Tag: Madhyom

Madhyom

  • PM Modi: দু’দিনের সফরে সৌদি আরবে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি! কী কী বিষয়ে আলোচনার সম্ভাবনা?

    PM Modi: দু’দিনের সফরে সৌদি আরবে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি! কী কী বিষয়ে আলোচনার সম্ভাবনা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দু’দিনের সফরে সৌদি আরবে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। সৌদির প্রধানমন্ত্রী তথা সে দেশের যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সলমনের আমন্ত্রণে আগামী ২২-২৩ এপ্রিল সেখানে যাচ্ছেন তিনি। ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে এই নিয়ে তৃতীয় বার সৌদিতে যাচ্ছেন মোদি। মধ্যপ্রাচ্যের বর্তমান অস্থির ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে এই সফর বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর সফরকালে ভারত ও সৌদি আরবের মধ্যে একাধিক সমঝোতা স্মারক (MoU) স্বাক্ষরিত হবে।

    দুই দেশের মধ্যে দৃঢ় সম্পর্ক

    বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে খবর, সৌদির যুবরাজ তথা প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে দু’দিনের সফরে সে দেশে যাচ্ছেন মোদি (PM Modi)। এর আগে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে ভারতে এসেছিলেন সৌদির যুবরাজ। ওই সময়েই ভারত এবং সৌদি আরবের কৌশলগত অংশীদারি পরিষদ (স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপ কাউন্সিল)-এর প্রথম বৈঠক হয়েছিল। ওই বৈঠকের প্রায় দেড় বছর পরে প্রধানমন্ত্রী মোদির সৌদিযাত্রা এই সফরের গুরুত্বকে আরও বৃদ্ধি করেছে। রতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি জানিয়েছেন, “সৌদি আরব ভারতের এক কৌশলগত অংশীদারিত্ব। এই সফরের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও মজবুত হবে।”

    কী কী বিষয়ে আলোচনার সম্ভাবনা

    সৌদি আরবের ১০০ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ পরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি স্বাক্ষরের সম্ভাবনা রয়েছে। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ছাড়াও মধ্যপ্রাচ্যের সামগ্রিক পরিস্থিতি, ইজরায়েল-হামাস সংঘাত এবং ইউক্রেন যুদ্ধ-সহ একাধিক আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক ইস্যুতে মতবিনিময় করবেন দুই দেশের শীর্ষ নেতৃত্ব। সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ একটি চুক্তি স্বাক্ষর হতে চলেছে সবুজ হাইড্রোজেন (Green Hydrogen) খাতে। ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি জানান, “জ্বালানি সহযোগিতায় কৌশলগত মাত্রা যোগ করার চেষ্টা করা হবে।” সৌদি যুবরাজের ভারত সফরের সময় ঘোষিত ১০০ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ পরিকল্পনার অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হবে। ইতিমধ্যেই উচ্চপর্যায়ের টাস্ক ফোর্স অন ইনভেস্টমেন্ট (HLTFI) গঠন করা হয়েছে, যার প্রথম বৈঠক হয়েছে ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে। আলোচনায় থাকবে ভারত-মধ্যপ্রাচ্য-ইউরোপ অর্থনৈতিক করিডর (IMEEC)-এর ভবিষ্যত পরিকল্পনাও। প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে সামরিক মহড়া এবং উচ্চ পর্যায়ের যোগাযোগ বৃদ্ধির বিষয়েও রূপরেখা তৈরি হতে পারে। প্রতিরক্ষা খাতে যৌথ প্রকল্প, অস্ত্র ক্রয়ের সুযোগ এবং প্রশিক্ষণসহ আরও ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

  • Ram Darbar: অক্ষয় তৃতীয়াতে রাম দরবারে বসছে ১৮ মূর্তি, জানাল তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট

    Ram Darbar: অক্ষয় তৃতীয়াতে রাম দরবারে বসছে ১৮ মূর্তি, জানাল তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অক্ষয় তৃতীয়াতে বড় উৎসবের জন্য সেজে উঠছে অযোধ্যার রামমন্দির (Ram Darbar)। রামদরবারে বসছে অক্ষয় তৃতীয়াতে বসছে ১৮টি মূর্তি। ৩০ এপ্রিল এক ধর্মীয় রীতি মেনে স্থাপন করা হবে মূর্তিগুলিকে। সংবাদমাধ্যমকে একথা জানিয়েছেন রামজন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক চম্পত রাই। সংবাদমাধ্যমের সামনে তিনি আরও জানিয়েছেন, আগামী জুন মাসে তিন দিনের ‘প্রাণ প্রতিষ্ঠা’ অনুষ্ঠান হবে। এসময়ে জলবাস, অন্নবাস, ঔষধিবাসের মতো ধর্মীয় অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে রামমন্দিরে।

    মন্দির প্রাঙ্গণে ছয়টি মন্দির (Ram Darbar)

    চম্পত রাই আরও জানিয়েছেন, মন্দির প্রাঙ্গণে ছয়টি মন্দির স্থাপন করা হচ্ছে। সূর্য, ভগবতী, অন্নপূর্ণা, শিবলিঙ্গ, গণপতি এবং হনুমানজির মূর্তি। সপ্তম মূর্তিটি বসছে শেষাবতার মন্দিরে। সেখানে লক্ষ্মণের একটি মূর্তি স্থাপন করা হবে।

    সপ্ত মণ্ডপ অংশে বসছে ৭ মূর্তি

    রাম মন্দিরের (Ram Darbar) প্রাঙ্গণে অবস্থিত সপ্ত মণ্ডপ অংশে বসছে আরও ৭ মূর্তি। এগুলি হল- মহর্ষি বাল্মীকি, বশিষ্ঠ, বিশ্বামিত্র, অগস্ত্য মুনি, নিষাদ রাজ, শবরী এবং অহল্যার মূর্তি স্থাপন করা হবে।

    তুলসীদাসের মূর্তি ইতিমধ্যেই স্থাপিত

    পঞ্চদশ মূর্তি হিসেবে রামচরিত মানসের লেখক তুলসীদাসের মূর্তি ইতিমধ্যেই মন্দির চত্বরের (Akshaya Tritiya) যাত্রী সুবিধা কেন্দ্রে স্থাপন করা হয়েছে। বাকি ২ মূর্তিও বর্তমানে প্রস্তুতির চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে বলে জানিয়েছেন রামমন্দির ট্রাস্টের এই সাধারণ সম্পাদক। জানা গিয়েছে, জয়পুরের সাদা মাকরানা মার্বেল থেকে ১৮টি মূর্তি তৈরি করা হচ্ছে। ১৫ এপ্রিল থেকে অযোধ্যায় এগুলিকে নিয়ে আসা শুরু হয়েছে।

    অক্টোবরেই সম্পূর্ণ হয়ে যাবে মন্দির

    সাংবাদিক বৈঠকে রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক চম্পত রাই জানিয়েছেন, আগামী অক্টোবর মাসের মধ্যেই রামমন্দিরের সম্পূর্ণ নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে (Ram Darbar)। প্রসঙ্গত, সাংবাদিক বৈঠকে যোগী আদিত্যনাথ সরকারেরও ভূয়সী প্রশংসা করতে শোনা যায় চম্পত রাইকে। তাঁর মতে, নির্মাণের কাজে ব্যাপক সাহায্য করেছে যোগী সরকার। প্রসঙ্গত, রামমন্দিরের উদ্বোধন হয় ২০২৪ সালের ২২ জানুয়ারি। উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

  • West Bengal Police: মমতা সরকারের তাঁবেদারি করছে পুলিশ! বিজেপির শান্তির আবেদনকে বিদ্বেষের তকমা!

