Tag: madhyom bangla

madhyom bangla

  • India Brazil Relation: ট্রাম্পের শুল্ক নীতির বিরুদ্ধে সরব! প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে ফোনে কথা ব্রাজিলের প্রেসিডেন্টের

    India Brazil Relation: ট্রাম্পের শুল্ক নীতির বিরুদ্ধে সরব! প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে ফোনে কথা ব্রাজিলের প্রেসিডেন্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চাপিয়ে দেওয়া অতিরিক্ত শুল্ক নিয়ে অতিষ্ঠ ভারত-ব্রাজিল (India Brazil Relation)। এই নিয়ে বৃহস্পতিবার প্রায় এক ঘণ্টা ফোনে কথা হয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা দা সিলভার। সূত্রের খবর, আসন্ন ব্রিকস ফোরামে ট্রাম্পের শুল্ক নীতির বিরুদ্ধে একটি যৌথ ও সম্মিলিত প্রতিক্রিয়া জানানোর লক্ষ্যেই এই ফোনালাপ (PM Modi talk with President Lula)। এক ঘণ্টার এই কথোপকথনে দুই রাষ্ট্রনেতা দ্বিপাক্ষিক এবং বিভিন্ন আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বিষয় নিয়েও আলোচনা করেন।

    কেন কথা দুই দেশের

    এখনও পর্যন্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যে যে দেশের উপরে শুল্ক বা ট্যারিফ বসিয়েছেন, তার মধ্যে সর্বোচ্চ ট্য়ারিফ ভারত ও ব্রাজিলের (India Brazil Relation) উপরেই। ভারতের উপরে যেমন তাঁর রাগ রাশিয়া থেকে তেল কেনার জন্য, তেমনই আবার ব্রাজিলে স্রেফ পূর্বতন প্রেসিডেন্ট জয়েস বলসেনারোকে ফিরিয়ে আনতে শুল্কের খাঁড়া বসিয়েছেন ট্রাম্প। এই পরিস্থিতিতেই ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট সাফ জানিয়েছিলেন, ফোন করতে হলে তিনি ট্রাম্পকে নন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে করবেন। যেমন বলা তেমন কাজ। গতকালই তিনি মোদিকে ফোন করেন এবং এক ঘণ্টা কথা বলেন। এদিন দুই রাষ্ট্রনেতা ভারত-ব্রাজিল পারস্পারিক কূটনৈতিক সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার সেই প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।

    আলোচনা ফলপ্রসূ বললেন মোদি

    সমাজমাধ্যমে মোদি জানিয়েছেন, এর আগে ব্রাজিলের (India Brazil Relation) প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তাঁর ব্রিকস সম্মেলনে দেখা হয়েছিল। তার পরে ‘পারস্পরিক সহযোগিতা’ নিয়ে ফোনালাপে ‘ভাল আলোচনা’ হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, জ্বালানি, বাণিজ্য থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য, প্রযুক্তি, প্রতিরক্ষা-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভারত ও ব্রাজিল দুই দেশ কৌশলগত ভাবে পরস্পরকে সাহায্য করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছে। মোদীর দাবি, এর ফলে দক্ষিণের দেশগুলিও উপকৃত হবে। ভারতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মোদীর কাছে প্রথম ফোন এসেছিল ব্রাজিলের তরফেই। জানা গিয়েছে, কৃষিক্ষেত্রেও দুই দেশ পরস্পরকে সহযোগিতা করবে। এ ছাড়াও বৈঠকে উঠে আসে বিশ্বের বিভিন্ন বিষয়ও।

    ভারতে আসবেন লুলা

    সমাজমাধ্যমে ব্রাজিলের (India Brazil Relation) প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, ‘এক তরফা শুল্ক আরোপ’-এর পরে ‘আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি’ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। তাঁর দাবি, ভারত ও ব্রাজিল দু’টি ‘ক্ষতিগ্রস্ত’ দেশ পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য বৃহত্তম সংহতি ‘অন্বেষণ’-এ জোর দিচ্ছে। এর আগে, ট্রাম্পের শুল্ক নীতির বিরুদ্ধে ব্রিকসের একটি সম্মিলিত প্রতিক্রিয়া তৈরির লক্ষ্যে চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গেও কথা বলেছেন লুলা। চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই এই বিষয়ে ব্রাজিলের সার্বভৌমত্ব ও উন্নয়ন অধিকারের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন এবং এই ধরনের শুল্ককে “অস্থিতিশীল” বলেও আখ্যা দিয়েছেন। ব্রাজিলের প্রেসিডেন্টের দাবি আগামী বছরের শুরুর দিকেই তিনি সে দেশের ভাইস প্রেসিডেন্টকে নিয়ে ভারতে আসবেন। লক্ষ্য হবে মূলত বাণিজ্য। উপস্থিত থাকবেন সে দেশের মন্ত্রী ও ব্যবসায়ীরাও। আলোচনা হতে পারে খনিজ, জ্বালানি, স্বাস্থ্য ও ডিজিটাল সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে। লুলার আরও দাবি, ২০৩০ সালের মধ্যে দুই দেশের মধ্যে অর্থনীতি ২০ বিলিয়ন ডলারের বেশি বৃদ্ধি সম্পর্কিত বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়েছে।

  • Raksha Bandhan: এসে গেল পবিত্র রাখি বন্ধন উৎসব, কখন লাগছে পূর্ণিমা? রীতি পালনের নিয়ম জানেন তো?

    Raksha Bandhan: এসে গেল পবিত্র রাখি বন্ধন উৎসব, কখন লাগছে পূর্ণিমা? রীতি পালনের নিয়ম জানেন তো?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতি বছর শ্রাবণ মাসের পূর্ণিমায় পালিত হয় রাখি বন্ধন (Raksha Bandhan)। হিন্দু ধর্মে ভাই-বোনের পবিত্র সম্পর্ক ও ভালবাসার প্রতীক হল রাখি বন্ধন উৎসব। যদিও শুধুমাত্র ভাই-বোন নয়, ভারতবর্ষে প্রতিটি মানুষের মধ্যে সমস্ত রকম ভেদাভেদ ভুলে একে অপরের হাতে রাখি পরিয়ে সূচনা হয় এক শক্তপোক্ত সম্পর্কের বুনিয়াদ। প্রতিবছর রাখি বন্ধনের সময় বহু মানুষ একে অপরের অপরের হাতে রাখি পরিয়ে দিয়ে ভ্রাতৃত্ববন্ধনে আবদ্ধ হন। অপরদিকে বোনেরা অপেক্ষা করেন তাদের ভাই কিংবা দাদাদের হাতে রাখি পরিয়ে দেবেন।

