Tag: Mamata Banerjee

Mamata Banerjee

  • Amit Shah: “আপনি সিঁদুরের অপমান করেছেন, মা-বোনেরা এর জবাব দেবে,” শাহের নিশানায় মমতা

    Amit Shah: “আপনি সিঁদুরের অপমান করেছেন, মা-বোনেরা এর জবাব দেবে,” শাহের নিশানায় মমতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার বাংলায় সঙ্কল্প সভা করতে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কার্যত ধুয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিজেপির অমিত শাহ (Amit Shah)। নেতাজি ইন্ডোরের সভায় তিনি মমতাকে (Mamata Banerjee) নিশানা করে বলেন, “অপারেশন সিঁদুর নিয়ে আপনি প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে জঘন্য কথা বলেছেন। আপনি সিঁদুরের অপমান করেছেন। মা-বোনেরা এর জবাব আপনাকে দেবে।” তিনি বলেন, “পহেলগাঁওয়ে নিরীহ পর্যটকদের সন্ত্রাসবাদীদের গুলি করে মেরেছিল। তার জবাবে পাকিস্তানে কয়েকশো জঙ্গিকে খতম করেছে ভারত। কিন্তু জঙ্গিরা মারা গেলে তো দিদির পেটে ব্যথা করে। আর বাঙালি পর্যটককে যখন জঙ্গিরা হত্যা করে তখন উনি কিছুই বলেন না।”

    সংখ্যালঘু তোষণ (Amit Shah)

    সংখ্যালঘু তোষণের প্রশ্নে এদিন তৃণমূলের সমালোচনা করে শাহ বলেন, “বাংলাদেশি অনুপ্রবেশের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারই দায়ী। সীমান্ত কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার জন্য জমি লাগবে। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ইচ্ছে করে জমি দিচ্ছে না। যাতে বাংলাদেশ থেকে লাগাতার মুসলিম অনুপ্রবেশ ঘটতে পারে এবং তৃণমূলের ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি চলতে থাকে।” কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “এই গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে সরাসরি শাসক দলের মদতে। শাসক দলের নেতারা দাঁড়িয়ে থেকে হিংসার উসকানি দিয়েছেন। এ হল স্টেট স্পনসরড তথা রাষ্ট্রের মদতে দাঙ্গা।”

    রাজ্য সরকার শোনেনি

    শাহ বলেন, “এখানে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের পরিস্থিতি বিএসএফের হাতে ছেড়ে দেওয়ার আর্জি জানানো হয়েছিল। কিন্তু রাজ্য সরকার তা শুনতে চায়নি। তারপর হাইকোর্টের নির্দেশে বিএসএফ-ই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। কারণ বিএসএফ-ই পারে হিন্দুদের বাঁচাতে।” কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “উনি মহিলা মুখ্যমন্ত্রী। অথচ আরজি কর থেকে সন্দেশখালি থেকে সামসেরগঞ্জ – সর্বত্র মহিলাদের ওপর অত্যাচারের ঘটনায় তৃণমূলেরই নাম উঠে এসেছে বার বার। রাজ্য দুর্নীতির গলা জলে ডুবে গেছে। কেন্দ্রের সরকার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারকে (Amit Shah) গত ১১ বছর ৮ লাখ ২৭ হাজার কোটি টাকা দিয়েছে। সেই টাকা বাংলার মানুষ পায়নি। তৃণমূলের সিন্ডিকেট খেয়ে নিয়েছে।”

    তিনি বলেন, “দিদি আমার কথা শুনে নিন, আপনার সময় ঘনিয়ে এসেছে। ছাব্বিশেই বিদায়।” তিনি বলেন, “টিএন সেশন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার হওয়ার পর থেকে সর্বভারতীয় স্তরে ভোটে হিংসা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। একমাত্র বাংলায়ই তা বন্ধ হয়নি।” শাহ বলেন, “দিদি (Mamata Banerjee), হিম্মত থাকলে হিংসা, রিগিং বাদ দিয়ে ভোট করে দেখুন। আপনারও জমানত বাজেয়াপ্ত হয়ে যাবে (Amit Shah)।”

  • Suvendu Adhikari: ‘‘মমতার ঘোষণায় বিভ্রান্ত যোগ্যরা’’! মুখ্যমন্ত্রীকে তিন প্রশ্ন শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘মমতার ঘোষণায় বিভ্রান্ত যোগ্যরা’’! মুখ্যমন্ত্রীকে তিন প্রশ্ন শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবারই নবান্নে এসএসসি ইস্যুতে সাংবাদিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (SSC Scam) সুপ্রিম কোর্টের রায়কে মান্যতা দিয়ে ফের পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করার কথা ঘোষণা করেন তিনি। আর এরপরই এই ইস্যুতে মমতাকে নিশানা করলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। মমতার এমন ঘোষণায় চাকরিহারা যোগ্যরা বিভ্রান্ত বলেও তোপ দাগেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। এর পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে তিনি তিনটি প্রশ্নও রেখেছেন।

    সমাজমাধ্যমের পাতায় কী লিখলেন শুভেন্দু?

    নিজের এক্স হ্যান্ডলে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) লেখেন, ‘‘মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয়া, আপনি বিগত কয়েক মাস ধরে চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষক শিক্ষিকাদের নানা রকম আশ্বাস, অভয় দিয়েছেন। কখনও বলেছেন স্কুলে ফিরে যান, কখনও বলেছেন স্কুলে পড়াতে তো কোনও বারণ নেই (তা সে বেতন ছাড়াই হোক না কেন), কখনও বলেছেন সরকার পাশে আছে, ভরসা রাখুন চাকরি যাবে না, ইত্যাদি ইত্যাদি। আপনার নাকি প্ল্যান এ, বি, সি, ডি তৈরি আছে। আজ যখন পরীক্ষার সূচি ঘোষণা করলেন (যেটা সম্পূর্ণ এসএসসি-র এখতিয়ারের মধ্যে পড়ে, আপনার কোনও ভূমিকা হওয়া উচিত নয়), তখন উল্লেখ করলেন না কেন যে, এই ঘোষণা আপনার কত নম্বর প্ল্যানের অংশ।’’

    আর কত দিন ঠকাবেন এই যোগ্য নিরপরাধ চাকরিহারাদের

    প্রসঙ্গত মঙ্গলবারই সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমাদের এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হচ্ছে আইনি বাধ্যবাধকতার কারণে। সুপ্রিম কোর্ট বলেছে পরীক্ষা নিতেই হবে, তাই পরীক্ষা নেওয়া ছাড়া উপায় নেই। আমরা চাই, পরে যেন আদালত আমাদের দোষ না দেয়।’’ আর এরপরই রাজ্যের হাজার হাজার যোগ্য চাকরিহারা আন্দোলনকারীদের বিভ্রান্ত করার অভিযোগ আনেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। নিজের সমাজমাধ্যমের পাতায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন, ‘‘আপনি আজও চেষ্টা করেছেন চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষক শিক্ষিকাদের বিভ্রান্ত করতে, তবে আর কত দিন ঠকাবেন এই যোগ্য নিরপরাধ চাকরিহারাদের? আজ তারা আপনার এই ঘোষণাকে মৃত্যুপরোয়ানা বলে উল্লেখ করেছে।’’

    বিরোধী দলনেতা মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে তিনটি প্রশ্নও রেখেছেন

