Tag: news in bengali

news in bengali

  • Arunachal Frontier Highway: চিন সীমান্ত ঘেঁষে অরুণাচলে তৈরি হচ্ছে ১,৬৩৭ কিমি হাইওয়ে, বড় বরাদ্দ কেন্দ্রের

    Arunachal Frontier Highway: চিন সীমান্ত ঘেঁষে অরুণাচলে তৈরি হচ্ছে ১,৬৩৭ কিমি হাইওয়ে, বড় বরাদ্দ কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৈরি হচ্ছে ১ হাজার ৬৩৭ কিলোমিটার দীর্ঘ অরুণাচল ফ্রন্টিয়ার হাইওয়ে (Arunachal Frontier Highway)। এই হাইওয়ে নির্মাণের জন্য কেন্দ্র বরাদ্দ করেছে ২৮ হাজার ২২৯ কোটি টাকা। এই হাইওয়েটি ভারত-চিন আন্তর্জাতিক সীমানায় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর রাজ্যের ১২টি জেলাকে সংযোগ করবে। হাইওয়েটি তৈরিতে আনুমানিক ব্যয় ধার্য হয়েছে ৪০ হাজার কোটি টাকা।

    বদলাবে অরুণাচলের ভোল (Arunachal Frontier Highway)

    নির্মাণ কাজ শেষ হয়ে গেলে বদলে যাবে অরুণাচল প্রদেশের আর্থ-সামাজিক পরিকাঠামো। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, চিনের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর এই রাস্তা তৈরি করছে ভারত। জানা গিয়েছে, এই হাইওয়েটি ভারত-তিব্বত-চিন-মায়ানমার সীমান্ত বরাবর নির্মিত হচ্ছে। হাইওয়েটি (Arunachal Frontier Highway) তৈরি হচ্ছে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা ও আন্তর্জাতিক সীমানা থেকে মাত্র ২০ কিলোমিটার দূরে।

    কোথায় শুরু, শেষই বা কোথায়

    জানা গিয়েছে, হাইওয়েটি বমডিলা থেকে শুরু হবে এবং নাফ্রা, হুরি এবং মোনিগং শহরগুলির মধ্য দিয়ে যাবে। এই এলাকাগুলি প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (LAC) বা ম্যাকমোহন লাইনের কাছাকাছি অবস্থিত। হাইওয়েটি (Arunachal Frontier Highway) শেষ হবে ভারতের-মায়ানমার সীমান্তের কাছে, বিজয়নগরে গিয়ে। বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশনের মুখ্য ইঞ্জিনিয়র তথা ব্রহ্মাঙ্ক প্রকল্পের প্রধান সুবাস চন্দ্র লুনিয়া বলেন, “অরুণাচল ফ্রন্টিয়ার হাইওয়ের জন্য কেন্দ্র ২৮ হাজার ২২৯ কোটি টাকা অনুমোদন করেছে। এটি ১ হাজার ৬৮৩টি গ্রামকে সংযুক্ত করবে। ম্যাকমোহন লাইনের সমান্তরালে নির্মিত জাতীয় সড়কটি (Arunachal Frontier Highway) নির্মাণের কাজ শেষ হবে ২০২৭ সালের মধ্যে।”

    আরও পড়ুন: বাংলাদেশে নিষিদ্ধ নয় ইসকন, আবেদন খারিজ করে জানিয়ে দিল সেদেশের হাইকোর্ট

    তিনি জানান, অরুণাচল ফ্রন্টিয়ার ন্যাশনাল হাইওয়ে-৯১৩ (Arunachal Frontier Highway)-এর ১৯৮ কিমি (তাতো-তুতিং) অংশ নির্মাণের কাজ চলছে। ২০১৪ সালের পরে বিভিন্ন রাজ্যে বিআরও-এর কাজের জন্য সড়ক উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণের ক্ষেত্রে বাজেট বরাদ্দ দ্বিগুণ করা হয়েছে। এই বরাদ্দ পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় ঢের বেশি। লুনিয়া বলেন, “সিয়াং, আপার সিয়াং, ওয়েস্ট সিয়াং এবং শি-য়োমি জেলার পাশাপাশি অসমের ধেমাজি জেলার চারটি সড়কের রক্ষণাবেক্ষণ-সহ সড়ক পরিকাঠামো নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজও চলছে।” তিনি বলেন, “ব্রহ্মাঙ্ক প্রকল্প প্রতিষ্ঠার দিন থেকে আজ পর্যন্ত ১৭টি রাস্তার নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে, যার মোট দৈর্ঘ্য ৪৯৬ কিলোমিটার (Arunachal Frontier Highway)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     

  • Indian gooseberry: খাওয়ার পরেই একটা আমলকি!  এই ফলে কোন কোন রোগের মোকাবিলা সহজ হবে? 

    Indian gooseberry: খাওয়ার পরেই একটা আমলকি! এই ফলে কোন কোন রোগের মোকাবিলা সহজ হবে? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    আমলকি! ভারতীয় এই ফলের চাহিদা বিশ্ব বাজারে তর তর করে বাড়ছে! বিশেষজ্ঞ মহল এই ফলের নাম দিয়েছে ‘সুপার ফুড’ (Indian gooseberry)! ভাত খাওয়ার পরে কিংবা বিকেলে, দিনের যে কোনও সময় এক টুকরো মুখে পুরলেই দেখা দেবে ম্যাজিক! একাধিক রোগ মোকাবিলার বাড়তি শক্তি পাওয়া যাবে এতে।  এমনকী বিভিন্ন রোগের উপশম করে এই ফল। তাই এই ফলকে ‘সুপার ফুড’ও বলা হয়।

    কাদের জন্য উপকারী এই ফল?

