Tag: madhyom bangla

madhyom bangla

  • Spices: বসন্তে বাড়ছে ভোগান্তি, বাঙালির রান্নাঘরেই রয়েছে নানা রোগের দাওয়াই!

    Spices: বসন্তে বাড়ছে ভোগান্তি, বাঙালির রান্নাঘরেই রয়েছে নানা রোগের দাওয়াই!

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বসন্ত (Spring) শুরু হয়ে গিয়েছে। এদিকে তাপমাত্রার পারদের ওঠানামা লেগেই আছে! দিনে রোদের পারদ বাড়ছে। কিন্তু রাতের দিকে অনেক সময়েই হঠাৎ ঠান্ডা লাগছে। আবার ঘরের ভিতরে আর বাইরে তাপমাত্রার যথেষ্ট তারতম্য মনে হচ্ছে। আর এই সবকিছুর জেরে বাড়ছে ভোগান্তি। অনেকেই সর্দি-কাশিতে নাজেহাল হচ্ছেন। বিশেষত শিশু ও বয়স্কদের ভোগান্তি আরও বাড়ছে। তবে বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, সর্দি-কাশি, গলাব্যথার মতো অসুখকে কাবু করার অস্ত্র বাঙালির রান্নাঘরেই মজুত রয়েছে। তাহলে জেনে নিন, কোন মশলায় (Spices) কাবু হবে কোন অসুখ?

    দারুচিনি (Spring)

    বাঙালির রান্নাঘরে অতি পরিচিত একটি মশলা হল দারুচিনি। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, রান্নার স্বাদ বাড়ানোর পাশাপাশি এই মশলা সর্দি-কাশির মোকাবিলা করতে বিশেষ সাহায্য করে। দারুচিনিতে থাকে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য। এর ফলে ভাইরাস সংক্রমণ রুখতে এই মশলা বিশেষ সাহায্য করে। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই মশলা শ্বাসনালীর সংক্রমণ রুখতেও‌ বিশেষ সাহায্য করে। তাই কাশির মোকাবিলায় বিশেষ উপকার হয়।

    লবঙ্গ (Spices)

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, কাশির ভোগান্তি কমাতে লবঙ্গ বিশেষ সাহায্য করে। লবঙ্গতে ইউজেনল নামে একটি যৌগ উপাদান থাকে। গলায় কোনও রকম ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ হলে লবঙ্গ সেই ব্যাকটেরিয়া নষ্ট করতে বিশেষ সক্রিয় হয়ে ওঠে। এর ফলে ভোগান্তি কমে।

    এলাচ

    যে কোনও তরকারিতে আলাদা গন্ধ যোগ করে এলাচ। এই মশলার পুষ্টিগুণ অপরিসীম। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, এলাচে থাকে এক্সপেক্টোরেন্ট বৈশিষ্ট্য। এর ফলে এলাচ (Spices) ফুসফুসের জন্য বিশেষ উপকারী। আবার গলাব্যথা বা ভাইরাসঘটিত সংক্রমণের জন্য শ্বাসনালীর কোথাও রক্ত জমাট বাঁধা থাকলে, সেই সমস্যা সমাধানে বিশেষ সাহায্য করে। একটা এলাচ চিবিয়ে খেলে অনেক সময়েই গলার সমস্যা কমে।

    গোলমরিচ(Spices)

    কমবেশি সব বাঙালির রান্নাঘরেই থাকে গোলমরিচ। আর এই মশলার স্বাস্থ্যগুণও প্রচুর। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, গোলমরিচে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সি। এই দুই উপাদান সর্দি-কাশি মোকাবিলায় বিশেষ সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞদের একাংশের পরামর্শ, নিয়মিত রান্নায় গোলমরিচ ব্যবহার করলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে। এর ফলে সহজেই ভাইরাসে সংক্রমণে শরীরে রোগ বাসা বাঁধতে পারে না।

