ভয়ঙ্কর শিকারি হিসাবেই তারা পরিচিত ছিল। এই ডায়ারউলফগুলি ১২,৫০০ বছর আগেও পৃথিবীতে ছিল। কিন্তু তারপর থেকেই তারা বিলুপ্ত হয়ে যায়। কলোসাল বায়োসায়েন্সেস এই গবেষণার কাজ শুরু করে বিলুপ্ত হওয়া এই প্রাণীর জীবাশ্মের নমুনা সংগ্রহের মাধ্যমে। ওই সংস্থা, ওহায়ো ও আইডাহো শহর থেকে প্রাপ্ত দুটি ডায়ারউলফের জীবাশ্মের নমুনা থেকে ডিএনএ সংগ্রহ করে। কলোসাল জানিয়েছে, ১২ হাজার বছর আগের একটি দাঁতের জীবাশ্ম ও ৭৩ হাজার বছর আগের একটি কানের হাড়ের জীবাশ্ম থেকে এই ডিএনএ সংগ্রহ করা হয়। তারপরে ওই ডিএনএকে ব্যবহার করে একটি মাদী গ্রে উলফের (বর্তমান প্রজাতি) ডিম্বানুতে এই ডায়ারউলফের জিনের সংমিশ্রণ ঘটিয়ে কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে তিন শাবকের জন্ম দেওয়ানো হয়।

  • Mohun Bagan: সাক্ষী ঋষভ পন্থ, জামশেদপুরকে ২-০ গোলে হারিয়ে আইএসএল ফাইনালে মোহনবাগান

    Mohun Bagan: সাক্ষী ঋষভ পন্থ, জামশেদপুরকে ২-০ গোলে হারিয়ে আইএসএল ফাইনালে মোহনবাগান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, মঙ্গলবার ইডেনে যিনি প্রতিপক্ষ, সোমবার সন্ধ্যায় তাঁর জন্যই গলা ফাটাল কলকাতাবাসী। তিনি সঞ্জীব গোয়েঙ্কা। আইপিএলে লখনউ সুপার জায়ান্টস-এর মালিক। কিন্তু ফুটবল ময়দানে তো মোহনবাগান সুপার জায়ান্টসের কর্ণধার। আর কলকাতার ফুটবলপ্রেমীদের রক্তে সবুজ-মেরুন। আইএসএল (ISL 2024-25) সেমিফাইনালের প্রথম পর্বে জামশেদপুরের বিরুদ্ধে ১-২ পিছিয়ে থাকায় সোমবার মোহনবাগানকে (Mohun Bagan) জিততেই হত। অন্তত এক গোলের ব্যবধানে। তার বেশি হলে সরাসরি ফাইনালে ওঠার সুযোগ না হলে টাইব্রেকার। তাই আক্রমণ করা ছাড়া আর কোনও পথ ছিল না জেমি ম্যাকলারেনদের কাছে। তার ফল প্রথম পর্বে ১-২ গোলে পিছিয়ে থেকেও দ্বিতীয় পর্বে ২-০ গোলে জিতে মোহনবাগান পৌঁছে গেল আইএসএল কাপের ফাইনালে।

    যুবভারতীতে ঋষভ পন্থ

    গত মরসুমে ইডেনে সবুজ মেরুন জার্সিতেই নেমেছিল লখনউ। তেমনই গত বারও মোহনবাগানের (Mohun Bagan) ম্যাচ দেখতে গিয়েছিলেন লখনউ ক্রিকেটাররা। এ দিন যুবভারতীতে মোহনবাগান ম্যাচে সঞ্জীব গোয়েঙ্কার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন লখনউ ক্যাপ্টেন ঋষভ পন্থ। মোহনবাগানের প্রত্যাবর্তন দেখলেন। জামশেদপুরে মোহনবাগান এক গোলে পিছিয়ে পড়লেও সমতা ফিরিয়েছিল। শেষ অবধি ১-২ ব্যবধানে হারে। এ দিন ম্যাচের প্রথমার্ধ গোলশূন্য। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে জেসন কামিংসের পেনাল্টি গোলে এগিয়ে যায় সবুজ মেরুন। এগ্রিগেট দাঁড়ায় ২-২। ফলে আরও এক গোলের প্রয়োজন। নয়তো ম্যাচ অতিরিক্ত সময়, টাই ব্রেকারে গড়াত। ম্যাচের ইনজুরি টাইমে রালতের অনবদ্য গোল। ম্যাচ ২-০ ব্যবধান এবং দুই লেগ মিলিয়ে ৩-২ এগ্রিগেটে আইএসএল ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করে মোহনবাগান।

    সমর্থকদের দুঃখ ভুলিয়ে ফাইনালে মোহনবাগান

    সোমবার ম্যাচের প্রথম মিনিট থেকে আক্রমণ শুরু করলেও মোহনবাগানকে (Mohun Bagan) গোল পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হল ৫১ মিনিট পর্যন্ত। কামিংস পেনাল্টি থেকে গোল করে এগিয়ে দেন দলকে। বক্সের মধ্যে বল হাতে লাগিয়েছিলেন প্রণয় হালদার। যে কারণে পেনাল্টি পেয়ে যায় মোহনবাগান। সেখান থেকে গোল করতে ভুল করেননি কামিংস। কামিংসের সেই গোল যদিও মোহনবাগানের ফাইনালে যাওয়া নিশ্চিত করতে পারেনি। সেটা করলেন আপুইয়া। ৯৪ মিনিটের মাথায় গোল করেন তিনি। ম্যাচ যখন অতিরিক্ত সময়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছিল, সেই সময় গোল করে ম্যাচের ভাগ্য বদলে দেন মোহনবাগানের মিজ়ো ফুটবলারটি। বক্সের বেশ খানিকটা বাইরে থেকে বাঁক খাওয়ানো শটে বল জালে জড়িয়ে দেন আপুইয়া। সেই সঙ্গে গোটা যুবভারতী জুড়ে শুরু হয়ে যায় উৎসব। বাজি, আবির এবং চিৎকারের ভরে যায় সবুজ-মেরুন গ্যালারি। মোহনবাগান সমর্থকদের জামশেদপুরে মার খেতে হয়েছিল। ম্যাকলারেনরা বলেছিলেন, মাঠেই জবাব দেবেন। দলকে ফাইনালে তুলে সমর্থকদের দুঃখ ভোলালেন। আইএসএল (ISL 2024-25)  লিগ জয়ের পর এবার কাপ ফাইনালে মোহনবাগান। বিপক্ষে সুনীল ছেত্রীর বেঙ্গালুরু এফসি।

  • Waqf Amendment Act: নতুন ওয়াকফ আইনে রয়েছে ‘৫ বছরের অপেক্ষা’ সংস্থান, কাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য? কেন গুরুত্বপূর্ণ?

