Tag: NDA

NDA

  • Jagdeep Dhankhar: জগদীপ ধনখড়কে সমর্থন বিজেডি-এআইএডিএমকের, ইস্তফা দিলেন রাজ্যপাল

    Jagdeep Dhankhar: জগদীপ ধনখড়কে সমর্থন বিজেডি-এআইএডিএমকের, ইস্তফা দিলেন রাজ্যপাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে এনডিএ-র মনোনিত প্রার্থী জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar)। এখন দেশের উপরাষ্ট্রপতি পদ সামলাচ্ছেন ভেঙ্কাইয়া নাইডু। আগামী মাসে তাঁর কার্যকালের মেয়াদ শেষ হবে। জগদীপ ধনখড়ের জন্যে দেশের বিরোধী দলগুলির কাছে সমর্থন চেয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা।  জেপি নাড্ডা (Jagdeep Dhankhar) বলেন, “বাংলার বর্তমান রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় কৃষকের ছেলে, নম্র স্বভাবের। উনি তিন দশক ধরে দেশকে বিভিন্নভাবে সেবা করে আসছেন। আমি সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলিকে অনুরোধ করব, তারা যেন উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ধনখড়কে সমর্থন জানান।”  

    জেপি নাড্ডার এই আবেদনে সাড়া দিয়েছে বেশ কিছু বিরোধী দল। বিজেডি (BJD) এবং এআইএডিএমকে ( AIADMK) জগদীপ ধনখড়কে সমর্থন জানানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi) দলের প্রধান নবীন পট্টনায়ককে কল করার পরেই বিজেডির তরফ থেকে সমর্থনের কথা জানানো হয়। আর চেন্নাইয়ের বিধায়কদের বৈঠকের পরে ধনখড়কে সমর্থন করার সিদ্ধান্তের কথা জানায় এআইএডিএমকে। দুই দলই বলেছে এনডিএ- এ মনোনীত রাষ্ট্রপতি, উপরাষ্ট্রপতি পদের দুই প্রার্থীকেই সমর্থন জানাবে তারা । 

    আরও পড়ুন: বাংলার ভোটার ধনখড় শ্রাবণের সোমবার উপরাষ্ট্রপতি পদে মনোনয়ন পেশ করবেন

    এদিকে বাংলার রাজ্যপাল পদে ইস্তফা দিয়েছেন জগদীপ ধনখড়। রবিবার রাতে ইস্তফা দিয়েছেন তিনি। রাজ্যপালের ইস্তফা গ্রহণ করেছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। বাংলায় নতুন রাজ্যপাল না আসা অবধি আপাতত রাজ্যপালের দায়িত্ব সামলাবেন মণিপুরের রাজ্যপাল এলএ গণেশন (La. Ganesan)।

    আরও পড়ুন: উপরাষ্ট্রপতি পদে বিজেপির বাজি বাংলার রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়   

    আজ বেলা ১২টায় সংসদ ভবনে মনোনয়ন জমা দিতে যাবেন জগদীপ ধনখড়। ৬ অগস্ট উপরাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচন। আগামী ১০ অগাস্ট বর্তমান উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইডুর পদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। ১৯ জুলাই মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। ২০ জুলাই মনোনয়নপত্রের স্ক্রুটিনি হবে। জগদীপ ধনখড়ের প্রতিপক্ষ মার্গারেট আলভা।   

     এনডিএ-র পক্ষ থেকে কে উপরাষ্ট্রপতি প্রার্থী হবে তা নিয়ে বহুদিন ধরেই জল্পনা ছিল। অবশেষে শনিবার সন্ধ্যেয় সবাইকে অবাক করে দিয়ে উপরাষ্ট্রপতি প্রার্থী হিসেবে বাংলার রাজ্যপালের নাম ঘোষণা করে বিজেপি।  

  • Vice President Election: কে হবেন উপরাষ্ট্রপতি প্রার্থী? শনিবার বৈঠকে বিজেপি 

    Vice President Election: কে হবেন উপরাষ্ট্রপতি প্রার্থী? শনিবার বৈঠকে বিজেপি 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উপরাষ্ট্রপতি (Vice President) প্রার্থী কে হবেন, তা নির্ধারণ করার জন্যে শনিবার সংসদীয় বোর্ডের বৈঠক ডেকেছে বিজেপি (BJP)। বিজেপির দেওয়া প্রার্থীই যে উপরাষ্ট্রপতি হবেন সে বিষয়ে একপ্রকার নিশ্চিত রাজনৈতিক মহল। কারণ নির্বাচনী কলেজে বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠ।