    জিরে

    সর্দি-কাশির ভোগান্তির পাশপাশি বছরের এই সময়ে হজমের সমস্যাও বাড়ে‌। আর এই ভোগান্তি কমাতে জিরে খুবই উপকারী। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, জিরেতে (Spices) প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। তাই হজমে সাহায্যের পাশাপাশি এই মশলা সর্দি-কাশি সহ একাধিক রোগ কমাতে ও শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতে বিশেষ সাহায্য করে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Mithun Attacks Mamata: মহাকুম্ভকে ‘মৃত্যুকুম্ভ’ বলায় মমতাকে ধুয়ে দিলেন ‘মহাগুরু’

    Mithun Attacks Mamata: মহাকুম্ভকে ‘মৃত্যুকুম্ভ’ বলায় মমতাকে ধুয়ে দিলেন ‘মহাগুরু’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাকুম্ভকে (Maha Kumbh 2025) ‘মৃত্যুকুম্ভ’ উল্লেখ করা নিয়ে মমতাকে এবার পাল্টা (Mithun Attacks Mamata) দিলেন বিজেপি নেতা তথা বিখ্যাত অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। দাদাসাহেব ফালকে জয়ী অভিনেতা তথা বিজেপি নেতার সাফ কথা, মমতা ভুল বলছেন, আসল কথা হল প্রয়াগরাজে সনাতনী ধর্মের আস্থার জয় হয়েছে। রেকর্ড সংখ্যক মানুষ সেখানে পূণ্যস্নান করেছেন। এদিকে, মহাকুম্ভের ১৪৪ বছরের চক্র নিয়ে সংশয় প্রকাশ করায় মুখ্যমন্ত্রীকে তুলোধনা করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

    কুম্ভ নিয়ে ঢোঁক গিললেন মমতা!

    ‘মৃত্যুকুম্ভ’ মন্তব্যের বিতর্ক নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা মঙ্গলবার ঢোঁক গিলে বলেন, ‘‘কুম্ভস্নান নিয়ে কিছু বলিনি। আমি বলেছি, কুম্ভ নিয়ে অব্যবস্থার কথা।’’ সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মিঠুন (Mithun Attacks Mamata) বলেন, ‘‘কে কী বলছেন তার মধ্যে আমি যাব না। তবে চোখ তো মিথ্যে কথা বলে না। সত্তর কোটি ইতিমধ্যে হয়ে গিয়েছে। সবমিলিয়ে কত হবে জানি না, ভগবানের কাছে প্রার্থনা করি, সবটা যেন সুস্থভাবে সম্পন্ন হয়।’’

    ‘‘যেটা উনি বলেছেন সেটা পুরোপুরি ভুল’’

    মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘‘আমি যতদূর জানি, পূণ্যস্নান সংক্রান্তিতে হয়। যেমন গঙ্গাসাগর প্রতিবার হয়, মহাকুম্ভে ১২ বছর পর পর হয়। তা বলে ১৪৪ বছর অন্তর মহাকুম্ভ, আমি যতটুক শুনেছি, এটা ঠিক নয়!’’ জবাবে মিঠুন (Mithun Attacks Mamata) বলেন, ‘‘যেটা উনি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) বলেছেন সেটা পুরোপুরি ভুল। ৭০ কোটি মানুষ প্রয়াগরাজে এসেছেন, পূণ্যস্নান করেছেন, এটা কি ভুল? এই মহাস্নান গরিব থেকে বড়লোক, সবাই এক জায়গায়, কোনও ভেদাভেদ নেই। ফলে সনাতনী ধর্মর কী পাওয়ার সেটা বুঝিয়ে দিল, গর্ব সে কহো হাম সনাতনী হ্যায়!’’

    ‘‘মানুষ দেখেছে সনাতন ধর্মের শক্তি’’

    মমতা দাবি করেছেন, মহাকুম্ভ (Maha Kumbh 2025) নিয়ে হাইপ তুলেছে যোগী প্রশাসন। বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর এই দাবি নস্যৎ করে ‘মহাগুরু’ (Mithun Attacks Mamata) বলেন, ‘‘এতে হাইপ তোলার কী আছে, হাইপ কেউ তোলেননি, আপনা থেকেই উঠেছে! যোগী সাহেব কাউকে ফোন করে বলেননি। মহাকুম্ভ পুণ্যের জায়গা, ফলে লোক নিজে থেকেই জড়ো হয়েছে, মানুষ দেখেছে সনাতন ধর্মের শক্তি।’’ একই সঙ্গে মিঠুন এও দাবি করেছেন, বাংলা থেকে খুন, ধর্ষণ, রাহাজানির ঘটনা বন্ধ করতে চাইলে সবার আগে তৃণমূলের সরকারকে হঠিয়ে বিজেপির সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সেই দায়িত্ব নিতে হবে বাংলার মানুষকেই।

