Tag: madhyom bangla

madhyom bangla

  • Bihar Assembly Election: “চরম লজ্জাজনক!” বিহারে ভোটার অধিকার যাত্রায় প্রধানমন্ত্রী মোদির প্রয়াত মায়ের বিরুদ্ধে অশালীন মন্তব্য

    Bihar Assembly Election: “চরম লজ্জাজনক!” বিহারে ভোটার অধিকার যাত্রায় প্রধানমন্ত্রী মোদির প্রয়াত মায়ের বিরুদ্ধে অশালীন মন্তব্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিহারে ‘ভোটার অধিকার যাত্রা’-র একটি ভাইরাল ভিডিওকে ঘিরে দেশজুড়ে রাজনৈতিক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। বিহারে কংগ্রেসের একটি সভা থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং তাঁর মায়ের বিরুদ্ধে কুরুচিকর ভাষায় স্লোগান দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে ‘ভোটার অধিকার যাত্রা’র সময়েই দ্বারভাঙায় একটি সভা থেকে এই স্লোগান দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানানো হয়েছে বিজেপির তরফে। কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী এবং আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদবকে ক্ষমা চাওয়ার দাবিও জানিয়েছে বিজেপি।

    বিজেপির অভিযোগ

    দ্বারভাঙার সিমরি থানার অন্তর্গত বিথৌলির ২৭ নম্বর জাতীয় সড়কের কাছে একটি সভায় এই ঘটনা ঘটে। জানা গিয়েছে, স্থানীয় কংগ্রেস নেতা এবং আসন্ন বিহার বিধানসভা নির্বাচনের টিকিট প্রত্যাশী মহম্মদ নওশাদ-এর উদ্যোগে এই মিটিংয়ের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই মঞ্চ থেকেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং তাঁর মায়ের (হীরাবেন মোদী) নামে কুরুচিকর ভাষায় স্লোগান দেওয়া হয় বলেই অভিযোগ। বৃহস্পতিবার এক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে বিজেপি লেখে, “রাহুল গান্ধী ও তেজস্বী যাদবের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত যাত্রার মঞ্চ থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিজির প্রয়াত মা সম্পর্কে চরম অশালীন ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে। ভারতের রাজনীতিতে এরকম অধঃপতন আগে কখনও দেখা যায়নি। এই যাত্রা অপমান, ঘৃণা এবং অশ্লীলতার সমস্ত সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছে।”

    বিহারের মানুষ ক্ষমা করবে না

    ওই পোস্টেই রাহুল এবং আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদবকে আক্রমণ করে বলা হয়, ‘এটি এমন একটি ভুল যে রাহুল এবং তেজস্বী যদি হাজার বার কান ধরে ওঠবোস করে ক্ষমা প্রার্থনা করেন, তবুও বিহারের মানুষ তাঁদের ক্ষমা করবে না।’যদিও এই ভাষায় আক্রমণকে ‘নিন্দনীয়’ বলেই জানানো হয়েছে কংগ্রেসের তরফে। কংগ্রেসের ওই মিটিংয়ের ভিডিয়োটি সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। উল্লেখ্য, ‘ভোটার অধিকার যাত্রা’ বিহারে ১৬ দিনের এক রাজনৈতিক অভিযান, যা ২০টি জেলায় ১,৩০০ কিমি পথ অতিক্রম করছে। এই যাত্রার মূল উদ্দেশ্য ভোটার তালিকায় অনিয়ম ও “ভোট চুরি”-র বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তোলা। যাত্রাটি ১ সেপ্টেম্বর পাটনায় শেষ হবে বলে জানা গিয়েছে।

  • Jammu and Kashmir: জম্মু-কাশ্মীরের বান্দিপোরায় সেনার গুলিতে খতম দুই জঙ্গি, চলছে তল্লাশি-অভিযান

    Jammu and Kashmir: জম্মু-কাশ্মীরের বান্দিপোরায় সেনার গুলিতে খতম দুই জঙ্গি, চলছে তল্লাশি-অভিযান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়ন্ত্রণরেখা অতিক্রম করে জঙ্গিদের ভারতে ঢোকার চেষ্টাকে সফল ভাবে রুখে দিল ভারতীয় সেনা। বৃহস্পতিবার ভোরে জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) বান্দিপোরার গুরেজ সেক্টরে নওশেরা নার এলাকায় সেনার সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে খতম করা হয় দুই জঙ্গিকে। জানা যাচ্ছে, এখনও (প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত) ওই এলাকায় তল্লাশি অভিযান চলছে, কারণ সন্দেহ করা হচ্ছে, আরও কেউ সেখানে লুকিয়ে থাকতে পারে।

    ভারতীয় সেনার বিবৃতি (Jammu and Kashmir)

    সেনাবাহিনীর (Indian Army) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ভোররাতে সীমান্ত পেরিয়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছিল একদল জঙ্গি। গোপন সূত্রে খবর পাওয়ার পরই সেনা ও জম্মু-কাশ্মীর (Jammu and Kashmir) পুলিশের যৌথ বাহিনী এলাকায় অভিযান চালায়। এই অভিযানকে নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন নওশেরা নার ৪’। গুলির লড়াইয়ে দুই জঙ্গিকে নিকেশ করা হয় এবং বাকিদের খোঁজে চলছে চিরুনি তল্লাশি। সেনার বিবৃতিতে লেখা হয়েছে, ‘‘সম্ভাব্য অনুপ্রবেশের চেষ্টা সম্পর্কে পুলিশের দেওয়া গোপন তথ্যের ভিত্তিতে গুরেজ় সেক্টরে একটি যৌথ অভিযান শুরু করেছিল ভারতীয় সেনা ও পুলিশের একটি দল। সে সময় দুই সন্দেহভাজনকে লক্ষ্য করে সেনা গুলি চালালে তারাও পাল্টা গুলি ছুড়তে শুরু করে। সংঘর্ষে দুই জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। অভিযান এখনও চলছে।’’

    উপত্যকায় নজরদারি আরও জোরদার করা হয়েছে

    সম্প্রতি পহেলগাঁও কাণ্ড ও ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর নিয়ন্ত্রণরেখা ও আন্তর্জাতিক সীমান্ত বরাবর নজরদারি আরও জোরদার করা হয়েছে। উপত্যকার বিভিন্ন এলাকায় (Indian Army) ধারাবাহিক অভিযান চালিয়ে দেখা হচ্ছে, কোনও জঙ্গি গোষ্ঠী লুকিয়ে রয়েছে কি না। গত মাসেই শ্রীনগরে (Jammu and Kashmir) ‘অপারেশন মহাদেব’-এ পহেলগাঁও হামলায় যুক্ত তিন জঙ্গিকে নিকেশ করা হয়েছিল। জঙ্গিদের কাছে থাকা টি৮২ আল্ট্রাসেট কমিউনিকেশন ডিভাইস চালু করে পহেলগাঁওয়ের জঙ্গি মুসা। সেই ডিভাইসের মাধ্যমে জঙ্গিদের লোকেশন জেনে নিয়েই অপারেশন চালায় ভারতীয় সেনা। লোকসভায় এই বিষয়ে বিবৃতিও দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

  • PM Modi in Japan: ভূমিকম্পেও লাইনচ্যুত হবে না! মোদির জাপান সফরে আলোচনার কেন্দ্রে কোয়াড ও বুলেট ট্রেন প্রকল্প

