Tag: news in bengali

news in bengali

  • Ramakrishna 434: এরই নাম বুঝি অর্ধবাহ্যদশা, যাহা শ্রীগৌরাঙ্গের হইয়াছিল

    Ramakrishna 434: এরই নাম বুঝি অর্ধবাহ্যদশা, যাহা শ্রীগৌরাঙ্গের হইয়াছিল

    শ্রীরামকৃষ্ণ: “নিমন্ত্রণবাড়ির শব্দ কতক্ষণ শোনা যায়? যতক্ষণ লোকে খেতে না বসে যায়। লুচি-তরকারি পড়লে, ওমনি বারোয়ানা শব্দ কমে যায়, সকলের হাস্য। অন্য খাবার পড়লে আরও কমতে থাকে। দই পাতে পাতে পড়লে কেবল চুপচাপ। ক্রমে খাওয়া হয়ে গেলেই নিদ্রা। ঈশ্বরকে যতক্ষণ লাভ হবে, ততই বিচার কমবে। তাকে লাভ হলে আর শব্দ, বিচার থাকে না। তখন নিদ্রা, সমাধি।”

    এই বলিয়া নরেন্দ্রর গায়ে হাত বুলাইয়া, মুখে হাত দিয়া আদর করিতেছেন ও বলিতেছেন— “হরি ওম, হরি ওম, হরি হরি ওম…”

    কেন এই রূপ করিতেছেন, না বলিতেছেন শ্রীরামকৃষ্ণ। কি নরেন্দ্রর মধ্যে সাক্ষাৎ নারায়ণ দর্শন করিতেছেন? এরই নাম কি মানুষের ঈশ্বরদর্শন?

    এরই নাম বুঝি অর্ধবাহ্যদশা, যাহা শ্রীগৌরাঙ্গের হইয়াছিল। এখনো নরেন্দ্রের পায়ের উপর হাত, যেন ছল করিয়া নারায়ণের পা টিপিতেছেন, আবার গায়ে হাত বুলাইতেছেন। এত গা-টেপা, পা-টেপা কেন? একে নারায়ণের সেবা করছেন না, শক্তি সঞ্চার করছেন?

    দেখিতে দেখিতে আরও ভাবান্তর হইতেছেন। এই, আবার নরেন্দ্রের কাছে হাতজোড় করে কী বলছেন? বলছেন, “একটা গান গা, তাহলে ভালো হব, উঠতে পারব। কেমন করে? গোরা প্রেমে গরগর মাতোয়ারা, নিতাই আমার!”

    এতক্ষণ আবার অবাক চিত্রপট্টলিকার মতো চুপ করে রহিয়াছেন। আবার ভাবে মাতোয়ারা হয়ে বলছেন, “দেখিস রায়, যমুনায় যে পড়ে যাবি!” কৃষ্ণ প্রেমে উন্মাদিনী, আবার ভাবে বিভোর বলিতেছেন, “সখি, সে বন কত দূর!”

    এখন জগৎ ভুল হয়েছে, কাহাকেও মনে নাই। নরেন্দ্র সম্মুখে, কিন্তু নরেন্দ্রকে আর মনে নাই। কোথায় বসে আছেন কিছুই হুঁশ নাই। এখন যেন মন-প্রাণ ঈশ্বরে গত হয়েছে।

  • Supreme Court: বিচারপতি ভার্মার আর্জি শোনার প্রয়োজন নেই, রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট

    Supreme Court: বিচারপতি ভার্মার আর্জি শোনার প্রয়োজন নেই, রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) অন্তর্বর্তী তদন্ত রিপোর্টকে চ্যালেঞ্জ করে বিচারপতি যশবন্ত ভার্মা (Justice Yashwant Varma) যে আবেদন জানিয়েছিলেন, তা খারিজ করে দিল দেশের সর্বোচ্চ আদালত। বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত এবং বিচারপতি এজি মাসিহের ডিভিশন বেঞ্চ এদিন স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, এই আর্জি শোনার কোনও প্রয়োজন নেই, কারণ বিচারপতি ভার্মা নিজেই সেই তদন্ত প্রক্রিয়ায় (Supreme Court) অংশ নিয়েছিলেন। রায়দানের সময় বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত বলেন, “পুরো প্রক্রিয়াটি আইনানুগভাবে পরিচালিত হয়েছে। এটি কোনও সমান্তরাল বা অতিসাংবিধানিক বিষয় নয়।” এই মামলার শুনানি শেষে ৩০ জুলাই রায় স্থগিত রাখা হয়েছিল। আজ, বৃহস্পতিবার সেই রায় ঘোষণা করে শীর্ষ আদালত।

    রিপোর্ট পাঠানো হয়েছিল রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে

    প্রসঙ্গত, বিচারপতি যশবন্ত ভার্মার বাসভবন থেকে বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থ উদ্ধার হওয়ার পরে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) একটি ‘ইন-হাউস’ তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল। সেই তদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতেই তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না বিচারপতি ভার্মাকে (Justice Yashwant Varma) অপসারণের সুপারিশ করেন। রিপোর্টটি পাঠানো হয়েছিল রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে।

    বিচারপতি ভার্মার হয়ে সওয়াল করেন কপিল সিব্বল

    এই সুপারিশ ও তদন্ত প্রক্রিয়ার আইনগত বৈধতা নিয়েই প্রশ্ন তুলে ফের সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হন বিচারপতি ভার্মা। তাঁর পক্ষে সওয়াল করেন প্রবীণ আইনজীবী কপিল সিব্বল। তবে আজ সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট জানিয়ে দিল, তদন্ত আইনসিদ্ধ এবং যথাযথভাবেই সম্পন্ন হয়েছে। সেই কারণেই বিচারপতি ভার্মার আর্জি গ্রহণযোগ্য নয় বলে জানানো হয়। এদিনের রায়ের মাধ্যমে কার্যত সুপ্রিম কোর্টের ‘ইন-হাউস’ তদন্ত প্রক্রিয়ার বৈধতাকেই সিলমোহর দিল দেশের শীর্ষ আদালত (Supreme Court)। এই রায়ের পর বিচারপতি ভার্মার অপসারণের পথে আর কোনও আইনি বাধা থাকল না বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বিচারব্যবস্থার স্বচ্ছতা ও নৈতিকতার প্রশ্নে এই রায়কে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

  • Vladimir Putin: আমেরিকার সঙ্গে শুল্কযুদ্ধের আবহে ভারত সফরে আসছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন

    Vladimir Putin: আমেরিকার সঙ্গে শুল্কযুদ্ধের আবহে ভারত সফরে আসছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin) অগাস্ট মাসের শেষদিকে ভারত সফরে আসছেন বলে জানিয়েছেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। রাশিয়ার সংবাদ সংস্থা ‘ইন্টারফ্যাক্স’ বৃহস্পতিবার মস্কো থেকে ডোভালের উদ্ধৃতি দিয়ে এ তথ্য জানায়। যদিও পুতিনের (Putin) সফরের নির্দিষ্ট তারিখ এখনও প্রকাশ করা হয়নি।

    আমেরিকার সঙ্গে শুল্ক যুদ্ধের আবহে এই সফর

    মাত্র একদিন আগেই, রাশিয়া থেকে তেল আমদানির প্রেক্ষিতে ভারতীয় পণ্যে ২৫ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক বসানোর ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী ২৭ অগাস্ট থেকে আমেরিকায় ভারতীয় রফতানি পণ্যের উপর মোট ৫০ শতাংশ শুল্ক বসবে। পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ট্রাম্প পরোক্ষে ইঙ্গিত দেন, রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বজায় রাখা দেশগুলির উপর আরও বিধিনিষেধ আনতে পারে আমেরিকা।

    ট্রাম্পকে একহাত নিলেন রুশ প্রশাসনের মুখপাত্র

    বৃহস্পতিবার ক্রেমলিনে রুশ প্রশাসনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, “আমরা (ট্রাম্পের) অনেক বিবৃতির কথাই শুনছি, যেগুলি আসলে হুমকি। বিভিন্ন দেশকে রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে বাধ্য করা হচ্ছে। আমরা এই বিবৃতিগুলিকে বৈধ এবং ন্যায্য বলে মনে করছি না।” একই সঙ্গে তাঁর সংযোজন, “আমরা বিশ্বাস করি যে কোনও সার্বভৌম দেশের স্বাধীন ভাবে বাণিজ্যসঙ্গী বেছে নেওয়ার অধিকার রয়েছে। নির্দিষ্ট কোনও দেশের জাতীয় স্বার্থ অনুযায়ী এই বাণিজ্যিক এবং অর্থনৈতিক বোঝাপড়া হয়ে থাকে।”

    পুতিনের (Vladimir Putin) আসন্ন ভারত সফর অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ

    এমন আবহে পুতিনের (Vladimir Putin) আসন্ন ভারত সফর অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন কূটনৈতিক মহল। একই দিনে রাশিয়ার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শিগগিরই ট্রাম্প ও পুতিনের মধ্যে বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে। রুশ প্রেসিডেন্টের বিদেশনীতি বিষয়ক উপদেষ্টা ইউরি উশাকভ জানিয়েছেন, বৈঠকের জন্য দুই দেশের মধ্যে কথাবার্তা চলছে। তবে কোথায় ও কবে সেই বৈঠক হবে, তা এখনও স্থির হয়নি।প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে ইউক্রেন আক্রমণ করার পর থেকেই রাশিয়ার বিরুদ্ধে একাধিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আমেরিকা ও পশ্চিমা দেশগুলি। আন্তর্জাতিক বাজারে রুশ অর্থনীতির উপরও তার প্রভাব পড়ে। সেই সময়েই রাশিয়া সস্তায় খনিজ তেল বিক্রি শুরু করে, এবং ভারত সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে রাশিয়া থেকে তেল আমদানির পরিমাণ কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয়। বর্তমানে নয়াদিল্লি তার মোট তেলের চাহিদার প্রায় ৩৫ শতাংশই রাশিয়া থেকে পূরণ করে।

  • Udaipur Files: ‘উদয়পুর ফাইলসে’র বিরুদ্ধে পুনর্বিবেচনার আবেদন খারিজ করে দিল কেন্দ্রও

    Udaipur Files: ‘উদয়পুর ফাইলসে’র বিরুদ্ধে পুনর্বিবেচনার আবেদন খারিজ করে দিল কেন্দ্রও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘দ্য উদয়পুর ফাইলস’ (Udaipur Files) চলচ্চিত্রটির বিরুদ্ধে দায়ের করা পুনর্বিবেচনার আবেদন খারিজ করে দিল তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক (Union Government)। ৬ অগাস্ট সরকারি নির্দেশে মন্ত্রক জানায়, সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ফিল্ম সার্টিফিকেশন (CBFC) আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে এবং ৫৫টি সংশোধন প্রয়োগ করার পর চলচ্চিত্রটিকে ছাড়পত্র দেয়। মন্ত্রক আরও জানিয়েছে, প্রযোজকরা সিবিএফসি নির্দেশিত সংশোধনের বাইরেও অতিরিক্ত সম্পাদনা করেছেন। মন্ত্রক এও জানিয়েছে, যারা চলচ্চিত্রটির মুক্তির বিরোধিতা করেছেন, তাঁরা এমন কোনও যুক্তিসম্মত কারণ দেখাতে পারেননি যাতে মন্ত্রক আরও পদক্ষেপ করতে বাধ্য হয়।

    দ্য উদয়পুর ফাইলস’: কেন্দ্রের বক্তব্য (Udaipur Files)

    মন্ত্রকের পক্ষে আন্ডার সেক্রেটারি সন্তোষ কুমার মৌর্য বলেন, “উপরোক্ত তথ্য ও প্রাপ্ত ফলের নিরিখে, এবং ১ অগাস্ট, ২০২৫ তারিখে দিল্লি হাইকোর্ট কর্তৃক প্রদত্ত নির্দেশনার ভিত্তিতে, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ (যিনি সিনেমাটোগ্রাফ আইন, ১৯৫২-এর ধারা ৬ অনুযায়ী পুনর্বিবেচনা কর্তৃপক্ষ হিসেবে কাজ করছেন) মনে করেন যে, এই আইনের ধারা ৬(২) প্রয়োগের কোনও উপযুক্ত ভিত্তি নেই। অতএব, পুনর্বিবেচনা আবেদন ও অন্যান্য উপস্থাপনাগুলি খারিজ করা হল।”

    দিল্লি হাইকোর্টের নির্দেশ

    এর আগে দিল্লি হাইকোর্ট ‘উদয়পুর ফাইলস’ (Udaipur Files)  ছবিটি পুনরায় পর্যালোচনার নির্দেশ দিয়েছিল, যখন অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল চেতন শর্মা আদালতকে জানিয়েছিলেন যে, মন্ত্রক পূর্বের কাটছাঁট সংক্রান্ত আদেশ প্রত্যাহার করে আইনানুগ প্রক্রিয়া অনুসারে একটি নতুন সিদ্ধান্ত নেবে (Union Government)। আদালত কেন্দ্রের এমন সম্পাদনার নির্দেশ দেওয়ার কর্তৃত্ব নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল। চলচ্চিত্রটির প্রযোজকরা ৮ অগাস্ট ছবিটি মুক্তির পরিকল্পনা করায় আদালত মন্ত্রককে নির্দেশ দেয় যে ৭ অগাস্টের মধ্যে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

