Tag: Madhyom

Madhyom

  • BJP: অনুব্রতর জেলায় উন্নয়ন সত্যিই রাস্তায়! জলে ভরা গর্তে ধান গাছ লাগিয়ে প্রতিবাদ বিজেপির

    BJP: অনুব্রতর জেলায় উন্নয়ন সত্যিই রাস্তায়! জলে ভরা গর্তে ধান গাছ লাগিয়ে প্রতিবাদ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি কেষ্ট মণ্ডল এখন জেলে। ভোটের আগে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বারবারই বলেছেন, রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছে উন্নয়ন। কিন্তু বীরভূমের সিউড়ি পুরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে উন্নয়ন যে কতটা হয়েছে, তা বিভিন্ন এলাকা ঘুরলে সহজেই বোঝা যায়। বীরভূমের সিউড়ি পুরসভার বেশ কিছু ওয়ার্ড অল্প বৃষ্টিতেই থানা-খন্দে ভরে ওঠে। যেমন বড়বাগান প্রান্তিক সংঘের সামনের রাস্তা একেবারে ভঙ্গুর। অন্যদিকে সিউড়ির ব্যস্ততম সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হসপিটালের রাস্তা, সেখানেও অল্প বৃষ্টি হলেই জল জমে যায়। স্থানীয় দোকানদাররা নোংরা ফেলার কারণে হাইড্রেনের মধ্যে জমা থাকে ওই নোংরা। যার ফলে জল বেরিয়ে যেতে পারে না। যত দিন যাচ্ছে, পরিস্থিতি যেন আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে। এরই প্রতিবাদে আন্দোলনে নামল বিজেপি (BJP)। 

    কী বলছেন এলাকার ভুক্তভোগীরা?

    এলাকার মানুষের বক্তব্য, জেলায় জেলায় ডেঙ্গু যেভাবে বাড়ছে, তাতে জমা জল নিয়ে তাঁরা এমনিতেই আতঙ্কিত। অন্যান্য জায়গায় জল বের করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। দেওয়া হচ্ছে চুন, মশা মারার তেল প্রভৃতি। কিন্তু সিউড়ি পুরসভা এখনও পর্যন্ত সেরকম কোনও ব্যবস্থাই গ্রহণ করেনি। যে কারণে যে কোনও সময় ডেঙ্গুর  প্রকোপ বাড়তে পারে। পুরসভার বিভিন্ন রাস্তা এখনও পর্যন্ত খারাপ। সেই কারণে অল্প বৃষ্টিতেই সেখানে জল জমে যাচ্ছে। এখানেও পুরসভার কোনও হেলদোল নেই।

    ধান গাছ লাগিয়ে আন্দোলনে বিজেপির (BJP) যুব মোর্চা

    প্রান্তিক সংঘের সামনের রাস্তা দীর্ঘদিন ধরে খারাপ। ইতিমধ্যেই সেখানে যে গর্ত রয়েছে, সেখানে জমতে শুরু করেছে জল। এই নিয়ে সিউড়ি নগর যুব মোর্চার (BJP) তরফ থেকে পথ অবরোধ করা হয়। শুধু এখানেই নয়, যেখানে জল জমে আছে, সেখানে তারা ধান গাছ লাগিয়ে এবং মাছ ছেড়ে পুরসভার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে গর্জে ওঠেন। সংগঠনের সদস্যরা জানিয়ে দিয়েছেন, ১৫ দিনের মধ্যে যদি রাস্তা ঠিক না হয়, তাহলে যে আন্দোলনে তাঁরা নেমেছেন, তার থেকেও বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে। 

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Assam: ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে ভারতে অনুপ্রবেশ! অসম পুলিশের জালে ২ রোহিঙ্গা পাচারকারী

    Assam: ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে ভারতে অনুপ্রবেশ! অসম পুলিশের জালে ২ রোহিঙ্গা পাচারকারী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশ থেকে ভারতে রোহিঙ্গা মুসলিম পাচার! দুই অভিযুক্ত দালালকে ত্রিপুরা থেকে গ্রেফতার করল অসম পুলিশের এসটিএফ। ২৯ জুলাই গ্রেফতার হওয়া এই দুই যুবকের নাম সাগর সরকার এবং কাজল সরকার। তাদেরকে পশ্চিম ত্রিপুরার মোহনপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অসম (Assam) পুলিশের এসটিএফ এক বাংলাদেশি নাগরিককেও শনাক্ত করতে পেরেছে। অসম (Assam) পুলিশ হানা দেয় অভিযুক্ত কাজল সরকারের বাড়িতে। এবং সেখান থেকে এসটিএফ টিম একজন বাংলাদেশি নাগরিককে শনাক্ত করে যার নাম বিষ্ণুচন্দ্র মণ্ডল। পরবর্তীকালে তাকে ত্রিপুরা পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