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, শিশু থেকে বয়স্ক, সকলেই এই ফল নিয়মিত খেতে পারে। সবার জন্য এই ফল বিশেষ উপকারী। তবে শিশুকে তিন বছরের আগে আমলকি দেওয়া উচিত নয়। কারণ, কাঁচা আমলকি যথেষ্ট শক্ত হয়। ফলে গলায় আটকে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। তবে তিন বছরের উর্ধ্বে শিশুদের এই ফল ছোট টুকরো করে দেওয়া যেতে পারে। বয়স্করা নিয়মিত আমলকি খেতে পারেন। প্রবীণদের জন্য আমলকি বিশেষ উপকারী হয়।

    কী কী উপকার পাওয়া যায়? (Indian gooseberry)

    আমলকিতে থাকে ভিটামিন সি। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, এর ফলে সর্দি-কাশি মোকাবিলায় এই ফল বিশেষ করে উপকারী। প্রবীণ এবং শিশুদের সর্দি-কাশির সমস্যা বেশি হয়। বিশেষত ঋতু পরিবর্তনের সময়ে বারবার অনেকেই সর্দি-কাশিতে নাজেহাল হন। তাই নিয়মিত আমলকি খেলে বাড়তি উপকার পাওয়া যায়। 
    মাথাব্যথায় আমলকি বিশেষ উপকার করে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, অনেকেই বমি এবং মাথাব্যথার সমস্যায় ভোগেন। বিশেষত মাইগ্রেনের সমস্যায় আক্রান্তদের ভোগান্তি আরও বাড়ে। আমলকি (Indian gooseberry) নিয়মিত খেলে বমি ভাব দূর হয়। মাথাব্যথাও কমে। 
    আমলকিতে থাকে আয়রন।  তাই নিয়মিত আমলকি খেলে রক্তাল্পতা কমে। শরীরে আয়রনের জোগান ঠিকমতো পাওয়া যায়। তাই বিশেষজ্ঞদের একাংশের পরামর্শ, বয়ঃসন্ধিকাল থেকে মেয়েরা নিয়মিত আমলকি খেলে শরীরে আয়রনের ঘাটতি অনেকটাই কমবে। 
    আমলকিতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এই উপাদান শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়িয়ে দেয়। ফলে নিয়মিত আমলকি খেলে ক্যান্সারের মতো রোগকেও মোকাবিলা করা সহজ হয়। 
    স্থূলতা কমাতে আমলকি (Indian gooseberry) বিশেষ সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, আমলকি সহজেই দেহের ক্ষতিকারক মেদ ঝরাতে সাহায্য করে‌। তাই স্থূলতা রুখতে আমলকি খুবই উপকারী। 
    আমলকি হজমে সাহায্য করে। পাশপাশি বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, আমলকির রস পেপটিক আলসার রুখতে বিশেষ সাহায্য করে। 
    উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও আমলকি বিশেষ সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, শুকনো আমলকির (Amlaki) গুঁড়ো মধুর সঙ্গে মিশিয়ে নিয়মিত খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Chinmoy Krishna Das: ইউনূস সরকারের বুকে ভয় ধরিয়ে দিয়েছেন ঊনচল্লিশের সন্ন্যাসী চিন্ময়, তাই কি গ্রেফতার?

    Chinmoy Krishna Das: ইউনূস সরকারের বুকে ভয় ধরিয়ে দিয়েছেন ঊনচল্লিশের সন্ন্যাসী চিন্ময়, তাই কি গ্রেফতার?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বয়স মাত্রই ঊনচল্লিশ। পরিচয় সনাতনী, বাংলাদেশের এক ইসকন মন্দিরের দায়িত্বে। তাঁর প্রতিপক্ষ যিনি, তিনি বয়সে প্রবীণ। বাংলাদেশের তদারকি সরকারের প্রধান। দুজনের ধর্ম পরিচয়ও আলাদা। প্রথম জন হিন্দু, অন্যজন ধর্মে মুসলমান (Muhammad Yunus)। ঊনচল্লিশ বছরের এই সনাতনিই ভয় ধরিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের বুকে। তাঁর একটা ডাকে জমায়েত হন বাংলাদেশের লাখো হিন্দু। মন দিয়ে শোনেন তাঁর কথা। এহেন চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ওরফে চিন্ময় প্রভুকে (Chinmoy Krishna Das) গ্রেফতার করে সাপের ছুঁচো গেলার দশা হয়েছে মহম্মদ ইউনূস সরকারের। তাঁরা না পারছেন চিন্ময়কে ছেড়ে দিতে, না পারছেন যাদের ‘বুদ্ধি’তে গ্রেফতার করা হল তাঁকে, তাদের চটাতে।

    ক্ষোভে ফুঁসছেন সনাতনীরা

    ফেরা যাক খবরে। দিন কয়েক আগে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় ইসকনের চিন্ময়কে। তাঁর মুক্তির দাবিতে কয়েক ঘণ্টার জন্য ঢাকা অচল করে দেন সে দেশের সনাতনীরা। কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটিয়ে, লাঠিচার্জ করে চিন্ময়কে কোনওরকমে নিয়ে যাওয়া হয় জেলে। তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনা হয়। যারে জেরে বাংলাদেশ তো বটেই, ক্ষোভে ফুঁসছেন ভারত তথা তামাম বিশ্বের সনাতনীরা।

    নির্ভীক চিন্ময় (Chinmoy Krishna Das) 

    চিন্ময় প্রভুর নির্ভীকতাকে কুর্নিশ করতে হয়। পুলিশ যথন তাঁকে প্রিজন ভ্যানে করে জেলের কুঠুরিতে নিয়ে যাচ্ছেন, তখনও অকুতোভয় চিন্ময় ভিক্ট্রি সাইন দেখাচ্ছেন। সনাতনীদের উদ্দেশে বলছেন, “ঐক্যবদ্ধ থাকুন।” চট্টগ্রামের জনসমাবেশে সংখ্যালঘুদের জন্য যে আট দফা দাবি তিনি জানিয়েছিলেন, সেই কারণেই তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা বলে মনে করেন তিনি। চিন্ময় বলেন, “বিদ্রোহ মামলাটি আমাদের সংখ্যালঘুদের জন্য আট দফা দাবির বিরুদ্ধে। এটি আন্দোলনের নেতৃত্বকে শেষ করে দেওয়ার একটি প্রচেষ্টা।” যে চিন্ময়কে নিয়ে এত হইচই, মাস কয়েক আগেও তাঁকে বিশেষ চিনতেন না বাংলাদেশের সিংহভাগ মানুষ। হাসিনা সরকারের পতনের পর হিন্দুদের এক ছাতার তলায় নিয়ে আসার মহান কাজটি করে তিনি চলে আসেন খবরের শিরোনামে, নজরে পড়ে যান ইউনূস সরকারের (Muhammad Yunus)। এখন চিন্ময়ের নামে বাংলাদেশের যে কোনও জায়গায় নিমেষেই জড়ো করা যায় কয়েক হাজার হিন্দুকে।

