Tag: madhyom bangla

madhyom bangla

  • Durga Puja 2025: নবদুর্গার প্রথম রূপ, নবরাত্রির প্রথম দিনেই পূজিত মাতা শৈলপুত্রী, জানুন মাহাত্ম্য

    Durga Puja 2025: নবদুর্গার প্রথম রূপ, নবরাত্রির প্রথম দিনেই পূজিত মাতা শৈলপুত্রী, জানুন মাহাত্ম্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহালয়ার অমাবস্যা তিথিতে পিতৃপক্ষের অবসান ও দেবীপক্ষের সূচনা হয়। পরের দিন, অর্থাৎ শুক্ল প্রতিপদ তিথি থেকে শুরু হয় নবরাত্রি (Navaratri 2025)। যা চলে দুর্গা নবমী পর্যন্ত। এই নবরাত্রিতে দেবী দুর্গা নয়টি ভিন্ন রূপে পূজিতা হন। নবদুর্গার (Nabadurga) এই নয়টি রূপ হল— দেবী শৈলপুত্রী (Devi Shailaputri), দেবী ব্রহ্মচারিণী, দেবী চন্দ্রঘণ্টা, দেবী কুষ্মাণ্ডা, দেবী স্কন্দমাতা, দেবী কাত্যায়নী, দেবী কালরাত্রি, দেবী মহাগৌরী এবং দেবী সিদ্ধিদাত্রী।

    নবরাত্রির প্রথম দিনেই আরাধনা করা হয় মাতা শৈলপুত্রীর (Devi Shailaputri)। নবদুর্গার (Durga Puja 2025) প্রথম রূপ মানা হয় তাঁকে। শৈলপুত্রী নামকরণের কারণ? শাস্ত্র বিশেষজ্ঞরা বলেন, পর্বতরাজ হিমালয়ের ঘরে কন্যা রূপে জন্ম নেওয়ার কারণে তাঁর নাম রাখা হয়েছিল শৈলপুত্রী। শৈলপুত্রী একটি সংস্কৃত শব্দ, যার আক্ষরিক অর্থ পর্বত কন্যা। শৈল মানে পর্বত আর পুত্রী মানে কন্যা।

    দেবী সতী ও দক্ষযজ্ঞের কাহিনি

    পৌরাণিক কাহিনি অনুসারে, একবার রাজা দক্ষ যজ্ঞ করছিলেন। সমস্ত দেবতাদের যজ্ঞ গ্রহণ করার জন্য ডাকা হলেও শিবকে সেই যজ্ঞে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। অন্যদিকে, দক্ষকন্যা সতী শুনলেন, তাঁর বাবা একটি বিশাল যজ্ঞের অনুষ্ঠান করছেন। একথা শোনা মাত্রই তিনি ওই অনুষ্ঠানে যেতে চাইলেন (Durga Puja 2025)। এরপর দেবাদিদেব মহাদেবকে নিজের ইচ্ছার কথা বললেন সতী। প্রত্যুত্তরে শিব যজ্ঞের অনুষ্ঠানে তাঁকে আমন্ত্রণ না জানানোর কথা বলেন। সতীকে সেখানে যেতেও নিষেধ করেন শিব। তবে দেবাদিদেব মহাদেবের কথা মানতে চাননি সতী। বাবার কাছে যাওয়ার তীব্র আগ্রহ দেখে ভগবান মহাদেব তাঁকে সেখানে যাওয়ার অনুমতি দেন।

    পর্বতরাজ হিমালয়ের কন্যা রূপে জন্ম নেন সতী

    সতী তাঁর বাবার বাড়িতে পৌঁছে দেখলেন যে কেউ তাঁর সঙ্গে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার সঙ্গে কথা বলছেন না। সব মানুষ মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। শুধু তাঁর মা তাঁকে স্নেহের সঙ্গে জড়িয়ে ধরেছিলেন। বোনের কথায় ছিল কটাক্ষ ও উপহাস। প্রতি মুহূর্তে শিবকে নিয়ে উপহাসও করা হতে থাকে (Durga Puja 2025)। এই সব দেখে সতী খুবই শোকাহত হয়ে পড়েন। তিনি সঙ্গে সঙ্গে সেই যজ্ঞের মধ্যে নিজেকে সমর্পণ করেন এবং পুড়ে ছাই হয়ে যান। সেই দুঃসংবাদ মহাদেব শোনামাত্রই দক্ষের যজ্ঞ পুরোপুরি ধ্বংস করে দেন। ভক্তদের বিশ্বাস, পরবর্তী জীবনে শৈলরাজ হিমালয়ের কন্যা হিসেবে জন্মগ্রহণ করেছিলেন সতী। তাই তিনি শৈলপুত্রী নামে পরিচিত। পার্বতী, হেমাবতীও তাঁর নাম।

    মাতা শৈলপুত্রীর পুজোর পদ্ধতি (Durga Puja 2025)

    শৈলপুত্রী রূপকে অত্যন্ত কোমল হৃদয় এবং দয়ালু প্রকৃতির বলে মনে করেন ভক্তরা। তাঁর পুজো করার জন্য নবরাত্রির প্রথম দিনে ব্রাহ্মমুহূর্তে উঠে স্নানকার্য সেরে, পরিষ্কার বস্ত্র পরিধান করুন। তারপর প্রথম পুজো করে গণপতিকে আবাহন করুন। শৈলপুত্রীকে (Devi Shailaputri) ষোড়শপচার পদ্ধতিতে পুজো করা হয়। পরে মায়ের পবিত্র চরণে কুমকুম নিবেদন করুন।

  • Daily Horoscope 22 September 2025: আর্থিক পরিস্থিতি মজবুত হবে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 22 September 2025: আর্থিক পরিস্থিতি মজবুত হবে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) উচ্চপদ লাভ করতে পারেন।

    ২) কিছু কাজ সম্পন্ন না-হওয়ায় মেজাজ খিটখিটে হবে, সতর্ক থাকুন।

    ৩) মায়ের তরফে ধন লাভ হতে পারে।

    বৃষ

    ১) পরিবারে সুখ-শান্তির পরিবেশ থাকবে।

    ২) পরিবারে শুভ অনুষ্ঠান আয়োজিত হতে পারে।

    ৩) বয়স্ক ব্যক্তির কাছ থেকে ধন লাভ।

    মিথুন

    ১) নিজের সন্তানের কাজ দেখে আনন্দিত হবেন।

    ২) আর্থিক পরিস্থিতি মজবুত হবে।

    ৩) চাকরি ও ব্যবসায়ে অংশীদার এবং সহকর্মীদের পূর্ণ সহযোগিতা লাভ করবেন।

    কর্কট

    ১) সন্তান সুখ বৃদ্ধি পাবে।

    ২) আত্মীয়দের কাছ থেকে বস্ত্র উপহার পেতে পারেন।

    ৩) বন্ধুদের সাহায্যে মনের হতাশা সমাপ্ত হবে।

    সিংহ

    ১) স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে হবে।

    ২) পেট খারাপ হতে পারে, বদহজমের সম্ভাবনা রয়েছে।

    ৩) খাওয়া-দাওয়ায় নিয়ন্ত্রণ রাখুন।

    কন্যা

    ১) কর্মক্ষেত্রে অতিরিক্ত পরিশ্রম করতে হবে।

    ২) আপনাদের সমস্ত কাজ সম্পন্ন হবে।

    ৩) আয় বৃদ্ধি হওয়ায় আর্থিক পরিস্থিতি মজবুত হবে।

    তুলা

    ১) কঠিন পরিস্থিতির শিকার হবেন।

    ২) আপনার ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোনও কাজ হতে পারে, এর ফলে মন অশান্ত হবে।

