Tag: Madhyom

Madhyom

  • NIA: বিজেপি নেতা প্রিয়াঙ্কু পাণ্ডের গাড়িতে গুলি, এনআইএ-র হাতে গ্রেফতার তৃণমূল কর্মী

    NIA: বিজেপি নেতা প্রিয়াঙ্কু পাণ্ডের গাড়িতে গুলি, এনআইএ-র হাতে গ্রেফতার তৃণমূল কর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভাটপাড়ায় অর্জুন সিং ঘনিষ্ঠ বিজেপি নেতা প্রিয়াঙ্কু পাণ্ডের গাড়িতে গুলি চালানোর ঘটনায় এক তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার করল এনআইএ (NIA)। মহম্মদ আমিন ওরফে সোনু নামে ওই তৃণমূল কর্মীকে বহুদিন ধরেই খুঁজছিলেন তদন্তকারীরা। ধৃতকে জেরা করে এই ঘটনায় কার হাত রয়েছে তা জানার চেষ্টা চলছে। জানা যাচ্ছে, এর আগেও আমিনকে ২-৩ বার নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। সেই নোটিশে সাড়া দেননি আমিন। অবশেষে তাকে গ্রেফতার করা হল। গ্রেফতারির পর প্রিয়াঙ্কু পাণ্ডে বলেন, ঘটনায় যে তৃণমূলের হাত রয়েছে এটা অন্তত স্পষ্ট হল।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল? (NIA)

    গত ২৮ অগাস্ট বিজেপির ডাকা বাংলা বনধের সকালে ভাটপাড়ায় বিজেপি নেতা প্রিয়াঙ্কু পাণ্ডের গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চলে। বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে গাড়ি লক্ষ্য করে ৭-৮ রাউন্ড গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। গুলিতে আহত হন গাড়ির চালক। সেই ঘটনার এনআইএ (NIA) তদন্তের দাবিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন প্রিয়াঙ্কু। সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। এর পর তদন্তে নেমে ভিডিও ফুটেজ দেখে আততায়ীদের শনাক্ত করে এনআইএ। এর পরই মহম্মদ আমিন ওরফে সোনু নামে এক তৃণমূল কর্মীকে খুঁজছিল তারা। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে এর আগেও তার বাড়িতে অভিযান চালিয়েছিলেন গোয়েন্দারা। আমিন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকদের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন।

    আরও পড়ুন: পৌষ পার্বণে ঘরে ঘরে পিঠে-পুলির উৎসব, কেন মকর সংক্রান্তিতে পিঠে খাওয়া হয়?

    কীভাবে গ্রেফতার করা হল তৃণমূল কর্মীকে?

    এর আগেও আমিনকে ধরতে বাড়ি ঘিরে ফেলেন এনআইএ (NIA) আধিকারিকরা। কিন্তু, আমিন বাড়ির পিছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যান। মঙ্গলবার ভোর রাতে আবারও তাঁর বাড়িতে অভিযান চালায় এনআইএ। আমিনের বাড়ি ঘিরে ফেলেন আধিকারিকরা। তাঁর পালানোর আর কোনও অবকাশই ছিল না। বাড়ি থেকেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। আমিনকে গ্রেফতার করলেই বড় মাথার হদিশ পেতে পারেন তদন্তকারীরা। এর পিছনে কারা রয়েছেন, কারা ছক করেছিলেন প্রিয়াঙ্কু পাণ্ডেকে খুন করার, তা জানার চেষ্টা করবেন তদন্তকারীরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mahakumbh Mela 2025: প্রথম দিনেই সুপারহিট এআই, দেড় ঘণ্টায় উদ্ধার মহাকুম্ভে হারিয়ে যাওয়া ২৫০ জন

    Mahakumbh Mela 2025: প্রথম দিনেই সুপারহিট এআই, দেড় ঘণ্টায় উদ্ধার মহাকুম্ভে হারিয়ে যাওয়া ২৫০ জন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৪৪ বছর পর পূর্ণ মহাকুম্ভের (Mahakumbh Mela 2025) প্রথম দিনেই সুপারহিট। ২৫০ জন নিখোঁজ পুণ্যার্থীকে ডিজিটাল (Digitally Found) উপায়ে খোঁজ করে অনন্য নজির গড়ল কুম্ভমেলা প্রশাসন এবং উত্তরপ্রদেশের যোগী প্রশাসন। কুম্ভ মেলায় হারিয়ে যাওয়াটা ভারতীয় সংস্কৃতিতে একটা প্রবাদে পরিণত হয়েছে। অর্থাৎ, কুম্ভে এলে হারিয়ে যাবেই! এবার এই সমস্যার সমাধানে বিরাট সাফল্য পেয়েছে মহাকুম্ভে। জীবনভর খোঁজ না মেলার এই লোকশ্রুতিকে ভুল প্রমাণিত করেছে ডিজিটাল পদ্ধতি। পুলিশ প্রশাসনও সবরকম সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে আরও সুশৃঙ্খল করেছে মেলাকে। মহাকুম্ভে প্রথম দিন ছিল পৌষ পূর্ণিমা। জানা গিয়েছে, মোট দেড় কোটি ভক্ত ত্রিবেণী সঙ্গমে পবিত্র পুণ্যস্নান করেছেন। মেলা চলবে আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি মহাশিবরাত্রি পর্যন্ত। আনুমানিক ৪০-৪৫ কোটি ভক্ত এই ত্রিবেণী সঙ্গমে স্নান করবেন।  

    ‘ভুলা-ভাটকা ক্যাম্প’ (Mahakumbh Mela 2025)

    এই বিরাট হিন্দু মেলাকে (Mahakumbh Mela 2025) সুপরিকল্পিত ভাবে পরিচালনা করার জন্য ‘ভুলা-ভাটকা ক্যাম্প’, পুলিশ সহায়তা কেন্দ্র এবং মেলার জন্য বিশেষভাবে নির্মিত ওয়াচ টাওয়ারে কর্মীদের মোতায়েন সহ বেশ কয়েকটি ভিড় নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ নিয়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। হারিয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে বিশেষ করে শিশু এবং মহিলাদের এই শিবিরগুলি থেকে সামাজিক মাধ্যমে ডিজিটাল উপকরণ ব্যবহার করে খোঁজ করার সন্ধান (Digitally Found) করার প্রক্রিয়া চালানোর কাজ করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।