    আরও পড়ুন: পাঁচ বছরের মেয়াদে রাষ্ট্রপতি কোবিন্দ আটকে দিয়েছেন রাজ্যের ৩ বিল, স্বাক্ষর করেছেন ১৫৯টিতে 
     
    বিজেপি সূত্রে জানানো হয়েছে, বিরোধী দলগুলির কাছ থেকেও তাদের মনোনীত প্রার্থীর জন্যে সমর্থন চাওয়া হবে। যদিও বিরোধীরাও যে প্রার্থী দেবে সে বিষয়েও নিশ্চিত বিজেপি। 

    সংসদীয় বোর্ড হল বিজেপির সর্বোচ্চ সাংগঠনিক সংস্থা। এর সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহ, রাজনাথ সিং, নীতিন গড়করি ছাড়াও দলের সভাপতি জে পি নাড্ডা। নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ১৯ জুলাই এবং ৬ আগস্ট নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে।

    আরও পড়ুন: প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারি পাক চরকে ভারতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন! বিস্ফোরক দাবি

    পরবর্তী রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করবে নির্বাচনী কলেজ। লোকসভা এবং রাজ্যসভার সদস্যদের নিয়ে গঠিত নির্বাচনী কলেজ। এই ৭৮০ জন সাংসদই নির্বাচন করবেন ভারতের পরবর্তী উপরাষ্ট্রপতি। উপরাষ্ট্রপতিই হবেন রাজ্যসভার অধ্যক্ষ। সংসদে এই মুহূর্তে বিজেপির ৩৯৪ জন সাংসদ রয়েছেন। ম্যাজিক ফিগার ৩৯০- এর থেকেও বেশি। বর্তমান উপরাষ্ট্রপতি এম ভেঙ্কাইয়া নাইডুর মেয়াদ ১০ আগস্ট শেষ হচ্ছে৷    

    ইতিমধ্যেই ওড়িশার সাঁওতাল সম্প্রদায়ের দ্রৌপদী মুর্মুকে (Droupadi Murmu) রাষ্ট্রপতি প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করেছে এনডিএ। আগামী ১৮ জুলাই হবে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চাসহ বেশ কয়েকটি আঞ্চলিক দল এনডিএ প্রার্থীকে সমর্থন জানিয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস এবং আম আদমি পার্টির মতো প্রধান বিরোধী দলগুলি যশোবন্ত সিনহা এবং দ্রৌপদী মুর্মুর মধ্যে কাকে ভোট দেবে তা নিয়ে এখনও অনিশ্চয়তা রয়ে গিয়েছে। জল্পনা রয়েছে, উপরাষ্ট্রপতি হিসেবে ওবিসি বা উঁচু সম্প্রদায়ের কোনও প্রার্থী দিতে চলেছে বিজেপি। 

    শোনা যাচ্ছে, বিজেপির উপরাষ্ট্রপতির প্রার্থী দেখেই নিজেদের প্রার্থী দেবে বিরোধীরা। সম্ভবত সেই কারণেই উপরাষ্ট্রপতি প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে বিরোধী শিবির আপাতত চুপ রয়েছে। শাসক জোট এনডিএর প্রার্থী কে হচ্ছেন, তা দেখে তবে নিজেদের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করবে তারা। সেই হিসাব করে কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে আগামী ১৭ তারিখ বিরোধী দলগুলিকে নিয়ে বৈঠক ডেকেছেন নয়াদিল্লিতে। জানানো হয়েছে, সংসদের আসন্ন বর্ষাকালীন অধিবেশনের কৌশল তৈরি করা এবং উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনের বিরোধী প্রার্থী নিয়ে আলোচনা করা হবে সেখানে। জানা গিয়েছে, কংগ্রেস বা তৃণমূল কংগ্রেস কেউই উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী দিচ্ছে না। আঞ্চলিক দলগুলির থেকেই প্রার্থী বাছা হবে বলে খবর।

  • Draupadi Murmu: রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রচারে রাজ্যে  দ্রৌপদী মুর্মু