    রাখি নিয়ে প্রচলিত পৌরাণিক কাহিনী

    মহাভারত অনুসারে, শ্রীকৃষ্ণের নিজের বোন ছিলেন সুভদ্রা। কিন্তু তিনি দ্রৌপদীকেও নিজের বোনের মতো স্নেহ করতেন। একবার শ্রীকৃষ্ণের হাত কেটে যায় এবং সেখান থেকে রক্তপাত শুরু হয়। তখন সেখানে সুভদ্রা এবং দ্রৌপদী দুজনেই উপস্থিত ছিলেন। সুভদ্রা তখন সেই রক্ত বন্ধ করবার জন্য কাপড় খুঁজছিলেন। কিন্তু দ্রৌপদী একটুও দেরী না করে নিজের পরিহিত মূল্যবান রেশমী শাড়ি ছিঁড়ে শ্রীকৃষ্ণের সেই কেটে যাওয়া স্থানটি বেঁধে দেন তাড়াতাড়ি রক্তপাত বন্ধ করার জন্য। এবং শ্রীকৃষ্ণ তখন দ্রৌপদীকে বলেন, তার বেঁধে দেওয়া কাপড়ের প্রতিটি সুতোর প্রতিদান দেবেন তিনি। এরপর শ্রীকৃষ্ণ দ্রৌপদীকে রাজসভায় বস্ত্রহরণের চরম কলঙ্কের হাত থেকে রক্ষা করেন। এই রাখি বন্ধন উৎসবের ৫ দিন আগে ঝুলনযাত্রা এবং ৭ দিন পরে জন্মাষ্টমী পালিত হয়।

    রাখিবন্ধনের ঐতিহাসিক ঘটনা

    বর্তমান যুগে রাখি বন্ধন উৎসবের সূচনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনে গোটা বাংলায় জ্বলছে আগুন। ব্রিটিশদের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদের জন্য হিন্দু-মুসলিমদের ঐক্য বা একতার প্রতীক হিসেবে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রাখিবন্ধন উৎসব পালন করেন। তিনি ঢাকা ও সিলেট থেকে মুসলিম ভাই-বোনদের কলকাতায় আহ্বান করেন এবং রাখি বন্ধন উৎসব পালন করেন। ভারতের ইতিহাসে চরম ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার সময় এই রাখি বন্ধন হিন্দু-মুসলিমদের মধ্যে একতা ও ভালোবাসার প্রতীক হিসেবে যা আজও স্মরণীয় হয়ে আছে।

    সারা দেশেই পালিত হবে উৎসব

    রাখি বন্ধনের হরেক নাম রয়েছে। কোথাও রক্ষাবন্ধন উত্‍সব, কোথাও আবার শ্রাবণী পূর্ণিমা, আবার কোথাও অবনী আবিত্তম, কোথাও আবার পবিত্রতা বলেও অভিহিত করা হয়। কিছু জায়গায়, বোনেরা ভাইয়ের কব্জিতে রাখি বাঁধার আগে নারকেলের ওপর তিলক লাগান এবং কলবা অর্থাৎ সুতো বাঁধেন। তারপর সেই নারকেলটি প্রথমে ভাইয়ের হাতে দেন এবং তারপরই ভাইয়ের কব্জিতে রাখি বেঁধে দেন। ভাই-বোনের সম্পর্কের অটুট বন্ধন রাখতে ও সম্মান জানাতে এই উত্‍সব পালন করা হয়ে থাকে।

    রাখি বন্ধনের তাৎপর্য ও মাহাত্ম্য

    এই রাখি মূলত কোন সুতো বা কাগজের জিনিস নয়, এটি এক ধরনের রক্ষাকবচ যা ভাইদের সমস্ত রকমের বিপদের হাত থেকে রক্ষা করে। অপরদিকে এই দিন দাদারা প্রতিজ্ঞা করেন জীবনের সব কঠিন পরিস্থিতিতে বোনের পাশে দাঁড়ানোর। প্রত্যেক বোনের কাছে এই রাখি বন্ধন অত্যন্ত বিশেষ একটি দিন, যাকে ঘিরে বহু প্রচলিত নিয়ম রয়েছে। যেগুলি অনেকেই মনে-প্রাণে মেনে চলেন।

    এবছর রাখি পূর্ণিমা কবে ও কখন?

    হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুসারে, এবছর রাখি পূর্ণিমা (Raksha Bandhan 2025) পড়েছে ৯ অগাস্ট, শনিবার। এবছর শ্রাবণী পূর্ণিমা তিথি আজ, শুক্রবার ৮ অগাস্ট দুপুর ২টো ১৩ মিনিটে শুরু হচ্ছে এবং পূর্ণিমা ০৯ আগস্ট দুপুর ১টা ২৫ মিনিট পর্যন্ত থাকবে। ফলত, উদয় তিথি অনুযায়ী, আগামিকাল ৯ অগাস্ট পালিত হবে রাখি বন্ধন উৎসব। তবে, বোনেরা শুক্রবারও ভাইয়ের হাতে রাখি বাঁধতে পারেন। তবে, সূর্যাস্তের পরও রাখি বাঁধার নিয়ম নেই। তাই তার আগেই রাখি বন্ধনের কাজ সম্পন্ন করতে হবে। নয়তো, ১২ তারিখ সকালে পূর্ণিমা তিথি থাকাকালীন রীতি পালন করতে হবে।

    রাখি বন্ধনে কী করবেন ও কী করবেন না—

    • রাখির উপহারের তালিকায় তোয়ালে কিংবা রুমাল রাখবেন না।
    • ভাইয়ের হাতে রাখি পরিয়ে দেওয়ার সময় কালো রঙের পোশাককে অনেকে এড়িয়ে যাওয়া শুভ বলে মনে করেন।
    • বোনকে উপহার দেওয়ার সময় ভাইদের খেয়াল রাখতে হবে সেই তালিকায় যেন কোনও ধারালো জিনিস না থাকে।
    • বহু জায়গা প্রচলিত রয়েছে, যতক্ষণ না ভাইদের হাতে রাখি পরানো হয় ততক্ষণ বোনেরা নুন জাতীয় কোনও খাবার খান না।
    • রাখির মঙ্গল থালায় জ্বলন্ত প্রদীপ, কুমকুম এবং চন্দন রেখে তারপরেই রাখি পরাবেন।
    • রাখি বন্ধন শেষে কোনওভাবেই ভাইদের কালো রঙের কোনও উপহার দেবেন না।
    • রাখি পরানোর সময় নোনতা খাবারের পরিবর্তে যতটা সম্ভব মিষ্টি জাতীয় খাবার দেবেন।
    • ভাইদের উদ্দেশ্যে আনা রাখি, হাতে বাঁধার আগে অবশ্যই কিছুক্ষণ বাড়ির ইষ্ট দেবতার চরণে রেখে দেবেন।
    • আসনে ভাইদের পূর্ব বা উত্তর দিকে মুখ করে বসাবেন। তারপর হাতে রাখি বেঁধে দেবেন। দক্ষিণ দিকে বসিয়ে রাখি বাঁধাকে অশুভ বলে মনে করা হয়।

  • Breastfeeding: স্তন্যপান করানোর সময় এই দিকগুলোতে নজর দেওয়া জরুরি মায়েদের, বলছেন বিশেষজ্ঞরা

    Breastfeeding: স্তন্যপান করানোর সময় এই দিকগুলোতে নজর দেওয়া জরুরি মায়েদের, বলছেন বিশেষজ্ঞরা