    ‘‘সনাতন ধর্মের পবিত্র ঘটনাগুলিকে অবমূল্যায়ন করার প্রচেষ্টা’’

    শুধু মিঠুনই নন, মমতাকে একহাত নেন শুভেন্দু অধিকারীও (Suvendu Adhikari)। সোশ্যাল মিডিয়ায় মমতাকে কটাক্ষ করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা লেখেন, ‘‘‘ধর্মীয়’ ইতিহাসে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করছেন যে, ১৪৪ বছরের মহাকুম্ভ চক্র ‘ভুল এবং প্রচারিত’। ঐতিহাসিক নথি, জ্যোতিষশাস্ত্র এবং জ্যোতির্বিদ্যাবিজ্ঞান মহাকুম্ভের (Maha Kumbh 2025) বৈধতা নিশ্চিত করে। তাঁর (মমতার) বারবার বিভ্রান্তিকর বক্তব্য রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং সনাতন ধর্মের পবিত্র ঘটনাগুলিকে অবমূল্যায়ন ও অবমূল্যায়ন করার প্রচেষ্টা বলে মনে হচ্ছে, যা তাঁর তুষ্টির রাজনীতির ব্র্যান্ড দ্বারাও প্রভাবিত।’’ শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) আরও বলেন, ‘‘যেহেতু তিনি ১৪৪ বছরের চক্রকে উড়িয়ে দিচ্ছেন, তাই তিনি অবশ্যই যথাক্রমে ১২ বছর অন্তর পূর্ণ কুম্ভ, এবং ৬ বছর অন্তর অর্ধ কুম্ভ মেলার চক্র সম্পর্কেও সন্দেহবাদী। এই নির্বাচনী সংশয়বাদ তাঁর হিন্দু-বিরোধী রাজনৈতিক এজেন্ডাকে প্রকাশ করে।’’

    ‘‘তৃণমূলের ৫০ এমএলএ কুম্ভে স্নান করেছেন’’!

    এরই সঙ্গে, নন্দীগ্রামের বিজেপি নেতা মমতাকে মনে করিয়ে দেন, তাঁর (মমতার) দলেরই কত নেতা-মন্ত্রী সব প্রয়াগে গিয়ে পুণ্যডুব দিয়ে এসেছেন। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘আমি নিজে ওখানে স্নান করেছি। তৃণমূলের তো ৫০ জন এমএলএ ওখানে(কুম্ভে) স্নান করেছেন। মুখ্যমন্ত্রীর মৃত্যুকুম্ভ বলার পরে ক্যানিংয়ের এমএলএ স্নান করেছেন। উত্তরপাড়ার এমএলএ স্নান করেছেন শুনলাম। যাঁরা এসব বলছেন, তাঁরা শুধুমাত্র ক্যামেরার সামনে আসার জন্য এসব বলেন। তবে বিপদে পড়লে তাঁরাই বলেন ভগবান আমায় রক্ষা করুন। সেই সঙ্গে তৃণমূলের নেতারা মহাকুম্ভে স্নান করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি দেন বলেও দাবি করেছেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)।’’

  • Beet juice: বিটের রসেই হবে বাজিমাত! কোন কোন রোগের মোকাবিলা করবে এই সবজি?

    Beet juice: বিটের রসেই হবে বাজিমাত! কোন কোন রোগের মোকাবিলা করবে এই সবজি?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    শীতের রঙিন সবজি বিট। মরশুমের হলেও এখন সারা বছর বিট পাওয়া যায়। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত বিট খেলে বিশেষত বিটের রস খেলে শরীরে একাধিক উপকার পাওয়া যায়। আটকানো যাবে একাধিক সমস্যা। চিকিৎসকদের একাংশ বলছেন, দিনের নির্দিষ্ট সময় বিটের রস (Beet juice) খেলে বাড়তি‌ উপকার পাওয়া যায়। দেখে নেওয়া যাক, কোন কোন রোগের মোকাবিলা করবে বিট?