    PM Modi in Japan: ভূমিকম্পেও লাইনচ্যুত হবে না! মোদির জাপান সফরে আলোচনার কেন্দ্রে কোয়াড ও বুলেট ট্রেন প্রকল্প

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা থেকে দিল্লি পৌঁছে যাওয়া যাবে পাঁচ ঘণ্টায়। এমনই এক বুলেট ট্রেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi in Japan) দেখাতে চলেছে জাপান। ১৫তম ভারত-জাপান বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে আজ, বৃহস্পতিবার ২৮ অগাস্ট সন্ধ্যায় জাপান সফরে রওনা হবেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। এই সফরে ভারত ও জাপানের মধ্যে বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, প্রতিরক্ষা এবং প্রযুক্তির মতো বিষয়গুলি। ২৯ ও ৩০ অগাস্ট জাপানে থাকবেন মোদি। জাপান সফর শেষে চিনে যাবেন প্রধানমন্ত্রী (Modi’s Big Japan Agenda)।

    শিগেরু ইশিবার আমন্ত্রণে জাপানে

    প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর এর আগে সাতবার জাপানে গিয়েছেন মোদি (PM Modi in Japan)৷ এটি তাঁর অষ্টম সফর ৷ তবে জাপানের প্রধানমন্ত্রী বদলের পর এই প্রথমবার সূর্যোদয়ের দেশে যাবেন তিনি৷ দীর্ঘদিন দেশের বিদেশমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলে আসার পর জাপানের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন শিগেরু ইশিবা৷ তাঁর অনুরোধে ১৫তম ভারত-জাপান দ্বিপাক্ষিক সম্মেলনে যোগ দিতেই এবার জাপান সফরে যাচ্ছেন মোদি৷ শুক্রবার টোকিও-তে শুরু হচ্ছে ভারত-জাপান (India-Japan) শীর্ষ সম্মেলন। ভারত ও জাপানের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও মজবুত করার ব্যাপারে দুই নেতার মধ্যে আলোচনা হবে বলে জানা গিয়েছে৷ প্রতিরক্ষা থেকে শুরু করে নিরাপত্তা, ব্যবসা, অর্থনীতি এবং প্রযুক্তি ক্ষেত্রে দুটি দেশ একে অপরকে কীভাবে সাহায্য করতে পারে তা নিয়ে কথা বলবেন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী৷ এর পাশাপাশি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ এমন কয়েকটি বিষয় নিয়েও কথা বলবেন দুই নেতা ৷

    বুলেট ট্রেন নিয়ে আলোচনা

    বুলেট ট্রেন তৈরিতে গোটা বিশ্বে এক নম্বর স্থান বহু বছর জাপানের (Japan) দখলে। নতুন প্রযুক্তির সাহায্যে সেই ট্রেনকে রকেটের গতি দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে জাপান। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) এই সফরে জাপান সরকার এমনই একটি বুলেট ট্রেন (Bullet Train) তাঁকে দেখাতে চলেছে যেটি সে দেশে এখনও চলাচল শুরু করেনি। কারখানায় নির্মীয়মান অবস্থায় আছে। শুক্রবার জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে মিয়াগিতে যাবেন। সেখানে ইস্ট জাপান রেলওয়ে কোম্পানিতে তৈরি হচ্ছে ই-১০ সিরিজের বুলেট ট্রেন। ওই ট্রেন জাপানে চালু হওয়ার পর পরই ভারতে মুম্বই-আমেদাবাদের মধ্যে চলাচল শুরু করতে পারে। প্রধানমন্ত্রী মোদির ২০১৫ সালের জাপান সফরে মুম্বই-আমেদাবাদের মধ্যে বুলেট ট্রেন চালুর চুক্তি হয়েছিল। তখন কথা হয় জাপান তাদের ই-৫ সিরিজের বুলেট ট্রেন ভারতকে সরবরাহ করবে। এখন তারা সিদ্ধান্ত বদলে ই-১০ সিরিজের বুলেট ট্রেন সরবরাহের প্রস্তাব দিয়েছে। প্রাথমিক আলোচনায় দু-দেশের আধিকারিকেরা ওই ট্রেন নেওয়ার আলোচনা সেরে রেখেছেন। প্রধানমন্ত্রী মোদিকে (Modi’s Big Japan Agenda) সরাসরি কারখানায় নিয়ে গিয়ে ই-১০ সিরিজের নির্মীয়মান ট্রেন দেখাতে চান জাপানের প্রধানমন্ত্রী।

    কত কোটি বিনিয়োগ

    জাপানের বুলেট ট্রেনগুলি (Japan’s Bullet Train) ঘণ্টায় ৩২০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে। অর্থাৎ কলকাতা-দিল্লি রুটে চলাচল করলে মাত্র পাঁচ ঘণ্টায় ১৪০০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করা সম্ভব। মুম্বই-আমেদাবাদের মধ্যে সময় লাগবে বড়জোর দু-ঘণ্টা। এই প্রকল্পে জাপানের আন্তর্জাতিক সহায়তা সংস্থা (JICA) প্রায় ৮৮,০০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে, যা মোট ১,০৮,০০০ কোটির প্রকল্পের প্রায় ৮১ শতাংশ। বাকি অর্থ কেন্দ্রীয় রেল মন্ত্রক, মহারাষ্ট্র এবং গুজরাট রাজ্য সরকার মিলে বিনিয়োগ করবে।

    দুর্ঘটনার সম্ভাবনাই নেই

    ই-১০ সিরিজের (E-10 series) যে নতুন ট্রেন তৈরি হচ্ছে সেটির বৈশিষ্ট হচ্ছে তা সাইক্লোন তো দূরের কথা, ভূমিকম্পেও বেলাইন হবে না। এমনকী মুখোমুখি সংঘর্ষেও নয়। ক্ষয়ক্ষতি যা হওয়ার সামনের কামরার হবে। সেই কামরাই যাবতীয় ধাক্কা সামলে নেবে। কারও মারা যাওয়ার সুযোগ নেই। কারণ ইঞ্জিনে কোনও চালক থাকবেন না। জাপান এই নতুন ট্রেনের মহড়া চালাবে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে সাক্ষী রেখে।

    দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অগ্রগতি

    ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি জানান, ভারত-জাপান সম্পর্কের সর্বোচ্চ স্তরের সংলাপ মঞ্চই হল এই সম্মেলন। তাঁর কথায়,“গত দশকে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের পরিধি ও উচ্চতা অনেক বেড়েছে। এই সফরে নতুন কিছু যৌথ উদ্যোগের সূচনা হতে পারে, যা পারস্পরিক সহযোগিতাকে আরও দৃঢ় করবে।” এই সফরে ২০০৮ সালের ‘জয়েন্ট ডিক্লেয়ারেশন অন সিকিউরিটি কো-অপারেশন’ (Joint Declaration on Security Cooperation) নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি একটি নতুন ‘অর্থনৈতিক নিরাপত্তা পদক্ষেপ’ (Economic Security Initiative) প্রসঙ্গে কথা হবে। এতে সেমিকন্ডাক্টর, গুরুত্বপূর্ণ খনিজ, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI), টেলিযোগাযোগ এবং পরিচ্ছন্ন জ্বালানির উপর গুরুত্ব দেওয়া হবে।

