Tag: Madhyom

Madhyom

  • Rain: বৃষ্টি আর কোটালের জেরে ভাঙল নদীবাঁধ, প্লাবিত এলাকা, জলমগ্ন সাগরের কপিলমুনির আশ্রম

    Rain: বৃষ্টি আর কোটালের জেরে ভাঙল নদীবাঁধ, প্লাবিত এলাকা, জলমগ্ন সাগরের কপিলমুনির আশ্রম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার সকাল থেকে মেঘলা আকাশ আর দফায় দফায় বৃষ্টি। আর এই বৃষ্টি (Rain) শুরু হয়েছিল মঙ্গলবার রাত থেকে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার উপকূলবর্তী এলাকায় দফায় দফায় বৃষ্টি শুরু হওয়ায় বহু জায়গায় বাঁধ ভেঙে জল ঢুকতে শুরু করেছে। বৃষ্টির সঙ্গে দোসর হয়েছে পূর্ণিমার কোটাল। ফলে, পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হওয়ার আশঙ্কা করছেন এলাকার বাসিন্দারা।

    কোন কোন এলাকা জলমগ্ন হতে শুরু করেছে?

    বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপ ও পূর্ণিমার কোটালের জেরে উত্তাল গঙ্গাসাগরের সমুদ্র। সকাল থেকে শুরু বৃষ্টির (Rain) সঙ্গে ঝড়ো হওয়া। ফুলে ফেঁপে উঠছে নদীর জল। নদী বাঁধ উপচে জল ঢুকেছে কপিলমুনি আশ্রমের পাশে মেলার মাঠ এলাকায়। গঙ্গাসাগরের পয়লা ঘেরি, মন্দিরতলা চক, ফুলডুবি এলাকা সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় ঢুকতে শুরু করেছে সমুদ্রের নোনা জল। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের জেরে গঙ্গাসাগর কোস্টাল থানার পক্ষ থেকে গঙ্গাসাগরের সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদেরকে মাইকিং এর মাধ্যমে সতর্কবার্তা দিচ্ছে প্রশাসন। গঙ্গাসাগরের পাশাপাশি কুলপির রামকৃষ্ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের রত্নেশ্বরপুর এলাকায় প্রায় ১০০ মিটারেরও বেশি নদী বাঁধ ভেঙে হুহু করে ঢুকছে জল। আতঙ্কিত হয়ে রয়েছেন এলাকার মানুষজন। পাশাপাশি বাঁধ ভেঙেছে মৌসুনের বালিয়াড়ি এলাকায়। সকাল থেকেই নিম্নচাপের জেরে বৃষ্টি ও পূর্ণিমার ভরা কোটালে বালিয়াড়ি এলাকায় নদী বাঁধ ভেঙে ঢুকছে জল। একই ছবি দেখা গেল ডায়মন্ড হারবারেও নদীর জলস্ফীতিতে ডুবল পর্যটকদের কেল্লার মাঠ। নামখানা একাধিক জায়গায় নদী বাঁধ ভাঙ্গনের ফলে আতঙ্কিত হয়ে রয়েছেন এলাকার মানুষ।

    কী বললেন পঞ্চায়েত সমিতির বিদায়ী কর্মাধ্যক্ষ?

    ইতিমধ্যে নদী বাঁধ পরিদর্শন করেন গঙ্গাসাগর পঞ্চায়েত সমিতির বিদায়ী কর্মাধ্যক্ষ আব্দুল সামির শাহ ও মুড়িগঙ্গা দু নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিদায়ী প্রধান গোবিন্দ মণ্ডল। তাঁদের বক্তব্য, আমরা সব সময় নজরদারি চালাচ্ছি। প্রশাসনের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে।

    ফুঁসছে দিঘার সমুদ্র, পর্যটকদের জলে নামতে নিষেধাজ্ঞা

    মঙ্গলবার থেকেই দিঘার আবহাওয়া পরিবর্তন হতে শুরু করেছে। বুধবার সকাল থেকে ঘন কালো মেঘে ঢেকেছে আকাশ। শুধু দিঘা নয়, তাজপুর, মন্দারমণি, শঙ্করপুর সহ উপকূলবর্তী এলাকায় বৃষ্টির (Rain) সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া বইছে। আর পূর্ণিমার কোটালের সঙ্গে সমুদ্রের জসস্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। দিঘা ফিশারম্যান অ্যান্ড ফিশ ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শ্যামসুন্দর দাস বলেন, আবহাওয়ার কারণে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে বারণ করা হয়েছে। আরা যারা আগে গিয়েছেন তাদের দ্রুত ফিরে আসতে বলা হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি মিললেও এখনও বাড়ি জোটেনি গঙ্গার ভাঙনে ঘরছাড়াদের

    Murshidabad: মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি মিললেও এখনও বাড়ি জোটেনি গঙ্গার ভাঙনে ঘরছাড়াদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গঙ্গার ভাঙনের কবলে পড়ে ঘরছাড়া হয়েছেন সামসেরগঞ্জের (Murshidabad) বিভিন্ন এলাকার বহু মানুষ। তাঁদের মধ্যে অনেকে ঘর পেলেও যোগ্য কিছু ব্যক্তিরা এখনও পাননি ঘর। যদিও বেশ কিছুদিন আগে মুখ্যমন্ত্রী মুর্শিদাবাদে এসে গঙ্গার ভাঙনে তলিয়ের যাওয়া গৃহহীনদের বাড়ি করে দেওয়ার প্রতশ্রুতি দিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু এরপর প্রশাসনের কোনও উদ্যোগ দেখা যায়নি। এখনও গৃহহীনদের বাসস্থান বলতে কোনও স্কুল বাড়ি বা ত্রিপল টাঙিয়ে চলছে, কোনও রকমের দিনপাত। এর মধ্যে এবার শুরু হয়েছে বর্ষা। বাড়ছে গঙ্গার জলস্তর। আবারও ভয়াবহ ভাঙন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন এলাকাবাসী। কী বলছেন তাঁরা শুনে নেওয়া যাক-

    স্থানীয়দের বক্তব্য (Murshidabad)?

