Tag: madhyom bangla

madhyom bangla

  • Daily Horoscope 05 July 2025: স্বপ্ন পূরণ হবে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 05 July 2025: স্বপ্ন পূরণ হবে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) আজকের দিনটি সাধারণ।

    ২) ব্যয় বৃদ্ধির ফলে মানসিক দুশ্চিন্তা থাকবে।

    ৩) পেশাগত জীবনে ছোটখাটো সমস্যা দেখা দেবে।

    বৃষ

    ১) আর্থিক পরিস্থিতি ভালো থাকবে।

    ২) পেশাগত জীবনে ব্যস্ত থাকবেন।

    ৩) পরিজনদের সঙ্গে ঘুরতে যেতে পারেন।

    মিথুন

    ১) ধন আগমনের পথ প্রশস্ত হবে।

    ২) স্টক মার্কেটে লগ্নি করবেন না।

    ৩) পেশাগত জীবনে উন্নতির একাধিক সুযোগ পাবেন।

    কর্কট

    ১) সহকর্মীদের সঙ্গে মিলে মিশে কাজ করুন।

    ২) বন্ধুদের সঙ্গে কোথাও ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করতে পারেন।

    ৩) সিঙ্গলরা প্রেমের প্রস্তাব পাবেন।

    সিংহ

    ১) আজকের দিনটি অত্যন্ত বিশেষ।

    ২) পারিবারিক জীবনে আনন্দ থাকবে।

    ৩) স্বাস্থ্য সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।

    কন্যা

    ১) পড়াশোনায় ভালো ফল করবেন।

    ২) সকলে আপনার প্রতি আকৃষ্ট হবেন।

    ৩) সম্পত্তি বিবাদ এড়িয়ে যান।

    তুলা

    ১) পরিবার ও বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে সময় কাটাবেন।

    ২) কেরিয়ারে উন্নতির নতুন সুযোগ পাবেন।

    ৩) ছাত্রছাত্রীরা পড়াশোনায় ব্যাপক সাফল্য পাবেন।

    বৃশ্চিক

    ১) আর্থিক বিষয়ে কারও ওপর চোখ বন্ধ করে ভরসা করবেন না, লোকসান হতে পারে।

    ২) আপনার স্বপ্ন পূরণ হবে।

    ৩) কেরিয়ারে উন্নতি লাভ করবেন।

    ধনু

    ১) আধিকারিকরা আপনার কাজের প্রশংসা করবেন।

    ২) চাকরিতে পদোন্নতির যোগ রয়েছে।

    ৩) ছোট ভাই-বোনের সাহায্য করতে হবে।

    মকর

    ১) পেশাগত জীবনে সমস্ত কিছু ভালো থাকবে।

    ২) আর্থিক পরিস্থিতি উন্নত হবে।

    ৩) আয় বৃদ্ধির সুবর্ণ সুযোগ পাবেন।

    কুম্ভ

    ১) পড়াশোনায় ভালো ফল পাবেন।

    ২) সামাজিক পদ-প্রতিষ্ঠা বৃদ্ধি পাবে।

    ৩) পারিবারিক জীবন আনন্দে কাটবে।

    মীন

    ১) বন্ধুদের সঙ্গে কোথাও ঘুরতে যেতে পারেন।

    ২) অবসাদ মুক্ত হবেন।

    ৩) স্বাস্থ্যের যত্ন নিন।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • PM Modi in Trinidad and Tobago: ভারতীয় শিকড়ের প্রশংসা, ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোর প্রধানমন্ত্রীকে ‘বিহারের মেয়ে’ বললেন মোদি

    PM Modi in Trinidad and Tobago: ভারতীয় শিকড়ের প্রশংসা, ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোর প্রধানমন্ত্রীকে ‘বিহারের মেয়ে’ বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আত্মিকভাবে একে অপরের সাথে যুক্ত ভারত ও ত্রিনিদাদ। ক্যারিবিয়ান এই দ্বীপপুঞ্জে ৪০ শতাংশ মানুষই ভারতীয় বংশোদ্ভূত। ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোর প্রধানমন্ত্রী কমলা প্রসাদ বিসেসারকে বিহারের মেয়ে বলে সম্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi in Trinidad and Tobago)৷ তাঁর জন্য উপহার হিসেবে সরযু নদী এবং মহাকুম্ভের পবিত্র জলও নিয়ে এসেছেন বলে জানালেন মোদি৷ পাঁচটি দেশ সফরের দ্বিতীয় ধাপে বৃহস্পতিবার ত্রিনিদাদ ও টোবাগো পৌঁছছেন ভারতের মোদি। পিয়ারকো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানান ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর প্রধানমন্ত্রী কমলা প্রসাদ-বিসেসর। তাঁকে ঘিরেই আয়োজন করা হয়েছিল এক জাঁকজমকপূর্ণ আনুষ্ঠানিক অভ্যর্থনা ও গার্ড অফ অনার।

    বিহারের মেয়ে কমলা

    ত্রিনিদাদ ও টোবাগো সফরের সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi in Trinidad and Tobago) সে দেশের প্রধানমন্ত্রী কমলা প্রসাদ-বিসেসরকে “বিহারের মেয়ে” বলে অভিহিত করেন। স্থানীয় ভারতীয় সম্প্রদায়ের উদ্দেশ্যে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, কমলা প্রসাদ-বিসেসরের পূর্বপুরুষরা বিহারের বক্সার জেলা থেকে এসেছিলেন এবং তিনিও সেই স্থান পরিদর্শন করেছেন। মোদি বলেন, “আমরা শুধু রক্ত বা পদবিতে নয়, আত্মিকভাবে একে অপরের সাথে যুক্ত। ভারত তোমাদের দিকে তাকিয়ে আছে, তোমাদের সাদরে স্বাগত জানায়। কমলা জির পূর্বপুরুষরা বিহারের বক্সার থেকে এসেছিলেন। তিনি নিজেও সেখানে গিয়েছেন। মানুষ তাঁকে বিহারের মেয়ে বলে মনে করে।” তাই কমলার জন্য মোদি উপহার হিসেবে নিয়ে গিয়েছেন মহাকুম্ভের পবিত্র জল এবং রাম মন্দিরের একটি প্রতিরূপ। প্রধানমন্ত্রী নিজের হাতে উপহার তুলে দিয়েছেন সেই দেশের প্রধানমন্ত্রী কমলা প্রসাদ বিসেসারের হাতে। এদিন কমলা প্রসাদ বিসেসারের সঙ্গে বৈঠকও করেন মোদি। এই বৈঠক দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় করবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।

    বিহার থেকে নতুন সম্ভাবনার সূচনা

    কমলা প্রসাদ-বিসেসরের রাজনৈতিক জীবন বহু ঐতিহাসিক প্রথমের সাক্ষী। ১৯৮৭ সালে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন কমলা। ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী, অ্যাটর্নি জেনারেল ও বিরোধী দলনেত্রী হন তিনি। এছাড়া তিনি কমনওয়েলথ নেশনসের প্রথম মহিলা চেয়ারপার্সন। ভারত ও উপমহাদেশের বাইরের প্রথম ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রধানমন্ত্রী তিনি। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, “বিহারের ঐতিহ্য ভারতের গর্ব, সারা বিশ্বের গর্ব… বিহার বহু শতাব্দী ধরে বিভিন্ন ক্ষেত্রে পৃথিবীকে পথ দেখিয়ে এসেছে। ২১শ শতাব্দীতেও বিহার থেকে নতুন সম্ভাবনার সূচনা হবে।” উল্লেখ্য, ২০১২ সালে বিহারের বক্সারের ভেলপুরের গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিলেন ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোর প্রধানমন্ত্রী কমলা প্রসাদ৷