    কোয়াড ও ইন্দো-প্যাসিফিক নিরাপত্তা

    দুই নেতার আলোচনায় কোয়াড জোটও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে উঠে আসবে। যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, ভারত ও জাপানের এই জোট ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে চিনের প্রভাবের মোকাবিলায় একটি কৌশলগত গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচিত। যদিও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের সাম্প্রতিক বাণিজ্যিক টানাপোড়েন—বিশেষ করে ট্রাম্প প্রশাসনের আমদানি শুল্ক বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত—কোয়াডের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে, তবুও ভারত এখনও আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।

    ব্যবসায়ী সম্মেলন

    প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi in Japan) তাঁর এই সফরকালে একটি বিজনেস লিডারস ফোরামেও অংশ নেবেন, যেখানে ভারত ও জাপানের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন। সম্প্রতি গুজরাটে মোদির উপস্থিতিতে সুজুকি মোটর প্রায় ৮ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগে ইভি উৎপাদন শুরু করেছে, যা এই সফরের প্রেক্ষাপটে উল্লেখযোগ্য। এই সফর শুধু ভারত-জাপান সম্পর্ক নয়, গোটা এশিয়া অঞ্চলের ভূ-রাজনৈতিক সমীকরণে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে বলে কূটনৈতিক মহলের অভিমত।

  • New Data Law: ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষায় আসছে নয়া আইন! মৌখিক ভাবে চাওয়া যাবে না ক্রেতাদের মোবাইল নম্বর

    New Data Law: ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষায় আসছে নয়া আইন! মৌখিক ভাবে চাওয়া যাবে না ক্রেতাদের মোবাইল নম্বর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার থেকে আর কোনও ডিপার্টমেন্টাল স্টোর, শপিং মল বা নামী বিপণি মৌখিকভাবে ক্রেতাদের কাছ থেকে মোবাইল নম্বর চাইতে পারবে না (New Data Law)। কেন্দ্রীয় সরকার এমনই এক নতুন আইনের পথে হাঁটছে, যার লক্ষ্য ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষা নিশ্চিত করা। কেন্দ্রের মতে, মুখে মোবাইল নম্বর চাওয়া হলে সেই তথ্য গোপন থাকে না এবং তা নিরাপত্তা লঙ্ঘনের ঝুঁকি তৈরি করে। আবার কেন্দ্রের তরফ সাফ জানানো হয়েছে, মোবাইল নম্বর না দিলেও পণ্য পরিষেবা দিতে হবে বিক্রেতাকে।

    ডিজিটাল পার্সোনাল ডেটা প্রোটেকশন অ্যাক্ট (New Data Law)

    ডিজিটাল পার্সোনাল ডেটা প্রোটেকশন অ্যাক্ট চালু হলে, জনসমক্ষে ক্রেতাদের মোবাইল নম্বর চাওয়া বেআইনি বলে গণ্য হবে। ইতিমধ্যেই ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে আইনের খসড়া তৈরি করেছে কেন্দ্র। অগাস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহে কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে ( Digital Personal Data Protection Act), প্রস্তাবিত বিধিতে কোনও পরিবর্তন আনার পরিকল্পনা নেই। বর্তমানে প্রায় সব বড় দোকান, ওষুধের শোরুম বা শপিং মলে রশিদ দেওয়ার নাম করে বা ‘লয়্যালটি পয়েন্ট’ দেওয়ার অজুহাতে ক্রেতাদের মোবাইল নম্বর চাওয়া হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এটি হয় মুখে জিজ্ঞাসা করে, যেখানে আশপাশের লোকজনও শুনে ফেলেন নম্বরটি। এতে ব্যক্তিগত তথ্য অনিচ্ছাকৃতভাবে প্রকাশ পায়, যা নিরাপত্তার পক্ষে হুমকি বলে মনে করছে সরকার।

    বিপণিগুলি সাধারণত মোবাইল নম্বর ব্যবহার করেই ক্রেতাদের তথ্য রেকর্ড করে রাখে (New Data Law)

    নতুন আইন বলছে, আর মুখে মোবাইল নম্বর চেয়ে নেওয়া যাবে না। বিকল্প কোনও পদ্ধতি অনুসরণ করতেই হবে। বিপণিগুলি সাধারণত মোবাইল নম্বর ব্যবহার করেই ক্রেতাদের ( Digital Personal Data Protection Act) তথ্য রেকর্ড করে রাখে। লয়্যালটি পয়েন্ট, ডিসকাউন্ট বা অফারের সুবিধা দিতে এই তথ্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। ফলে নতুন নিয়ম কার্যকর হলে তাদের প্রচলিত ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনতে হবে। ডিজিটাল ও সাইবার সুরক্ষা নিয়ে কাজ করা এক আইন বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, ছোট কিছু বদলের মাধ্যমেই এই সমস্যার সমাধান সম্ভব। যেমন, মুখে না বলে ক্রেতা (New Data Law) যেন কিপ্যাড বা স্ক্রিনে নিজে নম্বর টাইপ করেন। এমন ব্যবস্থা গ্রহণ করলে গোপনীয়তা বজায় রাখা যাবে। ওই বিশেষজ্ঞ আরও জানিয়েছেন, নতুন আইনের অধীনে, কোনও তথ্য কেন নেওয়া হচ্ছে, কতদিন রাখা হবে এবং কবে মুছে ফেলা হবে — এসব বিষয়ে ক্রেতাকে স্পষ্ট করে জানাতে হবে। শুধু তথ্য চাওয়ার মাধ্যমে সম্মতি ধরে নেওয়া যাবে না। প্রতিটি ক্ষেত্রেই আলাদা করে সম্মতি নিতে হবে।

    ইমেল আইডি ব্যবহার করে রশিদ পাঠানো যেতে পারে

    আইন অনুযায়ী, কোনও ক্রেতা যদি মোবাইল নম্বর না-ও দেন, তবু তাঁকে পরিষেবা দিতে হবে। তবে, মোবাইল রিচার্জ বা অনুরূপ যেসব পরিষেবায় মোবাইল নম্বর আবশ্যক, সেখানে এই বিধিনিষেধ প্রযোজ্য হবে না। নতুন নিয়ম কার্যকর হলে, শুধু মোবাইল নম্বর নয় — বিপণিগুলিকে বিকল্প চিন্তা করতেও হতে পারে। যেমন, ইমেল আইডি ব্যবহার করে রশিদ পাঠানো, অথবা কাগজে ছাপা রশিদ দেওয়া। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই আইন, ব্যবসাতে বাধা দেওয়ার জন্য নয় বরং, ক্রেতার দেওয়া তথ্য যেন নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যেই ব্যবহার হয় এবং সময়মতো তা মুছে ফেলা হয় — সেটাই মূল লক্ষ্য।

    ২০২৩ সালের অগাস্টে সংসদের দুই কক্ষেই এই বিল পাশ হয়

    উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের অগাস্টে সংসদের দুই কক্ষেই এই বিল পাশ হয়। রাষ্ট্রপতির সম্মতির পর তা আইনে পরিণত হয়। তবে প্রায় দু’বছর কেটে গেলেও আইনটি এখনও কার্যকর হয়নি। চলতি বছরের জানুয়ারিতে কেন্দ্র খসড়া বিধি প্রকাশ করে এবং এখন জানানো হয়েছে, এতে কোনও বদল আনার প্রয়োজন নেই। অর্থাৎ এবার থেকে আর ক্রেতাকে মুখে বলে ফোন নং দিতে হবে না।

  • Heavy Rains in Himachal-Jammu: শ্রীনগরে ফুঁসছে ঝিলম, মানালিতে বিয়াস! প্রবল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত জম্মু-কাশ্মীর থেকে পাঞ্জাব-হিমাচল

