Tag: Madhyom

Madhyom

  • RG Kar Incident: সিবিআইয়ে আস্থা, পড়ুয়াদের আন্দোলনে যোগ দিতে চান নির্যাতিতার বাবা-মা

    RG Kar Incident: সিবিআইয়ে আস্থা, পড়ুয়াদের আন্দোলনে যোগ দিতে চান নির্যাতিতার বাবা-মা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করের ঘটনা নিয়ে দেশজুড়ে আন্দোলন চলছে। জুনিয়র ডাক্তাররা কাজে যোগ না দিয়ে লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। আর এই আন্দোলনকারীদের পাশে থাকার বার্তা দিলেন নিহত চিকিৎসকের বাবা-মা। সঙ্গে আরজি করে (RG Kar Incident) দালাল চক্র নিয়ে সরব হলেন। সিবিআইয়ের ওপর তাঁদের যে চরম আস্থা রয়েছে, সে কথাও তাঁরা প্রকাশ্যে জানান।

    আন্দোলনে যোগদান (RG Kar Incident)

    মেয়ের নৃশংস হত্যার পর কেটে গিয়েছে ১৪ দিন। সিবিআই তদন্তভার নেওয়ার পরও গ্রেফতার সেই একেতেই রয়ে গিয়েছে। সিবিআইয়ের কাছে নির্যাতিতার (RG Kar Incident) বাবা মায়ের আবেদন তারা আরও একটু তৎপর হোক তদন্তের ক্ষেত্রে। সেই সঙ্গে এদিন বাবা মা বলেন, ‘‘আন্দোলনরত ডাক্তারি পড়ুয়াদের পাশে আমরা আছি। প্রয়োজনে আন্দোলনে (Agitation) যোগও দেব। আমরা মেয়ের খুনের বিচার চাই। নিরপেক্ষভাবে যে আমাদের ডাকবে তাদের সঙ্গে আন্দোলনে যোগ দেব।’’

    আরও পড়ুন: নেপালের বাস দুর্ঘটনায় মৃত ৪১ ভারতীয়, শোকবার্তা রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর

    পুলিশ নয়, সিবিআইয়ে আস্থা, জানালেন নির্যাতিতার বাবা-মা

    এদিন ফের একবার রাজ্যের সরকার এবং পুলিশের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন তাঁরা। তাঁরা বলেন, ‘‘প্রশাসনের প্রথম থেকে যে গা ছাড়া মনোভাব ছিল সেটা সুপ্রিম কোর্ট তার পর্যবেক্ষণে ধরেছে। সারা দেশ এবং পৃথিবীও সেটা জেনে গিয়েছে। যে অকুস্থল থেকে মেয়ের দেহ পাওয়া গিয়েছিল সেই ঘটনাস্থল থেকে তথ্য প্রমাণ কিছুটা নষ্ট করা হয়েছিল। তা না হলে সিবিআইয়ের এতদিন সময় লাগত না। আর সে কারণেই হয়ত পলিগ্রাফ টেস্টের মতো সিবিআই এখন অন্যভাবে তথ্য-প্রমাণ জোগাড় করার চেষ্টা করছে। আসলে প্রথম থেকেই বিষয়টিকে গুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। কাউকে আড়াল করা হচ্ছে প্রথম থেকেই বুঝতে পারছিলাম। খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আড়াল করা হচ্ছে। এমন কেউ জড়িত যে, তাকে আড়াল করার প্রয়োজন পড়ছে সরকারের। ঘটনার পর থেকে পুলিশ ও হাসপাতাল (RG Kar Incident) কর্তৃপক্ষ মিলে যে চক্রান্ত করেছিল তা এখন প্রকাশ্যে এসে গিয়েছে। আমাদের বলা হয়েছিল যে, কলকাতা পুলিশ পৃথিবী বিখ্যাত। কীরকম বিখ্যাত সেটা আজও আমরা বুঝতে পারিনি। রাজ্য সরকার দ্বিচারিতা করছে। আর পুলিশের ওপর আস্থা উঠে গিয়েছিল বলেই আমরা ভালো এজেন্সি দিয়ে তদন্ত চেয়েছিলাম। আমরা চাই সিবিআই ভালো এজেন্সি হিসেবে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুক। আমরাও ধৈর্য্য হারাচ্ছি। ১৪ দিন হয়ে গেল এক সঞ্জয় রায় ছাড়া কোনও রেজাল্ট আমরা এখনও পাইনি। আমরা বলতে চাই সবাই আর একটু তৎপর হয়ে কাজ করুক।’’

    আরজি করে দালাল চক্র!

    নির্যাতিতার বাবা-মায়ের দাবি, ‘‘মেয়ের কাছেও শুনেছিলাম, বিভিন্ন জায়গা থেকে রোগী এসে ভর্তি হতে পারত না। দালালচক্র চলত। উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রেও দালালচক্র আছে। আমরা অনেক আগেই জেনেছি। অনেক বিষয় আছে, যা আলোচনা করা যাবে না। প্রশাসন এগুলো ভাল করে দেখুক। কোটি কোটি টাকার খেলা চলে। হাসপাতাল (RG Kar Incident) যারা পরিচালনা করে তারা জড়িত, প্রশাসন জড়িত। জুনিয়র ডাক্তারদের এ নিয়ে হতাশা আছে। কারণ প্রচুর পরিশ্রম করে তাঁদের সেই জায়গায় পৌঁছতে হয়। মেয়েকে নিয়ে কিছু অপপ্রচারও হচ্ছে। আমরা বলার পরে অনেকেই সমাজমাধ্যম থেকে পোস্ট সরিয়ে নিচ্ছে। প্রশাসনকে বলেছি, আমাদের মেয়েকে নিয়ে যেন ব্যবসা না হয়।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Muslims Attack Hindus: “বাংলাদেশ বানিয়ে দেব”! হিন্দুদের হুমকি মুসলমানদের, দ্রুত পদক্ষেপ যোগীর পুলিশের

    Muslims Attack Hindus: “বাংলাদেশ বানিয়ে দেব”! হিন্দুদের হুমকি মুসলমানদের, দ্রুত পদক্ষেপ যোগীর পুলিশের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাড়ির মেয়েকে অশ্লীল টেক্সট পাঠানোর প্রতিবাদ করায় উত্তরপ্রদেশে (Uttar Pradesh) এক হিন্দু তরুণীর বাড়িতে গিয়ে শ’চারেক মুসলমান (Muslims Attack Hindus) হুমকি দিচ্ছে, “বাংলাদেশ বানিয়ে দেব (বাংলাদেশ বানা দেঙ্গে)”। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই হুমকিই প্রমাণ করে ভারতে মুসলমানদের বাড়বাড়ন্ত।