    রোহিঙ্গা পাচার 

    রোহিঙ্গা পাচারের অভিযোগে অসম (Assam) পুলিশ গতবছরই শিলচরে একটি এফআইআর করে। এবং তদন্তে নেমে দুই অভিযুক্তের সন্ধান পায় পুলিশ। এসটিএফ টিম তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করেছে নটি আধার কার্ড, দুটি প্যান কার্ড এবং কিছু বাংলাদেশি নথি। পাশাপাশি বাংলাদেশের টাকাও উদ্ধার হয়েছে কাজল সরকারের বাড়ি থেকে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি বা এনআইএ একটি চার্জশিট পেশ করেছে। যেখানে ৬ জন ভারতীয় নাগরিককে চিহ্নিত করা হয়েছে। যারা বাংলাদেশ থেকে এদেশে রোহিঙ্গা পাচারে জড়িত। এনআইয়ের এই মামলা গুয়াহাটিতে চলছে। ২০২২ সালের ৪ জুন, ৬ জন ভারতীয় নাগরিকের বিরুদ্ধে, ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০ বি ৩৭০(৩) ৩৭০(৫) ধারায় মামলা লাগু করা হয়েছে।  রোহিঙ্গা পাচারের পাশাপাশি যৌন শোষণ, ক্ষমতার অপব্যবহার এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিত ষড়যন্ত্রের মামলাও দায়ের করা হয়েছে। অপরদিকে ভুয়ো নথি নিয়ে ভারতে স্থায়ীভাবে বসবাস করার অভিযোগে এনআইএ ২৭ ডিসেম্বর ২০২১ সালে একটি মামলা দায়ের করে। মানব পাচারের অভিযোগে কুমকুম আহমেদ চৌধুরী, আশিকুল আহমেদ, বাপন আহমেদ চৌধুরী, শাহ আলম লস্কর, জামালউদ্দিন চৌধুরীদের নামে মামলা দায়ের হয়। জানা গিয়েছে, এরা প্রত্যেকেই অসমের (Assam) কাছার জেলার বাসিন্দা। 

    কী বললেন অসমের (Assam) মুখ্যমন্ত্রী? 

    প্রসঙ্গত দিন কয়েক আগেই অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেন যে অসম একটা রোহিঙ্গা পাচারের ফ্রী করিডরে পরিণত হয়েছে। এবং বাংলাদেশ বা অন্যান্য স্থান থেকে রোহিঙ্গারা অসম হয়ে দিল্লি, ব্যাঙ্গালোর এবং কাশ্মীরে যাচ্ছে। কিছু মানব পাচারকারীর তাদেরকে সাহায্য করছে। অসমের মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, ত্রিপুরা পুলিশের সঙ্গে যৌথভাবে রোহিঙ্গা পাচার মামলায় কাজ করে চলেছে অসম পুলিশ। প্রসঙ্গত, চলতি বছরের জুন মাসের ১১ তারিখে আগরতলা কোর্টে পাঁচজন বাংলাদেশী নাগরিককে আদালত জেলে পাঠায়। যাদের মধ্যে দুজন মহিলা ছিল। রেলওয়ে পুলিশ ১০ জুন আগরতলা-বেঙ্গালুরু হামসফর এক্সপ্রেস থেকে কয়েকজনকে গ্রেফতার করে। যাদেরকে বাংলাদেশী হিসেবে চিহ্নিত করা গেছে। তারা হল, শফিকুল ইসলাম, মোঃ রফিক, মমতাজ আখতার, রোজিনা বেগম এবং শাহ আলি শেখ। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে যে স্থানীয় দালালদের সাহায্যে তারা ভারতে প্রবেশ করে। এবং সেই দালালরা কুড়ি হাজার টাকার বিনিময়ে গোপন পথে তাদেরকে ভারতে যাতায়াতের ব্যবস্থা করে দেয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

     

  • Sudha Murty: সুধা মূর্তি বাইরে গেলে ব্যাগে নিজের খাবার নিয়ে যান! কেন জানেন?

    Sudha Murty: সুধা মূর্তি বাইরে গেলে ব্যাগে নিজের খাবার নিয়ে যান! কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিগত কয়েকদিন ধরেই সোশ্যাল মিডিয়াতে চর্চার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে রয়েছেন সুধা মূর্তি (Sudha Murty)। সম্প্রতি একটি শো-তে দেশের বাইরে নিজের খাওয়াদাওয়া প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে শোনা যায় তাঁকে। আর সেই মন্তব্যেই বিতর্কের ঝড় গোটা সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে।

    কে এই সুধা মূর্তি (Sudha Murty)?

    সুধা মূর্তি (Sudha Murty) একজন প্রবীণ ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষিকা এবং একইসঙ্গে একজন কন্নড় ও ইংরেজিতে বিখ্যাত লেখিকা। প্রথম জীবন একজন ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষিকা ও কম্পিউটার বিজ্ঞানী হিসেবে শুরু করেন। তিনি ইনফোসিস ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন এবং গেটস ফাউন্ডেশনের জনস্বাস্থ্য সেবা উদ্যোগের একজন  সদস্য। সুধা মূর্তি বর্তমান ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনকের শাশুড়ি।

    কেন তাঁকে (Sudha Murty) নিয়ে হঠাৎ বিতর্কের ঝড় ওঠে সোশ্যাল মিডিয়ায়?

    সম্প্রতি ‘খানে মে কৌন হ্যায়’ নামক এক শো-তে তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। সেখানে তিনি (Sudha Murty) তাঁর অনেক বক্তব্যের মাঝে একটি বক্তব্য রাখেন, যেখানে তিনি বলেন, বিদেশে গেলে তাঁর খাবার-দাবারের বিষয়ে অনেক বাছ-বিচার আছে। তিনি বিদেশ ভ্রমণ করার সময় নিজের সাথে একটি আলাদা ব্যাগে খাবার এবং খাবার তৈরির সরঞ্জাম সঙ্গে করে নিয়ে যাত্রা করেন। তাঁর বক্তব্য অনুসারে তিনি নিরামিষ ভোজী। তাই এই পথ অবলম্বন করেন। একই চামচ নিরামিষ ও আমিষ খাবারে ব্যবহার হওয়ায় তিনি ভয় পান বাইরের খাবার খেতে, যেহেতু পিয়াজ-রসুন থেকে তিনি দূরেই থাকেন। তিনি আরও বলেন, আমি যখন বিদেশে যাই, একসঙ্গে ২৫-৩০ টা চাপাটি বানিয়ে নিই। আর নিই ফ্রাই করা সুজি। শুধু একটু গরম জল মিশিয়ে নিলেই ‘রেডি টু ইট’। এমনকি একটি ব্যাগে তাঁর সঙ্গে থাকে ছোট্ট একটি কুকারও। আর এই সব মন্তব্যের জন্যই চরম পরিমাণে ট্রোল হতে হয়েছে সুধা মূর্তিকে।

    তাঁকে (Sudha Murty) উদ্দেশ্য করে কে কী বললেন?