    মোট ১০টি শিবির

    উত্তরপ্রদেশ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই বিরাট কুম্ভমেলায় (Mahakumbh Mela 2025) মোট ১০টি ‘খোয়া-পাওয়া’ অর্থাৎ হারানো এবং প্রাপ্তির কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। এই শিবিরগুলিতে আধুনিক সবরকম সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সকল তীর্থযাত্রীদের জন্য যে কোনও সহায়তা প্রধান করা হবে এই জায়গাগুলিতে। মহিলা ও শিশুদের জন্য প্রতীক্ষালয়, ডাক্তারি চিকিৎসার ব্যবস্থা এবং বিনোদনের জন্য নানা উপকরণের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

    প্র্যত্যেক শিবিরে ৫৫ ইঞ্চির লাইভ স্ক্রিন

    উত্তরপ্রদেশ এডিজি ভানু ভাস্কর বলেন, “প্রত্যেক শিবিরে ৫৫ ইঞ্চির একটা করে লাইভ স্ক্রিন লাগানো হয়েছে। সাধারণ নাগরিকদের সঙ্গে যার মাধ্যমে দ্রুত সম্পর্ক স্থাপন করা যাবে। মেলায় (Mahakumbh Mela 2025) হারিয়ে যাওয়া কোনও হারানো এবং প্রাপ্তির খবর সম্প্রচার করা হবে। নিখোঁজকে খুঁজে পেতে ফেসবুক, এক্স, হোয়াটসঅ্যাপ-সহ আরও একাধিক সামজিক মাধ্যমে ব্যাপক ভাবে প্রচার-প্রসার করা হবে। একই ভাবে স্নানের জন্য কেন্দ্রীয় ঘাট ব্যবস্থা এবং গুরুত্বপূর্ণ পথনির্দেশিকা দেওয়া হবে।”

    কীভাবে খোঁজ করা হয়?

    পাশাপাশি এই সহায়তা কেন্দ্রগুলি থেকে হারিয়ে যাওয়া ব্যক্তি এবং বস্তু সম্পর্কে যে ডিজিটাল রেকর্ড করা সংগ্রহ করা হয়েছিল সেগুলিকে প্রথমে কম্পিউটারাইজড রসিদ এবং ছবি সমেত ওই ৫৫ ইঞ্চি স্ক্রিনে দেখানো হবে। এরপর একে একে সমস্ত আধুনিক প্রযুক্তিতে সব জায়গায় তা প্রদর্শন করা হবে। নিখোঁজ সম্পর্কে স্ক্রিনে দেখে শিবিরে গেলে প্রশাসনের সহযোগিতায় হারিয়ে যাওয়া ব্যক্তির সন্ধান পাওয়া যাবে। শুধু যে মানুষ নিখোঁজকেই সন্ধান করা হবে তাই নয়, মোবাইল, মানিব্যাগ, প্রয়োজনীয় সামগ্রীও একই ভাবে সন্ধান (Digitally Found) করার কাজে পরিষেবা মিলবে।

    মাত্র দেড় ঘণ্টায় খোঁজ মেলে

    কুম্ভমেলায় (Mahakumbh Mela 2025) নিজের বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া পরিজনদের দ্রুত খুঁজে (Digitally Found) দিতে লাগাতার মাইকে ঘোষণার প্রক্রিয়ায়ও করা হয়েছে। পুলিশের সঙ্গে সিভিল ডিফেন্সের সঙ্গে থাকা কর্মীরাও খোঁজে বিরাট ভূমিকা রাখছেন। এই কাজের জন্য মেলার মাঠে তথ্য অনুসন্ধান কেন্দ্রের স্থাপন করা হয়েছে। আবার উত্তরপ্রদেশ সিভিল ডিফেন্স কর্মী নীতেশ কুমার দ্বিবেদী প্রথম দিনেই মেলার সাফল্য নিয়ে বেশ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, “মহাকুম্ভের এই বিরাট আয়োজনে অনেক হারিয়ে যাওয়া ব্যাক্তিকে তাঁদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। মাত্র দেড় ঘণ্টায় আমাদের সিভিল ডিফেন্স কর্মীরা উদ্যোগী হয়ে ২০০-২৫০ জনকে তাঁদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার কাজ সম্পন্ন করেছেন। তবে কাজটি কঠিন হলেও প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি আমাদের ব্যাপক সহযোগিতা করেছে।” একই ভাবে মেলায় হারিয়ে যাওয়া দিল্লি থেকে আসা তীর্থযাত্রী অজয় গোয়েল জানান, মাত্র এক ঘণ্টার মধ্যে পরিবারের লোকজনের কাছে ফিরে যেতে সক্ষম হয়েছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Retail Inflation: গত চার মাসে সর্বনিম্ন খুচরো মুদ্রাস্ফীতি, সস্তা হয়েছে জিনিসপত্র, দাবি কেন্দ্রের

    Retail Inflation: গত চার মাসে সর্বনিম্ন খুচরো মুদ্রাস্ফীতি, সস্তা হয়েছে জিনিসপত্র, দাবি কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত চার মাসের মধ্যে ডিসেম্বরেই খুচরো বাজারে সামান্য কমেছিল জিনিসপত্রের দাম। ১৩ জানুয়ারি কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স (CPI) প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেখানে বলা হয়েছে, ডিসেম্বরে কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স দাঁড়িয়েছিল ৫.২২ শতাংশে (Retail Inflation)। তার ঠিক আগের মাসে এই হার ছিল ৫.৪৮ শতাংশ। এর (Inflation) অর্থ হল, নভেম্বরের তুলনায় ডিসেম্বরে খুচরো বাজারে সামান্য হলেও কমেছে জিনিসপত্রের দাম।

    কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স (Retail Inflation)

