Tag: Madhyom

Madhyom

  • CID: সিআইডি অফিসার পরিচয় দিয়ে জালিয়াতি! অবশেষে গ্রেফতার ভুয়ো পুলিশ অফিসার, কোথায় জানেন?

    CID: সিআইডি অফিসার পরিচয় দিয়ে জালিয়াতি! অবশেষে গ্রেফতার ভুয়ো পুলিশ অফিসার, কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কিছুদিন আগে হাওড়া থেকে শুভজিত্ বারুই নামে এক ভুয়ো সিবিআই (CBI) অফিসারকে পুলিশ গ্রেফতার। রাজারহাট থানার পুলিশ ওই টাওয়ার লোকেশন দেখে গ্রেফতার করেছিল। সেই জের মিটতে না মিটতেই এবার ভুয়ো সিআইডি (CID) অফিসারের হদিশ মিলল কলকাতা উত্তর শহরতলি এলাকা। নিজেকে তিনি সিআইডি-র (CID) এনকাউন্টার স্পেশালিস্ট বলে পরিচয় দিতেন। পুলিসের বড় পদে রয়েছেন এই পরিচয় দিয়ে সোদপুরের বিষ্টুভদ্র মোড় এর কাছে একটি বাড়িতে ভাড়াও নিয়েছেন। নিজে একটি বুলেট বাইক নিয়ে ঘুরে বেড়াতেন। যে বাইকের সামনে পুলিস স্টিকার লেখা থাকতো। তার চালচলন, আবভাব ছিল পুলিসের মতই। ভয়ে তার সঙ্গে কেউ কথা বলতেন না।

    কী করে ধরা পড়ল ওই ভুয়ো পুলিশ অফিসার (CID)?

    সোদপুরের যে বাড়িটি তিনি ভাড়া নিয়েছেন সেই বাড়ির মালিক মীনাক্ষী দাসের অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করল খড়দহ থানার পুলিস। তার কাছ থেকে পুলিসের পোশাক, টুপি, এনফিল্ড বুলেট বাইক বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। বুধবার তাকে বারাকপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক ৬ দিনের পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত ব্যক্তির নাম সুবীর বণিক। বয়স ৪৫ হবে। আসল বাড়ি জগদ্দলের আতপুরে। বেশ কিছুদিন ধরে সে পুলিশ অফিসার পরিচয় দিয়ে এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছিল। তবে, তার আচরণ দেখে বাড়ির মালিকের সন্দেহ হয়। তিনি খড়দহ থানায় সমস্ত বিষয়টি জানান। এরপরই পুলিশ তদন্তে নেমে প্রকৃত সত্য উদঘাটন করে।

    কী বললেন বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের কর্তা?

    বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের এক কর্তা বলেন, সিআইডি (CID) অফিসার পরিচয় দিয়ে তাঁর নামে নানা রকম প্রতারণা করার অভিযোগ আসছিল। বাড়ির মালিকের কাছ থেকে বিপ্লব দাস নামে বাড়ি ভাড়া নিয়েছিল। আমরা সমস্ত দিক খতিয়ে দেখছি। পুলিশের পরিচয় দিয়ে লোকদেরকে প্রতারণা করছিল এই সুবীর। কাকে কাকে প্রতারণা করেছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সমস্ত বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • District Weather Update: তীব্র দাবদাহে অতিষ্ঠ জনজীবন, ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা বালুরঘাটে

    District Weather Update: তীব্র দাবদাহে অতিষ্ঠ জনজীবন, ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা বালুরঘাটে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সপ্তাহজুড়ে চলা তীব্র দাবদাহে (District Weather Update) অতিষ্ঠ বালুরঘাটের জনজীবন। হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার খবরও পাওয়া গিয়েছে। ঘরে-বাইরে কোথাও মিলছে না স্বস্তি। এক সপ্তাহের মধ্যে তাপমাত্রা কমারও কোনও সম্ভাবনা নেই, এমনটাই জানানো হয়েছে আবহাওয়া অফিসের তরফে। তীব্র গরমের অসহনীয় কষ্ট এখন জেলার মানুষের নিত্যসঙ্গী। পঞ্জিকার হিসেবে চলছে চৈত্রের শেষ সপ্তাহ। এরপর বৈশাখ মাস অর্থাৎ বাংলা পঞ্জিকার ১৪৩০ বর্ষবরণ হবে আর কয়েকদিন পরে। অর্থাৎ গ্রীষ্মকে বিদায় জানাতে এখনও প্রায় ২ মাস বাকি।

    দিন-রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য ৭ থেকে ৮ ডিগ্রি

    গ্রীষ্মের গরম ঠিকই রয়েছে, কিন্তু বৈশাখের ঝড় বা বৃষ্টির দেখা নেই। দিনে মাথার উপর তপ্ত সূর্য আর রাতে ঘরের মধ্যে গরম বাতাসের ভ্যাপসা অনুভূতি। স্বস্তি নেই জেলার কোথাও। প্রত্যাশা শুধু একটু বৃষ্টির। গত এক সপ্তাহে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার গড় যেখানে ৩৬ থেকে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সেখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রার গড় ২৮-২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অর্থাৎ রাত আর দিনের তাপমাত্রার পার্থক্য মাত্র ৭ থেকে ৮ ডিগ্রি।