    ৩) পরিবারে সমস্ত কিছু ভালো থাকবে, আপনাদের মনোবল বাড়বে।

    বৃশ্চিক

    ১) আপনজনদের সহযোগিতা লাভ করবেন।

    ২) বড় কাজ সম্পন্ন হওয়ার প্রত্যাশা রয়েছে।

    ৩) কোনও অভিজ্ঞ ব্যক্তির সাহায্যে আটকে থাকা টাকা ফিরে পেতে পারেন।

    ধনু

    ১) কর্মক্ষেত্রে কঠিন পরিশ্রম করতে হবে, তখনই সাফল্য লাভ সম্ভব।

    ২) বাণী নিয়ন্ত্রণে রাখুন।

    ৩) সম্পত্তির কারণে বিবাদ হতে পারে।

    মকর

    ১) অর্থ ও যশ বৃদ্ধি পাবে।

    ২) কাজ বাড়বে।

    ৩) শত্রু ধ্বংস হবে।

    কুম্ভ

    ১) সতর্ক থাকলে কাজ সম্পন্ন হবে।

    ২) স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মতভেদ উৎপন্ন হতে পারে।

    ৩) ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন।

    মীন

    ১) বাড়িতে কোনও বন্ধু বা আত্মীয়ের আগমন হতে পারে।

    ২) সম্পত্তির মাধ্যমে আয়ের নতুন উৎস আসবে।

    ৩) রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের দিনটি ভালো।

     DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Narendra Modi: নবরাত্রি থেকেই ‘সাশ্রয়ী উৎসব’ জিএসটি চালু, বললেন প্রধানমন্ত্রী মোদি

    Narendra Modi: নবরাত্রি থেকেই ‘সাশ্রয়ী উৎসব’ জিএসটি চালু, বললেন প্রধানমন্ত্রী মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশজুড়ে সোমবার নবরাত্রি থেকেই লাগু হবে নতুন কাঠামোয় জিএসটি। দেশবাসীকে নবরাত্রি উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে এমনটাই জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। নতুন প্রজন্মের পণ্য ও পরিষেবা কার্যকর (GST tax) হবে ২২ সেপ্টেম্বর থেকে। মধ্যবিত্ত এবং সাধারণ মানুষের কথা ভেবেই সরকার এই পদক্ষেপ নিয়েছেন বলে মন্তব্য করেন মোদি। উল্লেখ্য গত ১৫ অগাস্ট স্বাধীনতা দিবসের দিনেই দিল্লির লালকেল্লা থেকে নতুন প্রজন্মের পণ্য এবং পরিষেবা করে ছাড় দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন মোদি। এবার তা কার্যকর হচ্ছে।

    ‘সাশ্রয়ী উৎসব’ জিএসটি (Narendra Modi)

    রবিবার বিকেল ৫ টায় জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়ে নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) বলেন, “দেশকে আত্মনির্ভর করা কথা ভেবে সোমবার থেকে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। দেশবাসীকে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যকে সাশ্রয়ী করা হবে। দেশের সঞ্চয় বৃদ্ধি যেমন পাবে, তেমনি খাবার সামগ্রীরও দাম কম হবে। সাধারণ মানুষ নিজের নিজের নিত্য প্রয়োজনীয় খুব সহজলভ্য হবে। অন্ন, স্বাস্থ্য পরিষেবায় বিরাট ছাড় দেওয়া হবে।” পাশাপাশি জিএসটিকে (GST tax) ‘সাশ্রয়ী উৎসব’ বলে সকল বর্গের মানুষের সুবিধার কথা রূপে মন্তব্য করেন দেশের প্রধানমন্ত্রী।

    স্বনির্ভর ভারতের স্বপ্ন পূরণ

    প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi) দেশের রাজ্যগুলিকে উৎসবমুখর দিনগুলিতে বার্তা দিয়ে বলেন, “বর্তমানে আমাদের দেশে দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন বিদেশি পণ্যে ভরে গিয়েছে। তাই এই বিদেশি পণ্য নয় স্বদেশী পণ্যের দিকে ঝোঁক বাড়াতে হবে। সকলকে মেড ইন ইণ্ডিয়ার পণ্য কিনতে হবে। প্রত্যেক বাড়িকে স্বদেশী পণ্যের প্রতীক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। প্রত্যেক রাজ্যে স্বদেশী পণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হবে। বিনিয়োগের পরিবেশ যাতে বেশি বেশি করে বৃদ্ধি পায়, সেই দিকে চেষ্টা করতে হবে। কেন্দ্র রাজ্য এক সঙ্গে এগিয়ে গেলে তবেই দেশ স্বনির্ভর ভারতের স্বপ্ন পূরণ হবে।”

    জীবন বিমা, স্বাস্থ্য বিমায় জিএসটিতে করের হার কমানো হয়েছে

    জিএসটি (GST tax) পরিষেবায় ৪টি স্ল্যাব থেকে কমিয়ে এখন মাত্র ২ টি স্ল্যাব করা হয়েছে। ৫ শতাংশ এবং ১৮ শতাংশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখা হয়েছে কর। জীবনদায়ী ওষুধের মধ্যে বেশ কিছু ওষুধকে কর মুক্ত করা হয়েছে। আবার চিকিৎসা সামগ্রীর মূল্য সাশ্রয় করা হয়েছে। কৃষিক্ষেত্রে চাষের উপকরণ, যন্ত্রপাতি এবং বীজ সংগ্রহে ট্যাক্স মুক্ত করা হয়েছে। এছাড়াও সাবান, জীবন বিমা, স্বাস্থ্য বিমায় জিএসটিতে করের হার কমানো হয়েছে। মোদি সরকার যে মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসে বিরাট ছাড় দিতে চলেছে সেই কথাও জানান প্রধানমন্ত্রী।

  • RSS: সঙ্ঘের পাঁচ পরিবর্তনে কুটুম্ব প্রবোধন ঠিক কেমন? পরিবারবোধে কী প্রয়োজন?

    RSS: সঙ্ঘের পাঁচ পরিবর্তনে কুটুম্ব প্রবোধন ঠিক কেমন? পরিবারবোধে কী প্রয়োজন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘের (RSS) পঞ্চ পরিবর্তনের মধ্যে প্রধান একটি দিক হল রাষ্ট্রের উন্নয়নে পারিবারিক জ্ঞান বা কুটুম্ব প্রবোধন। পরিবারিক মূল্যবোধ ছাড়া অর্থনৈতিক অগ্রগতির কোনও অর্থ হয় না। সুপ্রাচীনকাল থেকেই ভারত পারিবার এবং সমাজের মধ্যে বিশেষ সমন্বয়ের মধ্যে দিয়ে চলে আসছে। পরিবার, সমাজ এবং রাষ্ট্রের ভাবনায় কুটুম্ব প্রবোধন (Enlightenmentkutumb) একান্ত প্রয়োজন।

    কেন পরিবারবোধ (RSS)?

