Tag: Madhyom

Madhyom

  • RG Kar Incident: সঞ্জয়ের ফাঁসির দাবি মুখ্যমন্ত্রীর, মমতার অতিসক্রিয়তা নিয়ে কী বললেন অভয়ার বাবা-মা?

    RG Kar Incident: সঞ্জয়ের ফাঁসির দাবি মুখ্যমন্ত্রীর, মমতার অতিসক্রিয়তা নিয়ে কী বললেন অভয়ার বাবা-মা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ডে (RG Kar Incident) সঞ্জয় রায়ের আমৃত্যু কারাদণ্ডের রায়ের পর পরই মুখ্যমন্ত্রী ফাঁসির দাবিতে সরব হয়েছিলেন। আদালত তথ্য প্রমাণের ওপর নির্ভর করে রায় দিয়েছে। এই আবহে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সঞ্জয় রায়ের ফাঁসির দাবিতে সরব হয়েছেন। তাঁর এই অতি উৎসাহ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বিশেষ করে অভয়ার বাবা-মা এই ঘটনায় হতবাক। বিরোধীরাও এই অতি উৎসাহের পিছনে প্রকৃত দোষীদের যে মুখ্যমন্ত্রী আড়াল করার চেষ্টা  করছেন তার অভিযোগ তুলেছে। কারণ, সঞ্জয়ের ফাঁসি হয়ে গেলে সমস্ত কিছুই ধামাচাপা পড়ে যাবে। তাই, মমতা এতটা সক্রিয় বলে বিরোধীদের অভিযোগ। খোদ অভয়ার বাবা- মাও মুখ্যমন্ত্রীর অতি সক্রিয়তা ভালোভাবে নেননি। 

    বিচারকের রায়কেও মুখ্যমন্ত্রী মানছেন না! (RG Kar Incident)

    আরজি করকাণ্ডের (RG Kar Incident) রায় বের হওয়ার পর পরই মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) এক্স হ্যান্ডেলে জানিয়েছেন, “আরজি কর মামলার রায়ে রাজ্য উচ্চ আদালতে যাবে। সঞ্জয় রায়ের ফাঁসির সাজা চাইছে রাজ্য। ফাঁসি হলে সান্ত্বনা পেতাম। আমাদের হাতে থাকলে ফাঁসির সাজা দেওয়া হত।” সাধারণত, মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যের পর অভয়ার বাবা-মায়ের খুশি হওয়ার কথা ছিল। কারণ, তিনি তাঁদের মেয়ের হত্যাকাণ্ডে জড়িতর সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছেন। কিন্তু, বাস্তবে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের পর অভয়ার বাবা বলেছেন, “তাহলে কি উনি (পড়ুন মুখ্যমন্ত্রী) শিয়ালদা আদালতের বিচারককেও মানছেন না? বিচারক যে রায় দিলেন সেটা তিনি মানছেন না? এটা মুখ্যমন্ত্রীকে জিজ্ঞেস করতে চাই। তাহলে তিনি বিচারকের বিরুদ্ধেই তদন্ত করুন। সঞ্জয়কে ফাঁসির সাজা দিতেই হবে এই মনোভাব প্রথম দিন থেকেই কেন? এটা মুখ্যমন্ত্রীকে সরাসরি জিজ্ঞেস করতে চাই। পিছনে যারা জড়িত রয়েছে সেটাকে বের না করে সঞ্জয়কে ফাঁসি দেওয়ার জন্য ব্যস্ত হয়েছেন, কারণটা কী? ডিএনএ রিপোর্টে স্পষ্ট দেখা গিয়েছে অন্য লোকও উপস্থিত ছিল। সিএসএফএল (ফরেন্সিক রিপোর্ট)- ও বলেছে ওইরকম জনবহুল জায়গায় একজনের পক্ষে ঢুকে গিয়ে একটা মেয়েকে ওভাবে মেরে বেরিয়ে আসা সম্ভব নয়। উনি কি ফাঁসি দিয়ে বুঝিয়ে দিতে চান যে আমরা বিচার দিয়ে দিলাম। আমরা চাইছি আরও তদন্ত হোক, যারা যারা জড়িত তাদের সামনে এনে কঠোরতম শাস্তি হোক।” 

    আরও পড়ুন: ‘ঘটনা বিরলতমই’! আরজি করে নির্যাতিতার বাড়িতে শুভেন্দু, আজ শুনানি সুপ্রিম কোর্টে

    সঞ্জয়ের সঙ্গে অনেকেই আছে, ঠিক করে তদন্ত হোক

    অভয়ার মা (RG Kar Incident) বলেন, “সঞ্জয়ের সঙ্গে অনেকেই আছে। যে চারজনের সঙ্গে আমার মেয়ে ডিউটিতে ছিল তাদের সিবিআই বা পুলিশ (যে চারদিন ছিল) হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদই করেনি। পাঁচজন একসঙ্গে ডিউটি করছে, হঠাৎ হাসপাতালে ডিপার্টমেন্টের মধ্যে একজন ধর্ষণ, খুন হয়ে গেল, আর কেউ কিছু জানল না, এটা তো কেউই বিশ্বাস করবে না। আমিও করি না, প্রথম দিন থেকেই। আমাদের তাড়াতাড়ি আসতে বলে সাড়ে তিন ঘণ্টা বসিয়ে রাখা হল। এদিকে ভিতরে সিপি, এসিপি সবাই উপস্থিত। পরে ডিসি ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়,অভীক দে, বিরূপাক্ষ বিশ্বাস, দেবাশিস সোম সবাইকে ডেকে ডেকে দেখাচ্ছিলেন। আমার মেয়ের দেহ যেখানে ছিল সেখানে সবাই উপস্থিত। কোনও কর্ডন নেই। মাছের বাজার হয়ে গিয়েছিল। এগুলো তথ্যপ্রমাণ লোপাটেরই অংশ। তদন্তটা ঠিক করে হোক। কারা কারা যুক্ত সেটা সামনে আসুক।”

    ময়না তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন

    অভয়ার মা আরও বলেছেন, “আমরা মেয়ের দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত চেয়েছিলাম। আমাকে দিয়ে জোর করে সই করিয়ে ২০ মিনিটের মধ্যে গ্রিন করিডর করে মেয়ের দেহ (RG Kar Incident) বাড়ি নিয়ে গেল। আমরা তখন টালা থানায় বসে। পুলিশ আমাদের গাড়ি থেকে নামতেও দেয়নি। এফআইআর লিখতেও দেয়নি। প্রথমে ৭ জন পুলিশ ছিল। পরে প্রায় ২০০ পুলিশ হয়ে গিয়েছিল। পাশের বাড়ি থেকে ফোন করে বলে তাড়াতাড়ি চলে এসো। নাহলে ওকে শ্মশানেই নিয়ে চলে যাব। বাড়ি গিয়েও কিছু করতে পারিনি। ২ কিলোমিটার অবধি পুলিশ। আমাদের টাকা দিতে চাওয়া হয়েছিল। দ্রুত দেহ শ্মশানে নিয়ে লোকাল এমএলএ, লোকাল কমিশনার তাঁরা দেহ চুল্লিতে ঢুকিয়ে দেন। লোকাল এমএলএ লোকাল কমিশনারের পিঠ চাপড়ে বলছিলেন ‘ওয়েল ডান বয়’। এটা কি কারও নির্দেশ ছিল? কারও নির্দেশ ভালোভাবে পালন করা হচ্ছিল বলেই কি ‘ওয়েল ডান বয়’ বলা হচ্ছিল? এরকম অনেক প্রশ্ন আমাদের রয়ে গিয়েছে। কোথাও একটা অদৃশ্য শক্তি কাজ করছে। এই অদৃশ্য শক্তিটা আমরা বের করতে চাই। তারপর তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।”

    কাদের আড়াল করতে সঞ্জয়ের ফাঁসি চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী?

