Tag: Madhyom

Madhyom

  • Mothabari: ‘‘শান্তি প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব আমার’’, মোথাবাড়ি পৌঁছে এনআইএ তদন্তের দাবি শুভেন্দুর

    Mothabari: ‘‘শান্তি প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব আমার’’, মোথাবাড়ি পৌঁছে এনআইএ তদন্তের দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উচ্চ আদালতের অনুমতি নিয়ে শুক্রবার সাম্প্রদায়িক হিংসা কবলিত মোথাবাড়িতে (Mothabari) পৌঁছলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বিরোধী দলনেতা এদিন মোথাবাড়িতে পৌঁছতেই তাঁকে ঘিরে ব্যাপক উন্মাদনা দেখা যায়। ওঠে জয় শ্রী রাম ধ্বনি। এদিন মোথাবাড়িতে পৌঁছে আক্রান্ত হিন্দু পরিবারগুলির সঙ্গে কথা বলেন শুভেন্দু। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির হাতে আর্থিক সাহায্যও তুলে দেন তিনি। এর পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। তিনি বলেন, ‘‘ডালখোলা, রিষড়া, শিবপুর ঠান্ডা করে দিয়েছি। মোথাবাড়িতে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব আমার।’’

    হাইকোর্টের শর্ত মেনে মোথাবাড়িতে (Mothabari) শুভেন্দু

    এ প্রসঙ্গে বলা দরকার, মোথাবাড়ি (Mothabari) যেতে চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এই আবহে গত ৮ এপ্রিল কলকাতা হাইকোর্ট শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) আর্জি মেনে নেয়। তাঁকে মোথাবাড়ি যাওয়ার অনুমতি দেয় উচ্চ আদালত। তবে এক্ষেত্রে একাধিক শর্ত দেন বিচারপতি। উচ্চ আদালত জানায়, বিরোধী দলনেতার সঙ্গে কেবলমাত্র একজন বিজেপি বিধায়ক ও নিরাপত্তারক্ষীই মোথাবাড়ি যেতে পারবেন। একইসঙ্গে হাইকোর্ট জানায়, মোথাবাড়ি গিয়ে কোনওরকমের রাজনৈতিক ভাষণ দিতে বা মন্তব্য করতে পারবেন না শুভেন্দু অধিকারী। প্রসঙ্গত, মোথাবাড়ির চারটি অঞ্চলে যেতে চেয়ে আবেদন জানিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী (Mothabari) । উচ্চ আদালত সেই আবেদন মেনে নেয়। কোর্ট জানায়, চারটি জায়গাতেই যেতে পারবেন বিরোধী দলনেতা এবং কথাও বলতে পারবেন সাধারণ মানুষের সঙ্গে। সকাল ১০টা থেকে দুপুর ৩টের মধ্যে তাঁকে সফর শেষ করতে হবে বলে জানিয়েছিল হাইকোর্ট।

    যাদের ধরেছে তারা প্রকৃত দোষী নয়, ক্ষতিগ্রস্ত ৮৬ হিন্দু পরিবার, অভিযোগ শুভেন্দুর

    এদিন শুভেন্দু অধিকারী মোথাবাড়ি (Mothabari) পৌঁছতেই জয় শ্রী রাম ধ্বনিতে ফেটে পড়ে গোটা এলাকা। প্রথমেই তিনি মোথাবাড়ি বাজারে আক্রান্ত হিন্দু পরিবারগুলির সঙ্গে কথা বলেন। তাঁদের হাতে নানা সাহায্য সামগ্রী তুলে দেন। এর পর সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘‘এখানে মানুষকে সরকার নিরাপত্তা না দিয়ে দাবিয়ে রেখেছে। যাদের ধরেছে তারা প্রকৃত দোষী নয়। ভিডিও ফুটেজ দেখে সব দোষীদের ধরতে হবে। আমরা আদালতে এনআইএ ও সিবিআই তদন্তের দাবি করেছি।’’ পুলিশকে কাঠগড়ায় তুলে তিনি বলেন, ‘‘পুলিশ যখন ব্যবস্থা নেওয়ার নেয়নি। ওরা যা করার করে দিয়েছে। ফেসবুক লাইভ করতে করতে করেছে। হঠাৎ তো হয়নি, জানিয়ে করেছে। যদি কারও আস্থায় কেউ আঘাত দেয় থানায় যান। আইন হাতে তুলে নেবেন কেন? যে ৮৬টি হিন্দু পরিবারকে ক্ষতিগ্রস্ত করলেন এরা তো কোনও দোষ করেনি।’’

    কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে দিয়ে তদন্ত করাব

    মোথাবাড়িতে (Mothabari) শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দিয়ে শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘‘এখানে কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে দিয়ে তদন্ত করিয়ে সবকটা দোষীকে গ্রেফতার করাব। ঠিক যেভাবে ডালখোলা, রিষড়া, শিবপুরে করিয়েছি। একই ভাবে মোথাবাড়িতে পার্মানেন্ট শান্তি প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব বিরোধী দলনেতার।’’ প্রসঙ্গত, শুভেন্দুকে মোথাবাড়ি যেতে অনুমতি দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। সেই মতো নিরাপত্তারক্ষী নিয়ে মোথাবাড়ি থানা এলাকায় পরিদর্শন করলেন বিরোধী দলনেতা।

    মুক্তির স্বাদ পেয়েছে মোথাবাড়ি

    মোথাবাড়িতে (Mothabari) বাড়ি বাড়ি গিয়ে আক্রান্ত পুরুষ-মহিলাদের সঙ্গে দেখা করেন শুভেন্দু অধিকারী। মোথাবাড়ির পালপাড়ায় শুভেন্দু বলেন, ‘‘১৫ দিন পর এরা মুক্তির স্বাদ পেয়েছেন।’’ বিরোধী দলনেতা রয়েছেন, নরেন্দ্র মোদি রয়েছেন, তাই ভয় নেই, গ্রামবাসীদের এমন আশ্বাসও দিতে দেখা যায় শুভেন্দু অধিকারীকে। এদিনই বিরোধী দলনেতার কাছে কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা যায় এক গ্রামবাসীকে। সাংবাদিকদের সামনে ওই মহিলা জানান, মোথাবাড়ি অশান্তিতে ব্যাপক আহত হয়েছেন তিনি।

    সরকার মানুষকে প্রোটেকশন না দিয়ে দাবিয়ে রেখেছে

    কোর্টের অনুমতিতে মোথাবাড়ি পরিদর্শন করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু বলেন, ‘‘এখানে সরকার মানুষকে প্রোটেকশন না দিয়ে দাবিয়ে রেখেছে। আমরা এনআইএ, সিবিআই দাবি করছি। কেন হিন্দুরা অত্যাচারিত হবে? দেখার দায়িত্ব কার? মোথাবাড়িতে (Mothabari) পুলিশ সুপারকে চিঠি দিয়েছি তিনবার, অনুমতি দেয়নি।’’ শুভেন্দু আরও বলেন, ‘‘হাইকোর্টের অনুমতি নিয়ে সময়ের মধ্যে চলে এসেছি। তিনটি জায়গায় পরিদর্শন সেরেছি। ৬ জনকে নিয়ে আইনি লড়াই করছি।’’

    শাসকদলের মদতেই মোথাবাড়িতে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার, অভিযোগ শুভেন্দুর

    শাসকদলের মদতেই মোথাবাড়িতে (Mothabari) হিন্দুদের ওপর অত্যাচার হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিন মালদার ইংরেজবাজারের বাধাপুকুর মোড়ে স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী কর্মী সমর্থকদের নিয়ে শুভেন্দু অধিকারীকে স্বাগত জানান। সম্প্রতি অশান্ত হয়ে ওঠে মালদার মোথাবাড়ি। দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে দোকান ও গাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয় সারি সারি বাইক ও গাড়িতে। হিন্দুদের ওপর ব্যাপক হামলা চলে বলে অভিযোগ। এরপর পরিস্থিতি সামলাতে মাঠে নেমে লাঠিচার্জ করতে হয় পুলিশ। ব্য়বহার করা হয় কাঁদানে গ্যাসের সেল। ৬টি মামলা রুজু করে পুলিশ। এরপরে জল গড়ায় কলকাতা হাইকোর্টে। গত শুক্রবারই মোথাবাড়ি ইস্যুতে মন্তব্য করে কলকাতা হাইকোর্ট। এই অঞ্চলের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার দায়িত্ব রাজ্য সরকারের বলেই জানান বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি স্মিতা দাস দে-র ডিভিশন বেঞ্চ।

