Tag: news in bengali

news in bengali

  • Kerala Nuns Arrest: ধর্মান্তকরণের অভিযোগে ছত্তিশগড়ে ধৃত ২, সোচ্চার কংগ্রেস, ধুয়ে দিল বিজেপি

    Kerala Nuns Arrest: ধর্মান্তকরণের অভিযোগে ছত্তিশগড়ে ধৃত ২, সোচ্চার কংগ্রেস, ধুয়ে দিল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মানব পাচার ও ধর্মান্তকরণের অভিযোগে ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) দুর্গ রেলস্টেশন থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল দুই খ্রিস্টান সন্ন্যাসিনীকে (Kerala Nuns Arrest)। সেই ঘটনায় দেশজুড়ে রাজনৈতিক মহলে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র প্রতিক্রিয়া। ওই দুই সন্ন্যাসিনীর মুক্তির দাবিতে সোচ্চার হয়েছে কংগ্রেস।

    কংগ্রেসের বক্তব্য (Kerala Nuns Arrest)

    সংসদের জিরো আওয়ারে এই ইস্যুটি তুলে ধরেন কংগ্রেস সাসদ কেসি বেণুগোপাল এবং কে সুরেশ। তাঁরা বলেন, “ঘটনাটি গভীরভাবে উদ্বেগজনক ও আতঙ্কজনক। কারণ সন্ন্যাসিনীরা নির্দোষ। তাঁরা ক্যন্সার আক্রান্ত রোগীদের সেবা-সুশ্রুষা করে সমাজসেবা করছিলেন।” বেণুগোপালের অভিযোগ, বজরং দলের সদস্যরা তাঁদের গায়ে হাত তুলেছেন এবং মানব পাচার ও ধর্মান্তকরণের মিথ্যে অভিযোগ তুলেছেন। তাঁর দাবি, এই দুই সন্ন্যাসিনী আগ্রার পথে যাচ্ছিলেন। তখনই দুর্গ রেলস্টেশনে আটকানো হয় তাঁদের। বেণুগোপাল বলেন, “এই দুই সন্ন্যাসিনী গত পাঁচ দিন ধরে কোনও কারণ ছাড়াই জেলে রয়েছেন। কী নিষ্ঠুরতা! দেশ কি একটি কলার প্রজাতন্ত্র (banana republic) হয়ে গিয়েছে? আমরা ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ও ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে তাঁদের মুক্তির আবেদন জানিয়ে চিঠি লিখেছি। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী বজরং দলের বক্তব্যেরই শুধু পুনরাবৃত্তি করছেন। এটা লজ্জার ব্যাপার!” সুরেশ বলেন, “সন্ন্যাসিনীরা নির্দোষ। তাঁরা সমাজসেবার কাজ করছিলেন। আমি কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছেও এই বিষয়ে হস্তক্ষেপের আবেদন জানাই। উভয় সন্ন্যাসিনীই নির্দোষ।”

    বিজেপির তোপ

    যদিও দুর্গের সাংসদ বিজেপির বিজয় বাঘেল বলেন, “কংগ্রেস সাংসদরা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার ষড়যন্ত্র করছেন। ছত্তিশগড় সরকার যে সন্ন্যাসিনীদের গ্রেফতার (Kerala Nuns Arrest) করেছে, তাঁদের সমর্থন করছেন।” তাঁর দাবি, ছত্তিশগড়ের তিন আদিবাসী কিশোরীকে প্রলোভন দেখিয়ে দুর্গ রেলস্টেশনে আনা হয়েছিল। ধৃত সন্ন্যাসিনীদের মধ্যে একজন আগ্রা থেকে এবং অন্যজন জব্বলপুর থেকে এসেছেন। বাঘেল বলেন, “সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি ছড়িয়ে যাওয়ায় সেখানে ভিড় জমে যায়। তার মধ্যে যেমন বজরং দলের সদস্যরা ছিলেন, তেমনই ছিলেন পুলিশ কর্মীরাও।” কংগ্রেস নেতা রাহুল ও প্রিয়ঙ্কা গান্ধীকে নিশানা করে তিনি বলেন, “এটি একটি ষড়যন্ত্র। সংবেদনশীল ছত্তিশগড় সরকারের বদনাম করতে এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতেই এসব করা হচ্ছিল।” তাঁর প্রশ্ন, “তাহলে কি (Chhattisgarh) আমাদের রাজ্যের মেয়েদের রক্ষা করা আমাদের উচিত নয় (Kerala Nuns Arrest)?”

  • NISAR: সহজ হবে দুর্যোগ মোকাবিলা! ভারত-মার্কিন যৌথ উদ্যোগে শ্রীহরিকোটা থেকে সফল উৎক্ষেপণ নাইসার-এর

    NISAR: সহজ হবে দুর্যোগ মোকাবিলা! ভারত-মার্কিন যৌথ উদ্যোগে শ্রীহরিকোটা থেকে সফল উৎক্ষেপণ নাইসার-এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাকাশে পাড়ি দিল নাইসার (NISAR)। বুধবার, বিকেল ৫টা ৪০ মিনিটে, শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে জিএসএলভি-এমকে-২ (GSLV-MkII) রকেটের সাহায্যে এই শক্তিশালী স্যাটেলাইট মহাকাশে পাড়ি দিল। নাসা-ইসরো সিন্থেটিক অ্যাপারেচার রেডার (Nasa Isro Synthetic Aperture Radar) মহাকাশে ভারতের নয়া মাইলফলক। নিসার বিশ্বের প্রথম ডুয়াল-ফ্রিকোয়েন্সি সিন্থেটিক অ্যাপারেচার রেডার স্যাটেলাইট। এতে নাসার এল-ব্যান্ড রেডার (L-band radar) এবং ইসরোর এস-ব্যান্ড রেডার (S-band radar) দু’টো একসঙ্গে ব্যবহার করা হয়েছে। পৃথিবী থেকে ৭৪৩ কিমি দূরে সান-সিনক্রোনাস অরবিটে (এসএসও) ৯৮.৪০ ডিগ্রি কোণে প্রতিস্থাপন করা হয় জিএসএলভি-এফ১৬ (GSLV-F16) রকেট ৷ নাইসার-এর ওজন ২হাজার ৩৯৩ কেজি ৷

    প্রথম ৯০ কাজ করবে না নিসার

    ইসরো সূত্রে খবর, উৎক্ষেপণের পর প্রথম ৯০ দিন নাইসার (NISAR) তার কাঙ্ক্ষিত বৈজ্ঞানিক কাজ শুরু করবে না। এই সময়টিকে বলা হয় ‘কমিশনিং’ বা ইন-অরবিট চেকআউট (IOC) পর্ব, যেখানে স্যাটেলাইট এবং এর অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতিকে পূর্ণ প্রস্তুতির জন্য পরীক্ষা ও ক্যালিব্রেশন করা হয়। নাসা ও ইসরোর যৌথ উদ্যোগে নির্মিত এই উপগ্রহটি উৎক্ষেপণের পর তিন মাসব্যাপী কমিশনিং পর্বে থাকবে। এই সময় স্যাটেলাইটটি বিভিন্ন ধাপে বিভক্ত চেক ও টেস্টের মধ্য দিয়ে যাবে, যাতে তা নিখুঁতভাবে কাজের উপযোগী হয়ে ওঠে। এই ৯০ দিনের মধ্যে নিসার কক্ষপথে নিজেকে স্থিতিশীল করবে, সমস্ত যন্ত্রপাতি ধাপে ধাপে সক্রিয় করা হবে এবং বৈজ্ঞানিক পর্যবেক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় ক্যালিব্রেশন শেষ করা হবে। এরপরই এটি কাজ শুরু করবে। এই ধৈর্যশীল প্রস্তুতি পর্বই নাইসারকে তার নির্ভুল বৈজ্ঞানিক লক্ষ্য পূরণে সহায়তা করবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞানীরা।