    কিছু ট্যুইটার ব্যবহারকারী তাঁকে উদ্দেশ্য করে লেখেন, “তিনি একজন প্যাসিভ অ্যাগ্রেসিভ কাস্টেস্ট মহিলা”। শুধু এখানেই থেমে থাকেনি। আরও একজন ইউজার লেখেন, “এত সমস্যা নিয়ে বিদেশে ভ্রমণ করেন কেন? কেন সারাজীবন ভারতীয় গ্রামের বাড়িতে বসবাস করেন না? ডলারের জন্য গরুর মাংস খাওয়া ওয়েস্ট কান্ট্রিতে পা রাখবেন না।” 
    এসবের মাঝে অনেকে সুধা মূর্তির পক্ষেও কথা বলেছেন। অনেকে জানান, এটি তাঁর (Sudha Murty) সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত ব্যাপার। তিন পিয়াজ-রসুন খান না, নিরামিষ খান। সেই কারণেই তিনি নিজের খাবারের আলাদা ব্যাগ বহন করেন। আর এই বিষয়টিকে এত ছোট করে দেখাটা একটা বোকামি, এটি সম্পূর্ণ তাঁর ব্যক্তিগত পছন্দের ব্যাপার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Howrah: মঙ্গলাহাট কবে থেকে সচল হবে? ফের উত্তেজনা হাওড়ায়

    Howrah: মঙ্গলাহাট কবে থেকে সচল হবে? ফের উত্তেজনা হাওড়ায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পোড়া মঙ্গলাহাটের (Howrah) ব্যবসায়ীরা সোমবার থেকেই ব্যবসা শুরু করতে গেলে সাময়িক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরে ব্যবসায়ী সমিতির হস্তক্ষেপে এক বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মঙ্গলবার থেকে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা হাটে বসবেন কিনা, তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানা গেছে। 

    কেন সাময়িক উত্তেজনা (Howrah)?

    গত ২০ জুলাই গভীর রাতে মঙ্গলাহাটের একাংশ বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। পোড়া মঙ্গলাহাটের নামে মঙ্গলাহাটের (Howrah) ওই অংশে চার হাজারের বেশি দোকান ভষ্মীভূত হয়ে যায়। সামনেই পুজো, আর সেই পুজোর মুখে চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছেন হাটের ছোট ছোট ব্যবসায়ীরা। এই অবস্থায় হাট না খুললে, দোকান না বসতে দিলে, ব্যবসায়ীদের রুটিরুজির কী সংস্থান হবে? এই নিয়ে এক অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

    মুখ্যমন্ত্রী কী আশ্বাস দিয়েছিলেন?

    আজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় বিধানসভায় বলেন যে, মঙ্গলহাটের জমি বেসরকারি হাতে রয়েছে। মামলা চলছে। প্রয়োজন হলে জমি অধিগ্রহণ করব। জমি অধিগ্রহণ করে বিল্ডিং করব। আমরা নবান্ন জোর করে দখল করিনি। মঙ্গলহাটের ব্যবসায়ীরা নবান্নতে যেতে চায়নি। ওই বিল্ডিং এমনি পড়ে ছিল, তাই আমরা গেছি। গত একুশে জুলাই বিকালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মঙ্গলাহাট (Howrah) পরিদর্শন করেন। সেখানে তিনি পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে দেন। জেলাশাসকের নেতৃত্বে সেই কমিটি কাজ করেছে। আগে ঠিক হয়েছিল হাটের যে অংশ পুড়ে গেছে সেখান থেকে যাবতীয় জঞ্জাল সরিয়ে দেওয়া হবে, যাতে সোমবার থেকে ছোট ছোট ব্যবসায়ীরা ফের বিক্রিবাটা শুরু করতে পারেন। কিন্তু আজ সকালে ব্যবসায়ীরা এসে দেখেন জঞ্জালের স্তূপ এখনও সরানো হয়নি। সেই কারণে ব্যবসায়ীদের একাংশ ক্ষুব্ধ হন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, শনিবার মহরম এবং রবিবার ছুটি থাকায় ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজ পুরোপুরি শেষ করা যায়নি।

    ব্যবসায়ীদের বক্তব্য

    হাটের (Howrah) ব্যবসায়ীদের একাংশ দাবি করেন যে হাটের যে অংশ পুড়ে যায়নি সেখানে তাঁদের ব্যবসা করার অনুমতি দিতে হবে। কিন্তু পুলিশের পক্ষ থেকে সেই অনুমতি দেওয়া হয়নি। আজ খোলা হবে কাল খোলা হবে বলে প্রশাসন কেবল আশ্বাস দিয়ে যাচ্ছে, কিন্তু নিশ্চিত করে বলতে পারছে না! আর এই নিয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বচসা হয় পুলিশের। সবটা মিলিয়ে উত্তেজনা চরমে। যদিও এ প্রসঙ্গে মঙ্গলা হাটের ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, নবান্ন কোনও ভাবেই মঙ্গলাহাটের ব্যবসায়ীদের জন্য করা হয়নি। ওটি একটি আলাদা গার্মেন্টস হাব করা হয়েছিল বড় বড় ব্যবসায়ীদের জন্য। তাছাড়া হাওড়া ময়দানে যেখানে মঙ্গলাহাট রয়েছে সেই হাট ছেড়ে অন্যত্র তাঁরা কোনভাবেই যেতে রাজি নন। মুখ্যমন্ত্রী যদি পোড়া মঙ্গলাহাটের জমি অধিগ্রহণ করে সেখানে তাঁদের জন্য পাকাপাকি স্টল বানিয়ে দেন, তাহলে তাঁরা সব ধরনের সহযোগিতা করতে রাজি।