  • Tahawwur Rana Trial: ২০১১ থেকেই মোদির ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ তালিকায় তাহাউর রানা, প্রধানমন্ত্রীর কূটনৈতিক সাফল্য দেখছেন নেটিজেনরা

    Tahawwur Rana Trial: ২০১১ থেকেই মোদির ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ তালিকায় তাহাউর রানা, প্রধানমন্ত্রীর কূটনৈতিক সাফল্য দেখছেন নেটিজেনরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাল ২০১১। তখনও তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী হননি। তাঁর পরিচয় গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তখন থেকেই তাঁর ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ তালিকায় ছিলেন তাহাউর রানা (Tahawwur Rana Trial)। অবশেষে ২৬/১১-এর ‘মাস্টার মাইন্ড’কে ভারতে এনেছে তাঁর সরকার। রানার প্রত্যর্পণের জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদিকে ধন্যবাদ জানিয়েছে দেশবাসী। মুম্বই হামলার ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ তাহাউর রানাকে বৃহস্পতিবারই ভারতে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। এরপরই মোদির একটি পুরনো পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হচ্ছে। সেই পোস্টে তাহাউর রানাকে আমেরিকার ছাড়পত্র দেওয়া নিয়ে ভারতে তৎকালীন ইউপিএ সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন মোদি (Narendra Modi)।

    কী রয়েছে সেই পোস্টে

    ২০১১ সালে করা সেই পোস্টে তাহাউর রানাকে (Tahawwur Rana Trial) মার্কিন আদালতের দেওয়া ছাড়পত্র নিয়ে নরেন্দ্র মোদি তৎকালীন ইউপিএ সরকারকে দুষেছেন। নরেন্দ্র মোদি সেই পুরোনো পোস্টে লিখেছিলেন, “তাহাউর রানাকে মার্কিন সরকারের নির্দোষ তকমা দেওয়া আদতে ভারতের সার্বভৌমত্বে আঘাত। এটা দেশের বিদেশনীতির বিরাট ব্যর্থতা।” নতুন করে ছড়িয়ে পড়া এই পোস্ট নেটিজেনদের চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে। তাহাউর রানাকে ভারতে প্রত্যর্পণের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ নিয়েও বিস্তর আলোচনা চলছে। তাহাউর রানাকে ভারতে সফল ভাবে প্রত্যর্পণ করানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জয়গান গাইছেন নেটিজেনরা। কেউ বলছেন, ‘আরও এক প্রতিশ্রুতি পূরণ হল।’ আবার কারও কথায়, ‘আপনি করে দেখিয়েছেন স্যার। আপনাকে কুর্নিশ।’ অনেকের পোস্টেই দেখা গিয়েছে, ‘মোদি হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়’ স্লোগান।

    অমিত-বার্তা

    ২০১১ সালে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র রানাকে মুম্বই হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ থেকে বেকসুর খালাস বলে ঘোষণা করে। প্রধানমন্ত্রী মোদি সেই সময় প্রশ্ন তুলেছিলেন আমেরিকা কিসের ভিত্তিতে মুম্বই জঙ্গি হামলার অপরাধীদের নির্দোষ বলে ঘোষণা করেছে। মুম্বই হামলার ‘মাস্টার মাইন্ড’ রানাকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ভারতে আনা হয়েছে। রানাকে বিমানবন্দর থেকে সরাসরি পাটিয়ালা হাউস কোর্টে আনা হয়। আদালত রানাকে ১৮ দিনের এনআইএ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন, রানাকে দেশে ফেরানো মোদি সরকারের বিরাট কূটনৈতিক সাফল্য। এবং সেই সঙ্গেই কংগ্রেসকে আক্রমণ করে তাঁর দাবি, ‘যে সরকারের আমলে ওই হামলা হয়েছিল তারা কিন্তু ওকে দেশে ফেরাতে পারেনি।’ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “মোদি সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ তাদের ফিরিয়ে আনার জন্য যারা ভারতের মাটি অপব্যবহার করেছে, দেশের সম্মান অবমাননা করেছে, এমনকি ভারতীয় নাগরিকদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছে। তাদের ভারতীয় আইনের অধীনে বিচার করার জন্য দেশে ফিরিয়ে আনা হবেই।”

    মোদির জিরো টলারেন্স নীতির ফল

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জিরো টলারেন্স নীতির ফলে এই প্রত্যার্পণ সম্ভব হয়েছে বলে দাবি করেছে বিজেপি। মুম্বইয়ে এক সাংবাদিক বৈঠকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল বলেন, “কংগ্রেস সরকার কিছুই করেনি ২০০৮ সালের হামলার পর। একজন মাত্র জঙ্গি ধরা পড়েছিল— আজমল কাসব, তাকেও জেলে বসে বিরিয়ানি খাওয়ানো হয়েছিল। আর এখন যারা দেশকে আক্রমণ করেছে, তাদের দেশের মাটিতে এনে শাস্তি দেওয়ার দৃঢ়তা দেখিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। এই হচ্ছে নতুন ভারতের সংকল্প।”  ইউপিএ আমলে ভোটব্যাঙ্কের কথা ভেবে সন্ত্রাসের সঙ্গে সর্বদা নরম মনোভাব দেখিয়েছে কংগ্রেস, দাবি বিজেপির। বিজেপি মুখপাত্র শেহজাদ পুনাওয়ালা বলেন, “ইউপিএ আমলে যারা সন্ত্রাসকে আশ্রয় দিয়েছে, তাদের ‘মোস্ট ফেভার্ড নেশন’ মর্যাদা দেওয়া হয়েছিল। আজকের ভারত পাল্টে গেছে। উরি কিংবা পুলওয়ামার মতো ঘটনার জবাব এমএফএন দিয়ে নয়, এমটিজে— ‘মুহ তোড় জবাব’ দিয়ে দেওয়া হয়।”

    মুখ খুলেছে আমেরিকা

    রানার ভারতে প্রত্যর্পণ নিয়ে মুখ খুলেছে আমেরিকাও। সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর প্রতিবেদন অনুসারে, আমেরিকার প্রতিরক্ষা দফতরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস বলেন, “এই ধরনের হামলার সঙ্গে যাঁরা যুক্ত, তাঁদের বিচারের আওতায় আনার জন্য ভারতের উদ্যোগকে দীর্ঘ দিন ধরে সমর্থন করে এসেছে আমেরিকা। এখন উনি (রানা) ভারতের হাতে। আমরা খুশি।” মার্কিন আদালতে রানা বার বার আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন যে, ভারতের জেলে তাঁর উপর অত্যাচার চালানো হবে। তবে ভারত অবশ্য আমেরিকার সঙ্গে থাকা প্রত্যর্পণ চুক্তির শর্ত ভঙ্গ হবে না বলে আশ্বাস দিয়েছে। নয়াদিল্লির তরফে জানানো হয়েছে, জেলেও সুরক্ষিত থাকবেন রানা। এদিকে, মুম্বই হামলার চক্রীকে ভারতে আনা হতেই, প্রধানমন্ত্রী মোদিকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীশ। উল্লেখ্য ২ মাস আগে, মোদির মার্কিন সফরের সময়ই রানার প্রত্যর্পণ ইস্যুটি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর আলোচনায় উত্থাপিত হয়েছিল। তারপরই দ্রুত পদক্ষেপ করা হয়। অবশেষে এখন ভারতে রানা। জনৈতিক চাপানউতোরের মধ্যেও এই ঘটনা আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের কূটনৈতিক সাফল্যের বড় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকল,অভিমত বিশেষজ্ঞদের।

     

     

  • Gajan Utsav: বাংলায় শুরু গাজনের উৎসব, চৈত্রশেষে মহাদেবের আরাধনায় মেতে ওঠেন ভক্তরা