    গিরমিতিয়া সম্প্রদায়ের কথা

    ত্রিনিদাদে প্রবাসী ভারতীয়দের অনুষ্ঠানে আলাদা করে গিরমিতিয়া সম্প্রদায়ের কথাও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী মোদি ৷ উনিশ ও বিশ শতাব্দীতে বিহার এবং উত্তরপ্রদেশ থেকে বহু শ্রমিককে ব্রিটেন অধীনে থাকা কয়েকটি দেশে নিয়ে গিয়েছিল ব্রিটিশরা ৷ সেই সূত্র ধরেই অন্য আরও কয়েকটি জায়গার মতো ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোয় ভারতীয়দের আসা ৷ এ প্রসঙ্গ তুলে ধরে মোদি বলেন, “প্রবাসী ভারতীয় দিবসে আমি গিরমিতিয়া সম্প্রদায়কে সম্মান জানাতে উদ্যোগ নিয়েছি ৷ তাঁদের জন্য যা যা করা দরকার সেটা আমি করেছি ৷” তাঁর মতে, এ দেশে ভারতীয় আসা এবং তারপর নিজের যোগ্যতায় দেশের উন্নতিতে সামিল হওয়ার নেপথ্যে আছে লড়াকু মানসিকতা ৷

    ভারতীয় পোশাকে স্বাগত মোদি

    প্রধানমন্ত্রী মোদি ত্রিনিদাদ ও টোবাগোতে পৌঁছনোর পর সেখানকার প্রধানমন্ত্রী কমলা প্রসাদ বিসেসার ঐতিহ্যবাহী ভারতীয় পোশাকে তাঁকে স্বাগত জানিয়েছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর এই সফরকে সম্মান জানানোর জন্য ত্রিনিদাদ ও টোবাগো তাদের সর্বোচ্চ জাতীয় পুরস্কার ‘দ্য অর্ডার অফ দ্য রিপাবলিক অফ ত্রিনিদাদ ও টোবাগো’ পুরস্কারে সম্মানিত করা হয় নরেন্দ্র মোদিকে। হোটেলে পৌঁছনোর পরে প্রবাসী ভারতীয়রা তাঁকে ‘ভারত মাতা কি জয়’ ও ‘মোদি, মোদি’ ধ্বনিতে স্বাগত জানান। এক অর্কেস্ট্রা পারফরম্যান্সের পর পরিবেশিত হয় ভজন। এই সফরের সময় প্রধানমন্ত্রী মোদি ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর রাষ্ট্রপতি ক্রিস্টিন কার্লা কাংগালুর সঙ্গেও বৈঠক করবেন। সে দেশের সংসদের যৌথ অধিবেশনে ভাষণ দেওয়ারও কথা প্রধানমন্ত্রী মোদির।

    বেনারস, পাটনা, কলকাতা ও দিল্লির নামে রাস্তা ত্রিনিদাদে

    প্রধানমন্ত্রী মোদি তাঁর ২৫ বছর আগের ত্রিনিদাদ সফরের স্মৃতিও স্মরণ করেন এবং বলেন, সেই সময় থেকে দুই দেশের বন্ধুত্ব আরও দৃঢ় হয়েছে। তিনি দুই দেশের সাংস্কৃতিক সংযোগের কথাও উল্লেখ করেন, জানিয়ে দেন ত্রিনিদাদে বেনারস, পাটনা, কলকাতা ও দিল্লির নামেও রাস্তার নামকরণ হয়েছে। মোদি বলেন, “এই দ্বীপে নবরাত্রি, মহাশিবরাত্রি ও জন্মাষ্টমী উৎসাহ, শ্রদ্ধা ও গর্বের সঙ্গে পালন করা হয়। চৌতাল ও বৈঠক গান এখানেও সমানভাবে জনপ্রিয়। আমি এখানে অনেক পরিচিত মুখ দেখতে পাচ্ছি।” বৃহস্পতিবার মোদির ত্রিনিদাদ আগমনে তাঁকে রাজকীয় অভ্যর্থনা দেওয়া হয়। পিয়ারকো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানান প্রধানমন্ত্রী কমলা প্রসাদ-বিসেসর, সঙ্গে ছিলেন ৩৮ জন মন্ত্রী ও চারজন সংসদ সদস্য। তাঁকে গার্ড অফ অনারও প্রদান করা হয়।

    ত্রিনিদাদে ভারতের ছোঁয়া

    ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর প্রায় ৪০% মানুষ ভারতীয় বংশোদ্ভূত। ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে প্রায় ৫,৫৬,৮০০ জন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মানুষ বসবাস করেন। এর মধ্যে প্রায় ১,৮০০ জন এনআরআই, বাকিরা স্থানীয় নাগরিক যাদের পূর্বপুরুষরা ১৮৪৫ থেকে ১৯১৭ সালের মধ্যে চুক্তিভিত্তিক শ্রমিক হিসেবে ভারতে থেকে সেখানে গিয়েছিলেন। যদিও ত্রিনিদাদ ও টোবাগো আয়তনে ভারতের জোধপুর থেকেও ছোট, তবুও দেশটির সংস্কৃতি ও অর্থনীতিতে ভারতীয় সম্প্রদায়ের অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাঁদের খাবার, সংগীত, ভাষা ও ধর্মীয় উৎসবে এখনও স্পষ্টভাবে ভারতীয় ঐতিহ্যের ছাপ দেখা যায়। প্রধানমন্ত্রী মোদি এদিন ঘোষণা করেন, ত্রিনিদাদ ও টোবাগোতে বসবাসরত ভারতীয় বংশোদ্ভূত ষষ্ঠ প্রজন্মকেও এবার থেকে ওভারসিজ সিটিজেন অব ইন্ডিয়া (OCI) কার্ড প্রদান করা হবে।

    ত্রিনিদাদে হিন্দুত্বের বিকাশ

    এটি প্রধানমন্ত্রী মোদির প্রথম ত্রিনিদাদ ও টোবাগো সফর এবং ১৯৯৯ সালের পর প্রথমবার কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী দ্বিপাক্ষিক সফরে এই দেশে এলেন। মোদির কথায়, “ভারত এবং ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর বন্ধুত্ব আগামী দিনে আরও ভাল জায়গায় পৌঁছক, এই কামনা করি।” ত্রিনিদাদের প্রবাসী ভারতীয়দের উদ্দেশে মোদি বলেন, “শ্রী রামের প্রতি আপনাদের বিশ্বাসের কথা জানি। ভগবান রামের পবিত্র শহর এত সুন্দর যে তার মহিমা বিশ্বজুড়ে প্রশংসিত। আমি নিশ্চিত যে আপনারা সকলেই রামলালার অযোধ্যায় প্রত্যাবর্তনকে অত্যন্ত আনন্দের সাথে স্বাগত জানিয়েছেন। আপনারা অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণের সময় পবিত্র জল এবং শিলা পাঠিয়েছিলেন, তার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।” এরপরই মোদি বলেন, “আপনারা সকলেই জানেন, এ বছরের শুরুর দিকে মহাকুম্ভ মেলা হয়েছিল ৷ আমার সৌভাগ্য আমি সেই জল আপনাদের জন্য নিয়ে আসতে পেরেছি ৷”

  • Good Mood: মেজাজ খিটখিটে! রাগ বাড়ছে! ঘরোয়া উপাদানেই মিলবে সমাধান

    Good Mood: মেজাজ খিটখিটে! রাগ বাড়ছে! ঘরোয়া উপাদানেই মিলবে সমাধান

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    দিনভর একাধিক কাজের চাপ (Work Pressure)। ঘরের দায়িত্বের পাশপাশি কর্মজীবনেও নানান জটিলতা। সবমিলিয়ে অনেক সময়েই মানসিক চাপ (Mental Stress) বাড়ছে। যার ফলে মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাচ্ছে। রাগ বাড়ছে‌। কাজের জায়গার পাশাপাশি ব্যক্তিগত জীবনেও যার সরাসরি প্রভাব পড়ছে। যার ফলে জটিলতা আরও বাড়ছে‌। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, মন ভালো (Good Mood) না থাকলে, অতিরিক্ত রাগ (Anger Attacks) বা বিরক্তি তৈরি হলে শরীরের উপরে গভীর প্রভাব পড়ে। উচ্চ রক্তচাপ, স্নায়ুর সমস্যা, স্মৃতিশক্তি হ্রাস এবং শরীরে একাধিক হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়। তাই মেজাজ ভালো (Good Mood) রাখা জরুরি। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, ঘরোয়া কিছু উপাদানই বাজিমাত করবে‌।

    মেজাজ ভালো রাখার ঘরোয়া উপাদান কী?