    Heavy Rains in Himachal-Jammu: শ্রীনগরে ফুঁসছে ঝিলম, মানালিতে বিয়াস! প্রবল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত জম্মু-কাশ্মীর থেকে পাঞ্জাব-হিমাচল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারী বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত জম্মু ও কাশ্মীর। শ্রীনগরে ফুঁসছে ঝিলম নদী। জলস্তর বিপদসীমা ছুঁইছুঁই। মঙ্গলবারের ধসের জেরে বন্ধ হয়ে গিয়েছে বৈষ্ণোদেবী যাত্রা। প্রবল বৃষ্টি এবং ভূমিধসে বিধ্বস্ত হিমাচল প্রদেশের জনজীবন। একটানা বৃষ্টি ও ভূমিধসের (Heavy Rains in Himachal-Jammu) জেরে রাজ্যের একাধিক জেলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। হিমাচল প্রদেশ রাজ্য দুর্যোগ মোকাবিলা কর্তৃপক্ষের (SDMA) তথ্য অনুসারে, এখনও পর্যন্ত উত্তর ভারতের ২ রাজ্য ও ১টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল মিলিয়ে ৩৬৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই মৃত্যুগুলির মধ্যে, বৃষ্টিপাতজনিত ঘটনা যেমন- ভূমিধস, হড়পা বান, মেঘভাঙা বৃষ্টি, ডুবে যাওয়া, বজ্রপাত, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়া এবং অন্যান্য আবহাওয়াজনিত কারণে হয়েছে। শুধু প্রাণহানিই নয়, বহু টাকার সম্পত্তিও নষ্ট হয়েছে। বৃষ্টিতে ভাসছে পাঞ্জাবও। দিল্লি-কাটরা বন্দেভারত-সহ ১৮টি ট্রেন স্থগিত করা হয়েছে।

    বৈষ্ণোদেবী যাত্রা বন্ধ, ২৪ জনের দেহ শনাক্ত

    দুর্যোগে জম্ম-কাশমীরে অন্তত ৩৮ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। নিহতদের মধ্যে বেশির ভাগই পুণ্যার্থী। বৈষ্ণোদেবী মন্দিরে যাওয়ার পথে মঙ্গলবার জম্মুর রেইসি জেলায় অর্ধকুঁয়ারীতে ইন্দ্রপ্রস্থ ভোজনালয়ের কাছে ধস নামে। ওই ধসের জেরে ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া জম্মুর ডোডা জেলায় বৃষ্টি এবং হড়পা বানের জেরে চার জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। বৈষ্ণোদেবীর পথে ধসে নিহতদের দেহ কাটরা থেকে নিয়ে আসা হয়েছে জম্মুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের মর্গে। সেখানে এখনও পর্যন্ত ২৪ জনের দেহ শনাক্ত করা হয়েছে। নিহতদের মধ্যে পাঞ্জাব, দিল্লি, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ এবং উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা রয়েছেন। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার জন্য বৈষ্ণোদেবী যাত্রা বন্ধ রয়েছে।

    নিহতদের পরিবারপিছু ৯ লক্ষ আর্থিক সহায়তা

    ধস নেমে পূণ্যার্থীদের মৃত্যুর ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। বুধবার এক্স হ্যান্ডেলের একটি পোস্টে মোদি লেখেন, ‘বৈষ্ণোদেবী মন্দিরে যাওয়ার পথে ভূমিধসে প্রাণহানির ঘটনা দুঃখজনক। শোকাহত পরিবারগুলির প্রতি আমার সমবেদনা রইল। আহতরা দ্রুত আরোগ্য লাভ করুক। প্রশাসন ক্ষতিগ্রস্ত সকলকে সহায়তা করছে। সকলের নিরাপত্তা ও মঙ্গল কামনা করি।’ কাটরার এক হাসপাতালে ১৩ জন আহত পুণ্যার্থী ভর্তি রয়েছেন। বুধবার তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে হাসপাতালে যান জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিং। আহতদের স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নেন তিনি। তাঁদের পরিবারকে সবরকম সাহায্যের আশ্বাসও দেন। এ ছাড়া নিহতদের পরিবারপিছু ৯ লক্ষ আর্থিক সহায়তারও ঘোষণা করেন লেফটেন্যান্ট গভর্নর।

    জম্মুতে রেকর্ড বৃষ্টি

    জম্মুতে গত ১১৫ বছরের মধ্যে রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে মঙ্গলবার। আধিকারিক সূত্রে খবর, জম্মুতে মঙ্গলবার ৩৮০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। ১৯১০ সালে জম্মুতে বৃষ্টিপাত পরিমাপের ব্যবস্থা শুরু হয়। তার পর থেকে সেখানে ২৪ ঘণ্টায় এত বৃষ্টি দেখা যায়নি। এর আগে ১৯৮৮ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর ২৭০.৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছিল জম্মুতে। জম্মুতে তাওয়ি নদীর উপর এক সেতু হড়পা বানে ভেঙে গিয়েছে। শ্রীনগরে ঝিলম নদী প্রায় কানায় কানায় ভরে গিয়েছে। নদীর জলস্তর বিপদসীমা ছুঁইছুঁই। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কাশ্মীরে ২০১৪ সালের বন্যার কথা মাথায় রেখে আগাম সতর্কতামূলক পদক্ষেপ করছে শ্রীনগরের প্রশাসনও।

    উদ্ধারে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী

    হড়পা বান এবং ভূমিধসের কারণে জম্মু-পাঠানকোট, জম্মু-শ্রীনগর এবং বাতোতে-ডোডা-কিশ্তওয়ার সংযোগকারী জাতীয় সড়কেও কিছু কিছু অংশে যান চলাচলও সাময়িক ভাবে বন্ধ রাখতে হয়েছে। গত তিন দিনের ভারী বর্ষণের জেরে জম্মুর বেশ কিছু জায়গায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। দুর্যোগ মোকাবিলা এবং উদ্ধার অভিযানে নেমেছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দল, পুলিশ এবং সেনা। আটকে পড়া মানুষদের নৌকায় করে উদ্ধার করা হচ্ছে। জম্মুর বিভিন্ন নীচু এলাকা থেকে এখনও পর্যন্ত পাঁচ হাজারেরও বেশি মানুষকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কাশ্মীরের সব স্কুল-কলেজও বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

    হিমাচলে হাহাকার

    এ বছর দেশের সর্বত্রই বৃষ্টি হয়েছে ভয়ঙ্করভাবে। প্রবল বৃষ্টি এবং ভূমিধসে বিধ্বস্ত হিমাচল প্রদেশের জনজীবন। একটানা বৃষ্টি ও ভূমিধসের জেরে রাজ্যের একাধিক জেলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি রাজ্যে রাজ্যে। মানালিতে প্রবল বর্ষণ, বন্যা পরিস্থিতি বিয়াসে। চরম বৃষ্টির জেরে দোকানপাট ও ঘরবাড়ি ভেসে গিয়েছে। হাইওয়ে সব গিলে খেয়েছে নদী। বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে সড়ক ব্যবস্থা। কোথাও ভেঙে পড়েছে পাহাড়ের একাংশ। কোথাও দু’ভাগ হয়ে গিয়েছে পাহাড়। হিমাচল প্রদেশ রাজ্য দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনী সূত্রে খবর, সে রাজ্যের প্রায় ৩৭৪টি রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এর পাশাপাশি, ৫২৪টি ট্রান্সফরমার এবং ১৪৫টি জল সরবরাহের পাইপলাইন অকেজো হয়ে পড়েছে। এ ছাড়াও, ভূমিধসের কারণে ৩০৫ নম্বর জাতীয় সড়ক এবং ৫ নম্বর জাতীয় সড়কের মতো গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ সম্পূর্ণ ভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে।

