Tag: Madhyom

Madhyom

  • Ambulance: অ্যাম্বুল্যান্স চালকদের দাদাগিরি! বেঘোরে প্রাণ গেল মুমূর্ষু রোগীর, আক্রান্ত পরিবারের লোকজন

    Ambulance: অ্যাম্বুল্যান্স চালকদের দাদাগিরি! বেঘোরে প্রাণ গেল মুমূর্ষু রোগীর, আক্রান্ত পরিবারের লোকজন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অ্যাম্বুল্যান্স (Ambulance) চালকদের দাদাগিরি। আর তার জেরেই মৃত্যু হল এক মুমূর্ষু রোগীর। সোমবার রাতে এই মর্মান্তিক ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মুর্শিদাবাদের সালার ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র। মৃতের পরিবারের লোকজন ক্ষোভে ফেটে পড়েন। হাসপাতাল চত্বরে উত্তেজনা দেখা দেয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, সমস্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    সোমবার রাতে এক মুমূর্ষু রোগীকে সালার ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে কলকাতায় রেফার করা হয়। রোগীর পরিবারের লোকজন পরিচিত এক অ্যাম্বুল্যান্স (Ambulance) চালককে হাসপাতালে ডেকে পাঠান। রিপন সেখ নামে ওই অ্যাম্বুল্যান্স চালক হাসপাতালে এসে রোগীকে গাড়িতে তোলেন। বের হওয়ার সময় হাসপাতালে থাকা অন্যান্য অ্যাম্বুল্যান্স চালকরা বাধা দেন বলে অভিযোগ। তাদের দাবি, হাসপাতালের অ্যাম্বুল্যান্সে করেই রোগীকে নিয়ে যেতে হবে। বাইরের কোনও অ্যাম্বুল্যান্সে (Ambulance) করে রোগী নিয়ে যাওয়া যাবে না। অ্যাম্বুল্যান্স চালক রিপন সেখ বলেন, গত কয়েকদিন ধরে ওই রোগীকে কলকাতা নিয়ে যাচ্ছি। তাই, ওরা আমাকে ডেকেছিল। এটা তো কোনও অপরাধ নয়। এদিন হাসপাতাল থেকে আমাকে রোগী নিয়ে যেতে বাধা দেওয়া হয়। এরপর আমি পিছনের রাস্তা ধরে অ্যাম্বুল্যান্স বের করে নিয়ে যাই। কিছুটা যাওয়ার পর কুলুর মোড়ে ওরা মাঝ রাস্তায় বুলেট রেখে আমাদের গাড়ি আটকায়। বাড়ির লোকজন কথা বলতে গেলে আরিফ সেখ, জিয়ারুল সেখ, সানি সেখ-এর নেতৃত্বে দলবল মিলে তাদের উপর হামলা চালায়। এরপর কোনওরকমে সেখান থেকে কিছুটা যাওয়ার পর রাস্তাতেই রোগীর মৃত্যু হয়। ওই অবস্থায় ফের সালার হাসপাতালে আমরা ফিরে আসি। জানা গিয়েছে, হাসপাতালে মৃতদেহ রেখে পরিবারের লোকজন বিক্ষোভে ফেটে পড়েন।

    কী বললেন মৃতের পরিবারের লোকজন?

    মৃতের ছেলে সাকিব আলি বলেন, হাসপাতালে অ্যাম্বুল্যান্স (Ambulance) চালকদের দাদাগিরির জন্য আমার মাকে অনেকক্ষণ আটকে রাখা হয়েছিল। পরে, আমাদের ওরা মারধর করে। সময়ে হাসপাতালে নিয়ে যেতে না পারার কারণে মায়ের মৃত্যু হয়েছে। মায়ের মৃত্যুর জন্য এই অ্যাম্বুল্যান্স (Ambulance) চালকরা দায়ী। আমাদের দাবি, অবিলম্বে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Falharini Kali Puja: বৃহস্পতিবার ফলহারিণী অমাবস্যা, এদিন কালী পুজোর মাহাত্ম্য কী? জানুন ইতিহাস

    Falharini Kali Puja: বৃহস্পতিবার ফলহারিণী অমাবস্যা, এদিন কালী পুজোর মাহাত্ম্য কী? জানুন ইতিহাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলায় কালীপুজোর চল সারা বছর ধরেই দেখা যায়। দুর্গাপুজোর পরে যে কালীপুজো হয় তা জনপ্রিয় দীপান্বিতা কালী পুজো নামে পরিচিত। এছাড়াও রয়েছে রক্ষাকালী পুজো। স্থানীয়ভাবেও বাংলার নানা প্রান্তে কালীপুজো হয়। কোনও কোনও গৃহস্থের বাড়িতেও কালী পুজো বছরের বিশেষ সময়ে দেখা যায়। জৈষ্ঠ্য মাসের অমাবস্যা তিথিতে যে কালীপুজো হয় তা ফলহারিণী কালীপুজো (Falharini Kali Puja) নামে প্রসিদ্ধ। ভক্তদের বিশ্বাস, মা কালী জীবের কর্মফল অনুসারে তাদের আশীর্বাদ প্রদান করেন। তিনি প্রসন্না হলে জীবের দুঃখ দুর্দশা থেকে মুক্তি মেলে। পাশাপাশি জীবন সুখ, শান্তি, সমৃদ্ধিতে ভরে ওঠে। জানা যায়, রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব ফলহারিণী কালীপুজোর দিনে সারদা দেবীকে পুজো করেছিলেন জগত কল্যাণের জন্য। ১২৮০ বঙ্গাব্দের জৈষ্ঠ্য মাসের অমাবস্যা তিথিতে ঠাকুর দক্ষিণেশ্বরে ষোড়শী রূপে পূজা করেছিলেন সারদা মা’কে। পরবর্তীতে এই সময়ের কালী পুজো হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে ফলহারিণী কালী (Falharini Kali Puja) পুজো নামেই প্রসিদ্ধি পায়।

    ফলহারিণী (Falharini Kali Puja) কালীপুজো ২০২৩  নির্ঘণ্ট

    ২০২৩ সালের ফলহারিণী কালীপুজো (Falharini Kali Puja) সম্পন্ন হবে ১৮ মে, বাংলার ৩ জৈষ্ঠ্য বৃহস্পতিবার। ১৮ মে রাত্রি ৯টা ১৩ মিনিট ৩৬ সেকেন্ডে অমাবস্যা তিথি শুরু হচ্ছে যা চলবে ১৯ মে রাত্রি ৮টা ৪৩ মিনিট অবধি।

    কেন এই পুজো ফলহারিণী কালীপুজো (Falharini Kali Puja) নামে পরিচিত?

