Tag: Madhyom

Madhyom

  • Vande Bharat Express: হাওড়ার পর এবার শিয়ালদা থেকেও ছুটবে বন্দে ভারত, কাশীপুরে হচ্ছে রেল ইয়ার্ড

    Vande Bharat Express: হাওড়ার পর এবার শিয়ালদা থেকেও ছুটবে বন্দে ভারত, কাশীপুরে হচ্ছে রেল ইয়ার্ড

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাওড়ার পরে এ বার শিয়ালদা থেকেও বন্দে ভারত এক্সপ্রেস (Vande Bharat Express) চালানোর উদ্যোগ নিল ভারতীয় রেল। মাস তিনেকের মধ্যে চালানোর উপযোগী পরিকাঠামো তৈরি হয়ে গেলে শিয়ালদার ভাগ্যে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের শিকে ছিঁড়তে পারে বলেই জানাচ্ছেন রেলকর্তারা। ওই ট্রেনের পরিষেবা শুরু করার আগে প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো সংস্কারের ওপরে বিশেষ জোর দিচ্ছে রেল।  মঙ্গলবার জানিয়েছেন পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার মিলিন্দ দেউস্কর।

    কাশীপুরে হচ্ছে রেল ইয়ার্ড (Vande Bharat Express)

    রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতা টার্মিনাল লাগোয়া কাশীপুরে (Vande Bharat Express) প্রায় ২৫০ কোটি টাকা খরচ করে যাবতীয় আধুনিক সুবিধা-সহ ওই কোচিং ডিপো বা ট্রেন রক্ষণাবেক্ষণের পরিকাঠামো গড়ে তোলা হবে। তৈরি হচ্ছে রেল ইয়ার্ড। ওখানেই হবে ট্রেন রক্ষণাবেক্ষণের কাজ। সেই পরিকল্পনা করছে রেল। ইতিমধ্যেই ওই এলাকা পরিদর্শন করেছেন পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার-সহ পদস্থ আধিকারিকরা। হাওড়ার ঝিল সাইডিংয়ের ধাঁচে ভবিষ্যতের জন্য ওই পরিকাঠামো গড়ে তোলার পাশাপাশি, কলকাতা ও শিয়ালদা স্টেশনের ট্রেন রক্ষণাবেক্ষণ পরিকাঠামোও উন্নত করা হচ্ছে। দু’জায়গাতেই সর্বাধিক ২৪ কোচের ট্রেনের রক্ষণাবেক্ষণ করার ব্যবস্থা করতে সম্প্রতি পিট লাইনের দৈর্ঘ্য বাড়ানো হয়েছে। এর পাশাপাশি, পুরনো সেতুর সংস্কার করে ট্রেনের গতি বাড়ানোর ওপরেও জোর দেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে পূর্ব রেলের আওতায় চলা বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের সিংহভাগ চলে হাওড়া থেকে। তবে ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে ব্যান্ডেল স্টেশনকে কলকাতার উপগ্রহ টার্মিনাল হিসেবে গড়ে তুলতে চায় রেল। সে জন্য প্রায় ৩০০ কোটি টাকার পরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে বলেও জানান পূর্ব রেলের জিএম।

    আরও পড়ুন: ‘‘এটা মৃত্যু নয়, হত্যা”, স্যালাইনকাণ্ডে থানায় এফআইআর দায়ের বিজেপি বিধায়ক শঙ্করের

    হাওড়ায় আটটি প্ল্যাটফর্মের দৈর্ঘ্য বাড়ানোর উদ্যোগ

    পাশাপাশি, হাওড়া থেকে কবচ যুক্ত ইএমইউ ট্রেনগুলি চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে। এই প্রকল্পের বাস্তবায়নের জন্য ৩ মাস সময় লাগতে পারে জানালেন পূর্ব রেলের (Vande Bharat Express) জেনারেল ম্যানেজার। হাওড়া থেকে ধানবাদ সংলগ্ন ছোটা আমবানা পর্যন্ত এই প্রকল্পের কাজ আগামী ৩ মাসের মধ্যে হবে বলে জানাচ্ছেন তিনি। হাওড়া স্টেশনে পুরনো বাঙালবাবু ব্রিজ এবং বারাণসী ব্রিজের বদলে নতুন সেতু চালু হলে ওই স্টেশনে আটটি প্ল্যাটফর্মের দৈর্ঘ্য বাড়ানো সম্ভব হবে। সেই কাজ করা গেলে দূরপাল্লার এক্সপ্রেস ট্রেন ছাড়াও ১২ কোচের লোকাল ট্রেন স্টেশনে ঢোকা নিয়ে জটিলতা কমবে। আগামী তিন মাসের মধ্যে হাওড়া-নয়াদিল্লি পথের একাংশে কবচ প্রযুক্তির মহড়া শুরু হতে পারে বলেও জানিয়েছেন জিএম। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে পূর্ব রেল পণ্য পরিবহণ খাতে ২৮ শতাংশ আয় বাড়িয়েছে। লোকাল ট্রেনের সময়ানুবর্তিতা উন্নত করতে ২০০টি ট্রেনকে বেছে নিয়ে পরিস্থিতি বদলানোর চেষ্টাও করা হয়েছে। অগ্নিকাণ্ড ছাড়াও রেললাইনের অন্যান্য ক্ষতি এড়াতে রেলপথের ধারে আবর্জনা ফেলার বিরুদ্ধে রেল প্রচার চালাবে।