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, মেজাজ ভালো রাখার এবং রাগ নিয়ন্ত্রণ (Keeping Calm) করার দাওয়াই খাবারেই লুকিয়ে রয়েছে। ঠিকমতো খাবার শরীরে পৌঁছলে অনেক সময়েই এই অতিরিক্ত বিরক্তিভাব এবং রাগ নিয়ন্ত্রণ সহজ হয়ে যায়। তাঁরা জানাচ্ছেন, খাবার শুধুই পেট ভরায় না। খাবারের সঙ্গে শরীরের নানান হরমোন এবং একাধিক উপাদানের সম্পর্ক রয়েছে। যা মানসিক স্বাস্থ্যের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। তাই কয়েকটি খাবার নিয়মিত খেলেই মন শান্ত (Good Mood) রাখা সহজ হবে।

    সকালের প্রাতঃরাশ ভারি হওয়া জরুরি!

    বাড়ি থেকে কাজে বেরোনোর আগে প্রাতঃরাশ জরুরি। আর সেটা অবশ্যই ভারি প্রাতঃরাশ হতে হবে। এমনটাই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, কাজের তাড়া থাকায় অনেকেই খুব হালকা সামান্য খাবার খেয়ে বেরিয়ে পড়েন। আর সারাদিনের কাজের উপরে এর গভীর প্রভাব পড়ে। বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, সকালের প্রাতঃরাশ প্রোটিন, ভিটামিন, কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত। একসঙ্গে প্রোটিন-ভিটামিন-কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার খেলে, তা ধীরে ধীরে হজম হয়। পেট দীর্ঘসময় ভর্তি থাকে। শরীরে রক্তচাপ এবং শর্করার পরিমাণও নিয়ন্ত্রণ থাকে। ফলে মেজাজ ভালো থাকে। পুষ্টিবিদদের একাংশের পরামর্শ, প্রাতঃরাশের মেনুতে রুটি কিংবা স্যান্ডউইচের সঙ্গে সব্জি থাকা জরুরি। এতে শরীরে কার্বোহাইড্রেট এবং ভিটামিন পৌঁছবে। তার সঙ্গে অবশ্যই সোয়াবিন, পনীর কিংবা ডিমের মতো প্রোটিন জাতীয় একটি পদ থাকা দরকার। তাহলে শরীর পর্যাপ্ত এনার্জি পাবে। এতে বিরক্তিভাব কমবে। মন শান্ত থাকবে।

    দিনভর সঙ্গী হোক বাদাম ও বীজ!

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, বাদাম ও বীজ জাতীয় খাবার মন ভালো রাখতে সাহায্য করে। স্নায়ু সক্রিয় থাকলে, মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়লে বিরক্তিভাব কমে। মেজাজ খিটখিটে হয় না। তাই সকালে ভারি খাবার খেয়ে বেরনোর সময় সঙ্গী হোক বাদাম ও বীজ জাতীয় খাবার। অর্থাৎ দিনের যেকোনও সময় কিছুটা বাদাম ও বীজ জাতীয় খাবার খেলে মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকে। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, কাজুবাদাম, কাঠবাদাম, পেস্তা যেকোনও ধরনের বাদামের পাশপাশি সূর্যমুখীর বীজ, তিল কিংবা কুমড়োর বীজ খেলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ে। যা মেজাজ ভালো (Good Mood) রাখতে সাহায্য করে।

    আপেল, বেদানার মতো ফল নিয়মিত থাকুক!

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ভরপুর খাবার মন ভালো রাখতে বিশেষ সাহায্য করে। তাঁরা জানাচ্ছেন, আপেল, বেদানা, কিউই জাতীয় খাবার নিয়মিত খেলে তাই মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকে। রাগ কমে।

    প্রোটিন মন শান্ত করতে সাহায্য করে!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শরীরের এনার্জির সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের ওতোপ্রোত সম্পর্ক রয়েছে। তাই শরীর সুস্থ থাকলে, এনার্জিতে ভরপুর থাকলে রাগ ও বিরক্তি কম (Keeping Calm) হয়। না হলেই মেজাজ হারানোর ঝুঁকি বেশি থাকে। তাই তাঁদের পরামর্শ, নিয়মিত মেনুতে প্রোটিন জাতীয় খাবার জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত ডিম, মাছ কিংবা মাংসের মতো পদ মেনুতে থাকলে শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি হবে না। এর প্রভাব মানসিক স্বাস্থ্যের উপরেও পড়বে। বিরক্তিভাব কমবে।

    তুলসী পাতা দেওয়া চা বাড়তি উপকারি!

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, মন ভালো (Good Mood) রাখতে দিনে অন্তত একবার তুলসী পাতা দেওয়া চা খাওয়া উচিত। তাঁরা জানাচ্ছেন, তুলসী পাতা দেওয়া চা খেলে শরীরে কোর্টিসোল হরমোনের মাত্রা বজায় থাকে। এর ফলে মানসিক চাপ কমে। তাই নিয়মিত অন্তত একবার তুলসী পাতা দেওয়া চা খেলে শরীর ও মন সুস্থ থাকবে। কারণ, তুলসী পাতা শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়িয়ে তোলে। নানান সংক্রামক রোগের ঝুঁকিও কমায়।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • India England 2nd Test: শুভমনের দ্বিশতরান, ছাপিয়ে গেলেন সচিন-কোহলিকে! যোগ্য হাতেই ভারতের টেস্ট ক্রিকেটের ব্যাটন

    India England 2nd Test: শুভমনের দ্বিশতরান, ছাপিয়ে গেলেন সচিন-কোহলিকে! যোগ্য হাতেই ভারতের টেস্ট ক্রিকেটের ব্যাটন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এজবাস্টনে ইতিহাস লিখলেন শুভমন গিল (Shubman Gill)। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে (India England 2nd Test) তাঁর ২৬৯ রানের ইনিংসে ভর করে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে ৫৮৭ রান করল ভারত। ১৮ বছর পর আবার ইংল্যান্ডের মাটিতে টেস্টে এক ইনিংসে ৫০০ রানের বেশি করল ভারত। একের পর এক নজির গড়লেন ভারত অধিনায়ক। ছাপিয়ে গেলেন সুনীল গাভাসকর, শচিন তেন্ডুলকর, বিরাট কোহলিদের। প্রায় সাড়ে আট ঘণ্টা ক্রিজে থেকে এজবাস্টনে প্রথম ইনিংসে একাই প্রায় ৬৫ ওভারের বেশি ব্যাট করে ফেলেছেন শুভমন গিল।

    শুভমনের নজির

    ভারতীয় অধিনায়কদের মধ্যে টেস্টে সর্বাধিক রানের ইনিংস খেললেন শুভমন। এর আগে সেই রেকর্ড ছিল কোহলির দখলে। তিনি ২০১৯ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে অপরাজিত ২৫৪ রান করেছিলেন। শুভমনই এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে প্রথম অধিনায়ক যিনি ইংল্যান্ডের মাটিতে দ্বিশতরান করেছেন। এর আগে শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক তিলকরত্নে দিলশান ইংল্যান্ডের মাটিতে ১৯৩ রান করেছিলেন। ইংল্যান্ডের মাটিতে ভারতীয় ব্যাটারদের মধ্যে সর্বাধিক রান করলেন শুভমন। এত দিন সেই রেকর্ড ছিল সুনীল গাভাসকরের দখলে। ১৯৭৯ সালে ওভালে ২২১ রান করেছিলেন তিনি। ৪৬ বছর পুরনো রেকর্ড ভেঙেছেন শুভমন। এশিয়ার বাইরে ভারতীয় ব্যাটারদের মধ্যে সর্বাধিক রান করেছেন শুভমন। এত দিন এই রেকর্ড ছিল সচিনের দখলে। ২০০৪ সালে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে ২৪১ রান করেছিলেন তিনি। ২১ বছর পর এজবাস্টনে ভাঙল সেই রেকর্ড।