    শাস্ত্র বিশেষজ্ঞদের মতে, জৈষ্ঠ্য মাসে আম, জাম, লিচু, কাঁঠাল সমেত নানারকম মরসুমী ফল পাওয়া যায়। ভক্তরা তাদের ইষ্ট দেবীকে এই ফল নিবেদন করে থাকেন। দেবী ভক্তদের কর্মফল হরণ করে তাদেরকে মোক্ষফল প্রদান করেন। ভক্তদের বিশ্বাস, ফলহারিণী কালীপুজো করলে বিদ্যা, কর্ম এবং অর্থ ভাগ্যের উন্নতি ঘটে প্রেম প্রণয়ের বাধা দূর হয়, দাম্পত্য সংসারী জীবনেও সুখ শান্তি বিরাজ করে। এককথায় এই বিশেষ পুজোয় ভক্তরা আধ্যাত্মিক, নৈতিক, মানসিক শক্তি পেয়ে থাকেন বলে তাদের বিশ্বাস।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Garlic Benefits: কোলেস্টেরল কমায়, রক্ত চলাচল বাড়ায়! আর কী কী গুণ রয়েছে রসুনের?

    Garlic Benefits: কোলেস্টেরল কমায়, রক্ত চলাচল বাড়ায়! আর কী কী গুণ রয়েছে রসুনের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাঙালি বাড়ির হেঁসেলে আমিষ রান্নার জন্য রসুন থাকবে না, এমনটা হতেই পারে না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘‘প্রাচীনকাল থেকেই স্বাস্থ্যগত বৈশিষ্ট্যের কারণে অনেক রোগের চিকিৎসায় ওষুধ হিসেবেও ব্যবহৃত হয়ে আসছে এই রসুন।’’ রসুনে (Garlic Benefits) থাকে অ্যালিসিন নামক যৌগ। এই কারণে এতে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। পুষ্টিবিদরা বলছেন, ‘‘প্রতি ১০০ গ্রাম রসুনে তাকে ১৫০ ক্যালোরি, ৩৩ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট এবং ৬.৩৬ গ্রাম প্রোটিন।’’ এছাড়াও রসুন হল, ভিটামিন বি১, বি২, বি৩, বি৬, ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম ম্যাঙ্গানিজ, ফসফরাস পটাশিয়াম এবং সোডিয়ামের ভরপুর উৎস। বিশেষজ্ঞদের মতে, রসুনের বেশি উপকার পেতে শাকসবজি ছাড়াও এটিকে কাঁচা খেতে হবে।

    আজকে আমরা আলোচনা করব রসুন (Garlic Benefits) শরীরে কী কী উপকার করে

    ১) রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে

    বিশেষজ্ঞদের মতে,  খালি পেটে রসুন খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং তা রক্ত সঞ্চালনকেও বাড়ায়।

    ২) রসুন ডায়রিয়া উপশমকারী

    বিশেষজ্ঞদের মতে, আপনার যদি ডায়রিয়ার সমস্যা থাকে তাহলে রসুন (Garlic Benefits) এটিকে নিরাময় করতে পারে।

    ৩) কোলেস্টেরল কমায়

    যাদের উচ্চ কোলেস্টেরল রয়েছে, চিকিৎসকরা তাঁদেরকে রসুন খেতে বলছেন। কারণ এতে কোলেস্টেরলের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রিত হয়।

    ৪) লিভারকে শক্তিশালী করে

    বিশেষজ্ঞরা মতে, কাঁচা রসুন (Garlic Benefits) লিভারকে সুস্থ রাখে এবং এটি দীর্ঘ জীবনে সাহায্য করে।

    ৫) শরীরকে ভেতর থেকে পরিষ্কার করে

    পুষ্টিবিদরা মতে, রসুনে (Garlic Benefits) প্রচুর পরিমাণে সালফার যৌগ থাকে। যার ফলে এটি শরীরের অঙ্গগুলিকে ভিতর থেকে পরিষ্কার করে। বিষাক্ত পদার্থ শরীর থেকে দূর করে।

    ৬) রসুন শুক্রাণুর ক্ষতি প্রতিরোধ করে

    বিশেষজ্ঞদের মতে, রসুনে (Garlic Benefits) থাকে সেলেনিয়া যা একধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা যৌন অঙ্গে রক্ত প্রবাহকে উন্নত করে। পুরুষদের জন্য এটি বিশেষ উপকারী।

    ৭) সর্দি কাশি জ্বর থেকে মুক্তি দেয় রসুন

    চিকিৎসকদের মতে, রসুন যেকোনও রকমের ফ্লু ভাইরাসকে প্রতিরোধ করে। সকালে দুকোয়া রসুন (Garlic Benefits) বাসিমুখে খেলে তা স্বাস্থ্যের জন্য বিশেষ উপকারী।

    ৮) স্মৃতিশক্তি প্রখর করে রসুন

    পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, রসুন অ্যান্টি অক্সিডেন্টে ভরপুর থাকে এবং এটি ডিমনেশিয়া বা অ্যালঝেইমার এর মতো কিছু রোগ প্রতিরোধ করে।

    ৯) পিরিয়ডের সমস্যায় রসুন (Garlic Benefits)

    যেসব মহিলাদের পিরিয়ড বন্ধ হয়ে যায় প্রায় তাঁদের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত নানা সমস্যা দেখা যায়। চিকিৎসকদের মতে, রসুন মহিলাদের শরীরে ইস্ট্রোজেন বাড়ায় যার কারণে হাড় দুর্বল হয় না।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি/ডায়েট পরামর্শস্বরূপ। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলুন ও সেই মতো পরামর্শ মেনে চলুন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • West Bengal Health: ১৫ দিন ধরে রোগীদের খাবার বন্ধ, স্যালাইন দিয়েই বেপাত্তা ডাক্তার!