    কীভাবে কাজ করবে নিসার

    নাইসার (NISAR) থেকে পাওয়া সমস্ত তথ্য ওপেন-সোর্স হবে। গবেষক, বিজ্ঞানী, জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা সহজেই সমস্ত তথ্য অ্যাক্সেস করতে পারবেন। এই উপগ্রহ প্রতি ৯৭ মিনিটে একবার পৃথিবী প্রদক্ষিণ করবে। এই প্রদক্ষিণের মধ্যে দিয়ে মাত্র ১২ দিনে নাইসার পুরো পৃথিবীর স্থলভাগ ও বরফ আচ্ছাদিত অঞ্চলের একটি ম্যাপ তৈরি করে ফেলতে পারবে। যা বিজ্ঞানীদের নানা গবেষণায় কাজে আসবে। নাইসার ব্যবহার করে পৃথিবীর পরিবেশ ও বাস্তুতন্ত্র, বায়ুমণ্ডল, বনজঙ্গল, হিমবাহ, ভূকম্পন এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ পর্যবেক্ষণ করবে। ভূপৃষ্ঠে কয়েক মিলিমিটারের পরিবর্তনও ধরা পড়বে এই কৃত্রিম উপগ্রহে। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, বছরের যে কোনও মরসুমে, শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা কিংবা দিন-রাত নির্বিশেষে মহাকাশ থেকে পৃথিবীর উচ্চমানের ছবি তুলতে পারবে এই কৃত্রিম উপগ্রহ। আর সে কারণেই বিশ্বের জলবায়ুর পরিবর্তন পর্যবেক্ষণ, কৃষি এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় ‘নাইসার’ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

    ভারতের জন্য লাভজনক

    ইসরোর এই পদক্ষেপে ফের ভারতের মহাকাশ গবেষণায় এক নতুন দিক উন্মোচন করল। এই মিশনের জন্য মোট খরচ ১২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা (প্রায় ১.৫ বিলিয়ন ডলার)। এর মধ্যে ভারতের অংশ ৭৮৮ কোটি টাকা (প্রায় ৯৬ মিলিয়ন ডলার)। এর ফলে ভারতে দুর্যোগ মোকাবিলার কাজ সহজ হবে। এ ছাড়াও হিমালয়ের হিমবাহ কত দ্রুত গলছে, কৃষিতে জলের সঠিক ব্যবহার কী ভাবে করা যাবে, তা নিয়েও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলবে। নাইসার-এর প্রাপ্ত তথ্য ভারতকে আগে থেকে বন্যা, ভূমিকম্প ও ধসের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করতে সাহায্য করবে। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং বলেন, ‘‘এটিই ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো) এবং নাসা-র তরফে পৃথিবীকে পর্যবেক্ষণের প্রথম যৌথ উদ্যোগ। তাই এই অভিযানকে ভারতের আন্তর্জাতিক স্তরে বৈজ্ঞানিক কর্মকাণ্ডের ক্ষেত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসাবে দেখা হচ্ছে।’’ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরও বলেন, এই অভিযান কেবল একটি কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণই নয়, বরং বিজ্ঞান এবং বিশ্বকল্যাণের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ দু’টি দেশ যৌথ ভাবে কী কী করে দেখাতে পারে তার প্রতীক।

  • S Jaishankar: লোকসভায় কংগ্রেসকে একেবারে ধুয়ে দিলেন জয়শঙ্কর, কী বললেন জানেন?

    S Jaishankar: লোকসভায় কংগ্রেসকে একেবারে ধুয়ে দিলেন জয়শঙ্কর, কী বললেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভায় কংগ্রেসকে একেবারে ধুয়ে দিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে আলোচনার সময় ব্যাপক হইচই করেন বিরোধীরা। এই সময় কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি তথা সাংসদ রাহুল গান্ধী বলেন, পাকিস্তান ও চিন একযোগে কাজ করছে। এরই (China Guru) প্রতিক্রিয়ায় কংগ্রেসকে নিশানা করেন বিদেশমন্ত্রী। তিনি বলেন, “এই দুই দেশের মধ্যে বর্তমান ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কারণ হল কংগ্রেস জমানায় নেওয়া কিছু সিদ্ধান্ত।”

    ‘চিনা গুরু’ (S Jaishankar)

    প্রাক্তন মন্ত্রী কংগ্রেসের জয়রাম রমেশকে ‘চিনা গুরু’ বলেও কটাক্ষ করেন জয়শঙ্কর। তিনি বলেন, “ইউপিএ সরকারই চিনের বিরোধিতা না করে তাকে কৌশলগত অংশীদার করে তুলেছিল।” মন্ত্রী বলেন, “এখানে ‘চিনা গুরু’ রয়েছেন। তাঁদের একজন হলেন আমার সামনে বসে থাকা সদস্য (জয়রাম রমেশ), যিনি চিনের প্রতি এতটাই স্নেহপ্রবণ যে তিনি ‘চিন্ডিয়া’(Chindia) শব্দটির উদ্ভাবন করেছেন। আমি হয়তো চিনের বিষয়ে কম জানি। কারণ আমি অলিম্পিকস দেখে চিনকে চিনিনি। কেউ কেউ অলিম্পিকস সফরের সময় চিনের বিষয়ে তাঁদের জ্ঞান অর্জন করেছেন। চলুন না জেনে নিই, তাঁরা কার সঙ্গে দেখা করেছিলেন বা কী চুক্তি স্বাক্ষর করেছিলেন।” মন্ত্রী বলেন, “তাঁরা চিনা রাষ্ট্রদূতের কাছ থেকেও বাড়িতে ব্যক্তিগত টিউশন নিতেন। ‘চিনা গুরু’রা বলেন যে পাকিস্তান ও চিনের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। আমরা তা জানি এবং সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ করছি। কিন্তু যদি কেউ বলে এই সম্পর্ক হঠাৎ গড়ে উঠেছে, তাহলে এর মানে তাঁরা ইতিহাস ক্লাসে ঘুমোচ্ছিলেন (S Jaishankar)।”