    হিন্দু তরুণীকে অশ্লীল মেসেজ 

    ফেরা যাক খবরে। উত্তরপ্রদেশের বিজনোরে এক হিন্দু তরুণীকে ইনস্টাগ্রামে অশ্লীল বার্তা পাঠাচ্ছিল মুজাম্মেল নামে এক মুসলমান যুবক। প্রতিবাদ করেন ওই তরুণীর পরিবারের সদস্যরা। অভিযোগ, তার পরেই শ’চারেক মুসলমান হামলা চালায় ওই হিন্দু তরুণীর বাড়িতে (Muslims Attack Hindus)। তাঁদের হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ। এই সময়ই হেনস্থাকারীরা তরুণীর পরিবারকে হুমকি দেয়, বাংলাদেশ বানিয়ে দেওয়ার। প্রসঙ্গত, সংরক্ষণকে কেন্দ্র করে ব্যাপক অশান্তি শুরু হয় বাংলাদেশে। সেই আবহে হিন্দুদের ওপর নিদারুণ অত্যাচার করা হয়। জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় বহু হিন্দু মহিলাকে। অত্যাচার চালানো হয় বলে অভিযোগ।

    বাড়ি বিক্রির হিড়িক

    বিজনোরের এই ঘটনার পরে ওই মহল্লায় বাড়ি বিক্রির হিড়িক পড়ে গিয়েছে। প্রতিবাদস্বরূপ, হিন্দুরা জানিয়ে দেয়, তাঁরা ওই মহল্লা ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। বহু বাড়িতে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে ‘হাউস ফর সেল’ লেখা বোর্ড। তবে, দ্রুত পদক্ষেপ করে যোগীর পুলিশ (Muslims Attack Hindus)। উত্তেজনা যাতে না ছড়ায়, তাই এলাকায় ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। হিন্দুদের নিরাপত্তার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে মুজাম্মেলকে। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিজনোরের চাঁদপুরের সারাই রফি মহল্লার মহম্মদ মুজাম্মেল এলাকারই এক হিন্দু তরুণীকে অশ্লীল মেসেজ পাঠায়। ঘটনাটি ওই তরুণী তার পরিবারের সদস্যদের জানান। এর পর ওই তরুণীর এক আত্মীয় মুজাম্মেলকে ভয়েস মেসেজ পাঠায়। ওই তরুণের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করে মুসলমনরা। শুধু তা-ই নয়, এর পর তিন থেকে চারশো মুসলমান হামলা চালায় ওই তরুণীর বাড়িতে। হুমকি দেওয়া হয় বাংলাদেশ বানানোর।

    আরও পড়ুন: “ইউক্রেন-রাশিয়ায় শান্তির সূর্যোদয় দেখতে চাই”, জেলেনস্কিকে বললেন মোদি

    এ কোন সকাল!

    এই সময় প্রতিবাদ করেন স্থানীয় কয়েকজন হিন্দু। অভিযোগ, তাঁদের ওপরও হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। জখম হন কয়েকজন। এক মহিলাকেও বেধড়ক মারধর করে মুসলমানরা। ভয়ে বাড়ি-ঘরদোর বিক্রি করে মহল্লা ছেড়ে অন্য চলে যেতে চাইছেন সেখানকার হিন্দুরা (Muslims Attack Hindus)।

    উত্তরপ্রদেশের এই ঘটনা ভয়াবহ বলেই ওয়াকিবহাল মহলের অভিমত। তবে বাংলায় মাস কয়েক আগেই এমন হুমকি দিতে শোনা গিয়েছিল রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তৃণমূলের হুমায়ুন কবীরকে। তিনি বলেছিলেন, “আমি যদি দু’ঘণ্টার মধ্যে ভাগীরথীতে তোমাদের (হিন্দুদের!) ডুবিয়ে না দিই, রাজনীতি ছেড়ে দেব। শক্তিপুরে আপনাদের লোককে থাকতে দেব না। মনে রাখবেন, এখানে আপনারা ৩০ শতাংশ, আমরা ৭০ শতাংশ।”

    এ কোন সকাল!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

      

  • Janmashtami 2024: তালক্ষীর থেকে তালের বড়া, জন্মাষ্টমীতে গোপালকে দেওয়া হয় ৫৬ ভোগ! কেন জানেন?

    Janmashtami 2024: তালক্ষীর থেকে তালের বড়া, জন্মাষ্টমীতে গোপালকে দেওয়া হয় ৫৬ ভোগ! কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাখি বন্ধনের ঠিক ৮ দিন পরে সারা ভারতে কৃষ্ণ জন্মাষ্টমী উত্‍সব (Janmashtami 2024) পালন করা হয়। দক্ষিণ ভারতে পালন করা হয় গোকুলাষ্টমী। ভাদ্রপদ মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে দেশজুড়ে মহাধূমধাম করে জন্মাষ্টমী পালিত হয়। দেশের প্রতিটি কৃষ্ণ মন্দির সেজে ওঠে এই দিন। ঘরে ঘরে আরাধনা করা হয় যশোদা-কা নন্দলালার। “হরে-কৃষ্ণ নাম”-এ মেতে ওঠে নবদ্বীপ থেকে মায়াপুর, মথুরা-বৃন্দাবন। লুচি, মালপোয়া, মোহনভোগ, তালের বড়া, তাল ক্ষীর সাজিয়ে শ্রী কৃষ্ণের প্রার্থনায় মেতে ওঠেন আট থেকে আশি। গোপালকে নিবেদন করা হয় মাখন, মিছরি, ননী-ক্ষীর-সহ ছাপান্ন ভোগ (Shri Krishna Chapanna Bhog)।

    জন্মাষ্টমীতে কৃষ্ণের আরাধনা

    দ্বাপর যুগে মর্ত্যে আবির্ভাব ঘটে বিষ্ণুর অষ্টম (Janmashtami 2024) অবতার শ্রী কৃষ্ণের। সনাতন ধর্মে, পাপভার থেকে পৃথিবীকে মুক্তি দিতে ও সাধু-সন্ন্যাসীদের পরিত্রাণের জন্য মর্ত্যে আর্বিভূত হয়েছিলেন শ্রীকৃষ্ণ। ভাদ্রমাসের রোহিনী নক্ষত্র অবস্থিত অষ্টমী তিথিকে শ্রীকৃষ্ণের আর্বিভাব তিথি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাব তিথি জন্মাষ্টমী হিসেবে পরিচিত। এদিন ধুমধাম করে সারা দেশে কৃষ্ণ পুজো করা হয়ে থাকে। শ্রীকৃষ্ণের সঙ্গে রাধা, বলরাম ও সুভদ্রার পুজোও করা হয়। শ্রীকৃষ্ণের জন্ম হয়েছিল মথুরায়। তবে তিনি বেড়ে ওঠেন গোকুলে। সেজন্য মথুরা ও বৃন্দাবনে এই উত্‍সব সবচেয়ে বড় করে হয়।