    Gajan Utsav: বাংলায় শুরু গাজনের উৎসব, চৈত্রশেষে মহাদেবের আরাধনায় মেতে ওঠেন ভক্তরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চৈত্র শেষে গাজনের ঢাক (Gajan Utsav)। গ্রাম থেকে শহর শোনা যাচ্ছে ঢাক-ঢোল-কাঁসরের আওয়াজ। বাংলা বছরের শেষ উৎসব হল গাজন। এই উৎসবে দেবাদিদেব মহাদেবের আরাধনায় মেতে ওঠেন ভক্তরা। গাজন উৎসবে জাতপাতের বেড়াজাল টপকে সকলেই সামিল হন শিব আরাধনায়। এবছরের গাজন শুরু হয়েছে বৃহস্পতিবার, মদন ত্রয়োদশী থেকে। চলবে সোমবার, চৈত্র সংক্রান্তি পর্যন্ত। প্রসঙ্গত, মদন ত্রয়োদশী হল হিন্দু ধর্মের একটি গুরুত্বপূর্ণ তিথি। যা চৈত্র মাসের শুক্লপক্ষের ত্রয়োদশী তিথিতে পালিত হয়। এই ত্রয়োদশীতে ভগবান বিষ্ণুর পুজো করা হয়। একইসঙ্গে প্রেমদেব মদন বা কামদেবের নামও যুক্ত, তাই এটি মদন ত্রয়োদশী নামেই পরিচিত।

    গাজন (Gajan) শব্দের উৎপত্তি

    গবেষকরা জানাচ্ছেন, গাজন (Gajan Utsav) শব্দের উৎপত্তি ‘গর্জন’ থেকে। অনেকের ধারণা, শিব সাধনার সময় সন্ন্যাসীদের হুঙ্কার বা রব থেকেই গাজন শব্দের উৎপত্তি। ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণেও মেলে গাজনের উল্লেখ। পুরাণের প্রকৃতিখণ্ডে লেখা রয়েছে, ‘‘চৈত্র মাস্যথ মাঘেবা যোহর্চ্চয়েৎ শঙ্করব্রতী। করোতি নর্ত্তনং ভক্ত্যা বেত্রবানি দিবাশিনম্।। মাসং বাপ্যর্দ্ধমাসং বা দশ সপ্তদিনানি বা। দিনমানং যুগং সোহপি শিবলোক মহীয়তে।।’’ এর অর্থ চৈত্রে কিংবা মাঘে এক-সাত দশ-পনেরো কিংবা তিরিশ দিন হাতে বেতের লাঠি নিয়ে শিবব্রতী হয়ে নৃত্য ইত্যাদি করলে মানুষের শিবলোক প্রাপ্ত হয়।

    জনশ্রুতি অনুযায়ী, শিবের সঙ্গে কালির বিবাহ সম্পন্ন হয়

    অনেক গবেষকের ধারণা, গাজন (Gajan Utsav) উৎসবে রয়েছে বৌদ্ধ ধর্মের প্রভাব। আবার বাংলার মঙ্গলকাব্যতেও গাজনের উল্লেখ পাওয়া যায়। যেমন ধর্মমঙ্গল কাব্যে রয়েছে এর বিস্তৃত বিবরণ। তবে অন্য একটি অংশের মতে, গা শব্দ বলতে গ্রামকে বোঝায়। আর, জন শব্দ বলতে জনসাধারণকে বোঝায়। অর্থাৎ গ্রামের জনসাধারণের যা উৎসব তাই গাজন। জনশ্রুতি রয়েছে, গাজনই হল সেই দিন যেদিন শিবের সঙ্গে কালির বিবাহ সম্পন্ন হয়। আরও লৌকিক কথা হল, গাজনের সন্ন্যাসীরা হলেন আসলে শিবের বরপক্ষ।

    গাজন উৎসবের তিনটি অংশ

    গাজন উৎসবের তিনটি অংশ থাকে। যথা- ঘাট সন্ন্যাস, নীলব্রত এবং চড়ক। অনেক জায়গাতে গাজন উৎসব (Gajan Utsav) চৈত্র মাসের প্রথম দিন থেকেই ভক্ত সন্ন্যাসীরা পালন করতেন, সেটা অনেক আগেকার কথা অবশ্য। তবে বর্তমান সময়ে চৈত্র সংক্রান্তির সাত দিন আগে অথবা তিন দিন আগে থেকেই কঠোরব্রত পালন করেন সন্ন্যাসীরা। এই সময়ে পরিচ্ছন্ন বস্ত্র ধারণ করে হবিষ্যান্ন গ্রহণ করেন সন্ন্যাসীরা। এবছর নীলব্রত পড়েছে রবিবার, ১৩ এপ্রিল। পরের দিন, অর্থাৎ, সোমবার ১৪ এপ্রিল, চৈত্র সংক্রান্তির দিন অনুষ্ঠিত হবে চড়ক পুুজো।

    অনেক জায়গাতে মুখোশ নৃত্যের প্রচলন দেখা যায়

    গাজনে অনেক জায়গাতে মুখোশ নৃত্যের প্রচলন দেখা যায়। যা স্থানীয় ভাষায় বোলান গান নামেও পরিচিত। এগুলি বর্ধমান, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, নদিয়া বীরভূম জেলাতে দেখা যায়। এই সময়ে শিব-গৌরী সাজেন অনেকেই। এর পাশাপাশি নন্দী, ভৃঙ্গি ভুত-প্রেত, দৈত্য, দানব প্রভৃতি ধরনের সং সেজেও নৃত্য করেন সবাই (Gajan Utsav)। লৌকিক ছড়া, আবৃত্তি গানও করা হয়। গাজনের ঠিক পরের দিন অনুষ্ঠিত হয় নীল পুজো। গ্রাম্য মহিলারা সন্তানদের মঙ্গল কামনায় এ দিন ফল, আতপ চাল, অর্থ দান করে থাকেন।

    প্রথম গাজন পুজোর প্রচলন কবে

    পৌরাণিকভাবে গাজন উৎসবের (Gajan Utsav) সূচনা নিয়ে নানা কাহিনী প্রচলিত আছে। কথিত আছে, বান নামে এক রাজা ছিলেন প্রবল শিব ভক্ত। তিনি দেবাদিদেব মহাদেবকে তুষ্ট করতে কঠোর তপস্যা করেন। শিব ভক্তির সেই সূত্র মেনে এখনও পর্যন্ত সন্ন্যাসীরা চড়কের বান পরেন। কাঁটার উপরে ঝাঁপও দেন। গাজন যেন এক প্রকার কৃচ্ছসাধনের ব্রত পালন করেন সন্ন্যাসীরা। আগুন ঝাঁপ, কাঁটা ঝাঁপ কপাল ফোঁড়া ইত্যাদি দেখা যায়। গবেষকরা বলছেন, ১৪৮৫ সালের রাজা সুন্দর আনন্দ ঠাকুর প্রথম চড়ক পুজোর প্রচলন করেন। সেই থেকেই এই প্রথা মেনে আসছেন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা।

    অন্ত্যজ শ্রেণির নারী-পুরুষ নির্বিশেষে প্রত্যেকেই সন্ন্যাস ধর্ম পালন করেন

    গাজনের এই পুজোর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে ভূত-প্রেত, পুনর্জন্ম প্রভৃতি বিষয়। এক সময়ে গাজনের (Gajan Utsav) সন্ন্যাসীরা হুড়কো দিয়ে নিজেদেরকে চাকার সঙ্গে বেঁধে দ্রুত বেগে ঘুরতেন। সেসময় ব্রিটিশ সরকার আইন প্রণয়ন করে এই নিয়ম-নীতি বন্ধ করে দিয়েছিল। তবে বর্তমান সময়ে আজও অনেক স্থানে এই রীতি দেখা যায়। গাজনের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল, এই সময়ে অন্ত্যজ শ্রেণির নারী-পুরুষ নির্বিশেষে প্রত্যেকেই সন্ন্যাস ধর্ম পালন করতে পারেন। অনেক ক্ষেত্রে আবার দেখা যায় শিব-পার্বতী সেজে কেউ কেউ ভিক্ষা পাত্র নিয়ে বের হন। সারাদিন বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে আতপ চাল, কাঁচা আম, কাঁচা কলা প্রভৃতি সংগ্রহ করেন।