    ব্যবসায়ী সংগঠনের বক্তব্য

    তবে ব্যবসায়ী সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা প্রশাসনের পাশে রয়েছে। তাঁরা প্রশাসনের সঙ্গে সহযোগিতা করেই জঞ্জাল দ্রুত সরাতে চান। মঙ্গলবার থেকে যাতে হাট (Howrah) চালু করা যায় সেই ব্যবস্থাই করা হবে।

    এই নিয়ে ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে পুলিশের বৈঠকের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এখন কার্যত ওই বৈঠকের দিকেই তাকিয়ে আছেন সাধারণ ব্যবসায়ীরা।

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Dengue: ভিড় বাড়ছে হাসপাতালে! ডেঙ্গি রুখতে ফিভার ক্লিনিক কি শুরুতেই মুখ থুবড়ে পড়েছে?

    Dengue: ভিড় বাড়ছে হাসপাতালে! ডেঙ্গি রুখতে ফিভার ক্লিনিক কি শুরুতেই মুখ থুবড়ে পড়েছে?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বর্ষার শুরুতেই বেড়েছে ডেঙ্গির (Dengue) দাপট। কলকাতার পাশপাশি নদিয়া, উত্তর চব্বিশ পরগনা, হাওড়া ও হুগলি জেলায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি চিন্তা বাড়াচ্ছে। ডেঙ্গি মোকাবিলায় রাজ্য সরকার গতানুগতিক ধারায় ফিভার ক্লিনিক খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে সরকারি হাসপাতালের ভিড় প্রশ্ন তুলছে, ফিভার ক্লিনিক পরিস্থিতি সামাল দিতে পারবে তো?

    কী বলছে স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট? 

    স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী, জুলাই মাসে ডেঙ্গি (Dengue) আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৭০০ জন। গত কয়েক দিনের মধ্যে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন ৮ জন। তার মধ্যে দশ বছরের পড়ুয়াও রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ভিড় বাড়ছে হাসপাতালে। বেলেঘাটা আইডি-তে ইতিমধ্যেই রোগী ভর্তি নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে। আরজিকর, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের মতো প্রথম সারির সরকারি হাসপাতালে জেলা থেকে আসা মানুষের ভিড় বাড়ছে। অধিকাংশ জ্বরের উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে আসছেন। রোগীরা জেলা হাসপাতাল থেকে রেফার হয়ে আসছেন। ফলে, কলকাতার সরকারি হাসপাতালগুলোতে চাপ বাড়ছে। অনেক ক্ষেত্রে রোগীকে বেড দেওয়া যাচ্ছে না। ডেঙ্গির জন্য যে বাড়তি শয্যার পরিকল্পনা সরকার করেছিল, তা পর্যাপ্ত হচ্ছে না। ফলে, ভোগান্তি বাড়ছে।

    রোগী ও পরিজনদের সমস্যা কোথায়? 

    অধিকাংশ রোগী ও পরিজনরা জানাচ্ছেন, রোগী ভর্তি নিয়ে হয়রানি শুরু হয়েছে। বিশেষত, আরজি কর এবং বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে রোগীর চাপ বেশি। তাই ভোগান্তি বাড়ছে। উত্তর চব্বিশ পরগনা, নদিয়া থেকে বহু রোগী রেফার হয়ে আসছেন। রোগীদের একাংশ জানাচ্ছেন, জ্বরের উপসর্গের সঙ্গে মাথা ব্যথা বা অন্য কোনও শারীরিক জটিলতা তৈরি হলেই রেফার করা হচ্ছে। জেলা হাসপাতাল জানিয়ে দিচ্ছে, পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সম্ভব নয়। আবার কলকাতার সরকারি হাসপাতালগুলোতে বেডের আকাল। অনেক ক্ষেত্রে রোগীকে খোলা আকাশের নিচে রাত কাটাতে হচ্ছে। যদিও সরকারের তরফে জানানো হয়েছিল, ডেঙ্গি (Dengue) রোগীকে রেফার করা যাবে না। কিন্তু বাস্তবের অভিজ্ঞতা অনেকটাই অন্যরকম, এমনই জানাচ্ছেন ভুক্তভোগীদের একাংশ। ডেঙ্গি আক্রান্ত হাসপাতাল চত্বরেই বসে থাকছেন। তাই শুধু আক্রান্ত নন, ঝুঁকি বাড়ছে অন্যদের।

    কী বলছেন স্বাস্থ্যকর্তারা? 