    প্রসঙ্গত, বাংলায় প্রথম বন্দে ভারত চালু হয়েছিল হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি রুটে। চালুর পর থেকেই এই ট্রেন নিয়ে উন্মাদনার শেষ নেই। শুরুতে অল্প সংখ্যক ট্রেন থাকলেও চাহিদার কথা মাথায় রেখেই কিছু সময়ের মধ্যে বাংলার বন্দে ভারতের সংখ্যা ক্রমেই বাড়তে থাকে। বর্তমানে হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ির পাশাপাশি হাওড়া-পুরী, নিউ জলপাইগুড়ি-গুয়াহাটি, হাওড়া-পাটনা, হাওড়া-রাঁচি, নিউ জলপাইগুড়ি-পাটনা রুটে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চলছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kolkata Tram: ট্রামকে বাঁচাতে উদ্যোগী হতে হবে সরকারকে, বন্ধ করতে হবে লাইন বোজানর কাজ, নির্দেশ হাইকোর্টের

    Kolkata Tram: ট্রামকে বাঁচাতে উদ্যোগী হতে হবে সরকারকে, বন্ধ করতে হবে লাইন বোজানর কাজ, নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতার ঐতিহ্যবাহী ট্রাম (Kolkata Tram) নিয়ে দায়ের হওয়া জনস্বার্থ মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মুখ পুড়ল মমতার সরকারের। রাজ্য সরকারকেই ট্রাম বাঁচানোর জন্য বিশেষ ভূমিকা নিতে হবে, উদ্যোগী হতে হবে। ঠিক এই নির্দেশ দিয়ে অবিলম্বে লাইন বোজানোর কাজ বন্ধের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে বলা হয়, প্রধান বিচারপতির বেঞ্চকে ট্রাম লাইন বুজিয়ে ফেলার বিষয়ে ছবি-সহ রিপোর্ট জমা দিতে হবে। 

    রাজ্যের সদিচ্ছা থাকা একান্ত প্রয়োজন (Kolkata Tram)

    কলকাতা শহরে ট্রামের পরিষেবা এবং লাইন তুলে ফেলার একটি মামলায় প্রধান বিচারপতির (Calcutta High Court) একটি পর্যবেক্ষণে বলা হয়, “ট্রাম একটি ঐতিহ্যবাহী যাত্রী পরিষেবা। তুলে দেওয়া খুব সহজ কাজ, কিন্তু বহুদেশে ট্রাম চলে। কোথাও কোথাও রাস্তার একেবারে মাঝখান দিয়ে লাইন করা রয়েছে। রাজ্যে ট্রামকে (Kolkata Tram) বাঁচাতে সরকারকে অনেক বেশি উদ্যোগী হতে হবে। এর জন্য সদিচ্ছা থাকা একান্ত প্রয়োজন।”

    দুই জায়গায় ট্রাম লাইন তুলে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ

    কলকাতায় ট্রাম (Kolkata Tram) পরিষেবাকে অব্যাহত রাখতে একটি সামাজিক সংগঠন মামলা করেছিল কলকাতা হাইকোর্টে। সংস্থার পক্ষে থেকে অভিযোগ ছিল, রাস্তায় যাতে ট্রাম চলতে না পারে, তাই কালীঘাট, ভবানীপুর, জাজেস কোর্ট, খিদিরপুরের ট্রামলাইনে পিচ ঢেলে বুজিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই বন্ধ করার কাজ নিয়ে রাজ্য সরকারকে ধাক্কার মুখে পড়তে হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের। প্রধান বিচারপতি (Calcutta High Court) টিএস শিবজ্ঞানম নির্দেশ দেন, “দুই জায়গায় ট্রাম লাইন তুলে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ এসেছে, তা নিয়ে কলকাতা পুলিশ তদন্ত করে দেখবে। উপর তলার হাত না থাকলে এই ভাবে বুজিয়ে ফেলা যায় না।” তবে রাজ্যের তরফ থেকে যে রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে তাতে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, ট্রাম লাইন বুজিয়ে ফেলার কোনও কাজ করা হয়নি।

    আরও পড়ুনঃ ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে গিয়ে মৃত্যু কেরলের যুবকের, রাশিয়াকে কড়া বার্তা কেন্দ্রের

    লাইন তুলে দিতে প্রস্তুত সরকার

    এখন বিভিন্ন রকমের জটিলতা কাটিয়ে কীভাবে ট্রামকে সচল রাখা যায়, সেই কাজ করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করবে পুলিশ, পরিবহণ দফতর, কলকাতা পুরসভা, রাজ্য পরিবহণ নিগম সহ বিভিন্ন পক্ষের প্রতিনিধিরা। প্রত্যেক সংস্থার লোকজনকে নিয়ে একটি কমিটি গঠনের কথাও বলা হয়েছে। মামলাকারীদের অভিযোগ ছিল, হাতে গোনা মাত্র কয়েকটা রুটে চলে ট্রাম (Kolkata Tram)। এখন এগুলিকেও তুলে দিতে প্রস্তুতি নিচ্ছে রাজ্য সরকার। একইভাবে অভিযোগ আরও করা হয়, আদালতের (Calcutta High Court) নানা সুপারিশ এবং পরামর্শকে অমান্য করছে রাজ্য।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Liquor Policy Case: আবগারি নীতি কেলেঙ্কারি মামলায় কেজরির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে পারবে ইডি

    Liquor Policy Case: আবগারি নীতি কেলেঙ্কারি মামলায় কেজরির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে পারবে ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবগারি নীতি কেলেঙ্কারি মামলায় (Liquor Policy Case) দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়ালের (Arvind Kejriwal) বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া চালিয়ে যেতে পারবে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি। এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অনুমোদন মিলেছে। দিন কয়েক আগেই দিল্লির উপরাজ্যপাল ভিকে সাক্সেনার অনুমোদন মিলেছিল। এবার মিলল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অনুমোদনও। ঘটনার জেরে দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের আগে বেজায় বিপাকে পড়লেন কেজরিওয়াল।