    Waqf Amendment Act: নতুন ওয়াকফ আইনে রয়েছে ‘৫ বছরের অপেক্ষা’ সংস্থান, কাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য? কেন গুরুত্বপূর্ণ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি সংসদে দুই পক্ষের পাশ হয়েছে ওয়াকফ সংশোধনী বিল (Waqf Amendment Act)। পর, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর স্বাক্ষর করায় তা এখন আইনে পরিণত। এই আইনের একটা সংস্থান হল জমি বা সম্পত্তি দানে ‘৫ বছরের অপেক্ষা’। কী এটা? নতুন আইন অনুযায়ী, ইসলাম ধর্ম পাঁচ বছর ধরে পালন করলে, তারপরেই ওয়াকফ দান করা যাবে।

    কাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য?

    অতীতে ওয়াকফ দান ঘিরে একাধিক দুর্নীতি এবং অনিয়মের ছবি সামনে এসেছে। অনেকক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, হিন্দুদের জমি জোর করে দখল করা হয়েছে এবং পরবর্তীকালে ওই হিন্দুকে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করা হয়েছে। পরে বলা হয়েছে, তিনি ওই জমি ওয়াকফ হিসেবে দান করেছেন। ওয়াকফ বোর্ডের বিরুদ্ধে এমনও অভিযোগ উঠেছে যে, বহু হিন্দু ব্যক্তিকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করানো হয়েছে স্রেফ তাঁর জমি দখল করার দুরভিসন্ধি নিয়ে। কিন্তু নতুন নিয়ম তার প্রতিকার দেওয়া রয়েছে। এখানে বলা হয়েছে, পাঁচ বছর ধরে ইসলাম ধর্মকে পালন করলে তবেই ওয়াকফ দান করা যাবে। অর্থাৎ যারা ধর্মান্তরিত হচ্ছেন তাঁরাও আগে পাঁচ বছর ধরে ইসলামকে পালন করুক। ইসলামকে বুঝুক। তার পর যদি তাঁদের মনে হয়, ওয়াকফে দান করবেন, তখন তাঁরা জমি দান (Waqf Amendment Act) করতে পারবেন।

    কেন এই সংস্থান তাৎপর্যপূর্ণ?

    এ নিয়েই একজন বিজেপি সাংসদ যিনি জেপিসি-র সদস্যও বটে, তিনি বলেন, এটা করার উদ্দেশ্য হল, ধর্মান্তরিতরা যাতে না প্রতারিন হন, তা নিশ্চিত করা। আর পাঁচ বছর সময়সীমা রাখা হয়েছে, কারণ, এটা বাস্তবসম্মত। কোনও নতুন বিষয়কে বোঝার জন্য পাঁচ বছর সময় দরকার। তিনি এও জানান, এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে না যাঁরা মুসলিম হিসেবে জন্মগ্রহণ করছেন তাঁদের ক্ষেত্রে। এটা প্রযোজ্য যাঁদেরকে ধর্মান্তরিত করা হচ্ছে ইসলাম ধর্মে তাঁদের ক্ষেত্রেই। কারণ তাঁদেরকে বুঝতে সময় দেওয়া উচিত যে তাঁরা যেটা করছেন সেটা ঠিক কি! এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করা দরকার, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ লোকসভায় জানিয়েছিলেন যে ১৯১৩ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত ওয়াকফ বোর্ড মিলিতভাবে ১৮ লক্ষ একর জমির মালিক ছিল। কিন্তু বিগত ১২ বছরে তারা অতিরিক্ত ২১ লক্ষ একর জমির মালিকানা (Waqf Amendment Act 2025) দাবি করছে।

    কীভাবে করা যাবে চিহ্নিত?

    কিন্তু সরকার কীভাবে সেই সমস্ত মুসলিমদেরকে চিহ্নিত করবে যারা পাঁচ বছর ধরে ইসলাম ধর্মকে (Waqf Amendment Act) পালন করছে! এমন প্রশ্নই সংসদে করেছিলেন আসাউদ্দিন ওয়েসি এবং সৈয়দ নাসির হোসেন। এ নিয়ে সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজেজু নিজের উত্তরে বলেন, ‘‘নতুন ওয়াকফ আইন যখন বাস্তবায়িত হবে, সেখানেই এনিয়ে বিস্তৃত লেখা থাকবে। কে মুসলিম কে অমুসলিম সেটা বাছাই করা হবে প্রামাণ্য নথি দিয়েই।’’

  • Tahawwur Rana: প্রত্যর্পণ হবেই, ২৬/১১-র চক্রী রানার দ্বিতীয় আর্জিও খারিজ মার্কিন সুপ্রিম কোর্টে, কবে আনা হবে ভারতে?

    Tahawwur Rana: প্রত্যর্পণ হবেই, ২৬/১১-র চক্রী রানার দ্বিতীয় আর্জিও খারিজ মার্কিন সুপ্রিম কোর্টে, কবে আনা হবে ভারতে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে ফিরতেই হবে ২৬/১১ মুম্বই হামলায় (26/11 Mumbai Attack) অন্যতম চক্রী তাহাউর রানাকে (Tahawwur Rana)। ভারতে প্রত্যর্পণের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে আমেরিকার প্রধান বিচারপতির দরবারে রানার দায়ের করা নতুন পুনর্বিবেচনার আবেদনও নাকচ করে দিল সে দেশের সুপ্রিম কোর্ট। মার্কিন শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি জন রবার্টসের বেঞ্চে গত ৪ এপ্রিল রানার আবেদন বিবেচনার জন্য পাঠানো হয়েছিল। সোমবার জানানো হয়েছে, সেই আবেদন নাকচ হয়ে গিয়েছে। মার্কিন সুপ্রিম কোর্টের এ দিনের সিদ্ধান্তকে, মোদি সরকারের বড় কূটনৈতিক জয় বলা যেতে পারে।

    রানার দাবিতে আমল দেয়নি মার্কিন শীর্ষ আদালত

    পাকিস্তানি বংশোদ্ভুত কানাডিয়ান নাগরিক তাহাউর রানা (Tahawwur Rana) বর্তমানে লস অ্যাঞ্জেলেসের মেট্রোপলিটন ডিটেনশন সেন্টারে বন্দি। সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করে রানা জানান, ভারতের প্রত্যর্পণ করা হল তাঁর উপর অত্যাচার চালানো হতে পারে। নিজেকে অসুস্থ বলেও দাবি করেছিলেন তিনি। কিন্তু জরুরি ভিত্তিতে করা সেই আর্জিতে আমল দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট। এর আগে একাধিক নিম্ন আদালতে আইনি লড়াই হেরে যান তাহাউর রানা। সানফ্রান্সিসকোতে নর্থ সার্কিট আমেরিকান কোর্ট অফ আপিলেও হেরে গিয়ে শেষ পর্যন্ত মার্কিন শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মুম্বই হামলার অন্যতম অভিযুক্ত তাহাউর।

