Tag: madhyom bangla

madhyom bangla

  • Kasba Gangrape: ভিডিও তুলে ব্ল্যাকমেইল, মারার চেষ্টা হকি স্টিক দিয়ে, অভিযোগ কসবাকাণ্ডের নির্যাতিতার

    Kasba Gangrape: ভিডিও তুলে ব্ল্যাকমেইল, মারার চেষ্টা হকি স্টিক দিয়ে, অভিযোগ কসবাকাণ্ডের নির্যাতিতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কসবা ল কলেজের (Kasba Gangrape) গণধর্ষণকাণ্ডে নির্যাতিতা ছাত্রীর অভিযোগ, ধর্ষণের সময় তাঁর ভিডিও তুলে রাখে অভিযুক্তরা এবং তা নিয়ে ব্ল্যাকমেইল করা হয়। শুধু তাই নয়, তাঁকে হকিস্টিক দিয়ে মারার চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ জানিয়েছেন ওই ছাত্রী। প্রধান অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্রের বিরুদ্ধে ওই ছাত্রীর অভিযোগ যে সে ওই ছাত্রীর বয়ফ্রেন্ড এবং তাঁর বাবা-মাকে খুন করার হুমকি দেয়।

    এফআইআর-এ নির্যাতিতা ছাত্রীর অভিযোগ (Kasba Gangrape)

    এফআইআর-এ ওই ছাত্রীর অভিযোগ, ‘‘১২.০৫ নাগাদ কলেজে পৌঁছোই। ফর্ম ফিল আপের পর আমি অন্য়দিনের মতো, ইউনিয়ন রুমে গিয়ে বসি। ‘J’ সেখানে ঢোকে এবং সবাইকে বসতে বলে। আমরা তাই করি। সে প্রাক্তন ছাত্র এবং কলেজের কর্মী। সে কলেজের TMCP ইউনিটের অঘোষিত প্রধান এবং অত্য়ন্ত প্রভাবশালী। সবাই তার কথা শোনে। TMCP ইউনিটে সে সবাইকে পদ দেয়। আমাকেও সে গার্লস সেক্রেটারির পদ দিয়েছিল। ‘J’ আমাকে বাইরে ডেকে বলে, সে (Kasba Gangrape) প্রথম দিন থেকে আমাকে পছন্দ করে। গার্লফ্রেন্ড থাকা সত্ত্বেও সে আমার প্রেমে পড়েছে। আমাকে বিয়ের প্রস্তাবও দেয়। আমি প্রস্তাব প্রত্য়াখ্য়ান করে বলি, আমার বয়ফ্রেন্ড আছে। আমি তাকে ভালবাসি। আমি তাকে ছাড়তে পারব না।’’

    আমি মড়ার মতো পড়ে ছিলাম (Kasba Gangrape)

    অভিযোগকারিণী উল্লেখ করেছেন, ‘‘তারা জোর করে আমাকে গার্ডের ঘরে নিয়ে যায়। ‘J’ আমাকে বিবস্ত্র করে ধর্ষণ করে। আমি বাধা দিলে, সে আমাকে ব্ল্য়াকমেইল করে, হুমকি দেয়, যা সে আগে থেকেই করে আসছিল। সে আমাকে হুমকি দেয়, আমার বয়ফ্রেন্ডকে খুন করে দেবে, আমার মা-বাবাকে গ্রেফতার (Gangrape) করিয়ে দেবে। তাও আমি বাধা দিই। তখন সে আমার দু’টো নগ্ন ভিডিও দেখায়, যেগুলো আমাকে ধর্ষণের (Kasba Gangrape) সময় তোলা। সে শাসায়, আমি বাধা দিলে, সে যখন ডাকবে তখনই না এলে সেগুলো সবাইকে দেখিয়ে দেবে। ‘J’ যখন আমাকে ধর্ষণ করছিল, তখন ‘M’ আর ‘P’ দাঁড়িয়ে সব দেখছিল। সে আমাকে হকি স্টিক দিয়েও মারার চেষ্টা করে। আমি মড়ার মতো পড়ে ছিলাম। সে ধর্ষণ করে, আমাকে ফেলে রেখে চলে যায়। আমি ১০.৫০-এ ঘরের বাইরে যাই। সে বলে, আমি যেন কাউকে এসব না বলি (Gangrape) ।’’

  • India: জম্মু-কাশ্মীরের জলবিদ্যুৎ প্রকল্প নিয়ে কোর্ট অফ আরবিট্রেশনের রায় বাতিল করল ভারত

    India: জম্মু-কাশ্মীরের জলবিদ্যুৎ প্রকল্প নিয়ে কোর্ট অফ আরবিট্রেশনের রায় বাতিল করল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীরে নির্মীয়মাণ কিশানগঙ্গা ও রাটেল জলবিদ্যুৎ প্রকল্প সংক্রান্ত কোর্ট অফ আরবিট্রেশন (Court of Arbitration) এর রায়কে সরাসরি প্রত্যাখ্যান করল ভারত সরকার। এ বিষয়ে ভারতের বিদেশ মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে একটি বিস্তারিত বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ভারত সরকার কখনও এই তথাকথিত সালিশ আদালতের অস্তিত্বকে আইনগতভাবে স্বীকৃতি দেয়নি। ভারতের অবস্থান স্পষ্ট—এই সালিশি আদালতের গঠন প্রক্রিয়া আন্তর্জাতিক চুক্তি লঙ্ঘন করেছে। বিশেষ করে, ১৯৬০ সালের সিন্ধু জলচুক্তির যে কাঠামো, তা এই আদালতের গঠন এবং সিদ্ধান্তের মাধ্যমে লঙ্ঘিত হয়েছে।

    কোর্ট অফ আরবিট্রেশন-এর যে কোনও সিদ্ধান্ত, নির্দেশ বা রায় ভারতে গ্রহণযোগ্য নয়

    বিদেশমন্ত্রকের (India) পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে, সিন্ধু জলচুক্তি একটি দ্বিপাক্ষিক চুক্তি, যা বিশ্ব ব্যাংকের মধ্যস্থতায় স্বাক্ষরিত হয়েছিল। এই চুক্তির আওতায় যে নিষ্পত্তিমূলক প্রক্রিয়ার কথা বলা হয়েছে, তার মধ্যে সালিশ আদালতের কোনও ভূমিকা নেই। ভারত একাধিকবার পাকিস্তান ও আন্তর্জাতিক মহলকে জানিয়ে দিয়েছে, এই সালিশ আদালতের কোনও বৈধতা নেই এবং এটি সম্পূর্ণরূপে অবৈধ। ভারত সরকারের মতে, কোর্ট অফ আরবিট্রেশন-এর (Court of Arbitration) যে কোনও সিদ্ধান্ত, নির্দেশ বা রায় ভারতের পক্ষে গ্রহণযোগ্য নয় এবং এসবকে সরকার ‘অবৈধ ও বাতিলযোগ্য’ বলে মনে করে। এ ধরনের সিদ্ধান্ত ভারতের সার্বভৌম অধিকারে হস্তক্ষেপের সামিল, যা কখনও মেনে নেওয়া হবে না।