    কেন ছাপান্ন ভোগ

    জন্মাষ্টমী উপলক্ষে গোপালকে ৫৬ ভোগ (Shri Krishna Chapanna Bhog) দেওয়া হয়। জন্মাষ্টমীতে (Janmashtami 2024) গোপালকে ৫৬ ভোগ অর্পণ করে তাঁর প্রসাদ গ্রহণ করা অত্যন্ত শুভ মনে করা হয়। ৫৬ ভোগে ভগবান কৃষ্ণ প্রসন্ন হন ও ভক্তদের সমস্ত মনস্কামনা পূর্ণ করেন, এমনটাই বিশ্বাস ভক্তদের। ৫৬ রকমের ভোগ অর্পণ করা হয় গোপালকে। ভাত, ডাল, লুচি থেকে তালের বড়া, ক্ষীর, মালপোয়া, লস্যি কী থাকে না! আর মাখন, মিছরি ছাড়া তো গোপালের ভোগই অসম্পূর্ণ।

    পৌরাণিক কাহিনি

    জন্মাষ্টমীর (Janmashtami 2024) দিন বালগোপালকে ৫৬ রকম পদ সাজিয়ে পরিবেশন করা হয়। হিন্দুশাস্ত্র মতে, দেব-দেবীদের পুজোর সময় সাধারণ বিজোড় সংখ্যায় নৈবেদ্য সাজানো হয়ে থাকে। কিন্তু কৃষ্ণকে দেওয়া ৫৬ ভোগ (Shri Krishna Chapanna Bhog)। পৌরাণিক কাহিনি মতে, বৃন্দাবনবাসীরা ইন্দ্রকে নানারূপে মহার্ঘ ভোগ নিবেদন করে সন্তুষ্ট রাখতেন। হিন্দুশাস্ত্র মতে, ইন্দ্র হলেন বৃষ্টি ও ব্রজের দেবতা। তাঁর আশীর্বাদেই সঠিক সময়ে পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত বর্ষণ হয়। তাই চাষীরা ইন্দ্রদেবকে তুষ্ট করতে দামি ও প্রচুর ভোগ রান্না করে নিবেদন করতেন। কিন্তু, গরিব চাষীদের পক্ষে দামি ভোগ নিবেদন করা দুঃসাধ্য হয়ে ওঠে। চাষীদের কষ্ট দূর করতে এগিয়ে আসেন শ্রীকৃষ্ণ। এভাবে ভোগ নিবেদন না করে ইন্দ্রকে নিজের ভোগ অবস্থা বুঝে নিবেদন করার পরামর্শ গরিব চাষীদের দেন কৃষ্ণ। তাঁর কথা শুনে চাষীরা সেই কাজই করেন। এদিকে, ভোগের সামগ্রীতে ঘাটতি দেখে ইন্দ্র অত্যন্ত রেগে যান। তাঁর ক্রোধে প্রচণ্ড বৃষ্টি ও বজ্রপাত হতে থাকে। ক্রোধের কারণে বৃন্দাবনে হতে থাকে মেঘভাঙা বৃষ্টি। তারপর থেকেই মানুষের জীবন হয়ে ওঠে বিপন্ন। বিপদে পড়ে শ্রীকৃষ্ণের দ্বারস্থ হয় সকলে। বন্যা পরিস্থিতি থেকে বাঁচতে গ্রামবাসীরা গোবর্ধন পর্বতের দিকে চলে যায়। সেখানে গিয়ে সকলেই দেখেন, শ্রীকৃষ্ণ পর্বতকে নিজের কড়ে আঙুল তুলে রেখে দিয়েছেন। সেই পর্বতের তলায় আশ্রয় নেন সকল গ্রামবাসীরা। টানা সাতদিন ধরে বৃষ্টিপাত হলে বন্যা পরিস্থিতি আরও জোরালো হয়ে ওঠে। সাতদিন টানা কৃষ্ণঠাকুর কড়ে আঙুলে পর্বতকে ধরে থাকেন। সাতদিন ধরে একচুলও নড়েননি তিনি। এমনকী, এককণা খাবারও মুখে তোলেননি। এরপর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় মাতা যশোদা এবং ব্রজবাসীরা মিলে সাত দিন ও অষ্টপ্রহর হিসেবে ৫৬ ধরনের খাবার প্রস্তুত (Shri Krishna Chapanna Bhog) করে কৃষ্ণের কাছে পরিবেশন করেন। তারপর থেকে প্রত্যেক জন্মাষ্টমীতে (Janmashtami 2024) তাঁর জন্য ছাপ্পান্ন ধরনের ভোগ প্রস্তুত করা হয়। কথিত আছে, শ্রীকৃষ্ণকে প্রসন্ন করতে এই ছাপ্পান্ন ভোগ নিবেদন করলে ভক্তদের মনোবাসনা পূর্ণ হয়ে থাকে।

    আরও পড়ুন: তালের বড়া, ক্ষীর কিংবা পিঠে! জন্মাষ্টমীর ভোগে এমন নানা পদের ছড়াছড়ি

    ৫৬ ভোগে কী কী থাকে? (Shri Krishna Chapanna Bhog)

    ভাত (ভক্ত), ডাল (সুপ), চাটনি (প্রলেহ), কঢ়ী (সদিকা), দই-সব্জির কঢ়ী (দধিশাকজা), সিখরন (সিখরিণী), শরবৎ (অবলেহ), বাটী (বালকা), মোরব্বা (ইক্ষু খেরিণী), শর্করা যুক্ত (ত্রিকোণ), বড়া (বটক), মঠরী (মধু শীর্ষক), ফেনি (ফেণিকা), পুরী বা লুচি (পরিষ্টশ্চ), খজলা (শতপত্র), ঘেওয়ার (সধিদ্রক), মালপুয়া (চক্রাম), চোলা (চিল্ডিকা), জিলিপি (সুধাকুন্ডলিকা), মেসু (ধৃতপূর), রসগোল্লা (বায়ুপূর), চন্দ্রকলা (পগী হুই), মহারায়তা (দই), থুলি (স্থূলী), লবঙ্গপুরী (কর্পূরনাড়ী), খুরমা (খণ্ড মণ্ডল), ডালিয়া (গোধূম), পরিখা, সুফলঢয়া (মৌরী যুক্ত), বিলসারু (দধিরূপ), লাড্ডু (মোদক), শাক, অধানৌ আচার (সৌধান), মোঠ (মণ্ডকা), পায়েস (ক্ষীর), দই, গাওয়া ঘি, মাখন (হৈয়ঙ্গপীনম), মালাই (মন্ডূরী), রাবড়ি (কূপিকা), পাপড় (পর্পট), সীরা (শক্তিকা), লস্যি (লসিকা), সুবত, মোহন (সংঘায়), সুপারি (সুফলা), এলাচ (সিতা), ফল, তাম্বুল, মোহন ভোগ, লবণ, কষায়, মধুর, তিক্ত, কটূ, অম্ল।