    রানার ভয় ভারতকে

    প্রত্যর্পণের বিরুদ্ধে প্রথম আবেদনে রানা (Tahawwur Rana) দাবি করেছিলেন যে, ভারতে তাঁকে নির্যাতন করা হবে এমন সম্ভাবনা বেশি কারণ তিনি পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত মুসলিম এবং একজন প্রাক্তন পাকিস্তানি সেনা কর্মকর্তা। অস্ত্র ব্যবসায়ী সঞ্জয় ভাণ্ডারীর ভারতে প্রত্যর্পণ প্রত্যাখ্যান করে যুক্তরাজ্যের হাইকোর্টের সাম্প্রতিক রায়ের উদ্ধৃতি দিয়ে রানা বলেন, এই আবেদনের পক্ষে তাঁকে ‘নির্যাতন’ করা হতে পারে। প্রত্যর্পণের নির্দেশ পুনর্বিবেচনা করার জন্য রানা প্রথম যে আবেদন করেছিলেন, গত ৭ মার্চ মার্কিন সুপ্রিম কোর্টের নবম সার্কিটের বিচারপতি এলেনা কাজান তা খারিজ করে দিয়েছিলেন। এবার ফের রানার আবেদন খারিজ হয়ে গেল।

    কবে ভারতে আসছেন রানা

    ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির (এনআইএ) এক আধিকারিক জানিয়েছেন, সিবিআই আশা করছে, দ্রুত রানাকে (Tahawwur Rana) বিচারের মুখোমুখি করতে আমেরিকা থেকে ভারতে নিয়ে আসার তারিখ জানাবে মার্কিন প্রশাসন। ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর পাকিস্তান থেকে আগত ১০ লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গির মুম্বইয়ে হামলার পরিকল্পনায় রানা প্রত্যক্ষ ভাবে জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ ছিল ভারতের। মুম্বই হামলার অন্যতম অভিযুক্ত ডেভিড কোলম্যান হেডলির সঙ্গী রানাকে পাওয়ার জন্য প্রায় দেড় দশক আগে ওয়াশিংটনের কাছে আবেদন জানিয়েছিল নয়াদিল্লি। কিন্তু তাতে সায় মেলেনি। বরং পরবর্তী কালে তিনি জামিনে মুক্তি পেয়ে যান। পরবর্তী সময়ে দ্বিপাক্ষিক বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি অনুসারে আবার রানাকে আমেরিকার থেকে ফেরত চায় ভারত। তার পরে ২০২০ সালের জুন মাসে মুম্বই নাশকতার ঘটনাতেই ফের রানাকে গ্রেফতার করেছিল আমেরিকার পুলিশ। ক্যালিফোর্নিয়ার একটি আদালতে রানার তরফে জামিনের আবেদন জানানো হলেও বছর দেড়েক আগে তা খারিজ হয়ে গিয়েছিল। ২০০৮ সালের নভেম্বর মাসে মুম্বইয়ে পাক জঙ্গি অজমল কসাব এবং তার সঙ্গীদের হামলায় ১৬৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল। নিহতদের মধ্যে ছিলেন ছ’জন মার্কিন নাগরিকও।

    ভারতের কোথায় কোথায় নিয়ে যাওয়া হবে রানাকে

    কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ-র আধিকারিকদের মতে, ভারতে পৌঁছে রানাকে (Tahawwur Rana) মুম্বইয়ে নিয়ে যাওয়া হবে – যেখানে হামলা হয়েছিল এবং তার অভিবাসন সংস্থা, ফার্স্ট ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনালের শাখা খোলা হয়েছিল। ডেভিড কোলম্যান হেডলি চক্রান্ত করার জন্য মুম্বই ভ্রমণের সময় এই সংস্থাকে কভার হিসাবে ব্যবহার করেছিলেন। মুম্বই ছাড়াও রানাকে আগ্রা, হাপুর, কোচিন ও আমেদাবাদে নিয়ে যাওয়া হবে। যেখানে তিনি হামলার ঠিক আগে ২০০৮ সালের ১৩ থেকে ২১ নভেম্বরের মধ্যে স্ত্রীকে নিয়ে গিয়েছিলেন। উল্লেখ্য,  ২৬/১১ হামলা নিয়ে মুম্বই পুলিশ যে ৪০০ পাতার চার্জশিট পেশ করেছে, সেখানে বলা হয়েছে, ২০০৮ সালের ১১ নভেম্বর ভারতে এসেছিলেন তাহাউর রানা। ওই মাসের ২১ তারিখ পর্যন্ত ভারতেই ছিলেন তিনি। মুম্বইয়ের রেনেসাঁ হোটেলে ২ দিন কাটিয়েছিলেন রানা। সেখানেই হয়েছিল হামলার শেষ পরিকল্পনা।

    রানাকে প্রথম জিজ্ঞাসাবাদ

    রানাকে (Tahawwur Rana) শেষ পর্যন্ত ভারতের হাতে তুলে দেওয়ার পর এনআইএ আধিকারিকরা আশা করছেন, পাকিস্তান ভিত্তিক ষড়যন্ত্রকারীদের সঠিক ভূমিকা এবং পাকিস্তান সেনাবাহিনী ও আইএসআই-এর মধ্যে যারা এই হামলার তদারকি ও অর্থ জোগাড় করেছিল তাদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে। এই প্রথম রানাকে ভারতীয় এজেন্সিগুলি জিজ্ঞাসাবাদ করবে। ২০১০ সালের জুন মাসে এনআইএ-র একটি দল যখন ডেভিড কোলম্যান হেডলিকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে আমেরিকায় গিয়েছিল, তখন রানাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি।

  • Daily Horoscope 08 April 2025: সমাজে খ্যাতি বাড়বে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 08 April 2025: সমাজে খ্যাতি বাড়বে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

     

    মেষ

    ১) বন্ধুদের বিরোধিতা থেকে সাবধান থাকুন।

    ২) সঞ্চয়ের ব্যাপারে বিশেষ নজর দিন।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    বৃষ

    ১) পেটের সমস্যা বাড়তে পারে।

    ২) ব্যবসায় আমূল পরিবর্তন লক্ষ করতে পারবেন।

    ৩) বাণীতে সংযম রাখুন।

    মিথুন

    ১) ব্যবসায় বাড়তি বিনিয়োগ না করাই শ্রেয়।

    ২) মাথাগরম করার ফলে হাতে আসা কাজ ভেস্তে যাবে।

    ৩) প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটান।

     