    Draupadi Murmu: রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রচারে রাজ্যে দ্রৌপদী মুর্মু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  জাপানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের (Shinzo Abe) হত্যার প্রেক্ষিতে চলা রাষ্ট্রীয় শোকের কারণে ৯ জুলাই কলকাতা সফর স্থগিত করেছিলেন এনডিএ-র রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু (Draupadi Murmu)। সোমবার বাংলায় এলেন তিনি। তবে কলকাতায় নয় প্রথমে তিনি পা রাখলেন শিলিগুড়িতে। এদিন বিকেল চারটে নাগাদ বাগডোগরা বিমানবন্দরে নামেন তিনি। দেরাদুন থেকে বিশেষ বিমানে বাগডোগরা সেন তিনি। এরপর সেখান থেকে শিলিগুড়ির এক বিলাসবহুল  হোটেলে যান তিনি। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রচারে এসে শিলিগুড়িতে সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী ও বিধায়কদের সঙ্গে কথা বলবেন তিনি। শিলিগুড়ির হোটেলে তাঁকে স্বাগত জানানোর জন্য ছিলেন সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী প্রেম সিং গোলে। এছাড়া ছিলেন সিকিম ক্রান্তিকারী মোর্চা ও সিকিম ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্টের মোট ৩১ জন বিধায়ক। লোকসভা এবং রাজ্যসভার দুই সাংসদও ছিলেন সেখানে। সিকিমের নেতারা ছাড়াও এদিন শিলিগুড়িতে ছিলেন বিজেপি নেতা তথা আসামের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল। ঢোল, নাকারা বাজিয়ে তাঁকে হোটেলে স্বাগত জানানো হয়। এদিনই উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সন্ধ্যার বিমানে কলকাতায় আসার কথা রয়েছে দ্রৌপদীর।

    আরও পড়ুন: মাধ্যমিকে টেনেটুনে পাশ, সেই ছেলেই এখন আইএএস অফিসার!

    কলকাতা বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানাবেন বিজেপির প্রতিনিধি দল। রাতে নিউটাউনের একটি হোটেলে থাকার কথা রয়েছে তাঁর। মঙ্গলবার বিজেপি বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠক রয়েছে। বিজেপি বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠক করেই তিনি ফিরে যাবেন। তবে বিজেপির পরিষদীয় দল সূত্রে খবর, এখনও কোনও সূচিই চূড়ান্ত নয়। তিনি কলকাতায় এলে কর্মসূচিতে বদলও হতে পারে। বিজেপি সূত্রের দাবি, মঙ্গলবার সকালে দ্রৌপদীদেবী স্বামী বিবেকানন্দের বাড়ি গিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে যেতে পারেন। এরপর ফিরে এসে ইএম বাইপাসের ধারে একটি হোটেলে বিজেপির বিধায়ক-সাংসদদের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। সেই বৈঠকের পরেই তিনি চলে যাবেন বিজয়ওয়াড়ায়। তাঁর সফরকালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা বিধানসভার স্পিকার কারও সঙ্গেই তাঁর দেখা হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে জানা গিয়েছে।

  • Presidential Poll 2022: আগামী ৯ জুলাই রাজ্যে প্রচারে আসতে পারেন এনডিএ-র রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু, প্রস্তুতি তুঙ্গে

    Presidential Poll 2022: আগামী ৯ জুলাই রাজ্যে প্রচারে আসতে পারেন এনডিএ-র রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু, প্রস্তুতি তুঙ্গে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সবকিছু পরিকল্পনা মতো চললে আগামী ৯ জুলাই এক দিনের ঝটিকা সফরে রাজ্যে আসতে পারেন এনডিএ জোটের রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী (NDA Candidate) শ্রীমতি দ্রৌপদী মুর্মু (Draupadi Murmu)। কলকাতায় এসে এনডিএ-র বিধায়ক এবং সাংসদদের সঙ্গে মিলিত হবেন তিনি। ১৮ জুলাই রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ভোটের প্রচার করতেই তিনি বাংলায় আসছেন বলে সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে। 

    আরও পড়ুন: ভারতের উন্নয়ন সম্পর্কে দ্রৌপদীর উপলব্ধি অসাধারণ: মোদি

    বিজেপি সূত্রের খবর, রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থীর প্রচার পর্ব জাঁকজমকপূর্ণ করতে প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। বিজেপি (BJP) তথা এনডিএ (NDA) শরিক দলের জনজাতি বিধায়ক-সাংসদেরা সেদিন প্রচার পর্বের মুখ্য ভূমিকায় থাকবেন। দ্রৌপদী দেবীর প্রচারের ব্যাপারে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) বিশেষ দায়িত্ব দিয়েছে দল। দেশের প্রথম জনজাতি মহিলা রাষ্ট্রপতির প্রতি সমর্থন চেয়ে রাজ্যের সমস্ত বিধায়ক, সাংসদদের চিঠি দিয়েছেন বিজেপির দুই নেতা। ভবানীপুরের বিধায়ক তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও (Mamata) চিঠি দিয়ে পূর্ব ভারতের প্রথম মহিলাকে ভোট দিয়ে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। তবে প্রচার পর্বে এসে দ্রৌপদী দেবী আদৌ তৃণমূল বিধায়ক-সাংসদদের সঙ্গে দেখা করবেন কি না তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি।