    আদালতে ২০০ পাতার চার্জশিট (Liquor Policy Case)

    ওই মামলায় জুলাই মাসেই আদালতে ২০০ পাতার চার্জশিট জমা দিয়েছিল ইডি। তাতে অভিযুক্ত করা হয়েছিল কেজরিওয়াল ও তাঁর দলকে। নিম্ন আদালত জানিয়েছিল, কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার মতো যথেষ্ট তথ্য রয়েছে ওই চার্জশিটে। এর পর হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। আদালতে তাঁর বক্তব্য ছিল, তিনি জনপ্রতিনিধি। জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করতে হলে সরকারের আগাম অনুমতি নিতে হয়। ইডি তা করেনি।

    দিল্লির উপরাজ্যপালকে চিঠি ইডির

    মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। শীর্ষ আদালত জানিয়েছিল, কোনও জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে রাজ্য সরকারের সম্মতি ছাড়া আর্থিক তছরুপ প্রতিরোধ আইনে বিচারপ্রক্রিয়া শুরু করা যায় না। এর পরেই (Liquor Policy Case) আর্থিক তছরুপ প্রতিরোধ আইনে (পিএমএলএ) বিচারের অনুমতি চেয়ে দিল্লির উপরাজ্যপালকে চিঠি দেয় ইডি। সেই চিঠিতেও ইডি দাবি করে, আবগারি মামলায় কিংপিন ও মূল ষড়যন্ত্রকারী কেজরিওয়ালই।

    আরও পড়ুন: ভোকাট্টা.. ঘুড়ি উড়িয়ে মকর সংক্রান্তি উদযাপন করলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ

    গত ২১ মার্চ পিএমএলএ-এর অধীনে দিল্লির তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করে ইডি। পরে জামিনে মুক্তি পান তিনি। ১৭ মে একটি চার্জশিটে কেজরিওয়ালের নাম করেই ইডি দাবি করে, নির্দিষ্ট কিছু মদ ব্যবসায়ীকে সুবিধা পাইয়ে দিতে নেওয়া ১০০ কোটি টাকার মধ্যে ৪৫ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে গোয়া বিধানসভা নির্বাচনে প্রচার করতে। ইডির দাবি, কেজরিওয়াল জাতীয় আহ্বায়ক এবং আপের জাতীয় এক্সিকিউটিভ মেম্বার হিসেবে তহবিল ব্যবহারের জন্য চূড়ান্তভাবে দায়ী। তিনিই আপের নেপথ্যে থাকা মূল মস্তিষ্ক। বর্তমানে দিল্লির বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত কেজরিওয়াল। ঠিক এই সময়ই অমিত শাহের মন্ত্রকের অনুমোদনের দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী (Arvind Kejriwal) যে নতুন করে বিপাকে পড়লেন, তা বলাই বাহুল্য (Liquor Policy Case)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Russia Ukraine War: ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে গিয়ে মৃত্যু কেরলের যুবকের, রাশিয়াকে কড়া বার্তা কেন্দ্রের

    Russia Ukraine War: ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে গিয়ে মৃত্যু কেরলের যুবকের, রাশিয়াকে কড়া বার্তা কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়ার হয়ে যুদ্ধ (Russia Ukraine War) করতে গিয়ে মৃত্যু হল কেরলের এক যুবকের। এর ফলে ক্ষুব্ধ ভারত সরকার। রাশিয়ায় পাঠানো হল কড়া বার্তা। অবিলম্বে ভারতীয়দের, যারা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে সামিল, তাদের ফেরত পাঠাতে বলা হয়েছে বিদেশমন্ত্রকের তরফে। রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধে ভারতীয়রাও সামিল, এই খবর মিলেছিল আগেই। এর আগেও কমপক্ষে আটজন ভারতীয়ের যুদ্ধক্ষেত্রে মৃত্যুর খবর মিলেছিল। এবার কড়া ব্যবস্থা নিল ভারত সরকার।

    কড়া বার্তা দিল্লির

    দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা এই যুদ্ধে রুশ মিলিটারির (Russia Ukraine War) সাপোর্ট সার্ভিসে বহু ভারতীয়কে নিয়োগ করেছিল পুতিন সরকার। অধিকাংশকেই চাকরির টোপ দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। মস্কোয় পৌঁছে তাদের হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল বন্দুক। বিনা প্রশিক্ষণেই পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল যুদ্ধক্ষেত্রে (Indian in Russian Force)। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “মস্কোয় রুশ প্রশাসন এবং নয়াদিল্লিতে রাশিয়ার দূতাবাসে বিষয়টি জানানো হয়েছে। যে ক’জন ভারতীয় বর্তমানে রুশ সেনায় রয়েছেন, তাদের দ্রুত ফেরত পাঠানোর দাবি জানিয়েছি আমরা।”