    মমতার ফাঁসির দাবি প্রসঙ্গে বঙ্গ বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “সঞ্জয়ের চরম শাস্তি আমরাও চাই। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর এত তাড়া কেন? কারণটা, খুবই পরিষ্কার। সঞ্জয় যেন মুখ খুলতে না পারে। সঞ্জয় বারবার এক আইপিএসের কথা বলছে। যদি সঞ্জয় বিবেক কুমারের নাম বলে, সন্দীপ ঘোষের নাম বলে তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিপদে পড়ে যাবেন। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চান না সঞ্জয় মুখ খুলুক। সে কারণেই সঞ্জয়কে তড়িঘড়ি ফাঁসিতে ঝোলাতে চান মুখ্যমন্ত্রী।”

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mamata Banerjee: “চায়ের দোকান খুলুন, চাকরির চেয়ে বেশি রোজগার হবে”, বললেন মুখ্যমন্ত্রী

    Mamata Banerjee: “চায়ের দোকান খুলুন, চাকরির চেয়ে বেশি রোজগার হবে”, বললেন মুখ্যমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৬ সালে বিধানসভা নির্বাচন। সেই নির্বাচনে তৃণমূলের জয়ের পথে প্রধান কাঁটা হতে পারে বেকারত্ব। রাজ্যে শিল্প নেই। জটিলতার কারণে বন্ধ শিক্ষক নিয়োগও। সরকারি চাকরির (Govt Employee) দশাও তথৈবচ। এমতাবস্থায় এবার বেকার ছেলেমেয়েদের চায়ের দোকান খোলার পরামর্শ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। মঙ্গলবার মালদহের সভামঞ্চ থেকে চাকরিপ্রার্থীদের এমন পরামর্শই দেন তিনি।

    সরকারি টাকায় মোচ্ছব! (Mamata Banerjee)

    ফি বছর শিল্প সম্মেলনের নামে সরকারি টাকায় মোচ্ছব হয় বলে অভিযোগ। দু’দিন-তিনদিন ধরে খাওয়া-দাওয়ার এলাহি আয়োজন হয়। ব্যস, সম্মেলন শেষে হাতে থাকে শুধুই পেন্সিল, শিল্প আর হয় না! রাজ্যের হা-শিল্প দশা দেখে এর আগে কর্মপ্রার্থীদের ‘চপ শিল্প’ করার পরামর্শ দিয়েছিলেন মমতা। তাতে কতজন বেকারের আর্থিক অবস্থার হাল ফিরেছিল, তা গবেষণার বিষয় হতে পারে। তবে চপ শিল্পের কল্যাণে যে রাজ্যের হাল ফেরেনি, তা মালুম হল মঙ্গলবারের বারবেলায় মুখ্যমন্ত্রী ফের চা শিল্পের পরামর্শ দেওয়ায়।

    চায়ের দোকান খোলার পরামর্শ

    এদিন মালদার ডিএসের মাঠে তিনি বলেন, “মনে রাখবেন, পলিটেকনিক, আইটিআই বাংলায় ৫০০টা আছে। সেখান থেকে ট্রেনিং নেবেন স্কিলড ট্রেনিং। পড়াশোনার সুযোগ, ট্রেনিংয়ের সুযোগ, সব সুযোগ আছে। আমি তো বলব, দু’তিন লাখ অ্যাপয়েন্টমেন্ট হতেই পারে ইমিডিয়েট। যদি ওবিসি রিজার্ভেশনটা ক্লিয়ার হয়ে যায়। সরকারি চাকরি করতে গেলে কতকগুলো সিস্টেম আছে। ইন্টারভিউ কল করে। আপনাদের পরীক্ষা দিতে হয়। ইন্টারভিউ দিতে হয়।” এর পরেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ভাইয়েরা আমার, চিন্তা করার বা হতাশাগ্রস্ত হওয়ার কারণ নেই। একটা চায়ের দোকানে চা বিক্রি করলেও, চা-বিস্কুট-ঘুগনি, ইনকাম খারাপ হয় না। সরকারি চাকরির থেকে বেশি রোজগার হয়।”

    ড্যামেজ কন্ট্রোলের চেষ্টা!

    তাঁর এই কথা হাসির খোরাক হতে পারে ভেবে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “কেউ চাকরির সুযোগ পেলে চাকরি করবেন। পলিটেকনিকের ট্রেনিং নিয়ে চাকরি করবেন, আমরা ১০ লাখ ছেলেমেয়েকে পলিটেকনিকের ট্রেনিং নিয়ে চাকরি করে দিয়েছি। আরও কয়েক লাখ চাকরি হবে খুব শিগগিরই।” তিনি বলেন, “মনে রাখবেন, বাণিজ্যে বসতি লক্ষ্মী। কেউ চাকরির সুযোগ পেলে চাকরি করবেন। পলিটেকনিক ট্রেনিং নিয়ে চাকরি করবেন। ১০ লাখ ছেলেমেয়েকে পলিটেকনিক ট্রেনিং দিয়ে আমরা তাদের চাকরি করে দিয়েছি।”

    প্রচারের ঢক্কানিনাদ

    কর্মপ্রার্থীদের চায়ের দোকান (Mamata Banerjee) খোলার পরামর্শ দেওয়ার পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী কৌশলে ভোট প্রচারের কাজটিও সেরে রাখলেন। তাঁর জমানায় রাজ্যে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে বলে দাবি করে তিনি বলেন, “নারায়ণপুরে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক, কালিয়াচকে সিল্ক পার্ক, ইংরেজবাজারে ফুড পার্ক, মালদা আইআইটি পার্ক গড়ে উঠেছে। ৫৭ হাজারের বেশি ক্ষুদ্রশিল্পে এক লাখ মানুষ কাজ করছেন। ইন্ডাস্ট্রিয়ালিস্ট যাঁরা আছেন, অনেক কিছু হতে পারে আপনাদের এখানে। একটু মাথা খাটান। বিহার, ঝাড়খণ্ড ও বাংলাদেশের বর্ডার মালদা।”

    আরও পড়ুন: হিন্ডেনবার্গ রিসার্চকাণ্ডে তৃণমূলের মহুয়া মৈত্র যোগ, জানেন কীভাবে?

    শিল্পনগরী তৈরি করেছি

    মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আপনারা এখানে বিজনেস করলে সারা উত্তরবঙ্গ তার সুফল পাবে। আপনাদের কথা শুনে ইন্ডাস্ট্রির কথা শুনে আমরা শিল্পনগরী তৈরি করেছি। আরও ঢেলে সাজান।” তিনি বলেন, “যখন বিজনেস করবেন, মনে রাখবেন, একটা প্রজেক্ট নেবেন, আমার বিজনেস দিয়ে আমি ১০টা পরিবারকে সাহায্য করব। ১০টা গবির মানুষের ঘর করে দিন না। বেশি টাকা লাগে না। ১০টা গরিব মানুষের ঘর করতে বড়জোর ১৫ লাখ টাকা লাগবে (Mamata Banerjee)।” মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এটি সিএসআরের মাধ্যমে আপনারা ডিএমকে জিজ্ঞেস করুন। ডিএম আপনাদের তালিকা দিয়ে দেবেন, যাঁরা সত্যিকারের গরিব, তাঁদের। এটা আমাদের তালিকার মধ্যে নয়। এটা আমি এক্সট্রা করতে বলছি।”

    খয়রাতির রাজনীতির বিষময় ফল!

    রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, খয়রাতির রাজনীতি করতে গিয়ে ফাঁকা হয়ে গিয়েছে রাজ্যের কোষাগার। বিভিন্ন ‘শ্রী’ প্রকল্পের মাধ্যমে টাকা দিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমো আদতে ভোট কেনার রাজনীতি করেছেন। তার জেরে শূন্য হয়েছে রাজকোষাগার। বেকারত্ব এবং রাজ্যের অন্যান্য জ্বলন্ত সমস্যা থেকে জনগণের দৃষ্টি ঘোরাতে মেলা-খেলার আয়োজনও করা হয়। তার পরেও মাঝেমধ্যে চাগাড় দিয়ে ওঠে বেকারত্বের ভূত। সেই ভূত তাড়াতেই কখনও (ঢপের?) চপ শিল্প, কখনও আবার চা শিল্পের পরামর্শ দেন মুখ্যমন্ত্রী।

    জনতা (Govt Employee) জনার্দন এতে ভোলে কিনা, এখন তাই দেখার (Mamata Banerjee)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Gautam Gambhir: কালীঘাটে পুজো দিলেন গম্ভীর, ইডেন থেকেই ভালো দিনের আশা ভারতীয় দলের

    Gautam Gambhir: কালীঘাটে পুজো দিলেন গম্ভীর, ইডেন থেকেই ভালো দিনের আশা ভারতীয় দলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুঃসময় কাটাতে ঈশ্বরের শরণাপন্ন ভারতীয় দলের হেড কোচ গৌতম গম্ভীর (Gautam Gambhir)। বুধ-সন্ধেয় ক্রিকেটের নন্দনকাননে একটি নতুন ইনিংস শুরু করতে চলেছেন গম্ভীর। তার আগে মায়ের আশীর্বাদ নিতে ছুটে গেলেন কালীঘাট মন্দিরে। আইপিএলে কেকেআরের মেন্টর হিসেবে যাত্রা শুরু করার আগেও কালীঘাটে পুজো দিয়েছিলেন গম্ভীর। এবারও সেই ধারা বজায় রাখলেন।

    কালীঘাটে আরতি গম্ভীরের

    মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটা থেকে ইডেনে ভারতীয় দলের প্র্যাকটিস ছিল। তার আগে কালীঘাটে মা কালীর মন্দিরে হাজির টিম ইন্ডিয়ার হেড কোচ। সঙ্গে কয়েকজন সাপোর্ট স্টাফ। হাত জোড়‌ করে, চোখ বন্ধ করে, মনোযোগ দিয়ে দেবীর আরাধনা করতে দেখা যায় গম্ভীরকে (Gautam Gambhir। এরপর দু’হাতে মা কালীর মূর্তি ছুঁয়ে প্রণাম করেন। তারপর করেন আরতি। শেষে মা কালীর মূর্তিতে মাথা ঠুকে প্রণাম করেন গম্ভীর। ইডেন গার্ডেন থেকে অনেক কিছু পেয়েছেন। আইপিএলে ক্রিকেটার, অধিনায়ক হিসেবে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর, মেন্টর হিসেবেও ট্রফি জেতেন। রাহুল দ্রাবিড়ের উত্তরসূরির দায়িত্ব পাওয়ার ক্ষেত্রে গম্ভীরের জীবনে বড় অবদান রেখেছে কলকাতা। 

    ভালো দিনের আশা

    দ্রাবিড় পরবর্তী যুগে বর্তমানে কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে ভারতীয় ক্রিকেট। বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মার পাশাপাশি এই সিরিজে কোচ গম্ভীরের পারফরম্যান্সের দিকেও নজর থাকবে বোর্ডের। ইতিমধ্যেই লাল বল এবং সাদা বলের ক্রিকেটে আলাদা কোচ রাখার দাবি উঠেছে। যা গম্ভীরের কানেও হয়তো গিয়েছে। মুখে স্বীকার না করলেও, যথেষ্ট চাপে আছেন টিম ইন্ডিয়ার হেড কোচ। জানেন, ইংল্যান্ড সিরিজ জেতা ছাড়া গতি নেই। গুরুত্বপূর্ণ সিরিজ শুরুর আগে তাই পুজো সারলেন গৌতি। 

    গম্ভীরের অস্ত্র

    চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে নিজেদের শক্তি পরখ করে নেওয়ার জন্য আজ, ইডেনে নামবে ভারত-ইংল্যান্ড (India vs England)। ইতিমধ্যেই প্রথম একাদশ ঘোষণা করে দিয়েছে ইংল্যান্ড। ফিল সল্ট, জস বাটলার, হ্যারি ব্রুকের মতো মারকুটে ব্যাটারদের পাশাপাশি ৫ বোলার নিয়ে নামবে ইংল্যান্ড। তিন পেসার এবং দুই স্পিনারে দল সাজিয়েছে তারা। দীর্ঘদিন পর চোট সারিয়ে ভারতীয় দলের জার্সিতে নামবেন মহম্মদ শামি। তবে নজর থাকবে কেকেআরের দুই তারকা রিঙ্কু সিং এবং বরুণ চক্রবর্তীর দিকে। ইডেনের চেনা পিচে গম্ভীরের প্রধান অস্ত্র হয়ে উঠতে পারেন তাঁরা।

    কখন শুরু ম্যাচ?

    বুধবার অর্থাৎ ২২ জানুয়ারি ম্যাচ শুরু হবে ভারতীয় সময় সন্ধ্যা ৭টা থেকে।

    কোথায় দেখানো হবে?

    টেলিভিশনে স্টার স্পোর্টস নেটওয়ার্কে সরাসরি দেখা যাবে ম্যাচ। স্টার স্পোর্টস ১ (এসডি এবং এইচডি) চ্যানেলে দেখা যাবে ম্যাচ। তাছাড়াও স্টার স্পোর্টস হিন্দি ১ (এসডি এবং এইচডি) -এও সরাসরি সম্প্রচার হবে ম্যাচের। ওটিটি প্লাটফর্মে হটস্টার অ্যাপ এবং ওয়েবসাইটে লাইভ স্ট্রিমিং হবে ভারত-ইংল্যান্ড ম্যাচের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • S Jaishankar: বাড়াবাড়ি নয়! চিনকে কড়া বার্তা কোয়াডের, ট্রাম্প ক্ষমতায় আসতেই বৈঠকে জয়শঙ্কররা

    S Jaishankar: বাড়াবাড়ি নয়! চিনকে কড়া বার্তা কোয়াডের, ট্রাম্প ক্ষমতায় আসতেই বৈঠকে জয়শঙ্কররা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিনের বাণিজ্যিক এবং কৌশলগত একাধিপত্যকে মেনে নেবে না আমেরিকা। ক্ষমতায় এসেই কোয়াডের (Quad Meetings) সঙ্গে সুর মিলিয়ে চিনকে কড়া বার্তা দিল ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। সরাসরি চিনের নাম না করা হলেও ভারত, জাপান, আমেরিকা এবং অস্ট্রেলিয়ার চতুর্দেশীয় অক্ষ বা কোয়াডের বিদেশমন্ত্রীরা যৌথ বিবৃতিতে বেজিংকে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন যে, শক্তিপ্রয়োগ করে বা জোরজবরদস্তি করে ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে একতরফা কোনও স্বাভাবিক অবস্থার বিঘ্ন ঘটনার চেষ্টা করা হলে সেটা কোনওভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। বৈঠক শেষে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar) জানান, কোয়াডের বৈঠকের পর স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছে, যে বর্তমান কঠিন পরিস্থিতিতে বিশ্বের ভালোর জন্য কাজ করবে কোয়াড।