    আয়রনের ঘাটতি কমায় (Beet juice)

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, বিটের পুষ্টিগুণ প্রচুর।‌এই সবজিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন। তাই নিয়মিত বিট খেলে বিশেষত বিটের রস খেলে শরীরে রক্তের ঘাটতি কমবে। বিশেষত যাঁরা আয়রনের অভাবে ভুগছেন, তাঁদের জন্য বিট খুবই উপকারী। গর্ভবতীদের জন্য বিট বাড়তি উপকার দেয়।

    রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়াবে

    বিট রোগ প্রতিরোধে বিশেষ সাহায্য করে। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, বিটে (Beet juice) প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। তাই বিট খেলে দেহে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে। যে কোনও সংক্রামক রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করা সহজ হয়।

    উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে বিশেষ সাহায্য করবে

    বিট উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে বিশেষ সাহায্য করে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন বিটে রয়েছে পটাশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ সহ একাধিক খনিজ পদার্থ। যা শরীরে রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। তাই নিয়মিত বিটের রস খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ (Diseases) থাকে। যাঁরা উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভোগেন, তাঁদের জন্য বিট বাড়তি উপকার দেয়।

    ডায়াবেটিস আক্রান্তদের জন্যও বাড়তি উপকারী (Beet juice)

    রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করতে বিটের উপকার অপরিসীম। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাই ডায়াবেটিসের মতো সমস্যা রুখতেও বিট খুব সক্রিয়। খনিজ পদার্থ সমৃদ্ধ এই খাবার তাই ডায়াবেটিস আক্রান্তদের জন্য বাড়তি উপকারী বলেই মত পুষ্টিবিদদের একাংশের।

    অকাল বার্ধক্য ঠেকাতে সাহায্য করবে

    বলিরেখা রুখতে এবং বার্ধক্য ঠেকাতে বিটের গুরুত্ব অপরিসীম। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, ত্বক টানটান রাখতে এবং বার্ধক্য রুখতে বিট খুবই উপকারী। তাঁরা জানাচ্ছেন, বিটে প্রচুর পরিমাণে ডায়েটারি নাইট্রেট থাকে। যা শরীরে প্রবেশ করে ধীরে ধীরে নাইট্রিক অক্সাইডে পরিণত হয়। আর এই নাইট্রিক অক্সাইড শরীরে রক্তপ্রবাহে বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এর ফলে অকাল বার্ধক্য আটকানো যায়।

    স্মৃতিশক্তি ধরে রাখতে সাহায্য করবে (Beet juice)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, মস্তিষ্ক সক্রিয় রাখতেও বিট খুবই কার্যকরী। তাঁরা জানাচ্ছেন, বিট থেকে শরীর প্রচুর নাইট্রিক অক্সাইড পায়। শরীরের বিভিন্ন অংশে প্রয়োজনীয় অক্সিজেন তাই সহজেই পৌঁছে যায়। এর ফলে মস্তিষ্ক আরও সক্রিয় থাকে। মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, স্মৃতিশক্তি ধরে রাখতেও বিট খুবই উপকারী।

    ত্বকের জন্য বাড়তি উপকারী

    ঠোঁট, গাল বা দেহের বিভিন্ন অংশে কালো ছোপ দূর করতে, ব্রণের সমস্যা মোকাবিলায় বিটের (Beet juice) উপকার অনেক। এমনটাই জানাচ্ছেন ত্বক রোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত বিট খেলে শরীরে রক্ত সঞ্চালন ঠিকমতো হয়। এর ফলে একাধিক ত্বকের সমস্যা কমে। বিশেষত ব্রণর মতো সমস্যা মোকাবিলায় এটা খুবই কার্যকরী। তাছাড়া বিটে থাকে একাধিক ভিটামিন এবং আয়রন। এর ফলে ত্বকের স্বাভাবিক ময়েশ্চারাইজার পাওয়া যায়। ত্বকের শুষ্কতা কমে। ত্বক উজ্জ্বল থাকে। তাই নিয়মিত বিটের তরকারি বা বিটের রস খেলে ত্বক ভালো‌ থাকবে বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Hearing: শ্রবণশক্তি হারাচ্ছেন অধিকাংশ ভারতীয়! কী বলছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট?