    খুচরো মুদ্রাস্ফীতির হার পরিমাপ করা হয় ‘কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স’-এর মাধ্যমে। এই মুদ্রাস্ফীতিকে ২ থেকে ৬ শতাংশের মধ্যে আটকে রাখাই লক্ষ্য রিজার্ভ ব্যাঙ্কের। গত অক্টোবরে কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স ছিল ১৪ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। এই সূচক ছিল ৬.২১ শতাংশ। কমতে কমতে ডিসেম্বরে তা ঠেকেছে ৫.২২ শতাংশে। কেন্দ্রের দাবি, ডিসেম্বরে কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স নিম্নমুখী হওয়ার মূল কারণ খাদ্যদ্রব্যের মূল্য হ্রাস। গত মাসে শাক-সবজি, ডাল, চিনি এবং দানা শস্যের দাম কমেছে উল্লেখযোগ্যভাবে। চিনির দর কমায় সস্তা হয়েছে মিষ্টি। এদিন শহর ও গ্রামের মুদ্রাস্ফীতির হারের তথ্যও প্রকাশ করেছে কেন্দ্র। জানা গিয়েছে, গ্রামীণ এলাকায় মুদ্রাস্ফীতির হার ৫.৭৬ শতাংশ। শহরে এই হার ৪.৫৮ শতাংশ (Retail Inflation)।

    আরও পড়ুন: দেশে সত্যিকারের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল রাম মন্দির প্রতিষ্ঠার দিন, বললেন ভাগবত

    কেন্দ্রের রিপোর্ট

    স্ট্যাটিস্টিক্স মন্ত্রকের প্রকাশিত ওই রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, খাদ্য ও পানীয় বিভাগে খুচরা মুদ্রাস্ফীতির হার ২০২৪ সালে ধারাবাহিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছিল। ডিসেম্বরে এই হার বার্ষিক ৭.৬৯ শতাংশে নেমে এসেছে। তার আগের মাসে এই হার ছিল ৮.২ শতাংশ। আনাজপাতির মুদ্রাস্ফীতির ধীরগতির কারণে খাদ্যদ্রব্যের মূল্যও হ্রাস পেয়েছে। গত বছরের ডিসেম্বরে এই হার ছিল ২৬.৫৬ শতাংশ। তার আগের মাসে এই হার ছিল ২৯.৩৩ শতাংশ। মূল্য বৃদ্ধির হার ধীরগতির হলেও, গ্রাহক মূল্য সূচক-ভিত্তিক খুচরো মুদ্রাস্ফীতির হার (রিটেল প্রাইস ইনডেক্স) ভারতের রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ৪ শতাংশ সহনশীলতার স্তরের ওপরে ছিল। এ ক্ষেত্রে উভয় দিকেই দু’শতাংশের বিচ্যুতিও সহনশীলতার স্তরের। প্রসঙ্গত (Inflation), স্টিকি ফুড মূল্যস্ফীতি, যা পরিবারের বাজেটকে প্রভাবিত করেছে, তা রিজার্ভ ব্যাঙ্কের একটি প্রধান উদ্বেগের বিষয় (Retail Inflation)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: সংক্রান্তিতে উধাও শীত! কলকাতার পারদ চড়ল ২.৪ ডিগ্রি, ফের কবে নামবে তাপমাত্রা?

    Weather Update: সংক্রান্তিতে উধাও শীত! কলকাতার পারদ চড়ল ২.৪ ডিগ্রি, ফের কবে নামবে তাপমাত্রা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাকভোরে মকর সংক্রান্তির (Weather Update) স্নানের সময়ে বইবে কনকনে উত্তরে হাওয়া, হাড়-হিম করা ঠান্ডায় জমে যাবে হাত-পা, এমনই রীতি। তবে এবছর তেমনটা হল না। এদিন ভোরে কলকাতার তাপমাত্রা ছিল ১৬.৬ ডিগ্রি। সোমবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা (Kolkata Winter) ছিল ১৪.২ ডিগ্রি। সেখানে আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বেড়ে ১৬.৬ ডিগ্রিতে ঠেকেছে। অর্থাৎ তাপমাত্রা বেড়েছে ২.৪ ডিগ্রি। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৫.৩ ডিগ্রিতে ঠেকেছে। যা স্বাভাবিকের থেকে ০.৫ ডিগ্রি বেশি।

    তৃতীয় উষ্ণতম সংক্রান্তির রেকর্ড

    সার্বিকভাবেই উষ্ণতর হচ্ছে আবহাওয়া (Weather Update)। চলতি শীতে, ক’দিন কনকনে ঠান্ডা পড়েছে, তা হাতে গুনে বলা সম্ভব। সংক্রান্তিও উষ্ণ। গত ১২ বছরের মধ্যে এদিন তৃতীয় উষ্ণতম সংক্রান্তি বাংলায়। তবে গত কয়েক বছরের রেকর্ডও খুব একটা ভালো নয়। ২০২১ সালে সংক্রান্তির দিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২০২২ সালে ছিল ১৮.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস আর ২০২৩ সালে সব রেকর্ড ভেঙে গিয়েছিল। ১৯.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছিল সংক্রান্তির তাপমাত্রা। আর এবার তাপমাত্র ১৬.৬ ডিগ্রি, যা স্বাভাবিকের থেকে বেশি। 

    কবে ফিরবে ঠান্ডা

    আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, আগামী ৪ থেকে ৫ দিন তাপমাত্রার কোনও বড় পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই। ১৮ জানুয়ারির আগে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে (Weather Update) সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কমার কোনও ইঙ্গিত নেই। তবে সপ্তাহ শেষে দুর্দান্ত কামব্যাক করতে পারে শীত। আগামী শনিবার থেকে সোমবার পর্যন্ত রাজ্যে শীতের জমাটি আমেজ ফেরার সম্ভাবনা। আবহবিদদের কথায়, ‘ফের পশ্চিমী ঝঞ্ঝার গেরোয় আটকে গিয়েছে শীত। আর সেই কারণেই শুক্রবারের আগে ঠান্ডা উত্তুরে হাওয়া রাজ্যে ঢুকতে পারছে না। আগামী শনিবার থেকে ধীরে ধীরে ঠান্ডা ফিরবে। কারণ সেই সময়ে এই ঝঞ্ঝার প্রভাব কাটার আশা রয়েছে। তবে সেই সময়ে শীতের দাপট কতটা হবে এবং শীত কতদিন স্থায়ী হবে, সেই পূর্বাভাস এখনও নির্দিষ্ট করে দেয়নি আলিপুর আবহাওয়া দফতর। 