    কীভাবে প্রস্তুত করবেন ছাপান্ন ভোগ

    জন্মাষ্টমীর (Janmashtami 2024) ভোরে উঠেই এই ভোগ রান্না তৈরি করা শুরু করে দেওয়া উচিত। শুদ্ধাচারে হলুদ বস্ত্র পরে এই ভোগ রান্না করা ভাল। অনেকে এই সময় মুখে কাপড় বেঁধে এই রান্না করেন।  ছাপান্ন ভোগে শস্য, ফল, শুকনো ফল, মিষ্টি, পানীয়, নোনতা, আচার প্রভৃতিও নিবেদন করা হয়। নিয়ম অনুসারে ৫৬ ভোগে (Shri Krishna Chapanna Bhog) থাকে ১৬ ধরনের জলখাবার, ২০টি মিষ্টি এবং ২০ ধরনের শুকনো ফল। যার মধ্যে দুধের তৈরি খাবার সবার আগে পরিবেশন করতে হয়। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Incident: আরজি করের করিডরে দাঁড়িয়ে সঞ্জয়! সেই অভিশপ্ত ভোরের সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে

    RG Kar Incident: আরজি করের করিডরে দাঁড়িয়ে সঞ্জয়! সেই অভিশপ্ত ভোরের সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর (RG Kar Incident) নিয়ে দেশজুড়ে তোলপাড় চলছে। বিচার চেয়ে লাগাতার আন্দোলন করছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এই আবহের মধ্যে ৯ অগাস্ট আরজি করের অভিশপ্ত ভোরের সিসিটিভি ফুটেজ (CCTV Footage) প্রকাশ্যে এসেছে। সেই ফুটেজ নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    সিসি ফুটেজে কী দেখা যাচ্ছে?

    প্রকাশ্যে আসা সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, ভোর ৪টে ৩ মিনিট নাগাদ অভিযুক্ত সঞ্জয়কে চারতলার সিঁড়ি দিয়ে আসতে এবং যেতে দেখা গিয়েছে। তার গায়ে টিশার্ট এবং জিন্স রয়েছে। হাতে ঝুলছে হেলমেট। তার মানে বাইকে চেপে এসেছিল মূর্তিমান। গলায় হেডফোন। নির্লিপ্ত মুখে আরজি কর হাসপাতালের (RG Kar Incident) করিডরে প্রবেশ করছে সিভিক ভলান্টিয়ার। তবে, কি কলকাতা পুলিশ লেখা সেই বাইক? পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্যাতিতার দেহের কাছ থেকে উদ্ধার করে সংগ্রহ করা হয়েছিল হেডফোনের ছেঁড়া অংশ। সেই সূত্র ধরে কলকাতা পুলিশের ফোর্থ ব্যাটেলিয়নের ব্যারাক থেকে সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তদন্তকারীরা মনে করছেন, ফুটেজে ধৃতের গলায় যে হেডফোন ঝুলছে, তারই ছেঁড়া অংশ মিলেছিল ঘটনাস্থলে। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, সিসিটিভি ফুটেজ (CCTV Footage) পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে ৮ অগাস্ট রাতে একাধিক বার সঞ্জয় হাসপাতালে ঢুকেছিল এবং বেরিয়েছিল। তার মধ্যে রাত ৮টা নাগাদ সে চেতলার এক যৌনপল্লিতে গিয়েছিল। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অতীতেও মহিলাদের সঙ্গে অভব্য ব্যবহার করার ‘রেকর্ড’ রয়েছে ওই সিভিক ভলান্টিয়ারের।

    আরও পড়ুন: নেপালের বাস দুর্ঘটনায় মৃত ৪১ ভারতীয়, শোকবার্তা রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর

    ফাঁসি দিলে দিন (RG Kar Incident)

    তদন্তকারীদের দাবি, এতবড় ঘটনার হওয়ার পরও সঞ্জয়ের মধ্যে অনুশোচনার লেশমাত্র ছিল না। এমনকী অভিযুক্ত একেবারে ভাবলেশহীন। রীতিমতো সে বলে দিচ্ছে, ফাঁসি দিলে দিন। এদিকে অভিযুক্তের পেশার বিষয়টি কার্যত এড়িয়ে গিয়েছিলেন পুলিশের শীর্ষ কর্তারা। তবে, সূত্রের খবর, ওই যুবক কলকাতা পুলিশের আওতাধীন সিভিক ভলান্টিয়ারের কাজ করত। আরজিকরে তার অবাধ যাতায়াত। যখন খুশি বের হত, যখন খুশি ঢুকত। কিন্তু অত রাতে আরজি করের (RG Kar Incident) সেমিনার হলে ঢুকে পড়ল, কেউ কিছু বলল না? তবে কি আরজি কর চালাচ্ছে এরাই? প্রশ্ন সাধারণ মানুষের। শুক্রবার ভোরে আরজিকরে ঢুকেছিল ওই অভিযুক্ত। সে ভেতরে ৩০-৩৫ মিনিট ছিল। পরে বেরিয়ে আসে।

    বিভ্রান্ত করছে ধৃত সিভিক

    হেফাজতে থাকাকালীন বার বার বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। সিবিআই (CBI) সূত্রে খবর, আরজি কর হাসপাতালে (RG Kar Incident) প্রবেশের কারণ, সময় নিয়ে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছে ধৃত। সেমিনার হলের প্রবেশের কারণ নিয়েও বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়েছে সে। যদিও সিবিআইয়ের হাতে ঘটনার রাতের সিসিটিভি ফুটেজ (CCTV Footage) রয়েছে। তাতে অভিযুক্তকে চারতলায় আসতে এবং যেতে দেখা গিয়েছে। মনে করা হচ্ছে, বিভ্রান্তি কাটিয়ে সঠিক তথ্য উদ্ধার করতেই পলিগ্রাফ করতে চাইছেন তদন্তকারীরা। এদিকে ধৃতের সম্পর্কে তার প্রতিবেশীদের দাবি, সঞ্জয় এলাকায় সে নিজেকে কলকাতা পুলিশের কর্মচারী বলত। এও বলত যে, ও সব কিছু করতে পারে। মহিলাদের ওপর অত্যাচার করাটা তার কাছে কোনও ব্যাপার নয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Rape-Murder: সুপ্রিম-শুনানিতে আরজি করকাণ্ডে উঠে এল এক মহিলার নাম! কে তিনি?