    শক্ত হাতে ভারতীয় ক্রিকেট

    ত্রিশতরান হাতছাড়া হলেও কঠিন পরিস্থিতিতে যে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে ভালবাসেন, তা বুঝিয়ে দিলেন শুভমন গিল। তাঁর হাতে দলের ব্যাটন তুলে দিয়ে বিসিসিআই যে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা-ও বুঝিয়ে দিলেন আইপিএলে গুজরাট-টাইটান্সের ক্যাপ্টেন। গত ৫০ বছরে টেস্টে ভারতীয় ক্রিকেটের ব্যাটন বদলেছে। সুনীল গাভাসকরের কাছ থেকে পেয়েছিলেন শচিন তেন্ডুলকর। দুই দশকের বেশি সময় ধরে তিনি সেই দায়িত্ব সামলেছেন। নিজের চার নম্বর জায়গা তিনি ছেড়ে গিয়েছিলেন কোহলিকে। শচিনের মান রেখেছেন কোহলি। শুধু ব্যাটার হিসেবে নয়, অধিনায়ক হিসেবে নিজেকে আরও উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। কোহলির ছেড়ে দেওয়ার চার নম্বর জায়গা মাত্র দুই টেস্টেই নিজের করে নিয়েছেন শুভমন। মাত্র দুই টেস্টেই তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন, শক্ত হাতে রয়েছে ভারতের টেস্ট ক্রিকেট।

    কোন রসায়নে সাফল্য

    শুভমন যখন ১৯৯ রানে খেলছেন তখনও তাঁকে বাউন্সার করেন জশ টং। তাতে শুভমনের কোনও সমস্যা হয়নি। ফাইন লেগে পুল মেরে নিজের প্রথম দ্বিশতরান করেছেন তিনি। তার পরেও থামেননি। শেষ পর্যন্ত থেমেছেন ২৬৯ রানে। তাঁর ইনিংসে ছিল ৩০টি চার ও তিনটি ছক্কা। ধুম-ধারাকা আইপিএলের পর ক্লাসিকাল ক্রিকেটে ধ্রুপদী ইনিংস। শুভমন বলেন, ‘আমাদের দল ভাল জায়গায় আছে। আমি কয়েকটা দিক নিয়ে পরিশ্রম করেছিলাম। আইপিএল শেষ হওয়ার পর বিশেষ প্রস্তুতি নিয়েছিলাম যা টেস্ট ক্রিকেটের আগে খুব জরুরি ছিল। এখনও পর্যন্ত যা দেখছি, সেগুলো আমাকে সাহায্য করেছে।’

    মুগ্ধ ইংল্যান্ডও

    শুভমনের ইনিংস দেখে উচ্ছ্বসিত ইংল্যান্ড শিবিরও। মুগ্ধতার ছবিটা কেমন? প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ দিনের শেষ বলটা করতেই ব্যাট বগলদাবা করে ড্রেসিংরুমের দিকে হাঁটা শুরু করলেন হ্যারি ব্রুক। অপর অপরাজিত ব্যাটার জো রুটকে দেখা গেল উল্টো দিকে হাঁটা দিলেন। তিনি এগিয়ে গেলেন শুভমন গিলের দিকে। করমর্দন করলেন ভারতের অধিনায়কের সঙ্গে। ইংল্যান্ড তো বটেই, বর্তমান বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম সেরা ব্যাটার অভিনন্দন জানাতে এগিয়ে যাচ্ছেন, এটাই শুভমনের ইনিংসের সার্থকতা।

    অ্যাডভান্টেজ ভারত

    এজবাস্টনে শুভমনের সামনে অসহায় দেখিয়েছে ইংরেজ বোলিংকে। এখানকার পাটা উইকেটে ২১১ রানে ৫ উইকেট পড়ে গিয়েছিল ভারতের। শুভমন জানতেন, অন্তত ৪০০ রান করার লক্ষ্য ছিল তাঁর। শুভমনকে সাহায্য করলেন রবীন্দ্র জাদেজা। তিন বছর আগে এই মাঠেই শতরান করেছিলেন জাদেজা। তিনি ভাল খেললেন। দু’জনের মধ্যে ২০৩ রানের জুটি হল। তাতে চাপ অনেক কমে গেল শুভমনের উপর। জাদেজা আউট হওয়ার পর শুভমনের ঢাল হয়ে দাঁড়ালেন ওয়াশিংটন সুন্দর। ইংল্যান্ড ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায়। বাংলার পেসার আকাশ দীপ পরপর দুই বলে দুই উইকেট তুলে নিয়ে ইংল্যান্ডকে ব্যাকফুটে ঠেলে দেন। তৃতীয় ওভারে দুই উইকেট খুইয়ে ইংল্যান্ড যখন ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছিল, তখন আবার মহম্মদ সিরাজ বাধা হয়ে দাঁড়ান। অপর ওপেনার ক্রলিকে ফেরান তিনি। মাত্র ২৫ রানে তিন উইকেট খুইয়ে বসে ইংরেজ বাহিনী। এরপর জো রুট ও হ্যারি ব্রুক ম্যাচের হাল ধরেন। শেষ পর্যন্ত ইংল্যান্ডের ৩ উইকেটে ৭৭ রানে শেষ হয় দ্বিতীয় দিনের খেলা। ম্যাচের যা পরিস্থিতি তাতে বলাই যায়, অ্যাডভান্টেজ টিম ইন্ডিয়া।

  • Prant Pracharak Baithak: আজ থেকে শুরু আরএসএস-এর অখিল ভারতীয় প্রান্ত প্রচারক বৈঠক, কী কী নিয়ে আলোচনা?

    Prant Pracharak Baithak: আজ থেকে শুরু আরএসএস-এর অখিল ভারতীয় প্রান্ত প্রচারক বৈঠক, কী কী নিয়ে আলোচনা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ থেকে দিল্লিতে বসছে তিনদিনব্যাপী রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS) অখিল ভারতীয় প্রান্ত প্রচারক বৈঠক (Prant Pracharak Baithak)। দিল্লিতে আরএসএস-এর ভবন কেশব কুঞ্জে অনুষ্ঠিত হবে এই বৈঠক। এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন সরসংঘচালক ডঃ মোহন ভাগবত, সরকার্যবাহ দত্তাত্রেয় হোসাবলে। উপস্থিত থাকবেন সকল সহ-সরকার্যবাহ, কার্যবিভাগের প্রধান এবং আরএসএস-অনুপ্রাণিত ৩২টি সংগঠনের অখিল ভারতীয় সংগঠন সম্পাদক। এছাড়া দেশের সমস্ত প্রান্ত প্রচারক (Prant Pracharak Baithak), সহ-প্রান্ত প্রচারক এবং ক্ষেত্র প্রচারক এবং সহ-ক্ষেত্র প্রচারকরা হাজির থাকবেন বলে জানা গিয়েছে। বর্তমানে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS) গঠন অনুযায়ী ১১টি ক্ষেত্র এবং ৪৬টি প্রান্ত রয়েছে। এই সমস্ত ক্ষেত্রীয় প্রচারক ও প্রান্ত প্রচারকরা বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন।

    কী নিয়ে আলোচনা হবে?

    ২০২৫ সালের মার্চ মাসে অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি সভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেই বৈঠকে একাধিক সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়, বিশেষ করে সংঘের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ শিবির নিয়ে। পরবর্তীকালে সেই শিবিরগুলি অনুষ্ঠিত হয় এপ্রিল, মে ও জুন মাসে। এরপরেই, প্রতিনিধি সভায় নেওয়া সিদ্ধান্তগুলি কতটা বাস্তবায়িত হয়েছে এবং আগামী বর্ষে সংঘের কর্মসূচি কী হবে, তা স্থির করতেই এই বৈঠক (Prant Pracharak Baithak) অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গিয়েছে। সংঘের তরফে জানানো হয়েছে, বৈঠকে মূলত সাংগঠনিক বিষয়গুলির উপর আলোকপাত করা হবে। এটি কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণ সভা নয়। আলোচনাগুলি বিভিন্ন প্রান্তে সাংগঠনিক কাজের অগ্রগতি এবং অভিজ্ঞতার চারপাশে আবর্তিত হবে।

    ২ অক্টোবর শতবর্ষে পা দিচ্ছে আরএসএস (RSS)