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    সদ্যোজাতের শরীরের পাশপাশি মায়ের শরীরেও গভীর প্রভাব পড়ে। আজীবন সেই জের থাকে। তাই সন্তান জন্মের পরে প্রথম ছ’মাস স্তন্যপান করালে শিশুর পাশপাশি মায়ের স্বাস্থ্যের উপরেও সূদুরপ্রসারী প্রভাব পড়ে। ১ অগাস্ট থেকে ৭ অগাস্ট— এই সাত দিন বিশ্ব জুড়ে স্তন্যপান সচেতনতা সপ্তাহ পালিত হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, সদ্যোজাতের প্রথম ছ’মাস খাবার হিসাবে মায়ের দুধ সবচেয়ে উপকারি। তবে সদ্যোজাতের পাশপাশি মায়ের শরীরের জন্যও স্তন্যপান করানো খুবই জরুরি এবং উপকারি। তবে স্তন্যপান করানোর সময় মায়ের শরীরের কয়েকটি বিষয়ে বাড়তি নজরদারি প্রয়োজন। তবেই শিশুর ছ’মাস বয়স পর্যন্ত স্তন্যপান করানো সম্ভব হবে। শিশু এবং মা, সবরকম উপকার পাবে‌।

    স্তন্যপান করালে মায়ের শরীরে কী প্রভাব পড়ে?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, সন্তান প্রসবের পরে মহিলাদের শরীরে একাধিক পরিবর্তন হয়। বিশেষত একাধিক হরমোনের ভারসাম্যের পরিবর্তন হয়। স্তন্যপান করালে সেই হরমোন ভারসাম্য সহজেই বজায় থাকে। স্বাস্থ্যের উপরে যার গভীর প্রভাব পড়ে‌।

    গর্ভাবস্থায় অধিকাংশ মহিলার ওজন বেড়ে যায়। অনেক সময়েই সন্তান প্রসবের পরেও অতিরিক্ত ওজন নিয়ন্ত্রণে সমস্যা হয়। অনেকেই স্থূলতার সমস্যায় ভোগেন। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই বাড়তি ওজনের সমস্যার জেরে বয়স তিরিশের চৌকাঠ পেরনোর আগেই হাঁটু ও কোমড়ের ব্যথা হয়‌‌। এছাড়াও কোলেস্টেরল, ডায়াবেটিসের মতো একাধিক রোগের কারণ হয় এই বাড়তি ওজন‌। কিন্তু সন্তানকে জন্মের পরে প্রথম ছ’মাস স্তন্যপান করালে মায়ের শরীরের বাড়তি ক্যালোরি সহজেই ক্ষয় হয়। স্থূলতা এড়াতে এবং একাধিক রোগের ঝুঁকি কমাতে সন্তান জন্মের পরে, স্তন্যপান করানো মায়ের জন্য অত্যন্ত উপকারি।

    জরায়ুর ক্যান্সার এবং স্তন ক্যান্সারের মতো জটিল রোগের ঝুঁকি কমাতে মায়েদের স্তন্যপান করানোর পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, সন্তান প্রসবের পরে মহিলাদের শরীরে হরমোন নিঃসরণে নানান পরিবর্তন হয়। স্তন্যপান করালে দ্রুত শরীরে হরমোন নিঃসরণ স্বাভাবিক হয়। এর ফলে জরায়ু এবং স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকিও কমে।

    মায়ের মানসিক স্বাস্থ্যের পক্ষেও বিশেষ উপকারি। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, সন্তান প্রসবের পরে অধিকাংশ মা একধরনের মানসিক অবসাদে ভোগেন। সন্তানকে নিয়মিত স্তন্যপান করালে শরীরের স্ট্রেস হরমোন নিয়ন্ত্রণে থাকে। তাই সেটা মায়ের মানসিক চাপ কমায়। মায়ের মানসিক স্বাস্থ্যের পক্ষেও এটি বিশেষ উপকারি।

    স্তন্যপান করানোর সময় মায়ের কোন দিকে বিশেষ নজর দেওয়া জরুরি?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, সন্তানের জন্মের পরের প্রথম ছমাস মা ও সন্তানের জন্য এই স্তন্যপান খুবই জরুরি। কিন্তু স্তন্যপান করানোর সময় মায়ের কয়েকটি বিষয়ে বিশেষ নজরদারি জরুরি। তবেই মায়ের শরীর সুস্থ থাকবে। সন্তানকেও ঠিকমতো স্তন্যপান করানো সম্ভব হবে। চিকিৎসকদের একাংশের পরামর্শ, স্তন্যপান করানোর পর্বে মায়ের শরীরে পর্যাপ্ত জল থাকা জরুরি। তাই নিয়মিত চার থেকে পাঁচ লিটার জল খাওয়া দরকার। মা নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণ পরিশ্রুত জল খেলে, তবেই শিশুও পর্যাপ্ত পরিমাণ স্তন্যপান করতে পারবে। মায়ের শরীরে ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি থাকবে না।

    স্তন্যপান করানোর সময় মায়ের রসালো ফল খাওয়া জরুরি। নিয়মিত বেদানা, লেবু জাতীয় ফল খাওয়ায় পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই ধরনের ফলে শরীরে ক্যালসিয়াম এবং আয়রনের ঘাটতি সহজেই পূরণ হবে। আবার রসালো ফল হওয়ায় এই ফলগুলো শরীরে জলের চাহিদা ও পূরণ করবে‌।

    স্তন্যপান করানোর সময় মায়ের শরীরে ক্যালসিয়ামের জোগান থাকা জরুরি। এমনটা জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, মায়ের নিয়মিত ডিম, চিকেন, মাছের মতো প্রাণীজ প্রোটিন খাওয়ার পাশপাশি সোয়াবিন, পনীর খাওয়া জরুরি। নিয়মিত দুধ খাওয়া জরুরি। কারণ এতে শরীরে ক্যালসিয়ামের জোগান হয়।

    চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, শিশুর শরীরে আজীবন রোগ প্রতিরোধ শক্তি বজায় রাখতে স্তন্যপানের কোনো বিকল্প হয় না। শিশুর কিডনি, অন্ত্র ও মস্তিষ্কের জন্য এই স্তন্যপান অত্যন্ত জরুরি। স্তন্যপান করলে মস্তিষ্কের একাধিক স্নায়ুর সক্রিয়তা ঠিকমতো হয়। পাশপাশি মা ও সন্তানের মানসিক সংযোগ দৃঢ় করতেও স্তন্যপান বিশেষ ভূমিকা রাখে বলেই মনে করেন বিশেষজ্ঞ মহল। তাই মা ও শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য সন্তানকে স্তন্যপান করানো জরুরি।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Daily Horoscope 08 August 2025: ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিন এই রাশির জাতকরা

    Daily Horoscope 08 August 2025: ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিন এই রাশির জাতকরা

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) সন্তানদের নিয়ে সংসারে কলহ সৃষ্টি হতে পারে।

    ২) আইনি সমস্যা থেকে মুক্তিলাভ।

    ৩) ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    বৃষ

    ১) ধর্মালোচনায় আপনার সুনাম বৃদ্ধি পাবে।

    ২) প্রেমে মাত্রাছাড়া আবেগ ক্ষতি ডেকে আনতে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    মিথুন