    চলবে বৃষ্টি

    উত্তর ভারতে বৃষ্টির জেরে নানা ভাবে চলতি বছরে ৩৬৯ জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। এই দুর্যোগে সরকারি সম্পত্তির মোট আনুমানিক ক্ষতি ২.৪৫ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি ক্ষতি হয়েছে। ব্যক্তিগত সম্পত্তির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে, ৩২৪টি বাড়ি সম্পূর্ণরূপে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, ৩৯৬টি আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং হাজার হাজার দোকান, গোয়ালঘর এবং অন্যান্য কাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রিপোর্টে ১,৮৪৬টিরও বেশি গবাদি পশু এবং ২৫,৭৫৫টি হাঁস-মুরগির ক্ষতির কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। আগামী দুই তিন দিন মানালি ছাড়াও আবহাওয়া দফতর কাংরা উপত্যকা, চাম্বা ও লাহুল-স্পিতি জেলায় লাল সতর্কতা জারি করেছে। এছাড়াও উনা, হামিরপুর, বিলাসপুর, সোলান, মান্ডি, কুলু ও শিমলায় কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। রাজ্যের অন্য প্রান্তে জারি রয়েছে হলুদ সতর্কতা।

  • National Ayurveda Day: ধনতেরসে নয়, এবার থেকে প্রতি বছর ২৩ সেপ্টেম্বর পালিত হবে জতীয় আয়ুর্বেদ দিবস

    National Ayurveda Day: ধনতেরসে নয়, এবার থেকে প্রতি বছর ২৩ সেপ্টেম্বর পালিত হবে জতীয় আয়ুর্বেদ দিবস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আন্তর্জাতিক পরিসরে আয়ুর্বেদকে আরও স্বীকৃতি দেওয়া এবং উদযাপনের তারিখে ধারাবাহিকতা আনার লক্ষ্যে, ভারত সরকার ঘোষণা করেছে যে এখন থেকে প্রতি বছর ২৩ সেপ্টেম্বর ‘আয়ুর্বেদ দিবস’ হিসেবে পালিত হবে। জাতীয় আয়ুর্বেদে (National Ayurveda Day) দিবস পালন করা হয় আয়ুর্বেদের শক্তি ও অন্যান্য চিকিত্‍সা নীতিগুলির উপর ফোকাস করার জন্য। আয়ুর্বেদের সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে সাধারণ থেকে কঠিন রোগের সমস্যা মেটাতেই এই উদ্যোগ কেন্দ্রীয় সরকারের। প্রাচীনকাল থেকেই ভারতে আয়ুর্বেদ চর্চা হয়ে আসছে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা থেকে শুরু করে নানান জটিল রোগের সমাধান করতে সক্ষম এই চিকিত্‍সা পদ্ধতি। ইমিউনিটির সঙ্গে জড়িত সব রোগেরই সমাধানসূত্র পাওয়া যাবে এখানে।

    কেন দিন পরিবর্তন

    পূর্বে এই দিবসটি ধনতেরস উপলক্ষে উদযাপন করা হতো, যা হিন্দু চন্দ্র পঞ্জিকার উপর নির্ভর করে প্রতিবছর ভিন্ন তারিখে পড়ে। সাধারণত ধনতেরস অক্টোবর-মধ্য থেকে নভেম্বরের মধ্যে পড়ে, যার ফলে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে বৃহৎ পরিসরে আয়োজিত অনুষ্ঠানগুলো পরিকল্পনা করতে অসুবিধা হতো। এই সমস্যার সমাধানে আয়ুষ মন্ত্রক একটি বিশেষ কমিটি গঠন করে এবং স্থায়ী তারিখ নির্ধারণের জন্য বিভিন্ন সম্ভাব্য বিকল্প বিশ্লেষণ করা হয়। শেষ পর্যন্ত ২৩ সেপ্টেম্বর তারিখটি নির্ধারিত হয়, যেটি শরৎকালীন বিষুব (Autumnal Equinox)-এর কাছাকাছি, যখন দিন ও রাত প্রায় সমান হয়। এই প্রাকৃতিক ভারসাম্যই আয়ুর্বেদের মূল দর্শনের প্রতীক—শরীর, মনের ও আত্মার মধ্যে ভারসাম্য।

    আয়ুর্বেদের গুরুত্ব

    আয়ুষ মন্ত্রক (Aayush Mantrac) দেশের সাধারণ মানুষ, চিকিৎসক, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে আহ্বান জানিয়েছে, যেন তারা ২৩শে সেপ্টেম্বর আয়ুর্বেদ দিবস (National Ayurveda Day) হিসেবে পালন করেন এবং এই প্রাচীন ভারতীয় চিকিৎসা বিজ্ঞানকে বৈশ্বিক স্বাস্থ্যপরিসরে আরও সুদৃঢ়ভাবে তুলে ধরতে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। এই পরিবর্তনের মাধ্যমে আয়ুর্বেদের গুরুত্ব ও গ্রহণযোগ্যতা যেমন বাড়বে, তেমনি প্রতিরোধমূলক ও টেকসই স্বাস্থ্যচর্চা হিসেবেও এর ভূমিকা আরও জোরদার হবে বলে আশা করা হচ্ছে। আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞদের মতে, আয়ুর্বেদে ব্যবহৃত এমন অনেক ভেষজ রয়েছে, যা কমপক্ষে ১০০ ধরনের রোগের চিকিত্‍সা ও প্রতিরোধের জন্য একাই একশো। যদিও আয়ুর্বেদের ভেষজগুলির কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। তবে ১০-১৫ দিনে ব্যবধানে খাওয়া উচিত। মনে রাখবেন, কোনও ভেষজ গ্রহণ করার আগে আয়ুর্বেদে বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করে নেবেন।

  • Commonwealth Weightlifting Championship: কমনওয়েলথ ইয়ুথ চ্যাম্পিয়নশিপে বিশ্বরেকর্ড বাংলার মেয়ে কোয়েলের, সোনা অনিকেরও

    Commonwealth Weightlifting Championship: কমনওয়েলথ ইয়ুথ চ্যাম্পিয়নশিপে বিশ্বরেকর্ড বাংলার মেয়ে কোয়েলের, সোনা অনিকেরও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারোত্তোলনে কমনওয়েলথ ইয়ুথ চ্যাম্পিয়নশিপে (Commonwealth Weightlifting Championship) দেশকে জোড়া সোনা এনে দিলেন দুই বঙ্গ সন্তান। মেয়েদের ৫৩ কেজি বিভাগে বিশ্বরেকর্ড গড়লেন বাংলার মেয়ে ১৭ বছরের কোয়েল বর। ছেলেদের যুব ৬৫ কেজি বিভাগে মোট ২৩৮ কেজি ভারোত্তোলন করে সোনা জিতলেন অনিক মোদি। সার্বিকভাবে কমনওয়েলথ ভারোত্তোলন চ্যাম্পিয়নশিপে ভালোই পারফর্ম করছেন ভারতীয়রা। এই প্রতিযোগিতা দিয়েই ভারোত্তোলন সার্কিটে কামব্যাক করেছেন মীরাবাঈ চানু। আর কামব্যাক ম্যাচেই মহিলাদের ৪৮ কেজি বিভাগে ক্লিন অ্যান্ড জার্কে মোট ১৯৩ কেজি (৮৪+১০৯ কেজি) ওজন তুলে শীর্ষ স্থান অর্জন করেছেন তিনি।