    পাকিস্তানের উসকানিতে ও নির্দেশনায় দেওয়া হয়েছে রায়

    ভারতের (India) স্পষ্ট দাবি, এই তথাকথিত সালিশি আদালতের রায় পাকিস্তানের উসকানিতে ও নির্দেশনায় দেওয়া হয়েছে এবং এর উদ্দেশ্য রাজনৈতিক। দিল্লির মতে, এটি একটি ‘প্রহসন’ ছাড়া আর কিছু নয়, যার মাধ্যমে পাকিস্তান ভারতের অভ্যন্তরীণ উন্নয়নমূলক কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি করতে চায়। বিদেশমন্ত্রক স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছে, ভারত আন্তর্জাতিক আইনের কাঠামোর মধ্যে থেকেই সিন্ধু জলচুক্তির প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তবে ভারতের সার্বভৌম অধিকারে হস্তক্ষেপ বা বেআইনি সিদ্ধান্ত কখনও মেনে নেওয়া হবে না।

  • Shaina NC: সংবিধান থেকে সমাজতান্ত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষ শব্দ বাদ দেওয়া উচিত, আরএসএস নেতার দাবিকে সমর্থন শিবসেনা নেত্রীর

    Shaina NC: সংবিধান থেকে সমাজতান্ত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষ শব্দ বাদ দেওয়া উচিত, আরএসএস নেতার দাবিকে সমর্থন শিবসেনা নেত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস)-এর সরকার্যবাহ দত্তাত্রেয় হোসাবলে সংবিধানের প্রস্তাবনা থেকে ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ ও ‘সমাজতান্ত্রিক’ শব্দ দুটি বাদ দেওয়ার দাবি জানান। তাঁর এই বক্তব্যে এবার সমর্থন জানালেন শিবসেনা নেত্রী সাইনা এন.সি (Shaina NC)।

    কী বললেন শিবসেনা নেত্রী (Shaina NC)?

    শুক্রবার এক সাক্ষাৎকারে সাইনা এনসি (Shaina NC) বলেন, “দত্তাত্রেয় হোসাবলের বক্তব্য আমি সম্পূর্ণভাবে সমর্থন করি। সংবিধানের প্রস্তাবনায় প্রথম থেকেই ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ বা ‘সমাজতান্ত্রিক’ শব্দদুটি ছিল না। এই শব্দ দুটি সংযোজন করা হয়েছিল ১৯৭৫ সালের জরুরি অবস্থার সময়, যখন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস সরকার ৪২তম সংবিধান সংশোধনীর মাধ্যমে এই পরিবর্তন করে।” তিনি আরও বলেন, “ড. বি. আর. আম্বেদকর-এর নেতৃত্বে যে খসড়া কমিটি সংবিধানের খসড়া তৈরি করেছিল, তাদের মূল প্রস্তাবনায় এই শব্দ দুটি অন্তর্ভুক্ত ছিল না। সেই মূল প্রস্তাবনাই ফিরিয়ে আনা উচিত।” সাইনা এন.সি.-র মতে, “ভারত একটি গণপ্রজাতান্ত্রিক দেশ — এই পরিচয়ই যথেষ্ট। ‘সমাজতান্ত্রিক’ এবং ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ শব্দ দুটি অপ্রয়োজনীয়।”

    কী বলেছিলেন দত্তাত্রেয় হোসাবলে?

    দিল্লিতে ‘জরুরি অবস্থার ৫০ বছর’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় হোসাবলে বলেন (RSS), ‘‘জরুরি অবস্থার সময় কংগ্রেস গণতন্ত্রকে হত্যা করেছিল। সে সময় সংবিধানের প্রস্তাবনায় যে শব্দ যুক্ত করা হয়েছিল, তা কি আর বহাল রাখা উচিত!’’ প্রসঙ্গত, ১৯৭৫ সালের ২৫ জুন ইন্দিরার নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস সরকার জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছিল। চলেছিল ১৯৭৭ সালের ২১ মার্চ পর্যন্ত। প্রায় ২১ মাসের ওই পর্বকে ‘ভারতীয় গণতন্ত্রের অন্ধকারতম অধ্যায়’ বলে আখ্যা দেন দত্তাত্রেয় হোসাবলে (RSS)। প্রসঙ্গত এর আগে বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামী-সহ কয়েক জন এই শব্দ দুটি বাদ দেওয়ার আর্জি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টেরও দ্বারস্থ হয়েছেন। জরুরি অবস্থায় ৫০ বছরের আবহে আরএসএস (RSS) নেতার এমন বিবৃতি ফের প্রশ্ন তুলল আদৌ কি এই শব্দ দুটির প্রয়োজনীয়তা রয়েছে সংবিধানে?

  • Indian Skilled Manpower: সারা বিশ্বে ভারতের দক্ষ মানবসম্পদের চাহিদা রয়েছে, প্রস্তুত কী এখানকার ছাত্র-ছাত্রীরা?

    Indian Skilled Manpower: সারা বিশ্বে ভারতের দক্ষ মানবসম্পদের চাহিদা রয়েছে, প্রস্তুত কী এখানকার ছাত্র-ছাত্রীরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সারা বিশ্বে ভারতের দক্ষ মানবসম্পদের (Indian Skilled Manpower) চাহিদা প্রচুর। শুক্রবার পুনেতে এক অনুষ্ঠানে এই কথা বলেন মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল সি.পি. রাধাকৃষ্ণন (Maharashtra Governor CP Radhakrishnan)। এদিন এক সমাবর্তন অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “অবিচল প্রচেষ্টা, নিষ্ঠা এবং সুস্পষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণই পেশাগত জীবনে সাফল্য অর্জনের মূল চাবিকাঠি। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে শ্রম ও উদ্যোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ সন্দেহ নেই; কিন্তু দক্ষ মানবসম্পদ ছাড়া কোনো অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড গতি পেতে পারে না। মানবসম্পদ আমাদের উন্নতি ও অগ্রগতির অন্যতম চাবিকাঠি।” এই সমাবর্তন অনুষ্ঠানে ২২টি দেশের ৮২ জন আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীকে ডিগ্রি প্রদান করা হয়।

    কাজ উপভোগ করার অভ্যাস

    পৃথিবী বদলাচ্ছে, বদলাচ্ছে সমাজ ও মানুষ, তাদের আকাঙ্ক্ষা ও প্রত্যাশা, বদলে যাচ্ছে মানবসম্পদের (Indian Skilled Manpower) চাহিদা ও জোগান। মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল সি.পি. রাধাকৃষ্ণন বলেন, “যখন কেউ একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য স্থির করে, তখন সেই লক্ষ্যের প্রতি একাগ্র থাকতে হবে, পরিশ্রম করতে হবে এবং চ্যালেঞ্জের মুখে ধৈর্য হারানো যাবে না। যারা এই দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করে, তাদের সাফল্য নিশ্চিত। জীবনে হতাশা বা ক্লান্তি আসতেই পারে, কিন্তু সেখানে থেমে গেলে চলবে না। প্রতিটি প্রচেষ্টাই জীবনের জন্য উপকারী। সুখী মন কর্মে উৎসাহ ও শক্তি যোগায়। কাজ উপভোগ করার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।”