    West Bengal Health: ১৫ দিন ধরে রোগীদের খাবার বন্ধ, স্যালাইন দিয়েই বেপাত্তা ডাক্তার!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৫ দিন ধরে খাবার মিলছে না রোগীদের, বিদ্যুৎ চলে গেলে অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে থাকে ওয়ার্ড। নেই সুষ্ঠু চিকিৎসা ব্যবস্থাও। প্রতিবাদ করলেই মেলে হুমকি! চরম দুর্দশা এবং বেহাল অবস্থা নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতালের (West Bengal Health)। কৃষ্ণগঞ্জের বাসিন্দাদের একমাত্র ভালো চিকিৎসার জায়গা হল শক্তিনগর হাসপাতাল। কিন্তু অনেকটা দূর হওয়ায় এলাকাবাসীর একমাত্র ভরসার জায়গা এই কৃষ্ণগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতাল। ওই হাসপাতালে হাতেগোনা যে কটি বেড রয়েছে, প্রতিদিনই সেগুলিতেই রোগীরা ভর্তি থাকেন। কিন্তু অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই ওই হাসপাতালের চিকিৎসা পরিষেবা একদম তলানিতে। শুধু চিকিৎসা নয়, অন্যান্য পরিষেবাও মাঝেমধ্যেই ব্যাহত হয়। অনেক সময় বিদ্যুৎ চলে গেলে অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে হাসপাতাল। সেখানে জেনারেটরের ব্যবস্থা থাকলেও তার পরিষেবা মেলে না। এমনকী গত ১৫ দিন ধরে হাসপাতালে খাবার দেওয়া বন্ধ রয়েছে। বাধ্য হয়ে রোগীর আত্মীয়দের বাইরে থেকে খাবার কিনে রোগীকে খাওয়াতে হচ্ছে।

    কী বলছেন রোগী ও তাঁদের আত্মীয়রা?

    ওই হাসপাতালে রোগী ষষ্ঠী রায় বলেন, গতকাল আমি ভর্তি হয়েছিলাম। একজন ডাক্তার এসেছিলেন। কিন্তু তারপরে ২৪ ঘণ্টা পার হলেও কোনও চিকিৎসক আর আসেনি। তিনি জানান, হাসপাতালের পক্ষ থেকে কোনও খাবার দেওয়া হয়নি। অন্য এক রোগীর আত্মীয় রিঙ্কি সরকার বলেন, রোগী নিয়ে হাসপাতালে এসে কোনও চিকিৎসা (West Bengal Health) পাচ্ছি না। শুধুমাত্র একটা স্যালাইন দিয়ে বসিয়ে রেখেছে। আর কোনও চিকিৎসক আসেনি। তাহলে এখানে যদি এভাবেই পড়ে থাকতে হয়, বাড়িতে থাকাই ভালো ছিল। পাশাপাশি তিনিও বলেন, রোগীদের কোনও খাবার দেওয়া হচ্ছে না হাসপাতালের তরফ থেকে।

    প্রতিক্রিয়া দিল না কেউই

    যদিও এ বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চায়নি হাসপাতাল (West Bengal Health) কর্তৃপক্ষ। ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনিও কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি। তবে সূত্রের খবর, ওই হাসপাতালে খাবার সরবরাহ করার জন্য কোনও একজনের উপর দায়িত্ব দেওয়া ছিল। যে টাকা তাকে দেওয়া হত, তাতে কোনও লাভ হত না বলে তিনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে টাকা বাড়ানোর আবেদন জানিয়েছিলেন। অভিযোগ, টাকা তো বাড়ানো হয়ইনি, বরং দীর্ঘদিন ধরে প্রাপ্য টাকাও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দিচ্ছিল না। সেই কারণে তিনি বাধ্য হয়ে খাদ্য সরবরাহ বন্ধ করে দেন। পাশাপাশি যিনি জেনারেটরের দায়িত্বে ছিলেন, তিনিও দীর্ঘদিন ধরে পেমেন্ট না পাওয়ার কারণে পরিষেবা দিতে অনীহা প্রকাশ করেন। যদিও তাঁরা কেউ প্রকাশ্যে কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি।

    জানা নেই তৃণমূলের

    তবে এ বিষয়ে তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অশোক হালদার বলেন, মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী প্রতিটি প্রকল্পের উপর নজর রেখেছেন এবং পরিষেবা প্রদান করেছেন। তবে হাসপাতালে (West Bengal Health) দীর্ঘদিন ধরে খাবার পরিষেবা বন্ধ, এটা সত্যিই আমার জানা ছিল না। যত দ্রুত সম্ভব বিএমওএইচ-এর সঙ্গে কথা বলব। কী কারণে তা বন্ধ রয়েছে, জানার চেষ্টা করব। পাশাপাশি যাতে রোগীরা পরিষেবা থেকে বঞ্চিত না হয়, অতি দ্রুত তার ব্যবস্থা করার চেষ্টা করব।