    West Bengal Police: মমতা সরকারের তাঁবেদারি করছে পুলিশ! বিজেপির শান্তির আবেদনকে বিদ্বেষের তকমা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মমতা সরকারের তাঁবেদারি করছে পুলিশ! মুর্শিদাবাদের হিংসার ঘটনায় স্থানীয়দের কাছে এলাকায় শান্তি বজায় রাখার আবেদন (Peace Appeal) জানানো হয়েছিল বিজেপি-আরএসএসের তরফে। এই শান্তির আবেদন নাকি হিংসায় ইন্ধন জোগাচ্ছে! অন্তত এমনই দাবি পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের (West Bengal Police)।

    ব্যাপক হিংসা মুর্শিদাবাদে (West Bengal Police)

    সংশোধিত ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে ব্যাপক হিংসার ঘটনা ঘটে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদের বিস্তীর্ণ এলাকায়। মৌলবাদী ইসলামি গোষ্ঠীগুলি স্থানীয় হিন্দুদের ওপর অত্যাচার করেছে বলে অভিযোগ। দুই হিন্দু প্রতিমা শিল্পী, যাঁরা সম্পর্কে বাবা ও ছেলে, তাঁদের ঘর থেকে টেনে হিঁচড়ে বের করে খুন করা হয় বলেও অভিযোগ। প্রাণভয়ে রাতের অন্ধকারে নদী পার হয়ে হিন্দুরা আশ্রয় নেন মালদায়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন রাজ্য প্রশাসন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ধীর পদক্ষেপ করছে বলে অভিযোগ। মুর্শিদাবাদের মতো ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে পুলিশ বাহিনীকে সংগ্রাম করতে হচ্ছে বলেও খবর।

    বিজেপির সমালোচনা

    সমালোচকদের দাবি, সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি রোধ বা সহিংসতায় ঘরছাড়া মানুষদের সহায়তায় পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেনি। এদের মধ্যে অনেকে প্রতিবেশী মালদা জেলায় পালিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ বাহিনীর রাজনীতিকীকরণ নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। অভিযোগ, রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের বক্তব্যকে প্রতিষ্ঠা করতেই তৎপর পুলিশ। গত ২০ এপ্রিল পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ তাদের অফিসিয়াল এক্স হ্যান্ডেলে মুখ্যমন্ত্রী কর্তৃক স্বাক্ষরিত একটি ‘শান্তির আবেদন’ শেয়ার করে। সমালোচকদের যুক্তি, চার পাতার এই আবেদনে কেবল শান্তির আহ্বান জানানো হয়নি, রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপির সমালোচনাও করা হয়েছে (West Bengal Police)।

    কী বলছে পুলিশ

    পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের অফিসিয়াল এক্স হ্যান্ডেল দ্বারা ইংরেজি ও বাংলায় শেয়ার করা এই ‘শান্তির আবেদনে’ বিজেপি এবং আরএসএসের সমালোচনা করে তাদের ‘আক্রমনাত্মক’ বলে আখ্যা দেওয়া হয়েছে এবং রাজ্যে ‘মিথ্যা প্রচার’ চালানোর অভিযোগও তোলা হয়েছে (Peace Appeal)। পুলিশের ওই আবেদনে দাবি করা হয়, কিছু রাজনৈতিক গোষ্ঠী উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ঘটনাকে কাজে লাগিয়ে বিভাজনমূলক রাজনীতি উসকে দিচ্ছে এবং ‘ডিভাইড অ্যান্ড রুল’ পলিশি বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে, যা ‘অশুভ’ বলে দাবি করা হয়েছে।

    ‘আগুন নিয়ে খেলা’

    প্রমাণ না দিয়েই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও দাবি করেছিলেন যে বিজেপি এবং আরএসএস রাম নবমীতে ‘আগুন নিয়ে খেলা’র পরিকল্পনা করছে। সমালোচকদের মতে, নতুন ওয়াকফ আইনের বিরোধিতার নামে তাঁর মুসলিম সমর্থক গোষ্ঠী দ্বারা সংঘটিত বলে কথিত হিংসা থেকে জনতার দৃষ্টি ঘুরিয়ে দিতেই এমন মন্তব্য করা হয়েছে। তিনি বিজেপি ও তাদের মিত্রদের রাজনৈতিক অ্যাজেন্ডা চালানোর জন্য ‘সনাতন হিন্দুধর্মকে কলঙ্কিত’ করার অভিযোগও তোলেন। বিতর্কিত এই বক্তব্যের পরেও পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ তাদের অফিসিয়াল সোশ্যাল মিডিয়া চ্যানেলের মাধ্যমে এই বার্তা শেয়ার ও প্রসার করতে থাকে (West Bengal Police)।

    প্রমাণ ছাড়াই একাধিক অভিযোগ

    পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বিজেপি-শাসিত রাজ্যগুলির বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ ছাড়াই একাধিক অভিযোগ তুলেছেন। তিনি বলেন, “বিজেপি ও তাদের মিত্ররা মিথ্যা ও সংকীর্ণ কথাবার্তা ছড়াচ্ছে। তাদের বক্তব্য ভুল উদ্ধৃতির ওপর গড়ে তোলা মিথ্যার স্তূপ। তাদের বিশ্বাস করবেন না। তারা দাঙ্গা বাধানোর চেষ্টা করছে, যা সবার ক্ষতির কারণ হতে পারে (Peace Appeal)।” মুর্শিদাবাদের হিংসায় স্থানীয় মুসলিমদের একাংশের হাত রয়েছে বলে সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ। যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তারা প্রায় সকলেই মুসলমান। দুই প্রতিমা শিল্পী খুনে মূল চক্রী জিয়াউলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার পরেও মুসলিম ভোটব্যাংকে যাতে ফাটল ধরে, তাই আওড়েছেন মেকি ধর্মনিরপেক্ষতার বাণী। তিনি বলেন, “মনে রাখবেন, দাঙ্গা হিন্দু বা মুসলমান কারও দ্বারা সৃষ্টি হয় না—দাঙ্গা সৃষ্টি করে অপরাধীরা।” সমালোচকদের মতে, এটি তাঁর তোষণমূলক রাজনীতিরই বহিঃপ্রকাশ (West Bengal Police)।

    ভোটব্যাংকের স্বার্থেই তোষণের রাজনীতি!

    এই ভোটব্যাংকের স্বার্থেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইঙ্গিত দেন, মুর্শিদাবাদের এই অশান্তির জন্য দায়ী স্থানীয়রা নয়, বহিরাগতরা। তিনি বলেন, “দাঙ্গা সৃষ্টিকারীরা সর্বদা বাইরে থেকে এসে চলে যায়। কিছু বহিরাগতকে বিশ্বাস করবেন না যারা সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা তৈরি করে নিজেদের সংকীর্ণ রাজনৈতিক স্বার্থে দাঙ্গা সৃষ্টি করে।” অথচ ঘটনা হল, মূল চক্রী জিয়াউল বাইরের কেউ নন, তিনি মুর্শিদাবাদেরই বাসিন্দা। তৃণমূল সুপ্রিমোর এই ভোটব্যাংকের রাজনীতির কূট চাল ধরে ফেলেছেন ক্ষতিগ্রস্তরা। তাঁদের সাফ কথা, মুর্শিদাবাদে হিংসার মূল হোতা ছিল স্থানীয় মুসলিমরাই। মুখ্যমন্ত্রীর বিতর্কিত এই মন্তব্য ও এই বৈপরীত্য সত্ত্বেও, পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ তাদের অফিসিয়াল এক্স হ্যান্ডেল থেকে তাঁর ‘শান্তির আবেদন’ শেয়ার করে তা আরও প্রচার করে (Peace Appeal)।

    দলদাস পুলিশের (West Bengal Police) কবে সম্বিত ফিরবে? প্রশ্ন বিরোধীদের।

  • Demographic Shift: নিজভূমেই পরবাসী অস্ট্রিয়াবাসী! কমছে খ্রিস্টান, বাড়ছে মুসলিম জনসংখ্যা, বিপন্ন আদি-বাসিন্দারা

    Demographic Shift: নিজভূমেই পরবাসী অস্ট্রিয়াবাসী! কমছে খ্রিস্টান, বাড়ছে মুসলিম জনসংখ্যা, বিপন্ন আদি-বাসিন্দারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউরোপের দেশ ভিয়েনায় দ্রুত বদলে যাচ্ছে জনবিন্যাস (Demographic Shift)। সাম্প্রতিক এক সরকারি সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, সে দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলিতে (Vienna School) এখন খ্রিস্টানদের চেয়ে মুসলিম শিক্ষার্থীর সংখ্যা অনেক বেশি। শহরের স্কুল কাউন্সিলের তথ্য অনুযায়ী, এই সব স্কুলের ৪১.২ শতাংশ শিক্ষার্থী মুসলিম সম্প্রদায়ের, অন্যদিকে সব খ্রিস্টান সম্প্রদায় মিলে রয়েছে মাত্র ৩৪.৫ শতাংশ।

    সংগৃহীত তথ্য (Demographic Shift) 

    ভিয়েনার শিক্ষা বিষয়ক সিটি কাউন্সিলর বেটিনা এমারলিংয়ের (নিওস) অফিস এই তথ্য সংগ্রহ করেছে। এতে সব ধরণের স্কুলের প্রায় ১,১২,৬০০ শিশুকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্কুলগুলিতে জার্মান ভাষা ক্রমশ দ্বিতীয় ভাষায় পরিণত হচ্ছে, যা শিক্ষাদানকে কঠিন করে তুলেছে। অস্ট্রিয়ান প্যারেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের ইভেলিন কোমেটারের মতে, শিক্ষার্থীদের বোঝানোর জন্য শিক্ষকদের প্রতিটি বাক্য ১০ থেকে ১২ বার বলতে হচ্ছে। এতে ক্লাস নিতে সমস্যা হচ্ছে। শহরের স্কুলগুলো থেকে জাতিগত অস্ট্রিয়ান পরিবারগুলি পালাতে শুরু করেছে বলেও জানা গিয়েছে।