    গ্রামবাংলায় লোকপ্রিয় গাজন

    পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে উত্তর থেকে দক্ষিণবঙ্গ সর্বত্রই গাজন উৎসব দেখা যায়। মালদা জেলায় গম্ভিরা উৎসব (Gajan Utsav) পালিত হয় এই সময়। কোথাও তা চৈত্র সংক্রান্তি থেকে হয়, কোথাও তা আবার পয়লা বৈশাখে হয়। চার দিন ধরে চলে এই উৎসব। একদিকে যেমন শিব আরাধনা চলে, তেমনই অন্যদিকে দৈনন্দিন জীবনে নানা সমস্যার কথা ভক্তরা দেবাদিদেব মহাদেবের উদ্দেশে বলতে থাকেন। সেখানে সমস্ত ধরনের কথাই খোলামেলা বলা হয়। রাজনীতি থেকে জীবনের বঞ্চনা কোনও কিছুই বাদ যায় না। পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলির পাশাপাশি কলকাতাতেও দেখা যায় চৈত্র সংক্রান্তির সং সাজা। দক্ষিণ কলকাতার ভবানীপুরে সঙ বের হয়। কলকাতার জেলে পাড়ার সঙ্গে কথাও কম বেশি সকলেই জানেন। এর পাশাপাশি কালীঘাটের নকুলেশ্বর তলা সহ বেশ কিছু জায়গায় আজও গাজন পালিত হয়।

    পশ্চিমবঙ্গের বিখ্যাত গাজনের মেলা

    চৈত্র মাসের শেষ সপ্তাহ জুড়ে সন্ন্যাসী বা ভক্তদের মাধ্যমে শিবের গাজন অনুষ্ঠিত হয়। চৈত্র সংক্রান্তিতে চড়ক পূজার সঙ্গে এই উৎসবের সমাপ্তি ঘটে। গাজন সাধারণত তিনদিন ধরে চলে। এই উৎসবের একটি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হল মেলা। চৈত্রসংক্রান্তির গাজনে কালী নাচ একটি উল্লেখযোগ্য অনুষ্ঠান। ধর্মের গাজনের বিশেষ অঙ্গ হল নরমুণ্ড বা গলিত শব নিয়ে নৃত্য বা মড়াখেলা (কালিকা পাতারি নাচ)। জ্যৈষ্ঠমাসে মনসার গাজনে মহিলা সন্ন্যাসী বা ভক্ত্যারা অংশ নেয়, তারা চড়কের সন্ন্যাসীদের মতোই অনুষ্ঠান পালন করে। বর্ধমান জেলার পাঁড়ুই গ্রামের শিবের গাজন যা পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় গাজন এর মধ্যে অন্যতম। এখানে প্রতি বছর আঠাশ ফলের দিন অর্থাৎ আঠাশে চৈত্র, শ্মশান চিরন নামে বিশাল আচার অনুষ্ঠান হয়। যা প্রায় ৫০০ বছরের পুরনো।

    বাংলার কয়েকটি জনপ্রিয় গাজন উৎসব

    পূর্ব বর্ধমান: শ্রীখণ্ড গ্রামের গাজন বাবা দুগ্ধ কুমার শিবের গাজন হিসেবে বিখ্যাত।
    মালদা: মালদায় গাজনের নাম গম্ভীরা।
    জলপাইগুড়ি: জলপাইগুড়িতে গাজনের নাম গমীরা।
    বাঁকুড়া: বাঁকুড়া জেলার ছাতনা থানার ঝাঁটিপাহাড়ী গ্রামের গাজনও খুব বিখ্যাত। তবে তা চৈত্র মাসে নয়, বরং জ্যৈষ্ঠ মাসের ২৫/২৬ তারিখ নাগাদ পালিত হয়। এই অনুষ্ঠান হুজুগে গাজন উৎসব নামে পরিচিত।

  • Tahawwur Rana: জেরা শুরু! ১৮ দিন এনআইএ-র হেফাজতে রানা, পাকা চুল, বাদামী পোশাকে দিল্লিতে মুম্বই হামলার মূল চক্রী

    Tahawwur Rana: জেরা শুরু! ১৮ দিন এনআইএ-র হেফাজতে রানা, পাকা চুল, বাদামী পোশাকে দিল্লিতে মুম্বই হামলার মূল চক্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে ভারতের হাতে, এনআইএ হেফাজতে তাহাউর হুসেইন রানা (Tahawwur Rana)। আমেরিকা থেকে বহু প্রতীক্ষিত প্রত্যর্পণের পর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দিল্লিতে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গেই ভারতের জাতীয় তদন্ত সংস্থা (NIA) গ্রেফতার করে ২০০৮ সালের মুম্বই হামলার অন্যতম মূল ষড়যন্ত্রকারীকে। মধ্যরাতে তাঁকে হাজির করানো হয় দিল্লির পাটিয়ালা হাউস কোর্টের বিশেষ এনআইএ আদালতের বিচারকের সামনে। মুম্বই হামলার (26/11 Mumbai Attack) নেপথ্যে থাকা ষড়যন্ত্রের দিকটি খতিয়ে দেখতে রানাকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার আর্জি জানায় এনআইএ। আর্জি মঞ্জুর করে বিচারক রানাকে ১৮ দিন এনআইএ-র হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

    আদালতে কী বলল এনআইএ?

    ২০০৮ থেকে ২০২৫। ১৭ বছর পর তাহাউর (Tahawwur Rana) শাস্তি পেতে পারে মুম্বই হামলার চক্রান্ত করার জন্য, যা নিরাপরাধ ১৬৬ জনের প্রাণ কেড়েছিল। বৃহস্পতিবার আদালতে যখন পেশ করা হয় তাহাউরকে, তখন তদন্তকারী সংস্থা একাধিক জোরাল তথ্য প্রমাণ জমা দেয়, যাতে স্পষ্ট মুম্বই হামলায় সরাসরি যোগ ছিল তাহাউরের। জানা গিয়েছে, তাহাউরের পাঠানো একাধিক ইমেল জমা দেওয়া হয়েছে আদালতে। এনআইএ আদালতে জানিয়েছে, কীভাবে ষড়যন্ত্র করেছিল, তা জানার জন্য তাহাউরকে জেরা করা জরুরি। অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, ভারত সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ, খুন, প্রতারণার মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়া বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইনেও তাহাউরের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

    আদালতের পর্যবেক্ষণ

    আদালতে এনআইএ জানায়, সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ ঘটাতে রানা অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র করেছিলেন। অন্য ষড়যন্ত্রীদের সঙ্গে শলা পরামর্শও করেছিলেন। রানাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ২০ দিনের হেফাজতে নিতে চায় এনআইএ। বিচারক রানার কাছে জানতে চান, তিনি পাল্টা সওয়ালের জন্য নিজে কোনও আইনজীবী নিয়োগ করবেন, না কি আদালতের তরফ থেকে তাঁকে আইনি সহায়তা দেওয়া হবে? রানা জানান, তাঁর কাছে তাঁর পক্ষে সওয়াল করার মতো কোনও আইনজীবী নেই। এরপর জজ জানান, দিল্লি লিগাল অথরিটি সার্ভিসের তরফে একজন আইনজীবী তাঁকে দেওয়া হবে, তাঁর পক্ষে সওয়াল জবাব করার জন্য। রানার বিরুদ্ধে এনআইএ-র হয়ে কেস লড়বেন প্রবীণ ক্রিমিনাল আইনজীবী দয়া কৃষ্ণণ। স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর নরেন্দ্র মান আইনি প্রক্রিয়ায় তাঁকে নেতৃত্ব দেবেন।

    কোথায় রানা?