    বিপর্যস্ত সব শ্রেণির মানুষের জীবনযাত্রা 

    আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, রাজ্যবাসীকে এই পরিস্থিতি সহ্য করতে হতে পারে আরও কিছুদিন। বৃষ্টির দেখা মেলার সম্ভাবনাও কম। আবহাওয়া অফিসের তথ্য বলছে, গত বছরে একই সময়ে গড় যে তাপমাত্রা ছিল, এ বছর তা গড়ে ৫ থেকে ৬ ডিগ্রি বেশি। এদিকে, শুধু রাজ্য নয়, সারা দেশে দাবদাহের (District Weather Update) চিত্র একইরকম। কাঠফাটা রোদে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জেলার সব শ্রেণির মানুষের জীবনযাত্রা। দাবদাহ থেকে পরিত্রাণ পেতে বৃষ্টির জন্য ভগবানকে কাতর ও করুণভাবে ডাকছেন অনেকে।

    ওষ্ঠাগত হয়ে উঠেছে পশুপাখিদের প্রাণও 

    গত কয়েকদিনের তাপপ্রবাহে (District Weather Update) দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার মানুষের পাশাপাশি পশু পাখিদের প্রাণও হয়ে উঠেছে ওষ্ঠাগত। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার সদর শহর বালুরঘাট, মহকুমা গঙ্গারামপুর, তপন, কুমারগঞ্জ, হিলি, হরিরামপুর, কুশমন্ডি ও বুনিয়াদপুরে প্রচণ্ড রোদ ও ভ্যাপসা গরমে একরকম স্থবির হয়ে পড়েছে মানুষের কর্মজীবন। চলতি বছর জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ অবস্থায় গরম জনিত নানা রোগ থেকে রক্ষা পেতে শিশুদের তরল খাবার এবং ঠান্ডা জায়গায় রাখার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। প্রখর রোদ ও তাপদাহ থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার চেষ্টা করছেন সকলেই।

    বিপাকে পথচারী ও খেটে খাওয়া মানুষ 

    তীব্র দাবদাহে (District Weather Update) বিপাকে পড়েছে জেলার পথচারী ও খেটে খাওয়া মানুষ। জরুরি কাজ না থাকলে ঘর থেকে বের হচ্ছেন না কেউই। অনেকেই রাস্তার পাশের শরবত ও আখের রস নামিদামি কোম্পানির ঠান্ডা পানীয় অথবা বরফ খেয়ে মেটাচ্ছেন তৃষ্ণা। তবে আপাতত জেলার সকলেই এই গরম থেকে রেহাই পেতে বৃষ্টির জন্য চাতক পাখির মতো যে অপেক্ষা করছেন, তা বলাই বাহুল্য।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ambassador Car: মন্ত্রী চড়ছেন অ্যাম্বাসাডর গাড়ি,  ট্যুইটে ছবি প্রকাশ হতেই আবেগে ভাসল নেটদুনিয়া

    Ambassador Car: মন্ত্রী চড়ছেন অ্যাম্বাসাডর গাড়ি, ট্যুইটে ছবি প্রকাশ হতেই আবেগে ভাসল নেটদুনিয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আপাতভাবে ছবিটা দেখলে মনে হবে, কিছুই না। কিন্তু সাদামাটা একটা ছবি (Ambassador Car) বলে দিল অনেক কথা। টাইম মেশিনে চাপিয়ে বহু মানুষকে ফিরিয়ে নিয়ে গেল স্মৃতির সরণিতে। নস্টালজিয়া গ্রাস করল যে কতজনকে, তার বোধহয় হিসেব মেলা দুষ্কর।

    কী সেই ছবি? 

    সোমবার, সপ্তাহের প্রথম কর্মব্যস্ত দিনে একটি ছবি ট্যুইট করেছেন নাগাল্যান্ডের মন্ত্রী তেমজেন ইমনা আলম। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, তিনি একটি ঝকঝকে সাদা অ্যাম্বাসাডরে (Ambassador Car) উঠতে যাচ্ছেন। গাড়ির জানালার কাচে রীতিমতো পর্দা লাগানো। ছবির ক্যাপশনে লেখা, “ইটস মানডে। লেট আস গেট রেডি ফর ওয়ার্ক।” এতটুকু ইংরেজিতে লেখা। তারপরে তিনি হিন্দিতে লিখেছেন, “মেরে পাশ ভি এক অ্যাম্বাসাডর হ্যায়।” দেখতে দেখতে ভিউ পৌঁছে যায় দু’লক্ষের কাছাকাছি। ভেসে আসতে থাকে একের পর এক কমেন্ট। প্রত্যেকেই তাঁদের স্মৃতির কথাই বারবার বলতে চেয়েছেন।

    কেন এই আবেগ?