    স্থানীয় (Murshidabad) নূর মহম্মদ মল্লিক বলেন, আমাদের প্রায় ৯০ শতাংশ জমি জলের তলায় চলে গেছে। বৃষ্টির জলে নদীর জলের স্তর বৃদ্ধির ফলে ভাঙন দেখা যাচ্ছে। ৮৬ টির বেশি পরিবারের কোনও বাড়ি বর্তমানে নেই। সরকার কিছু মানুষকে জমির পাট্টা দিলেও মাত্র ১৫ জন তা পেয়েছেন। বেশিরভাগ মানুষ এখনও কিছুই পাননি। এই বর্ষাকালে আমরা কীভাবে দিনপাত করবো সেই প্রশ্নই করছেন এই গৃহহীন।

    অন্যের বাড়িতে ভাড়া থাকছেন

    সামসেরগঞ্জের দুর্গাপুরের গৃহহীন (Murshidabad) এক মহিলা বলেন যে বাড়ি নদীতে তলিয়ে গেলে কিছুদিন ভাড়ার বাড়িতে ছিলাম। বিড়ি বেঁধে কোনরকমে সংসার চলে। কিন্তু নিজে খাবো কী, আর ভাড়া দেবো কী? এই অসহায়তার জন্য এখন নদীর পাশেই এক আত্মীয়ের বাড়িতে এসে থাকছি। কিন্তু এই বাড়িটাও যে কোনও সময়ে তলিয়ে যেতে পারে। তাই সন্তানদের নিয়ে খুব কষ্ট এবং আতঙ্কের মধ্যে রয়েছি। তিনি আরও বলেন, প্রশাসন থেকে এখনও কোনও সহযোগিতা আমরা পাইনি।

    নদীর পাড়ে ভাঙা বাড়িতে থাকছেন, যে কোনও সময় তলিয়ে যেতে পারে

    স্থানীয় (Murshidabad) মিন্টু শেখ বলেন, আমরা দুই বছর ধরে ঘর ছাড়া। নদীর ধারে একেটি ভাঙা বাড়িতে ত্রিপল টাঙ্গিয়ে কোনও রকম ভাবে থাকছি। আমার আর্থিক অবস্থা ভীষণ খারাপ, সামর্থ নেই যে অন্য জায়গায় বাড়ি করে থাকব। রাতের অন্ধকারে ঠিক করে ঘুমাতে পারি না কারণ, কখন ভেঙে যায় বাড়ি! জানিনা। নিজের জায়গা সম্পত্তি সবই ছিল কিন্তু নদীর ভাঙনে সব তলিয়ে গেছে। এই অবস্থায় সরকার আমাদের পাশে না দাঁড়ালে আমরা কোথায় যাবো! আপাতত মাথা গোঁজার মতন একটা আশ্রয় ভীষণ জরুরী। প্রশাসন এখন কবে উদ্যোগী হন তাই এখন দেখার। 

          

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: দূষণমুক্ত অনাবিল প্রকৃতির হাতছানি মৌসুনী আইল্যান্ড

    South 24 Parganas: দূষণমুক্ত অনাবিল প্রকৃতির হাতছানি মৌসুনী আইল্যান্ড

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গের উপকূল পর্যটন মানচিত্রে একেবারে নতুন না হলেও এখনও দিঘা, মন্দারমণি, বকখালির মতো পরিচিতি বা জনপ্রিয়তা লাভ করেনি দঃ ২৪ পরগনার একেবারে প্রান্তিক অঞ্চলের এই অপরূপ সুন্দরী ভার্জিন সি-বিচ “মৌসুনী দ্বীপ বা মৌসুনী আইল্যান্ড (South 24 Parganas)। এখনও এখানে প্রবেশ করেনি শহরের ব্যস্ত জীবনের বিরামহীন পথচলা। এখনও এখানে তাই স্বমহিমায় বিরাজ করে অখণ্ড নির্জনতা, দূষণমুক্ত আর অনাবিল প্রকৃতি। উর্মিল বঙ্গোপসগরের তরঙ্গ লহরী এখানে প্রতিনিয়ত হাতছানি দিয়ে ডাকে প্রকৃতিপ্রেমী পর্যটককে। বিস্তীর্ণ সোনালি বালি আকৃষ্ট করে হৃদয়।

    মৌসুনী দ্বীপের (South 24 Parganas) ইতিহাস

    এই সুন্দর দ্বীপটিকে জনমানসে পরিচিতি এনে দেওয়ার কৃতিত্বের অন্যতম দাবিদার কিন্ত বৃটিশরা। মূলত বৃটিশ আমলে এই দ্বীপটিকে ইংরেজরা ব্যবহার করত লবণ এবং শুকনো মাছ আনা-নেওয়ার কাজে। প্রথম এই দ্বীপটি সম্পর্কে লিখিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় “দি হিন্দু” পত্রিকায়।

    মূল আকর্ষণ কী?

    মূলত নীল সাগরের শোভা, বালুকাবেলা এই সৈকতের (South 24 Parganas) প্রধান আকর্ষণ। সঙ্গে উপরি পাওনা গ্রাম্য পরিবেশ। জেলেদের মাছ ধরা, নদী, সবুজ ধানের ক্ষেত -এসবের  আকর্ষণও নেহাৎ কম নয়।

    কিভাবে যাবেন

    মৌসুনী দ্বীপ (South 24 Parganas) যাওয়ার জন্য প্রথমে আসতে হবে নামখানা। এখান থেকে হাতানিয়া নদী পেরিয়ে (বর্তমানে এই নদীর ওপর সেতু হয়ে যাওয়ায় যাতায়াতের ক্ষেত্রে অনেকটাই সুবিধে হয়ে গেছে) বকখালি যাওয়ার পথে খানিক পথ এগিয়ে যেতে হবে বাগডাঙা খেয়াঘাট। মূল সড়ক থেকে খেয়াঘাট অবধি যাচ্ছে টোটো। গাড়ি নিয়ে গেলে এখানে খেয়াঘাটের কাছে গাড়ি রাখার জন্য গ্যারাজের ব্যবস্থাও আছে। সড়ক বা বাসস্টপ থেকে খেয়াঘাট অবধি যেতে সময় লাগে কমবেশি ৩০ মিনিট। এবার গাড়ি এপাড়ে রেখে খেয়া নৌকায় নদী পেরিয়ে নদীর ওপাড়ে এসে সেখান থেকে আবারও টোটোতে প্রায় ১৫-২০ মিনিটের পথ মৌসুনী দ্বীপ বা মৌসুনী আইল্যান্ড।

    কোথায় থাকবেন?