    রানাকে ভারতে ফেরানোর পরে একটি বিবৃতি দিয়ে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ) জানিয়েছে, ২০০৮ সালের ওই জঙ্গি হানার মূল ষড়যন্ত্রী ছিলেন রানা! বিবৃতিতে এনআইএ জানিয়েছে, “২৬/১১ মুম্বই জঙ্গি হানার মূলচক্রী তাহাউর হুসেন রানাকে বৃহস্পতিবার ভারতে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। ২০০৮ সালের ওই ঘটনায় মূল ষড়যন্ত্রীকে বিচারের আওতায় আনার জন্য বেশ কয়েক বছর ধরে চেষ্টা চলছিল।” ভারতে বিমানটি অবতরণের পরে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)-র আধিকারিকরা তাঁকে গ্রেফতার করেন। পাকা চুল, মাঝে পড়েছে টাক। গাল ভর্তি লম্বা পাকা দাড়ি। বাদামী রঙের ওভারঅলে দেখা মেলে তাহাউর রানার। তবে তাঁকে প্রকাশ্যে আনা হলেও, তাঁর মুখ প্রকাশ করা হয়নি। তাঁকে কোথায় রাখা হবে, তা এখনও স্পষ্ট ভাবে জানা যায়নি। একটি সূত্রের খবর, রানাকে দিল্লিতে এনআইএ-র সদর দফতরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা যুক্ত জিজ্ঞাসাবাদ কুঠুরিতে রাখা হবে তাঁকে।

    জিজ্ঞাসাবাদের তোড়জোর

    রানাকে ১৮ দিনের এনআইএ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিতেই, তাহাউরকে (Tahawwur Rana) নিয়ে প্রিজন ভ্যান এনআইএ হেডকোয়ার্টারে পৌঁছয়। জানা যাচ্ছে, আপাতত ওই ১৮ দিনে এনআইএর তরফে ২০০৮ সালে মুম্বই হামলার অন্যতম মাস্টারমাইন্ড রানাকে জেরা করা হবে। সেখানে রানার জন্য প্রস্তুত ছিল স্পেশ্যাল সেল। গোটা ষড়যন্ত্রের পর্দাফাঁস করার চেষ্টায় চলবে রানার লাগাতার জেরা। জানা যাচ্ছে, সিজিও কম্প্লেক্সে ‘অ্যান্টি টেরর এজেন্সি’র হেড অফিসে উচ্চ পর্যায়ের নিরাপত্তা বেষ্টনীতে রাখা হবে রানাকে। জানা যাচ্ছে এনআইএর আইজি, ডেপুটি ইনসপেক্টর সহ পদস্থ একাধিক দাপুটে কর্তারা জেরা করতে চলেছেন রানাকে। প্রাথমিক ভাবে স্থির হয়েছে ১২ জন আধিকারিক পাক বংশোদ্ভূত এই কানাডিয়ান ব্যবসায়ীকে জেরা করবেন। এই ১২ জনের মধ্যে রয়েছেন এনআইএ-র ডিজি সদানন্দ দাতে, আইজি আশিস বাত্রা, ডিআইজি জয়া রায়। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার রাত থেকেই তাহাউরকে জেরা করছে এনআইএ। নয়া দিল্লিতে এনআইএ-র সদর দফতরে তৃতীয় তলায় তাহাউর রানাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা এনআইএ আইজি, ডিআইজি স্তরের কর্মকর্তাদের। ২৪ ঘণ্টাই তাহাউরকে সিসিটিভির নজরদারিতে রাখা হবে। উপস্থিত থাকবেন স্পেশাল সেল কমান্ডোরাও।

  • Aadhaar: মোদি সরকার আনছে নয়া আধার অ্যাপ, থাকছে ‘লাইভ’ ফেসিয়াল ভেরিফিকেশন ও কিউআর কোড

    Aadhaar: মোদি সরকার আনছে নয়া আধার অ্যাপ, থাকছে ‘লাইভ’ ফেসিয়াল ভেরিফিকেশন ও কিউআর কোড

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (ইউআইডিএআই) আধারের (Aadhaar) নতুন অ্যাপের বিষয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাচ্ছে। এই নতুন অ্যাপটি ফেসিয়াল ভেরিফিকেশনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে সক্ষম হবে বলে জানা যাচ্ছে। সম্প্রতি আধার সংবাদ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। সেখানেই এই কথাগুলি জানান তিনি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর মতে, এই অ্যাপ চালু হওয়ার পর হোটেল-দোকানে আধারের ফটোকপি আর দিতে হবে না। বর্তমানে যেমন ভারতের সর্বত্র ইউপিআই পেমেন্টের জন্যে কিউআর কোড দেখা যায়, তেমনই শীঘ্রই আধার যাচাইকরণ কিউআর কোড ভেরিফিকেশন পয়েন্টগুলিতে উপলব্ধ হবে।

    কী জানালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী

    কেন্দ্রীয় তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব মঙ্গলবার আধার সংবাদ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, ‘‘এই নতুন আধার অ্যাপের (Aadhaar) মাধ্যমে আধার ভেরিফিকেশনের (Aadhaar Verification) প্রক্রিয়া, ইউপিআই পেমেন্টের মতো কাজ সহজ করা যাবে।’’ এবিষয়ে নিজের এক্স মাধ্যমে পোস্টও করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। সেখানে তিনি লেখেন, ফেস আইডি যাচাইকরণ (Aadhaar) এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে সংযুক্ত করে মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে ভারতীয় নাগরিকদের জন্য ডিজিটাল আধার পরিষেবা চালু করতে চলেছে সরকার। তিনি আরও জানিয়েছেন, ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার সহযোগিতায় তৈরি করা এই অ্যাপটিতে প্রমাণীকরণের জন্য কিউআর কোড-ভিত্তিক ভেরিফিকেশন এবং রিয়েল-টাইম ফেস আইডি ব্যবস্থাও রয়েছে।

    নতুন আধার অ্যাপে কী কী সুবিধা মিলবে?

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই নয়া আধার অ্যাপ (Aadhaar) চালু হওয়ার পরে ভ্রমণের সময় ট্রেনে, হোটেল চেক-ইন ইত্যাদি কাজে আধার কার্ড সঙ্গে নিতে হবে না বা এর ফটোকপি জমা দিতে হবে না।

    এই অ্যাপ চালু হলে তা কিউআর কোড স্ক্যান করার পরেই যে কোনও ব্যক্তির পরিচয় যাচাই করতে সক্ষম হবে। এর ফলে নতুন করে আধারের কপি দেখানোর প্রয়োজন পড়বে না।

    নতুন আধার অ্যাপের (Aadhaar) মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় তথ্যই শেয়ার করতে পারবেন। ব্যক্তিগত তথ্যের ওপর ব্যবহারকারীরা সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ পাবেন।

    ফেস আইডি-ভিত্তিক প্রমাণীকরণ তো এই অ্যাপটিতে থাকছেই। এর পাশাপাশি, নতুন আধার অ্যাপটিতে একটি কিউআর কোড যাচাইকরণ বৈশিষ্ট্যও থাকবে। এরফলে আধার যাচাইকরণকে আরও দ্রুত এবং সহজ হবে বলে জানা যাচ্ছে।

  • Child Health: গরমে বাড়ছে হজমের গোলমাল! নিয়মিত কোন খাবার খেলে শিশুদের সমস্যা কমবে?

    Child Health: গরমে বাড়ছে হজমের গোলমাল! নিয়মিত কোন খাবার খেলে শিশুদের সমস্যা কমবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এপ্রিলের শুরু থেকেই বাড়ছে অস্বস্তি! গরম আর শুষ্ক আবহাওয়ার জেরেই সমস্যা বাড়ছে। নানান শারীরিক সমস্যাও বাড়ছে। অনেকেই এই আবহাওয়ায় হজমের সমস্যায় ভুগছেন। বিশেষত শিশুদের (Child Health) খাবারে অনীহা দেখা দিচ্ছে। আবার অনেক সময় সামান্য পরিমাণ খাবার খেলেই বমি হচ্ছে। শিশুদের পাশাপাশি বড়দেরও হজমের গোলমাল দেখা দিচ্ছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই অস্বস্তিকর আবহাওয়ায় নিয়মিত কয়েকটি খাবার খেলেই হজমের সমস্যা সহজেই মোকাবিলা করা যাবে। শিশু থেকে বয়স্ক, সকলেরই এই আবহাওয়ায় হজম নিয়ে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই গরম আবহাওয়ায় পেটের সমস্যা এবং হজমের গোলমাল ভোগান্তি বাড়াচ্ছে। তাই তাঁদের পরামর্শ, নিয়মিত পাতে থাকুক কিছু নির্দিষ্ট খাবার। আবার কয়েকটি খাবার এই সময় এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। এবার দেখে নেওয়া যাক, হজমের সমস্যা মেটাতে কোন খাবার বাড়তি সাহায্য করবে?