    আরও পড়ুন: পোখরানে সফল পরীক্ষা, নির্ভুল লক্ষ্যভেদ অ্যান্টি ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইল ‘নাগ মার্ক ২’ ক্ষেপণাস্ত্রের

    রাজ্য শীতের ছোঁয়া, কুয়াশার চাদর

    মকর সংক্রান্তিতে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির (Weather Update) কোনও সম্ভাবনা নেই। সব জেলার (কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়া) আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। উত্তরবঙ্গের প্রতিটি জেলার (দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদা) আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। কলকাতার আকাশ মূলত পরিষ্কার থাকবে। বুধবার সকালের দিকে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার এবং উত্তর দিনাজপুরের একটি বা দুটি অংশে ঘন কুয়াশা থাকবে। ওই চারটি জেলায় হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। দৃশ্যমানতা নেমে যেতে পারে ৫০ মিটারের কাছে। আর কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদার একটি বা দুটি অংশে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়তে পারে। ওই জেলাগুলিতে কোনও সতর্কতা জারি করা হয়নি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mohan Bhagwat: দেশে সত্যিকারের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল রাম মন্দির প্রতিষ্ঠার দিন, বললেন ভাগবত

    Mohan Bhagwat: দেশে সত্যিকারের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল রাম মন্দির প্রতিষ্ঠার দিন, বললেন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “যেদিন অযোধ্যায় রাম মন্দির প্রতিষ্ঠা হয়েছিল, সেদিনই সত্যিকারের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে দেশে।” কথাগুলি বললেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ, সংক্ষেপে আরএসএসের (RSS) প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। তিনি বলেন, “এই দিনটি দেশের উচিত ‘প্রতিষ্ঠা দ্বাদশী’ হিসেবে উদযাপন করা। কারণ এই দেশ বহু শতাব্দী ধরে ‘পরচক্র’ (বহিঃ শত্রুর আক্রমণ)-এর মুখোমুখি হয়েছে।

    কী বললেন ভাগবত? (Mohan Bhagwat)

    গত বছর ২২ জানুয়ারি অযোধ্যার মন্দিরে রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেদিন ছিল দ্বাদশী তিথি। পঞ্জিকা অনুসারে এ বছর সেই তিথি ছিল ১১ জানুয়ারি। সেদিনই পালিত হয় রামলালার প্রথম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী। সংঘ প্রধান (Mohan Bhagwat) বলেন, “রাম মন্দির আন্দোলন কারও বিরোধিতা করার জন্য শুরু হয়নি। এই আন্দোলন শুরু হয়েছিল ভারতের ‘স্ব’ কে জাগ্রত করতে, যাতে দেশ নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে এবং বিশ্বকে পথ দেখাতে পারে।”

    জাতীয় দেবী অহল্যা পুরস্কার

    সোমবার ইন্দোরে শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক চম্পত রাইকে “জাতীয় দেবী অহল্যা পুরস্কার” প্রদান করেন ভাগবত। তার পরেই দেন বক্তৃতা। সেখানেই তিনি বলেন, “গত বছর অযোধ্যায় রাম মন্দির প্রতিষ্ঠার সময় দেশে কোনও মতবিরোধ ছিল না।” পুরস্কার নেওয়ার পর রাই ঘোষণা করেন, তিনি তাঁর এই সম্মাননাটি রাম মন্দির আন্দোলনের সমস্ত পরিচিত ও অজ্ঞাত মানুষকে উৎসর্গ করছেন, যাঁরা উত্তরপ্রদেশের এই শহরে মহৎ রাম মন্দির নির্মাণে সহায়তা করেছেন। আন্দোলনের বিভিন্ন পর্যায়ের সংগ্রামের কথা উল্লেখ করে রাই বলেন, “এই মন্দির জাতীয় গর্বের প্রতীক। তিনি এর নির্মাণে একটি মাধ্যম ছিলেন মাত্র (Mohan Bhagwat)।”

    আরও পড়ুন: নুরুল সেজেছিল নারায়ণ! অটো চালিয়ে বিলাসবহুল জীবন যাপনই ধরিয়ে দিল বাংলাদেশিকে

    প্রতি বছর ‘জাতীয় দেবী অহল্যা পুরস্কার’ দেয় শ্রী অহল্যোৎসব সমিতি। বিভিন্ন সামাজিক ক্ষেত্রে অবদানের জন্য বিশিষ্ট ব্যক্তিদের এই পুরস্কার দেওয়া হয়। এই সংস্থার সভাপতি লোকসভার প্রাক্তন স্পিকার সুমিত্রা মহাজন। ভাষণ দিতে গিয়ে মহাজন বলেন, “ইন্দোর শহরে দেবী অহল্যাবাইয়ের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে একটি বৃহৎ স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হবে, যাতে মানুষ তাঁর জীবন ও চরিত্রের সঙ্গে (RSS) পরিচিত হতে পারেন (Mohan Bhagwat)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

      

  • Nag Mark 2: পোখরানে সফল পরীক্ষা, নির্ভুল লক্ষ্যভেদ অ্যান্টি ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইল ‘নাগ মার্ক ২’ ক্ষেপণাস্ত্রের

    Nag Mark 2: পোখরানে সফল পরীক্ষা, নির্ভুল লক্ষ্যভেদ অ্যান্টি ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইল ‘নাগ মার্ক ২’ ক্ষেপণাস্ত্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ফের সাফল্য ভারতের। দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি তৃতীয় প্রজন্মের অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইল নাগ মার্ক-২ (Nag Mark 2) ক্ষেপণাস্ত্রের ফিল্ড ইভালুয়েশন ট্রায়াল সফলভাবে সম্পন্ন হল। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, সম্প্রতি রাজস্থানের পোখরানে (Pokhran) একটি ফায়ারিং রেঞ্জে সেনা আধিকারিকদের (Indian Army) উপস্থিতিতে এই ট্রায়াল চালানো হয়। আত্মনির্ভর ভারতের প্রতীক ‘নাগ মার্ক ২’ যে কোনও জটিল অপারেশনে সাহায্য করতে সক্ষম, বলে মত বিশেষজ্ঞদের (DRDO)।