    স্বাস্থ্য কর্তাদের একাংশ অবশ্য জানাচ্ছেন, ডেঙ্গি (Dengue) মোকাবিলায় ফিভার ক্লিনিক যে যথেষ্ট নয়, তা গত কয়েক বছরে প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। গত কয়েক বছর ধরেই ফিভার ক্লিনিক খোলা হয়, কিন্তু তারপরেও রোগী ভোগান্তি থাকে। জেলা থেকে রেফার কমানোর দিকে বাড়তি নজর দিতে হবে বলে মনে করছেন প্রশাসনের একাংশ। জেলার ডেঙ্গি রোগী কলকাতার হাসপাতালে গিয়ে ভর্তি হওয়া ও তারপরে তার চিকিৎসা শুরু করা, একদিকে যেমন সময় বহুল, তেমনি সংক্রমণের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দেয়। তাই জেলা হাসপাতাল ডেঙ্গি মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় ভূমিকা নিচ্ছে কিনা, সেদিকে নজর দেওয়া জরুরি। পাশপাশি, ডেঙ্গি সংক্রমণ রুখতে না পারলে ডেঙ্গি মোকাবিলা কঠিন হয়ে যাবে বলেই মনে করছেন প্রশাসনের একাংশ। স্বাস্থ্য দফতরের পাশপাশি পুর ও পঞ্চায়েত দফতর এক যোগে ডেঙ্গি মোকাবিলায় সক্রিয় না হলে পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর হবে বলেই মনে করছেন প্রশাসনের একাংশ। তবে স্বাস্থ্য অধিকর্তা সিদ্ধার্থ নিয়োগী বলেন, “পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণে আছে। নদিয়া, উত্তর চব্বিশ পরগনা এবং হুগলি জেলার প্রশাসনের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। যাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকে। এখনই চিন্তার কিছু নেই।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।
  • Nadia: ভয় দেখাতেই কি বিজেপির জয়ী প্রার্থীর বাড়ির পিছনে সকেট বোমা? অভিযুক্ত তৃণমূল

    Nadia: ভয় দেখাতেই কি বিজেপির জয়ী প্রার্থীর বাড়ির পিছনে সকেট বোমা? অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির জয়ী প্রার্থীর ঘরের পিছন থেকে ব্যাগ ভর্তি সকেট বোমা উদ্ধার। পরিবারের অভিযোগ, বিজেপিকে ভয় দেখাতেই এই ঘটনা ঘটিয়েছে শাসক দল তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। ঘটনাটি নদিয়ার (Nadia) ভীমপুর থানার গোবিন্দপুর এলাকার। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ভীমপুর থানার পুলিশ। এলাকায় তীব্র উত্তেজনা।

    কীভাবে ঘটল ঘটনা (Nadia)?

    স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এই এলাকার বিজেপির জয়ী প্রার্থী ভক্ত বিশ্বাস প্রতিদিনকার মতো আজও সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে কাজে বেরিয়ে যান। এরপর তাঁর মেয়ে সকালে বাড়ির কাজ করার সময় পিছনে একটি বাজার করার ব্যাগ পড়ে থাকতে দেখেন। ওই বাজারের ব্যাগে কিছু রয়েছে বলে সন্দেহ হয় এবং এরপর তিনি বাড়ির লোকজনকে খবর দেন। বাড়ির লোকজন প্রাথমিকভাবে ব্যাগটি খুলতেই দেখেন, ভিতরে সকেট বোমা জাতীয় কিছু রয়েছে! এরপরেই খবর দেওয়া হয় ভীমপুর থানায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে ভীমপুর (Nadia) থানার পুলিশ। প্রাথমিকভাবে ওই জায়গাটি ঘিরে ফেলে পুলিশ। পরবর্তীকালে বোম নিষ্ক্রিয় করার আধিকারিকরা এসে বোমাগুলি উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

    বিজেপির জয়ী প্রার্থীর মেয়ের বক্তব্য

    ব্যাগে বোমার ঘটনায় বিজেপির জয়ী প্রার্থীর মেয়ে প্রীতি বিশ্বাস বলেন, সকালে কাজ করার সময় ওই ব্যাগটি আমার নজরে পড়ে। প্রথমে দেখে বুঝতে পারিনি। কিন্তু পরে দেখি ব্যাগে লোহার গোলাকার বস্তু! এরপর বাড়ির (Nadia) অন্যরাও দেখে বলেন এগুলি সকেট বোমা। এরপর বাড়ির সকলে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। 

    বিজেপি প্রার্থীর বক্তব্য

    ব্যাগে বোমার বিষয়ে বিজেপির জয়ী প্রার্থী ভক্ত বিশ্বাসের দাবি, যেহেতু গোটা এলাকায় বিজেপি আধিপত্য বিস্তার করেছে, সেই কারণেই ভয় দেখানোর জন্য এই ঘটনা ঘটিয়েছে তৃণমূলের গুন্ডারা। আমি নিজেও একজন বিজেপি জয়ী প্রার্থী। সেই কারণেই দুষ্কৃতীরা চাইছে আমাদের ভয় দেখিয়ে দমিয়ে রাখতে। কিন্তু এভাবে দমানো যাবে না। 

    লিখিত অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে বোমাগুলি উদ্ধার করে নিয়ে গিয়ে তদন্ত শুরু করেছে ভীমপুর (Nadia) থানার পুলিশ।

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • ITR Refund: ঘরে বসে কীভাবে দেখবেন নিজের আইটিআর রিফান্ডের স্ট্যাটাস? জেনে নিন