    ১) যানবাহন খুব সাবধানে চালাতে হবে, বিপদের আশঙ্কা রয়েছে।

    ২) প্রেমের ক্ষেত্রে দিনটি শুভ।

    ৩) ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে দিনটি।

    কর্কট

    ১) কোনও সন্দেহজনক ব্যক্তি থেকে সাবধান।

    ২) নতুন কাজের প্রতি ঝোঁক বৃদ্ধি পাবে।

    ৩) কারও সঙ্গে বিবাদে জড়াবেন না।

    সিংহ

    ১) কর্মচারীর জন্য ব্যবসায় বিবাদ হতে পারে।

    ২) ভ্রমণের পক্ষে দিনটি শুভ নয়।

    ৩) প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটান।

    কন্যা

    ১) প্রেমের ক্ষেত্রে সাফল্য লাভ।

    ২) কুটিরশিল্পের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের অগ্রগতি হতে পারে।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    তুলা

    ১) ভালো কথার দ্বারা অন্যকে প্রভাবিত করতে পারবেন।

    ২) দুপুর নাগাদ ব্যবসা ভালো হবে।

    ৩) ধৈর্য ধরুন।

    বৃশ্চিক

    ১) প্রিয়জনের কুকর্মের জন্য বাড়িতে বিবাদ।

    ২) ব্যবসায় ক্ষতি হতে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    ধনু

    ১) চাকরিতে সুখবর আসতে পারে।

    ২) রক্তচাপ নিয়ে চিন্তা বাড়তে পারে।

    ৩) সবাইকে বিশ্বাস করবেন না।

    মকর

    ১) শারীরিক অবস্থা খারাপ থাকায় কর্মে ক্ষতির আশঙ্কা।

    ২) আপনার সহিষ্ণু স্বভাবের জন্য সংসারে শান্তি রক্ষা পাবে।

    ৩) বন্ধুদের সাহায্য পাবেন।

    কুম্ভ

    ১) কাজের চাপে সংসারে সময় না দেওয়ায় বিবাদ হতে পারে।

    ২) ব্যবসায় কিছু পাওনা আদায় হতে পারে।

    ৩) ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিন।

    মীন

    ১) সন্তান-স্থান শুভ।

    ২) আজ কোনও সুসংবাদ পাওয়ার জন্য মন ব্যাকুল থাকবে।

    ৩) সমাজে আপনার প্রশংসা বৃদ্ধি পাবে।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Supreme Court: বিচারপতি ভার্মার আর্জি শোনার প্রয়োজন নেই, রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট

    Supreme Court: বিচারপতি ভার্মার আর্জি শোনার প্রয়োজন নেই, রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) অন্তর্বর্তী তদন্ত রিপোর্টকে চ্যালেঞ্জ করে বিচারপতি যশবন্ত ভার্মা (Justice Yashwant Varma) যে আবেদন জানিয়েছিলেন, তা খারিজ করে দিল দেশের সর্বোচ্চ আদালত। বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত এবং বিচারপতি এজি মাসিহের ডিভিশন বেঞ্চ এদিন স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, এই আর্জি শোনার কোনও প্রয়োজন নেই, কারণ বিচারপতি ভার্মা নিজেই সেই তদন্ত প্রক্রিয়ায় (Supreme Court) অংশ নিয়েছিলেন। রায়দানের সময় বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত বলেন, “পুরো প্রক্রিয়াটি আইনানুগভাবে পরিচালিত হয়েছে। এটি কোনও সমান্তরাল বা অতিসাংবিধানিক বিষয় নয়।” এই মামলার শুনানি শেষে ৩০ জুলাই রায় স্থগিত রাখা হয়েছিল। আজ, বৃহস্পতিবার সেই রায় ঘোষণা করে শীর্ষ আদালত।

    রিপোর্ট পাঠানো হয়েছিল রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে

    প্রসঙ্গত, বিচারপতি যশবন্ত ভার্মার বাসভবন থেকে বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থ উদ্ধার হওয়ার পরে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) একটি ‘ইন-হাউস’ তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল। সেই তদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতেই তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না বিচারপতি ভার্মাকে (Justice Yashwant Varma) অপসারণের সুপারিশ করেন। রিপোর্টটি পাঠানো হয়েছিল রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে।

    বিচারপতি ভার্মার হয়ে সওয়াল করেন কপিল সিব্বল

    এই সুপারিশ ও তদন্ত প্রক্রিয়ার আইনগত বৈধতা নিয়েই প্রশ্ন তুলে ফের সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হন বিচারপতি ভার্মা। তাঁর পক্ষে সওয়াল করেন প্রবীণ আইনজীবী কপিল সিব্বল। তবে আজ সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট জানিয়ে দিল, তদন্ত আইনসিদ্ধ এবং যথাযথভাবেই সম্পন্ন হয়েছে। সেই কারণেই বিচারপতি ভার্মার আর্জি গ্রহণযোগ্য নয় বলে জানানো হয়। এদিনের রায়ের মাধ্যমে কার্যত সুপ্রিম কোর্টের ‘ইন-হাউস’ তদন্ত প্রক্রিয়ার বৈধতাকেই সিলমোহর দিল দেশের শীর্ষ আদালত (Supreme Court)। এই রায়ের পর বিচারপতি ভার্মার অপসারণের পথে আর কোনও আইনি বাধা থাকল না বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বিচারব্যবস্থার স্বচ্ছতা ও নৈতিকতার প্রশ্নে এই রায়কে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

  • Vladimir Putin: আমেরিকার সঙ্গে শুল্কযুদ্ধের আবহে ভারত সফরে আসছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন

    Vladimir Putin: আমেরিকার সঙ্গে শুল্কযুদ্ধের আবহে ভারত সফরে আসছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin) অগাস্ট মাসের শেষদিকে ভারত সফরে আসছেন বলে জানিয়েছেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। রাশিয়ার সংবাদ সংস্থা ‘ইন্টারফ্যাক্স’ বৃহস্পতিবার মস্কো থেকে ডোভালের উদ্ধৃতি দিয়ে এ তথ্য জানায়। যদিও পুতিনের (Putin) সফরের নির্দিষ্ট তারিখ এখনও প্রকাশ করা হয়নি।

    আমেরিকার সঙ্গে শুল্ক যুদ্ধের আবহে এই সফর

    মাত্র একদিন আগেই, রাশিয়া থেকে তেল আমদানির প্রেক্ষিতে ভারতীয় পণ্যে ২৫ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক বসানোর ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী ২৭ অগাস্ট থেকে আমেরিকায় ভারতীয় রফতানি পণ্যের উপর মোট ৫০ শতাংশ শুল্ক বসবে। পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ট্রাম্প পরোক্ষে ইঙ্গিত দেন, রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বজায় রাখা দেশগুলির উপর আরও বিধিনিষেধ আনতে পারে আমেরিকা।