    ফ্রিডম পার্টির বক্তব্য

    অস্ট্রিয়ার ডানপন্থী ফ্রিডম পার্টি এই পরিস্থিতিকে অভিবাসন নয়, স্থানচ্যুতি বলে অভিহিত করেছে। দলের তরফে হানেস অ্যামেসবাউয়ার বলেন, “অস্ট্রিয়ানরা শীঘ্রই নিজ দেশেই বিদেশিতে পরিণত হবে।” সরকার সহনশীলতা, বৈচিত্র্য ও সামাজিক সংহতি বাড়াতে গণতন্ত্রে বসবাস নামে একটি নতুন বিষয় চালু করার প্রস্তাব দিয়েছে। তবে সমালোচকদের মতে, সমন্বয়ের সমস্যা এর চেয়ে ঢের বেশি গভীর। ভিয়েনার জনতাত্ত্বিক পরিবর্তন (Demographic Shift) কোনও আকস্মিক বা এক রাতের মধ্যে ঘটে যাওয়া ঘটনা নয়। বছরের পর বছর ধরে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ—বিশেষত জার্মানি, সুইডেন ও অস্ট্রিয়া—এক ধরনের “খোলা দরজার অভিবাসন নীতি” অনুসরণ করেছে। সিরিয়া, ইরাক, আফগানিস্তান ও সোমালিয়ার মতো যুদ্ধবিধ্বস্ত ইসলামি দেশগুলি থেকে আগত সকলকে তারা স্বাগত জানিয়েছে। তবে স্থানীয় সমাজে সম্পূর্ণ ভিন্ন সাংস্কৃতিক পটভূমির এই গোষ্ঠীগুলিকে কীভাবে একীভূত করা যায়, তার জন্য দীর্ঘমেয়াদী কোনও পরিকল্পনাই তারা করেনি (Vienna School)।

    বিষময় ফল

    প্রাথমিকভাবে, বহুসংস্কৃতিবাদ ও মানবিক উদ্বেগের নামে এই অভিবাসন নীতিগুলি প্রচার করা হয়েছিল। তবে এগুলির ফল হয়েছে মারাত্মক। বিচ্ছিন্ন মহল্লা, শ্রেণিকক্ষে ভাষাগত সঙ্কট, অপরাধ বৃদ্ধি এবং রাজনৈতিক অস্থিরতা দেখা দিয়েছে দেশটিতে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন দেশগুলির বিভিন্ন অংশে স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলি ইহুদি ও প্রকাশ্যে সমকামিতায় জড়িতদের মতো কিছু ব্যক্তিকে ইসলামি সম্প্রদায়-অধ্যুষিত তথাকথিত “নো-গো জোন” এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছে। ইসলামি দেশগুলি থেকে যে কেউ ও সবাইকে প্রবেশাধিকার দেওয়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে উগ্র ডানপন্থী গোষ্ঠীগুলি। বাম-উদারপন্থীরা এই উদ্বেগগুলিকে ভীতি ছড়ানো হিসাবে খারিজ করে দিয়েছিল। তবে এখন মূলধারার তথ্য – শ্রেণিকক্ষের ধর্মীয় অনুপাত, অপরাধের পরিসংখ্যান থেকে গণবিরোধিতা পর্যন্ত সবেতেই এই উদ্বেগ প্রতিফলিত হচ্ছে। সাধারণ জনতা, বিশেষজ্ঞ ও রাজনৈতিক নেতৃত্ব সকলের কাছ থেকেই অভিবাসন নীতি পুনর্বিবেচনার দাবি উঠেছে। এমনকি মধ্য-পন্থী দলগুলিও স্বীকার করেছে যে নিরঙ্কুশ অভিবাসনের মডেল ইউরোপীয় মূল্যবোধ ও সামাজিক সংহতি রক্ষায় ব্যর্থ হয়েছে (Demographic Shift)।

    সীমান্ত নীতি কঠোর করার কথা বিবেচনা

    জানা গিয়েছে, জার্মানির সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি অভিবাসন ইস্যুতে রাজনৈতিক চাপের মুখে পড়ে সম্প্রতি সীমান্ত নীতি কঠোর করার কথা বিবেচনা করেছে। ডেনমার্কে, ঐতিহ্যগতভাবে মধ্য-বামপন্থী সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটরা প্রধানমন্ত্রী মেটে ফ্রেডেরিকসেনের নেতৃত্বে গত কয়েক বছরে কঠোর অভিবাসন নীতি গ্রহণ করেছে। যার ফলে ইসলামি দেশগুলি থেকে আসা অভিবাসীদের ঠাঁই মিলছে না (Vienna School)। প্রসঙ্গত, গত বছরই সেপ্টেম্বর মাসে ‘দ্য গার্ডিয়ান’ জানিয়েছিল যে সুইডেন, ফ্রান্স, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস এবং ফিনল্যান্ডের মতো ইউরোপীয় দেশগুলি কঠোর অভিবাসন নীতি আনার অঙ্গীকার করেছে। উল্লেখ যে, এগুলিকে “অতি ডানপন্থীদের চাপের ফল” হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে। ইউরোপীয় দেশগুলির অভিবাসন নীতি কঠোর হওয়ার আরও একটি উল্লেখযোগ্য দিক হল, ২০২৫ সালের প্রথম ত্রৈমাসিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) অনিয়মিত সীমান্ত পারাপারের বার্ষিক সংখ্যা ৩১ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। অন্যদিকে, ফ্রন্টেক্স কর্তৃক সংগৃহীত তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে অনিয়মিত সীমান্ত পারাপারের হার ১৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছিল—যা ২০১৬ সালের পর সর্বোচ্চ। ওই বছর ৩৮০,০০০ জন অনিয়মিতভাবে ইইউতে প্রবেশ করে। তবে ২০২৪ সালের প্রথম ত্রৈমাসিকে এই সংখ্যাটি উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গিয়েছিল (Demographic Shift)।

    ইসলামি সাংস্কৃতিক আগ্রাসন

    ইউরোপ বর্তমানে যা ইসলামি সাংস্কৃতিক আগ্রাসন বলে বর্ণনা করা যায়, তার তীব্র মোকাবিলা করছে। এদিকে, ভারত দীর্ঘকাল ধরে জনসংখ্যাগত পরিবর্তনের প্রভাব সহ্য করে আসছে। স্বাধীন ভারতের ইতিহাসের সবচেয়ে ট্র্যাজিক উদাহরণ হল কাশ্মীর, যেখানে ১৯৯০-এর দশকে লক্ষাধিক কাশ্মীরি হিন্দুকে টার্গেট করে জাতিগত নির্মূল অভিযান চালানো হয়েছিল। ইসলামিস্ট  চরমপন্থীদের দ্বারা বিতাড়িত হয়ে তাঁরা নিজেদের জমি-জিরেত ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছিলেন। বস্তুত, নিজের দেশেই তাঁরা পরিণত হয়েছিলেন শরণার্থীতে (Vienna School)।

    উদ্বেগজনক প্রবণতা ভারতেও

    সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভারত-নেপাল সীমান্তেও একটি উদ্বেগজনক প্রবণতা দেখা দিচ্ছে। ২০১১ সাল থেকে কিছু জেলায় মুসলিম জনসংখ্যা জাতীয় গড় ১৪ শতাংশের তুলনায় ৩২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। সীমান্তসংলগ্ন অনেক গ্রামে সম্পূর্ণ জনসংখ্যাগত উলটপালটের খবর পাওয়া গিয়েছে, যা অবৈধ অনুপ্রবেশ ও সীমান্তপার চরমপন্থা রোধে বিএসএফের এক্তিয়ার বৃদ্ধির দাবি জোরালো করছে। ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের শহরগুলিতে দেখা গিয়েছে, যেখানে মুসলিম জনসংখ্যা একটি নির্দিষ্ট সীমা অতিক্রম করে, সেখানে হিন্দুদের টিকে থাকা অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়ে। “এই বাড়িটি বিক্রয়ের জন্য” লেখা সাইনবোর্ডযুক্ত বাড়িগুলি প্রায়ই সেই সব অঞ্চলে দেখা যায়, যেখানে স্থানীয় ইসলামিস্ট গুন্ডাদের হাতে নির্যাতনের শিকার হন হিন্দুরা (Demographic Shift)।

    উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল মুর্শিদাবাদ

    সংশোধিত ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে সম্প্রতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদের বিস্তীর্ণ এলাকা। ২০২৫ সালের এপ্রিলের শুরুতে ওয়াকফ সংশোধনী আইনকে কেন্দ্র করে উত্তেজনার পর বিভিন্ন জায়গায় হিংসা ছড়িয়ে পড়ে। অভিযোগ, মুসলিম জনতা প্রথমে হিন্দুদের বাড়িগুলিতে কালি দিয়ে চিহ্নিত করেছিল। পরে বোমাবর্ষণ, ভাঙচুর চালায়। লুটপাট করে, করে অগ্নিসংযোগও। দুই হিন্দু প্রতিমা শিল্পী, যাঁরা সম্পর্কে বাবা ও ছেলে ছিলেন, তাঁদের ঘর থেকে টেনে হিঁচড়ে বের করে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ (Vienna School)। প্রাণভয়ে রাতের অন্ধকারে নদী পেরিয়ে বহু হিন্দু পরিবার আশ্রয় নিয়েছে মালদায়। নিদারুণ অত্যাচারের আতঙ্কে বহু হিন্দু পরিবার এলাকা ছেড়ে অন্যত্র পালিয়ে গিয়েছে, যা ২০২১-এর নির্বাচন-উত্তর বাংলার হিংসার সময়কার ভয়াবহ স্মৃতি উসকে দেয় (Demographic Shift)।

    বিপদ সঙ্কেত!