    সুর চড়িয়েছেন চিন্ময় (Chinmoy Krishna Das) 

    হাসিনা সরকারের পতনের পর সবাই যখন মুখে কুলুপ এঁটেছেন, তখন গলা চড়িয়েছেন চিন্ময়। ঢাকার এক কমেন্টেটর বলেন, “যখন সবাই ভয়ে চুপ করে গিয়েছিলেন, তখন সুর চড়িয়েছিলেন চিন্ময়। সঙ্কটের সেই সময়ে তিনি আত্মপ্রকাশ করেন নেতা হিসেবে। সময়টা তাঁর অনুকূলে ছিল। সে-ই চিন্ময়কে মাইলেজ দিয়েছে।” সেই কারণেই যে তিনি মুসলমানদের রোষের মুখে পড়েছেন, তা মনে করছেন সে দেশের সনাতনীরা। পূর্বাশ্রমে তাঁর নাম ছিল চন্দন কুমার ধর। সন্ন্যাস দীক্ষা নেওয়ার পর তাঁর নাম হয় চিন্ময় কৃষ্ণ দাস (Chinmoy Krishna Das)। বাংলাদেশের নিপীড়িত সংখ্যালঘুদের মুখ হয়ে ওঠেন তিনিই। তার জেরে চিন্ময়ের সঙ্গে হাত মেলান বাংলাদেশের ইস্কনের সন্ন্যাসীরা। তাঁরা চিন্ময়ের মুক্তির দাবিতে সোচ্চার হন।

    কী বলছেন কমেন্টেটর

    ঢাকার ওই কমেন্টেটর বলেন, “তিনি তাঁর বয়সের তুলনায় জ্ঞানী এবং পরিণত। আর এটি পরিস্থিতিরই একটি ফসল।” চট্টগ্রামের এক সন্ন্যাসী বলেন, “চিন্ময় ১৯৮৫ সালের মে মাসে চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার কারিয়ানগর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি শিশু বয়স থেকেই ধর্মীয় ক্ষেত্রে একজন জনপ্রিয় বক্তা ছিলেন (Chinmoy Krishna Das)। তিনি ১৯৯৭ সালে, মাত্র ১২ বছর বয়সে দীক্ষা গ্রহণ করেন এবং ইসকনের ব্রহ্মচারী হন।” বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোট ৮ দফা দাবি আদায়ের জন্য ২৫ অক্টোবর চট্টগ্রামে একটি বিশাল সমাবেশের আয়োজন করেছিল। হিন্দুদের এই শক্তি প্রদর্শন বাংলাদেশের জনসংখ্যার একটি অংশের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়নি। চিন্ময়-সহ ১৭ জন হিন্দু নেতার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা দায়ের করে তারাই। সেই মামলার ভিত্তিতেই গ্রেফতার করা হয় চিন্ময়কে।

    চিন্ময়কে রোখার চেষ্টা (Chinmoy Krishna Das)

    ২২ নভেম্বর রংপুরে জনসমাবেশের ডাক দেন চিন্ময়। সেই সমাবেশ আটকাতে চেষ্টার কসুর করেনি বাংলাদেশ সরকার। আগাম বুকিং করা থাকলেও, পরে কোনও কারণ ছাড়াই বাতিল করে দেওয়া হয় বুকিং। চিন্ময় বলেন, “বাংলাদেশে সনাতনীদের দুর্দশার কথা আপনি এই ঘটনাটি থেকেই অনুমান করতে পারেন। তাঁদের ওপর চলা দমন-পীড়নের প্রমাণের জন্য আর কিছুর প্রয়োজন নেই।” খুলনা এবং সিলেটেও দুটি বড় সমাবেশের আয়োজন করার পরিকল্পনা করেছিলেন চিন্ময় (Chinmoy Krishna Das)। তার আগে তাঁকে গ্রেফতার করা হয় ঢাকা থেকে।

    আরও পড়ুন: আজমের শরিফ দরগা আদতে একটি শিব মন্দির, হিন্দু সেনার আর্জি গ্রহণ করল আদালত

    বিপাকে ইউনূস সরকার

    বাংলাদেশের ওই কমেন্টেটর বলেন, “বাংলাদেশের হিন্দু জনগোষ্ঠীর একটি বড় অংশ তরুণ এবং প্রযুক্তি-সচেতন। এই তরুণরা দেখেছে যে সারা বিশ্বে সংখ্যালঘুদের নিজেদের জন্মভূমিতে টিকে থাকার জন্য লড়াই করতে হয়।” জানা গিয়েছে, ১৯৬৪ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত ধর্মীয় নিপীড়নের কারণে বাংলাদেশ ছেড়ে গিয়েছেন ১ কোটির বেশি হিন্দু ধর্মাবলম্বী। এই নিপীড়িতদেরই মুখ হয়ে উঠেছিলেন চিন্ময় (Chinmoy Krishna Das)। তাঁকে গ্রেফতার করেই বিপাকে বাংলাদেশ সরকার। কারণ এই মুহূর্তে চিন্ময়ের সঙ্গে রয়েছে তামাম বিশ্বের সহানুভূতির ঝড়। যার বড় মূল্য চোকাতে হতে পারে ইউনূসের (Muhammad Yunus) অন্তর্বর্তী সরকারকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ajmer Sharif Dargah: আজমের শরিফ দরগা আদতে একটি শিব মন্দির, হিন্দু সেনার আর্জি গ্রহণ করল আদালত

    Ajmer Sharif Dargah: আজমের শরিফ দরগা আদতে একটি শিব মন্দির, হিন্দু সেনার আর্জি গ্রহণ করল আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজমের শরিফ দরগা (Ajmer Sharif Dargah) আদতে একটি হিন্দু মন্দির ছিল। এই মর্মে আবেদনপত্র জমা পড়েছিল রাজস্থানের আদালতে (Rajasthan Court)। সেই আবেদনের শুনানিতে সম্মতি দিয়েছে আদালত। হিন্দু সেনার দায়ের করা আবেদনে দাবি করা হয়েছে, সুফি সাধক খাজা মইনুদ্দিন চিশতির মাজার আসলে একটি শিব মন্দির। এই আবেদন গ্রহণ করেছে আজমেরের নিম্ন আদালত।