    রেকর্ডর পর রেকর্ড

    চলতি বছর গুজরাটে ভারোত্তোলনের কমনওয়েলথ চ্যাম্পিয়নশিপ চলছে। এখানেই তিনটি বিশ্বরেকর্ড করেছে হাওড়ার ১৭ বছরের মেয়ে কোয়েল বর। মঙ্গলবার ভারোত্তোলনের কমনওয়েলথ চ্যাম্পিয়নশিপে বিশ্বরেকর্ডের হ‍্যাটট্রিক করেন বঙ্গের কোয়েল। মোট ১৯২ কেজি ওজন তুলে যুব ভারোত্তোলনে বিশ্বরেকর্ড করেন কোয়েল। সেই সঙ্গে জিতে নেন সোনাও। যুব ভারোত্তোলনে ৫৩ কেজি বিভাগে আগের বিশ্বরেকর্ড ছিল ১৮৮ কেজি। কোয়েল সহজেই তা ভেঙে দেন। ক্লিন অ‍্যান্ড জার্ক বিভাগে ১০৭ কেজি ওজন তোলেন কোয়েল। এই বিভাগে বিশ্বরেকর্ড ছিল ১০৫ কেজি। স্ন্যাচে ৮৫ কেজি ওজন তুলে বিশ্বরেকর্ড স্পর্শ করেন কোয়েল।

    বাবাই অনুপ্রেরণা

    হাওড়ায় মুরগির মাংস বিক্রেতার মেয়ে কোয়েল ইউথ ছাড়াও জুনিয়র বিভাগেও সোনা জিতেছে। রেকর্ডের হ‍্যাটট্রিক, জোড়া সোনা। তার পরেও নির্বিকার কোয়ল বলে, “বিশ্বরেকর্ড করাই আমার লক্ষ‍্য ছিল। অনুশীলনের সময়ে ১০৭-১০৮ কেজি ওজন আমি নিয়মিত তুলেছি। ফলে, বিশ্বরেকর্ডের কাছাকাছি ছিলামই। রেকর্ড হতই। আমি ১০৯ কেজি তুলতে পারতাম। কিন্তু অল্পের জন্য পারলাম না।” কী ভাবে এই সাফল্য এল তা বলতে গিয়ে কোয়ল বলে, “বাবাকে দেখে ২০১৮ সালে ভারোত্তোলন শুরু করি। বাবা নিয়মিত জিমে যেত। বিজয় স্যারের (বিজয় শর্মা, কোয়েলর প্রশিক্ষক) কাছে প্রশিক্ষণ নিয়ে গত দু’বছরে আমার পারফরম্যান্সে অনেক উন্নতি হয়েছে। আগে সব মিলিয়ে ১৪৭ কেজি তুলতে পারতাম। এখন ১৯২ কেজি তুলছি।”

    কেন্দ্রের সহায়তায় অলিম্পিক্স গোল্ড কোয়েস্ট

    কথায় বলে,জহুরি জহর চেনেন। কোয়েলকে একঝলক দেখে জাতীয় দলের প্রধান কোচ বিজয় শর্মা বুঝে গিয়েছিলেন এই মেয়ে একদিন সোনা জিতবেন। লম্বা রেসের ঘোড়া তিনি। বাংলার মেয়েটিকে নিয়ে দীর্ঘমেয়াদী চিন্তাভাবনা শুরু করে দেন বিজয় শর্মা। কোয়েলকে স্কাউট করেন তিনি। বিজয় বলেছেন, “কোয়েলকে দেখে আমার শারীরিক দিক থেকে শক্তিশালী বলেই মনে হয়েছিল। তাই অলিম্পিকের জন্য দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য নিয়ে তৈরি করছিলাম। অলিম্পিক্সের কথা মাথায় রেখে দীর্ঘকালীন লক্ষ‍্যে বেশ কয়েক জন খুদেকে নিয়ে কাজ করছিলাম। তখনই কোয়েল আমার নজরে পড়ে। প্রথমেই অন্য সব কিছু বাদ দিয়ে ওর টেকনিকের উপর জোর দিয়েছিলাম। বাচ্চাদের কী করে বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া যায় তার জন্য অলিম্পিক্স গোল্ড কোয়েস্ট খুবই সাহায্য করছে।”

  • Suvendu Adhikari: ‘‘জীবনকৃষ্ণ তো এজেন্ট, কে কত টাকা তুলেছে, কোথায় গিয়েছে জানেন?’’ শুভেন্দুর নিশানায় অভিষেক

    Suvendu Adhikari: ‘‘জীবনকৃষ্ণ তো এজেন্ট, কে কত টাকা তুলেছে, কোথায় গিয়েছে জানেন?’’ শুভেন্দুর নিশানায় অভিষেক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষা নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডি হেফাজতে তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA) জীবনকৃষ্ণ সাহা (Jiban Krishna Saha)। বিজেপির অভিযোগ, একাধিক বিধায়কদের দিয়ে তালিকা বানিয়ে তিনি চাকরিপ্রার্থীদের থেকে টাকা নিয়েছিলেন এবং পরে তা তৃণমূলেরই শীর্ষ নেতাদের কাছে গিয়েছে। ঠিক এই দাবিই করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ‘প্রমাণ’ হিসেবে একটি ছবি (Photo) দেখিয়ে শুভেন্দু জানান, জীবনকৃষ্ণরা হিমশৈলের চূড়া মাত্র।

    নিশানায় অভিষেক

    ছেলের গ্রেফতারি প্রসঙ্গে জীবনকৃষ্ণের বাবা সংবাদমাধ্যমে বিস্ফোরক দাবি করেছেন। বলেন, জীবন বিধায়ক হওয়ার পরেই বেআইনি উপায়ে অঢেল সম্পত্তি করেছে! কার্যত এই মন্তব্যকেই হাতিয়ার করে এদিন শুভেন্দু অধিকারীর খোঁচা, ‘‘জীবনকৃষ্ণ আসল নয়।’’ তাঁর স্পষ্ট অভিযোগ, সে টাকা তুলেছে। কিছুটা নিজের কাছে রেখে বাকিটা ভাগাভাগি করেছে। এই প্রেক্ষিতেই একটি ছবি দেখিয়েছেন তিনি। তাতে দেখা যাচ্ছে জীবনকৃষ্ণর সঙ্গে রয়েছেন সুব্রত বক্সী, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়! শাসক শিবিরকে কটাক্ষ করে শুভেন্দু বলেন, ‘‘ছবি কথা বলে। আর এটা পুরনো ছবি নয়, ১২ অগাস্টের। সমঝদারো কো ইশারা কাফি হ্যায়।’’