    কংগ্রেসকে ধুয়ে দিলেন জয়শঙ্কর

    প্রসঙ্গত, সংসদে চলছে বাদল অধিবেশন। এই অধিবেশনে অপারেশন সিঁদুর নিয়ে আলোচনার জন্য বরাদ্দ হয়েছে ১৬ ঘণ্টা। এই আলোচনায়ই যোগ দিয়ে কংগ্রেস দাবি করেছে, পাকিস্তান ও চিন একটি জোট হিসাবে কাজ করছে। এই পরিস্থিতির মোকাবিলায় কেন্দ্রের কৌশল নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে তারা। এই অধিবেশনেই রাহুল বলেন, “ভারত মনে করছিল, ওরা শুধু পাকিস্তানের বিরুদ্ধে লড়ছে (China Guru), কিন্তু বাস্তবে তারা চিনের বিরুদ্ধেও লড়ছিল।” কংগ্রেস নেতার এহেন মন্তব্যের প্রেক্ষিতেই সোনিয়া গান্ধীর দলকে একেবারে ধুয়ে দিলেন জয়শঙ্কর (S Jaishankar)।

  • UNSC: পহেলগাঁও হামলায় জড়িত টিআরএফ, উল্লেখ নিরাপত্তা পরিষদের রিপোর্টে, কূটনৈতিক জয় ভারতের

    UNSC: পহেলগাঁও হামলায় জড়িত টিআরএফ, উল্লেখ নিরাপত্তা পরিষদের রিপোর্টে, কূটনৈতিক জয় ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদেও (UNSC) কূটনৈতিক সাফল্য পেল ভারত। সম্প্রতি নিরাপত্তা পরিষদের প্রকাশিত বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদের পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে লস্কর-ই-তৈবার শাখা সংগঠন দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্টের (টিআরএফ) নাম উল্লেখ করেছে সরাসরি। ২৪ জুলাই প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে নিরাপত্তা পরিষদ ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে (Pahalgam Attack) সংঘটিত জঙ্গি হামলার সঙ্গে টিআরএফকে যুক্ত করেছে। পাক মদতপুষ্ট ওই জঙ্গি হামলায় বেছে বেছে হত্যা করা হয় ২৬ জন নিরপরাধ হিন্দু পর্যটককে।

    টিআরএফ হামলার দায় কবুল করে (UNSC)

    ১২৬৭ নিষেধাজ্ঞা কমিটিতে উপস্থাপিত ৩৬তম বিশ্লেষণাত্মক সহায়তা ও নিষেধাজ্ঞা পর্যবেক্ষণ দলের প্রতিবেদন অনুযায়ী, টিআরএফ দু’বার ওই হামলার দায় কবুল করে এবং হামলাস্থলের একটি ছবিও প্রকাশ করে। যদিও এর ঠিক চার দিন পর এই দাবি প্রত্যাহার করা হয় এবং তারপর আর কোনও গোষ্ঠীই এই হামলার দায় স্বীকার করেনি। বর্তমানে নিরাপত্তা পরিষদের ১০টি অস্থায়ী সদস্য দেশের মধ্যে রয়েছে পাকিস্তানও। এই পাকিস্তানের প্রবল চেষ্টার পরেও টিআরএফের সঙ্গে তার সম্পর্ক অস্বীকার করার এবং নিজেদের নাম এই প্রসঙ্গ থেকে মুছে ফেলার চেষ্টা সত্ত্বেও, শেষমেশ সেটি অন্তর্ভুক্তি করা হয়। এতেই কূটনৈতিক জয় দেখছে ভারত।

    টিআরএফ লস্কর-ই-তৈবার সমার্থক

    নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য হওয়া সত্ত্বেও পাকিস্তান আগে এপ্রিল মাসে পরিষদের এক প্রেস বিবৃতি থেকে টিআরএফের নাম উল্লেখ করা বাদ দেওয়াতে পেরেছিল। তবে ঐকমত্যের ভিত্তিতে প্রস্তুত করা মনিটরিং টিমের এই প্রতিবেদন পাকিস্তানের এই চেষ্টা সফল হতে দেয়নি। সেখানে স্পষ্টভাবেই টিআরএফের নামোল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিবেদনটিতে টিআরএফের পাকিস্তান-ভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার সঙ্গে অপারেশনাল সংযোগ সম্পর্কেও একাধিক সদস্য রাষ্ট্রের মতামত উঠে এসেছে। রাষ্ট্রসংঘের নথি অনুযায়ী, এক সদস্য রাষ্ট্র বলেছে যে পহেলগাঁও (Pahalgam Attack) হত্যাকাণ্ড হামলা লস্কর-ই-তৈবার সাহায্য ছাড়া ঘটতেই পারত না। অন্য এক রাষ্ট্র আবার আরও একধাপ এগিয়ে সরাসরি টিআরএফকে লস্কর-ই-তৈবার সমার্থক বলে আখ্যা দিয়েছে (UNSC)। যদিও একমাত্র রাষ্ট্র পাকিস্তানই এই দাবি অস্বীকার করে জানিয়েছে যে, লস্কর-ই-তৈবা এখন নিষ্ক্রিয়। বস্তুত, পাকিস্তানের এই দাবি নিরাপত্তা পরিষদে আদৌ পানি পায়নি।

    নিরাপত্তা পরিষদের পর্যবেক্ষণ

    প্রসঙ্গত, নিরাপত্তা পরিষদের এই পর্যবেক্ষণগুলি এসেছে ভারতের পক্ষ থেকে এপ্রিল ও মে মাসে কমিটিকে দেওয়া গোপন ব্রিফিংয়ের পর। সেখানে টিআরএফের উদ্ভবকে লস্কর-ই-তৈবার একটি ছদ্মপ্রতিনিধি সংগঠন হিসেবে এবং একটি নতুন নামে সীমান্ত পারাপারের সন্ত্রাসে জড়িয়ে পড়ার বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হয়েছে।
    যদিও পাকিস্তান বারবার অস্বীকার করেছে যে টিআরএফ বা পিপলস এগেইনস্ট ফ্যাসিস্ট ফ্রন্টের মতো সংগঠনগুলি নিষিদ্ধ। এরা লস্কর-ই-তৈবা বা জইশ-ই-মহম্মদের শাখা হয়ে কাজ করে। এদের নিরপেক্ষ নাম শুধুমাত্র তাদের আসল পরিচয় ঢাকতে ব্যবহৃত হয়। তবে এখন টিআরএফের নাম নিরাপত্তা পরিষদের একটি আনুষ্ঠানিক মনিটরিং রিপোর্টে অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় পাকিস্তানের এই অবস্থান চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে।

    ভারতের জয়

    এর আগে পাকিস্তান তার জাতীয় সংসদে গর্ব করে বলেছিল, তারা টিআরএফের নাম নিরাপত্তা পরিষদের প্রেস বিবৃতি থেকে বাদ দিতে পেরেছে। কিন্তু মনিটরিং টিমের এই রিপোর্ট এখন প্রেস বিবৃতির চেয়ে বেশি গুরুত্ব বহন করে। কারণ এটি ভবিষ্যতে নিষেধাজ্ঞা আরোপের ভিত্তি হিসেবেই ব্যবহৃত হবে (UNSC)। টিআরএফের এই নামোল্লেখের মাধ্যমে ভারত টিআরএফের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রসংঘের নিষেধাজ্ঞা আরোপের পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল। পরবর্তী পর্যায়ে আলোচনা হবে নিরাপত্তা পরিষদের নিষেধাজ্ঞা কমিটিতে, যেখানে ভারত এই গোষ্ঠীকে একটি বৈশ্বিক জঙ্গি সংগঠন হিসেবে ঘোষণার জন্য চাপ দিচ্ছে। ভারতের এই প্রচেষ্টা সফল হলে টিআরএফের সদস্য এবং সংশ্লিষ্টদের জন্য আন্তর্জাতিক তহবিল, অস্ত্র সরবরাহ এবং ভ্রমণের সুযোগ বন্ধ হয়ে যাবে। একই সঙ্গে পাকিস্তান কূটনৈতিকভাবে আরও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে (Pahalgam Attack)।