    কর্কট

    ১) ভাই-বোনের কাছ থেকে ভাল সাহায্য পেতে পারেন।

    ২) দাম্পত্য সম্পর্কে উন্নতির যোগ।

    ৩) সতর্ক থাকতে হবে।

    সিংহ

    ১) কোনও নিয়ম লঙ্ঘন করার জন্য বিপদে পড়তে হতে পারে।

    ২) উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে শুভ যোগ।

    ৩) কারও সঙ্গে বিবাদে জড়াবেন না।

    কন্যা

    ১) কোনও ভুল কাজের জন্য অনুতাপ হতে পারে।

    ২) অতিরিক্ত দৌড়ঝাঁপ করার ফলে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    তুলা

    ১) কারও কুপ্রভাবে সংসারে অশান্তি হতে পারে।

    ২) সামাজিক সুনাম বা প্রতিপত্তি বিস্তারের যোগ।

    ৩) ধর্মস্থানে যেতে পারেন।

    বৃশ্চিক

    ১) সাংসারিক কারণে মানসিক যন্ত্রণা বাড়তে পারে।

    ২) আজ আপনাকে অবাক করে দেওয়া কোনও সুখবর আসতে পারে।

    ৩) দিনটি ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    ধনু

     

    ১) ব্যয় বাড়তে পারে।

    ২) সম্পত্তি নিয়ে সমস্যা মিটে যেতে পারে।

    ৩) সবাই আপনার প্রশংসা করবে।

    মকর

    ১) দূর দেশে ভ্রমণের পরিকল্পনা সফল হতে পারে।

    ২) বিদ্যার্থীদের জন্য নতুন কোনও পথ খুলতে পারে।

    ৩) বাণীতে সংযম রাখুন।

    কুম্ভ

    ১) বাড়িতে সবাই খুব সতর্ক থাকুন, চুরির ভয় রয়েছে।

    ২) আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    মীন

    ১) জমি বা সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয় করার শুভ দিন।

    ২) শেয়ারে বাড়তি লগ্নি চিন্তাবৃদ্ধি ঘটাতে পারে।

    ৩) সমাজে খ্যাতি বাড়বে।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Mangal Pandey: তিনিই জ্বালিয়েছিলেন সিপাহী বিদ্রোহের মশাল, ৮ এপ্রিল মঙ্গল পাণ্ডের তিরোধান দিবস

    Mangal Pandey: তিনিই জ্বালিয়েছিলেন সিপাহী বিদ্রোহের মশাল, ৮ এপ্রিল মঙ্গল পাণ্ডের তিরোধান দিবস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজকের দিনেই ফাঁসি হয়েছিল দেশের প্রথম স্বাধীনতা সংগ্রামী বলে পরিচিত মঙ্গল পাণ্ডের (Mangal Pandey)। ১৮৫৭ সালের ৮ এপ্রিল ফাঁসি হয় তাঁর। প্রসঙ্গত, ১৮২৭ সালে উত্তরপ্রদেশের এক ব্রাহ্মণ পরিবারের জন্মগ্রহণ করেন মঙ্গল পাণ্ডে। ২২ বছর বয়সে এই বীর সিপাহী পদে চাকুরি নিয়েছিলেন ব্রিটিশ সরকারের অধীনে। ভারতে সিপাহী বিদ্রোহ (Sepoy Mutiny Of 1857) আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় ১৮৫৭ সালের মে মাসে। এই আন্দোলন এককথায় শুরু করেন মঙ্গল পাণ্ডে। সেটা ছিল ১৮৫৭ সালের মার্চ মাস। এরপর এপ্রিলেই তাঁর ফাঁসি হয়।

    ১৮৫৭ সালের ২৯ মার্চ বিদ্রোহ শুরু করেন মঙ্গল পাণ্ডে (Mangal Pandey)

    ব্রিটিশ সরকারের চোখে মঙ্গল পাণ্ডে (Mangal Pandey) একজন বিশ্বাসঘাতক। তবে দেশের মানুষের চোখে আজও তিনি ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের (Indian Revolutionary) এক অন্যতম মহানায়ক। ইতিহাসবিদরা বলছেন, তাঁর হাত ধরেই ১৮৫৭ সালে সিপাহী বিদ্রোহের সূচনা হয়েছিল। দিনটি ছিল ১৮৫৭ সালের ২৯ মার্চ। ওই দিন রবিবার ছিল বলে জানা যায়। ব্রিটিশদের জন্য দিনটি ছিল ছুটির দিন। তাঁরা বিশ্রাম নিচ্ছিলেন ঘরে। কলকাতার বারাকপুরের পঞ্চম ব্যাটেলিয়ন বেঙ্গল রেজিমেন্টের সদস্য মঙ্গল পাণ্ডে ঘুরছিলেন বারাকপুর প্যারেড গ্রাউন্ডের আশেপাশেই। সেদিন সিপাহীদের প্যারেড ময়দানে প্রথম ইংরেজ বিরোধী এক অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দেন মঙ্গল পাণ্ডে।

    খবর পৌঁছায় ব্রিটিশ সেনা আধিকারিকদের কাছে

    জানা যায়, ওই দিন বিকেলের মধ্যেই ইংরেজদের কাছে এই খবর পৌঁছে যায়। খবর যায়, বেঙ্গল নেটিভ ইনফ্যান্ট্রির সেনাপতির সহকারী লেফটেন্যান্ট বাও (Lieutenant Baugh) এর কাছে। তিনি জানতে পারেন যে বারাকপুরে বেশ কয়েকজন সিপাহী বিদ্রোহী হয়ে উঠেছে। তিনি আরও জানতে পারেন যে মঙ্গল পাণ্ডে নামের এক সিপাহী গাদা বন্দুক-সহ প্যারেড ময়দানে সেনাবাহিনীর প্রহরী কক্ষের সামনে রয়েছেন। এই ব্যক্তিই ডাক দিয়েছেন সিপাহী বিদ্রোহের।

    ইংরেজ অফিসার বাও-এর সঙ্গে মঙ্গল পাণ্ডের লড়াই

    এ কথা জানার পরেই বাও অস্ত্র হাতে ঘোড়ায় চড়ে সেখানে উপস্থিত হন। তখনও সেখানে হাজির ছিলেন মঙ্গল পাণ্ডে। এরপর মঙ্গল পাণ্ডে ৩৪তম কোয়ার্টার-গার্ডের সামনে থাকা স্টেশন বন্দুকের পিছনে অবস্থান নেন। তারপরে বাওকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করেন। মঙ্গল পাণ্ডের লক্ষ্য সঠিকভাবে আঘাত হাতে পারেনি। বাওয়ের ঘোড়াকে আঘাত করে মঙ্গল পাণ্ডের গুলি। এরপরেই বাও মাটিতে পড়ে যান। বাও দ্রুত নিজেকে রক্ষার্থে মঙ্গল পাণ্ডের দিকে গুলি করতে করতে এগিয়ে যান। এবার লক্ষ্যভ্রষ্ট হন বাও নিজেও। এরপর বাও নিজের তলোয়ার বের করার আগেই মঙ্গল পাণ্ডে তাঁর ওপর তলোয়ারের আঘাত হানেন। তাঁকে মাটিতে ফেলে দেন। এরপরে হিউসন নামের এক ব্রিটিশ সেনা বাওকে সেখানে থেকে সরিয়ে নিয়ে যান।