    Hearing: শ্রবণশক্তি হারাচ্ছেন অধিকাংশ ভারতীয়! কী বলছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    ‌বেড়েছে শব্দের দাপট। যে কোনও উৎসব উদযাপনে তীব্র শব্দের দাপট এখন অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িয়ে থাকে।‌ কালীপুজোর রাত হোক বা নতুন বছর শুরুর উদযাপন, বিকট জোরে গান বাজানো কিংবা শব্দবাজির তীব্র আওয়াজ এখন রেওয়াজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর এই রেওয়াজেই বাড়ছে বিপদ। ভারতীয়দের মধ্যে বাড়ছে শ্রবণশক্তির (Hearing) সমস্যা। তীব্র হচ্ছে ‘চিরবধির’ হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি। আর সবচেয়ে বেশি‌ দুশ্চিন্তা বাড়াচ্ছে শিশুদের সমস্যা। এমনটাই জানাচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাম্প্রতিক রিপোর্ট।

    কী বলছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট? (Hearing)

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (World Health Organization) তরফে জানানো হয়েছে, ভারতে শ্রবণশক্তির সমস্যা বাড়ছে। অধিকাংশ মানুষের শ্রবণ ক্ষমতা হ্রাস পাচ্ছে। সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ভারতের ৬৩ মিলিয়ন মানুষ শ্রবণযন্ত্রের গুরুতর সমস্যার ভুগছেন।‌ যার প্রভাবে তাদের শ্রবণ ক্ষমতা কমেছে। বাদ নেই শিশুরাও। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, সদ্যোজাত থেকে ছ’বছর বয়সি শিশুদের ২৩ শতাংশের শ্রবণ সমস্যা রয়েছে। আর সদ্যোজাত থেকে ১৯ বছর বয়সি ছেলেমেয়েদের ২০ শতাংশ শ্রবণ অক্ষমতার শিকার। এই পরিসংখ্যান‌ যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    কেন শ্রবণ সমস্যা বাড়ছে?

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, ভারতে শ্রবণ সমস্যা বাড়ার প্রধান‌ কারণ অসচেতনতা।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশ মানুষ শ্রবণযন্ত্রের যত্ন সম্পর্কে একেবারেই ধারণা রাখেন না। তীব্র শব্দ যে কতখানি গভীর প্রভাব ফেলতে পারে, সে সম্পর্কে অধিকাংশ মানুষের সচেতনতা খুবই কম। তাঁরা জানাচ্ছেন, প্রতি বছর দীপাবলির পরে ভারতের একাধিক হাসপাতালে শ্রবণ সমস্যায় ভুক্তভোগীর সংখ্যা বাড়ে। তারপরেও‌ সচেতনতা তলানিতে। যে কোনও উৎসবে শব্দবাজির দাপট অব্যাহত। এর ফলে কানের পর্দায় মারাত্মক চাপ পড়ছে। অনেক সময়েই ভিতরে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। যা বোঝা যাচ্ছে না। আর সেই আঘাত থেকেই অকাল বধির হয়ে যাচ্ছেন। আর এর প্রভাব‌ শিশুদের উপরেই সবচেয়ে বেশি‌ পড়ছে। শিশুদের শ্রবণযন্ত্র আরও বেশি স্পর্শকাতর হয়। ফলে লাগাতার তীব্র আওয়াজে তাদের আরও বেশি ক্ষতি হচ্ছে।‌ যার জেরেই শিশুদের মধ্যে শ্রবণ সমস্যা (Hearing) বাড়ছে।
    শব্দ দূষণের পাশাপাশি পরিবেশ দূষণ ও ভাইরাসের দাপট বেড়ে‌ যাওয়ার জেরেও শ্রবণ সমস্যা দেখা‌ দিচ্ছে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, গত এক দশকে পৃথিবী জুড়ে‌ নানান ভাইরাসঘটতি অসুখের দাপট বেড়েছে। এর ফলে শরীরের নানান অঙ্গে সমস্যা তৈরি হচ্ছে। ভাইরাসঘটিত অসুখ সেরে গেলেও, তার প্রভাব শরীরের নানান অঙ্গে থেকে যাচ্ছে। সেই অঙ্গের কার্যশক্তি কমছে। শ্রবণ শক্তি হ্রাসের পিছনেও অনেক সময় এই কারণ দেখা যাচ্ছে।‌