    শুভেন্দুর প্রথম প্রশ্ন

    প্রথম প্রশ্নে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) মুখ্যমন্ত্রীর কাছে জানতে চেয়েছেন, ‘‘যদি আদালতে পুনর্বিবেচনার আর্জির ফলাফল চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষক শিক্ষিকাদের পুনর্বহাল করার পক্ষে না যায়, তবে আর কোন আইনি পথে এদের সাহায্য করা সম্ভব হবে? কারণ যোগ্যদের তালিকা আদালতে জমা না দিয়ে আপনি নিজে এদের আইনি সম্ভাবনার সমস্ত দরজার শিকলে তালা দিয়েছেন।’’

    শুভেন্দুর দ্বিতীয় প্রশ্ন

    মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে দ্বিতীয় প্রশ্নে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা জানতে চেয়েছেন, ‘‘পুনরায় পরীক্ষায় বসতে বলে যে উপদেশ আপনি দিচ্ছেন, কি গ্যারান্টি আছে, যে যোগ্য শিক্ষক শিক্ষিকারা চাকরি হারিয়েছেন আপনার সরকারের শিক্ষামন্ত্রী, আপনার দলের নেতাদের ও তৎকালীন এসএসসি কর্তাদের দুর্নীতির ফলে, তারাই আবার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে চাকরি ফিরে পাবেন? হয়তো সম্পূর্ণ নতুন ব্যক্তিরা চাকরি পেলেন। আপনি দায়িত্ব নিয়ে, ১০০% সুনিশ্চিত ভাবে এক জন কারও নাম বলতে পারবেন যে চাকরি ফিরে পাবেই পাবে? হয়তো কিছু জন পাবে, বেশি বা কম, সে তো ফলাফল বেরোলে বোঝা যাবে।’’

    শুভেন্দুর তৃতীয় প্রশ্ন

    মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে তৃতীয় প্রশ্নে শুভেন্দু লিখেছেন, ‘‘যে রিভিউ পিটিশন নিয়ে আপনি এত আশাবাদী, এবং চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষক শিক্ষিকাদের ভরসা জোগানোর আপনার এক মাত্র সম্বল, সেই রিভিউ পিটিশন দাখিল করার সময়ে কি যোগ্যদের তালিকা জমা দিয়েছেন সঙ্গে?’’

    ফের চাকরি বিক্রির সুযোগ পাবে নেতারা, তৃণমূলকে খোঁচা শুভেন্দুর

    এর পাশাপাশি তৃণমূল নেতাদের খোঁচা দিতেও ছাড়েননি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি লিখেছেন, ‘‘যে বিজ্ঞপ্তি জারি করার ঘোষণা আজ করলেন এবং যার ফলে পরীক্ষা দিয়ে শিক্ষকতার চাকরির শূন্যপদে আবার নিয়োগ হবে, এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হওয়ার ব্যাপারে সব থেকে খুশি হয়েছে আপনার দলের নেতারা, কারণ তারা আবার লক্ষ লক্ষ টাকায় চাকরি বিক্রি করার সুযোগের সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছে।’’ প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে ৩০ মে। তারপর ১৬ জুন পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন করা যাবে। নতুন প্যানেল প্রকাশ হবে ১৫ নভেম্বর। কাউন্সেলিং ২০ নভেম্বর। মমতা সরকারের এমন ঘোষণার তীব্র বিরোধ করতে দেখা গিয়েছে চাকরিহারা যোগ্য আন্দোলনকারীদের।

  • Murshidabad violence: হিংসার নেপথ্যে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব, দর্শক ছিল পুলিশ! হাইকোর্টের রিপোর্ট নিয়ে মমতাকে তুলোধনা সুকান্তর

    Murshidabad violence: হিংসার নেপথ্যে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব, দর্শক ছিল পুলিশ! হাইকোর্টের রিপোর্ট নিয়ে মমতাকে তুলোধনা সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওয়াকফের নামে মুর্শিদাবাদ হিংসা (Murshidabad violence) নিয়ে হাইকোর্ট গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্টে এবার চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। রিপোর্টে স্পষ্ট বলা হয়েছে, শুধুমাত্র বেতবোনাতেই ১১৩টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। অসহায় মানুষ অত্যাচার সহ্য না করতে পেরে নদী পেরিয়ে মালদায় আশ্রয় নিলে, আক্রান্তদেরই জোর করে আবার ফেরানো হয় হিংসা কবলিত এলাকায়। রিপোর্টে আরও বলা হয়, পুলিশ নিপীড়িত মানুষকে চূড়ান্ত অসহযোগিতা করেছে। এমনকী হিংসা হচ্ছে দেখেও পুলিশ নিষ্ক্রিয় ছিল বলে জানানো হয়েছে ওই রিপোর্টে। ঘটনায় প্রত্যক্ষ মদত দিয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর মেহবুব আলম। হিন্দু নির্যাতনে দায়ী শাসক শিবিরের স্থানীয় নেতৃত্বই। হিংসার নেতৃত্বে ক্ষোভ প্রকাশ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণ করেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, “নিজের দলের স্থানীয় তৃণমূল নেতারদের বাঁচাতে বহিরাগত তত্ত্বের কথা বলেছেন। নত মস্তকে ক্ষমা চাওয়া উচিত তাঁর।”

    তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছিল কোর্ট (Murshidabad violence)

    ওয়াকফের নামে রাজ্যে গত ৮ থেকে ১২ এপ্রিল পর্যন্ত মুর্শিদাবাদের (Murshidabad violence) ধুলিয়ান, সাজুরমোড়, জাফরাবাদ, জঙ্গিপুর, সুতি, সামশেরগঞ্জে হিন্দুদের বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ, দোকান ভাঙচুর, লুটপাট, খুন-হত্যা, ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছিল। পুলিশ নিরাপত্তা দিতে না পারায় বিএসএফ নামানো হয়েছিল। অসহায় হিন্দুরা গঙ্গা পার হয়ে মালদার বৈষ্ণবনগরে পারলালপুর হাইস্কুলের শিবিরে আশ্রয় নেয়। পরে মামলার তদন্তের জন্য কলকাতা হাইকোর্ট তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে। মুর্শিদাবাদ হিংসার তদন্তে ৩ সদস্যের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং দল গঠন করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। কমিটিতে রয়েছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রেজিস্ট্রার যোগিন্দর সিং। রাজ্য জুডিশিয়ার সার্ভিসেসের সচিব অর্ণব ঘোষাল ও রাজ্য জুডিশিয়াল সার্ভিসেসের রেজিস্ট্রার সৌগত চক্রবর্তী। এরপর কমিটির সদস্যরা মুর্শিদাবাদে গিয়ে রিপোর্ট তৈরি করেন। রিপোর্টে মুর্শিদাবাদের সাম্প্রদায়িক হিংসাকে পূর্বপরিকল্পিত বলে স্পষ্ট ভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। রিপোর্টের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তৃণমূল কাউন্সিলের নাম, স্থানীয় তৃণমূল নেতা এবং আশেপাশের মুসলমান দুষ্কৃতীদের কথা বলা হয়। এরপর থেকেই শাসকদলের বিরুদ্ধে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে বিজেপি।

    গামছা-কাপড় দিয়ে মুখ ঢেকে এসেছিল!