    মৃত্যুদণ্ডের কথা জানতে পেরেও শান্ত ছিলেন মঙ্গল পাণ্ডে

    এইভাবে বিদ্রোহ চলাকালীনই ব্রিটিশ সেনা বাহিনীর হাতে ধরা পড়েন মঙ্গল পাণ্ডে। তিনি সেই মুহূর্তে আত্মহত্যার চেষ্টাও করেন বলে জানা যায়। তখনই মারাত্মক আহত হয়ে পড়েন তিনি। তবে তিনি সুস্থ হতে না হতেই মাত্র এক সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে তাকে বিচারের আওতায় আনা হয়। বিচারে তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে এ কথা জেনেও বীরত্ব দেখিয়েছিলেন মঙ্গল পাণ্ডে (Mangal Pandey)। কেউ কি তাঁকে বিদ্রোহ করতে প্ররোচনা দিয়েছিল? এর উত্তরে মঙ্গল পাণ্ডে বলেন, তিনি নিজেই বিদ্রোহ করেছেন এবং তাঁকে অন্য কোনও ব্যক্তি এই কাজ করতে উৎসাহিত করেনি। অবশেষে ১৮৫৭ সালের ৮ এপ্রিল মঙ্গল পাণ্ডেকে ফাঁসি দেওয়া হয়।

    ব্রিটিশদের ষড়যন্ত্র এবং সিপাহী বিপ্লবের সূচনা

    জানা যায়, ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে হিন্দু এবং মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের যুবকরাই কাজ করতেন। এমন সময় ১৮৫৩ সালে ক্যালিবার এনফিল্ড ৫৫৭ (পি/৫৩) নামে একটি রাইফেল আমদানি করে ব্রিটিশ সরকার। উল্লেখ্য এই রাইফেলের কার্তুজ লোড করতে হলে তা প্রথমে দাঁত দিয়ে ছিঁড়ে নিতে হত। এই সময়ই গুজব রটে যায় যে কার্তুজগুলো তৈরি করা হত গরু ও শূকরের চর্বি দিয়ে। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে গরুর চর্বি এবং মুসলিমদের শূকরের চর্বিতে ছিল নিষেধাজ্ঞা। এর ফলে ভারতীয় সৈন্যরা সরাসরি এর বিরোধিতা শুরু করে। ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষকে তারা সাফ জানায়, বন্দুক ব্যবহার তারা কোনওভাবেই করতে পারবে না।

    দীর্ঘদিনের অত্যাচার ক্ষোভের সঞ্চার করে ভারতবাসীর মনে, এগিয়ে আসেন মঙ্গল পাণ্ডে (Mangal Pandey)

    প্রবল চাপের মুখে এই বন্দুক প্রত্যাহারের প্রতিশ্রুতি দেয় ব্রিটিশরা। কিন্তু গড়িমসি চলতেই থাকে। এর ফলে সিপাহীদের মধ্যে জন্মাতে থাকে প্রবল বিদ্রোহ, যা পরিবর্তিত হয় সিপাহী বিদ্রোহে। ভারতবাসীর ওপর দীর্ঘদিনের অত্যাচার, নিপীড়নের ফলে ভেতরে ভেতরে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করতে থাকে। সেই পূঞ্জীভূত ক্ষোভই ঘটিয়ে দেয় মহাবিদ্রোহ। যে বিদ্রোহের সঙ্গে মঙ্গল পাণ্ডের নাম জড়িয়ে। ১৮৫৭ সালে প্রথমবারের জন্য বিদ্রোহী হয়ে ওঠেন যে যুবক তিনি মঙ্গল পাণ্ডে।

    বৃথা যায়নি মঙ্গল পাণ্ডের আত্মবলিদান

    প্রসঙ্গত, মঙ্গল পাণ্ডের এই আত্ম বলিদান বৃথা যায়নি। যে বিদ্রোহের সূচনা তিনি করেছিলেন করেছিলেন, তা স্ফূলিঙ্গের আকারে ছড়িয়ে পড়ে ভারতের মিরাট, দিল্লি সহ বিভিন্ন অংশে। এদিকে তৎকালীন বাংলার বিভিন্ন অঞ্চল যেমন চট্টগ্রাম, সিলেট, ঢাকা, পাবনা, দিনাজপুরে এর ব্যাপক প্রভাব পরে যায়। বিদ্রোহীরা ক্যান্টনমেন্ট থেকে অস্ত্রাগার লুট করে সেখানে আগুন ধরিয়ে দেয়। এর পাশাপাশি বিভিন্ন স্থানে অত্যাচারী ব্রিটিশ পুলিশ আধিকারিকদের হত্যাও করতে থাকে বিদ্রোহীরা। পরবর্তীতে এই বিদ্রোহ দিল্লি পর্যন্ত ছড়িয়ে যায় এবং বেশ কিছুদিনের জন্য স্থায়ী হয়। তবে এই বিদ্রোহকে দমন করতে সমর্থ হয় ব্রিটিশরা।

    মঙ্গল পাণ্ডেকে নিয়ে তৈরি হয়েছে সিনেমাও

    মঙ্গল পাণ্ডের বীরত্বকে স্মরণ করে ভারতে নির্মিত হয়েছে সিনেমাও। ‘মঙ্গল পাণ্ডে: দ্য রাইজিং’ নামক সিনেমাটিতে অভিনয় করেন আমির খান। মঙ্গল পাণ্ডের জীবনের ওপর নির্মিত এই সিনেমা মুক্তি পায় ২০০৫ সালে। এ প্রসঙ্গে বলা দরকার, বীর সাভারকর সিপাহী বিদ্রোহকে ভারতের প্রথম স্বাধীনতা যুদ্ধ বলে অভিহিত করেছেন। মঙ্গল পাণ্ডের নাম ভারতের ইতিহাসে চিরকাল থেকে যাবে। কারণ, দেশের প্রথম স্বাধীনতার যুদ্ধ তিনিই শুরু করেছিলেন। তাঁর সূচনা করা বিদ্রোহ ব্রিটিশদের ভিত নাড়িয়ে দিতে সমর্থ হয়েছিল।

  • WhatsApp: গোপনীয়তা রক্ষাই লক্ষ্য, চ্যাটবক্সে আসা ছবি ও ভিডিও ফিচারে বড় বদল আনছে হোয়াট্‌সঅ্যাপ