    ভারতের দক্ষ জনশক্তিকে আহ্বান

    রাজ্যপাল আরও বলেন, “আজ বিশ্বের বহু দেশ তাদের শিল্পক্ষেত্রের চাহিদা মেটাতে ভারতীয় দক্ষ জনশক্তিকে আহ্বান জানাচ্ছে। এই সুযোগ গ্রহণের জন্য ভারতীয় ছাত্রছাত্রীদের প্রস্তুত থাকতে হবে। মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে স্বল্পমেয়াদি ভাষা কোর্স—জার্মান, ফরাসি, জাপানি, ম্যান্ডারিন, স্প্যানিশ, ইতালিয়ান ইত্যাদিতে শুরু করার জন্য উৎসাহিত করা হচ্ছে। এটি আমাদের ছাত্রছাত্রীদের আন্তর্জাতিক কর্মক্ষেত্রে প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা দেবে।” পুনে শহর সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে রাজ্যপাল বলেন, “এই শহর একটি বড় অটোমোবাইল, তথ্যপ্রযুক্তি, মিডিয়া ও ক্ষুদ্র শিল্পের কেন্দ্র। এখানকার ছাত্রছাত্রীদের জন্য প্রচুর সুযোগ রয়েছে।”

     

     

     

     

  • Bipodtarini Puja 2025: বিপদ থেকে উদ্ধার পেতেই আরাধনা দেবী বিপত্তারিণীর, জানেন এই পুজোয় ১৩ সংখ্যার মাহাত্ম্য

    Bipodtarini Puja 2025: বিপদ থেকে উদ্ধার পেতেই আরাধনা দেবী বিপত্তারিণীর, জানেন এই পুজোয় ১৩ সংখ্যার মাহাত্ম্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলার ঘরে ঘরে আজ, শনিবার পালিত হচ্ছে বিপত্তারিণী ব্রত (Bipodtarini Puja 2025)। বিপদ থেকে উদ্ধার পাওয়ার জন্য দেবী বিপত্তারিণীর পুজো করা হয়। বিশ্বাস অনুযায়ী, ভক্তি মনে এই পুজো করলে, যে কোনও বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। হিন্দু ধর্মে বিপত্তারিণী ব্রতের গুরুত্ব অনেক। আষাঢ় মাসে সোজা রথ এবং উল্টো রথের মাঝে মঙ্গল ও শনিবার পালিত বিপত্তারিণী ব্রত। স্বামী, সন্তান ও সংসারের মঙ্গলকামনায় দেবীর পুজোপাঠ ও ব্রতপালন করেন গৃহিণীরা। বিশ্বাস করা হয়, বিপত্তারিণী পুজো করলে শুধু বিপদই নয় অর্থ সঙ্কট থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়। এবং ঘরে সুখ ও সমৃদ্ধি লাভ হয়।

    দেবী দুর্গারই উপাসনা

    দেবী দুর্গা ১০৮ অবতারের অন্যতম এবং দেবী সঙ্কটনাশিনীর একটি রূপ মা বিপত্তারিণী। দেবীকে কখনও দশভুজা রূপে পুজো করা হয়, কখনও আবার চতুর্ভুজা রূপে পুজো করা হয়। পৌরাণিক কাহিনি মতে, দেবাদিদেব মহাদেব দেবী পার্বতীকে কালী বলে উপহাস করলে দেবী ক্রুদ্ধ হন। ক্রুদ্ধ দেবী তখন তপস্যাবলে নিজের কৃষ্ণবর্ণ রূপ ত্যাগ করেন। সেই মুহূর্তে দেবী পার্বতীর শরীর থেকেই সৃষ্টি হন দেবী বিপত্তারিণী। দেবী বিপত্তারিণীর উপাসনা করা মানে দেবী দুর্গারই উপাসনা করা।

    ১৩ সংখ্যার মাহাত্ম্য

    এই ব্রত (Bipodtarini Puja 2025) পালনের বিশেষ নিয়ম হল দেবী বিপত্তারিণীকে সব কিছু ১৩টা করে উৎসর্গ করতে হবে। ১৩ রকমের নৈবেদ্য সাজাতে হয়। এ ছাড়া লাগে তেরো রকম ফল, তেরো রকম ফুল, তেরোটি পান, তেরোটি সুপুরি, তেরোটি এলাচ। ব্রত পালনের দিন চাল-মুড়ি-চিঁড়ে জাতীয় কোনও জিনিস খাওয়া যায় না। বদলে ১৩টি লুচি ও ফল দেবীর প্রসাদ হিসেবে গ্রহণ করতে হয়। কথিত রয়েছে, মা বিপত্তারিণীর পছন্দের সংখ্যা হল ১৩। সে কারণেই এই পুজোয় দেবীর কাছে সমস্ত জিনিস ১৩টি করে অর্পণ করা হয়। শাস্ত্রমতে, ১৩ সংখ্যাটি ব্যবহার করলে দেবীর আশীর্বাদ লাভ করা যাবে। এতে যে কোনও বিপদ থেকে দেবী আমাদের রক্ষা করবেন। ১৩ সংখ্যাটিকে দেবী বিপত্তারিণীর আশীর্বাদ ও সুরক্ষার প্রতীক মনে করা হয়।

    লাল রঙের তাগা কেন বাঁধা হয়

    বিপত্তারিণীর পুজো (Bipodtarini Puja 2025) শেষে হাতে লাল তাগা বাঁধার চল রয়েছে। মেয়েরা এই তাগা বাঁ হাতে পরেন আর ছেলেরা ডান হাতে পরেন। সেই তাগাতেও ১৩টি গিঁট বাঁধা হয়। সেই ১৩টি গিঁটে দেবী দুর্গার ১৩টি রূপে বিরাজ করেন বলে বিশ্বাস করা হয়। ১৩টি গিঁট ছাড়াও তাতে ১৩টি দূর্বাঘাস বাঁধা হয়। এই তাগা অনেকে সারা বছর ধরে পরে থাকেন, অনেকে আবার তিন দিন পরার পর নদী বা পুকুরের জলে ভাসিয়ে দেন। বিশ্বাস করা হয় যে, এই তাগা হাতে পরলে বিপদ কোনও দিন আপনাকে স্পর্শ করতে পারবে না।

    ব্রত পালনে কী কী লাগে?