    মুর্শিদাবাদের হিংসা কবলিত এলাকায় পরিদর্শনে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী তথা রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। মুর্শিদাবাদের স্পর্শকাতর এলাকায় স্থায়ী বিএসএফ ক্যাম্প করার পক্ষে সওয়াল তুলেছিলেন। সে সময়েই তিনি দাবি করেছিলেন, কারা আদতে হিংসা চালিয়েছে, সে তথ্য দ্রুত সামনে আসবে। এবার হাইকোর্টের রিপোর্টকে হাতিয়ার করেই রাজ্য সরকারকে বিঁধলেন তিনি। এদিন সুকান্ত বলেন, “এই রিপোর্ট পরিষ্কার বলছে, মাসেরগড় (Murshidabad violence), হিজলতলা, শিউলিতলা, ডিগড়ি- সেখান থেকে স্থানীয় বাসিন্দারা এসেছিল, তারাই বাড়িঘর ভাঙচুর করেছে। দুষ্কৃতীরা গামছা-কাপড় দিয়ে মুখ ঢেকে এসেছিল। যারা হামলায় অভিযুক্ত ছিল তাদের বাঁচানোর চেষ্টা করেছেন মমতা।” আবার রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলছেন, “যা নির্দেশ ছিল তা করে দেখিয়েছে মেহেবুবের মতো দুষ্কৃতীরা। এটা বৃহত্তর ষড়যন্ত্র। ঘটনার আগে পরের অবস্থা বিচার করে রিপোর্ট দেওয়া উচিত।”

  • Supreme Court: সুপ্রিম নির্দেশে চাপে মমতা সরকার, চার সপ্তাহের মধ্যে সরকারি কর্মীদের দিতে হবে ২৫ শতাংশ বকেয়া ডিএ

    Supreme Court: সুপ্রিম নির্দেশে চাপে মমতা সরকার, চার সপ্তাহের মধ্যে সরকারি কর্মীদের দিতে হবে ২৫ শতাংশ বকেয়া ডিএ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডিএ মামলায় সুপ্রিম নির্দেশে ব্যাপক চাপে মমতা সরকার। দীর্ঘদিন ধরেই বকেয়া ডিএ-র আবেদন জানিয়ে আন্দোলন করছেন পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) সরকারি কর্মীরা। ডিএ মামলায় শুক্রবার শুরুতেই সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) বলে, অন্তত ৫০ শতাংশ বকেয়া ডিএ দিয়ে দিতে হবে রাজ্যকে। সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যের আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি বলেন, ‘‘এত টাকা দেওয়া সম্ভব নয়। আমি কিছু প্রতিশ্রুতি দিতে পারছি না আমার কর্মীদের। এত টাকা দিলে আমরা চালাতেই পারব না।’’ এরপরেই সুপ্রিম কোর্ট জানায়, অন্তত ২৫ শতাংশ ডিএ দিতেই হবে। একইসঙ্গে চার সপ্তাহের মধ্যে এই টাকা মেটানোর নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত। এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন অগাস্ট মাসে ধার্য করা হয়েছে।

    কী বলল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)

    বিচারপতি সঞ্জয় করোল এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চে ছিল এদিনের ডিএ মামলার শুনানি। সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) বিচারপতিরা এদিন বলেন, ‘‘আমরা সব রায় দেখেছি। হাইকোর্টের দু’জন বিচারপতি টাকা দেওয়ার পক্ষে রায় দিয়েছেন। এটা সত্যি, যে এটা কোনও অধিকার নয়। কিন্তু তার মানে এই নয় যে টাকা দেব না। অন্তত ২৫ শতাংশ দিন।’’ প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ২৮ নভেম্বর রাজ্যের ডিএ মামলা প্রথম বারের জন্য সুপ্রিম কোর্টে উঠেছিল। এরপর ২০২৪ সালের ১ ডিসেম্বরের পর থেকে বার বার এই সংক্রান্ত শুনানি পিছিয়ে গিয়েছে। মোট ১৮ বার শুনানি পিছিয়ে যায়। অবশেষে শুক্রবার মামলাটি ওঠে শীর্ষ আদালতে।

    সোমবার পর্যন্ত সময় চেয়েছিল রাজ্য, রাজি হয়নি শীর্ষ আদালত (Supreme Court)

    জানা গিয়েছে, ডিএ মামলায় আগামী সোমবার পর্যন্ত সময় চেয়েছিল রাজ্য সরকার (West Bengal)। তবে সুপ্রিম কোর্ট সেই সময় দিতে কোনওভাবেই রাজি হয়নি। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে ওই টাকা মেটানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে বলা দরকার, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা ৫৫ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা পান, রাজ্য সরকারি কর্মীরা পান ১৮ শতাংশ ডিএ। কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যের কর্মীদের তফাৎ ৩৭ শতাংশ।

    শীর্ষ আদালতের নির্দেশকে স্বাগত শুভেন্দু অধিকারী

    শীর্ষ আদালতের নির্দেশকে স্বাগত জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এনিয়ে তাঁর মন্তব্য, ‘‘এই নির্দেশ পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের জন্য একটি বিশাল জয়। মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন ডিএ কারও অধিকার নয়। সুপ্রিম নির্দেশে সিলমোহর পড়ল যে, ডিএ কর্মচারীদের অধিকার। আশা করব, সরকারি কর্মচারীদের দীর্ঘ দিন বঞ্চিত রাখার নৈতিক দায়িত্ব নিয়ে তিনি পদত্যাগ করবেন।’’ ডিএ আন্দোলনের অন্যতম মুখ ভাস্কর ঘোষ বলেন, ‘‘৫০ শতাংশ দিতে বলা হয়েছিল রাজ্যকে। কিন্তু রাজ্য তাতে রাজি হয়নি। অথচ এর থেকে অনেক বেশি খরচ করা হয় রাজ্যের অন্যান্য প্রকল্পে।’’ তবে এই নির্দেশকে আন্দোলনের নৈতিক জয় বলে মনে করছেন ভাস্কর ঘোষ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘উনি দাঙ্গাকারীদের ওপরেই ভরসা করেছিলেন’’, মুর্শিদাবাদ সফর নিয়ে মমতাকে তুলোধনা শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘উনি দাঙ্গাকারীদের ওপরেই ভরসা করেছিলেন’’, মুর্শিদাবাদ সফর নিয়ে মমতাকে তুলোধনা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর হিংসা কবলিত মুর্শিদাবাদ সফর নিয়ে তাঁকে তুলোধনা করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শুভেন্দুর অভিযোগ, দাঙ্গাকারীদের ওপরেই ভরসা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর মুর্শিদাবাদ সফর নিয়ে তিনি বলেন, ‘‘প্রকৃত হিন্দুরা কেউ তাঁর সঙ্গে দেখা করতে যাবেন না। তাঁরা বাড়িতে কালো পতাকা তুলবেন।’’

    লজ্জা লাগে না মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee)

    সোমবার সাংবাদিক সম্মেলন করে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘লজ্জা লাগে না মুখ্যমন্ত্রীর। একটু আগে ডুমুরজেলায় বলেছেন, দুটো ওয়ার্ডে গোলমাল হয়েছে। কে দেয় আপনাকে এই তথ্য। আপনি গেছেন ফিল্ডে?’’ বিরোধী দলনেতা আরও বলেন, ‘‘হিন্দু বলেই হরগোবিন্দ দাস, চন্দন দাসকে বাড়ি থেকে টেনে এনে পশুকাটার ছুরি দিয়ে জবাই করা হয়েছে। তাঁর সঙ্গে আপনি তুলনা করছেন, দাঙ্গাবাজ গুলি খেয়ে মরেছে! সব মৃত্যু দুঃখ্যজনক। দাঙ্গা করতে গিয়েছে, গুলি করেছে। পুলিশ করুক, বিএসএফ করুক, সেতো কমিশন তদন্ত করছে, তাঁরা বুঝবে।’’

    নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ পুলিশমন্ত্রী

    শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) আরও বলেন, ‘‘পুলিশ নয়, নিরাপত্তা দিতে পারে কেন্দ্রীয় বাহিনী, এটা বলছে ওখানের মানুষ। আপনি পুলিশমন্ত্রী, আপনাকে (Mamata Banerjee) তো বলবেই, আপনি নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ। বেলডাঙায় ইমামদের সামনে বলে এসেছিলেন, হিন্দুরা সংখ্যালঘু। হিন্দুদের দেখতে বলেছিলেন ইমামদের, তাই হরগোবিন্দ-চন্দন খুন হয়েছেন। আপনি ওদের দায়িত্ব দিয়ে এসেছিলেন, আপনাকে তো শুনতেই হবে। দাঙ্গাকারীদের উপরেই আপনি ভরসা করেছিলেন, আপনাকে শুনতেই হবে। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তা, সিবিআই চেয়ে হাইকোর্টে গেছেন নিহতের পরিবার। হরগোবিন্দ দাসের ছোট ছেলেকে তুলে নিয়ে গিয়ে এফআইআর করিয়েছেন।’’

    ভারত বিরোধীদের বিরুদ্ধে লড়াই

    এরপরই তিনি (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘আমাদের লড়াই জেহাদি, জঙ্গি, ভারত-বিরোধীদের বিরুদ্ধে। যারা মানবতার শত্রু, তারা আমাদের শত্রু। তারা কারা, তা সবাই জানে। লড়াইটা এই লোকেদের বিরুদ্ধে। যারা নদিয়ায় বসে সোশ্যাল মিডিয়ায় জঙ্গিদের ছবি দেয়, তাদের বিরুদ্ধে। যারা নদিয়ার শান্তিপুরে বসে পাকিস্তানের পক্ষে স্লোগান দেয়, লড়াইটা তাদের বিপক্ষে।’’ শুভেন্দু অধিকারী আরও বলেন, ‘‘আমি ঝন্টু আলি শেখের বাবার হাতে ক্ষতিপূরণ তুলে দিয়ে মাথা ঝুঁকিয়ে এসেছি। আমি কখনওই এক ব্র্যাকেটে সবাইকে ফেলতে পারি না। আমাদের আদর্শ ভারতরত্ন অটল বিহারী বাজপেয়ী।’’

  • Puri Gajapati: দিঘার মন্দিরের নাম ‘জগন্নাথ ধাম’ নিয়ে এবার আপত্তি জানালেন পুরীর গজপতি রাজা দিব্যসিংহ দেব

    Puri Gajapati: দিঘার মন্দিরের নাম ‘জগন্নাথ ধাম’ নিয়ে এবার আপত্তি জানালেন পুরীর গজপতি রাজা দিব্যসিংহ দেব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিঘার মন্দিরের নাম ‘জগন্নাথ ধাম’ (Jagannath Dham) রাখা নিয়ে এবার আপত্তি জানালেন পুরীর গজপতি রাজা (Puri Gajapati) দিব্যসিংহ দেব। সোমবারই তিনি জানিয়ে দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরকে কোনওভাবেই ‘জগন্নাথ ধাম’ বলা যায় না। এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার, পুরীর শ্রী জগন্নাথ মন্দির পরিচালন কমিটির চেয়ারম্যান হলেন দিব্যসিংহ দেব। নিজের বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘‘পুরীর দ্বাদশ শতাব্দীর মন্দিরটিকেই একমাত্র শাস্ত্র অনুসারে ‘জগন্নাথ ধাম’ বলা যেতে পারে।’’

    ‘পুরুষোত্তম-ক্ষেত্র’, ‘শ্রীক্ষেত্র’ এবং ‘নীলাচল ধাম’ এর মতো নামগুলি কেবল পুরীকেই বোঝায়

    ভগবান জগন্নাথদেবের প্রথম সেবক হিসেবে পরিচিত হলেন গজপতি (Puri Gajapati)। তিনি জানিয়েছেন, দিঘার শ্রী জগন্নাথ মন্দিরের নাম জগন্নাথ ধাম বা জগন্নাথ ধাম সাংস্কৃতিক কেন্দ্র করার বিষয়টি তিনি সংবাদমাধ্যমের কাছ থেকে জানতে পেরেছেন। এরপরেই তিনি মুক্তিমুণ্ডুপ পুন্ডিতা সভার মতামত চান এই বিষয়ে। গজপতির নিজের ভাষায়, ‘‘মুক্তিমুন্ডুপা পুণ্ডিতা সভা বলেছে যে শ্রী জগন্নাথের মূল স্থানটি ‘পুরুষোত্তম-ক্ষেত্র’ এবং ‘জগন্নাথ ধাম’, ‘পুরুষোত্তম-ক্ষেত্র’, ‘শ্রীক্ষেত্র’ এবং ‘নীলাচল ধাম’ এর মতো নামগুলি কেবল পুরীকেই (Jagannath Dham) বোঝায় এবং অন্য কোনও জায়গার উল্লেখ করতে ব্যবহার করা যাবে না যেখানে ‘চতুর্ধা দারু বিগ্রহ’ পবিত্র করা হয়েছে।’’

    বিভিন্ন ধর্মীয় গ্রন্থের উল্লেখ করেন গজপতি রাজা মহারাজা দিব্যসিংহ দেব

    তিনি আরও বলেন, ‘‘আমি এখানে যোগ করতে চাই যে শ্রী জগন্নাথ মহাপ্রভুর মহিমা অত্যন্ত খাঁটি এবং বিস্তৃতভাবে ব্যাখ্যা করেছেন মহর্ষি বেদ ব্যাস স্কন্দ পুরাণের ‘বৈষ্ণব খণ্ড’-এ অন্তর্ভুক্ত ‘শ্রীপুরুষোত্তম-ক্ষেত্র মাহাত্ম্যম’-এ। এই শাস্ত্রটি সরল পাঠ করলে কোনও সন্দেহ থাকবে না যে এটি কেবলমাত্র পুরীকেই ‘শ্রী জগন্নাথ ধাম’ বলা যেতে পারে এবং অন্য কোনও স্থান বা মন্দির নয়, কারণ এটি পুরী (Puri Gajapati) যা সর্বোচ্চ ভগবান শ্রী পুরুষোত্তম-জগন্নাথের চিরন্তন পবিত্র বাসস্থান।’’

    মহাঋষি জৈমিনির প্রসঙ্গ টেনে আনেন দিব্যসিংহ দেব

    দিব্যসিংহ দেবের আরও সংযোজন, ‘‘শ্রী পুরুষোত্তম-ক্ষেত্র মাহাত্ম্যমে, মহাঋষি জৈমিনি পুরুষোত্তম-ক্ষেত্র পুরীর মহিমা বর্ণনা করেছেন।’’ জৈমিনির ব্যাখ্যা হুবহু তুলে ধরেন দিব্য়সিংহ এবং বলেন,‘‘যদিও ভগবান জগন্নাথ সর্বব্যাপী এবং সকলের উৎস। তিনি অন্যান্য পবিত্র স্থানেও রয়েছেন। তবুও এই পবিত্র স্থানটি (পুরী) শ্রেষ্ঠ। কারণ এটি এই পরম সত্তার দেহ হয়ে উঠেছে। তিনি স্বয়ং একটি রূপ ধারণ করে সেখানে উপস্থিত আছেন এবং প্রকৃতপক্ষে সেই স্থানকে তাঁর নিজের নামে পরিচিত করেছেন।’’