    তলব নোটিশ জারি করার নির্দেশ (Ajmer Sharif Dargah)

    আজমের পশ্চিম সিভিল জজ (সিনিয়র ডিভিশন) মনমোহন চন্ডেল হিন্দু সেনার সভাপতি বিষ্ণু গুপ্তের দ্বারা দায়ের করা আবেদনের শুনানি গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই মামলার শুনানি হবে ২০ ডিসেম্বর। আজমের শরিফ দরগা কমিটি, সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রক এবং ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ (ASI)-কে তলব নোটিশ জারি করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

    হিন্দু সেনার দাবি

    গত সেপ্টেম্বরে হিন্দু সেনা আজমের সিভিল কোর্টে একটি আবেদন দায়ের করে। তাতে দাবি করা হয়, খোয়াজা মইনউদ্দিন চিশতির দরগাকে ‘ভগবান শ্রী সঙ্কটমোচন মহাদেব বিরাজমান মন্দির’ ঘোষণা করা হোক। আবেদনে দাবি করা হয়েছে, দরগাটি একটি শিব মন্দিরের ওপর নির্মিত হয়েছে। প্রামাণিক উৎস থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ওপর ভিত্তি করে এই দাবি করা হয়েছে। সুফি দরগাটি (Ajmer Sharif Dargah) ওই জায়গা থেকে অপসারণের দাবিও জানানো হয়েছে। হিন্দু সেনার দাবি, ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণকে নির্দেশ দেওয়া হোক যাতে জ্ঞানবাপি মামলার মতোই এই জায়গায় সমীক্ষা করা হয় এবং তারপর সেখানে শিব মন্দির পুননির্মাণ করা হয়।

    আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্রে ‘বিহার মডেল’ নয়, সাফ জানাল বিজেপি

    পিটিশনে বলা হয়েছে (Ajmer Sharif Dargah), খোয়াজা মইনউদ্দিন চিশতি মহম্মদ ঘোরির সঙ্গে আজমেরে এসেছিলেন। ঘোরি বহু হিন্দু মন্দির ধ্বংস করেছিলেন। এর মধ্যে রয়েছে আজমেরের সঙ্কট মোচন মহাদেব মন্দিরও। হিন্দু সেনার দাবি, আজমের শরিফ দরগার প্রধান প্রবেশদ্বারের নকশা হিন্দু স্থাপত্যের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। ঐতিহাসিক নথিতে সেই জায়গায় একটি শিব মন্দিরের অস্তিত্বের উল্লেখ রয়েছে।

    প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই উত্তরপ্রদেশের সম্ভলে আদালতের নির্দেশে শাহি জামা মসজিদে সমীক্ষা করতে গেলে শুরু হয় অশান্তি। সেখানেও (Rajasthan Court) স্থানীয়দের একাংশ দাবি করেন, হিন্দু মন্দির ভেঙে গড়ে উঠেছে মসজিদ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 204: “গোপীরা কাত্যায়নীপূজা করেছিলেন, সকলেই সেই মহামায়া আদ্যাশক্তির অধীনে”

    Ramakrishna 204: “গোপীরা কাত্যায়নীপূজা করেছিলেন, সকলেই সেই মহামায়া আদ্যাশক্তির অধীনে”

    ভক্তসঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণ

    নবম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ২রা জুন

    কলিকাতায় বলরাম ও অধরের বাটীতে শ্রীরামকৃষ্ণ

    শ্রীমতী—সখি, মান তো আমার নয়। যার মান তার সঙ্গে গেছে।

    ললিতা শ্রীমতীর হয়ে দুটো কথা বলছেন—

        সবহুঁ মিলি কয়লি প্রীত…
    কোই দেখাইলি ঘাটে মাঠে, বিশাখা দেখালি চিত্রপটে!

    এইবার কীর্তনে গোস্বামী বলছেন যে, সখীরা রাধাকুণ্ডের নিকট শ্রীকৃষ্ণকে (Ramakrishna) অন্বেষণ করিতে লাগিল। তারপর যমুনাপুলিনে শ্রীকৃষ্ণদর্শন, শ্রীদাম-সুদাম মধুমঙ্গল সঙ্গে, বৃন্দার সহিত শ্রীকৃষ্ণের কথা, শ্রীকৃষ্ণের যোগিবেশ, জটিলা সংবাদ, রাধার ভিক্ষা দেন, রাধার হাত দেখে যোগীর গণনা ও ফাঁড়া কথন। কাত্যায়নীপূজায় যাওয়ার আয়োজন কথা (Ramakrishna)।

    The Humanity of Avatars 

    কীর্তন সমাপ্ত হইল। ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) ভক্তসঙ্গে আলাপ করিতেছেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ—গোপীরা কাত্যায়নীপূজা করেছিলেন। সকলেই সেই মহামায়া আদ্যাশক্তির অধীনে। অবতার আদি পর্যন্ত মায়া আশ্রয় করে তবে লীলা করেন। তাই তাঁরা আদ্যাশক্তির পূজা করেন। দেখ না, রাম সীতার জন্য কত কেঁদেছেন। “পঞ্চভূতের ফাঁদে, ব্রহ্ম পড়ে কাঁদে।”

    “হিরণ্যাক্ষকে বধ করে বরাহ অবতার ছানা-পোনা নিয়ে ছিলেন। আত্মবিস্মৃত হয়ে তাদের মাই দিচ্ছিলেন! দেবতারা পরামর্শ করে শিবকে পাঠিয়ে দিলেন। শিব শূলের আঘাতে বরাহের দেহ ভেঙে দিলেন; তবে তিনি স্বধামে চলে গেলেন। শিব জিজ্ঞাসা করেছিলেন, তুমি আত্মবিস্মৃত হয়ে আছ কেন? তাতে তিনি বলেছিলেন (Ramakrishna), আমি বেশ আছি!”

    অধরের বাটী হইয়া এইবার ঠাকুর রামের বাটীতে গমন করিতেছেন। সেখানে কথকঠাকুরের (Ramakrishna) মুখে উদ্ধব-সংবাদ শুনিলেন। রামের বাটীতে কেদারাদি ভক্তগণ উপস্থিত ছিলেন।

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 203: “কর্ম গেলে কেরানির যেমন হয়…ব্যাকুলতা হলে ছটফট করে কিসে ঈশ্বরকে পাব!”