    যৌথ পরিবার (Enlightenmentkutumb), সংগঠিত পরিবার, নিরাপদ পরিবার এবং সমৃদ্ধ পরিবার হল সুখি পরিবার সুস্থ পরিবারের ভিত্তি। পশ্চিমবিশ্বের প্রভাবে ভারতীয় দেশীয় সভ্যতা, সংস্কৃতি এবং মূল্যবোধের উপর চরম প্রভাব পড়েছে। সামাজিক মাধ্যমের নানা ভারতীয় সংস্কৃতির ঐতিহ্য, পরম্পরা, সংস্কৃতির মূলে বিদেশি শক্তি বারবার আঘাত করছে। দেশীয় সংস্কৃতির ঐতিহ্য এবং মূল্যবোধকে বাঁচিয়ে রাখতে সঙ্ঘ পারিবারিক মূল্যবোধের কথা বলেছে। উত্তর প্রজন্মের কাছে পরিবারবোধ, আত্মিকতাবোধকে ভালো করে বোঝানো একান্ত প্রয়োজন। এটাই সঙ্ঘের (RSS) মন্ত্র।

    পরিবার কীভাবে ভাঙে?

    যৌথ পরিবারের ভাবনার গুণে ভারত মহৎ। কিন্তু নগরায়ন, লর্ড মেকলের শিক্ষানীতি, সামাজিক মাধ্যম আমাদের সমাজকে ভিতর থেকে ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করেছে। পরিবার থেকে মানুষকে ক্রমে ক্রমে বিছিন্ন করেছে। দাম্পত্য জীবনের অশান্তি, বিচ্ছেদ, নিউক্লিয়ার জীবন, সিঙ্গেল মা, সিঙ্গেল বাবাদের সংখ্যা ব্যাপক বেড়েছে। মানুষের পারিবারিকবোধে যে একাত্ম ভাবনা ছিল তা ধীরে ধীরে ক্ষয়িষ্ণু হয়ে পড়ছে। আর তাই সঙ্ঘ (RSS) পারিবারিকবোধের উপর জোর দিয়েছে। পরিবার (Enlightenmentkutumb) ত্যাগ করলে নানা সমস্যার উদ্ভব হয়।

    পরিবার কেন প্রয়োজন?

    ২০১৯ থেকে ২০২১ সালের এনএফএইচএস-৫-তে বলা হয়েছে একক পরিবারের অনুপাত ভারতে ৫৮.২ শতাংশ। দম্পতির মধ্যে জটিল উদ্বেগ, মানসিক চাপ, দ্বন্দ্ব, সন্তান পরিচালনা, শিশুদের নৈতিক মূল্যবোধের ক্ষেত্রে বড় প্রভাব ফলেছে। লিভ ইন সম্পর্ক সম্পূর্ণ ভাবে ব্যক্তি এবং পরিবারের জন্য ভয়াবহ। ভারতীয় সংস্কৃতিকে সম্পূর্ণ ভাবে নস্যাৎ করে। অনেক সময়েই এলজিবিটিকিউ পরিবারের সংখ্যা বৃদ্ধিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। প্রকৃতি সুলভ আচরণের সম্পূর্ণ বিপরীত সম্পর্ক। আমাদের জন্য যারা চিন্তা করে তাদের প্রতি চিন্তার অবসরকে ধ্বংস করে দেয়।

    আবার পরিবার না থাকলে একাকীত্ব, বিষণ্ণতা, উদ্বেগের প্রভাবও বেশি বেশি হয়। শিশু এবং বয়স্কদের মনে এবং শরীরে খুব প্রভাব পড়ে। নীতি-নৈতিকতার অভাব হয় পরিবারবোধ না থাকলে। তাই সঙ্ঘ (RSS) মনে করে সমাজকে নির্মাণ করতে গেলে ব্যক্তি, পরিবার, দেশ এবং রাষ্ট্রে পারিবারিকবোধ (Enlightenmentkutumb) একান্ত জরুরি।

  • ABVP: দিল্লি জয়ের পর হায়দ্রাবাদ সেন্ট্রাল বিশ্ববিদ্যালয়েও জয় অব্যাহত এবিভিপির

    ABVP: দিল্লি জয়ের পর হায়দ্রাবাদ সেন্ট্রাল বিশ্ববিদ্যালয়েও জয় অব্যাহত এবিভিপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্জাব, দিল্লি জয়ের পর এবার হায়দ্রাবাদেও গেরুয়া ঝড়। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের ছাত্র সংগঠন এবিভিপির লাগাতার জয়ে গেরুয়া শিবিরে ব্যাপক জয়ের উল্লাস। শিক্ষাক্ষেত্রে ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে দীর্ঘদিন এক চেটিয়া দখল করেছিল বাম এবং কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠনগুলি। এবার ছাত্র সংসদের নির্বাচনে হায়দ্রাবাদ কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের (HCU) ছাত্র সংসদ দখল করল অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (ABVP)। ফল প্রকাশের পর জয়ী এবিভিপি কর্মী সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ লক্ষ্য করা গিয়েছে। অপর দিকে বাম-কংগ্রেস সমর্থিত টুকরে টুকরে গ্যাং ক্রমশ আরও কোনঠাসা হওয়ার পথে।

    সভাপতি, সহ-সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক পদে জয়ী এবিভিপি

    হায়দ্রাবাদ সেন্ট্রাল বিশ্ববিদ্যালয়ে এবিভিপির (ABVP) পক্ষ থেকে ছাত্র সংসদের সভাপতি, সহ-সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, যুগ্ম সম্পাদক, ক্রীড়া সম্পাদক এবং সংস্কৃতি সম্পাদকের আসনে জয়লাভ করেছে। এবিভিপির জয়ী প্যানেলে রয়েছেন, শিব পালেপু, দেবেন্দ্র, শ্রুতি, সৌরভ শুক্লা, জ্বালা প্রসাদ এবং ভেনাস। তবে এই নির্বাচনে বামপন্থী এবং কংগ্রেস সমর্থিত ছাত্র সংগঠন এনএসইউআই-কে অত্যন্ত লজ্জাজনক ভাবে পরাজিত হয়ে হারের সম্মুখীন হতে হয়েছে। এক বিবৃতিতে এবিভিপির মুখপাত্র (HCU) অন্তরীক্ষ বলেছেন, “এই জয় শিক্ষার্থীদের জাতীয়তাবাদের প্রতি অঙ্গীকার এবং বিভেদমূলক রাজনীতিকে চ্যালেঞ্জ করার ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার প্রতীক। বামপন্থীদের তীব্র উপস্থিতি সত্ত্বেও, সমাজবিজ্ঞান বিভাগে এবিভিপির সাফল্য ব্যাপক। সমস্ত রকমের অপশক্তিকে পরাজয় করতে ছাত্রছাত্রীদের দৃঢ় সংকল্পই ফুটে উঠেছে।”