    কাজের আসায় গিয়ে যুদ্ধক্ষেত্রে

    মৃত যুবকের নাম বিনিল টিবি। কেরলের ত্রিশূরের বাসিন্দা। পেশায় ইলেকট্রিশিয়ান বিনিল এক আত্মীয়ের সঙ্গে কাজের খোঁজে রাশিয়ায় (Russia Ukraine War) যান এজেন্ট মারফত। তারা ইলেকট্রিশিয়ান ও প্লাম্বিংয়ের কাজ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। রাশিয়ায় পৌঁছনোর পর তাঁদের পাসপোর্ট বাজেয়াপ্ত করে নেওয়া হয় এবং জোর করে যুদ্ধক্ষেত্রে পাঠানো হয়। জানা গিয়েছে, বিনিলকে নিয়ে রাশিয়া যাওয়া তাঁরই এক আত্মীয় জৈন টিবি এই ঘটনার পর আহত হয়েছেন। বর্তমানে মস্কোর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই যুবক। তিনিও রাশিয়ার ফ্রন্টলাইন সার্ভিসে ছিলেন বলে খবর। জৈনের বস ২৭, আর বিনিলের বয়স ৩২। তাঁদের দুজনেরই শিক্ষাগত যোগ্যতার বিচারে আইটিআই মেকানিক্যালের ডিপ্লোমা ছিল। গত ৪ এপ্রিল তাঁরা রাশিয়ায় গিয়েছিলেন। সেখানে ইলেকট্রিশিয়ান ও কল সারাইয়ের কাজ পাবেন, এমন আশা নিয়ে তাঁরা যুদ্ধে লিপ্ত রাশিয়ায় পাড়ি দেন। এর কয়েক মাস পরই এল এই শোকের খবর।

    বিদেশ মন্ত্রকের দাবি

    বিদেশ মন্ত্রকের কাছে ভারতীয় যুবকের মৃত্যু ও আরেক যুবকের আহত হওয়ার খবর মিলতেই তড়িঘড়ি পদক্ষেপ করা হয়। মস্কোয় ভারতীয় দূতাবাস মৃতের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। দ্রুত ওই যুবকের দেহ ভারতে ফেরানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। একইসঙ্গে ভারত সরকারের তরফে বাকি ভারতীয়দেরও রুশ সেনা (Indian in Russian Force) থেকে মুক্তি দিয়ে দেশে ফেরানোর বার্তা পাঠানো হয়েছে। রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “আমরা নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই। মস্কোয় আমাদের দূতাবাস পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করছে এবং সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। আমরা রুশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কাজ করছি যাতে মৃতদেহ দ্রুত ভারতে পাঠানো যায়। আমরা আহত ব্যক্তিরও দ্রুত মুক্তি এবং ভারতে প্রত্যর্পণ চেয়েছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Saline Controversy: ‘‘এটা মৃত্যু নয়, হত্যা”, স্যালাইনকাণ্ডে থানায় এফআইআর দায়ের বিজেপি বিধায়ক শঙ্করের

    Saline Controversy: ‘‘এটা মৃত্যু নয়, হত্যা”, স্যালাইনকাণ্ডে থানায় এফআইআর দায়ের বিজেপি বিধায়ক শঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্যালাইন নিষিদ্ধ (Saline Controversy) করার পরও এরাজ্যে কীভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে ‘বিষাক্ত’ স্যালাইন? সেই প্রশ্ন তুলে হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়েছে। দু’টি জনস্বার্থ মামলাই দায়ের করার অনুমতি দিয়েছে প্রধান বিচারপতি। এই আবহের মাঝে এবার স্যালাইন বিভ্রাটে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায়, স্যালাইন প্রস্তুতকারী সংস্থার বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করলেন শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ।

    কী বললেন বিজেপি বিধায়ক? (Saline Controversy)

    মঙ্গলবার দুপুরে শিলিগুড়ি থানায় পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যালের (Saline Controversy) বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন শঙ্কর ঘোষ। তিনি (Sankar Ghosh) বলেন, ‘‘এর আগে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল-সহ কিছু মেডিক্যাল কলেজে স্যালাইন প্রস্তুতকারী সংস্থার উৎপাদিত স্যালাইনের ব্যবহার বন্ধ করল। মৃত্যুও হয়েছিল উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল। তারপরেও এই সংস্থার স্যালাইন কীভাবে সব মেডিক্যাল সাপ্লাই দিল রাজ্য?’’ এ নিয়ে এদিন তিনি আরও  বলেন, ‘‘এই স্যালাইনের ব্যবহারেই অতীতের মৃত্যু হয়েছিল কিনা দেখা হোক। স্বতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিক সরকার। পাশাপাশি দোষীদের গ্রেফতারও করতে হবে।” তিনি বলেন, ‘‘এটা মৃত্যু নয়, হত্যা।’’ এই সংস্থার একটি অফিস শিলিগুড়িতে, সংস্থার আরেক ডিরেক্টর মুর্শিদাবাদের বহরমপুরের বাসিন্দা। তাঁর বিরুদ্ধেই মূলত অভিযোগ করেছেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি আগেই অভিযোগ করেছিলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যালের ডিরেক্টর বহরমপুরের মুকুল ঘোষ। তাঁর সঙ্গে সরাসরি কালীঘাটের যোগ রয়েছে। টাকার বিনিময়ে জাল ওষুধ সাপ্লাই করে। ডিসিজিআই-কে দিয়েও তদন্তের অনুরোধ করেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে।”

    ঠিক কী অভিযোগ?