    বর্তমানে এখানে সাগরের কূলে বেশ কিছু টেন্ট তৈরি হয়েছে পর্যটকদের থাকার জন্য। এই টেন্টগুলিতে খাওয়ার ব্যবস্থাও  আছে ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • SLST 2016: এমএলএ হোস্টেলের গেট আটকে বিক্ষোভে চাকরিপ্রার্থীরা! পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি

    SLST 2016: এমএলএ হোস্টেলের গেট আটকে বিক্ষোভে চাকরিপ্রার্থীরা! পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কিড স্ট্রিটের এমএলএ হস্টেলের গেটের সামনে বিক্ষোভে চাকরিপ্রার্থীরা (SLST 2016)। দ্রুত নিয়োগের দাবিতে স্কুলের চাকরিপ্রার্থীদের এই অবস্থান বিক্ষোভ সরাতে আসে কলকাতা পুলিশ। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয় চাকরিপ্রার্থীদের। চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভকে যুক্তিসঙ্গত দাবি করে গেটের ভিতরে তখন বিজেপি বিধায়করাও গলা ফাটাতে থাকেন। বুধবার বেলা ১১টা নাগাদ এই বিক্ষোভে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কিডস চত্বর। শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বিক্ষোভস্থলে এসে বলেন, ‘‘শুভেন্দু দার সঙ্গে আলোচনা করে, আজকের বিক্ষোভও আমরা তুলে ধরব বিধানসভার ভিতরে।’’ পুলিশ বিক্ষোভ তুলতে এলে শঙ্কর ঘোষ তাতে বাধা দেওয়ার চেষ্টাও করেন। তাঁকে বলতে শোনা যায়, মহিলা পুলিশ ছাড়া, মহিলা আন্দোলনকারীদের গায়ে যেন হাত না দেওয়া হয়। ততক্ষণে গেটের ভিতরে থাকা বিজেপি বিধায়কদের মধ্যে থেকে নিলাদ্রী শেখর দানা এবং অনুপ সাহা পুলিশে কাজের বিরোধিতা করতে থাকেন। নিলাদ্রী শেখর দানা বলেন, ‘‘এই ভাবে টানা হেঁচড়া করবেন না। ওদেরও (SLST 2016) গণতান্ত্রিক অধিকার আছে। এঁরা আমাদের বাড়ির মেয়ে। এরা পশ্চিবঙ্গের মেয়ে। ওঁদের অনুরোধ করে তুলুন।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘এই নিয়ে আজ বিধানসভায় তুলকালাম হবে। বিজেপি বিধায়করা তো চাকরি বেচেনি। আমরা কেন অবরুদ্ধ হব? এই সরকারকে জবাব দিতে হবে । মুখ্যমন্ত্রীকে জবাব দিতে হবে।’’

    চাকরিপ্রার্থীরা কী বলছেন? 

    চাকরিপ্রার্থীরা (SLST 2016) এদিন দাবি করেন, বিধানসভার অধিবেশন চলছে। সেখানে রাজ্যের বিভিন্ন ইস্যুতে আলোচনা হচ্ছে। অথচ তাঁরা প্রায় ৯০০ দিন ধরে ‘প্রাপ্য’ চাকরির দাবিতে পথে বসে আন্দোলনের প্রসঙ্গ উঠছে না। জন প্রতিনিধিদের কাছে তাই এদিন ‘অবিচারের’ জবাব চাইতেই তাঁদের আসা। বেলা ১১টা নাগাদ পুলিশ চ্যাঙদোলা করে বিক্ষোভকারীদের প্রিজম ভ্যানে তুলতে থাকে। প্রিজম ভ্যান ভর্তি হয়ে গেলে আনতে হয় বাস। মহিলা চাকরি প্রার্থীদেরও এদিন টেনেহিঁচড়ে তুলতে দেখা যায় পুলিশকে।

    বিধানসভার ভিতরে বিক্ষোভের আঁচ

    বুধবারের সকাল থেকেই কিড স্ট্রিটে এমএলএ হস্টেলের সামনে শুরু হয় ওই বিক্ষোভের আঁচ গিয়ে পড়ে বিধানসভার অন্দরে। স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলেন, ‘‘এমএলএ হস্টেলের সামনে বিক্ষোভ হচ্ছে, সেই জন্য এমএলএ, মন্ত্রীরা আটকে পড়েছেন। বলার অধিকার সবারই আছে। কিন্তু, এ ভাবে স্তব্ধ করে দিয়ে আন্দোলন করা ঠিক নয়। আমি প্রশাসনকে বলেছি বিষয়টা দেখতে।’’ শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ এপ্রসঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ে বাড়ি ঘেরাও কর্মসূচির কথাও তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘‘এমএলএ হস্টেলের সামনে চাকরিপ্রার্থীরা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ সরকারি সহায়তা মিলছে না। ইদানীং কিছু রাজনৈতিক নেতা দলের কর্মীদের বাড়ি ঘেরাওয়ের নিদান দিচ্ছেন । আজ দেখলাম, আমাদের বিধায়কদের কী অবস্থা! স্পিকারের কাছে অনুরোধ, এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীদের (SLST 2016) কথা শোনা হোক। আর রাজনৈতিক নেতারাও যাতে ভবিষ্যতে এমন মন্তব্য না-করেন, সেটাও দেখুন।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের জের! বরখাস্ত করা হল হুগলি গার্লস স্কুলের ৯ জন রাঁধুনিকে

    TMC: তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের জের! বরখাস্ত করা হল হুগলি গার্লস স্কুলের ৯ জন রাঁধুনিকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৯ জন রাঁধুনিকে কাজ থেকে বরখাস্ত করার অভিযোগ উঠল তৃণমূল (TMC) পরিচালিত স্কুল পরিচালন কমিটির বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলি গার্লস হাইস্কুলে। মূলত এই রাঁধুনিরা তৃণমূল কাউন্সিলার ঝন্টু বিশ্বাসের অনুগামী ছিলেন। তাঁকে পরিচালন কমিটি থেকে সরিয়ে অন্যজনকে ওই পদে বসানো হয়েছে। এরপরই ওই ৯ জন রাঁধুনিকে ছাঁটাই করে দেওয়া হয়। এই ঘটনার প্রতিবাদে স্কুলে তাঁরা বিক্ষোভও দেখান। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    কী কারণ দেখিয়ে ৯ জনকে সরিয়ে দেওয়া হল?

    গত ৯ মার্চ ডিএ বৃদ্ধির দাবিতে এক দিনের ধর্মঘটে সামিল হয়েছিলেন সরকারি কর্মচারীরা। সেই ধর্মঘটকে সামনে রেখে সেদিন অনেকের মতোই স্কুলে আসেননি ৯ জন রাঁধুনিও। কিন্তু সঠিক কারণ দর্শাতে না পারায় তাঁদের ছাঁটাই করে দিল স্কুল পরিচালন কমিটি। মঙ্গলবার ওই স্কুলের মিড ডে মিলের ৯ জন রাঁধুনি কাজে এলে তাঁদেরকে স্কুল থেকে বের করে দেওয়া হয়। বলা হয় তাঁদের আর কাজ করার প্রয়োজন নেই। কারণ তাঁরা ওইদিন ধর্মঘটে যোগ দিয়ে স্কুলে আসেননি। স্কুলের বাচ্চারা সেদিন খেতে পায়নি। বাইরে থেকে খাবার কিনে এনে পড়ুয়াদের খেতে দিতে হয়েছে। প্রথমে তাঁদের শো-কজ করা হয়েছিল। তাঁরা জবাবও দিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু স্কুল কমিটি তাতে সন্তুষ্ট হয়নি। এরপরই ওই ৯ কর্মীকে ছাঁটাই-এর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এদিন স্কুলে এসে কাজ চলে গেছে শুনেই কেঁদে ফেলেন তাঁরা। স্কুল গেট আটকে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা।

    কী বললেন বরখাস্ত হওয়া রাঁধুনিরা?