    Ramakrishna 203: “কর্ম গেলে কেরানির যেমন হয়…ব্যাকুলতা হলে ছটফট করে কিসে ঈশ্বরকে পাব!”

    ভক্তসঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণ

    নবম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ২রা জুন

    কলিকাতায় বলরাম ও অধরের বাটীতে শ্রীরামকৃষ্ণ

     অধরের বাটীতে হরিকীর্তনানন্দে 

    ঠাকুর (Ramakrishna) অধরের বাড়ি আসিয়াছেন। মনোহরসাঁই কীর্তনের আয়োজন হইতেছে।

    অধরের বৈঠকখানায় অনেকগুলি ভক্ত ও প্রতিবেশী ঠাকুরকে দর্শন করিতে আসিয়াছেন। সকলের ইচ্ছা ঠাকুর কিছু বলেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (ভক্তদের প্রতি)—সংসার আর মুক্তি দুই ঈশ্বরের ইচ্ছা। তিনিই সংসারে অজ্ঞান করে রেখেছেন; আবার তিনিই ইচ্ছা করে যখন ডাকবেন তখন মুক্তি হবে। ছেলে খেলতে গেছে, খাবার সময় মা ডাকে।

    “যখন তিনি মুক্তি দেবেন (Kathamrita) তখন তিনি সাধুসঙ্গ করিয়ে নেন। আবার তাঁকে পাবার জন্য ব্যাকুলতা করে দেন।”

    প্রতিবেশী—মহাশয়, কিরকম ব্যাকুলতা?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—কর্ম গেলে কেরানির যেমন ব্যাকুলতা হয়! সে যেমন রোজ আফিসে আফিসে ঘোরে, আর জিজ্ঞাসা করে, হ্যাঁগা কোনও কর্মখালি হয়েছে? ব্যাকুলতা হলে ছটফট করে—কিসে ঈশ্বরকে পাব!

    “গোঁপে চাড়া, পায়ের উপর পা দিয়ে বসে আছেন, পান চিবুচ্ছেন, কোন ভাবনা নেই এরূপ অবস্থা হলে ঈশ্বরলাভ হয় না!”

    প্রতিবেশী—সাধুসঙ্গ হলে এই ব্যাকুলতা হতে পারে?

    শ্রীরামকৃষ্ণ—হাঁ, হতে পারে, তবে পাষণ্ডের হয় না। সাধুর কমণ্ডলু চার-ধাম করে এল, তবু যেমন তেতো তেমনি তেতো!

    এইবার কীর্তন আরম্ভ হইয়াছে। গোস্বামী কলহান্তরিতা গাইতেছেন:

    শ্রীমতী বলছেন, সখি, প্রাণ যায়, কৃষ্ণ এনে দে!

    সখী—রাধে, কৃষ্ণমেঘে বরিষণ হত, কিন্তু তুই মান-ঝঞ্ঝাবাতে মেঘ উড়াইলি। তুই কৃষ্ণসুখে সুখী নস্‌, তাহলে মান করবি কেন?

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PAN 2.0: আসছে ‘প্যান ২.০’, আপনার পুরনো প্যানকার্ড পাল্টানোর দরকার আছে কি?

    PAN 2.0: আসছে ‘প্যান ২.০’, আপনার পুরনো প্যানকার্ড পাল্টানোর দরকার আছে কি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘প্যান ২.০’ (PAN 2.0) প্রকল্প হল একটি ই-গভর্নেন্স উদ্যোগ, যা করদাতাদের পঞ্জিকরণ সম্পর্কিত প্রক্রিয়াগুলিকে আরও সহজ-সরল করতে কার্যকর করার কথা জানিয়েছে মোদি সরকার। এর প্রাথমিক লক্ষ্য হল উন্নত প্রযুক্তি গ্রহণ করে প্যান-সম্পর্কিত পরিষেবার গুণমান বৃদ্ধি করা। এই প্রকল্পে প্যান এবং ট্যান (TAN) অর্থাৎ ট্যাক্স ডিডাকশন এবং কালেকশন অ্যাকাউন্ট নম্বর প্রদান, আপডেট, সংশোধন এবং বৈধতা পরিষেবা সহ সমস্ত প্রক্রিয়াগুলিকে একত্র করা হয়েছে। একই ভাবে প্যান ২.০ প্রকল্পের অন্তর্গত ব্যাঙ্ক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, সরকারি সংস্থা এবং অন্যান্য সংস্থাগুলির জন্য অনলাইন প্যানের প্রামাণ্যতা এবং বৈধতা বিষয়ে পরিষেবা প্রদান করবে।

    প্যান ২.০-এর বৈশিষ্ট্য (PAN 2.0)

    প্যান-সম্পর্কিত পরিষেবাগুলি, বর্তমানে তিনটি পৃথক পোর্টালে পরিচালিত হয়। এই প্রফাইলগুলি হল, ই-ফাইলিং পোর্টাল, ইউটিআইআইটিএসএল পোর্টাল এবং প্রোটিন ই-গভ পোর্টাল। এখন থেকে একক ভাবে একীভূত প্ল্যাটফর্মে সবটা করা যাবে। এই প্ল্যাটফর্মে অনুমোদন, আপডেট, আধার-প্যান লিঙ্কিং, সংশোধন, অনলাইন প্যান যাচাইকরণ এবং আরও অনেক কিছু প্যান (PAN) এবং ট্যান (TAN) পরিষেবাগুলি পরিচালনা করা যাবে। প্যান ২.০-এর (PAN 2.0) সিস্টেমটি সমস্ত পরিষেবার জন্য একটি সম্পূর্ণ অনলাইন, কাগজবিহীন প্রক্রিয়া হবে, এটিকে আরও দক্ষ এবং ব্যবহারকারী-বান্ধব করে তুলবে।

    বিনামূল্যে আপডেট এবং সংশোধন

    প্যান (PAN 2.0) হোল্ডাররা তাদের প্যানে নিজের নাম, ঠিকানা, জন্ম তারিখ, মোবাইল নম্বর, ইত্যাদি বিনামূল্যে আপডেট বা সংশোধন করতে পারবেন। তবে এতে একটি ডিজিটাল ই-প্যান নিবন্ধীকৃত ইমেল আইডিতে পাঠানো হবে। তবে, প্যান কার্ডের হার্ডকপি পেতে ব্যবহারকারীদের ১৫০ টাকা অভ্যন্তরীণ ডেলিভারির চার্জ প্রদান করতে হবে।

    প্যান ২.০ কবে পাওয়া যাবে?