    RG Kar Rape-Murder: সুপ্রিম-শুনানিতে আরজি করকাণ্ডে উঠে এল এক মহিলার নাম! কে তিনি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ডে (RG Kar Rape-Murder) একাধিক প্রশ্নের উত্তর এখনও অধরা। মহিলা চিকিৎসকের মৃত্যুর আসল কারণ ধামাচাপা দেওয়া হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) থেকে হাইকোর্টে একাধিক প্রশ্নে রাজ্য সরকার কাঠগড়ায়। হাসপাতালের অধ্যক্ষ এবং পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকাও বিচারকেদের ক্ষোভের মুখে পড়েছে। ঠিক এর মধ্যেই শীর্ষ আদালতের শুনানিতেই উঠে এসেছে এক মহিলার নাম। কে এই মহিলা?

    বিচারপতির ঠিক প্রশ্ন কী ছিল (RG Kar Rape-Murder)?

    সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) শুনানি চলাকালীন আইনজীবী কপিল সিব্বলকে বিচারপতি পার্দিওয়ালা প্রশ্ন করেন, “কে এই অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার (RG Kar Rape-Murder)? তিনি মহিলা না পুরুষ?” জবাবে আইনজীবী বলেন, “তিনি একজন মহিলা।” আবার বিচারপতি বলেন, “তাঁর আচরণ অত্যন্ত সন্দেহজনক। তিনি কেন এরকম আচরণ করলেন? সন্দেহ শুধু একটা বিষয়ে নয়, ময়নাতদন্ত হওয়ার পর কেন ইউডি কেস বা অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলা রুজু করা হল? অস্বাভাবিক মৃত্যু না হলে ময়নাতদন্ত করলেন কেন?” উল্লেখ্য যাঁর সম্পর্কে সুপ্রিম কোর্ট একথা বলেছে, তাঁর পক্ষে থেকে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া আসেনি। কোন আচরণ ছিল তাও স্পষ্ট হয়নি। যদিও সিবিআইয়ের স্টেটাস রিপোর্ট দেখে বিচারপতি ওই প্রশ্ন করেছিলেন।

    আত্মহত্যার তত্ত্ব দেওয়া হয়েছিল

    মহিলা চিকিৎসকের মৃত্যু (RG Kar Rape-Murder) নিয়ে প্রথমে যে আত্মহত্যার তত্ত্ব দিয়েছিলেন তিনি আর কেউ নন এই আরজি করের এক অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার। ৯ অগাস্ট তিনি নির্যাতিতার বাড়িতে প্রথমে ফোন করে বলেছিলেন যে, তাঁদের মেয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন। এই সংবাদ শুনে মৃতার মা-বাবা হাসপাতলে ছুটে যান। ফলে প্রশ্ন উঠছে ধর্ষণ করে হত্যার ঘটনাকে কীভাবে বললেন আত্মহত্যা! একই কথা সুপ্রিম কোর্টে শুনানির দিনেও উঠেছিল। তবে অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারের নাম জানা যায়নি, শুধু পদ জানা গিয়েছেন এবং তিনি একজন মহিলা। মৃতার বাবা জানিয়েছেন, আরজি কর থেকে প্রথম ফোন ওই অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারই করেছিলেন। যদিও হাসপাতালে ৪-৫ জন রয়েছেন এই পদে। ফলে কে ফোন করেছিলেন সেই নাম এখনও সমানে আসেনি।

    আরও পড়ুনঃ প্রতিবেশী পার্থ-বালু, প্রেসিডেন্সি জেলের ‘পহেলা বাইশ’ সেলে ধৃত সঞ্জয়

    এফআইআর দেরিতে কেন?

    রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বলের পেশ করা নথি অনুযায়ী জানা গিয়েছে, একটি মুখবন্ধ খামে এমএসভিপি সঞ্জয় বশিষ্ঠ টালা থানাকে চিঠি লিখে জানিয়েছিলেন, সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে বিভাগীয় চিকিৎসক সুমিত রায় তপাদারকে চেস্ট মেডিসিন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের পিজিটির দেহ (RG Kar Rape-Murder) উদ্ধারের কথা তিনি জানিয়েছিলেন। প্রশ্ন হল সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে ঘটনার কথা জানার পর দুপুর ২টো ৪৫ মিনিটে এফআইআর করার জন্য কেন আবেদন করা হল? এখানেই বড় প্রশ্ন। আবার ময়নাতদন্ত হয় সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিট থেকে ৭টা ১০ মিনিটের মধ্যে। রিপোর্ট অফিসিয়ালি আপলোড করা হয় রাত ১০টা ২৫ মিনিটে। আর এফআইআর হয় রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে। ফলে এতো সময় কেন বিলম্ব হল, এটাও একটা বড় প্রশ্ন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “ইউক্রেন-রাশিয়ায় শান্তির সূর্যোদয় দেখতে চাই”, জেলেনস্কিকে বললেন মোদি

    PM Modi: “ইউক্রেন-রাশিয়ায় শান্তির সূর্যোদয় দেখতে চাই”, জেলেনস্কিকে বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যে বার্তা মাসখানেক আগে তিনি দিয়েছিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্টকে, সেই একই মন্ত্র তিনি দিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকেও। ভলোদিমির জেলেনস্কিকে (Volodymyr Zelenskyy) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) বললেন, “যুদ্ধ করে কোনও সমস্যার সমাধান হয় না।”

    শান্তির ললিত বাণী (PM Modi)

    পোল্যান্ড সফর সেরে মোদি গিয়েছেন যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইউক্রেনে। সেখানে তিনি সাক্ষাৎ করেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে। সেখানেই বুদ্ধের দেশের প্রতিনিধি আরও একবার বিশ্বকে শোনালেন শান্তির ললিত বাণী। বললেন, “যুদ্ধ করে কোনও সমস্যার সমাধান হয় না। সমাধান পেতে হবে মুখোমুখি কথাবার্তা ও কূটনীতির মাধ্যমে। যুদ্ধ করে সময় নষ্ট না করে আমাদের তাই উচিত সেই পথে হাঁটা।” শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী যখন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে একথা বলছেন, তখন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি। তবে মাসখানেক আগে রাশিয়া সফরে গিয়েও মোদি পুতিনের কানে দিয়েছিলেন এই ‘শান্তি-মন্ত্র’।