    হিন্দুস্থান মোটরস-এর তৈরি অ্যাম্বাসাডর গাড়ি (Ambassador Car) এক সময় অভিজাত বলেই গণ্য করা হত। মন্ত্রী, আমলা থেকে শুরু করে সরকারি পদস্থ অফিসাররা চড়তেন দুধসাদা অ্যাম্বাসাডর। দু-চার বছর নয়, ১৯৫৮ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ভারতবর্ষ দাপিয়ে বেড়িয়েছে এই অ্যাম্বাসাডর। ভিতরে পর্যাপ্ত জায়গা এবং পুরু গদিওয়ালা সিট। সাধারণ মানুষের কাছেও এর কদর ছিল ব্যাপক। এর তো নামই হয়ে উঠেছিল ফ্যামিলি কার। কিন্তু কালের নিয়মে যা হয়, এক্ষেত্রেও সেটাই ঘটেছে।  উন্নত এবং আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মেলাতে না পারায় বিদায় নিয়েছে এক সময়ের এলিট এই গাড়িটি।

    ব্রিটেনের মরিশ অক্সফোর্ড-এর আদলের এটি হল দেশের মধ্যে তৈরি প্রথম গাড়ি। ফলে একে ঘিরে মানুষের আবেগ এবং উন্মাদনা ছিল লক্ষ্যণীয়। অনেকের কাছেই এটি এক সময় ছিল স্ট্যাটাস সিম্বল। কোনও রাজনৈতিক নেতা অ্যাম্বাসাডর চড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, এ দৃশ্য এখন কার্যত বিরল। তবে হ্যাঁ, এটি এখনও ব্যবহৃত হচ্ছে, কিন্তু যাত্রীবাহী গাড়ি হিসেবে। কিন্তু কতদিন? প্রশ্নটা থেকেই যাচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Royal Bengal Tiger: রয়্যাল বেঙ্গলের জন্য রাজকীয় খাবার, বক্সার জঙ্গলে ছাড়া হচ্ছে ১৫০ টি চিতল হরিণ

    Royal Bengal Tiger: রয়্যাল বেঙ্গলের জন্য রাজকীয় খাবার, বক্সার জঙ্গলে ছাড়া হচ্ছে ১৫০ টি চিতল হরিণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাসখানেকের মধ্যেই উত্তর ২৪ পরগনার পারমাদন বিভূতিভূষণ অভয়ারণ্য থেকে আলিপুরদুয়ারের বক্সার জঙ্গলে ছাড়া হবে ১৫০ টি হরিণ। রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এ খবর জানিয়েছেন। তিনি বলেন, বনকে বাঘেদের (Royal Bengal Tiger) খাবারের জন্য আদর্শ জায়গা হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে। বক্সা সংলগ্ন অসমের রাইমোনা জাতীয় উদ্যানের রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার মাঝেমধ্যেই বক্সার জঙ্গলে আসছে। অসমের বাঘ পাকাপাকিভাবেই যাতে বক্সায় থেকে যায়, তার জন্য খাবারের পর্যাপ্ত জোগান দরকার। আর তা বাড়াতেই বাঘেদের প্রিয় খাবার হরিণ বক্সার জঙ্গলে এনে ছাড়া হচ্ছে। তবে এটাই প্রথম নয়, কিছুদিন আগেই বীরভূম থেকে প্রায় ২০০ টি হরিণ এনে বক্সার জঙ্গলে ছাড়া হয়েছিল।

    কেন বক্সার জঙ্গলে বাঘ থাকছে না ?

    বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত তিন বছরে বক্সার জঙ্গলে বাইরে থেকে এনে প্রায় ৭০০ টি হরিণ ছাড়া হয়েছে। প্রায় ৭৬০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে রয়েছে বক্সার জঙ্গল। কয়েক দশক আগেও বক্সার জঙ্গলে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারদের (Royal Bengal Tiger) দেখা যেত। পরবর্তীকালে খাবারে টান পড়ায় ও নানা কারণে বক্সার জঙ্গলের রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার অসমের রাইমোনার জঙ্গলে চলে যায় বলে বিশেষজ্ঞদের অনেকেই মনে করছেন।

    ট্রাপ ক্যামেরায় কী ধরা পড়েছিল ? 