    ঘট, আম্র পল্লব, শীষ সহ ডাব, একটি নৈবেদ্য, ১৩ টি গিঁট দেওয়া লাল সুতো (সঙ্গে ১ত টি দূর্বা বাঁধা), ১৩ রকম ফুল, ১৩ রকম ফল, ১৩ গাছি লাল সুতো, ১৩টি দূর্বা, ১৩টি পান ও ১৩টি সুপুরি।

    বিপত্তারিণী পুজোর দিন কী করবেন না

    বিপত্তারিণী পুজোর (Bipodtarini Puja 2025) দিন এবং আগের দিন আমিষ জাতীয় খাবার গ্রহণ করবেন না৷ ব্রতপালনের দিন ব্রতীরা চালজাতীয় খাবার গ্রহণ করবেন না৷ বাড়িতে বা মন্দিরে দু’ জায়গাতেই এই ব্রতপালন করা যায়। বিপত্তারিণী পুজোর সময় কথা বলবেন না৷ এতে পুজোর নিষ্ঠা এবং একাগ্রতায় বিঘ্ন ঘটে৷ ফলে দেবী রুষ্ট হন। এই তিথিতে কাউকে ধার দেবেন না৷ কারওর কাছ থেকে ধার নেবেন না। কোনও অপরিচ্ছন্ন স্থানে বিপত্তারিণী পুজো করবেন না। নয়তো ঘরের সুখ ও শান্তির নষ্ট হয়। বিপত্তারিণী পুজোর সময় কখনই কাউকে অপমান করবেন না। এমনকি এদিন কোনও মহিলার সম্পর্কে কুরুচিকর কথা বলবেন না। এতে মা লক্ষ্মী ক্রুদ্ধ হন। এই পুজোর দিন পরিবারের কোনও সদস্যের মদ্যপান করা এড়ানো উচিত। বিপত্তারিণী পুজোর দিন কাউকে চিনি দেবেন না। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী, চিনির শুক্র এবং চন্দ্রের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে। অন্যদিকে শুক্র বস্তুগত সুখের কর্তা। তাই এদিন চিনি দিলে শুক্র দুর্বল হয় এবং সংসারে অশান্তির পাশাপাশি আর্থিক সংকট দেখা দেয়।

  • Palliative Care: ক্যান্সার চিকিৎসায় ওষুধের মতোই সমান জরুরি ‘প্যালিয়েটিভ কেয়ার’! কী এটা? কেন প্রয়োজন?

    Palliative Care: ক্যান্সার চিকিৎসায় ওষুধের মতোই সমান জরুরি ‘প্যালিয়েটিভ কেয়ার’! কী এটা? কেন প্রয়োজন?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    শুধুই ওষুধ, কেমো থেরাপি কিংবা রেডিওথেরাপি নয়। ক্যান্সার চিকিৎসায় (Cancer Treatment) অন্যতম জরুরি ‘দাওয়াই’ ‘প্যালিয়েটিভ কেয়ার’ (Palliative Care)। ক্যান্সার বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, ক্যান্সার আক্রান্তের চিকিৎসা চলাকালীন এবং ক্যান্সার আক্রান্তের ফের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে হলে প্যালিয়েটিভ কেয়ার সবচেয়ে জরুরি। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে ক্যান্সার চিকিৎসায় অন্যতম বাধা এই প্যালিয়েটিভ কেয়ার। অধিকাংশ সরকারি হাসপাতালের ক্যান্সার বিভাগে প্যালিয়েটিভ কেয়ার নেই। তাই অনেক সময়েই ক্যান্সার আক্রান্তের চিকিৎসায় জটিলতা বাড়ে।

    প্যালিয়েটিভ কেয়ার (Palliative Care) কী?

    ক্যান্সার বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, যেকোনও ধরনের ক্যান্সার চিকিৎসায় অধিকাংশ সময়েই দেখা যায়, রোগী চিকিৎসা চলাকালীন শরীরের পাশপাশি মানসিক ভাবেও অসুস্থ হয়ে পড়েন। ক্যান্সার আক্রান্তের শরীরে নানান হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়। তাই বাড়তে থাকে মানসিক চাপ এবং অবসাদ। যা তাঁর চিকিৎসার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। তাই প্রয়োজন প্যালিয়েটিভ কেয়ার। অর্থাৎ, যারা আগে ক্যান্সার আক্রান্ত হয়েছেন। চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ হয়ে ফের স্বাভাবিক জীবন যাপন করছেন। এমন অভিজ্ঞতার মানুষের প্রয়োজন। যারা ক্যান্সার আক্রান্তের ‘সার্পোট সিস্টেম’ হিসাবে পাশে থাকবেন। আক্রান্তের মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করবেন। তার ফলে রোগী চিকিৎসায় আরও দ্রুত সাড়া দেবেন।

    কেন জরুরি প্যালিয়েটিভ কেয়ার?

    অঙ্কোলজিস্ট বা ক্যান্সার বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, ক্যান্সার চিকিৎসার পথ দীর্ঘ। অধিকাংশ সময়েই রোগী হতাশ হয়ে পড়েন। চিকিৎসক মূলত অস্ত্রোপচার, ওষুধ এবং কেমো কিংবা রেডিওথেরাপির বিষয়ে নজর দেন। কিন্তু এই সমস্ত প্রক্রিয়ার একটি চাপ রোগীর মনের উপরে পড়ে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায়, ক্যান্সার আক্রান্ত ফের সুস্থ হয়ে জীবন যাপনের আশা হারিয়ে ফেলছেন। কিংবা এই দীর্ঘ জটিল চিকিৎসা প্রক্রিয়ায় আক্রান্ত মানসিক অবসাদের শিকার হচ্ছেন। অনেক সময়েই তার ফলে আক্রান্তের শরীরে চিকিৎসা সাড়া দেয় না। কিন্তু রোগী এই প্যালিয়েটিভ কেয়ার (Palliative Care) পেলে সহজেই নিজের সমস্যার কথা বলতে পারেন। যেহেতু যার কাছে রোগী নিজের সমস্যা জানাচ্ছেন, তিনিও অভিজ্ঞ, তাই সহজেই সমস্যা বোঝানো যায়। পাশপাশি ক্যান্সার আক্রান্ত হলেও ফের স্বাভাবিক জীবন যাপন সম্ভব, এটা বারবার চোখের সামনে দেখলে রোগীর মধ্যে ইতিবাচক জোর আসে। যা তাঁর শরীর ও মনে গভীর প্রভাব ফেলে। তাই ক্যান্সার চিকিৎসায় ওষুধ, রেডিওথেরাপি, কেমোথেরাপির মতোই সমান জরুরি প্যালিয়েটিভ কেয়ার। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, রোগীর শরীরে ওষুধের মতোই কাজ করে প্যালিয়েটিভ কেয়ারের থেরাপি। নিয়মিত এই প্যালিয়েটিভ কেয়ার পেলে রোগীর মানসিক চাপ কমে। ফলে শরীরে হরমোনের ভারসাম্য বজায় থাকে। এর ফলে অস্ত্রোপচার পরবর্তী চিকিৎসাতেও সুবিধা হয়। কেমো থেরাপি বা রেডিওথেরাপির মতো চিকিৎসায় শরীরে অন্যান্য হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখা জরুরি। তাতে চিকিৎসা আরও ভালো হয়। দ্রুত সাড়া পাওয়া যায়।