    পুরুষোত্তমক্ষেত্র পুরী শ্রী পুরুষোত্তম-জগন্নাথের চিরন্তন পবিত্র বাসস্থান

    গজপতির মতে, ‘‘ব্রহ্ম-পুরাণ, নীলাদ্রি মহোদয় এবং অন্যান্য পবিত্র ধর্মগ্রন্থগুলিতে যা নিশ্চিতভাবে প্রতিষ্ঠিত করে যে শ্রী পুরুষোত্তমক্ষেত্র পুরী শ্রী পুরুষোত্তম-জগন্নাথের চিরন্তন পবিত্র বাসস্থান।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘চতুর্ধা বিগ্রহ (জগন্নাথ, বলভদ্র, সুভদ্রা এবং সুদর্শন) শুধুমাত্র কাঠের মূর্তিতেই পূজিত হওয়া উচিত, ধাতু বা পাথরে নয়।’’ ধর্মীয় শাস্ত্রের ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেছন, ‘‘শুধুমাত্র শ্রীমন্দিরে প্রস্তুত ভোগই মহাপ্রসাদ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।’’

    প্রাচীন আধ্যাত্মিক নেতারা পুরীকেই শ্রী জগন্নাথধাম হিসাবে স্বীকার করেছিলেন

    গজপতি দিব্যসিংহ দেব (Puri Gajapati) আরও বলেন, ‘‘পদ্মপুরাণে যেমন বলা হয়েছে, এটি ভগবানের পবিত্র শাশ্বত বাসস্থান যাকে ধাম বলা হয় এবং অন্য কোনও স্থান বা মন্দির নয়। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে সনাতন বৈদিক ধর্মের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের প্রতিষ্ঠাতা-আচার্য যেমন ভগবতপদ আদি শঙ্করাচার্য, শ্রী রামানুজাচার্য, শ্রী নিম্বার্কাচার্য, শ্রী মাধবাচার্য, শ্রী রামানন্দাচার্য, শ্রী চৈতন্য এবং শ্রী বল্লভাচার্য পুরীকে শ্রী জগন্নাথধাম হিসাবে স্বীকার করেছিলেন।’’

    মমতা সরকারের কাছে নাম বদলের অনুরোধ

    শাস্ত্র ধরে এমন ব্যাখার পরে তিনি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে গজপতি (Puri Gajapati) বলেন, ‘‘উপরোক্ত বিষয়ের পরিপ্রেক্ষিতে আমি দিঘা জগন্নাথ মন্দির কর্তৃপক্ষকে দিঘা জগন্নাথ মন্দিরের নাম জগন্নাথ ধাম (Jagannath Dham) বা জগন্নাথ ধাম সাংস্কৃতিক কেন্দ্র করা থেকে বিরত থাকার জন্য আন্তরিকভাবে অনুরোধ করছি।’’ দিব্যসিংহ দেব বলেন, ‘‘বিশ্বজুড়ে শ্রী জগন্নাথের মন্দিরগুলির শ্রী জগন্নাথ ধাম পুরীর মূল-পীঠ শ্রীমন্দিরের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ এবং প্রাচীন ঐতিহ্যের ঘোষণার বিষয়ে ভগবান জগন্নাথের গৌরবময় ঐতিহ্যকে সম্মান জানানো ও সমর্থন করা উচিত। মহাপ্রভু শ্রী জগন্নাথের কালজয়ী ঐতিহ্য ও ঐতিহ্যের প্রতি অসম্মান বিশ্বের অগণিত ভক্তদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করবে।’’

  • Puri: জগন্নাথ ধাম একটাই! দিঘার মন্দিরের নাম বিতর্কে এবার আইনি পদক্ষেপের দাবি পুরীর ধর্মীয় সংগঠনের

    Puri: জগন্নাথ ধাম একটাই! দিঘার মন্দিরের নাম বিতর্কে এবার আইনি পদক্ষেপের দাবি পুরীর ধর্মীয় সংগঠনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর থেকেই এই মন্দিরকে ঘিরে শুরু হয়েছে একাধিক বিতর্ক। মন্দিরের নামকরণকে ঘিরে চলছে প্রবল বিতর্ক। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী দিঘার এই মন্দিরের নাম রেখেছেন ‘জগন্নাথ ধাম’। এরপরেই ওড়িশার একাধিক আধ্যাত্মিক-ধর্মীয় সংগঠন তথা রাজনৈতিক নেতারা এমনটার বিরোধিতা শুরু করেছেন। পুরীর (Puri) শ্রী জগন্নাথ মন্দিরের সঙ্গে যুক্ত একটি সংস্থা হল ছাতিশা নিযোগ। পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের দেখভালের ক্ষেত্রে এই সংস্থার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তারাই এবার দিঘার মন্দিরের এমন নামকরণের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করার দাবি তুলল।

    শনিবার অনুষ্ঠিত হয় বৈঠক, জগন্নাথ ধাম নামকরণের বিরুদ্ধে প্রস্তাব পাশ

    তারাই দিঘার মন্দিরের এই নাম বিতর্কে কড়া সমালোচনা করেছে মমতা সরকারের। শুধু তাই নয় গত শনিবারই সংস্থার একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে দিঘার মন্দিরের এমন নামকরণের জন্য এর বিরুদ্ধে প্রস্তাবও পাশ করানো হয়। ওড়িশা সরকারের কাছে এই সংস্থা আবেদন জানিয়েছে নাম বিতর্কের এই ইস্যুতে যেন তারা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সঙ্গে কথা বলে। একই সঙ্গে ওই সংস্থা শ্রী জগন্নাথ টেম্পেল এডমিনিস্ট্রেশনের প্রধান প্রশাসকরে সঙ্গে আলোচনাও সেরেছে (Jagannath Dham)। মমতা সরকারের এমন নামকরণের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ শুরু করারও দাবি রেখেছে তারা। কারণ হিসেবে তারা জানিয়েছে যে পুরীর (Puri) জগন্নাথ ধামের পবিত্রতা এবং মর্যাদা- এই দুটোই বজায় রাখতে যে কোনও মূল্যে।

    পুরীর (Puri) নিমকাঠ কীভাবে গেল দিঘায়? উঠছে প্রশ্ন

    ওই ধর্মীয় সংগঠনের নেতারা সংবাদমাধ্যমের সামনে বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, দিঘার মন্দিরের নাম জগন্নাথ ধাম (Jagannath Dham) রাখা একেবারেই নিন্দনীয় এবং তা বিভ্রান্তিকর। তাঁরা আরও বলছেন, পুরীর (Puri) একটি ঐতিহাসিক এবং আধ্যাত্মিক ঐতিহ্য রয়েছে। পুরীর মন্দিরের নাম জগন্নাথ ধাম, এটা শতাব্দী ধরেই চলে আসছে। হিন্দুদের বিশ্বাস-আস্থা-প্রতীক-আবেগ জড়িয়ে রয়েছে পুরীর মন্দিরের সঙ্গে। একইসঙ্গে ওই ধর্মীয় সংস্থা প্রশ্ন তুলেছে, পুরীর মন্দিরের দারু অর্থাৎ দৈবিক নিমকাঠ কীভাবে গেল দিঘায়। প্রসঙ্গত, পুরীর মন্দিরের নব কলেবর অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে কাজে লাগে দৈবিক নিমকাঠ। জানা যাচ্ছে, ২০১৫ সালে নবকলেবর অনুষ্ঠানেরই বাড়তি নিমকাঠ আসে দিঘায়। কীভাবে পুরীর মন্দিরের এই কাঠ এল দিঘায়, সে নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