    প্রসঙ্গত, চলতি বছরে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ ১০০ বছরে পা দিচ্ছে। ১৯২৫ সালের বিজয়া দশমীতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এই সংগঠন। চলতি বছরে বিজয়া দশমী পড়েছে ২ অক্টোবর। শতবর্ষ উপলক্ষে আরএসএস (RSS) একাধিক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে, এই বিষয়েও আলোচনা হবে বৈঠকে। অখিল ভারতীয় প্রচার প্রমুখ সুনীল অম্বেকর জানান, এই সভার মূল লক্ষ্য হল শতাব্দী বর্ষ (শতবর্ষ)। সমস্ত প্রান্ত প্রচারক এবং ক্ষেত্র প্রচারকরা নিজ নিজ রাজ্যে পরিকল্পনা প্রস্তুত করেছেন। সেই রিপোর্ট জমা পড়বে। যা বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হবে। সভার (Prant Pracharak Baithak) পরে এই সম্পর্কিত তথ্য প্রকাশ করা হবে।

    বিভিন্ন কার্যবিভাগের কার্যকারিতা নিয়েও আলোচনা

    মার্চ থেকে সারা দেশে ১০০টি প্রশিক্ষণ শিবির পরিচালিত হয়েছে। এর মধ্যে ৭৫টি ৪০ বছরের কম বয়সি স্বয়ংসেবকদের জন্য এবং ২৫টি ৪০ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে বয়সিদের জন্য। এই প্রশিক্ষণ শিবিরগুলির সময়, সেবা বিভাগ (পরিষেবা বিভাগ) সহ বিভিন্ন কার্য বিভাগগুলি বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রদান করে। এর পাশাপাশি, স্বয়ংসেবকরা স্থায়ী প্রকল্পের (স্থায়ী সেবা প্রকল্প) সঙ্গেও জড়িত এবং দুর্যোগের সময় ত্রাণ কাজে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে। উদাহরণস্বরূপ, তারা পুরী জগন্নাথ রথযাত্রা এবং আমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনার সময় উদ্ধারকার্যে এগিয়ে এসেছিলেন। সভায় বিভিন্ন কার্যবিভাগের কার্যকারিতা নিয়েও আলোচনা করা হবে। প্রশিক্ষণ শিবিরগুলি কীভাবে অনুষ্ঠিত হল (RSS), কত জন অংশগ্রহণ করেছেন এবং আগামী পরিকল্পনাগুলি কী কী, সেইসব বিষয়ে আলোচনা হবে বৈঠকে।

    শতাব্দী বর্ষে বছরব্যাপী উৎসব নিয়ে আলোচনা

    ২ অক্টোবর নাগপুরে বিজয়াদশমী উৎসবের মাধ্যমে সরসংঘচালক মোহন ভাগবতের উপস্থিতিতে শতাব্দী বর্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে। এরই ধারাবাহিকতায় পুরো এক বছর চলবে শতাব্দী বর্ষের অনুষ্ঠান। একই দিনে, সারা দেশে শাখা, মণ্ডল এবং বস্তি (ইউনিট, সার্কেল এবং স্থানীয়) স্তরে উদযাপন করা হবে। স্বয়ংসেবকরা একটি গৃহ যোগাযোগ অভিযান (ঘরে-ঘরে যোগাযোগ অভিযান) পরিচালনা করবেন, যেখানে তারা বাড়ি বাড়ি যাবেন, সংঘ সাহিত্য (আরএসএস সাহিত্য) বিতরণ করবেন এবং আলোচনা করবেন।

    সারা দেশে নগর/খণ্ড (বিভাগ) স্তরে, সামাজিক সদ্ভাব বৈঠক (সামাজিক সম্প্রীতি সভা) আয়োজন করা হবে। সমাজের বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষ একত্রিত হয়ে সামাজিক কুফল দূর করে এবং সম্প্রীতি ও ঐক্য গড়ে তোলার বিষয়ে আলোচনা করবেন। এছাড়াও, জেলা কেন্দ্রগুলিতে (জেলা কেন্দ্রগুলিতে), প্রধান নাগরিক গোষ্ঠী (বিশিষ্ট নাগরিক সেমিনার) অনুষ্ঠিত হবে। এই সমাবেশগুলিতে হিন্দুত্ব, জাতীয় স্বার্থ এবং ভবিষ্যতের ভারতের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আলোচনা করা হবে। শতাব্দী বর্ষ উপলক্ষে যুবসমাজের অংশগ্রহণের উপর জোর দিয়ে বিশেষ কর্মসূচিও আয়োজন করা হবে।

    আরএসএস (RSS) নিয়ে যুবসমাজে উৎসাহ

    অম্বেকর বলেন, সংঘ সম্পর্কে জানতে এবং তাদের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের জন্য সমাজে কৌতূহল এবং উৎসাহের এক দৃশ্যমান ঢেউ দেখা যাচ্ছে। বিপুল সংখ্যক যুবক-যুবতী সংঘে যোগদানের আগ্রহ প্রকাশ করছেন। এই বছরের প্রশিক্ষণ বর্গে উল্লেখযোগ্যভাবে যুবসমাজের অংশগ্রহণ লক্ষ্য করা গিয়েছে। তাছাড়া, এপ্রিল থেকে জুনের মধ্যে, “জয়েন আরএসএস” প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ২৮,৫৭১ জন অনলাইনে নাম নথিভুক্ত করেছেন।

  • Daily Horoscope 04 July 2025: ব্যবসায় মুনাফা বৃদ্ধি পাবে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 04 July 2025: ব্যবসায় মুনাফা বৃদ্ধি পাবে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) বিলাসিতার কারণে খরচ বাড়তে পারে।

    ২) বাড়িতে বিবাদের জন্য মনঃকষ্ট।

    ৩) পুরনো বন্ধুর সঙ্গে দেখা হতে পারে।

    বৃষ

    ১) অতিরিক্ত কাজের চাপে ক্লান্তি বোধ।

    ২) সন্তানের জন্য সম্মান নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা।

    ৩) ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    মিথুন

    ১) ধর্ম সংক্রান্ত ব্যাপারে তর্কে জড়াতে পারেন।

    ২) মা-বাবার সঙ্গে সামান্য কারণে তর্ক হতে পারে।

    ৩) সবাই আপনার প্রশংসা করবে।

    কর্কট

    ১) কর্মস্থানে সহকর্মীদের বিরোধিতা আপনাকে চিন্তায় ফেলবে।

    ২) বুদ্ধির ভুলের জন্য চাপ বৃদ্ধি।

    ৩) ধৈর্য ধরতে হবে।

    সিংহ

    ১) ব্যবসায় মুনাফা বৃদ্ধি পাবে।

    ২) ঋণমুক্তির সুযোগ পাবেন।

    ৩) বাণীতে সংযম রাখুন।

    কন্যা

    ১) প্রেমে নৈরাশ্য থেকে মানসিক চাপ বৃদ্ধি পেতে পারে।

    ২) প্রতিবেশীর অশান্তির দায় আপনার কাঁধে চাপতে পারে।

    ৩) দুশ্চিন্তা বাড়বে।

    তুলা

    ১) সকালের দিকে বন্ধুদের দ্বারা বিব্রত হতে পারেন।

    ২) শরীরে ব্যথা-বেদনা বৃদ্ধি পাবে।

    ৩) কর্মক্ষেত্রে বাধা।

    বৃশ্চিক

    ১) ভ্রমণে গিয়ে শরীর খারাপ হওয়ার আশঙ্কা।

    ২) প্রেমের প্রতি ঘৃণাবোধ।

    ৩) সবাইকে বিশ্বাস করবেন না।

    ধনু

    ১) প্রেমের ব্যাপারে অতিরিক্ত আবেগ প্রকাশ করবেন না।

    ২) শরীরে ক্ষয় বৃদ্ধি।

    ৩) ডাক্তারের কাছে যেতে হতে পারে।

    মকর

    ১) বাড়তি কিছু খরচ হতে পারে।

    ২) বৈরী মনোভাবের জন্য ব্যবসায় শত্রু বৃদ্ধি পাবে।

    ৩) আধ্যাত্মিকতায় মনোনিবেশ করুন।

    কুম্ভ

    ১) আপনার বিষয়ে সমালোচনা বৃদ্ধি পাবে।

    ২) সকালের দিকে একই খরচ বার বার হবে।

    ৩) কর্মক্ষেত্রে বাধা।

    মীন

    ১) রক্তাল্পতায় ভুগতে পারেন।

    ২) বাইরের লোকের জন্য দাম্পত্য কলহ।

    ৩) ভেবেচিন্তে কথা বলুন।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Photonic Radar: আর অদৃশ্য নয় শত্রুর স্টেলথ বিমান, যুগান্তকারী ‘ফোটনিক রেডার’ তৈরি করল ভারত, কী বিশেষত্ব?