    কটাক্ষ বিজেপির

    তবে পুরো ঘটনায় স্বাস্থ্য পরিষেবা (West Bengal Health) নিয়ে কটাক্ষ করেছেন কৃষ্ণগঞ্জের বিজেপি বিধায়ক আশিষকুমার বিশ্বাস। তিনি বলেন, এটা আমি আগেই জেনেছিলাম, কৃষ্ণগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতালের করুণ অবস্থা। বিদ্যুৎ চলে গেলে অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে থাকে ওই হাসপাতাল। শুধু তাই নয়, কেউ প্রতিবাদ করলে তাদেরকে হুমকি দেওয়া হয়। দিন ১৫ আগে থেকে খাবার বন্ধ হয়ে গেছে রোগীদের জন্য। সেই কারণে আমি বিএমওএইচ ম্যাডামের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ফোন তোলেননি। পাশাপাশি তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে বলেন, যিনি কিনা ঘোষণা করছেন ১৫ দিনের মধ্যে নার্স তৈরি করতে হবে এবং তিন বছরের মধ্যে ডিপ্লোমা কোর্স কমপ্লিট করে চিকিৎসক তৈরি করতে হবে, তাঁর কাছ থেকে এর থেকে ভালো পরিষেবা আশা করা যায় না। আশঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেন, একজন নার্স ১৫ দিনে কী শিখতে পারবে? কীভাবে সে মানুষকে সুস্থ করে তুলবে?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • West Bengal Health: তিন বছরের হেলথ প্রফেশনাল! মমতার সিদ্ধান্তে বন্ধ হতে পারে কেন্দ্রের বরাদ্দ?

    West Bengal Health: তিন বছরের হেলথ প্রফেশনাল! মমতার সিদ্ধান্তে বন্ধ হতে পারে কেন্দ্রের বরাদ্দ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রের বঞ্চনার অভিযোগ তিনি বারবার করেন। একশো দিনের কাজ কিংবা আবাস যোজনা, নানা বিষয়েই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, কেন্দ্রের বঞ্চনার জেরে রাজ্যের একাধিক প্রকল্প আটকে থাকছে। কিন্তু এবার তাঁর একটি সিদ্ধান্তের জেরে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে (West Bengal Health) আরও বড় ধাক্কা আসতে চলেছে বলেই মনে করছেন প্রশাসনিক কর্তাব্যক্তিরা।

    কী সমস্যা তৈরি হতে পারে? 

    দিন কয়েক আগে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, রাজ্যে চিকিৎসকের চাহিদা মেটাতে তিন বছরের প্রশিক্ষণ দিয়ে হেলথ প্রফেশনাল তৈরি করা হবে। তাঁরা সাধারণ মানুষকে স্বাস্থ্য পরিষেবা (West Bengal Health) দেবেন। বিরোধীরা কটাক্ষ করে একে সিভিক চিকিৎসক বলেছেন। আর বিশেষজ্ঞ মহল জানাচ্ছে, এই সিভিক চিকিৎসক নিয়োগের সিদ্ধান্তের জেরেই আটকে যেতে পারে কেন্দ্রের বরাদ্দ। প্রশাসনিক কর্তাদের একাংশের আশঙ্কা, ন্যাশনাল হেলথ মিশনে রাজ্য কেন্দ্রের থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ পায়। এবার সেই টাকা বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

    কেন কেন্দ্র বরাদ্দ বন্ধ করতে পারে? 

    প্রশাসনিক কর্তাদের একাংশ জানাচ্ছে, রাজ্যের মানুষের স্বাস্থ্য পরিষেবা সুনিশ্চিত করতেই কেন্দ্র কয়েক হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করে। বিশেষত প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলির (West Bengal Health) পরিষেবা যাতে অব্যাহত থাকে, তা সুনিশ্চিত করতেই ন্যাশনাল হেলথ মিশনের তরফ থেকে কোটি কোটি টাকা রাজ্যের কাছে আসে। কিন্তু ‘সিভিক’ চিকিৎসক পরিষেবা চালু হলে, রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়ার পরিকাঠামোই বদলে যাবে। তখন কেন্দ্রও বিবেচনা করে টাকা পাঠাবে। কারণ, একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সম্পূর্ণ প্রশিক্ষিত এমবিবিএস পাশ করা চিকিৎসক স্বাস্থ্য পরিষেবা দিলে, সেই স্বাস্থ্য কেন্দ্রের যে মান থাকে, ‘সিভিক’ চিকিৎসক পরিষেবা দিলে, সেই মান অন্যরকম হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে যে ভিত্তিতে কেন্দ্র রাজ্যকে টাকা বরাদ্দ করত, তারও পরিবর্তন হবে। তার জেরে বরাদ্দ অর্থেরও হেরফের হবে।

    কী ভোগান্তি হতে পারে বলে আশঙ্কা? 

    স্বাস্থ্যখাতে কেন্দ্রীয় বরাদ্দ কমলে রাজ্যের ভোগান্তি কয়েকগুণ বাড়বে বলেই আশঙ্কা করছে প্রশাসনিক মহল। নবান্নের অন্দরে খবর, কেন্দ্রের স্বাস্থ্য বরাদ্দের টাকা শুধু স্বাস্থ্য খাতেই (West Bengal Health) খরচ করে না রাজ্য সরকার। এই টাকায় একাধিক অন্য বিভাগের খরচ চলে। কর্মচারীদের বেতন দেওয়া ও নানা পরিকাঠামোগত উন্নতির কাজ চলে কেন্দ্রের পাঠানো এই টাকা থেকে। তাই ন্যাশনাল হেলথ মিশনের বরাদ্দ কমলে মুশকিলে পড়বে একাধিক বিভাগ। তাছাড়া, সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন রাজ্যের গ্রামীণ এলাকার মানুষ। কারণ, একদিকে ‘সিভিক’ চিকিৎসকের পরিষেবার মান নিয়ে প্রশ্ন উঠবে, অন্যদিকে ঠিকমতো অর্থ না থাকলে নানা পরিকাঠামোগত ত্রুটিও দেখা দেবে। যা সরাসরি স্বাস্থ্য পরিষেবায় প্রভাব ফেলবে। ভুগতে হবে সাধারণ মানুষকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Bolpur: অনুব্রত ঘনিষ্ঠ কাউন্সিলারের ওয়ার্ডেই পুরসভার পুকুর ভরাট করে আবাসন নির্মাণ?