    গত কয়েক বছর ধরে বাঘেদের উপস্থিতি দেখা না গেলেও ট্রাপ ক্যামেরায় ২০২১ সালে বাঘের (Royal Bengal Tiger) একটি ছবি ধরা পড়েছে। বন দফতরের কর্তারা জানিয়েছেন, ওই ছবিটি রাইমোনা জাতীয় উদ্যান থেকে আসা একটি পরিযায়ী বাঘের। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, রাইমোনা জাতীয় উদ্যানের পরিবেশের সঙ্গে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের প্রাকৃতিক পরিবেশের অনেকটাই মিল রয়েছে। তাই আগামী দিনে বক্সায় রয়্যাল অতিথিদের পাকাপাকিভাবে থাকার ব্যবস্থা করতে তাদের পছন্দের খাবার চিতল হরিণ এনে জঙ্গলে ছাড়ার কাজ শুরু হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Municipality:  উন্নয়নের নমুনা ! বালুরঘাটে স্থায়ী পার্কিং ব্যবস্থা করতে ব্যর্থ তৃণমূল বোর্ড

    Municipality: উন্নয়নের নমুনা ! বালুরঘাটে স্থায়ী পার্কিং ব্যবস্থা করতে ব্যর্থ তৃণমূল বোর্ড

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত নতুন বোর্ডের এক বছর পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। তবু এখনও শহরের মানুষ পায়নি স্থায়ী পার্কিং ব্যবস্থা। এমনটাই দাবি বালুরঘাট পুরসভার (Municipality) বাসিন্দাদের। গাড়ি, বাইক ইত্যাদি নিয়ে রাস্তায় বেরোলেই হচ্ছে বিপত্তি। রাস্তার ধারেই বাইক, গাড়ি রেখে বাজার করতে হচ্ছে বাসিন্দাদের। ফলে যানজটও বাড়ছে। আবার রাস্তার ধারে বাইক, গাড়ি রাখার ফলে পুলিশ জরিমানা করছে। এতে জলে কুমির, ডাঙায় বাঘের মতো অবস্থা সেখানকার বাসিন্দাদের। পুরসভার তরফ থেকে শহরের দু জায়গায় পার্কিং তৈরি করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও এখনও অবধি তা গড়ে ওঠেনি। 

    শহরের বাসিন্দারা কী বলেছেন পার্কিংয়ের এই দুর্দশা নিয়ে ?
     
    এই শহরেরই (Municipality) এক বাসিন্দা সুবীর কুন্ডু জানান, বাজার এলাকাগুলিতে সাধারণত প্রচণ্ড ভিড় হয়। তাই যারা বাইক এবং গাড়ি নিয়ে আসে, পার্কিং ব্যবস্থা না থাকার জন্য যেখানে সেখানে তাদের গাড়ি রেখে যেতে হয়। এর ফলে স্বাভাবিকভাবেই যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে সকলকে ভোগান্তি পোহাতে হয়। আবার পুলিশের জরিমানা তো আছেই। সেখান থেকেও বাঁচার উপায় নেই ।

    বিজেপির জেলা কমিটির সদস্য এ ব্যাপারে কী জানিয়েছেন ?

    বিজেপির জেলা কমিটির সদস্য সুমন বর্মন বলেন, “তৃণমূল এতদিন মানুষের উন্নয়নের কথা ভাবেনি। এক বছর তারা কী কাজ করল, কে জানে? জায়গা থাকলেও পুরসভা পার্কিং জোন তৈরি করতে পারছে না।” গত বছরের ২৩ শে মার্চ পুরসভায় (Municipality) যখন নতুন বোর্ড ক্ষমতায় আসে, তখনই সিদ্ধান্ত হয় যে পার্কিং ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে। এই প্রতিশ্রুতি পূরণের অপেক্ষাতেই মানুষ এতদিন বসে ছিল। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সেই ব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি।

    কী বলছেন পুরসভার চেয়ারম্যান ?

    পুরসভার (Municipality) চেয়ারম্যান অশোক মিত্রকে এ ব্যাপারে জানানো হলে তিনি বলেন, “শহরে দুটি জায়গায় স্থায়ীভাবে পার্কিং জোন তৈরি করা শুরু হয়েছে। একটি ট্যাক্সি স্ট্যান্ডের কাছে এবং আরেকটি আন্দোলন সেতুর কাছে। দ্রুত ওই কাজ শেষ করা হবে। কাজ হয়ে গেলে শহরের যানজট ও পার্কিংয়ের সমস্যা মিটে যাবে।” বালুরঘাট ট্যাক্সি স্ট্যান্ডের কাছে পার্কিং গড়ে তোলা নিয়ে কথা হলে সেখানে জমিজটের সমস্যায় পড়ে পুরসভা। এখানে ১০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে পরিবর্ত পার্কিং জোনের কাজ শুরু হবে। অন্যদিকে আন্দোলন সেতুর কাছে কুড়ি লক্ষ টাকা ব্যয়ে পার্কিং জোন তৈরি করা হবে। আপাতত এমনটাই জানিয়েছে পুরসভা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Accident Death: পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু ২ বিজেপি নেতার, স্বাভাবিক বলে মানতে নারাজ নেতৃত্ব

    Accident Death: পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু ২ বিজেপি নেতার, স্বাভাবিক বলে মানতে নারাজ নেতৃত্ব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পথ দুর্ঘটনায় (Accident Death) মর্মান্তিক মৃত্যু হল দুই বিজেপি নেতার। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে আসানসোলের বারাবনি এলাকায়। জানা গিয়েছে, মৃত দুই বিজেপি নেতা মন্ডল সভাপতি ও সম্পাদক ছিলেন। ঘটনাটি ঘটেছে বারাবনি থানার গৌরান্ডী থেকে আসানসোল যাওয়ার রাস্তার আমডিহা মোড় এলাকায়।

    কী বলছে আসানসোল জেলা বিজেপি নেতৃত্ব ?