    কোয়াডকে গুরুত্ব ট্রাম্পের

    কূটনৈতিক সূত্রের খবর, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar) যখন আমেরিকা যাত্রা করেন, তখনও নয়াদিল্লির উদ্বেগ ছিল চিন-বিরোধী এই কোয়াড অক্ষটিকে কতটা গুরুত্ব দেবেন ট্রাম্প। তবে দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতেই ট্রাম্প প্রশাসন স্পষ্ট করে দেয় তাদের মনোভাব। প্রথম দিন দায়িত্ব নিয়েই আমেরিকার নতুন বিদেশসচিব মার্কো রুবিয়ো চতুর্দেশীয় অক্ষ কোয়াডের গোষ্ঠীভুক্ত রাষ্ট্রগুলির বিদেশমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকের কথা জানিয়ে দেয়। অস্ট্রেলিয়ার বিদেশমন্ত্রী পেনি ওয়ং জানিয়েছেন, ট্রাম্পের শপথের পরপরই কোয়াড গোষ্ঠীর প্রতিনিধিদের সঙ্গে এই বৈঠক প্রমাণ করে ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা রয়েছে ‘সমমনস্ক বন্ধুদের’। তাঁর বক্তব্য, “কোয়াডভুক্ত সমস্ত রাষ্ট্রের সামগ্রিক দায়বদ্ধতা এটাই প্রমাণ করে, ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে যখন ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা প্রয়োজন, সেখানে প্রত্যেকেই লৌহ সংকল্পে আবদ্ধ।”

    চিন নয়, ভারতই ভরকেন্দ্র

    চিন নয় বরং ভারতকেই যে এশিয়ার প্রধান ভরকেন্দ্র হিসাবে দেখছে আমেরিকার নতুন জমানা, তার ইঙ্গিত মিলেছে প্রথম দিনই। ট্রাম্পের শপথ গ্রহণের অনুষ্ঠানে জয়শঙ্করকে আসন দেওয়া হয়েছিল একেবারে প্রথম সারিতে, যাকে ইতিবাচক সংকেত হিসাবেই দেখা হচ্ছে। তাঁর দু’টি সারি পিছনেই বসেন জাপানের বিদেশমন্ত্রী তাকেশি আইওয়া এবং অস্ট্রেলিয়ার বিদেশমন্ত্রী পেনি ওয়ং, অর্থাৎ কোয়াডের আর দুই সদস্য। অর্থাৎ কোয়াডভুক্ত রাষ্ট্রগুলিকে প্রথম দিকেই রেখেছে আমেরিকার নতুন প্রশাসন। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করও (S Jaishankar) জানিয়েছেন, কোয়াডের বৈঠক থেকে স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছে যে এই অনিশ্চিত দুনিয়ায় বিশ্বের ভালোর জন্য কাজ করবে কোয়াড। 

    ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল মুক্ত রাখার বার্তা

    ওয়াশিংটনে কোয়াড সদস্য দেশগুলির মধ্যে প্রায় ঘণ্টাখানেকের বৈঠকের পরে ভারতের বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর বলেন, “ট্রাম্প প্রশাসনের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই কোয়াডের বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ের যে বৈঠক হল, তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটা থেকেই প্রমাণিত হচ্ছে যে বন্ধু রাষ্ট্রগুলির ক্ষেত্রে (আমেরিকার) বৈদেশিক নীতি কতটা অগ্রাধিকার পায়। ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল যাতে মুক্ত, স্থিতিশীল এবং সমৃদ্ধশালী থাকে, তা নিশ্চিত করার জন্য আমরা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি।”

    কী বললেন জয়শঙ্কর

    কোয়াড বৈঠক (Quad Meetings) প্রসঙ্গে জয়শঙ্কর (S Jaishankar) বলেন, “আরও বৃহাদাকারে ভাবনাচিন্তা করা, নিজেদের পদক্ষেপকে আরও দৃঢ় করা এবং আমাদের সমন্বয় আরও মজবুত করার বিষয়ে একমত হয়েছি (আমরা)। আজ যে বৈঠক হল, সেটা থেকে স্পষ্ট বার্তা গেল যে এই অনিশ্চিত এবং অস্থির দুনিয়ায় কোয়াড বিশ্বের ভালোর জন্য একটি শক্তি হয়ে থাকবে।”

    আরও পড়ুন: ভারত-মার্কিন সম্পর্কের নয়া সমীকরণ! ট্রাম্পের শপথের সময় সামনের সারিতে জয়শঙ্কর

    কোয়াড বৈঠকে যৌথ বিবৃতি

    ট্রাম্পের শপথ অনুষ্ঠানের পরই কোয়াড বৈঠক নিয়ে কূটনৈতিক মহলের মত, ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিনের বাড়বাড়ন্ত, আগ্রাসন রুখতে গঠিত কোয়াডের উপর আমেরিকা যে আগের সরকারের মতোই জোর দেবে, সেই বার্তাটা দেওয়া হল। কোয়াডের বিদেশমন্ত্রীদের যৌথ বিবৃতিতেও সেই বিষয়টা উঠে এসেছে। ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আগামীদিনে কোয়াডের কাজকর্মকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে আমরা মুখিয়ে আছি। ভারত যে পরবর্তী কোয়াড নেতাদের সম্মেলেনের আয়োজন করবে (২০২৫ সালেই হবে), সেটার জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার মধ্যেই আমরা নিয়মিত আলোচনা চালিয়ে যাব।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kolkata Metro: শিয়ালদা থেকে ১১ মিনিটেই ধর্মতলা! সফল হল মেট্রোর প্রথম ট্রায়াল রান, পরিষেবা চালু কবে?

    Kolkata Metro: শিয়ালদা থেকে ১১ মিনিটেই ধর্মতলা! সফল হল মেট্রোর প্রথম ট্রায়াল রান, পরিষেবা চালু কবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্পের আওতায় শিয়ালদা থেকে ধর্মতলার মধ্যে প্রথম ট্রায়াল রান চালানো হয়। শিয়ালদা থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত পরীক্ষামূলক ভাবে ছোটানো হয় মেট্রোর রেক। এই প্রথম ট্রায়াল রান সফল হয়েছে বলে জানিয়েছেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ। কর্তৃপক্ষের দাবি, সব মাপকাঠিই পূরণ হয়েছে। মঙ্গলবার প্রথম ট্রায়াল রানের সময় উপস্থিত ছিলেন কলকাতা মেট্রোর (Kolkata Metro) জিএম পি উদয়কুমার রেড্ডি-সহ উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা।

    শিয়ালদা থেকে ১১ মিনিটেই ধর্মতলা (Kolkata Metro)

    এদিন ট্রায়াল রানের সময় মোটরম্যানের কেবিনে ছিলেন মেট্রো (Kolkata Metro) রেলের জেনারেল ম্যানেজার তথা কলকাতা মেট্রোর চেয়ারম্যান পি উদয়কুমার রেড্ডি। মঙ্গলবার শিয়ালদা স্টেশন থেকে সকাল ১১টা ২০ মিনিট নাগাদ শুরু হয় ট্রায়াল রান। সেই মেট্রো এসপ্ল্যানেড পৌঁছয় ১১টা ৩১ মিনিট নাগাদ। শিয়ালদা থেকে ধর্মতলার দূরত্ব পেরোতে সবমিলিয়ে ১১ মিনিট সময় লাগে। ট্রায়াল রান শেষে উদয়কুমার সকলকে শুভেচ্ছা জানান। পরে কলকাতা মেট্রো রেল কর্পোরেশন (কেএমআরসিএল) এবং অন্যান্য আধিকারিকের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। প্রথম ট্রায়াল রান সফল হওয়ায় এই রুটে মেট্রো চালুর বিষয়ে আশাবাদী সকলেই। খুব শীঘ্রই শিয়ালদা এবং এসপ্ল্যানেডের মধ্যে পরিষেবা শুরু হয়ে যাবে।

    আরও পড়ুন: ‘ঘটনা বিরলতমই’! আরজি করে নির্যাতিতার বাড়িতে শুভেন্দু, আজ শুনানি সুপ্রিম কোর্টে

    কবে চালু হবে পরিষেবা?