    আদার রস মেশানো এক গ্লাস জল (Child Health)

    গরমে হজমের গোলমাল কমাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ জল খাওয়ার পরামর্শ বারবার দেন চিকিৎসকদের একাংশ। তবে জলে কয়েক ফোঁটা আদার রস মিশিয়ে খেলে বাড়তি উপকার পাওয়া যাবে বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, দিনের যে কোনও সময় এক গ্লাস জলে তিন থেকে চার ফোঁটা আদার রস মিশিয়ে খেলে হজমের সমস্যা কমে। আদা হজম শক্তি বাড়াতে বাড়তি সাহায্য করে। আদায় থাকে অ্যান্টি ইনফ্লেমেটারি উপাদান। যা হজমের সমস্যা কমাতে বিশেষ সাহায্য করে। তাই আদার রস মেশানো জল নিয়মিত খেলে হজমের সমস্যা সহজেই সমাধান করা যায়।

    নিয়মিত একটি আপেল

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, সকালের জলখাবারের সঙ্গে থাকুক একটি আপেল। শিশু (Child Health) থেকে বয়স্ক, সকলের জন্য এই ফল বাড়তি উপকার দেবে। আপেলের নানান স্বাস্থ্যগুণ রয়েছে। তবে আপেল হজম শক্তি বাড়াতেও খুব সাহায্য করে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, আপেলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। এই উপাদান হজম শক্তি বাড়াতে বিশেষ সাহায্য করে। তাই এই আবহাওয়ায় নিয়মিত একটি আপেল খেলে হজমের সমস্যা কমবে।

    শেষ পাতে টক দই

    দুপুরে তাপমাত্রার পারদ মারাত্মক বেড়ে যায়। দিন কয়েক ধরেই দুপুরে অস্বস্তি আরও বাড়ছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অফিসের লাঞ্চ ব্রেক হোক কিংবা বাড়ির মধ্যাহ্ন ভোজ, শেষ পাতে এই সময় টক দই থাকা জরুরি। শিশুদেরও (Child Health) নিয়মিত টক দই খাওয়ানোর পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, টক দইয়ে থাকে প্রচুর পরিমাণে প্রোবায়োটিক। তাই টক দই অন্ত্রের জন্য বিশেষ উপকারী। নিয়মিত টক দই খেলে হজম শক্তি বাড়ে। পেটের গোলমালের ঝুঁকিও কমে। তবে তাঁরা জানাচ্ছেন, চিনি বা মিষ্টি মিশিয়ে টক দই খেলে চলবে না। এতে পুষ্টিগুণ কমে যায়।

    শিশুদের হজমের সমস্যা কমাতে বাড়তি কোন দিকে নজর দেওয়া জরুরি?

    শিশুরোগ (Child Health) বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, গরম (Summer) বাড়তেই হজমের সমস্যা ও পেটের গোলমালের জেরে অনেক শিশুর ভোগান্তি বাড়ছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই সময়ে বাড়তি খেয়াল রাখা দরকার। শিশুদের সুস্থ রাখতে চটজলদি খাবার একেবারেই দেওয়া যাবে না‌ বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, বাজারের চটজলদি খাবারে পুষ্টিগুণ একেবারেই থাকে না। এর ফলে হজমের সমস্যা আরও বাড়ে। বিশেষ করে পিৎজা, বার্গারের মতো প্রসেসড খাবারে অতিরিক্ত পরিমাণে রাসায়নিক দেওয়া থাকে। যা অন্ত্রের জন্য বিশেষ ক্ষতি করে।

    সবুজ‌ সবজি নিয়মিত খেতে হবে

    বিশেষজ্ঞদের একাংশের পরামর্শ, এই আবহাওয়ায় শিশুদের (Child Health) প্রাণীজ প্রোটিন দেওয়ার ক্ষেত্রে পরিমাণের দিকে নজরদারি জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, প্রাণীজ প্রোটিন হজম করতে সময় লাগে। তাই অতিরিক্ত পরিমাণ মাংস কিংবা ডিম খেলে অনেক সময় সমস্যা হতে পারে। তাঁদের পরামর্শ, হজমের সমস্যা কমাতে প্রাণীজ প্রোটিনের পাশাপাশি পর্যাপ্ত পরিমাণ সবুজ‌ সবজি নিয়মিত দিতে হবে। তাঁরা জানাচ্ছেন, পটল, ঝিঙে, উচ্ছের মতো সবজি নিয়মিত খাওয়া জরুরি। এই সবজিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন রয়েছে। তাই এই সবজি হজম শক্তি বাড়াতে বিশেষ সাহায্য করে।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Daily Horoscope 11 April 2025: পিতামাতার সঙ্গে মতের অমিল হতে পারে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 11 April 2025: পিতামাতার সঙ্গে মতের অমিল হতে পারে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

     

    মেষ

    ১) প্রিয়জনের সঙ্গে বিবাদ বাধতে পারে।

    ২) পেটের ব্যাপারে একটু সাবধান থাকুন।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    বৃষ

    ১) অতিরিক্ত বিলাসিতার জন্য খরচ বাড়তে পারে।

    ২) ব্যবসার জন্য বাড়তি অর্থ দরকার হতে পারে।

    ৩) সতর্ক থাকবেন সব বিষয়ে।

    মিথুন

    ১) ভালো কোনও সুযোগ হাতছাড়া হওয়ায় ক্ষোভ।

    ২) কারও কাছ থেকে বড় কোনও উপকার পেতে পারেন।

    ৩) বাণীতে সংযম জরুরি।

    কর্কট

    ১) মহিলা বন্ধুদের ব্যাপারে একটু সাবধান থাকা দরকার।

    ২) প্রতিবেশীর সঙ্গে বিবাদ।

    ৩) সবাইকে ভালোভাবে কথা বলুন।

    সিংহ

    ১) আয় ভালো থাকলেও দারিদ্র সহজে দূর হবে না।

    ২) কর্মক্ষেত্রে সুবিবেচক ব্যক্তি হিসাবে উন্নতির যোগ।

    ৩) মোটামুটি কাটবে দিনটি।

    কন্যা

    ১) মিথ্যা বদনাম রটতে পারে।

    ২) ব্যবসায় পরিশ্রম বৃদ্ধি পেলেও লাভ ভালো হবে।

    ৩) দিনটি ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    তুলা

    ১) পিতামাতার সঙ্গে মতের অমিল হতে পারে।

    ২) চোখের ব্যাপারে একটু সাবধান থাকুন।

    ৩) দিনটি মোটামুটি কাটবে।

    বৃশ্চিক

    ১) নিজের বাকপটুতায় সকলের মন জয় করতে সক্ষম হবেন।

    ২) জনহিতকর কাজে সুনাম পাবেন।

    ৩) আশাপূরণ।

    ধনু

    ১) সন্তানের জন্য স্ত্রীর সঙ্গে বিবাদ হতে পারে।

    ২) কোনও অভিজ্ঞ ব্যক্তির সঙ্গে ধর্ম নিয়ে আলোচনা করার সুযোগ পাবেন।

    ৩) ধৈর্য ধরতে হবে।

    মকর

    ১) শত্রুদের থেকে সাবধান থাকা দরকার।

    ২) বাড়তি খরচ হতে পারে।

    ৩) গুরুজনের পরামর্শ মেনে চলুন।

    কুম্ভ

    ১) একটু বিপদের সম্ভাবনা আছে।

    ২) মানসিক অস্থিরতার জন্য কোনও ভালো কাজ হাতছাড়া হতে পারে।

    ৩) আশা পূরণ।

    মীন

    ১) সারা দিন ব্যবসা গতানুগতিক ভাবেই চলবে।

    ২) ভাই-বোনের কাছ থেকে সাহায্য পেতে পারেন।

    ৩) ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে দিনটি।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • BJP: মুসলিম কল্যাণেই ওয়াকফ আইন, দেশজুড়ে প্রচারে নামছে বিজেপি, দিল্লিতে অনুষ্ঠিত কর্মশালা