    এনডিএ-র লক্ষ্য, জনজাতি এই মহিলাকে দেশের সর্বোচ্চ সাংবিধানিক পদে রেকর্ড ভোটে জেতানোর। বিজেপি সূত্রের খবর, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আগে দেশের সবকটি রাজ্যে গিয়ে প্রচার করবেন দ্রৌপদী দেবী। এ নিয়ে কেন্দ্রীয় স্তরে ধর্মেন্দ্র প্রধান, গজেন্দ্র সিংহ শেখাওয়াত, সর্বানন্দ সোনওয়ালের মতো হেভিওয়েট মন্ত্রীদের নিয়ে বিশেষ কমিটি তৈরি করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পশ্চিমবঙ্গ সহ উত্তরপূর্বের রাজ্যগুলিতে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থীর প্রচার পর্বের তদারকি করছেন কেন্দ্রীয় জাহাজ ও জলপথ উন্নয়ন মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনওয়াল। ইতিমধ্যেই কলকাতায় এসে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে এ নিয়ে প্রস্তুতি বৈঠক সেরে গিয়েছেন তিনি। আগামী ৯ জুলাই বিমান বন্দরে স্বাগত জানানো থেকে বিধায়ক-সাংসদদের সভা ঘিরে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের সম্ভাব্য বিজয়ী প্রার্থীকে ঘিরে কার্যত বিজয় উৎসবের চেহারা দিতে চায় রাজ্য বিজেপি।

    আরও পড়ুন: কাউন্সিলর থেকে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী, কে এই দ্রৌপদী মুর্মু?

  • Modi meets Droupadi Murmu: ভারতের উন্নয়ন সম্পর্কে দ্রৌপদীর উপলব্ধি অসাধারণ: মোদি 

    Modi meets Droupadi Murmu: ভারতের উন্নয়ন সম্পর্কে দ্রৌপদীর উপলব্ধি অসাধারণ: মোদি 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এনডিএ-র রাষ্ট্রপতি (NDA) পদপ্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুর (Droupadi Murmu) সঙ্গে গতকাল দিল্লিতে দেখা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)। আজ, শুক্রবার নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah), প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh) এবং বিজেপি ও এনডিএ শাসিত রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রী ও মন্ত্রীদের উপস্থিতিতে মনোনয়ন জমা দিলেন দ্রৌপদী মুর্মু। দিল্লিতে বৈঠকের পর রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থীর ভূয়সী প্রশংসা করেন মোদি। তিনি বলেন, স্থল সমস্যা এবং ভারতের উন্নয়নের দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে দ্রৌপদীর উপলব্ধি অসাধারণ।

    আরও পড়ুন: রাজনৈতিক থেকে প্রশাসনিক— একনজরে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুর জীবন  

    ট্যুইটারে দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে সাক্ষাতের ছবি শেয়ার করে মোদি লেখেন, “দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে দেখা হল। এনডিএ- র দ্রৌপদী মুর্মুকে দেশের রাষ্ট্রপতির প্রার্থী করার সিদ্ধান্তে খুশি গোটা দেশ। স্থল সমস্যা এবং ভারতের উন্নয়নের দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে দ্রৌপদীর উপলব্ধি অসাধারণ।”   

    [tw]


    [/tw]

    আগামী ১৮ জুলাই দেশে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। তাতে মুখোমুখি প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামছেন দ্রৌপদী মুর্মু এবং যশবন্ত সিনহা। ২৪ জুলাই রাষ্ট্রপতি পদে মেয়াদ শেষ হচ্ছে বর্তমান রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের (Ramnath Kovind)। তার আগে, ২১ জুলাই রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ভোটগণনা সম্পন্ন হবে। তবে রাইসিনা হিল দখলের লড়াইয়ে কে শেষ হাসিটি হাসে তাই এখন দেখার অপেক্ষা। দ্রৌপদী মুর্মুর নাম প্রস্তাব করেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    আরও পড়ুন: “ওনাকে সম্মান করি, তবে…”, দ্রৌপদী মুর্মু সম্পর্কে কী বললেন প্রতিদ্বন্দ্বী যশবন্ত? 