    বরখাস্ত হওয়া রাঁধুনিদের বক্তব্য, ৯ মার্চ প্রধান শিক্ষিকা সহ অনেক শিক্ষিকাই স্কুলে অনুপস্থিত ছিলেন। কিন্তু, তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। আমরা স্থানীয় কাউন্সিলার তৃণমূলের (TMC)  ঝন্টু বিশ্বাসের ঘনিষ্ঠ বলে আমাদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, আসলে হুগলি গার্লস স্কুলের পরিচালন কমিটির মাথায় ছিলেন স্থানীয় কাউন্সিলর ঝন্টু বিশ্বাস। কিন্তু, স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদারের সঙ্গে মনোমালিন্য চলায় ঝন্টুকে ছেঁটে সঞ্জনা সরকার নামে একজনকে পরিচালন কমিটির মাথায় বসানো হয়। এরপরই কোপ গিয়ে পড়ে ঝন্টুর পছন্দের লোকজনদের ওপর।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) কাউন্সিলার?

    এবিষয়ে তৃণমূল কাউন্সিলার ঝন্টু বিশ্বাস বলেন, এটা খুব দুঃখের বিষয়। বাম আমল থেকে ওই কর্মীরা মিড ডে মিলের কাজ করছেন। অত্যন্ত গরিব তাঁরা। এদের মধ্যে ২ জন বাদে বাকিরা বিধৰা। এইভাবে পেটের ভাত মারা ঠিক নয়। দিদি ক্ষমতায় আসার পর বলেছিলেন বদলা নয়, বদল চাই। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা যে এখন উল্টোটা হচ্ছে।

    কী বললেন পরিচালন কমিটির সভাপতি?

    স্কুল পরিচালন কমিটির সভাপতি সঞ্জনা সরকার বলেন, ধর্মধটের দিন রাঁধুনিরা না আসায় বাচ্চারা খেতে পায়নি। বাইরে থেকে খাবার কিনে খেতে হয়েছিল। এটা ঠিক নয়। তাই, পরিচালন কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    এই ব্যাপারে বিজেপি নেতা সুরেশ সাউ বলেন, এটা মূলত তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। যার শিকার হলেন ওই গরিব মহিলারা। তৃণমূল দল কেমন তা ওই রাঁধুনিরা হাড়ে হাড়ে বুঝতে পারছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: পুকুরে মাছ ধরার জালে ফের উদ্ধার ব্যালট বাক্স, তীব্র উত্তেজনা মগরাহাটে

    South 24 Parganas: পুকুরে মাছ ধরার জালে ফের উদ্ধার ব্যালট বাক্স, তীব্র উত্তেজনা মগরাহাটে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট মিটে গেলেও ফলাফল থেমে নেই। উত্তর দিনাজপুরের ডালখোলার মতন মাছ ধরার জালে উঠে এলো ব্যালট বাক্স। এরই জেরে চাঞ্চল্য ছড়ালো মগরাহাট পশ্চিম বিধানসভার (South 24 Parganas) নেতড়া এলাকায়। শাসক দলকে নিশানা করে বিরোধীরা বলছেন, শাসক দল যেভাবে ভোট লুট করেছেন তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ হল মাছের জালে ব্যালট বাক্স উদ্ধার। জেলা জুড়ে তীব্র চাঞ্চাল্য।

    কিভাবে উদ্ধার হল (South 24 Parganas)?

    স্থানীয় (South 24 Parganas) সূত্রে জানা যায়, বুধবার নেতড়া হাই মাদ্রাসার সামনের পুকুরে বেড়জাল দিয়ে মাছ ধরার সময় উঠে আসে ৩ টি ব্যালট বাক্স। দুটি বড় বাক্স এবং একটি ছোট বাক্স। আর এই ব্যালট বাক্স দেখে চমকে যান এলাকার মানুষজন। পরে ব্যালট বাক্স উদ্ধারের খবর চাউর হলে, এলাকায় ভিড় জমান স্থানীয়রা। তবে কিভাবে পুকুরে এই ব্যালট বক্স এলো তা নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা। প্রাথমিক ভাবে অনুমান করা হয় গণনা কেন্দ্র থেকে লুট করে এই বাক্স পুকুরের জলে ফেলা হয়।

    স্থানীয়দের বক্তব্য

    এলাকার স্থানীয় (South 24 Parganas) এক ব্যাক্তি আব্দুল্লা শেখ বলেন, সকাল ১১ টা নাগাদ পুকুরে মাছ ধরার জন্য জাল ফেললে তিনটি ব্যালট বাক্স পাওয়া যায়। যখন পাওয়া যায়, সেই সময় তিনি উপস্থিত না থাকলেও খবর জানাজানি হতে সকলে ছুটে আসেন। তিনি এই প্রসঙ্গে আরও বলেন, এই বাক্সগুলি যে ভোটের সময় ব্যবহার করা হয়েছে সেই বিষয়ে উনি সুনিশ্চিত। কেননা বাক্সে বেশ কিছু নম্বর লাগানো ছিল। তবে কেন এই পুকুরেই পাওয়া গেল সেই বিষয়ে স্পষ্ট করে বলতে পারেননি।

    উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত নির্বাচন মিটে গেলেও জেলায় জেলায় পুকুর থেকে ব্যালট বাক্স উদ্ধারের ঘটনায় শোরগোল পড়েছে। গত সপ্তাহেই উত্তর দিনাজপুরের ডালখোলা, করণদিঘিতে একই ভাবে পুকুর থেকে ব্যালট বাক্স উদ্ধার হয়। নদীয়া মুর্শিদাবাদের পাটক্ষেত থেকে ব্যালট পেপার উদ্ধার হয়। হুগলির জাঙ্গি পাড়াতে গণনার পরেও পরিত্যক্ত জায়গা থেকে ভোটের ব্যালট উদ্ধার হয়। এই নিয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাজে রীতিমতন মামলার শুনানি চলছে। ফলে পঞ্চায়েত ভোট মিটে গেলেও, তাকে ঘিরে শোরগোল থামছে না।       

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: ভোট চুরি করতে দেননি বলেই কি নদিয়ার বিডিও ট্রান্সফার? তীব্র শোরগোল

    Nadia: ভোট চুরি করতে দেননি বলেই কি নদিয়ার বিডিও ট্রান্সফার? তীব্র শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শাসকদলের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে নদিয়ার (Nadia) বিডিও গণনা কেন্দ্রে রুখে দিয়েছিলেন ভোট চুরির কারচুপি। সেই কারণেই বোর্ড গঠন হওয়ার আগেই উত্তরবঙ্গে ট্রান্সফার করে দেওয়া হল। কিন্তু বিরোধী রাজনৈতিক মহলের অভিযোগ এলাকায় কেন বিজেপি জয়ী হয়েছে! আর তাই বিডিওকে ট্রান্সফার করা হয়েছে। অভিযোগের তির সরকার প্রশাসনের বিরুদ্ধেই। তবে যদি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র হলে পথে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিজেপি।

    ঘটনা কোথায় ঘটেছে (Nadia)?