    কী পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল? (Hearing)

    শ্রবণ সমস্যা নিয়ে সচেতনতা জরুরি বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, শ্রবণ ক্ষমতা অনেকের ধীরে ধীরে কমে। কিন্তু সচেতনতার অভাবে রোগ চিহ্নিত করতে অনেক দেরি হয়ে যায়। তখন চিকিৎসার বিশেষ সুযোগ থাকে না। তাই তাঁদের পরামর্শ, শ্রবণ শক্তি হ্রাস পাচ্ছে কিনা, সে নিয়ে সচেতনতা জরুরি।‌ বিশেষত শিশু ঠিকমতো শুনতে পাচ্ছে কিনা, শব্দের খেয়াল করতে পারছে কিনা, সে দিকে অভিভাবকদের নজরদারি জরুরি। তাহলে সমস্যা দেখা দিলে প্রথম থেকেই সতর্ক হওয়া যাবে। প্রয়োজনীয় চিকিৎসার মাধ্যমে সমাধান‌ করার চেষ্টা করা যাবে।
    পাশপাশি শ্রবণ সমস্যার এই বাড়বাড়ন্ত ঠেকাতে একমাত্র হাতিয়ার সচেতনতা এবং প্রশাসনিক তৎপরতা বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, সাধারণ মানুষকে শব্দ দূষণ নিয়ে সচেতন করতে হবে। দরকার হলে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে স্কুল স্তর থেকেই নানান কর্মশালার আয়োজন করতে হবে।‌ পাশপাশি শব্দ দূষণ করলে তার আইনানুগ শাস্তি জরুরি। প্রশাসনকে সেই ব্যাপারে তৎপর হতে হবে। তবেই এই সমস্যা মোকাবিলা সম্ভব বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Climate change: তাপমাত্রার রকমফেরে ভোগান্তির শেষ নেই! কোন কোন রোগের প্রকোপ বাড়ছে?

    Climate change: তাপমাত্রার রকমফেরে ভোগান্তির শেষ নেই! কোন কোন রোগের প্রকোপ বাড়ছে?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    শীতের শেষ নাকি বসন্তের শুরু, স্পষ্ট করে বোঝা মুশকিল। সকালে গাঢ় কুয়াশা আর হিমেল হাওয়া। আবার বেলা বাড়তেই অস্বস্তি! সব মিলিয়ে আবহাওয়ার হাবভাব (Climate change) টের পাওয়া কঠিন। তাপমাত্রার পারদ ওঠানামা করছে! আর তার জেরেই বাড়ছে ভোগান্তি। বিশেষত প্রবীণ ও শিশুদের নিয়ে বাড়তি সমস্যা দেখা দিচ্ছে। তাই চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, সতর্কতা জরুরি। না হলেই বাড়াবাড়ি হতে পারে।