    WhatsApp: গোপনীয়তা রক্ষাই লক্ষ্য, চ্যাটবক্সে আসা ছবি ও ভিডিও ফিচারে বড় বদল আনছে হোয়াট্‌সঅ্যাপ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্যবহারকারীর গোপনীয়তা রক্ষার্থে এবার ‘অ্যাডভান্সড চ্যাট প্রাইভেসি’ ফিচার আনছে হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp)। গোপনীয়তা রক্ষার জন্য নানা রকম ফিচার প্রায়ই এনে থাকে হোয়াট্‌সঅ্যাপ। এবার প্রাইভেসি সেটিংসে কিছু অদলবদল করছে হোয়াট্‌সঅ্যাপ। নতুন ফিচারে গ্রাহকদের নিরাপত্তা আরও বাড়বে, তেমনই দাবি করেছে মেটা। প্রথমত, ছবি ও ভিডিও পাঠানো, ডাউনলোডের পদ্ধতিতে পরিবর্তন আসছে বলে হোয়াট্‌সঅ্যাপের তরফে জানানো হয়েছে।

    অ্যাডভান্সড চ্যাট প্রাইভেসি ফিচার কী

    মেটা মালিকানাধীন মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপের এই নয়া ফিচার বহারকারীদের গোপনীয়তা আগের থেকে আরও কঠোর করবে বল মনে করছেন টেক স্যাভিরা। হোয়াটসঅ্যাপের (WhatsApp) এই ‘অ্যাডভান্সড চ্যাট প্রাইভেসি’ ফিচারের সাহায্যে, অন্য ব্যবহারকারীর সঙ্গে শেয়ার করা যেকোনও ছবি, ভিডিও বা মিডিয়া ফাইল অপর প্রান্তে থাকা সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তির গ্যালারিতে নিজে থেকে সেভ হবে না৷ ধরুন, আপনার চ্যাটে এমন কোনও ছবি বা ভিডিও এল, যা আপনি গোপনই রাখতে চান। সে ক্ষেত্রে নতুন ফিচারটি চালু করলে আপনি সেই ছবি বা ভিডিওতে ক্লিক করে কেবল সেটি দেখতে পারবেন। সেই ছবি বা ভিডিও নিজে থেকে ডাউনলোড হয়ে ফোনে জমা হবে না। আপনি যত বার খুশি সেটি খুলে দেখতে পারেন বা অন্যকে পাঠাতে পারেন, সব ক্ষেত্রেই কেবল হোয়াট্‌সঅ্যাপের চ্যাটবক্সেই থাকবে। ফোনের গ্যালারি, মিডিয়া স্টোর, মেমরি কোথাও জমা হবে না।

    কেন আনা হচ্ছে, কবে থেকে আসছে নয়া ফিচার

    গ্রাহকের ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত রাখতেই এই নয়া ব্যবস্থা আনা হচ্ছে বলে জানানো হচ্ছে। হোয়াট্‌সঅ্যাপ (WhatsApp) ভয়েস মেসেজেও এমন সুবিধা পাওয়া যাবে। মেসেজটি ক্লিক করে শোনা যাবে, তবে সেটি ফোনের মেমরিতে থাকবে না। এতে ফোনের মেমরিতে অতিরিক্ত জায়গা নষ্ট হবে না আর গ্রাহকের গোপনীয়তাও বজায় থাকবে। এছাড়াও বেশ কয়েকটি নিরাপত্তা জনিত ফিচার চালু করছে হোয়াটস্যাপ ৷ ইউজারদের নিরাপত্তার বিষয়টি বারবারই প্রাধান্য পেয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ সংস্থার কাছে। আর তাই আরও একটি নতুন সিকিউরিটি ফিচার লঞ্চ করতে চলেছে হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ। মেটা অধিকৃত ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপের অ্যান্ড্রয়েড ভার্সানে আসতে চলেছে এই সিকিউরিটি ফিচার। নতুন এই সিকিউরিটি ফিচার হোয়াটসঅ্যাপে কবে চালু হবে তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে কাজকর্ম চলছে বলে অনুমান, হয়তো আর বেশি দেরি নেই।

  • Amit Shah: জম্মু-কাশ্মীর সফরে অমিত শাহ, পরিদর্শন করলেন আন্তর্জাতিক সীমান্তের ফরোয়ার্ড পোস্ট

    Amit Shah: জম্মু-কাশ্মীর সফরে অমিত শাহ, পরিদর্শন করলেন আন্তর্জাতিক সীমান্তের ফরোয়ার্ড পোস্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মুর কাঠুয়া জেলায় ভারত-পাকিস্তান সীমান্তের (Jammu Kashmir) একটি ফরওয়ার্ড পোস্ট পরিদর্শন করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। ওই এলাকায় গত দুই সপ্তাহ ধরে পাক জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছিল ভারতীয় সেনা। সোমবার বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ জম্মু থেকে হেলিকপ্টারে হিরানগর সেক্টরে পৌঁছান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। পরে তিনি বিএসএফ আউটপোস্ট ‘বিনয়’-এ পৌঁছে পরিস্থিতি পরিদর্শন করেন।

    সীমান্ত পরিদর্শনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    ৬ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরে তিনদিনের সফরে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। সরকারি সূত্রে খবর, কেন্দ্রীয় সরকারি প্রকল্পের উন্নয়ন নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি সেখানে জনসভাও করবেন তিনি। একইসঙ্গে সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর পদস্থ কর্তাদের নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠক করবেন। বিএসএফের ডিরেক্টর জেনারেল দালজিৎ সিং চৌধুরী, জম্মু ফ্রন্টিয়ার বিএসএফের ইন্সপেক্টর জেনারেল শশাঙ্ক আনন্দ এবং জম্মু জোনের ইন্সপেক্টর জেনারেল ভীম সেন তুতি এবং জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ প্রধান নলিন প্রভাত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে উপত্যকায় স্বাগত জানান। রবিবার রাতে শাহ জম্মু পৌঁছানোর পর বিজেপি বিধায়ক ও দলের কর্মকর্তাদের সঙ্গে একটি বৈঠক করেন। প্রায় দুই ঘণ্টা ব্যাপী বৈঠক শেষে, শাহ ‘এক্স’ প্ল্যাটফর্মে লিখেছেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিজির নেতৃত্বে বিজেপি জম্মু ও কাশ্মীরের সমৃদ্ধির জন্য কাজ করে যাবে।”