    নদিয়ার (Nadia) শান্তিপুর ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক হলেন প্রণয় মুখার্জি। প্রায় তিন বছর ধরে শান্তিপুর ব্লকের কাজ সামলাচ্ছিলেন তিনি। পঞ্চায়েত নির্বাচনে শক্ত হাতে কাজ করেছিলেন তিনি। এমনকি গণনার দিন কেন্দ্রে পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে বারবার ব্যালট বাক্স লুট করার চেষ্টা চালাচ্ছিল শাসক দল। একমাত্র ব্লক আধিকারিক নিজে শক্ত হাতে রুখে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। এই এলাকায় বিজেপি জয়ী হওয়ায়, তৃণমূলের রোষানলে পড়তে হয়েছে বলে অভিযোগ। ফলে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন বিডিও, এমনটাই দাবি রাজনৈতিক মহলের। প্রণয় মুখার্জিকে দক্ষিণ দিনাজপুরের ডিএম-ডিসি করে পাঠানো হলো। অন্যদিকে নদীয়ার ডিএম- ডিসি মোহাম্মদ সাব্বির আহমেদ মোল্লাকে শান্তিপুরের বিডিও করে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় এলাকায় তীব্র চাঞ্চাল্য ছড়িয়েছে।

    বিজেপির বক্তব্য

    এই বিষয়ে বিজেপি মন্ডল সভাপতি (Nadia) তথা নবনির্বাচিত পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য চঞ্চল চক্রবর্তী বলেন যে বিষয়টি পুরোটাই প্রশাসনের। আমরা নতুন ব্লক আধিকারিককে স্বাগত জানাচ্ছি। কিন্তু মনে হচ্ছে তৃণমূল এই বিডিওকে নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেননা। গণনার দিনে হয়তো পছন্দের তৃণমূল প্রার্থীদের জোর করে সার্টিফিকেট লিখিয়ে নিতে পারেননি তৃণমূল আর তাই এই বিডিও শাসক দলের কোপের মুখে পড়েছেন। বোর্ড গঠনের আগে এই ট্রান্সফার অত্যন্ত সন্দেহ প্রবন। ফলে এই ট্রান্সফার যদি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে থাকে, তাহলে আমরা পথে নামতে বাধ্য হব। তিনি আরও বলেন, গণনার দিনেও বিজেপি রাজপথে ছিল, প্রশাসন যদি রাজনীতি করে সরকারি আমলাদের নিয়ে, তাহলে রাস্তায় ফের আন্দোলন হবে।   

      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Manipur Violence: ড্রাগের আন্তর্জাতিক চোরাচালানে কোপ পড়তেই শুরু মণিপুরকে অশান্ত করার ‘খেলা’!

    Manipur Violence: ড্রাগের আন্তর্জাতিক চোরাচালানে কোপ পড়তেই শুরু মণিপুরকে অশান্ত করার ‘খেলা’!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অশান্তির আগুনে জ্বলছে মণিপুর (Manipur Violence)। বলা হচ্ছে, এটা নাকি জাতি সংঘর্ষেরই ভয়ঙ্কর পরিণতি। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, সত্যিই কি তাই? নাকি এর পিছনে রয়েছে আরও বড় ষড়যন্ত্র, এবং বিজেপি সরকারকে ফেলে দিয়ে নিজেদের আধিপত্য কায়েম করার নোংরা রাজনীতি? যত দিন যাচ্ছে, এটা জলের মতো পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে, ড্রাগ বা মাদকের আন্তর্জাতিক চোরাকারবার, বেআইনি অস্ত্র ব্যবসা এবং সর্বোপরি বিদেশি শক্তি, বিশেষত চিনের অঙ্গুলি হেলনেই এখানকার পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হয়ে উঠছে।

    হাইকোর্টের রায় দেখেই তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠে (Manipur Violence) বিক্ষোভকারীরা

    মণিপুরের ভৌগোলিক যা অবস্থান, তাতে ৯০ শতাংশ হল পাহাড়ি এলাকা, ঘন জঙ্গল এবং চিন, মায়ানমারের সীমান্ত। সবদিক থেকে আফিম চাষের আদর্শ জায়গা। তাই একদিকে আফিমের চাষ যেমন রমরম করে হয়ে আসছে, তেমনি সীমান্ত দিয়ে এর চোরাচালানের কারবারও ফুলে-ফেঁপে উঠেছে। কোটি কোটি টাকার কারবার চলছে দিনের পর দিন। ড্রাগ মাফিয়াদের কাছে এটা হল গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গল। আর ঠিক এই জায়গাতেই আঘাত হানতে উঠেপড়ে লেগেছে বিজেপি শাসিত সেখানকার সরকার। নিজেদের বেআইনি সাম্রাজ্যে কোপ পড়তেই গোটা মণিপুরকে অশান্ত করার নোংরা খেলায় (Manipur Violence) নেমে পড়ে বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তিগুলি। এই রকম একটা অবস্থায় আগুনে ঘি পড়েছে সেখানকার হাইকোর্টের সাম্প্রতিক একটি রায়ে।

    কী বলা হয়েছে হাইকোর্টের রায়ে?