    ওড়িশার রাইরাংপুরের প্রথম কাউন্সিলর ছিলেন দ্রৌপদী। তিনি ঝাড়খণ্ডের নবম রাজ্যপালের দায়িত্বও সামলেছেন। তিনিই ঝাড়খণ্ডের প্রথম রাজ্যপাল যিনি তাঁর কার্যকালীন মেয়াদ সম্পূর্ণ করতে পেরেছিলেন। এছাড়াও ২০০০ এবং ২০০৪ সালে তিনি বিজেডি এবং বিজেপির জোট সরকারে পরিবহণ, পশুপালন এবং মৎস্য দফতরের মতো গুরুত্বপূর্ণ দফতর সামলেছেন। রাইসিনা দখলের পথে তিনি যশবন্ত সিনহার থেকে অনেকটাই এগিয়ে। এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।  

    দ্রৌপদী মুর্মু ইতিহাস তৈরি করতে চলেছেন। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জয়ী হলে, আদিবাসী সম্প্রদায় থেকে তিনিই প্রথম ভারতের সর্বোচ্চ সাংবিধানিক পদে বসবেন। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, দেশের অন্যান্য রাজ্যের পাশাপাশি মনোনয়নে প্রস্তাবক বা সমর্থক হিসাবে অনেক আদিবাসী সাংসদ ও বিধায়ককে দিয়ে সই করানো হয়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছেন বাংলার তিন জন। ঝাড়গ্রামের সাংসদ কুনার হেমব্রম, মালদহের হবিবপুরের বিধায়ক জোয়েল মুর্মু এবং দক্ষিণ দিনাজপুরের তপনের বিধায়ক বুধুরাই টুডু। 

     

  • Presidential Election: আসন্ন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে এনডিএ-র প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু

    Presidential Election: আসন্ন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে এনডিএ-র প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জল্পনার অবসান। আসন্ন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে (Presidential Election 2022) কাকে প্রার্থী করবে বিজেপি (BJP), সেই নিয়ে তুমুল কৌতুহল ছিল জাতীয় রাজনীতি মহলে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সেই জল্পনার যবনিকা পতন হল। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রার্থী ঘোষণা করল বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ (NDA)। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে এনডিএ প্রার্থী (NDA candidate) হিসেবে এদিন দ্রৌপদী মুর্মুর (Draupadi Murmu) নাম ঘোষণা করেন বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা (Nadda)। তিনি বলেন, এই প্রথমবার একজন আদিবাসী মহিলাকে প্রার্থী করা হল। 

    নাম ঘোষণার কিছুক্ষণের মধ্যেই ট্যুইট করে পদপ্রার্থীকে শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)। তিনি লেখেন, সমাজসেবা এবং দরিদ্র, পিছিয়ে পড়া ও প্রান্তিক মানুষদের ক্ষমতায়নের জন্য জীবন উৎসর্গ করেছেন শ্রীমতী দ্রৌপদী মুর্মু। তাঁর বিশাল প্রশাসনিক অভিজ্ঞতা রয়েছে। একইসঙ্গে রাজ্যপাল হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন। আমি নিশ্চিত তিনি আমাদের দেশের একজন মহান রাষ্ট্রপতি হবেন।

    [tw]


    [/tw]

    আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধী জোটের প্রার্থী যশবন্ত সিনহা

    কোনও অঘটন না ঘটলে, ৬৪ বছর বয়সি দ্রৌপদী মুর্মুই হতে চলেছেন দেশের ১৫তম রাষ্ট্রপতি। নির্বাচিত হলে তিনিই হবেন দেশের দ্বিতীয় মহিলা রাষ্ট্রপতি। দ্রৌপদীই হবেন দেশের প্রথম সাঁওতালি মহিলা যিনি রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হবেন।

    কে এই দ্রৌপদী মুর্মু?

    ওড়িশার ময়ূরভঞ্জ জেলার বাইদাপোসি গ্রাম থেকে উঠে আসা দ্রৌপদী প্রথম জীবনে শিক্ষকতা করতেন। স্বামী শ্যামচরণ মুর্মু মারা যাওয়ার পর কিছুদিন কাজ করেছিলেন সেচ দফতরের ছোট কেরানি হিসেবে। ১৯৯৭ সালে যোগ দেন ওড়িশার রাজনীতিতে। রাইরঙপুরে পুরসভার কাউন্সিলর হন। এরপর তাঁকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। দীর্ঘ সময় তিনি ছিলেন বিজেপির তফশিলি উপজাতি মোর্চার সহ সভানেত্রী।

    ২০০০ সালে প্রথমবার বিধায়ক নির্বাচিত হন রাইরঙপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে। জিতেই বিজেপি-বিজেডি জোট সরকারের মন্ত্রী হয়েছিলেন দ্রৌপদী মুর্মু। বাণিজ্য ও পরিবহণ মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। মৎস্য ও পশুপালন দফতরও তাঁকে সামলাতে হয়েছে। ২০০০ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত ওড়িশা বিধানসভার মন্ত্রী ছিলেন দ্রৌপদী মুর্মু। 