    ফিল্ড ট্রায়ালের সময় তিনবারই সফল 

    সোমবার ভারতের মাটিতে তৈরি ‘নাগ মার্ক ২’ মিসাইলের (Nag Mark 2) পরীক্ষা করে ডিআরডিও (Defence Research and Development Organisation)। ভারতীয় সেনাবাহিনীর (Indian Army) উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের উপস্থিতিতে এই পরীক্ষা চালানো হয়। নিশানা একেবারে নিখুঁত। ‘ফায়ার অ্যান্ড ফরগেট’ প্রযুক্তি ব্যবহার করে অনায়াসে টার্গেট ধ্বংস করে দিল ভারতের ‘নাগ’ মিসাইল। ফিল্ড ট্রায়ালের সময় তিনবারই সর্বাধিক ও সর্বনিম্ন দূরত্বের টার্গেট ধ্বংস করতে সফল হয়েছে এই মিসাইল।

    ডিআরডিও, ভারতীয় সেনাকে অভিনন্দন (DRDO)

    ‘নাগ মার্ক ২’ হল (Nag Mark 2)  একটি অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক ফায়ার অ্যান্ড ফরগেট গাইডেড মিসাইল। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফ থেকে দেওয়া বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, আধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন অস্ত্রের সঙ্গে লড়তে সক্ষম এই মিসাইল। সঠিক নিশানায় যেন আঘাত হানতে পারে ক্ষেপণাস্ত্র, তার জন্য লঞ্চ করার আগেই টার্গেট নির্দিষ্ট করে দেওয়া যায়। যাতে কোনওভাবেই কোনও ভুল না হয়ে যায়। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং নাগ মার্ক ২ ক্ষেপণাস্ত্র সিস্টেমের সফল ফিল্ড মূল্যায়নের জন্য ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ডিআরডিও), ভারতীয় সেনাবাহিনীকে (Indian Army) অভিনন্দন জানিয়েছেন। সেনায় অন্তর্ভুক্তি করতে ক্ষেপণাস্ত্রটিকে প্রস্তুত করার জন্য সমস্ত স্টেকহোল্ডারদের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেছেন ডিআরডিও (DRDO) চেয়ারম্যান সমীর ভি কামাত। এই ক্ষেপণাস্ত্র  ভারতের সামরিক শক্তি আরও বাড়াবে বলে অভিমত তাঁর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Makar Sankranti: পৌষ পার্বণে ঘরে ঘরে পিঠে-পুলির উৎসব, কেন মকর সংক্রান্তিতে পিঠে খাওয়া হয়?

    Makar Sankranti: পৌষ পার্বণে ঘরে ঘরে পিঠে-পুলির উৎসব, কেন মকর সংক্রান্তিতে পিঠে খাওয়া হয়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ মকর সংক্রান্তি। যা পৌষ পার্বণ নামেও বাংলায় বহুল প্রচলিত। বাংলার, বিশেষ করে গ্রামগঞ্জের ঘরে ঘরে এই দিন পিঠে-পুলির উৎসব হয়। অন্দরে অন্দরে দুধ, ক্ষির, গুড়, নারকেলের গন্ধে ম-ম করে। হাড় কাঁপানো শীতে কম্বলের আরাম ছেড়ে জোরকদমে পিঠে-পুলি বানানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন বাড়ির মা-বউরা। পৌষ পার্বণ অথচ পিঠে হবে না তা আবার হয় নাকি? যুগ যুগ ধরে পৌষ সংক্রান্তির (Makar Sankranti) দিনে এই মিষ্টান্নের স্বাদ নিতে ভোলেন না বাংলার মানুষ। 

    কেন সংক্রান্তিতে পিঠে খাওয়া হয় জানেন? (Makar Sankranti)

    পৌষ পার্বণের সঙ্গে পিঠে-পুলির যোগ নিয়ে পৌরাণিক গল্পগাথা রয়েছে। জানা যায়, এই দিনই পিতামহ ভীষ্ম স্বইচ্ছায় মৃত্যু বরণ করেন। মূলত নতুন ফসলের উৎসব (Makar Sankranti) বলেই এই দিনটিকে পৌষ-পার্বণ হিসেবে উদযাপন করেন বাঙালিরা। এই সময়ে ঘরে ঘরে নতুন ফসল থাকে। সেই নতুন ফসল দিয়েই তৈরি করা হয় এই বিশেষ মিষ্টান্ন। এই নতুন ফসলকে স্বাগত জানাতেই ঘরে ঘরে বানানো হয় এই অসাধারণ মিষ্টান্ন। গ্রাম বাংলার ঘরে ঘরে এ দিন চাল গুঁড়ো, নারকেল, গুড়, দুধ, ক্ষির দিয়ে তারি করা হয় রকমারি পিঠে। সবচেয়ে জনপ্রিয় পিঠে হল— ভাপা পিঠে। এ ছাড়াও রয়েছে চিতই পিঠে, দুধচিতই, ছিট পিঠে, দুধপুলি, ক্ষীরপুলি, পাটিসাপটা, ফুলঝুড়ি, ধুপি পিঠা, নকশি পিঠে, মালাই পিঠে, মোলপোয়া, পাকন পিঠে, ঝাল পিঠে ইত্যাদি। ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের ‘পৌষপার্বণ’ নামের কবিতায় রয়েছে, ‘গড়িতেছে পিঠে পুলি অশেষ প্রকার, বাড়ি বাড়ি নিমন্ত্রণ কুটুম্বের মেলা, হায় হায় দেশাচার ধন্যি তোর খেলা।’ এই কবিতাতেই বাঙালির কাছে পিঠের আসল গুরুত্ব ধরা পড়ে।

    আরও পড়ুন: ‘‘জেলবন্দি পার্থর সঙ্গে মোবাইলে কথা বলেন মমতা”, বিস্ফোরক অভিযোগ শুভেন্দুর

    হারিয়ে যাচ্ছে বাঙালির এই ঐতিহ্য!