    ভারত সরকার এই প্যান ২.০ (PAN 2.0) কে একটি প্রকল্প হিসেবে ঘোষণা করেছে। তবে রোল আউটের সঠিক সময় এখনও নিশ্চিত করে ঘোষণা করা হয়নি। তবে করদাতারা প্রয়োজন মতো বর্তমান উপলব্ধ পোর্টালেই কাজ করতে পারবেন। সারা দেশে করদাতাদের কর প্রদানের কাজকে ঝঞ্ঝাট মুক্ত এবং সরল করতে এই নতুন ব্যবস্থার কথা ঘোষণা করেছে ভারত সরকার।

    আরও পড়ুন: ট্রাম্প প্রশাসনে গুরু দায়িত্বে বাঙালি, মার্কিন স্বাস্থ্য ব্যবস্থার মাথায় কলকাতার জয়ন্ত

    কিছু প্রয়োজনীয় প্রশ্ন

    প্রশ্ন-১ঃ আমার প্যান কার্ড (PAN 2.0) আগে করা হয়েছে, এখন নতুন প্যান ২.০-তে কি পরিবর্তন করতে হবে?

    উত্তরঃ না। নতুন প্যান কার্ড করতে হবে না। আগের প্যান বৈধ থাকবে।

    প্রশ্ন-২ঃ আমার প্যানের বিবরণ কি আপডেট বা সংশোধন করতে পারি?

    উত্তরঃ অবশ্যাই করতে পারেন। প্যানের নাম, ঠিকানা, ইমেল, মোবাইল নম্বর দিয়ে আপডেট বা সংশোধন করতে পারেন। তাতে কোনও খরচ লাগবে না।

    প্রশ্ন-৩ঃ আমি কি নতুন প্যান কার্ড পাব?

    উত্তরঃ আপনার তথ্য আপডেট বা সংশোধন না হওয়া পর্যন্ত নতুন প্যানকার্ড পাবেন না। সিস্টেমে আপডেট হলে একটি ই-প্যান জারি করা হবে। সেটাকে আপনার ইমেল, ল্যাপটপ বা ফোনে ডাউনলোড করে রাখতে পারবেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • ISRO: শুক্রযান, চন্দ্রযান ৪, গগনযান অভিযান ও মহাকাশ স্টেশন উদ্বোধনের সময়সূচি প্রকাশ ইসরোর

    ISRO: শুক্রযান, চন্দ্রযান ৪, গগনযান অভিযান ও মহাকাশ স্টেশন উদ্বোধনের সময়সূচি প্রকাশ ইসরোর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর (ISRO) তরফ থেকে শুক্রযান, চন্দ্রযান ৪ (Chandrayaan 4), গগনযান এবং মহাকাশ স্টেশন নিয়ে ছয়টি মিশনের সময়সূচি প্রকাশ করা হয়েছে। উল্লেখ্য ভারতের এই মহাকাশ গবেষণা সংস্থা লাগাতার অভিনব প্রয়োগের কৌশলকে বিশ্ববাসীর কাছে উপস্থাপন করে অনন্য নজির গড়ছে। ইতিমধ্যে চন্দ্রযান ৩, আদিত্য এল-১ মিশনের সাফল্যে নাসার কাছেও ব্যাপক প্রশংসার পাত্র হয়েছে ইসরো। আসুন এবার থেকে জেনে নিই ইসরো তার ভবিষ্যৎ কর্মসূচি কীভাবে পরিকল্পনা করেছে।

    শুক্রযান (Shukrayaan)

    শুক্রের রহস্য উন্মোচনের জন্য ইসরো (ISRO) শুক্রকে প্রদক্ষিণ করবে। এই কাজের জন্য একটি উপগ্রহ উৎক্ষেপণের জন্য নির্ধারিত করা হয়েছে শুক্রযানকে। এই যানকে ২০২৮ সালে উৎক্ষেপণ করা হবে। শুক্রযান সিন্থেটিক অ্যাপারচার রেডার এবং আল্ট্রাভায়োলেট ইমেজিং সিস্টেমের মতো উন্নত যন্ত্র দিয়ে সজ্জিত। শুক্রযান শুক্রের ঘন বায়ুমণ্ডল সম্পর্কে খোঁজ খবর করবে। মূলত কার্বন ডাইঅক্সাইড এবং সালফিউরিক অ্যাসিডের সমন্বয়ে গঠিত ওই বায়ুমণ্ডলকে নিরীক্ষণ করবে। সেই সঙ্গে এই শুক্রের মিশনের মূল উদ্দেশ্যগুলির মধ্যে একটি হল সক্রিয় আগ্নেয়গিরি সনাক্তকরণ করা এবং গ্রহের ভূতাত্ত্বিক কার্যকলাপের মূল্যায়ন করা। ইসরোর (ISRO) এই মিশনের পরিচালক নীলেশ দেশাই জানিয়েছেন, ভারত সরকার শুক্রযান উপগ্রহকে বিশেষ অনুমোদন দিয়েছে।

    চন্দ্রযান ৪ (Chandrayaan 4)

    প্রথম দেশ হিসেবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফল সফট ল্যান্ডিং ঘটিয়ে ইসরো সারা বিশ্বে মান্যতা পেয়েছে। অবশ্য এই দক্ষিণ মেরুতে ভারত প্রথম সফল ভাবে অবতরণ করে বিশ্বের ক্ষমতাশীল দেশগুলির মধ্যে অন্যতম হয়ে উঠেছে। ইসরো (ISRO) এবার চাঁদের দক্ষিণ মেরুকে ফের লক্ষ্য করে জাপানের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে অবতরণ করবে। এই অভিযানের মাধ্যমে চাঁদের (Chandrayaan 4) মাটি, পাথর এবং খনিজ সম্পদের অনুসন্ধান করবে। এই মিশনের অভিপ্রায় শুধু অবতরণ নয় সেই সঙ্গে চন্দ্রযানকে পৃথিবীর মাটিতে ফিরিয়ে আনাও মিশনের প্রধান অঙ্গ। অত্যন্ত তৎপরতার সঙ্গে এই অভিযানের কাজ চলছে বলে জানা গিয়েছে। মিশনের পরিচালক দেশাই জানিয়েছেন, “যদি আমরা সরকারের ঠিকঠাক অনুমোদন পাই তাহলে আমরা ২০৩০ সালের মধ্যে মিশনটি সফল ভাবে কার্যকর করব। আমরা এই মিশন নিয়ে অত্যন্ত আশাবাদী।”