    রাজ্যে সমস্যা কোথায়?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, রাজ্যের অধিকাংশ হাসপাতালেই এই প্যালিয়েটিভ কেয়ার (Palliative Care) নেই। ফলে পশ্চিমবঙ্গের সরকারি হাসপাতালে ক্যান্সার চিকিৎসায় (Cancer Treatment) জটিলতা আরও বাড়ছে। রোগীদের ভোগান্তিও বাড়ছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, প্যালিয়েটিভ কেয়ার গড়ে তুলতে হলে ক্যান্সার চিকিৎসার তথ্য সংগ্রহ জরুরি। রোগী কোথায় থাকেন, কতদিন চিকিৎসা চললো, এখন কেমন আছেন, এই সমস্ত বিষয় সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ জরুরি। ক্যান্সার আক্রান্ত সুস্থ হয়ে ওঠার পরে, তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখা জরুরি। কারণ প্যালিয়েটিভ কেয়ার, যারা দেবেন, তাঁদের নূন্যতম প্রশিক্ষণ জরুরি। রোগীর সঙ্গে যোগাযোগ করা, কথা বলা, তাঁর মনের অবস্থা বোঝার মতো প্রশিক্ষণ জরুরি। কিন্তু চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, রাজ্যের অধিকাংশ সরকারি হাসপাতালে প্যালিয়েটিভ কেয়ার (Palliative Care) তৈরির প্রাথমিক কাজ ঠিক মতো হয় না। অর্থাৎ, তথ্য সংগ্রহের কাজ ঠিকমতো হয় না। ফলে রাজ্যের কোনো সরকারি হাসপাতালেই ক্যান্সার আক্রান্তেরা প্যালিয়েটিভ কেয়ারের সুবিধা পাচ্ছেন না।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Daily Horoscope 28 June 2025: জীবনে নতুন সাফল্য লাভ করার সুযোগ পাবেন এই রাশির জাতকরা

    Daily Horoscope 28 June 2025: জীবনে নতুন সাফল্য লাভ করার সুযোগ পাবেন এই রাশির জাতকরা

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) আজকের দিনটি কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে কাটবে।

    ২) সমস্যার মোকাবিলা করতে হবে।

    ৩) রাগ নিয়ন্ত্রণে রাখুন।

    বৃষ

    ১) আজকের দিনটি খুব ভালো কাটবে।

    ২) জীবনে নতুন সাফল্য লাভ করার সুযোগ পাবেন।

    ৩) কোনও পুরনো লগ্নির দ্বারা ভালো রিটার্ন পাবেন।

    মিথুন

    ১) আত্মীয়ের কাছ থেকে বিশেষ উপহার পেতে পারেন।

    ২) দাম্পত্য জীবন শুভ।

    ৩) কাজে ব্যস্ত থাকবেন, সকলে আপনার কাজের প্রশংসা করবেন।

    কর্কট

    ১) আজকের দিনটি কঠিন।

    ২) কাজকর্মে সমস্যার মোকাবিলা করতে পারবেন।

    ৩) নিজের লক্ষ্যে স্থির থাকতে হবে।

    সিংহ

    ১) আজকের দিনে ভালো ফলাফল পাবেন।

    ২) নিজের কার্যশৈলীর দ্বারা বরিষ্ঠদের প্রভাবিত করতে পারবেন।

    ৩) আধিকারিকদের প্রশংসা অর্জন করতে পারবেন।

    কন্যা

    ১) ব্যবসায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ পাবেন।

    ২) সঙ্গীর সঙ্গে রোম্যান্টিক ডিনারে যেতে পারেন।

    ৩) সম্পর্কে শান্তি ও আনন্দ থাকবে।

    তুলা

    ১) আজকের দিনটি কঠিন।

    ২) কাজে সাবধানতা অবলম্বন জরুরি।

    ৩) ভাষায় নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে।

    বৃশ্চিক

    ১) আজকের দিনটি নানান সমস্যা বয়ে আনবে।

    ২) বিরোধীদের থেকে সতর্ক থাকুন।

    ৩) কারও ওপর অধিক বিশ্বাস করবেন না।

    ধনু

    ১) নিজের সমস্ত কাজে সফল হবেন।

    ২) কেরিয়ারে একাধিক সুবর্ণ সুযোগ পেতে পারেন।

    ৩) সঠিক সময়ে সুযোগের সদ্ব্যবহার করুন।

    মকর

    ১) আজকের দিনটি খুবই ভালো কাটবে।

    ২) অসম্পূর্ণ ইচ্ছাপূরণ হবে।

    ৩) মনের মধ্যে আনন্দ থাকবে।

    কুম্ভ

    ১) আজকের দিনটি কঠিন।

    ২) প্রতিদিনের কাজকর্মে সমস্যার মুখোমুখি হবেন।

    ৩) স্বাস্থ্য সমস্যা উপেক্ষা করবেন না।

    মীন

    ১) আজ সাফল্য লাভ করবেন।

    ২) নতুন সুযোগ পাবেন, যা আপনাকে ভালো পরিণাম এনে দেবে।

    ৩) অর্থ ও স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে আজকের দিনটি অনুকূল।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Kasba Gangrape: আরজি করের পর কসবা ল কলেজ, গণধর্ষণকাণ্ডে মমতা প্রশাসনকে তুলোধনা বিজেপির, আসরে মহিলা কমিশনও

    Kasba Gangrape: আরজি করের পর কসবা ল কলেজ, গণধর্ষণকাণ্ডে মমতা প্রশাসনকে তুলোধনা বিজেপির, আসরে মহিলা কমিশনও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ডের পরে এবার দক্ষিণ কলকাতার আইন কলেজ (Kasba Gangrape)। ‘গণধর্ষণে’র ভয়ঙ্কর অভিযোগ। মূল অভিযুক্তের তৃণমূল যোগ নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজাও। কলেজ ক্যাম্পাসের মধ্যেই সন্ধ্যাবেলা ঘটে এমন ভয়াবহ নির্যাতন। ছাত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই পুলিশ তিন জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রধান অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্র দক্ষিণ কলকাতার ওই আইন কলেজের প্রাক্তনী। তিনি শাসক দলের ছাত্র সংগঠনের প্রাক্তন নেতা বলেও অভিযোগ। বর্তমানে শাসক দলের সঙ্গেও ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে বলে দাবি উঠেছে। বর্তমানে তিনি আলিপুর আদালতে আইনজীবী হিসেবে প্র্যাকটিস করছেন। অন্য দুই অভিযুক্ত—জায়েব আহমেদ এবং প্রমিত মুখোপাধ্যায়—কলেজের বর্তমান ছাত্র। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে যৌন নির্যাতনের ঘটনার এক বছর কাটতে না কাটতেই এই ঘটনা রাজ্যজুড়ে নতুন করে উত্তেজনার সৃষ্টি করেছে। কলেজ ক্যাম্পাসে ছাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে ফের জোরালো প্রশ্ন উঠছে সমাজের নানা স্তরে। এই ঘটনায় মাঠে নেমেছে মহিলা কমিশনও।