    Photonic Radar: আর অদৃশ্য নয় শত্রুর স্টেলথ বিমান, যুগান্তকারী ‘ফোটনিক রেডার’ তৈরি করল ভারত, কী বিশেষত্ব?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেডার প্রযুক্তিতে বিরাট লাফ দিতে চলেছে ভারত। দেশের প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা (ডিআরডিও) এমন একটি সর্বাধুনিক প্রযুক্তির রেডার তৈরি করেছে, যা ভারতের প্রতিরক্ষা ক্ষমতার সংজ্ঞা নতুন করে লিখবে। আর এই বৈল্পবিক প্রযুক্তি সম্পন্ন রেডারের নাম হল ‘ফোটনিক রেডার’ (Photonic Radar)। এটি তৈরি করেছে ডিআরডিও (DRDO) অধিনস্থ সংস্থা ইন্সট্রুমেন্ট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট এস্ট্যাবলিশমেন্ট (আইআরডিই)। সবকিছু পরিকল্পনামাফিক হলে, শীঘ্রই হবে এর পরীক্ষা। তার পর আগামী এক-দুই বছরের মধ্যে বিভিন্ন যুদ্ধবিমানে মোতায়েন করার কাজ শুরু হবে।

    এই ফোটনিক রেডার ঠিক কী?

    সাধারণত, ভারত সহ সবকটি উন্নত দেশ যে রেডার বর্তমানে ব্যবহার করে, তা হল এইএসএ প্রযুক্তির। পুরো অর্থ অ্যাকটিভ ইলেকট্রোনিক্যালি স্ক্যানড্ অ্যারে। এই ধরনের রেডারগুলি ইলেকট্রনিক পদ্ধতি মেনে কাজ করে। এই সব রেডারে ইলেকট্রনিক সিগন্যালের মাধ্যমে বস্তুকে ট্র্যাক করা হয়। কিন্তু, ফোটনিক রেডার (Photonic Radar) এখানে সবার চেয়ে আলাদা। এটি কোনও সাধারণ রেডার নয়। এটি এমন এক প্রযুক্তি যা ইলেকট্রনিকের বদলে ফোটনিক ব্যবহার করে। অর্থাৎ এতে ইলেকট্রনিক সিগন্যালের পরিবর্তে আলো (লেজার বা অপটিক্যাল সিগন্যাল) ব্যবহার করা হয়, যার ফলে এই রেডার বহু গুণ বেশি শক্তিশালী, দ্রুত ও নির্ভুল।

    কীভাবে কাজ করে ফোটনিক রেডার?

    বর্তমান রেডার সিস্টেমগুলি বস্তু সনাক্ত করার জন্য রেডিও ওয়েভ বা বেতার তরঙ্গ নির্গত করে কাজ করে। তবে, এই সিস্টেমগুলি স্টেলথ বিমান সনাক্তকরণে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়। কারণ, স্টেলথ বিমানগুলির শরীরে এমন বিশেষ ধরনের কোটিং করা থাকে, যা রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি (আরএফ) সংকেত এড়াতে বা শোষণ করতে সক্ষম। ফলে, তরঙ্গগুলি রেডারে ফিরে আসে না। যার জেরে, রেডারে বিমানগুলি ধরাও পড়ে না। অন্যদিকে, ফোটনিক রেডারগুলি আলোক বা লেজার তরঙ্গ বিকিরিত করে। অর্থাৎ, বর্তমান সার্কিটের বদলে এখানে ব্যবহৃত হয় লাইট-ভিত্তিক উপাদান। এই লেজার তরঙ্গ বা ওয়েভ সংকেতগুলি উচ্চ নির্ভুলতার সঙ্গে পঞ্চম প্রজন্মের স্টিলথ যুদ্ধবিমানগুলিও সনাক্ত করতে সক্ষম।

    ফোটনিক রেডারে সিগন্যাল তৈরি হয় লেজার লাইটের মাধ্যমে। এখানে মাইক্রোওয়েভ সিগন্যাল তৈরির জন্য ২টি লেজারের মধ্যে ইন্টারফেরেন্স বা বিটিং করা হয়। ইলেকট্রনিক রেডারের মতো ট্র্যাডিশনাল সিগন্যাল জেনারেটর ব্যবহার হয় না — এখানে আলো দিয়েই রেডার সিগন্যাল তৈরি হয়। যে কারণে, ফোটনিক রেডার ভবিষ্যতের যুদ্ধে একটি গেম-চেঞ্জিং সমাধান প্রদান করতে চলেছে বলে বিশ্বাস প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের।

    ফটোনিক রেডারের (Photonic Radar) বিশেষত্ব

    ফটোনিক রেডার খুব বেশি ব্যান্ডউইথে কাজ করতে পারে, ফলে “অত্যন্ত কম রেডিও ক্রস-সেকশন” লক্ষ্যবস্তু যেমন স্টেলথ বিমানের খোঁজ পাওয়া সম্ভব হয়। উদাহরণ স্বরূপ, মার্কিন এফ-৩৫ যুদ্ধবিমানের আরসিএফ হল ০.০১ বর্গমিটার। যা একটা পাখির সমান। ফলে, সাধারণ রেডারে এই বিমান ধরা পড়ে না। যেহেতু ফোটনিক রেডার লেজার প্রযুক্তি বা আলোর কণা ব্যবহার করে, তাই ইলেকট্রনিক রেডারের তুলনায় অনেক দ্রুত তথ্য প্রক্রিয়াকরণ করতে পারে। যেহেতু ফটোনিক রেডার (Photonic Radar) অপটিক্যাল ফাইবার ব্যবহার করে, তাই একে জ্যাম করা কঠিন, এবং শত্রুপক্ষ সহজে এর সিগন্যাল ধরতে পারে না। এটি একসঙ্গে ট্র্যাক, স্ক্যান, জ্যাম এবং যোগাযোগ ফাংশন চালাতে সক্ষম। অপটিক্যাল উপাদান ব্যবহারের কারণে এটি ছোট ও হালকা হয়, যা ফাইটারের জন্য আদর্শ।

    বিশ্বে ফোটনিক রেডার নিয়ে গবেষণা

    বর্তমানে চিন, আমেরিকা এবং ইউরোপীয় দেশগুলি ইতিমধ্যেই ফোটনিক রেডার নিয়ে গবেষণা শুরু করেছে। কিন্তু ডিআরডিও এই প্রযুক্তি হাতে আনতে পারলে, এটি হবে ভারতের জন্য একটি বিরাট লাফ। ভারতীয় বায়ুসেনা এই রেডার রাফাল, সুখোই-৩০ ও তেজস যুদ্ধবিমানে ব্যবহার করতে পারবে। এছাড়া, আকাশ-প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার অঙ্গ হিসেবে এই সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার হলে, এটি ভারতকে স্টেলথ প্রযুক্তি ও হাইপারসনিক অস্ত্রের যুগে রেডার-সেন্সর এবং নেটওয়ার্ক ভিত্তিক যুদ্ধশৈলীতে প্রবল শক্তিশালী করে তুলবে। যা জানা যাচ্ছে, ২০২৮ সালের মধ্যে যুদ্ধবিমানে বসিয়ে এই ফোটনিক রেডারের ফ্লাইট-টেস্ট পর্যায়ে নিয়ে যেতে চায় ডিআরডিও (DRDO)। ইতিমধ্যেই ফোটনিক সিগন্যাল জেনারেটর, অপটিক্যাল অ্যামপ্লিফায়ার এবং রেডার হেড-এর প্রোটোটাইপগুলি তৈরি হচ্ছে। এই প্রযুক্তি সফলভাবে বাস্তবায়িত হলে ভারত দেশীয় পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমানের জন্য সম্পূর্ণ দেশীয় ফোটনিক রেডার (Photonic Radar) হাতে পাবে।