    প্রসঙ্গত, ‘উদয়পুর ফাইলস’ ছবিটির মুক্তির বিরোধিতায় দায়ের করা কয়েকটি মামলার শুনানি করছিল দিল্লি হাই কোর্ট। আবেদনকারীদের মধ্যে ছিলেন জমিয়ত উলেমা-ই-হিন্দের সভাপতি মওলানা আরশাদ মাদানি এবং কানহাইয়া লাল হত্যা মামলার এক অভিযুক্ত। তাঁদের যুক্তি, এই চলচ্চিত্রটিতে মুসলমানদের নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, যা বিচারপ্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করতে পারে এবং অভিযুক্তের ন্যায্য বিচারের অধিকার ক্ষুণ্ণ হতে পারে (Udaipur Files)।

    কানহাইয়া লাল নামে উদয়পুরের এক দর্জিকে ২০২২ সালের জুন মাসে নৃশংসভাবে খুন করে দুই আততায়ী। তিনি প্রাক্তন বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মার পক্ষে একটি হোয়াটসঅ্যাপ স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন (Union Government)। নূপুর শর্মা পূর্বে নবী মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে বিতর্কিত একটি মন্তব্য করেছিলেন। চলচ্চিত্রটি মুক্তির দিন ধার্য করা হয়েছিল ১১ জুলাই (Udaipur Files)।

  • PM Modi: “ভারত কখনওই কৃষকদের স্বার্থের সঙ্গে আপস করবে না,” ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের পর সাফ জানালেন মোদি

    PM Modi: “ভারত কখনওই কৃষকদের স্বার্থের সঙ্গে আপস করবে না,” ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের পর সাফ জানালেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “কৃষকদের স্বার্থ আমাদের কাছে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পেয়ে থাকে। ভারত কখনওই তার কৃষক, পশুপালক ও মৎস্যজীবীদের স্বার্থের সঙ্গে আপস করবে না।”  পর পর দু’দফায় ভারতীয় পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের কথা ঘোষণা করার পর বৃহস্পতিবারই এমন প্রতিক্রিয়া দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এদিন দিল্লিতে এমএস স্বামীনাথন জন্মশতবার্ষিকী আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বক্তৃতা দেন প্রধানমন্ত্রী।

    মোদির সাফ কথা (PM Modi)

    সেখানেই তিনি বলেন, “ভারত কখনওই তার কৃষক, পশুপালক এবং মৎস্যজীবী ভাই-বোনদের স্বার্থের সঙ্গে আপস করবে না। আমি ব্যক্তিগতভাবে জানি যে, এর জন্য আমাকে অনেক বড় মূল্য চোকাতে হতে পারে, কিন্তু আমি তার জন্য প্রস্তুত। ভারত দৃঢ়ভাবে তার কৃষকদের পাশে আছে, এবং তাদের কল্যাণের জন্য যা কিছুই করতে হয়, আমি তা-ই করতে প্রস্তুত।” উল্লেখ্য, দেশের কৃষিক্ষেত্রে কার্যত বিপ্লব ঘটিয়েছিল সবুজ বিপ্লব। এই বিপ্লবের স্থপতি ছিলেন কৃষিবিজ্ঞানী স্বামীনাথন। তাঁর জনশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে গিয়ে কৃষকদের স্বার্থরক্ষার কথা বলে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বার্তা দেওয়ার পাশাপাশি দেশের কৃষক সমাজকেও বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী।

    বিদেশমন্ত্রকের বক্তব্য

    এদিকে, প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যটি এসেছে এমন একটা সময়ে যখন ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেছে। রাশিয়া থেকে তেল আমদানি অব্যাহত রাখায় ভারতের ওপর এই শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। ভারত একে অন্যায্য, অযৌক্তিক ও অবিবেচনাপ্রসূত বলে অভিহিত করেছে। বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারতের রাশিয়া থেকে তেল আমদানিকেই টার্গেট করেছে। যদিও এই বিষয়ে নয়াদিল্লি (PM Modi) তার অবস্থান স্পষ্টভাবেই ব্যাখ্যা করে দিয়েছে। বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, “আমাদের আমদানি বাজার পরিস্থিতির ওপর নির্ভরশীল এবং এর প্রধান উদ্দেশ্য হল ১৪০ কোটিরও বেশি ভারতীয় নাগরিকের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।” আমেরিকার এই পদক্ষেপকে গভীরভাবে দুঃখজনক আখ্যা দিয়ে বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, অনেক দেশই তাদের জাতীয় স্বার্থের ভিত্তিতে এখনও রাশিয়া থেকে তেল আমদানি চালিয়ে যাচ্ছে। কেবলমাত্র ভারতকে শাস্তিমূলক পদক্ষেপের জন্য নিশানা করাকে বৈষম্যমূলক উল্লেখ করে ভারত সরকার জানিয়েছে যে জাতীয় স্বার্থ রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপই করা হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আন্তর্জাতিক চাপ বাড়লেও আমার সরকার গ্রামীণ জনগণের স্বার্থ রক্ষায় অঙ্গীকারবদ্ধ।”

    বাধার প্রাচীর কেবল তেল নয়, কৃষিও

    যদিও রাশিয়ার তেল কেনার বিষয়টি ভারত–মার্কিন সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ বাধা হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে, তবুও বাজারে প্রবেশাধিকারের চাহিদা, ভর্তুকি কাঠামো এবং খাদ্য নিরাপত্তার অগ্রাধিকারের মৌলিক পার্থক্যের কারণে কৃষিও দীর্ঘদিন ধরেই দুই দেশের বাণিজ্য আলোচনায় একটি বাধার প্রাচীর হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে (PM Modi)। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের কৃষি ও দুগ্ধজাত পণ্যের জন্য ভারতীয় বাজারে আরও বড় প্রবেশাধিকার চায়। অথচ ভারত চায় তার অভ্যন্তরীণ কৃষি খাতকে সুরক্ষা দিতে। এটি একটি বিশাল গ্রামীণ জনগোষ্ঠীকে সাহায্য করে এবং ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের কাঠামোর অধীনে পরিচালিত হয়।জেনেটিক্যালি মডিফায়েড (GM) ফসল, স্বাস্থ্য ও উদ্ভিদ স্বাস্থ্যবিধি মানদণ্ড এবং স্থানীয় জীবিকার সম্ভাব্য বিঘ্ন নিয়েও উদ্বেগে রয়েছে আমেরিকা ও ভারত দুই দেশই। এটা আলোচনাকে আরও জটিল করে তোলে। ফলে কৃষি ক্ষেত্রটি দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য আলোচনার সবচেয়ে সংবেদনশীল ও বিতর্কিত অংশগুলির একটি হিসেবেই রয়ে গিয়েছে। তবে কোনওরকম ভুল বোঝাবুঝির অবকাশ যাতে না থাকে, তাই ভারত সরকার সাফ জানিয়ে দিয়েছে, কৃষকদের স্বার্থই সর্বোচ্চ, এবং ভারত কোনও চাপের কাছেই নত হবে না (PM Modi)।