    তবে দুই বিজেপি নেতার পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যুকে (Accident Death) নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে আসানসোল জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। তাঁরা জানিয়েছেন, দুই বিজেপি নেতার মৃত্যু রহস্যজনক দুর্ঘটনা বলে তাঁরা মনে করছেন। আদতে কি দুর্ঘটনা, নাকি এর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে, সে নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আসানসোল জেলা বিজেপি সভাপতি দিলীপ দে ও রাজ্য নেতা কৃষ্ণেন্দু মুখার্জিরা। তাদের বক্তব্য, ওই দুই নেতা খুবই লড়াকু ছিলেন। কিন্তু তারা গ্রামে থাকতে পারতেন না। আসানসোলে ঘর ভাড়া নিয়ে থাকতেন। বাড়ির লোকজনের সঙ্গে দেখা করে সন্ধ্যার পর আসানসোল ফিরে পড়তেন। এদিনও তাই করেছিলেন। সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। তার আগে এই ঘটনার পিছনে অন্য কোনও রহস্য রয়েছে বলেই তারা মনে করছেন। 

    কীভাবে হল এই দুর্ঘটনা ?

    মৃত দুই বিজেপি নেতার নাম বাবলু সিংহ ও মহেন্দ্র সিংহ। এঁরা দাসকেয়ারির বাসিন্দা। এঁরা দুজনেই একটি মোটর বাইকে করে গৌরান্ডী থেকে আসানসোলের দিকে যাচ্ছিলেন। সেই সময়ই বারাবনি থানার আমডিহা মোড়ে এক পেট্রোল পাম্প থেকে তেল ভরে বের হওয়ার সময় কোনও বড় লরি এসে তাঁদের ধাক্কা মারে (Accident Death)। ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় বাবলু সিংহের। আহত অবস্থায় পুলিশ মহেন্দ্র সিংহকে নিয়ে যায় আসানসোলের একটি বেসরকারি হাসপাতালে সেখানে কিছুক্ষণ চিকিৎসা চলার পর তিনিও মারা যান। এই ঘটনার জেরে শোকের ছায়া নেমে আসে বারাবনি ব্লক জুড়ে। তবে দুর্ঘটনার পর শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী ঘাতক কোনও লরি ধরা পড়েনি।

    কী বলছে তৃণমূল নেতৃত্ব ? 

    অন্যদিকে, তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, বিজেপির হাতে কিছু কাজ নেই। তাই তৃণমূলের নামে সব জায়গায় বদনাম করার চেষ্টা করছে। পথ দুর্ঘটনার (Accident Death) তদন্ত করছে পুলিশ। আর এই দুর্ঘটনাকে বিজেপি রাজনৈতিক রং দিচ্ছে! সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তাই তৃণমূলের বিরুদ্ধে বলার জন্য ইস্যুর দরকার। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি বারাবনিতে প্রার্থী দিতে পারবে না। তাই তারা তৃণমূলের নামে অপপ্রচার চালাচ্ছে!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: কেষ্টর গড়ে দাঁড়িয়ে পঞ্চায়েতে তৃণমূলকে উত্খাতের ডাক দিলেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: কেষ্টর গড়ে দাঁড়িয়ে পঞ্চায়েতে তৃণমূলকে উত্খাতের ডাক দিলেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেষ্ট কোথায়? অনুব্রত মণ্ডলের গড় বীরভূমের মাটিতে দাঁড়িয়ে জনসভায় আসা কর্মী, সমর্থকদের প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, চড়াম-চড়াম, নকুল দানার খাওয়ানোর কথা বলতেন। বিরোধীদের মনোনয়ন জমা দিতেন না। এখন তিনি কোথায়? কর্মী, সমর্থকরা চিত্কার করে বলে তিহারে। এরপর তিনি মুরারইয়ের তৃণমূল নেতা আলী মুর্তজা খান, জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ প্রদীপ ভকত, মুরারই ১ নম্বর ব্লক সভাপতি বিনয় ঘোষের নাম নিয়ে চোর বলে কটাক্ষ করেন। তিনি বলেন, “এরা মাসে ৯ হাজার কোটি টাকা ডিসিআরের নামে আদায় করে পিসি- ভাইপোকে পাঠাচ্ছে। এই টাকা পাচারের জন্য আইপিএস শ্যাম সিং কে ডি আই জি পদে নিয়ে আসা হয়েছে। ওই অফিসার সামনে পিছনে পুলিশ নিয়ে টাকা কলকাতায় পৌঁছে দিচ্ছে”। তিনি আরও বলেন,”তৃণমূলের সবাই চোর। এখনও এই জেলার জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ কেরিম খান, বিধায়ক রানা সিংহ তালিকায় রয়েছে। এরকম সমস্ত নেতা মন্ত্রী লাইনে আছেন। তবে ধেরে ইঁদুরদের আমরা দেখব”।

    এনআরসি নিয়ে কী বললেন বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)?