    উপত্যকায় উচ্চ সতর্কতা

    স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর, ভূস্বর্গে থাকাকালীন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লার সঙ্গেও একান্তে বৈঠক করতে পারেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Amit Shah)। এই কাঠুয়াতেই (Jammu Kashmir) গত কয়েক সপ্তাহ ধরে জঙ্গি দমন অভিযান চালিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী। যদিও শাহের সফরের সঙ্গে এই অভিযানকে যুক্ত করতে রাজি নন মুখ্যমন্ত্রী আবদুল্লা। তিনি বলেন, ‘কাঠুয়ার অভিযানের সঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরের কোনও যোগ নেই। অভিযানের আগেই এই সফরের দিনক্ষণ ঠিক হয়েছিল। নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখার পাশাপাশি জম্মুতে সভা করবেন তিনি। তারপর শ্রীনগরে বেশকিছু প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন।’ উল্লেখ্য জম্মু-কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচনের পর এটি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের প্রথম সফর। তাঁর সফরের জন্য উপত্যকায় উচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

  • Stock Market Crash: রক্তাক্ত শেয়ার বাজার! চার হাজার পয়েন্ট পড়ল সেনসেক্স, কেন এমন হাল? রইল ৫ কারণ

    Stock Market Crash: রক্তাক্ত শেয়ার বাজার! চার হাজার পয়েন্ট পড়ল সেনসেক্স, কেন এমন হাল? রইল ৫ কারণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একাধিক দেশের উপরে বিরাট অঙ্কের শুল্ক চাপিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার জেরে রক্তক্ষরণ গোটা বিশ্বের শেয়ার বাজারে (Stock Market Crash)। বর্ধিত শুল্ক কার্যকর হওয়ার আগেই বিপুল অঙ্কের ক্ষতি হয়েছে ওয়াল স্ট্রিটে। ট্রাম্পের শুল্ক ঘোষণার পর থেকেই ওয়াকিবহাল মহলের আশঙ্কা ছিল ১৯৮৭ সালের ‘ব্ল্যাক মানডে’র মতোই শেয়ার বাজারে বিরাট ধস নামতে পারে। সোমবার সেই আশঙ্কাই সত্যি হতে শুরু করেছে বিশ্বের বাজারে। চিনের সাংহাই কম্পোজিট ইন্ডেক্স ৪.২১ শতাংশ পড়ে গিয়েছে। ৭ শতাংশ পড়ে গিয়েছে জাপানের নিক্কেই সূচক। দক্ষিণ কোরিয়ার কোসপির সূচক পড়েছে ৪.৮ শতাংশ। হংকংয়ের শেয়ার বাজার পড়েছে ৯ শতাংশেরও বেশি। অস্ট্রেলিয়া এবং তাইওয়ানের শেয়ার বাজার যথাক্রমে ৬ এবং ৯.৮ শতাংশ পড়েছে। শেয়ার বাজারে (Share Market) রক্তক্ষরণের একই ছবি দেখা যেতে পারে ভারত এবং আমেরিকাতেও। সবমিলিয়ে, ব্ল্যাক মানডের সেই বিপুল ধসের স্মৃতি আবারও ফিরছে বিশ্বের বাজারে।

    ভারতীয় শেয়ার বাজারে পতন

    ভারতের শেয়ার বাজারেও (Stock Market Crash) নামল ধস। সোমবার বাজার খুলতেই একধাক্কায় প্রায় চার হাজার পয়েন্ট পড়ল বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জের (বিএসই) সূচক সেনসেক্স। হাজার পয়েন্ট পড়েছে নিফটিও। বেলা গড়াতে বাজারের হাল খানিকটা ফিরলেও রক্তক্ষরণ অব্যাহত। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চড়া হারে শুল্ক চাপানোর ঘোষণা করার পরেই নিম্নমুখী ভারতের শেয়ার বাজার। লাগাতার পড়েছে সেনসেক্স-নিফটির সূচক। তবে সোমবার বড়সড় পতন হবে গোটা বিশ্বের শেয়ার বাজারে, সেই আশঙ্কা ছিলই। আশঙ্কা সত্যি করে বিরাট পতন হল শেয়ার বাজারে। সপ্তাহের শুরুতে সোমবার বাজার খুলতেই দেখা যায়, প্রায় চার হাজার পয়েন্ট পড়েছে সেনসেক্স। ৩৯৩৯.৬৮ পয়েন্ট পড়ে ৭১ হাজারের ঘরে নেমে যায় সেনসেক্স। প্রায় ৩.৯ শতাংশ পতন হয়েছে সোমবার সকালে।

    ধাক্কা নিফটি-সেনসেক্সে

    ট্রেন্ট, টাটা স্টিল, টাটা মোটরস, জেএসডব্লিউ স্টিল, শ্রীরাম ফিনান্স- একের পর এক সংস্থার শেয়ারের দাম হুহু করে পড়ছে। ৪ থেকে ৭ শতাংশ পড়ে গিয়েছে গাড়ি-আইটি সংস্থাগুলির শেয়ার। ৭ শতাংশ পড়েছে আদানি গোষ্ঠীর একাধিক সংস্থার শেয়ার। এই সময়ের মধ্যে নিফটিও ১,১৬০.৮ পয়েন্ট কমে ২১,৭৪৩.৬৫ এ পৌঁছোয়। বাজার বিশেষজ্ঞদের দাবি, ট্রাম্পের শুল্কযুদ্ধের কারণেই শেয়ার বাজারে এই রক্তক্ষরণ। শুধু দালাল স্ট্রিট নয়, রক্তাক্ত সমগ্র এশিয়ার স্টক মার্কেটই। মার্কিন শেয়ার সূচক ন্যাসড্যাক এবং ডাও জোন্স-এও বড় ধস নেমেছিল আমেরিকার প্রেসিডেন্টের শুল্ক নীতি ঘোষণার পর পরই। বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত ভারতের শীর্ষ ৩০টি সংস্থার মিলিত সূচক ২,৫০০ পয়েন্টেরও বেশি কমে। বিনিয়োগকারীদের ১৯ লক্ষ কোটি টাকা এক নিমেষে উধাও হয়ে যায় সপ্তাহের প্রথম দিনেই। বিএসই তালিকাভুক্ত শীর্ষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে টাটা স্টিল (-১০%), টাটা মোটরস (-৭.৮৬%), ইনফোসিস (-৬.৯৮%), টেক মাহিন্দ্রা (-৬.৩৬%) এবং এল অ্যান্ড টি (-৬.৪৫%)। পরে অবশ্য কিছুটা ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাজার।