    ITR Refund: ঘরে বসে কীভাবে দেখবেন নিজের আইটিআর রিফান্ডের স্ট্যাটাস? জেনে নিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করদাতাদের (ITR Refund) জন্য জুলাই মাস খুব গুরুত্বপূর্ণ। ৩১ জুলাই পর্যন্ত কোনওরকম পেনাল্টি ছাড়া আইটিআর (ITR Refund) জমা করার সুযোগ রয়েছে। ২০২২-২৩ এবং ২০২৩-২৪ আর্থিক বর্ষের আইটিআর পূরণের কাজ চলছে। যাঁরা এখনও পর্যন্ত নিজেদের আয়কর জমা দিতে পারেননি, তাঁরা কী করবেন! সে নিয়েই আমাদের প্রতিবেদন।  আবার অন্যদিকে, যাঁরা আয়কর জমা করেছেন এবং তার স্ট্যাটাস দেখে নিতে চান, তাঁরাও সহজেই তা দেখতে পারবেন। এবং এই স্ট্যাটাস দেখতে আপনাকে অন্য কোথাও যেতে হবে না। আজকের দিনে ঘরে বসেই দেখে নিতে পারবেন, আয়কর জমার (ITR Refund) ক্ষেত্রে আপনার বর্তমান স্ট্যাটাস।

    আরও পড়ুুন: তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা জোর করে মুচলেকা লিখিয়েছে, বাড়ি ফিরে বললেন অপহৃতরা

    করদাতাদের জন্য নতুন কিছু সুবিধা

    করদাতাদের কথা মাথায় রেখে নতুন পরিষেবা এনেছে আয়কর দফতর। এতে মিলছে দারুণ সুবিধা। সহজ হয়ে করদানের প্রক্রিয়া। আয়কর দফতরের পোর্টালে মিলছে এই নতুন সুবিধা। এই সুবিধার দরুন যেকোনও করদাতা ঘরে বসেই তাদের রিফান্ড স্ট্যাটাস চেক করতে পারেন। এই রিফান্ডের চেক করদাতারা করতে পারেন TIN-NSDL ওয়েবসাইটের দৌলতে। আয়কর দফতর জানিয়েছে, যদি কোনও করদাতা তাঁর করের পরিমাণের চেয়ে বেশি টাকা কর দিয়ে থাকেন, তবে অতিরিক্ত টাকা তিনি রিফান্ড হিসাবে পেয়ে যাবেন। যে সমস্ত করদাতারা আয়কর জমা (ITR Refund) করেছেন তাঁরা নিম্নলিখিত প্রক্রিয়ায় তা চেক করে নিতে পারেন।   

    কীভাবে দেখবেন নিজের স্ট্যাটাস

    প্রথমে আয়কর দফতরের e-filing portal-এ যেতে হবে। 

    এখানে নীচের দিকে দেখা যাবে ‘Your Refund Status’, এতে ক্লিক করুন।

    এরপর নিজের প্যান নম্বর, আর্থিক বছর এসব দিন।

    এবার আপনি একটি ওটিপি পাবেন। এটা ওয়েবসাইটে দিতে হবে।

    এরপরেই আপনার বর্তমান স্ট্যাটাস (ITR Refund) দেখা যাবে সহজেই।  
        
    যদি আপনার আয়কর জমায় কোনও সমস্যা না থাকে, তখন স্রিনে উঠবে  ‘Record Not Found’

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: তৃণমূলকে ভোট না দেওয়ায় লাগাতার হুমকি, বিধায়কই ফাঁস করে দিলেন দলের সন্ত্রাস!

    Hooghly: তৃণমূলকে ভোট না দেওয়ায় লাগাতার হুমকি, বিধায়কই ফাঁস করে দিলেন দলের সন্ত্রাস!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট-পরবর্তী সন্ত্রাসে উত্তপ্ত রাজ্য। এখনও বিভিন্ন জায়গায় বিরোধী কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলা চলছে। মিছিলে হামলা, বাড়িতে ঢুকে হামলা, কোনও কিছুই বাদ নেই। বিজেপির পক্ষ থেকে বার বার অভিযোগ করা হচ্ছে, স্রেফ বিরোধী দল করার অপরাধেই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাদের সমর্থকদের ওপর হামলা চালাচ্ছে। যদিও তৃণমূল এইসব অভিযোগ সরাসরি উড়িয়ে দিয়েছে। কিন্তু এবার হুগলি (Hooghly) জেলায় এমন একটি ঘটনা সামনে এল, যাতে তৃণমূলের গোপন সন্ত্রাস আর গোপন রইল না। তা প্রকাশ্যে এনে দিলেন খোদ দলের বিধায়ক। এতে একদিকে যেমন বিরোধীদের তোলা অভিযোগ মান্যতা পেল, তেমনি সামনে এল তৃণমূলের নোংরা রাজনীতও।

    বিধায়ক কীভাবে সামনে আনলেন দলেরই সন্ত্রাস (Hooghly)!

    হুগলি জেলার চুঁচুড়ার কোদালিয়া ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের রবীন্দ্রনগর কালীতলা এলাকার ঘটনা। এখানে জয়ী হয়েছেন তৃণমূলেরই (TMC) প্রার্থী কৃষ্ণা মণ্ডল। কিন্তু জিতেও মেটেনি সাধ। এলাকার সাতটি পরিবার নাকি তৃণমূলকে ভোট দেয়নি। এটাই তাঁদের অপরাধ। আর যায় কোথায়! শুরু হয়ে যায় ধমক-চমক। অভিযোগ ওঠে, ওই প্রার্থীর স্বামী আধার মণ্ডল ওই পরিবারগুলিকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। ফলে রীতিমতো আতঙ্কে দিন কাটাতে থাকে ওইসব পরিবার। কোনও ভাবেই সুরাহা না মেলায় অবশেষে তারা এলাকার বিধায়ক তৃণমূলের অসিত মজুমদারের দ্বারস্থ হয়।