    তদন্তের নির্দেশ ওড়িশার আইনমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ হরিচন্দনের

    ছাতিশা নিযোগের একজন সদস্য বলেন, এই পবিত্র দারু বা কাঠ শুধুমাত্র একটি কাঠ নয়। এর মধ্যে আমাদের ধর্ম এবং আধ্যাত্মিক তাৎপর্য মিশে রয়েছে। এই কাঠকে সর্বদা আমরা মর্যাদা দিয়ে চলি। ওই ধর্মীয় সংগঠনের অভিযোগ এভাবে পুরীর (Puri) মন্দির থেকে নবকলেবরের কাঠ নিয়ে প্রটোকলকে ভেঙেছে মমতা সরকার এবং এভাবে বিভ্রান্ত তৈরি হচ্ছে। জানা যাচ্ছে, এই ঘটনাতে ওড়িশার আইনমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ হরিচন্দন তিনি পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের প্রধান কর্ণধারকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন যে কিভাবে ওই কাঠ দিঘায় গেল!

    বিরোধিতায় শিল্পী সুদর্শন পট্টনায়েক

    অন্যদিকে, বিখ্যাত বালুশিল্পী সুদর্শন পট্টনায়ক জগন্নাথ ধাম- এই নামকরণের বিরোধিতা করেছেন। তিনি জানিয়েছেন যে এভাবে জগন্নাথ ধাম নামকরণ করে পৃথিবীর লক্ষ লক্ষ ভক্তের অনুভূতিতে আঘাত দেওয়া হয়েছে। তাঁর মতে সারা পৃথিবীতে একটিই জগন্নাথ ধাম রয়েছে এবং সেটা পুরীতে। এই আবহে পুরীর (Puri) বিজেপি সাংসদ সম্বিত পাত্রের মন্তব্য সামনে এসেছে। তিনিও দিঘার মন্দিরকে জগন্নাথ ধাম বলায় প্রবল আপত্তি তুলেছেন। নিজের বিবৃতিতে সম্বিত পাত্র জানিয়েছেন, পুরীর সাংসদ হিসেবে আমি অপেক্ষা করছি তদন্তের রিপোর্টের। বিজেপি সূত্রের দাবি, পুরীর মন্দিরে জগন্নাথের নবকলেবরের উদ্বৃত্ত কাঠ এনে যে দিঘার বিগ্রহ তৈরি হয়েছে, তা রাজেশ দয়িতাপতি নিজেই বলেছেন। তাই ওই বিষয় নিয়ে তদন্তের আর কোনও প্রয়োজন নেই। ওই দয়িতাপতি-সহ পুরীর মন্দিরের আর কারা এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, সেটাই তদন্ত করে দেখবে মন্দির প্রশাসন। যাঁরা জড়িত, তাঁদের উপযুক্ত শাস্তিও হবে বলে ওড়িশা সরকার সূত্রের খবর।

    চিঠিতে কী লিখলেন ওড়িশার আইনমন্ত্রী?

    এই ইস্যুতে ওড়িশার আইনমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ হরিচন্দন মন্দিরের প্রধান প্রশাসক অরবিন্দ পাধিকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। আইনমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ হরিচন্দন চিঠিতে লিখেছেন, ‘‘গত কয়েকদিন ধরে, সমস্ত সংবাদমাধ্যমে ভগবান জগন্নাথের মন্দির এবং জগন্নাথের সংস্কৃতি সম্পর্কে পরস্পরবিরোধী তথ্য প্রচারিত হচ্ছে। দিঘায় ভগবান জগন্নাথের মন্দির থাকা, মন্দিরের নাম পরিবর্তন করে জগন্নাথ ধাম রাখা, এখানকার সেবকদের মন্দির নির্মাণে যোগদান এবং কাঠ দিয়ে মূর্তি তৈরি ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা সম্পূর্ণরূপে অগ্রহণযোগ্য। এই ধরণের বিষয় জগন্নাথপ্রেমী ভক্ত সম্প্রদায় এবং ওড়িশার সাড়ে চার কোটি মানুষের মনে দ্বন্দ্ব তৈরি করেছে।’’ পুরীর মন্দির কর্তৃপক্ষ যদি তদন্ত শুরু করেন এবং পদক্ষেপ করেন, তা হলে পুরীর ওই দয়িতাপতি সমস‍্যায় পড়তে পারেন বলেই মনে করছে বিজেপি।

    কী বলছেন ওড়িশার উপ-মুখ্যমন্ত্রী?

    অন্যদিকে, দিঘা জগন্নাথ মন্দির ইস্যুতে রাজ্যের উপ-মুখ্যমন্ত্রী কনক বর্ধন সিং দেও বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর মতো আমার অত জ্ঞান নেই। আমার সীমিত জ্ঞান থেকে আমি জানি যে, দেশে চারটি ধাম রয়েছে। চারটি ধামের প্রতিটিতে একজন শঙ্করাচার্য আছেন। কেউই জগন্নাথ মন্দির নির্মাণের বিরুদ্ধে নয়। কিন্তু একে জগন্নাথধাম বলা কতটা যুক্তিসঙ্গত? জগন্নাথধাম একটিই। সেটা হল পুরী। দ্বিতীয় জগন্নাথধাম কোথায় হতে পারে? আমি সেবা সম্পর্কে কোনও মন্তব্য করব না। মুখ্যমন্ত্রী এই বিষয়ে অবগত আছেন। রাজ্য সরকার যেটা ঠিক সেই মতোই পদক্ষেপ করবে। এর জন্য অপেক্ষা করুন।’’

  • Suvendu Adhikari: নাম না করে মমতাকে খোঁচা শুভেন্দুর, কী বললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা?

    Suvendu Adhikari: নাম না করে মমতাকে খোঁচা শুভেন্দুর, কী বললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার অক্ষয় তৃতীয়ায় উদ্বোধন হল দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের (Suvendu Adhikari)। সরকারি কোষাগার থেকে এক কাঁড়ি টাকা খরচ করে তৈরি মন্দিরের (Jagannath Temple) উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, মুর্শিদাবাদে ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে মুসলিমরা হিন্দুদের ওপর ব্যাপক অত্যাচার করে বলে অভিযোগ। প্রাণভয়ে রাতের অন্ধকারে নদী পেরিয়ে মালদায় আশ্রয় নেন হিন্দুরা। ওই ঘটনায় হিন্দুরা যে ক্ষুব্ধ, তা বিলক্ষণ জানেন মুখ্যমন্ত্রী। হিন্দুদের ক্ষোভের ক্ষতে প্রলেপ দিতে এদিন উদ্বোধন করা হল দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের। উদ্বোধনের দুদিন আগেই দিঘায় প্রায় হত্যে দিয়ে পড়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন করলেন মন্দিরের দ্বারোদ্ঘাটন।

    কী বললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)