    এরপর আরও একবার ২০০৯ সালে তিনি ওড়িশা বিধানসভার বিধায়ক নির্বাচিত হন। ২০১৫ সালে তাঁকে ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল হিসেবে নিয়োগ করেন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়। এর আগে ঝাড়খণ্ড রাজ্য তৈরি হওয়ার পর কোনও রাজ্যপালই পূর্ণ মেয়াদ কাজ করতে পারেননি। সেই দিক দিয়ে দ্রৌপদী মুর্মুই প্রথম রাজ্যপাল যিনি পূর্ণ মেয়াদ ছিলেন ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল ভবনে। গতবছর ২০২১ সালেই পূর্ণ করেছেন তাঁর রাজ্যপালের মেয়াদ। 

    ২০১৭ সালেও উঠেছিল তাঁর নাম

    ২০১৭ সালেই দিল্লি রাজনীতির অন্দরে দেশের পরবর্তী রাষ্ট্রপতি হিসেবে ঘোরাফেরা করছিল দ্রৌপদী মুর্মুর নাম। প্রণব মুখোপাধ্যায়ের উত্তরসুরী হিসেবে। কিন্তু সেবার বিজেপি রাষ্ট্রপতি পদের জন্য রামনাথ কোভিন্দের নাম সুপারিশ করে। বিহারের রাজ্যপাল থেকে প্রথমবার দেশের দলিত রাষ্ট্রপতি হন কোভিন্দ। ঠিক পাঁচ বছর পর ঐ একই পদের জন্য ফের উঠে এল দ্রৌপদী মুর্মুর নাম। এবার, তাঁকেই রাষ্ট্রপতি হিসেবে এনডিএ-র পদপ্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করল বিজেপি।

    গতকাল ২০শে জুন নিজের ৬৪তম জন্মদিন পালন করেছেন দ্রৌপদী মুর্মু। ২১ জুনের সন্ধ্যায় বিজেপির ঘোষণা, দেশের ১৫তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে এনডিএ প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন এই তফশীলি উপজাতি নেত্রী।

  • Jagdeep Dhankhar: প্রতীক্ষার অবসান, শেষমেশ সুপ্রিম কোর্টে চেম্বার পেলেন ধনখড়

    Jagdeep Dhankhar: প্রতীক্ষার অবসান, শেষমেশ সুপ্রিম কোর্টে চেম্বার পেলেন ধনখড়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবেদন করেছিলেন পাঁচ বছর আগে। শেষমেশ বহু আকাঙ্খিত সেই চেম্বার মিলল পাঁচ বছর পরে। হ্যাঁ, এনডিএ (NDA) উপরাষ্ট্রপতি (Vice President) পদপ্রার্থী  জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar) নিজস্ব চেম্বার পেলেন সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)। তবে উপরাষ্ট্রপতি পদে জয়ী হলে, চেম্বার ছেড়ে দিতে হবে তাঁকে।

    ফি-বছর প্রচুর ছেলেমেয়ে ল’ পাশ করেন। তার পরেই তাঁরা বিভিন্ন কোর্টে প্র্যাকটিস করেন। বার কাউন্সিলের সদস্য হওয়ার পর আবেদন করেন নিজস্ব চেম্বারের জন্য। এই চেম্বার সহজে মেলে না। অপেক্ষা করতে হয় দীর্ঘ সময়। সুপ্রিম কোর্টে এই চেম্বার পেতে সময় লাগে আরও বেশি সময়। এই যেমন জগদীপ ধনখড়। জয়পুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ল’য়ের ছাত্র ছিলেন ধনখড়। এলএলবি ডিগ্রি পান ১৯৭৯ সালে। সেই বছরই রাজস্থান কোর্টে বার কাউন্সিলের সদস্য হওয়ার জন্য আবেদন করেন।

    ১৯৯০ সালে সিনিয়র অ্যাডভোকেট হিসেবে প্র্যাকটিসের সুযোগ পান দেশের শীর্ষ আদালতে। তার পর থকে সেখানেই প্র্যাকটিস করছিলেন তিনি। লড়েছিলেন অনেক গুরুত্বপূর্ণ মামলা। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ২০১৬ সালে শতদ্রু রিভার ওয়াটার বিতর্ক। এই মামলায় হরিয়ানা সরকারের হয়ে লড়ছিলেন তিনি। এছাড়া, সলমন খানের বিরুদ্ধে ওঠা কৃষ্ণসার হত্যা মামলাতেও তিনি অভিনেতার পক্ষ নিয়ে আইনি লড়াইয়ে অংশগ্রহণ  করেছিলেন। রাজ্যপাল হওয়ার পর বন্ধ করে দেন প্র্যাকটিস।