    সাগরদিঘি নির্বাচনে সংখ্যালঘুরা শাসক দল তৃণমূলের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। কেষ্টহীন বীরভূমে শাসক দলের এখন নড়বড়ে অবস্থা। গোষ্ঠী কোন্দলে জেরবার তৃণমূল। এই অবস্থায় এবার মুর্শিদাবাদ লাগোয়া বীরভূমের সংখ্যালঘু অধ্যুষিত মুরারইয়ের কেস্তারা গ্রামে সৌজন্য ও সম্প্রীতি জনসভা করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলকে আরও চাপে ফেলে দিলেন বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে। কারণ, এদিনের জনসভায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের ভিড় উপচে পড়েছিল। এদিন তিনি (Suvendu Adhikari) গুজরাট, উত্তরপ্রদেশ ও আসামের উদাহরন দিয়ে বলেন, “তৃণমূল বলছে এনআরসি হলে মুসলিমদের তাড়িয়ে দেওয়া হবে। ওই তিন রাজ্যে দেখান কতজন মুসলিমকে তাড়ানো হয়েছে? এসব বলে সংখ্যালঘু ভাইদের আর বিজেপি থেকে সরানো যাবে না। ফুরফুরা শরীফের পীরজাদা সেকথা স্বীকার করে নিয়েছেন”। তিনি আরও বলেন, “রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে ১০ জনকে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। সেই স্বজনহারারা আজ আমাদের সঙ্গে। আমরা বগটুই গ্রামে স্মরণ সভা করার প্রথম উদ্যোগ নিয়েছিলাম। আমাদের দেখে ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় গ্রামে গিয়েছিলেন। কিন্তু গ্রামবাসীরা তাকে ঘাড়ধাক্কা দিয়ে বের করে দিয়েছে। এজন্য ধন্যবাদ জানায় বগটুই গ্রামের মানুষকে”।

    পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে কী বললেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)?

    এদিনের সভায় সভায় দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়, হজ কমিটির সদস্যা মাফুজা খাতুন, রাজ্য সম্পাদক শ্যামা পদ মণ্ডল, মহিলা মোর্চার বীরভূম সাংগঠনিক সভাপতি রশ্মি দে, জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা উপস্থিত ছিলেন। এদিন বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)  বলেন, পঞ্চায়েতে মনোনয়ন জমা দেওয়ার দায়িত্ব আমাদের। আপনারা বুথ আগলে রাখুন। আর তোলামূলকে একটাও ভোট নয়। শুধু তাই নয়, তিনি নো ভোট টু মমতা লেখা গেঞ্জি মঞ্চে সকলের সামনে পড়েন। তিনি আরও বলেন,”সোমবার ঠাকুরনগরের সভায় মুখ্যমন্ত্রীর মুখোশ খুলব”।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: আদিবাসী মহিলাদের দণ্ডিকাটার নিদান! নেত্রীকে সরিয়ে দিল তৃণমূল, জেলা জুড়ে বিক্ষোভে বিজেপি

    BJP: আদিবাসী মহিলাদের দণ্ডিকাটার নিদান! নেত্রীকে সরিয়ে দিল তৃণমূল, জেলা জুড়ে বিক্ষোভে বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ বিজেপি (BJP) করার শাস্তি হিসেবে তিন আদিবাসী মহিলাকে দণ্ডি কাটার নিদান দিয়েছিলেন তৃণমূলের দক্ষিণ দিনাজপুর  জেলার মহিলা সভানেত্রী প্রদীপ্তা চক্রবর্তী। ৭ এপ্রিল সন্ধ্যায় বালুরঘাট শহরে তৃণমূলের জেলা কার্যালয়ের আশপাশে থাকা লোকজন ও কয়েকজন তৃণমূল কর্মী এই অমানবিক ঘটনার সাক্ষী ছিলেন। আর দণ্ডি কাটার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই ঘরে, বাইরে চাপে পড়ে যায় তৃণমূল নেতৃত্ব। খবর পৌঁছে যায় তৃণমূল সুপ্রিমোর কাছে। আর তড়িঘড়ি তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নাম দিয়ে রবিবার বিকেলে তৃণমূলের পক্ষ থেকে প্রেস রিলিজ বের করা হয়। আর তাতে প্রদীপ্তা চক্রবর্তীকে সরিয়ে তাঁর ওই পদে স্নেহলতা হেমব্রম নামে এক আদিবাসীকে জেলা তৃণমূলের মহিলা সভানেত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়। আদতে এই পদে একজন আদিবাসীকে নিয়ে এসে ওই অপকর্মের প্রায়শ্চিত করল তৃণমূল, এমনই মত রাজনৈতিক মহলের।

    দণ্ডিকাটার ঘটনা নিয়ে সরব আদিবাসী সমাজ?