    মুখ্যমন্ত্রী যখন দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের দ্বারোদ্ঘাটন করছেন, তখনই এই পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথিতে সনাতনী হিন্দুদের নিয়ে আয়োজিত একটি সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। সেই কর্মসূচি শেষ হওয়ার পরেই সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে নাম না করেই শুভেন্দু নিশানা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। রাজ্য সরকারের সমালোচনায়ও সরব হন তিনি। শুভেন্দু বলেন, “বড়বাজারের অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যু হয়েছে ১৫ জনের। তবে মৃতের সংখ্যা ২৫ পর্যন্ত গড়াতে পারে। এই সময় পুরো সরকারকে দিঘায় তুলে আনা হয়েছে। যাঁদের মৃত্যু হয়েছে, তাঁরা সবাই আমাদের অতিথি ছিলেন। ঘটনাটি আমি এক্স হ্যান্ডেলে দিয়েছি ৯টা ১০ মিনিটে। আর সাড়ে ৯টায় প্রধানমন্ত্রী আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করেছেন। কিন্তু ওঁর অনীহা! চটি চাটাদের নিয়ে ফূর্তি করতে গিয়েছেন।”

    রাজ্য সরকারকে নিশানা

    দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন প্রসঙ্গেও এদিন রাজ্য সরকারকে নিশানা করেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, “পুরো সরকার দিঘায় তুলে এনে ২৮ কোটি টাকার বিজ্ঞাপন দিয়ে মন্দির নাম দিয়েছেন। শ্রী জগন্নাথদেবকে প্রতিষ্ঠা করেছেন। রাধারমনের আসল নাম রাহুল যাদব।” শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “টিকি রাখলেই সবাই ইসকন হয় না। সনাতনী কাজ সকলকে দিয়ে হয় না। জগন্নাথ তো সিগন্যাল দিচ্ছিলেন। ধর্ম বিরোধী কাজ করলে ঈশ্বর মেনে নিতে পারেন না।” নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, “অনুষ্ঠান তো শেষ হয়ে গেল। এ জ্বালা বিশাল জ্বালা। সাজতে এসেছিল (Jagannath Temple) হিন্দু, আমরা বানিয়েছি জালি হিন্দু। রেড রোডে হিজাব পরে হিন্দু ধর্মকে গান্ধা ধর্ম বলে (Suvendu Adhikari)! জালি কোথাকার!”

  • Suvendu Adhikari: “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন ভণ্ড হিন্দু,” তোপ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন ভণ্ড হিন্দু,” তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন ভণ্ড হিন্দু।” রবিবার ঠিক এই ভাষায়ই মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) আক্রমণ শানালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে মুর্শিদাবাদে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার হয় বলে অভিযোগ। তার জেরে জেলা ছেড়ে রাতের অন্ধকারে নদী পেরিয়ে মালদায় আশ্রয় নেন বহু হিন্দু।

    মমতা ভণ্ড হিন্দু (Suvendu Adhikari)

    এই ঘটনার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকেই কাঠগড়ায় তোলেন শুভেন্দু। দিঘায় নয়া জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন হবে অক্ষয় তৃতীয়ার দিন। সে প্রসঙ্গেই সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে হিন্দু বিরোধী বলেও অভিহিত করেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন ভণ্ড হিন্দু। হিন্দু সম্প্রদায়কে বিভ্রান্ত করবেন না। হিন্দুরাই হিন্দু মন্দির তৈরি করে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হিন্দু বিরোধী। তাঁর জন্যই মুর্শিদাবাদের হিন্দু পরিবারগুলি এখান থেকে পালিয়ে যাচ্ছে।” এর আগে গত ২০ এপ্রিল রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপির নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন, রাজ্যে হিন্দুরা হুমকির মুখে রয়েছেন। মুর্শিদাবাদে হিংসার ঘটনায় এনআইএ তদন্তও দাবি করেছিলেন তিনি। এই ঘটনার জন্য রাজ্য পুলিশকে দায়ীও করেন শুভেন্দু। একে তিনি ‘নৃশংস হত্যাকাণ্ড’ বলে উল্লেখ করেছেন।

    কী বললেন শুভেন্দু

    সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “আমরা আমাদের সংস্কৃতি ও ধর্মকে সজীব রাখতে নিরন্তর কাজ করছি। পশ্চিমবঙ্গে হিন্দুরা হুমকির মুখে। আমরা এনআইএ তদন্ত চাই। এই ধরনের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের জন্য রাজ্য পুলিশ সম্পূর্ণ দায়ী। এখানে সবাই চায় এনআইএ এখানে এসে মামলার দায়িত্ব নিক।” হিংসার জন্য বিজেপিকে দায়ী করেন সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব। অখিলেশের এহেন মন্তব্যকে শুভেন্দু বলেন, “অখিলেশ যাদবের বক্তব্য রাজনৈতিকভাবে প্রেরিত।”

    প্রসঙ্গত, ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে আন্দোলনের জেরে খুন করা হয় দুই হিন্দু প্রতিমা শিল্পীকে। তাঁরা সম্পর্কে বাবা ও ছেলে। বেছে বেছে হিন্দুদের বাড়ি ভাঙচুর (Mamata Banerjee) করা হয়। প্রাণভয়ে মুর্শিদাবাদ ছেড়ে মালদায় আশ্রয় নিয়েছেন তাঁরা। এখনও ভিটেয় ফেরেননি মুর্শিদাবাদ ছেড়ে যাওয়া সব হিন্দু (Suvendu Adhikari)।

  • Sukanta Majumdar: ‘ভোটব্যাঙ্কের জন্য ঘৃণা ছড়াচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী’, তোপ শুভেন্দুর, ‘ক্ষমা করবে না ইতিহাস’, আক্রমণ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘ভোটব্যাঙ্কের জন্য ঘৃণা ছড়াচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী’, তোপ শুভেন্দুর, ‘ক্ষমা করবে না ইতিহাস’, আক্রমণ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওয়াকফ আইনের বিরেধিতায় মুর্শিদাবাদে ভয়াবহ হিংসা ছড়ায় (Murshidabad Violence)। হাড়হিম করা ঘটনা সামনে আসতে থাকে। সামশেরগঞ্জে ঘরছাড়া হতে হয় হিন্দুদের। মৃত্যু হয় তিনজনের। এই আবহে মুর্শিদাবাদ ইস্যুতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একাধিক বিবৃতিতে ছড়ায় বিতর্ক। কখনও তিনি বলেন টাকার বিনিময়ে ইট ছুড়িয়েছে বিএএসএফ। কখনও আবার তাঁর মতে, হিংসায় ইন্ধন দিয়েছে বিজেপি-আরএসএস। গত ১৯ এপ্রিল তিনি খোলা চিঠিতে লেখেন, ‘‘বিজেপি ও তাদের সঙ্গীরা পশ্চিমবঙ্গে হঠাৎ খুব আক্রমণাত্মক হয়েছে। এই সঙ্গীদের মধ্যে আরএসএসও আছে। আমি আগে আরএসএসের নাম নিইনি। কিন্তু এবার বলতে বাধ্য হচ্ছে যে রাজ্যে যে কুশ্রী মিথ্য়ার প্রচার চলছে তার মূলে তারাও আছে।’’

    কড়া প্রতিক্রিয়া বিজেপির

    মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এমন মন্তব্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী মমতাকে নিশানা করেছেন তাঁর এমন মন্তব্যের জন্য। সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) কথায়, মমতার পক্ষপাতদুষ্ট আচরণের জন্য ইতিহাস তাঁকে কখনও ক্ষমা করবে না। এই ইস্যুতে মমতার বিরুদ্ধে ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতির অভিযোগ তুলেছেন শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর মতে, ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতির জন্য ঘৃণার বিষ ছড়াচ্ছেন মমতা। মুর্শিদাবাদ কাণ্ডে বিজেপি, আরএসএস-কে নিশানার জবাবে পাল্টা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতির জন্য ঘৃণার বিষ ছড়াচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। শান্তি বার্তার নামে ঘৃণার বিষ ছড়াচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী।’’ একইসঙ্গে মুর্শিদাবাদ হিংসা নিয়ে এনআইএ তদন্তের দাবিও জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা।