    ৮১ শতাংশেরও বেশি ভোট পড়েছিল

    জানা গিয়েছে, ছাত্র পরিষদ নির্বাচনে (HCU) এনএসইউআই নোটার চেয়ে কম ভোট পেয়েছে। তবে তেলেঙ্গানায় সরকার যেখানে কংগ্রেসের, সেখানে এই জয় এবিভিপির জন্য অত্যন্ত চ্যালেঞ্জের ছিল। বিপরীত শক্তির সরকার থাকা সত্ত্বেও সাধারণ পড়ুয়াদের জন্য মৌলিক চাহিদা এবং দাবি-দাওয়াগুলিকে নিয়ে কাজ করার ভাবনাই রাষ্ট্রবাদী শক্তিকে জয়ী করেছে বলে মনে করছেন সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের একাংশ। গত ১৯ সেপ্টেম্বর মোট ২৯টি বুথে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এই ভোটের ৮১ শতাংশেরও বেশি ভোটাররা ক্যাম্পাস উন্নয়নের জন্য ভোট প্রদান করেছিলেন। মোট ৪৫ রাউন্ড গণার পর অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (ABVP) এবং সেবালাল বিদ্যার্থী দল (এবিভিপি-এসএলভিডি) জোট মোট ৬টি পদে জয়ী হয়।

  • India-Mauritius Relations: সংস্কৃতি থেকে আধ্যত্মিক পরিসর, ভারত-মরিশাস সম্পর্ক আরও মজবুত মোদির নেতৃত্বে

    India-Mauritius Relations: সংস্কৃতি থেকে আধ্যত্মিক পরিসর, ভারত-মরিশাস সম্পর্ক আরও মজবুত মোদির নেতৃত্বে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-মরিশাস সম্পর্ক (India-Mauritius Relations) বর্তমান সময়ের প্রেক্ষিতে ভীষণ ভাবে গুরুত্বপূর্ণ। সামুদ্রিক নিরাপত্তা থেকে সাংস্কৃতিক যোগসূত্র, সবটা মিলিয়ে ক্রম বর্ধমান যুগের প্রযুক্তি ও অর্থনীতির নানা দিকে বিরাট মাত্রা পেয়েছে সম্প্রতি। গত ৯ থেকে ১৬ সেপ্টেম্বর এক সপ্তাহ ব্যাপী মরিশাসের প্রধানমন্ত্রী ড. নবীনচন্দ্র রামগুলামের ভারত সফরে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের নতুন মাত্রা পেয়ছে। তবে এই প্রধানমন্ত্রীর এটি ছিল ভারতে প্রথম সফর। তিনি নতুন দিল্লি ছাড়াও বারাণসী, অযোধ্যা, মুম্বই এবং তিরুপতি পরিদর্শন করেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও (PM Modi) দুইদেশের সম্পর্ক বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তবে তাঁর এই সফর একই সঙ্গে সাংস্কৃতিক এবং কূটনৈতিক ভাবে ভারতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

    কৌশলগত দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখা উচিত

    চলতি বছরের মার্চ মাসে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মরিশাস ভ্রমণ করেছিলেন। ঠিক তার পরেই মরিশাসের (India-Mauritius Relations) প্রধানমন্ত্রী ড. নবীনচন্দ্র রামগুলামের ভারত সফর নয়া মাত্রা যোগ করেছে। মোদি নিজের সফরের সময় ভারত-মরিশাসের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয়ে একটি উন্নত কৌশলগত এবং আঞ্চলিক সম্পর্কের উপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছিলেন। কিন্তু তার পরবর্তী সময়ে এই সম্পর্কের মাত্রা আরও মজবুত করা হয়েছে। তাই দুই দেশের সম্পর্কে এখন কৌশলগত দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখা হচ্ছে।

    জনসংখ্যার মোট ৫০ শতাংশ হিন্দু

    মরিশাস (India-Mauritius Relations) ভারত মহাসাগরে অবস্থিত একটি দ্বীপরাষ্ট্র। পূর্ব আফ্রিকার পূর্ব উপকূলের থেকে প্রায় ২০০০ কিমি দূরে অবস্থিত। ভারত থেকে প্রায় ৫০০০ কিমি দূরে মরিশাস। দেশের আয়তন মোটামুটি ভাবে ২০৪০ বর্গ কিমি। মূল দ্বীপের সঙ্গে আরও দুটি বড় বড় দ্বীপ রয়েছে। এই দেশের ২০ লক্ষ বর্গ কিমি জুড়ে বিরাট একটি আর্থিক পরিমণ্ডলের পরিসর গড়ে উঠেছে। দেশের জনসংখ্যা প্রায় সাড়ে ১২ লক্ষ। এই দেশের ৬৭ শতাংশ মানুষ ভারতীয় বংশোদ্ভূত। জনসংখ্যার মোট ৫০ শতাংশ হিন্দু। তবে জনসংখ্যা কম হলেও আর্থিক পরিসরে আফ্রিকার মধ্যে এগিয়ে থাকা দেশগুলির মধ্যে মরিশাস অন্যতম। ভারত চায় এখানেই সম্পর্ক আরও সুসঙ্গত হোক।

    ভিশন সাগর প্রকল্পের

    মরিশাসের অবস্থান ভারত মহাসাগরের ঠিক পশ্চিমে। ভারতের সঙ্গে সামুদ্রিক যোগাযোগে এই দেশের সমুদ্রপথ ভারতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) এই পরিসরের কথা ভেবেই ২০১৫ সালে ‘ভিশন সাগর’ প্রকল্পের সূচনা করেছিলেন। সামুদ্রিক সহযোগিতার মধ্যে মানবিক ত্রাণ এবং দুর্যোগ মোকাবিলার নানা বিষয়ে এই প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছিল। ভারত কোভিডের সময় এই জলপথেই নানা দেশে প্রয়োজনীয় টিকা, ঔষধ, এবং তরল অক্সিজেন পাঠিয়েছিল। ‘ভিশন সাগরে’-এর মূল উদ্দেশ্য হল ভারতের সামুদ্রিক পরিসরে শক্তিকে আরও জোরদার করা।

    বিনিয়োগের বাজার মোটামুটি ৭৫ বিলিয়ন

    মরিশাস (India-Mauritius Relations) নিয়ে কেন্দ্রের মোদি সরকারের (PM Modi) একটা বিশেষ উদার দৃষ্টিভঙ্গী রয়েছে। কারণ আফ্রিকার পূর্ব দেশগুলির সঙ্গে ভারতের বাণিজ্য এবং বিনিয়োগের জন্য এই দেশটি একটি প্রধান প্রবেশদ্বার। সেখানে ভারতীয় বেসরকারি শিল্পের সক্রিয়তা ক্রমেই ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিনিয়োগকারী সংস্থার মধ্যে রয়েছে তেল, গ্যাস, খনি, বৈদ্যুতিক শক্তি, ওষুধ, টেলি যোগাযোগ। বেসরকারি বিনিয়োগের বাজার মোটামুটি ৭৫ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছে গিয়েছে। টাটা, মহিন্দ্রা, ভারতীয় টেলিকমের বিরাট বাজার তৈরি হয়েছে আফ্রিকার দেশগুলিতে। দুটি হিন্দু প্রধান দেশের মধ্যে আভ্যন্তরীণ বাণিজ্য এবং কূটনৈতিক সম্পর্ক ভীষণ দরকার। তাই এই প্রেক্ষিতে আধ্যাত্মিক পরিসরে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের মাত্রা আরও দৃঢ় হওয়া প্রয়োজন।