    হাওড়া ময়দান থেকে সেক্টর ফাইভ পর্যন্ত মেট্রো (Kolkata Metro) পরিষেবায় যে অংশ মাটির নীচ দিয়ে যাবে, সেখানে দু’টি সুড়ঙ্গ (Kolkata East West Metro) রয়েছে। তার মধ্যে পূর্বমুখী অর্থাৎ শিয়ালদামুখী (Sealdah) সুড়ঙ্গের কাজ অনেক দিন আগেই শেষ হয়েছে। লাইন পাতাও শেষ। ওই সুড়ঙ্গ দিয়ে মেট্রোর খালি রেক প্রায়ই যাতায়াত করে। কিন্তু বিপত্তি ঘটে পশ্চিমমুখী সুড়ঙ্গ খোঁড়ার সময়। শিয়ালদা থেকে এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত ওই সুড়ঙ্গ কাটার সময় সমস্যা হয় বৌবাজারের কাছে। ২০১৯ সালে অগাস্ট মাসে সুড়ঙ্গ কাটার যন্ত্রের মাধ্যমে মাটি কাটার সময় ধস নামে বৌবাজার এলাকায়। তড়িঘড়ি বন্ধ করতে হয় কাজ। ওই সুড়ঙ্গের দৈর্ঘ্য ৪০ মিটার। ২০২২ সালের মে এবং অক্টোবরে ওই অংশ কাজ করার সময় দফায় দফায় কাজ বন্ধ করতে হয়। জল ঢুকে পড়ে সুড়ঙ্গের মধ্যে। বার বার বিপত্তির কারণে এত দিনেও শিয়ালদা এবং এসপ্ল্যানেডের মধ্যে পরিষেবা চালু সম্ভব হয়নি। এসপ্ল্যানেড থেকে শিয়ালদা সুড়ঙ্গপথে জুড়লেই হাওড়া ময়দান থেকে সোজা পৌঁছে যাওয়া যাবে সেক্টর ফাইভে। প্রায় সাড়ে পাঁচ বছর পেরিয়ে বৌবাজারের ওই ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার নীচ দিয়ে ইস্ট-ওয়েস্ট রুটে মেট্রো ছুটল। সব ঠিক থাকলে, চলতি বছরের প্রথমার্ধেই যাত্রী পরিষেবা শুরু করা যাবে বলে আশাবাদী মেট্রো কর্তৃপক্ষ। প্রসঙ্গত, ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো করিডর, যা সল্টলেক থেকে হাওড়া ময়দান পর্যন্ত বিস্তৃত, তাকে গ্রিন লাইনও বলা হয়। কলকাতায় মেট্রোর এই গ্রিন লাইনের অধীনেই দেশের মধ্যে প্রথম বার জলের নীচ দিয়ে মেট্রো ছুটছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Rape and Murder Case: ‘ঘটনা বিরলতমই’! আরজি করে নির্যাতিতার বাড়িতে শুভেন্দু, আজ শুনানি সুপ্রিম কোর্টে

    RG Kar Rape and Murder Case: ‘ঘটনা বিরলতমই’! আরজি করে নির্যাতিতার বাড়িতে শুভেন্দু, আজ শুনানি সুপ্রিম কোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করে (RG Kar Rape and Murder Case) নির্যাতিতার পরিবারের পাশে থাকার বার্তা দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁদের লড়াই করার মানসিকতাকে কুর্নিশ জানালেন বিজেপি নেতা। একই সঙ্গে এই ঘটনাকে বিরলতম অ্যাখ্যা দিলেন তিনি। অন্যদিকে, আজ, বুধবার চিকিৎসক পড়ুয়ার খুন ও ধর্ষণের মামলা শুনবে দেশের শীর্ষ আদালত (Supreme Court)। এই ঘটনায় দোষী সঞ্জয় রায়কে নিম্ন আদালত শাস্তি দেওয়ার পর এই প্রথম  সুপ্রিম কোর্টে মামলার শুনানি হচ্ছে। প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্না, বিচারপতি সঞ্জয় কুমার এবং বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথনের বেঞ্চে হবে এই মামলার শুনানি।

    ‘বড় লড়াই’-এর বার্তা শুভেন্দুর

    আরজি কর-কাণ্ডে (RG Kar Rape and Murder Case) শাস্তি ঘোষণার পরের দিন নির্যাতিতার বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করে ‘বড় লড়াই’-এর বার্তা দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি জানান, ঘটনার পর থেকে নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে তাঁর কথাবার্তা হচ্ছে। নির্যাতিতার বাবা-মা তাঁর উপরে ভরসা রাখেন। প্রায় ৩০ মিনিট তাঁদের মধ্যে কথাবার্তা হয়েছে বলেও জানান শুভেন্দু। মঙ্গলবার নির্যাতিতার বাবা-মায়ের সঙ্গে কথাবার্তা বলে তাঁদের বাড়ি থেকে বেরিয়ে তিনি বলেন, ‘‘ওঁদের লড়াইয়ের মানসিকতাকে কুর্নিশ। ওঁদের একটি পিটিশনের শুনানি রয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। সামগ্রিক ভাবে ওঁরা বৃহত্তর আইনি লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিয়েছেন।’’ শুভেন্দুর সংযোজন, ‘‘আমি নিজেকে তাঁদের পরিবারের এক জন বলে মনে করি। আমি তাঁদের সঙ্গে রয়েছি। যে ভাবে ওঁরা সহযোগিতা চাইবেন, সে ভাবে আমার সাধ্যমতো ওঁদের সাহায্য করব।’’

    আরও পড়ুন: বয়স ৩৫-এর কোঠায় পৌঁছনোর আগেই দেখা দিচ্ছে ক্যান্সার! কীভাবে দ্বিগুণ হচ্ছে ঝুঁকি?

    প্রস্তুতি নিচ্ছে পরিবার

    সোমবার আরজি করের ধর্ষণ এবং খুনের মামলায় (RG Kar Rape and Murder Case) ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে আমরণ কারাবাসের শাস্তি দেয় শিয়ালদা আদালত। বিচারক অনির্বাণ দাস তাঁর নির্দেশে জানান, বিরলের মধ্যে বিরলতম নয় এই ঘটনা। এ প্রসঙ্গে  শুভেন্দু বলেন, ‘‘আমার মতে ঘটনাটি (আরজি কর-কাণ্ড) বিরলতমই। জাজমেন্টে (বিচারে) অনেকগুলো বিন্দু আছে। অনেকগুলো ভাল কথা বলেছেন বিচারক। কলকাতা পুলিশ, হাসপাতাল থেকে সিবিআই নিয়ে বেশ কিছু ত্রুটির কথা বলেছেন। তবে বিচার ব্যবস্থাকে সম্মান জানিয়েই বলছি, সরকারি কর্মক্ষেত্রে এক জন মহিলা চিকিৎসককে যে ভাবে অত্যাচার করা হয়েছে, আমার ব্যক্তিগত মত, এটা বিরলতম ঘটনা। অনেক বড় লড়াই হবে। পরিবার তার প্রস্তুতি নিচ্ছে।’’ 