    ট্রাম্পকে একহাত নিলেন রুশ প্রশাসনের মুখপাত্র

    বৃহস্পতিবার ক্রেমলিনে রুশ প্রশাসনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, “আমরা (ট্রাম্পের) অনেক বিবৃতির কথাই শুনছি, যেগুলি আসলে হুমকি। বিভিন্ন দেশকে রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে বাধ্য করা হচ্ছে। আমরা এই বিবৃতিগুলিকে বৈধ এবং ন্যায্য বলে মনে করছি না।” একই সঙ্গে তাঁর সংযোজন, “আমরা বিশ্বাস করি যে কোনও সার্বভৌম দেশের স্বাধীন ভাবে বাণিজ্যসঙ্গী বেছে নেওয়ার অধিকার রয়েছে। নির্দিষ্ট কোনও দেশের জাতীয় স্বার্থ অনুযায়ী এই বাণিজ্যিক এবং অর্থনৈতিক বোঝাপড়া হয়ে থাকে।”

    পুতিনের (Vladimir Putin) আসন্ন ভারত সফর অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ

    এমন আবহে পুতিনের (Vladimir Putin) আসন্ন ভারত সফর অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন কূটনৈতিক মহল। একই দিনে রাশিয়ার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শিগগিরই ট্রাম্প ও পুতিনের মধ্যে বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে। রুশ প্রেসিডেন্টের বিদেশনীতি বিষয়ক উপদেষ্টা ইউরি উশাকভ জানিয়েছেন, বৈঠকের জন্য দুই দেশের মধ্যে কথাবার্তা চলছে। তবে কোথায় ও কবে সেই বৈঠক হবে, তা এখনও স্থির হয়নি।প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে ইউক্রেন আক্রমণ করার পর থেকেই রাশিয়ার বিরুদ্ধে একাধিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আমেরিকা ও পশ্চিমা দেশগুলি। আন্তর্জাতিক বাজারে রুশ অর্থনীতির উপরও তার প্রভাব পড়ে। সেই সময়েই রাশিয়া সস্তায় খনিজ তেল বিক্রি শুরু করে, এবং ভারত সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে রাশিয়া থেকে তেল আমদানির পরিমাণ কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয়। বর্তমানে নয়াদিল্লি তার মোট তেলের চাহিদার প্রায় ৩৫ শতাংশই রাশিয়া থেকে পূরণ করে।

  • Election Commission: স্পষ্ট সংঘাত! রাজ্যের পাঠানো আধিকারিকদের নামের তালিকা পছন্দ হল না নির্বাচন কমিশনের

    Election Commission: স্পষ্ট সংঘাত! রাজ্যের পাঠানো আধিকারিকদের নামের তালিকা পছন্দ হল না নির্বাচন কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের এখনও কয়েক মাস বাকি। তার আগেই শুরু হয়ে গিয়েছে রাজ্য বনাম কমিশন , জোর সংঘাত। ভোটার লিস্টে কারচুপির অভিযোগে, ২ ইআরও, ২ এইআরওকে সাসপেন্ড করে তাদের বিরুদ্ধে এফআইআরের নির্দেশ দিয়েছে কমিশন (Election Commission)। যা নিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানিয়েছেন, রাজ্যের কোনও অফিসারকে তিনি সাসপেন্ড হতে দেবেন না। এর পরই কমিশনের স্পষ্ট কথা, নির্দেশ মেনে পদক্ষেপ না হলে মুখ্যসচিবের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। এই আবহে রাজ্য নির্বাচনী আধিকারিকের (CEO) দফতরে অতিরিক্ত সিইও, ডেপুটি সিইও এবং যুগ্ম সিইও পদমর্যাদার আধিকারিক পদে রাজ্যের পাঠানো ৯ জনের প্যানেলই বাতিল করল কমিশন। রাজ্যের কাছে নতুন তালিকা চেয়ে পাঠানো হয়েছে।

    নয়া তালিকা পাঠাতে নির্দেশ

    রাজ্য মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে প্রয়োজন অতিরিক্ত সিইও, ডেপুটি সিইও এবং যুগ্ম সিইও পদমর্যাদার আধিকারিক। নিয়ম অনুযায়ী ওই সব পদের জন্য কমিশনে নামের তালিকা পাঠায় রাজ্য। সেই মতো এ বারেও নামের তালিকা পাঠিয়েছিলেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। তবে সেই তালিকা সম্পূর্ণ খারিজ করে দিল কমিশন (Election Commission)। আবার নতুন করে নামের তালিকা পাঠাতে বলা হয়েছে। যে তিনটি পদে আধিকারিকদের দায়িত্ব দেওয়া হবে সাধারণত ওই পদগুলির দায়িত্ব সামলান ডব্লিউবিসিএস পদমর্যাদার আধিকারিকেরা। সেই অনুযায়ী প্রতি পদের জন্য রাজ্যের পক্ষ থেকে তিন জন করে আধিকারিকের নাম পাঠানো হয়েছিল কমিশনে। তবে নয় জনের মধ্যে থেকে এক জনকেও ‘পছন্দ’ হয়নি কমিশনের। তাই ‘আপত্তি’ জানিয়ে নতুন করে নবান্নে নামের তালিকা চেয়ে পাঠিয়েছে কমিশন।

    রাজ্যের তালিকায় কাদের নাম

    ইতিমধ্যেই কমিশনে এসআইআর নিয়ে তোড়জোড় শুরু হয়েছে। কমিশনের তরফে সিইও দফতরে সেই বিষয়ে চিঠিও দেওয়া হয়েছে। অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (অ্যাডিশনাল সিইও) হিসেবে বিশেষ সচিব সুদীপ মিত্র, বিধাননগর পুরসভার বিশেষ সচিব সুজয় সরকার ও পঞ্চায়েত ও গ্রাম উন্নয়নের অতিরিক্ত সচিব সুদীপ সরকারের নাম পাঠানো হয়। যুগ্ম মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (জয়েন্ট সিইও) হিসেবে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প দফতরের অতিরিক্ত সচিব অরুন্ধতী ভৌমিক, স্টাফ সিলেকশন কমিশনরের সচিব সৌম্যজিৎ দেবনাথ ও স্বাস্থ্য দফতরের অতিরিক্ত সচিব বহ্নিশিখা দে-র নাম পাঠানো হয় ও ডেপুটি সিইও পদের জন্য বিদ্যুৎ দফতরের যুগ্ম সচিব বা জয়েন্ট সেক্রেটারি রঞ্জন চক্রবর্তী, বিধাননগরের ল্যান্ড ম্যানেজার রাজীব মণ্ডল ও পূর্ত দফতরের যুগ্ম সচিব প্রিয়রঞ্জন দাসের নাম পাঠিয়েছিল রাজ্য। বুধবার কমিশনের (Election Commission) তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ওই তালিকা পছন্দ নয়। নতুন তালিকা বানিয়ে পাঠাতে হবে কমিশনে। অন্যদিকে, এটাও মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে যে বেশিদিন ওই শূন্যপদ ফেলে রাখা যাবে না।

  • Election Commission: মুখ্যসচিবের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা! ৪ অফিসারের বিরুদ্ধে এফআইআর-এর নির্দেশ কমিশনের