    ভারত যদি এই রেডার মোতায়েনে সফল হয়, তাহলে চিন, আমেরিকা তাদের স্টেলথ যুদ্ধবিমান নিয়ে যে আস্ফালন করে, তা এক লপ্তে ফিকে হয়ে যাবে। ফলে, এশিয়া তথা বিশ্বের ভূ-রাজনীতিতে যে বিরাট একটা পরিবর্তন আসবে, তা বলা বাহুল্য। এখন, ভারত কত দ্রুততার সঙ্গে এই যুগান্তকারী রেডার প্রযুক্তি সম্পূর্ণ করায়ত্ত এবং মোতায়েন করতে পারে, সেটাই দেখার।

  • Covid Vaccine: করোনা-পরবর্তীকালে বাড়ছে আকস্মিক মৃত্যু! ভ্যাকসিনের যোগ নেই, জানাল কেন্দ্র

    Covid Vaccine: করোনা-পরবর্তীকালে বাড়ছে আকস্মিক মৃত্যু! ভ্যাকসিনের যোগ নেই, জানাল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ এবং এইমসের বিশদ গবেষণা থেকে এটা স্পষ্ট যে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন (Covid Vaccine) এবং কোভিড-১৯ পরবর্তীকালে প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে আকস্মিক মৃত্যুর কোনও যোগসূত্র নেই। দেশে ৪০ বছরের কম বয়সীদের মধ্যে হঠাৎ করে হৃদরোগে আক্রান্তের হার বৃদ্ধি পাওয়ায় এই গবেষণাটি করা হয়েছিল। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক স্পষ্ট করে জানিয়েছে যে, কোভিড ভ্যাকসিন এবং অল্পবয়স্কদের মধ্যে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার মধ্যে কোনও সম্পর্ক নেই। জাতীয় সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে জীবনযাপন এবং আগে থেকে থাকা শারীরিক অসুস্থতাই এই আকস্মিক মৃত্যুর প্রধান কারণ।

    কেন এই মৃত্যু

    ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জানিয়েছেন যে, ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (ICMR) এবং অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস (AIIMS)-এর যৌথভাবে পরিচালিত বিস্তৃত গবেষণায় এটি নিশ্চিতভাবে প্রমাণিত হয়েছে যে কোভিড-১৯ টিকা (Covid Vaccine) গ্রহণ এবং টিকা পরবর্তী প্রাপ্তবয়স্কদের হঠাৎ মৃত্যুর মধ্যে কোনও প্রত্যক্ষ যোগসূত্র নেই। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আইসিএমআর ও ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল (NCDC)-এর গবেষণাগুলি প্রমাণ করে যে ভারতে ব্যবহৃত কোভিড টিকাগুলি নিরাপদ ও কার্যকর। খুবই বিরল কিছু ক্ষেত্রে গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গেলেও, হঠাৎ হৃদ্‌রোগজনিত মৃত্যু একাধিক কারণে হতে পারে—যেমন জিনগত কারণ, জীবনধারা, পূর্ববর্তী স্বাস্থ্য সমস্যা এবং কোভিড-পরবর্তী জটিলতা।

    দুটি পৃথক গবেষণা

    এই বিষয়ে গভীরভাবে বিশ্লেষণ করতে দুটি পৃথক গবেষণা পরিচালিত হয়েছে—একটি পূর্বের তথ্য বিশ্লেষণ করে এবং অন্যটি চলমান রিয়েল-টাইম ভিত্তিতে। প্রথম গবেষণার ফলাফলে দেখা গিয়েছে, ১৮ থেকে ৪৫ বছর বয়সী তরুণ-তরুণীদের মধ্যে টিকাকরণ (Covid Vaccine) হঠাৎ মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়ায় না। এইমস, নয়াদিল্লি কর্তৃক পরিচালিত দ্বিতীয় গবেষণাটি এখনও চলছে। প্রাথমিক বিশ্লেষণে জানা গিয়েছে, এই বয়সের মানুষের হঠাৎ মৃত্যুর প্রধান কারণ হৃদ্‌রোগ বা মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে যে বিজ্ঞানীরা বারবার বলছেন কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন এবং আকস্মিক মৃত্যুর মধ্যে যোগসূত্র সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “চূড়ান্ত প্রমাণ ছাড়া এমন দাবি অথবা ভাবনা জনসাধারণের মধ্যে ভ্যাকসিন সম্পর্কে অনাস্থা তৈরি করতে পারে। যা অতিমারীর সময় লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবন বাঁচানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন যে ভ্যাকসিন নেওয়ার পাশাপাশি জীবনযাত্রার সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করা এবং সময়মতো স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো বেশি জরুরি।

  • Calcutta High Court: ‘রাজ্যের সব বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজের ইউনিয়ন রুম আজ থেকে বন্ধ’, বিরাট নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: ‘রাজ্যের সব বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজের ইউনিয়ন রুম আজ থেকে বন্ধ’, বিরাট নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কসবায় ল’ কলেজে ছাত্রীকে গণধর্ষণের পর ঘটনার পর শাসক দলের ছাত্র সংগঠনের ভূমিকা আতসকাচের তলায়। তার ওপর বহুকাল ধরে রাজ্যের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ছাত্র ভোট হয়নি। অথচ হই হই করে চলছে কলেজের ইউনিয়ন রুম!  এনিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হয়েছিল জনস্বার্থ মামলা। ওই মামলাতেই বৃহস্পতিবার বড় নির্দেশ দিল আদালত।

    সব কলেজের ইউনিয়ন রুম বন্ধ!

    গত ২৫ জুন কসবার ল’ কলেজের ইউনিয়ন রুমে এক ছাত্রীকে আটকে রেখে গণধর্ষণ করার অভিযোগ ওঠে। সেই সূত্রে এই অভিযোগও সামনে আসে যে রাজ্যের একাধিক কলেজের ইউনিয়নরুমে বহিরাগতদের আড্ডা এবং অসামাজিক কার্যকলাপ হচ্ছে। আইনজীবী সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন। সেই মামলায় এদিন বিচারপতি সৌমেন সেন এবং বিচারপতি স্মিতা দাসের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, যতদিন পর্যন্ত ছাত্র সংসদ নির্বাচন না হচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত রাজ্যের সব কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউনিয়ন রুম বন্ধ থাকবে। জরুরি কোনও প্রয়োজন হলে রেজিস্ট্রারের কাছে আবেদন করতে হবে। নয়তো ইউনিয়ন রুম তালাবন্ধই থাকবে। এই মর্মে রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতরকে নোটিশ জারি করতে হবে বলেও নির্দেশ দেয় আদালত।

    ছাত্র ভোট নিয়ে কী ভাবছে রাজ্য?

    এদিন মামলার শুনানিতে বিচারপতিদ্বয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করে আইনজীবী সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায় উল্লেখ করেন, কোনও নির্বাচন না হওয়া সত্ত্বেও ইউনিয়ন চলছে কলেজগুলিতে, যা বেআইনি। এরপরেই, গোটা রাজ্যের সব কলেজের ছাত্র ইউনিয়নের রুম বন্ধের নির্দেশ দেয় বেঞ্চ। একইসঙ্গে, ছাত্র ভোট নিয়ে কী ভাবছে রাজ্য? হলফনামা দিয়ে আগামী ১৭ জুলাইয়ের মধ্যে রাজ্যকে জানাতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    কসবা মামলায় কেস ডায়েরি জমার নির্দেশ

    অন্যদিকে, কসবা ল’ কলেজে ধর্ষণের ঘটনায় জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। বৃহস্পতিবার সেই মামলার শুনানিতে রাজ্যকে তদন্ত রিপোর্ট এবং কেস ডায়েরি জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় বিচারপতি সৌমেন সেন এবং বিচারপতি স্মিতা দাসের ডিভিশন বেঞ্চ। আদালত জানিয়েছে, এই ঘটনা নিয়ে সংশ্লিষ্ট কলেজকেও হলফনামা জমা দিতে হবে। আগামী বৃহস্পতিবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