    বাণিজ্যচুক্তি আপাতত বিশ বাঁও জলে

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ভারত-আমেরিকা বাণিজ্যচুক্তি চূড়ান্ত হওয়ার সম্ভাবনা আপাতত বিশ বাঁও জলে। এখনও পর্যন্ত দুই দেশের মধ্যে আলোচনা হয়েছে পাঁচ দফায়। আরও আলোচনা হওয়ার কথা। তবে চূড়ান্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার আগে একটি অন্তবর্তী সমঝোতা সেরে নিতে চাইছে দুই দেশ। চলতি মাসেই মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধিদলের ভারতে আসার কথা। কেন্দ্রের একটি সূত্রের খবর, আমেরিকা চায় ভারত তাদের জন্য পুরোপুরি খুলে দিক কৃষিপণ্য, দুধ এবং দুগ্ধজাত পণ্যের বাজার। এতেই আপত্তি জানিয়েছে ভারত। তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে আমেরিকার সুবিধা হয়, এমন একপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষর করতে রাজি নয় নরেন্দ্র মোদির দেশ (PM Modi)।

    প্রসঙ্গত, রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত জ্বালানি কেনায় বুধবারই ভারতীয় পণ্যের ওপর আরও ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করার কথা ঘোষণা করেছেন ট্রাম্প। তার ফলে ২৭ অগাস্ট থেকে আমেরিকায় কোনও পণ্য রফতানি করতে হলে সব মিলিয়ে ভারতকে দিতে হবে ৫০ শতাংশ শুল্ক। পরে ট্রাম্প বলেন, “রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বজায় রাখা হলে দেশগুলির ওপর আরও অনেক বিধিনিষেধ আরোপ করা হবে (PM Modi)।”

  • Election Commission: স্পষ্ট সংঘাত! রাজ্যের পাঠানো আধিকারিকদের নামের তালিকা পছন্দ হল না নির্বাচন কমিশনের

    Election Commission: স্পষ্ট সংঘাত! রাজ্যের পাঠানো আধিকারিকদের নামের তালিকা পছন্দ হল না নির্বাচন কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের এখনও কয়েক মাস বাকি। তার আগেই শুরু হয়ে গিয়েছে রাজ্য বনাম কমিশন , জোর সংঘাত। ভোটার লিস্টে কারচুপির অভিযোগে, ২ ইআরও, ২ এইআরওকে সাসপেন্ড করে তাদের বিরুদ্ধে এফআইআরের নির্দেশ দিয়েছে কমিশন (Election Commission)। যা নিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানিয়েছেন, রাজ্যের কোনও অফিসারকে তিনি সাসপেন্ড হতে দেবেন না। এর পরই কমিশনের স্পষ্ট কথা, নির্দেশ মেনে পদক্ষেপ না হলে মুখ্যসচিবের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। এই আবহে রাজ্য নির্বাচনী আধিকারিকের (CEO) দফতরে অতিরিক্ত সিইও, ডেপুটি সিইও এবং যুগ্ম সিইও পদমর্যাদার আধিকারিক পদে রাজ্যের পাঠানো ৯ জনের প্যানেলই বাতিল করল কমিশন। রাজ্যের কাছে নতুন তালিকা চেয়ে পাঠানো হয়েছে।

    নয়া তালিকা পাঠাতে নির্দেশ

    রাজ্য মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে প্রয়োজন অতিরিক্ত সিইও, ডেপুটি সিইও এবং যুগ্ম সিইও পদমর্যাদার আধিকারিক। নিয়ম অনুযায়ী ওই সব পদের জন্য কমিশনে নামের তালিকা পাঠায় রাজ্য। সেই মতো এ বারেও নামের তালিকা পাঠিয়েছিলেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। তবে সেই তালিকা সম্পূর্ণ খারিজ করে দিল কমিশন (Election Commission)। আবার নতুন করে নামের তালিকা পাঠাতে বলা হয়েছে। যে তিনটি পদে আধিকারিকদের দায়িত্ব দেওয়া হবে সাধারণত ওই পদগুলির দায়িত্ব সামলান ডব্লিউবিসিএস পদমর্যাদার আধিকারিকেরা। সেই অনুযায়ী প্রতি পদের জন্য রাজ্যের পক্ষ থেকে তিন জন করে আধিকারিকের নাম পাঠানো হয়েছিল কমিশনে। তবে নয় জনের মধ্যে থেকে এক জনকেও ‘পছন্দ’ হয়নি কমিশনের। তাই ‘আপত্তি’ জানিয়ে নতুন করে নবান্নে নামের তালিকা চেয়ে পাঠিয়েছে কমিশন।

    রাজ্যের তালিকায় কাদের নাম

    ইতিমধ্যেই কমিশনে এসআইআর নিয়ে তোড়জোড় শুরু হয়েছে। কমিশনের তরফে সিইও দফতরে সেই বিষয়ে চিঠিও দেওয়া হয়েছে। অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (অ্যাডিশনাল সিইও) হিসেবে বিশেষ সচিব সুদীপ মিত্র, বিধাননগর পুরসভার বিশেষ সচিব সুজয় সরকার ও পঞ্চায়েত ও গ্রাম উন্নয়নের অতিরিক্ত সচিব সুদীপ সরকারের নাম পাঠানো হয়। যুগ্ম মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (জয়েন্ট সিইও) হিসেবে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প দফতরের অতিরিক্ত সচিব অরুন্ধতী ভৌমিক, স্টাফ সিলেকশন কমিশনরের সচিব সৌম্যজিৎ দেবনাথ ও স্বাস্থ্য দফতরের অতিরিক্ত সচিব বহ্নিশিখা দে-র নাম পাঠানো হয় ও ডেপুটি সিইও পদের জন্য বিদ্যুৎ দফতরের যুগ্ম সচিব বা জয়েন্ট সেক্রেটারি রঞ্জন চক্রবর্তী, বিধাননগরের ল্যান্ড ম্যানেজার রাজীব মণ্ডল ও পূর্ত দফতরের যুগ্ম সচিব প্রিয়রঞ্জন দাসের নাম পাঠিয়েছিল রাজ্য। বুধবার কমিশনের (Election Commission) তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ওই তালিকা পছন্দ নয়। নতুন তালিকা বানিয়ে পাঠাতে হবে কমিশনে। অন্যদিকে, এটাও মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে যে বেশিদিন ওই শূন্যপদ ফেলে রাখা যাবে না।