    ২০২৪-এর মার্চ মাসেই কর্নাটক সরকার এই স্যালাইন (Saline Controversy) প্রস্তুতকারী সংস্থাকে নিষিদ্ধ বলে উল্লেখ করেছিলেন। ওই রাজ্যে চার প্রসূতির মৃত্যু হয়েছিল। তারপরই নিষিদ্ধ করার দাবি ওঠে। ডিসিজিআই-কে চিঠিও দিয়েছিলেন ওই রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী। কর্নাটক যে স্যালাইনের ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছিল, সেই স্যালাইন কেন রাজ্যের সরকারি হাসপাতালে রমরমিয়ে ব্যবহার করা হচ্ছে, তা নিয়ে অভিযোগ উঠেছে। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে মৃত্যু হয় এক প্রসূতির। এসএসকেএমে লড়াই চলছে আরও তিন প্রসূতির। জানা গিয়েছে, রবিবার রাতে গ্রিন করিডর করে ওই তিন প্রসূতিকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল থেকে নিয়ে আসা হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। আপাতত সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন তাঁরা। এই ঘটনার পর থেকে হাসপাতালের স্যালাইন (রিঙ্গার্স ল্যাকটেট) নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বস্তুত ‘রিঙ্গার্স ল্যাকটেট’ স্যালাইনের গুণমান নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় গত ১০ ডিসেম্বর ওই স্যালাইনের উৎপাদন ও সরবরাহ বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিল রাজ্যের ড্রাগ কন্ট্রোল। তারপরও কীকরে হাসপাতালে তা ব্যবহার করা হল তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jammu Kashmir: পাক অধিকৃত কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখায় ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণ, আহত ৬ সেনা

    Jammu Kashmir: পাক অধিকৃত কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখায় ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণ, আহত ৬ সেনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu Kashmir) নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলওসি) ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে আহত হয়েছেন ভারতীয় সেনার ছ’জন জওয়ান। তাঁদের রাজৌরি (Landmine Blast in Rajouri) জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আহতদের মধ্যে এক জনের আঘাত গুরুতর। মঙ্গলবার পাক অধিকৃত কাশ্মীর লাগোয়া রাজৌরি জেলার নওশেরার ভবানী সেক্টরে ওই ঘটনা ঘটেছে বলে ভারতীয় সেনার উত্তরাঞ্চলীয় (নর্দার্ন) কম্যান্ড সূত্রে জানা গিয়েছে। 

    কী ঘটেছিল?

    প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, এদিন সকাল ১০.৪৫ নাগাদ নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর গোর্খা রাইফেলসের জওয়ানরা টহল দিচ্ছিলেন। সেখানেই মাটিতে লুকনো ছিল ল্যান্ডমাইনটি। একজন সেনা জওয়ান ভুলবশত একটি ল্যান্ডমাইনের উপর পা দিয়ে দিলে বিস্ফোরণ ঘটে। জখমদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এক জনের আঘাত মারাত্মক হলেও বাকিদের অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানা গিয়েছে। এক সরকারি আধিকারিক জানিয়েছেন যে, অনুপ্রবেশ রোধে জম্মু ও কাশ্মীরের সীমান্তবর্তী নিয়ন্ত্রণ রেখা এলাকায় প্রায়শই ল্যান্ডমাইন পোঁতা থাকে। ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে কখনও ওই ল্যান্ডমাইনগুলি সরানোর কাজ চলে। যার ফলেই এ দিনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

    নাশকতার ছক!

    প্রসঙ্গত, এর আগে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে ওই এলাকাতেই ‘অ্যান্টি পার্সোনেল’ ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে এক সেনা জওয়ানের পা উড়ে গিয়েছিল। এবার অবশ্য, প্রাথমিক চিকিৎসার পর জওয়ানরা সকলেই সুস্থ রয়েছেন বলে খবর।  তবে পাক জেহাদিরা ছক কষেই নাশকতার জন্য ল্যান্ডমাইন সরিয়ে এনেছিল কি না তাও খতিয়ে দেখছে সেনা।  

     

    আরও পড়ুন: বিশ্বের আধ্যাত্মিক হৃদয় মহাকুম্ভ, প্রয়াগরাজের মহাতীর্থে মিশল ইউরোপ থেকে আমেরিকা

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: ভোকাট্টা.. ঘুড়ি উড়িয়ে মকর সংক্রান্তি উদযাপন করলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ

    Amit Shah: ভোকাট্টা.. ঘুড়ি উড়িয়ে মকর সংক্রান্তি উদযাপন করলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মকর সংক্রান্তির (Makar Sankranti) সকাল। ছাদে উঠে লাটাই হাতে ঘুড়ি ওড়াচ্ছিলেন একজন। সুতোয় টান দিয়েই যিনি ও..ওওওও.. বলে চিৎকার করে উঠলেন, তিনি আতিপাতি কেউ নন, হোমরাচোমরা ব্যক্তি, দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। মঙ্গলবার, মকর সংক্রান্তির সকালটা এভাবেই কাটালেন তিনি। কারও ঘুড়ি কেটে দেওয়ার পরেই যে তিনি শিশুর মতো উল্লাসে ফেটে পড়লেন, তা বলাই বাহুল্য। ভাইরাল হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ঘুড়ি ওড়ানোর দৃশ্য।

    ঘুড়ি ওড়ালেন শাহ (Amit Shah)

    মকর সংক্রান্তির দিন বাংলার অনেক জায়গায়ই ঘুড়ি ওড়ানো হয়। এদিন গুজরাটের আকাশেও পতপত করে উড়তে থাকে পেটকাটি, চাঁদিয়াল-সহ হরেক কিসিমের ঘুড়ি। তেমনই একটা ঘুড়ি উড়িয়ে, ‘শৈশবে’র দিনগুলিতে ফিরে গেলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এদিন আমদাবাদের শান্তিনিকেতন সোস্যাইটির ছাদে ঘুড়ি ওড়ান শাহ। তিনি আমদাবাদের সাংসদও। সাংসদকে ছাদে উঠে ঘুড়ি ওড়াতে দেখে আশপাশের বাড়ির ছাদে থাকা লোকজন হাত নেড়ে মকর সংক্রান্তির শুভেচ্ছা জানান তাঁকে। এদিন শাহের (Amit Shah) সঙ্গে ছাদে ছিলেন তাঁর স্ত্রী এবং গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেলও। প্রসঙ্গত, ১৪ তারিখ থেকে তিনদিনের গুজরাট সফরে গিয়েছেন শাহ।