    তবে, এখন শহুরে বাঙালিদের হেঁশেলে পিঠে-পুলি তৈরি করার রেওয়াজ ক্রমশ ক্ষয়িষ্ণু। ফলে, রসিক বাঙালি পিঠে (Makar Sankranti) খেতে আস্তানা গেড়েছে মেলায় বা মিষ্টির দোকানে। তাই আজ আর আগের মতো হেঁশেলে ঢুকলেই হাঁড়ির ভেতরে যবুথবু হয়ে থাকে না ক্ষিরে ভরা পাটিসাপটা। আগে তাও যৌথ পরিবার থাকায় মা, দিদিমারা মিলে বা বাড়ির বড় কোনও সদস্যা পিঠে বানানোর উদ্যোগ নিতেন। কিন্তু, এখন কোথায় যেন হারিয়ে গিয়েছে সেই মা, দিদিমারাও। পরিবার ভেঙেছে। যে যার নিজের কাজে ব্যস্ত। তাই বাড়িতে বাড়িতে কমে এসেছে পিঠে বানানোর হিড়িকও। কর্মব্যস্ততার যুগে কোথায় যেন হারিয়ে যাচ্ছে বাঙালির এই ঐতিহ্য।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Army chief Upendra Dwivedi: বাংলাদেশকে নরমে-গরমে হুঁশিয়ারি, কাশ্মীরে ৬০ শতাংশ জঙ্গিই পাকিস্তানি, দাবি সেনাপ্রধানের

    Army chief Upendra Dwivedi: বাংলাদেশকে নরমে-গরমে হুঁশিয়ারি, কাশ্মীরে ৬০ শতাংশ জঙ্গিই পাকিস্তানি, দাবি সেনাপ্রধানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের সঙ্গে সামরিক (India Bangladesh Relation) দিক থেকে কোনও চরম শত্রুতা নেই। তবে বাংলাদেশের বর্তমান অস্থিরতার কারণেই যৌথ সামরিক মহড়া পিছিয়ে গিয়েছে বলে জানালেন ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী (Army chief Upendra Dwivedi)। সেনা দিবস তথা আর্মি ডে-এর আগে একাধিক ইস্যু নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করলেন সেনাপ্রধান। সেখানেই ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক নিয়ে নানান মত জ্ঞাপন করেন দ্বিবেদী।

    সম্পর্ক ঠিক আছে তবে সামরিক মহড়া নয়

    বাংলাদেশের সেনাপ্রধানের সাম্প্রতিক বক্তব্যের রেশ ধরেই এদিন দ্বিবেদী (Army chief Upendra Dwivedi) জানান, সুরক্ষার স্বার্থে দুই দেশকেই (India Bangladesh Relation) এগিয়ে আসতে হবে। কোনও ধরনের শত্রুতা আনা হবে না। তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশ ও ভারত একে অপরের প্রতিবেশী। আমাদের পারস্পারিক সহাবস্থান গুরুত্বপূর্ণ। কূটনৈতিক দিক থেকে ভারত ও বাংলাদেশ উভয়ই উভয়ের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। একান্ত নিজেদের স্বার্থেই উভয়ের মধ্যে কোনও রকম শত্রুতা (Animosity) আনা ঠিক হবে না।’’ বাংলাদেশে রাজনৈতিক অচলাবস্থার সময় সে দেশের সেনাপ্রধানের সঙ্গে সবসময় যোগাযোগ রেখে চলছিলেন বলেও এদিন জানান ভারতের সেনাপ্রধান। সরকার বদলের সময় নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ রাখা হয়েছে। এমনকি, দু’তরফে ভিডিও কনফারেন্সে কথাও হয়েছিল বলে এদিন জানান উপেন্দ্র দ্বিবেদী। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সামরিক সহাবস্থান পুরোদমে রয়েছে বলে দাবি দ্বিবেদীর। তবে তিনি জানান, যতদিন না বাংলাদেশে অস্থিরতা কাটিয়ে পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে, ততদিন মহড়া হবে না।

    উপত্যকায় টেররিজম থেকে ট্যুরিজম

    অন্যদিকে, ভারতের পশ্চিম প্রান্তের প্রতিবেশী নিয়ে কড়া কথা শোনা গেল সেনাপ্রধানের গলায়। জম্মু ও কাশ্মীরে জঙ্গিদের বাড়বাড়ন্ত প্রসঙ্গে এদিন সেনাপ্রধান (Army chief Upendra Dwivedi) জানান, উপত্যকাবাসী সন্ত্রাস চায় না। তাদের মগজধোলাই করার চেষ্টা চলে। উপত্যকায় সন্ত্রাসবাদে যে সমস্ত জঙ্গিদের নিকেশ করা হয়েছ, তাদের ৬০ শতাংশই পাকিস্তানি। কেউই স্থানীয় বাসিন্দা নন। জম্মু কাশ্মীরে বসবাসরত ৮০ শতাংশ জঙ্গিই আবার বহিরাগত। জম্মু কাশ্মীরে ড্রোনের ২৪ ঘণ্টা নজরদারিতে অনুপ্রবেশ আটকাতে আগের থেকে অনেক বেশি সফল সেনা। এর ফলে দ্রুত উপত্যকায় টেররিজম থেকে ট্যুরিজমে উন্নীত হওয়ার প্রচেষ্টা সফল হয়েছে বলেও জানান দ্বিবেদী। ড্রোন ছাড়াও নাইট ভিশন ডিভাইসের মতো আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় সন্ত্রাসবাদ সমূলে উৎপাটিত করার লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে সেনা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘জেলবন্দি পার্থর সঙ্গে মোবাইলে কথা বলেন মমতা”, বিস্ফোরক অভিযোগ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘জেলবন্দি পার্থর সঙ্গে মোবাইলে কথা বলেন মমতা”, বিস্ফোরক অভিযোগ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের ‘বোমা ফাটালেন’ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর (Suvendu Adhikari) দাবি, প্রায় আড়াই বছর জেলে থাকা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) ফোনে কথা হয়। সেক্ষেত্রে তাঁর সঙ্গে রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের কীভাবে ফোনে কথা হতে পারে তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে। প্রসঙ্গত, জেলে বসে মোবাইল ব্যবহার করছে অপরাধীরা। বাইরের জগতের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে জঙ্গিরা। নাশকতার ছক পরিকল্পনা হচ্ছে সেখান থেকেই। এই অভিযোগ উঠতেই নড়েচড়ে বসেছে কারা দফতর। আধুনিক প্রযুক্তি বিশিষ্ট জ্যামার লাগানো হচ্ছে রাজ্যের জেলগুলিতে। তার প্রেক্ষিতে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে এ হেন মন্তব্য করেন শুভেন্দু।