    সন্ত্রাসবাদ পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন

    উল্লেখযোগ্যভাবে ২০১৯ সালের পর এই প্রথম রাষ্ট্রসংঘের সন্ত্রাসবাদ পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনটিতে লস্কর-ই-তৈবা  এবং এর সহযোগী সংগঠনগুলির নাম সরাসরি উল্লেখ করা হয়েছে। এটি জম্মু ও কাশ্মীরে পাক-মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদের বিষয়ে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির পুনরুত্থানকে নির্দেশ করে (UNSC)। সংসদে বক্তব্য রাখার সময় ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর আগেই বলেছিলেন, রাষ্ট্রসংঘের আনুষ্ঠানিক যোগাযোগে টিআরএফের নামোল্লেখ না করতে পাকিস্তান যথাসাধ্য চেষ্টা করছিল। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, রাষ্ট্রসংঘের পর্যবেক্ষণ দল যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, তা ভারতের কূটনৈতিক (Pahalgam Attack) প্রচেষ্টার একটি স্বীকৃতি। কারণ এতে রেকর্ড করা হয়েছে যে, সীমান্ত পারাপারের সন্ত্রাসবাদে পাকিস্তান-ভিত্তিক এই গোষ্ঠীর সক্রিয় ভূমিকা রয়েছে (UNSC)।

  • Gujarat ATS: বড় সাফল্য গুজরাট এটিএসের, বেঙ্গালুরু থেকে গ্রেফতার আল কায়দার মহিলা জঙ্গি

    Gujarat ATS: বড় সাফল্য গুজরাট এটিএসের, বেঙ্গালুরু থেকে গ্রেফতার আল কায়দার মহিলা জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশে ছড়িয়ে থাকা আল-কায়দা (Al-Qaeda) জঙ্গি নেটওয়ার্ক এবং নাশকতার মডিউলকে উৎখাতের মামলায় বড়সড় সাফল্য পেল গুজরাট পুলিশের সন্ত্রাস দমন শাখা বা এটিএস (Gujarat ATS)। বেঙ্গালুরু থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে শামা পারভিন (Shama Parveen) নামে এক মহিলা জঙ্গিনেত্রীকে। গুজরাট এটিএসের তরফে জানানো হয়েছে, আল-কায়দা ইন ইন্ডিয়ান সাবকন্টিনেন্ট (AQIS)-এর সক্রিয় সদস্য এবং একাধিক জঙ্গি কার্যকলাপের মূল সংগঠক বছর তিরিশের এই মহিলা। তার মোবাইল থেকে একাধিক পাক আধিকারিক এবং জঙ্গি সংগঠনের নম্বর পাওয়া গিয়েছে।

    শামার গ্রেফতারির (Al Qaeda Leader Arrested) পর গুজরাট সরকারের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হর্ষ সাংভি এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, শামা পারভিন অনলাইন জিহাদি প্রোপাগান্ডা এবং জঙ্গি কার্যকলাপ ছড়ানোর মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মকে উস্কে দেওয়ার কাজ করছিল। নিরাপত্তাবাহিনীর নজর এড়াতে ব্যবহার করা হত ভুয়ো সোশাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট। তাঁর দাবি, “গুজরাট পুলিশ ও এটিএস একটি অনলাইন জঙ্গি নেটওয়ার্ককে চিহ্নিত করে ভেঙে দিতে সক্ষম হয়েছে। এর ফলে ভারতে বড় ধরনের জঙ্গি হামলার ছক বানচাল হয়েছে।”

    কীভাবে মিলল শামা পারভিনের হদিশ?

    গুজরাট এটিএসকে উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা এএনআই-এর দাবি, গত ২৩ জুলাই আল কায়দার সঙ্গে যোগের সন্দেহে চার জনকে গ্রেফতার করেছিল এটিএস। দিল্লির মহম্মদ ফয়েক, আমেদাবাদের মহম্মদ ফারদিন, মোদাসার সাইফুল্লাহ কুরেশি এবং নয়ডার জিশান আলিকে গ্রেফতার করা হয়। তারা সকলেই নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে উঠে এসেছে। সকলেই কাজ করত রেস্তোরাঁ বা দোকানে। ধৃতদের জেরা করে পুলিশ জানতে পারে, সকলেই একে অপরের পরিচিত। সমাজমাধ্যমের সাহায্যে একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখত তারা। সোশ্যাল মিডিয়া এবং সন্দেহজনক অ্যাপের মাধ্যমে আল-কায়দার মতাদর্শ পাচার করত। তারা অটো-ডিলিট অ্যাপ ব্যবহার করে তাদের যোগাযোগের প্রমাণ মুছে ফেলত।

    কে এই জঙ্গিনেত্রী শামা পারভিন?

    ধৃতদের জেরা করেই শামা পারভিনের নাম উঠে আসে। পুলিশ জানতে পারে, এই চারজনের মধ্যে সমন্বয়কারী ও আহ্বায়কের ভূমিকা পালন করত শামা। এর পরই, গুজরাট পুলিশের একটি বিশেষ দল বেঙ্গালুরুতে পৌঁছে যায়। সেখানে মনোরমাপাল্যা এলাকার ভাড়া বাড়িতে হানা দেয় দলটি। সেখান থেকেই গ্রেফতার করা হয় ওই শামা পারভিনকে। গুজরাট পুলিশের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, শামা পারভিন মূলত ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা। তবে গত তিন বছর ধরে সে বেঙ্গালুরুতে বসবাস করছিল। আগে একটি সংস্থায় কাজ করত। কিন্তু, বর্তমানে বেকার ছিল। তবে, সোশ্যাল মিডিয়ায় সারাক্ষণ অ্যাকটিভ থাকত। ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুক-সহ একাধিক সোশাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে অপপ্রচার ও নেটিজেনদের প্রভাবিত করার কাজ করত।

    ফোনে পাক আধিকারিক, জঙ্গিগোষ্ঠীর নম্বর!