    Bolpur: অনুব্রত ঘনিষ্ঠ কাউন্সিলারের ওয়ার্ডেই পুরসভার পুকুর ভরাট করে আবাসন নির্মাণ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনুব্রত মণ্ডল (Bolpur) ঘনিষ্ঠ তৃণমূল কাউন্সিলারের ওয়ার্ডে পুকুর ভরাট করার অভিযোগ ঠিকাদারের বিরুদ্ধে। এই পুকুরের জমি বাংলার ভূমি অ্যাপ রেকর্ডে জলাশয় বলে চিহ্নিত রয়েছে। তা সত্ত্বেও বাস্তুতন্ত্র নষ্ট করে জেসিবি মেশিন দিয়ে মাটি-বালি ফেলে ভরাট করা হচ্ছে সেই জলাশয়। ২০২০ সাল থেকে এই মর্মে ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর, মহকুমা শাসক এবং জেলাশাসকের কাছে অভিযোগ করা হয়েছে। কিন্তু অভিযোগ পেয়েও নিশ্চুপ প্রশাসন।

    অভিযুক্ত ব্যক্তি অনুব্রত ঘনিষ্ঠ

    গরুপাচার মামলায় জেল হেফাজতে রয়েছেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তাঁর ঘনিষ্ঠ তৃণমূলের কাউন্সিলার ওমর শেখকে গরুপাচার মামলায় একাধিকবার ডেকে জেরা করেছে সিবিআই ও ইডি৷ অর্থাৎ, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার নজরে রয়েছে বোলপুর (Bolpur) পৌরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার। সেই ওয়ার্ডেই দীর্ঘদিনের একটি জলাশয় বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে। জলাশয়টি ভরাট করে বহুতল নির্মাণ করা হবে৷ তাই দিনরাত জেসিবি মেশিন দিয়ে মাটি ফেলে বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে জলাশয়টি৷ মাটি ভরাটের ফলে বর্তমানে দেখে মনেই হবে না যে এটি একটা নিত্যব্যবহার্য জলাশয় ছিল।

    ভরাটের ফলে সমস্যা

    পুরসভার (Bolpur) জলাভূমি, পুকুর ইত্যাদি বন্ধ করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ৷ এতে প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হয়, বাস্তুতন্ত্র নষ্ট হয়৷ বোলপুরের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের নতুন পুকুর এলাকায় এই পুকুরটিতে এক সময় স্থানীয় মানুষজন স্নান করা, জামাকাপড় কাচা, বাসন ধোয়ার কাজ নিত্যদিন করতেন৷ এছাড়াও এলাকার বৃষ্টির অতিরিক্ত জল জমা হত এই পুকুরেই। প্রতিমা নিরঞ্জনও হত এই পুকুরে। কিন্তু এইসব কাজ এখন বন্ধ। সেটি ব্যবহার করতে না পেরে এলাকার মানুষের অভিযোগ, পুকুর ভরাট করে আবাসন নির্মাণ করে টাকা কামানোর রাস্তা করেছেন শাসকদলের নেতারা। প্রশাসন জেনেও চুপ রয়েছে।

    সাধারণ মানুষের অভিযোগ

    এলাকার বাসিন্দা (Bolpur) সমীর ভট্টাচার্য বলেন, আমি এই পুকুর ভরাট নিয়ে অভিযোগ করেছিলাম। জমির দাগ নম্বর এবং রেকর্ড অনুযায়ী এটা জলাশয়৷ তিনি আরও বলেন, অভিযোগের পর জেলাশাসক আমাকে জানিয়েছিলেন, বিষয়টি দেখবেন৷ এমনকী জেলাশাসক স্বয়ং বলেন, প্রশাসনের কোনও আধিকারিক যদি এই বিষয়ে পদক্ষেপ না নেয়, আমি যেন জানাই৷ আবার দেখছি পুকুরটি ভরাট করে দেওয়া হচ্ছে৷ ২০২০ সাল থেকে স্থানীয় বাসিন্দা তথা সিপিআইএমের প্রবীণ নেতা সমীর ভট্টাচার্য এই বিষয়ে জেলা, ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর, বোলপুর মহকুমা শাসক, জেলাশাসকের কাছে একাধিকবার লিখিত অভিযোগ করেছিলেন। কিন্তু অভিযোগের জেরে মাঝে কিছুদিন সেই কাজ বন্ধ থাকলেও ফের বহুতল নির্মাণের জন্য জেসিবি মেশিন দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে পুকুরটি। যা নিয়ে নিশ্চুপ প্রশাসন৷

    প্রশাসন এবং ঠিকাদারের প্রতিক্রিয়া

    বোলপুর (Bolpur) ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের আধিকারিক সঞ্জয় রায় বলেন, আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি কী হয়েছে৷ আর এই মুহূর্তে এর থেকে বেশি কিছু আর বলতে পারব না। আবার কাজের সঙ্গে যুক্ত ঠিকাদার অরূপকুমার মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি পুকুর ভরাটের অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেন৷ এখন এই সমস্যার সমাধান প্রশাসন কবে করবে, সেটাই দেখার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Basirhat: হেরিটেজের তকমা মিললেও চরম অবহেলায় পড়ে রয়েছে ধান্যকুড়িয়ার গাইন গার্ডেন

    Basirhat: হেরিটেজের তকমা মিললেও চরম অবহেলায় পড়ে রয়েছে ধান্যকুড়িয়ার গাইন গার্ডেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্রিটিশ আমলে তৈরি উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের (Basirhat) ধান্যকুড়িয়া গাইন গার্ডেন চরম অবহেলায়, অনাদরে পড়ে রয়েছে। বছরখানেক আগে হেরিটেজ-তকমা পেলেও এখনও কোনও শ্রী ফেরেনি। গার্ডেনের ভিতর অট্টালিকার পুকুর ঘাটে দু’টি বড় মার্বেলের সিংহ ছিল। নব্বইয়ের দশকে তা বিক্রি হয়ে যায়। তবে বাগান বাড়ির গেটে দু’জন ইংরেজ একটি সিংহকে বধ করছে—এ রকম একটি ভাস্কর্য এখনও রয়েছে। ‘কপালকুণ্ডলা’ সিনেমার শুটিংও হয়েছিল এই স্থানে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এর জৌলুস কমতে শুরু করে।

    কে তৈরি করেছিলেন এই গাইন গার্ডেন?