    বিভিন্ন হিন্দু নেতা ও বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব কিছু অঞ্চলে মুসলিম জনসংখ্যা বৃদ্ধির বিষয়ে সতর্ক করেছেন। তবে, ধর্মনিরপেক্ষ মহল এই উদ্বেগগুলিকে “প্রান্তিক আতঙ্ক” বলে খাটো করে দেখাচ্ছে। কিন্তু প্রকৃত ঘটনা সর্বত্রই এক— মুর্শিদাবাদের একজন হিন্দু শিক্ষক, দিল্লিতে দশক ধরে শরণার্থী হিসেবে বসবাসকারী (Vienna School) কাশ্মীরি পণ্ডিত, বা ভিয়েনার একজন অস্ট্রিয়ান অভিভাবক—সবক্ষেত্রেই পরিণতি ও বেদনা অভিন্ন (Demographic Shift)।

  • Rajnath Singh: ‘‘পাক অধিকৃত কাশ্মীরিরা শীঘ্রই চাইবেন ভারতের সঙ্গে যুক্ত হতে’’, বললেন রাজনাথ

    Rajnath Singh: ‘‘পাক অধিকৃত কাশ্মীরিরা শীঘ্রই চাইবেন ভারতের সঙ্গে যুক্ত হতে’’, বললেন রাজনাথ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের (Pak Occupied Kashmir) বাসিন্দারাই খুব শীঘ্র ভারতের সঙ্গে যুক্ত হতে চাইবে। মোদি সরকারের সাফল্যে ভারতে এখন ‘আচ্ছে দিন’। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh) লখনউয়ে এক সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, “ভারতের অর্থনীতি এখন বিশ্বের মধ্যে দ্রুততম বর্ধনশীল অর্থনীতিগুলোর একটি। আগে বিশ্বে ভারতের পরিচয় ছিল দরিদ্র দেশ হিসেবে, কিন্তু আজ এই চিত্র বদলে গিয়েছে। ভারতের অর্থনীতি এখন বিশ্বে পঞ্চম স্থানে, যা এক সময় একাদশ স্থানে ছিল। আগামী দুই বছরের মধ্যে ভারত শীর্ষ তিন অর্থনীতির মধ্যে স্থান পাবে বলে আন্তর্জাতিক আর্থিক সংস্থাগুলি দাবি করছে।”

    ভারতের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার ইচ্ছা

    লখনউয়ের মহর্ষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে আয়োজিত সভায় রাজনাথ সিং (Rajnath Singh) বলেন, “১১ বছর আগে ভারতে মাত্র দুটি মোবাইল ফোন কারখানা ছিল, আর আজ তা বেড়ে হয়েছে ২৭০টি। এছাড়াও, ডিজিটাল লেনদেনে ভারত এখন বিশ্বে প্রথম স্থানে রয়েছে। লখনউ থেকেই এক সময় মুসলিম লিগ পাকিস্তান গঠনের দাবি তুলেছিল। আর আজ সময় এসেছে এখান থেকেই ভারতের সঙ্গে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের সংযুক্তিকরণের দাবি তোলার। আমি বিশ্বাস করি, খুব শীঘ্রই পিওকে-র মানুষ নিজেরাই বলবে— ‘‘আমাদের ভারতেই যুক্ত করে দিন।’’

    জন সংলাপ কর্মসূচিতে রাজনাথ

    লখনউয়ের এই সভায় কেশব নগরে একটি সড়ক নির্মাণের দাবি উঠলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সংশ্লিষ্ট বিধায়ক ডঃ নীরজ বোরাকে নির্দেশ দেন সড়ক নির্মাণের ব্যবস্থা নিতে। এই অনুষ্ঠানে উপ-মুখ্যমন্ত্রী ব্রজেশ পাঠক বলেন, “এক সময় ফৈজুল্লাগঞ্জ সংক্রামক রোগে ভোগা একটি এলাকা ছিল। সেখান থেকেই রাজ্য সরকার সংক্রামক রোগ বিরোধী অভিযান শুরু করেছিল। আজ আমরা বলতে পারি, এই রোগ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে।” এই জন সংলাপ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি নগর সভাপতি আনন্দ দ্বিবেদী, এমএলসি মুকেশ শর্মা, রামচন্দ্র প্রধান, দিবাকর ত্রিপাঠী, পুষ্কর শুক্লা, ত্রিলোক অধিকারী, মিডিয়া ইনচার্জ প্রবীণ গার্গ, ঘনশ্যাম আগরওয়াল, শৈলেন্দ্র শর্মা অতল, মণ্ডল সভাপতি শৈলেন্দ্র মৌর্য, কাউন্সিলর রশ্মি সিং, প্রদীপ শুক্লা, প্রিয়াঙ্কা বাজপেয়ী, রামদাস কনৌজিয়া প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন নগর সহ-সভাপতি ডঃ বিবেক সিং তোমর।

    প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম তৈরিতে আত্মনির্ভর

    প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম তৈরিতে ক্রমশ আত্মনির্ভর হয়ে উঠছে ভারত। শুধু আত্মনির্ভরই হচ্ছে না। বিদেশে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রফতানিও বেড়েছে। আর কয়েক বছরের মধ্যে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রফতানি বছরে ৫০ হাজার কোটি টাকার গণ্ডী পার করবে বলে আশাবাদী প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। ২০১৪ সালের পর থেকে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রফতানি বেড়েছে। বর্তমানে বছরে ২৪ হাজার কোটি টাকার প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রফতানি করা হয়। তিনি আশাবাদী, ২০২৯-৩০ সালের মধ্যে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রফতানি বেড়ে ৫০ হাজার কোটি টাকা হবে। প্রসঙ্গত, ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে ২৩ হাজার ৬২২ কোটি টাকার প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রফতানি করেছে ভারত।

    পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের জমিতে সন্ত্রাসের আখড়া

    ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর (Rajnath Singh) সাফ কথা, পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের (Pak Occupied Kashmir) জমি সন্ত্রাসবাদের ব্যবসা চালাতে ব্যবহার করা হচ্ছে। সেখানে সন্ত্রাসের ট্রেনিং ক্যাম্প, সীমার কাছে লঞ্চ প্যাড যে রয়েছে তার খবর ভারত সরকারের কাছে রয়েছে। রাজনাথ সিং বলেন,’ জম্মু ও কাশ্মীর পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর ছাড়া অসম্পূর্ণ। ভারতের মাথার মুকুটমণি সেটি। আর তাছাড়াও পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর পাকিস্তানের কাছে একটি বিদেশি এলাকা ছাড়া আর কিছুই নয়।’ উল্লেখ্য, পাক অধিকৃত কাশ্মীর জম্মু ও কাশ্মীরেরই অংশ, দেশ তো বটেই আন্তর্জাতিক মঞ্চে বারবার এ কথা জানিয়ে এসেছে ভারত। এই ইস্যুতে মামলাও চলছে আন্তর্জাতিক আদালতে। সম্প্রতি কাশ্মীরকে নিজেদের বলে দাবি করেছিলেন পাক সেনাপ্রধান।

    পাক অধিকৃত কাশ্মীর অধিবাসীদের দাবি

    কাশ্মীর নাকি পাকিস্তানের ‘জুগুলার ভেইন’ অর্থাৎ প্রধান শিরা! পাক সেনাপ্রধানের বিস্ফোরক মন্তব্যের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই কড়া জবাব দেয় নয়াদিল্লি। বিদেশমন্ত্রকের হুঁশিয়ারি, “বেআইনিভাবে দখল করে রাখা অধিকৃত কাশ্মীর আগে খালি করুন। বিদেশি সম্পত্তি কী করে আপনার দেশের অবিচ্ছেদ্য অংশ হতে পারে?” “কোনও বিদেশি জিনিস কীভাবোজনাথের দাবি আপনার প্রধান শিরা বা ‘জুগুলার ভেইন’ হতে পারে? এটা ভারতের একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল। আর কাশ্মীরে পাকিস্তানের একটাই কাজ, সেটা হল বেআইনিভাবে দখল করে থাকা অংশটা ফাঁকা করে দেওয়া। সেখানকার বাসিন্দারাও ভারতের সঙ্গে জুড়তে চায়। তাঁদের দাবি, এই অঞ্চলের মাটিকে ব্যবহার করে দীর্ঘদিন ধরে ভারতের বিরুদ্ধে ছায়াযুদ্ধ বা প্রক্সি ওয়ার চালাচ্ছে পাক সরকার। কিন্তু কাশ্মীর বাসীরা এই অঞ্চলের মাটিকে সন্ত্রাস ছড়ানোর জন্য পাকিস্তান সরকার ও সেনাকে ব্যবহার করতে দিতে চান না। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের কথায় এখানকার সাধারণ মানুষ খুব শীঘ্রই ভারতের সঙ্গে এক হতে চাইবে।