    চাকরি-বিক্রির এজেন্ট

    স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জীবনকৃষ্ণ সাহা ও তাঁর আত্মীয়দের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে আর্থিক লেনদেনের প্রমাণ আগেই মিলেছে। চাকরি-বিক্রির এজেন্ট হিসেবে কাজ শুরু করে বিধায়ক হওয়ার পর ‘ঘুষের চাকরি’র নেটওয়ার্ক বানিয়ে ফেলেছিলেন জীবনকৃষ্ণ সাহা। এমনই দাবি করেছে ইডি। বিধায়ক, তাঁর আত্মীয় এবং ঘনিষ্ঠদের নামে আর কোনও আর্থিক লেনদেন হয়েছে কি না, তারও খোঁজ চলছে। শুভেন্দুর অভিযোগ, জীবনকৃষ্ণরা হিমশৈলের চূড়া মাত্র, কে কত টাকা তুলেছে, কোথায় গিয়েছে, ছবিতে সব স্পষ্ট, জীবনের মতো কালেক্টরদের বাজারে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। এরা সবাই টাকা তুলে কালীঘাটে পৌঁছে দিত। ইডি সূত্রে দাবি, তৃণমূলের বিধায়ক হওয়ার আগে চাকরি-বিক্রির এজেন্ট হিসেবে কাজ করতেন জীবনকৃষ্ণ সাহা। বড়ঞার বিধায়ক হওয়ার পর ১০-১২ জনকে নিয়ে তৈরি করে ফেলেন চাকরি-বিক্রির নেটওয়ার্ক। এই এজেন্টদের দিয়েই ‘ঘুষ দিলে চাকরি’ হবে বলে চাকরিপ্রার্থীদের টোপ দেওয়া হত।সূত্রের দাবি, লাখ লাখ টাকার বিনিময়ে, অযোগ্য়দের সরকারি চাকরি বিক্রি করেছেন তিনি।

  • Rajnath singh: ‘ভারতের আছে ভাসমান এফ-৩৫’, এক জোড়া স্টেলথ ফ্রিগেটের অন্তর্ভুক্তির দিনে আমেরিকাকে ‘খোঁচা’ রাজনাথের

    Rajnath singh: ‘ভারতের আছে ভাসমান এফ-৩৫’, এক জোড়া স্টেলথ ফ্রিগেটের অন্তর্ভুক্তির দিনে আমেরিকাকে ‘খোঁচা’ রাজনাথের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘আপনারা ভাসমান এফ-৩৫ তৈরি করে ফেলেছেন।’’ দেশে তৈরি ২ অত্যাধুনিক রণতরীর অন্তর্ভুক্তির অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে ঠিক এই ভাষাতেই আমেরিকাকে বিঁধলেন রাজনাথ সিং (Rajnath singh)।

    কী বললেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী?

    মঙ্গলবার বিশাখাপত্তনমে নৌসেনার পূর্বাঞ্চলীয় সদরে বাহিনীতে সরকারিভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয় ভারতে তৈরি এক জোড়া অত্যাধুনিক ফ্রিগেট শ্রেণির স্টেলথ রণতরী ‘আইএনএস উদয়গিরি’ (INS Udaygiri) ও ‘আইএনএস হিমগিরি’ (INS Himgiri)। সেখানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী (Rajnath singh)। সেখানেই তিনি বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, ‘‘এটি হল ভারত সরকারের ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ এবং ‘আত্মনির্ভর ভারত’ উদ্যোগের সাফল্যের প্রতিফলন। দুটি ভিন্ন শিপইয়ার্ডে নির্মিত এই দুটি যুদ্ধজাহাজ এই প্রথমবার একই সময়ে কার্যকরী হল, যা জলপথে যুদ্ধ সরঞ্জামের আধুনিকীকরণের প্রতীক হয়ে উঠবে।’’ এদিন নিজের বক্তব্যে মার্কিন পঞ্চম প্রজন্মের ‘এফ-৩৫’ স্টেলথ যুদ্ধবিমানের প্রসঙ্গ উত্থাপন করে আমেরিকাকে হালকা খোঁচাও মারেন রাজনাথ (Rajnath singh)। বলেন, ‘‘আপনারা এফ-৩৫ যুদ্ধজাহাজ নিয়ে এলেন। একটা দেশের কাছে উড়ন্ত এফ-৩৫ আছে। আর আপনারা ভাসমান এফ-৩৫ তৈরি করে ফেলেছেন। সেটাও ভারতে তৈরি করা হয়েছে।’’ প্রতিরক্ষা মন্ত্রী জানিয়েছেন, সম্পূর্ণভাবে ভারতেই তৈরি উদয়গিরি এবং হিমগিরিতে যে অস্ত্রশস্ত্র এবং সেন্সর আছে, তাতে দুটি রণতরীই ‘সমুদ্রের অপরাজেয় রক্ষাকর্তা’ হয়ে উঠবে।

    ‘উদয়গিরি’ ও ‘হিমগিরি’

    ‘আইএনএস উদয়গিরি’ ও ‘আইএনএস হিমগিরি’ (INS Udaygiri INS Himgiri) হল নৌসেনার প্রজেক্ট ১৭ আলফা (পি-১৭এ)-র অংশ। এই যুদ্ধ জাহাজগুলির অন্তর্ভুক্তির পর, ভারতীয় নৌবাহিনীর শক্তি অনেকটাই বৃদ্ধি পাবে। আইএনএস হিমগিরি তৈরি করেছে কলকাতার গার্ডেনরিচ শিপবিল্ডার্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারস (জিআরসিই)। অন্যদিকে, আইএনএস উদয়গিরি তৈরি করেছে মুম্বইয়ের মাঝগাঁও ডক শিপবিল্ডার্স লিমিটেড। যে সরঞ্জাম ব্যবহার করা হয়েছে, তার ৭৫ শতাংশই দেশীয়। প্রায় ৬,৭০০ টন ওজনের ফ্রিগেটগুলি তাদের পূর্বসূরী শিবালিক-শ্রেণির ফ্রিগেটগুলির চেয়ে প্রায় পাঁচ শতাংশ বড়। আধুনিক ও ভবিষ্যৎ যুদ্ধকে মাথায় রেখে এই দুই রণতরীকে নির্মাণ করা হয়েছে। সূত্রের খবর, এই দুই স্টেলথ ফ্রিগেটে মোতায়েন রয়েছে বহু দূরে আঘাত হানতে সক্ষম সুপারসনিক সারফেস-টু-সারফেস ব্রহ্মস মিসাইল সিস্টেম, মিডিয়াম-রেঞ্জ সারফেস টু এয়ার বারাক-৮ মিসাইল সিস্টেম। রয়েছে রকেট লঞ্চার, টর্পিডো লঞ্চার, কমব্যাট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের মতো অত্যাধুনিক ব্যবস্থা। এছাড়া, এই দুই রণতরীতে রয়েছে তিন ধরনের ক্লোজ-ইন ওয়েপন সিস্টেম যথা— ৭৬ এমএম এমআর (র‌্যাপিড ফায়ার) গান, ৩০ এমএম গান এবং ১২.৭ এমএম গান, যা এর মারণশক্তি বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। জানা গিয়েছে, এই দুটি ফ্রিগেট (INS Udaygiri INS Himgiri) ভারতীয় নৌসেনার ইস্টার্ন ফ্লিটে যুক্ত হবে। যা বঙ্গোপসাগর এবং ভারতীয় মহাসাগর অঞ্চলে সামুদ্রিক স্বার্থরক্ষার ক্ষেত্রে নৌসেনার হাত আরও মজবুত করবে।

  • Landslide in Vaishno Devi: বৈষ্ণদেবী মন্দিরে পথে ধসে মৃত অন্তত ৩১, টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত জম্মু-কাশ্মীর