    ইতিহাসের পাতা ঘেঁটে জানা যায়, প্রায় দেড়শো বছর আগে বসিরহাট (Basirhat) -বেড়াচাঁপার টাকি রোডের ধারে ‘গাইন’ দুর্গের আদলে বিশাল এই স্থাপত্য গড়ে তোলেন ধান‍্যকুড়িয়ার পাট ব‍্যবসায়ী মহেন্দ্রনাথ গাইন। পরবর্তীকালে যা গাইন গার্ডেন নামে পরিচিতি পায়। ৩৩ বিঘা জমির ওপর অট্টালিকা ছাড়াও আমোদ প্রমোদের জন্য তৈরি করা হয়েছিল বাগানবাড়ি। সেখানে জমিদার এবং তাঁদের ব‍্যবসায়িক সহযোগী ইংরেজদের বিনোদনের ব্যবস্থা ছিল। সেই সময় টাকি রোড বরাবর মার্টিন রেল চলত। যার স্টেশন ছিল ধান্যকুড়িয়ায়। ওই রেলে চড়ে ইংরেজরা আসতেন গাইন গার্ডেনে। এখন সেসব অতীত। তবে, সেই সমস্ত ইতিহাসের চিহ্ন এখনও ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে গাইন গার্ডেনের আনাচে কানাচে। যেগুলোর অধিকাংশই সংস্কারের অভাবে আজ ধ্বংস হতে বসেছে।

    এখন কী অবস্থায় রয়েছে গাইন গার্ডেন?

    বসিরহাটের (Basirhat) গাইন গার্ডেনের চারপাশ এখন ভরেছে ঘাস এবং আগাছায়। সীমানা পাঁচিলও যে কোনও সময় ভেঙে পড়তে পারে। সন্ধ্যার পর দুষ্কৃতীদের আনাগোনা সেখানে বাড়ছে বলে অভিযোগ। বিভিন্ন অংশে বেশ কিছু ফাটল ও ধরেতে দেখা গিয়েছে। নিত্যদিনই বাড়ছে বিপদের আশঙ্কা। বাগান চত্বরে বেড়েছে সাপের উপদ্রব। তারপরও রক্ষণাবেক্ষণের কোনও উদ্যোগ নেই প্রশাসনের। কার্যত অযত্নে পড়ে থেকে থেকে বিশাল এই স্থাপত্য আজ নষ্ট হওয়ার মুখে।

    কবে মিলল হেরিটেজের স্বীকৃতি?

    পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সমাজকল্যাণ দফতরের পরিচালনায় এখানে দীর্ঘদিন পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত একটি সরকারি বালিকা হোম-সহ মেয়েদের স্কুল চলত। দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পরে ২০০৮ সালে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদ গাইন পরিবারের কাছ থেকে এই সম্পত্তিটি কিনে নেয়। ২০১৯ সালে সংস্কারের কথা বলে মেয়েদের হোম ও স্কুল তুলে দেওয়া হয়। ২০২১ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের হেরিটেজ কমিশনের সদস্যেরা বসিরহাটের (Basirhat) এই গাইন গার্ডেন পরিদর্শন করেন। ২০২২ সালে হেরিটেজ হিসাবে স্বীকৃতিও মেলে। চলতি বছরের ১৮ এপ্রিল বিশ্ব ঐতিহ্য দিবসে পশ্চিমবঙ্গ হেরিটেজ কমিশনের ব্রশিওরেও স্থান পেয়েছে ধান্যকুড়িয়া গাইন গার্ডেন।

    কী বললেন স্থানীয় বাসিন্দারা?

    স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, “খাতায়-কলমে শুধু ‘হেরিটেজ’ তকমাটুকুই মিলেছে। বাস্তবে ভবনের চিত্র এখনো বদলায়নি। এই বিষয়ে মহম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “হেরিটেজ ঘোষণার পরও প্রশাসনের সেই উদ্যোগ এখনো চোখে পড়েনি। আজও অবহেলায় পড়ে রয়েছে এই স্থানটি। এই স্থাপত্য বাঁচাতে প্রশাসনের সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া দরকার। পাশাপাশি পর্যটন শিল্প গড়ে তোলা হলে কর্মসংস্থানও হবে এলাকায়।

    কী বললেন জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ?

    যদিও এই ভবন নিয়ে উদাসীনতার অভিযোগ মানতে চাননি জেলা পরিষদের বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ এ কে এম ফারহাদ। তিনি বলেন, “যে কোনও উন্নয়নের কাজ করতে গেলে কিছু বিষয় থাকে। জেলা প্রশাসন ইতিমধ্যে বিষয়টি নিয়ে তৎপর হয়েছে। আশা করছি খুব শীঘ্রই সেখানে সংস্কারের কাজ শুরু হয়ে যাবে। উন্নয়নের বিষয়ে আমরা সব সময় একধাপ এগিয়ে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Road: হাসপাতাল যাওয়ার ৩ কিমি রাস্তা ঘুরে যেতে হচ্ছে ৮ কিমি! ক্ষোভে অবরোধ

    Panchayat Road: হাসপাতাল যাওয়ার ৩ কিমি রাস্তা ঘুরে যেতে হচ্ছে ৮ কিমি! ক্ষোভে অবরোধ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ প্রায় দু-দশক ধরে বেহাল রাস্তা (Panchayat Road)। এলাকায় রয়েছে পানীয় জলের সমস্যাও। পঞ্চায়েত এবং প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েও মেলেনি সুরাহা। এলাকার বিধায়ক মন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ার পরেও হয়নি সমাধান। এইসব ক্ষোভ থেকেই ৮১ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামবাসীরা। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নং ব্লকের লক্ষণপুর ৮১ নম্বর জাতীয় সড়কে। ভোট বয়কটের ডাক দিয়ে হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন গ্রামবাসীরা।

    পথশ্রী প্রকল্পেও ভাগ্যের শিকে ছেঁড়েনি!