  • Sukanta Majumder: ‘‘ভয় পেলে বেশি ভয় দেখাবে’’, নিহত পিতা-পুত্রের বাড়িতে বললেন সুকান্ত

    Sukanta Majumder: ‘‘ভয় পেলে বেশি ভয় দেখাবে’’, নিহত পিতা-পুত্রের বাড়িতে বললেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিংসা কবলিত সামশেরগঞ্জে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder)। বিজেপির (BSF) রাজ্য সভাপতি এদিন পৌঁছে যান জাফরাবাদে খুন হওয়া হরগোবিন্দ দাস এবং চন্দন দাসের বাড়িতেও। নিহত পিতা-পুত্রের পরিবার সহ হিন্দু সমাজের উদ্দেশে সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘‘ভয় পাবেন না, ভয় পেলে বেশি ভয় দেখাবে। আমরা পাশে আছি। প্রয়োজনে আবার আসব।’’ এই সময়েই জাফরাবাদে খুন হওয়া বাবা-ছেলের পরিবার দাবি করে, ‘‘বিএসএফের স্থায়ী ক্যাম্প চাই।’’ এজন্য তাঁরা নিজেরাও জমি দিতে ইচ্ছুক বলে জানান। সুকান্ত মজুমদার আশ্বাস দেন, বিষয়টি নিয়ে তিনি অমিত শাহের সঙ্গে কথা বলবেন।

    পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন মহিলারা

    বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে (Sukanta Majumder) কাছে পেয়ে নিগ্রহ, ঘরছাড়ারা এদিন ক্ষোভ উগরে দেন। এক মহিলা বলেন, ‘‘আমাদের কথা শুনলে শিউরে উঠবেন। সারা রাত তাণ্ডব চলেছে। ঘর বাড়ি সব শেষ কিচ্ছু নেই। কী করে বাঁচব আমরা?’’ পুলিশকে খুঁজে পাওয়া যায়নি বলেও জানিয়েছেন তাঁরা। এক মহিলা বলেন, ‘‘আমরা কেঁদে কেঁদে মরে গিয়েছি। পুলিশ সব জানে, তাও পুলিশ একটি বারের জন্যও আসেনি। আমরা যখন মারা যাব, তখন কি পুলিশ আসবে।’’

    কেন্দ্রীয় সরকার তাঁদের পাশে রয়েছে

    সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder) তাঁদের আশ্বাস দেন, কেন্দ্রীয় সরকার তাঁদের পাশে রয়েছে। সুকান্ত বলেন, ‘‘রিফিউজি ক্যাম্পে গিয়েছিলাম, তখন প্রত্যেকেরই দাবি ছিল, এলাকায় স্থায়ী বিএসএফ ক্যাম্প দরকার। রাজ্য পুলিশের ওপর সাধারণ মানুষের বিশ্বাস নেই। আমি রাজ্য সরকারকে আবেদন করব, এখানে কেন্দ্রীয় বাহিনীর স্থায়ী ক্যাম্প করার রাজ্য যাতে কেন্দ্রের কাছে আবেদন করে।’’ সংবাদমাধ্যমের সামনে সুকান্ত আরও বলেন, ‘‘চিফ সেক্রেটারিকে আমি নিজে আমার প্যাডে চিঠি লিখব, যে ৫৬ খানা দোকানের মালিককে অর্থনৈতিকভাবে সাহায্য করা হয়। মূর্তি-বিগ্রহ ভাঙা হয়েছে। যারা অন্যের ধর্মকে সম্মান করতে পারে না, নিজের ধর্মকেও সম্মান করেনা।’’

    প্রসঙ্গ এনআইএ তদন্ত

    সাংবাদিকদের উদ্দেশে বিজেপির (BSF) রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumder) বলেন, ‘‘আমরা জনগণের দাবির সঙ্গে আছি। কিছু লোক এনআইএ তদন্তের জন্য আদালতে গিয়েছেন। আমাদের সকলের চোখ এখন আদালতের দিকে। যদি কলকাতা হাইকোর্ট এনআইএ তদন্তের অনুমতি দেয়, তাহলে সরকার তা অনুসরণ করবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেলা প্রশাসনের ওপর চাপ সৃষ্টি করেন যাতে তাদের (ভুক্তভোগীদের) ফেরত পাঠানোর হয়। কিন্তু তারা কোথায় যাবে? তাদের ঘরবাড়ি পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে।’’

  • Hinduphobia: ‘হিন্দু বিদ্বেষের কোনও স্থান নেই স্কটল্যান্ডে’, গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব পাশ সেদেশের পার্লামেন্টে

    Hinduphobia: ‘হিন্দু বিদ্বেষের কোনও স্থান নেই স্কটল্যান্ডে’, গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব পাশ সেদেশের পার্লামেন্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দু বিদ্বেষের (Hinduphobia) কোনও স্থান নেই স্কটল্যান্ডে। এমন ঘোষণা করে স্কটিশ পার্লামেন্ট পাশ করল প্রস্তাব। সমর্থন করল সব রাজনৈতিক দল। মোশন- এস৬এম-১৭০৮৯ প্রস্তাবটি উত্থাপন করেন স্কটিশ সাংসদ অ্যাশ রেগান। তিনি হলেন আল্বা পার্টির সদস্য এবং তাঁর সংসদ ক্ষেত্র হল এডিনবরা পূর্ব। প্রস্তাব পাশ করার সময় ওই স্কটিশ সাংসদ বলেন, ‘‘পার্লামেন্টে এই প্রস্তাব প্রতীকী নয়। এটা একটা দাবি যে হিন্দু বিদ্বেষের ধারণাকে পরিবর্তন করতে হবে।’’ তিনি আরও অভিযোগ তোলেন, ‘‘এই দেশে (স্কটল্যান্ডে) যেভাবে হিন্দুদের ওপরে বৈষম্য করা হয়, তাঁদের উপর অবিচার করা হয় এবং তাঁদেরকে দূরে সরিয়ে রাখার চেষ্টা করা হয়। এগুলি হওয়া উচিত নয়।’’

    হিন্দু বিদ্বেষের ওপর তৈরি রিপোর্টই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয় প্রস্তাব পাশে

    প্রসঙ্গত, সম্প্রতি একটি রিপোর্ট (Hinduphobia) প্রকাশিত হয় যার শিরোনাম ছিল, ‘Hinduphobia in Scotland: Understanding, Addressing, and Overcoming Prejudice.’ এই রিপোর্টটি তৈরি করেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ধ্রুব কুমার, অনুরঞ্জন, অজিত ত্রিবেদী এবং নেয়ি লালরা। রিপোর্টটি তৈরি করতে সাহায্য করে গান্ধীবাদী পিস সোসাইটি নামের একটি সংগঠন। এর পাশাপাশি ব্রিটেন এবং স্কটল্যান্ডের ইন্ডিয়ান কাউন্সিলও এই রিপোর্ট তৈরি করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। তাঁরা স্কটল্যান্ডে হিন্দু বিদ্বেষের ওপরে বিভিন্ন তথ্য জোগাড় করে। এই তথ্যের ভিত্তিতেই রিপোর্টে দেখানো হয় স্কটল্যান্ডে দিনের পর দিনটি কিভাবে বেড়েছে হিন্দু বিদ্বেষী কার্যকলাপ। হিন্দুদেরকে সেখানে কতটা সংঘর্ষ করতে হচ্ছে প্রতিমুহূর্তে তাও তুলে ধরা হয় ওই রিপোর্টে। একইসঙ্গে ওই রিপোর্টে দেখানো হয়েছে, স্কটল্যান্ডে হিন্দুদের বিরুদ্ধে ঘৃণার প্রচার করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, হিন্দুদের তীর্থক্ষেত্র বিভিন্ন মন্দির ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে স্কটল্যান্ডে (Scotland) তাও তথ্য ও পরিসংখ্যান সমেত তুলে ধরা হয়েছে রিপোর্টে। হিন্দু সংস্কৃতিকে মুছে ফেলার চক্রান্ত হচ্ছে স্কটল্যান্ডে এমন অভিযোগও আনা হয়েছে ওই রিপোর্টে (Hinduphobia)। এর পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে হিন্দু স্কটল্যান্ডে কাজ করেন। তাঁরা সেই সমস্ত জায়গা গুলিতে হেনস্থার শিকার হন বলেও অভিযোগ। রিপোর্টে বলা হয়েছে স্কটল্যান্ডে হিন্দু বিদ্বেষী পরিবেশ তৈরি হয়েছে। একই সঙ্গে একাধিক জায়গাতে হিন্দুদেরকে লক্ষ্যবস্তু বানানো হয়েছে বলে অভিযোগ।

    ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ স্কটল্যান্ড অ্যান্ড ইউনাইটেড কিংডমের সভাপতি কী জানালেন

    স্কটল্যান্ডে হিন্দু বিদ্বেষ বিরোধী প্রস্তাব (Hinduphobia) পাশ করতে এই রিপোর্ট খুবই কার্যকরী এবং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে বলে জানা যাচ্ছে। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ স্কটল্যান্ড এন্ড ইউনাইটেড কিংডমের সভাপতি নেয়ি লাল জানিয়েছেন, স্কটল্যান্ডে (Scotland) যখন মন্দির ধ্বংস হচ্ছে, স্কুলের বাচ্চাদেরকে তাদের ধর্মীয় রীতিনীতি মানার পথে বাধা দেওয়া হচ্ছে, এটাকে শুধুমাত্র হিন্দুদের ওপর আক্রমণ বললে ভুল করা হবে। এটা হচ্ছে স্কটল্যান্ডের বহুত্ববাদের ওপর আঘাত।

    রিপোর্টকে সমর্থন করে স্কটল্যান্ডের বিভিন্ন মহল

    নেয়ি লালদের তৈরি করা এই রিপোর্টে নড়ে চড়ে বসে স্কটল্যান্ডের বুদ্ধিজীবী মহলও। এই রিপোর্টের আলোচনা দেখা যায় একেবারে স্কটল্যান্ডের ভূমিস্তরেও। এ বিষয়ে প্রবাসী ভারতীয় ধ্রুব কুমার জানান যে তাঁদের তৈরি করা ওই রিপোর্ট অনেক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বও সমর্থন করেছেন। স্কটল্যান্ডের রাজনৈতিক নেতারা মনে করেন যে ধরনের প্রস্তাব পাশ হয়েছে স্কটিশ পার্লামেন্টে তা অত্যন্ত প্রয়োজন ছিল। স্কটিশ সাংসদ অ্যাশ রেগানের আনা এই প্রস্তাব পাশ হওয়ার ফলে নতুনভাবে সম্প্রীতির পরিবেশ তৈরি হবে।

    হিন্দু বিদ্বেষ বিরোধী স্কটল্যান্ড তৈরি করার প্রথম ধাপ

    স্কটিশ পার্লামেন্টে যে প্রস্তাব আনা হয় এখানে অনেক সংসদ সদস্য এর সমর্থনে আওয়াজ তোলেন। যাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন কলিন বিটি, স্টেফানি ক্যালাহান, কেভিন স্টুয়ার্ট এবং আরও অনেকে। এঁরা প্রত্যেকেই এই প্রস্তাবকে দু’হাত তুলে সমর্থন জানান। একই সঙ্গে স্কটল্যান্ডে ভারতের সাংস্কৃতিক দূত, যাঁদের মধ্যে ছিলেন আচার্য ড অভিষেক জোশী, রশ্মি রায়, পুনম প্রজাপতি, তাঁরাও এই প্রস্তাবকে সমর্থন করেন। প্রত্যেকেরই একই অভিমত, এটা হল হিন্দু বিদ্বেষ বিরোধী স্কটল্যান্ড তৈরি করার প্রথম ধাপ এবং এর মাধ্যমে আইনি এবং শিক্ষাগত এবং সামাজিক পরিবর্তন হবে দেশের।

    গান্ধীবাদী পিস সোসাইটির দাবি

    গান্ধীবাদী পিস সোসাইটি তারা স্কটল্যান্ডে নানা রকমের সমস্যাগুলিকে চিহ্নিত করেছে। যেগুলি হিন্দু বিদ্বেষের কারণ। তারা এ নিয়ে একটি নতুন রূপরেখাও তৈরি করেছে। যেখানে তারা চারটি বিষয় বিন্দুতে আলোচনা চালিয়েছে। প্রথমটি হল আইন, দ্বিতীয়টি শিক্ষা, তৃতীয়টা হচ্ছে কর্মক্ষেত্রের নীতি, চতুর্থ হচ্ছে হিন্দু গোষ্ঠীর সামাজিক কাজে অংশগ্রহণ। এক্ষেত্রে তাদের দাবি, আইনিভাবে বেশ কিছু পদক্ষেপ করতে হবে যাতে হিন্দু বিদ্বেষী ভাবনা দূর হয় স্কটল্যান্ড থেকে। শিক্ষা ক্ষেত্রে তাদের দাবি যে স্কুলের মধ্যে এমন কিছু আনা যাবে না যা হিন্দু বিদ্বেষী ভাবনা তৈরি করতে পারে। কর্মক্ষেত্রে হিন্দু বিদ্বেষী পরিবেশ যেন না থাকে, সে নিয়েও সরব তারা। সামাজিকভাবেও যেন কোনও ভাবে হিন্দু বিদ্বেষী মহল তৈরি না হয় সেটা নিয়েও তারা দাবি জানিয়েছে।

  • Raw mangoes: বৈশাখের শুরুতেই চড়া রোদের মোকাবিলা করবে কাঁচা আম! কতখানি উপকারী জানেন?

    Raw mangoes: বৈশাখের শুরুতেই চড়া রোদের মোকাবিলা করবে কাঁচা আম! কতখানি উপকারী জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৈশাখের শুরুতেই তাপপ্রবাহের জেরে নাজেহাল বাঙালি! চড়া রোদে দুপুরে বাইরে থাকা যথেষ্ট কঠিন! তাপমাত্রার পারদ চড়ছে। তাই নানান শারীরিক সমস্যাও দেখা দিচ্ছে! হঠাৎ অস্বস্তি, মাথা ঘোরা কিংবা বমি ভাব দেখা দিচ্ছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অতিরিক্ত গরম আর শুষ্ক আবহাওয়ার জেরেই এই ধরনের নানান শারীরিক সমস্যা হচ্ছে। তবে গরমের একাধিক সমস্যার মোকাবিলা করতে পারে কাঁচা আম। বাঙালির রান্নাঘরে আম পোড়া সরবৎ কিংবা কাঁচা (Raw mangoes) আম দিয়ে ডাল খুবই পরিচিত পদ। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শুধুই স্বাদে নয়, বাঙালির এই চিরাচরিত রান্নার পুষ্টিগুণ প্রচুর। একাধিক রোগের মোকাবিলা সহজেই হয়ে যায়। এবার দেখে নেওয়া যাক, কোন রোগের মোকাবিলা করবে কাঁচা আম?

    হজমে সাহায্য করে

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, কাঁচা আম হজমের জন্য বিশেষ উপকারী। তাঁরা জানাচ্ছেন, কাঁচা আমে (Raw mangoes) থাকে প্রাকৃতিক হজমকারক উপাদান। তাই নিয়মিত ভারী খাবারের পরে শেষ পাতে কাঁচা আমের তৈরি খাবার খেলে সহজেই হজম হয়ে যায়। গরমে শিশু থেকে বয়স্ক অনেকেই হজমের সমস্যায় ভোগেন‌। তাই নিয়মিত কাঁচা আম খেলে বিশেষ উপকার পাওয়া যায়।

    হার্টের জন্য বিশেষ উপকারী

    গরমে অনেকের রক্তচাপ ওঠানামা করে। পাশপাশি কোলেস্টেরলের মাত্রাও নানান কারণে বেড়ে যায়। এই দুই কারণে হার্টের উপরে চাপ পড়ে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, কাঁচা আম (Raw mangoes) হার্টের জন্য বিশেষ উপকারী। তাঁরা জানাচ্ছেন, কাঁচা আমে রয়েছে ফাইবার এবং ভিটামিন বি। এই দুই উপাদান কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে বিশেষ সাহায্য করে। তাই হৃদরোগের ঝুঁকিও কমে।

    লিভারের স্বাস্থ্যের জন্য বিশেষ উপকারী

    কাঁচা আম লিভারের জন্য বিশেষ উপকারী। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, কাঁচা আমে রয়েছে ফাইবার, ম্যাগনেশিয়ামের মতো উপাদান। এগুলো লিভার সুস্থ রাখতে বিশেষ সাহায্য করে। আবার লিভারের ফ্যাট জমতেও দেয় না। তাই নিয়মিত কাঁচা আম খেলে লিভার সুস্থ থাকে।

    ওজন নিয়ন্ত্রণে বিশেষ সাহায্য করে

    কাঁচা আমে (Raw mangoes) বিশেষ ক্যালরি নেই। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, পাকা আম অতিরিক্ত খেলে ক্যালরি বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ফলে স্থূলতার সমস্যার ভুগলে অতিরিক্ত পাকা আম খাওয়া বিপজ্জনক। কিন্তু কাঁচা আমে সে সমস্যা নেই। কাঁচা আম খেলে দেহে অতিরিক্ত ক্যালরি প্রবেশ করে না। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। স্থূলতা রুখতে বিশেষ সাহায্য করে।

    যে কোনও রক্তের অসুখ রুখতে সাহায্য করে!