  • Election Commission: মুখ্যসচিবের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা! ৪ অফিসারের বিরুদ্ধে এফআইআর-এর নির্দেশ কমিশনের

    Election Commission: মুখ্যসচিবের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা! ৪ অফিসারের বিরুদ্ধে এফআইআর-এর নির্দেশ কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটার লিস্টে কারচুপির অভিযোগে মঙ্গলবার বারুইপুর পূর্ব ও ময়না বিধানসভা কেন্দ্রের দুই ইআরও (Electoral Registration Officer) এবং দুই সহকারী ইআরও-কে সাসপেন্ড করেছে নির্বাচন কমিশন। পাশাপাশি এক ডেটা এন্ট্রি অপারেটরের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রুজুর নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। দ্রুত এঁদের বিরুদ্ধে এফআইআর করার নির্দেশ দিয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিবের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন। পুঙ্খাপুঙ্খানুরূপে ব্যবস্থা নেওয়ার পর কমিশনের কাছে একটি রিপোর্ট পাঠাতে বলা হয়েছে। সূত্রের খবর, নির্দেশ মতো ব্যবস্থা না-হলে মুখ্যসচিবের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ করতে পারে কমিশন (Election Commission)।

    কী অভিযোগ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে

    নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) তরফে জানানো হয়েছে, ওই চার আধিকারিক কমিশনের হয়ে কাজ করার সময় গোপনীয়তা বজায় রাখতে পারেননি। কয়েকজন ব্যক্তির হাতে তাঁদের লগ-ইন আইডি ও পাসওয়ার্ড তুলে দিয়েছেন। অন্যদিকে নাম নথিভুক্তির সময়েও বেশ কিছু ভুল তথ্য নথিভুক্ত করেছেন। আধিকারিকদের এই ধরনের কার্যকলাপকে অপরাধমূলক বলে অ্যাখ্যা দিয়েছে কমিশন। এই কারণেই দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় নিযুক্ত মোট চারজনকে সঙ্গে সঙ্গে সাসপেন্ড করা হয়েছে। কমিশন সূত্রে খবর, বারুইপুর পূর্বের ইআরও এবং এইআরও ছিলেন দেবোত্তম দত্ত চৌধুরী এবং তথাগত মণ্ডল। ময়না বিধানসভা কেন্দ্রে ওই দুই পদে কাজ করছিলেন বিপ্লব সরকার ও সুদীপ্ত দাস। এই চারজন আধিকারিক ছাড়াও সুরজিৎ হালদার নামে একজন ডেটা এন্ট্রি অপারেটরের নামেও এফআইআর করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এরা সকলেই ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজে যুক্ত ছিলেন।

    মমতার হুমকি

    এ প্রসঙ্গে নির্বাচনকেন্দ্রিক প্রশাসনের কর্মীদের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। তাঁর মতে, এই সাসপেনশনের সিদ্ধান্ত আদতে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। নির্বাচন আসার আগেই পরিকল্পিতভাবে রাজ্যের প্রশাসনিক পরিকাঠামোয় চাপ সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে কমিশন। হুঁশিয়ারির সুরে তিনি এও বলেন, “ভোট তো এখনও আট মাস বাকি। এখন থেকেই অফিসারদের ভয় দেখাচ্ছো? ক্ষমতা দেখাচ্ছো? কার ক্ষমতা দিয়ে এই কাজ করছো? আমরা সহ্য করব না।” তিনি বলেছেন, ‘‘আমি কারও কোনও পানিশমেন্ট (শাস্তি) হতে দেব না।’’

    কমিশনের পাল্টা

    ঘটনাচক্রে, মুখ্যমন্ত্রীর (EC Mamata Conflict) ওই মন্তব্যের পরই কমিশন সূত্রে জানা যায়, নির্দেশ মোতাবেক পদক্ষেপ না হলে মুখ্যসচিবের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ করতে পারে তারা। তাদের ব্যাখ্যা, ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ সারা বছর ধরে হতে পারে। এর সঙ্গে নির্বাচনের কোনও সম্পর্ক নেই। সংবিধানের ৩২৪ ধারা কমিশনকে পূর্ণ ক্ষমতা দিয়েছে ভোটার তালিকা তৈরি করা এবং নির্বাচন করানোর। সেই কাজে লোক দিতে বাধ্য রাজ্য সরকার। কমিশন এবং ইআরও-র মাঝে আর কেউ নেই বলেই দাবি ওই সূত্রের।

    মানবিক দৃষ্টিতে দেখার আর্জি

    ওই চার জনের মধ্যে দু’জন রয়েছেন ডব্লিউবিসিএস আধিকারিক। তাঁদের বিরুদ্ধে কমিশনের নির্দেশের প্রেক্ষিতে বুধবার নবান্নে চিঠি পাঠিয়েছে আমলাদের এক সংগঠন। কমিশনের ওই নির্দেশের বিরুদ্ধে হস্তক্ষেপের আর্জি জানিয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে চিঠি পাঠিয়েছে ডব্লিউবিসিএস (এক্সিকিউটিভ) অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন। কমিশনের ওই নির্দেশকে মানবিক দৃষ্টিভঙ্গিতে বিবেচনা করার জন্য মুখ্যসচিবকে অনুরোধ করেছে আমলাদের সংগঠন। চিঠিতে তারা জানিয়েছে, নির্বাচনী প্রক্রিয়ার পবিত্রতা এবং সততা বজায় রাখা যেমন প্রয়োজন, তেমনই এই ধরনের সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে ন্যায্য ভাবে তা বিবেচনা করা উচিত।

    অপরাধ প্রমাণিত হলে, জেল!