  • India vs England: দ্বিতীয় টেস্টেও ব্যাট হাতে দুরন্ত! একাধিক নজির, শুভমনের শতরানে ভালো জায়গায় ভারত

    India vs England: দ্বিতীয় টেস্টেও ব্যাট হাতে দুরন্ত! একাধিক নজির, শুভমনের শতরানে ভালো জায়গায় ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অধিনায়ক হিসেবে প্রথম টেস্টে দলকে জয় দিতে না-পারলেও ব্যাট হাতে এসেছিল শতরান। ইংল্যান্ড (India vs England) সফরের দ্বিতীয় টেস্টেও ব্যাট হাতে দুরন্ত গিল। লিডস টেস্টের পর বার্মিংহ্যামেও ধ্রুপদী শতরান এল ভারত অধিনায়কের ব্যাটে। আর ক্যাপ্টেনের ব্যাটেই পাঁচ উইকেটের ধাক্কা সামলে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথমদিন ঘুরে দাঁড়াল ভারত। অপরাজিত ষষ্ঠ উইকেটে ৯৯ রানের জুটি। ২১১ রানে ৫ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর ধসে পড়তে পারত ভারতের ইনিংস। বিশেষ করে প্রথম টেস্টে যে ভাবে মিডল এবং লোয়ার-মিডল অর্ডার ব‍্যর্থ হয়েছিল। সেখান থেকে পরিস্থিতি সামলালেন অধিনায়ক শুভমন গিল (Shubhman Gill) ও রবীন্দ্র জাদেজা। দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিনের শেষে ভারতের রান ৫ উইকেটে ৩১০। দিনের শেষে ১১৪ রান করে শুভমন এবং ৪১ রান করে জাদেজা অপরাজিত রয়েছেন।

    রেকর্ড বুকে শুভমন

    অধিনায়ক (India vs England) হিসেবে প্রথম দু’টি টেস্টে সেঞ্চুরির বিরল রেকর্ড গড়ে বুধবার বার্মিংহ্যামে গিল স্পর্শ করলেন বিজয় হাজারে, সুনীল গাভাসকর এবং বিরাট কোহলিকে। এই তালিকার শীর্ষে আছেন ইংল্যান্ডের প্রাক্তন তারকা অ্যালিস্টার কুক (পাঁচ)। তারপর আছেন স্টিভ স্মিথ (তিন)। আর তারপর যুগ্মভাবে অধিনায়ক হিসেবে প্রথম দুটি টেস্টে শতরান হাঁকানোর খেলোয়াড়দের মধ্যে আছেন বিজয় হাজারে, জ্যাক ম্যাকগ্লিউ, সুনীল গাভাসকর, বিরাট কোহলি এবং গিল। চতুর্থ ভারতীয় ব্যাটার হিসেবে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টানা তিনটি টেস্ট ম্যাচে সেঞ্চুরি এল গিলের ব্যাটে। ধর্মশালা (2024) এবং লিডসে (2025) এর আগের দু’টি টেস্টে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তিন অঙ্কের রান করেছিলেন পাঞ্জাব ক্রিকেটার। এই নজির গড়ে গিল মহম্মদ আজহারউদ্দিন, দিলীপ বেঙ্গসরকর এবং রাহুল দ্রাবিড়ের সঙ্গে বসে পড়লেন একাসনে। আর বার্মিংহ্যামে শতরান করা ভারতের দ্বিতীয় অধিনায়ক হলেন শুভমন গিল। এর আগে একমাত্র ভারত অধিনায়ক হিসেবে ২০১৮ সালে এই ভেন্যুতে সেঞ্চুরি করেছিলেন বিরাট কোহলি। প্রথম ভারতীয় ব্যাটার হিসেবে ইংল্যান্ডে প্রথম দিনেই দু’বার শতরান হাঁকানোর নজির গড়লেন শুভমন।

    ঝলমলে যশস্বীর ব্যাটও

    ইংল্যান্ডের (India vs England) বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৮৭ রানের ইনিংস খেলেছেন যশস্বী জয়সওয়াল। ১৩ রানের জন্য শতরান হাতছাড়া হলেও একটি নজির গড়েছেন তিনি। তরুণ ওপেনার ব্যাটারের ব্যাটে ভেঙে গিয়েছে ৫১ বছরের পুরনো রেকর্ড। ১৯৭৪ সালে এজবাস্টনে মাইক ডেনেসের ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১৬৫ বলে ৭৭ রানের ইনিংস খেলেছিলেন সুধীর নায়েক। এত দিন পর্যন্ত ইংল্যান্ডের এই মাঠে কোনও ভারতীয় ওপেনিং ব্যাটারের খেলা সর্বোচ্চ রানের ইনিংস ছিল সেটাই। বুধবার ৮৭ রানের ইনিংস খেলে সুধীরের সেই রেকর্ড ভেঙে দিলেন যশস্বী। এজবাস্টনে টেস্ট ম্যাচে ভারতীয় ওপেনারদের সর্বোচ্চ রানের ইনিংসের তালিকায় শীর্ষে উঠে এলেন যশস্বী। দ্বিতীয় স্থানে চলে গেলেন সুধীর। এই তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে ১৯৭৯ সালে সুনীল গাওস্করের ৬৮ রানের ইনিংস।

    বুমরাহীন দলে ভরসা ব্যাটাররাই

    টেস্ট অধিনায়ক হিসাবে প্রথম দু’ম্যাচে শতরান করলেও, টস হারলেন শুভমন গিল (Shubhman Gill)। ইংল্যান্ড (India vs England) টসে জিতে প্রত্যাশিতভাবেই প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। লিডসে পরাজয়ের পর এজবাস্টনে সমতা ফেরানোর লড়াই টিম ইন্ডিয়ার। যদিও দ্বিতীয় ব্যাট করা দল এজবাস্টনে শেষ চারটি টেস্টের প্রতিটিতেই জিতেছে। এখানে ভারতের অতীতও ভালো নয়। তার ওপর দলে নেই ভারতের ব্রহ্মাস্ত্র বুমরা। টসের পর এদিন অধিনায়ক শুভমন জানিয়েছেন, তাঁদের মনে হয়েছে লর্ডসে তৃতীয় টেস্টে পিচ থেকে বেশি সাহায্য পাবেন বুমরা। তাই তাঁকে সেখানে খেলানো হবে। কিন্তু লর্ডসে যাওয়ার আগে যদি ভারত ০-২ পিছিয়ে পড়ে, তা হলে বুমরা তৃতীয় টেস্টে একা কী করবেন? সে ক্ষেত্রে তো সিরিজ জিততে হলে বাকি তিনটে টেস্টই জিততে হবে ভারতকে।

    অভিজ্ঞতার অভাব প্রকট

    এজবাস্টন টেস্টে (India vs England) প্রথম দিনের শেষে আরও ভালো জায়গায় থাকা উচিত ছিল ভারতীয় দলের। বার্মিংহামের ২২ গজে ব্যাট করা কঠিন নয়। বল পিচে পড়ে ভালো ভাবে ব্যাটে আসছে। আকাশও মেঘলা ছিল না। পরিবেশ ব্যাটারের জন্য কঠিন ছিল না। তবু অকারণে পরিস্থিতি কঠিন করলেন ভারতীয় ক্রিকেটারেরা। করুণ নায়ার (৩১) দ্বিতীয় টেস্টেও ভরসা করার মতো খেলতে পারলেন না। নীতীশ কুমার রেড্ডি (১) ইংল্যান্ডের মাটিতে প্রথম টেস্ট খেলতে নেমে আউট হলেন বলের লাইন-লেংথ বুঝতে না পেরে। অভিজ্ঞ লোকেশ রাহুলও এ দিন ব্যর্থ (২)। সহ-অধিনায়ক ঋষভ পন্থ (২৫) উইকেট উপহার দিলেন অহেতুক আগ্রাসী হতে গিয়ে। শুভমন-যশস্বী-জাদেজা ধরে না খেললে দিনের শেষে কোহলি-রোহিতদের অভিজ্ঞতার অভাব ফের প্রকট হত ভারতীয় দলের সাজঘরে।

LinkedIn
Share