    রক্ত জমাট বাঁধার সমস্যা, রক্তাল্পতা কিংবা রক্ত সঞ্চালনের মতো যে কোনও সমস্যা সমাধানে কাঁচা আম খুব উপকারী। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, কাঁচা আমের নানান পুষ্টিগুণের জেরে কোলাজেন সংশ্লেষে বিশেষ সাহায্য করে। তাই রক্তের নানান অসুখের ঝুঁকি কমায় কাঁচা আম।

    চুল, ত্বকের জন‌্য বিশেষ উপকারী

    গরমের শুষ্ক আবহাওয়ায় অনেকেই চুল ও ত্বকের সমস্যায় ভুগছেন। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, কাঁচা আম এই সমস্যা সহজেই মোকাবিলা করবে। ত্বক শুকিয়ে যাওয়া এবং ঠোঁট শুষ্ক হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা কমাতে নিয়মিত কাঁচা আম (Raw mangoes) খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, কাঁচা আমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। তাই নিয়মিত কাঁচা আম খেলে ত্বক ও চুলের নানান সমস্যা সহজেই কমবে। শুষ্কতাও কমবে।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • PM Modi: গত ১০ বছরে জিডিপি বেড়ে দ্বিগুণ! মোদি জমানায় বিরাট সাফল্য ভারতীয় অর্থনীতির

    PM Modi: গত ১০ বছরে জিডিপি বেড়ে দ্বিগুণ! মোদি জমানায় বিরাট সাফল্য ভারতীয় অর্থনীতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১০ বছরের মোদি (PM Modi) রাজত্বে ভারতের জিডিপি বেড়ে হয়েছে দ্বিগুণ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমলেই বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের তালিকায় দশম স্থানে থাকা ভারত চলে এসেছে পঞ্চম স্থানে। অর্থনীতিবিদদের মতে, অচিরেই ভারত চলে আসবে ওই তালিকার তিন নম্বরে।

    নরেন্দ্র মোদির সরকার (PM Modi)

    ২০১৪ সালে কেন্দ্রের কুর্শিতে বসে নরেন্দ্র মোদির সরকার। তারপর থেকে অর্থনীতির পারা উঠতে থাকে চড়চড়িয়ে। এই সময়কালে ভারত বিশ্বের সব চেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল প্রধান অর্থনীতি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। আন্তর্জাতিক অর্থ ভান্ডারের (আইএমএফ)-এর সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, গত এক দশকে দেশটির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার চমকপ্রদ, শতাংশের বিচারে ১০৫। আইএমএফের মতে, ভারতের বর্তমান জিডিপি (মোট দেশজ উৎপাদন) ৪.৩ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০১৫ সালে এই পরিমাণ ছিল ২.১ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। তখন নরেন্দ্র মোদির প্রথম প্রধানমন্ত্রিত্বের মেয়াদ এক বছরও হয়নি। তারপর থেকে জিডিপির হিসেবে ভারত তার অর্থনীতির আকার দ্বিগুণেরও বেশি করে ফেলেছে (PM Modi)।

    অর্থনীতির স্থান দখলের প্রাক্কালে রয়েছে ভারত

    তথ্য বলছে, বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতির স্থান দখলের প্রাক্কালে রয়েছে ভারত। বর্তমানে জাপানের জিডিপি ৪.৪ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ২০২৫ সালের তৃতীয় ত্রৈমাসিকের মধ্যে ভারত এই সীমা অতিক্রম করতে পারে বলে অনুমান। বর্তমান গড় প্রবৃদ্ধির হার বজায় থাকলে ২০২৭ সালের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকের মধ্যে ভারত জার্মানিকেও (বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি) পিছনে ফেলে দেবে। জার্মানির বর্তমান জিডিপি ৪.৯ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার।

    পীযুষ গোয়েলের বক্তব্য

    বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী পীযুষ গোয়েল ভারতের ১০ বছরের অর্থনৈতিক কর্মক্ষমতাকে অসাধারণ আখ্যা দিয়ে এই সময়ে দেশের জিডিপি দ্বিগুণ হওয়ার প্রশংসা করেছেন। তিনি জানান, গত ১০ বছরে ১০৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধির হার নিয়ে শীর্ষস্থান ধরে রেখে ভারত। পেছেনে ফেলে দিয়েছে চিন (৭৬ শতাংশ), মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (৬৬ শতাংশ), জার্মানি (৪৪ শতাংশ), ফ্রান্স (৩৮ শতাংশ) এবং যুক্তরাজ্য (২৮ শতাংশ)-এর মতো বড় অর্থনীতির দেশগুলিকে। ভারতের অর্থনীতির আকার দ্বিগুণেরও বেশি বেড়ে যাওয়ায় এটি জি-৭, জি-২০ ও ব্রিকসের সব সদস্য দেশকে পিছনে ফেলে দিয়েছে। তিনি বলেন, “বিশ্বব্যাপী পরিবর্তন বাস্তব! প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিজি গত দশকে ভারতকে তাঁর জিডিপি দ্বিগুণ করার নেতৃত্ব দিয়েছেন, যা দেশকে শীঘ্রই বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত করবে (PM Modi)।”

    ভারত শীর্ষে

    প্রবৃদ্ধির গতির দিক থেকে ভারত শীর্ষে থাকলেও, অর্থনীতির আকারের দিক থেকে শীর্ষ দুটি স্থান দখল করে রেখেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (৩০.৩ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার) এবং চিন (১৯.৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার)। জার্মানি ৪.৯ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার নিয়ে তৃতীয়, জাপান ৪.৪ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার নিয়ে চতুর্থ এবং ভারত ৪.৩ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার নিয়ে পঞ্চম স্থানে রয়েছে।বর্তমান প্রবৃদ্ধির হারে ভারতকে শীর্ষ দুটি স্থানে উঠতে গেলে দু’দশকেরও বেশি সময় লাগবে। যদিও এটি উল্লেখ্য যে, ২০২৫ সালের মার্চ পর্যন্ত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় ঋণের পরিমাণ ৩৬.২২ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার, যেখানে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চিনের জাতীয় ঋণের পরিমাণ ২.৫২ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। তুলনামূলকভাবে, ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ভারতের সামগ্রিক ঋণের পরিমাণ ৭১২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (PM Modi)।

    ৬০ বছর সময় লেগে গিয়েছিল!

    প্রসঙ্গত, ভারতের জিডিপি প্রথম ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের লক্ষ্যে পৌঁছাতে ৬০ বছর সময় লেগে গিয়েছিল। ২০০৭ সালে ওই হার হয়। ১ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে ২ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছতে ৭ বছর সময় লেগেছে। ২০১৪ সালের ছবি। আর কোভিড-১৯ অতিমারি সত্ত্বেও, ভারত ২০২১ সালে ৩ ট্রিলিয়ন ডলারের মাইলফলকে পৌঁছে গিয়েছে। ৩ ট্রিলিয়ন ডলার থেকে ৪ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছতে সময় লেগেছে মাত্র ৪ বছর। এই গতিতে যদি অগ্রগতি এভাবেই চলতে থাকে, তাহলে ভারত প্রতি দেড় বছরে তার জিডিপিতে এক ট্রিলিয়ন ডলার যোগ করার জন্য প্রস্তুত, এবং সম্ভবত ২০৩২ সালের শেষ নাগাদ ১০ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের অর্থনীতিতে পরিণত হতে পারে (PM Modi)।

    প্রবৃদ্ধির পিছনের প্রধান কারণ

    দেশের এই প্রবৃদ্ধির পিছনে প্রধান যেসব কারণ লুকিয়ে রয়েছে, সেগুলি হল উচ্চতর ন্যূনতম সহায়ক মূল্য, প্রত্যক্ষ সুবিধা হস্তান্তর এবং অন্যান্য প্রকল্পের মাধ্যমে সরকারি হস্তক্ষেপের মাধ্যমে একটি স্থিতিশীল কৃষিখাত পরিচালিত হয়েছিল, যা অনিয়মিত জলবায়ু সত্ত্বেও, গ্রামীণ অর্থনীতির গতিশীলতাকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছিল। ভারতের কর্পোরেট সেক্টরের পারফর্মেন্সও অত্যন্ত উৎসাহব্যঞ্জক। তার জেরে প্রচুর কর্মসংস্থান হয়েছে। মোদি সরকার মেক ইন ইন্ডিয়া, পিএলআই, এমএসএমই ঋণ ইত্যাদি নীতির মাধ্যমে ব্যবসার জন্য একটি অত্যন্ত সুবিধাজনক পরিকাঠামো তৈরি ও তাকে বাস্তবায়িত করেছে (PM Modi)।