    ‘যুদ্ধক্ষেত্রে এখন সমাধান মেলে না’

    তার পরেও বন্ধ হয়নি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। মস্কো (রাশিয়ার রাজধানী)-কিয়েভের (ইউক্রেনের রাজধানী) এহেন যুদ্ধের আবহেই প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা বরাবর যুদ্ধ থেকে দূরে থেকেছি। কিন্তু তার মানে আমরা নিরপেক্ষ নই। আমরা শান্তির পক্ষে। আমরা বুদ্ধ এবং মহাত্মা গান্ধীর দেশের মানুষ। আমি এখানে শান্তির বার্তা নিয়েই এসেছি।” তিনি বলেন, “আমি পুতিনের মুখের ওপর বলেছিলাম, এটা যুদ্ধের সময় নয়। যুদ্ধক্ষেত্রে এখন সমাধান পাওয়া সম্ভব নয়।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমি আপনাকে আশ্বস্ত করে বলছি, শান্তি স্থাপনের জন্য সক্রিয় ভূমিকা নিতে ভারত প্রস্তুত। আমি যদি এখানে ব্যক্তিগতভাবে কোনও ভূমিকা নিতে পারি, তা-ও করব। আমি বন্ধু হিসেবে আপনাকে সে বিষয়ে আশ্বস্ত করতে চাই। ইউক্রেন-রাশিয়ায় শান্তির সূর্যোদয় দেখতে চাই।”

    আরও পড়ুন: ‘‘ভারতীয় সংস্কৃতির অঙ্গ’’, পুতিন ও জেলেনস্কিকে মোদির আলিঙ্গন নিয়ে কৌশলী জয়শঙ্কর

    কিছুদিন আগেই ইউক্রেনের একটি শিশু হাসপাতালে রাশিয়ার হানায় মৃত শিশুদের আত্মার শান্তি কামনা করেন মোদি (PM Modi)। পরে বলেন, “যুদ্ধের বলি হয়েছে নিষ্পাপ শিশুরা, এটা হৃদয়বিদারক। মানবিকতায় বিশ্বাসী কোনও ব্যক্তি এই ধরনের ঘটনা মেনে নিতে পারেন না।”

    পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাতের পর মোদির সমালোচনা করেছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। এদিন ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ঘণ্টা তিনেক বৈঠক শেষে সেই তিনিই খুশি। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লিখেছেন, “একটি ইতিহাস তৈরি হল। ইউক্রেনের স্বাধীনতার পর এই প্রথম এ দেশে পা রাখলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। ইউক্রেনের (Volodymyr Zelenskyy) জাতীয় সার্বভৌমত্বকে সমর্থন করে ভারত (PM Modi)। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Barasat: ‘‘বারাসত মেডিক্যালকে আরজি কর হতে দেব না’’, অধ্যক্ষকে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান পড়ুয়াদের

    Barasat: ‘‘বারাসত মেডিক্যালকে আরজি কর হতে দেব না’’, অধ্যক্ষকে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান পড়ুয়াদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মালদা মেডিক্যালের আন্দোলনের ঢেউ আছড়ে পড়ল এবার বারাসত (Barasat) মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। আরজি করের সদ্য প্রাক্তন অধ্যক্ষ সুহৃতা পালকে বারাসত মেডিক্যালে বদলি করা হয়েছে। বারাসতে অধ্যক্ষ হিসেবে কাজে যোগ দিতেই তাঁর পদত্যাগ দাবি করে আন্দোলন শুরু করলেন চিকিৎসক পড়ুয়ারা। আরজি করে শীর্ষ পদাধিকারীদের যে সব মেডিক্যালে বদলি করা হচ্ছে, সেখানেই আন্দোলন হচ্ছে। ফলে, চরম বিড়ম্বনায় রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর।

    বারাসতকে আরজি কর হতে দেব না (Barasat)

    বুধবার রাতের দিকে রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম জানিয়েছিলেন, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের অধ্যক্ষের পাশাপাশি নবনিযুক্ত সুপার-কাম-ভাইস প্রিন্সিপাল (এমএসভিপি), চেস্ট মেডিসিন বিভাগের প্রধান এবং অ্যাসিসট্যান্ট সুপারকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বারাসত (Barasat) মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে বুধবারই সুহৃতা পালের নাম ঘোষণা করা হয়। বিষয়টি জানার পরই তুমুল বিক্ষোভে ফেটে পড়েন পড়ুয়ারা। ফলে, বৃহস্পতিবার তিনি কাজে যোগ দেননি। শুক্রবার সকালের দিকে বারাসত মেডিক্যাল কলেজে এসে অধ্যক্ষ হিসেবে নিজের দায়িত্ব বুঝে নেন তিনি। কিন্তু, বিকেল গড়াতেই তাঁর অপসারণ চেয়ে একদল পড়ুয়া প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে জড়ো হয়ে যান হাসপাতালের গেটের সামনে। আওয়াজ তোলেন, ‘‘বারাসত মেডিক্যাল কলেজকে আরজি কর হতে দেব না। সুহৃতা পাল গো-ব্যাক। বারাসত ছেড়ে চলে যাক।’’ যদিও এনিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়াই দিতে চাননি অধ্যক্ষ সুহৃতা পাল।

    এর আগে, আরজি করের এক অধ্যাপক চিকিৎসককে মালদা মেডিক্যালে বদলি করা হয়। আর ওই চিকিৎসক যাতে কাজে যোগ দিতে না পারে, তার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে সেখানকার পড়ুয়ারা। সন্দীপ ঘোষকে নিয়েও এক পন্থা অবলম্বন করেছিলেন ডাক্তারি পড়ুয়ারা। রাতারাতি ‘পুরস্কার বদলি’ করে ন্যাশনাল মেডিক্যালে পাঠানো হয়েছিল আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষকে। এর পরই, ন্যাশনাল মেডিক্যালে তুমুল বিক্ষোভ শুরু হয়। চিকিৎসক-পড়ুয়ারা জানিয়ে দিয়েছিলেন, সন্দীপকে তাঁরা সেখানে ঢুকতে দেবেন না। এমনকী, অধ্যক্ষের ঘরে তালাও লাগিয়ে দিয়েছিলেন পড়ুয়ারা। তাঁদের দাবি ছিল, ন্যাশনাল মেডিক্যালের পরিবেশ দূষিত হোক, তাঁরা চান না। মালদা মেডিক্যালে দেখা যায় একই চিত্র। এরার বারাসত মেডিক্যালও সেই ছবি।

    আরও পড়ুন: নেপালের বাস দুর্ঘটনায় মৃত ৪১ ভারতীয়, শোকবার্তা রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর

    আন্দোলনকারীরা কী বললেন?