    BJP: মুসলিম কল্যাণেই ওয়াকফ আইন, দেশজুড়ে প্রচারে নামছে বিজেপি, দিল্লিতে অনুষ্ঠিত কর্মশালা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোদি সরকার পাশ করেছে ওয়াকফ সংশোধনী আইন (Waqf Reforms Awareness)। এই আবহে দেশজুড়ে ওয়াকফ সংস্কার প্রচার অভিযান চালাবে বিজেপি (BJP)। এমনটাই ঘোষণা করা হয়েছে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফ থেকে। জানা গিয়েছে, এই প্রচার অভিযান চলবে আগামী ২০ এপ্রিল থেকে ৫ মে পর্যন্ত। এই প্রচার অভিযানের মাধ্যমে বিজেপি লক্ষ্য রেখেছে, যে সমস্ত ভুল তথ্য এবং গুজব ছড়ানো হচ্ছে ওয়াকফ আইনকে কেন্দ্র করে সেগুলির মোকাবিলা করা। বিজেপি তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে, কংগ্রেস এবং তার জোট সঙ্গীরা মুসলিম সমাজকে ভুল বোঝাচ্ছে ওয়াকফ সংশোধনী (Waqf Reforms Awareness) আইন নিয়ে।

    মুসলিম কল্যাণেই ওয়াকফ আইন

    বিজেপির (BJP) মতে, মুসলিম সম্প্রদায়ের জানা দরকার যে ওয়াকফ আইন তাদের কল্যাণের জন্যই। এই প্রচার অভিযানের পরিকল্পনা নিয়ে একটি কর্মশালা আয়োজিত হয় দিল্লির বিজেপির সদর দফতরে। যেখানে বিজেপির জাতীয় সভাপতির জেপি নাড্ডা প্রতিনিধিদের সামনে বক্তব্য রাখেন। তিনি নিজের ভাষণে বলেন, ‘‘ওয়াকফ সংস্কার তার সম্পত্তিগুলিকে আরও ভালোভাবে উপযোগী করে তুলবে এবং তা দরিদ্র মুসলমানদের কল্যাণে ব্যবহার করা হবে।’’

    তোষণের কারণেই মুসলিম সমাজকে ভুল বোঝাচ্ছে কংগ্রেস, তোপ নাড্ডার

    একই সঙ্গে জেপি নাড্ডা (BJP) তোপ দাগেন কংগ্রেস এবং তার জোট সঙ্গীদের ওপর। তিনি বলেন,‘‘তোষণের রাজনীতির কারণেই মুসলিম সমাজকে বিভ্রান্ত করছে এই রাজনৈতিক দলগুলি।’’ তিনি বিজেপির কর্মীদেরকে বলেন, তাঁরা যেন মুসলিম সম্প্রদায়ের কাছে পৌঁছে যান এবং তাদেরকে বোঝান এই আইন মুসলিমদের পক্ষে ইতিবাচক।

    ওয়াকফ আইন

    ওয়াকফ আইনটি সংসদের উভয় কক্ষে পাশ হওয়ার পর এবং গত সপ্তাহে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর অনুমোদন পাওয়ার পর বর্তমানে তা আইনে পরিণত হয়েছে। এই বিলটি নিয়ে ১২ ঘণ্টা বিতর্কের পর ৩ এপ্রিল ভোর রাতে লোকসভায় পাশ হয়। সেখানে বিলটি সমর্থন করেছিলেন ২৮৮ জন সদস্য। বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন ২৩২ জন। এরপর ৪ এপ্রিল সকালে রাজ্যসভায় বিলটি পাশ হয়। সেখানে ১২৮ সদস্য সমর্থন করেছিলেন, বিরোধিতা করেছিলেন ৯৫ জন। নয়া এই আইনটি ভারতের ওয়াকফ সম্পত্তির ম্যানেজমেন্ট ও অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ব্যবস্থা উন্নত করার লক্ষ্যে প্রণয়ন করা হয়েছে। এটি ১৯৯৫ সালের ওয়াকফ আইন সংশোধন করে করা হয়েছে।

  • Modi Govt: প্রতিশ্রুতি রক্ষা মোদি সরকারের, সংগ্রহ ১০০ লক্ষ বেল তুলো, প্রদান করা হল ৩৭,৪৫০ কোটি টাকা

    Modi Govt: প্রতিশ্রুতি রক্ষা মোদি সরকারের, সংগ্রহ ১০০ লক্ষ বেল তুলো, প্রদান করা হল ৩৭,৪৫০ কোটি টাকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোদি জমানায় (Modi Govt) তুলো চাষের ব্যাপক উন্নতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সরকারের আগ্রহ এখানে পরিলক্ষিত হচ্ছে। এই আবহে ভারত সরকার তার নোডাল সংস্থা, কটন কর্পোরেশন ইন্ডিয়া লিমিটেড বা সিসিআইয়ের (Cotton Farmers) মাধ্যমে ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের আওতায় ১০০ লক্ষ বেল তুলো সংগ্রহ করেছে বলে খবর। ২০২৪-২০২৫ আর্থিক বছরে এই তুলো সংগ্রহ করা হয়েছে। অর্থাৎ গত ৩১ মার্চের মধ্যেই ১০০ লক্ষ বেল তুলো সংগ্রহ করেছে মোদি সরকার।

    নূন্যতম সহায়ক মূল্য হিসেবে প্রদান করা হয়েছে ৩৭ হাজার ৪৫০ কোটি টাকা

    জানা যাচ্ছে মোট তুলো উৎপাদন হয়েছে ২৯৪.২৫ লক্ষ বেল। এই মোট উৎপাদনের ৩৪ শতাংশই কেন্দ্রীয় সরকার (Modi Govt) নিয়ে নিয়েছে। এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় বস্ত্র শিল্প মন্ত্রকের বিবৃতিও সামনে এসেছে। যেখানে তারা জানাচ্ছে, যে পরিমাণ তুলা সংগ্রহ করা হয়েছে তা ৫২৫ লক্ষ কুইন্টাল তুলোর বীজের সমান। এর ফলে দেশের ২১ লাখ কৃষককে উপকৃত করা হয়েছেন। এভাবেই নূন্যতম সহায়ক মূল্য হিসেবে প্রদান করা হয়েছে ৩৭ হাজার ৪৫০ কোটি টাকা। ন্যাশনাল অটোমেটেড ক্লিয়ারিং হাউস (NACH) এর মাধ্যমে অর্থপ্রদান করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। স্বচ্ছতা রাখতে আধারের প্রমাণপত্র এবং এসএমএস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয়েছে অর্থ প্রদানের বিষয়টি।

    কোন রাজ্যে কত তুলো সংগ্রহ করল কেন্দ্র

    যে পরিসংখ্যান সামনে এসেছে সেখানে দেখা যাচ্ছে সর্বোচ্চ পরিমাণ তুলো সংগ্রহ করা গিয়েছে তেলঙ্গানায়। যেখানে এখন পর্যন্ত ৪০ লক্ষ বেল সংগ্রহ করা হয়েছে, তারপরে মহারাষ্ট্রে ৩০ লক্ষ বেল এবং গুজরাট ১৪.০২ লক্ষ বেল তুলো সংগ্রহ করেছে কেন্দ্র (Modi Govt) । অন্যান্য রাজ্যের মধ্যে কর্নাটকে ৫ লক্ষ বেল। মধ্যপ্রদেশে ৪ লক্ষ বেল, অন্ধ্রপ্রদেশে ৪ লক্ষ বেল, ওড়িশায় ২ লক্ষ বেল, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, এবং রাজস্থান মিলিয়ে ১.১৫ লক্ষ বেল।এই পরিসংখ্যানগুলিই তুলে ধরছে তুলো চাষীদের স্বার্থ রক্ষায় মোদি সরকার (Modi Govt) ঠিক কতটা দায়বদ্ধ। সহজেই যাতে চাষীরা নিজেদের উৎপাদিত তুলো বিক্রি করতে পারেন, তাই কটন কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া সমস্ত তুলা উৎপাদনকারী রাজ্যে ৫০৮টি ক্রয় কেন্দ্র স্থাপন করেছে।

  • Tahawwur Rana: ভারতে নামলেন তাহাউর রানা, কড়া নিরাপত্তায় এনআইএ-র বিশেষ আদালতে মুম্বই হামলার মূল চক্রী