    সুপ্রিম দুয়ারে পরিবার

    আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar Rape and Murder Case) দু’টি বিষয়ে মামলা চলছে। একটি হল, মহিলা চিকিৎসক-পড়ুয়াকে ধর্ষণ ও খুনের মামলা। অন্যটি, আর্থিক দুর্নীতির মামলা। দু’টি মামলা স্বতঃপ্রণোদিত ভাবেই শুনবে বলে জানিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। আরজি করের ধর্ষণ এবং খুনের মামলায় গত শনিবার শিয়ালদা আদালত ধৃত সঞ্জয় রায়কে দোষী সাব্যস্ত করে। সোমবার তাঁর আজীবন জেলের শাস্তি হয়েছে। কিন্তু নির্যাতিতার পরিবারের দাবি, একা সঞ্জয় নন, অপরাধের জড়িত রয়েছেন আরও ব্যক্তি। শিয়ালদা আদালত রায় ঘোষণার আগেই চলতি মাসের গোড়ায় ‘আরও তদন্ত চেয়ে’ শীর্ষ আদালতে আবেদনের কথা জানিয়েছিলেন তাঁরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Planetary Parade: আজ সন্ধ্যার আকাশে এক সারিতে ৬ গ্রহ! মহাকাশে ঘটবে বিরল ‘প্ল্যানেট প্য়ারেড’

    Planetary Parade: আজ সন্ধ্যার আকাশে এক সারিতে ৬ গ্রহ! মহাকাশে ঘটবে বিরল ‘প্ল্যানেট প্য়ারেড’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক মহাজাগতিক দৃশ্যের সাক্ষী হতে চলেছে পৃথিবী। মহাকাশে এক সারিতে আসবে সৌরজগতের ছয়টি গ্রহ (Planetary Parade)। তার বেশিরভাগটাই খালি চোখে দেখা যাবে। শনি-সন্ধ্যায় মহাকাশে ঘটতে চলেছে বিরল মহাজাগতিক ঘটনা। সূর্যাস্তের ৪৫ মিনিট পর এক সারিতে আসছে ৬ গ্রহ। ঝকঝকে রাতের আকাশে চলবে গ্রহ নক্ষত্রের খেলা। ‘প্ল্যানেট প্য়ারেডে’ অংশ নিচ্ছে ইউরেনাস-নেপচুনও। এটাকে বলা হয় প্ল্যানেটারি অ্যালাইনমেন্ট। একই সরলরেখায় আসবে মঙ্গল-বৃহস্পতি-শুক্র-শনি-ইউরেনাস-নেপচুন।

    কতক্ষণ দেখা যাবে

    জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা বলছেন, ৩ ঘণ্টা স্থায়ী হবে গ্রহের প্যারেড। খালি চোখেই দেখা যাবে মঙ্গল-বৃহস্পতি-শুক্র-শনিকে। তবে ইউরেনাস-নেপচুনকে (Planetary Parade) দেখতে প্রয়োজন হবে টেলিস্কোপের। এই বিরল মহাজাগতিক ঘটনা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে চলছে জোর চর্চা। সকাল থেকেই বিড়লা প্ল্যানেটোরিয়ামে ব্যাপক ভিড়। গ্রহের সারিবদ্ধতা এমন একটি ঘটনাকে বোঝায় যেখানে সৌরজগতের গ্রহগুলিকে পৃথিবী থেকে এক সরলরেখায় অবস্থান করতে দেখা যায়। খালি চোখের তুলনায় যন্ত্রের সাহায্যে এই দৃশ্য আরও ঝকঝকে হয়ে উঠবে।

    কখন, কোন আকাশে দেখা যাবে বিরল দৃশ্য 

    জ্যোতির্বিজ্ঞানী দেবীপ্রসাদ দুয়ারি বলছেন, সন্ধ্যা সাতটা থেকে সাড়ে সাতটার মধ্যে দেখা যাবে এই অতি-বিরল দৃশ্য। তাঁর কথায়, “সন্ধ্যাবেলার আকাশে মোটামুটি ৭টা সাড়ে ৭টার দিকে খুব ক্ষীণভাবে হলেও শনি গ্রহকে দেখতে পাওয়া যাবে। তার ঠিক একটু উপরে দক্ষিণ-পশ্চিম দিগন্তে থাকবে শুক্র গ্রহ। ওটা কিন্তু বেশ উজ্জ্বল।” দেখা যাবে বৃহস্পতিকেও। তাঁর কথায়, “একইসময় মাথার মোটামুটি উপরে থাকবে বৃহস্পতি। বেশ কিছুটা পূর্ব দিগন্তে থাকবে মঙ্গলগ্রহ। সুতরাং পশ্চিম থেকে পূর্ব দিগন্ত ঘিরে একটা সরলরেখায় এই গ্রহগুলিকে দেখা যাবে। খালি চোখেই দেখা যাবে। আরও দুটো গ্রহ থাকছে এই রেখায়। তবে তাঁদের খালি চোখে দেখা যাবে না। ইউরেনাস-নেপচুন। ওরা থাকবে শুক্র গ্রহের কাছাকাছি অঞ্চলে। কিন্তু এত ক্ষীণ যে খালি চোখে দেখা কার্যত অসম্ভব।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Iron Age India: ভারতেই লৌহযুগের সূচনা! তামিলনাড়ুতে মিলেছে ৫ হাজার ৩০০ বছর আগের ঐতিহাসিক প্রমাণ

    Iron Age India: ভারতেই লৌহযুগের সূচনা! তামিলনাড়ুতে মিলেছে ৫ হাজার ৩০০ বছর আগের ঐতিহাসিক প্রমাণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লৌহযুগের (Iron Age India) সূচনা হয়েছিল ভারতে! নতুন আবিষ্কারের ফলে ইতিহাস বদলে যেতে চলেছে এবার। ঐতহাসিক কালানুক্রমিক সময় চিহ্নর একাধিক নিদর্শন পাওয়া গিয়েছে তামিলনাড়ুর তুতিকোরিনের শিবগালাই, মাঙ্গাদু, কিলনামান্ডি, থেলুঙ্গানুর এবং আদিচানাল্লুর (Tamil Nadu) থেকে। জানা গিয়েছে, নিদর্শনগুলি এক-একটি প্রায় ২ হাজার ৯৫৩ থেকে ৩ হাজার ৩৪৫ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ সময়ের মধ্যেকার। বর্তমান সময়ের হিসেবে ৫ হাজার ৩০০ বছর আগের। ভারতীয় সভ্যতার উদ্ভব এবং বিকাশ প্রায় ৫ হাজার বছরের পুরনো বলে বার বার উল্লেখ করে গিয়েছেন ভারতীয় জাতীয়তাবাদী ইতিহাসবিদরা। একই ভাবে, আর্য সভ্যতার উদ্ভব এবং বিবর্তন নিয়ে সিন্ধু সভ্যতার কথা বার বার উল্লেখ করেছনে। গবেষণায় কী বলা হয়েছে আসুন জেনে নিই।

    ৫ হাজার ৩০০ বছর আগেকার লোহা উদ্ধার (Iron Age India)

    সম্প্রতি তামিলনাড়ুর (Tamil Nadu) তুতিকোরিন থেকে খননকার্য চালিয়ে একটি শবাধার সঙ্গে লোহার (Iron Age India) কিছু অতিপ্রাচীন সামগ্রী উদ্ধার হয়েছে। এই সামগ্রীগুলির ঐতিহাসিক গুরুত্ব অপরিসীম। পুরাতাত্ত্বিকরা বলেছেন, তুতিকোরিনে পাওয়া পুরাতাত্ত্বিক উপাদানের সময়কাল নির্ণয় করে বোঝা গিয়েছে যে, আজ থেকে প্রায় ৫ হাজার ৩০০ বছর আগে এই রাজ্যে লোহার ব্যবহার করেছিল মানুষরা। ফলে এই ঐতিহাসিক তথ্যের ভিত্তিতে অনুমান করা হচ্ছে সারা বিশ্বে তামিলনাড়ুই হবে লৌহযুগের প্রথম ব্যবহারের পথপ্রদর্শক। ফলে এই প্রমাণ পৃথিবীর ইতিহাসকে বদলে ফেলবে। উল্লেখ্য ভারতের ব্রিটিশ প্রভাব মুক্ত জাতীয়তাবাদী ইতিহাসবিদরা খুব স্পষ্ট ভাবে বলে গিয়েছেন, পশ্চিমের সভ্যতার আলো তখনও জ্বলে ওঠেনি, যখন ভারতীয় সাংস্কৃতিক প্রবাহ এবং ইতিহাস উৎকর্ষের জায়গায় পৌঁছে গিয়েছিল।

    অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে বয়স নির্ণয়

    গত বৃহস্পতিবার ‘অ্যান্টিকুইটি অফ আয়রন’ (Iron Age India) নামে সম্প্রতি একটি গবেষণাপত্র প্রকাশ করছে তামিলনাড়ু (Tamil Nadu) রাজ্য পুরাতত্ত্ব বিভাগ। গবেষণা পত্রটি লিখেছেন শিবনন্থন এবং পন্ডিচেরি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কে রাজন। এই গবেষণাপত্রের ৭৩ পৃষ্ঠায় দাবি করা হয়েছে, “আজ থেকে ৫ হাজার ৩০০ বছর আগে তামিলনাড়ুতে লোহার প্রচলন ছিল। অ্যাক্সিলারেটর মাস স্পেকটোমেট্রি (এএমএস) এবং অপটিক্যালি স্টিমুলেটেড লুমিনেসেন্স (ওএসএল) পদ্ধতিতে তামিলনাড়ুর বিভিন্ন জায়গায় খননকার্য চালানো হয়েছিল। নিদর্শনের সময়কাল যাচাই করার পর এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন গবেষকরা। তাতে খুব স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, কার্বন ডেটিংয়ের চেয়েও নির্ভুল ভাবে কোনও নিদর্শনের বয়স নির্ণয় করা যায় এই পদ্ধতিতে।

    আরও পড়ুনঃ প্রতি বছর বাজেটের আগে হয় ‘হালুয়া উৎসব’, এরপরেই নিভৃতবাসে যান কর্মীরা, কেন জানেন?

    লৌহযুগের সংস্কৃতি নিয়ে বিস্তারিত নিয়ে আলোচনা হয়েছে গবেষণায়

    উল্লেখ্য, আগে গবেষকদের অধিকাংশরাই মনে করেন, ১৩৮০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ অর্থাৎ আজ থেকে প্রায় ৩ হাজার ৪০০ বছর আগে তুরস্কের হিতাইতে লোহার (Iron Age India) আবিষ্কার হয়েছিল। হিতাইত রাজত্বের ভৌগলিক অঞ্চলে হেমাটাইট লোহার আকরিকও প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যেত। ফলে এই মত সকলেই গ্রহণ করেছিলেন। পুরাতাত্ত্বিক অধ্যাপক রুপেন্দ্রকুমার চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, “লৌহযুগ নিয়ে বিতর্ক বহু দিন ধরেই চলছে। আগে মনে করা হতো বাইরে থেকে ভারতের নানা জায়গায় খ্রিষ্টপূর্ব ১২০০ অথবা ২০০০ অব্দের লোহার নিদর্শন পাওয়া গিয়েছে। এই গবেষণায় মেগালিথিক সংস্কৃতি এবং দ্রাবিড়ীয় সংস্কৃতির পাশাপাশি লৌহযুগের সংস্কৃতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। তবে একটি প্রমাণের উপর সিদ্ধান্ত ঠিক হবে না। আরও উপাদানের প্রয়োজন হবে।”

    শিবগালাই নিদর্শনগুলি প্রাচীনতা অনেক বেশি

    তামিলনাড়ুর তুতিকোরিনের শিবগালাই, মাঙ্গাদু, কিলনামান্ডি, থেলুঙ্গানুর এবং আদিচানাল্লুর (Tamil Nadu) এলাকায় এই নিদর্শনগুলি পাওয়া গিয়েছে। তার মধ্যে শিবগালাই নিদর্শনগুলির কোনও কোনওটা ২ হাজার ৯৫৩ থেকে ৩ হাজার ৩৪৫ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের অর্থাৎ ৫৩০০ বছরের পুরনো। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক পুরাতত্ত্ববিদ দিলীপকুমার চক্রবর্তী বলেন, ‘‘এই গবেষণার গুরুত্ব অপরিসীম। সেই সময়ের কিছু হরপ্পায়ও লোহার (Iron Age India) নিদর্শন থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। গাঙ্গেয় উপত্যকার মালহারেও বেশকিছু নিদর্শনগুলির প্রমাণ পাওয়া গিয়েছিল। সেগুলিও খ্রিষ্টপূর্ব ২০০০ অব্দের সূচনাকালের। ওই সময়ে ভারতের বিভিন্ন জায়গায় লোহা আদানপ্রদানের একটা চলাচল ছিল। ফলে এই নিয়ে আরও বিস্তারিত গবেষণা হওয়া প্রয়োজন। তবে এই আবিষ্কারের জন্য প্রত্নতাত্ত্বিকদের অনেক অনেক অভিনন্দন।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: হেলে পড়ছে কলকাতার একের পর এক বহুতল, ফিরহাদকে “হেলে পড়া” খোঁচা শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: হেলে পড়ছে কলকাতার একের পর এক বহুতল, ফিরহাদকে “হেলে পড়া” খোঁচা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাঘাযতীন, ট্যাংরা, সল্টলেকের পর এবার তপসিয়া। হেলে পড়া বহুতল ঘিরে কলকাতা শহরজুড়ে তীব্র আতঙ্ক। কলকাতা পুরসভায় চলছে ‘টক টু মেয়র’। আর দুপুরেই এক্স মাধ্যমে মেয়রকে তীব্র কটাক্ষ করলেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁকে খোঁচা দিয়ে তিনি (Suvendu Adhikari) বললেন, “হেলে পড়া” হাকিম। মেয়রের মন্তব্য নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

    ঠিক কী বলেছেন ফিরহাদ?

    কলকাতায় একের পর এক হেলে পড়া বাড়ির সন্ধান মিলেছে। বিরাট বিরাট সব বহুতল। সেই বহুতল হেলে পড়েছে। তবে আচমকা সেগুলি হেলে পড়েছে এমনটা নয়। আস্তে আস্তে সেগুলি হেলে পড়েছে। এবার সেগুলির অনুমোদন ছিল কি না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। কলকাতা পুরসভার ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। এসবের মধ্যেই মুখ খুলেছিলেন পুরসভার মেয়র (Firhad Hakim) ফিরহাদ হাকিম। মূলত, বাঘাযতীনের ফ্ল্যাট বাড়ি ভেঙে পড়ার পর থেকেই শহরের বুকে একের পর এক হেলে পড়া বহুতলের ছবি সামনে আসছে। তাতে সর্বশেষ সংযোজন তিলজলা। এ প্রসঙ্গে মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, “সব হেলে পড়া বাড়ি বিপজ্জনক নয়। যদি স্ট্রাকচারাল স্টেবিলিটি দিয়ে দেয়, যদি স্ট্রাকচার ঠিক আছে, তাহলে সেটা বিপজ্জনক নয়। কলকাতায় এরকম অনেক বাড়ি রয়েছে, একটু হেলে গিয়েছে।”যা নিয়ে কটাক্ষ করেছেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)।

    কী বললেন শুভেন্দু? (Suvendu Adhikari)

    আর তারপরই এক্স হ্যান্ডেলে খোঁচা দিয়ে শুভেন্দুর পোস্ট। তিনি (Suvendu Adhikari) লিখেছেন, “সব হেলে পড়া বাড়ি বিপজ্জনক নয়” – ফিরহাদ “হেলে পড়া” হাকিম। হেলায় বলে দিলেন কলকাতার অপদার্থ মেয়র। অবশ্য হাল আমলের বাড়ি হেলে পড়লে মাথা না কাজ করাই স্বাভাবিক! ঐতিহ্যবাহী বাড়ি, ঐতিহাসিক বাড়ি, জমিদারি বাড়ি, আকাশচুম্বী বহুতল, পোড়া বাড়ি, ভূতুড়ে বাড়ি, জীর্ণ বাড়ির পরে কলকাতা পুরসভার দৌলতে নতুন আকর্ষণ হল ‘হেলে পড়া বাড়ি’।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jaha India: মুর্শিদাবাদে সক্রিয় নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘জাহা ইন্ডিয়া’, মিলল জেএমবি যোগ, ভারতে নাশকতার ছক!