    ১৯৫০ সালের জনপ্রতিনিধিত্ব আইন মোতাবেক, রাজ্যের যেসকল কর্মী ভোটার তালিকার সংশোধন বা সমীক্ষা সংক্রান্ত কাজে যুক্ত থাকেন, তাঁরা ডেপুটেশনে নির্বাচন কমিশনের কর্মী হিসেবে কাজ করছেন বলে গণ্য হয়। সেই হিসেবে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের পাশাপাশি জেলা নির্বাচন আধিকারিক, নির্বাচন নিবন্ধন আধিকারিক, সহকারী নির্বাচন নিবন্ধন আধিকারিকরাও কমিশনের অধীনস্থ এই সময়। কমিশনের (Election Commission) নির্দেশ মেনে তাঁরা কাজ না করলে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে পারে কমিশন। অপরাধ প্রমাণ হলে তিন মাস থেকে দু’বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডও হতে পারে। রাজ্যের মুখ্যসচিবকে পাঠানো চিঠিতে সে কথাও মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে।

  • ISRO: লাদাখেই তৈরি হল মঙ্গল গ্রহের পরিবেশ, ইসরোর অভিনব মিশন নিয়ে বাড়ছে কৌতূহল

    ISRO: লাদাখেই তৈরি হল মঙ্গল গ্রহের পরিবেশ, ইসরোর অভিনব মিশন নিয়ে বাড়ছে কৌতূহল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো, লাদাখে শুরু করল এক অন্য ধরনের মিশন, যার পোশাকি নাম দেওয়া হয়েছে হোপ – হিমালয়ান আউটপোস্ট ফর প্ল্যানেটারি এক্সপ্লোরেশন। গত ১ অগাস্ট থেকে শুরু হয়েছে এই মিশন, চলবে ১০ অগাস্ট পর্যন্ত। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, আগামী দিনে ভারতের চন্দ্র অভিযান এবং মঙ্গল অভিযানের প্রস্তুতির দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হলো ইসরোর (ISRO) এই মিশন। এর জন্য ইসরোর বিজ্ঞানীরা বেছে নিয়েছেন এমন একটি অঞ্চলকে, যে অঞ্চলের সঙ্গে অনেক দিক থেকেই মিল রয়েছে মঙ্গল গ্রহের। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৪ হাজার ৫৩০ মিটার উপরে অবস্থিত, এখানে বায়ুর চাপ অত্যন্ত কম রয়েছে। তার সঙ্গে রয়েছে প্রবল ঠান্ডা, আবার অতি বেগুনি রশ্মির তীব্রতাও রয়েছে।

    রাখা হয়েছে দুটি যুক্ত মডিউল বিশিষ্ট আবাসন ব্যবস্থা (ISRO)

    গবেষকরা বলছেন, এই ধরনের পরিস্থিতি হল পৃথিবীর উপগ্রহ চাঁদ কিংবা মঙ্গল গ্রহের সঙ্গে পরিবেশের একদমই সাদৃশ্যপূর্ণ। তাই ভবিষ্যতে মহাকাশচারীরা চন্দ্র বা মঙ্গল অভিযানে (Mars Mission) গেলে, তার আগের পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য একদম আদর্শ পরিবেশ। ইসরোর এই মিশনের অনেক রকমের বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এখানে রাখা হয়েছে দুটি যুক্ত মডিউল বিশিষ্ট আবাসন ব্যবস্থা, যার একটি ৮ মিটার প্রশস্ত এবং এটি ক্রুদের জন্য, অপরটি পাঁচ মিটার ইউটিলিটি ইউনিট (ISRO)। এই আবাসনে মিলছে প্রায় সমস্ত রকমেরই ব্যবস্থা। এখানে রয়েছে রান্নাঘর। ভবিষ্যতে মহাকাশচারীরা যখন যাবেন, তখন চাঁদ বা মঙ্গল গ্রহে রান্না করে খেতে হবে বৈকি। রয়েছে স্যানিটারি সুবিধাও। মানবজীবনের অত্যাবশ্যক প্রয়োজনীয়তাগুলোর ওপরও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে এই পরীক্ষামূলক আবহে। রয়েছে হাইড্রোপনিক ফার্মিংয়ের মতো আধুনিক কৃষিপদ্ধতি, যা জলবিহীন ও মাটিবিহীন কৃষিকে সম্ভব করে তোলে, তা-ও এখানে বাস্তবায়িত হয়েছে। এইভাবে ভবিষ্যতের অভিযানে খাদ্য সরবরাহের সম্ভাব্য বিকল্প পদ্ধতি নিয়ে পরীক্ষা চলছে।

    ইসরোর সঙ্গে যোগ দিয়েছে অন্যান্য সংস্থাও

    ইসরোর তরফ থেকে জানানো হয়েছে, দশ দিনের যে প্রস্তুতিপর্ব চলছে বা মিশন, সেখানে দুজন ক্রু সদস্য আবাসনের ভিতরে থাকবেন। ওই আবাসনের ভিতরে থাকার সময়, তাঁদের শারীরিক, মানসিক এবং বৌদ্ধিক পর্যায়ের কোন কোন প্রতিক্রিয়া উঠে আসছে, তা পর্যবেক্ষণ করা হবে এবং বিশ্লেষণ করা হবে। লাদাখের ওই অঞ্চলে (ISRO) গবেষণা চালাচ্ছে ইসরো। তবে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণার সঙ্গে জুড়েছে দেশের অন্যান্য সেরা প্রতিষ্ঠানগুলি। কোন কোন প্রতিষ্ঠানগুলি ইসরোর সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এই প্রকল্পে কাজ করছে, তা একবার জেনে নিই। রয়েছে আইআইটি বোম্বে, আইআইটি হায়দরাবাদ, আইআইএসটি তিরুবনন্তপুরম, আরজিসিবি তিরুবনন্তপুরম এবং ইনস্টিটিউট অব স্পেস মেডিসিন।

    কী কী নিয়ে চলছে গবেষণা (ISRO)

    ইসরো সূত্রে জানানো হয়েছে যে, উপরে উল্লেখ করা এই সংস্থাগুলির গবেষকরা নানাভাবে গবেষণা চালাচ্ছেন, যেমন: ক্রুদের হেলথ মনিটরিং, গ্রহপৃষ্ঠ অপারেশন, জীবাণু সংগ্রহ, উন্নত চিকিৎসা ও প্রযুক্তির নানা বিষয়। এই হোক মিশনে যারা যাবেন, তখন তাদের যে ধরনের পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হবে, তারই একটা মহড়া এবং সেই লক্ষ্যে এই পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হচ্ছে। এইরকম উদ্যোগ ভারতের মহাকাশ গবেষণাকে শুধু আরও আত্মনির্ভরই করবে না, বরং আন্তর্জাতিক মহাকাশ মিশনের প্রতিযোগিতায় ভারতের অবস্থানকে আরও শক্তিশালী ও মর্যাদাপূর্ণ করে তুলবে বলেই ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