    আরও পড়ুন : মোদিকে পাশে বসিয়ে মনোনয়নপত্র জমা জগদীপ ধনখড়ের

    তবে তার আগে ২০১৭ সালে নিজস্ব একটি চেম্বারের জন্য আবেদন করেন ধনখড়। সেই আবেদনপত্রে কিছু ত্রুটি থাকায় চেম্বার পাননি তিনি। ত্রুটি সংশোধনের জন্য তাঁকে চার সপ্তাহের সময় দেওয়া হয়। পরে ফের সংশোধিত আবেদনপত্র পাঠানো হয় চেম্বার অ্যালটমেন্ট কমিটির কাছে। এই চেম্বার কমিটির মাথায় থাকেন প্রধান বিচারপতি।

    আইনজীবী ধনখড়ের বহু আকাঙ্খিত সেই চেম্বারই মিলল এতদিনে। সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডিশনাল বিল্ডিং কমপ্লেক্সের ডি ব্লকে তাঁর ওই চেম্বার। সম্প্রতি যে ৪৬৮ জন আইনজীবীকে চেম্বার দেওয়া হয়েছে, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ধনখড়ও। ধনখড়ের সঙ্গে বহু মামলা লড়েছেন এক প্রবীণ আইনজীবী। তিনি বলেন, ধনখড় সম্ভবত এটা আশা করেননি। যখন তিনি রাজ্যপাল থেকে উপরাষ্ট্রপতি হতে চলেছেন, তখন তিনি পেলেন চেম্বার। প্রসঙ্গত, ধনখড় উপরাষ্ট্রপতি পদে জয়ী হলে, এই চেম্বার ছেড়ে দিতে হবে তাঁকে। কারণ তখন আর আইনজীবী হিসেবে প্র্যাকটিস করতে পারবেন না তিনি।

    আরও পড়ুন : উপরাষ্ট্রপতি পদে বিজেপির বাজি বাংলার রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়

     

  • Presidential Election 2022:  জয় নিশ্চিত দ্রৌপদী মুর্মুর! প্রথম রাউন্ডের শেষে বিপুল ব্যবধানে এগিয়ে

    Presidential Election 2022: জয় নিশ্চিত দ্রৌপদী মুর্মুর! প্রথম রাউন্ডের শেষে বিপুল ব্যবধানে এগিয়ে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাইসিনা হিলসের দৌড়ে প্রতিদ্বন্দ্বী  বিরোধী প্রার্থী যশবন্ত সিনহার থেকে অনেকটাই এগিয়ে গেলেন এনডিএ প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু (Draupadi Murmu)।  বলা যেতে পারে, এই লড়াইয়ে দ্রৌপদীর জয় এখন সময়ের অপেক্ষা মাত্র। কিছুক্ষণ আগেই, প্রথম রাউন্ডের গণনা শেষ হয়েছে। আর তাতেই যশবন্তের চেয়ে বিপুল ভোটে এগিয়ে গিয়েছেন দ্রৌপদী।

    প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, দ্রৌপদী মুর্মুকে ৫৪০ জন সাংসদ ভোট দিয়েছেন। দ্রৌপদী মুর্মুর প্রাপ্ত ভোটের ভ্যালু ৩,৭৮,০০০। যশবন্ত সিনহাকে ২০৮ জন সাংসদ ভোট দিয়েছেন। যশবন্ত সিনহা প্রাপ্ত ভোটের ভ্যালু ১,৪৫,৬০০। ১৫টি ভোট অবৈধ ঘোষিত হয়েছে। দ্রৌপদী মুর্মু ৭২ শতাংশ ভোট পেয়েছেন।  ফলে বলা যেতেই পারে, সম্ভবত বিপুল সমর্থন নিয়েই দেশের ১৫তম রাষ্ট্রপতি হওয়ার দৌড়ে দ্রৌপদী মুর্মুর জয় কার্যত নিশ্চিত। সেক্ষেত্রে দেশের দ্বিতীয় মহিলা এবং প্রথম আদিবাসী রাষ্ট্রপতি হিসেবে এই পদে বসবেন তিনি। 

    আরও পড়ুন: নারীর ক্ষমতায়নের উজ্জ্বল উদাহরণ দ্রৌপদী, বলছে ওড়িশার রায়রংপুর

    ওড়িশার অতি সাধারণ ঘর থেকে আসা একটি আদিবাসী পরিবারের মেয়ে তিনি। ব্যক্তিগত জীবনে নানা সমস্যা ও কষ্টের শিকার হয়েছেন দ্রৌপদী। ২০০৯ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে মারা গিয়েছেন তাঁর স্বামী, দুই ছেলে, মা ও ভাই। ২০০৯ সালে, রহস্যজনক মৃত্যু ঘটে দ্রৌপদী মুর্মুর এক ছেলের। দ্রৌপদীর স্বামী শ্যাম চরাম মুর্মু ২০১৪ সালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। ২০১২ সালে এক পথ দুর্ঘটনায় নিজের দ্বিতীয় পুত্রকেও হারান তিনি। দ্রৌপদী মুর্মুর কন্যা ইতিশ্রী মুর্মু একটি ব্যাঙ্কে কাজ করেন।