    জানা গিয়েছে, মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নং ব্লকের অন্তর্গত ভিঙ্গল গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে লক্ষণপুর, ঝিকোডাঙা, ডুমুরকলা, কনার, পাড়ুই সহ একাধিক গ্রামের রাস্তা (Panchayat Road) বেহাল। স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরেও পাকা রাস্তা হয়নি মালদার এই গ্রামগুলিতে। লাল মাটির রাস্তা, খানাখন্দে ভরা। দীর্ঘ দুই দশক সংস্কারের অভাবে কার্যত বেহাল দশা। পারো থেকে ঝিকোডাঙা পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার রাস্তা গ্রামের মূল প্রবেশপথ।পার্শ্ববর্তী ২০ থেকে ২৫ টি গ্রামের ৫ থেকে ৬ হাজার মানুষ দৈনন্দিন যাতায়াত করে এই রাস্তা দিয়ে। যানবাহন তো বটেই, বৃষ্টি হলে মানুষের চলাচলের পক্ষেও অযোগ্য হয়ে ওঠে এই রাস্তা। হাসপাতাল যাওয়ার ৩ কিলোমিটার দূরত্বের রাস্তা ঘুরে যেতে হচ্ছে ৮ কিলোমিটার। আগুন লাগলে গ্রামে আসতে পারছে না দমকলের গাড়ি। এদিকে কিছুদিন আগেই পথশ্রী প্রকল্পের আওতায় রাজ্যের কয়েক হাজার বেহাল রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু তাতেও ভাগ্যের শিকে ছেঁড়েনি ঝিকোডাঙা গ্রামের রাস্তার। যার ফলে গ্রামবাসীরা ক্ষিপ্ত হয়ে সোমবার সকালে হরিশ্চন্দ্রপুর ৮১ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। মন্ত্রীর ভূমিকায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। তিনটি দফতরের প্রতিমন্ত্রী হয়েও নাগরিক পরিষেবা থেকে কেন বঞ্চিত গ্রামবাসীরা, বিক্ষোভকারীরা এই প্রশ্নও তুলেছেন।

    শুরু রাজনৈতিক চাপানউতোর

    কংগ্রেসের দখলে পঞ্চায়েত থাকার কারণে বিমাতৃসুলভ আচরণ করছে তৃণমূল, অভিযোগ কংগ্রেস পরিচালিত ভিঙ্গল গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বিমানবিহারী বসাকের। আর এই ঘটনা সামনে আসতেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। মালদা উত্তরের বিজেপির সাংগঠনিক জেলা যুবমোর্চার সভাপতি অয়ন রায় বলেন, মন্ত্রীর গড়ে দাঁড়িয়ে সাধারণ মানুষ নাগরিক পরিষেবা থেকে বঞ্চিত। পঞ্চায়েত ভোটে মানুষ এদের ছুড়ে ফেলবে। যদিও বিরোধীদের অভিযোগ মানতে নারাজ তৃণমূল। মালদা জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক তথা জেলা পরিষদের সভাধিপতি রফিকুল হোসেন বলেন, পথশ্রী প্রকল্পে ভিঙ্গল গ্রাম পঞ্চায়েতের দুটি রাস্তা (Panchayat Road) ধরা হয়েছে। তবে মানুষকে নাগরিক পরিষেবা দিতে ব্যর্থ কংগ্রেস পরিচালিত ওই গ্রাম পঞ্চায়েত। পানীয় জলের সমস্যা জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে দেখা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: এলাকায় দাপিয়ে বেড়াল নীলগাই! কোথায় জানেন?

    Malda: এলাকায় দাপিয়ে বেড়াল নীলগাই! কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ মাঠের মধ্যে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে নীলগাই। নিজেদের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছিলেন না মালদহের (Malda) ডাকাতপুকুর এলাকার বাসিন্দারা। খবর জানাজানি হতেই এলাকার মানুষ ভিড় করেন। ততক্ষণে সে জঙ্গলের ভিতরে ঢুকে পড়েছে। শুধু ডাকাতপুকুর নয় বামনগোলা, কসবা, মহিশাল থেকে পারহবিনগর সহ আশপাশের এলাকায় দাপিয়ে বেড়ায় নীলগাই। আর দিনভর এই নীলগাইকে নিয়ে মজেছিলেন এলাকার বাসিন্দারা। অনেকে কাছে গিয়ে তাকে ধরার চেষ্টা করলেন। কিন্তু, তার নাগাল পেলেন না কেউই। মাস দুয়েক আগেও এই জেলার (Malda) ইংরেজবাজার ব্লকের যদুপুর-২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের আমজামতলা গ্রামেও দেখা মিলেছিল নীলগাইয়ের। এছাড়া  গত বছর মে মাস নাগাদ মালদহের হরিশচন্দ্রপুরের কনকনিয়া এলাকায় নীলগাই দেখতে পেয়েছিলেন এলাকাবাসী। সাধারণত উত্তরপ্রদেশ এবং মহারাষ্ট্রের জঙ্গলে নীলগাই সব থেকে বেশি দেখা যায়। মালদহের আদিনা ডেয়ার পার্কেও নীলগাই রয়েছে। ফলে, বহু আগে থেকে নীল গাইয়ের সঙ্গে এই জেলার মানুষ পরিচিত। তবে, এত কাছে এভাবে নীলগাই চলে আসবে তা গ্রামের বাসিন্দারা কেউ ভাবতেও পারেননি।

    কোথায় থেকে এসেছে নীল গাইটি?