    তপন ব্লকের গোফানগর গ্রাম পঞ্চায়েতের শনকৌর গ্রামের তিন আদিবাসী মহিলার বাড়ি। বিজেপি করার জন্য শাস্তি হিসেবে তাঁদের দণ্ডি কাটার নিদান দিয়েছিল তৃণমূলের মাতব্বররা। এই ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয়েছে আদিবাসী সমাজ। ৮ টি আদিবাসী সংগঠনের যৌথ মঞ্চ রবিবার সকালে গ্রামে গিয়ে পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন। গ্রামের বাসিন্দাদের সঙ্গেও তাঁরা এদিন কথা বলেন। গ্রামবাসীরাও আদিবাসী সংগঠনের কাছে এই ঘটনার সুবিচার দাবি করেছেন। আদিবাসী যৌথ মঞ্চের সভাপতি সুনীল বাঘয়ার বলেন, আদিবাসী বলেই ওই ধরনের ঘটনা ঘটনো হয়েছিল। প্রশাসন কী করছে দেখব, তার পরই আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করব। কারণ, এই ধরনের ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না।

    গ্রামে সিপিএমের প্রতিনিধিরা গিয়ে কী করলেন?

    রবিবার আদিবাসী সংগঠনের পাশাপাশি সিপিএমের এক প্রতিনিধি দল গ্রামে যায়। পরিবারের লোকজনের সঙ্গে তাঁরা কথা বলেন। সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্য নন্দলাল হাঁসদা বলেন, আদিবাসী সমাজকে অপমানিত করা হয়েছে। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। এই অমানবিক ঘটনার প্রতিবাদে আমরা মিছিল করব।

    দণ্ডি কাটার প্রতিবাদে কী করল বিজেপি (BJP)  ?

    দণ্ডি কাটা ঘটনার প্রতিবাদে বালুরঘাট থানার সামনে এদিন বিজেপি কর্মীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। বালুরঘাট থানা সহ জেলার আটটি থানায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে বিজেপি (BJP)। বিজেপির জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী বলেন, জোর করে তৃণমূল এই কাজ করেছে। আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এদিন সব থানায় বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে। সোমবার জেলা শাসকের দফতরের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে। সেখানে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং সাংসদ দিলীপ ঘোষ থাকবেন।

    কী বললেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি?

    দলবদলুদের দণ্ডি কাটার শাস্তির নিদান নিয়ে জেলা জুড়়ে সবমহলে সমালোচনা শুরু হয়েছে। তৃণমূলের জেলা সভাপতি মৃনাল সরকার বলেন, আমরা শনিবার ওই গ্রামে গিয়ে পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেছি। এই ঘটনার আমরা তীব্র নিন্দা জানিয়েছি। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত নেত্রীকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Gang Rape: বাংলায় ফের নৃশংস ঘটনা! ওষুধ স্প্রে করে অজ্ঞান করে গণধর্ষণ একাদশ শ্রেণির ছাত্রীকে

    Gang Rape: বাংলায় ফের নৃশংস ঘটনা! ওষুধ স্প্রে করে অজ্ঞান করে গণধর্ষণ একাদশ শ্রেণির ছাত্রীকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ  ফের নৃশংস ঘটনা। হাট থেকে ফেরার পথে আমবাগানে গণধর্ষণের (Gang Rape) শিকার হল এক নাবালিকা। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে হুগলি জেলার পোলবা থানা এলাকায়। নিগৃহীতা একাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রীর অভিযোগ, তাকে ওষুধ স্প্রে করে অজ্ঞান করে রাস্তা থেকে তুলে আমবাগানে নিয়ে যায় কয়েকজন যুবক। তারা তার ওপর শারীরিক অত্যাচার চালায় রাতভর। জ্ঞান ফিরলে তাদের অসাবধানতার সুযোগ নিয়ে নিজের সাইকেলে চেপে সে বাড়ি ফিরে আসে। 

    অভিভাবকরা কী বলছেন ?

    ওই ছাত্রীর অভিভাবকরা জানান, গতকাল সন্ধ্যায় প্রাইভেট টিউশন পড়ার জন্য মেয়ে বাড়ি থেকে বের হয়েছিল। কিন্তু রাত অবধি বাড়ি না ফেরায় বাড়ির লোক টিউটরের কাছে খোঁজ নেন। কিন্তু টিউটর তাঁদের জানান, এদিন বিশেষ কারণবশত তিনি পড়াতে পারবেন না, সেটা আগেই ছাত্রছাত্রীদের হোয়াটসঅ্যাপ করে জানানো হয়েছিল। তাই এদিন তাঁর এখানে কেউই আসেনি। এরপর ওই ছাত্রীর বাড়ির লোকজন স্থানীয় পোলবা থানায় গভীর রাতে এসে অভিযোগ করেন।

    ঠিক কী ঘটেছিল ?

    চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটে এদিন ভোরে। ভোর ৫ টার সময় ওই নাবালিকা অবিন্যস্ত অবস্থায় নিজের সাইকেল নিয়েই বাড়ি ফিরে আসে। বাড়ির লোকের কাছে পুরো ঘটনাটি জানায় সে। তার কথায়, সে পড়তে না গিয়ে কয়েকজন বন্ধুর সাথে হাটে গিয়েছিল। সেখান থেকে সে বন্ধুদের বাড়িতে ছেড়ে সাইকেল নিয়ে বাড়ি ফিরছিল। সেই সময় বিজন নামে স্থানীয় পরিচিত এক যুবক তার কাছে এসে জানায়, তাকে তার ভালো লাগে এবং আজকেই সে তাকে বিয়ে করবে। ঘৃণাভরে সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করতেই তার কিছু সাঙ্গপাঙ্গ স্কুটি নিয়ে হাজির হয় এবং তাকে পিছমোড়া করে ধরে কেউ নাকে স্প্রে ছিটিয়ে দেয়। এরপর তার চেতনা ফেরে মাঝরাতে। সারা শরীরে তখন অসহ্য ব্যথা। নিম্নাঙ্গে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। বুঝতে পারে, তার অগোচরে তার সঙ্গে সাংঘাতিক কিছু ঘটে গেছে। তার সর্বনাশ (Gang Rape) ঘটিয়ে দিয়েছে ওই বদমাশরা। তখনও বিজন তাকে হাত ধরে প্রেম নিবেদন করছে। এরমধ্যেই বিজন একটু এদিক ওদিক হতেই ওই নাবালিকা তার সাইকেলটি দেখতে পায়। এরপর ওই সাইকেল নিয়েই ভোরে নিজের বাড়ি ফেরে কোনওরকমে। 

    পুলিশ কী ব্যবস্থা নিল ?

    পুলিশ ওই ঘটনায় (Gang Rape) মূল অভিযুক্ত সহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে পকসো আইনে কেস হয়েছে। পাশাপাশি ওই নাবালিকার মেডিক্যাল চেক-আপ করতে পাঠানো হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: চাকরির নামে পাঁচ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ, এবার গ্রেফতার কাঁথির এক শিক্ষক

    Recruitment Scam: চাকরির নামে পাঁচ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ, এবার গ্রেফতার কাঁথির এক শিক্ষক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ কেলেঙ্কারির  (Recruitment Scam) জট যেরকম জটিল হয়ে উঠছে, তার যেন খেই পাওয়া যাচ্ছে না। চাকরি দেওয়ার নাম করে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে পুলিশ এবার গ্রেফতার করল কাঁথির এক শিক্ষককে। কাঁথির দেশপ্রাণ ব্লকের বিচুনিয়া হাইস্কুলের ইংরেজির শিক্ষক দীপক জানার বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাশে মামলা করা হয়েছে এই বছরের মার্চ মাসে। শনিবার রাতে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত ওই শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে কাঁথি শহরে অবস্থিত তাঁর শ্বশুরবাড়ি থেকে। তাঁর বিরুদ্ধে পাঁচ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে।

    কী বলেছিলেন অভিযুক্ত ওই শিক্ষক ?

    কলকাতা হাইকোর্টে অভিযোগ জমা পড়ার পর এই নিয়োগ-দুর্নীতি (Recruitment Scam) সম্পর্কে অভিযোগ নিয়ে ওই শিক্ষককে বেশ কিছু প্রশ্ন করা হয়েছিল। তার উত্তরে তিনি যা জানিয়েছিলেন, তার সারমর্ম হল, এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ থাকার কারণে তার কাছে যে অনেকে চাকরির জন্য আসতেন, তদ্বির করতেন, সেকথা তিনি স্বীকার করেছেন। তবে তিনি নাকি তাদের পাত্তা দেননি। বরং অন্য কোথাও চাকরি খুঁজে নেওয়ার কথাই বলেছিলেন। তার আশঙ্কা, এই আক্রোশ থেকেই হয়তো কেউ তার পিছনে লেগেছে। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের স্বপক্ষে কোনও প্রমাণ থাকলে যে কোনও শাস্তি তিনি মাথা পেতে নিতে রাজি, একথাও তিনি জানিয়েছেন। তার বক্তব্য, টাকা নিলে তো হাতে নেব, না হয় কোনও অ্যাকাউন্টে নেব। প্রমাণ থাকলে দেখান।

    জড়াচ্ছেন একের পর এক তৃণমূল নেতা

    এই ঘটনার পিছনে তৃণমূল করার বিষয়টি একেবারেই নেই বলে তিনি মনে করেন। তার আশঙ্কা, এর পিছনে রয়েছে জ্ঞাতি কেউই। চাকরি না পেয়ে তারাই এখন পিছনে লেগেছে। তিনি যতই তৃণমূল করার বিষয়টি এড়িয়ে যেতে চান না কেন, চাকরি দুর্নীতিতে (Recruitment Scam) অভিযুক্ত শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, তৃণমূল নেতা কুন্তল সহ অনেকে গ্রেফতার থাকা অবস্থায় তৃণমূল ঘনিষ্ঠ এই শিক্ষক নেতার পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share