    নিরাপত্তায় বেশি সক্রিয় ভারত

    গত কয়েক দশকে চিনের বিনিয়োগও পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলিতে ব্যাপক ভাবে ঘটেছে। তাই সেই দিকে বাজার নিয়ন্ত্রণে ভারত সরকারকেও নিজের পরিসরের কথা ভাবতে হচ্ছে। চিন মরিশাসের একাধিক বন্দরে নিজেদের বিনিয়োগ বাড়িয়েছে। আফ্রিকায় বৃহত্তর বিনিয়োগকারী এবং আইওআর দিয়ে পণ্য যাতায়তের কৌশল করছে। তাদের কাছে সামুদ্রিক স্বার্থে এক চেটিয়া আধিপত্য বজায় রাখতে চায় চিন। কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার এই বিষয়ে অত্যন্ত সজাগ। আর তাই চিনের তুলনায় ভারত মরিশাসের অভ্যন্তরে জলদস্যু, মাদক পাচার, অবৈধ কারবার বন্ধ এবং নিরাপত্তায় বেশি সক্রিয়। ভারতের এই অবস্থানও ভারত-মরিশাসের কৌশলকে আরও উন্নত এবং সুসংবদ্ধ করবে।

    আফ্রিকায় নতুন মাত্রা ভারতের 

    ধর্মীয় যোগসূত্রে মরিসাশ (India-Mauritius Relations) ভারতের জন্য একটি পর্যটন কেন্দ্র। দুই দেশের সম্পর্ককে আরও মজবুত করতে চায় উভয় দেশ। মরিশাসের আলগেলা দ্বীপের পরিকাঠামো উন্নয়নে চিনের থেকে আরও বেশি বেশি করে বিনিয়োগ বাড়ানোর দিকে নজর দিয়েছে ভারত। আফ্রিকার অন্য দেশের তুলনায় এই দেশের অভ্যন্তরীণ শান্তি শৃঙ্খলা অনেক বেশি অনুকূল, তাই এখানে ভারতীয় প্রবাসীদের সহযোগিতায় বিনিয়োগকারীদের পরিসরও বেশ সুরক্ষিত। জিও পলেটিকসে পশ্চিম আফ্রিকায় ভারত যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চলেছে তাও রাজনীতির একাংশের মানুষ মনে করছেন।

  • Durga Puja 2025: নামকরণ করেছিলেন প্রজাপতি ব্রহ্মা, নবরাত্রিতে দেবী দুর্গা পুজিত হন নয়টি ভিন্ন রূপে

    Durga Puja 2025: নামকরণ করেছিলেন প্রজাপতি ব্রহ্মা, নবরাত্রিতে দেবী দুর্গা পুজিত হন নয়টি ভিন্ন রূপে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রামায়ণে আছে, ভগবান শ্রীরামচন্দ্র রাবণকে বধ করার জন্য দেবী দুর্গার (Durga Puja 2025) অকাল বোধন করেছিলেন। এই নিয়ম মেনে আশ্বিন মাসে শারদীয়া দুর্গাপুজো করে থাকে গোটা বাঙালি সমাজ। কিন্তু দুর্গাপুজোর আসল সময় হল বসন্ত ঋতুতেই, যা দেবী বাসন্তীর পুজো হিসেবে পরিচিত। বাংলায় দুই পুজোই হয়ে থাকে, কিন্তু শরৎকালের পুজো হল প্রধান এবং বড় পুজো। নবরাত্রির সঙ্গে দেবী দশভূজার একটি বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে। তিথি-নক্ষত্র মিলিয়ে একই রীতিনীতির মধ্যেই পুজো করা হয়ে থাকে।

    কবে পালিত হয় (Durga Puja 2025)?

    বসন্ত ঋতুতে চৈত্র মাসে যে নবরাত্রি (Navratri) পালন করা হয়, তাতে দেবী দুর্গাকে (Goddess Durga) নয়টি অবতারে পুজো করা হয়। শরৎকালের পুজোও হয় একই ভাবে। আশ্বিন মাসের শুক্ল পক্ষের প্রতিপদ থেকে নবমী তিথি পর্যন্ত ন’দিন ধরে দেবী দুর্গার ন’টি রূপের পুজো করা হয়। শরতের এই নবরাত্রিকে শারদীয় নবরাত্রিও বলা হয়। দুর্গার এই ন’টি রূপের নামকরণ করেছিলেন প্রজাপতি ব্রহ্মা। নবরাত্রির এক একটি তিথিতে, অর্থাৎ প্রতিপদ থেকে নবমী পর্যন্ত, দেবী দুর্গা এক এক রূপে পূজিতা হন।

    দেবীর নয় রূপ

    দেবী দুর্গার ন’টি অবতার হল, দেবী শৈলপুত্রী, দেবী ব্রহ্মচারিণী, দেবী চন্দ্রঘণ্টা, দেবী কুষ্মাণ্ডা, দেবী স্কন্দমাতা, দেবী কাত্যায়নী, দেবী কালরাত্রি, দেবী মহাগৌরী, দেবী সিদ্ধিদাত্রী। তিথি মেনে টানা নয় দিন ধরে পুজো করে মায়ের কাছে বর চেয়ে অশুভ শক্তির পরাজয় এবং শুভ শক্তির জাগরণের জন্য কামনা করা হয়। সংসারের শ্রীবৃদ্ধি, অর্থধন লাভ, সন্তানদের সাফল্য, পারবারিক সুখ সমৃদ্ধি এবং নারী শক্তির জাগরণের আশায় ভক্তরা এই নবরূপে দেবী দুর্গা মায়ের পুজো করা হয়ে থাকে। এ বছর, দেবী দুর্গা (Durga Puja 2025) মা গজে চড়ে পরিবারের সঙ্গে মর্ত্যে বাপের বাড়িতে আসছেন। নবরাত্রির পর আবার দোলায় করে কৈলাসে পাড়ি দেন মা দুর্গা।

    দেবী শৈলপুত্রী

    দেবী শৈলপুত্রী হলেন হিমালয়ের কন্যা। তাঁর স্বামী হলেন ভগবান শিব। তাঁর দুই সন্তান কার্তিক এবং গণেশ। দক্ষরাজের কন্যা হলেন সতী। সতীর অপর নাম শৈলপুত্রী। এই দেবীর (Durga Puja 2025) পুজো করা হয় নবরাত্রির প্রথম দিনে।