    এটিএস জানিয়েছে, শামার মোবাইলে পাকিস্তানের বেশ কিছু পদস্থ আধিকারিকের নম্বর পাওয়া গিয়েছে। তাঁদের সঙ্গে শামা নিয়মিত যোগাযোগ রাখত বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে। এমনকী, সীমান্তের বাইরে বিভিন্ন জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল সামার, দাবি তদন্তকারীদের। পাশাপাশি, ধৃত ফরদিনের কাছ থেকে মৌলবাদী এবং নিষিদ্ধ সংগঠনের বিভিন্ন বইপত্র উদ্ধার করা হয়েছে। পাঁচ জনের এই গ্রুপ তাদের জাল ছড়িয়ে রেখেছিল গোটা ভারতে। অভিযোগ, ভিন্ন ভিন্ন ‘টার্গেট’ দেওয়া হত তাদের।

    এই মডিউলের কর্মপদ্ধতি ছিল আলাদা…

    তদন্তকারীদের দাবি, এই জঙ্গি মডিউলটি আগে চিহ্নিত নেটওয়ার্কগুলির থেকে আলাদা। এদের কোনও নির্দিষ্ট হামলার পরিকল্পনা বা সময়সীমা ছিল না, বরং অনলাইনে প্রোপাগান্ডার মাধ্যমে তরুণদের মগজধোলাই করে জিহাদি আদর্শে উদ্বুদ্ধ করাই ছিল মূল লক্ষ্য। তারা ইনস্টাগ্রামে পাঁচটি অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ধারাবাহিকভাবে ভিডিও ও পোস্টের মাধ্যমে দাবি করত—“জিহাদের জন্য বোমা নয়, একটা ধারালো ছুরিই যথেষ্ট।” এই মডিউল মূলত দেখাতে চেয়েছিল যে খুব সাধারণ অস্ত্র দিয়েও সহিংসতা ঘটানো সম্ভব এবং সন্ত্রাস ছড়ানো যায়।

    ঘুণাক্ষরেও টের পাননি প্রতিবেশীরা…

    শামাকে আদালতে পেশ করে ট্রানজিত রিমান্ড চায় গুজরাট পুলিশ। যা মঞ্জুর করে আদালত। ধৃতদের বিরুদ্ধে বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইনের একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। এ ছাড়া ভারতীয় ন্যায় সংহিতা (বিএনএস)-র ১১৩, ১৫২, ১৯৬ এবং ৬১ ধারায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। শামা আল-কায়দার জঙ্গি এটা ভেবেই চোখ কপালে উঠেছে তার প্রতিবেশীদের। স্বাভাবিক ভাবে তাঁরা ঘুণাক্ষরেও টের পাননি যে সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের সঙ্গে কোনও যোগসূত্র থাকতে পারে বছর তিরিশের ছটফটে যুবতীর।

  • India: চিনকে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে গোল দিল ভারত, স্মার্টফোন রফতানিতে ‘ড্রাগন’কে টপকাল ‘হাতি’

    India: চিনকে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে গোল দিল ভারত, স্মার্টফোন রফতানিতে ‘ড্রাগন’কে টপকাল ‘হাতি’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিনকে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে গোল দিল ভারত (India)! ভারত প্রথমবারের মতো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে স্মার্টফোন রফতানির (Smartphone Supplier) দিক থেকে চিনকে টপকে এক নম্বরে উঠে এল। অ্যাপলের শুল্ক সংক্রান্ত কারণে উৎপাদন কেন্দ্র নয়াদিল্লিতে সরিয়ে আনার পরেই এটা ঘটেছে।

    ‘ক্যানালিসে’র রিপোর্টে ভারত প্রথম (India)

    গবেষণা সংস্থা ‘ক্যানালিস’ প্রকাশিত একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি হওয়া স্মার্টফোনের মধ্যে ভারতে নির্মিত ডিভাইসের অংশ ছিল ৪৪ শতাংশ। গত বছর এই একই সময়ে এই হার ছিল ১৩ শতাংশ। ওই রিপোর্ট থেকেই জানা গিয়েছে, বছরওয়াড়ির ভিত্তিতে ভারতে তৈরি স্মার্টফোনের মোট পরিমাণ ২৪০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ভারতের লেখচিত্র যখন ঊর্ধ্বমুখী, তখন চিনের ছবিটা করুণ। কারণ চিনে তৈরি স্মার্টফোনের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রফতানির অংশ কমে দাঁড়িয়েছে মাত্রই ২৫ শতাংশে। অথচ গত বছর এর পরিমাণ ছিল ৬১ শতাংশ। এর ফলে চিন এখন আমেরিকায় স্মার্টফোন রফতানিতে ভিয়েতনামেরও পিছনে পড়ে গিয়েছে। এই তালিকায় থার্ড হয়েছে চিন।

    চিনের চিৎপটাং হওয়ার কারণ

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, চিনের এই চিৎপটাং হওয়া এবং ভারতের এই উল্লেখযোগ্য উত্থানের তিনটি প্রধান কারণ রয়েছে। একটি হল আমেরিকা এবং চিনের মধ্যে চলা শুল্ক-যুদ্ধ। ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপ করা শুল্কের প্রতিশোধ নিয়েছিল শি জিনপিংয়ের দেশ। প্রত্যাশিতভাবেই এই যুদ্ধে রফতানি কমে গিয়েছিল চিনের। আর একটি কারণ হল ভারতে অ্যাপল আইফোনের উৎপাদন কেন্দ্র। জানা গিয়েছে, এখন অ্যাপল চিনের চেয়ে ভারতে আইফোন উৎপাদনে বেশি মনোযোগ দিচ্ছে। আরও একটি উল্লেখযোগ্য কারণ রয়েছে। সেটি হল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ প্রজেক্ট (India)। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ভারতে উৎপাদন বৃদ্ধি এবং বিদেশে রফতানির এক বিশাল পরিকল্পনা চলছে। এই প্রকল্পের ফলে ভারত বিভিন্ন পণ্য বিদেশে রফতানি করছে। এর মধ্যে নয়া ইতিহাস গড়ে দিল স্মার্টফোন।

    জানা গিয়েছে, স্যামসাং, মোটোরোলাও আমেরিকায় বেশি করে রফতানি করছে ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ স্মার্টফোন। এতদিন মোটোরোলা চিনা কারখানা থেকে সব চেয়ে বেশি স্মার্টফোন উৎপাদন করে রফতানি করত (Smartphone Supplier) মার্কিন মুলুকে। সম্প্রতি সেই মোটোরোলাও ভারতে বাড়িয়েছে স্মার্টফোনের উৎপাদন (India)।

  • Phantom Voters: ভুতুড়ে ভোটার ধরতে জেলাশাসকদের নির্দেশ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের

    Phantom Voters: ভুতুড়ে ভোটার ধরতে জেলাশাসকদের নির্দেশ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভুতুড়ে ভোটারদের (Phantom Voters) চিহ্নিত করতে জেলাশাসকদের নির্দেশ দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (Bengal CEO) মনোজ আগরওয়াল। সোমবার তিনি ওই নির্দেশ দিয়েছেন জেলাশাসকদের। গত এক বছরে রাজ্যের ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে তাঁদের। জেলাশাসকরা একই সঙ্গে জেলার নির্বাচনী আধিকারিক (DEO) হিসেবেও কাজ করেন। তাই ১৪ অগাস্টের মধ্যে তাঁদের এই রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।

    নির্বাচনী আধিকারিকদের নির্দেশ (Phantom Voters)