    সেই অভিযোগ পেয়ে অসিতবাবু ওই এলাকায় গিয়ে যা করলেন, তাতে কিছুই আর আড়ালে থাকল না। নিজের দলের সন্ত্রাসই বেআব্রু হয়ে পড়ল। তিনি এলাকায় (Hooghly) গিয়ে দলের যার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাকে ডেকে প্রকাশ্যে এমন ধমক দিলেন, যাতে সবার মনে হতেই পারে, তৃণমূল দলটা সত্যিই কতখানি শৃঙ্খলপরায়ণ। জনতার সামনে বিধায়ক ওই নেতাকে পাল্টা হুমকি দিয়ে বললেন, “এই তোর লাস্ট চান্স। তুই যদি একটা লোককে চমকাস, তোর হাড়গোড় আমি এক করে দেব।… তুই কেন চমকাবি?…তুই বাইরে থাকবি, না ভিতরে থাকবি?” তিনি পরে সংবাদ মাধ্যমের সামনে স্বীকারও করে নেন, যার বিরুদ্ধে অভিযোগ, সে ভুল স্বীকার করে নিয়েছে। ভবিষ্যতে আর করবে না বলেও কথা দিয়েছে। অর্থাৎ বিধায়কের ওই আপাত ধমক থেকে একটা জিনিস পরিষ্কার হয়ে গেল, স্রেফ তৃণমূলকে ভোট না দেওয়ার জন্য ৭টি পরিবারকে ব্যাপক সন্ত্রাসের মুখে পড়তে হয়েছে।

    বিধায়ক নাটক করছেন, তোপ বিজেপির

    এলাকার (Hooghly) মানুষ অবশ্য এসবকে আমল দিতে নারাজ। কারণ, তাঁদের বক্তব্য, বিধায়কের প্রচ্ছন্ন মদত না থাকলে এই ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে না। আর ওই নেতাকে লাস্ট চান্স দিয়ে বিধায়ক এটাও বুঝিয়ে দিয়েছেন, এই ধরনের কাজ ওই নেতা এই প্রথম করছেন না। বিজেপিও এই জায়গাতেই আক্রমণ হেনেছে। দলের হুগলি সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক সুরেশ সাউ বলেন, চুঁচুড়ায় সবথেকে বড় চমকাইবাজ নেতা যদি কেউ হয়ে থাকে, তবে সেটা তো হচ্ছে আমাদের চুঁচুড়ার বিধায়ক (TMC)। যে দলের গোড়ায় এরকম গলদ হয়ে রয়েছে, সেই দলের শাখাপ্রশাখা তো এই রকমই হবে। এ একে চমকাবে, ও তাকে চমকাবে। এটাই তো দলের কালচার। আজ উনি শুধুমাত্র একটা নাটক করার জন্য আইওয়াশ করতে শুরু করেছেন। লোককে ধমকানো চমকানোটাই এই দলের আইডিওলজি। কখনও কর্মীরা চমকাবে, কখনও বিধায়ক চমকাবেন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Birbhum: কবিগুরুর শান্তিনিকেতনে হুক্কাবারের রমরমা, হুঁশ নেই পুরসভার

    Birbhum: কবিগুরুর শান্তিনিকেতনে হুক্কাবারের রমরমা, হুঁশ নেই পুরসভার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শান্তিনিকেতনে (Birbhum) রমরমিয়ে চলছে বেআইনি হুক্কাবার। সন্ধ্যা নামলেই ওঠে ধোঁয়ার কুণ্ডলী। নেশায় বুঁদ যুবসমাজ। কোপাই নদীর অদূরেই প্রশাসনের ঠিক নাকের ডগায় কোনও অনুমতি ছাড়াই বসছে হুক্কার আসর৷ এমনকি, ১৮ বছরের নীচেও ছেলেমেয়েরা মজেছে হুক্কায়। আর এতে নির্বিকার পুলিশ ও প্রশাসন। সরব হয়েছেন শিক্ষাবিদের একাংশ।

    কীভাবে চলছে হুক্কাবার (Birbhum)?

    সাধারণত হুক্কাবারে ১৮ বছরের নিচে কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হয় না৷ কিন্তু, এখানে এসব ছাড়! কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতিষ্ঠিত বিশ্বভারতী ছাড়াও এই বোলপুর-শান্তিনিকেতনে (Birbhum) রয়েছে বিশ্ববাংলা বিশ্ববিদ্যালয় সহ একাধিক সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শিল্পচর্চা ও সাহিত্য কেন্দ্র। সেখানে প্রশাসনের নাকের ডগায় হুক্কার আসর বসায় রীতিমতো প্রশ্ন উঠেছে, কেন নির্বিকার পুলিশ ও প্রশাসন?

    কী কী লাগে হুক্কাবার চালাতে?

    আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন শহর বোলপুর (Birbhum)৷ আর বোলপুর পুরসভা হল এই সরকারের মডেল পুরসভা৷ এই পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডে কোপাই নদীর অদূরে রমরমিয়ে চলছে বেআইনি হুক্কাবার। একটি হুক্কাবার চালাতে গেলে ২০০৩ সালের ‘সেন্ট্রাল টোব্যাকো আইন’ অনুযায়ী কমপক্ষে ১০ টি লাইসেন্স প্রয়োজন হয়। যেমন স্থানীয় পৌরসভা থেকে ফুড লাইসেন্স, ট্রেড লাইসেন্স, ইন্ডিয়ান পারফরম্যান্স রাইটস সোসাইটি থেকে মিউজিক লাইসেন্স, সিসি ক্যামেরা বাধ্যতামূলক, ফায়ার লাইসেন্স, জিএসটি রেজিস্ট্রেশন, স্টাফ ও লেবার লাইসেন্স, দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ থেকে দূষণ নিয়ন্ত্রণ লাইসেন্স সহ স্থানীয় বাসিন্দাদের থেকে নো অবজেকশন এবং পুলিশের কাছ থেকে ছাড়পত্র প্রভৃতি। কিন্তু, শান্তিনিকেতন থানার অন্তর্গত গোয়ালপাড়া রাস্তায় কোনও রকম কোনও প্রশাসনিক দফতরের অনুমতি ছাড়াই রমরমিয়ে চলছে পশালবনী নামে এক হুক্কাবার৷