    Tahawwur Rana: ভারতে নামলেন তাহাউর রানা, কড়া নিরাপত্তায় এনআইএ-র বিশেষ আদালতে মুম্বই হামলার মূল চক্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে ভারতেই ফিরতে হল ২৬/১১ সন্ত্রাস হামলার মূল চক্রী তাহাউর রানাকে (Tahawwur Rana)। বুধবারই তাঁকে বিশেষ বিমানে চড়িয়ে আমেরিকা থেকে রওনা দিয়েছিলেন তদন্তকারীরা। অনুমান ছিল বৃহস্পতিবার সকালেই ভারতে নামবে সেই বিমান। তবে তা পৌঁছল বেলা গড়িয়ে বিকেলে। অসমর্থিত সূত্রের খবর, দুপুর ২টো ৩৯ মিনিটের দিকে পালাম বিমানবন্দরে রানাকে নিয়ে অবতরণ করে বিশেষ বিমান। অবশেষে জঙ্গি কার্যকলাপে যুক্ত থাকার অভিযোগে আমেরিকায় গ্রেফতার হওয়ার প্রায় ১৬ বছর পর ভারতে নিয়ে আসা হল তাহাউর রানাকে।

    রানার জন্য বিশেষ নিরাপত্তা

    এনআইএ সূত্রে খবর, তাহাউরের প্রত্যপর্ণ নিয়ে আঁটসাঁট নিরাপত্তা রাজধানী জুড়ে। বেশ কিছু এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বাড়তি পুলিশ। এছাড়াও বিমানবন্দরে আগে থেকেই দাঁড় করানো হয়েছে সোয়াট কমান্ডাদের। পাশাপাশি, যে বুলেটপ্রুফ গাড়িতে রানাকে নিয়ে রওনা দেবে পুলিশ, তার আগুপিছুতে রাখা হবে অস্ত্র বোঝাই বিশেষ সাঁজোয়া গাড়ি। এছাড়াও রাখা হবে মার্কসম্যান গাড়ি। এই গাড়িতে থাকে সেনার বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত কমান্ডোরা। কোনও রকম ঝুঁকি নিতে নারাজ এনআইএ। তাই একইরকম দেখতে একাধিক ডিকয় (ভুয়ো) গাড়িও রাখা হয়েছে। ফলে, কোন গাড়ি করে, কোন রুট দিয়ে রানাকে নিয়ে যাওয়া হবে, তা একেবারে গোপন রাখছেন গোয়েন্দারা।

    আজই এনআইএ আদালতে রানা

    বৃহস্পতিবার ভারতে পা রাখা মাত্রই তাঁকে তোলা হবে এনআইএ-এর বিশেষ আদালতে। আর ওই বিশেষ আদালতে প্রয়োজনীয় সাক্ষ্য প্রমাণের যেন অভাব না হয়, সেই কারণে আগেভাগেই মুম্বই হামলা ও তাহাউরের যোগসাজোশ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় কেস ফাইল ও রের্কড করা বয়ান আদালতে জমা দিয়েছে তদন্তকারীরা। রানাকে (Tahawwur Rana) প্রথমে এনআইএ হেফাজতে রাখা হতে পারে। সেখানেই মুম্বই হামলা নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে তাকে। এনআইএ- হেডকোয়ার্টারে একটি সেল রানার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। যেখানে শুধুমাত্র ১২ জন সদস্য যেতে পারবেন। এনআইএ ডিজি সদানন্দ দত্ত, আইজি অনীশ বাতরা ও ডিআইজি জয় রায় রানাকে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন।

    রানার বিচারপ্রক্রিয়া দিল্লিতে

    অহেতুক কাল বিলম্ব নয়। ভারতে পা রাখার পরই যাতে মুম্বই হামলার অন্যতম চক্রী তাহাউর রানাকে (Tahawwur Rana) কঠোর শাস্তির মুখে পড়তে হয়, সেটা নিশ্চিত করতে চাইছে মোদি সরকার। সেই লক্ষ্যে রানা ভারতে পা রাখার আগেই তাঁর বিরুদ্ধে সওয়াল করার জন্য বিখ্যাত আইনজীবী নরেন্দ্র মানকে নিয়োগ করেছে কেন্দ্র। বৃহস্পতিবার রানা ভারতে নামলে সরকারিভাবে তাঁকে গ্রেফতার করে এনআইএ। কুখ্যাত ওই জঙ্গিকে রাখা হবে দিল্লির তিহাড় জেলে। প্রাথমিকভাবে রানার জন্য দিল্লি এবং মুম্বইয়ের দুটি জেলে দুটি হাই সিকিউরিটি সেল প্রস্তুত রাখা হয়েছিল। কিন্তু যেহেতু রানার বিচারপ্রক্রিয়া দিল্লিতে হবে, তাই এখনই তাকে মুম্বই নিয়ে যাওয়া হবে না। পরে তদন্তের প্রয়োজনে ওই মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গিকে মুম্বই নিয়ে যাওয়া হতে পারে। সূত্রের খবর, রানা দিল্লিতে নামার পরই দিল্লির বিশেষ এনআইএ কোর্টে তার বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হবে। দিল্লির পাটিয়ালা হাউসের বিশেষ এনআইএ আদালতে রানাকে পেশ করা হবে। ওই বিচারপ্রক্রিয়ায় এনআইএ’র হয়ে সওয়াল করবেন বিখ্যাত আইনজীবী নরেন্দ্র মান। এর আগে বহু গুরুত্বপূর্ণ মামলায় সিবিআই এবং এনআইএর হয়ে সওয়াল করেছেন তিনি। আগামী ৩ বছরের জন্য রানার বিরুদ্ধে সওয়াল করার জন্য মানকে নিয়োগ করেছে সরকার।

    প্রস্তুত তিহাড়

    দিল্লির তিহাড় জেলের একটি হাই-সিকিউরিটি ওয়ার্ডে তাঁকে রাখা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। কারাকর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁর জন্য ইতিমধ্যেই প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পূর্ণ, তবে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী। ইতিমধ্যেই জেলের ভিতরে ও বাইরে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা। রানাকে যে সেলে রাখা হবে সেখানে সিসিটিভি-র ব্যবস্থা রাখা হবে। থাকবে হাই অ্যালার্ট ক্যামেরা। রানার ওয়ার্ডে আরও ২ বন্দি থাকবে। তবে রানাকে কারুর সঙ্গে মিশতে, কথা বলতে দেওয়া হবে না। রানা কোন সেলে থাকবে নিরাপত্তার স্বার্থে তা প্রকাশ্যে আনতে চায়নি জেল কর্তৃপক্ষ।

    দূরত্ব তৈরির চেষ্টা পাকিস্তানের

    আমেরিকা থেকে ভারতে ফেরানো হল ২৬/১১ জঙ্গি হামলার অন্যতম চক্রী তাহাউর রানাকে (Tahawwur Rana)। এই আবহে তাহাউর প্রসঙ্গে প্রথম বিবৃতি দিল পাকিস্তান সরকার। পাক বংশোদ্ভূত তাহাউরের থেকে দূরত্ব তৈরি করার চেষ্টা করছে ইসলামাবাদ। বিবৃতিতে পাকিস্তান বোঝাতে চাইছে, ভারতে প্রত্যর্পিত হওয়া তাহাউর বর্তমানে পাকিস্তানের নাগরিক নন। পাক বিদেশ মন্ত্রকের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, “তাহাউর রানা গত দুই দশক ধরে পাকিস্তানি নথিপত্র পুনর্নবীকরণ করেননি। তিনি যে কানাডার নাগরিক, তা স্পষ্ট।” বস্তুত, তাহাউরকে ভারতে আনার পরে তাঁর বিচার প্রক্রিয়া শুরু হবে। সে ক্ষেত্রে তাহাউরের মুখ থেকে মুম্বই হামলা সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য উঠে আসার সম্ভাবনা রয়েছে।

    ভারতের জয়

    উল্লেখ্য, ডোনাল্ড ট্রাম্প ফের আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে বসতেই বড় কূটনৈতিক জয় পায় ভারত। তাহাউর রানাকে (Tahawwur Rana) ভারতে প্রত্যর্পণের নির্দেশ দেয় মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট। ভারত-মার্কিন বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি মেনে তাঁকে দিল্লির হাতে তুলে দেওয়ার ক্ষেত্রে সিলমোহর দিয়েছিল আমেরিকার শীর্ষ আদালত। এনআইএ আধিকারিকদের হাতে বুধবার রানাকে তুলে দিয়েছেন মার্কিন বিদেশ সচিব মার্কো রুবিও।

     

     

     

     

LinkedIn
Share