    Election Commission: মুখ্যসচিবের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা! ৪ অফিসারের বিরুদ্ধে এফআইআর-এর নির্দেশ কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটার লিস্টে কারচুপির অভিযোগে মঙ্গলবার বারুইপুর পূর্ব ও ময়না বিধানসভা কেন্দ্রের দুই ইআরও (Electoral Registration Officer) এবং দুই সহকারী ইআরও-কে সাসপেন্ড করেছে নির্বাচন কমিশন। পাশাপাশি এক ডেটা এন্ট্রি অপারেটরের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রুজুর নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। দ্রুত এঁদের বিরুদ্ধে এফআইআর করার নির্দেশ দিয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিবের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন। পুঙ্খাপুঙ্খানুরূপে ব্যবস্থা নেওয়ার পর কমিশনের কাছে একটি রিপোর্ট পাঠাতে বলা হয়েছে। সূত্রের খবর, নির্দেশ মতো ব্যবস্থা না-হলে মুখ্যসচিবের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ করতে পারে কমিশন (Election Commission)।

    কী অভিযোগ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে

    নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) তরফে জানানো হয়েছে, ওই চার আধিকারিক কমিশনের হয়ে কাজ করার সময় গোপনীয়তা বজায় রাখতে পারেননি। কয়েকজন ব্যক্তির হাতে তাঁদের লগ-ইন আইডি ও পাসওয়ার্ড তুলে দিয়েছেন। অন্যদিকে নাম নথিভুক্তির সময়েও বেশ কিছু ভুল তথ্য নথিভুক্ত করেছেন। আধিকারিকদের এই ধরনের কার্যকলাপকে অপরাধমূলক বলে অ্যাখ্যা দিয়েছে কমিশন। এই কারণেই দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় নিযুক্ত মোট চারজনকে সঙ্গে সঙ্গে সাসপেন্ড করা হয়েছে। কমিশন সূত্রে খবর, বারুইপুর পূর্বের ইআরও এবং এইআরও ছিলেন দেবোত্তম দত্ত চৌধুরী এবং তথাগত মণ্ডল। ময়না বিধানসভা কেন্দ্রে ওই দুই পদে কাজ করছিলেন বিপ্লব সরকার ও সুদীপ্ত দাস। এই চারজন আধিকারিক ছাড়াও সুরজিৎ হালদার নামে একজন ডেটা এন্ট্রি অপারেটরের নামেও এফআইআর করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এরা সকলেই ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজে যুক্ত ছিলেন।

    মমতার হুমকি

    এ প্রসঙ্গে নির্বাচনকেন্দ্রিক প্রশাসনের কর্মীদের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। তাঁর মতে, এই সাসপেনশনের সিদ্ধান্ত আদতে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। নির্বাচন আসার আগেই পরিকল্পিতভাবে রাজ্যের প্রশাসনিক পরিকাঠামোয় চাপ সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে কমিশন। হুঁশিয়ারির সুরে তিনি এও বলেন, “ভোট তো এখনও আট মাস বাকি। এখন থেকেই অফিসারদের ভয় দেখাচ্ছো? ক্ষমতা দেখাচ্ছো? কার ক্ষমতা দিয়ে এই কাজ করছো? আমরা সহ্য করব না।” তিনি বলেছেন, ‘‘আমি কারও কোনও পানিশমেন্ট (শাস্তি) হতে দেব না।’’

    কমিশনের পাল্টা

    ঘটনাচক্রে, মুখ্যমন্ত্রীর (EC Mamata Conflict) ওই মন্তব্যের পরই কমিশন সূত্রে জানা যায়, নির্দেশ মোতাবেক পদক্ষেপ না হলে মুখ্যসচিবের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ করতে পারে তারা। তাদের ব্যাখ্যা, ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ সারা বছর ধরে হতে পারে। এর সঙ্গে নির্বাচনের কোনও সম্পর্ক নেই। সংবিধানের ৩২৪ ধারা কমিশনকে পূর্ণ ক্ষমতা দিয়েছে ভোটার তালিকা তৈরি করা এবং নির্বাচন করানোর। সেই কাজে লোক দিতে বাধ্য রাজ্য সরকার। কমিশন এবং ইআরও-র মাঝে আর কেউ নেই বলেই দাবি ওই সূত্রের।

    মানবিক দৃষ্টিতে দেখার আর্জি

    ওই চার জনের মধ্যে দু’জন রয়েছেন ডব্লিউবিসিএস আধিকারিক। তাঁদের বিরুদ্ধে কমিশনের নির্দেশের প্রেক্ষিতে বুধবার নবান্নে চিঠি পাঠিয়েছে আমলাদের এক সংগঠন। কমিশনের ওই নির্দেশের বিরুদ্ধে হস্তক্ষেপের আর্জি জানিয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে চিঠি পাঠিয়েছে ডব্লিউবিসিএস (এক্সিকিউটিভ) অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন। কমিশনের ওই নির্দেশকে মানবিক দৃষ্টিভঙ্গিতে বিবেচনা করার জন্য মুখ্যসচিবকে অনুরোধ করেছে আমলাদের সংগঠন। চিঠিতে তারা জানিয়েছে, নির্বাচনী প্রক্রিয়ার পবিত্রতা এবং সততা বজায় রাখা যেমন প্রয়োজন, তেমনই এই ধরনের সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে ন্যায্য ভাবে তা বিবেচনা করা উচিত।

    অপরাধ প্রমাণিত হলে, জেল!

    ১৯৫০ সালের জনপ্রতিনিধিত্ব আইন মোতাবেক, রাজ্যের যেসকল কর্মী ভোটার তালিকার সংশোধন বা সমীক্ষা সংক্রান্ত কাজে যুক্ত থাকেন, তাঁরা ডেপুটেশনে নির্বাচন কমিশনের কর্মী হিসেবে কাজ করছেন বলে গণ্য হয়। সেই হিসেবে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের পাশাপাশি জেলা নির্বাচন আধিকারিক, নির্বাচন নিবন্ধন আধিকারিক, সহকারী নির্বাচন নিবন্ধন আধিকারিকরাও কমিশনের অধীনস্থ এই সময়। কমিশনের (Election Commission) নির্দেশ মেনে তাঁরা কাজ না করলে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে পারে কমিশন। অপরাধ প্রমাণ হলে তিন মাস থেকে দু’বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডও হতে পারে। রাজ্যের মুখ্যসচিবকে পাঠানো চিঠিতে সে কথাও মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে।

  • ISRO: লাদাখেই তৈরি হল মঙ্গল গ্রহের পরিবেশ, ইসরোর অভিনব মিশন নিয়ে বাড়ছে কৌতূহল

    ISRO: লাদাখেই তৈরি হল মঙ্গল গ্রহের পরিবেশ, ইসরোর অভিনব মিশন নিয়ে বাড়ছে কৌতূহল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো, লাদাখে শুরু করল এক অন্য ধরনের মিশন, যার পোশাকি নাম দেওয়া হয়েছে হোপ – হিমালয়ান আউটপোস্ট ফর প্ল্যানেটারি এক্সপ্লোরেশন। গত ১ অগাস্ট থেকে শুরু হয়েছে এই মিশন, চলবে ১০ অগাস্ট পর্যন্ত। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, আগামী দিনে ভারতের চন্দ্র অভিযান এবং মঙ্গল অভিযানের প্রস্তুতির দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হলো ইসরোর (ISRO) এই মিশন। এর জন্য ইসরোর বিজ্ঞানীরা বেছে নিয়েছেন এমন একটি অঞ্চলকে, যে অঞ্চলের সঙ্গে অনেক দিক থেকেই মিল রয়েছে মঙ্গল গ্রহের। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৪ হাজার ৫৩০ মিটার উপরে অবস্থিত, এখানে বায়ুর চাপ অত্যন্ত কম রয়েছে। তার সঙ্গে রয়েছে প্রবল ঠান্ডা, আবার অতি বেগুনি রশ্মির তীব্রতাও রয়েছে।