    ভারতীয় শেয়ার বাজারে (Stock Market Crash) ধসের প্রধান ৫টি কারণ

    ১. বৈশ্বিক বাজারে বিক্রির প্রবণতা: বিশ্বের প্রায় সব দেশের বাজারে সোমবার ধস নেমেছে। যার মূল কারণ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বাণিজ্য নীতিতে কোনও ছাড়ের লক্ষণ না থাকা। তিনি রবিবার বলেছেন যে, শুল্ক একটি ‘ওষুধ’ হিসেবে কাজ করছে এবং তিনি আশা করছেন যে বিদেশি সরকারগুলো শুল্কের হার কমানোর জন্য ব্যাপকভাবে অর্থ প্রদান করবে। ট্রাম্প বলেছেন, “আমি চাই না কিছুই নষ্ট হোক। কিন্তু কখনও কখনও কোনও কিছু ঠিক করতে ওষুধের প্রয়োজন হয়।” এর পরিপ্রেক্ষিতে, এশিয়া, ইউরোপ এবং যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ব্যাপক ধস নেমেছে। বিশেষ করে এশিয়ায়, তাইওয়ান ওয়েটেড ১০ শতাংশ এবং নিক্কেই ৭ শতাংশ কমেছে।

    ২. শুল্ক প্রভাব: ট্রাম্প প্রশাসন ১৮০টিরও বেশি দেশের উপর ব্যাপক শুল্ক আরোপ করেছে, যা বাজারে আরও উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতের শেয়ার বাজারে এই শুল্কের প্রভাব পুরোপুরি মূল্যায়ন করা হয়নি, যার ফলে পরবর্তী সময়ে আরও পতন হতে পারে। এমকেয় গ্লোবাল বলেছে, “প্রথম ত্রৈমাসিকে ভারতের শেয়ার বাজারে আরও অবনতি হতে পারে, যদিও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্কের প্রতি ভারতের সাড়া এখনও যথেষ্ট উদ্বেগজনক।”

    ৩. বৃদ্ধির ধীর গতি: এ নিয়ে উদ্বেগ বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ট্রাম্পের শুল্কের কারণে বিশ্বব্যাপী মুদ্রাস্ফীতি বাড়বে, যা কর্পোরেট লাভ কমিয়ে দেবে এবং গ্রাহক মনোভাবকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। যেহেতু ট্রাম্প এপ্রিল ২ তারিখে পাল্টা শুল্ক আরোপ করেছেন এবং চিন ৩৪ শতাংশ শুল্ক বাড়িয়েছে, বিশ্ব অর্থনীতির উপর তার প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে। জেপি মরগান তাদের পূর্বাভাস বাড়িয়ে দিয়েছে, বলেছে যে যুক্তরাষ্ট্র ও বিশ্বের অর্থনৈতিক মন্দার ঝুঁকি ৬০ শতাংশে পৌঁছেছে।

    ৪. বিদেশি পোর্টফোলিও বিনিয়োগকারীদের (FPI) তহবিলের প্রবাহে হ্রাস: গত মাসে ভারতীয় শেয়ার বাজারে বিদেশি পোর্টফোলিও বিনিয়োগকারীরা কেনাকাটা শুরু করলেও, এপ্রিল মাসে তারা আবার শেয়ার বিক্রি করতে শুরু করেছে। এপ্রিল মাসে ১৩,৭৩০ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে, যার ফলে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে যে, যদি ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি অনুকূল চুক্তি না করতে পারে তবে বিদেশি তহবিল প্রবাহ আরও কমে যেতে পারে।

    ৫. আরবিআই মনিটরি পলিসি কমিটি (MPC): এপ্রিল ৯ তারিখে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের বৈঠক এবং চতুর্থ ত্রৈমাসিক কোম্পানি ফলাফলগুলির দিকে বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, আরবিআই সুদের হার কমাতে পারে এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর জন্য অন্যান্য পদক্ষেপ নিতে পারে। টিসিএস তার মার্চ ত্রৈমাসিক ফলাফল ১০ এপ্রিল প্রকাশ করবে। শেয়ার বাজারের ওপর এই ফলাফল প্রভাব ফেলতে পারে। ভারতীয় বাজারের পতন এবং বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের অনুমান, আগামী দিনে বাজারে আরও ঝুঁকি বাড়তে পারে, যা বিনিয়োগকারীদের জন্য উদ্বেগজনক।

    বিক্রির চাপ, সব সেক্টরে নেতিবাচক প্রবণতা

    বাজারে এমন অস্থিরতা দেখা গেছে যে, প্রতিটি সেক্টরেই নেতিবাচক প্রবণতা ছিল। ব্যাঙ্কিং, টেকনোলজি, অটোমোবাইল, ইন্ডাস্ট্রিয়াল—সবই বড় ধাক্কা খেয়েছে। এমনকি ঐতিহ্যগতভাবে নিরাপদ বলে বিবেচিত সেক্টরগুলোও বাজারের এই পতনে বাদ পড়েনি। বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক স্পষ্ট, যেহেতু কোনও সেক্টরেই ইতিবাচক সংকেত ছিল না।

    বিশ্ব বাজারেও (Stock Market Crash) ধস, ভারতের আশা

    বিশ্ববাজারে এমন পতন শুধু ভারতেই নয়, অন্যান্য বড় বাজারেও দৃশ্যমান। এমএসসিআই এশিয়া এক্স-জাপান ইনডেক্স ৬.৮% কমেছে, জাপানের নিক্কেই ৬.৫% পড়ে গেছে। এদিনের ধসের পেছনে মূল কারণ ছিল শুক্রবার ইউএস ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলের মন্তব্য। তিনি বলেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক ‘‘অপ্রত্যাশিতভাবে বড়’’ এবং এটি মার্কিন অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি এবং মূল্যস্ফীতিতে বিশাল প্রভাব ফেলবে। ড. বিজয়কুমার ভারতের জন্য কিছু আশার দিকও দেখছেন। তিনি বলেন, ‘‘আমেরিকার সঙ্গে ভারতের বাণিজ্য খুবই সীমিত, দেশের জিডিপির মাত্র ২ শতাংশের সমান, তাই ট্রাম্পের শুল্ক ভারতের অর্থনীতিতে তেমন প্রভাব ফেলবে না।’’ এছাড়াও, তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, ভারত-মার্কিন সম্পর্কের উন্নতির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তির মাধ্যমে শুল্ক কমানোর সম্ভাবনা রয়েছে। কিছু সেক্টর যেমন ফাইন্যান্স, এভিয়েশন, হোটেল, সিমেন্ট, প্রতিরক্ষা এবং ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম কোম্পানিগুলি এই সংকটের মধ্যেও তুলনামূলকভাবে ভালো পারফর্ম করবে। বিশ্ববাজারের অস্থিরতার প্রভাব ভারতীয় শেয়ার বাজারে (Share Market) বড় ধস সৃষ্টি করেছে, তবে এই পরিস্থিতি সাময়িক হতে পারে। বিনিয়োগকারীদের জন্য এখন সেরা কৌশল হল ‘ওয়েট অ্যান্ড ওয়াচ’।

LinkedIn
Share