    স্মৃতির সাগরে ডুব মোদির

    এদিন স্মৃতির সাগরে ডুব দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। ‘উত্তরায়ণ’ (মকর সংক্রান্তিকে এই নামেই ডাকা হয় গুজরাটে) এর স্মৃতিচারণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ভারতীয় সংস্কৃতিতে মকর সংক্রান্তির গুরুত্ব যে কতটা, সেটা সকলে জানেন।” তিনি বলেন, “আমি তো গুজরাটের লোক। আমার প্রিয় উৎসব মকর সংক্রান্তি ছিল। কারণ আজ গুজরাটের সব লোক ছাদেই থাকেন। দিনভর ঘুড়ি ওড়ান। আমি যখন ওখানে থাকতাম, তখন আমারও খুব শখ ছিল।”

    আরও পড়ুন: দেশে সত্যিকারের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল রাম মন্দির প্রতিষ্ঠার দিন, বললেন ভাগবত

    গুজরাটে ঘুড়ি একটা বিরাট ব্যবসা। দেশের ৪০ শতাংশ ঘুড়ি তৈরি হয় এ রাজ্যে। ঘুড়ি ওড়ানোর জন্য মকর সংক্রান্তিতে (Makar Sankranti) ছাদ ভাড়া দেওয়া হয়। ঘুড়ি (Amit Shah) ওড়ানো চলে দুদিন ধরে। আকাশে ঘুড়ির এই মেলা দেখতে ভিড় করেন পর্যটকরাও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

       

  • Balurghat: নদীতে ডুব দিয়ে পুণ্যার্থীরা হাজির হন বালুরঘাটের গঙ্গাসাগর মেলায়

    Balurghat: নদীতে ডুব দিয়ে পুণ্যার্থীরা হাজির হন বালুরঘাটের গঙ্গাসাগর মেলায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের কুম্ভ মেলায় ভিড়। ভিড় এ রাজ্যের গঙ্গাসাগরেও। পুণ্য স্নান করতে  বালুরঘাটের (Balurghat) অনেক মানুষই যেতে পারছেন না গঙ্গা সাগরে। তাই দুধের স্বাদ ঘোলে মেটাতেই বালুরঘাটের গঙ্গাসাগরে (Ganga Sagar 2025) ভিড় বাড়ছে পুণ্যার্থীদের। মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে মেলা। এদিন সকালেই আত্রেয়ী নদীতে পুণ্যস্নান করতে দেখা গেল বহু পুণ্যার্থীদের।

    পুণ্য লাভের আশায় ভিড় হয় মেলায়! (Balurghat)

    বালুরঘাট (Balurghat) শহর থেকে খানিক দূরে গঙ্গাসাগর গ্রাম। শুধুমাত্র নামের মাহাত্ম্যেই গঙ্গাসাগর গ্রামে মকর সংক্রান্তিতে পুণ্যস্নান হয়ে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। কথায় আছে “সব তীর্থ বার বার, গঙ্গাসাগর একবার”  অর্থাৎ গঙ্গাসাগরে একবার পুণ্য স্নান করলে সমস্ত তীর্থের পুণ্য অর্জন হয়। ওই গ্রামে রয়েছে কপিল মুনির আশ্রম। যাকে কেন্দ্র করে বসেছে মেলা। মেলার পাশেই বয়ে গেছে বালুরঘাটের আত্রেয়ী নদী। সেই নদীতে স্নানের জন্য ভিড় করেন পুণ্যার্থীরা। অনেকেই বলছেন, কুম্ভ মেলা ও গঙ্গাসাগরের মেলায় যেতে না পারলেও  বালুরঘাটের গঙ্গাসাগরেই স্নান করে পুণ্য অর্জন করছেন ভক্তরা। মকর সংক্রান্তির দিন দক্ষিণ ২৪ পরগনার গঙ্গাসাগরেও পুণ্য স্নান করতে লক্ষাধিক মানুষের সমাগম হয়ে থাকে প্রতিবছর।  কিন্তু আর্থিক কারণে অনেকেই সেই গঙ্গাসাগরে যেতে পারেন না। তাঁরা ভিড় করেন দক্ষিণ দিনাজপুরের এই মেলায়।

    কপিল মুনির মন্দির কবে গড়ে উঠেছিল?

    দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট (Balurghat) শহর থেকে মাত্র ৮ কিলোমিটার দূরে আত্রেয়ী নদীর পশ্চিম পাড়ে অবস্থিত গঙ্গাসাগর গ্রাম। নাম মাহাত্ম্যের কারণে আজ থেকে প্রায় বিয়াল্লিশ বছর আগে গ্রামের বয়স্করা এখানেও গঙ্গাসাগরের মতো কপিল মুনির মন্দির গড়ে তোলার পাশাপাশি চালু করেন মন্দিরের পাশে নদীতে স্নান করে মন্দিরে পুজো দেওয়ার রীতি। ধীরে ধীরে গঙ্গাসাগর গ্রামের এই পুণ্য স্নানের কথা ছড়িয়ে পড়ে জেলা এবং জেলার বাইরে। প্রতিবছর বালুরঘাট সহ দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা এবং জেলা বাইরের বহু মানুষের সমাগম হয়ে থাকে মকর সংক্রান্তির পুণ্যস্নান করতে। মকর সংক্রান্তি উপলক্ষে প্রতিবছর তিনদিনের মেলা বসে গঙ্গাসাগর গ্রামে। তিন দিনব্যাপী চলে মন্দির ঘিরে নাম সংকীর্তন।