    দেবী ব্রহ্মচারিণী

    দেবী ব্রহ্মচারিণী হলেন মা দুর্গার (Goddess Durga) দ্বিতীয় অবতার। তাঁর পুজো করা হয় নবরাত্রির দ্বিতীয় দিনে। দেবী দুর্গার তপস্যার প্রতীক হলেন দেবী ব্রহ্মচারিণী। তিনি ভগবান ব্রহ্মার মার্গের পথে সাধনা করে সিদ্ধিলাভ করে ছিলেন। এই দেবীর সাধানায় পরিবারে মঙ্গলকামনা এবং বিদ্যা-বুদ্ধির প্রাপ্তি হয়।

    দেবী চন্দ্রঘণ্টা

    দেবী চন্দ্রঘণ্টা হলেন দেবী দুর্গার (Goddess Durga) তৃতীয় রূপ। বাঘের উপর উপবিষ্ট থাকেন স্বয়ং দেবী। অসুর বিনাশিনী দেবী। তাঁর দশ হাতে পদ্ম, গদা, ত্রিশূল, তলোয়ার, তীরধনুক ইত্যাদি দশ অস্ত্রে সুসজ্জিত থাকে। দেবীর মস্তকে অর্ধচন্দ্র অবস্থান করে। তাই দেবীকে চন্দ্রঘণ্টা নামে ডাকা হয়। এই দেবী অভয়ার প্রতীক।

    দেবী কুষ্মাণ্ডা

    দেবী কুষ্মাণ্ডা হলেন চতুর্থ অবতার। এই দেবী (Durga Puja 2025) স্বয়ং ব্রহ্মাণ্ডকে সৃষ্টি করেছেন। তাঁর অনাহত চক্রে মানুষকে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী করেন। এই দেবীর আরাধনায় পারিবার সুস্থ এবং রোগমুক্ত থাকে।

    দেবী স্কন্দমাতা

    দেবী স্কন্ধ হলেন পঞ্চম অবতার। তিনি ভক্তের কাছে মুক্তি এবং শক্তির প্রতীক। তিনি এই রূপে সিংহবাহনা। ত্রিনয়নী এবং চারটি মস্তকে সজ্জিত। স্কন্দের জননী হওয়ায় তাঁকে স্কন্দমাতা বলা হয়। এই দেবীর পুজোতে অশুভ শক্তির বিনাশ হয়।

    দেবী কাত্যায়নী

    দেবী কাত্যায়নী হলেন মহিষাসুরমর্দিনী (Durga Puja 2025)। তিনি হলেন মায়ের ষষ্ঠ অবতার। সকল অশুভ শক্তিকে পরাজয় করে অসুরদের বিনাশ করে থাকেন। বৈদিক যুগে কাত্যায়ন নামে এক ঋষি ছিলেন। সেই সূত্রেই এই নামকরণ হয়েছে কাত্যায়নী।

    দেবী কালরাত্রি

    দেবী কালরাত্রি হলেন দুর্গার (Goddess Durga) সপ্তম অবতার। সব রকম রাক্ষস এবং ভূতেদের বিনাশ করে থাকেন এই দেবী। অসুর বিনাশিনী উগ্ররূপিণী রূপ অশুভ শক্তিকে স্বমূলে উৎখাত করেন।

    দেবী মহাগৌরী

    মহাগৌরী হলেন দেবীর অষ্টম অবতার। তিনি হলেন ভক্তের সমৃদ্ধি এবং সুখ প্রদানের দেবী। অর্থ সমৃদ্ধি এবং কল্যাণময় বার্তা আসে।

    দেবী সিদ্ধিদাত্রী

    সিদ্ধিদাত্রী (Durga Puja 2025) দেবী হলেন মহাসিদ্ধি প্রদানের দেবী। নবরাত্রিতে (Navratri) দেবী দুর্গার নবম অবতার এবং ভগবান শিবের পত্নী। তাঁকে সিদ্ধিদাত্রীকে বলা হয় শিবের অর্ধাঙ্গিনী হিসেবে।

  • Mahalaya 2025: মহালয়া শুভ নাকি অশুভ? জানুন এই বিশেষ অমাবস্যা তিথির তাৎপর্য

    Mahalaya 2025: মহালয়া শুভ নাকি অশুভ? জানুন এই বিশেষ অমাবস্যা তিথির তাৎপর্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহালয়া (Mahalaya 2025) মানেই বাঙালির কাছে নস্টালজিয়া। রেডিওতে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের মহিষাসুরমর্দিনী দিয়ে শুরু হয় সকাল। মহালয়ায় পিতৃপক্ষের (Pitru Paksha) অবসান হয় এবং দেবীপক্ষের (Devi Paksha) সূচনা হয়। পরের দিন অর্থাৎ প্রতিপদ থেকে শুরু হয় নবরাত্রি উদযাপন। আক্ষরিক অর্থে দুর্গাপুজোর ঢাকে কাঠি পড়ে।

    মহালয়া শব্দের উৎপত্তি

    কথিত আছে, মহালয়ার দিন অসুর ও দেবতাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছিল। তাই দিনটি হিন্দু ধর্মে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে মহালয়া শুভ না অশুভ, এনিয়ে বিস্তর মতভেদ রয়েছে। একাংশের মতে, মহান কিংবা মহত্বের আলয় থেকেই এই শব্দের উৎপত্তি। সনাতন ধর্মে বলা হয়, এই দিনে পরলোক থেকে মর্ত্যে আত্মাদের যে সমাবেশ হয়, তাকেই মহালয়া বলা হয়। আসুন জেনে নেওয়া যাক এর আসল ব্যাখ্যা।

    পুরাণ (Hindu Puranas) মতে, ব্রহ্মার বরে মহিষাসুর অমর হয়ে উঠেছিলেন। শুধুমাত্র কোনও নারীশক্তির কাছে তার পরাজয় নিশ্চিত। অসুরদের অত্যাচারে যখন দেবতারা অতিষ্ঠ, তখন ত্রিশক্তি ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও মহেশ্বর নারীশক্তির সৃষ্টি করেন। তিনিই মহামায়ারূপী দেবী দুর্গা। দেবতাদের দেওয়া অস্ত্র দিয়ে মহিষাসুরকে বধ করেন দুর্গা। এজন্যেই বিশ্বাস করা হয় যে, এই উৎসব খারাপ শক্তির বিনাশ করে শুভশক্তির বিজয়।

    মহালয়ার দিন পিতৃপুরুষদের উদ্দেশে তর্পণ করার রীতি রয়েছে। এদিনই দেবী দুর্গার চক্ষুদান হয়। মহালয়া শব্দটির অর্থ, মহান আলয় বা আশ্রম। এক্ষেত্রে দেবী দুর্গাই হলেন সেই মহান আলয়। মহালয়ার শুভ, অশুভ দুই হওয়ার পিছনেই ব্যাখ্যা রয়েছে।

    মহালয়া (Mahalaya 2025) শুভ কেন?

    অনেকেই মনে করেন, এদিন থেকেই দেবীপক্ষের সূচনা, অশুভ শক্তির বিনাশ হয়, তাই মহালয়া শুভ। দুর্গাপুজোর সূচনা হয় এই দিন। এছাড়াও হিন্দু ধর্মের যে কোনও শুভ কাজেই পিতৃপুরুষদের স্মরণ করা হয়। এছাড়াও তর্পণের বৃহত্তর অর্থ মিলন। তাই এই দিন কোনওভাবেই অশুভ হতে পারে না।

    মহালয়া অশুভ কেন?