    ২০৪০ সালের মধ্যে চাঁদে মানুষ পাঠানোর লক্ষ্য

    এই প্রকল্পের নেতৃত্ব দিচ্ছে ইসরোর হিউম্যান স্পেস ফ্লাইট সেন্টার। জানা যাচ্ছে, ২০৪০ সালের মধ্যে চাঁদে মানব পাঠানো এবং ভবিষ্যতের মঙ্গল অভিযান সফলভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্য নিয়েছে ইসরো। এবং মহাকাশের পরিবেশের অনুকরণে গড়ে তোলা হয়েছে মিশন। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ইসরোর এই মিশনের মাধ্যমে ধাপে ধাপে তৈরি করা হচ্ছে এমন এক পরিবেশ, যা ভবিষ্যতের চাঁদ বা মঙ্গল অভিযানে অংশগ্রহণকারী মহাকাশচারীদের জন্য প্রস্তুতির মঞ্চ হিসেবে কাজ করবে। এই পরিবেশে টিকে থাকার জন্য যে ধরণের জীবনধারা, শারীরিক সক্ষমতা, মানসিক দৃঢ়তা এবং প্রযুক্তিগত দক্ষতা প্রয়োজন, তা এখানে বাস্তব পরিস্থিতির মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ন করা হচ্ছে।

    কী বলছেন ইসরোর চেয়ারম্যান

    এ নিয়ে ইসরোর চেয়ারম্যান ডঃ ভি নারায়ণ বলছেন, যে হোক শুধুমাত্র আমাদের জন্য কেবল একটি ধৈর্যের পরীক্ষা নয় — এটি ভারতের ভবিষ্যতে মানব মহাকাশ অভিযানের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মিশন। এখানে সরাসরি মহাকাশচারীদের প্রশিক্ষণ এবং মিশনের ডিজাইন, তার ব্যবস্থা, প্রযুক্তি ব্যবস্থা — এই সমস্ত কিছুই খুঁটিনাটিতে পরীক্ষা করা হবে। ইসরোর চেয়ারম্যান ডঃ আরও বলছেন যে, ভবিষ্যতের জন্য আমাদের এই মহড়া চলছে। মহাকাশে মানুষ পাঠানোর আগে এধরনের মিশন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

  • US Tariff on India: ‘‘অন্যায্য, অন্যায় ও অযৌক্তিক’’! আমেরিকার ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া ভারতের

    US Tariff on India: ‘‘অন্যায্য, অন্যায় ও অযৌক্তিক’’! আমেরিকার ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়ার কাছে তেল কেনা বন্ধ না করায় ভারতের পণ্যে আমেরিকার বাড়তি ২৫ শতাংশ শুল্ক (US Tariff on India) আরোপের সিদ্ধান্তের নিন্দা করল বিদেশ মন্ত্রক। বুধবারই ভারতের উপর শুল্কের পরিমাণ দ্বিগুণ করে দিয়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফলে মোট শুল্কের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫০ শতাংশ। আমেরিকার এই পদক্ষেপ ‘অন্যায্য, অন্যায় ও অযৌক্তিক’ বলে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে। পাশাপাশি স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়, ‘জাতীয় স্বার্থ সুরক্ষিত করতে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ করবে ভারত।’

    কেন এই পদক্ষেপ

    মঙ্গলবারই প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে, আমেরিকা ভারতের উপর ‘খুব উল্লেখযোগ্যভাবে’ শুল্ক (US Tariff on India) বৃদ্ধি করতে চলেছে। রাশিয়ার সঙ্গে ভারত বাণিজ্য অব্যাহত রাখায় এই সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে আমেরিকা। সেইমতোই রাশিয়ার কাছে তেল কেনা বন্ধ না করায় ভারতের উপর অতিরিক্ত আরও ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের কথা ঘোষণা করলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট। এই মর্মে এক্সকিউটিভ অর্ডারে তিনি সইও করে দিয়েছেন। এরই পাল্টা হিসেবে কড়া বিবৃতি জারি করল ভারত। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বিবৃতিটি সমাজমাধ্যমেও পোস্ট করেছেন।

    বিদেশমন্ত্রকের বিবৃতি

    বিদেশমন্ত্রকের বিবৃতি অনুযায়ী, ‘‘গত কয়েক দিন ধরে রাশিয়া থেকে ভারতের তেল আমদানিকে নিশানা করেছে আমেরিকা। আমরা এ বিষয়ে আমাদের অবস্থান ইতিমধ্যেই স্পষ্ট করেছি। আমাদের আমদানি বাজারের পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে। ভারতের ১৪০ কোটি মানুষের জ্বালানির নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য। অন্য অনেক দেশ জাতীয় স্বার্থ সুরক্ষিত করতে একই পদক্ষেপ করছে। তা সত্ত্বেও বাড়তি শুল্ক আরোপের জন্য আমেরিকা বেছে নিচ্ছে ভারতকে, যা দুর্ভাগ্যজনক। এই পদক্ষেপ অন্যায্য, অযৌক্তিক এবং অন্যায়। আমরা এর প্রতিবাদ করছি। জাতীয় স্বার্থ সুরক্ষিত করতে ভারত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবে।’’

    কবে থেকে কার্যকর অতিরিক্ত শুল্ক

    ভারতীয় পণ্যের উপর শুল্ক (US Tariff on India) নিয়ে মোট ন’দফা নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাম্প। বলা হয়েছে, রুশ সরকারের কাছ থেকে প্রত্যক্ষ এবং পরোভাবে তেল কিনে চলেছে ভারত সরকার। এর ফলে ভারতের উপর ২৫ শতাংশ বাড়তি শুল্ক চাপবে। এই নির্দেশিকার ২১ দিনের মাথায়, মধ্যরাত ১২টা বেজে ১ মিনিট থেকে নয়া হারে শুল্ক কার্যকর হবে আমেরিকার বাজারে এসে পৌঁছনো, গুদাম থেকে বের করা ভারতীয় পণ্যের উপর। ট্রাম্প আরও জানিয়েছেন, ভারতের উপর ইতিমধ্যে যে শুল্ক, কর, ফি, আরোপ করা হয়েছে, তার উপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপবে। ট্রাম্প জানিয়েছেন, আরও যেমন যেমন তথ্য হাতে পাবেন তিনি, এই নির্দেশিকায় তেমন তেমন রদবদলও ঘটাতে পারেন। আগেই ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছিল ভারতীয় পণ্যে। তা ৭ অগাস্ট থেকে কার্যকর হওয়ার কথা। বুধবারের বাড়তি ২৫ শতাংশের ফলে আগামী ২৭ অগাস্ট থেকে ভারতকে আমেরিকায় রফতানি করতে হলে ৫০ শতাংশ শুল্ক দিতে হবে। এই ঘোষণার পর আমেরিকার আরোপিত সর্বোচ্চ শুল্কের তালিকায় চলে এল ভারতের নাম। এ ছাড়া, ব্রাজিলের পণ্যের উপরেও ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।