  • Smartphone’s Export: ২০১৪-এ ১৬৭তম স্থানে, ২০২৫ ভারতের শীর্ষ রফতানি পণ্য স্মার্টফোন! মোদি জমানার ১০ বছরে বিপুল সাফল্য

    Smartphone’s Export: ২০১৪-এ ১৬৭তম স্থানে, ২০২৫ ভারতের শীর্ষ রফতানি পণ্য স্মার্টফোন! মোদি জমানার ১০ বছরে বিপুল সাফল্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের বাজারে তৈরি হওয়া মোবাইল (India’s Smartphone) এখন বিশ্ব বাজারে দাপট দেখাচ্ছে। তৈরি হল নতুন মাইলস্টোন। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে ভারতে তৈরি মোবাইল বিশ্বের বাজারে ২ লক্ষ কোটি রফতানি (Smartphone’s Export) করা হয়েছে। এর ফলে ভারতের স্মার্টফোন রফতানি এক নজিরবিহীন উচ্চতায় পৌঁছেছে । এই সময়কালে, মোবাইল ফোন রফতানির মূল্য দাঁড়িয়েছে $১৮.৩১ বিলিয়ন (প্রায় ₹২ লক্ষ কোটি), যা ইতিহাসে প্রথমবারের মতো দেশের সর্ববৃহৎ একক রফতানি পণ্যে পরিণত হয়েছে। আইসিইএ-র পক্ষ থেকে এই তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। ফলে ভারতে তৈরি মোবাইল শিল্প যে আগামীদিনে বিশ্বের বাজারে দাপট দেখাবে সেটা বলাই যায়।

    মেক ইন ইন্ডিয়া প্রকল্পের সাফল্য

    ভারতের বাণিজ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, হরমোনাইজড সিস্টেম কোড (HS code)-এর ভিত্তিতে স্মার্টফোন এখন দেশের সর্বাধিক রফতানি হওয়া পণ্য, যা অটোমোটিভ ডিজেল ফুয়েলকে (মূল্য $১৬.০৪ বিলিয়ন) পেছনে ফেলেছে। ২০২৪-এ একই সময়ে (এপ্রিল-জানুয়ারি) স্মার্টফোন ছিল চতুর্থ স্থানে। এই অভাবনীয় উত্থানকে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ প্রকল্প ও উৎপাদন-ভিত্তিক প্রেরণা (PLI) প্রকল্পের সাফল্য হিসেবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। ২০১৪ সালে যেখানে স্মার্টফোন রফতানি ছিল ১৬৭তম স্থানে, আজ তা উঠে এসেছে শীর্ষে। ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তারপরই এই পরিবর্তন। ১০ বছরের মধ্যেই সাফল্যের শীর্ষে ভারতের স্মার্টফেন।

    যুক্তরাষ্ট্রে ২০৮% বেশি রফতানি

    আইসিইএ-র পক্ষ থেকে বলা হয়েছে এই শিল্পে যে হারে ভারত উন্নতি করছে তাতে এই শিল্প আগামীদিনে আরও উন্নতি করবে। চলতি বছরে এই শিল্পে ৫,১০,০০০ কোটি টাকার টার্গেট রাখা হয়েছে। এরফলে বিশ্বের বাজারে মোবাইল শিল্পে ভারত যে শুধু আত্মনির্ভর হয়েছে তাই নয়, ভারতে তৈরি মোবাইল (India’s Smartphone) বিশ্বের বাজারে যে কতটা স্থান নিয়েছে সেটাও সামনে এসে গিয়েছে। ২০২৫ অর্থবর্ষের এপ্রিল-জানুয়ারি সময়কালে স্মার্টফোন রফতানি বৃদ্ধি পেয়েছে ৫৪.৭ শতাংশ, যেখানে গত অর্থবছরে একই সময়ে তা ছিল $১১.৮৩ বিলিয়ন। বিশেষ করে অ্যাপল-এর আইফোন-এর নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্রে রফতানির পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে ২০৮%। ভারতের স্মার্টফোন রফতানির $৬.৬ বিলিয়ন গেছে যুক্তরাষ্ট্রে।

    মহিলা কর্মসংস্থানে নতুন দিগন্ত

    ইলেকট্রনিক্স ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন, ২০২৫ অর্থবর্ষে ২ লক্ষ কোটি মূল্যের রফতানি (Smartphone’s Export) হয়েছে স্মার্টফোন খাতে, যার মধ্যে আইফোন-এর অংশ ১.৫ লক্ষ কোটি। তিনি বলেন, “এই সাফল্য ১০ বছরের সরকার ও শিল্পক্ষেত্রের যৌথ প্রচেষ্টার ফল।” এই খাতে লক্ষ লক্ষ নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে, বিশেষ করে নারীদের জন্য, এবং ভারতের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উদ্যোগী সংস্থাগুলির জন্য নতুন সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। মন্ত্রী আরও জানান, গত দশ বছরে ইলেকট্রনিক্স উৎপাদন পাঁচ গুণ এবং রফতানি ছয় গুণ বেড়েছে। বর্তমানে উৎপাদন বৃদ্ধির হার ১৭% রফতানির ক্ষেত্রে তা ২০%। দেশের ৪০০-রও বেশি উৎপাদন ইউনিট এখন বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স কম্পোনেন্ট তৈরি করছে। সেই সঙ্গে, সরকার নতুন ইলেকট্রনিক্স কম্পোনেন্ট ম্যানুফ্যাকচারিং স্কিম-এর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে চলেছে। কেন্দ্র ইতিমধ্যেই ২২,৯১৯ কোটি টাকা অনুমোদন দিয়েছে এই প্রকল্পে। এর আওতায় কনজিউমার ইলেকট্রনিক্স, মেডিকেল ইলেকট্রনিক্স, পাওয়ার ইলেকট্রনিক্স, অটোমোবাইল ও অন্যান্য সেক্টরে ব্যবহৃত অ্যাকটিভ ও প্যাসিভ কম্পোনেন্ট তৈরির ওপর জোর দেওয়া হবে।

    আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ

    বিগত বছর থেকে এই রফতানির পরিমান অনেকটাই বেশি তা এবারের এই হার থেকেই স্পষ্ট। ভারতের তৈরি মোবাইল ফোন যে গোটা বিশ্ব মেনে নিয়েছে তা এখান থেকেই স্পষ্ট। তবে এই সফর এখানেই থেমে থাকবে না। এই শিল্পে আরও সুযোগ রয়েছে। যেভাবে ভারতের (India’s Smartphone) বাজারে মোবাইলের যন্ত্রাংশ তৈরিতে জোর দেওয়া হয়েছে সেখান থেকে আগামীদিনে এই পরিস্থিতি আরও উন্নতি ঘটবে। কেন্দ্রীয় সরকার এবিষয়ে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। ভারতে তৈরি মোবাইল যাতে বিশ্বের দরবারে আরও ব্যবসা করবে সেটাই এখন প্রধান টার্গেট। মনে করা হচ্ছে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে ভারত মোবাইল ফোন তৈরিতে অনেক বেশি আত্মনির্ভর হয়ে যাবে। সেখান থেকে ভারতে এই শিল্প অনেক বেশি কর্মসংস্থানও তৈরি করবে। বিশ্বখ্যাত সংস্থা মার্ক ও লিন্ডে ইতিমধ্যেই ভারতে তাদের উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপন করছে। সরকার জানিয়েছে, দেশে ক্যাপিটাল ইকুইপমেন্ট তৈরিতে পূর্ণ সহযোগিতা করা হবে। এই অসাধারণ সাফল্য ভারতের ইলেকট্রনিক্স উৎপাদন ক্ষমতা ও রফতানি সক্ষমতার এক যুগান্তকারী দৃষ্টান্ত—এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

    চিন নির্ভরতা অতীত

    এতদিন পর্যন্ত ভারত মোবাইলের বিষয়ে প্রধানত চিনের উপর নির্ভর করে থাকত। সেখান থেকে আসা মোবাইল ফোন নিয়ে নানা ধরনের সমস্যা এবং বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। তবে সেখান থেকে ধীরে ধীরে সরে এসেছে ভারত। এখন সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে মোবাইল ফোন বানিয়ে ভারত নিজের আলাদা পরিচিতি তৈরি করেছে। এই রফতানির (Smartphone’s Export) হিসেব তার বিরাট প্রমাণ।

     

     

LinkedIn
Share