    বোলপুর পুরসভার বক্তব্য

    প্রসঙ্গত, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসেই কলকাতা, সল্টলেক, বিধাননগর, শিলিগুড়ি প্রভৃতি জায়গায় হুক্কাবার বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে সংশ্লিষ্ট পুরনিগম। যদিও, এই বিষয় নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছে লাইসেন্স প্রাপ্ত হুক্কাবার মালিকেরা৷ কিন্তু, শান্তিনিকেতনে (Birbhum)  হুক্কাবার বা হুক্কার আসরের কোনও অনুমতি নেই প্রশাসনের। আর এই নিয়ে সরব হয়েছেন শিক্ষাবিদদের একাংশ। বোলপুর পুরসভার চেয়ারপার্সন পর্ণা ঘোষ বলেন, “বোলপুর পুরসভা হুক্কাবারের লাইসেন্স দেওয়ার অধিকারী নয়। রবিঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত এই শহর, আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন। এখানে যুবসমাজ নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়ুক আমরা চাই না। তারজন্য যা যা পদক্ষেপ নেওয়ার আমরা নেব। পুলিশকেও বলব বিষয়টি দেখার জন্য৷”

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • WhatsApp Feature: হোয়াটসঅ্যাপে নতুন ফিচার! ৬০ সেকেন্ডের ভিডিও বার্তা পাঠানো যাবে এবার

    WhatsApp Feature: হোয়াটসঅ্যাপে নতুন ফিচার! ৬০ সেকেন্ডের ভিডিও বার্তা পাঠানো যাবে এবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  হোয়াটসঅ্যাপে (WhatsApp Feature) এসেই চলেছে একের পর এক নতুন ফিচার। মেটা প্রধান মার্ক জুকারবার্গে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের একের পর এক পরিষেবা দিয়েই চলেছেন। এবার ভয়েস মেসেজের পর ব্যবহারকারীরা মেসেজিং অ্যাপের মধ্যে সরাসরি ৬০ সেকেন্ডের ভিডিও বার্তা পাঠাতে পারবেন। এমনই ঘোষণা জুকেরবার্গের। প্রথম যখন হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp Feature) লঞ্চ হয় তখন শুধুই এটি একটি মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম ছিল। কিন্তু পরবর্তীকালে শুধুমাত্র বার্তালাপ নয় বরং অফিসিয়াল কাজের ক্ষেত্রেও হোয়াটসঅ্যাপ অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। এখন এই অ্যাপের মাধ্যমে ফাইল পাঠানো সহজ হয়েছে। পাশাপাশি ভিডিও কল, ভয়েস কলেরও সুবিধা মিলছে এখানে। ফের নতুন একটি ফিচার হোয়াটসঅ্যাপ নিয়ে এল ব্যবহারকারীদের সুবিধার্তে।

    ভিডিও বার্তা পাঠাতে পারবেন অ্যাপের মাধ্যমেই

    প্রসঙ্গত, এতদিন পর্যন্ত হোয়াটসঅ্যাপে(WhatsApp Feature) ভিডিও ফাইল অ্যাটাচ করেই একমাত্র পাঠানো যেত। কাউক ভিডিও বার্তা দিতে প্রথমে তা রেকর্ড করতে হতো ফোনে এবং পরে তা পাঠাতে হতো ফাইল করে। ব্যক্তিগত কোনও মেসেজ হলেও এই রীতিতেই চলতো তথ্য আদানপ্রদান। কিন্তু এবার সেসমস্যা দূর হল। এবার অ্যাপের মাধ্যমেই রেকর্ড করা যাবে  ভিডিও। এবং তা সঙ্গে সঙ্গে শেয়ার করা যাবে। একদম ভয়েস মেসেজের মতোই। 

    কীভাবে পাঠানো যাবে এই ভিডিয়ো বার্তা?

    প্রথমে ব্যবহারকারীকে হোয়াটসঅ্যাপে যেতে হবে। 

    এরপর কোনও ব্যক্তিগত চ্যাট বা হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp Feature) গ্রুপে যেতে হবে। 

    এবার একেবারে ডানদিকের নীচে একটি মাইকের অপশন দেখা যাবে।

    এটাতে ক্লিক করেই ভয়েস মেসেজ পাঠানো হয়। এবার সেখানে ভিডিও মোডে সুইচ করার বিকল্পও সামনে আসবে। এতে ক্লিক করতে হবে। ক্লিক করে তা টিপে ধরে নিজের ভিডিও রেকর্ড করতে হবে। এরপর তা পাঠানো যাবে।

     

    প্রসঙ্গত, হোয়াটসঅ্যাপে ইতিমধ্যেই চালু হয়েছে মেসেজ এডিট এবং চ্যাট লক ফিচার। এর ফলে কাউকে ভুল করে কোনও মেসেজ পাঠিয়ে ফেললে তা এডিট করে ঠিক করার সুবিধা পাবেন ব্যবহারকারীরা। মেসেজ পাঠানোর পর তা এডিট করার জন্য ১৫ মিনিট পর্যন্ত সময় পাবেন ইউজাররা। এমনটাই জানিয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share