    জেলার নির্বাচনী আধিকারিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তাঁরা প্রবীণ আধিকারিকদের নিয়ে দল গঠন করে ফর্ম-৬ (যা ভোটার তালিকায় নাম তোলার জন্য ব্যবহার করা হয়) নিষ্পত্তির একটি নমুনা সমীক্ষা পরিচালনা করবেন। এই আধিকারিকরাই খতিয়ে দেখবেন এবং রিপোর্ট করবেন যে নির্বাচনী নথিভুক্তি আধিকারিকেরা (ERO) কীভাবে ফর্ম-৬-এর আবেদনের নিষ্পত্তি করছেন। জেলার নির্বাচনী আধিকারিকদের উদ্দেশে পাঠানো চিঠিতে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক বলেছেন, “অনেক নির্বাচনী কর্মী ১৯৬০ সালের ভোটার নথিভুক্তি আইনের বিধান যথাযথভাবে অনুসরণ করছেন না।” সিইও-র চিঠিটি এমন একটা সময়ে প্রকাশ্যে এল, যখন নির্বাচন কমিশন পশ্চিমবঙ্গে ২০০২ সালের বিশেষ নিবিড় সংশোধন (SIR) ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছে। এতে ১০৯টি বিধানসভা কেন্দ্রজুড়ে ১১টি জেলার ভোটারদের যাবতীয় তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

    সিইওর নজরে ২

    সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই সিইওর নজরে রয়েছেন ময়না ও বারুইপুরের দু’জন ইআরও। কারণ ভোটার তালিকায় অনিয়ম নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তাঁরা ঠিকঠাক উত্তর দিতে পারেননি (Phantom Voters)। সিইওর (Bengal CEO) চিঠিতে বলা হয়েছে, “ক্রমাগত আপডেটের সময় ইআরওরা যে ফর্ম ৬ জমা দিয়েছেন, তার এক শতাংশেরও কম নমুনা পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে যে দু’জন ইআরও ভুতুড়ে ভোটারদের জন্য উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ফর্ম ৬ নিয়েছেন।” চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, “এই সব ক্ষেত্রে কোনও জরুরি প্রয়োজন বা বাস্তব প্রয়োজন ছাড়াই বিএলওদের যাচাই করা তথ্য বাদ দেওয়া হয়েছিল। একই ধরনের নথি বহু সংখ্যক আবেদনপত্র ও তাদের ভেরিফিকেশন রিপোর্টের জন্য নেওয়া হয়েছে।”

    অনিয়মের কথা কবুল!

    ওই চিঠি থেকেই জানা গিয়েছে, দুই ইআরও স্বীকার করেছেন যে, তাঁরা অন্যান্য আধিকারিক মায় ডেটা এন্ট্রি অপারেটরদেরও ইউজার অ্যাক্সেস দিয়েছিলেন। তাঁরা পরে ফর্ম ৬-এর আবেদনগুলি নিষ্পত্তি করে দেন। সূত্রের খবর, সিইও ওই দুই ইআরও-সহ আরও যে সব আধিকারিক এই ধরনের অনিয়মে জড়িত, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাবছেন। নির্বাচন কমিশনের (Bengal CEO) এক আধিকারিক বলেন, “যদি কোনও (Phantom Voters) ইআরও, সহকারী ইআরও বা অন্য কেউ ভোটার তালিকা প্রস্তুতি, সংশোধন বা কোনও অন্তর্ভুক্তি বা বাদ দেওয়ার দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে কর্তব্যে গাফিলতি বা দুর্নীতি করেন, তাহলে তাঁদের ন্যূনতম তিন মাসের কারাদণ্ড এবং সর্বোচ্চ দু’বছরের জেল ও জরিমানা হতে পারে।”

    নতুন ভোটার নয়, উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে বয়স্ক ভোটারদের নাম

    নির্বাচন কমিশনের নজরে এসেছে, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তর দিনাজপুর, কোচবিহার, মালদা ও মুর্শিদাবাদ জেলার সীমান্ত অঞ্চলে ২৫-৪০ বছর বয়সিদের ভোটার তালিকায় নাম লেখানোর হার বেড়েছে উল্লেখযোগ্যভাবে। অথচ এই হার বেশি থাকার কথা ১৮-২১ বছর বয়সি নতুন ভোটারদেরই। ওই চিঠিতেই বলা হয়েছে, মাত্র এক শতাংশ ফর্ম পরীক্ষা করেই বিস্তর অনিয়ম ধরা পড়েছে। এ ক্ষেত্রে ইআরওকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক। তাঁরা ভুয়ো আবেদনপত্র জমা নিয়েছেন। শুধু তাই নয়, বিএলওরা কোনও রকম যাচাই না করেই তার অনুমোদনও দিয়েছেন বলে চিঠিতে জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (Phantom Voters)।

    কী বলেছিল কমিশন?

    প্রসঙ্গত, ভোটার (Bengal CEO) তালিকা থেকে ভুয়ো ভোটারদের বাদ দিতে আগেই কমিশনের তরফে জানানো হয়েছিল রেজিস্ট্রার জেনারেল অফ ইন্ডিয়ার ডেটাবেস এবার যুক্ত করা হচ্ছে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে। ফলে যখনই কারও জন্ম বা মৃত্যু রেজিস্ট্রেশন করা হবে, তখন কমিশনের সিস্টেমেও সেই তথ্য নথিভুক্ত হয়ে যাবে। ভোটার তালিকায় কখনও কখনও মৃত ব্যক্তির নামও থাকে, বাদ যান যিনি জীবিত, তাঁর নাম। কমিশন সূত্রে খবর, এহেন বিভ্রান্তি এড়াতেই চালু হচ্ছে এই নয়া ব্যবস্থা। কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্যের ভিত্তিতেই ভোটার তালিকায় মৃত ভোটারের নাম দ্রুত ও সহজ পদ্ধতিতে বাদ দেওয়া যাবে। এজন্য একটি বিশেষ সফটওয়্যার বা সিস্টেমের সঙ্গে ইতিমধ্যেই ইআরও এবং বিএলওদের যুক্ত করা হয়েছে। ফলে এবার থেকে জন্ম বা মৃত্যুর রেজিস্ট্রেশন হলেই সেই তথ্য একেবারেই পৌঁছে যাবে ভোটার তালিকা তৈরির কাজে যুক্ত কর্মীদের কাছে। কমিশনের তরফে আগেই জানানো হয়েছিল, ডুপ্লিকেট এপিক (EPIC) নম্বর বরাদ্দের সময় কিছু ভুলের কারণে বিভিন্ন রাজ্যে একাধিক ব্যক্তিকে একই নম্বর দেওয়া হয়েছে। এবার প্রযুক্তিগত (Bengal CEO) দল ও সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা করে প্রতিটি ভোটারকে একক এপিক নম্বর দেওয়ার ব্যবস্থাও করা হবে (Phantom Voters)।

  • Operation Shivshakti: মঙ্গলে অনুপ্রবেশ, বুধে নিকেশ! এবার পুঞ্চে ‘অপারেশন শিবশক্তি’ সেনার, খতম ২ পাক জঙ্গি

    Operation Shivshakti: মঙ্গলে অনুপ্রবেশ, বুধে নিকেশ! এবার পুঞ্চে ‘অপারেশন শিবশক্তি’ সেনার, খতম ২ পাক জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘অপারেশন মহাদেব’-এর পর এবার ‘অপারেশন শিবশক্তি’ (Operation Shivshakti)। গোপন অভিযানে ফের জম্মু কাশ্মীরে জঙ্গি নিকেশ ভারতীয় সেনার। নিয়ন্ত্রণরেখা লাগোয়া জম্মু ও কাশ্মীরের পুঞ্চে ২ পাক অনুপ্রবেশকারীকে খতম করল ভারতীয় বাহিনী।