    দ্বিতীয় মঙ্গলগ্রহ (Mangalyaan) অভিযান

    মঙ্গলগ্রহে অভিযানের জন্য ইসরো (ISRO) মঙ্গল অরবাইটার মিশনের অন্তর্গত দ্বিতীয় মঙ্গলযান তৈরির কাজ করছে বলে ইসরো জানিয়েছে। তবে শুধুমাত্র মঙ্গলগ্রহ প্রদক্ষিণ নয়, এই লালগ্রহকে পরিক্রমা করে পৃষ্ঠদেশে অবতরণ করার চেষ্টাও একটা প্রধান অঙ্গ। মিশনের পরিচালক দেশাই বলেছেন, “মঙ্গল মিশনের একটি অংশ হিসেবে শুধু কক্ষপথের উপর আমাদের নির্মিত উপগ্রহকে রাখব না। বরং কীভাবে ভূ-মণ্ডলের উপর অবতরণ করা হবে সেই চেষ্টাও করা হবে। এই গ্রহকে নিয়ে আরও অনেক গবেষণা এবং তথ্য সংগ্রহের পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে।”

    গগনযান (Gaganyaan)

    মহাকাশে মানুষ পাঠাবে ইসরো (ISRO)। গগনযান মিশনের এটি হবে একটি মাইলফলক মিশন। প্রথমে মানুষবিহীন ভাবে এই গগনযান পাঠানো হবে এরপর পরীক্ষামূলক সফলের মাধ্যমে মানুষবাহী মহাকাশযান পাঠানো হবে। এই মিশনের পরিচালক জানিয়েছেন, “আগামী ২ বছরের মধ্যে গগনযান পাঠানো হবে। মহাকাশের নানা অজানা তথ্য এবং খোঁজ পেতে এই মিশন ব্যাপক ভাবে কার্যকর হবে। তবে এই মিশনে দেশের জন্য সর্বাত্মক উৎসর্গ করা ভাবনাকে বিশেষ প্রধান্য দেওয়া হবে।”

    ইনস্যাট ৪ সিরিজ (INSAT 4)

    ইসরো (ISRO) মহাকাশযানের মধ্যে ইনস্যাট ৪ সিরিজের পরবর্তী উপগ্রহর উৎক্ষেপণ একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। এই মিশনে ভূমণ্ডলের আবহাওয়া, সমুদ্র সংক্রান্ত ক্ষমতার উন্নতি, দুর্যোগের পূর্বাভাস সহ একাধিক নানা তথ্য সংগ্রহের কাজে ব্যবহার করা হবে। এটি নতুন সেন্সর এবং অত্যাধুনিক স্যাটেলাইটের অঙ্গ।

    আরও পড়ুনঃ উপত্যকায় সন্ত্রাস দমনে আরও সক্রিয় কেন্দ্র, জম্মুতে স্থায়ী মোতায়েন এনএসজি-র বিশেষ দল

    মহাকাশ স্টেশন (Indian Space Station)

    ভারত সরকার একটি মহাকাশ স্টেশনের পরিকল্পনাকে অনুমোদন করেছে। তবে এটি আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন থেকে আকারে কিছুটা ছোট হবে। ইসরোর (ISRO) এই মহাকাশ স্টেশনে ৫টি মডিউল থাকবে। প্রথম মডিউলটি ২০২৮ সালের মধ্যেই চালু হয়ে যাবে। সেই সঙ্গে ২০৩৫ সালের মধ্যে সম্পূর্ণ স্টেশন চালু হয়ে যাবে বলে আশাপ্রকাশ করা হয়েছে।

    দূরবর্তী গ্রহ অন্বেষণ থেকে শুরু করে মানুষের মহাকাশযান অগ্রসর করা পর্যন্ত, প্রতিটি মিশন বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার, প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতায় অর্থপূর্ণ অবদান রাখার জন্য ভারতের দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিনিয়ত প্রতিফলিত হচ্ছে। বর্তমান ভারত সরকার এবং ইসরোর পরিকল্পনা আগামী দিনে ভারতকে মহাশক্তিধর রাষ্ট্র এবং বিকশিত ভারতের দিকে যে এগিয়ে নিয়ে যাবে তা মহাকাশ বিজ্ঞানীদের একাংশ মনে করছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • SSC Recruitment Case: নিয়োগকাণ্ডে ইডির হাতে গ্রেফতার ‘সৎ রঞ্জন’, ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতে শান্তনু-সুজয়

    SSC Recruitment Case: নিয়োগকাণ্ডে ইডির হাতে গ্রেফতার ‘সৎ রঞ্জন’, ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতে শান্তনু-সুজয়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিবিআইয়ের মামলায় জামিন পাওয়ার ছয়দিন পর আবার গ্রেফতার শিক্ষক দুর্নীতি মামলায় (SSC Recruitment Case) অভিযুক্ত বাগদার ‘সৎ রঞ্জন’ (Ranjan) ওরফে চন্দন মণ্ডল। স্কুলে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রভাবশালী একাধিক তৃণমূল নেতার নাম জড়িয়েছে। সেই সূত্র ধরেই তাঁকে জিজ্ঞাসবাদ করেছিল সিবিআই। এবার ফের গ্রেফতার করেছে ইডি। অপর দিকে শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’কে সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ আদালতের। আগামী ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতে থাকবেন দুজনই।

    গ্রুপ সি এবং নবম-দশম শ্রেণিতে দুর্নীতির অভিযোগ (SSC Recruitment Case)