    জাতীয় মহিলা কমিশন স্বতঃপ্রণোদিতভাবে পদক্ষেপ করেছে (Kasba Gangrape)

    কসবার আইন কলেজে ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় জাতীয় মহিলা কমিশন স্বতঃপ্রণোদিতভাবে পদক্ষেপ করেছে। কমিশনের পক্ষ থেকে কলকাতা পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে এবং ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য চাওয়া হয়েছে। কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী, এই মামলায় কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তা তিন দিনের মধ্যে রিপোর্ট আকারে জমা দিতে হবে। ঘটনার পরেই একটি বিবৃতি জারি করে কমিশন জানায়, তারা বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। কমিশনের চেয়ারপার্সন বিজয়া রহাটকর কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে চিঠি দিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং দ্রুত আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে তদন্তের অগ্রগতি সংক্রান্ত বিস্তারিত রিপোর্ট সময়সীমার মধ্যেই জমা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।

    বুধবার সন্ধ্যা ৭:৩০ থেকে রাত ১০:৫০ এর মধ্যে ঘটনা ঘটে

    বুধবার সন্ধ্যায় কলকাতার কসবার (Kasba Gangrape) একটি আইন কলেজে এক ছাত্রীকে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার সন্ধ্যা ৭:৩০ থেকে রাত ১০:৫০ এর মধ্যে আইন কলেজের ভিতরে যৌন নির্যাতনের ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে পুলিশ। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, একজন অভিযুক্ত যৌন নির্যাতন চালিয়েছে, অন্যরাও অপরাধে জড়িত ছিল। তারা মহিলার সঙ্গে অশালীন আচরণ করে বলে অভিযোগ। ধর্ষণের সময় বাইরে দাঁড়িয়ে পাহারা দেয়। এর পরেই আক্রান্তের পরিবার অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করে।

    চার দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ

    বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তালবাগান ক্রসিং সংলগ্ন সিদ্ধার্থ শংকর রায় শিশু উদ্যানের কাছ থেকে মনোজিৎ মিশ্র ও জায়েব আহমেদকে গ্রেফতার করে পুলিশ। একই রাতে অপর অভিযুক্ত প্রমিত মুখোপাধ্যায়কে তার নিজ বাসভবন থেকে আটক করা হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্তদের মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তদন্তকারীরা সেটিকে ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য সংরক্ষিত রেখেছেন। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের স্বার্থে তিন অভিযুক্তকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানানো হলে, আলিপুর আদালত তাদের চার দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয়।

    তোপ দাগলেন শুভেন্দু

    খাস কলকাতায় এই ভয়াবহ গণধর্ষণের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি নিশ্চিত করতে তিনি একটি পুঙ্খানুপুঙ্খ এবং নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। এক্স-এ একটি পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘‘এই মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি নিশ্চিত করতে আমি (Kasba Gangrape) একটি পুঙ্খানুপুঙ্খ এবং নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানাচ্ছি। দলমত নির্বিশেষে অভিযুক্তদের কঠোরতম শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। ভবিষ্যতে তৃণমূল কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠনের নেতাদের এ ধরনের ঘটনা পুনরাবৃত্তি করতে না পারে সেজন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে নিরাপত্তা জোরদার করতে হবে।’’ এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই সরকারেরও তীব্র সমালোচনা করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, ‘‘কলকাতা পুলিশকে তো পুরো নিয়ে চলে গিয়েছে দিঘাতে। লোক তো নেই দিঘায় । জামা খুলিয়ে পুলিশকে দিয়ে হাঁটাবে। এই মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে থাকার যোগ্যতা নেই। আমরা ইস্যু টেক আপ (BJP) করছি। খুব বড় জিনিস হবে।’’ শুভেন্দু আরও বলেন, ‘‘এই অ্যারেস্টও লোক দেখানো, এই ঘটনার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ করা উচিত।’’

    কী বললেন সুকান্ত?

    অন্যদিকে কেন্দ্রের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘‘অভয়াকাণ্ডের পর আবার এক কলেজে মধ্যে এক ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে (Kasba Gangrape)। যারা অভিযুক্ত, তাদের মধ্যে একজন ওই কলেজেরই প্রাক্তনী, স্টাফ !’’ সুকান্ত মজুমদার আরও বলেন, ‘‘খোঁজ নিয়ে দেখুন, যারা অভিযুক্ত তারা তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে কোনও না কোনও ভাবে যুক্ত। আর জি কর কাণ্ডের পর প্রমাণিত হয়ে গিয়েছে কলেজে শিক্ষাকেন্দ্রগুলির কোনও নিরাপত্তা নেই।’’ সুকান্ত মজুমদার আরও বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী যতই রথ টানুন না কেন! কালীগঞ্জে মেয়েকে বোমা মেরে খুন করা হচ্ছে, মেয়েদের ইজ্জত লুঠ করা হচ্ছে। আর জি করে অভয়াকে ধর্ষণ করে খুন করা হল। এই পাপের হাত থেকে উনি বাঁচবেন না।’’

  • Agni missile: পরমাণু কেন্দ্র নিয়ে শঙ্কায় পাকিস্তান! ভারত তৈরি করছে বাঙ্কার বাস্টার ‘অগ্নি’ ক্ষেপণাস্ত্র

    Agni missile: পরমাণু কেন্দ্র নিয়ে শঙ্কায় পাকিস্তান! ভারত তৈরি করছে বাঙ্কার বাস্টার ‘অগ্নি’ ক্ষেপণাস্ত্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভয় পাচ্ছে চিন, পাকিস্তান! ভারত তার সবচেয়ে শক্তিশালী ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রটিকে আরও মারাত্মক করে তুলতে চলেছে, এর জন্য ক্ষেপণাস্ত্রের ওয়ারহেডে বিস্ফোরকের পরিমাণ বাড়ানো হবে। যা বি-২ বম্বার বিমান থেকে নিক্ষেপ করা জিবিইউ-৫৭ বোমার চেয়েও বেশি মারাত্মক হবে। অগ্নি-৫ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের একটি নতুন, বিস্ফোরক বহনকারী রূপ তৈরি করা হচ্ছে। ৭.৫ টন অর্থাৎ ৭৫০০ কেজি ওজনের বিশাল বিস্ফোরক ওয়ারহেড সহ এই নতুন ক্ষেপণাস্ত্রটি এক ধাক্কায় শত্রুর আস্তানা ধ্বংস করে দেবে। এই উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন ক্ষেপণাস্ত্র নির্মাণের মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের সামরিক আধিপত্য আরও জোরালোভাবে প্রতিষ্ঠা পাবে, বলে অভিমত বিশেষজ্ঞদের।