    আবার অনেকে মনে করেন, মহালয়ার দিন পিতৃপুরুষদের উদ্দেশে জলদান করার রীতি রয়েছে। পিতৃপুরুষদের স্মরণ করার দিনকে অনেকেই শোক পালনের দিন হিসেবে পালন করে থাকেন। তাই মহালয়াকে তারা শুভ মানতে নারাজ। মহালয়া শুভ না অশুভ এই দ্বন্দ্ব চলতেই থাকবে। তব এই দিনটি দিয়েই শুরু হয় দুর্গা পুজো, বাঙালির মিলন উৎসব।

    পিতৃপক্ষ ও দেবীপক্ষ (Pitru Paksha and Devi Paksha)

    বছরের ১২ মাসে মোট ২৪টি পক্ষ রয়েছে, তার মধ্যে ২টি পক্ষ বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। এই পক্ষ দুটি হচ্ছে পিতৃপক্ষ ও দেবীপক্ষ। ভাদ্র পূর্ণিমার পরের কৃষ্ণ পক্ষকে বলা হয় পিতৃপক্ষ। এই পক্ষের অমাবস্যাকে বলা হয় মহালয়া। মহালয়ার পরের পক্ষকে বলা হয় দেবীপক্ষ। অর্থাৎ মহালয়া (Mahalaya 2025) হচ্ছে পিতৃপক্ষ ও দেবীপক্ষ (Pitru Paksha and Devi Paksha) নামক পক্ষ দুটির মিলনক্ষণ। পিতৃপক্ষ হল স্বর্গত পিতৃপুরুষের উদ্দেশে পার্বণ শ্রাদ্ধ ও তর্পণাদির জন্য প্রশস্ত এক বিশেষ পক্ষ। সনাতন শাস্ত্র মতে, সূর্য কন্যারাশিতে প্রবেশ করলে পিতৃপক্ষ সূচিত হয়।

    পিতৃপক্ষ ও দেবীপক্ষের মিলনক্ষণ মহালয়া!

    মহালয়ায় তর্পণের (Pitru Amavasya) সঙ্গে পুরাণেরও যোগ রয়েছে। মহাভারতে কর্ণ সম্পর্কে বলা হয়েছে, সূর্য-পুত্র দানধ্যান করলেও তা ছিল স্বর্ণ, রত্ন, মণিমাণিক্য। তিনি পিতৃপুরুষের পরিচয় না জানায় পূর্বপুরুষদের উদ্দেশে কখনও জল বা খাদ্য দান করেননি। কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে মৃত্যুর পর স্বর্গে গেলে খাদ্য হিসেবে তাই তাঁকে দেওয়া হয় শুধুই সোনা-রত্ন। জীবিত অবস্থায় যা দান করেছেন তারই অংশ। তখনই কর্ণকে দেবরাজ ইন্দ্র জানান, পিতৃপুরুষকে কখনও তিনি জল দেননি বলেই মৃত্যুর পরে তিনি জল পাবেন না। এই ভুল সংশোধনের জন্য এক পক্ষকাল মর্ত্যে ফিরে পিতৃপুরুষকে জল ও অন্ন দিয়ে পাপস্খলন করেন কর্ণ। সেই এক পক্ষ কালই পিতৃপক্ষ। যার শেষ মহালয়ায় (Mahalaya 2025)।

    রামায়ণে দেবীপক্ষ

    রামায়ণ অনুসারে ত্রেতা যুগে শ্রীরামচন্দ্র অসময়ে অর্থাৎ সূর্যের দক্ষিণায়ন চলার সময় দেবী দুর্গার আরাধনা করেছিলেন লঙ্কা জয় করে সীতাকে উদ্ধার করার জন্য। শাস্ত্র মতে দুর্গাপুজো বসন্তকালে হওয়াই নিয়ম। শ্রীরামচন্দ্র অকালে দুর্গাপুজো করেছিলেন বলে একে অকাল বোধন (Akal Bodhan) বলা হয়। সনাতন ধর্মে কোনও শুভ কাজের আগে প্রয়াত পূর্বপুরুষের উদ্দেশে অঞ্জলি প্রদান করতে হয়। লঙ্কা বিজয়ের আগে এমনটাই করেছিলেন শ্রীরামচন্দ্র। সেই থেকে দুর্গাপুজোর আগে মহালয়ায় তর্পণ অনুষ্ঠানের প্রথা প্রচলিত বলে মনে করা হয়। আর দেবী পুজোর এই পক্ষই হল দেবীপক্ষ (Devi Paksha)।

    দেবী দুর্গার মর্ত্যে আবির্ভাব

    শ্রীশ্রী চণ্ডীতে রাজা সুরথের কাহিনি রয়েছে। সুরথ যবনদের কাছে পরাজিত হয়ে মনের দুঃখে বনে চলে যান। সেখানেই দেখা হয় মেধা ঋষির সঙ্গে। সেখানে তিনি শোনেন মহাময়ার কাহিনি। বলা হয়, মহালয়ার দিনে তর্পণ করে সমাধি নদীর তীরে তিন বছর তপস্যার পরে দুর্গাপুজো শুরু করেন রাজা সুরথ। পিতৃপক্ষে আত্মসংযম করে দেবী পক্ষে শক্তি সাধনায় প্রবেশ করতে হয়। দেবী শক্তির আদিশক্তি, তিনি সর্বভূতে বিরাজিত। তিনি মঙ্গল দায়িনী করুণাময়ী। সাধক সাধনা করে দেবীর বর লাভের জন্য, দেবীর মহান আলয়ে প্রবেশ করার সুযোগ পান বলেই এ দিনটিকে বলা হয় মহালয়া (Mahalaya 2025)। পুরাণ মতে এই দিনেই দেবী দুর্গা মর্ত্যলোকে আবির্ভূতা হন।

  • Mahalaya: শুধুই কি পূর্বপুরুষদের জন্য? মহালয়া অমাবস্যায় তর্পণের মাহাত্ম্য অনেক বেশি

    Mahalaya: শুধুই কি পূর্বপুরুষদের জন্য? মহালয়া অমাবস্যায় তর্পণের মাহাত্ম্য অনেক বেশি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ মহালয়ার (Mahalaya) তর্পণ। পূর্বপুরুষের উদ্দেশে জলদান করার দিন। শাস্ত্র মতে, এদিন পিতৃপুরুষের উদ্দেশে জলদান করলে অক্ষয় স্বর্গলাভ হয়। শাস্ত্রের এই বিধান মেনে মহালয়ার দিন পূর্বপুরুষের উদ্দেশে জলদান করা হয়।

    কেন এই দিনে তর্পণ?