    প্রসঙ্গত, আরজি কর কাণ্ডে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন চলাকালীন মধ্যরাতে বহিরাগত দুষ্কৃতীরা ঢুকে তাণ্ডব চালায় সেখানে। হামলায় রীতিমতো তছনছ হয়ে যায় আরজি কর হাসপাতালের বেশ কয়েকটি ঘর। সেই সময় আরজি করের অধ্যক্ষ হিসেবে সবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন সুহৃতা পাল। সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুরের পরও সেদিন একবারের জন্যও হাসপাতালে দেখা যায়নি তাঁকে। তাঁর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। শুরু হয় তাঁর অপসারণ চেয়ে আন্দোলন। আন্দোলনের জেরে তাঁকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। বারাসত (Barasat) মেডিক্যালের আন্দোলনকারীরা বলেন, ‘‘আমরা ওই অধ্যক্ষকে চাই না। আর জি করে এতবড় কাণ্ড হল। তাঁকে দেখা যায়নি। এরকম অধ্যক্ষ আসলে এখানকার পরিবেশ নষ্ট হবে। আমরা তা হতে দেব না।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Shikhar Dhawan: আবেগঘন বার্তা দিয়ে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে অবসর শিখর ধাওয়ানের

    Shikhar Dhawan: আবেগঘন বার্তা দিয়ে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে অবসর শিখর ধাওয়ানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আন্তর্জাতিক এবং ঘরোয়া সব ধরনের ক্রিকেট থেকে অবসরের নিলেন ভারতীয় ওপেনার শিখর ধাওয়ান (Shikhar Dhawan)। শনিবার, সোশ্যাল মিডিয়ায় এক আবেগঘন ভিডিও পোস্ট করে ক্রিকেটকে বিদায় জানান ধাওয়ান। এদিন ধাওয়ান লিখেছেন, ‘‘আমার ক্রিকেট-যাত্রা শেষ হল। সঙ্গে থেকে গেল অসংখ্য স্মৃতি এবং কৃতজ্ঞতা। যে ভালোবাসা এবং সমর্থন পেয়েছি, তার জন্য ধন্যবাদ। জয় হিন্দ।’’

    ভিডিও বার্তা শিখরের

    ২০২২ সালের ডিসেম্বরে একদিনের ফর্ম্যাটে ভারতের হয়ে শিখর ধাওয়ান (Shikhar Dhawan) তার শেষ ম্যাচ খেলেছিলেন। তারপর থেকে তিনি ক্রমাগত দলের বাইরে ছিলেন। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সেই এক দিনের সিরিজের পরেই ভারতীয় দলে শুভমন গিল তাঁর জায়গা নেন। ভিডিও বার্তায় ধাওয়ান বলেন, “আমার একটাই লক্ষ্য ছিল, দেশের হয়ে খেলা। সেই লক্ষ্য পূরণ হয়েছে। অনেককে ধন্যবাদ। প্রথমত আমার পরিবার, আমার ছোটবেলার কোচ তারক সিং এবং মদন শর্মা। এঁদের প্রশিক্ষণেই আমি ক্রিকেট শিখেছি। তার পর ধন্যবাদ দেব আমার গোটা দলকে, যাদের সঙ্গে আমি খেলেছি, আর একটা পরিবার পেয়েছি। সবার ভালবাসা আর সমর্থন পেয়েছি। গল্পের বই পড়তে পড়তে যে রকম পাতা ওল্টাতে হয়, আমিও সেটাই করছি। আন্তর্জাতিক এবং ঘরোয়া ক্রিকেট থেকে অবসর নিচ্ছি।”  

    সমর্থকদের ধন্যবাদ

    ভারতের হয়ে ৩৪টি টেস্ট, ১৬৭টি ওডিআই এবং ৬৮টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন শিখর (Shikhar Dhawan)। টেস্টে সাতটি শতরান আছে তাঁর। করেছেন ২৩১৫ রান। এক দিনের ক্রিকেটে ৬৭৯৩ রান করা ধাওয়ান করেছেন ১৭টি শতরান। রোহিত শর্মার সঙ্গে তাঁর জুটি ভারতকে বহু ম্যাচ জিতিয়েছে। বিশেষ করে আইসিসি প্রতিযোগিতায় রোহিত এবং ধাওয়ানের সাফল্য ছিল নজরকাড়া। দেশের জার্সিতে টি-টোয়েন্টিতে ১৭৫৯ রান করেছেন ধাওয়ান। বেশ কিছু এক দিনের ম্যাচে ভারতকে নেতৃত্বও দিয়েছেন তিনি। ক্রিকেট মাঠের গব্বর নামে পরিচিত শিখর বলেন, “দেশের হয়ে খেলতে পেরে আমি ধন্য। বিসিসিআই, ডিডিসিএ আমাকে সেই সুযোগ করে দিয়েছিল। সেই সঙ্গে পেয়েছি সমর্থকদের ভালবাসা। নিজেকে বলতে চাই, দেশের হয়ে খেলতে পারবে না বলে দুঃখ পাওয়ার দরকার নেই, বরং এটা ভেবে আনন্দ পাওয়া উচিত যে আমি দেশের হয়ে খেলতে পেরেছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • S Jaishankar: ‘‘ভারতীয় সংস্কৃতির অঙ্গ’’, পুতিন ও জেলেনস্কিকে মোদির আলিঙ্গন নিয়ে কৌশলী জয়শঙ্কর

    S Jaishankar: ‘‘ভারতীয় সংস্কৃতির অঙ্গ’’, পুতিন ও জেলেনস্কিকে মোদির আলিঙ্গন নিয়ে কৌশলী জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়ায় গিয়ে ‘বন্ধু’ পুতিনকে আলিঙ্গন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এ ছবি মেনে নিতে পারেনি পশ্চিমি দুনিয়া। এবার ইউক্রেন সফরে গিয়ে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিকেও আলিঙ্গন করলেন মোদি। তাঁর কাঁধে ‘ভরসার’ হাত রেখে ঘুরলেন কিয়েভের নানা প্রান্ত। যাঁরা মোদির রাশিয়া সফর নিয়ে সরব ছিলেন, এখন তাঁরা চুপ। এই আবহেই বিশ্বকে কৌশলী বার্তা দিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। আলিঙ্গনকে ভারতীয় সংস্কৃতির অঙ্গ বলে ব্যাখ্যা করলেন বিদেশমন্ত্রী। ভারতের সংস্কৃতি শেখায় সকলকে ভালবেসে কাছে টেনে নেওয়ার মন্ত্র, অভিমত জয়শঙ্করের। 