    Jaha India: মুর্শিদাবাদে সক্রিয় নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘জাহা ইন্ডিয়া’, মিলল জেএমবি যোগ, ভারতে নাশকতার ছক!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে মৌলবাদী কার্যকলাপ চালাচ্ছে ‘জাহা ইন্ডিয়া’ নামে (Jaha India) একটি সংগঠন। বাংলাদেশ থেকে মিলছে সাহায্য। মাসখানেক ধরে সক্রিয় হয়ে উঠেছে এই সংগঠন। আর এই জেলায় সদ্য গজানো মৌলবাদী এই সংগঠন ‘জাহা ইন্ডিয়া’-র সঙ্গে জেএমবি জঙ্গি সংগঠনের মিলেছে। মূলত, ইউনূস সরকারের আমলে নতুন করে যে জঙ্গি কার্যকলাপ মাথা চাড়া দিয়েছে, সেই নিয়ে কোনও রকম দ্বিমত রাখছেন না বিশেষজ্ঞরা। পালাবদলের পর থেকে ভারতে নিজেদের জাল ছড়িয়ে দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে বাংলাদেশি মৌলবাদী সংগঠনগুলি। এবার সেই তালিকায় নাম লেখাল এই সংগঠন। এখন কারা এই সংগঠনের সদস্য, কারা প্রশিক্ষণ পেয়েছে তা খতিয়ে দেখার কাজ চলছে। এমনকী এই সংগঠন কীভাবে কাজ করে চলেছে তা জানার চেষ্টা চলছে।

    চোরা পথে এসে সংগঠনের সদস্যদের প্রশিক্ষণ জেএমবির! (Jaha India)

    বাংলাদেশ থেকে চোরা পথে এসে সংগঠনের সদস্যদের (Jaha India) প্রশিক্ষণ জেএমবি (JMB) নেতার। নতুন সংগঠনের সম্পর্কে যে তথ্য পাওয়া গিয়েছে, তাতে মাস কয়েক ধরে মুর্শিদাবাদের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে মৌলবাদী কার্যকলাপ চালাচ্ছে তারা। আর ইউনূসের বাংলাদেশ থেকে মিলছে সাহায্য। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, মুর্শিদাবাদের ‘জাহা ইন্ডিয়া’ সংগঠনকে মদত জোগাচ্ছে বাংলাদেশের জেএমবি জঙ্গি সংগঠন। সেদেশ থেকে চোরা পথ হয়ে ভারতে এসে ঝাড়খণ্ডের একটি গোপন ডেরায় দিন কয়েক আগেই ‘জাহা ইন্ডিয়া’র সঙ্গে বৈঠক চালিয়েছে তারা। গত ৩ জানুয়ারি লালগোলায় এই প্রসঙ্গে জাহা ইন্ডিয়ার সঙ্গে এক দফা বৈঠকও চলে। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জেএমবি-র সদস্যরাও। এরপরই প্রকাশ্যে আসে আরও এক বিস্ফোরক তথ্য। জানা গিয়েছে, একা জেএমবি নয়। এই ‘জাহা ইন্ডিয়া’র দোসর হয়েছে ‘তাওহিদুল উলাইয়া’ নামে বাংলাদেশের আরও একটি মৌলবাদী জঙ্গি সংগঠন। মূলত, ‘জাহা ইন্ডিয়া’র হাত ধরেই ভারতে নিজেদের জঙ্গি কার্যকলাপ বাড়াতে চায় তারা। মূলত, ভারতে নিজেদের শাখা খুলতে চায় এই ‘তাওহিদুল উলাইয়া’ নামে মৌলবাদী সংগঠনটি। আর সেই কাজে ‘জাহা ইন্ডিয়া’কেই নিজেদের সঙ্গী হিসাবে চায় তারা। পশ্চিমবঙ্গের জেলায় জেলায় কীভাবে সংগঠন গড়ে তোলা যায় তার পরিকল্পনা নেওয়া শুরু হয়েছে।

    কীভাবে হবে জাল বিস্তার?

    জানা গিয়েছে, মোট পাঁচটি স্তরে ভাগ হয়ে গিয়ে ভারতের জাল বিস্তার করতে আগ্রহী এই জঙ্গি সংগঠনটি (Jaha India)। আর মুর্শিদাবাদ হবে সেই পরিকল্পনার এপিসেন্টার। ‘জাহা ইন্ডিয়া’-র সঙ্গে জেএমবি জঙ্গি সংগঠনের একটি বৈঠক হয়েছে। জেএমবি-র নেতা বাংলাদেশ থেকে চোরা পথে ভারতে প্রবেশ করে ঝাড়খণ্ডের পাকুর থানার অন্তর্গত একটি এলাকায় এই বৈঠক করেছে। দু’দিন ধরে চলেছে সেই বৈঠক। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা রিপোর্ট বলছে, ওই জঙ্গি নেতা ‘জাহা ইন্ডিয়া’ সংগঠনের ছ’জনকে ট্রেনিং দিয়েছে। সেই প্রশিক্ষণ শিবিরে উপস্থিত ছিল মুর্শিদাবাদের পাঁচ ও উত্তর ২৪ পরগনার এক নেতা। এদের আবার একজন মিডিল ম্যানও রয়েছে। বৈঠক শেষ হয়ে যাওয়ার পর ফের জিএমবি নেতা রুট বদলে আবার বাংলাদেশে ফিরে গিয়েছে। আপাতত মুর্শিদাবাদে সক্রিয় এই সংগঠন, এমনই তথ্য হাতে এসেছে গোয়েন্দাদের। সেই কারণে, এখন বাংলাদেশি জঙ্গিদের টার্গেটে ঝাড়খণ্ডের বিস্তীর্ণ এলাকা। সবমিলিয়ে কারা কারা প্রশিক্ষণ পেল তা জানার চেষ্টা করছে গোয়েন্দারা। আর এই সংগঠনের মধ্যে অন্য কোন কোন জেলার লোকজন জড়িত তা জানার চেষ্টা করছে গোয়েন্দারা।

    প্রাক্তন এনএসজি কর্তা কী বললেন?

    এ প্রসঙ্গে অবসরপ্রাপ্ত এক এনএসজি কর্তা বলেন, ‘‘এই খবর শুধু গোয়েন্দাদের কাছেই ছিল। ‘জাহা ইন্ডিয়ার’ নাম কেউ জানত না। বারবার আমি বলেছি, ভারত-বাংলাদেশ-মায়ানমারকে টার্গেট করে আল-কায়দা। ঝাড়খণ্ডের পাকুড় থেকে যিনি নির্বাচিত হয়ে লোকসভায় গিয়েছেন, সেই নেত্রীর স্বামীকে দেশ-বিরোধী কাজের জন্য গ্রেফতার করা হয়েছে। আসলে এইগুলো হল জমি দখলের প্রক্রিয়া। এইভাবে বিনা রক্তপাতে ভারত দখল বা জমি দখল করে ওরা। তারপর অনুপ্রবেশ ঘটিয়ে পুরো ভৌগলিক অবস্থান পরিবর্তন করে। তারপর সেখান থেকে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়। দেশের লোকসভা বা বিধানসভায় যায় তারা।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share