    এক্স মাধ্যমে মমতাকে তীব্র আক্রমণ সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar)

    মমতাকে কড়া আক্রমণ করে রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) এ নিয়ে এক্স হ্য়ান্ডেলে পোস্ট করেছেন। তিনি লেখেন, ‘‘ব্যর্থ মুখ্যমন্ত্রী আপনার প্রতিটি পদক্ষেপ, প্রতিটি নীরবতা এবং প্রতিটি পক্ষপাতদুষ্ট সিদ্ধান্ত আজ বাংলার মানুষের সামনে আপনার আসল চেহারাটি উন্মোচিত করেছে। আপনি যেভাবে অতীতে বারবার আবেগ দিয়ে খেলা করেছেন, আপনার সুচতুর অভিনয় সত্ত্বা দিয়ে নজর ঘোরানোর চেষ্টা করেছেন, এবারও আপনি সেই পুরনো কৌশলেই ফিরে গিয়েছেন। তবে এবার বাংলার মানুষ প্রস্তুত। তারা দেখছে, শুনছে, এবং বুঝে নিচ্ছে—কে তাদের পাশে, আর কে দাঁড়িয়ে আছে এক বিপজ্জনক মৌলবাদী রাজনীতির মঞ্চে।’’

    আক্রান্ত নির্যাতিত হিন্দুদের বিরুদ্ধেই মামলা দায়ের করা হয়েছে

    সুকান্তর অভিযোগ, ‘‘মুর্শিদাবাদ (Murshidabad Violence) জেলার বিভিন্ন অঞ্চলে ধারাবাহিকভাবে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর ভয়াবহ আক্রমণ ও দমন-পীড়ন চালানো হয়েছে। স্থানীয় হিন্দুপ্রধান গ্রাম গুলি থেকে সিংহভাগ হিন্দু পরবার ধর্মীয় উৎপীড়নের শিকার হয়ে তাঁদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে। যেখানে পুলিশ প্রশাসন মৌলবাদীদের দমন করতে পারত, সেখানে তারা নির্বিকার। স্থানীয়দের দাবি অনুযায়ী, বহু এলাকায় অভিযোগ নিতে অস্বীকার করা হয়েছে, এমনকি কিছু ক্ষেত্রে আক্রান্ত নির্যাতিত হিন্দুদের বিরুদ্ধেই মামলা দায়ের হয়েছে! আপনার নির্দেশে পুলিশ পঙ্গু হয়ে থেকেছে। পরিস্থিতি আরও সংবেদনশীল এবং ভয়াবহ হওয়ার পরেও আপনি কেন্দ্রীয় বাহিনীর আবেদন করেননি। বরং আমরা কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হলে ইচ্ছাকৃতভাবে বাধা তৈরি করতে চেয়েছেন। কারণ হিন্দুদের ন্যূনতম সুরক্ষার চেয়ে আপনার কাছে আপনার সংকীর্ণ ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতি প্রিয়!’’

    হরগোবিন্দ-চন্দনের বাড়িতে আপনি একবারও যাননি

    মুখ্যমন্ত্রীকে তীব্র আক্রমণ করে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, ‘‘সম্প্রতি মালদার অস্থায়ী ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নেওয়া হিন্দু উদ্বাস্তুদের এখন বলা হচ্ছে, তারা ‘অবৈধভাবে জড়ো হয়েছেন’! এই অমানবিক আচরণ কি শুধুই প্রশাসনিক ব্যর্থতা, না কি অত্যন্ত সচেতনভাবে এক তোষণনীতির অংশ? আপনি মুর্শিদাবাদে নিরীহ হিন্দু পিতা-পুত্রের (হরগোবিন্দ দাস ও চন্দন দাস) নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর ঘটনাস্থলে যাননি। কিন্তু একই সময়, আপনি নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের মানুষকে সমাবেশে ডেকে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমনাত্মক বক্তৃতা করলেন। পুনরায় সংখ্যালঘুদের বিভ্রান্ত করে ভুল পথে পরিচালনা করার চক্রান্ত করলেন। এতেই প্রমাণ হয়ে যায়— আপনার কাছে প্রাধান্য পায় কোন রাজনীতি! বাংলার হিন্দুরা আজ উপলব্ধি করছে, মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের প্রতিনিধি নন—তিনি একজন নির্বাচিত পক্ষপাতদুষ্ট রক্ষক।’’

    ভোটব্যাঙ্কের জন্য তুষ্টিকরণের রাজনীতির অভিযোগ

    মমতার বিরুদ্ধে তোষণের রাজনীতির অভিযোগ এনে সুকান্তর (Sukanta Majumdar) মন্তব্য, ‘‘ভারতীয় জনতা পার্টির একাধিক প্রতিনিধি মুর্শিদাবাদ পরিদর্শনে গেলে পুলিশ প্রশাসনের বাধার সম্মুখীন হন। আজ প্রতি মুহূর্তে প্রমাণ হয়ে গেছে এই সরকার আক্রান্তদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চায় না, বরং প্রকৃত সত্যকে আড়াল করাই তাদের উদ্দেশ্য। ভারতের সংবিধান প্রত্যেক নাগরিকের সমানাধিকার ও ধর্মীয় স্বাধীনতার গ্যারান্টি দেয়। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে তা কার্যত অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়েছে। এই সরকার একটি নির্দিষ্ট ভোটব্যাংকের তুষ্টি নীতিকে শাসনব্যবস্থার কেন্দ্রস্থলে নিয়ে এসেছে।’’

    ইতিহাস আপনাকে ক্ষমা করবে না

    সুকান্তর (Sukanta Majumdar) অভিযোগ, ‘‘হিন্দুদের ধর্মীয় অধিকার, নিরাপত্তা ও সামাজিক স্থিতি—সবকিছুকেই আজ রাজনৈতিক স্বার্থের বলি করা হচ্ছে। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী, আপনি যতই সুর পাল্টান, যতই ‘শান্তির বার্তা’ প্রচার করুন—আপনার কার্যকলাপ এবং প্রশাসনিক আচরণ আজ সম্পূর্ণ উল্টো ছবি এঁকে প্রমাণ করে দিয়েছে আপনার মুখোশ উন্মোচিত। আজ বাংলার হিন্দুরা জানে, তারা এক গভীর ষড়যন্ত্রের শিকার।’’ সুকান্ত মজুমদারের আরও সংযোজন, ‘‘তারা জানে, এই তোষণের অন্ধকার রাজনীতি (Murshidabad Violence) থেকে মুক্তির একমাত্র পথ—সত্য প্রকাশ এবং প্রতিরোধের রাজনীতি। সম্পূর্ণ বাংলা আজ জেগে উঠেছে। ইতিহাস আপনার তোষণ ও ব্যর্থতার মূল্যায়ন করবে, এবং হিন্দুরা এই অত্যাচারের ইতিহাস কখনও ভুলবে না। সুতরাং, আপনার এই বার্তা কেবলমাত্র মুখ লুকোনোর একটি দুর্বল প্রচেষ্টা মাত্র। ইতিহাস আপনাকে ক্ষমা করবে না।’’

LinkedIn
Share