    এই রাজ্যে বাস করেন প্রায় ৩৪ টি জনজাতি সমাজের মানুষ। এঁদের মধ্যে নাগা, কুকি, মিজো, মেইতি উল্লেখযোগ্য। কিন্তু সবথেকে বেশি হলেন মেইতি গোষ্ঠীর, যাঁরা মূলত সমতল অঞ্চলে বসবাস করেন। এই মেইতিরা মণিপুরের মোট যা এলাকা, তার ১০ শতাংশ অঞ্চলে বসবাস করেন। মণিপুরে বহুদিন ধরেই তাঁরা তফশিলি উপজাতির (ST) স্বীকৃতির দাবি করে আসছিলেন। আর এ ব্যাপারে হাইকোর্টের নির্দেশ আসতেই সিঁদুরে মেঘ দেখতে শুরু করে মেইতি-বিরোধী আদিবাসীরা। গত এপ্রিল মাসে মণিপুর হাইকোর্ট মেইতিদের তফশিলি উপজাতির মর্যাদা দেওয়ার জন্য সেখানকার রাজ্য সরকারকে সদর্থক ভাবনাচিন্তা করার নির্দেশ দেয়। একদিকে কালো কারবারে সরকারের থাবা, অন্যদিকে নিজেদের বসবাসের এলাকাতেও আধিপত্য খর্ব হওয়ার আতঙ্ক, এই দুটি কারণে তারা হইহই করে মাঠে নেমে পড়ে। ৩ মে অল ট্রাইবাল স্টুডেন্ট ইউনিয়ন অফ মণিপুর নামে সংগঠন আন্দোলনের ডাক দেয়। তাতে নেতৃত্ব দেন কুকি এবং নাগা জনগোষ্ঠীর নেতারা। এই সংগঠনের পক্ষ থেকে মণিপুরের চুরাচাঁদপুরের কাছে তোরবুং এলাকায় প্রতিবাদী মিছিলের আয়োজন করা হয়। ধীরে ধীরে আগ্নিগর্ভ হতে শুরু করে মণিপুর। একে একে তোরবুং, গোবিন্দপুর, সাবাল মানিং, মামাং লেইকাই, কাংভাই, ফুবাকচাওতে বাড়িঘরে আগুন দেয় দুষ্কৃতীরা। এরপর শুরু হয় গোষ্ঠী সংঘর্ষ। মণিপুরে যে ব্যাপক হিংসা (Manipur Violence) হয়েছে, তাতে এখনও পর্যন্ত বহু মানুষের প্রাণ গেছে। ৪৫ হাজারের বেশি মানুষ প্রত্যক্ষ ভাবে হিংসার দ্বারা প্রভাবিত হয়েছেন। মিজোরামের একটি রিপোর্টে বলা হয়, মণিপুর থেকে মোট ৬৫০০ মানুষ নিজের বাড়িঘর ছেড়ে মিজোরামে এসে আশ্রয় নিয়েছেন।

    সংরক্ষণ কেন চান মেইতিরা (Manipur) আর কেন ক্ষুব্ধ (Manipur Violence) কুকিরা?

    মেইতিদের কাছে একটি স্পষ্ট তত্ত্ব হল, জনসংখ্যার তত্ত্ব। ১৯৫১ সালে মণিপুরে মেইতিদের জনসংখ্যার অনুপাত ছিল ৫৯ শতাংশ। আর ২০১১ সালে সেই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৪ শতাংশে। ফলে মণিপুরের জনজাতি হিসাবে কুকিরা তাঁদের জল-জঙ্গল-জমি দখল করছে বলেই মেইতিদের সংখ্যা ক্রমশ কমছে, এমনটাই দাবি তাঁদের। তাই মেইতিরা তাঁদের সংস্কৃতির সংরক্ষণ এবং জনজাতির পদমর্যাদা চান। অন্যদিকে, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং এবং বিজেপি সরকারকে মেইতি সমাজের প্রত্যক্ষ সমর্থক বলে অভিযোগ করছেন কুকিরা। এমনকী কুকি সমাজের এক রাজনৈতিক নেতা বলেন, মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী কুকি বিরোধী! তাই আমাদের আন্দোলন চলবে। কারণ তাঁদের আশঙ্কা, শুধু জল-জঙ্গল-জমি নয়, সংরক্ষণের কারণে পুলিশ-প্রশাসনে তাঁরা যে সব সুবিধা ভোগ করে আসছেন, তাতেও ভাগ বসাবে মেইতিরা। মেইতিরা ধীরে ধীরে আরও ক্ষমতাবান হয়ে উঠবে। পাশাপাশি মেইতি জনগোষ্ঠীর মানুষ পাল্টা কুকিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলেন, সমস্ত হিংসার পিছনে কুকিদের অস্ত্র কারবার, চোরাকারবার, মাদক পাচার, মাফিয়া, দুষ্কৃতী এবং রাজনৈতিক নেতাদের প্রত্যক্ষ মদত রয়েছে। ফলে দুই গোষ্ঠীর দাবি-পাল্টা দাবি ঘিরে পরিস্থিতি উত্তপ্ত আগে থেকেই।

    মাদক চক্র কতটা প্রভাবশালী (Manipur Violence)?

    মণিপুরের এই অশান্তির (Manipur Violence) পিছনে সেখানকার মাদক চোরাচালান, অনুপ্রবেশ, আন্তর্জাতিক চোরাকারবারের প্রত্যক্ষ প্রভাব আছে বলে বিশেষজ্ঞ মহলও মনে করছে। মণিপুর (Manipur) সরকারের সূত্র অনুসারে, ২০১৭ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে ১৮৬৬৪ একরের বেশি আফিম চাষ ধ্বংস করেছে বিজেপি শাসিত সরকারের পুলিশ। এর বেশির ভাগটাই করা হত পার্বত্য জেলায়। আবার ২০১৩ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে ১৮৮৯ একর আফিম চাষ ধ্বংস করেছিল তৎকালীন কংগ্রেস সরকার। মণিপুরের এই মাদক চক্র শুধু ভারতেই নয়, মায়ানমার হয়ে লাওস, থাইল্যান্ড, দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশগুলিতে আন্তর্জাতিক মাদক চক্র হিসাবে কাজ করছে। তাই মণিপুরে মাদক চাষ বন্ধ হলে এর ব্যাপক প্রভাব পড়বে চিন সহ দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার মাদক চোরাচালানে। আর সেই কারণেই সাময়িক ভাবে হিংসার বাতাবরণ তৈরি করা হয়েছে বলে অনেকে মনে করছেন। মণিপুরের আগের সরকারগুলি, বিশেষ করে কংগ্রেস সরকারের আমলে আইন হলেও, নারকোটিক ড্রাগস অ্যান্ড সাইকোট্রপিক সাবস্ট্যান্সেস অ্যাক্ট ১৯৮৫, মাদক চোরাচালান রোধে তেমন কার্যকর হয়নি। ফলে আন্তর্জাতিক মাদক পাচারকারী এবং কংগ্রেসের নেতাদের আর্থিক লাভে ভাটা পড়েনি। বর্তমানে বিজেপি সরকার এই অবৈধ মাদক চাষ এবং চোরাচালান রোধে কঠোর মনোভাব নিতেই গোষ্ঠী সংঘর্ষের আড়ালে সক্রিয় হয়ে পরিস্থিতিকে ভয়ঙ্কর করে তোলা হচ্ছে। মণিপুর ট্রাইবাল ফোরাম দিল্লিও (MTFD) মণিপুরের হিংসা নিয়ে একটি প্রতিবেদনে বলেছে, আন্তর্জাতিক মাদক মাফিয়ারা অতি সক্রিয় হয়েছে এখানে। 