    ওড়িশার ময়ূরভঞ্জ জেলার সাঁওতাল সম্প্রদায়ের একটি দরিদ্র আদিবাসী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। নিজের রাজনৈতিক কর্মজীবন শুরু করার আগে দ্রৌপদী মুর্মু ওড়িশার রায়রংপুরে শ্রী অরবিন্দ ইন্টিগ্রাল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারে শিক্ষকতা করতেন। এখনও পর্যন্ত দেশে কোনও আদিবাসী মহিলা প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রপতি হননি। যদিও কেআর নারায়ণন ও রামনাথ কোবিন্দের রূপে দেশ পেয়েছিল ২ জন দলিত রাষ্ট্রপতি।

    আরও পড়ুন: ঘরের মেয়ে হতে চলেছেন রাষ্ট্রপতি, উৎসবের মেজাজ দ্রৌপদীর গাঁয়ে

  • Bihar Politics: নীতি-আদর্শ কি জলাঞ্জলি দিয়েছেন? নীতীশকে প্রশ্ন চিরাগের

    Bihar Politics: নীতি-আদর্শ কি জলাঞ্জলি দিয়েছেন? নীতীশকে প্রশ্ন চিরাগের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আপনার কি কোনও আদর্শ আছে নাকি নেই? বিহারের (Bihar) নয়া মুখ্যমন্ত্রীকে এই প্রশ্নই করলেন লোক জনশক্তি পার্টির নেতা চিরাগ পাসোয়ান (Chirag Paswan)। মঙ্গলবার এনডিএ (NDA) সঙ্গ ছেড়ে ইউপিএর (UPA) হাত ধরেছেন জনতা দল ইউনাইটেড (JDU) সুপ্রিমো নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)। বুধবার অষ্টমবারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথও নেন তিনি। উপমুখ্যমন্ত্রী হন আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব। তার পরেই নীতীশকে তোপ দাগেন লোক জনশক্তি পার্টির নেতা চিরাগ পাসোয়ান।

    এদিন একটি গাড়িতে করে তেজস্বীকে নিয়ে নীতীশ যান রাজভবনে। তার আগে মঙ্গলবার সেখানে রাজ্যপাল ফাগু চৌহানের কাছে গিয়ে ইস্তফা দেন তিনি।এর পরেই চিরাগ দাবি করেন, বিহারে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হোক। তারপর নতুন করে নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে বেছে নেওয়া হোক মুখ্যমন্ত্রী। গেরুয়া শিবিরের প্রতি সমর্থন জানিয়ে তিনি বলেন, নীতীশ যা চেয়েছেন তাই মেনে নিয়েছিল বিজেপি। তবুও তাদের সঙ্গত্যাগ করলেন তিনি।

    আরও পড়ুন : অষ্টমবারের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসলেন নীতীশ

    চিরাগ প্রয়াত কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামবিলাস পাসওয়ানের ছেলে। সংবাদ সংস্থার সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে চিরাগ বলেন, নীতীশ কুমার আবারও জনাদেশকে অপমান করলেন। উনি গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছেন…। তাঁর প্রশ্ন, এটা কী রসিকতা হচ্ছে? চিরাগ বলেন, একবার আপনি একজনের সঙ্গে যাবেন, পরে আর এক দিকে হাঁটবেন। মাননীয় রাজ্যপালের কাছে আমার আর্জি, রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা হোক। এর পরেই তিনি বলেন, নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে নতুন করে জনাদেশ নেওয়া হোক। চিরাগের দাবি, নতুন করে নির্বাচন হলে নীতীশের দল কোনও আসনই পাবে না। চিরাগ রয়েছেন বিজেপির পাশে। তাঁর দল ভেঙে তৈরি হওয়া রাষ্ট্রীয় লোক জনশক্তি পার্টিও বিজেপির পাশেই থাকার ইঙ্গিত দিয়েছে। এদিকে, ইস্তফা দিয়েই নীতীশ সটান চলে যান লালুপ্রসাদ যাদবের বাড়িতে। এর পরেই লালু-কন্যা রোহিণী আর্য ট্যুইট বার্তায় লেখেন, রাজতিলক কা করো তৈয়ারি, আ রহে হ্যায় লণ্ঠনধারী।

    আরও পড়ুন :পাটনায় পালাবদল! নীতীশ মুখ্যমন্ত্রী হলেও বেশি ক্ষমতা থাকবে লালু-পুত্রর হাতে?

LinkedIn
Share