    কোন রোগের প্রকোপ বাড়ছে? (Climate change)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, তাপমাত্রার পারদ ওঠানামা করছে। আর তার জেরেই বাতাসে নানান ভাইরাসের দাপট বাড়ছে। সক্রিয় হচ্ছে নানান ব্যাকটেরিয়া। আর তার জেরেই নানান রোগের ঝুঁকি বাড়ছে। ভাইরাস ঘটিত রোগের জেরে দেখা দিচ্ছে সর্দি-কাশি এবং জ্বর। বিশেষত শিশুদের এই সময়ে জ্বরের প্রকোপ বেশি‌ দেখা দিচ্ছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, প্রবীণদের ভোগান্তি বাড়াচ্ছে কাশি।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশ প্রবীণ মানুষই‌ ফুসফুসের অসুখে কাবু। বায়ুদূষণ সহ একাধিক কারণে তাঁদের ফুসফুসের কার্যক্ষমতা কমছে। তার উপরে বাতাসে একাধিক ভাইরাস সক্রিয় হওয়ায় শ্বাসনালী এবং ফুসফুসে সংক্রমণের ঝুঁকিও বাড়ছে। তাই কাশির সমস্যা দেখা দিচ্ছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে কাশি কমতে অনেকটাই সময় নিচ্ছে। অর্থাৎ সংক্রমণের দাপট অত্যন্ত বেশি। তাই ভোগান্তি বাড়ছে।
    শ্বাসনালীর সংক্রমণের জেরেও নানান ভোগান্তি দেখা দিচ্ছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অনেক সময়েই হাঁপানির সমস্যায় আক্রান্তদের ভোগান্তি বাড়াচ্ছে সর্দি-কাশি। তাই বছরের এই সময়ে তাঁদের বাড়তি সতর্কতা জরুরি।
    তাছাড়া, এই সময়ে পেটের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। আবহাওয়ার এই পরিবর্তনের জেরে পেটের অসুখ দেখা দিচ্ছে। হজমের সমস্যাও দেখা দিচ্ছে।

    চিকেন পক্স

    তবে বছরের এই সময়ে চিকেন পক্স নিয়ে বাড়তি সতর্কতা জরুরি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, এই সময়েই এই রোগের প্রকোপ বাড়ে। তাই এই সময়ে যাতে সর্দি-জ্বর কাবু করতে না পারে, সেদিকে খেয়াল রাখা জরুরি। এসবের পাশপাশি বছরের এই ঋতু পরিবর্তনের সময়ে (Climate change) অনেকেই ত্বকের সমস্যায় ভোগেন। এই সময়ে আবহাওয়ার জেরে এক ধরনের শুষ্কতা দেখা দেয়। তার ফলেই ত্বকের সমস্যা দেখা দেয়।

    কী পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা? (Climate change)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ঋতু পরিবর্তনের এই সময়ে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। ভোরে বা সন্ধ্যায় বাইরে থাকলে গলা ও মাথা হালকা কাপড়ে ঢেকে রাখলে ভালো। বিশেষ করে শিশু ও প্রবীণদের জন্য এই পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ঠান্ডা হাওয়ার জেরে অনেক সময়েই আপার রেসপিরেটরি ট্র্যাকে ইনফেকশন হয়ে যায়। আর তার থেকেই জ্বর-কাশির মতো ভোগান্তি শুরু হয়। তাই সেদিকে খেয়াল রাখা জরুরি।
    পাশপাশি রাতে ঘুমানোর সময় পাতলা চাদর অবশ্যই রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।‌ তাতে ঠান্ডা লাগার ঝুঁকি কমবে।
    দেহের রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ানোর দিকে বিশেষ নজরদারি প্রয়োজন বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়া ঘটিত অসুখের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য শরীর শক্তিশালী থাকা দরকার। তাই রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ানো প্রয়োজন। তাই এই সময়ে (Temperature variation) নিয়মিত লেবুর রস খাওয়া দরকার। কারণ লেবুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। যা দেহের রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ায়। সর্দি-কাশির ভোগান্তি কমায়। আবার ভিটামিন সি ত্বকের জন্যও উপকারী। তাই এই লেবু, কিউই জাতীয় ফল নিয়মিত খেলে ত্বকের শুষ্কতার সমস্যাও কমবে।
    পেটের অসুখ মোকাবিলায় এই সময়ে (Climate change) অতিরিক্ত পরিমাণ জল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই সময়ে আবহাওয়া শুষ্ক হয়। শরীরে যাতে জলের পরিমাণ কমে না যায়, সেদিকে খেয়াল রাখা জরুরি। তাই নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খাওয়া দরকার। ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি তাতে কমবে।
    সহজপাচ্য খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, মাছ-মাংস-ডিমের মতো প্রাণীজ প্রোটিন হোক কিংবা সব্জি, যেকোনও রান্না কম তেলমশলায় করতে হবে। যাতে হজম সহজেই হয়। তাহলে একাধিক অসুখ মোকাবিলা সহজ হবে।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

LinkedIn
Share