    রাখা হয়েছে দুটি যুক্ত মডিউল বিশিষ্ট আবাসন ব্যবস্থা (ISRO)

    গবেষকরা বলছেন, এই ধরনের পরিস্থিতি হল পৃথিবীর উপগ্রহ চাঁদ কিংবা মঙ্গল গ্রহের সঙ্গে পরিবেশের একদমই সাদৃশ্যপূর্ণ। তাই ভবিষ্যতে মহাকাশচারীরা চন্দ্র বা মঙ্গল অভিযানে (Mars Mission) গেলে, তার আগের পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য একদম আদর্শ পরিবেশ। ইসরোর এই মিশনের অনেক রকমের বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এখানে রাখা হয়েছে দুটি যুক্ত মডিউল বিশিষ্ট আবাসন ব্যবস্থা, যার একটি ৮ মিটার প্রশস্ত এবং এটি ক্রুদের জন্য, অপরটি পাঁচ মিটার ইউটিলিটি ইউনিট (ISRO)। এই আবাসনে মিলছে প্রায় সমস্ত রকমেরই ব্যবস্থা। এখানে রয়েছে রান্নাঘর। ভবিষ্যতে মহাকাশচারীরা যখন যাবেন, তখন চাঁদ বা মঙ্গল গ্রহে রান্না করে খেতে হবে বৈকি। রয়েছে স্যানিটারি সুবিধাও। মানবজীবনের অত্যাবশ্যক প্রয়োজনীয়তাগুলোর ওপরও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে এই পরীক্ষামূলক আবহে। রয়েছে হাইড্রোপনিক ফার্মিংয়ের মতো আধুনিক কৃষিপদ্ধতি, যা জলবিহীন ও মাটিবিহীন কৃষিকে সম্ভব করে তোলে, তা-ও এখানে বাস্তবায়িত হয়েছে। এইভাবে ভবিষ্যতের অভিযানে খাদ্য সরবরাহের সম্ভাব্য বিকল্প পদ্ধতি নিয়ে পরীক্ষা চলছে।

    ইসরোর সঙ্গে যোগ দিয়েছে অন্যান্য সংস্থাও

    ইসরোর তরফ থেকে জানানো হয়েছে, দশ দিনের যে প্রস্তুতিপর্ব চলছে বা মিশন, সেখানে দুজন ক্রু সদস্য আবাসনের ভিতরে থাকবেন। ওই আবাসনের ভিতরে থাকার সময়, তাঁদের শারীরিক, মানসিক এবং বৌদ্ধিক পর্যায়ের কোন কোন প্রতিক্রিয়া উঠে আসছে, তা পর্যবেক্ষণ করা হবে এবং বিশ্লেষণ করা হবে। লাদাখের ওই অঞ্চলে (ISRO) গবেষণা চালাচ্ছে ইসরো। তবে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণার সঙ্গে জুড়েছে দেশের অন্যান্য সেরা প্রতিষ্ঠানগুলি। কোন কোন প্রতিষ্ঠানগুলি ইসরোর সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এই প্রকল্পে কাজ করছে, তা একবার জেনে নিই। রয়েছে আইআইটি বোম্বে, আইআইটি হায়দরাবাদ, আইআইএসটি তিরুবনন্তপুরম, আরজিসিবি তিরুবনন্তপুরম এবং ইনস্টিটিউট অব স্পেস মেডিসিন।

    কী কী নিয়ে চলছে গবেষণা (ISRO)

    ইসরো সূত্রে জানানো হয়েছে যে, উপরে উল্লেখ করা এই সংস্থাগুলির গবেষকরা নানাভাবে গবেষণা চালাচ্ছেন, যেমন: ক্রুদের হেলথ মনিটরিং, গ্রহপৃষ্ঠ অপারেশন, জীবাণু সংগ্রহ, উন্নত চিকিৎসা ও প্রযুক্তির নানা বিষয়। এই হোক মিশনে যারা যাবেন, তখন তাদের যে ধরনের পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হবে, তারই একটা মহড়া এবং সেই লক্ষ্যে এই পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হচ্ছে। এইরকম উদ্যোগ ভারতের মহাকাশ গবেষণাকে শুধু আরও আত্মনির্ভরই করবে না, বরং আন্তর্জাতিক মহাকাশ মিশনের প্রতিযোগিতায় ভারতের অবস্থানকে আরও শক্তিশালী ও মর্যাদাপূর্ণ করে তুলবে বলেই ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

    ২০৪০ সালের মধ্যে চাঁদে মানুষ পাঠানোর লক্ষ্য

    এই প্রকল্পের নেতৃত্ব দিচ্ছে ইসরোর হিউম্যান স্পেস ফ্লাইট সেন্টার। জানা যাচ্ছে, ২০৪০ সালের মধ্যে চাঁদে মানব পাঠানো এবং ভবিষ্যতের মঙ্গল অভিযান সফলভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্য নিয়েছে ইসরো। এবং মহাকাশের পরিবেশের অনুকরণে গড়ে তোলা হয়েছে মিশন। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ইসরোর এই মিশনের মাধ্যমে ধাপে ধাপে তৈরি করা হচ্ছে এমন এক পরিবেশ, যা ভবিষ্যতের চাঁদ বা মঙ্গল অভিযানে অংশগ্রহণকারী মহাকাশচারীদের জন্য প্রস্তুতির মঞ্চ হিসেবে কাজ করবে। এই পরিবেশে টিকে থাকার জন্য যে ধরণের জীবনধারা, শারীরিক সক্ষমতা, মানসিক দৃঢ়তা এবং প্রযুক্তিগত দক্ষতা প্রয়োজন, তা এখানে বাস্তব পরিস্থিতির মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ন করা হচ্ছে।

    কী বলছেন ইসরোর চেয়ারম্যান

    এ নিয়ে ইসরোর চেয়ারম্যান ডঃ ভি নারায়ণ বলছেন, যে হোক শুধুমাত্র আমাদের জন্য কেবল একটি ধৈর্যের পরীক্ষা নয় — এটি ভারতের ভবিষ্যতে মানব মহাকাশ অভিযানের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মিশন। এখানে সরাসরি মহাকাশচারীদের প্রশিক্ষণ এবং মিশনের ডিজাইন, তার ব্যবস্থা, প্রযুক্তি ব্যবস্থা — এই সমস্ত কিছুই খুঁটিনাটিতে পরীক্ষা করা হবে। ইসরোর চেয়ারম্যান ডঃ আরও বলছেন যে, ভবিষ্যতের জন্য আমাদের এই মহড়া চলছে। মহাকাশে মানুষ পাঠানোর আগে এধরনের মিশন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

  • US Tariff on India: ‘‘অন্যায্য, অন্যায় ও অযৌক্তিক’’! আমেরিকার ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া ভারতের