    মঙ্গলে অনুপ্রবেশ, বুধে নিকেশ…

    সেনার তরফে প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, মঙ্গলবার রাতে পুঞ্চে জঙ্গল লাগোয়া দেঘোয়ার সেক্টর অঞ্চল দিয়ে নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে ভারতে ঢুকেছিল ওই জঙ্গিরা। বিএসএফ তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে অভিযান চালালেও রাতের অন্ধকার ও ঘন জঙ্গলের সুযোগ নিয়ে বিএসএফের হাত থেকে বেঁচে যায়। খবর পেয়ে এরপর তাদের নিকেশের দায়িত্ব নেয় সেনা। অভিযানের নাম দেওয়া হয় ‘অপারেশন শিবশক্তি’। সেইমতো শুরু হয় নিয়ন্ত্রণরেখা লাগোয়া অঞ্চলে অভিযান। রাতভর তল্লাশি অভিযান চালানো হয় গোটা এলাকায়। বুধবার ভোরের আলো ফোটার আগেই, ২ পাক অনুপ্রবেশকারীর খেল খতম করে সেনা।

    সেনা অভিযান চলছে, চলবে…

    সেনার ‘হোয়াইট নাইট’ কোরের তরফে জানানো হয়েছে, দুই অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির সন্দেহজনক চলাচল নজরে আসে। তাদের ট্র্যাক করে বাহিনী এগিয়ে গেলেই, আচমকা জঙ্গলের ভিতর থেকে এলোপাথারি গুলি চালাতে শুরু করে জঙ্গিরা। পাল্টা জবাব দেয় সেনাবাহিনীও। বেশ কিছুক্ষণ দু’পক্ষের গুলির লড়াই চলার পর দুই জঙ্গিকেই খতম করা হয়। শেষ খবর মেলা পর্যন্ত, এখনও ওই এলাকায় চিরুনি তল্লাশি চলছে। নিহত জঙ্গিদের আর কোনও সঙ্গী আত্মগোপন করে আছে কিনা, তা খুঁজে দেখা হচ্ছে। এর জন্য অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

    ‘অপারেশন মহাদেব’-এ বিরাট সাফল্য

    এর আগে, সোমবার ‘অপারেশন মহাদেব’-এর (Operation Mahadev) মাধ্যমে উপত্যকায় বিরাট সাফল্য পায় নিরাপত্তাবাহিনী। শ্রীনগরের অদূরে মহাদেব পর্বতের পাদদেশে দাচিগাম জঙ্গলে সেনার বিশেষ কমান্ডো অভিযানে খতম হয় পহেলগাঁও হামলার সঙ্গে যুক্ত ৩ পাক জঙ্গিই। তাদের মধ্যে ছিল ওই হামলার মূল মাথা সুলেমান শাহ ওরফে হাসিম মুসা। এছাড়া খতম হয় ওই হামলায় প্রত্যক্ষভাবে জড়িত থাকা আরও ২ জঙ্গি জিবরান ও অফগান। সেই খবর, মঙ্গলবার সংসদে জানান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি জানান, সুলেমান ওরফে মুসা ছিল পাক সেনার প্রাক্তন কমান্ডো। বর্তমানে নিষিদ্ধ পাক জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার সদস্য আফগান এবং জিবরানও ‘এ লিস্টেড’ জঙ্গি। জিবরান গত বছরের সোনামার্গ টানেলে হামলার সঙ্গেও জড়িত ছিল।

  • India vs England: ভারত-ইংল্যান্ড চূড়ান্ত লড়াই, বাড়ছে উত্তেজনা! ওভালে পিচ কিউরেটরের সঙ্গে বচসায় গম্ভীর

    India vs England: ভারত-ইংল্যান্ড চূড়ান্ত লড়াই, বাড়ছে উত্তেজনা! ওভালে পিচ কিউরেটরের সঙ্গে বচসায় গম্ভীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চম তথা শেষ টেস্টের (India vs England) আর বেশি দেরি নেই। রাত পোহালেই শুরু হবে অ্যান্ডারসন-তেন্ডুলকর ট্রফির অন্তিম যুদ্ধ। ম্যাঞ্চেস্টারে (Manchester Test) দুর্দান্ত ড্রয়ের পর সিরিজে সমতা ফেরানোর বড় সুযোগ টিম ইন্ডিয়ার (Team India) সামনে। কিন্তু তার আগেই ফের বিতর্ক। মঙ্গলবার দুপুরে ওভালের প্রধান পিচ কিউরেটর (Oval Pitch Curator) লি ফোর্টিসের (Lee Fortis) সঙ্গে তর্কাতর্কি শুরু হয় ভারতীয় দলের প্রধান কোচ গৌতম গম্ভীরের (Gautam Gambhir)। ম্যাঞ্চেস্টার টেস্ট নাটকীয় লড়াইয়ে ড্র হয়েছে। সিরিজে সমতা ফেরানোর লক্ষ্য ওভালে নামবে গম্ভীর ব্রিগেড। সোমবারই লন্ডনে পৌঁছেছে ভারতীয় দল। মঙ্গলবার প্রথম অনুশীলন ছিল। কিন্তু জানা যাচ্ছে, মাঠের পরিষেবা নিয়ে অখুশি টিম ইন্ডিয়া। সেই নিয়ে পিচ কিউরেটর ফর্টিসের সঙ্গে কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন গম্ভীর।

    গম্ভীর-ফর্টিস বিতর্ক

    ভারতীয় দলের ব্যাটিং কোচ সীতাংশু কোটাক বলেছেন, ‘‘মাঠে আইস বক্স রাখার সময় ফর্টিস প্রথমে চিৎকার করে আমাদের সাপোর্ট স্টাফদের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁর বলার ধরন পছন্দ হয়নি গম্ভীরের। কোচ বিরক্ত হন। তিনি আপত্তি জানান। তা থেকেই প্রথম উত্তেজনা তৈরি হয়।’’ গম্ভীর বলেন, “আমরা কী করব, সেটা আপনি বলার কেউ নন।” জানা যাচ্ছে, ওভালের পিচ কিউরেটর ও অন্যান্য মাঠকর্মীরা গম্ভীরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করার হুমকি দেন। যার উত্তরে গম্ভীর বলেন, “যা খুশি করুন। যেখানে অভিযোগ করতে হয় করুন। আপনি একজন মাঠকর্মীর বেশি নন।” এ প্রসঙ্গে কোটাক আরও বলেছেন, ‘‘আমরা যখন পিচ দেখছিলাম, তখন ফর্টিস এক জন মাঠকর্মীকে পাঠান। তিনি আমাদের আড়াই মিটার দূর থেকে পিচ দেখতে বলেন। মানে আমাদের প্রধান কোচকে দড়ির বাইরে থেকে পিচ দেখতে বলা হয়! আমার ক্রিকেটজীবনে এমন কখনও দেখিনি। আমরা জগার্স পরেছিলাম। রবারের স্পাইক পরে পিচের কাছে যাওয়া যায়। আমরা ভুল কিছু করিনি। ওর বক্তব্য আমাদের অদ্ভুত লেগেছে। আমরা মাঠের কোনও ক্ষতি করতে যাইনি। আমরা পিচ দেখছিলাম। প্রাচীন মূল্যবান কোনও সামগ্রী দেখছিলাম না।’’ তিনিও বলেছেন, ‘‘এটা থেকেই উত্তেজনার শুরু। গম্ভীর এমন একজন মানুষ, যে খুব বেশি কথা বলে না। কারও সঙ্গে অপ্রয়োজনীয় কথাও বলে না। আমরা সব জায়গায় খেলতে যাই। সব পিচ প্রস্তুতকারকই আমাদের সঙ্গে কথা বলেন। হয়তো অনেক সময় আমরা ঘাস কাটা হবে কি না জানতে চাই। তাঁরা তাঁদের মতো করে ভাল ভাবে উত্তর দেন।’’