    Landslide in Vaishno Devi: বৈষ্ণদেবী মন্দিরে পথে ধসে মৃত অন্তত ৩১, টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত জম্মু-কাশ্মীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু ও কাশ্মীরের কাটরায় বৈষ্ণোদেবী মন্দিরের (Landslide in Vaishno Devi) কাছে ভয়াবহ ভূমিধস। ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে রাস্তা ধসে গিয়ে বিপর্যয়। কমপক্ষে ৩১ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। আহত ২৩। তবে এখনও ধসের কবলে অনেকে আটকে থাকার আশঙ্কা করা হচ্ছে। শুধু বৈষ্ণোদেবীর যাত্রাপথ নয়, ভারী বৃষ্টির জেরে জম্মু-কাশ্মীরের বিভিন্ন জায়গায় ধস নেমেছে। রাস্তাঘাট বন্ধ। বিচ্ছিন্ন যোগাযোগ ব্যবস্থা। বুধবার সকালেও বৃষ্টি চলছে। হিমাচল প্রদেশেরও সব জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। জারি রয়েছে হলুদ সর্তকতা। মেঘ-বাঙা বৃষ্টিতে কুলুতে ভেসে গিয়েছে বাড়ি-গাড়ি।

    বৈষ্ণোদেবী মন্দিরের কাছে অর্ধকুঁয়ারীতে ভূমিধস

    গত তিন দিন ধরে জম্মু-কাশ্মীরে বৃষ্টি হচ্ছে। তার জেরে কোথাও কোথাও হড়পা বান, কোথাও আবার ধস নেমেছে। জম্মুর পরিস্থিতি বেশি খারাপ। ভেঙে পড়েছে সেতু। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন, ক্ষতিগ্রস্ত মোবাইল টাওয়ারগুলি। রিয়াসির এসএসপি পরমবীর সিং জানিয়েছেন, বৈষ্ণোদেবীর মন্দিরের (Landslide in Vaishno Devi) কাছে ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। সেই ধসের নীচে চাপা পড়ে অন্তত ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে বহু মানুষ আটকে পড়েছেন। তাঁদের উদ্ধারের কাজ চলছে সমানতালে। বিভিন্ন সংস্থা সেই উদ্ধারকাজে সহযোগিতা করছে। মঙ্গলবার দুপুরে অর্ধকুঁয়ারীতে ইন্দ্রপ্রস্থ ভোজনালয়ের কাছে ধস নামে। আতঙ্ক দেখা দেয় পুণ্যার্থীদের মধ্যে। ধসের পর পরই বৈষ্ণোদেবী মন্দির কমিটির সদস্যেরা, নিরাপত্তাবাহিনী উদ্ধারকাজ শুরু করে। যাত্রাপথে থাকা অন্য পুণ্যার্থীদের নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে এখনও ওই যাত্রাপথে কেউ আটকে রয়েছেন কি না, তার খোঁজ চলছে।

    সাড়ে তিন হাজার বাসিন্দাকে নিরাপদ স্থানে সরানো হল

    মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত সাড়ে তিন হাজার বাসিন্দাকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অস্থায়ী ত্রাণশিবিরে তাঁদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাও করা হচ্ছে ক্যাম্পে। তবে যাঁদের অবস্থা আশঙ্কাজনক, তাঁদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজও চলছে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে আপাতত বৈষ্ণোদেবী যাত্রা স্থগিত করা হয়েছে। উদ্ধারকারী দলের এক উচ্চপদস্থ কর্তার কথায়, ‘‘অবিরাম বৃষ্টির কারণে উদ্ধারকাজ বার বার বাধা পাচ্ছে। তবে আমরা চেষ্টা করছি সকলকে যত দ্রুত সম্ভব নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়।

    সহযোগিতার আশ্বাস কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ-র

    অগাস্টের মাঝামাঝি মেঘভাঙা বৃষ্টির জেরে হড়পা বান হয়েছিল কিস্তওয়ারে। তারপর কাঠুয়ায়ও মেঘভাঙা বৃষ্টির জেরে ধস নেমেছিল। ২ জায়গাতেই প্রাণ গিয়েছিল অনেকের। এবার ভারী বৃষ্টির জেরে কাটরায় বৈষ্ণোদেবী মন্দিরের যাত্রাপথে ধস নামে। ধসে মৃত্যুর ঘটনাকে ‘অত্যন্ত মর্মান্তিক’ বলে মন্তব্য করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা ও উপরাজ্যপাল মনোজ সিনহার সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। কেন্দ্রের তরফে সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দেন। ধস নামার পরই উদ্ধারকাজে নামে এনডিআরএফ (NDRF) এবং সিআরপিএফ (CRPF)। মৃতদের পরিবারকে সমবেদনা জানিয়েছেন উপরাজ্যপাল মনোজ সিনহা। আহতদের চিকিৎসায় সবরকম ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

    উপত্যকায় আরও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস 

    পরিস্থিতি এখনই বদলের কোনও সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। আপাতত আরও দু’তিন দিন জম্মু-কাশ্মীরের আবহাওয়া এমনই থাকবে। আরও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। কোনও কোনও জায়গায় লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। কাটরা, জম্মু, সাম্বা, রিয়াসি, উধমপুর, ডোডা এবং কিশতোয়ার জেলায় ভূমিধস এবং হড়পা বানের সতর্কতাও জারি করা হয়েছে। পাহাড় ও নিচু এলাকার বাসিন্দাদের বাড়ির বাইরে বেরতে নিষেধ করা হয়েছে। প্রতিকূল আবহাওয়ার জন্য কাশ্মীর বিশ্ববিদ্যালয়ের (KU) সব পরীক্ষা স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরীক্ষার পরিবর্তিত তারিখ পরে জানানো হবে বলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। ভারী বৃষ্টিপাতের জেরে ব্যাহত জম্মুর ট্রেন চলাচলও। জম্মু শহরে একদিনেরও কম সময়ে ২৫০ মিলিমিটারেরও বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে । জম্মু ও কাটরা রেলওয়ে রুটে ২২টি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। ব্যাপক সমস্যায় পর্যটক ও তীর্থযাত্রীরা। একদিকে ধসে বন্ধ রাস্তা অন্যদিকে বাতিল ট্রেনও।

    হিমাচল প্রদেশেও দুর্যোগ অব্যাহত

    সবুজ পাহাড়ে ঘেরা উত্তর ভারতের রাজ্যে হিমাচল প্রদেশ। বছরভর যেখানে লক্ষ লক্ষ পর্যটক ভিড় জমান। সেই হিমাচল প্রদেশ চলতি বছরে প্রবল বৃষ্টির জেরে ‘মৃত্যু উপত্যকা’য় পরিণত হয়েছে। তছনছ হয়ে গিয়েছে একাধিক অঞ্চল। কোথাও ধস, কোথাও হড়পা বান, কোথাও আবার মেঘ ভাঙা বৃষ্টি। মানালিতে প্রবল বর্ষণ, বন্যা পরিস্থিতি বিয়াস নদীতে। কুলুতে মঙ্গলবার জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে বাড়ি-গাড়ি। চলতি সপ্তাহেও হিমাচল প্রদেশে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া অব্যাহত থাকবে। মৌসম ভবন সূত্রে জানা গেছে, আজ বিলাসপুর, সোলান, হামিরপুরে সমস্ত স্কুল ও কলেজ বন্ধ রয়েছে। দুটি জাতীয় সড়ক সহ মোট ৪৮৪ টি সড়কে যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। শুধুমাত্র মান্ডি জেলায় ২৪৫টি রাস্তা বন্ধ রয়েছে। কুলুতে বন্ধ ১০২টি রাস্তা।

LinkedIn
Share