    পুণ্যার্থীর বক্তব্য

    মালদা থেকে এই মেলায় এসেছিলেন রতন দাস। তিনি বলেন, দক্ষিণ ২৪ পরগনার গঙ্গাসাগরে পুণ্য স্নান করতে যাওয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব না। যেহেতু এই জায়গার নাম গঙ্গাসাগর। তাই আমরা বালুরঘাটের (Balurghat) গঙ্গাসাগরে এসে পুণ্য স্নান  করলাম। এইখানে স্নান করলেও পুণ্য হয়। উৎসব কমিটির সদস্য প্রবীর প্রামাণিক জানান, ৪২ বছর ধরে এখানের মকর সংক্রান্তির স্নান হয়ে আসছে। মানুষ বিশ্বাস করে এই গঙ্গাসাগরে স্নান করলে পুণ্য হয়। তাই হাজার হাজার মানুষ  স্নান করেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladeshi Illegal Immigrants: তামিলনাড়ুতে ৩১ জন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে আটক করল এটিএস

    Bangladeshi Illegal Immigrants: তামিলনাড়ুতে ৩১ জন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে আটক করল এটিএস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তামিলনাড়ু (Tamil Nadu) থেকে ৩১ জন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে (Bangladeshi Illegal Immigrants) আটক করেছে এটিএস। জানা গিয়েছে, তারা পশ্চিমবঙ্গ সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছিল। তামিলনাড়ুর তিরুপুর এবং কোয়েম্বত্তুর জেলার গ্রামীণ এলাকা থেকে এই সন্দেহভাজনদের গ্রেফতার করা হয়েছে। উল্লেখ্য গত ৫ অগাস্ট থেকে হাসিনাকে বিতাড়িত করার পর বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে অস্থিরতা চলছে। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তকে অনুপ্রবেশের মুক্তাঞ্চল করে নাশকতামূলক চক্রান্তের ছক কষে জঙ্গি কার্যকলাপকে সক্রিয় করা হচ্ছে বলে মনে করেছেন বিশেষজ্ঞ মহল। 

    পোশাক কারখানায় কর্মরত ছিলেন অনুপ্রবেশকারীরা (Bangladeshi Illegal Immigrants)

    গোয়েন্দাদের তথ্য সূত্রে জানা গিয়েছে, এটিএস-এর মোট ৫টি টিম বিশেষ অভিযান চালিয়ে অনুপ্রবেশকারীদের (Bangladeshi Illegal Immigrants) গ্রেফতার করেছে। আরও জানা গিয়েছে, মাত্র কয়েক মাস আগেই এই জঙ্গিরা এই এলাকায় বসবাস শুরু করেছিলেন। তিরুপুর জেলার পাল্লাদাম এলাকা থেকে ২৮ জন এবং বীরপান্ডি এবং নাল্লুর থানায় মোট ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিরুপুরে পোশাক কারখানায় কর্মরত ছিলেন এই অনুপ্রবেশকারীরা। বাংলাদেশ থেকে এই অনুপ্রবেশকারীরা পশ্চিমবঙ্গের সীমান্ত দিয়ে প্রথমে পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করে, এরপর জাল নথি তৈরি করে আধার কার্ড বানিয়ে তিরুপুরে (Tamil Nadu) চলে যায়। গোটা অভিযানে নেতৃত্ব দিয়েছেন আনন্দকুমার তিরুপতি এবং এরপর তিনি পাল্লাদম পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

    আরও পড়ুন: ‘‘জেলবন্দি পার্থর সঙ্গে মোবাইলে কথা বলেন মমতা”, বিস্ফোরক অভিযোগ শুভেন্দুর

    নাশকতামূলক চক্রান্তের পরিকল্পনা?

    বাংলাদেশের (Bangladeshi Illegal Immigrants) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে মহম্মদ হিউনূস ক্ষমতায় বসার পর থেকেই লাগাতার হিন্দু এবং আওয়ামি লিগকে টার্গেট করছে কট্টর মৌলবাদীরা। দেশের একাধিক কারাগার ভেঙে জঙ্গিরা উন্মুক্ত হয়ে পড়েছে, জামাত শিবির এবং জেএমবির জঙ্গিরাও অতি সক্রিয় উঠেছে। তাঁরা ভারতে ঢুকে নাশকতা মূলক চক্রান্তের পরিকল্পনা করছে বলে গোয়েন্দা সূত্রে খবর। ইতিমধ্যে এই ভাবে ভারতে অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন নিরাপত্তা উপদেষ্টারা। ইতিমধ্যে সীমান্তে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • IIT Baba: মনের শান্তির খোঁজে নিয়েছিলেন সন্ন্যাস! মহাকুম্ভে হাজির ‘আইআইটি বাবা’

    IIT Baba: মনের শান্তির খোঁজে নিয়েছিলেন সন্ন্যাস! মহাকুম্ভে হাজির ‘আইআইটি বাবা’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারোটি পূর্ণ কুম্ভের পর প্রয়াগরাজে শুরু হয়েছে মহাকুম্ভ মেলা। এই মেলায় সাধারণ সাধুসন্ত থেকে শুরু করে কোটি কোটি পুণ্যার্থী ভিড় জমিয়েছেন। এসেছেন বহু বিদেশি পর্যটকেরাও। মেলা শুরু হতেই দেখা গিয়েছে বহু বাবা। বাবাদের দেখতে ভিড় উপচে পড়ছে। অনেকে নাগা বাবাদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে রোষের মুখে পড়ছেন। সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়ে পড়ছে। এবার মহাকুম্ভে (Maha Kumbha 2025) এই সব বাবাদের মধ্যে নজর কেড়েছে আরও এক বাবা। ‘আইআইটি বাবা’ (IIT Baba)। এক সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে ‘আইআইটি বাবা’ জানিয়েছেন, তিনি আইআইটি পাশ করে ভালো চাকরি না করে সাধু বাবা হয়ে গিয়েছেন। আর এই সাক্ষাৎকার নেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সেই ভিডিও ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। আইআইটি ইঞ্জিনিয়ারের লক্ষ টাকার চাকরি ছেড়ে সাধুবেশ ধারণ করেছেন তিনি।