    পার্থকে নিয়ে আর কী বললেন শুভেন্দু?(Suvendu Adhikari)

    সোমবার বিধানসভার বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে মোবাইলে কথা বলেন। আমি আগের কথা বলব না। সম্প্রতির কথা বলব। পার্থ যেদিন চান, বেলের মোরব্বা খান। যেদিন চান, খাসির মাংস খান। গত অষ্টমীতে লুচি-ছোলার ডাল খেয়েছেন। তাই, এই ধরনের স্পর্শকাতর বিষয়ের মামলা পশ্চিমবঙ্গের বাইরে নিয়ে যাওয়া উচিত। তদন্তকারী সংস্থা চার্জশিট দিয়েছে। কনভিকশন করাতে চায়। তাদের বলব সুপ্রিম কোর্টকে বলে এই মামলাগুলি রাজ্যের বাইরে নিয়ে যান। আমি বরাবরই দাবি করি, পশ্চিমবঙ্গের বাইরে এই মামলাগুলি নিয়ে যাওয়া উচিত।”

    আরও পড়ুন: মহাকুম্ভে শাহি স্নান সারলেন ৬০ লক্ষ ভক্ত, পুণ্যার্থীদের বার্তা মোদি-যোগীর

    জেল কাকে বলে জানেন সুদীপ-অনুব্রত!

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) আরও বলেন, ‘‘রোজভ্যালির মামলা ওড়িশায় ছিল বলে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় জানেন জেল কাকে বলে। আজ শাহজাহান, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এরা জানেন না। জেল কাকে বলে কিছুটা অনুব্রত মণ্ডল জানেন। তিনি রাজনীতি করছেন করুন। জেলে যাওয়ার আগের ভাষা আর তিহাড় জেল থেকে বেরিয়ে আসার পর ভাষা অনেক পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে। সুদীপদার ভাষার মধ্যেও আমরা তফাৎ দেখি। কিন্তু, এখানকার জেল থেকে যারা ফিরে আসেন যেমন জীবনকৃষ্ণ সাহা, মানিক ভট্টাচার্য, তাদের আমরা দেখছি নির্লজ্জের মতো, মুখে মাস্ক না লাগিয়ে ঢুকছেন, বের হচ্ছেন। আমার স্ট্যান্ডিং কমিটি কোথায় খোঁজ নিচ্ছেন।”

    উল্লেখ্য, সম্প্রতি পার্থর বিরুদ্ধে একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ সামনে আসছে। একাধিক প্রতিবেদনে জানা গিয়েছে, অযোগ্যদের তালিকায় থাকা সব অযোগ্যরাই কোনও কোনও না কোনও প্রভাবশালীর সুপারিশ করা নাম। অর্থাৎ প্রভাবশালীরা যে নাম জমা দিতেন তার একটা আলাদা তালিকা করা হত। সেই তালিকায় একদিকে যেমন সংশ্লিষ্ট চাকরিপ্রার্থীর নাম থাকত তেমনই সেই তালিকায় যে প্রভাবশালীরা এই নাম সুপারিশ করেছেন তাঁর নামও থাকত। তবে সেই প্রভাবশালীরা নাম সুপারিশ করলেই যে চাকরি পাকা এমনটা নয়। সেই নামের পাশে কাদের চাকরি একেবারে দিতেই হবে, সেটা ঠিক করতেন খোদ পার্থ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladeshi Arrest: নুরুল সেজেছিল নারায়ণ! অটো চালিয়ে বিলাসবহুল জীবন যাপনই ধরিয়ে দিল বাংলাদেশিকে

    Bangladeshi Arrest: নুরুল সেজেছিল নারায়ণ! অটো চালিয়ে বিলাসবহুল জীবন যাপনই ধরিয়ে দিল বাংলাদেশিকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পেশায় সামান্য অটোচালক! অথচ, এদেশে এসে বছর খানেকের মধ্যেই জীবনযাত্রার মান বদলে ফেলেছিলেন বাংলাদেশের নুরুল ইসলাম, যা রীতিমতো অবাক করেছিল স্থানীয়দেরও। থাকছিলেন বারাসতের দক্ষিণ কাজিপাড়ার বাসিন্দা শেখ রফিকুল ইসলামের বাড়িতে। এই রফিকুলের বাড়ি বাংলাদেশের  (Bangladeshi Arrest) মাদারিহাট এলাকায়। দুজনেরই কাজকর্ম ও গতিবিধি সন্দেহজনক হওয়ায় তাঁদের ওপর নজর রাখতে শুরু করেছিল দত্তপুকুর থানার পুলিশ। রবিবার ভোরে ওই দুই বাংলাদেশিকে পাকড়াও করা হয় বারাসতের (Barasat) বামনগাছি চৌমাথা সংলগ্ন এলাকা থেকে। এর আগেও বাংলাদেশিদের এদেশে ভুয়ো পরিচয়পত্র বানিয়ে দেওয়ার অভিযোগে সমীর দাস-সহ মোট চারজনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। ফের দুই বাংলাদেশির সন্ধান মিলল বারাসতে।

    নুরুল হক থেকে নারায়ণ অধিকারী! (Bangladeshi Arrest)

    জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের (Bangladeshi Arrest) এই নুরুল হক ভারতে এসে হয়ে গিয়েছিলেন নারায়ণ অধিকারী। তাঁর বাড়ি গাজিপুর। বাবার নাম গিয়াস মিঞার পরিবর্তে এখানে করেছিলেন নগেন অধিকারী। রফিকুল ইসলাম আবার ভারতে ঢুকে বারাসতে পেল্লাই বাড়িও বানিয়ে ফেলেছিলেন। দত্তপুকুর থেকে ধৃত রফিকুল ইসলাম এবং নুরুল হক ওরফে নারায়ণ অধিকারীর নথি তৈরি করে দিয়েছিল নথি-জালকাণ্ডে ধৃত সমীর দাস, দাবি পুলিশের। পেশায় লোক দেখানো অটোচালক হলেও দুজনের জীবনযাত্রা নিয়ে স্থানীয় ও পরিচিতদের মধ্যে সন্দেহ দানা বেঁধেছিল। তারই মধ্যে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের উত্তাল পরিস্থিতিতে অনুপ্রবেশকারীদের ধরপাকড় শুরু হলে এই দুজনের গতিবিধির ওপরও নজর রাখতে শুরু করেছিল পুলিশ। শেষে গ্রেফতার করা হয় তাঁদের।

    নুরুলের ঠাটবাটই ছিল অন্য রকম!

    অনেকেই বলছেন, নুরুলের ঠাটবাটই ছিল অন্য রকম। হাতে তাঁর সব সময় থাকত দামি ঘড়ি। আইফোন (Bangladeshi Arrest) ছাড়া অন্য কোনও ফোন ব্যবহার করতেন না। শুধু তাই নয়, কোনও অনুষ্ঠান হলেই শয়ে শয়ে টাকাও খরচ করতেন নুরুল। এমনই দাবি করছেন স্থানীয় লোকজন। কিন্তু, সামান্য অটোচালক হয়ে কীভাবে সে এত বিলাসবহুল জীবনযাপন করত? এখানেই খটকা লাগছে তদন্তকারীদের। পুলিশের অনুমান, এসবই অসৎ পথে উপার্জনের টাকা। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, বাংলাদেশি দালালের মাধ্যমে নুরুল ওপার বাংলার ক্লায়েন্ট জোগাড় করত। তারপর মোটা টাকার বিনিময়ে রফিকুলের মাধ্যমে সে বাংলাদেশিদের ভুয়ো পরিচয়পত্র বানিয়ে দিত। সেখান থেকেই নুরুল মোটা অঙ্কের টাকা উপার্জন করতেন বলে ধারণা তদন্তকারীদের। তবুও দত্তপুকুর থেকে ধৃত বাংলাদেশি নুরুল ইসলামের আয়ের উৎস খুঁজতে তৎপর পুলিশ।

    ভারতীয় মহিলাকে বিয়ে করেন রফিকুল

    প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ (Bangladeshi Arrest) জানতে পেরেছে, ধৃত নুরুল বিগত তিন-সাড়ে তিন বছর ধরে বারাসতের দক্ষিণ কাজিপাড়ার রফিকুলের বাড়িতে ভাড়া থাকার নামে আশ্রয় নিয়েছিলেন। এই সময়ই তিনি নারায়ণ নামে জাল আধার কার্ড, প্যান কার্ড ও ড্রাইভিং লাইসেন্স বানিয়ে ফেলেছিলেন। সেগুলি উদ্ধার করেছে পুলিশ। রফিকুল আবার গত প্রায় কুড়ি বছর ধরে থাকছিল এদেশে। প্রথমে সে দত্তপুকুর এলাকায় থাকলেও পরে রফিকুল দক্ষিণ কাজিপাড়ায় বাড়ি তৈরি করে ভারতীয় মহিলাকে বিয়ে করে পাকাপাকিভাবে এদেশে থাকতে শুরু করেছিল। দত্তপুকুর থেকে ধৃত রফিকুল ইসলামের বাড়িতে প্রচুর বাংলাদেশির যাতায়াত ছিল বলে জেনেছে পুলিশ। দত্তপুকুরের কাজিপাড়ায় নিজের নামে বাড়িও বানিয়ে ফেলেছিল রফিকুল। জিজ্ঞেস করলে রফিকুল বলতেন, বাংলাদেশ থেকে চিকিৎসা করাতে এসেছেন ওই ব্যক্তিরা। নুরুলও প্রথমে নিজের পরিচয়েই এসেছিলেন রফিকুলের বাড়ির দোতলার ভাড়াটে হিসেবে।

    নুরুলকে বাড়ি ছাড়া করতে স্থানীয়রা চাপ দিচ্ছিল

    পরে বদলে যায় সবটা। রফিকুল আবার নিজেকে ডাক্তার বলে পরিচয় দিয়েছিলেন স্থানীয়দের কাছে। রফিকুল ইসলামের বাড়িতে সাড়ে তিন বছর আগে থেকে থাকা শুরু করেন নারায়ণ অধিকারী, ওরফে নুরুল হক। মাছের ব্যবসা করছেন, এই পরিচয় দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু প্রথমে নুরুল হকের নাম-পরিচয়ে রফিকুল ইসলামের বাড়িতে থাকলেও পরে নাম, পরিচয়, ভোল- সবই আমূল বদলে ফেলেন তিনি। তখনই চটে যান প্রতিবেশীরা। ভোল বদলের পর নুরুল ইসলামকে বাড়ি ছাড়া করতে রফিকুলকে চাপ দিচ্ছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয়দের কাছ থেকে বেশ কয়েকবার সময়ও চেয়ে নিয়েছিলেন রফিকুল। এরইমধ্যে দুজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ থেকে বেআইনি ভাবে এদেশে আসা অনুপ্রবেশকারীদের হাতে দ্রুত নথি তুলে দেওয়ার ব্যাপারে এক্সপার্ট ছিলেন সমীর দাস, এই তথ্য আগেই জানিয়েছে পুলিশ। আর সেই জন্য বাংলাদেশে বেশ নামডাকও ছিল তাঁর। শুধু ভারত নয়, বাংলাদেশেও জাল নথি তৈরির ব্যবসার ফাঁদ বিছিয়ে রেখেছেন বারাসাত থেকে ধৃত সমীর দাস। জালিয়াতিকাণ্ডে আর কারা জড়িত রয়েছে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share