    কী বললেন জয়শঙ্কর

    রুশ সফরে পুতিনের সঙ্গে মোদির আলিঙ্গন নিয়ে জয়শঙ্কর (S Jaishankar) মনে করিয়ে দেন ভারতের সাংস্কৃতিক প্রথার কথা। এদিন বিবিসির এক সাংবাদিকের করা প্রশ্নের জবাবে জয়শঙ্কর বলেন, ‘‘আমাদের এদিকে মানুষের সঙ্গে মানুষের দেখা হলে একে অপরকে আলিঙ্গন করা হয়। এটা আপনার সংস্কৃতির অংশ নাও হতে পারে, এটা আমাদের সংস্কৃতির অংশ।’’ উল্লেখ্য, গত মাসে ৮ থেকে ৯ জুলাই রাশিয়া গিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনকে মোদি আলিঙ্গন করায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। জেলেনস্কি লেখেন, ‘বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের নেতাকে এমন একটি দিনে মস্কোতে বিশ্বের সবচেয়ে রক্তাক্ত অপরাধীকে আলিঙ্গন করতে দেখা, এটি একটি বিশাল হতাশা এবং শান্তি প্রচেষ্টার জন্য একটি বিধ্বংসী আঘাত।’

    ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানিয়েছেন, ১৯৯২ সালের পর ভারতের কোনও প্রধানমন্ত্রীর ইউক্রেন সফর যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করতেই সেদেশে গিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভারত সফরে আসবনে বলেও আশাপ্রকাশ করেছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। যৌথ সাংবাদিক বৈঠক করে জেলেনস্কি জানিয়েছেন, ভারত সফর করতে পারলে তিনি আনন্দিত বোধ করবেন। ভারতের মত শক্তিশালী দেশের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে পারলে ইউক্রেন লাভবান হবে বলেও জানান জেলেনস্কি।

    আরও পড়ুন: জেলেনস্কির কাঁধে হাত রাখলেন, বুকে জড়িয়ে ধরলেন মোদি, দেখল গোটা বিশ্ব

    মোদি ম্যাজিকে মুগ্ধ ইউক্রেন

    মোদি (PM Modi) ম্যাজিকে মুগ্ধ ইউক্রেন। যেভাবে শান্তির বার্তা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবার ইউক্রেন সফর করলেন তা দেখে কার্যত অবাক গোটা বিশ্ব। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিকে ভারতে আসার আমন্ত্রণ জানান মোদি। যৌথ সাংবাদিক বৈঠক করে জেলেনস্কি জানিয়েছেন, ভারত সফর করতে পারলে তিনি আনন্দিত বোধ করবেন। ভারতের মত শক্তিশালী দেশের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে পারলে ইউক্রেন লাভবান হবে বলেও জানান জেলেনেস্কি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nepal Bus Accident: নেপালের বাস দুর্ঘটনায় মৃত ৪১ ভারতীয়, শোকবার্তা রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর

    Nepal Bus Accident: নেপালের বাস দুর্ঘটনায় মৃত ৪১ ভারতীয়, শোকবার্তা রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নেপালের বাস দুর্ঘটনায় (Nepal Bus Accident) মৃতের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। বাসটিতে ৪৩ জন যাত্রীর মধ্যে ইতিমধ্যেই ৪১ জন মৃত বলে জানা গিয়েছে। মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী গিরিশ মহাজন শুক্রবার রাতে এই কথা জানান। তিনি জানিয়েছেন, ওই বাসে অধিকাংশ যাত্রীই ছিলেন মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা। তাঁদের দেহ দেশে ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। মহারাষ্ট্র সরকার এ বিষয়ে দিল্লির (Indian Embassy) সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। ভারতীয় বায়ুসেনা দেহগুলি কপ্টারে উড়িয়ে আনবে। বাসটি উত্তরপ্রদেশ থেকে নেপালে গিয়েছিল। 

    প্রধানমন্ত্রীর শোকবার্তা

    নেপালে বাস দুর্ঘটনায় (Nepal Bus Accident)  শোকপ্রকাশ করে দুর্ঘটনাগ্রস্ত পরিবারগুলির পাশে থাকার কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শুক্রবার বেলায় পোখরা  থেকে কাঠমান্ডুর দিকে যাচ্ছিল বাসটি। তনহুঁ জেলার মারশিয়াংড়ি নদীতে আচমকা বাস উল্টে যায়। খরস্রোতা নদীতে বাসটিকে পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। দ্রুত শুরু হয় উদ্ধারকাজ। কিন্তু যাত্রীদের অনেককেই বাঁচানো যায়নি। এই ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুও। 

    হেল্পলাইন নম্বর বিদেশমন্ত্রকের

    ভারত থেকে নেপালে যাওয়া উত্তরপ্রদেশের ওই বাসে (Nepal Bus Accident) অধিকাংশ যাত্রীই ছিলেন মহারাষ্ট্রের। সেখানকার মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে জানান, তিনি নেপালের বাস দুর্ঘটনার বিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে কথা বলেছেন। দেহ দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে কেন্দ্র মহারাষ্ট্র সরকারকে সবরকম সাহায্য করবে বলে জানিয়েছেন তিনি। ভারতীয় বায়ুসেনা দেহগুলি শনিবারই দেশে ফিরিয়ে আনবে। প্রথমে মহারাষ্ট্রের নাসিকে নিয়ে আসা হবে দেহগুলি। সেখান থেকে পরিবারের সদস্যদের হাতে তা তুলে দেওয়া হবে। এই ঘটনায় হেল্পলাইন নম্বর চালু করেছে বিদেশমন্ত্রক। 

    নেপালের ভারতীয় দূতাবাস সূত্রে (Indian Embassy) জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাসের ভারতীয় যাত্রীরা নেপালে ঘুরতে গিয়েছিলেন। পোখরা থেকে কাঠমান্ডু যাওয়ার সময় ঘটে দুর্ঘটনা। কীভাবে বাসটি রাস্তা থেকে নদীতে পড়ে গেল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। নেপাল প্রশাসন বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। তবে ভরা বর্ষায় নেপালে গত কয়েক দিন ধরেই বৃষ্টি হচ্ছে। নানা জায়গায় ধস নেমে রাস্তা বন্ধও রয়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share