    US Tariff on India: ‘‘অন্যায্য, অন্যায় ও অযৌক্তিক’’! আমেরিকার ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়ার কাছে তেল কেনা বন্ধ না করায় ভারতের পণ্যে আমেরিকার বাড়তি ২৫ শতাংশ শুল্ক (US Tariff on India) আরোপের সিদ্ধান্তের নিন্দা করল বিদেশ মন্ত্রক। বুধবারই ভারতের উপর শুল্কের পরিমাণ দ্বিগুণ করে দিয়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফলে মোট শুল্কের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫০ শতাংশ। আমেরিকার এই পদক্ষেপ ‘অন্যায্য, অন্যায় ও অযৌক্তিক’ বলে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে। পাশাপাশি স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়, ‘জাতীয় স্বার্থ সুরক্ষিত করতে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ করবে ভারত।’

    কেন এই পদক্ষেপ

    মঙ্গলবারই প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে, আমেরিকা ভারতের উপর ‘খুব উল্লেখযোগ্যভাবে’ শুল্ক (US Tariff on India) বৃদ্ধি করতে চলেছে। রাশিয়ার সঙ্গে ভারত বাণিজ্য অব্যাহত রাখায় এই সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে আমেরিকা। সেইমতোই রাশিয়ার কাছে তেল কেনা বন্ধ না করায় ভারতের উপর অতিরিক্ত আরও ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের কথা ঘোষণা করলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট। এই মর্মে এক্সকিউটিভ অর্ডারে তিনি সইও করে দিয়েছেন। এরই পাল্টা হিসেবে কড়া বিবৃতি জারি করল ভারত। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বিবৃতিটি সমাজমাধ্যমেও পোস্ট করেছেন।

    বিদেশমন্ত্রকের বিবৃতি

    বিদেশমন্ত্রকের বিবৃতি অনুযায়ী, ‘‘গত কয়েক দিন ধরে রাশিয়া থেকে ভারতের তেল আমদানিকে নিশানা করেছে আমেরিকা। আমরা এ বিষয়ে আমাদের অবস্থান ইতিমধ্যেই স্পষ্ট করেছি। আমাদের আমদানি বাজারের পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে। ভারতের ১৪০ কোটি মানুষের জ্বালানির নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য। অন্য অনেক দেশ জাতীয় স্বার্থ সুরক্ষিত করতে একই পদক্ষেপ করছে। তা সত্ত্বেও বাড়তি শুল্ক আরোপের জন্য আমেরিকা বেছে নিচ্ছে ভারতকে, যা দুর্ভাগ্যজনক। এই পদক্ষেপ অন্যায্য, অযৌক্তিক এবং অন্যায়। আমরা এর প্রতিবাদ করছি। জাতীয় স্বার্থ সুরক্ষিত করতে ভারত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবে।’’

    কবে থেকে কার্যকর অতিরিক্ত শুল্ক

    ভারতীয় পণ্যের উপর শুল্ক (US Tariff on India) নিয়ে মোট ন’দফা নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাম্প। বলা হয়েছে, রুশ সরকারের কাছ থেকে প্রত্যক্ষ এবং পরোভাবে তেল কিনে চলেছে ভারত সরকার। এর ফলে ভারতের উপর ২৫ শতাংশ বাড়তি শুল্ক চাপবে। এই নির্দেশিকার ২১ দিনের মাথায়, মধ্যরাত ১২টা বেজে ১ মিনিট থেকে নয়া হারে শুল্ক কার্যকর হবে আমেরিকার বাজারে এসে পৌঁছনো, গুদাম থেকে বের করা ভারতীয় পণ্যের উপর। ট্রাম্প আরও জানিয়েছেন, ভারতের উপর ইতিমধ্যে যে শুল্ক, কর, ফি, আরোপ করা হয়েছে, তার উপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপবে। ট্রাম্প জানিয়েছেন, আরও যেমন যেমন তথ্য হাতে পাবেন তিনি, এই নির্দেশিকায় তেমন তেমন রদবদলও ঘটাতে পারেন। আগেই ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছিল ভারতীয় পণ্যে। তা ৭ অগাস্ট থেকে কার্যকর হওয়ার কথা। বুধবারের বাড়তি ২৫ শতাংশের ফলে আগামী ২৭ অগাস্ট থেকে ভারতকে আমেরিকায় রফতানি করতে হলে ৫০ শতাংশ শুল্ক দিতে হবে। এই ঘোষণার পর আমেরিকার আরোপিত সর্বোচ্চ শুল্কের তালিকায় চলে এল ভারতের নাম। এ ছাড়া, ব্রাজিলের পণ্যের উপরেও ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।

    জাতীয় স্বার্থ দেখেই কাজ করবে দিল্লি

    ২০২২ সালে রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করেছিল। এখনও পূর্ব ইউরোপে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ চলছে। রাশিয়ার আগ্রাসনের প্রতিবাদে আমেরিকা-সহ পশ্চিমি বিশ্ব তাদের উপর একাধিক বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল। আন্তর্জাতিক বাজারে রুশ বাণিজ্য যে কারণে বড়সড় ধাক্কা খায়। সেই সময়ে রাশিয়া সস্তায় খনিজ তেল বিক্রি শুরু করে। জাতীয় স্বার্থের কথা মাথায় রেখে ভারত রাশিয়া থেকে তেল কেনা কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিয়েছিল সেই সময়। ভারত সারা বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম তেল আমদানিকারক দেশ। এই মুহূর্তে ভারত যে তেল আমদানি করে তার ৩৫ শতাংশই রাশিয়া থেকে। আমেরিকার লাগাতার হুমকির মুখেও এখনও পর্যন্ত রাশিয়ার তেল আমদানি বন্ধের কথা বলেনি নয়াদিল্লি। আগেই এ বিষয়ে অবস্থান স্পষ্ট করেছিল। বলা হয়েছিল, জাতীয় স্বার্থ এবং আন্তর্জাতিক বাজারদরের কথা মাথায় রেখে ভারত তার বাণিজ্যনীতি নির্ধারণ করে থাকে। অর্থাৎ, বাজারে কে কত দাম নিচ্ছে, সেই বিষয়টিকেই প্রাধান্য দেওয়া হয়। রাশিয়া সস্তায় তেল বিক্রি করে বলেই ভারত তা কিনে থাকে। ভারত বারবার বলেছে, রাশিয়ার সঙ্গে তার বাণিজ্য, বিশেষ করে জ্বালানি আমদানি, আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় এবং কোনও একক দেশের আরোপিত নিষেধাজ্ঞার মধ্যে পড়ে না। কিন্তু আমেরিকার বক্তব্য, ভারত রাশিয়া থেকে তেল কেনার ফলে সেই টাকা ইউক্রেনে যুদ্ধ চালাতে কাজে লাগাচ্ছে মস্কো। যুদ্ধে অর্থসাহায্য হচ্ছে ভারতের দেওয়া টাকায়। এই প্রেক্ষিতে ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত ও নীতির ফলে ভারত-মার্কিন সম্পর্কে টানাপড়েনের সৃষ্টি করল বলেই, অনুমান আন্তর্জাতিক মহলের।

LinkedIn
Share