    মহাকুম্ভ মেলায় ‘আইআইটি বাবা’ (IIT Baba)

    জানা গিয়েছে, ‘আইআইটি বাবা’-র (IIT Baba) প্রকৃত নাম অভয় সিং। সংসারের মায়া ত্যাগ করে সাধু হওয়ার পর তাঁর নাম হয় মাসানি গোরখ বাবা। প্রথম দিনেই তিনি মহাকুম্ভ মেলায় হাজির হয়েছেন। জানা যাচ্ছে, তিনি আইআইটি থেকে অ্যারোস্পেস এবং অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং করেছেন। তাঁর বাড়ি হরিয়ানা। ইঞ্জিনিয়ার থেকে সন্ন্যাসীতে পরিণত হওয়ার পিছনের গল্পটিও খুব আকর্ষণীয়। তাঁর ইচ্ছা ছিল ফটোগ্রাফি করার। ফটোগ্রাফিতে চাকরির জন্য ডিগ্রির প্রয়োজন ছিল। এমন পরিস্থিতিতে এক বছর কোচিংও পড়িয়েছেন তিনি। বাবার কথায়, তাঁর গল্পটা অনেকটা হিন্দি সিনেমা ‘থ্রি ইডিয়টস’-এর মতো। সাক্ষাৎকারে বাবা তাঁর জীবনের অনেক গোপন কথা জানান। জীবনের অর্থ খোঁজার জন্য-আধুনিকতাবাদ এবং সক্রেটিস এবং প্লেটোর মতো দার্শনিক ধারণাগুলি নিয়েছিলেন।

    কী বললেন আইআইটি বাবা?

    তিনি বলেন, ‘‘আইআইটি (IIT Baba) মুম্বইয়ে ৪ বছর পড়ার পরে আমি কোচিতে পদার্থবিজ্ঞান পড়িয়েছি। আবেগের কারণে ফটোগ্রাফি শিখেছিলাম। আমি ডিজাইনিংয়ে মাস্টার্স ডিগ্রি করেছি। এত কিছু করার পরও কোথাও মন বসছিল না। আমার ভিতরে দুশ্চিন্তা বাড়তে থাকে।” তাঁর কথায়,‘‘আর কী করব। এর পর আমার মনে হল ফটোগ্রাফি করা উচিত। ট্রাভেল ফটোগ্রাফি শুরু করলাম। মনে হচ্ছিল আমি এই স্বপ্নে জীবন যাপন করব। ঘোরাঘুরি করব, সব জায়গায় যাব এবং অনেক মজা করব এবং অর্থ উপার্জনও করব।” বাবাকে যখন প্রশ্ন করা হয়, ইঞ্জিনিয়ারিং ও ফটোগ্রাফি করে এই অবস্থায় পৌঁছেছেন কীভাবে? এই বিষয়ে বাবা খুব স্পষ্ট করে বললেন, ‘‘এটাই শ্রেষ্ঠ পথ। যা কিছু কর, এখানেই আসতে হবে। আমি এখন বুঝতে পেরেছি যে এটিই আসল জ্ঞান। যদি আপনি মনকে বুঝতে পারেন, তবে আপনি এটি করতে পারেন (আধ্যাত্মিকতার মাধ্যমে)।”

    মুখে হাসি লেগেই রয়েছে বাবার

    ইতিমধ্যেই এই ভিডিও (IIT Baba)  ছড়িয়ে পড়েছে নেট দুনিয়ায়, সেখানে দেখা যাচ্ছে ওই সাধু পরে রয়েছেন গেরুয়া রঙের বস্ত্র। মাথা ভর্তি চুল। গলায় রকমারি পাথরের মালা। এক মুখ দাড়ি। কপালে সাদা ছাই ভস্ম। সঙ্গে লাল তিলক কাটা রয়েছে কপালে। মুখে সদাহাসি লেগেই রয়েছে। নিজেই অকপটে তাঁর জীবন কাহিনী বলে চলেছেন। লক্ষ লক্ষ টাকার চাকরি করে বিলাসবহুল জীবনযাপন করতে পারতেন তিনি। সব কিছু ছেড়ে তিনি এই সাধু বেশেই দিব্যি আছেন।

    এবারে ১৩ জানুয়ারি থেকে মহাকুম্ভ মেলা শুরু হয়েছে। ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কুম্ভমেলা চলবে। ১৩ তারিখ পূর্ণ স্নানে প্রায় ৬০ লক্ষ পুণ্যার্থীর সমাগম হয়েছে। ১৪ তারিখও লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থী শাহি স্নানে অংশগ্রহণ করেন। ১৪৪ বছর পর এই মহাকুম্ভ মেলা হচ্ছে। ৪০০০ হেক্টর এলাকা জুড়ে হয়েছে আয়োজন। যোগী সরকারের পক্ষ থেকে বিশেষ আয়োজন করা হয়েছে। মেলায় প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থীর থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সাধুসন্ত-সহ বছর বছর এই মেলায় কমপক্ষে ৪৫ কোটি মানুষ অংশ নেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এবারের কুম্ভমেলায় নানা বেশে হাজির হয়েছেন সাধু-সন্তরা।

     

    .দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share