    উল্লেখ্য মণিপুরে সাসপেনশন অফ অপারেশন এগ্রিমেন্ট (SoO) স্বাক্ষরিত হওয়ার ফলে কুকিদের সশস্ত্র জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে মণিপুর এবং ভারতের যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। এই কুকি সশস্ত্র জঙ্গি গোষ্ঠীরাই মেইতিদের মন্দির, ধর্মস্থলে হিংসাত্মক আক্রমণ করেছিল। অসম রাইফেল এই ঘটনায় বিশেষ অপারেশনও করেছিল। অভিযোগ আরও ওঠে যে এই কুকির সশস্ত্র জঙ্গি গোষ্ঠীরা বাংলাদেশ, মায়ানমার এবং মিজোরাম থেকে অবৈধ আফিম, গাঁজা, কোকেন, হেরোইন, ইয়াবা মাদক চোরাচালানের কাজ করে থাকে। এছাড়াও অবৈধ অনুপ্রবেশকারী পাচারের মোটা অর্থ কুকিদের এই জঙ্গি সংগঠনকে সতেজ রাখে। সেই রসদে ভাটা পড়তেই বিক্ষোভ, হিংসাত্মক আন্দোলন।

    আসলে বিজেপি সরকারকে সরিয়ে পাহাড় এবং মাদকের কারবারের রাশ পুরোপুরি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে আনাই যা আন্দোলনকারীদের মূল লক্ষ্য, তা এখন অনেকের কাছেই পরিষ্কার। চিনের হাত মাথায় থাকায় এই কাজে বিক্ষোভকারীরা দ্বিগুণ উৎসাহ নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। তথ্য বলছে, চোরাকারবারের কিং পিন যারা, তারা আসলে মায়ানমার থেকে অনুপ্রবেশকারী। মণিপুর এবং মিজোরামে কাজ করা চায়না ন্যাশনাল আর্মি (সি এন এ) এবং জোমি রিভলিউশনারি আর্মির (জেড আর এ) সঙ্গে এদের প্রত্যক্ষ যোগাযোগ রয়েছে। এদের কাছ থেকে অস্ত্র এবং অর্থ পেয়ে আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে কুকি ন্যাশনাল আর্মি (কে এন এ)।  

    প্রাক্তন সেনা প্রধানের বক্তব্য (Manipur Violence)

    অপর দিকে দেশের প্রাক্তন সেনা প্রধান এমএম নরভানেও দিল্লিতে ইন্ডিয়ান ইন্টারন্যাশনাল সেন্টারে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বলেছেন যে মণিপুরের হিংসার (Manipur Violence) পিছনে বহিরাগত চিনের বিশেষ শক্তি মদত দিচ্ছে। বিভিন্ন প্রতিবাদী সংগঠনকে পরিচালনা করছে বাইরের শক্তি। তিনি আরও বলেন, প্রতিবেশী দেশের অস্থিরতা যেমন একটা বড় সমস্যা, তেমনি আমাদের দেশের অভ্যন্তরে কোনও সীমান্তবর্তী এলাকার সমস্যাও আমাদের জন্য আরও খারাপ। দেশের জাতীয় সুরক্ষা নীতিকে সুরক্ষিত রাখা একান্ত প্রয়োজন। বাইরের শত্রুর সঙ্গে সেনা লড়াই করছে, কিন্তু ভিতরের শত্রুর সঙ্গে নাগরিকদের লড়াই করতে হবে। অভ্যন্তরীণ সুরক্ষা ভীষণ প্রয়োজন।

      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Jhargram: নেট পরীক্ষায় পাশ করলেন রাজ্যে প্রথম ঝাড়গ্রামের শবর যুবক

    Jhargram: নেট পরীক্ষায় পাশ করলেন রাজ্যে প্রথম ঝাড়গ্রামের শবর যুবক

     মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাবা ও মা দু’জনেই নিরক্ষর।  নেট (ন্যাশানাল এলিজিবিটি টেস্ট) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে তাক লাগালেন ঝাড়গ্রামের লোধা-শবর সমাজের এক যুবক। তাঁর নাম কার্তিক শবর। সম্প্রতি বেরিয়েছে নেট পরীক্ষার ফলাফল। ফলাফলে দেখা যায় উত্তীর্ণ হয়েছেন তিনি। তিনি হলেন পরিবারের প্রথম প্রজন্মের শিক্ষিত সদস্য। 

    মেধাবী যুবকের পড়াশুনার খরচ কে দিতেন জানেন?

    কার্তিকের বাড়ি ঝাড়গ্রামের বেলপাহাড়ি ব্লকের এড়গোদা গ্রাম পঞ্চায়েতের আশাকাঁথি গ্রামে। গ্রামের আশাকাঁথি নিম্ন বুনিয়াদি হাইস্কুলে প্রাথমিক স্তরে পড়াশুনার পর জয়পুর হাইস্কুলে ৭২ শতাংশ নম্বর নিয়ে মাধ্যমিক পাশ করেন।  তারপরই পড়াশুনার ছেদ পড়ে যাওয়ার কথা ছিল কার্তিকের। কারণ, কার্তিক মাধ্যমিক পাশ করার পরই তাঁর বাবা নির্মল শবর জানিয়ে দেন, পড়াশুনার খরচ সামলাতে পারবেন না। তারপরই কার্তিকের পাশে দাঁড়ান শিক্ষিকা মিতালি পাণ্ডা। তিনি বর্তমানে পন্ডিত রঘুনাথ মুর্মু আবাসিক বিদ্যালয়ের ইংরেজির শিক্ষিকা।  কর্মসূত্রে একসময় মিতালীদেবী জয়পুর স্কুলের শিক্ষিকা ছিলেন। সেখান থেকেই কার্তিকের সঙ্গে তাঁর পরিচয়। তাঁর আর্থিক অবস্থা জানতে পেরে ওই শিক্ষিকাই কার্তিককে বাঁকুড়ার গড় রাইপুর হাইস্কুলে উচ্চমাধ্যমিকে ভর্তি করান। সে থেকেই এখনও পর্যন্ত কার্তিকের সমস্ত খরচ সামলান ওই শিক্ষিকা। ২০১৬ সালে উচ্চমাধ্যমিকে ৮৬.৪ শতাংশ নম্বর নিয়ে পাশ করার পর জামবনি ব্লকের কাপগাড়ি সেবাভারতী মহাবিদ্যালয় থেকে  ভূগোলে অনার্স করেন। ২০২১ সালে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পাশ করেন তিনি। বর্তমানে তিনি ঝাড়গ্রামের সেবায়তন শিক্ষক শিক্ষণ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে বিএড করছেন।

    কী বললেন মেধাবী ওই যুবক?