    স্কুল সার্ভিস কমিশনের শিক্ষক নিয়োগে টাকা নিয়ে মামলায় অভিযুক্তদের তালিকায় নাম রয়েছে বাগদার বাসিন্দা রঞ্জনের (Ranjan)। মঙ্গলবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে (বিচার ভবনে) তাঁর ‘শোন অ্যারেস্ট’-এর আবেদন করেছিল ইডি। সেই আবেদন মঞ্জুর হতেই রঞ্জনকে গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ইডি সূত্রে খবর, গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি নিয়োগ মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। আগামী সোমবার পর্যন্ত তাঁর ইডি হেফাজত মঞ্জুর করেছেন বিচারক। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় একাধিক প্রভাবশালী ব্যক্তির নাম জড়িয়েছে। সেই সূত্র ধরেই সিবিআই তাঁকে নিজাম প্যালেসে ডেকে একাধিক বার জিজ্ঞাসাবাদ করে। এরপর তাঁকে গ্রেফতারও করা হয়। সিবিআই তাঁকে দুটি মামলায় গ্রেফতার করেছিল। এই দুটি মামলা হল, গ্রুপ সি এবং নবম-দশম শ্রেণিতে নিয়োগ মামলা। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে জেলেই ছিলেন অভিযুক্ত রঞ্জন।

    আরও পড়ুনঃ কোটি কোটি টাকার প্রতারণা! চিটফান্ড মামলায় প্রয়াগ গ্রুপের দুই ডিরেক্টরকে গ্রেফতার ইডির

    প্রাক্তন তৃণমূল মন্ত্রী উপেন বিশ্বাস ‘রঞ্জন’ নাম বলেছিলেন

    গত ২০ নভেম্বর রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়-সহ নয়জনের জামিন মামলায় রায়দান ছিল। সেই তালিকায় ছিলেন রঞ্জন (Ranjan)। তাঁর জামিন মঞ্জুর করেছিলেন বিচারপতি সিনহা রায়। তবে জামিন মঞ্জুর হলেও জেল থেকে ছাড়া পাননি। একইভাবে রঞ্জনের আইনজীবী অনির্বাণ গুহঠাকুরতা বলেন, “হাইকোর্টে জামিন মঞ্জুর হওয়ার পর জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার যাবতীয় কাজ ২২ নভেম্বরের মধ্যেই শেষ করা হয়। কিন্তু তারপরও কেন তাঁকে জেলে আটকে রাখা হয়েছিল জানা নেই। এই বিষয়ে আবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হব।” কিন্তু মঙ্গলবার ফের তাঁকে গ্রেফতার (SSC Recruitment Case) করা হয়েছে। উল্লেখ্য গত বছরের প্রথমে রাজ্যের প্রাক্তন তৃণমূল মন্ত্রী উপেন বিশ্বাস এই ‘রঞ্জন’-এর কথা তুলে ধরেছিলেন। টাকার বিনিময়ে লোককে চাকরি করে দেওয়ার অভিযোগ করেছিলেন তিনি। এরপর থেকেই রঞ্জন ওরফে চন্দন মণ্ডলকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 202: “ঈশ্বরই জীবজগৎ হইয়া রহিয়াছেন, ঈশ্বরই মানুষ হইয়া বেড়াইতেছেন”

    Ramakrishna 202: “ঈশ্বরই জীবজগৎ হইয়া রহিয়াছেন, ঈশ্বরই মানুষ হইয়া বেড়াইতেছেন”

    ভক্তসঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণ

    নবম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ২রা জুন

    কলিকাতায় বলরাম ও অধরের বাটীতে শ্রীরামকৃষ্ণ

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) দক্ষিণেশ্বর-মন্দির হইতে কলিকাতায় আসিতেছেন। বলরামের বাড়ি হইয়া অধরের বাড়ি যাইবেন। তারপর রামের বাড়ি যাইবেন। অধরের বাড়িতে মনোহরসাঁই কীর্তন হইবে। রামের বাড়িতে কথাকতা হইবে। আজ শনিবার, ২০শে জৈষ্ঠ (১২৯০), কৃষ্ণা দ্বাদশী, ২রা জুন, ১৮৮৩ খ্রীষ্টাব্দ।

    ঠাকুর গাড়ি করিয়া আসিতে আসিতে রাখাল ও মাস্টার প্রভৃতি ভক্তদের বলিতেছেন, “দেখ, তাঁর উপর ভালবাসা এলে পাপ-টাপ সব পালিয়ে যায়, সূর্যের তাপে যেমন মেঠো পুকুরে জল শুকিয়ে যায়।”

    সন্ন্যাসী ও গৃহস্থের বিষয়াসক্তি 

    “বিষয়ের উপর, কামিনী-কাঞ্চনের উপর, ভালবাসা থাকলে হয় না। সন্ন্যাস করলেও হয় না যদি বিষয়াসক্তি থাকে। যেমন থুথু ফেলে আবার থুথু খাওয়া!”

    কিয়ৎক্ষণ পরে গাড়িতে ঠাকুর আবার বলিতেছেন(Kathamrita), “ব্রহ্মজ্ঞানীরা সাকার মানে না। (সহাস্যে) নরেন্দ্র বলে ‘পুত্তলিকা’! আবার বলে, ‘উনি এখনও কালীঘরে যান’!”

    শ্রীরামকৃষ্ণ ও নরলীলা দর্শন ও আস্বাদন 

    ঠাকুর (Ramakrishna) বলরামের বাড়ি আসিয়াছেন।

    ঠাকুর হঠাৎ ভাবাবিষ্ট হইয়াছেন। বুঝি দেখিতেছেন, ঈশ্বরই জীবজগৎ হইয়া রহিয়াছেন, ঈশ্বরই মানুষ হইয়া বেড়াইতেছেন। জগন্মাতাকে বলিতেছেন, “মা, একি দেখাচ্ছ! থাম; আবার কত কি! রাখাল-টাখালকে দিয়ে কি দেখাচ্ছ! রূপ-টুপ সব উড়ে গেল। তা মা, মানুষ তো কেবল খোলটা বই তো নয়। চৈতন্য তোমারই।

    “মা, ইদানীং ব্রহ্মজ্ঞানীরা মিষ্টরস পায় নাই। চোখ শুকনো, মুখ শুকনো! প্রেমভক্তি না হলে কিছুই হল না।

    “মা, তোমাকে বলেছিলাম (Kathamrita), একজনকে সঙ্গী করে দাও আমার মতো। তাই বুঝি রাখালকে দিয়েছ।”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share