    জাতীয় স্বার্থ দেখেই কাজ করবে দিল্লি

    ২০২২ সালে রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করেছিল। এখনও পূর্ব ইউরোপে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ চলছে। রাশিয়ার আগ্রাসনের প্রতিবাদে আমেরিকা-সহ পশ্চিমি বিশ্ব তাদের উপর একাধিক বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল। আন্তর্জাতিক বাজারে রুশ বাণিজ্য যে কারণে বড়সড় ধাক্কা খায়। সেই সময়ে রাশিয়া সস্তায় খনিজ তেল বিক্রি শুরু করে। জাতীয় স্বার্থের কথা মাথায় রেখে ভারত রাশিয়া থেকে তেল কেনা কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিয়েছিল সেই সময়। ভারত সারা বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম তেল আমদানিকারক দেশ। এই মুহূর্তে ভারত যে তেল আমদানি করে তার ৩৫ শতাংশই রাশিয়া থেকে। আমেরিকার লাগাতার হুমকির মুখেও এখনও পর্যন্ত রাশিয়ার তেল আমদানি বন্ধের কথা বলেনি নয়াদিল্লি। আগেই এ বিষয়ে অবস্থান স্পষ্ট করেছিল। বলা হয়েছিল, জাতীয় স্বার্থ এবং আন্তর্জাতিক বাজারদরের কথা মাথায় রেখে ভারত তার বাণিজ্যনীতি নির্ধারণ করে থাকে। অর্থাৎ, বাজারে কে কত দাম নিচ্ছে, সেই বিষয়টিকেই প্রাধান্য দেওয়া হয়। রাশিয়া সস্তায় তেল বিক্রি করে বলেই ভারত তা কিনে থাকে। ভারত বারবার বলেছে, রাশিয়ার সঙ্গে তার বাণিজ্য, বিশেষ করে জ্বালানি আমদানি, আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় এবং কোনও একক দেশের আরোপিত নিষেধাজ্ঞার মধ্যে পড়ে না। কিন্তু আমেরিকার বক্তব্য, ভারত রাশিয়া থেকে তেল কেনার ফলে সেই টাকা ইউক্রেনে যুদ্ধ চালাতে কাজে লাগাচ্ছে মস্কো। যুদ্ধে অর্থসাহায্য হচ্ছে ভারতের দেওয়া টাকায়। এই প্রেক্ষিতে ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত ও নীতির ফলে ভারত-মার্কিন সম্পর্কে টানাপড়েনের সৃষ্টি করল বলেই, অনুমান আন্তর্জাতিক মহলের।

  • Ramakrishna 433: নিমন্ত্রণবাড়ির শব্দ কতক্ষণ শোনা যায়? যতক্ষণ লোকে খেতে না বসে যায়

    Ramakrishna 433: নিমন্ত্রণবাড়ির শব্দ কতক্ষণ শোনা যায়? যতক্ষণ লোকে খেতে না বসে যায়

    শ্রীরামকৃষ্ণ: “না, এদিক-ওদিক—দুই দিক রাখতে হবে। জনক রাজা এদিক-ওদিক দু’দিন দেখে খেয়েছিল দুধের বাটি। সকলের হাস্য।”

    গিরিশ: “থিয়েটারগুলো ছেলেদেরই ছেড়ে দিই, মনে করছি।”

    শ্রীরামকৃষ্ণ: “নানা, ও বেশ আছে। অনেকের উপকার হচ্ছে।”

    নরেন্দ্র (মৃদুস্বরে): “এই তো ঈশ্বর বলছে, অবতার বলছে, আবার থিয়েটার টানে!”

    সমাধি মন্দিরে – গড়গড় মাতোয়ারা শ্রীরামকৃষ্ণ।

    শ্রীরামকৃষ্ণ নরেন্দ্রকে কাছে বসাইয়া একদৃষ্টে দেখিতেছেন। হঠাৎ তাহার সন্নিকটে আরো শরিয়া গিয়া বসিলেন।
    নরেন্দ্র অবতার মানেন না, তা কী এসে যায়? ঠাকুরের ভালবাসা যেন আরও উথলিয়া পড়িল।
    “আছে আছে”— গায়ে হাত দিয়া, নরেন্দ্রের প্রতি কহিতেছেন—
    “আমরাও তোর মানে আছি।”

    শ্রীরামকৃষ্ণ: “বিচারলাভ পর্যন্ত নরেন্দ্রর প্রতি যতক্ষণ বিচার, ততক্ষণ তাকে পাই নাই।
    তোমরা বিচার করছিলে, আমার ভালো লাগে নাই।”

    শ্রীরামকৃষ্ণ: “নিমন্ত্রণবাড়ির শব্দ কতক্ষণ শোনা যায়? যতক্ষণ লোকে খেতে না বসে যায়।
    লুচি-তরকারি পড়লে, ওমনি বারোয়ানা শব্দ কমে যায়, সকলের হাস্য।
    অন্য খাবার পড়লে আরও কমতে থাকে।
    দই পাতে পাতে পড়লে কেবল চুপচাপ।
    ক্রমে খাওয়া হয়ে গেলেই নিদ্রা।
    ঈশ্বরকে যতক্ষণ লাভ হবে, ততই বিচার কমবে।
    তাকে লাভ হলে আর শব্দ, বিচার থাকে না। তখন নিদ্রা, সমাধি।”

    এই বলিয়া নরেন্দ্রর গায়ে হাত বুলাইয়া, মুখে হাত দিয়া আদর করিতেছেন ও বলিতেছেন—
    “হরি ওম, হরি ওম, হরি হরি ওম…”

    কেন এই রূপ করিতেছেন, না বলিতেছেন শ্রীরামকৃষ্ণ।
    কি নরেন্দ্রর মধ্যে সাক্ষাৎ নারায়ণ দর্শন করিতেছেন?
    এরই নাম কি মানুষের ঈশ্বরদর্শন?

    কি আশ্চর্য!
    দেখিতে দেখিতে ঠাকুরের সংজ্ঞা যাইতেছে।
    ওই দেখো, বহির্জগতের ইয়া যাইতেছে…

LinkedIn
Share