    ভাদ্র পূর্ণিমার পরবর্তী প্রতিপদ থেকে অমাবস্যা তিথি পর্যন্ত এই ১৬ দিন পিতৃপক্ষ। সেই পিতৃপক্ষের সমাপ্তি ঘটে আশ্বিনী অমাবস্যায়। যার পর শুরু হয় দেবীপক্ষ। এই অমাবস্যার দিন তর্পণ (Pitru Tarpan) করাই বিধেয়। পুরাণ অনুযায়ী, পিতৃপক্ষের সময় আমাদের প্রয়াত পূর্বপুরুষরা মর্তে আসেন তাঁদের প্রিয়জনদের সঙ্গে দেখা করার জন্য। এই সময় তাঁরা উত্তর পুরুষের হাতে জল-পিণ্ড আশা করেন। এই পক্ষে তাঁদের উদ্দেশে জল ও পিণ্ড দান করলে, তাঁরা শক্তি লাভ করেন। এটাই তাঁদের চলার পাথেয়। মহালয়া পিতৃপক্ষের শেষ দিন হওয়ায় এর বিশেষ মাহাত্ম্য রয়েছে। দেশের অনেক জায়গাতেই এই দিনটি পিতৃ অমাবস্যা, মহালয়া অমাবস্যা বা পিতৃ মোক্ষ অমাবস্যা (Pitru Tarpan) নামে পরিচিত। এদিন প্রয়াত সমস্ত পূর্বপুরুষের উদ্দেশেই শ্রাদ্ধ তর্পণ করা যায়।

    পৃথিবীর সামগ্রিক সুখের কামনায় তর্পণ (Mahalaya)

    অনেকেই মনে করেন, তর্পণ শুধুই পূর্বপুরুষদের জন্য। কিন্তু শাস্ত্র মতে তা নয়। পৃথিবীর সামগ্রিক সুখের কামনা মিশে থাকে তর্পণে। তাই তর্পণ মন্ত্রে বলা হয়, ‘তৃপ্যন্তু সর্বমানবা’। অর্থাৎ মানব সভ্যতাকে তৃপ্ত করার দিন মহালয়া। তৃপ্তি সাধনের জন্যই তর্পণ। সিংহভাগ বাঙালি তর্পণ করেন কেবল মহালয়ার দিন (Mahalaya)। এদিন নদ্যাদি জলাশয়ে গিয়ে পিতৃপুরুষের উদ্দেশে জলদান করেন তাঁরা। যাঁদের সামর্থ্য রয়েছে, তাঁরা এদিন পিতৃপুরুষের শ্রাদ্ধও করেন।

    পূর্বপুরুষের স্মরণে তর্পণ

    আসলে তর্পণ হল স্মৃতি তর্পণ। বছরের একটি দিন (Mahalaya) শাস্ত্রজ্ঞরা উৎসর্গ করেছেন পিতৃপুরুষকে স্মরণ করার জন্য। আমরা নির্দিষ্ট দিনে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মৃত্যুবার্ষিকী পালন করি। এঁদের থেকে আমাদের পূর্বপুরুষ আমাদের কাছে কোনও অংশেই কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। তাই দৈনন্দিন কাজের চাপে ভুলে যাওয়া পিতৃপুরুষকে স্মরণ করতেই শ্রাদ্ধের আয়োজন। মহালয়ার দিন এই শ্রাদ্ধ করতে পারলে পরিবারের মঙ্গল হয় বলে লোকবিশ্বাস।

    তর্পণের (Pitru Tarpan) নিয়ম

    অনেকে পিতৃপক্ষের সময় প্রতিদিন পূর্বপুরুষদের উদ্দেশে তর্পণ করেন। আবার অনেকে যে তিথিতে নিজের আত্মীয়স্বজনদের হারিয়েছেন, সেই তিথিতে ব্রাহ্মণ ভোজন করিয়ে শ্রাদ্ধ করান। পিতৃপক্ষের শেষ দিনে (Mahalaya) কোনও পবিত্র নদীতে স্নান করে তিল-জল দিয়ে তর্পণ ও পিণ্ডদান করা উচিত। ব্রাহ্মণ ভোজনের ক্ষেত্রে ব্রাহ্মণদের বাড়িতে ডেকে ভোজন করাতে পারেন ও সাধ্যমতো দান করতে পারেন। পিতৃপক্ষের শেষ দিনে ব্রহ্মচর্য পালন করা হয়। এ সময় তেল লাগানো যাবে না বা পেঁয়াজ-রসুন খাওয়া যাবে না।

  • Daily Horoscope 21 September 2025: আর্থিক সুবিধা পেতে পারেন এই রাশির জাতকরা

    Daily Horoscope 21 September 2025: আর্থিক সুবিধা পেতে পারেন এই রাশির জাতকরা

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) বাড়তি ব্যবসা থাকলে বিনিয়োগ করবেন না।

    ২) মা-বাবার সঙ্গে  বিশেষ আলোচনা হতে পারে।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    বৃষ

    ১) বুদ্ধির ভুলে ক্ষতি হতে পারে।

    ২) ব্যবসায় কর্মচারীর সঙ্গে বিবাদে যাবেন না।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    মিথুন

    ১) মনের মতো স্থানে ভ্রমণের জন্য আনন্দ লাভ।

    ২) মিথ্যা বদনাম থেকে সাবধান।

    ৩) সাবধানতা অবলম্বন করুন।

    কর্কট

    ১) কর্মক্ষেত্রে উন্নতি শেষ মুহূর্তে গিয়ে আটকে যাওয়ায় মানসিক চাপ বৃদ্ধি।

    ২) সকাল থেকে স্ত্রীর সঙ্গে বিবাদ হতে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    সিংহ

    ১) খরচ বৃদ্ধি পেতে পারে।

    ২) সপরিবার ভ্রমণে বাধা।

    ৩) সংযম রাখুন।

    কন্যা

    ১) কোনও নিকটাত্মীয়ের চক্রান্তে সংসারে বিবাদ।

    ২) ব্যবসায় লাভ বাড়তে পারে।

    ৩) দিনটি ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    তুলা

    ১) দুর্বুদ্ধির উদয় হতে পারে।

    ২) ব্যবসায় শত্রুর দ্বারা ক্ষতি হতে পারে।

    ৩) পরিস্থিতি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

    বৃশ্চিক

    ১) ব্যবসার ক্ষেত্রে তর্ক ক্ষতি ডেকে আনতে পারে।

    ২) আর্থিক সুবিধা পেতে পারেন।

    ৩) সবাই আপনার প্রশংসা করবে।

    ধনু

    ১) কর্মক্ষেত্র পরিবর্তনের সুযোগ।

    ২) আর্থিক উন্নতির জন্য খুব ভালো সময়।

    ৩) বাণীতে সংযম রাখুন।

    মকর

    ১) বিষয়সম্পত্তি কেনাবেচা নিয়ে গুরুজনের সঙ্গে মনোমালিন্য হতে পারে।

    ২) কোনও মহিলার জন্য পরিবারে আনন্দ বৃদ্ধি পেতে পারে।

    ৩) দিনটি কম বেশি ভালোই কাটবে।

    কুম্ভ

    ১) সকালের দিকে পেটের ব্যথায় কষ্ট পেতে পারেন।

    ২) কিছু কেনার জন্য খরচ বাড়তে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    মীন

    ১) সপরিবার ভ্রমণে যাওয়ার আলোচনা এখন বন্ধ রাখাই ভালো।

    ২) সম্মান নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

    ৩) গুরুজনের পরামর্শ মেনে চলুন।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

LinkedIn
Share