    আমেরিকার মতোই বাঙ্কার ধ্বংসকারী অস্ত্র

    সম্প্রতি ইরান ইজরায়েল যুদ্ধের মাঝেই ইরানে সরাসরি হামলা চালিয়েছিল আমেরিকা। ইরানের তিনটি পরমাণু কেন্দ্রে হামলা চালায় আমেরিকার বাহিনী। মাটির নীচে ওই পরমাণু কেন্দ্রে হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্রের ‘জিবিইউ ৫৭/এ ম্যাসিভ অর্ডন্যান্স পেনিট্রেটর’। ভারতও এরকমই বাঙ্কার বাস্টার তৈরি করতে চলেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আত্মনির্ভর ভারত প্রতিরক্ষা খাতে বিপুল বরাদ্দ করেছে। এর ফলে ভারতও তৈরি করছে তার নিজস্ব ভারী বাঙ্কার ধ্বংসকারী অস্ত্র। তবে এটি বিমানের মাধ্যমে নয়, ক্ষেপণাস্ত্রের মাধ্যমে লক্ষ্যবস্তুতে পৌঁছাবে—যা এক অভিনব কৌশল।

    কী করবে ভারতের বাঙ্কার বাস্টার

    ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (DRDO) এখন ‘অগ্নি-৫’ আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের একটি বিশেষ সংস্করণ তৈরি করছে, যা বহন করবে ৭,৫০০ কেজির একটি অত্যন্ত শক্তিশালী ওয়ারহেড। এই ওয়ারহেড ৮০ থেকে ১০০ মিটার গভীর পর্যন্ত শক্ত কংক্রিটের নিচে লুকানো শত্রুপক্ষের বাঙ্কার, কমান্ড সেন্টার, ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটি বা পারমাণবিক পরিকাঠামো ধ্বংসে সক্ষম। মূল অগ্নি-৫ যেখানে ৫,০০০ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বে আঘাত হানতে পারে, সেখানে এই ভারী সংস্করণের পাল্লা কমে ২,৫০০ কিলোমিটারে দাঁড়াবে। তবে এর বিধ্বংসী শক্তি ও নিখুঁত নিশানার ক্ষমতা এটিকে আঞ্চলিক প্রতিরোধের কৌশলে একটি শক্তিশালী অস্ত্র হিসেবে গণ্য হবে। অগ্নি-৫ এর বর্তমান পরিসর কমানোর পেছনের আসল উদ্দেশ্য হল দূরত্বের চেয়ে পেলোড ক্ষমতা বৃদ্ধি করা, যাতে শত্রুর লক্ষ্যবস্তুতে সঠিক এবং মারাত্মক আক্রমণ করা যায়। বিশেষ করে চিন ও পাকিস্তানের সম্ভাব্য হুমকির মুখে এই ক্ষেপণাস্ত্র দেশকে ভরসা জোগাবে।

    কী থাকবে নয়া সংস্করণে

    এই ক্ষেপণাস্ত্রের ওয়ারহেডে যুক্ত থাকবে উন্নত ন্যাভিগেশন ও গাইডেন্স সিস্টেম, যার ফলে নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে নিখুঁত আঘাত হানার সক্ষমতা অর্জিত হবে। পাশাপাশি, ডিআরডিও একে ‘এয়ারবাস্ট’ মোডে ফাটানোর ব্যবস্থাও রাখছে, যাতে নির্দিষ্ট উচ্চতায় বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আশেপাশের রাডার, বিমানঘাঁটি বা সাঁজোয়া যানবাহন ধ্বংস করা যায়। এটি একটি তিন-স্তরের, কঠিন জ্বালানি-চালিত ক্ষেপণাস্ত্র। অগ্নি-৫ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দুটি ভিন্ন ওয়ারহেড কনফিগারেশনে সজ্জিত থাকবে।

    ১. এয়ারবার্স্ট ওয়ারহেড- এই ওয়ারহেডের উদ্দেশ্য হল বিশাল ভূপৃষ্ঠের উপর শত্রুর স্থল লক্ষ্যবস্তুতে সর্বাধিক ক্ষতি সাধন করা। ওয়ারহেডটি লক্ষ্যবস্তুর ঠিক উপরে বিস্ফারিত হবে, যার ফলে একটি শক্তিশালী শক ওয়েভ তৈরি হবে যা পরিকাঠামো, সামরিক ঘাঁটি এবং অন্যান্য পৃষ্ঠতল লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করবে।

    ২. বাঙ্কার বাস্টার ওয়ারহেড- এই ওয়ারহেডটি এতটাই মারাত্মক হবে যে এটি বি-২ বম্বারে ব্যবহৃত জিবিইউ-৫৭ বাঙ্কার বাস্টার বোমার চেয়েও বেশি মারাত্মক হবে। জিপিইউ-৫৭ বোমা ৬০ মিটার গভীরতা পর্যন্ত নির্মিত বাঙ্কারগুলিকে ধ্বংস করতে পারে, যেখানে অগ্নি-৫ এর বাঙ্কার বাস্টার ওয়ারহেড ৮০-১০০ মিটার গভীরতায় নির্মিত শক্তিশালী ভূগর্ভস্থ কাঠামো, বাঙ্কার এবং কমান্ড সেন্টারগুলিকে এক ধাক্কায় ধ্বংস করতে পারে। এটি পাকিস্তানের কাছে শঙ্কার কারণ। পাকিস্তানের কিরানা পাহাড়ে থাকা পারমাণবিক কেন্দ্রকে যে কোনও সময় উড়িয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখবে।

     ভারতের প্রতিরোধমূলক কৌশলের মূলস্তম্ভ

    ভারতের এই সাহসী পদক্ষেপ শুধুমাত্র কৌশলগত স্বাধীনতা অর্জনের প্রয়াস নয়, বরং দেশীয় প্রতিরক্ষা শিল্পে এক বড় সাফল্যের ইঙ্গিত। সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে নির্মিত এই বাঙ্কার বাস্টার অগ্নি ক্ষেপণাস্ত্র ভারতের অস্ত্রভাণ্ডারে এক যুগান্তকারী সংযোজন। অগ্নি ক্ষেপণাস্ত্র সিরিজ বহুদিন ধরেই ভারতের প্রতিরোধমূলক কৌশলের মূলস্তম্ভ। এখন এই সিরিজে বাঙ্কার বাস্টার সংস্করণ যুক্ত হতে চলেছে। এর ফলে ভারত একটি অভিজাত দেশসমূহের তালিকায় যুক্ত হয়ে যাবে, যারা ভূগর্ভস্থ লক্ষ্যবস্তু ধ্বংসের ক্ষমতা রাখে—এবং এর ফলে আরও শক্তিশালী ও দায়িত্বশীল সামরিক শক্তি হিসেবে নিজেদের অবস্থান সুদৃঢ় করবে।

  • India: গঙ্গা জলচুক্তির ভয়! ‘ভারতকে এড়িয়ে নয় কোনও জোট’, চিন-পাকিস্তানের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে সাফাই ঢাকার