    টেস্টে অভিষেক হতে পারে অর্শদীপের

    সিরিজে (India vs England) হার এড়াতে ওভালে জিততেই হবে শুভমন গিলদের। এই পরিস্থিতিতে প্রস্তুতি এবং পরিকল্পনায় ফাঁক রাখতে চাইছে না ভারতীয় শিবির। সিরিজের শেষ টেস্টের প্রথম একাদশ নিয়েও ভাবনা-চিন্তা শুরু করে দিয়েছেন গৌতম গম্ভীরেরা। ভারতীয় শিবির সূত্রে খবর, ওভালে অভিষেক হতে পারে এক ক্রিকেটারের। ব্যাটিং ভাল হলেও বোলিং নিয়ে ভারতীয় শিবিরে উদ্বেগ রয়েছেই। প্রতিপক্ষের ২০ উইকেট নেওয়া যাচ্ছে না। প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ, অংশুল কম্বোজ, শার্দূল ঠাকুরেরা প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি বল হাতে। তাই অন্য একজনকে খেলানোর কথা ভাবছেন গম্ভীর। তিনি অর্শদীপ সিং। সব কিছু ঠিক থাকলে ম্যাঞ্চেস্টারেই অভিষেক হতে পারত বাঁহাতি জোরে বোলারের। অর্শদীপ বাঁহাতি হওয়ায় ভারতের বোলিং আক্রমণের বৈচিত্র্য বাড়বে। তিনি খেলতে না পারলে প্রথম একাদশে ফিরবেন আকাশদীপ। খেলবেন মহম্মদ সিরাজ। কম্বোজের জায়গায় অভিষেক হতে পারে অর্শদীপের। ভারতের ৩১৯ নম্বর ‘টেস্ট ক্যাপ’ তুলে দেওয়া হবে ২৬ বছরের বোলারের হাতে। অর্শদীপ টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ভারতের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি। দেশের হয়ে এক দিনের ম্যাচও খেলেছেন।

  • Earthquake in Russia: কম্পনের মাত্রা রিখটার স্কেলে ৮.৮, তীব্র ভূমিকম্পের পর রাশিয়ার উপকূলে আছড়ে পড়ল সুনামি

    Earthquake in Russia: কম্পনের মাত্রা রিখটার স্কেলে ৮.৮, তীব্র ভূমিকম্পের পর রাশিয়ার উপকূলে আছড়ে পড়ল সুনামি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভূমিকম্পের পর সুনামি, বিধ্বস্ত রাশিয়া! বুধবার রাশিয়ার পূর্বে কামচাটকা উপদ্বীপ কেঁপে ওঠে শক্তিশালী ভূমিকম্পে (Earthquake in Russia)। কম্পনের মাত্রা রিখটার স্কেলে ৮.৮। শক্তিশালী এই ভূমিকম্পের ফলে আছড়ে পড়েছে সুনামিও। প্রায় চার মিটার উঁচু ঢেউয়ে ভেসে গিয়েছে এলাকা। রাশিয়ায় তীব্র ভূমিকম্পের পরই সুনামি সতর্কতা জারি করেছিল জাপান ও আমেরিকা। সেই অনুযায়ী ভূমিকম্পের পর রাশিয়ার সেভেরো-কুরিলস্ক উপকূলে সুনামির (Tsunami in Russia) প্রথম ঢেউ দেখা যায়। অনেকেই সুনামির আগের ও পরের ছবি এক্স হ্যান্ডলে শেয়ার করেছেন। যেখানে দেখা যাচ্ছে, সুনামির জেরে উপকূলে একাধিক বাড়ি প্রায় ডুবে গিয়েছে।

    ভূমিকম্পের তীব্রতা 

    মার্কিন আবহাওয়া সংস্থা জানিয়েছে, ভূমিকম্পের উৎস ভূপৃষ্টের ১৯.৩ কিলোমিটার গভীরে। প্রথমে মনে হয়েছিল কম্পনের (Earthquake in Russia) মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৮। পরে জানা যায়, ভূমিকম্পের মাত্রা ৮.৭। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর মেলেনি। এদিন স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ২৫ মিনিটে তীব্র ভূমিকম্পে কেঁপে উঠে রাশিয়ার কামচাটকা পেনিনসুলা। সাম্প্রতিককালে এই অঞ্চলে যতগুলি তীব্র ভূমিকম্প হয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম এদিনের এই ভূমিকম্প। কামচাটকার গভর্নর ভ্লাদিমির সোলোদেব সোশ্যাল মিডিয়ায় এক বার্তায় বলেন, “দশকের সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প।” ভূমিকম্পের তীব্রতা এতটাই যে উপকূলবর্তী এলাকার অনেক বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর, ভূমিকম্পের কারণে বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

    আছড়ে পড়েছে সুনামি

    আমেরিকার জিওলজিক্যাল সার্ভে জানিয়েছে, তীব্র এই ভূমিকম্পের ঘণ্টা তিনেকের মধ্যে রাশিয়া ও জাপানের উপকূলে ভয়ঙ্কর সুনামি দেখা যেতে পারে। শুধু রাশিয়া নয়, ভূমিকম্পের কারণে আমেরিকা-সহ প্রশান্ত মহাসাগরের আশপাশের বেশ কয়েকটি দেশেও সুনামির (Tsunami in Russia) সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই জাপানের হোক্কাইডো উপকূলবর্তী এলাকাতেও আছড়ে পড়েছে সুনামি। উত্তর-পশ্চিম হাওয়াই দীপপুঞ্জ এবং রাশিয়ার উপকূলরেখার কিছু অংশে তিন মিটার উঁচু ঢেউ আছড়ে পড়ছে। মার্কিন সংস্থার আশঙ্কা কোসরে, মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ, পালাউ এবং ফিলিপিন্সের কিছু অংশে সুনামির সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সব অংশে ০.৩ মিটার থেকে এক মিটার উঁচু ঢেউ আছড়ে পড়ার পূর্বাভাস জারি করা হয়েছে। রাশিয়ার এক মন্ত্রী জানিয়েছেন, ভূমিকম্পের পর কামচাটকা অঞ্চলের কিছু অংশে তিন থেকে চার মিটার উঁচু ঢেউ-সহ সুনামি লক্ষ্য করা গিয়েছে। সেই কারণে সকলকে সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকা থেকে যত দূর সম্ভব সরে যাওয়ার বার্তা দেওয়া হয়েছে। প্রশাসন বাসিন্দাদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ করছে জোরকদমে।

LinkedIn
Share