    কার্তিক বলেন, মাধ্যমিকের পর পড়াশুনা আর হত না। দিদিমণি পাশে না দাঁড়ালে এতটা পথ আসতে পারতাম না।  দিদিমণি শুধু আর্থিক ভাবেই সাহায্য করেননি, সবসময় পরামর্শ দিয়েছেন। বড় হয়ে অধ্যাপক হওয়ার ইচ্ছে রয়েছে আমার। ঝাড়খণ্ডে কিছু শিক্ষকের জন্য আবেদন করেছি। দিদিমণির কাছে সাহায্য চাইতে লজ্জা লাগে। এবার নিজেকে কিছু করতে হবে।

    কী বললেন মেধাবী যুবকের পাশে দাঁড়ানো শিক্ষিকা?

    শিক্ষিকা মিতালি পাণ্ডা বলেন, আমি ভীষণ খুশি। কার্তিক আমার এক সন্তানের মতই। নেট পাশের থেকে সবচেয়ে বড় কথা কার্তিক ভাল মনের মানুষ তৈরি হয়েছে। তার জীবনে বাধা অনেক এসেছে। কিন্তু সেই বাধা তাকে থামিয়ে দিতে পারেনি। গবেষণা করার ক্ষেত্রে ওর পাশে কেউ দাঁড়ায় আরও ভাল হবে।

    কী বললেন ঝাড়গ্রাম লোধা-শবর কল্যাণ সমিতির সভাপতি?

    কার্তিকের বাবা নির্মল শবর ও মা পুষ্পরানি শবর দিনমজুরের কাজ করেন। কার্তিক তিন ভাই-বোন। বড় দিদি প্রতিমা শবর উচ্চমাধ্যমিক পাশ করার বিয়ে হয়ে গিয়েছে। বোন শ্রীমতী শবর বাংলা নিয়ে ঝাড়গ্রাম সাধু রামচাঁদ বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলায় স্নাতকোত্তরে পড়াশুনা করছেন। ঝাড়গ্রাম জেলা লোধা-শবর  সেলের সদস্য  তথা ঝাড়গ্রাম লোধা-শবর কল্যাণ সমিতির সভাপতি খগেন্দ্রনাথ মান্ডি বলেন, লোধা শবর সমাজের কেউ নেট পাশ করেনি।  চাকরি পেলে খুবই ভাল হবে। কার্তিককে দেখে লোধা-শবর ছেলে-মেয়েরা অনুপ্রাণিত হবে। লোধা-শবর মানুষজন প্রশাসনের কাছে যেতে চায় না। সেজন্য বিভিন্ন জায়গায় শিবির করে তাঁদের সুযোগ সুবিধা দিতে হবে। সেবাভারতী কলেজে ভূগোলের অধ্যাপক প্রণব সাহু বলেন, লোধা-শবর উপজাতি সম্প্রদায়ের মধ্যে পড়াশুনার প্রতি আগ্রহ তৈরি হয়েছে তার জ্বলন্ত উদাহরণ কার্তিক।  তাঁর উচ্চ মেধা জাতীয় স্তরে পরীক্ষায় সাফল্য পেয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: নদিয়া ও পূর্ব মেদিনীপুরে বাজ পড়ে একদিনে তিন মহিলা সহ পাঁচজনের মৃত্যু

    Nadia: নদিয়া ও পূর্ব মেদিনীপুরে বাজ পড়ে একদিনে তিন মহিলা সহ পাঁচজনের মৃত্যু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার প্রবল বৃষ্টির সঙ্গে বাজ পড়ে এক দিনে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। নদিয়ার (Nadia) রানাঘাট এবং পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়া এলাকায় এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। মৃত পাঁচজনের মধ্যে চার জনই পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়ার বাসিন্দা। এরমধ্যে দুজন মহিলা রয়েছেন। আর নদিয়ার রানাঘাটেও বাজ পড়ে এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    মঙ্গলবার বিকেলে হলদিয়ার ভবানীপুর থানার দেভোগ অঞ্চলের বড়বাড়ি গ্রামে বাজ পড়ে দুই ব্যাক্তির মৃত্যু হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁদের নাম পিন্টু বেরা (৫০) এবং সমরেশ বেরা (৪৫)। পাশাপাশি, হলদিয়ার সুতাহাটা থানার কসবেড়িয়া গ্রামে বাজ পড়ে মৃত্যু হয়েছে মামণি মালি নামে এক মহিলার। তাঁর বয়স ৪০ বছর। রাধারানি ভৌমিক নামে আরও এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে। অন্য দিকে, রানাঘাটে বজ্রাঘাতে মৃত্যু হয়েছে অপর্ণা বিশ্বাস নামে ৩২ বছরের এক মহিলার। স্থানীয় সূত্রে খবর, বিকেলে সমরেশের জমিতে ধান রোয়ার কাজ চলছিল। সেই সময় মুষলধারে বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত শুরু হয়। বৃষ্টি থেকে বাঁচতে মাঠের পাশের একটি বড় গাছের তলায় আশ্রয় নেন দু’জন। কিন্তু, ওই গাছেই বাজ পড়ে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দু’জনের। পরে গ্রামবাসীরা এসে তাঁদের উদ্ধার করেন। অন্য দিকে, মঙ্গলবার বিকেলেই থালা-বাসন ধোয়ার জন্য পুকুরে গিয়েছিলেন সুতাহাটার কসবেড়িয়ার বধূ মামণি । তিনি বাসন মেজে বাড়িতে ফেরার সময়ই বাজ পড়ে। তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। সুতাহাটার হোড়খাল গ্রাম পঞ্চায়েতের বেগুনাবেড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা রাধারানিদেবী তুমুল বৃষ্টির মধ্যে চাষের জমিতে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন। মাথায় বাজ পড়ে তাঁর মৃত্যু হয়। মঙ্গলবার বিকেলে নদিয়ার (Nadia) রানাঘাট থানা এলাকায় কাজ করে থেকে ফিরছিলেন বছর ৩২-এর বধূ অপর্ণা বিশ্বাস। সে সময় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ প্রবল বৃষ্টি হচ্ছিল। বাড়ির কিছুটা আগে আচমকা বাজ পড়ে গুরুতর জখম হন তিনি। তাঁকে উদ্ধার করে রানাঘাট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share