    India: গঙ্গা জলচুক্তির ভয়! ‘ভারতকে এড়িয়ে নয় কোনও জোট’, চিন-পাকিস্তানের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে সাফাই ঢাকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৯ জুন চিনের কুনমিং-এ অনুষ্ঠিত হয় এক বৈঠক। যেখানে মিলিত হয় তিন দেশ বাংলাদেশ, চিন ও পাকিস্তান। তিন পক্ষই সেখানে নিজেদের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা করেছে। ওই বৈঠকে জোর দেওয়া হয়েছে চিন, বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানের কূটনৈতিক সম্পর্কের বহুমাত্রিকতা এবং উন্মুক্ত আঞ্চলিকতার উপর। পর্দার আড়ালে এই বৈঠক যে ভারতকে চাপে রাখতে করা হয়েছিল তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে ১৯ জুনের এই বৈঠকের পরেই বাংলাদেশের সঙ্গে গঙ্গাজল চুক্তি পুনর্বিবেচনার কথা বলে ভারত। এতেই সিঁদুরে মেঘ দেখে বাংলাদেশ। ভারতকে চাপে রাখতে যে তারা এমন বৈঠক করেনি, তারই সাফাই গাইতে শুরু করে ইউনূস সরকার। যা শুনে অনেকে বলছেন, একেই বলে, ঠেলার নাম বাবাজি।

    ভয় পেয়ে জোট অস্বীকার করছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার

    গঙ্গাজলচুক্তি ইস্যুতে ভারত বোমা ফাটাতেই, এ ধরনের উদীয়মান জোটের সম্ভাবনাকে খারিজ করেছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। তারা জানিয়েছে, সাম্প্রতিক যে বৈঠক হয়েছে তিন দেশের মধ্যে, তা কোনওভাবেই রাজনৈতিক নয়। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা এম. তৌহিদ হোসেনকে ১৯ জুন চিনের কুনমিংয়ে অনুষ্ঠিত ত্রিপক্ষীয় বৈঠক সম্পর্কে মন্তব্য করতে বলা হলে, তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা কোনও জোট গঠন করছি না। এটি সরকারি পর্যায়ের বৈঠক ছিল, কোনও রাজনৈতিক বৈঠক নয়।” ভারতকে (India) বার্তা দিতে কি এই বৈঠক করা হয়েছিল, এমন প্রশ্নের উত্তরে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রকের উপদেষ্টা বলেন, “এটি অবশ্যই কোনও তৃতীয় পক্ষকে লক্ষ্য করে করা হয়নি, আমি নিশ্চিতভাবে বলতে পারি।”

    চিন-পাকিস্তান চিরমিত্র, তাতে যোগ দিল বাংলাদেশ

    প্রসঙ্গত, চিন ও পাকিস্তান সবসময়ের জন্যই নিজেদের বন্ধু। কিন্তু এবার সেখানে যোগ দিল বাংলাদেশ এবং এভাবেই ত্রিপাক্ষিক একটি জোট তৈরি করা হল, যা ভারতের (India) জন্য উদ্বেগজনক। আজ থেকে ঠিক এক বছর আগেও ঢাকার সঙ্গে দিল্লির অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিল। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের সহযোগিতা দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ককে ঘনিষ্ঠ করে তুলেছিল। কিন্তু গত বছর, অর্থাৎ ২০২৪ সালের অগাস্ট মাসে বাংলাদেশের (Bangladesh) তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জোর করে পদত্যাগ করানো হয়। জামাত ও বিএনপির সহায়তায় দখল করা হয় গণভবন। এরপর থেকে পরিস্থিতি বদলে যায়। সে দেশে ভারতবিরোধী কার্যকলাপ বাড়তে থাকে, সীমান্তে বাড়তে থাকে অনুপ্রবেশ। দায়িত্বে আসেন বাংলাদেশের নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ মোহাম্মদ ইউনুস। এরপর থেকেই পাকিস্তানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়াতে থাকে ঢাকা, সঙ্গে যোগ হয় বেজিং। ভারত বিরোধিতা (India) বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই বাংলাদেশ ঘনিষ্ঠ বন্ধু হয়ে ওঠে চিন এবং পাকিস্তানের।

    শয়তান ত্রিভুজ

    চিন, বাংলাদেশ (Bangladesh) এবং পাকিস্তানের এই জোটকে শয়তান ত্রিভুজ বলছেন বিশেষজ্ঞরা। এই জোট বর্তমানে বঙ্গোপসাগরে ভারতের যে আধিপত্য বজায় রয়েছে, তাকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারে বলেও মনে করছেন বহু রাজনৈতিক বিশ্লেষক। এ নিয়ে মেজর জেনারেল সুধাকর জি জানিয়েছেন, শয়তানের ত্রিভুজ শিলিগুড়ি করিডরকে অবরুদ্ধ করে দিতে পারে এবং ভারতের মূল ভূখণ্ড থেকে উত্তর-পূর্বকে বিচ্ছিন্ন করার ষড়যন্ত্র চালাতে পারে। তিনি আরও জানান, এই শয়তানের জোট ভারতকে সবসময় চাপে রাখার চেষ্টা করবে। বেজিং, ঢাকা এবং ইসলামাবাদ তাদের দাবি পূরণের জন্য সবসময়ের জন্য কূটনৈতিক চাপে রাখতে চাইবে নয়াদিল্লিকে।

    ভূ রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মত

    ভূ-রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ গৌতম লাহিড়ীর মতে, নিরাপত্তার দিক থেকে ত্রিপাক্ষিক এই জোট ভারতের কাছে অত্যন্ত উদ্বেগজনক। বাংলাদেশের নতুন সরকার পাকিস্তান ও চিনের সঙ্গে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ হতে চেষ্টা করছে। তবে পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং চিনের এই ত্রিপাক্ষিক শক্তি এখনও তার প্রভাব দেখাতে পারেনি। গৌতম লাহিড়ী আরও জানান, তারা বলছে যে তারা অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক বিষয়ে মনোনিবেশ করবে; কিন্তু আসলে উদ্দেশ্য অন্য। ভারতের (India) সতর্ক হওয়া উচিত এবং ভারতের নিরাপত্তা যাতে বিঘ্নিত না হয়, সেজন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, যদি বাংলাদেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হয় এবং গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে একটি স্থিতিশীল সরকার গঠিত হয়, তাহলে ঢাকা চিন ও পাকিস্তানঘেঁষা জোট থেকে সরে আসতে পারে। কারণ, একটি শক্তিশালী সরকার জাতীয় স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়ে স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতি গ্রহণ করতে সক্ষম। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই জোট যাতে আরও শক্তিশালী না হয়, তা নিশ্চিত করতে ভারতের কূটনৈতিক তৎপরতা এখন থেকেই বাড়ানো জরুরি। নয়তো এই ত্রিপাক্ষিক জোট দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের প্রভাব ও নিরাপত্তার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে।

LinkedIn
Share