    মাস দুয়েক আগে মালদহের (Malda) ইংরেজবাজার এলাকায় যে নীলগাইয়ের দেখা মিলেছিল, সেটি বাংলাদেশ থেকে এসেছিল। কারণ, গ্রামের ধার দিয়ে মহানন্দা নদী বয়ে গিয়েছে। নদীর ওপারেই বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ এলাকা। বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া ওই এলাকায় বিশাল ঘন জঙ্গল রয়েছে। সেখানে নীল গাই থাকতে পারে। গরম পড়তেই মহানন্দা নদীতে এখন হাঁটু সমান জল। সেই জল পেরিয়ে নীলগাই এসেছিল। তবে, এদিন যে নীলগাই এলাকায় দেখা গিয়েছে তা বিহার থেকে এসেছে বলে বন দফতরের আধিকারিকরা মনে করছেন। স্থানীয় বাসিন্দা হরিপদ মাহাত বলেন, প্রথমে ঘোড়া ভেবে এলাকার মানুষ ভুল করেছিল। পরে, বন দফতরের আধিকারিকরা জানান, সেটি নীলগাই। এলাকার মানুষের ভিড় উপচে পড়ে। পাশেই গাঙ্গু নদী রয়েছে। এই এলাকায় এর আগে নীলগাইয়ের দেখা মেলেনি।   

    বন দফতরের পক্ষ থেকে কী উদ্যোগ নেওয়া হল?

    গ্রামবাসীদের কাছ থেকে জানার পরই মালদহ (Malda) জেলা বন দফতরের পক্ষ থেকে নীলগাইয়ের খোঁজে তল্লাশি চালানো হয়। ঘুমপাড়ানির বন্দুক নিয়ে ডাকাতপুকুর, মহিশাল সহ আশপাশের এলাকা চষে বেড়ান। কিন্তু, বাস্তবে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। নীলগাইয়ের হদিশ মেলেনি। বন দফতরের এক আধিকারিক বলেন, নীলগাইয়ের হদিশ মিললেই তাকে আদিনা ফরেস্টে রাখা হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mamata Banerjee: ‘‘৩৬ হাজার চাকরি বাতিল হল ডিএ আন্দোলনের জন্য’’! এ কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী?

    Mamata Banerjee: ‘‘৩৬ হাজার চাকরি বাতিল হল ডিএ আন্দোলনের জন্য’’! এ কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডের মামলায় গত সপ্তাহে বড় নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। প্রাথমিকের প্রশিক্ষণবিহীন ৩৬ হাজার চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিন মাসের মধ্যে নতুন নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি৷ আদালতের এই সিদ্ধান্তে রাজ্য সরকার যে চরম বিপাকে পড়েছে, তা বলাই বাহুল্য। 

    দুর্নীতির জালে রাজ্যের বর্তমান শাসক দল এতটাই আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে পড়েছে যে, এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে পারছে না। একের পর এক দুর্নীতির জেরে ভুরি ভুরি সিবিআই-ইডি তদন্তের নির্দেশ দিচ্ছে আদালত। যা নিয়ে ক্রমাগত আক্রমণ ধেয়ে আসছে বিরোধী শিবির থেকে। তার ওপর দোসর হয়েছে ডিএ আন্দোলন! বকেয়া ডিএ-র দাবিতে, বেশ কিছুদিন ধরেই আন্দোলন করছেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। রাজ্য প্রশাসন ও রাজ্য সরকারি কর্মীদের মধ্যে এই সংঘাত গড়িয়েছে আদালত পর্যন্তও। সম্প্রতি, হাইকোর্টের অনুমতিতে মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) পাড়ায় বিশাল মিছিল করেছেন ডিএ আন্দোলনকারীরা। এই নিয়েও সরকারের বিড়ম্বনা যারপরনাই বেড়েছে। 

    আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর পাড়ায় গ্রুপ ডি চাকরিপ্রার্থীদের হ্যারিকেন মিছিলের অনুমতি হাইকোর্টের

    এই পরিস্থিতিতে, সোমবার, ডিএ আন্দোলনকে তীব্র আক্রমণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী(Mamata Banerjee)। আর তা করতে গিয়ে যা দাবি করলেন, তা শুনে অনেকের চোখ কপালে উঠেছে। এদিন নবান্ন সভাঘরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানালেন, এই ৩৬ হাজার চাকরি যে বাতিল হল, তার জন্য দায়ী ডিএ আন্দোলন! মমতা বলেন, “যাঁরা ডিএ নিয়ে চিৎকার করে, ৩ শতাংশ ডিএ এবছরও পেয়েছে। প্রতিদিন গিয়ে গিয়ে মিছিল করছে। আর তাঁদের জন্যই ৩৬ হাজার ছেলেমেয়ের চাকরি চলে গেল।’’ বিরোধীদের প্রশ্ন, দুর্নীতির জন্য চাকরি হারাল, সেখানে ডিএ আন্দোলন দায়ী হল কী করে? তাঁদের কটাক্ষ, মুখ্যমন্ত্রীর এহেন কথা থেকেই স্পষ্ট, দুর্নীতির গেরোয় তিনি যুক্তি হারিয়ে ফেলেছেন।

    এখানেই থেমে থাকেননি মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)। তিনি আরও দাবি করেন, ডিএ আবশ্যিক নয়, এটা অপশন। মমতা বলেন, ‘‘ডিএ বাধ্যতামূলক নয়, ঐচ্ছিক। সরকার সামর্থ মতো ডিএ দেবে।’’ অথচ, অতীতে একাধিকবার রাজ্যকে হাইকোর্ট স্মরণ করিয়ে দিয়েছে যে, ডিএ কর্মীদের অধিকার। এই ডিএ-সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে আগে হাইকোর্ট তার স্পষ্ট রায়ে জানিয়েছে— ডিএ বা মহার্ঘ ভাতা ‘সরকারের দয়ার দান’ নয়, কর্মীদের আইনি অধিকার। এই ভাতা রাজ্য সরকারি কর্মীদের প্রাপ্য।

    যা শুনে বিরোধীদের কটাক্ষ, ক্রমশ পায়ের তলার জমি যে সরে যাচ্ছে, তা ভালোমতোই টের পাচ্ছেন মমতা।

LinkedIn
Share